বিশ্ব মানবাধিকার দিবসে চুয়াডাঙ্গা বিএনপির মানববন্ধন

বিশ্ব মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে চুয়াডাঙ্গায় জেলা বিএনপি মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে। মানববন্ধন কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন বিএনপিসহ সহযোগি সংগঠনের নেতা কর্মীরা।

আজ রোববার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সামনে জেলা বিএনপির আয়োজনে এ কর্মসূচি পালিত হয়।

চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সামনে প্রায় ঘন্টা ব্যাপি জেলা বিএনপি মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে। মানববন্ধনে প্রধান অতিথি এ্যাডভোকেট মানি খন্দকার বলেন, দেশে ভোট, ভাতের, কথা বলার অধিকার নেই। গত ১৫ বছরে বহু নেতা কর্মীদের গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের খুন গুম করা হয়েছে। তাদের পরিবার রাজপথে কান্নাকাটি ও বিচার চেয়েও কোন কিছু হয়নি। মানবাধিকার কর্মীদের গ্রেফতার করা হয়েছে। আমরা দেশে গণতন্ত্র চায়।

জেলা মহিলা দলের সভানেত্রী ও জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য রউফুন নাহার রিনা সভাপতির বক্তব্যে বলেন, পুলিশ আমাদের মহিলা নেত্রীসহ অনেক নেতাকর্মী সরিয়ে দিয়েছে। তারা গালাগালি করেছে। আর আমাদের ১০ মিনিটের মধ্যে প্রোগ্রাম শেষ করতে বলেছে। আমরা কোন দেশে আছি, দেশে কোনো আইনের শাসন নেই, গণতন্ত্র নেই।

মানববন্ধন কর্মসূচিতে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিতি ছিলেন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাডভোকেট জিল্লুর রহমান, কেন্দ্রীয় জাতীয়তাবাদী মৎস্যজীবী দলের সদস্য আবু বক্কর সিদ্দীক, জেলা মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক জাহানারা বেগম, সাংগঠনিক সম্পাদক নাসরিন আক্তার, সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদক শিরিন জামান, জেলা মহিলা দলের দপ্তর সম্পাদক ও আলমডাঙ্গা উপজেলা মহিলা দলের বর্ণি আক্তার, জীবননগর উপজেলা মহিলা দলের সভাপতি পেয়ারা বেগম, সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট রেবেকা সুলতানা প্রমুখ।

পরে জেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি আফরোজা পারভিন কয়েক জন নেতা কর্মীকে সাথে নিয়ে মানববন্ধন স্থলে আসেন। তিনি বলেন, চুয়াডাঙ্গায় কোন হরতাল, মানববন্ধন, অবরোধসহ অন্য কোন কিছু করতে দেবনা। যে দলের কোন অস্তিত্ব নেই সেই দল কোন কর্মসূচি পালন করতে পারবেনা, আমরা প্রতিহত করবো।




চুয়াডাঙ্গায় বিশ্ব মানবাধিকার দিবস পালিত 

সবার জন্য স্বাধীনতা, সমতা ও ন্যায়বিচার” প্রতিপাদ্য বিষয়কে সামনে রেখে নানান কর্মসূচির মধ্য দিয়ে পালিত হয়েছে বিশ্ব মানবাধিকার দিবস।

চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসন কর্তৃক আয়োজিত বিশ্ব মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে দিবসটি উপলক্ষে র‍্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

চুয়াডাঙ্গা বিশ্ব মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র‍্যালি বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয় এসে সমাপ্ত হয়। পরবর্তীতে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সম্মেলন কক্ষে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমার সভাপতিত্বে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় তিনি বলেন, মানবাধিকার পূর্ণ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বৈষম্য মূলক সমাজ বির্নিমাণে সরকার প্রতিশুতি বদ্ধ। মানবাধিকার সুরক্ষায় সংশ্লিষ্ট সকলকে কাজ করতে হবে। দরিদ্র জনগোষ্ঠী যাতে যেন এর সুফল পায় সে দিকে দৃষ্টি দিতে হবে। তারা যেন ন্যায় বিচার পায়। সকালের অধিকার সমুন্নত রাখার জন্য সচেষ্ট হতে হবে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার আর এম ফয়জুর রহমান (পিপিএম-সেবা), অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন) মোঃ রিয়াজুল ইসলাম, চুয়াডাঙ্গা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ( ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মোঃ নাজিম উদ্দিন আল আজাদ পিপিএম-সেবা সহ জেলা প্রশাসন ও জেলা পুলিশ এবং বিভিন্ন দপ্তরের অফিস প্রধানগন।




