মেহেরপুরের মোমিনপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে বিদায় ও নবীন বরণ

মেহেরপুর সদরের মোমিনপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের বিদায়, নবীন বরণ ও কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার সকাল ১০টায় বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মনিরুল ইসলাম।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মেহেদী রেজার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, শিক্ষা জীবন সমাজে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার উপযুক্ত সময়। যারা পরিশ্রম ও মনোযোগ দিয়ে পড়াশোনা করবে, তারা দেশ ও সমাজে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারবে।

অনুষ্ঠানে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের বিদায় জানানো হয় এবং নবাগত ৬ষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ফুল দিয়ে বরণ করা হয়। পরে কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন সহকারী প্রধান শিক্ষক তারিক মুছা, অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক একরামুল হক, আশরাফুজ্জামান, সিরাজুল ইসলাম, সহকারী শিক্ষক ইউনুস আলী, ফারুক হোসেনসহ অন্যান্য শিক্ষক ও অভিভাবকরা।




ঝিনাইদহে কারাতে প্রশিক্ষণ ও ব্ল্যাক বেল্ট প্রদান

সুস্থ শরীর, আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি ও নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে ঝিনাইদহে দিনব্যাপী কারাতে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।

গতকাল রোববার সকালে শহরের সোতোকান কারাতে দো স্কুলে প্রশিক্ষণের উদ্বোধন করেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাজিয়া আক্তার চৌধুরী।

সে সময় স্কুলের উপদেষ্টা মহব্বত হোসেন টিপু, পরিচালক কাজী আলী আহমেদ লিকু, সদর উপজেলার জাইকা প্রতিনিধি মুস্তাফিজুর রহমান আনসারীসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

দিনব্যাপী শহরের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৪৫ জন শিক্ষার্থীকে কারাতে প্রশিক্ষণ দেন জাতীয় কারাতে প্রশিক্ষক জসিম উদ্দিন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে অর্জন করা দুই শিক্ষার্থীকে ব্ল্যাক বেল্ট প্রদান করা হয়।

আয়োজকরা জানায়, এই প্রশিক্ষণের মূল উদ্দেশ্য ছিল শিক্ষার্থীদের আত্মরক্ষা কৌশল শেখানো, শারীরিক সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং আত্মবিশ্বাস গড়ে তোলা।

নারীদের আত্মরক্ষার জন্য কারাতে অত্যন্ত কার্যকর একটি কৌশল, যা তাদের দৈনন্দিন জীবনে সাহস ও নিরাপত্তার বোধ জোগাবে।
উপস্থিত অতিথিরা প্রশিক্ষণের এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানান এবং ভবিষ্যতেও এ ধরনের কার্যক্রম অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান।




ঝিনাইদহে কৃষি প্রযুক্তি প্রদর্শনী মেলার উদ্বোধন

যশোর অঞ্চলে টেকসই কৃষি সম্প্রসারণ প্রকল্পের আওতায় ঝিনাইদহে তিন দিনব্যাপী কৃষি প্রযুক্তি প্রদর্শনী মেলা শুরু হয়েছে।

সোমবার দুপুরে ঝিনাইদহ সদর উপজেলা পরিষদ চত্বরে মেলার উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক আব্দুল আওয়াল।

কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর ঝিনাইদহের উদ্দ্যোগে আয়োজিত এই মেলায় পরিবেশবান্ধব কৃষি প্রযুক্তি ও আধুনকি উদ্ভাবন কৃষকদের মাঝে তুলে ধরা হয়।

অনুষ্ঠানে জেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ষষ্টি চন্দ্র রায়, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাজিয়া আক্তার চৌধুরী, সদর উপজেলা কৃষি অফিসার নূর-এ-নবী ও সমাজসেবা কর্মকর্তা আব্দুল হাই সিদ্দিক উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানর প্রধান অতিথি আব্দুল আওয়াল বলেন, এই মেলার মাধ্যমে কৃষকরা আধুনিক কৃষি প্রযুক্তির সঙ্গে পরিচিত হতে পারবে এবং তা মাঠপর্যায়ে প্রয়োগ করে ফসলের উৎপাদন বাড়াতে পারবে।

