মুজিবনগরে ট্রলি চাপায় পিষ্ট হয়ে প্রাণ হারালেন কৃষক

মেহেরপুরের মুজিবনগরে শ্যালো ইঞ্জিন চালিত অবৈধ ট্রলির চাকায় পিষ্ট হয়ে ওয়াজেদ আলী (৬০) নামের এক কৃষক নিহত হয়েছেন।

রবিবার সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত ওয়াজেদ আলী মুজিবনগর উপজেলার দারিয়াপুর পুকুর পাড়ার মৃত আবদুল্লাহ’র ছেলে। ট্রলিচালক আজিজুলও একই গ্রামের বাসিন্দা।

স্থানীয়রা জানান, দারিয়াপুর বিজিবি ক্যাম্প সড়কে কৃষক ওয়াজেদ নিজের জমি ধান মাড়াই শেষে সড়কে তুলছিলেন। এসময় পেছন দিক তারই প্রতিবেশী আজিজুল ইসলাম ট্রলি নিয়ে তার জমিতে যাচ্ছিলেন। ট্রলিচালক নিয়ন্ত্রণ হারালে ট্রলিটি ওয়াজেদকে ধাক্কা দেয়। এতে সড়কে ছিটকে পড়ে গুরতর জখম হন ওয়াজেদ। তাকে উদ্ধার করে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক নাজমুস সাকিব তাকে মৃত ঘোষনা করেন।

চিকিৎসক নাজমুস সাকিব বলেন, তিনি মাথায় আঘাত প্রাপ্ত হয়েছিলেন। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে হাসপাতালে পৌছানোর আগেই তিনি মারা গেছেন।
মুজিবনগর থানার ওসি মেহেদী রাসেল বলেন, এ ঘটনা শুনেছি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।




আপিল খারিজ, ১৩ বছরের কারাদণ্ড বহাল পপ তারকার

চীনা বংশোদ্ভূত কানাডিয়ান পপ তারকা ক্রিস উ। গত বছরের নভেম্বরে ধর্ষণসহ একাধিক মামলায় তার ১৩ বছরের কারাদণ্ডের রায় দিয়েছিলেন চীনের এক আদালত। এই রায়ের বিপরীতে আপিল করেও রেহায় পাননি এই পপ তারকা।

গত শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) তার আপিল খারিজ করে চীনের আরেক আদালত। খবর রয়টার্স।

চীনের ১৮ বছর বয়সী এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগে ২০২১ সালে ক্রিসকে গ্রেপ্তার করে চীনা পুলিশ। অভিযোগকারী তরুণী জানায়, ক্রিস উর সঙ্গে তার পরিচয় হওয়ার পর তিনি তাকে এক পার্টিতে আমন্ত্রণ জানান। সেখানে ক্রিস তাকে জোর করে মদ্যপান করান এবং পরে তাকে যৌন নির্যাতন করেন। ওই তরুণী আরও জানায়, ক্রিস বিভিন্ন সুবিধার প্রতিশ্রুতি দিয়ে নারীদের ফাঁসিয়ে তাঁদের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করেন। এসব নারীদের অনেকেই অপ্রাপ্তবয়স্ক।

এরপর তাঁর বিরুদ্ধে আরও কয়েকটি ধর্ষণের অভিযোগ প্রকাশ্যে আসে। এর মধ্যে তদন্তে ২০১৮ সালে ও ২০২০ সালেও একাধিক নারীকে ধর্ষণের প্রমাণ পান আদালত। এক বিবৃতিতে আদালত জানিয়েছে, ‘নারীদের সম্মতি ছাড়াই মদ্যপ অবস্থায় সঙ্গে যৌন সম্পর্ক করেছেন; এটি ধর্ষণ। এর মধ্যে অনেক অপ্রাপ্ত বয়স্ক নারীও রয়েছে।’ যদিও সেই নারীরা অপ্রাপ্ত বয়স্ক ছিল না বলে দাবি করেছে ক্রিস।

