গরম পানিতে ত্বকের যত্ন

প্রকৃতিতে শীত প্রায় ছুঁই ছুঁই। এখনি অনেকের সকালবেলা গোসলে মুখ ভার হয়ে ওঠে। হিটার, গিজার, গরম পানির হাক-ডাক শুরু হয়ে গেছে। তবে জানেন কি গোসলে গরম পানির ব্যবহার কিন্তু আপনার ত্বক ও চু্ল সুন্দর করে তোলে। এক্ষেত্রে অবশ্যই তাপমাত্রা হতে হবে সঠিক।

গোসলের পানির তাপমাত্রা ৯৮.৬ ডিগ্রি ফারেনহাইট রাখাই ভালো। এছাড়াও গরম পানিতে গোসলের সুফল পেতে হলে মেশাতে হবে কিছু উপকরণ! চলুন জেনে নেই এই শীতে ত্বক ও চুলের যত্নে কি মেশাবেন গরম পানিতে:

নারকেল তেলের সঙ্গে ল্যাভেন্ডার তেল মিশিয়ে বোতলে রাখতে পারেন। প্রতিদিন গোসলের সময় সামান্য ঝাঁকিয়ে গরম পানিতে ২–৩ ফোঁটা মিশিয়ে নিতে পারেন। এতে আপনার ত্বক ও চুলের রুক্ষতা কমে যাবে।

শ্যাম্পু করার আগে কুসুম গরম পানি দিয়ে চুল ধুয়ে নিতে পারেন। এরপর শ্যাম্পু ব্যবহার করে একই পানি দিয়ে চুল পরিষ্কার করে নিতে পারেন। শেষে কন্ডিশনার ব্যবহারের পর স্বাভাবিক পানি দিয়ে চুল ধুয়ে নিন। চুলের যত্নে এই প্রক্রিয়াটি অত্যন্ত উপকারি।

গোলাপ বা গাঁদা ফুলের পাপড়ি লবণ পানিতে ধুয়ে নিয়ে নারকেল তেলে ফুলের পাপড়িগুলো জ্বাল দিয়ে রাখুন। এরপর ঠাণ্ডা হলে ছেঁকে সংরক্ষণ করার ব্যবস্থা করতে পারেন। এরপর গোসলের আগে হালকা গরম পানিতে এই তেলের কয়েক ফোঁটা দিয়ে নিলে শীতেও ত্বক ও চুল থাকবে আর্দ্র।

অবশ্যই গরম পানি দিয়ে গোসলের পর ত্বক ভেজা থাকা অবস্থায় ময়েশ্চারাইজার, নারকেল বা জলপাই তেল ব্যবহার করা উচিত। এতে করে ত্বকের স্বাভাবিক তৈলাক্ত ভাব ফিরে আসে।

সূত্র: ইত্তেফাক




ঝিনাইদহের ৪টি আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ৪৭ জন

আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহন ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে। বিএনপি ভোটে আসছে কিনা নিশ্চিৎ না হওয়া গেলেও তৃণমূল বিএনপিসহ অন্যান্য দলের ব্যানারে ঝিনাইদহের অন্তত ৩টি আসন থেকে সাবেক বিএনপির এমপি ও নেতারা নির্বাচন করবেন বলে জানাগেছে। এই নির্বাচনে ঝিনাইদহের ৪টি নির্বাচনী আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশির সংখ্যা ৪৭জন। এর মধ্যে মনোনয়ন পাবেন ৪ জন।

শৈলকুপা উপজেলার ১৪টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে ঝিনাইদহ-১ আসন। এই আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন ৯ জন। তারা হলেন, বর্তমান এমপি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই, আওয়ামী লীগের সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যক্ষ কামরুজ্জামানের কন্যা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য পারভীন জামান কল্পনা, অধ্যক্ষ কামরুজ্জামানের ছেলে পারভেজ জামান পান্না, বিশ^াস বিল্ডার্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি নজরুল ইসলাম দুলাল বিশ^াস, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা নায়েব আলী জোয়ার্দ্দার, চিত্র নায়িকা সিমলা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক লিপি আক্তার, সাবেক ছাত্র নেতা বর্তমান শৈলকুপা উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক রাজু আহম্মেদ। তবে এই আসনে আরেকজন প্রার্থী বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান এম আব্দুল হাকিম মনোনয়ন উত্তোলন করেছেন বলে ঝিনাইদহে সংবাদ ছড়িয়েছে, তবে তার সত্যতা পাওয়া যায়নি।

ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ১৩টি ইউনিয়ন, সদর পৌরসভা, হরিণাকুণ্ডুর ৮টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে ঝিনাইদহ-২ আসন। এই আসনে মনোনয়ন উত্তোলন করেছেন ৯ জন। তারা হলেন, বর্তমান সংসদ সদস্য তাহজীব আলম সিদ্দিকী সমি, ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পৌর মেয়র সাইদুল করিম মিন্টু, সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি সফিকুল ইসলাম অপু, জেলা পরিষদ সাবেক চেয়ারম্যান কনক কান্তি দাস, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও রেডিয়্যান্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান নাসের শাহরিয়ার জাহেদী মহুল, ঝিনাইদহ-মাগুরা সংরক্ষিত আসনের সাংসদ খালেদা খানম, হরিণাকুণ্ডু উপজেলার চেয়ারম্যান সাবেক ছাত্রনেতা জাহাঙ্গীর হোসাইন ও মোয়াজ্জেম হোসেন স্বপন, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক অশক ধর।

কোটচাঁদপুর উপজেলার ৫টি ইউনিয়ন, একটি পৌরসভা ও মহেশপুর উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে ঝিনাইদহ-৩ আসন। এই আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন উত্তোলন করেছেন ১৪ জন। তারা হলেন, বর্তমান সংসদ সদস্য শফিকুল আজম খান চঞ্চল, প্রধানমন্ত্রীর সাবেক সামরিক সচিব সালাহউদ্দিন মিয়াজি, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অ্যাড: আজিজুর রহমান, সাবেক এমপি যুবলীগের প্রেসিডিয়াম মেম্বার নবী নেওয়াজ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাজ্জাদুল ইসলাম সাজ্জাদ, সাধারণ সম্পাদক মীর সুলতানুজ্জামান লিটন, জেলা আওয়ামী লীগের গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক আনিচুর রহমান টিপু, টিএম আজিবর রহমান, উপজেলা চেয়ারম্যান ময়জদ্দীন হামিদ, সাবেক উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাজ্জাতুজ জুম্মা, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এম এম জামান মিল্লাত, কোটচাঁদপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শরিফুন্নেছা মিকি, বাশবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাজমুল হুদা জিন্টু ও মোহাম্মদ আলী।

ঝিনাইদহ সদরের ৪টি ইউনিয়ন, কালীগঞ্জের ১১টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে ঝিনাইদহ-৪ আসন। এই আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন উত্তোলন করেছেন ১৫ জন। তারা হলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টু, বর্তমান এমপি ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল আজিম আনার, সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ ইসরাইল হোসেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আয়ুব হোসেন খান, জেলা আওয়ামী লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান বিজু, সাবেক এমপি প্রয়াত আব্দুল মান্নানের স্ত্রী শামীম আরা মান্নান, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমান মতি, রাশেদ শমসের, আনোয়ার পারভেজ সাগর, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক দপ্তর সম্পাদক কাজী নাসিম আল মমিন রুপক, বীর মুক্তিযোদ্ধা তোফাজ্জেল হোসেন, আলী হাসান মোঃ গোলাম কিবরিয়া, আব্দুর রশিদ খোকন, মীর আমিনুল ইসলাম, শাতিল ইসলাম।




ভয়েস চ্যাট সুবিধা যুক্ত হলো চ্যাটজিপিটিতে

ইউজারদের সুবিধার্থে এবার ভয়েস ফিচার যোগ করল চ্যাটজিপিটি। প্রিমিয়াম এই ফিচার সেপ্টেম্বরে লঞ্চ করেছিল ওপেনএআই। তবে এই সুবিধা কেবল পেইড ইউজারদের জন্যই উপলব্ধ ছিল। কিন্তু এদিন প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ভয়েস ফিচার এখন থেকে সকলের জন্য উন্মুক্ত।

২২ নভেম্বর থেকে চ্যাটজিপিটির সমস্ত ব্যবহারকারীরা এটির সুবিধা নিতে পারবেন। সম্প্রতি টুইটার বা এক্স হ্যান্ডেলে এই ফিচারের উপলব্ধতা সম্পর্কে জানিয়েছে ওপেনএআই।

