ঝিনাইদহে সমন্বয়কের কু-রুচিপূর্ণ ভিডিও ভাইরালের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঝিনাইদহ জেলার সদস্য সচিব ও মুখপাত্রের কু-রুচিপূর্ণ ভিডিও ভাইরালের প্রতিবাদে ঝিনাইদহে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গতকাল বিকেলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জেলা শাখার কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঝিনাইদহ শাখার সদস্য সচিব সাইদুর রহমান ও মুখপাত্র এলমা খাতুনের কু-রুচিপূর্ণ ভিডিও গত ২৪ মার্চ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। কিন্তু ভিডিওতে শুধু তাদের দু’জন ছবি রয়েছে কিন্তু সেখানে আরো ৫ জন ছিলো। অথচ সেই ভিডিও কাটিং করে একটি কুচক্রি মহল তাদের চরিত্র হরনের পয়তারা করছে।

তারা এ ধরনের কু-রুচিপূর্ন কাজের সাথে জড়িত নয়। এমন মিথ্যা বানোয়াট ভিডিও অপপ্রচারকারীদের দ্রুত শনাক্ত করে আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবি জানানো হয়।

এ ঘটনার পর কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ তাদের দুজনের পদ সাময়িকভাবে স্থগিত করেছে। সেই সাথে ৩ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

সেসময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক তারেক রেজা, মূখ্য সংগঠক সাজেদুর রহমান, জেলা আহবায়ক আবু হুরায়রাহ, সদস্য সচিব সাইদুর রহমান, মুখপাত্র এলমাসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।




মেহেরপুরে সাংবাদিকদের সম্মানে জামায়াত ইসলামীর ইফতার মাহফিল

মেহেরপুরে গণমাধ্যম কর্মীদের নিয়ে ইফতার ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী প্রচার ও মিডিয়া বিভাগ, মেহেরপুর শাখা।

গতকাল শনিবার বিকেল ৫টার দিকে শহরের সেভেন সেন্স রেস্টুরেন্টে ইফতার ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী প্রচার ও মিডিয়া বিভাগ, মেহেরপুর শাখা।

জেলা জামায়াতের প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের সেক্রেটারি খায়রুল বাসারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা আমীর মাওলানা তাজউদ্দিন খান।

বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, জেলা সেক্রেটারি ইকবাল হোসেন, সদর উপজেলা আমীর সোহেল রানা, জেলা কর্মপরিষদ সদস্য আল-আমিন ইসলাম বকুল, জেলা ব্যবসায়ী বিভাগ সভাপতি সাইফুল ইসলাম।

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি তোজাম্মেল আজম, প্রেসক্লাবের সভাপতি ফজলুল হক মন্টু, সাংবাদিক আল-আমিন, খাঁন মোহাম্মদ রাফি, মাহাবুবুল হক পোলেন, দিলরুবা খাতুন, ফারুক মল্লিক, এস আই বাবু, আক্তার হোসেন, কামরুল হাসান, আবু রায়হান নীরব, হামিদুল হক, মিজানুর রহমান, আপু, মাসুদ, শাহিন আলম সহ স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীগণ উপস্থিত ছিলেন।




অসহায় ও দুস্থ মানুষের পাশে “হাটবোয়ালিয়া আঞ্চলিক কমিউনিটি ফোরাম”

অসহায় ও দুস্থ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে ঢাকাস্থ “হাটবোয়ালিয়া আঞ্চলিক কমিউনিটি ফোরাম”। ঢাকায় বসবাসরত হাটবোয়ালিয়া অঞ্চলের মানুষদের নিয়ে ২০২১ সালে যাত্রা শুরু করে এই আঞ্চলিক কমিউনিটি ফোরাম। “এসো মিলি প্রাণের টানে” এই স্লোগানকে সামনে রেখে একতা ও সহমর্মিতার মাধ্যমে এগিয়ে চলেছে সংগঠনটি।

