দর্শনায় শীতার্থ মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ

দর্শনায় বুয়েট-৮৭ ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় এবং বন্ধুজন-৮৯ এর উদ্যোগে শীতবস্ত্র কম্বল বিতরণ করা হয়েছে।

আজ সোমবার বিকাল ৫টার দিকে শীতবস্ত্র কম্বল দর্শনা থানাপাড়, জীবননগর, ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নের হতদরিদ্র মানুষের মাঝে এ কম্বল বিতরণ করা হয়েছে।

দর্শনায় বন্ধুজন-৮৯ এর ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বন্ধুদের মাধ্যমে ২০০শত জন শীতার্থ মানুষের মাঝে এসব কম্বল বিতরণ করা হয়। দর্শনায় বন্ধুজন-৮৯ ব্যাচ দর্শনা সরকারী কলেজের ছাত্র আব্দুস সামাদ বিপু, মিনাজ উদ্দিন ও লাড্ডান, জীবননগরে আজিজুল হক ও আব্দুল হাকিম এবং ইমরোজ আলী এসব কম্বল গুলো বিতরণ করা হয়েছে।




মেহেরপুর জেলা আইনজীবী সমিতি নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা সম্পন্ন

মেহেরপুর জেলা আইনজীবী সমিতির আসন্ন নির্বাচনে আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সদস্যরা পূর্ণ প্যানেলে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

আজ সোমবার মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিনে আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের সভাপতি পদে এডভোকেট গোলাম মোস্তফা এবং সাধারণ সম্পাদক পদে অ্যাডভোকেট নাজমুল হুদা, সহ-সভাপতি পদে নজরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে শাহরিয়ার মাহামুদ শাওন, কোষাধক্ষ পদে রোকেয়া খাতুন, লাইব্রেরী ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে নাগিব মহাফুজ জুয়েল, সিনিয়র সদস্য পদে আবুল হাসেম এবং সদস্য পদে এসএম আমানুল্লাহ আল আমান ও সাব্বির হোসেন শিশির নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান অ্যাডভোকেট বিমল কুমার বিশ্বাসের কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেন।

এসময় পিপি পল্লব ভট্টাচার্য, অ্যাডভোকেট খন্দকার একরামুল হক হীরা, অ্যাডভোকেট ইয়ারুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট শফিকুল আলম, অ্যাডভোকেট খন্দকার আব্দুল মতিন, এডভোকেট খ ম ইমতিয়াজ বিন হারুন জুয়েল, অ্যাডভোকেট এসএম আমানুল্লাহ আল আমান উপস্থিত ছিলেন।

অপর দিকে, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি পদে মারুফ আহমেদ বিজন এবং সাধারণ সম্পাদক পদে এএস এম সাইদুল রাজ্জাক সাদ্দাম, সহ-সভাপতি পদে রফিকুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে এহান উদ্দিন মনা, কোষাধ্যক্ষ পদে সাইফুল ইসলাম, লাইব্রেরী ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে শফিউল আজম খান বকুল, সিনিয়র সদস্য পদে মোখলেসুর রহমান স্বপন এবং সদস্য পদে আল মামুন অনল ও তারিক আহমেদ নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান অ্যাডভোকেট বিমল কুমার বিশ্বাসের কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেন।

এসময় আইনজীবী সমিতির বর্তমান সভাপতি এডভোকেট কামরুল হাসান, আবু সালেহ মোঃ নাসিম, আফরোজা বেগম ফাতেমা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।




চুয়াডাঙ্গা জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অভিযানে মাদকসহ আটক-৪ 

চুয়াডাঙ্গা জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা সহ দর্শনার বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করেছে। এ অভিযানে মাদক উদ্ধার করা সহ পৃথক স্থান হতে আটক করা হয় ৪ জন মাদক ব্যবসায়ীকে।

আটককৃতদের বিভিন্ন মেয়াদে বিনাশ্রম কারাদন্ড ও অর্থদন্ড প্রদান করা হয়েছে। তারা চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার জালশুকা মসজিদপাড়ার লালন, দর্শনা দক্ষিণ চাঁদপুর গ্রামের মিজানুর রহমান, হাফিজুর রহমান ও মোবারক পাড়ার জাহিদুল ইসলাম। তাদেরকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড প্রদান শেষে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

