গভীর নলকুপ রেখেই এলজিইডির অপরিকল্পিত নির্মাণ কাজ অব্যাহত

চুয়াডাঙ্গা শহরের কেদারগঞ্জ মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান ফটক অপরিকল্পিতভাবে নির্মাণ করা হচ্ছে বলে অভিযাগ পাওয়া গেছে। চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা এলজিইডি এ কাজ বাস্তবায়ন করছে ঠিকই কি ‘অপরিকল্পিত নির্মাণ’ দায় নিতে চাচ্ছেনা উপজেলা প্রকৌশলী।

চুয়াডাঙ্গা এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলীর দপ্তরের তথ্য মতে, চুয়াডাঙ্গা জেলার সরকারী ও বে-সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের উন্নয়ন কাজে ৩টি প্রকল্পের মাধ্যমে চলমান রয়েছে এবং শেষ হয়েও গেছে। চাহিদা ভিত্তিক সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যম ১৭ কোটি ৯৬ লাখ ২৮ হাজার টাকা ব্যয়ে জেলার ৪টি উপজেলায় ৩৬টি প্যাকেজের মধ্যে ৩১টি কাজ শেষ হয়েছে,চলমান রয়েছে আরও ৫টি। চাহিদা ভিত্তিক বে-সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যম ১৬ কোটি ৬ লাখ ২ হাজার ১৪০ টাকা ব্যয়ে ৪টি উপজেলায় ২৩টি প্যাকজের মধ্য ২২টি কাজ শেষ হয়েছে,চলমান রয়েছে ১টি। প্রাথমিক ভবন উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে ৪৬ কোটি ৭৪ লাখ ১৩ হাজার টাকা ব্যয়ে ১৩২টি প্যাকজের মধ্যে ৬৭টি কাজ শেষ হয়েছে,চলমান রয়েছে আরা ৬৫টি কাজ।

প্রাথমিক ভবন উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় শহরের কেদারগঞ্জ মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে চলমান নির্মাণ কাজ অপরিকল্পিতভাবে হচ্ছে বলে অভিযাগ পাওয়া গেছে। নির্মাণাধীন ফটকের যাতায়াতের মাঝখানে জনস্বাস্থ্য প্রকশৌলী অধিদপ্তরের একটি গভীর নলকুপ (তারা ডেভ হেড) রয়েছে। ওই নলকুপটি না সরিয়েই চলছে নির্মাণ কাজ। নলকুপটি না সরিয়ে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে নির্মাণ কাজের অনুমতি দেওয়ায় বিস্ময় প্রকাশ করে, কাজ দেখভাল নিয়েও প্রশ্ন দেখা দিয়েছে জনমনে।
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী আক্তার হোসনকে সরকারী কাজে এমন অবহেলার জন্য দায়ী

করেছে নাম প্রকাশ না করা শর্তে অনকে। এ কাজের প্রাক্কলন করার সময় ফটকের মাঝখানে নলকুপটি বসানো থাকলেও তা কিভাবে নজর এড়ালো তা প্রশবিদ্ধ ? স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, এ কাজটি বিদ্যালয়ের পাশে কেদারগঞ্জপাড়ার ক্ষমতাসীন দলের একজন নেতা করছে। কারনে চোখের সামনে অপরিকল্পিতভাবে কাজটি করলেও তা বলা যাচ্ছেনা। ওই বাসিন্দারা আরও বলেন, প্রকাশ্য শহরের মধ্যে যদি এলজিইডি এ ধরনের কাজ করাতে থাকে, তাহলর যেখানে দেখার কেউ নেই সেখানে এ দপ্তরের প্রকৌশলীরা কাজগুলাে কিভাবে বাস্তবায়ন করে ?

নির্মাণাধীন ফটকের মাঝখানে গভীর নলকুপ বসানো থাকা অবস্থায় কিভাবে কাজ চলছে,এমন প্রশ্নের জবাবর ওই বিদ্যালয়র প্রধান শিক্ষিকা শিরিনা আক্তার বলেন,এ নির্মাণ কাজ চলমান থাকলেও আমাকে কিছুই জানানাে হয়নি। কাজ কিভাবে চলছে তা আমাদের জানা নেই।

এ বিষয় চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী আক্তার হোসেন বলেন, বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা পরিষদের দেখিয়ে দেওয়া স্থানই এলজিইডি কাজের বাস্তবায়ন করে। সে কারনে এ ক্ষেত্রে কিছুই করার নেই। তারা যেখান কাজটি করতে বলেছে সেখানই ফটক নির্মাণ কাজ করা হচ্ছে।

