হরতাল-অবরোধের বিরুদ্ধে স্কুল-কলেজ শিক্ষার্থীদের মিছিল

হরতাল-অবরোধ মানি না- মানবো না। হরতাল-অবরোধ বন্ধ করো- করতে হবে’- এমন স্লোগান দিয়ে বার্ষিক পরীক্ষার সময় ডাকা হরতাল-অবরোধের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমেছে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার তারা রাজধানীল বিভিন্ন এলাকায় হরতাল-অবরোধের বিরুদ্ধে মিছিল করে।

বার্ষিক পরীক্ষা ব্যাহত হওয়ায় শিক্ষার্থীদের শিক্ষা জীবন নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। ইতিমধ্যে রাজধানীসহ দেশের অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বার্ষিক পরীক্ষার তারিখ দফায় দফায় পরিবর্তন করা হয়েছে। তবে শঙ্কার মধ্যেও রাজধানী এবং দেশের বড় শহরগুলোতে শুক্রবারেও পরীক্ষা নিয়েছে কর্তৃপক্ষকে।

বার্ষিকী পরিক্ষার সময় হরতাল-অবরোধ ডাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষার্থী। তারা বলছেন, ‘বার্ষিক পরীক্ষার সময় যারা লাগাতার হরতাল-অবরোধের ডাক দিচ্ছে তারা মূলত শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন নষ্ট করছে।’

বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, হরতার-অবরোধের কারণে গত ২৪/২৫ দিন ধরে তারা নিরাপদে স্কুলে যেতে পারছেন না। তাদের মধ্যে ভয়-ভীতি, আতঙ্ক কাজ করছে। বার্ষিক পরীক্ষা শুরু হলেও অনেকেই ভয়ে স্কুলে যাচ্ছেন না। অভিবকরাও সন্তানদেরকে স্কুলে পাঠাতে ভয় পাচ্ছেন। ফলে নির্ধারিত তারিখে তারা পরীক্ষাও দিতে পারছেন না।

মানিক মিয়া এভিনিউয়ের রাজধানী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মোজাম্মেল হক জানান, শিক্ষার্থীরা তাদের শিক্ষাজীবন নিয়ে শঙ্কিত হয়ে পড়েছে। এ কারণে তারা নিরাপত্তা চেয়ে, পরীক্ষার সময় হরতাল-অবরোধ বন্ধের দাবিতে স্কুল থেকে মিছিল বের করেছে।

প্রভাতী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাহিদ চৌধুরী বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা সকালে মিছিল বের করে হাতিরঝিল হয়ে সোনারগাঁও মোড় পর্যন্ত মিছিল করেছে। তারা যেন নিরাপদে বিদ্যালয়ে যাতায়াত করতে পারে সেই দাবি জানিয়েছে।’

একই দাবিতে রাজধানীর নাজনীন স্কুল এন্ড কলেজ, শেরে বাংলা নগর আদর্শ মহিলা কলেজ, তেজগাঁও মহিলা কলেজ, ইস্পাহানি স্কুল এন্ড কলেজ, নজরুল কলেজ, বিটিসিএল স্কুল এন্ড কলেজ, শেরে বাংলা স্কুল এন্ড কলেজ, শাহানুর মডেল হাই স্কুল, বি জি প্রেস হাই স্কুল, তেজগাঁও আদর্শ স্কুল এন্ড কলেজ এন্ড কলেজ, নাখাল পাড়া হোসেন আলী স্কুল এন্ড কলেজ, তেজগাঁও মডেল স্কুল, তেজগাঁও কলেজ, মোহাম্মদপুর কেন্দ্রীয় সরকারি কলেজসহ রাজধানীর বিভিন্ন স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থীরা রাস্তায় নেমে মিছিল করে।




ভিটামিনের অভাবে হতে পারে বিষণ্ণতা

মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতি সারাবিশ্বের জন্যই বড় দুশ্চিন্তা। এই সময়ে মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতির অনেক কারণ রয়েছে। সেসবের মধ্যে ভিটামিন বি-১২ এর অভাবও দায়ি। পুষ্টি বিশেষজ্ঞ নাজমা শাহীন জানান, শরীরে ভিটামিন বি-১২ এর অভাব দেখা দিলে ডিপ্রেশন কিংবা বিষণ্ণতার সমস্যা দেখা দিতে পারে। আর এমনট স্বল্পকালীন বা দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে। সেজন্য অবশ্যই এই ভিটামিনের ঘাটতি পূরণ করতে হবে।

ভিটামিন বি-১২ স্বাস্থ্যের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। একে কোবলামিন নামেও ডাকা হয়। পানিতে দ্রবণীয় এই ভিটামিন রক্ত গঠন এবং স্নায়ুতন্ত্রের কার্যকারিতায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