জানাযায়, আজ সোমবার দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে চুয়াডাঙ্গা বিজ্ঞ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাদাত হোসেনের নেতৃত্বে জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক শিরিন আক্তার, পরিদর্শক নাজমুল হোসেন খান ও উপ-পরিদর্শক সাহারা ইয়াসমিন সহ সঙ্গীয় সদস্য মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করেন চুযাডাঙ্গা সদর উপজেলার জালশুকা গ্রামে।

এসময় গ্রামের মসজিদ পাড়ার আবুল কালাম আবুর ছেলে লালনের নিজ দখলীয় বসতঘর মধ্যে হইতে ৫শত গ্রাম গাঁজা সহ লালন মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামীকে ভ্রাম্যমান আদালতে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ১০০ টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করে জেল হাজতে প্রেরণ করেন।

একই অভিযানিকদল দুপুর ১টার দিকে অভিযান পরিচালনা করেন জেলার দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনা পৌরসভাধীন দক্ষিণ চাঁদপুর গ্রামে। এসময় গ্রামের পাকা রাস্তার পূর্ব পাশে বিপ্লবের কলা বাগানের মধ্যে হইতে ৫০ লিটার তাঁড়ি সহ গ্রেফতার করা হয় মিজানুর রহমান (৪২) নামের এক তাঁড়ি ব্যবসায়ীকে। গ্রেফতারকৃত মিজানুর রহমান দর্শনা দক্ষিণ চাঁদপুর গ্রামের কেওড়া পাড়ার কালাচান মন্ডলের ছেলে। গ্রেফতারকৃতকে ভ্রাম্যমান আদালত ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ৫ শত টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করে জেল হাজতে প্রেরণ করেন। দুপুর ১টার দিকে একইদল অভিযান চালায় দর্শনা পৌরসভাধীন মোবারক পাড়ায়।

এসময় মোবারক পাড়া পাকা রাস্তার পশ্চিমপাশে হাসনা মিয়ার প্রোল্ট্রি ফার্মের সামনে হতে ২ লিটার তাঁড়িসহ গ্রেফতার করা হয় মোবারক পাড়ার মৃত. ছিরু মিয়ার ছেলে জাহিদুল ইসলামকে (৪১)।

গ্রেফতারকৃতকে ভ্রাম্যমান আদালতে ৭ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ১ শত টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

একইস্থান থেকে দুপুর ২ টার দিকে ২ লিটার তাঁড়ি সহ গ্রেফতার করা হয় দর্শনা দক্ষিণ চাঁদপুর গ্রামের মৃত. তহির উদ্দিনের ছেলে হাফিজুর রহমানকে (৬০)। তাকে ভ্রাম্যমান আদালতে ৭ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ১ শত টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করে জেল হাজতে প্রেরণ করেন।

এ কারাদন্ড ও জরিমানার রায়প্রদান করেন অভিযান নেতৃত্বে থাকা চুয়াডাঙ্গা বিজ্ঞ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাদাত হোসেন।




দর্শনার হাফেজ নকীব ঢাবির মার্স্টাস সমাপনী পরীক্ষায় ১ম হলেন

দর্শনার হাফেজ সায়ীদ নকীব ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ থেকে মার্স্টাস সমাপনী পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করে এবার মেধা তালিকায় প্রথম শ্রেণীতে প্রথম স্থান অধিকার করেছে।

আজ সোমবার প্রকাশিত ফলাফলে সে সিজিপিএ পেয়েছে ৪ এর মধ্যে ৪। ইতিপূর্বে অর্নাস পরীক্ষায় ৪ এর মধ্যে ৩.৮৫ পেয়ে প্রথম শ্রেণীতে দ্বিতীয় হয়েছিল। নকীব ঝিনাইদহ সিদ্দিকীয়া কামিল মাদরাসা থেকে বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে অনুষ্ঠিত দাখিল ও আলিম পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করে উভয় পরীক্ষায় গোল্ডেনসহ জিপিএ-৫ পেয়েছিল।

সে জেলার দর্শনার বিশিষ্ট আলেম দর্শনা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ধর্মীয় শিক্ষক মরহুম মাওলানা এবিএম আব্দুল লতিফ ও রোকেয়া বেগমের এর কনিষ্ঠ সন্তান।

হাফেজ নকীব ঢাবিতে বিএনসিসিসহ বিভিন্ন প্রতিযোগীতায় প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছে। সে শিক্ষা গবেষনায় উচ্চতর ডিগ্রী অর্জন করতে চায়। নকীব সকলের দোয়া প্রার্থী।