চুয়াডাঙ্গা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ শেখ ফরিদ বলেন, গভীর নলকুপ রেখই ফটক নির্মাণ কাজ অব্যাহত থাকলেও বিদ্যালয় বা এলজিইডির তরফ থেক নলকুপটি সরিয়ে নেয়ার জন্য কোন আবদেন করা হয়নি। আবেদন করলে আমরা যথাযথ ব্যবস্থা নেব।

চুয়াডাঙ্গা এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলম বলেন, বিষয়টি জানা ছিলোনা। এটা সমাধানর ব্যবস্থা গ্রহন করবো।




দর্শনা প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে এমপি টগরকে ফুলেল শুভেচ্ছা

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের দলীয় প্রার্থী ও নৌকার কান্ডারী হওয়ায় দর্শনা প্রেসক্লাব ও সাংবাদিক সমিতির পক্ষ থেকে এমপি হাজী আলী আজগার টগরকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়েছে।

গতকাল মঙ্গলবার সন্ধা সাড়ে ৭ টায় আওয়ামীলীগের দলীয় কার্যলয়ে ফুলেল শুভেচ্ছা প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন দামুড়হুদা উপজেলা চেয়ারম্যান ও দর্শনা পৌর আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আলী মুনছুর বাবু, দর্শনা পৌর মেয়র আতিয়ার রহমান হাবু,দর্শনা প্রেসক্লাবের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম,সাধারন সম্পাদক হানিফ মন্ডল, সাংবাদিক সমিতির সভাপতি ইকরামুল হক পিপুল,সাধারন সম্পাদক আহসান হাবীব মামুন,সাবেক সভাপতি আওয়াল হোসেন,সাবেক সাধারন সম্পাদক ওসমান আলী,তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ওয়াসিম রয়েল।

এ সময় এমপি টগর সাংবাদিদের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন।




চুয়াডাঙ্গায় প্রতারণা চক্রের এক সদস্য আটক

চুয়াডাঙ্গায় প্রতারণা করে টাকা ও স্বর্ণালংকার হাতিয়ে নেওয়া চক্রের এক সদস্য আলমডাঙ্গার আলিফউদ্দিন মোড় থেকে পাকড়াও করেছে এলাকাবাসী।

গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১১ টার দিকে তাকে ধরে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। আটক রানা আহমেদ (৩৭) নারায়ণগঞ্জ জেলার রুপপুর এলাকার আব্দুস সাত্তারের ছেলে।

জানা গেছে,আলমডাঙ্গার বটিয়াপাড়ার কামেনি খাতুন জানান,গত ১ মাস পূর্বে তার মেয়ের চিকিৎসার জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে যাচ্ছিলেন। পথে রানা আহমেদের সাথে পরিচয় হয়। ভুক্তভোগী ওই নারীর মেয়ের চিকিৎসার জন্য মদিনা ক্লিনিকে যাবার পরামর্শ দেয়। এসময় চক্রের অজ্ঞাত আরেক সদস্য পিছন থেকে চেতনা নাশক ঔষধ স্প্রে করে। তার ব্যাগে থাকা নগদ ১০ হাজার টাকা, স্বর্ণের একজোড়া দুল ও চেইনসহ লকেট নিয়ে নিয়ে চম্পট দেয়।

টাকা গহনা খুইয়ে ওই নারী বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন। এরই এক পর্যায়ে গতকাল মঙ্গলবার কামেনি খাতুন সহ কয়েকজন তাদের কাজে আলমডাঙ্গা আসছিলেন। পথিমধ্যে পৌর এলাকার আলিফ উদ্দিন মোড়ে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে চক্রের দুই সদস্যকে চিনে ফেলেন কামেনি খাতুন। তিনি চিৎকার করলে দুইজন দুই দিকে দৌঁড়ে পালিয়ে যাবার চেষ্টা করে। এ সময় স্থানীয়রা রানা আহমেদকে ধরে ফেলে। পরে তাকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। পুলিশ তার স্বীকারোক্তিতে কুষ্টিয়া থেকে চক্রের আরও দুই সদস্যকে আটক করে চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন।




আলমডাঙ্গায় ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি মারমারি মামলায় গ্রেফতার

আলমডাঙ্গা পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি রেজাউল হক তবাকে একটি মারধরের মামলায় গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার দুপুরের তরে নিজ এলাকা থেকে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।