নাজমা শাহীনের মতে, শরীরে ভিটামিন বি ১২-এর অভাবে অবসাদ, ক্লান্তি, বিরক্তি, মানসিক চাপ, হতাশা, দুর্বলতাবোধ, চলাফেরায় অস্বস্তি, শ্বাসকষ্ট, ফ্যাকাসে ত্বক ইত্যাদি সমস্যা বাড়ে। বিশেষ করে এই ভিটামিনের অভাবে স্নায়ুতন্ত্রও অর্থাৎ নার্ভও সঠিকভাবে কাজ করতে পারে না। তাই ভিটামিন বি ১২-এর অভাবে দেখা দেয় বিষণ্নতা।

বিষণ্নতা থেকে মুক্তি পেতে তাই ডায়েটে রাখতে পারেন ভিটামিন বি ১২ যুক্ত খাবার। রঙিন শাকসবজি, ফলমূলই নয়, প্রাণীজ উৎস থেকেও এ ভিটামিন পাওয়া যায়। প্রাণীজ উৎসের মধ্যে রয়েছে মাছ, মাংস ডিম, দুগ্ধজাত খাবার যেমন ছানা, দই ও পনির, চিজ, চিংড়ি। এছাড়া ডাল, রুটি, পাস্তা, পালং শাক, বিট ও মাশরুমেও মিলে ভিটামিন বি ১২ ইত্যাদি। চিকিৎসকরা চাইলে আপনাকে প্রেসক্রাইবও করতে পারেন ওষুধ।

উল্লেখ্য, ভিটামিন বি ১২ খাওয়ার পরিমাণ বয়সভেদে ভিন্ন হয়ে থাকে। যেমন ৪-৮ বছর বয়সীদের জন্য ১.২ মাইক্রোগ্রাম, ৯-১৩ বছর বয়সীদের জন্য ১.৮ মাইক্রোগ্রাম, ১৪-১৮ বছর বয়সীদের জন্য ২.৪ মাইক্রোগ্রাম, প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ২.৪ মাইক্রোগ্রাম, অন্তঃসত্ত্বা হলে ২.৬ মাইক্রোগ্রাম এবং বুকের দুধ খাওয়ানো মায়েদের ক্ষেত্রে ২.৮ মাইক্রোগ্রাম ভিটামিন বি ১২ প্রয়োজন।

সূত্র: ইত্তেফাক




চুয়াডাঙ্গার সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী কুষ্টিয়া থেকে গ্রেফতার

চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশ কর্তৃক ছদ্মবেশ ধারণ করে সাজাপ্রাপ্ত দীর্ঘদিন পলাতক পরোয়ানাভুক্ত ০১(এক) জন আসামী কে গ্রেফতার করা হয়েছে।

চুয়াডাঙ্গা জেলার নবনিযুক্ত পুলিশ সুপার আর এম ফয়জুর রহমান, পিপিএম-সেবা দিকনির্দেশনায় ও চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মাহাব্বুর রহমানের নেতৃত্বে এসআই(নিঃ) সঞ্জয় কুমার চক্রবর্তী ও এস আই (নিঃ) মোঃ রাকিবুজ্জামান সংগীয় ফোর্সসহ মঙ্গলবার কুষ্টিয়া থানার হাউজিং ও মোল্লা তেঘরি এলাকায় ছদ্মবেশ ধারণ করে অভিযান পরিচালনা করে( সাজাপ্রাপ্ত) এস সি- ৭৩২/২২ (সাজাপ্রাপ্ত), সেশন- ৯৬৫/২২ (সাজাপ্রাপ্ত), সেশন- ৯৬৬/২২০৪ (সাজাপ্রাপ্ত), সেশন- ২০০/২২ ( সি আর-৭৬/২২, সি আর- ৯৫৯/২২ সংক্রান্ত ০২ বছরের সাজাপ্রাপ্ত , ০৪ টি সি আর সাজা ও ০২ সি আর সর্বমোট ০৬ টি ওয়ারেন্টের আসামী চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ছয়ঘরি গ্রামের ওহাব আলীর ছেলে আসামি বাবলু হোসেন কে গ্রেফতার করে।

গ্রেফতারকৃত আসামীকে চুয়াডাঙ্গা কোর্টে প্রেরণ করেছে চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশ।




ফের জাতীয় দলের ম্যানেজার নাফিস ইকবাল

বিশ্বকাপ শুরুর আগমুহূর্তে বাংলাদেশ দলের টিম ম্যানেজারের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছিল সাবেক ক্রিকেটার নাফিস ইকবালকে। তবে আবারও পুরনো পদে ফিরছেন তিনি। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে আসন্ন দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে আবারও বাংলাদেশ দলের টিম ম্যানেজার হিসেবে দেখা যাবে সাবেক এই ক্রিকেটারকে।

মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিজেই নিশ্চিত করেছেন নাফিস। আপাতত ঘরের মাঠে এই সিরিজের জন্যই তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে আগামী ২৮ নভেম্বর প্রথম টেস্ট হবে সিলেটে। এরপর দ্বিতীয় ম্যাচটি হবে ঢাকায়। এরপর আবার নিউজিল্যান্ডে উড়াল দেবে বাংলাদেশ। তবে সেখানে নাফিস থাকবেন কি না তা নিশ্চিত করেননি তিনি।

সূত্র: ইত্তেফাক




বিএনপি আগুন সন্ত্রাসের রাজনীতি করছে

বিএনপি নামক রাজনৈতিক দলটি ১৯৭৮ সালের ১লা সেপ্টেম্বর সামরিক শাসক জেনারেল জিয়াউর রহমান এর হাতে গঠিত হয়েছিল। অবৈধ প্রক্রিয়ায় সেনা কুঞ্জ হতে গঠিত দলটির মূল উদ্দেশ্য ছিলো মুক্তিযুদ্ধবিরোধী সকল সুবিধাবাদিদেরকে একত্রিতকরণ এবং দেশকে স্বাধীনতা বিরোধীদের ক্ষমতায়নের একমঞ্চস্থলে পরিনত করা। সেই সময়ে জেনারেল জিয়াউর রহমান সেনাবাহিনীতে কর্মরত অবস্থায় এই দলটি গঠণ করেন।

দেশের সংবিধান অনুসারে সেনাবাহিনীতে কর্মরত অবস্থায় কখনই কোন রাজনৈতিক দল গঠন করতে পারে না। তাঁর এই অবৈধ পন্থায় রাজনৈতিক দল গঠনের কারণে উক্ত বাহিনীতে সাধারন সেনাদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরী হয়। যার ফলে সেনাবাহীনীর সদস্যগণ বিভিন্নদলে বিভক্ত হয়ে পরেন।

এই প্রেক্ষিতে জেনারেল জিয়াউর রহমান এর বিপক্ষে এবং স্বাধীনতার পক্ষে থাকা সেনা সদস্যদের হত্যা করে স্বৈরাচারী রাজত্ব প্রতিষ্ঠা করেন। তাছাড়া, বিএনপি গঠনের পরপরেই ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারীকরার মাধ্যমে পূর্বের সকল বিচার কাজ স্থগিত করে বাংলাদেশে এক ধরনের বিচারহীনতার সংস্কৃতি কায়েক করেছিলেন। সুতরাং যেইদল অবৈধভাবে গঠন, স্বাধীনতাবিরধীদের একত্রিতকরণ এবং কোন সৎ উদ্দেশ্যবিহীন তৈরী হয়েছিলো সে দল হতে আমরা কখনই ভাল কিছু আশা করতে পারি না।

জেনারেল জিয়া কর্তৃক গঠিত বিএনপি ‘হ্যাঁ’ এবং ‘না’ ভোটের মাধ্যমে প্রথম ক্ষমতাকে হস্তগত করে নিয়েছিলো। সুতরাং তাদের মুখে গনতন্ত্রের কথা খুবই বেমানান। তাছাড়া, ২০০৪ সালের ২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলার মাধ্যমে তৎকালীন আওয়ামিলীগ ও বিরোধী দলের নেত্রী ও তাঁর সাথের সহচরসহ সকলকে হত্যা করার বিশাল ষড়যন্ত্র করেছিলো। ঐ সময় আওয়ামী লীগের নেত্রী প্রাণে বেঁচে গেলেও বহুনেতা ও নেত্রী মৃত্যু বরণ করেন।

এই প্রসঙ্গে বলা যেতে পারে যে, বিএনপি নামক রাজনৈতিক দল কখনোই এই কথা বলার অধীকার রাখে না যে দেশে একটি শক্তিশালী বিরোধী দল থাকা দরকার। তাছাড়া ইতোপূর্বে ২০০১ সালের নির্বাচন পরবর্তী বিরোধী দলের অনেক বর্ষীয়ান নেতাকর্মীদের হত্যা, অমানবিক নির্যাতন করাসহ নানা ধরনের দেশবিরোধী কাজে লিপ্ত ছিলেন। তাছাড়াও, ‘‘বাংলা ভাই’’ নামক ব্যক্তি তৈরী করে তাদের হাতে দেশের আইন-শৃঙ্খলার কাজটি তুলে দেন যার ফলে দেশের আইনিকাঠামো মারাত্বকভাবে ধ্বংস হয়েছিল।

বিগত সময়েও বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে অবরোধ ও হরতাল নামক ধ্বাংসাত্বক কাজে লিপ্ত ছিলেন। যেমন- ২০১১ সালের জুলাই মাসে টানা ০৬(ছয়) দিন হরতাল নিয়ে জাতিসংঘের উন্নয়ন বিষয়ক সংস্থা ইউএডিপির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, ২০ হাজার কোটি টাকা ক্ষতি হওয়াসহ প্রতিটি হরতালে জিডিপির গড় ক্ষতি ছিল সাড়ে ৫ হাজার কোটি।