প্রতি বছর মিলনমেলা, ইফতার মাহফিলসহ নানা কার্যক্রমের আয়োজন করে ফোরামটি। এবছর অসহায় ও দুস্থ মানুষদের সহায়তা প্রদানকে গুরুত্ব দিয়ে বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে সংগঠনটি।

শনিবার সকাল ১০টায় হাটবোয়ালিয়া হাই স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রিন্সিপালের অফিস কক্ষে হাটবোয়ালিয়া অঞ্চলের বিভিন্ন গ্রামের অসহায় ও দুস্থ মানুষদের চিহ্নিত করে আর্থিক সহায়তা এবং ঈদুল ফিতর উপলক্ষে নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী বিতরণ করা হয়।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, এলাকাবাসী এবং “হাটবোয়ালিয়া আঞ্চলিক কমিউনিটি ফোরাম”-এর এক্সিকিউটিভ কমিটির সভাপতি ও অন্যান্য সদস্যরা।

সহায়তা প্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলেন সাহারবানু, হিয়ারুল ইসলাম, ফাতেমা বেগম, ঝর্না বেগম, আশুরা বেগম, মুসলিমা খাতুন, জমিরন নেছা এবং রহিমা বেগম।

সংক্ষিপ্ত আলোচনায় “হাটবোয়ালিয়া আঞ্চলিক কমিউনিটি ফোরাম” এর সভাপতি নাজমুল হুদা নূর বলেন, “আমাদের এই অগ্রযাত্রাকে সফল করতে যাঁরা সহায়তা করেছেন, তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞ। ভবিষ্যতে আরও কার্যক্রম হাতে নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে, এবং আমরা আশা করি, আপনারা সবসময় আমাদের পাশে থাকবেন।”

অসহায় মানুষদের সহায়তা কর্মসূচিতে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জনাব নুরুল হুদা ডিউক, আবুল কাশেম স্যার, আব্দুস সোবহান, রফিকুল ইসলাম, আব্বাস উদ্দিন, মতিউল হুদা, টিপু সুলতান, মুর্শিদ কলিন, সোহেল হুদা এবং স্থানীয় সাংবাদিকবৃন্দ।

অনলাইনে যুক্ত হয়ে ফোরামের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান হেলাল বলেন, “সকলের সহযোগিতায় এই কমিউনিটি ফোরাম আরও দূর এগিয়ে যাবে বলে আমি বিশ্বাস করি। যাঁরা এই উদ্যোগকে সফল করতে সহায়তা করেছেন, তাঁদের সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ।”

অর্থ সম্পাদক নেছার উদ্দিন অনলাইনে অনুষ্ঠানের সার্বিক খোঁজখবর নেন। মোবাইল ফোনে খোঁজ রাখেন ফোরামের উপদেষ্টা পরিষদের সমন্বয়ক জনাব মনজুরুল হুদা ও জনাব শরিফুল হুদা।

এছাড়া উপস্থিত থেকে ভূমিকা রাখেন কমিউনিটি ফোরামের সহ-সভাপতি আব্দুল হালিম, দফতর সম্পাদক ইফতেখার হাশেমী, শাহিন মাহমুদ, তরিকুল ইসলাম ও জাহিদুল ইসলাম।




ডিজিটাল স্ক্যামের ধরন ও নিরাপদ থাকার উপায়

বর্তমান ডিজিটাল যুগে অনলাইন প্রতারণা বা স্ক্যাম একটি ভয়াবহ সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রতিনিয়ত মানুষ নানা ধরনের প্রতারণার শিকার হচ্ছে, যার ফলে আর্থিক ক্ষতির পাশাপাশি ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁসের ঝুঁকিও বাড়ছে।