গ্রেফতারকৃত রেজাউল হক তবা পৌর এলাকার গোবিন্দপুর গ্রামের মৃত মকবুল হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে,আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় আলমডাঙ্গা পৌর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে মতবিনিময় সভার আয়োজন করা ওই সভায় রেজাউল হক তবা বক্তব্য রাখছিলেন।

এ বক্তব্য অপত্তিকর দাবী করে তা বন্ধ করতে বলেন পৌর আওয়ামী লীগের যুগ্নসাধারণ সম্পাদক সাইফুর রহমান পিন্টু। একপর্যায়ে দুজনের মধ্যে গালিগালি ও চেয়ার ছোড়াছুঁড়ি শুরু হয়। এসময় চেয়ারের আঘাতে পিন্টুর মাথায় রক্তাক্ত জখম হয়। উপস্থিত নেতা-কর্মীরা পিন্টুকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।

গতকাল সোমবার রাতেই পৌর আওয়ামীলীগের যুগ্নসাধারণ সম্পাদক সাইফুর রহমান পিন্টু বাদি হয়ে আলমডাঙ্গা থানায় মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় আজ মঙ্গলবার দুপুরে ৬ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতিকে তার নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার নাথ জানান, সোমবার রাতে মারামারির ঘটনায় তোবারক হোসেন নামের এক আওয়ামী লীগ নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়। দুপুরে চুয়াডাঙ্গা আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।




চুয়াডাঙ্গা আন্তঃবিভাগ ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা ও পুরষ্কার বিতরণ

চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের আন্তঃবিভাগ ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা ও পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে দশটার সময় চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজ মাঠ প্রাঙ্গণে এ টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়।

চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজ কৃষিশিক্ষা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও আন্তঃবিভাগ ফুটবল টুর্নামেন্টের সভাপতি সহযোগী অধ্যাপক রুহুল আমিন এর সভাপতিত্বে টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড.এ কে এম সাইফুর রশিদ। এ সময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন জয়- পরাজয় মিলেই খেলাধুলা। এটা মেনে নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার মানসিকতা তৈরি করতে অত্যন্ত জরুরী। খেলাধুলা শারীরিক গঠন,মানসিক বিকাশ ও নেতৃত্ব গড়ে তুলতে সহায়তা করে। তাই লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলা একান্তভাবে জরুরী। তিনি বিজয়ী, বিজিত ও খেলায় অংশগ্রহণকারী- সবাইকে অভিনন্দন জানান।

এ সময় তিনি আরও বলেন, আগামী স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে স্মার্ট নাগরিকের পাশাপাশি স্মার্ট খেলোয়াড় দরকার।মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সকল ছাত্র ছাত্রীদের খেলার জন্য আলাদা কিছু ভাবছে। তাই বেশি বেশি খেলার অনুশীলনী করতে হবে। যারা খেলাধুলা করেন, তাঁদের মন ভালো থাকে, তাঁরা শান্তিতে থাকেন। মাদক, সন্ত্রাস ও জঙ্গি তৎপরতা থেকে দূরে থাকেন। এ সময় তিনি চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজ বেশি বেশি সকল প্রকার খেলাধুলা আয়োজন করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন এবং আগামীতে আরও বড় প্রতিসরে খেলা আয়োজনে হবে বলে জানান তিনি। পুরুষ্কার বিতরণ শেষে টুর্নামেন্ট সফল করার জন্য সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষক, রোভার স্কাউটস, রেড ক্রিসেন্ট ও বিএসিসি সদস্য সকলকে আন্তরিকতার সাথে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের নিজস্ব তত্বাবধানে আন্তঃবিভাগ ফুটবল টুর্নামেন্ট শুরু হয়।মোট চারটি গ্রুপে ১৫টি বিভাগের খেলোয়াড়দের অংশগ্রহণ টুর্নামেন্টে প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে। ফাইনাল খেলায় চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের একাদশ- দ্বাদশ বিভাগ ও ব্যবস্থাপনা বিভাগ অংশগ্রহণ করে। নিদিষ্ট সময় শেষে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে ব্যবস্থাপনা বিভাগ। খেলায় একাদশ-দ্বাদশ বিভাগকে ১ গোলে হারাই ব্যবস্থাপনা বিভাগ।

টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা ও পুরষ্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের উপাধাক্ষ্য ফারজানা কেতকী, চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক সফিকুল ইসলাম