একই প্রতিবেদনে বলা হয়, হরতালের করণে দেশের মোট অর্থনীতির ২০ শতাংশ ক্ষতির মুখে পড়ে। এছাড়া আমদানি-রফতানিতে এক্ষতির পরিমাণ ১০ শতাংশ এবং শুধু একদিনের হরতালের কারণে দেশে দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়ে ১০ শতাংশ।

ইউএনডিপির প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০০৯-২০১৩ সালে বিএনপি ৭০টির বেশি হরতাল দিয়েছে। শুধু ২০১৩ সালের অক্টোবর পর্যন্ত এ সংখ্যা ছিল ৪০। যেখানে একদিনের হরতালে এত ক্ষতি, সেখানে বছরে ৪০ দিনের হরতাল দেশের অর্থনীতিকে স্পষ্টত ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিয়েছিল, সেকথা বলার অপেক্ষা রাখে না।
বিগত এক দশকে হরতালের নাম-গন্ধ না থাকায় এবং রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বিরাজ করায় দেশের অর্থনীতির চাকা ছিল পুরোদমে সচল।

অবরোধ ও হরতালের কারণে ব্যাষ্টিক অর্থনীতি থেকে সামষ্টিক অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। হরতাল দিলে সবচেয়ে বেশি কষ্টের মধ্যে পড়েন খেটে খাওয়া শ্রমজীবী মানুষেরা। এমনিতেই উচ্চ মূল্যস্ফীতিতে মানুষের নাভিশ্বাস, এর মধ্যে সমাজের নিম্নবিত্ত মানুষ যদি কাজে বের হতে না পারে তাহলে তাদের অবস্থা আরও সংকটময় আকার ধারণ করবে।

প্রায় ৪(চার) বছর পর আবারও হরতাল ও অবরোধ ডেকেছে বিএনপি। বিশ্বঅর্থনীতির এমন অস্থির সময়ে হরতাল ডেকে দেশকে স্থবির করে দেয়ার পরিকল্পনা কতটা যুক্তিযুক্ত এমন প্রশ্ন দেশের সচেতন মহলের।
হরতাল পূর্ববর্তী সহিংসতা এবং হরতালের দিনে জ্বালাও-পোড়াও কর্মকাণ্ডে মানুষের মনে চাপা আতংক বিরাজ করছে রাস্তার পাশের ছোট ছোট দোকান পাট, হকারদের হাক ডাক, লোকাল বাসের জন্য লম্বা লাইন এসবের অনুপস্থিতিই জানান দিচ্ছে হরতালের জন্য জনমনে সৃষ্টি হওয়া আতংক কর্মব্যস্ত দিনটিকে স্থবির করে দিয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) সংগঠনের দফতর সম্পাদক সামদানী খন্দকারের স্বাক্ষর করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। এতে বলা হয়, গত ২৮ অক্টোবর থেকে ৯নভেম্বর পর্যন্ত তিন দফা হরতাল-অবরোধে এসব গাড়িতে হামলা হয়।

২৮ অক্টোবর বিএনপির সমাবেশ থেকে প্রধান বিচারপতির বাড়িতে হামলা, পুলিশ হত্যার মাধ্যমে সহিংসতা শুরু করেন দলটির নেতাকর্মীরা। এরই ধারাবাহিকতায় টানা হরতাল-অবরোধ কর্মসূচি পালন করে আসছে বিএনপি। এসব কর্মসূচিতে অবরোধকারীরা আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দিয়েছে অনেক যানবাহন এবং পুড়ে মারা গেছেন পরিবহন শ্রমিক। বিএনপির অনেক নেতাকর্মী এসব আগুন দেয়াসহ সহিংসতার ঘটনায় সরাসরি জড়িত।

সুতরং বিএনপি যখনই ক্ষমতা আসতে না পারে তখনই তারা বিভিন্নভাবে সুবিধা ভোগের জন্য অন্যান্য বিভিন্ন দলের সাথে নিজেদের জরিয়েছেন, তার মধ্যে উল্লেখ করতে চাই স্বাধীনতা বিরোধী জামাত-শিবির দল। এই জামাত-শিবির দলের সাথে যোগ দিয়ে তাদের স্বার্থ অর্জনের জন্য মরিয়া হয়ে দেশবিরোধী ভয়ংকর নোংরা রাজনীতিতে বারংবার লিপ্ত হয়ে আসছেন।

আজকে দেশে ২টি ধারার রাজনীতি প্রবাহিত হচ্ছে। ১টি স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তি দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এদেশের জনগণকে সকল দুঃখ-কষ্টে সরকারের সহায়তা দিয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।