এমনকি এই ফিচার ইউজারদের ব্যবহার করারও আবেদন করেন স্যাম অল্টম্যানের সঙ্গে কোম্পানি ছেড়ে দেওয়া প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট গ্রেগ ব্রকম্যান। তিনি বলেন, চ্যাটজিপিটি সমস্ত ফ্রি ইউজারদের জন্য রোল আউট করা হয়েছে। এটি ব্যবহার করে দেখতে পারেন। আপনার চ্যাটজিপিটি ব্যবহার করার অভিজ্ঞতা সম্পূর্ণ রূপে বদলে দেবে।

এতদিন লেখার মধ্যে সীমিত ছিল চ্যাটজিপিটির সুবিধা। তবে প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, তাদের টেক্সট টু স্পিচ মডেল মানুষের আওয়াজ সামান্য কয়েকটি শব্দ এবং কয়েক সেকেন্ডের স্পিচ শুনেই শনাক্ত করে নিতে পারবে। এই ভাবে ক্রিয়েটরদের কাছে চ্যাটজিপিটির মাধ্যমে সৃষ্টিশীল ফলাফল বের করার সুযোগ থাকবে।

চ্যাটজিপিটি অ্যাপের চ্যাট স্ক্রিনের নিচে কোণের দিকে একটি হেডফোন আইকন যোগ হয়েছে। সেই আইকনে ক্লিক ররতে হবে। সেখানে ভয়েস অ্যাসিস্ট্যান্টের মাধ্যমে ভয়েস সিলেক্ট করতে হবে। পরে সেই ভয়েস বদলাতেও পারবেন। এবার সেই ভয়েস দিয়ে চ্যাট করতে পারবেন অ্যাপে।

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া




মুজিবনগরে গুডনেইবারর্সের স্পেশাল হেলথ ক্যাম্পেইন

মুজিবনগরে গুডনেইবারর্স বাংলাদেশ মেহেরপুর সিডিপি‘র আয়োজনে, স্পেশাল হেলথ ক্যাম্পেইন মেডিসিন (ডায়াবেটিস) এবং ব্লাড সুগার চেকআপ ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত গুডনেইবারর্স মেহেরপুর সিডিপি‘র বল্লভপুর প্রজেক্ট অফিস প্রাঙ্গনে এই ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হয়।

ক্যাম্পেইনে ডায়াবেটিস আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা সেবা প্রদান করেন মুজিবনগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আরএমও ডা: তৌফিক আহমেদ।

এছাড়াও ক্যাম্পেইনে রোগীদের ব্লাড সুগার চেকআপ করেন কেয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টার এর মেডিকেল টেকনিশিয়ানরা।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন গুডনেইবারর্স বাংলাদেশ মেহেরপুর সিডিপি এর মেডিকেল অফিসার ডা: শুভ কুমার মজুমদার এবং হেলথ অফিসার আহসানুল হক।
স্পেশাল হেলথ ক্যাম্পেইনে ১২০ জন রোগীকে চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয়।




ইংল্যান্ডের তারকা ক্রিকেটারের বিশ্বকাপ দলে মাহমুদউল্লাহ

স্বাগতিক ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যকার ফাইনাল দিয়ে পর্দা নেমেছে ওয়ানডে বিশ্বকাপের ১৩তম আসরের। ফাইনালে ভারতকে ৬ উইকেটে হারিয়ে ষষ্ঠ শিরোপা নিজেদের করে নিয়েছে অজিরা। বিশ্বকাপে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স ছিল হতাশাজনক। পুরো আসরে ৯ ম্যাচের মধ্যে মাত্র ২ জয় পায় সাকিব আল হাসানের দল।

বিশ্বকাপ শেষে টুর্নামেন্টের সেরা দল ঘোষণা করে আইসিসি ও উইজডেন। সেখানে জায়গা পাননি কোনো বাংলাদেশি ক্রিকেটার। এছাড়াও সদ্য সমাপ্ত বিশ্বকাপের খেলোয়াড়দের নিয়ে নিজ নিজ পছন্দের দল তৈরি করেছেন অনেকে। তেমনি বিশ্বকাপে নিজের পছন্দের দল প্রকাশ করেছেন ইংলিশ পেসার জেমস অ্যান্ডারসন।

আর এই ইংলিশ পেসারের বিশ্বকাপ দলে জায়গা পেয়েছেন এক বাংলাদেশি ক্রিকেটার। বিশ্বকাপের পারফর্ম্যান্সের ভিত্তিতে অ্যান্ডারসনের দলে জায়গা পেয়েছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। এছাড়াও আছেন মোহাম্মদ রিজওয়ান, ডেভিড মালানের মতো ক্রিকেটাররাও। একমাত্র ভারত থেকেই রাখা হয়েছে দুজন ক্রিকেটার। অস্ট্রেলিয়া থেকে আছেন শুধুমাত্র অ্যাডাম জাম্পা।