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আবু বক্কর সিদ্দিক, বাংলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. আব্দুল আজিজ,সহযোগী অধ্যাপক জাহিদুল হাসান, সহযোগী অধ্যাপক ফরহাদ হোসেন, সহযোগী অধ্যাপক হাফিজুর রহমান, সহযোগী অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন, প্রভাষক ইয়াজিদ হোসেন, প্রভাষক তুষার আহমেদ,প্রভাষক আজিম হোসেন সহ চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের বিভিন্ন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও প্রভাষক বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।




মিরপুর উপজেলা চেয়ারম্যান কামারুল আরেফীনের পদত্যাগ

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কামরুল আরেফিন।

তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। এরআগে প্রাথমিক শিক্ষায় অবদান রাখায় দেশসেরা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত থেকে সম্মাননা লাভ করেন।

কুষ্টিয়া-২ (মিরপুর-ভেড়ামারা) আসনে আওয়ামী লীগ কোনো প্রার্থী দেয়নি। আসনটি এখনও ফাঁকা রাখা হয়েছে। ইনুকে ছাড় দেওয়ার জন্য আসনটি ফাঁকা রাখা হয়েছে বলে মনে করছেন দলটির নেতারা। বিএনপি-জামায়াত না আসায় এবার স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা ইনুকে ছাড় না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

নেতাকর্মীদের মতামত নিয়ে কামরুল আরেফিন স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক মো. এহেতেশাম রেজার কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন তিনি। এরপর বের হয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। এ সময় তার সঙ্গে মিরপুর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যানরা ছাড়াও জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

কামারুল আরেফিন সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি উপজেলা চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ করে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছি। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে কুষ্টিয়ার-২ (মিরপুর-ভেড়ামারা) আসনে নির্বাচন করব এবং এ নির্বাচনে জয়লাভও করব, ইনশাআল্লাহ।’

তিনি বলেন, ‘কুষ্টিয়া-২ আসনটি ফাঁকা রাখা হয়েছে। যদি আমাকে দল নৌকা দেয় তাহলে আমি দলের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করব। আর দল না দিলে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করব। আর সেজন্যই আজ পদত্যাগ করলাম। আমাদের দলের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একটি ঘোষণা দিয়েছেন নির্বাচন উৎসবমুখর ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হতে হবে। তাই আমি উপজেলা চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ করে জনতার কাতারে চলে এসেছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘এই আসনে জাসদ নেতা ইনু সাহেব আওয়ামী লীগের ৮০ ভাগ ভোটের ওপর ভর করে বিগত তিনবার এমপি নির্বাচিত হয়েছেন। এ বছর উনার (ইনুর) ২০ ভাগ ভোট নিয়ে এবার নির্বাচন করতে হবে। তার সময় মিরপুর ভেড়ামারায় আওয়ামী লীগের চারজন নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়েছে। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা তাই তাকে আর এমপি হিসেবে দেখতে চায় না। দুই উপজেলার নেতাকর্মীরা মুখিয়ে আছে আমাকে ভোট দেওয়ার জন্য। দলমত নির্বিশেষে সাধারণ মানুষের নেতা আমি, আমি জনগণের সঙ্গে থাকতে চাই।’

গত তিনটি নির্বাচনে পর পর কুষ্টিয়া-২ আসন থেকে এমপি নির্বাচিত হন জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু। ২০১৪ সালে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়ে তথ্যমন্ত্রী হন তিনি। পরপর তিনটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নৌকা নিয়ে দলটির নেতাকর্মীদের সহযোগিতায় নির্বাচিত হন ইনু।

মিরপুর ও ভেড়ামারায় কামারুল আরেফীনের বিশাল ভোট ব্যাংক রয়েছে। পরপর দুটি উপজেলা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বিপুল ভোটে জয়ী হন তিনি।




গাংনীতে পিএসকেএসের উদ্দ্যোগে কৃষি উপকরণ বিতরণ

মেহেরপুরের গাংনীতে পলাশীপাড়া সমাজ কল্যাণ সমিতি পিএসকেএসের উদ্দ্যোগে নিবিড় পদ্ধতি মাচায় খাসি মোটাতাজা করণ প্রদর্শনীর উপকরণ বিতরণ অনুষ্টান অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) পিএসকেএস সমন্বিত কৃষি ইউনিট ভুক্ত প্রাণিসম্পদ খাতের আওতায় ৮ জন উপকারভোগীর মাঝে এ উপকরণ বিতরণ করা হয়।