২০১২ সালের ৮ এপ্রিল কোরীয় ব্যান্ড এক্সোতে যোগ দেন ক্রিস উ। এই ব্যান্ড তাঁকে এনে দিয়েছিল খ্যাতি। ২০১৪ সালে একক ক্যারিয়ার গড়ার লক্ষ্যে ব্যান্ড ছেড়ে চীনে চলে আসেন ক্রিস উ। এখানে এসে গায়ক, অভিনেতা, মডেল হিসেবেও সফল ছিলেন ক্রিস উ। তিনি হলিউডের সিনেমায়ও অভিনয় করেছেন, মডেল হিসেবেও পরিচিতি রয়েছে তাঁর।

সূত্র: ইত্তেফাক




মালদ্বীপের ক্লাব ঢাকায়

এএফসি কাপের গ্রুপ পর্বের ফিরতি ম্যাচ খেলতে ঢাকায় এসেছে মালদ্বীপের মাজিয়া স্পোর্টস অ্যান্ড রিক্রিয়েশেন। দুই দিন আগেই এসেছে মাজিয়া। অনুশীলনও শুরু করেছে তারা। খেলা আগামীকাল। বসুন্ধরা কিংসের বিপক্ষে। কিংসের মাঠে সন্ধ্যা ৬টায় শুরু হবে খেলা। গত ১৯ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত এই দুই দলের প্রথম খেলায় মালদ্বীপে গিয়ে হেরে এসেছিল কিংস। ৩-১ গোলে। এবার প্রতিশোধ নিতে এসেছে মাজিয়া।

এএফসি কাপের অভিযান হার দিয়ে শুরু করেছিল বসুন্ধরা কিংস। পায়ে পায়ে বলের দখল রেখেও শেষ পর্যন্ত মালদ্বীপের মাজিয়া স্পোর্টস অ্যান্ড রিক্রিয়েশন ক্লাবের বিপক্ষে বসুন্ধরা কিংসের হারের কথা এত সহজেই ভুলে যাওয়ার কথা না। পরবর্তী রাউন্ডে খেলতে হলে মাজিয়ার বিপক্ষে ম্যাচটি কিংসের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আগের ম্যাচের দুঃস্বপ্ন ভুলে এবার ভালো ফুটবল খেলার প্রত্যয় রবসন রবিনহো, বিশ্বনাথ ঘোষদের। প্রতিশোধের নেশায় নিশ্চয় এবার মাঠে নামবেন অস্কার ব্রুজনের দল। মাজিয়ার বিপক্ষে হারের সেই ম্যাচের পর অবশ্য বসুন্ধরা কিংস ঘরের মাঠে ওড়িশা এফসি ও মোহনবাগানের বিপক্ষে জয় পেয়েছিল।

জয়ের ধারা ধরে রাখার মিশনে আগামী সোমবার বসুন্ধরা কিংস মুখোমুখি হবে সেই মাজিয়ার। জাতীয় ফুটবল দলের ব্যস্ততা শেষে এবার আন্তর্জাতিক ক্লাবের সূচি শুরু হচ্ছে। ক্লাব ফুটবলে এএফসি কাপের অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলতে গত শুক্রবার রাতে ঢাকায় পৌঁছেছে মালদ্বীপের মাজিয়া ক্লাব। গতকাল শনিবার বিকালে আর্মি-পুলিশ ব্যাটালিয়ন ফিল্ডে সফরকারী দল অনুশীলন করেছে। এএফসি কাপে চার ম্যাচ শেষে সমান ৭ পয়েন্ট মোহনবাগান ও বসুন্ধরা কিংসের। কিংস মোহনবাগানকে হারানোয় হেড টু হেডে টেবিলের শীর্ষে রয়েছে। বসুন্ধরা কিংস ও মোহনবাগান উভয়ই পরের দুই ম্যাচ জিতলে হেড টু হেডে এগিয়ে থাকায় কিংস পরবর্তী রাউন্ডে খেলবে।

সূত্র: ইত্তেফাক




সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ বঙ্গবন্ধু আওয়ামী পরিষদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা

উৎসবমূখর পরিবেশে চুয়াডাঙ্গা জেলা আইনজীবী সমিতির বার্ষিক নির্বাচন-২০২৪ অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনে ১৫ টি পদের মধ্যে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ১২ টি পদে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্যানেল নিরংকুশ বিজয়লাভ করেছে। একটি সম্পাদক পদসহ ৩টি পদে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য পরিষদ জয়লাভ করেছে।