অনলাইন প্রতারণার সাধারণ ধরনগুলো

ফিশিং আক্রমণ: প্রচলিত এ প্রতারণার কৌশলে প্রতারকরা ইমেইল, মেসেজ বা ওয়েবসাইটের মাধ্যমে বিশ্বাসযোগ্য কোনো প্রতিষ্ঠানের ছদ্মবেশ ধারণ করে ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত তথ্য, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ডিটেইলস বা পাসওয়ার্ড হাতিয়ে নেয়। বিভিন্ন ব্যাংক বা সংস্থার নামে ফেক ইমেইল বা মেসেজ পাঠায়। সেই মেসেজে তারা কোনো লিঙ্কে ক্লিক করতে বলে, যেখানে ব্যক্তিগত তথ্য, যেমন-পাসওয়ার্ড, ক্রেডিট কার্ড নম্বর ইত্যাদি চাওয়া হয়। সেই লিঙ্কে ক্লিক করে তথ্য দিলেই প্রতারকরা সেই তথ্য ব্যবহার করে অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা চুরি করতে পারে।

ফেক ই-কমার্স স্ক্যাম: বিভিন্ন ফেসবুক পেজ বা ওয়েবসাইটে কম মূল্যে আকর্ষণীয় অফার দিয়ে প্রতারণা করা হয়। পণ্য কিনে টাকা পরিশোধের পর তা আর হাতে আসে না অথবা নিম্নমানের পণ্য পাঠানো হয়। এ ধরনের ওয়েবসাইট সাধারণত কম দামে ব্র্যান্ডেড পণ্য বিক্রির বিজ্ঞাপন দেয়, তাদের ক্যাশ অন ডেলিভারি অপশন থাকে না এবং তাদের পণ্যে রিভিউ বা কাস্টমার ফিডব্যাক থাকে না।

ভুয়া চাকরির অফার: বেকারত্বের সুযোগ নিয়ে প্রতারকরা এখন চাকরির নামেও বিভিন্ন প্রতারণা করছে। তারা বিভিন্ন লোভনীয় চাকরির প্রস্তাব দিয়ে সাধারণ মানুষকে ঠকাচ্ছে। প্রতারকরা বিভিন্ন পরিচিত কোম্পানির নামে ফেক চাকরির বিজ্ঞাপন দেয় এবং চাকরির আবেদন করার সময় রেজিস্ট্রেশন ফি এর নামে টাকা চায়।

অনলাইনে আয়ের নামে প্রতারণা: সাধারণত ফেসবুক, টেলিগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপ বা ইমেইলে প্রথমে যোগাযোগ করে পরে আপনার কিছু তথ্য নিয়ে অনলাইন আয়ের জন্য লোভ দেখায়। প্রথম দিকে খুবই সাধারণ কিছু কাজ করাবে যেমন কোনো ফেসবুক পেজে লাইক দেওয়া বা কোনো গ্রুপে জয়েন করলে ১০০-২০০ টাকা দিবে। বিশ্বাস অর্জন করে পরে বিভিন্ন নামে টাকা চাইবে। অনেকে লোভ করে প্রতারককে টাকা দিয়ে সর্বস্বান্ত হয়।

অনলাইন গেম ও ক্যাসিনো: প্রতারকরা সাধারণত বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া বা তাদের পেইড এজেন্টদের মাধ্যমে সহজে অনলাইন গেম খেলে নিশ্চিত আয় করা যায় বলে প্রচারণা চালায়। এ ধরনের অনলাইন গেম ও ক্যাসিনোগুলো এমনভাবেই তৈরি করা হয় যাতে ইউজারদের দীর্ঘ মেয়াদে তাদের সঙ্গে যুক্ত রাখা যায়। প্রথমে সামান্য টাকা আয় করলেও পরবর্তীতে এই লোভ থেকে ইউজার আর বের হতে পারে না, অনেকটা জুয়ার নেশার মতোই তাদের জীবন ধ্বংস করে দেয়।