এ সময় ৬৮ কেজি পিলেট খাবার,৫০ পিচ ঘাসের কাটিং, মাচা তৈরি বাবদ নগদ ১৮০০ টাকা, ভিটামিন মিনারেল সাপ্লিমেন্ট সহ সাইনবোর্ড ও রেজিষ্টার খাতাও বিতরণ করা হয়।

এ সময় উপকারভোগীদেরকে প্রদর্শনীর লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যসহ কিভাবে এর রক্ষণাবেক্ষন করতে হবে সে সম্পর্কে দিক নির্দেশনা প্রদান করা হয়।

উপকরণ বিতরণের সময় উপস্থিত ছিলেন পিএসকেএস এর সমন্বিত কৃষি ইউনিট ভুক্ত প্রাণিসম্পদ ইউনিটের কর্মকর্তাগন ও সংস্থার অন্যান্য সদস্যবৃন্দ।

উক্ত কার্যক্রমে আর্থিকভাবে সহায়তা করে পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ)।




আলমডাঙ্গায় মোটরসাইকেলের ধাক্কায় কৃষক নিহত

আলমডাঙ্গায় রাস্তা পারাপারের সময় মোটরসাইকেলের ধাক্কায় আয়ুব আলী (৬০) নামের একজন কৃষক নিহত হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে আলমডাঙ্গা-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক সড়কের জগন্নাথপুর এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থলে তার মৃত্যু হয়েছে।

এ দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন মোটরসাইকেলচালক মাহবুব আলম (৩৮)। তিনি উপজেলার খাদেমপুর ইউনিয়নের বটিয়াপাড়া এলাকার আনিসুজ্জামানের ছেলে।

স্থানীয়–পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার সকালে আয়ুব আলী মাঠে কৃষি কাজ করে বাড়ির উদ্দেশ্যে তিনি আলমডাঙ্গা-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক সড়ক পার হচ্ছিলেন। এ সময় আলমডাঙ্গা থেকে কুষ্টিয়ামুখী একটি মোটরসাইকেল তাঁকে ধাক্কা দেয়। এতে তিনি ও মোটরসাইকেলচালক সড়কের ওপর ছিটকে পড়েন। এ সময় কৃষক আয়ুব আলী ঘটনাস্থলে মারা যান। আশপাশের লোকজন মোটরসাইকেল চালককে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে ভর্তি করেন।

আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বিপ্লব কুমার নাথ জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। সুরতহাল রিপোর্ট সংগ্রহ করা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।




জীবননগরে আনন্দ মিছিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হাজী মোঃ আলী আজগার টগর চুয়াডাঙ্গা-২ (জীবননগর-দামুড়হুদা) আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাওয়ায় জীবননগরে আনন্দ মিছিল, মোটরসাইকেল শোডাউন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৩টার সময় জীবননগর পৌর আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা জীবননগর উপজেলার হাসাদহ বাজার থেকে একটি আনন্দ মিছিল বের করেন।

মিছিলটি হাসাদহ বাজার থেকে শুরু হয়ে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে জীবননগর বাসষ্ট্রান্ড চত্বরে এসে শেষ হয়। এরপর জীবননগর মুক্ত মঞ্জে উপজেলা সদরে দলীয় নেতা-কর্মী ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সাথে মতবিনিময় করেন এমপি টগর ।

এ সময় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি গোলাম মোতুজা,জীবননগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান,দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলী মুনসুর বাবু,জীবননগর পৌর সভার মেয়র রফিকুল ইসলাম,দশনা পৌর সভার মেয়র আতিয়ার রহমান হাবু,জীবননগর পৌর আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ও সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম,উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আঃ সালাম ঈশা ,মনোহরপুরইউপি চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন খান,বাকা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল কাদের প্রধান,উথলী ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল হান্নান,কে,ডি,কে ইউপি চেয়ারম্যান খাইরুল বাশার শিপলুসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের নেতাকমিগন উপস্থিত ছিলেন।

জীবননগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি গোলাম মোতুজা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা পুনরায় চুয়াডাঙ্গা -২ আসনের যোগ্য প্রাথী হাজী আলী আজগার টগরকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়ায় আমরা আনন্দিত। হাজী আলী আজগার টগর এই আসন থেকে যতবার নির্বাচন করেছেন, ততবারই বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছেন। তাঁর বিপক্ষে যাঁরা নির্বাচন করেছেন, তাঁরা সবাই জামানাত হারিয়েছেন। আশা করছি আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আলী আজগার টগরের বিপক্ষে এখানে কোনো দল থেকে কেউ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলে তিনিও জামানাত হারাবেন।’