দামুড়হুদা চিৎলায় একরাতে কৃষকের দুই গরু চুরি

দামুড়হুদা উপজেলার চিৎলা গ্রামে রাতের আধারে দুইজনের বাড়ি থেকে দুইটি গরু চুরি করে নিয়ে যায় চোরের দল। আজ সোমবার দিবাগত রাতে এই চুরির ঘটনা ঘটে।

জানাযায়, দামুড়হুদা উপজেলার চিৎলা গ্রামের ফরজ শেখের ছেলে গরিবুল্লাহ ইসলাম প্রতি রাতের মত গরুর খেতে দিয়ে ঘুমাতে যায়। পরে ভোরে উঠে গোয়াল ঘরে গিয়ে দেখে লাল এড়ে বাছুর গরুটি আর নেই।

একই গ্রামের আরজুল্লার ছেলে শফিকুল ইসলাম প্রতিরাতের মত গরুর খেতে দিয়ে ঘুমাতে যায়। পরে ভোরে উঠে গোয়াল ঘরে গিয়ে দেখে লাল বকন বাছুর গরুটি আর নেই।পরে তাদের ডাক চিৎকারে গ্রামবাসী এগিয়ে আসে বিভিন্নস্থানে খোজাখোজি করার পরও খুজে পাইনি। দুইটি গরু প্রায় ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত গরু দুটির কোন খোজ পাওয়া যায়নি।

গরুর মালিক শফিকুল ইসলাম বলেন, আমি লোন তুলে একটি গরু কিনেছিলাম এখনও লোন পরিশোধ করিতে পারিনি।এর মধ্য গরুটি চুরি হয়ে গেল।আমর খুব ক্ষতি হয়ে গেল।




ঝিনাইদহে মাদক মামলায় একজনের যাবজ্জীবন

ঝিনাইদহে মাদক মামলায় কামরুল ইসলাম নামের এক মাদক ব্যবসায়ীকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছে আদালত। আজ সোমবার (১৫ জানুয়ারি) দুপুরে সিনিয়র দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোঃ নাজিমুদ্দৌলা এ দন্ডাদেশ প্রদান করেন। যাবজ্জীবন প্রাপ্ত আসামী কালীগঞ্জ উপজেলার কাশিপুর গ্রামের মনিরুল ইসলামের ছেলে।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৭ সালের ৭ জুলাই তারিখে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ জানতে পারে কালীগঞ্জ উপজেলার কাশিপুর গ্রামে কামরুল ইসলামের বাড়িতে ফেন্সিডিল ক্রয় বিক্রয় হচ্ছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে তার বাড়িতে পুলিশ অভিযান চালায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে কামরুল পালিয়ে গেলেও বাড়িতে তল্লাশী করে ৬০ বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধার করা হয়। পরে ওই দিনই পুলিশ বাদী হয়ে মাদক দ্রব্য আইনে কামরুল ইসলামের বিরুদ্ধে কালীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করে।

পুলিশ তদন্ত শেষে ২০১৭ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর আসামী কামরুল ইসলামের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশীট দাখিল করে। দীর্ঘবিচারিক প্রক্রিয়া শেষে আদালত আসামীকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানাসহ যাবজ্জীবন কারাদন্ড প্রদান করেন।




অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে ঝিনাইদহের বাঁওড় পাড়ের জেলে সম্প্রদায়

‘জাল যার জলা তার’ নীতি প্রতিষ্ঠিত না হওয়ায় বলুহরসহ প্রায় সকল বাওড়েই প্রবেশাধিকার হারিয়েছেন বাওড়পাড়ের জেলেরা। ক্ষমতার অংক আর ইজারা প্রথার প্রবল প্রতাপে ছয়টি বাওড়ের প্রায় ২০/২৫ হাজার মানুষ আজ দিশেহারা। দীর্ঘ চল্লিশ বছর ধরে একতরফাভাবে বলুহর বাওড় নিজেদের মতো ভোগদখল করে সরকারি রাজস্ব লোকসান করছে দখলকারীরা।

দখলকারীদের দুর্নীতি ও লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না হওয়ায় ভূমি মন্ত্রণালয় বলুহর বাওড়টি মৎস্য বিভাগের কাছে নবায়ন না করে উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে ইজারা দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় ২০২২ সালের ২০ মার্চ। চল্লিশ বছরের প্রশ্নহীন বঞ্চনাকে প্রশ্ন করে আবারও জেগেছে বলুহর বাওড় পাড়ের মানুষ। ঠিক যেমন উপনিবেশকতার জুলুমের বিরুদ্ধে জেগেছিল নীলবিদ্রোহের সময়।