গতকাল শনিবার রাত সাড়ে ৭টায় জেলা আইনজীবী সমিতি ভবনে ভোট গণনা শেষে নির্বাচন পরিচালনা উপ-পরিষদের আহ্বায়ক অ্যাড. মো. শাহ আলম ফলাফল ঘোষনা করেন। এসময় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির দুই সদস্য অ্যাড. তসলিম উদ্দিন ফিরোজ ও অ্যাড. মাসুদ পারভেজ রাসেল উপস্থিত ছিলেন।

নির্বাচনে সভাপতি পদে মহ. শামসুজ্জোহা ৮২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি আব্দুল খালেক ৭১ ভোট ও সৈয়দ হেদায়েত হোসেন আসলাম ৩৯ ভোট পেয়ে পরাজিত হয়েছেন। সাধারণ সম্পাদক পদে তালিম হোসেন ৬৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি ফজলে রাব্বী সাগর ৬৩ ভোট ও আহসান আলী ৬০ ভোট পেয়ে পরাজিত হয়েছেন।

চুয়াডাঙ্গা জেলা আইনজীবী সমিতি নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ ও সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদের মনোনীত সভাপতি প্রার্থী মহ. শামসুজ্জোহা, সহ-সভাপতি পদে আকসিজুল ইসলাম রতন ও কাইজার হোসেন জোয়াদ্দার্র শিল্পী, সাধারণ সম্পাদক পদে তালিম হোসেন, যুগ্ম-সম্পাদক পদে নাসির উদ্দিন-২ ও ছরোয়ার হোসেন, কোষাদ্যক্ষ পদে রবিউল হক রবি, ক্রীড়া ও সাহিত্য সম্পাদক পদে মাসুদুর রহমান রানা এবং কার্যনির্বাহী সদস্য পদে নজরুল ইসলাম বকুল, মফিজুর রহমান মফিজ, আব্দুল জব্বার ও শরিফুল ইসলাম-১ নির্বাচিত হয়েছেন।

অপরদিকে, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য পরিষদের মনোনীত প্রার্থী গ্রন্থাগার সম্পাদক পদে মশিউর রহমান পারভেজ, কার্যনির্বাহী সদস্য পদে মাসুদুর রহমান ও সৈয়দ ফারুক উদ্দিন আহম্মেদ নির্বাচিত হয়েছেন। গতকাল শনিবার সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২ টা পর্যন্ত ভোটগ্রহন শেষে ভোট গণনা শুরু হয়। নির্বাচনে ২০৭ জন ভোটারের মধ্যে ১৯৬ জন ভোটার ভোট প্রদান করেন। নবনির্বাচিত কমিটি ২০২৪ সালের ১ জানুয়ারি থেকে দায়িত্ব পালন করবেন।




গাংনীতে মোবাইল সার্ভিসিং এর আড়ালে ব্ল্যাকমেইলের অভিযোগ

মেহেরপুরের গাংনী বাজারের কাথুলী মোড়ে চপল মোবাইল সেন্টারে একটি মোবাইল সারাতে করতে দেন এক গৃহবধূ। পরে সেই মোবাইল থেকে গৃহবধূর ব্যক্তিগত একান্ত মুহূর্তের ছবি সরিয়ে বিভিন্ন কুপ্রস্তাব ও হুমকি দেয় মোবাইল সেন্টারের মালিক।

গতকাল শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এ ঘটনায় মেহেরপুরের গাংনী থানা পুলিশ দুজনকে আটক করলেও গভীর রাতে তাদের ছেড়ে দেয়। এতে ভুক্তভোগী গৃহবধূ ও তার পরিবারসহ বিভিন্ন মহলে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। তবে পুলিশ বলছে আটকদের বিরুদ্ধে আইন বহির্ভূত কিছু না পাওয়ায় তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