চুয়াডাঙ্গা-২ আসনে আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রাথী হাজী আলী আজগার টগর বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে যোগ্য মনে করে আবারও মনোনয়ন দিয়েছে এ নিয়ে আমি পাচবার জাতীয় সংসদ সদস্য হিসাবে নির্বাচনে অংশগ্রহন করবো এর আগেও এই আসন থেকে আমি ৪বার বিজয় লাভ করেছি আশাকরি এবারও জয়লাভ করবো । তিনি আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আশার পর তিনার দেওয়া নিদেশনা মতে আমি আমার এলাকায় ব্যাপক উন্নয়নমূলক কাজ করেছি এবং আগামি নিবাচনে নিবাচিত হয়ে আমার নিবাচনী এলাকায় যে সমস্থ উন্নয়নমূলক কাজ এখনও সমাপ্ত হয়নি সেগুলো সমাপ্ত করবো ।




চুয়াডাঙ্গার দর্শনা সীমান্তে ৯৬টি স্বর্ণের বার উদ্ধার, আটক ১

চুয়াডাঙ্গার দর্শনা থানাধীন সুলতানপুর সীমান্ত থেকে প্রায় ১৬ কেজি ১৪ গ্রাম ওজনের ছোট-বড় ৯৬টি স্বর্ণের বারসহ নাজমুল ইসলাম(৩১) নামের এক চোরাকারবারিকে আটক করেছে চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবি।

আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলার সীমান্তবর্তী দর্শনা কার্পাসডাঙ্গা সড়কের রুদ্রনগর গ্রামের পাকা রাস্তার উপর মোটরসাইকেলসহ তাকে আটক করে। আটককৃত চোরাকারবারি দর্শনা পৌরসভার শ্যামপুর গ্রামের আশাদুল হকের ছেলে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবির অধিনায়ক লেঃ কর্নেল সাঈদ মোহাম্মদ জাহিদুর রহমান, পিএসসি।

চুয়াডাঙ্গা ৬ বিজিবির অধিনায়ক লেঃ কর্নেল সাঈদ মোহাম্মদ জাহিদুর রহমান, পিএসসি বলেন গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জানতে পারি দর্শনা সুলতানপুর সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশ থেকে ভারতে স্বর্নের বার পাচার হবে। খবর পেয়ে সুলতানপুর ক্যাম্পের বিশেষ টহল দল সুলতানপুর বিওপি’র টহল কমান্ডার হাবিলদার মোঃ আব্দুল হাকিম সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে সীমান্ত পিলার ৭৭/২-এস হতে আনুমানিক ০২ কিঃ মিঃ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে দর্শনা- রুদ্রনগর মুজিবনগর সড়কের পাঁকা রাস্তায় টহল করে।এসময় একজন অজ্ঞাত ব্যক্তি ঐ এলাকা দিয়ে সীমান্তের দিকে যাওয়ার প্রাক্কালে বিজিবি সশস্ত্র টহল দলের উপস্থিতি টেরপেয়ে মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে।

এ সময় সুলতানপুর ক্যাম্পের কমান্ডার হাবিলদার মোঃ আব্দুল হাকিম সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে নাজমুল ইসলামকে আটক করে। প্রথম পর্যায়ে স্বীকার না করায় তাকে আটক করে সুলতান কম্পে নিয়ে যায়।পরে তার স্বীকারোক্তিতে অভিনব কায়দায় মোটরসাইকেলের সীটের নীচে ও সাইড কোভারের ভিতর থেকে ছোট বড় ৯৬ টি স্বর্নের বার উদ্ধার করে।আটক এসব স্বর্নের বারের আনুমানিক বাজার মৃল্যে ১৬ কোটি ১৫ লাখ টাকা।বিজিবি এসব বারগুলি দিয়ে ডিসপ্লে করে ৬ বিজিবি লিখছে।

আটককৃত আসামীর বিরুদ্ধে দর্শনা থানায় সুলতানপুর বিওপি’র টহল কমান্ডার হাবিলদার মোঃ আব্দুল হাকিম বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন এবং সোনার বারগুলো চুয়াডাঙ্গা ট্রেজারি অফিসে জমা দেওয়ার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।