প্রভাবশালীদের ইজারা বাতিল করে বাওড়ে নিজেদের অধিকারের দাবিতে সংগঠিত হয়েছেন বঞ্চিত জেলেরা। কিন্তু কেউ জেলেদের কথা শুনছে না। জনপ্রতিনিধি থেকে নাগরিক সমাজ কিংবা গণমাধ্যম সকলেই এক্ষেত্রে বিস্ময়করভাবে নিশ্চুপ।

ক্ষুধা আর ক্ষোভ নিয়ে বাওড় থেকে জেলেরা পরিবার পরিজন নিয়ে গত ২৮ মে ঢাকায় গিয়েছিল জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে তপ্ত রাস্তায় যেন ভিড় জমেছে একটুকরো দলিত ‘পদ্মা নদীর মাঝি’। খসখসে শিশু, উদভ্রান্ত তরুণ, ক্ষুব্ধ বিধবা কিংবা বিবর্ণ পৌঢ়দের ছায়াগুলোও প্রখর তাপে চুরমার হয়ে যাচ্ছিল। যেন ‘তিতাস একটি নদীর নাম’ কিংবা ‘তিস্তাপাড়ের বৃত্তান্ত’ থেকে উঠে আসা শত বঞ্চনার দাগ নিয়ে দাঁড়ানো খন্ডবিখন্ড মানুষেরা।

কিন্ত এখনো সেই সমস্যার সমাধান মেলেনি মানুষগুলো আজ পেশা হারিয়ে দিকবিদিক জ্ঞান শুন্য তাই অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে ঝিনাইদহ ও যশোহর অঞ্চলের ৬ বাঁওড় পাড়ের জেলে সম্প্রদায়ের মানুষগুলো। বাঁওড়ই ছিল তাদের বেঁচে থাকার একমাত্র অবলম্বন। সেটা গত বছরের এপ্রিল মাসে ভূমি মন্ত্রানালয় কেড়ে নিয়ে ইজারা দিয়েছে। যে কারণে বাঁওড় পাড়ের প্রায় ২০/ ২৫ হাজার মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছে। পাশাপাশি ইজারাদাররা বাঁওড় গুলিতে কৃত্রিম উপায়ে মাছ পোন উৎপাদন ও সংরক্ষণ করায় দেশী জাতীয় মাছ বিলিনের পথে।

ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরের বলুহর ও জয়দিয়া, মহেশপুরের কাঠগড়া ও ফতেপুর, কালীগঞ্জের মর্জাদ ও যশোরের ১টিসহ মোট ছয়টি বাঁওড়ে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়ানে ভূমি মন্ত্রাণালয়ে সাথে মৎস্য অধিদপ্তরের চুক্তির মাধ্যমে ১৯৭৯ সাল থেকে বিল বাঁওড় মৎস্য উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে মাছ চাষ শুরু হয়। এখানে সুবিধা ভোগীরা ছিলেন বাঁওড় পাড়ের জেলেরা।

১৯৮৬ সাল থেকে বাঁওড়টি রাজস্ব খাতে পরিচালিত হয়। এর মধ্যে আরো কয়েক দফা চুক্তি বৃদ্ধি করে ভূমি মন্ত্রাণালয়। এখানে উৎপাদিত মাছের ৩৫ শতাংশ পেত মৎস্য অধিদপ্তর, ভূমি মন্ত্রাণালয় ২৫ শতাংশ এবং জেলে সম্প্রদায় পেত ৪০ শতাংশ। প্রাকৃতিক ভাবে উৎপাদিত রানি মাছের ১শত ভাগই পেত বাঁওড় পাড়ের জেলেরা। সর্বশেষ ভূমি মন্ত্রাণালয়ের সাথে মৎস্য মন্ত্রাণালয়ে চুক্তির মেয়াদ ছিল এপ্রিল ২০২৩ সাল পর্যন্ত। পরে আর ভূমি মন্ত্রাণালয় চুক্তিবৃদ্ধি না করে চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই গত ২০২২ সালের নভেম্বর মাসে ভূমি মন্ত্রাণালয় জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে এই বাঁওড় গুলোর ইজারা প্রক্রিয়া শুরু করে।

এপ্রিলে ইজারাদারদের বাঁওড় বুঝিয়ে দেয়া হয়। জলমহল ইজারা প্রদানের জন্য বিজ্ঞপ্তিতে নিবন্ধনকৃত ও প্রকৃত মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির আবেদনের কথা বলা হলেও এখানে একাধিক মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি’র বিরুদ্ধে আর্থিক সুবিধা নিয়ে মৎস্যজীবী নন এমন ব্যক্তিদের বাঁওড় ইজারা পাইয়ে দেয়ার গুরুতর অভিযোগ করেছে বাঁওড় পাড়ের জেলেরা।

