১০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে মিষ্টিকে আইনি নোটিশ পাঠালেন তমা

ঢালিউড নায়িকা তমা মির্জাকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করায় আইনি নোটিশ পেলেন নায়িকা মিষ্টি জান্নাত। বৃহস্পতিবার রেজিষ্ট্রি ডাক যোগে তমা মির্জার পক্ষে এ নোটিশ পাঠান তার আইনজীবী ব্যারিস্টার সজীব মাহমুদ আলম।

সংবাদ মাধ্যম অনুযায়ী, ‘মানহানিকর মন্তব্য’ দেওয়ার অভিযোগ এনে জনসম্মুখে ক্ষমা চাওয়া এবং ১০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে চিত্রনায়িকা জান্নাতুল ফেরদৌস মিষ্টিকে (মিষ্টি জান্নাত) আইনি নোটিশ দিয়েছে নায়িকা মির্জা ফারজানা ইয়াসমিন তমা।

নোটিশে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে থাকা দুটি ভিডিও বক্তব্যের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

‘আপনার বয়ফ্রেন্ডকে বিয়ে করবো না, তমা মির্জাকে খোঁচা দিয়ে মিষ্টি জান্নাত’ এবং ‘চেটে চেটে নায়িকা হয়েছে তমা মীর্জা: জান্নাত’ শীর্ষক শিরোনামে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে মানহানিকর বক্তব্য রয়েছে বলে দাবি করেছেন আইনজীবী।

নোটিশে বলা হয়, এ সব বক্তব্যে সাংবাদিক ও দেশের জনগণের কাছে তার (তমা মির্জার) সুনাম নষ্ট হয়েছে। এ ধরনের বক্তব্য তমার চরিত্র ও ব্যক্তিত্বে আঘাত হেনেছে। এটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ। উদ্দেশ্যে প্রণোদিতভাবে ডিজিটাল মিডিয়ায় এসব মানহানিকর বক্তব্য হয়রানির উদ্দেশ্যে করা হয়েছে। এতে ১০ কোটি টাকার মানহানি হয়েছে।

তাই নোটিশে সাত দিনের মর্ধ্যে জনসম্মুখে ক্ষমা চেয়ে দশ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে বলা হয়েছে। এছাড়া পরবর্তীতে এ ধরনের মন্তব্য থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে। অন্যথায় প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।

সূত্র: ইত্তেফাক




মেহেরপুরের কুতুবপুর ইউপিতে উদ্বুদ্ধকরন সভা ও রেজিষ্ট্রেশন বুথ উদ্বোধন

মেহেরপুরের কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদে সার্বজনীন পেনশন স্কীম মাঠ পর্যায়ে সুষ্ঠু ও সফলভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে উদ্বুদ্ধ করন সভা ও রেজিষ্ট্রেশন বুথ উদ্বোধন করেন।

আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১২ টার সময় কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের সভা কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

উক্ত সভায় কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সেলিম রেজা সভাপতিত্বে   উপস্থিত ছিলেন  ১ নং ওয়ার্ডের মেম্বর মোঃ আমজাদ হোসেন, ২ নং ওয়ার্ডের মেম্বর মোঃ গোলাম মর্তুজা (মতু), ৩ নং ওয়ার্ডের মেম্বর মোঃ আশরাফুল আলম, ৪ নং ওয়ার্ডের মেম্বর মোঃআফরাজুল হক, ৫নং ওয়ার্ডের মেম্বর মোঃ হেলাল হোসেন, ৬ নং ওয়ার্ডের মেম্বর মোঃ রাজন হোসেন, ৭ নং ওয়ার্ডের মেম্বর মোঃ গোলাম হোসেন, ৮ নং ওয়ার্ডের মেম্বর মোঃ আরিফুল ইসলাম, ৯ নং ওয়ার্ডের মেম্বর মোঃ আবুল কাশেম, ১০ নং ওয়ার্ডের মেম্বর মোছাঃআমেনা খাতুন, ১১ নং ওয়ার্ডের মেম্বর মোছাঃ শাহানাজ খাতুন