অ্যান্ডারসনের বিশ্বকাপ সেরা একাদশ: ডেভিড মালান (ইংল্যান্ড), রাচিন রবীন্দ্র (নিউজিল্যান্ড), বিরাট কোহলি (ভারত), মোহাম্মদ রিজওয়ান (পাকিস্তান), হাশমতউল্লাহ শাহিদি (আফগানিস্তান), মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (বাংলাদেশ), স্কট এডওয়ার্ডস (নেদারল্যান্ডস), দিলশান মাদুশাঙ্কা (শ্রীলঙ্কা), জেরাল্ড কোয়েটজে (সাউথ আফ্রিকা), অ্যাডাম জাম্পা (অস্ট্রেলিয়া) ও মোহাম্মদ শামি (ভারত)।

সূত্র: ইত্তেফাক




মেয়ের সঙ্গে অ্যাকশনে ভরপুর ‘কিং’ নিয়ে আসছেন শাহরুখ

একটার পর একটা হিট সিনেমা উপহার দিয়েই চলেছেন বলিউড সুপারস্টার শাহরুখ খান। এই বছর মুক্তি পাওয়া কিং খানের দুইটি সিনেমা পাঠান এবং জওয়ান বক্স অফিসের সমস্ত রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে। এবার পালা তার ডাঙ্কির। এছাড়া ইতিমধ্যে শাহরুখ ও তার মেয়ে সুহানা খানের আগামী সিনেমার খবরও প্রকাশ্যে এসেছে। এবার সামনে এলো সুজয় ঘোষ পরিচালিত বাপ-বেটির অ্যাকশনে ভরপুর সে সিনেমার নাম।

হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, শাহরুখ খান ও সুহানা খানের আগামী সিনেমার নাম কিং। পিঙ্কভিলার তরফে একটি রিপোর্টে জানানো হয়েছে আগামী বছর অর্থাৎ ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে শুরু হবে সিনেমাটির শুটিং।

বাবা মেয়ের দারুণ সমীকরণ নাকি দেখা যাবে এই দুর্ধর্ষ অ্যাকশনে ভরপুর ছবিতে। অনেকেই ভেবেছিলেন তারা একসঙ্গে কোনও ইমোশনাল ছবিতে কাজ করবেন। কিন্তু শাহরুখ যে অ্যাকশনের ধারাবাহিকতায় মন দিয়েছেন, তাই মেয়ের সঙ্গেও তেমন সিনেমাই আনবেন।

হিন্দুস্তান টাইমসে বলা হয়েছে, বর্তমানে কিং ছবির প্রিপ্রোডাকশন এবং স্ক্রিপ্টের শেষ পর্যায়ের কাজ চলছে। পাঠান ছবির পরিচালক সিদ্ধার্থ আনন্দ এই ছবিটির প্রযোজনা করবেন। তিনিই এই ছবির অ্যাকশন ডিজাইন এবং অ্যাকশন দৃশ্যের উপর বিশেষ নজর রাখবেন।

আগামী ২১ ডিসেম্বর মুক্তি পেতে চলেছে রাজকুমার হিরানি পরিচালিত ডাঙ্কি। এতে শাহরুখের বিপরীতে দেখা যাবে তাপসী পান্নুকে।

এদিকে আগামী ডিসেম্বরে ওটিটি প্ল্যাটফর্মে দ্য আর্চিজ এর দিয়ে বলিউডে অভিষেক হতে যাচ্ছে শাহরুখ কন্যার।




মেহেরপুরে অনলাইন জুয়ার এজেন্ট নাসির শাহ গ্রেফতার

মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলার গোপালপুর গ্রামে অভিযান চালিয়ে অনলাইন জুয়ার এজেন্ট নাসির শাহ (২৬) কে গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।

সোমবার রাতে ডিবির এস আই মনিরের নেতৃত্বে পুুলিশের একটি এ অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানে ডিবির এস আই উত্তম , এস আই আশিক অংশ নেন। নাসির শাহ গোপালপুর গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে।

তার বিরুদ্ধে ২০২২ সালের ২০ আগষ্ট অনলাইন জুয়া পরিচালনার অপরাধে ডিজিটাল নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা রয়েছে। যার মামলা নম্বর-১১। তিনি অনলাইনজুয়ার অন্যতম এজেন্ট নুরুল মাষ্টারের সহযোগী হিসেবে কাজ করেন বলে তথ্য রয়েছে।