বাঁওড় পাড়ের জেলেরা কেমন আছে জানতে সরেজমিনে কোটচাঁদপুর জয়দিয়া বাঁওড় পাড়ে গেলে দেখা যায় বাঁওড়ের ঘাটে প্রচুর জেলে ও তাদের পরিবারের লোকজন দাড়িয়ে বাঁওড়ের দিকে চেয়ে আছে। এ সময় আমাদের দেখে অনেকেই কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। জয়দিয়া বাঁওড় ও মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি’র সভাপতি শীতল কুমার হালদার বলেন-আর সংসার টানতে পারছি না। বাঁওড় নেই আমরা পথে বসে গেছি। আমার বাবা ৪০ বছরের অধিক সময় ধরে এই বাঁওড় থেকে মাছ ধরে সংসার চালিয়ে আমাদেরকে বড় করেছেন। বাবা তিন বছর আগে গত হয়েছেন। আমরা বাঁওড় পাড়ের জেলেরা এই কাজই শিখে বাঁওড়ের মাছ ধরে সংসার চালিয়ে আসছিলাম। পরিবারের ৬ সদস্যের মধ্যে ছেলে কলেজে পড়ে, মেয়ে পড়ে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে। বাঁওড় পাড়ের জেলেরা আগে বাঁওড়ের উৎপাদিত বড় মাছের ৪০ শতাংশসহ প্রাকৃতিক ভাবে উৎপাদিত বাঁওড়ের রানি মাছ ধরে সম্পূর্ণ নিজেরা নিত। এখন সে রানি মাছ গুলি ধরা তো দুরে থাক ইজারাদাররা আমাদেরকে বাঁওড়েও নামতে দেয় না। কি করবো ঝুঝে উঠতে পারছিনা। এখন দেখছি আমাদের আত্মহত্যা করা ছাড়া উপায় নেই। বলুহর বাঁওড় ও মৎস্য সমবায় সমিতির সভাপতি গোপাল হালদার বলেন- আমরা বাঁওড় পাড়ের মৎসজীবিরা কর্মহীন হয়ে গেছি। বাবা-দাদারা এ বাঁওড় থেকে মাছ ধরেই সংসারের খরচ যোগাতেন। আমরাও একই পেশাতে ছিলাম। বাঁওড় না থাকায় একেবাই পথে বসে গেছি। তিনি বলেন-একই অবস্থা প্রায় সব বাঁওড় পাড়ের জেলে সম্প্রদায়ের। ফতেপুর মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সভাপতি শান্তি হালদার বলেন-আমরা ধারদেনা করে বাওড়টি ইজারা নিয়েছি। মাছ ছেড়েছি, সামনে কপালে কি আছে বলতে পারছিনা।

জয়দিয়া বাঁওড়ের সাবেক মৎস্যজীবীদের দলপতি নিত্য হালদার বলেন-বাঁওড় পূর্বের ন্যায় ফিরে পেতে ৫ বাঁওড় পাড়ের মৎস্যজীবীদের পক্ষ থেকে ভূমি মন্ত্রণালয়ের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। মামলাটি হাইকোর্টে চুড়ান্ত রায়ের অপেক্ষায় আছে। তারপরও ইজারাদাররা বাঁওড় পাড়ের জেলেদের মারধোর করে জোরপূর্বক মাছ ধরছেন।

যশোহর বিল বাঁওড় মৎস্য উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালক (পিডি) মোঃ আলফাজ উদ্দীন শেখ বলেন-এ বাঁওড় গুলি আমাদের আওতায় ৪২ বছর ছিলো সে সময় বাঁওড় পাড়ের জেলেদের আত্মসামাজিক মান উন্নয়নে কাজ করে গেছে এ প্রকল্পটি। পাশাপাশি পরিকল্পনা অনুযায়ী বাঁওড়ের বড় মাছের চাষ ও দেশীয় ছোট মাছের প্রজনন ঘটিয়ে নানা প্রজাতির মাছের চাহিদা মিটাতে বেশীর ভাগ ক্ষেত্রে সক্ষম হয়েছে প্রকল্পটি। বাঁওড়টি রাখার জন্য আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি কিন্ত পারিনি। বাঁওড় গুলি ভূমি মন্ত্রালয় ইজারা দিয়েছেন। যে কারণে বাওড় পাড়ের জেলেরা তো বেকার হয়েছে পাশাপাশি বাঁওড় সংশ্লিষ্ট ১৩০ থেকে ১৪০ জন দৈনিক মুজুরী ভিত্তিক কর্মিও বেকার হয়ে গেছে। বর্তমানে এ বাঁওড় কেন্দ্রিক আমাদের আর কিছুই করার নেই।