আলমডাঙ্গায় ভোক্তা অধিদপ্তরের অভিযানে পেঁয়াজের দাম কমালো ব্যবসায়ীরা

আলমডাঙ্গার কাঁচাবাজার ও আড়তে অভিযান চালিয়েছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ চুয়াডাঙ্গা অধিদপ্তর। এসময় অভিযানের খবর পেয়ে খুচরা পেয়াজ ব্যবসায়ীরা কেজিতে ৫০-৬০ টাকা দাম কমিয়ে বিক্রি করতে দেখা যায়। এসময় পণ্যের মুল্যতালিকা না থাকা ও ক্রয় বিক্রয় ভাউচার যথাযথভাবে সংরক্ষণ না করার অপরাধে চার প্রতিষ্ঠানকে ১১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

আজ রোববার (১০ ডিসেম্বর) দুপুরে এ অভিযান পরিচালনা করেন চুয়াডাঙ্গা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক  সজল আহম্মেদ।

এর আগে, গত শুক্রবার আলমডাঙ্গার কাঁচা বাজারে খুচরা পেঁয়াজ বিক্রি হয় ৯০-১০০ টাকা। হঠাৎ শনিবার সকাল থেকে পেঁয়াজের দাম কেজিতে ৬০-৭০ টাকা বেড়ে ১৬০-১৭০ টাকা করে বিক্রি হয়। রবিবার সকাল থেকে ১৬০-১৮০ টাকা বিক্রি করে ব্যবসায়ীরা। তবে দুপুরে ভোক্তা অধিদপ্তরের অভিযানের খবরে প্রত্যেক খুচরা পেয়াজ ব্যবসায়ীরা ৫০-৬০ টাকা কেজিতে কমিয়ে বিক্রি করছেন বলে জানিয়েছেন বেশ কিছু ক্রেতারা।

অভিযান সুত্রে জানা যায়, বিভিন্ন অভিযোগের পরিপেক্ষিতে আলমডাঙ্গার পেয়াজ, কাঁচামালের আড়ত ও খুচরা দোকানসহ অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের প্রতিষ্ঠানে তদারকি করা হয়। অভিযানকালে পেঁয়াজের দাম বেশি মূল্যে বিক্রয়, পণ্যের মুল্যতালিকা না থাকা ও ক্রয় বিক্রয় ভাউচার যথাযথভাবে সংরক্ষণ না করার অপরাধে মেসার্স ইউনুচ স্টোরকে তিন হাজার টাকা, মেসার্স নজরুল ট্রেডার্সকে তিন হাজার টাকা, মেসার্স সোহেল ট্রেডার্সকে তিন হাজার টাকা, মেসার্স মন্টু ট্রেডার্সকে দুই হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এসময় ব্যবসায়ীদের সতর্ক করা হয় এবং সচেতনতামুলক লিফলেট বিতরণ করা হয়।

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন চুয়াডাঙ্গা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সজল আহম্মেদ বলেন, পেঁয়াজের দাম বেশি মূল্যে বিক্রয় সহ বিভিন্ন অপরাধে চার প্রতিষ্ঠানকে ১১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।




আপিলে প্রার্থিতা ফেরত পেলেন মোখলেসুর রহমান মুকুল

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র বাতিলের রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) করা আপিলের মাধ্যমে প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন মোখলেসুর রহমান মুকুল। তিনি মেহেরপুর-২ সংসদীয় আসনের জন্য স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন।