এছাড়া ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ সেলিম রেজা জানান, সার্বজনীন পেনশন স্কীম চালু করেছেন এ দেশের সকল শ্রেনী পেশার মানুষের জন্য। আগে আমরা শুনে এসেছি সুধু মাত্র সরকারী চাকরি জীবিরাই পেনশন পাই। কিন্তু এবার এদেশের সকল মানুষ যেন এই পেনশনের আওতায় পড়ে সে জন্য বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছেন। সার্বজনীন পেনশন স্কীমে ৫ টি স্কীমে পেনশন প্রদান করা হবে প্রবাসীদের জন্য, সরক্ষা অর্থাৎ স্বকর্মে নিয়োজিত ব্যাক্তি, প্রগতি অর্থাৎ বেসরকারি চাকরিজীবি, সমতা অর্থাৎ অতিদরিদ্র ব্যাক্তি, প্রত্যয় অর্থাৎ স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানগুলোতে কর্মরত চাকুরী জীবিদের জন্য বিশেষায়িত স্কীম। এই সার্বজনীন স্কীমের আওতায় পেনশন পাবেন ১৫০০ টাকা হতে ৩ লক্ষ টাকা পর্যন্ত। এই পেনশন কর্মসূচি তে যুক্ত হতে পারবেন ১৮ বছর হতে ৫০ বছর বয়সী যে কেউ। এই চাঁদা বন্ধ হবে ৬০ বছর বয়সে।নিয়মিতচাঁদা দিতে হবে ১০ বছর পর্যন্ত। আগে মারা গেলে নমিনী পাবেন এককালীন সুবিধা ও জমা টাকায় মিলবে ৫০% ঋণ।এবং মাসিক পেনশন শুরু হবে ৬০ বছর বয়স পর্যন্ত। তাই আমি আমার ইউনিয়নের সকল শ্রেনী পেশার মানুষ কে এই সুবিধার আওতায় আসুক এই উদার্থ আহব্বান থাকবে। সেই সাথে ধন্যবাদ জানাই বর্তমান সরকারের  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কে সেই সাথে কৃতজ্ঞতা সহ ধন্যবাদ জানাই মেহেরপুর জেলার কৃতি সন্তান বর্তমান সরকারের জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ফরহাদ হোসেন দোদুল কে এই স্কীম সহ মেহেরপুর এর সকল উন্নয়ন কাজ সফল ভাবে করার জন্য।




গাংনী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জামানত হারাচ্ছেন ৬ প্রার্থী

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের দ্বিতীয় ধাপে অনুষ্ঠিত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে গাংনীর ৬ প্রার্থী তাদের জামানত হারিয়েছেন।

এদের মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৫ জন এবং ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১ জন প্রার্থী জামানত হারান।

তবে, চেয়ারম্যান প্রার্থী জামানত হারানোর মধ্যে তিন প্রার্থী নির্বানের কয়েকদিন আগেই নির্বাচন থেকে সরে দাড়িয়েছিলেন। এরা হলেন, গাংনী উপজেলা পরিষদের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট একেএম শফিকুল আলম (কাপ পিরিচ), লাইলা আরজুমান বানু শিলা দোয়াত কলম ও গাংনী উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মোশাররফ হোসেন (মোটরসাইকেল)। ভোটের মাঠে থেকে দুই প্রার্থী তাদের জামানত হারিয়েছেন। এরা হলেন বিএনপি থেকে বহিস্কৃত জুলফিকার আলী ভূট্টো (কৈ মাছ) ও মুকুল জোয়াদ্দার (শালিক পাখি)।

নিয়ম অনুযায়ী প্রদত্ত ভোটের ১৫ ভাগের নিচে ভোট পেলে সেই প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হবে।

সে অনুযায়ী গাংনী উপজেলা পরিষদের ৫ প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হবে। এই প্রার্থীরা হলেন বিএনপি থেকে বহিস্কৃত মেহেরপুর জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও গাংনী উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান জুলফিকার আলী ভুট্টো (কৈ মাছ) প্রতিকে পেয়েছেন ৪ হাজার ৯৫৭, গাংনী উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মোশাররফ হোসেন (মোটরসাইকেল) প্রতিকে পেয়েছেন ৭০৪, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট একেএম শফিকুল আলম (কাপ পিরিস) প্রতিকে পেয়েছেন মাত্র ২৮৯, উপজেলা যুব মহিলা লীগ নেত্রী লাইলা আরজুমান শিলা (দোয়াত কলম) প্রতিকে পেয়েছেন ২২৭ এবং গাংনী হর্কাস মার্কেটের সভাপতি মুকুল আহম্মেদ ওরফে মহিবুল জোয়াদ্দার (শালিক পাখি) প্রতিকে পেয়েছেন ২০১ ভোট। সরকারি প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী এরা সবাই তাদের জামানত হারাচ্ছেন। নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে রেজাউল হক (চশমা) তার জামানত হারাচ্ছেন। তিনি পেয়েছেন ১৬৮২ ভোট।
মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত গাংনী উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এতে মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও গাংনী উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান এম এ খালেক (আনারস) প্রতীক নিয়ে ৩৩ হাজার ৭২৩ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান পদে পুনঃনির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রার্থী মাখেলেছুর রহমান মুকুল (হেলিকপ্টার) প্রতীক নিয়ে ২৮ হাজার ২৯৩ ভোট পান এবং তৃতীয় স্থানে রয়েছেন উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভােকেট রাশেদুল হক জুয়েল (ঘোড়া), তিনি ভোট পেয়েছেন ১৫ হাজার ৫৬০ ভোট।