বলুহর বাঁওড় ম্যানেজার সিদ্দিকুর রহমান বলেন-আমরা বাঁওড় গুলিতে মাছ চাষ করতাম মৎস্য অধিদপ্তর কর্তৃক কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী বিভিন্ন প্রজাতির মাছের সাইজ ও সংখ্যা বিবেচনা করে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে। মাছ ধরার সময়ও নির্দ্ধারণ করা থাকতো, ছোট মাছ ধরা হতোনা। একই সাথে জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ করার জন্য তথা বিলুপ্তপ্রায় মাছ সংরক্ষণ ও প্রজনন বৃদ্ধির জন্য অভয়াশ্রম করা হতো। সেই সাথে প্রজনন কালিন সময় মাছ ধরা বন্ধ রাখা হত ফলে এক দিকে বিপন্ন প্রজাতির মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি পেত অন্যদিকে জীব বৈচিত্র্য সংরক্ষিত হতো। বর্তমান ইজারাদারা এ বিষয়ে যত্নশীল না হয়ে অধিক মুনাফার জন্য কৃত্তিম উপায়ে মাছ চাষ করছেন। যখন তখন মাছ ছাড়ছেন এবং ধরছেন। যে কারণে দেশীয় মাছ ও জীববৈচিত্র্য বাঁওড় গুলি থেকে একেবারে ধ্বংস হতে বসেছে।

জানা গেছে-কোটচাঁদপুর বলুহর বাঁওড় সংলগ্ন সরকারী মৎস্য হ্যাচারী কমপ্লেক্সসহ অন্যান্য বাঁওড় গুলির আশপাশে আবাদী জমির পানি স্যালো পাম্পের মাধ্যমে বাঁওড় থেকে নেয়া হত। ইজারাদাররা এই পানি বাঁওড় থেকে নেয়া বন্ধ করতে বিভিন্ন ফন্দি ফিকিরি করছেন। একাধিক আবাদী জমির মালিকরা আশংকা প্রকাশ করে বলছেন- বাঁওড় থেকে পানি নেয়া বন্ধ করে দিলে একদিকে যেমন শত শত একর জমি চাষ বাঁধা গ্রস্থ্য হবে। অন্যদিকে সরকারী মৎস্য হ্যাচারী কমপ্লেক্সও পড়বে পানি সংকটে।

বলুহর বাওড় ইজারা পাওয়া কোটচাঁদপুর মৎস্যজীবি সমবায় সমিতির সভাপতি শীতল হালদার বলেন-বাওড় থেকে পানি উত্তোলন কেউ যেন না করতে পারে সে জন্য ইতি মধ্যেই জেলা প্রশাসকের নিকট আবেদন করেছি। এ ছাড়াও তিনি বলেন-আমার মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি কাউকে ইজারা পাইয়ে দেয় নাই বা আমরা বাঁওড় সাব-লিজও দিই নাই।

কোটচাঁপুর বলুহর বাওড় পাড়ের কৃষক রেজাউল ইসলাম জানান, বাওড়ের ধারেই আমার সাড়ে ৪ বিঘা জমি আমি শুকনা মৌসুমে স্যালো মেশিন দিয়ে বাওড়ের পানি দিয়ে চাষ-আবাদ করে আসছি। কিন্তু বর্তমানে ইজারাদাররা পানি নেওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন। এতে করে আমরা আর্থিক দিক ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছি।