ভুক্তভোগীর পরিবার সুত্রে জানা গেছে, মাস দুয়েক আগে গাংনী বাজারের কাথুলী মোড়ে চপল মোবাইল সেন্টারে একটি মোবাইল মেরামত করতে দেন ওই গৃহবধূ। সে সময় তাকে ঘণ্টাখানেক সময় লাগবে বলে জানান দোকান কর্মচারী সাইফ উদ্দীন। পরে ফোনটি গৃহবধূকে দিয়ে দেয় সে। গত পাঁচ দিন আগে গৃহবধূর ছবি দিয়ে নাবিল নামের একটি ফেসবুক আইডি খুলে ওই গৃহবধূর কাছেই ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠানো হয়। ভুক্তভোগী গৃহবধূ কিছু বুঝে উঠতে না পেরে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট একসেপ্ট করেন। পরে নাবিল নামের আইডি থেকে ওই গৃহবধূর মেসেঞ্জারে তার স্বামীর সাথে থাকা অন্তরঙ্গ মুহূর্তের কিছু ছবি পাঠায় ও কুপ্রস্তাব দেয়। প্রস্তাব না মানলে সোশ্যাল মিডিয়ায় এসব ছবি ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকিও দেয়।

বিষয়টি ভুক্তভোগী তার পরিবারকে জানালে তারা মেহেরপুর জেলা পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইউনিটে যান এবং গাংনী থানায় একটি জিডি করেন।

বিষয়টি জানাজানি হলে গৃহবধূর পক্ষের লোকজন ফুঁসে ওঠে। বিভিন্নভাবে খোঁজ নিয়ে ও ঘটনা পর্যালোচনা করে ওই গৃহবধূর পরিবার গতকাল শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) সন্ধ্যা রাতে চপল মোবাইল সেন্টারের মালিক চপল ও কর্মচারী সাইফকে প্রমাণসহ হাতে নাতে ধরতে সক্ষম হয়। এ সময় উভয়পক্ষ বাক-বিতণ্ডতায় জড়িয়ে পড়লে গাংনী বাজার কমিটির লোকজন চপল ও তার কর্মচারী সাইফ উদ্দীনকে বাজার কমিটির অফিসে নিয়ে পুলিশে খবর দেন। পুলিশ দুজনকে আটক করে থানায় নিয়ে গেলেও গভীর রাতে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।

গৃহবধূর স্বামী জানান, আমার স্ত্রীকে ভয়েজ কলে রাতে গোপনালাপ করার প্রস্তাব দেওয়া হতো এবং কথা না বললে তার ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হতো। এসব ভয়েজ রেকর্ড ও ভুয়া ফেসবুক আইডি পুলিশকে দেওয়া হয়। সেই সাথে গত শুক্রবার রাতেই মামলা করার জন্য একটি অভিযোগ দেওয়া হয়। কিন্তু অভিযোগ আমলে না নিয়ে আটকদের ছেড়ে দেওয়া হয়। এখন গোটা পরিবারই হুমকির মুখে।

বিষয়টি নিয়ে গাংনী থানার ওসি (তদন্ত) মনোজিৎ কুমার নন্দী বলেন, অভিযোগকারী যে আবেদন ও ধারা উল্লেখ করেছেন সেটি পর্নোগ্রাফি আইন। কিন্তু আটকদের অপরাধ ওই আইনে নয়। এদের কাছ থেকে তেমন কোনো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডর প্রমাণও মেলেনি। তাই ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তবে গৃহবধূর পক্ষ থেকে যে জিডি করা হয়েছে তা তদন্ত করে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

গাংনী থানার অফিসার ইনচার্জ তাজুল ইসলাম বলেন, আটককৃতদের ছেড়ে দেয়া হলেও, গৃহবধূর জিডি’র তদন্ত করা হচ্ছে। কারও সম্পৃক্ততা পাওয়া গেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।




মেহেরপুরে কৃষি সচিবের ব্যস্ততম দিন পার

মেহেরপুরে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে মাঠ দিবস ও কৃষক সমাবেশে এসে ব্যস্ত দিন পার করেছেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ওয়াহিদা আক্তার।

মেহেরপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্যোগে মেহেরপুরে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে মেহেরপুর সদর উপজেলার ৫ শত কৃষকদের নিয়ে মাঠ দিবস ও কৃষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ শনিবার (২৫ নভেম্বর) দুপুরে মেহেরপুর সদর উপজেলার ইছাখালীতে এই মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কৃষিবিদ বাদল চন্দ্র বিশ্বাসের সভাপতিত্বে ও মেহেরপুর সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আলমগীর হোসেনের সঞ্চালনায় মাঠ দিবস ও কৃষক সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ওয়াহিদা আক্তার।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মাহাবুবুল পাটোয়ারী, যুগ্ম সচিব এনামুল হক, মেহেরপুরের জেলা প্রশাসক মোঃ শামীম হাসান, কৃষি তথ্য সার্ভিসের পরিচালক ড. সুজিত সাহা রায়, কৃষি বিপনণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সিফাত মেহেনাজ, প্রকল্প পরিচালক ড. মেহেদী মাসুদ,ঝিনাইদহ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আজগর আলী,কুষ্টিয়া জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক ড.হায়াত মাহমুদ, মাগুরা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক সুফি মোহাম্মদ রফিকুজ্জামান, চুয়াডাঙ্গা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক বিভাস চন্দ্র সাহা, কন্দাল ফসল উন্নয়ন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মোখলেসুর রহমান প্রমুখ।

মাঠ দিবসে অংশ নেয়ার আগে তিনি মেহেরপুর সদর উপজেলার রাজনগরে কন্দাল ফসল উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় আলুর প্রদর্শনী প্লট পরিদর্শন করেছেন।

এর আগে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ওয়াহিদা আক্তার মেহেরপুর সদর উপজেলা পরিষদ পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি সদর উপজেলা পরিষদের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে রাখেন।

উল্লেখ্য, সচিব ওয়াহিদা আক্তার ২০০৮-২০০৯ সালে মেহেরপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসাবে কর্মরত ছিলেন।




কার্পাসডাঙ্গায় কবি কাজী নজরুলের গানের সুর বিকৃত প্রতিবাদে মানববন্ধন

চুয়াডাঙ্গা শহীদ হাসান চত্বওে আজ শনিবার বিকাল সাড়ে তিনটার সময় কার্পাসডাঙ্গা নজরুল স্মৃতি সংসদের উদ্যোগে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের বিখ্যাত গান “কারার ঐ লৌহ কপাট” এর সুর বিকৃত করার প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন কার্পাসডাঙ্গা নজরুল স্মৃতি সংসদের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম।

প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা সাহিত্য পরিষদের সভাপতি কবি নজমুল হেলাল, প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা সাহিত্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নজির আহমেদ, শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন চুয়াডাঙ্গা সাহিত্য পরিষদের সহ সাধারণ সম্পাদক সুমন ইকবাল এবং বাঁশরীর চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার নজরুল সঙ্গীত প্রশিক্ষক নিশাত শারমিন সোনিয়া।

মানববন্ধনে প্রধান অতিথি বক্তব্য বলেন, ভারতীয় বলিউড চলচিত্র পিপ্পা সিনেমায় জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের সুর বিকৃত করেছেন ভারতীয় সঙ্গীত সুরকার এ আর রহমান। যা আমাদের সংস্কৃতির প্রতি তীব্র অবমাননা এবং কবির প্রতি অসম্মানের শামিল। গানটি ইউটিউব চ্যানেল এবং পিপ্পা সিনেমা থেকে দ্রূত অপসারণ করতে হবে এবং আদি সুরে গানটি বহাল করতে হবে।যদি না করা হয় তবে সামনে বৃহৎ কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। এই ব্যাপারে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আর্কষণ করেন।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন তবলা শিল্পী নাসির উদ্দীন,চুয়াডাঙ্গা বন্ধু ফাউন্ডেশনের এরিয়া ম্যানেজার আরব বিল্লাহ সহ বন্ধু ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তাবৃন্দ,কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন কিশোর-কিশোরীর ক্লাবের ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ, হোগলডাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারি প্রধান শিক্ষক তানভীর রহমান লিঙ্কন, চুয়াডাঙ্গা জেলা বাউল কল্যাণ সংস্থার সভাপতি নওয়াব আলী শাহ,আশরাফুল মিঠুন,বিল্লাল, এস এম সেলিম, সংলাপ সাংস্কৃতিক গোষ্ঠির সাধারণ সম্পাদক আহসান খান, নুর আলম, জয়নাল আবেদিন, আব্দুল গনি, দৌলত বিশ্বাস, কুদ্দুস, কার্পাসডাঙ্গা ডিগ্রি কলেজের রোভার স্কাউট হাবিব সহ তার দল।