ডিবির ওসি সাইফুল আলম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ডিবির এস আই মনিরের নেতৃত্বে একটি দল গোপালপুরে গ্রামে অভিযান চালিয়ে নাসির শাহ গ্রেফতার।

তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিয়ণÍ্রণ আইনের মামলা খুলনা সাইবার ট্রাইব্যুানালে চলমান রয়েছে। তাকে গ্রেফতার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।




স্মার্ট বাংলাদেশ: পথচলা ও রূপরেখা

বিশ্বায়নের যুগে বাংলাদেশের সমস্ত প্রযুক্তি ব্যবহারের অগ্রগতিতে যে শব্দটি সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রেখেছে তা হলো ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’। বর্তমানে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার যে পরিকল্পনা তা পূর্বের বাস্তবায়িত ডিজিটাল বাংলাদেশেরই পরিকল্পিত রূপান্তর।

একটি স্মার্ট দেশের মানদণ্ড হিসেবে সে দেশের দক্ষতা, সেবামান,ভবিষ্যৎ, নতুন প্রযুক্তি,শক্তিশালী এবং বুদ্ধিমত্তা; শব্দগুলো ব্যবহৃত হয়। ২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগ নির্বাচনি ইশতেহারে ২০২১ সালের মাঝেই ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনের যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল বর্তমানে তা স্পষ্ট দৃশ্যমান। এ ডিজিটাল বাংলাদেশই দেশের উন্নয়নকে অনেকদূর এগিয়ে নিয়ে গেছে। এখন তাই ২০৪১ সালকে সামনে রেখে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার নতুন চ্যালেঞ্জ নিয়েছে বাংলাদেশ সরকার।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। এ লক্ষ্যে স্মার্ট বাংলাদেশের রূপরেখাকে চারটি ভাগে ভাগ করা হয়। স্মার্ট নাগরিক, স্মার্ট সরকার, স্মার্ট সোসাইটি এবং স্মার্ট ইকোনমি; এ চারটি মূল উপাদানের উপর জোর দেওয়া হয়েছে। এ চারটি উপাদান সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করতে পারলেই স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন সত্যি হবে।

এক্ষেত্রে প্রযুক্তি মূল সক্ষমতার ভূমিকা পালন করবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। এ লক্ষ্যে স্মার্ট বাংলাদেশের রূপরেখাকে চারটি ভাগে ভাগ করা হয়।

স্মার্ট নাগরিক, স্মার্ট সরকার, স্মার্ট সোসাইটি এবং স্মার্ট ইকোনমি; এ চারটি মূল উপাদানের উপর জোর প্রদান করা হয়েছে। এ চারটি উপাদান সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করতে পারলেই স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন সত্যি হবে। এক্ষেত্রে প্রযুক্তি মূল সক্ষমতার ভূমিকা পালন করবে।

মাথাপিছু আয় কমপক্ষে ১২,৫০০ মার্কিন ডলার নিয়ে আসার লক্ষ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। যুদ্ধে সবকিছু হারিয়ে বাংলাদেশ প্রায় নিঃস্ব হয়ে গিয়েছিল। দারিদ্রতার ছুবলে তাই বাংলাদেশ বিশ্বের উন্নত দেশগুলো থেকে অনেক পিছিয়ে আছে। তাই আমাদের প্রথমেই দারিদ্র্যতাকে কমিয়ে আনতে হবে। চরম দারিদ্র্যতাকে শূন্যে নামিয়ে আনার লক্ষ্যে তাই বাংলাদেশ সরকার নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছে।

১৭ কোটি মানুষের মাঝে ১৩ কোটির একটি স্থিতিশীল ইন্টারনেট সংযোগের ব্যবস্থা করা হয়েছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ এখন সহজেই ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারছে। মুহূর্তের মাঝেই সারা বিশ্বের খবর পেয়ে যাচ্ছে। ফলে তারা বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে নিজেকে সঠিকভাবে প্রস্তুত করতে পারছে।

এক তথ্যে জানা যায়, মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসের (এমএফএস) ১৯ কোটিরও বেশি গ্রাহক রয়েছে। কোভিড-১৯ এর মতো মহামারির সময়েও মানুষ ঘরে বসে স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা, বাণিজ্য এবং সামাজিক সুরক্ষা পেয়েছেন।