বাওড় পাড়ের আরেক কৃষক ফারুক হোসেন জানান, আমার বাপ দাদারা এই বাওড়ের পানি দিয়ে চাষ-আবাদ করে আসছি কিন্তু ইজারা দেওয়ার পর ইজারাদারের লোকজন বাওড় থেকে পানি নিতে দিচ্ছে না। আমাদের জমিতে বরিংও করা নেই। আমরা এই বাওড়ের পানি দিয়েই জমিতে সেচ দিয়ে শীতকালীন সবজি সহ বিভিন্ন ফসল উৎপাদন করে আসছি। এখন কি করবো বুঝে উঠতে পারিছিনা।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসক এসএম রফিকুল ইসলাম বলেন, ভূমি মন্ত্রনালয় এবং মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রনালয়ের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্মাক্ষর হয়েছিল। সেই সমঝোতা স্মারক বলেই এই বাওড়গুলো পরিচালনা করা হতো। এরপর বাংলা ১৪২৯ সালে এই স্মারকের মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে ভূমি মন্ত্রনালয় মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রনালয়ের প্রস্তাবে সাড়া না দিয়ে তারা সিদ্ধান্ত নেয় যে এই আর বাড়ানো হবে না। ভূমি মন্ত্রনালয়ের এই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তারা ইজারা দেওয়ার জন্য দরপত্র আহ্বান করেন। ভূমি মন্ত্রনালয়ের এই প্রক্রিয়া শেষে যারা দরপত্র অনুযায়ী বাওড় ইজারা নিয়েছেন ভূমি মন্ত্রনালয় নির্দেশে আমরা তাদের হাতে দরপত্র বুঝিয়ে দিয়েছি। এর প্রেক্ষিতে যারা এতোদিন এই বাওড়ের সূবিধা ভোগ করে আসছিল তারা এটা থেকে বঞ্চিত হলো বলে দাবি করছেন। যারা সুবিধা থেকে বঞ্চিত হলো তারা একটি স্মারলিপি দিয়েছেন। সেই স্মারক লিপিতে তাদের হতাশা এবং কষ্টের কথা উল্লেখ করেছেন আমি সেই স্মারক লিপি সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠিয়ে দিয়েছি। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয় থেকে যে সিদ্ধান দেবেন আমরা সেই আলোকে ব্যবস্থা গ্রহন করবো।




মুজিবনগরে শীতার্ত মানুষের মাঝে শীত বস্ত্র বিতরণ

তীব্র শীতে যখন মানুষ জর্জরিত তখন অসহায় খেটে খাওয়া মানুষদের শীত নিরাবরণের জন্য মুজিবনগরে শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ করেছে বাগোয়ান ইউনিয়ন পরিষদ।

আজ সোমবার বেলা ১২ টার দিকে ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে কম্বল বিতরণ করা হয়। শীত বস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে বাগোয়ান ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আইয়ুব হোসেনের সভাপতিত্বে মুজিবনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আজগর আলী প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এ সমস্ত শীতবস্ত্র বিতরণ করেন।

এ সময় আরো উপস্হিত ছিলেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মাশরুবা আলম সহ বিভিন্ন ওয়ার্ডের ইউপি সদস্যবৃন্দ। অনুষ্ঠানে বাগোয়ান ইউনিয়নের নিম্ন বিত্ত মানুষের মাঝে ৪৫০ টি কম্বল বিতরণ করা হয়। তীব্র শীতে নিবারণের জন্য বস্ত্র পেয়ে খুশি খেটে খাওয়া মানুষেরা। উল্লেখ্য গেল কয়েকদিন ধরে মৃদু শৈত্য প্রবাহের কবলে পড়ে স্বাভাবিক জীবন যাপন বধাগ্রস্থ হচ্চে সাধারন মানুষের।




শীতে হাতের যত্নআত্তি

শীত এসেছে। অনেকের জন্যই গরম পানি করে রান্নাঘরের বাসন-কোসন ধোয়ার সুযোগ নেই। তবে রান্নাঘরে থাকলেও হাতের যত্ন নিতে হবে। কারণ হাতে ঠাণ্ডা পানি লাগলে শুধু ত্বকের সমস্যাই হয় না, সর্দি-কাশি লাগার প্রবণতাও বাড়ে।

শীতের সময় পুরু রাবারের গ্লাভস পরে কাজ করুন। আপনি হয়তো হাতের মতো এত ভালো গ্রিপ পাবেন না। কিন্তু আপনার ঠাণ্ডায় বড় সমস্যা হবে না। শীতে পানি দিয়ে প্রচুর কাজ করলেও শরীর শুষ্ক লাগে। তাই প্রচুর পানি পান করুন। শীতে প্রচুর পানি অনেকেই পান করতে চান না। পানি পান করলে শরীর হাইড্রেটেড থাকবে। শরীর থেকে শ্লেষ্মা বেরিয়ে যাবে। আর পানিতে কাজ করলেও হাতের হাইড্রেশনের সমস্যা হবে না।

শীতে কাপড় ধোয়ার ক্ষেত্রে বেশি সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি। ডিটারজেন্টে ক্ষারের পরিমাণ বেশি। তাই হাতের সমস্যা হয়। হালকা ধাতের সাবান ব্যবহার করতে পারলে ভালো।