তিনি বলেন, কৃষি ব্যবস্থা আধুনিকায়ন হলে কৃষককে চাষে আরো বেশি উদ্বুদ্ধ করা সম্বভব হবে। প্রদর্শনীতে আধুনিক সবজি, ফলসহ ড্রোন প্রযুক্তি, জলবায়ু সহনশীল শস্য উৎপাদন, জৈব সার, আধুনিক সেচ ব্যবস্থা ও স্মার্ট কৃষি যন্ত্রপাতি নিয়ে স্টল বসানো হয়।

মেলায় অংশ নেওয়া কৃষক মহিউদ্দীন জানান, নতুন প্রযুক্তি সম্পর্কে জানার পাশাপাশি তারা সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থার সহায়তার বিষয়েও ধারণা পেয়েছেন।

উপজেলা কৃষি অফিসার নূর-এ-নবী জানান, মেলাটি কৃষি খাতে টেকসই উন্নয়নের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।




অ্যাপলের এআইনির্ভর নতুন ফোন আইফোন ১৬ই

সাশ্রয়ী মূল্যে এআইনির্ভর স্মার্টফোন আনল অ্যাপল। বুধবার নিজেদের ওয়েবসাইটে ‘আইফোন ১৬ই’ উন্মোচন করেছে কোম্পানিটি, যা মাঝারি পরিসরের স্মার্টফোন; বাজারে অ্যাপলের অবস্থান আরও শক্তিশালী করবে। আইফোন ১৬ই-এর দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৫৯৯ ডলার, যা আইফোন এসই-এর তুলনায় ১৭০ ডলার বেশি হলেও আইফোন ১৬-এর তুলনায় কম।

এআই সক্ষমতা যুক্ত এই মডেলটি স্যামসাং ও হুয়াওয়ের মতো প্রতিদ্বন্দ্বীর সঙ্গে প্রতিযোগিতার জন্য উপযুক্ত একটি ডিভাইস। আইফোন ১৬ই-তে ব্যবহৃত হয়েছে অ্যাপলের শক্তিশালী এ১৮ চিপ, যা অ্যাপল ইন্টেলিজেন্স এআই টুলকে স্বাচ্ছন্দ্যে চালাতে সক্ষম। এতে রয়েছে ব্যয়বহুল আইফোনের মতোই উন্নত এআই ফিচার, যা ব্যবহার-কারীদের অভিজ্ঞতাকে আরও সমৃদ্ধ করবে।

যদিও ডিভাইসটি আইফোন এসই-এর আপগ্রেডেড সংস্করণ, তবে এটি ছোট আকারের নয় বরং একটি পরিপূর্ণ ও আধুনিক ডিজাইনযুক্ত মডেল। নতুন ফোনটি বাজারে আসার মাধ্যমে অ্যাপল নিশ্চিত করেছে যে, এআই প্রযুক্তি কেবল তাদের ফ্ল্যাগশিপ ফোনেই সীমাবদ্ধ থাকছে না, বরং বাজেট মডেলেও পৌঁছাচ্ছে। ১৬ ফেব্রুয়ারি থেকে গ্রাহকরা আইফোন ১৬ই প্রি-অর্ডার করতে পারবেন, আর ২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে এটি বিক্রি শুরু হবে।

সূত্র: যুগান্তর




দর্শনায় গাঁজাসহ ব্যাবসায়ী গ্রেফতার

চুয়াডাঙ্গার দর্শনায় মাদক বিরোধী অভিযান চালিয়ে ১৫কেজি গাঁজাসহ হৃদয়কে (২৫) গ্রেফতার করেছে দর্শনা থানা পুলিশ।

গ্রেফতাকৃত হৃদয় পারকৃষ্ণপুর মদনা ইউনিয়নের ঝাঁজাডাঙ্গা গ্রামের মৃত্যু সুন্নত আলীর ছেলে।

