এক এক সমতায় টেস্ট সিরিজ শেষ

আশা জাগিয়েও শেষ পর্যন্ত জিততে পারল না বাংলাদেশ। কিউইদের লক্ষ্য মাত্র ১৩৭। এই ছোট লক্ষ্যটাকে কঠিন বানিয়ে দিয়েছিলেন স্পিনাররা। একটা সময় মনে হয়েছে জিতেই যাবে বাংলাদেশ। তখন মাত্র ৬৯ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ধুকছে নিউজিল্যান্ড।
সেখান থেকে মিচেল স্যান্টনারের সঙ্গে সপ্তম উইকেটে জুটি বেঁধে কিউইদের জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেয় প্রথম ইনিংসের নায়ক ফিলিপস। ফিলিপস ৪০ ও মিচেল স্যান্টনার ৩৫ রান করেন। তাদের অপরাজিত ৭০ রানের জুটি ৪ উইকেটের জয় নিশ্চিত করে নিউজিল্যান্ডের। এতে ম্যাচে জয়ের পাশাপাশি টেস্ট সিরিজ ১-১ এ ড্র করে কিউইরা।
প্রথম টেস্ট জিতে সিরিজ জয়ের লক্ষ্যে মাঠে নেমেছিল বাংলাদেশ। টস জিতে ব্যাটিং নেন অধিনায়ক। কিন্তু প্রথম ইনিংসে মাত্র ১৭২ রান করতে পারে বাংলাদেশ। জবাব দিতে নেমে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পরে কিউইরা। তারপরও ফিলিপসের ৮৭ রান এবং লোয়ার অর্ডারে ব্যাটারদের দৃড়তায় ৮ রানের লিড নিয়ে ১৮০ রানে শেষ হয় তাদের। ইনিংস।
এরপর ব্যাট করতে নেমে বড় লক্ষ্য দিতে পারেনি বাংলাদেশ। জাকির হাসানের অর্ধশতকের পরও দ্বিতীয় ইনিংসে ১৪৪ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ।
১৩৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিং করতে নামে নিউজিল্যান্ড। এই ম্যাচ জিততে শুরুতে দারুন কিছু করতে হতো। শুরুটাও পেয়েছিল তারা।  প্রথম ওভার থেকেই কনওয়েকে দুর্দান্ত ইনসুইং দিয়ে ভুগিয়েছিলেন শরিফুল ইসলাম। লাঞ্চের পরপরই সেই ইনসুইং দিয়েই কনওয়ের উইকেট তুলে নেন শরিফুল। কেইন উইলিয়ামসন এর আগেও বহুবারই বাংলাদেশকে ভুগিয়েছেন। অবশ্য তাকে বাড়তে দেননি তাইজুল। স্ট্যাম্পিংয়ে শেষ হয় উইলিয়ামসনের ইনিংস।
আর হেনরি নিকোলস ফিরেছেন মিরাজের স্পিনে। মাপা এক বলে লেগবিফোরের শিকার হন এই ব্যাটার। রিভিউ নিয়েও বাঁচতে পারেননি। অন্যপাশে তখনও টিকে ছিলেন টম ল্যাথাম। দেখেশুনেই খেলছিলেন তিনি। কিন্তু মিরাজের দারুণ সুইংয়ের সুবাদে আউটসাইড এজড বল পরিণত হয় নাজমুল হোসান শান্তর জন্য। একইরকম উইকেটের শিকার টম ব্লান্ডেলও। তাইজুলের বলে উইকেটের পেছনে সোহানকে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন তিনি। নিউজিল্যান্ড শিবিরে সবচেয়ে বড় ধাক্কাটা দিয়েছেন তাইজুল। ফর্মে থাকা ড্যারিল মিচেলকে শান্তর ক্যাচে পরিণত করেছেন তিনি।
এরপর আর উইকেট পরতে দেননি ফিলিপস ও মিচেল স্যান্টনার। জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন নিউজিল্যান্ডকে।