মানববন্ধনে কার্পাসডাঙ্গা নজরুল স্মৃতি সংসদের সাথে একাত্মতা ঘোষণা করেন চুয়াডাঙ্গা সাহিত্য, সংলাপ সাংস্কৃতিক গোষ্ঠী, বাঁশরী এবং চুয়াডাঙ্গা বন্ধু ফাউন্ডেশন।




রপ্তানিতে সরকারি প্রণোদনা ঔষধ শিল্পকে এগিয়েছে

ঔষধ শিল্প বর্তমানে বাংলাদেশের একটি দ্রুত বিকাশমান শিল্পখাত। স্বাধীনতা অর্জনের পর বাংলাদেশের ঔষধ শিল্প মূলত আমদানীর উপর নির্ভরশীল ছিল। যার ফলে উচ্চ মূল্যে ঔষধ ক্রয় করতে হত।

বাংলাদেশে বর্তমানে দেশের চাহিদার প্রায় ৯৮% ঔষধ দেশে উৎপাদিত হয় এবং শুধুমাত্র দেশে উচ্চ প্রযুক্তির ঔষধ প্রোডাক্ট আমদানি করা হয়। বাংলাদেশ ইতোমধ্যে ঔষধ আমদানীকারক দেশ হতে রপ্তানিকারক দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে এবং সারা বিশ্বে সুনাম অর্জন করেছে।

বাংলাদেশের ৫৪টি ঔষধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান বর্তমানে বিভিন্ন প্রকারের ঔষধ ও ঔষধের কাঁচামাল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, রাশিয়া, ফ্রান্স, জার্মানী, অস্ট্রেলিয়া, জাপান, সুইজারল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, কানাডা সহ ১৫৭টি দেশে রপ্তানি করছে।

সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ ও সার্বিক সহযোগিতায় ঔষধ রপ্তানির পরিমাণ উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাংলাদেশ হতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ম্যালেরিয়া, টিউবারকুলোসিস, ক্যান্সার, লেপ্রোসি-সংক্রান্ত; পেনিসিলিন এবং স্ট্রেপটোমাইসিন সহ অন্যান্য ঔষধ রপ্তানি করা হয়ে থাকে।

সাম্প্রতিক বৈশ্বিক মহামারীতে বাংলাদেশের ঔষধ কোম্পানীগুলো অন্তত ৩০ কোটি মূল্যের এন্টিকোভিড মেডিসিন দক্ষিণ এশিয়া, ল্যাটিন আমেরিকা, আফ্রিকার দেশসমূহ সহ অন্যান্য দেশে রপ্তানি করেছে।

বিগত ৫ বছরের ঔষধ রপ্তানীর তথ্য—২০১৮ সালে ১১৩ দেশে রপ্তানীর পরিমাণ ছিল ৩৫১৪.৩ কোটি, ২০১৯ সালে ১৪০ দেশে রপ্তানীর পরিমাণ ছিল ৪০৯০.৯ কোটি ২০২০ সালে ১৪৬ দেশে রপ্তানীর পরিমাণ ছিল ৪১৫৫.৪ কোটি,২০২১ সালে ১৪৮ দেশে রপ্তানীর পরিমাণ ছিল ৬৫৭৫.৮ কোটি, ২০২২ সালে ১৫৭ দেশে রপ্তানীর পরিমাণ ছিল ৬৬৩৭.৭ কোটি টাকা [তথ্যসূত্র : ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের বার্ষিক প্রতিবেদন]