সোমবার দিনগত রাত ১ টার দিকে দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ শহীদ তিতুমীরের নেতৃত্বে,অভিযান চালায় দর্শনা থানার পারকৃষ্ণপুর মদনা ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী ঝাঝাডাঙ্গা গ্রামে। এ সময় দর্শনা থানার এস আই মাসুদুর রহমান গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সঙ্গীয় ফোর্সসহ ঝাঝাডাঙ্গা ঈদগাহ পাড়ায় অভিযান চালায়।

এ সময় পুলিশ হৃদয়ের ১তলা বাড়ির ভিতর থেকে প্লাস্টিকে মেড়ানো লালটেপ জাড়ানো অভিনব কায়দায় লুকানো ভারতীয় ১৫ কেজি গাঁজা উদ্ধার করে।

এ ঘটনায় এস আই মাসুদুর রহমান বাদি হয়ে মাদক আইনে মামলাসহ চুয়াডাঙ্গা কোর্ট হাজতে সোপর্দ করেছে।




অর্থ মন্ত্রণালয় ১৩তম–২০তম গ্রেডে চাকুরির সুযোগ, আবেদন করুন দ্রুত

অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের রাজস্ব খাতভুক্ত একাধিক পদে জনবল নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে আবেদন চলছে। এই বিভাগে তিন ক্যাটাগরির পদে ১৩তম থেকে ২০তম গ্রেডে ১০ জনকে অস্থায়ীভাবে নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহী প্রার্থীদের অনলাইনে আবেদন করতে হবে।

১. পদের নাম: সাঁটমুদ্রাক্ষরিক কাম কম্পিউটার অপারেটর

পদসংখ্যা: ২

যোগ্যতা: স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রি। কম্পিউটার প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত। সাঁটলিপিতে সর্বনিম্ন গতি প্রতি মিনিটে ইংরেজিতে ৭০ শব্দ ও বাংলায় ৪৫ শব্দ; কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরে সর্বনিম্ন গতি প্রতি মিনিটে ইংরেজিতে ৩০ শব্দ ও বাংলায় ২৫ শব্দ থাকতে হবে। কম্পিউটারে ওয়ার্ড প্রসেসিংসহ ই-মেইল, ফ্যাক্স পরিচালনায় দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।

বেতন স্কেল: ১১,০০০-২৬,৫৯০ টাকা (গ্রেড-১৩)

২. পদের নাম: অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক

পদসংখ্যা: ১

যোগ্যতা: এইচএসসি বা সমমান পাস। কম্পিউটার প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত। কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরে সর্বনিম্ন গতি প্রতি মিনিটে ইংরেজিতে ২০ শব্দ ও বাংলায় ২০ শব্দ থাকতে হবে। কম্পিউটারে ওয়ার্ড প্রসেসিংসহ ই-মেইল, ফ্যাক্স পরিচালনায় দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।

বেতন স্কেল: ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা (গ্রেড-১৬)

৩. পদের নাম: অফিস সহায়ক

পদসংখ্যা: ৭

যোগ্যতা: এসএসসি বা সমমান পাস

বেতন স্কেল: ৮,২৫০-২০,০১০ টাকা (গ্রেড-২০)

বয়সসীমা

১ জানুয়ারি ২০২৫ তারিখে প্রার্থীর বয়স ১৮ থেকে ৩২ বছরের মধ্যে হতে হবে। তবে ১ ও ২ নম্বর পদের ক্ষেত্রে বিভাগীয় প্রার্থীদের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৪০ বছর পর্যন্ত শিথিলযোগ্য।

আবেদন যেভাবে

আগ্রহী প্রার্থীদের এই ওয়েবসাইটে ফরম পূরণের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। অনলাইনে আবেদন করতে কোনো সমস্যা হলে যেকোনো টেলিটক মুঠোফোন থেকে ১২১ নম্বরে কল অথবা alljobs.quary@teletalk.com.bd বা ds.admin@fid.gov.bd ঠিকানায় ই-মেইলে ও টেলিটকের জব পোর্টালের ফেসবুক পেজে মেসেজের মাধ্যমে যোগাযোগ করা যাবে। মেইল বা মেসেজের সাবজেক্টে প্রতিষ্ঠান ও পদের নাম এবং ইউজার আইডি ও যোগাযোগের নম্বর অবশ্যই উল্লেখ করতে হবে। নিয়োগসংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য এই লিংকে জানা যাবে।