শাকিবের চেয়েও বেশি শিক্ষিতের ব্যাখ্যা দিলেন জায়েদ

অভিনয়শিল্পীরা সাধারণত অভিনয় দিয়ে আলোচনায় থাকেন। তবে জায়েদ খান আলোচনায় থাকেন কথা দিয়ে। ভালো কথা কেউ শুনে না এবং দেখেও না। ভালো কথা কখনো ভাইরালও হয় না। নেতিবাচক প্রচার ছাড়া তারকা হওয়া খুব কঠিন। এমনই বক্তব্য জায়েদ খানের।

তবে এবার তিনি আলোচনায় এসেছেন ঢাকাই ছবির শীর্ষ নায়ক শাকিব খানের শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে কথা বলে। সেটাকে কেন্দ্র করে শাকিব ভক্তদের তোপের মুখে পড়েছিলেন জায়েদ খান।

তবে গতকাল শুক্রবার রাজধানীতে একটি মেলা উদ্বোধন শেষে শাকিব খানকে নিয়ে করা সেই মন্তব্যের ব্যাখ্যা দিলেন জায়েদ খান।

এ সময় তিনি বলেন, “আমি কিন্তু শাকিব ভাইকে অসম্মান করিনি। শাকিব ভাই আমার চেয়ে অনেক বড় সুপারস্টার। বর্তমানে তার চেয়ে বড় সুপারস্টার এ দেশে আর কেউ নেই।

সব ঠিক আছে। সঞ্চালক বলেছিলেন— জায়েদ খান ও শাকিব খানের মাঝে গুণের পার্থক্য কী? এর উত্তরে আমি বলেছিলাম— আমি অনেক শিক্ষিত।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স করেছি। অন্যদিকে শাকিব ভাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পড়েননি। শাকিব খান আমার চেয়ে খুব ভালো অভিনেতা। যেটা আমার মাঝে নেই। এটা ছাড়া আর কিছুই না।




মুজিবনগরে আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস পালিত

রুখবো দুর্নীতি গড়বো দেশ হবে সোনার বাংলাদেশ”উন্নয়ন, শান্তি ও নিরাপত্তার লক্ষ্যে দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমরা ঐক্যবদ্ধ” এই প্রতিপাদ্য মুজিবনগরে পতাকা উত্তলোন, মানববন্ধন,আলোচনা সভার মধ্যদিয়ে পালিত হয়েছে আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস।

মুজিবনগর উপজেলা প্রশাসন, দুর্নীতি দমন কমিশন, সমন্বিত জেলা কার্যালয়, কুষ্টিয়া এবং উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোেধ কমিটি, মুজিবনগর এর আয়োজনে,দিবসটি উপলক্ষে শনিবার সকালে উপজেলা পরিষদ চত্বরে জাতীয় পতাকা ও দুর্নীতি দমন কমিশনের পতাকা উত্তোলন করা হয় জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন মুজিবনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার অনিমেষ বিশ্বাস ও দুর্নীতি দমন কমিশনের পতাকা উত্তোলন করেন মুজিবনগর উপজেলা দুর্নীতি দমন কমিশনের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজী আহসান আলী খান।

পরে উপজেলা পরিষদ চত্বরে একটি মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয় মানববন্ধন শেষে উপজেলা পরিষদ অডিটরিয়ামে একটা আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

আলোচনা সভায় উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজী আহসান আলী খানের সভাপতিত্বে এবং উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সাধারণ সম্পাদক সাবেক প্রভাষক বাকের আলির সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মুজিবনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার অনিমেষ বিশ্বাস।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা প্রকৌশলী খালিদ হাসান, মুজিবনগর থানার এস আই হেকমত আলী, মুজিবনগর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সাবেক সহকারী প্রধান শিক্ষক আব্দুল হাই সহ উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সদস্যবৃন্দ এবং বিভিন্ন স্কুলের প্রধান শিক্ষক সহ উপজেলার পরিষদে কর্মকর্তা কর্মচারীবৃন্দ।




প্রার্থীতা ফিরে পেতে ইসিতে মেহেরপুরের চারজনের আপিল

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যাচাই বাছাইয়ে বাতিল হওয়ার বিরুদ্ধে মনোনয়ন ফিরে পেতে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে আপীল দায়ের করেছেন মেহেরপুরের ৪জন।