ঔষধ রপ্তানি বৃদ্ধির অন্যতম কারণসমূহ হিসেবে আছে প্রথমত, ঔষধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানগুলো কর্তৃক GMP Compliance অনুসরণ করে মানসম্পন্ন ঔষধ তৈরী করা। যার ফলে দেশের অনেক প্রতিষ্ঠানকে উন্নত বিশ্বের Stringent Regulatory Authority যেমন USFDA, UKMHRA, TGA (অস্ট্রেলিয়া) ইত্যাদি স্বীকৃতি প্রদান করেছে।
দ্বিতীয়ত, সরকার কর্তৃক ঔষধ রপ্তানি বান্ধব নীতি গ্রহন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্ব বাজারে বাংলাদেশের ওষুধ শিল্পকে মর্যাদার আসনে প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্যে ২০১৮ সালের জন্য কাঁচামালসহ ওষুধকে ‘প্রোডাক্ট অফ দি ইয়ার’ ঘোষণা করেন।

২০১৯ সাল হতে ঔষধ রপ্তানিতে সরকার কর্তৃক ১০% নগদ প্রণোদনা প্রদান ও সেবা সহজীকরণ ঔষধ রপ্তানিকে আরও গতিশীল করেছে। এছাড়াও সরকার ইতোমধ্যে ২০২৩-২০২৪ অর্থবছর থেকে দেশে উৎপাদিত ঔষধ কাঁচামাল (এ পি আই) রপ্তানিতে ২০% নগদ প্রণোদনা প্রদান করেছে।
তৃতীয়ত, বৈশ্বিক মহামারীতে আমদানীকারক দেশগুলোর ঔষধের চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় কিছু ঔষধ যেমন এন্টিকোভিড ঔষধ অধিক পরিমানে রপ্তানি করা হয়েছে। একইসাথে বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস এবং বাংলাদেশ ঔষধ শিল্প সমিতির সাথে যৌথভাবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশ ফার্মাসিউটিক্যালস মেলা, সেমিনার আয়োজন এবং অন্যান্য উদ্যোগ গ্রহণ করার মাধ্যমে বাংলাদেশের ঔষধকে প্রচার করা হচ্ছে।

এছাড়া বাংলাদেশের ওষুধ নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর একটি কার্যকর নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা হিসেবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার স্বীকৃতি পেলে বাংলাদেশের ঔষধ রপ্তানি বহুগুণে বৃদ্ধি পাবে।

বর্তমান সরকারের উদ্যোগে আধুনিক মেশিনারীজ স্থাপণ ও অবকাঠামো উন্নয়নসহ ন্যাশনাল কন্ট্রোল ল্যাবরোটরীকে আধুনিকায়ন করা হয়েছে। এ আধুনিকায়নের ফলে সকল প্রকার ঔষধের পরীক্ষা ও বিশ্লেষণের জন্য ল্যাবরেটরীর সক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে।

উক্ত ল্যাবরেটরী কর্তৃক প্রদানকৃত সনদের গ্রহণযোগ্যতা আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং বিভিন্ন দেশের রেগুলেটরী অথরিটির নিকট গ্রহণযোগ্য হবে। এর ফলশ্রুতিতে আন্তর্জাতিক বাজারে বাংলাদেশের ঔষধের উপর আস্থা বৃদ্ধি পাবে, রেগুলেটেড মার্কেটে বাংলাদেশের ঔষধের বাজার প্রসারিত হবে এবং ঔষধ রপ্তানি বহুগুণ বৃদ্ধি পাবে।

সর্বোপরি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বে, ঔষধ রপ্তানি খাত বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা ও বাংলাদেশ থেকে ওষুধ আমদানিকারক দেশগুলোর ডলার সংকটের মতো সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে উঠেছে।

আশা করা যায়, এ পি আই উৎপাদনে পূর্ণ সক্ষমতা, রেগুলেটেড মার্কেটের উপর মনোযোগ, বায়োলজিকস উৎপাদন এবং উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করলে অচিরেই ঔষধ রপ্তানি বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান রপ্তানি খাতে পরিণত হবে।

লেখক: প্রভাষক, ক্লিনিক্যাল ফার্মেসি এন্ড ফার্মাকোলজি বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।




মেহেরপুরে যাত্রীর বেশে ব্যাটারি চালিত ভ্যান ছিনতাই

মেহেরপুরে যাত্রী বেশে চঞ্চল মিস্ত্রি (৪০) নামক এক চালকের কাছ থেকে ব্যাটারি চালিত ভ্যান ছিনতাই করে নিয়ে গেছে কয়েক জন দূর্বৃত্তরা।