অপরদিকে একাত্তরের পরাজিত শক্তি সেই জামায়ত এবং পঁচাত্তরের খুনি সেই বিএনপি ও তাদের দোসররা সারাদেশে নতুন করে ভিন্ন একটি ধারার রাজনীতি শুরু করেছে। তাদের লক্ষ্য, দেশকে অস্থিতিশীল করে রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করা। বিএনপি-জামায়াত, অতীতে তারা যেসব অপকর্ম করেছে, রাষ্ট্র ক্ষমতায় থাকতে যেভাবে লুটপাট-দুর্নীতি করেছে, হাওয়া ভবনে বসে রাষ্ট্র যন্ত্র ব্যবহার করে আওয়ামী লীগের হাজার হাজার নেতাকে হত্যা করেছে, ক্ষমতার বাইরে থাকতেও পেট্রোল বোমা মেরে মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করেছে, জনগণের ভোটে নির্বাচনে আর তারা রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসতে পারবে না। আজ তারা জনবিচ্ছিন্ন দল হিসেবে চিহ্নত হয়েছে।

বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে আজ উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় ভরে যাচ্ছে। দেশের মানুষের আস্থা ও ভরসার দল শেখ হাসিনার দল। একারণে এখন আবার নতুন করে বিএনপি-জামায়াত সম্মিলিত হয়েছে। তারা ভেবেছে ২০১৩-১৫ সালে যেভাবে সন্ত্রাস-নৈরাজ্যের মাধ্যমে দেশকে অস্থিতিশীল করে উন্নয়ন অগ্রযাত্রা বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করেছিল, আবারও সে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করে সরকারের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা ব্যহত করবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা করোনাকালীন মহাদুর্যোগ পাড়ি দিয়ে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বৈশ্বিক অর্থনীতি মন্দার মধ্যেও আমরা দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অব্যাহত রাখতে সক্ষম হয়েছি।
বাংলাদেশ আবার অর্থনৈতিক মন্দার থেকে ঘুরে দাঁড়িয়েছে। দেশের মানুষ নতুন করে স্বপ্ন দেখছে। পুরো বিশ্ববাসী বলছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের কারণে দেশের অর্থনীতির ধারা অব্যাহত রয়েছে। এধারা অব্যাহত থাকলে আমরা ২০৩১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হবো। এ ধারা নষ্ট করার জন্যই বিএনপি-জামায়াত তৎপর আছে।

বাংলাদেশ একটি গনতান্ত্রীক দেশ এই দেশের মানুষ খুবই শান্তিপ্রিয়। কিন্তু বিএনপি নামক দল কখনই জনগনকে শান্তি দিতে পারে নাই, ভবিষ্যতেও দিতে পারবে না। বিগত ১৯৭১ সালে যখন দেশে স্বাধীনতাকামী নিরীহ মানুষের উপর পাকিস্তানীসেনারা নির্বিচারে হামলা করেছিলো সেই সময় দেশের জনগনের কথা না ভেবে রাজাকার, আলবদর ও আলশাম্স নামক বিভিন্ন সংগঠনের মাধ্যমে পাকিস্তানীদের প্রতি সম্মান ও সঙ্গ দিয়েছে।

অথচ এই বিএনপি দল গঠনের পরে দল ভারি করতে পরবর্তীতে- রাজাকার, আলবদর, আল শাম্সদের নিয়ে যখন নিজেদের দল বড় করে তখন এই দেশের জনগন বুঝতে পারে যে, সত্যিকারের দেশ প্রেম কাদের মধ্যে রয়েছে। বিএনপির যদি দেশ প্রেম থাকতো তাহলে তারা কথায় কথায় অবরোধ ও হরতাল ডাকতো না। হরতাল কোন প্রতিবাদের ভাষা হতে পারে না।

বিএনপি-জামাতের দেশবিরোধী ও অগ্নিসন্ত্রাস, মোকাবেলায় সকলকে সোচ্চার হতে হবে। বিএনপি-জামাতের অগ্নিসন্ত্রাস, নৈরাজ্য, দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রবন্ধ, সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার ও কার্যকর বিচারের দাবীসহ তাদের যেন কঠিন আইনিব্যবস্থার আওতায় আনা হয়। দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় বাঁধা প্রদান কোন মতে মেনে নেয়া যাবে না। এহেন দেশবিরোধী অগ্নিসন্ত্রাস, নৈরাজ্য ও উন্নয়ন বিরোধী কর্মকান্ড বন্ধে দেশের সকলকে সোচ্চার হতে হবে।

লেখক: প্রফেসর, জেনেটিক্স এন্ড এনিম্যাল ব্রিডিং বিভাগ, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়




স্নাতক পাসে নিয়োগ দেবে বিডিজবস ডটকম

নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে বিডিজবস ডটকম। প্রতিষ্ঠানটিতে সেলস এক্সিকিউটিভ / বিক্রয় প্রতিনিধি পদে নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহী যোগ্য প্রার্থীরা সহজেই অনলাইনের মাধ্যামে আবেদন করতে পারবেন।