আজ রবিবার সকাল ১০টায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশনে এই আপিল শুনানি শুরু হয়, চলবে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত। প্রার্থিতা বাতিল ও বৈধ প্রার্থীর বিরুদ্ধে আপিল শুনানির প্রথম দিনে ৯৪টি আবেদনের শুনানি করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এর মধ্যে ৩২ জনের আপিল নামঞ্জুর এবং ৬টি আবেদন সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রাখা হয়েছে এবং ৫৬ জনের প্রার্থিতা ফেরত পেয়েছেন।

আপিলের প্রার্থীতে ফেরত পাওয়া মোখলেসুর রহমান মুকুল গাংনী উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক। তিনি মেহেরপুর-২ (গাংনী) আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন সংগ্রহে ব্যর্থ হয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। যাচাই-বাছাইকালে মেহেরপুর জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা তার মনোনয়নপত্র অবৈধ বলে ঘোষণা করেছিলেন।




মেহেরপুরে সফল জননী নির্বাচিত হলেন নহরজান খাতুন

মেহেরপুরে সফল জননী নির্বাচিত হয়েছেন গাংনী উপজেলার গাঁড়াডোব গ্রামের মৃত কোবাদ আলীর স্ত্রী মোছাঃ নহরজান খাতুন।

গতকাল শনিবার (৯ ডিসেম্বর) মেহেরপুর জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে, জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর ও জাতীয় মহিলা সংস্থার উদ্যোগে রোকেয়া দিবস পালন ও সফল জয়িতাদের সংবর্ধনা প্রদানের সময় এ সন্মাননা ক্রেস্ট তার হাতে তুলে দেয় জেলা প্রশাসক শামীম হাসান ।

জয়িতা অকন্বেষণে বাংলাদেশ শীর্ষক কার্যক্রমের আওতায় মেহেরপুর জেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ ৫ জন জয়িতাকে সংবর্ধনা, ক্রেষ্ট ও সনদপত্র প্রদান করা হয়েছে। তাদের মধ্যে মেহেরপুর জেলায় সফল জননী নির্বাচিত হন গাংনী উপজেলার গাঁড়াডোব গ্রামে মোছাঃ নহরজান খাতুন।

নহরজান খাতুনের স্বামী কোবাদ আলী ১৯৯৬ সালে মৃত্যু বরণ। তারপর তিনি ৭ পুত্র ও ৩ কন্যাকে অত্যাধিক বিচক্ষণতা ও সংগ্রামের মধ্য দিয়ে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করে সমাজে সু-নাগরিক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। এ ছাড়াও তিনি বৃদ্ধ শ্বশুর শাশুড়িকে নীজ পিতা মাতার ন্যায় দেখভাল করেছেন। ২০১৫ সালে তিনি পবিত্র মক্কা শরীফে হজ্জ পালন করেছেন।

নহরজান খাতুনের সন্তানদের মধ্যে বড় সন্তান আনিসুর রহমান কুষ্টিয়া জেলা হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত, কন্যাদের মধ্যে বড় নাসিমা খাতুন গাংনী উপজেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের কর্মকর্তা, পুত্র আইনুল হক বাংলাদেশ টেলিভিশন সহ বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় মেহেরপুর জেলা সংবাদদাতা হিসেবে দীর্ঘদিন সাংবাদিকতা পেশায় নিয়োজিত ছিলেন। বর্তমানে সুইডেনে নাগরিকত্ব অর্জন করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত সহ বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় সাংবাদিকতা পেশায় নিয়োজিত রয়েছেন। আলমগীর হোসেন ঢাকা থেকে প্রকাশিত জাতীয় দৈনিক সময়ের আলো পত্রিকায় সিনিয়র স্টাফরিপটার হিসেবে কর্মরত। ছোট পুত্র ইঞ্জিনিয়ার জিল্লুর রহমান বিজিএমইএ বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত। সর্ব কনিষ্ঠ কন্যা তাসলিমা আক্তার ৪১ তম বিসিএস ননক্যাডারে কর্মকর্তা হিসেবে চলতি বছরে নিয়োগ প্রাপ্ত হয়েছে। এছাড়াও অন্যান্য সন্তানেরা সরকারের বিভিন্ন কর্মকর্তা পদে কর্মরত রয়েছেন। সন্তানেরা কর্ম ক্ষেত্রে বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকলেও পারিবারিক বন্ধনে আবদ্ধ রয়েছে।