ফুলেল শুভেচ্ছা ও জনগণের ভালোবাসায় সিক্ত হলেন উপজেলা চেয়ারম্যান এম এ খালেক

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দ্বিতীয়বারের মত গাংনী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন মেহেরপুর জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ খালেক। প্রতিপক্ষ প্রার্থীকে ৫ হাজার ৪৩০ ভোটের ব্যবধানে হারিয়ে দ্বিতীয়বারের উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন তিনি।

এম এ খালেক পুনরায় উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর দলীয় নেতাকর্মী, বিভিন্ন পেশাজীবি সংগঠণ, সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠণসহ বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ গতকাল বুধবার দিনভর তার সাথে দেখা করে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন এবং ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।

সকাল থেকেই উপজেলা বিভিন্ন এলাকার হাজার হাজার নেতা কর্মী, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ ব্যক্তি ও সংগঠনের নেতৃবৃন্দ তার বাড়িতে ছুটে আসেন।

এসময় জনগণের ভালোবাসা ও ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত হন দুই বার নির্বাচিত চেয়ারম্যান এম এ খালেক। তারা তাঁকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।

এসময় এম এ খালেক সবার উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা আমাকে যে ভালোবাসা দেখিয়েছেন আমি সেই ভালোবাসায় অভিভুত। আমি পূর্বের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে আগামী পাঁচটি বছর গাংনীর উন্নয়নে কাজ করবো। আমি আপনাদের দোয়া চাই, যাতে গাংনী উপজেলাবাসীর সেবায় আন্তরিকভাবে কাজ করতে পারি।
গাংনী পৌরসভার সাবেক মেয়র আশরাফুল ইসলাম, মটমুড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সোহেল আহমেদ, কাথুলি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান রানা, রাইপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম সাকলায়েন ছেপু, তেঁতুলবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাজমুল হুদা বিশ্বাস পচু, ষোলটাকা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ার পাশা, কাজিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মু. আলম হুসাইন, ধানখোলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক, মেহেরপুর জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য শওকত আলী, শাহানা ইসলাম শান্তনাসহ আওয়ামীলীগের বিভিন্ন স্তুরের নেতা কর্মী ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ তার সাথে দেখা করেন ও ফুলের মালা পরিয়ে দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।

এছাড়া, মেহেরপুর জেলা আওয়ামীলীগের গুরুত্বপূর্ণ নেতৃবৃন্দ, গাংনী উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বরবৃন্দ, ও অসংখ্য দলীয় নেতাকর্মী ও সমর্থক ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।




দর্শনায় ১ মাস মেয়াদী মৎস্য চাষ প্রশিক্ষণ কোর্সের সনদ প্রদান

দর্শনায় ১ মাস মেয়াদী মৎস্য চাষ প্রশিক্ষণ কোর্সের সনদ ও যাতায়াত ভাতা প্রদান অনুষ্ঠান অনুষ্টিত হয়েছে।  আজ বুধবার সকাল ১১ টার দিকে রামনগর মৌচাক সমাজ উন্নয়ন সংন্থা কার্যলয়ে এ সভা অনুষ্টিত হয়।

এ সভায় প্রধান অতিথী হিসাবে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা যুব উন্নয়নের উপপরিচালক মাসুম আহম্মেদ, তিনি মৎস্য চাষিদের মাঝে সনদপত্র বিতরন করেন।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের প্রশিক্ষক জনাব গিয়াস উদ্দিন, মৌচাক সমাজ উন্নয়ন সংস্থার ম্যানেজার মোহাম্মদ মকবুল হোসেন ও কর্মকর্তা কর্মচারী বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।