তারা হলেন- মেহেরপুর-১ আসনে জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও সদ্য পদত্যাগী উপজেলা চেয়ারম্যান এডভোকেট ইয়ারুল ইসলাম। মেহেরপুর-২ আসনে গাংনী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোখলেছুর রহমান, আশরাফুল ইসলাম ও  গাংনী উপজেলা পরিষদের সদ্য পদত্যাগী ভাইস চেয়ারম্যান রাশেদুল ইসলাম।

আগামী ১৪ অথবা ১৫ ডিসেম্বর তাদের প্রার্থীতা ফিরে পাবেন কিনা সে বিষয়ে জানা যাবে।




দান ও উপহারে সমৃদ্ধশালী সাবেক সাংসদ জয়নাল

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মেহেরপুর ১ (সংসদীয়-৭৩) আসনের জন্য ভোটযুদ্ধে অংশ নিতে সাবেক সংসদ সদস্য জয়নাল আবেদিন স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। এর আগে ২০০৮ থেকে ২০১৩ পর্যন্ত তিনি মেহেরপুর-১ সংসদীয় আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন। ২০১৪ সালের দশম নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করলেও পরবর্তীতে তিনি প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেন। মধ্যবর্তী এই সময়ে তার আয় ও সম্পদ বেড়েছে কয়েক গুণ।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্রের সাথে দেওয়া হলফনামা অনুযায়ী তার অস্থাবর সম্পদের মূল্য ১ কোটি ৩৯ লাখ ২৭ হাজার টাকা, ২০০৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় দেওয়া হলফনামাতে তার অস্থাবর সম্পদ ছিল ৪ লাখ ২ হাজার টাকার। মধ্যবর্তী এই সময়ে তার অস্থাবর সম্পত্তি বৃদ্ধি পেয়েছে ৩৪ গুণ।

২০০৮ সালের নির্বাচনের আগে তাঁর বার্ষিক আয় ছিল ৩ লাখ ৩০ হাজার টাকা। এখন তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ১০ হাজার টাকাতে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।

যাচাই-বাছাইয়ের পর তাঁর মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষিত হয়েছে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হলফনামায় তার বার্ষিক আয়, স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের যে বিবরণী পাওয়া গেছে তা বিশ্লেষণ করে এসব তথ্য মিলেছে।

বর্তমানে জয়নাল আবেদীনের মোট বার্ষিক আয় ৪ লাখ ১০ হাজার টাকা। এর মধ্যে তিনি কৃষিখাত থেকে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা ও ব্যবসা থেকে ২ লাখ ৬০ হাজার টাকা আয় করেন। ২০০৮ সালে থেকে ব্যবসা তার বার্ষিক আয় ছিল ৩ লাখ ৩০ হাজার টাকা।

জয়নাল আবেদীনের বর্তমান স্থাবর সম্পদের মধ্যে রয়েছে পৈতৃক সূত্রে প্রাপ্ত তিন বিঘা ১৬ কাঠা কৃষি জমি, ২ বিঘা ১৩ কাঠার অকৃষি জমিও পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত। বাগোয়ানে একতলা পাকা বাড়ি এবং রাজউকের একটি প্লট যার মূল্য ৩০ লাখ ৬০ হাজার টাকা। তার স্ত্রীর নামে রয়েছে ৭ বিঘা কৃষি জমি, যার মূল্য দেখানো হয়েছে ৪ লাখ ৪৫ হাজার টাকা। ছয় কাঠা অকৃষি জমির মূল্য দেখানো হয়েছে ৭ লাখ টাকা। এছাড়াও জয়নাল আবেদীনের স্ত্রী মেহেরপুর পৌর শহরের পিয়াদাপাড়ায় পৈত্রিক সূত্র ৬ শতক জমির উপরে নির্মিত ১২০০ স্বর্গফুট বিশিষ্ট একটি দ্বিতল বাসভবন দানসুত্রে পেয়েছেন।