নহরজানের সফল মাতৃত্বের ছায়াতলে এই পরিবারটি এলাকার মধ্যে একটি আদর্শ পরিবার হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে।




ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডুতে ফলিত পুষ্টি বিষয়ক স্কুল ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত

ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডুতে খাদ্য ভিত্তিক পুষ্টি (ফলিত পুষ্টি) বিষয়ক স্কুল ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বাংলাদেশ কৃষি মন্ত্রনালয়ের অধিনস্ত কৃষি উন্নয়নের মাধ্যমে পুষ্টি ও খাদ্য নিরাপত্তা জোরদারকরণ প্রকল্পের অর্থায়নে বাংলাদেশ ফলিত পুষ্টি গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট (বারটান) এর উদ্যোগে রবিবার (১০ডিসেম্বর) সকাল ১০টা থেকে উপজেলার ভাতুড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এই ক্যাম্পেইন শুরু হয়।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কাজী ইউনুচ আলী সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শেখ মনিরুল ইসলাম। এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে সাংবাদিক মোঃ শাহানুর আলম, বিদ্যালয়ের সভাপতি গোলাম রহমান, সহকারী প্রধান শিক্ষক বিধান চন্দ্র বিশ্বাস প্রমূখ বক্তব্য রাখেন।

অনুষ্ঠানের মূল প্রতিপাদ্য খাদ্য ভিত্তিক পুষ্টি (ফলিত পুষ্টি) বিষয়ক নানা দিক তুলে ধরেণ এবং ছাত্রছাত্রীদের সুষম খাদ্য গ্রহনের গুরুত্ব সম্পর্কে আলোচনা করেন, বাংলাদেশ ফলিত পুষ্টি গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট (বারটান) এর প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আব্দুল মজিদ এবং সহকারী বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা বেলাল আহাম্মেদ। আলোচনা শেষে শিক্ষার্থীদের হাতে দুইটি ফলের চারা, দুই পেকেট সবজি বীজ এবং দুপুরের খাবার তুলে দেন।




শীতে অতিরিক্ত কমলালেবু খেয়ে নিজের ক্ষতি করছেন না তো

শীতের অন্যতম সঙ্গী কমলালেবু। তবে এই ফলের ভালো ও খারাপ দুদিকই রয়েছে। চলুন দেখে নেওয়া যাক সেগুলো কী কী।

কমলালেবুতে থাকে ভিটামিন ‘সি’। এ ছাড়া কমলায় উপস্থিত থাকে ভিটামিন ‘বি’, ভিটামিন ‘এ’, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ফসফরাস, কোলিনসহ আরও কিছু উপাদান, যা শরীরে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।

কমলালেবুতে দ্রবণীয় ফাইবার রয়েছে। যাকে বলা হয় পেকটিন। পেকটিন মানব শরীরের কোলেস্টেরল দূর করতে সাহায্য করে। খারাপ কোলেস্টেরল কমানোর পাশাপাশি ভালো কোলেস্টেরল বৃদ্ধিতে কাজ করে পেকটিন।

ক্যারোটিনয়েড সমৃদ্ধ একটি ফল কমলালেবু। এর মধ্যে থাকা ভিটামিন ‘এ’ চোখের শ্লেষ্মা ঝিল্লি স্বাস্থ্যকর রাখতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

ভিটামিন ‘এ’ বয়সজনিত ভাসকুলার প্যাথলজি প্রতিরোধের জন্যও দায়ী, যা চরম ক্ষেত্রে ব্যক্তিকে অন্ধ পর্যন্ত করে দিতে পারে। কমলালেবু চোখকে আলো শোষণে অত্যন্ত সহায়তা করে।

কমলালেবুতে থাকা পুষ্টি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলো রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সরাসরি সহায়তা করে। এটি শরীরে ইনসুলিন উৎপাদনে সহায়তা করে।

কমলালেবুতে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার দ্রবণ উপস্থিত থাকে, যা স্বাস্থ্যের পক্ষে ভালো। তবে অত্যধিক হারে কোনো কিছুই খাওয়া ভালো নয়।