মেহেরপুরের আশরাফপুরে এক ব্যক্তিকে কু*পি*য়ে জ*খ*ম

পূর্ব শত্রুতার ও জমি সংক্রান্ত জের ধরে মেহেরপুর সদর উপজেলার আশরাফপুর গ্রামে সামাদ আলী নামের এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে যখম করা হয়েছে।

আজ বুধবার (২২ মে) সন্ধা ৭ টার দিকে আশরাফপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহত সামাদ আলী আশরাফপুর গ্রামের আফরোজ আলীর ছেলে। তিনি মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে।

এ বিষয়ে আহত সামাদ আলী স্ত্রী বলেন, আমার নিজের জমি জোর করে হিছাব আলী দখল করে নিতে চাই। কিছু দিন আগে বিষ দিয়ে আমাদের পাট পুড়িয়ে দিয়েছে। গতকাল বুধবার আমার স্বামী জমিতে চাষ করে রেখে এসেছে। সন্ধার সময় আমার স্বামীকে রাস্তাতে একা পেয়ে হিছাব আলী, হিছাবের স্ত্রী-মেয়ে ও হিছাব আলীর ভাইয়ের ছেলে কুদ্দুস দেশীও দা, রড় দিয়ে আমার স্বামীকে এলো পাতাড়ি মারে। এসময় আমার স্বামী মাটিতে লুটিয়ে পড়ে।

তিনি আরো বলেন, আমার স্বামীকে যখন ওরা মারছে তখন আমি ছুটে বাঁচাতে গেলে আমাকেও দা দিয়ে কোপানোর জন্য তাড়ালে আমি প্রাণের ভয়ে বাড়িতে পালিয়ে গিয়ে ঘরের দরজা লাগিয়ে দিয় তারপর আমি নিজেও বাঁচি।

এ ঘটনায় মেহেরপুর সদর থানায় মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে আহত সামাদের পরিবার।




ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপে পর্তুগালের দল ঘোষণা

বয়স ৪০ ছুঁইছুঁই। তবুও ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো ছুটে চলছেন। বিরামহীন এই ছুটে চলা দেখে ভক্তরাও অবাক হন প্রায়শই। এবার সেই ফুটবল মহাতারকাকে নিয়ে ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের দল ঘোষণা করেছে পর্তুগাল। অবশ্য কোচ রবার্তো মার্তিনেজ আরো কিছু চমক যোগ করেছেন ২৬ সদস্যের স্কোয়াডে।

সিআরসেভেনকে নিয়ে তিনি বলেছেন, ‘একজন খেলোয়াড় ক্লাবের হয়ে ৪১ ম্যাচে ৪২ গোল করেছেন। গোলের সামনে তার এই ধরনের ভূমিকা আমাদের খুবই প্রয়োজন।’ এদিকে রোনালদোর চেয়েও বয়সে বড় পেপেকে (৪১ বছর) স্কোয়াডে রেখেছেন মার্তিনেজ। যেটিকে ‘ড্রেসিংরুমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা’ হিসেবে দেখছেন পর্তুগিজ কোচ। আবার মিডফিল্ডার ম্যাথিয়াস নুনেসকে তিনি দলে রাখেননি।

আগামী ১৪ জুন থেকে জার্মানিতে শুরু হবে ইউরোর এবারের আসর। পর্তুগাল রয়েছে ‘এফ’ গ্রুপে। এই গ্রুপে রয়েছে চেক প্রজাতন্ত্র, তুরস্ক ও জর্জিয়া। ২০০৪ সালে ইউরোতে যাত্রা শুরু করেছিলেন রোনালদো। এবারের টুর্নামেন্টে অংশ নিলে ১১তম আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট খেলার খাতায় নাম লেখাবেন তিনি। এর মধ্যে ইউরোতে ষষ্ঠ। ২০১৬ সালে ফ্রান্সে কাঙ্ক্ষিত শিরোপার দেখা পেয়েছিলেন রন-খ্যাত এই ফুটবলার। এবার আরো একটি শিরোপার আশায় মাঠে দেখা যাবে তাকে।

পর্তুগালের ইউরো স্কোয়াড

গোলকিপার :ডিওগো কস্তা, রুই প্যাত্রিসিও ও জোসে সা।

ডিফেন্ডার :জোয়াও কানসেলো, নেলসন সেমেদো, ডিওগো দালত, নুনো মেন্ডেজ, রুবেন দিয়াস, দানিলো পেরেইরা, আন্তনিও সিলভা, পেপে ও গনসালো ইনাসিও।

