মেহেরপুরের এসপিসহ ৫এসপি ও ২কমিশনার প্রত্যাহার

মেহেরপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) রাফিউল আলমসহ পাঁচ এসপি ও দুই মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারকে নিজ নিজ কর্মক্ষেত্র থেকে প্রত্যাহার করার নির্দেশ দিয়েছেন নির্বাচন কমিশন।

আজ ১০ ডিসেম্বর বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের উপসচিব মিজানুর রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তি মন্ত্রীপরিষদ সচিব ও  মহাপুলিশ পরিদর্শককে অনুলিপি প্রদান করা হয়েছে। বাকিরা হলেন- বরিশাল মেট্রোপলিটন কমিশনার, সিলেট মেট্রোপলিটন কমিশনার, হবিগঞ্জ পুলিশ সুপার, পিরোজপুর পুলিশ সুপার, নোয়াখালী পুলিশ সুপার ও সাতক্ষিরা পুলিশ সুপার।

বিজ্ঞপ্তিতে প্রত্যাহারকৃত পদগুলোতে অভিজ্ঞ ও যোগ্য কর্মকর্তাদের পদায়ন করে প্রস্তাব নির্বাচন কমিশনকে পাঠানোর নির্দেশ করা হয়েছে।




সাবেক এমপি প্রফেসর আব্দুল মান্নানের কোটি টাকার ফ্ল্যাট, বিলাসবহুল গাড়ি

মেহেরপুর ১ সংসদীয় আসনের সাবেক সংসদ সদস্য প্রফেসর আব্দুল মান্নান। তিনি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন চেয়েছিলেন।

দলীয় মনোনয়ন পেতে ব্যার্থ হয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন। ইতিপুর্বে তিনি ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচন (১৯৯১) এবং সপ্তম জাতীয় সংসদের উপনির্বাচনে (১৯৯৯) দুই দফা আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে জয়ী হন এবং মেহেরপুর-১ সংসদীয় আসনের সংসদ সদস্যের দায়িত্ব পালন করেন।

অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী মাসুদ অরুণের কাছে পরাজিত হন। এছাড়াও তিনি নবম ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে দাঁড়ালেও তার মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়। দশম সংসদ নির্বাচনে তিনি প্রার্থী হননি। ৬ষ্ঠ, ৭ম ও ৮ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তার দাখিল করা হলফনামা নির্বাচন কমিশনে পাওয়া যায়নি। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের হলফনামায় তিনি নিজের পেশা ঘোষণা করেছেন কৃষি ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী হিসেবে।

নির্বাচন কমিশনে দাখিল করা দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোননয় পত্রের সাথে জমা দেওয়া হলফনামা এবং নবম ও একাদশ সংসদ নির্বাচনের হলফনামা বিশ্লেষণ করে নিচের তথ্যগুলি জানা গেছে।

হলফনামা বিশ্লেষণে দেখা গেছে, বর্তমানে প্রফেসর আব্দুল মান্নানের স্থাবর সম্পদের মধ্যে আছে ১০ হাজার টাকায় কেনা পাঁচ বিঘা কৃষি জমি। ধানমন্ডি আবাসিক এলাকায় ‘মানাম ইছামতি’ নামক এপার্টমেন্টে ৩০৯২ বর্গফুটের একটি ফ্ল্যাট, যার বাজার মূল্য ১ কোটি ২১ লাখ ২০ হাজার টাকা। একাদশ নির্বাচনে দাখিল করা হলফনামাতে তার কৃষি জমি ছিল ১০ হাজার টাকার সমমূল্যের উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত ১৫ বিঘা কৃষি জমি। অকৃষি জমি ছিল ১৯ লাখ ১৫ হাজার টাকা সমমূল্যের। মনোনয়ন বাতিল হওয়ার নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও তার স্থাবর সম্পদ একই ছিল। তবে অস্থাবর সম্পদের মধ্যে ছিল ১ লাখ ২২৩ টাকা, ১২ লাখ ৬৫ হাজার টাকা ব্যাংকে জমা।

২০১৮ সালে একাদশ নির্বাচনে মনোনয়ন দাখিলের সময় হলফনামা অনুযায়ী তার স্থাবর সম্পদ একই থাকলেও অস্থাবর সম্পদের মধ্যে ছিল নগদ ১৫ লাখ টাকা, ব্যাংকে ২ লাখ টাকা, ২৫ ভরি স্বর্ণ, ৯০ হাজার টাকার ইলেকট্রনিক্স ও ৬০ হাজার টাকা সমমূল্যের আসবাবপত্র।

বর্তমানে তার অস্থাবর সম্পদের মধ্যে রয়েছে নগদ ৫ লাখ টাকা, ব্যাংকে জমা আছে ২২ লাখ ৯০ হাজার ৩১৬ টাকা, ব্যবহৃত গাড়ির মূল্য ৬১ লাখ ৩২ হাজার টাকা। ১০ হাজার টাকার সমমূল্যের ২৫ ভরি স্বর্ণ সহ ৯০ হাজার টাকার ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী ও ৬০ হাজার টাকা সমমূল্যের আসবাবপত্র রয়েছে। উপহার সূত্রে পাওয়া আরো কিছু ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী ও আসবাবপত্র আছে।

নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় তার মনোনয়ন পত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়, সে সময় হলফনামায় আগ্নেয়াস্ত্র হিসেবে ৩০ হাজার টাকা মূল্যের একটি পিস্তল দেখানো হলেও পরবর্তীতে আর কোন হলফনামাতে পিস্তলটির কথা উল্লেখ করা হয় নি।




মেহেরপুরে গ্যাস ব্যবসায়ী সবুজের পিতার ইন্তেকাল

মেহেরপুর কাঁসারী পাড়া প্রধান সড়কের বিশিষ্ট গ্যাস ব্যবসায়ী সবুজের পিতা সরোয়ার উদ্দিন (৭২) বার্ধক্য জনিত কারণে ইন্তেকাল করেছেন। মৃত সরোয়ার উদ্দিন মেহেরপুর পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মল্লিক পাড়ার বাসিন্দা ছিলেন।

শনিবার ৯ ডিসেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন। মৃত সরোয়ার উদ্দিন মেহেরপুর জেলা ক্রীড়া অফিসের অবসরপ্রাপ্ত অফিস সহকারী ছিলেন।

পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে রবিবার সকাল ১০ টায় হোটেল বাজার জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে জানাজা শেষে মেহেরপুর পৌর কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।




কুষ্টিয়ায় অসুস্থ গরু জবাই করে বাজারে বিক্রি, কসাইয়ের জরিমানা

কুষ্টিয়া সদর উপজেলায় অসুস্থ গরু জবাই করে তা বাজারে বিক্রির অভিযোগ জুয়েল ইসলাম নামে এক কসাইকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

আজ শনিবার সকালে উপজেলার কবুরহাট বাজারে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে তাকে জরিমানা করা হয়। দণ্ডপ্রাপ্ত কসাই মো: জুয়েল ইসলাম বটতৈল ইউনিয়নের মোঃ আখের আলীর ছেলে।

স্থানীয়রা জানান, রাতের আঁধারে অসুস্থ গরুটি জবাই করে সকালে মাইকিং করে বিক্রি করছিলো। বিষয়টি জানাজানি হলে প্রশাসনকে খবর দেওয়া হয়

ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) দবির উদ্দিন বলেন, সদর উপজেলার কবুরহাট বাজারে একটি অসুস্থ গরু (এলএসডি) জবাই করে তা বাজারে মাইকিং করে বিক্রি করছিলো কসাই মো: জুয়েল ইসলাম। খবর পেয়ে দ্রুত অভিযুক্ত ব্যবসায়ীর দোকান পরিদর্শনে যাই। সেখানে রোগাক্রান্ত গরুর মাংস বিক্রির সত্যতা পেয়ে কসাইকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। একই সাথে মাংস নষ্ট করা হয়েছে। এ ছাড়া কেউ যেন খাওয়ার অনুপযোগী মাংস বিক্রয় না করে, সে বিষয়ে সব ব্যবসায়ীকে কঠোরভাবে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে কয়েকজন ভুক্তভোগী অভিযোগ করে বলেন, কতিপয় কিছু মাংস ব্যবসায়ী প্রায় খাওয়ার অনুপযোগী অসুস্থ পশু জবাই করে মাংস বিক্রি করেন। এসব মাংস বিক্রির জন্য অনেকেই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে কিংবা বাসাবাড়ির ফ্রিজে রাখা হয়। সেগুলো হাটে আবার বিক্রি করা হয়। কিন্তু স্থানীয় সরকারের ইউনিটগুলোর নীরব ভূমিকার কারণে ক্রমশই বেপরোয়া হয়ে উঠছে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী। এদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছেন তারা।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার ডাঃ কিশোর কুমার কুন্ডু বলেন, মাংস ক্রয়ের সময় অবশ্যই পশুর ফিটনেস সার্টিফিকেট দেখে নিতে হবে। সন্দেহ হলে স্থানীয় প্রশাসনকে খবর দেয়ার অনুরোধ রইলো।




চুয়াডাঙ্গায় আন্তর্জাতিক দূর্নীতি বিরোধী দিবস উদযাপন

উন্নয়ন, শান্তি ও নিরাপত্তার লক্ষ্যে দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমরা ঐক্যবদ্ধ” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে চুয়াডাঙ্গায় আন্তর্জাতিক দূর্নীতিবিরোধী দিবস-২০২৩ উদযাপন করা হয়েছে।

আজ শনিবার সকাল ৮ টা ৪৫ মিনিটে জাতীয় পতাকার সংগীত পরিবেশন ও দুদক পতাকা উত্তোলন ফেস্টুন ব্যানার উড্ডয়নের মধ্যে দিয়ে দিবসটির শুভ উদ্বোধন করেন সভার প্রধান অতিথি চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমা । এরপর দিবসটি নিয়ে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মুখীনে মানববন্ধন করা হয়।

পরে এ দিবসটি উপলক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয় জেলা প্রশাসকের সন্মেলন কক্ষে। সভায় সভাপতিত্ব করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা দূর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর সিদ্দিকুর রহমান। এসময় দিবসটি আয়োজন করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক কার্যালয়।