আবেদন ফি

অনলাইনে ফরম পূরণের অনধিক ৭২ ঘণ্টার মধ্যে পরীক্ষার ফি বাবদ ১ ও ২ নম্বর পদের জন্য ১০০ টাকা ও টেলিটকের সার্ভিস চার্জ ১২ টাকাসহ মোট ১১২ টাকা; ৩ নম্বর পদের জন্য ৫০ টাকা ও টেলিটকের সার্ভিস চার্জ ৬ টাকাসহ মোট ৫৬ টাকা এবং সব গ্রেডের অনগ্রসর নাগরিক (ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী/শারীরিক প্রতিবন্ধী/তৃতীয় লিঙ্গের প্রার্থী) আবেদন ফি ৫০ টাকা ও টেলিটকের সার্ভিস চার্জ ৬ টাকাসহ ৫৬ টাকা টেলিটক প্রিপেইড মুঠোফোন নম্বর থেকে এসএমএসের মাধ্যমে জমা দিতে হবে।

আবেদনের সময়সীমা: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, বিকাল ৫টা পর্যন্ত।

সূত্র: যুগান্তর




দর্শনায় ছিনতাইয়ের ঘটনায় ২০ ঘণ্টার মাথায় প্রধান আসামিসহ গ্রেফতার ৩

চুয়াডাঙ্গা জেলার দর্শনা থানাধীন পারকৃষ্ণপুর মদনা ইউনিয়নের সাড়াবাড়িয়া ও হরিশচন্দ্রপুর গ্রামের মধ্যবর্তী মাঠের মধ্যে সড়কের প্রতিবন্ধী স্কুলের কাছে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে।

ছিনতাইয়ের ২০ ঘণ্টার মধ্যে ৩ জন ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করেছে দর্শনা থানা পুলিশ।

গত রবিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে সাড়াবাড়িয়া ও হরিশচন্দ্রপুর গ্রামের মধ্যবর্তী মাঠের মধ্যে সড়কের প্রতিবন্ধী স্কুলের কাছে ছিনতাইকারীরা নববধূসহ ২ জনকে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। এতে দুজনই গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।

এ ঘটনায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে সোমবার দুপুর ২টার দিকে ৩ জনকে গ্রেফতার করে। ছিনতাইয়ের ২০ ঘণ্টার মধ্যে পুলিশ প্রধান আসামিসহ তাদের আটক করে।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন ওসমানপুর বেঁদেপোতা গ্রামের রমজান আলীর ছেলে আব্দুস সালাম (৫২), কুড়ালগাছি ইউনিয়নের হরিশচন্দ্রপুর গ্রামের আব্দুল করিমের ছেলে মাওলা বক্স (৪৬), পারকৃষ্ণপুর মদনা ইউনিয়নের সাড়াবাড়িয়া গ্রামের মজিবর রহমানের ছেলে শাহাবুদ্দিন বদই (৪৫)।

পুলিশ জানায়, ছিনতাইয়ের প্রধান আসামি আব্দুস সালামকে ধরতে গিয়ে তিনি পানির মধ্যে লুকিয়ে যান। পুলিশ কাদায় নেমে তাকে গ্রেফতার করে।

আহতরা হলেন কুড়ালগাছি ইউনিয়নের নতুন গ্রামের মজিবর রহমানের ছেলে সাগর (২৪), দর্শনা শ্যাম্পুর গ্রামের মজিবর রহমানের মেয়ে ও সাগরের স্ত্রী শাফিয়া খাতুন (১৮)।

আহত সাগর জানান, “আমি দর্শনা শ্যাম্পুর গ্রামে শ্বশুরবাড়ি থেকে স্ত্রীকে নিয়ে মোটরসাইকেলযোগে হরিশচন্দ্রপুর গ্রামে আমার বাড়ি ফিরছিলাম। সাড়াবাড়িয়া ও হরিশচন্দ্রপুর গ্রামের মধ্যবর্তী সড়কের প্রতিবন্ধী স্কুলের কাছে পৌঁছালে ৪ জন ছিনতাইকারী রাস্তার ওপর বাঁশ ফেলে আমাদের মোটরসাইকেলের গতি রোধ করে এবং সেটি ভাঙচুর করে।