জয়নাল আবেদীনের ১৫ ভরি স্বর্ণ রয়েছে যার মধ্যে ১০ ভরি তিনি উপহারস্বরূপ পেয়েছেন এবং তার স্ত্রীর ৩০ ভরি স্বর্ণের সবটুকুই উপহারস্বরূপ পেয়েছেন মর্মে হলফনামা দাখিল করেছেন।

এছাড়াও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হলফনামা অনুযায়ী জয়নাল আবেদীনের নগদ টাকা রয়েছে মাত্র ৫ লাখ। ব্যাংকে জমা আছে ১ কোটি ২২ লাখ ২৭ হাজার ১২০ টাকা ৮০ পয়সা। ব্যক্তিগত টয়োটা জীপের মূল্য ৫ লাখ টাকা। ইলেকট্রনিক সামগ্রী ২ লক্ষ টাকার এবং গৃহস্থলীর আসবাবপত্র ২ লক্ষ টাকা সমমূল্যের। তার স্ত্রীর নগদ রয়েছে মাত্র ৫০ হাজার টাকা। তিনি একটি ডিপ ফ্রিজ উপহারস্বরূপ পেয়েছেন।




মুজিবনগরের নতুন ইউএনও আজগর আলী

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে তৃতীয় পর্যায়ে আটটি বিভাগ থেকে মোট ৪৮ জন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কে বদলি করা হয়েছে। এরমধ্যে দীর্ঘদিন যাবত মুজিবনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে কর্তব্য পালন করা অনিমেষ বিশ্বাস রয়েছেন।

এর আগে বুধবার ৬ ডিসেম্বর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে বদলি প্রস্তাব নির্বাচন কমিশনে পাঠানো হলে ৭ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশন প্রস্তাবিত বদলির তালিকায় সম্মতি জ্ঞাপন করে।

প্রজ্ঞাপন সূত্র থেকে জানা গেছে, নড়াইল জেলার লোহাগড়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আজগর আলীকে মুজিবনগর এবং অনিমেষ বিশ্বাসকে লোহাগাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে প্রদান করা হয়েছে।




আলমডাঙ্গায় নওদা-বন্ডবিলে মৌমাছির কামড়ে কৃষকের মৃত্যু

আলমডাঙ্গায় মৌমাছির কামড়ে মজিবর বিশ্বাস (৫২) নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। আজ শুক্রবার বিকেল ৫ টার দিকে ধান ক্ষেতে পানি দিতে গিয়ে এ ঘটনা ঘটে। নিহত মজিবর বিশ্বাস আলমডাঙ্গা পৌর এলাকার নওদা-বন্ডবিল গ্রামের মৃত সাদেক বিশ্বাসের ছেলে।

স্থানীয়রা জানান, আজ শুক্রবার বিকেলে কৃষক মজিবর নিজ খেতে পানি দিতে যান। বন্ডবিল রেলগেট নামক স্থানে পৌঁছালে বাঁজপাখির আক্রমণে গাছ থেকে মৌমাছির বাসা ভেঙে তার শরীরের উপর পড়ে। মৌমাছির কামড়ে তিনি গুরুত্বর আহত হন। তার চিৎকারে স্থানীয়রা উদ্ধার করে একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে ভর্তি করেন। তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

এবিষয়ে পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আশরাফুল হোসেন বাবু জানান, মজিবর রহমান মাঠে যাচ্ছিলেন তার ধান ক্ষেত দেখতে। সাইকেল নিয়ে একটি গাছের নিচে তিনিসহ আরো কয়েকজন দাঁড়িয়ে কথা বলছিলেন। এসময় একটি বাজ পাখি মৌমাছির চাকে আক্রমণ করলে তা ভেঙ্গে মজিবর রহমানের গায়ের উপর পড়ে। বেশ কিছু মৌমাছি তাকে কামড়ে আহত করে। তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি বেসরকারি ক্লিনিকে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার নাথ জানান, কোনো অভিযোগ না থাকায় মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ব্যাপারে একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে।