মিডফিল্ডার :জোয়াও পালিনহা, রুবেন নেভেস, জোয়াও নেভেস, ভিতিনহা, ওতাভিও মন্তিরো, ব্রুনো ফার্নান্দেজ ও বের্নার্দো সিলভা।

ফরোয়ার্ড :ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো, রাফায়েল লিয়াও, জোয়াও ফেলিক্স, গনসালো রামোস, দিয়েগো জোতা, পেদ্রো নেতো ও ফ্রান্সিসকো কনসেইসাও।

সূত্র: ইত্তেফাক




এফডিসিতে নিপুণবিরোধী মিছিল

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে গত ১৯ এপ্রিল। শিল্পী সমিতির ভোটে হেরে মনোয়ার হোসেন ডিপজল-মিশা সওদাগরকে মালা দিয়ে বরণ করেও নিয়েছিলেন নিপুণ আক্তার। মালা বদলের ২৫ দিন পর মিশা-ডিপজল পরিষদ নিয়ে আদালতে রিট করেন নিপুণ। যারই প্রেক্ষিতে সাধারণ সম্পাদক পদে ডিপজলকে চেয়ার না বসার আদেশ দিয়েছে আদালত। নিপুণের এমন কর্মকাণ্ডে ক্ষুব্ধ হয়েছেন চলচ্চিত্র শিল্পীরা।

সোমবার (২০ মে) বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। একইসঙ্গে নির্বাচনে অনিয়ম ও কারচুপির ঘটনা তদন্তের জন্য সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

নিপুণের শাস্তির দাবিতে আজ (২২ মে) দুপুর থেকে এফডিসিতে কয়েক দফা মিছিল হয়েছে। এতে অংশ নিয়েছেন বেশ কয়েকজন সিনিয়র ও জুনিয়র শিল্পী। তাদের মূলকথা, ‘শিল্প ও শিল্পীর সম্মান নষ্টকারী নির্লজ্জ বেহায়া নিপুণের শাস্তি দাবি’।

যারা নিপুণের শাস্তি চেয়ে মিছিল করেছেন তাদের হাতে থাকা ব্যানারে এই নায়িকার গলায় জুতার মালার ছবি ব্যবহার করা হয়েছে। একইসঙ্গে নিপুণকে নিয়ে বিভিন্ন আপত্তিকর ‘স্লোগান’ও দিতে দেখা গেছে।

এদিকে আজ বুধবার (২২ মে) বিকাল ৩টায় এফডিসিতে ১৮ সংগঠনের সঙ্গে শিল্পী সমিতির গুরুত্বপূর্ণ এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা জানা গেছে। বৈঠকে স্টার সিনেপ্লেক্সের অনিয়ম সহ নিপুণের বিরুদ্ধে কঠোর সিদ্ধান্ত আসবে বলে শোনা যাচ্ছে।

শিল্পী সমিতিতে নিপুণবিরোধী মিছিল প্রসঙ্গে এই নায়িকার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। কারণ নিপুণ বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন।

সূত্র: ইত্তেফাক




কলকাতায় খু*ন হলেন এমপি আনার, দেশে গ্রেপ্তার ৩

চিকিৎসার জন্য ভারতে গিয়ে নিখোঁজ ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার। কলকাতার একটি বাসায় ‘পরিকল্পিতভাবে খুন’ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেছেন, ভারতীয় পুলিশের কাছ থেকে এ বিষয়ে তথ্য পওয়ার পর বাংলাদেশের পুলিশ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে এবং তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

ঝিনাইদহ-৪ আসনের তিনবারের সংসদ সদস্য আনার কালীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। গত ১১ মে তিনি দর্শনা-গেদে সীমান্ত দিয়ে চিকিৎসার জন্য ভারতে যান।

কলকাতায় পৌঁছে তিনি ওঠেন তার বন্ধু, বরাহনগরের স্বর্ণ ব্যবসায়ী গোপাল বিশ্বাসের বাড়িতে। কিন্তু ১৬ মে থেকে তার সঙ্গে আর যোগাযোগ করতে পারছিল না বলে জানান তার পরিবার।