ইন্টারনেটভিত্তিক এ পরিষেবা স্মার্ট বাংলাদেশ তৈরির আরও বেশি সুযোগের প্রতিশ্রুতি দেয়। একটি দেশের দারিদ্রতা কাটিয়ে উঠার জন্য ইকোনমিক সেক্টরে বেশি জোর দেওয়া প্রয়োজন। এক্ষেত্রে স্মার্ট বাংলাদেশ তৈরিতে ই-ইকোনমিক ব্যবস্থা বেশ বড় ভূমিকা পালন করতে পারে।

ইন্টারনেট অব থিংস, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, রোবটিক্স এবং বিগ ডেটা অ্যানালাইসিস সিস্টেম ব্যবহৃত প্রযুক্তি ইকোনমিক সিস্টেমকে উন্নতির চরম পর্যায়ে নিয়ে যাবে। বাংলাদেশ সরকার এসবকিছুই অনেক বেশি গ্রহণযোগ্য করে তুলছেন। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার মূল সারমর্ম হলো, দেশের প্রতিটি নাগরিক স্মার্ট উপায়ে জীবন যাপন করবে। স্মার্ট প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে জীবনযাত্রার মান আরও উন্নত করে তুলবে।

ইতোমধ্যে অনেক স্মার্ট প্রযুক্তি ব্যবহার অনেক বেশি সহজ হয়ে গিয়েছে। আগামী ২০৪১ সালের মাঝে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে জলবায়ু পরিবর্তন রোধের উপরও জোর প্রদান করা হয়েছে। দেশের মানুষ যাতে সুন্দর, সুস্থ এবং স্মার্টলি বাচতে পারে এজন্য ডেল্টা প্ল্যানের কথা বলা হয়েছে।

ডিজিটাল বাংলাদেশের হাত ধরে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হলে বাংলাদেশকে প্রযুক্তি ব্যবহারে হতে হবে অনেক বেশি উন্নত। সে উদ্যোগ সফল করতে হলে স্মার্ট বাংলাদেশ এ মুহূর্তে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও সময়োপযোগী কর্মপরিকল্পনা। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সফলতা গ্রহণের মাধ্যমে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে হলে দরকার হবে স্মার্ট সিটিজেনদের। যাদের দক্ষতা ও যোগ্যতা থাকবে শুধুমাত্র তারাই ভালো কাজ করতে পারবে। দক্ষতা বা যোগ্যতা ছাড়া কোনো কাজ পাবে না। এর ফলে সকলেই প্রযুক্তিগত দক্ষতা অর্জনে আগ্রহী হবে এবং নিজেকে যোগ্য করে তুলবে। ফলস্বরূপ নতুন কর্মসংস্থানেরও সৃষ্টি হবে।

ধারণা করা হচ্ছে, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে পারলে দেশের মাথাপিছু আয় বর্তমানের চেয়ে ১০ গুণ পরিমাণ বাড়তে পারে। এমনটা হলে সত্যিই একটি রূপকথা বাস্তবায়িত হবে। তবে এজন্য প্রয়োজন সকলের একতা। তরুণ জনশক্তি এক্ষেত্রে বিরাট ভূমিকা পালন করবে। কেননা আগামী প্রজন্ম ও দেশ তাদের হাতেই গড়ে উঠবে এবং সামনে এগিয়ে যাবে। তারা যদি দক্ষ ও যোগ্য হয়; তবেই দেশের হাল শক্ত করে ধরতে পারবে।

তাছাড়া তাদের মাথা থেকে নতুন নতুন আইডিয়া বের হয় যা অভাবনীয় পরিবর্তন সাধনে ভূমিকা রাখে। তাই তরুণ প্রজন্মের উপর জোর প্রয়োগ করলে,তাদেরকে সঠিকভাবে গড়তে পারলে নতুন প্রজন্ম পাবে নতুন এক বাংলাদেশ।

বাংলাদেশে তারুণ্যের যে স্ফীতি রয়েছে তা কাজে লাগাতে হবে। তাদের উন্নত দক্ষতা ও উদ্যোক্তা মানসিকতা গ্রহণের মাধ্যমেই ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়া সম্ভব হয়েছে এবং স্মার্ট বাংলাদেশ গঠন করাও সম্ভব হবে। ২০২২ সালে বাংলাদেশ সরকার ঘোষণা করেছিলেন, “আগামী ২০ বছরের ব্যবধানে বাংলাদেশ ‘স্মার্ট দেশ’ ক্লাবে যোগ দিতে চায়।”

বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ সিদ্ধান্তের দায়িত্ব নেন এবং রূপকল্প উন্মোচন করেন। তিনি তরুণ প্রজন্মকে কাজে লাগিয়ে স্মার্ট নাগরিক, স্মার্ট সরকার, স্মার্ট সোসাইটি এবং স্মার্ট ইকোনমি গঠনে সফলতার আংশিক ধাপ অতিক্রম করেছেন।

উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে তিনি পুরোপুরি সফল হওয়ার আশ্বাস দিয়েছে। দারিদ্রতা কমে গেলে এবং উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহারে আরও বেশি অগ্রগতি হলেই স্মার্ট বাংলাদেশ তৈরিতে আর কোনো বাধা থাকবে না। পুরো বিশ্ববাসী এক রূপকথার সাক্ষী হয়ে থাকবে।

লেখক: সহযোগী অধ্যাপক, ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগ, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়; সাবেক সাধারণ সম্পাদক, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি




চুয়াডাঙ্গা -২ আসনে ১৮ জনের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ

হঠাৎ করে গত মঙ্গলবার শেষ দিনে মনোনয়নপত্র কিনছেন চুয়াডাঙ্গা ২ আসন থেকে দীলীপ কুমার আগারওয়ালা। কিন্তু চুয়াডাঙ্গা ২ আসন বর্তমান সংসদ সদস্য যে ভাবে নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে যে উন্নয়ন করেছে তা চোখে পড়ার মত।

চুয়াডাঙ্গা ২ আসনের জনগন বলেছে হাজী আলী আজগর টগর এমপি হওয়ার পর থেকে চুয়াডাঙ্গা ২ আসনের রাস্তাঘাট মসজিদ মাদ্রাসা স্কুল কলেজ সব কিছুতেই লেগেছে উন্নয়নের ছোয়া। তাই আবারও এলাকার উন্নয়নের জন্য হাজী আলী আজগার টগরের কোন বিকল্প নেই। তার হাতেই নিরাপদ মনে করছেন চুয়াডাঙ্গা ২ আসনের সাধারন জনগন।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনীত প্রার্থী হতে চুয়াডাঙ্গা-২ আসন থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমা দিয়েছেন চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি ও বর্তমান সংসদ সদস্য হাজী আলী আজগার টগর, চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজাদুল ইসলাম আজাদ, চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও দামুড়হুদা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহফুজুর রহমান মনজু, জীবননগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নজরুল ইসলাম, জীবননগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জীবননগর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবু মো. আব্দুল লতিফ অমল, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য বাবু দিলীপ কুমার আগরওয়ালা, বাংলাদেশ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক হামিদুর রহমান, দর্শনা সরকারি কলেজের সাবেক ভিপি ও পারকৃষ্ণপুর-মদনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এস এ এম জাকারিয়া আলম, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য হাসেম রেজা, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি নজরুল মল্লিক, দৈনিক সকালের সময়ের সম্পাদক ও প্রকাশক নূর হাকিম, মির্জা শাহরিয়ার মাহমুদ লন্টু, আবু বকর, অ্যাডভোকেট শাহারিয়ার কবির, সাদিককুর রহমান বকুল, জেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের সভপাতি এখলাস উদ্দিন সুজন, হাসান আলী ও শাসসুল হক।




চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে নৌকা পেতে ফরম নিলেন ১৬ নেতা-কর্মী

চতুর্থবারের মত (আলমডাঙ্গা-চুয়াডাঙ্গা)-১ আসনে এমপি হবার লক্ষ্যে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়াদ্দার ছেলুন। এবার বিদ্রোহী দল বিএনপি নির্বাচনে না আসায় ক্ষমতাসীন দল আওয়ামীলীগের মধ্যে গ্রুপভিত্তিক একাধিক নেতা-কর্মীরা মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছে।

বিগত নির্বাচনে ৩/৪ জন ফরম সংগ্রহ করলেও এবার নির্বাচনে  আওয়ামীলীগের নৌকার আশায় ১৬ জন মনোনয়ন পত্র তুলেছেন। এর মধ্যে ব্যবসায়ী, চিকিৎসকও রয়েছে।