পদের নাম

সেলস এক্সিকিউটিভ / বিক্রয় প্রতিনিধি – ফেনী

যোগ্যতা

প্রার্থীকে যে কোনো বিষযে স্নাতক পাস হতে হবে। বয়স ২০ থেকে ২৮ বছর। পুরুষ প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন। ফেনীর স্থানীয় হতে হবে। সিভিতে বর্তমান ঠিকানা উল্লেখ করতে হবে। ফিল্ড জব বা মার্কেট ভিসিট করার মানসিকতা থাকতে হবে।

কর্মস্থল

ফেনী (ফেনী সদর)

আবেদনের পদ্ধতি

আগ্রহী প্রার্থীদের বিডিজবস অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে।

আবেদনের শেষ তারিখ

৩ ডিসেম্বর,২০২৩

সূত্র : বিডিজবস




মেহেরপুরে ৫৪টি মোবাইলসহ বিকাশ প্রতারণার টাকা উদ্ধার

মেহেরপুরে বিভিন্ন সময়ে হারানো ৫৪টি মোবাইল ফোন ও বিকাশ প্রতারণায় খোয়া যাওয়া ২২ হাজার টাকা উদ্ধার করে ভুক্তভোগীদের হাতে তুলে দিয়েছে পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন ইউনিট।

মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে মেহেরপুর পুলিশ সুপারের সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলন আয়োজনের মাধ্যমে মালিকদের কাছে মোবাইল ফোন ও টাকা হস্তান্তর করেন পুলিশ সুপার রাফিউল আলম।

এ সময় উদ্ধারকৃত সদর থানার ৩৫টি মোবাইল ও ২ টি বিকাশ প্রতারণার ১০ হাজার ৫০০ টাকা, গাংনী থানার ১৯টি মোবাইল এবং মুজিবনগর থানার বিকাশ প্রতারণার ৯ হাজার ৫০০ টাকা টাকা ভুক্তভোগীদের হাতে তুলে দেয়া হয়।

পুলিশ সুপার রাফিউল আলম বলেন, ‘ উদ্ধারকৃত মোবাইল ও টাকা প্রকৃত মালিকদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। মোবাইল উদ্ধারের জন্য থানাতে শুধু একটি জিডি করতে হয়েছে। মোবাইল উদ্ধার করে পুলিশের পক্ষ থেকে ফোন করে মালিকদের ডেকে এনে মোবাইল হস্তান্তর করা হচ্ছে। এছাড়াও এই কাজে মোবাইল গ্রাহকদের টাকাও খরচ হয়নি।’

সংবাদ সম্মেলনে, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কামরুল ইসলাম, সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টেগেশন ইউনিটের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ওসি সাইফুল আলম সহ জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।




চুয়াডাঙ্গায় সাংবাদিকদের সাথে নবাগত পুলিশ সুপারের মতবিনিময়

চুয়াডাঙ্গা জেলার ইলেক্ট্রনিক এবং প্রিন্ট মিডিয়ার সকল সাংবাদিকের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে এগারোটার সময় চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের আয়োজনে পুলিশ লাইন্স ড্রিল শেডে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা নবাগত পুলিশ সুপার আর এম ফয়জুর রহমান পিপিএম- সেবা।

মতবিনিময় সভার শুরুতে জেলার সকল সাংবাদিকের সাথে কুশল বিনিময় করেন নবাগত এই পুলিশ কর্মকর্তা।

বক্তব্যের শুরুতে নবাগত পুলিশ সুপার বলেন, গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি বাংলাদেশের প্রাণপুরুষ, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ট বাঙ্গালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। স্মরণ করছি বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ও জাতির পিতার পরিবারের অন্যান্য সদস্যসহ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের নৃশংস হত্যাকান্ডের শিকার সকলকে। আমি আমাদের চার জাতীয় নেতাকে স্মরণ করছি। যাদের আমাদের জাতির জন্য অপরিসীম অবদান ছিল।

পুলিশ সুপার পদটি আমি জেলা পুলিশের প্রধান হিসেবে নয়, বরং আমি গ্রহণ করেছি রাষ্ট্রকর্তৃক প্রদত্ত সুমহান দায়িত্ব হিসেবে। চুয়াডাঙ্গার জনগনের জান-মালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করণ এবং আইন-শৃংখলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখতে জেলা পুলিশ সদস্যদের চেষ্টা চলমান সেই বিশাল কর্মক্ষেত্রের একজন সদস্য হতে পেরে আমি গর্ববোধ করছি এবং আমাকে এই সুযোগটি করে দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার প্রতি এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।

তিনি আরোও বলেন, চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপার হিসেবে আমার উপর অর্পিত দায়িত্ব মেধা-মনন, সততা এবং নিষ্ঠার সাথে পালন করতে আমি দৃঢ প্রতিজ্ঞ। এই জেলার সম্মানিত নাগরিকবৃন্দের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং অধিকতর সেবা প্রদান হবে আমার অন্যতম প্রধান লক্ষ্য। কুইক রেসপন্স এবং সেবা সহজীকরণের মাধ্যমে চুয়াডাঙ্গা জেলার ৫টি পুলিশ স্টেশন হবে আইনী সেবা প্রত্যাশীদের নির্ভরতার কেন্দ্রবিন্দু।