আনার নিখোঁজ জানিয়ে ১৮ মে বরাহনগর থানায় জিডি করেন বন্ধু গোপাল বিশ্বাস। সেখানে বলা হয়, ১৩ মে দুপুরে সে বাড়ি থেকে বেরিয়ে আর ফেরেননি। তবে তার হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর থেকে আসা এক বার্তায় বলা হয়, তিনি দিল্লি যাচ্ছেন।

এদিকে আনারের মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডোরিন পরে ঢাকায় গোয়েন্দা পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে তার বাবার নিখোঁজ হওয়ার বিষয়টি জানান।

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, পরের কয়েক দিনে দুই দেশের পুলিশের মধ্যে যোগাযোগের পর বুধবার সকালে কলকাতার সংবাদমাধ্যমে আনারের খুন হওয়ার খবর আসে। বলা হয়, নিউ টাউন এলাকার সঞ্জিভা গার্ডেন নামের বিলাসবহুল একটি অ্যাপার্টমেন্ট ব্লকে পাওয়া গেছে বাংলাদেশের এ সংসদ সদস্যের লাশ।

ভারতে তার মরদেহ উদ্ধারের সংবাদ পাওয়ার পর তার দলীয় কার্যালয়ে উপস্থিত শত শত মানুষ কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। এমপি আনার জেলার কালীগঞ্জ শহরের ভূষণ রোড়স্থ বাড়িতে বসবাস করতেন। তার দুই মেয়ে স্ত্রী রয়েছে।

এমপির নির্বাচনী এলাকা কালীগঞ্জ উপজেলার ১নং সুন্দরপুর দূর্গাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ওহিদুজ্জামান ওদু বলেন, আমরা তার মৃত্যু সংবাদ শুনে রাজনৈতিক কার্যারয়ের সামনে এসেছি। তার মৃতদে ভারতে পাওয়া গেছে। কিভাবে তার মৃত্যু হয়েছে তা বলতে পারছিনা। এমপির সাথে কারো কোন বিরোধ ছিল না। যা ছিল তা খুবই সামান্য কিন্তু তার জনপ্রিয়তা ছিল অনেক। তিনি বলেন তার পরিবার ঢাকাতে অবস্থান করবেন। তারা ঝিনাইদহের উদ্দেশ্যে রওয়া দিয়েছেন। তারা আসলে আরো কিছু জানা যাবে।

তিনি বলে রাষ্ট্রীয়ভাবে এমপির মরদেহ দেশে আনা হবে। আমরা এখন মরদেহের জন্য অপেক্ষা করছি।

ভারতে পৌছে পশ্চিমবঙ্গে বরাহনগর থানার অন্তর্গত মন্ডলপাড়া লেনে গোপাল বিশ্বাস নামে পরিচিত এক ব্যক্তির বাড়িতে ওঠেন। পরের দিন ১৩ মে ডাক্তার দেখানোর জন্য বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। ১৫ মে বরাহনগরের বাসিন্দা গোপাল বিশ্বাসের হোয়াটস এ্যাপে ম্যাসেজ করে জানান তিনি দিল্লি যাচ্ছেন। ১৬ মে এমপির ব্যক্তিগত গাড়ি চালক তরিকুল ইসলামের ব্যক্তিগত মুঠোফোনেও একটি ম্যাসেজ পাঠিয়ে জানান দিল্লি যাওয়ার কথা। এরপর থেকে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়ে যান আনোয়ারুল আজিম আনার। এরপর থকে পরিবার ও রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। তাকে ফোনে বা কোনো মাধ্যমে না পেয়ে বিষয়টি সরকারের ঊর্ধ্বতন পর্যায়ে জানান উদ্বিগ্ন এমপি পরিবার। এমপি আনোয়ারুল আজিম আনারের সাথে যোগাযোগ করতে না পেরে ১৮ মে থানায় একটি মিসিং ডাইরি করেন এমপি’র পরিচিত ভারতের বরাহনগরের বাসিন্দা গোপাল বিশ্বাস।