প্রার্থীরা হলেন- ৪র্থ বার মনোনয়ন ফরম তুলেছেন (আলমডাঙ্গা- চুয়াডাঙ্গা)-১ আসনের বর্তমান সাংসদ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুল হক বিশ্বাস, কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক উপকমিটির সদস্য দিলীপ কুমার আগরওয়ালা, কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের অর্থ ও পরিকল্পনা বিষয়ক উপকমিটির সদস্য এমএ রাজ্জাক খান, কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাবেক প্রেসিডিয়াম মেম্বার শেখ সামসুল আবেদীন খোকন, জেলা যুবলীগের আহবায়ক নঈম হাসান জোয়ার্দ্দার, বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি সাবেক সংরক্ষিত আসনের এমপি শিরিন নাঈম পুনম, চুয়াডাঙ্গা আওয়ামী যুব মহিলা লীগের সভাপতি আফরোজা পারভীন, ঢাকা মহানগর উত্তরের স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক এ এইচ এম কামরুজ্জামান সুমন, কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্য জুবায়ের আহমেদ সাব্বির, চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক স্বাস্থ্য ও পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক ডাঃ মাহবুব হোসেন মেহেদী, বাংলাদেশ কৃষক লীগ কেন্দ্রীয় কমিটি সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক নাজমুল হক পানু, চুয়াডাঙ্গা জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক আহবায়ক ওবাইদ্রু রহমান চৌধুরী জিপু, আলমডাঙ্গার সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান হেলাল উদ্দিন, কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান, আওয়ামীলীগ নেতা জেমস অলোক চৌধুরী।

বর্তমান সংসদ সদস্য সোলায়মান হক জোয়াদ্দার ছেলুনের বরাত দিয়ে নেতা-কর্মীরা জানান, একটানা ৩য় বারের মত চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে তিনি নেতৃত্ব দিয়েছেন। আবারো ৪র্থ বার নৌকা পাবার আশায় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন। তার দায়িত্বপালনে এ অঞ্চলে উন্নয়নে ব্যাপক ভুমিকা রেখেছেন। চিকিৎসা, শিক্ষা ও সড়ক পথগুলো আমূল পরিবর্তন হয়েছে। ভিক্ষুক মুক্ত জেলার পাশাপাশি শতভাগ ভুমিহীনদের সরকারি জায়গা ও ঘর বরাদ্দ দিয়েছে।

কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক উপকমিটির সদস্য দিলীপ কুমার আগরওয়ালা বলেন, করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) আক্রান্ত সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি। প্রতিবন্ধী নারী-পুরুষসহ শিশুদের হুইল চেয়ার দিয়েছি। বিভিন্ন মসজিদ, মন্দিরে আর্থিক সহায়তার পাশাপাশি অস্বচ্ছল মানুষের সহযোগীতা করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী দেশের উন্নয়নমূলক প্রচারণা করা হচ্ছে। দলীয় মনোনয়ন পেলে এজেলাকে স্মার্ট (আলমডাঙ্গা-চুয়াডাঙ্গা) গড়ে তুলবো।

কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাবেক প্রেসিডিয়াম মেম্বার শেখ সামসুল আবেদীন খোকন জানান, দীর্ঘদিন প্রার্থী হতে তৃণমূল নেতাদের নিয়ে ব্যাপক প্রচার চালায়। বিভিন্ন এলাকায় সভা করছেন এবং তৃণমূলের নেতাকর্মীকে নানাভাবে সহযোগিতা করছেন। তিনি বলেন, দলে কোনো গ্রুপিং নেই। যেহেতু দলের অনেকে এমপি প্রার্থী হতে চান, তাই সরকারের উন্নয়নকাজের প্রচার পৃথকভাবে করা হয়। দল যাঁকেই মনোনয়ন দেবে, তাঁর পক্ষেই সবাই কাজ করবে।

চুয়াডাঙ্গা জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক আহবায়ক ওবাইদ্রু রহমান চৌধুরী জিপু তিনিও কার্যক্রম চালাচ্ছেন পৃথকভাবে। মনোনয়ন ফরম কিনেছেন । তবে তিনি বলছেন, দলে একাধিক নেতা-কর্মীরা মনোনয়ন প্রত্যাশী হয়েছেন।

জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক স্বাস্থ্য ও পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক ডাঃ মাহবুব হোসেন মেহেদীও দলের মনোনয়ন ফরম কিনেছেন। তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে দলের জন্য কাজ করছেন। দল এর মূল্যায়ন নিশ্চয়ই করবে। ইতিপূর্বেও তিনি দলের মনোনয়ন চেয়েছেন।

আলমডাঙ্গার সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান হেলাল উদ্দিন নিজের একটি বলয় নিয়ে রাজনীতিতে সক্রিয়। তিনি এবার প্রথম দলের মনোনয়ন চাইছেন।