আজ শনিবার (২৫ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে আমঝুপি-ইসলাম নগর রোডে ভ্যান ছিনতাইয়ের ঘটনাটি ঘটেছে। চঞ্চল মিস্ত্রি আমঝুপি উত্তর পাড়ার আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে।

জানা গেছে, দিনমুজুর চঞ্চল সারাদিন রাজ মিস্তিরি কাজ করে নিয়মিত সন্ধ্যায় সুমনের ভ্যান ভাড়া নিয়ে চালায়। আজ শনিবার চারজন দুর্বৃত্ত যাত্রী বেশে চঞ্চলের ভ্যানে ওঠে। পথিমধ্যে ফাঁকা জায়গায় চঞ্চল মিস্ত্রীকে মারধর করে একটি গাছের সাথে তাকে বেঁধে রেখে দুর্বৃত্তরা ভ্যান নিয়ে চম্পট দেয়। পরিবারের একটু সুখের জন্য সারাদিন দিনমজুরের কাজ করার পর রাতে ভ্যান চালানো চঞ্চল এখন ভাড়ায় চালানো ভ্যানের ক্ষতিপূরণ কিভাবে দেবে এটা ভেবেই দিশেহারা।

শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বিষয়টি নিয়ে ভুক্তভোগীরা থানাতে কোন অভিযোগ করেনি।




আলমডাঙ্গার পাইকপাড়ায় সড়কে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ

নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার করার অভিযোগে আলমডাঙ্গা উপজেলার আইলহাঁস ইউনিয়নের পাইকপাড়া গ্রামের একটি সড়কের নির্মাণকাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। শনিবার সকালে ওই কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়। এলাকাবাসীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয় ওই কাজ বন্ধ করে।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর আলমডাঙ্গা উপজেলা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় আইলহাঁস ইউনিয়নের পাইকপাড়া ডালিমশাহ মাজার থেকে পাইকপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত ১২০ মিটার সড়ককে পাকা সড়কে উন্নীত করার কাজ শুরু হয়। প্রায় ১০ লাখ টাকা ব্যয়ে প্রকল্পের এই অংশের একটি কাজের মান নিয়ে এলাকাবাসী ক্ষুব্ধ।

আজ শনিবার সকালে পাইকপাড়া এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, সাত ফিট প্রস্থের ওই সড়কের কোথাও বালি আছে ইটের খোয়া নেই, কোথাও সড়কের মধ্যে নিম্নমানের ইটের টুকরা ট্রাক্টরে করে ফেলা হচ্ছে। এ নিয়ে এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয় আজ কাজ বন্ধ করে দেয়।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে পাইকপাড়া এলাকার অন্তত তিনজন ব্যক্তি বলেন, এই রাস্তাটি পাইকপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাসহ স্থানীয়রা ব্যবহার করেন। দীর্ঘদিন কাদাঁ-মাটির রাস্তায় চলাচলে স্কুলের শিক্ষার্থীদের কষ্ট পোহাতে হত। তবে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করে দ্রুত শেষ করার চেষ্টা করছে।

এলজিইডির আলমডাঙ্গা উপজেলা কার্যালয়ের সহকারী প্রকৌশলী লিয়াকত আলী বলেন, চুয়াডাঙ্গার একজন ঠিকাদার সড়কটি কাজ করছেন। তবে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগে কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। নিম্নমানের সামগ্রী তুলে ভালো মানের ইট ব্যবহারে নির্দেশে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

নিম্নমানের ইট ব্যবহারের অভিযোগের বিষয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মালিক জহুরুল ইসলামের সাথে মোবাইলে কথা হলে তিনি জানান, ‘কাজটি অনেক আগের প্রকল্পের। তখন নির্মাণসামগ্রীর দাম কম ছিল, এখন দাম বেড়েছে। যেহেতু অভিযোগ উঠেছে, আমরা এখন উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয়ের সঙ্গে সমন্বয় করে ভালো করে কাজ করব। এছাড়া অভিযোগের ইটগুলো অপসারণ করা হচ্ছে এবং আরো ভালো মানের ইট দেওয়া হচ্ছে।