চুয়াডাঙ্গায় দুই থানার ওসিকে বদলী জনিত বিদায় সংবর্ধনা

চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশ হতে বদলী জনিত বিদায়ী দুই অফিসার ইনচার্জকে আনুষ্ঠানিক বিদায় সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে।

আজ শুক্রবার এগারোটার সময় চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার আর এম ফয়জুর রহমান পিপিএম-সেবা দুই থানার অফিসার ইনচার্জকে আনুষ্ঠানিক ভাবে বিদায় সংবর্ধনা প্রদান করেন।

চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশে কর্মরত পুলিশ পরিদর্শক(নিঃ) চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মাহাব্বুর রহমান ও আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক(নিঃ) বিপ্লব কুমার নাথ। সম্প্রতি চুয়াডাঙ্গা জেলা হতে চুয়াডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ ঝিনাইদহ জেলা পুলিশের মহেষপুর থানা অফিসার ইনচার্জ এবং আলমডাঙ্গা থানা অফিসার ইনচার্জ হতে নড়াইলের নড়াগাতি থানার অফিসার ইনচার্জ হিসেবে বদলির আদেশপ্রাপ্ত হন।

উক্ত আয়োজনে আরও উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) রিয়াজুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) নাজিম উদ্দীন আল-আজাদ পিপিএম- সেবা, সহকারি পুলিশ সুপার (দামুড়হুদা সার্কেল) জাকিয়া সুলতানা, ডিআইও-১ ডিএসবি আবু জিহাদ ফখরুল আলম খান, টিআই প্রশাসন ওলিউজ্জামানসহ জেলা পুলিশের বিভিন্ন পদমর্যাদার অফিসারগণ।




জীবননগরে টানা তিনদিনের বৃষ্ঠিতে ফসলের ক্ষতির আশঙ্কা

জীবননগর উপজেলায় টানা তিনদিনের বৃষ্টিতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। ফসলী জমিতে পানি জমে গেছে। এতে ফসলের ক্ষতির আশঙ্কায় রয়েছেন প্রান্তিক চাষীরা।গত বুধবার সন্ধা থেকে বিরতিহীন বৃষ্টি হওয়ায় এ ক্ষতির আশস্কা করছেন ।

জীবননগর উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানা গেছে, গত বুধবার থেকে অনবরত বৃষ্টি হওয়ার কারণে আলু ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হবে।

আজ শুক্রবার সকালে সরজমিনে দেখা যায়, উপজেলার হাসাদহ ইউনিয়নের বৈদ্যানাথপুর, বাকা ইউনিয়নের মিনহাজপুরসহ ৮টি ইউনিয়নে তিন দিনের অনবরত বৃষ্টির কারণে আলু ফসলের খেতে প্রচুর পানি জমে গেছে। ফসলের মাঠগুলোতে আলু, সরিষা, বোরো ধানের বীজতলা, পেয়াজ,ভুট্টাসহ শীতকালীন তরকারি রয়েছে।

হাসাদহ ইউনিয়নের বৈদ্যানাথপুর গ্রামের কৃষক জসিম উদ্দিন জানান, ৫ জমিতে তিনি আলু চাষ করেছেন। বুধবার থেকে বৃষ্টি শুরু হওয়ায় জমিতে হাটু পানি বেধে থাকায় সব শেষ হয়ে যাবে মনে হচ্ছে।

বাকা ইউনিয়নের কৃষক নিজাম হোসেন জানান, চলতি বছরে ২ একর জমিতে আলু,পেয়াজ চাষাবাদ করেছি। সার-ঔষধের দাম হওয়ায় খরচ হয়েছে ব্যাপক। তিন দিনের টানা বৃষ্টিতে ক্ষেতে পানি জমে গেছে। পেয়াজ বীজ ও আলু বীজ পচে যাওয়ার সম্ভবনা রয়েছে । আমাদের অনেক ক্ষতি হয়েছে। বিভিন্ন জনের কাছ থেকে ধারদেনা করে চাষাবাদ করেছি।