ইনভেস্টমেন্ট স্ক্যাম: এ ধরনের প্রতারণায় প্রতারকরা খুব কম সময়ে বেশি লাভের লোভ দেখিয়ে বিনিয়োগকারীদের ঠকায়। কয়েক দিনে বা মাসে টাকা দ্বিগুণ করবে, বিভিন্ন স্কিম ও প্ল্যানে বিনিয়োগ করলে খুব তাড়াতাড়ি অনেক টাকা লাভ করা যাবে এসব বলে ও দেখিয়ে মানুষকে ঠকায়। এ ছাড়া আজকাল ক্রিপ্টোকারেন্সি ও শেয়ার মার্কেটের নাম করেও অনেক প্রতারণা হচ্ছে। প্রতারকরা নিজেদের তৈরি ফেক ক্রিপ্টোকারেন্সি বা শেয়ারে বিনিয়োগ করতে বলে এবং মানুষের টাকা হাতিয়ে নেয়।

অনলাইন ব্ল্যাকমেইলিং: অনলাইন ব্ল্যাকমেইলিং হলো এমন একটি অপরাধ, যেখানে প্রতারকরা আপনার ব্যক্তিগত তথ্য, ছবি বা ভিডিও ব্যবহার করে আপনাকে ব্ল্যাকমেইল করে। এছাড়া বিভিন্ন এডিটিং সফটওয়্যার বা এআই ব্যবহার করে নিকট পরিচিত মানুষদের আপনার আপত্তিকর অডিও ভিডিও পাঠিয়ে তারা টাকা বা অন্য কিছু আদায়ের জন্য আপনাকে চাপ দেয়। এ প্রতারকরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বা ডেটিং অ্যাপে প্রথমে ভুয়া পরিচয়ে বন্ধুত্ব গড়ে তোলে।

অনলাইন প্রতারণার মূল কারণগুলো হলো অসচেতনতা, লোভ ও সহজেই কোনো কিছু বিশ্বাস করা। আপনি বা আপনার পরিচিত কেউ যদি কখনো অনলাইন প্রতারণার শিকার হন, তাহলে দ্রুত আইনি সহায়তা নিন এবং পুলিশের সাইবার ক্রাইম বিভাগে অভিযোগ জানান।

লেখক : আইটি ইঞ্জিনিয়ার ও এক্টিভিস্ট




মেহেরপুরে পুলিশের অভিযানে স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা গ্রেফতার

মেহেরপুরে পুলিশের ২৪ ঘন্টার অভিযানে স্বেচ্ছাসেবক লীগের ওয়ার্ড সভাপতিকে গ্রেফতার করা হয়েছে হয়েছে।

গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত থেকে শনিবার ভোররাত পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

মেহেরপুর সদর থানা পুলিশের অভিযানে গ্রেফতারকৃত আসামি হলো, টেংরামারী ০৯ নং ওয়ার্ডের মৃত জানারুল মোল্লার ছেলে টেংরামারী ০৯ নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ও বর্তমান মেম্বার মোঃ মোকাদ্দেস হোসেন (৪২)।

গ্রেফতাকৃতকে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। জেলার সর্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এবং বিভিন্ন অপরাধের অপরাধীদের গ্রেফতার করতে বিশেষ অভিযান চলমান থাকবে বলে জানিয়েছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।




কোটচাঁদপুরে ট্রেনের ধাক্কায় ট্রাক্টর চালক নিহত

ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে ট্রেনের ধাক্কায় হুসাইন ওরফে ভোলা (২০) নামে এক মাটি বোঝাই ট্রাক্টরের চালক নিহত হয়েছেন। এতে দুমড়ে-মুচড়ে গেছে ট্রাক্টরটি।