সাংবাদিক সমাজের দর্পন। রাষ্ট্রের ৪র্থ স্তম্ভ। জনবল ও লজিস্টিকস স্বল্পতার কারণে সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে লুকিয়ে থাকা সকল অপরাধ আর অপরাধীর খোঁজ পাওয়া পুলিশের একার পক্ষে দুঃসাধ্য। আপনাদের লেখনির মাধ্যমেই কেবল পুলিশ সমাজ বিরোধী কাজের পুঙ্খানুপুঙ্খ খোঁজ পেতে পারে। পুলিশ এবং সাংবাদিক পরস্পরের সহযোগী বন্ধু হিসাবে সত্যের সন্ধানে কাজ করে। পুলিশকে সমাজের আনাচে- কানাচে ঘটে যাওয়া অপরাধের সঠিক তথ্য দিয়ে সম্মানিত সাংবাদিকবৃন্দ পুলিশকে সহযোগিতা করবেন এটাই আমার প্রত্যাশা।

অসীম সাহসিকতা, বীরত্ব, আত্মত্যাগের ইতিহাসকে ধারণ করে সেবার সুমহান ব্রত নিয়ে আমি এবং আমার টিম আপনাদের সবাইকে সাথে নিয়ে কাজ করতে চাই। জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করণ এবং আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখতে আমার চাকরির অভিজ্ঞতা, মেধা এবং প্রচেষ্টার সর্বোচ্চ প্রয়োগ করতে সচষ্টে থাকব। আপনাদের সহযোগিতায় চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশ নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী এবং নির্বাচন আচরণ বিধিমালা মোতাবেক পুলিশের উপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথ পালন করতে বদ্ধপরিকর। রাষ্ট্র, সংবিধান ও মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে সমুন্নত রেখে আমরা দেশপ্রেম, পেশাদারিত্ব, সততা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালনে অঙ্গীকারবদ্ধ। আমাদের এই দীপ্তপদের যাত্রায় আপনাদের সকলের সহযোগিতা একান্তভাবে কাম্য।

উক্ত মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) রিয়াজুল ইসলাম, সহকারি পুলিশ সুপার (দামুড়হুদা সার্কেল) জাকিয়া সুলতানা, চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সভাপতি সরদার আল আমিন, সাধারণ সম্পাদক রাজীব হাসান কচি, চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি এ্যাডভোকেট মানিক আকবর, সাধারণ সম্পাদক সেলিম আহাম্মেদ, প্রথম আলো জেলা প্রতিনিধি শাহ্ আলম সনি , ডিআইও-১ ডিএসবি আবু জিহাদ ফখরুল আলম খান, চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মাহাব্বুর রহমান সহ জাতীয় ও স্থানীয় গণমাধ্যমের সাংবাদিকবৃন্দ ও জেলা পুলিশের বিভিন্ন পদমর্যাদার অফিসারগন।

অনুষ্ঠানটির সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(সদর সার্কেল) আনিসুজ্জামান চুয়াডাঙ্গা।




বাগেরহাট-৩ আসনের জন্য মনোনয়নপত্র জমা দিলেন শাকিল খান

নিজের ব্যবসা নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন একসময়ের ঢাকাই চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় চিত্রনায়ক শাকিল খান। দীর্ঘদিন ধরে অভিনয় থেকে দূরে তিনি। এবার নামলেন রাজনীতির মাঠে। দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে সংসদ সদস্য হতে জমা দিলেন মনোনয়নপত্র।

আওয়ামী লীগের হয়ে বাগেরহাট-৩ (রামপাল ও মোংলা) আসনে নৌকা প্রতীকে প্রার্থী হতে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন। গত শনিবার (১৮ নভেম্বর) নেওয়া এই মনোনয়নপত্র গতকাল সোমবার নীরবে জমাও দেন শাকিল খান।

শাকিল খান জানান, ব্যবসার কাজে এলাকার মানুষের সঙ্গে তাঁর সম্পৃক্ততা কয়েক গুণ বেড়েছে। বিভিন্ন সময় তিনি এলাকার মানুষের পাশে থেকেছেন। এলাকার উন্নয়নে কাজ করছেন। এবার তিনি এলাকার মানুষের কথা চিন্তা করেই দ্বাদশ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন।

দেশের একটি গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘আগামী দ্বাদশ নির্বাচনে বাগেরহাট-৩ (রামপাল ও মোংলা) আসনের জন্য মনোনয়ন কিনেছি। এখন মনোনয়ন কিনেছি এটা বড় বা মুখ্য বিষয় না। আমি দীর্ঘদিন ধরে মোংলা, রামপাল এলাকায় কাজ করে যাচ্ছি। আমার এই এলাকার মানুষের সঙ্গে আমার অভিনয়ের বাইরে রাজনৈতিক পরিচয় দীর্ঘদিনের। তাঁদের পাশে থাকতে চাই।’