কমলালেবু হজমের গোলমাল থেকে রক্ষা করে ঠিকই, তবে বেশি কমলালেবু খেলে আবার পেটের গোলমালও হতে পারে। অতিরিক্ত কমলা খেলে পেটে ব্যথা ও হজমে বাধা সৃষ্টি হতে পারে।

কমলালেবু সাইট্রাসজাতীয় ফল। কিডনির সমস্যা থাকলে এই গোত্রের ফল এড়িয়ে চলাই ভালো। পাশাপাশি যাদের অ্যালার্জির সমস্যা রয়েছে, তারাও কমলালেবু এড়িয়ে চলুন।

হার্টবার্নের সমস্যা যাদের রয়েছে, তাদের কমলালেবু না খাওয়াই ভালো। ছোটদের বেশি কমলালেবু খাওয়ানো উচিত নয়। পেটে ব্যথা ও সিনকোপের মতো সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।

সূত্র: যুগান্তর




কুষ্টিয়ার করদাতা সম্মাননা পেলেন মডার্ন প্লাইউড’র চেয়ারম্যান 

টানা তৃতীয়বারের মতো সর্বোচ্চ করদাতার সম্মান পেলেন কুষ্টিয়ার মডার্ন প্লাইউড অ্যান্ড উড প্রোসেসিং কোম্পানি লিমিটেডের চেয়ারম্যান আকরাম হোসেন বাবু। সর্বোচ্চ মূল্য সংযোজন করদাতা (উৎপাদন খাতে) তৃতীয়বারের মতো তাকে এই সম্মাননা দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড।

আজ রবিবার (১০ ডিসেম্বর) কাস্টমস্, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট, সদর দপ্তর, যশোর এ জাতীয় ভ্যাট দিব‌স ও ভ্যাট সপ্তাহ ২০২৩ উপল‌ক্ষে আয়ো‌জিত অনুষ্ঠা‌নে প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান আকরাম হোসেন বাবুর হাতে এই সম্মাননা তুলে দেন বেনাপোল কাস্টম হাউজের কমিশনার মোঃ আবদুল হাকিম।

এসময় তিনি বলেন, ‘যাঁরা রাজস্ব আদায় করেন, তাঁদের ভাবতে হবে–কীভাবে জনগণের সঙ্গে সম্পৃক্ততা আরও বাড়ানো যায়, জনগণকে রাজস্ব দিতে উদ্বুদ্ধ করা যায়। সে জন্য কর্মকর্তাদের মানুষের সঙ্গে মিশতে হবে। কর ও ভ্যাট নিয়ে মানুষের মধ্যে একধরনের ভীতি আছে। এই ভীতি কাটাতে হবে।’

কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট যশোরের কমিশনার মোয়াজ্জেম হোসেনের সভাপতিত্বে বি‌শেষ অ‌তি‌থি হি‌সে‌বে উপ‌স্থিত ছি‌লেন ট্যুরিজম রিসোর্ট ইন্ডাস্ট্রিস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ’র প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি খবির উদ্দিন আহমেদ।

প্রসঙ্গত, মডার্ন প্লাইউড অ্যান্ড উড প্রোসেসিং কোম্পানি লিমিটেড’র চেয়ারম্যান আকরাম হোসেন বাবু সততার সাথে ব্যবসা পরিচালনা করে তিনি নিজেকে আজ প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়েছেন। এই প্রতিষ্ঠানের উৎপাদিত পণ্য নাম্বার ওয়ান হিসেবে সারা দেশে সমাদৃত। সরকারের রাজস্ব খাতে নিয়মিত ভ্যাট দেওয়ার জন্য তিনি সেরা ভ্যাটদাতার পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। এই প্রতিষ্ঠানের কারণে আশপাশের অনেক এলাকার মানুষের কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয়েছে। এখানে প্রায় হাজারেও বেশি মানুষ প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে সম্পৃক্ত রয়েছে।

ব্যবসায়ী এ তরুণ উদ্যোক্তা আকরাম হোসেন বাবু বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ত। মানবকল্যাণে তিনি অসহায় ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষের পাশে নিজেকে মেলে ধরেন এবং সবসময় তাদের পাশে সাধ্যমত সাহায্য সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়ে থাকেন।