আনোয়ারুল আজীম আনার ঝিনাইদহ-৪ আসনের সরকার দলীয় সংসদ সদস্য। তিনি ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালে টানা ৩ বার আওয়াামী লীগ থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। দির্ঘ দশ বছর হলো তিনি এলাকার উন্নয়নে কাজ করছেন। সাংসদ হিসাবে বিভিন্ন সেবামূলক কাজের জন্য তার বেশ সুনাম রয়েছে। ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত নির্বাচনী এলাকার গ্রামে গ্রামে গিয়ে মানুষের সাথে দেখা করে সমস্যা শোনেন ও সমাধান করেন। তিনি চলাচলের সময় কোন পুলিশ প্রটোকল ব্যবহার না করে একা একা চলতে স্বাচ্ছন্দ বোধ করেন। সবথেকে আলোচিত বিষয় তার নির্বাচনী এলাকায় যে কোন ব্যক্তি মারা গেলে তার বাড়িতে যান এবং শোকার্ত পরিবারকে শান্তনা দেন। এমনও হয়েছে তিনি একদিনে ১০ জন মৃত্যু ব্যক্তির বাড়িতে গিয়ে পরিবারের সাথে দেখা করেছেন। এ পর্যন্ত তিনি পাঁচ সহাস্রাধিক মৃতু ব্যক্তির দোয়া অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন। যা দেশের একজন জনপ্রতিনিধি হিসাবে বিরল।

এদিকে বুধবার সকালে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে আনারের খুন হওয়ার খবর আসে। তারপর দুপুরে ঢাকার ধানমন্ডিতে নিজের বাসায় পুলিশ কর্মকর্তাদের নিয়ে বৈঠকে বসেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কামাল। বৈঠক শেষে ব্রিফিংয়ে এসে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, যতটুকু তথ্য তারা পেয়েছেন, তাতে বাংলাদেশের লোকজনই এ হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িত। তিনজনকে গ্রেপ্তার করার পাশাপাশি আরো কয়েকজনকে খোঁজা হচ্ছে।

“আমাদের কাছে যে তথ্য আছে তাতে আনোয়ারুল আজীমকে পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয়েছে। ভারতের পুলিশ আমাদের যে তথ্য দিয়েছে, সে তথ্য অনুযায়ী আমাদের পুলিশ যারা খুন করেছে বা খুনের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল, আমরা যাদের সন্দেহ করছি, তাদের মধ্য থেকে তিনজন অপরাধীকে পুলিশ ধরেছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।

আনারের বন্ধু গোপাল বিশ্বাসও বলেন, তিনি যে জিডি করেছিলেন, তার তদন্ত কর্মকর্তা শুভেন্দু গোস্বামী সকালে তাকে ফোন করে আনারের লাশ উদ্ধার করার কথা জানিয়েছেন।

পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে আমরা যতটুকু খবর পাচ্ছি, সে অনুযায়ী আমরা তদন্ত করছি” আনোয়ারুল আজীম আনার যে এলাকার সংসদ সদস্য ছিলেন, ঝিনাইদহ সীমান্তবর্তী ওই এলাকাটি একটি ‘সন্ত্রাসকবলিত’ এলাকা।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রনন্ত্রী বলেন“আনোয়ারুল আজীম এবারও ওই এলাকার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। চিকিৎসার জন্য যাওয়ার (কলকাতায়) পর ওই ঘটনা ঘটে। আমাদের পুলিশ বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করছে। আমরা শিগগিরই এই খুনের মোটিভ কী ছিল তা আপনাদের জানাতে পারব। ভারতের পুলিশ আমাদের সব ধরনের সহযোগিতা করছে।”

মন্ত্রী আরও বলেন, সংসদ সদস্য আনারের খুন হওয়ার ঘটনায় আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুযায়ী ভারতের পুলিশের সঙ্গে কাজ করছে বাংলাদেশ পুলিশ।
“তদন্ত শেষ হলে আপনাদের সবাইকে জানানো হবে তিনি কেন খুন হয়েছেন, কে কে খুন করেছে, কী ধরনের অস্ত্র দিয়ে খুন হয়েছেন।”

বাংলাদেশের একজন সংসদ সদস্য ভারতে গিয়ে খুন হলেন, এ ঘটনায় দুই দেশের সম্পর্কে ফাটল ধরবে কিনা এমন প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, “ঘটনার পর থেকে ভারত আমাদের সব ধরনের সহযোগিতা করে আসছে। এখানে সম্পর্কে ফাটল ধরার মত কোন কিছু হয়নি। কারণ হত্যায় যুক্তরা সবাই বাংলাদেশি, এখানে কোনো ভারতীয় নেই।”

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে পুলিশের মহাপরিদর্শক চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন এবং ঢাকার পুলিশ কমিশনার হাবিবুর রহমানও ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ব্রিফিংয়ের কিছুক্ষণ পর ঢাকায় গোয়েন্দা পুলিশ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন এমপি আনারের মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডোরিন।