সীমান্ত ইউনিয়নের গঙ্গাদাশপুর গ্রামের প্রান্তিক কৃষক রনি আহম্মেদ বলেন ,ধান চাষের জন্য বীজতলা ছিল তিন দিনের পানিতে বীজতলা পানির নিচে পানি ছেকে দেওয়া হয়েছে এখন কি যে হবে সেটাই দেখার বিষয় বীজতলা নষ্ঠ হলে চাষে লোকসান গুনতে হবে। করা। লাল শাক বাজারজাত হওয়ার আগেই বৃষ্টির পানিতে পচে গেছে।

জীবননগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মনিরুজ্জামানের সাথে কথা বলার জন্য চেষ্ঠা করা হলে ফোনটি রিসিপ না করায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।তবে হাসাদহ ইউনিয়নের উপ-সহকারী কৃষি কমকতা মোঃ শিমুল হোসেন জানান, বৈদ্যানাথ পুর ব্লকে ২১০ হেক্টর জমিতে আলু চাষ হচ্ছে।টানা তিন দিন বৃষ্টি হচ্ছে। বিভিন্ন এলাকায় ক্ষেতে পানি জমে গেছে। আমরা সার্বক্ষণিক মনিটরিং করছি এবং কৃষকদের খোঁজ খবর নিচ্ছি। বিশেষ করে আলু চাষে কিছুটা ক্ষতি সম্ভবনা রয়েছে ।




নিউমোনিয়ার ঝুঁকি এড়াতে করণীয়

শীতে তাপমাত্রার ওঠানামা অনেক বেশি। কোন কোন দিন আবার সারাদিন বৃষ্টি থাকছে। এই রকম আবহাওয়ায় সুস্থ থাকাটা চ্যালেঞ্জর। শীতে অন্য রোগের থেকে নিউমোনিয়া হওয়ার ঝুঁকির পরিমাণটা বেশি। দেখা যায়, বাচ্চাদের নিউমোনিয়া বেশি হয়ে থাকে। এ সময় সংক্রমণের ঝুঁকিও বাড়ে। তাই যতটা সম্ভব সর্তক থাকার চেষ্টা করতে হবে।

নিউমোনিয়া ফুসফুসের সংক্রমণের কারণে হতে পারে। এ রোগ ফুসফুসে পানি জমেও হতে পারে। শুরুতে গুরুত্ব না দিলে পরর্বতীতে বড় ধরণের ক্ষতি হতে পারে। কয়েকটি নিয়ম মেনে চললে নিউমোনিয়া থেকে নিজেদেরকে সুরক্ষিত রাখা যায়।

বার বার হাত ধোঁয়া
যতটা সম্ভব চেষ্টা করতে হবে হাত পরিষ্কার রাখা। বার বার হাত ধোঁয়ার অভ্যাস করুন। হাত ধুতে না পারলেও হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করা। এছাড়াও, হাত না ধুয়ে কোন কিছু না খাওয়া। খেতে বসার আগে সাবান দিয়ে ভালো ভাবে হাত ধুয়ে নিন।

গরম পোশাক পরুন
যাদের ঠাণ্ডার সমস্যা আছে তারা শীতে সবসময় গরম পোশাক পরে থাকার চেষ্টা করুন। শিশুরা অনেক সময় শরীরে গরম কাপড় বেশিক্ষণ পড়ে থাকতে চাই না তাই তাদের দিকে বিশেষ নজর রাখা উচিত। রাতে বাইরে বের হলেও মাথা ও কান মাফলারে মুড়িয়ে রাখতে চেষ্টা করুন।

স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া
বাজার ভরা শীতকালের নানান শাকসবজি। ফাইবার, ভিটামিন, কার্বোহাইড্রেটে সমৃদ্ধ খাবার শীতে অন্য রোগের সঙ্গে লড়াই করার শক্তি জোগায়। এছাড়াও, ভিটামিন সি আছে এমন খাবার যেমন জলপাই, কমলা, লেবু ইত্যাদি প্রচুর পরিমাণে খেতে হবে। এগুলো একপ্রকার প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করে।

সূত্র: ইত্তেফাক