গতকাল শুক্রবার রাত ১২টার দিকে কোটচাঁদপুর উপজেলার সাফদারপুর রেল স্টেশনের দুই শ’ গজ দূরে সোয়াদী গ্রামের রেলগেটে এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার রাত ১২টার দিকে সোয়াদী গ্রাম থেকে ট্রাক্টর চালিত ট্রলিতে মাটি বোঝাই করে সাফদারপুরের দিকে যাচ্ছিলেন চালক হুসাইন। সে সময় সোয়াদী গ্রামের রেলগেট পার হওয়ার সময় রেললাইনের ওপর ট্রাক্টরটি বিকল হয়ে যায়। ঠিক তখনই খুলনা থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেনটি ট্রাক্টরটিকে ধাক্কা দেয়। এতে বিকল হয়ে থাকা ট্রাক্টরটি দুমড়ে-মুচড়ে যায় এবং ঘটনাস্থলেই চালক হুসাইন মারা যান।

নিহত হুসাইন চুয়াডাঙ্গার দর্শনা থানার গয়েরপুর গ্রামের আতিয়ার রহমানের ছেলে।

তবে এলাকাবাসীর অভিযোগ, গেটম্যান ডিউটিতে না থাকার কারণেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। কোটচাঁদপুর রেল স্টেশন মাস্টার গোলাম রসুল জানান, “লাইন ক্লিয়ার দেওয়ার পর ট্রেন ছাড়ার কিছুক্ষণ পর একটি বিকট শব্দ শুনতে পাই। শব্দ শুনে স্থানীয় মানুষ জড়ো হতে থাকেন, আমরাও গিয়ে দেখি ট্রেনের ধাক্কায় ট্রাক্টরটি দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে। ঘটনাস্থলেই ট্রাক্টর চালকের মৃত্যু হয়। বিষয়টি রেলওয়ে পুলিশকে জানানো হয়েছে।”




কোন ব্লাড গ্রুপের মুরগির মাংস কম খাওয়া উচিত?

চিকেন খেতে ভালবাসেন না, এমন মানুষ খুব কমই আছেন। তবে প্রায়ই চিকেন খাওয়া কিন্তু বিপদ ডেকে আনতে পারে। রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রত্যেকেরই তাদের রক্তের গ্রুপ অনুযায়ী খাদ্যাভাস নির্ধারণ করা উচিত।

রক্তের গ্রুপের ভিত্তিতে নেওয়া খাবার শরীর দ্রুত হজম করতে সক্ষম হয়। একই কথা প্রযোজ্য চিকেনের ক্ষেত্রেও। সবাই যে চিকেন-মাটন হজম করতে পারে এমন নয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, কিছু কিছু ব্লাড গ্রুপের ক্ষেত্রে ঘনঘন চিকেন খাওয়ার প্রবণতা কমানো উচিত। না হলে বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা বাড়তে পারে।

রিপোর্ট অনুযায়ী, আমাদের খাদ্যাভ্যাস সরাসরি আমাদের রক্তের গ্রুপের সঙ্গে সম্পর্কিত। জেনে নিন কোন ধরণের ডায়েট, কোন ব্লাড গ্রুপের জন্য প্রযোজ্য এবং কি কি জিনিস এড়িয়ে চলা উচিত।

এ ব্লাড গ্রুপের মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা খুবই সংবেদনশীল। তাই তাদের খাবারের প্রতি অনেক বেশি নজর দিতে হয়। এ ধরণের ব্যক্তিদের আমিষমুক্ত খাদ্য গ্রহণ করা উচিত।

এ ব্লাড গ্রুপের মানুষের শরীর সহজে মাংস হজম করতে সক্ষম হয় না। তাই এ লোকদের মুরগি ও মাটন কম খাওয়া উচিত। সবুজ শাকসবজি ছাড়াও, তাদের খাদ্যতালিকায় সামুদ্রিক খাবার এবং বিভিন্ন ধরণের ডাল অন্তর্ভুক্ত করা উচিত।