এরপর ছিনতাইকারীরা আমার পালসার মোটরসাইকেলের চাবি কেড়ে নিতে চায়। আমি তাদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি করি। এ সময় বিপরীত দিক থেকে আরেকটি মোটরসাইকেল আসছিল। তখন আমি কিছুটা সাহস পেয়ে চিৎকার করে ‘বাঁচাও, বাঁচাও’ বলতে থাকি। ছিনতাইকারীরা আমাকে বাম হাতে ও ডান কাঁধে দা দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। আমার স্ত্রীকেও মারধর করে এবং তার কাছ থেকে স্বর্ণের আংটি, চুড়ি, চেইনসহ প্রায় লক্ষাধিক টাকার গহনা ও আমার কাছে থাকা ৪৫ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়।”

এ সময় বিপরীত দিক থেকে আসা মোটরসাইকেল আরোহী তার গ্রামে ফিরে গিয়ে ঘটনাটি জানায়। খবর পেয়ে গ্রামের লোকজন ছুটে আসলে ছিনতাইকারীরা তাদের ব্যবহৃত একটি বাজাজ মোটরসাইকেল (নং- ঝিনাইদহ-হ ১১-০১৭৮) ফেলে পালিয়ে যায়।

পুলিশ সেই মোটরসাইকেলের সূত্র ধরে তদন্তে নামে এবং তিনজন ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। আমি (সাগর) ছিনতাইকারী ২ জনকে চিনতে পারি এবং পরে পুলিশকে জানাই।

ঘটনার পর দর্শনা থানার অফিসার মুহাম্মদ শহীদ তিতুমীর সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে আসেন এবং ছিনতাইকারীদের ফেলে যাওয়া মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যান।

দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ শহীদ তিতুমীর ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, “আমরা ছিনতাইকারীদের মধ্যে ৩ জনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছি।”

এ ঘটনায় সাগর বাদী হয়ে ৩ জনের বিরুদ্ধে ছিনতাই মামলা দায়ের করেছেন।




রাতে দেরিতে খাওয়ার অভ্যাস? জানুন কী হয়

দৈনন্দিন জীবনে খাদ্যাভ্যাসের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু ব্যস্ততার কারণে কিংবা অভ্যাসবশত অনেকেই রাতে দেরিতে খাবার খেয়ে থাকেন। বিশেষ করে শহুরে জীবন, অফিসের ব্যস্ততা, কিংবা বিনোদনের কারণে অনেকেই নিয়মিত রাত ১১টা বা তারও পরে রাতের খাবার খেয়ে থাকে। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছে, এই অভ্যাস শরীরের উপর গুরুতর প্রভাব ফেলতে পারে।

ঘুমের ব্যাঘাত থেকে শুরু করে ওজন বৃদ্ধি এবং হৃদরোগের ঝুঁকি বৃদ্ধি পর্যন্ত দেখা দিতে পারে। তাই যাদের রাতে দেরিতে খাবার অভ্যাস, তাদের এখনি উচিত নতুন করে খাবারের সময় ঠিক করা। মাঝে মাঝে দেরিতে খাবার খেলে তেমন কোনও ক্ষতি নেই, তবে প্রতিদিন যদি রাত ৯ টার পর খাবার খাওয়া হয় , তবে তা স্বাস্থ্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।

ওজন বৃদ্ধির ঝুঁকি: যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পেরেলম্যান স্কুল অব মেডিসিন পরিচালিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, যারা রাতে দেরিতে খায়, তাদের শরীরে বেশি ক্যালরি জমা হয় এবং ওজন বৃদ্ধির সম্ভাবনা বেড়ে যায়। কারণ, রাতে খাওয়া খাবার সহজে হজম হয় না, ফলে এটি চর্বি হিসেবে জমতে থাকে। আমাদের শরীর সূর্যের আলোর সঙ্গে যুক্ত। তাই আমরা যত দেরিতে খাই, খাবার তত বেশি আমদের অন্ত্রে থেকে যায়। যা হজমকে প্রভাবিত করে। যেহেতু সন্ধ্যার পর থেকেই বিপাক ক্রিয়া আস্তে আস্তে ধীর হয়ে যায়, তাই রাতের খাবার চর্বিতে রূপান্তরিত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থেকে। যার ফলে ধীরে ধীরে শরীরের অবাঞ্ছিত ওজন বৃদ্ধি পেতে পারে।