তিনি বলেন, “আপনার সবাই ইতোমধ্যে জেনেছেন যে আমার বাবাকে হত্যা করা হয়ছে, এজন্য আমি ডিবি কার্যালয়ে এসেছি। এই মামলার মোট আসামি ৫ জন, ৩ জনকে ধরেছে। বাকিদের ধরার চেষ্টা করছে। সব বিষয়ে জানতে এবং মামলা করতে এসেছি।”

এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়েছে বলে জানান এমপি’র মেয়ে ডোরিনের, তিনি বলেন, “ডিবির সব কর্মকর্তা আমাদের আশ্বস্ত করেছেন আসামিদের ধরার ব্যাপারে। আন্তরিকতার সঙ্গে তারা সহযোহিতা করছেন। আমি বাবা হত্যার বিচার চাই। খুনিদের শাস্তি দেখতে চাই। প্রকাশ্যে তাদের মৃত্যু দেখতে চাই।”

কাউকে সন্দেহ করছেন কি না এ প্রশ্নে এমপি আনারের মেয়ে বলেন, “আমি চিনি না। কিন্তু তাদের চিনতে চাই। কাউকে আমি সন্দেহ করছি না। কিন্তু খুনিদের পরিচয় জানতে চাই। তারপর আমি আমার সন্দেহের কথা প্রকাশ করব।”




এম এ খালেক দ্বিতীয়বারে গাংনী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত

দ্বিতীয় ধাপে অনুষ্ঠিত ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচনে আনারস প্রতীকে ৩৩ হাজার ৭২৩ ভোটে দ্বিতীবারের মত গাংনী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোখলেছুর রহমান হেলিকপ্টার প্রতীকে পেয়েছেন ২৮ হাজার ২৯৩ ভোট।

ভোট গণনা শেষে গাংনী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচনী অফিসার মোহাম্মদ ওয়ালীউল্লাহ এমএ খালেককে বেসরকারিভাবে উপজেলা চেয়ারম্যান ঘোষণা করেন। এছাড়া অপর প্রার্থী রাশেদুল হক জুয়েল ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ১৫ হাজার ৫৬০ ভোট, বিএনপির বহিস্কৃত প্রার্থী জুলফিকার আলী ভুট্টো কৈ মাছ প্রতীকে পেয়েছেন ৪ হাজার ৯৫৭ ভোট,মোশাররফ হোসেন মোটরসাইকেল প্রতীকে পেয়েছেন মাত্র ৭০৪ ভোট, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট একেএম শফিকুল আলম কাপ পিরিচ প্রতীকে পেয়েছেন ২৮৯ ভোট, লাইলা আরজুমান বানু শিলা দোয়াত কলম প্রতীকে পেয়েছেন ২২৭ ভোট, মুকুল জোয়ার্দার শালিক পাখি প্রতিকে পেয়েছেন ২০১ ভোট।

ভাইসচেয়ারম্যান পদে ফারুক হাসান টিউবওয়েল প্রতীক নিয়ে ৪৭ হাজার ৩৯৮ ভোট পেয়ে প্রথম বারের মত উপজেলা ভাইসচেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী দেলোয়ার হোসেন মিঠু তালা প্রতীকে পেয়েছেন ৩২ হাজার ৬০৪ ভোট, এছাড়া অপর প্রার্থী রেজাউল করিম চশমা প্রতীকে পেয়েছেন ১৬৮২ ভোট। যদিও রেজাউল করিম ভোটের কয়েকদিন আগে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছিলেন।

এছাড়া মহিলা ভাইনসচেয়ারম্যান পদে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন মোছা: নাসিমা খাতুন। তার প্রতিক ছিল ফুটবল। তিনি ভোট পেয়েছেন ৩৫ হাজার ৪০৯ ভোট।

তার নিকটতম প্রার্থী ফারহানা ইয়াসমিন হাঁস প্রতীকে পেয়েছেন ৩২ হাজার ৮৫৭ ভোট ও অপর প্রার্থী আলপনা আক্তার কলস প্রতীকে পেয়েছেন ১২ হাজার ১৫ ভোট।

গাংনী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মোট পোল হয়েছে ৮০ হাজার ২৮১ ভোট। যার শতকরা হার ৩৪.০৪  শতাংশ।

রিটার্নিং কর্মকর্তা সূত্রে জানা গেছে, গাংনী উপজেলাতে মোট ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ৫৮ হাজার ৭৫৪ জন।