বাকি দুটি রক্তের গ্রুপও ভারসাম্য বজায় রেখে মুরগি ও মাটন খেতে পারেন। তার মানে এবি এবং ও রক্তের গ্রুপ ভারসাম্য মাথায় রেখে মুরগি এবং মাটন খাওয়া উচিত।

সূত্র: যুগান্তর




মেহেরপুরে যাকাতের টাকার জন্য উপচে পড়া ভিড়, যান চলাচলে বিঘ্ন

মেহেরপুরের কাশাঁরি পাড়ায় যাকাতের টাকার জন্য মানুষের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। সকাল থেকেই সেখানে প্রায় ৬০০ থেকে ৮০০ জন মানুষ জমায়েত হয়েছে, কিন্তু দেখা মিলছে না দাতার যার ফলে রাস্তায় যান চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি হয়েছে।

বিস্তারিত আসছে..




রাশমিকা আমাকে যৌবনের দিনগুলোর কথা মনে করিয়ে দিয়েছে: সালমান

বলিউড সিনেমা ‘সিকান্দার’ শুটিংয়ে রাশমিকা মান্দানার প্রশংসায় পঞ্চমুখ সালমান খান। পরিচালক এ আর মুরুগাদোস এবং আমির খানের সামনেই বললেন, ‘ও আমাকে আমার ক্যারিয়ারের যৌবনের দিনগুলোর কথা মনে করিয়ে দিচ্ছিল।’

একদিকে ‘সিকান্দার’ হয়ে আসছেন সালমান, অন্যদিকে গোটা দেশ মেতে আছে ‘ভাইজান’-এর জাদুতে। তবে এই মুহূর্তে আলোচনার কেন্দ্রে সালমান-রাশমিকার অনস্ক্রিন জুটি। ছবিতে ৫৯ বছরের সালমানের সঙ্গে ২৮ বছরের রাশমিকাকে রোমান্স করতে দেখা যাবে। বয়সের এই ব্যবধান নিয়েই তুমুল আলোচনা।

এরই মধ্যে প্রকাশ্যে এসেছে সালমান, আমির ও পরিচালক মুরুগাদোসের একটি ভিডিও। সেখানে সালমান জানাচ্ছেন, রাশমিকার কর্মস্পৃহা ও কঠোর পরিশ্রম দেখে তার নিজের ক্যারিয়ারের শুরুর দিনগুলোর কথা মনে পড়ছে।

সালমান বলেন, ‘ও একজন ভীষণই পরিশ্রমী মেয়ে। দারুণ, দারুণ, দারুণ…। আমরা হায়দরাবাদে ছিলাম। সন্ধ্যা ৭টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত শুটিং করেছি। সেই সময় ও ‘পুষ্পা ২’-এর শুটিংও করছিল। ও ‘পুষ্পা’র কাজ শেষ করে ফিরে আসত, তারপর আমাদের সঙ্গেও শুটিং করত। বিশ্রামের জন্য ওর হাতে যা সময় থাকত, সেটা কেবল এক লোকেশন থেকে আরেক লোকেশনে যেতেই ব্যয় হত। এটা দেখে আমার কেরিয়ারের শুরুর দিনগুলোর কথা মনে পড়ে যাচ্ছিল।’

এরপর আমিরের দিকে তাকিয়ে সালমান যোগ করেন, ‘আমরা সবাই একসময় এমনটাই করেছি। ডাবল শিফটে কাজ করেছি।’

সম্প্রতি ‘সিকান্দার’-এর ট্রেলার লঞ্চ অনুষ্ঠানে সালমানকে তার এবং রাশমিকার বয়সের পার্থক্য নিয়ে চলা ট্রোল প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হয়। জবাবে কিছুটা বিরক্ত হয়েই বলেন, ‘লোকজন আমার আর নায়িকার মধ্যে ৩১ বছরের বয়সের ব্যবধান নিয়ে কথা বলছে। কিন্তু নায়িকার যদি কোনো সমস্যা না থাকে, ওর বাবারও যদি সমস্যা না থাকে, তাহলে আপনাদের কোথায় সমস্যা, ভাই? যখন ওর বিয়ে হবে এবং ওর মেয়ে হবে, তখন আমিও ওদের সঙ্গেও কাজ করব। ওর স্বামীর অনুমতিও তো পেয়েই যাব।’