ঘুমের ব্যাঘাত: খাওয়ার পরপরই শুয়ে পড়লে শরীরের বিপাকক্রিয়া স্বাভাবিকভাবে কাজ করতে পারে না, ফলে অনিদ্রা বা ঘুমের ব্যাঘাত দেখা দিতে পারে। এছাড়াও দেরিতে খাবার খেলে অদ্ভুত স্বপ্নও দেখতে পারেন।

২০১৫ সালে দুই কানাডিয়ান মনোবিজ্ঞানীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের ওপর একটি গবেষণা চালিয়েছে। যার ফলাফলে দেখা গেছে যে ছাত্রগুলো দেরিতে রাতের খাবার খায় তাদের অস্বাভিক স্বপ্ন দেখার সম্ভাবনা বেশি। বিশ্রামের সময় খাবার হজম করতে শরীরের সমস্যা হওয়ার কারণেও এটি হতে পারে।

এছাড়াও পেনসিলভানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পেরেলম্যান স্কুল অফ মেডিসিনের গবেষণা সহযোগী অধ্যাপক নামনি গোয়েল বলেন, দেরিতে খাওয়ার ফলে হরমোন চিহ্নিতকারীর নেগেটিভ প্রোফাইল তৈরি হতে পারে, যেমন উচ্চ গ্লুকোজ এবং ইনসুলিন, যা ডায়াবেটিসের সঙ্গে জড়িত। কোলেস্টেরল এবং ট্রাইগ্লিসারাইড, যা হৃদরোগের সমস্যা এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যগত অবস্থার সঙ্গে যুক্ত।

দুর্বল হজম: রাতে দেরিতে খেলে খাবার যথাযথভাবে হজম হতে পারে না। ঘুমাতে যাবার কিছুক্ষণ সময় আগে খাবার খেলে পাকস্থলী স্বাভাবিকভাবে হজমের কাজ সম্পন্ন করতে পারে না, ফলে অম্লতা, গ্যাস, বুক জ্বালা ও বদহজমের সমস্যা হতে পারে। এছাড়াও এতে দীর্ঘমেয়াদী পাকস্থলীর সমস্যাও দেখা দিতে পারে।

হৃদরোগ এবং উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি বেশি: এছাড়াও রাতে দেরিতে খাওয়ার ফলে উচ্চ রক্তচাপসহ বিভিন্ন রোগ ভুগতে হয়। এমনকি এটি হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে। বিশেষ করে যারা থাইরয়েড রোগ, পিসিও-ডি এবং উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় ভুগছেন, তাদের জন্য এটি আরও ক্ষতিকর হতে পারে।

আমরা আমাদের রাতের খাবারে সোডিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খেতে অভ্যস্ত। শাক-সবজি শুরু করে মাছ-মাংস পর্যন্ত, আমাদের খাবারে প্রায়শই উচ্চমাত্রার লবণের মাত্রা থাকে। রাতের বেলা এই লবণাক্ত খাবার খাওয়ার ফলে এটি উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি বাড়ায়।

ডায়াবেটিসের ঝুঁকি:
আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশন প্রকাশিত এক গবেষণায় বলা হয়েছে, রাতের খাবার দেরিতে খাওয়ার ফলে ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স বাড়তে পারে, যা টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বৃদ্ধি করে। বিশেষ করে মিষ্টি বা কার্বোহাইড্রেট যুক্ত খাবার দেরিতে খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা দ্রুত বৃদ্ধি পায়।

রোগ প্রতিরোগ ক্ষমতা হ্রাস: রাতে দেরি করে খেলে দেহে ফ্রি রেডিক্যাল বেড়ে গিয়ে কোষের স্বাভাবিক কার্যক্ষমতা নষ্ট হয়। এ ছাড়া এতে রোগ প্রতিরোগ ক্ষমতা কমে যায়, ক্যানসারের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়।