মুজিবনগরে ম্যানেজিং কমিটি ও শিক্ষকদের মতবিনিময় সভা

মুজিবনগরে গুডনেইবার্স বাংলাদেশ মেহেরপুর সিডিপি এর পার্টনার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি ও শিক্ষকদের সাথে মতবিনিময় সভা করেছে গুডনেইবারর্স।

রবিবার বিকেলে গুডনেইবার্স এর বল্লভপুর প্রজেক্ট অফিস চত্তরে এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

গুডনেইবার্স বাংলাদেশ মেহেরপুর সিডিপি এর ম্যানেজার বিভোব দেওয়ানের সভাপতিত্বে এবং সিনিয়র অফিসার (প্রোগ্রাম) রিফাত আল মাহমুদ এর সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্হিত ছিলেন, মুজিবনগর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ আলাউদ্দীন,বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্হিত ছিলেন, গুডনেইবারর্স মেহেরপুর সিডিপি এর এডমিন অফিসার অশোক মালাকার।

ম্যানেজিং কমিটির কার্যক্রম, অংগ্রহনকারী স্কুলের গুলোর ম্যানেজিং কমিটির বর্তমান কার্যক্রম, শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি এবং পরীক্ষায় পাসের হার কীভাবে বাড়ানো যায়।

এসএমসি ভূমিকা, দায়িত্ব এবং উন্নতির ক্ষেত্রে কি কি পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত এ সম্পর্কে আলোচনা করেন, অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি,বিশেষ অতিথি এবং অংশগ্রহনকারী বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকবৃন্দ।

মতবিনিময় সভার শুরুতে প্রোগ্রামের উদ্দেশ্য শেয়ার করেন মতবিনিময় সভার সভাপতি বিভোব দেওয়ান। উন্মুক্ত আলোচনা এবং শেষে সভাপতির অনুপ্রেরণামূলক এবং সমাপনী বক্তৃতার মধ্যদিয়ে মতবিনিময় সভার সমাপ্তি হয়।

মতবিনিময় সভায় গুডনেইবারর্স বাংলাদেশ মেহেরপুর সিডিপির ১০ টি পার্টনার স্কুলের ১০ জন শিক্ষক এবং ২০ জন ম্যানেজিং কমিটির সদস্য অংশগ্রহন করেন।




ঝিনাইদহে মানবাধিকার দিবস পালিত

‘সবার জন্য স্বাধীনতা, সমতা ও ন্যায় বিচার’ এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ঝিনাইদহে মানবাধিকার দিবস পালিত হয়েছে। জেলা প্রশাসনের আয়োজনে রোববার (১০ডিসেম্বর) সকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে থেকে একটি র‌্যালী বের করা হয়। র‌্যালীটি শহরের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে একই স্থানে গিয়ে শেষ হয়।

পরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। সেসময় জেলা প্রশাসক এস এম রফিকুল ইসলাম, স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক ইয়ারুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রথীন্দ্রনাথ রায়, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মীর আবিদুর রহমান, ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবের সভাপতি এম রায়হান, যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. সালমা ইয়াছমিনসহ অন্যান্যরা বক্তব্য রাখেন।

এদিকে দিবসটি উপলক্ষে সকালে শহরের পায়রা চত্বরে মানববন্ধন কর্মসূচীর আয়োজন করে জেলার মানবাধিকার সংগঠনগুলো। এতে ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থা, ওয়েলফেয়ার এফোর্টস, পদ্মা সমাজ কল্যাণ সংস্থার কর্মীসহ নানা শ্রেণী পেশার মানুষ অংশ নেয়। কর্মসূচীতে মানবাধিকার কর্মী আমিনুর রহমান টুকু, শরিফা খাতুন, হাফিজুর রহমান, সুব্রত মল্লিক, হাফিজুর রহমান, বাবলু কুন্ডুসহ অন্যান্যরা বক্তব্য রাখেন।

বক্তারা, মানবাধিকার বাস্তবায়নের জন্য রাস্ট্র থেকে শুরু করে সমাজের সর্বস্তরের মানুষকে কাজ করার আহ্বান জানান।