সালমানের এই মন্তব্য ঘিরেও সোশ্যাল মিডিয়ায় চলছে বিস্তর আলোচনা। তবে দর্শকের চোখ এখন ‘সিকান্দার’-এর দিকে।

সূত্র: যুগান্তর




দামুড়হুদায় এসএসসি ৯২ ব্যাচের উদ্যোগে ঈদ উপহার বিতরণ

দামুড়হুদায় এসএসসি ৯২ ব্যাচের বন্ধুদের উদ্যোগে পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। “এসো বন্ধু স্মৃতির টানে, মিলি আমরা প্রাণের বন্ধনে” এই স্লোগানকে সামনে রেখে শনিবার বেলা ১০টার সময় দামুড়হুদা উপজেলা অডিটোরিয়াম হলে এই ঈদ সামগ্রী বিতরণ করা হয়।

এসএসসি ৯২ ব্যাচের আয়োজনে সমাজের পিছিয়ে পড়া, গরীব ও অসহায় ২৭২টি পরিবারের মাঝে ঈদ উপহার সামগ্রী, নগদ অর্থ ও সেলাই মেশিন বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দামুড়হুদা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কে.এইচ. তাসফিকুর রহমান।

তিনি বলেন, “এটি একটি মহৎ উদ্যোগ। এসএসসি ৯২ ব্যাচের বন্ধুদের এক প্ল্যাটফর্মে এনে সমাজের অবহেলিত মানুষের সাথে ঈদের আনন্দ ভাগ করে নেওয়ার এই প্রচেষ্টা প্রশংসনীয়। এতে বন্ধন আরও দৃঢ় হয় এবং সমাজের প্রতি দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে আত্মিক শান্তি লাভ করা যায়।” তিনি এসএসসি ৯২ ব্যাচের সকল সদস্যকে এমন মহতী উদ্যোগের জন্য ধন্যবাদ জানান।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন দামুড়হুদা এসএসসি ৯২ ব্যাচের সভাপতি নাসির উদ্দিন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ হুমায়ুন কবির, দামুড়হুদা উপজেলা বিএনপির সভাপতি মনিরুজ্জামান মনির, সাধারণ সম্পাদক রফিকুল হাসান তনু, সিনিয়র সহ-সভাপতি ও দামুড়হুদা প্রেসক্লাবের সভাপতি শামসুজ্জোহা পলাশ, সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুল হালিম ভুট্টু, সাধারণ সম্পাদক আল হেলাল রাজা, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক মাহফুজুর রহমান বেল্টু, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল খালেক, অর্থ ও দপ্তর বিষয়ক সম্পাদক একরামুল হক।

এছাড়া উপস্থিত ছিলেন সাইফুল ইসলাম, মজিবার হালসোনা, শহিদুল ইসলাম, আব্দুল মমিন, আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট টিটন, মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা রেহেনা মান্নান, প্যাকেটিং ও বিতরণ কমিটির আহ্বায়ক আলাউল হক, বাপ্পি, বাদশা, মমিন, আশরাফুল, শাহিন, মিজানুর, মামুন, এনামুল, সিরাজুল, আলিমুল হাকিম, আবু সাঈদ, আসাদুর রহমান বাদশা, আব্দুর রশিদ, সামাদ, ইকবাল হোসেন, আজাদসহ উপজেলার এসএসসি ৯২ ব্যাচের অন্যান্য বন্ধুরা।

অনুষ্ঠানে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন কার্পাসডাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ইব্রাহিম হোসেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন মেমনগর বিপ্রদাস মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. আব্দুল খালেক।