রাতে ঘুমানোর আগে হাতে স্ক্রাবিং করা মাস্ট। তাহলে হাতের ত্বকে মরা চামড়ার আস্তরণ সরে যাবে। আজকাল অনেকেই হ্যান্ড ক্রিম ব্যবহার করেন। হ্যান্ড ক্রিম ব্যবহারের সময় দেখে নিন এতে শিয়া বাটার, গ্লিসারিন বা হাইলিউরনিক অ্যাসিড রয়েছে কী না। এগুলো আপনার ত্বকে অতিরিক্ত আর্দ্রতা দিতে সাহায্য করে।

সূত্র: ইত্তেফাক




দামুড়হুদায় বিভিন্ন জাতের ফুল চাষ করে স্বাবলম্বী তোফাজ্জেল হোসেন

দামুড়হুদায় বিভিন্ন জাতের ফুল চাষ করে স্বাবলম্বী হয়েছেন উপজেলার জয়রামপুর মালিতা পাড়ার মৃত মূসা করিমের ছেলে তোফাজ্জেল হোসেন (৫০)। তাঁর মাসিক আয় প্রায় ১৫ হাজার টাকা। অভাব এখন আর তাঁর দুয়ারে হানা দিতে পারে না।

গত রোববার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, জয়রামপুরের কুমামীদহ মাঠে তোফাজ্জেল হোসেনের ফুলের বাগান। সেখানে তোফাজ্জেল হোসেন ফুলের বাগান পরিচর্যায় ব্যস্ত। তাঁর সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, ২০০০ সালে এই ফুলের চাষ শুরু করেন। প্রথমে তিনি ইটের ভাটায় কাজ করতেন যা হাজিরা পেতেন তা দিয়ে সংসার ঠিক মতো চলতো না, পরে বড় ভাই মোজাম্মেল হকের ফুল চাষে সাফল্য দেখে তিনি ফুল চাষের পরিকল্পনা নেন।

২০০০ সালে ১৮ শতক জমিতে গোলাপ ফুলের চারা লাগান। এতে খরচ হয় প্রায় তিন হাজার টাকা। পাঁচ মাস পর পাঁচ হাজার টাকার গোলাপ বিক্রি করেন। এতে ফুল চাষে উৎসাহ বেড়ে যায়। ওই বছরেই তিনি অবশিষ্ট ৩ বিঘা জমিতে গাদা ফুলের চাষ করেন। ব্যবসা লাভজনক হওয়ায় তিনি ফুল চাষের পরিমাণ বাড়াতে থাকেন। এর মধ্যে ৩৩ শতক গোলাপ,১৮ শতক গাঁদাফুল, ১৮ শতক কামিনী, ১৮ শতক চন্দ্রমল্লিকা, ১৮ শতক রজনী গন্ধা। নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত শীত মৌসুমে ফুলের চাহিদা বেড়ে যায়। দামও তুলনামূলক বেশি থাকে। তবে সারা বছর গাঁদা ও গোলাপ বিক্রি করছেন।

তোফাজ্জেল হোসেন জানান, বর্তমানে তিনি মোট ৯৯ শতক জমিতে নানা জাতের ফুলের চাষ করছেন। খরচ বাদে ফুল বিক্রি করে তাঁর মাসিক আয় গড়ে ১৫ হাজার টাকা। এই আয় দিয়ে ৫ সদস্যের সংসার চলছে। ফুল চাষের আয় দিয়ে নির্মাণ করেছেন ২৬ হাত দৈর্ঘ্য ও ৯ হাত প্রস্থের আধা পাকা একটি ঘর। এ ছাড়া

ছয় লক্ষ টাকা খরচ করে এক ছেলের মালয়েশিয়ায় পাঠিয়েছে। এ ছাড়া প্রতিদিন বাগানে পাঁচজন শ্রমিক কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করছেন। তোফাজ্জেল হোসেন চুয়াডাঙ্গা ও ঢাকায় ফুল সরবরাহ করছেন। তাঁর সরবরাহ করা ফুল বিক্রি করে স্থানীয় ফুল ব্যবসায়ীরা লাভবান হচ্ছেন। তিনি আরো বলেন, ‘বিভিন্ন জাতীয় দিবসের আগে ফুল সরবরাহ করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। তাই আগামী বছর জমি বর্গা নিয়ে আরও তিন বিঘা জমিতে ফুল চাষের উদ্যোগ নিয়েছি।