শাকিল আরও বলেন, ‘১৯ বছর ধরে আমি এলাকার মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। এখন আমি একটি জিনিসই প্রত্যাশা করি, একজন ভালো মানুষের মাধ্যমে একজন নেতৃত্ব দেবেন এবং যাঁর নেতৃত্বে এলাকার সাধারণ জনগণ ও তৃণমূল আওয়ামী লীগকে নিয়ে কাজ করতে পারবেন, সেই লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে যাওয়া।’

ঝোঁকের বশেই চলচ্চিত্রে আসেন শাকিল খান। ক্যারিয়ারে প্রথম ‘আমার ঘর আমার বেহেশত’ ছবিতে অভিনয় করেন ১৯৯৪ সালে। সে ছবিটি মুক্তি পায় তিন বছর পর। এরপর যেন এলেন, দেখলেন, জয় করলেন। একে একে উপহার দেন ব্যবসাসফল ‘পাহারাদার’, ‘বিয়ের ফুল’, ‘নারীর মন’, ‘কষ্ট’র মতো অসংখ্য ছবি।

সূত্র: ইত্তেফাক




ডিসেম্বরে লাখ লাখ অ্যাকাউন্ট বন্ধ করবে গুগল

হাজার হাজার গুগল অ্যাকাউন্ট বন্ধ করতে চলেছে গুগল। সাফাই পর্ব শুরু হবে চলতি বছর ডিসেম্বর মাস থেকেই। তার আগে ইউজারদের সতর্ক করতে বিশ্বজুড়ে লাখ লাখ ইউজারদের ই-মেইল পাঠাতে শুরু করেছে সার্চ ইঞ্জিন জায়ান্ট। সংস্থা জানিয়েছে, জারি করা শর্ত না মেনে চললে ইউজারের গুগল অ্যাকাউন্ট পুরোপুরি ডিলিট করে দেওয়া হবে। আমরা সকলেই জানি বর্তমানে গুগল অ্যাকাউন্ট কতটা গুরুত্বপূর্ণ একজন ইউজারের কাছে। ডিলিট হওয়ার হাত থেকে বাঁচানোর জন্য কী কী করতে হবে জেনে নিন।

কেন ডিলিট হবে গুগল অ্যাকাউন্ট?
সার্চ ইঞ্জিন জানিয়েছে যেসব গুগল অ্যাকাউন্টে ২ বছর ধরে কোনো সাইন ইন হয়নি সেইসব অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়া হবে। এর আগে টানা ১৮ মাস অ্যাকাউন্ট থেকে কোনো অ্যাক্টিভিটি না হলে সেটি ইনঅ্যাক্টিভ ধরা হতো।

আসলে গুগলের মতে, ইনঅ্যাক্টিভ গুগল অ্যাকাউন্টগুলিতে হ্যাকিং হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি। কারণ এগুলিতে নিরাপত্তা স্তর অনেক কম থাকে। তাই ইউজারদের প্রাইভেসি সুরক্ষিত রাখতে এই পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানিয়েছে গুগল। টেক সংস্থাটি ই-মেইলে জানিয়েছে, ১ ডিসেম্বর ২০২৩ থেকে এই সকল অসক্রিয় অ্যাকাউন্ট সম্পূর্ণভাবে মুছে ফেলা হবে।

আপনি কীভাবে অ্যাকাউন্ট সুরক্ষিত রাখবেন?
আপনার যদি কোনো গুগল অ্যাকাউন্ট টানা ১৮ মাস বা ২ বছর ধরে অসক্রিয় থাকে তাহলে এই উপায়ে পুনরায় সক্রিয় করতে পারেন। প্রথমেই বলে রাখি, আপনি যদি সম্প্রতি গুগল অ্যাকাউন্টে সাইন ইন করে থাকেন তাহলে ভয় পাওয়ার দরকার নেই। কারণ এ ক্ষেত্রে গুগল আপনার অ্যাকাউন্ট ডিলিট করবে না।গুগল বলেছে, যদি কোনো অ্যাকাউন্ট অসক্রিয় থাকে তাহলে তার ই-মেইল এবং সেই ই-মেইলের রিকভারি ই-মেইল সতর্ক বার্তা পাঠাতে থাকব আমরা। এই গুগল অ্যাকাউন্ট যদি ডিলিট করে দেওয়া হয় তাহলে তার সঙ্গে যুক্ত জিমেইল অ্যাকাউন্ট আর ব্যবহার করতে পারবেন না সেই ইউজার। এমনকি নতুন গুগল অ্যাকাউন্ট খোলার ক্ষেত্রেও নয়।

সূত্র: ইত্তেফাক