লাবণ্য নষ্ট হয়ে যাওয়া: রাতে দেরি করে খেলে বৃদ্ধিজনিত হরমোনের উৎপাদন ব্যাহত হয়। এতে বিপাকের বিঘ্ন ঘটে শরীরের লাবণ্য নষ্ট হয়।

আদর্শ রাতের খাবারের সময় স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দেন যে রাতের খাবারের জন্য সর্বোত্তম সময় হল সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ৮টার মধ্যে, যা শরীরকে ঘুমানোর আগে খাবার হজম করার জন্য পর্যাপ্ত সময় দেয়।

খাবারের তালিকায়, হালকা ও সহজপাচ্য খাবার বেছে নিন। পর্যাপ্ত পানি পান করুন এবং খাওয়ার পরপরই না শুয়ে কিছুক্ষণ হাঁটুন। সুস্থ থাকতে হলে সঠিক সময়ে সুষম খাবার খাওয়া এবং পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেওয়া জরুরি। তাই সময়মত খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন এবং সুস্থ জীবনযাপন করুন!

সূত্র: ইত্তেফাক




মেহেরপুরের চকশ্যামনগর ও খোকসায় মা সমাবেশ

সবার জন্য মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিতকরণ, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মানোন্নয়ন এবং বিদ্যালয়ে অনিয়মিত ও ঝরে পড়া রোধকল্পে মেহেরপুর সদর উপজেলার আমদহ ও আমঝুপি ইউনিয়নের খোকসা এবং চকশ্যামনগর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পৃথকভাবে মা সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

নেপোলিয়ন বলেছিলেন, “আমাকে একজন শিক্ষিত মা দাও, আমি একটি শিক্ষিত জাতি উপহার দেব।” সন্তানের ভবিষ্যৎ গঠনে মায়ের ভূমিকাই প্রধান। নৈতিক চরিত্র গঠন ও আনুষ্ঠানিক শিক্ষায় অভিভাবক হিসেবে মায়ের গুরুত্ব সবচেয়ে বেশি। জন্মের পর অসহায় শিশুকে শত প্রতিকূলতা পেরিয়ে মা-ই কথা বলা ও পথ চলতে শেখান। সন্তানের সুন্দর ভবিষ্যৎ গঠনে মায়ের ভূমিকা অপরিসীম।

প্রাথমিক শিক্ষা হলো শিশুর দীর্ঘ পথচলার প্রথম ধাপ। মায়ের হাত ধরে যখন এক শিশু প্রথম বিদ্যালয়ে প্রবেশ করে, তখন শুরু হয় তার নতুন জগতে পথচলা। এই নতুন যাত্রাকে মসৃণ করতে মায়ের সচেতনতাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। বিদ্যালয়ে সহপাঠী ও শিক্ষকদের সঙ্গে মিথস্ক্রিয়ার মাধ্যমে শিশুর আচরণ, শেখার ধরন ও প্রকাশভঙ্গি গড়ে ওঠে। একজন শিক্ষকের সঠিক পর্যবেক্ষণ ও মায়ের সহায়তায় শিশুর ভবিষ্যৎ গড়ে ওঠে। তাই মা সমাবেশের গুরুত্ব অনস্বীকার্য। নিয়মিত মা সমাবেশ আয়োজন শিশুর সুন্দর ভবিষ্যৎ বিনির্মাণে অনন্য ভূমিকা পালন করে।

গণসাক্ষরতা অভিযান-এর সহায়তায় মানব উন্নয়ন কেন্দ্র (মউক) এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। বিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ, ওয়াচ গ্রুপ ও পিটিএ কমিটির সদস্য এবং মউক প্রতিনিধিসহ মায়েদের নিয়ে এই মা সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকগণ। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন মউকের প্রোগ্রাম ম্যানেজার কাজল রেখা এবং সার্বিক দায়িত্ব পালন করেন প্রোগ্রাম অফিসার আশিক বিল্লাহ।




বলিউডের অনেক সিনেমা বিয়ের ধারণাকে নষ্ট করে দিয়েছে

সম্প্রতি বলিউড অভিনেত্রী সানিয়া মালহোত্রার সিনেমা ‘মিসেস’ মুক্তি পেয়েছে। সিনেমাটিতে তুলে ধরা হয়েছে এক নারীর শ্বশুরবাড়ির জীবনযাপন। নিজের স্বপ্ন ও উচ্চাকাঙ্ক্ষা বিসর্জন দিয়ে শ্বশুরবাড়ির সেবায় মন দিতে হয় ওই নারীকে।

সম্পর্ক করে বিয়ের পর একান্নবর্তী পরিবারে গিয়ে পুরুষতন্ত্রের শিকার হয় সানিয়ার অভিনীত চরিত্র ‘রিচা’। ছবির প্রশংসায় মেতেছেন দর্শকরা। তবে সানিয়ার সিনেমা নিয়ে আপত্তি জানালেন বলি ঠোঁটকাটা অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউত।

বিভিন্ন বিষয় নিয়ে প্রায়ই নিজের মতামত প্রকাশ করেন বিজেপি সংসদ সদস্য ও অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউত। এবার ‘মিসেস’ সিনেমার বিষয়বস্তু নিয়েই সমস্যা অভিনেত্রীর। একান্নবর্তী পরিবারকে ও পরিবারের বয়োজ্যেষ্ঠদের যেভাবে দেখানো হয়েছে, তা নিয়ে আপত্তি কঙ্গনার। তা ছাড়া গৃহবধূদের সঙ্গে পারিশ্রমিক প্রাপ্ত শ্রমিকের তুলনারও বিরোধিতা করেছেন তিনি। নিজের ঘরের ও সন্তানের জন্য কাজ করার সঙ্গে শ্রমিকের তুলনা টানা মোটেই ঠিক নয় বলেই মত কঙ্গনার।

তবে ‘মিসেস’ সিনেমার নাম না উহ্য রেখেই বিরোধিতা করেছেন কঙ্গনা রানাউত। সামাজিক মাধ্যমে একটি পোস্টে অভিনেত্রী লিখেছেন তিনিও একান্নবর্তী পরিবারে বড় হয়েছেন। নারীরা পরিবারের কোনো দায়িত্ব নিচ্ছেন না এমন তিনি দেখেননি। বরং নারীরাই নাকি ঠিক করতেন, বাড়িতে কখন খাওয়াদাওয়া হবে, কখন বাড়ির সবাই ঘুমাতে যাবে কিংবা কখন কেউ বাইরে যাবে। তিনি বলেন, তার বাড়িতে নারীদের তত্ত্বাবধানেই সব কিছু হতো। স্বামীর খরচের হিসাবও তাদের কাছে থাকত। পুরুষদের ঘন ঘন বাইরে যাওয়া ও মদপান নিয়ে নারীরাই আপত্তি জানাতেন।

এখানেই শেষ নয়। বিয়ে নিয়েও নিজের মতামত জানান অভিনেত্রী। কঙ্গনা বলেন, বিয়ে মানে শুধুই সঙ্গীর থেকে মনোযোগ ও মান্যতা পাওয়া নয়। বরং বিয়ে নামক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে আশ্রয় পান প্রবীণ ও সহায়তা পায় সদ্যোজাতরা। আগের প্রজন্মের প্রায় সবাই কোনো প্রশ্ন না করেই বাবা-মায়ের সেবা করতেন।

এ বিষয়ে কঙ্গনা বলেন, বলিউডের বহু সিনেমাতেই বিয়ে নামক ধারণাকে নষ্ট করে দিয়েছে। এই দেশে যেভাবে বিয়ে হয়ে এসেছে এতদিন, সেভাবেই বিয়ে হওয়া উচিত। বিয়ের সবসময়েই একটা উদ্দেশ্য ছিল। সেই উদ্দেশ্য হলো— ‘ধর্ম’, যার অর্থ ‘কর্তব্য’। নিজের কর্তব্যটুকু করুন। তাতেই হবে। জীবন খুবই ছোট। বেশি মান্যতা পেতে গেলে মনোবিদের সঙ্গে একাই জীবনটা কাটাতে হবে।

সূত্র: যুগান্তর