সভায় শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলোওয়াত করেন, চুয়াডাঙ্গা ডিসি কোর্ট মসজিদের পেশ ইমাম ক্বারী কবির আহমেদ ও পবিত্র গীতা থেকে পাঠ করেন বাবু সুনিল মল্লিক। এরপর স্বাগত বক্তব্য রাখেন চুয়াডাঙ্গা জেলা দুর্নীতি দমন কমিশনার বজলুর রহমান।

এরপর জেলায় সরকারি দপ্তরসহ অন্যান্য দপ্তরের দুর্নীতি কি ভাবে কমানো যায় তা নিয়ে আলোচনা করা হয়। আলোচনায় দুর্নীতির বিরুদ্ধে কি ভাবে রুখে দাঁড়াতে হয় তা নিয়ে আলোচনা সভায় উঠে আসে। দুর্নীতি দমন কি ভাবে করতে হয় সভায় উপস্থিত শিক্ষার্থীদের উদ্বুদ্ধ করা হয়।

এরপর সভার প্রধান অতিথি চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমা বলেন, দুর্নীতি দমন করতে হবে সবাইকে। এই জন্য সবাইকে সচেতন হতে হবে। সমাজের নাগরিক হিসেবে দুর্নীতি দমন করতে হবে। যে মোটা দুর্নীতি গুলো হয় সেগুলো প্রতিরোধ করতে হবে। তাহলে ছোট দুর্নীতি গুলো বন্ধ হবে। চুয়াডাঙ্গা জেলার দুর্নীতি যেন খরবের শিরোনাম না হয় সেজন্য সবাইকে সচেতন হতে হবে। আজকের গোটা চারপাশ ও সমাজকে দুর্নীতি মুক্ত করতে হবে। তাহলে দেশ বাচবে ও দেশের মানুষ বাচবে। দুর্নীতি মুক্ত করতে হলে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। দুর্নীত বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে। যে পর্যায়ে দুর্নীতি হোক না কেন সবাইকে রুখতে হবে। সবাই সবার পর্যায়ে থেকে দুর্নীতি দমন করতে হবে।

আলোচনায় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর কামরুজ্জামান, চুয়াডাঙ্গা জেলা মুক্তিযোদ্ধার ইউনিটের সাবেক জেলা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু হোসেন, চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশ সুপার আর এম ফয়জুর রহমান (পিপিএম সেবা), চুয়াডাঙ্গা ঝিনুক বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী, প্রমুখ।

সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, চুয়াডাঙ্গা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) নাজমুল হামিদ রেজা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ( ক্রাইম এ্যান্ড অপস) নাজিম উদ্দিন আল আজাদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ( অর্থ ও প্রশাসন) রিয়াজুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (দামুড়হুদা সার্কেল) জাকিয়া সুলতানা, চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জনের প্রতিনিধি ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা. আওলিয়ার রহমান, প্রমুখ।

এছাড়াও সভায় উপস্থিত ছিলেন জেলার সরকারি দপ্তরের সকল কর্মকর্তা ও জেলা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পুলিশ সদস্য, জেলার ছাত্র ও ছাত্রী, সুসিল সমাজের নেতৃবৃন্দ, চুয়াডাঙ্গা রোভার স্কাউটসের সদস্যবৃন্দ।

সভার শেষ পর্বে সভায় উপস্থিত সকলে স্লোগান দিয়ে বলে ওঠে দুর্নীতি কে না বলি, দুর্নীতির বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলি।




এসএসসি পাসে বঙ্গবন্ধু হাসপাতালে চাকরির সুযোগ

বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল হাসপাতাল নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। প্রতিষ্ঠানটি ক্যান্টিন বয় পদে একাধিক লোকবল নিয়োগের জন্য এ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে। গত ০৬ ডিসেম্বর থেকেই আবেদন নেওয়া শুরু হয়েছে, যা আগামী ০৫ জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে। আগ্রহী প্রার্থীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন।

পদের নাম

ক্যান্টিন বয়

পদসংখ্যা

নির্ধারিত নয়

শিক্ষাগত যোগ্যতা

জেএসসি, এসএসসি বা সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ

অন্যান্য যোগ্যতা

কফি শপ, খাদ্য ও পানীয়, হোটেল, রিসোর্ট, রেস্তোরাঁয় কাজের দক্ষতা থাকতে হবে।

অভিজ্ঞতা

কমপক্ষে এক বছর

চাকরির ধরন

ফুলটাইম

বয়সসীমা

১৮ থেকে ৩০ বছর

কর্মস্থল

চট্টগ্রাম

বেতন

আলোচনা সাপেক্ষে

আবেদনের শেষ সময়

০৫ জানুয়ারি ২০২৪

আবেদন প্রক্রিয়া

আগ্রহী প্রার্থীরা আবেদন করতে ও বিস্তারিত বিজ্ঞপ্তিটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন।




ঝিনাইদহে কিন্ডারগার্টেন এন্ড প্রি-ক্যাডেট স্কুল ফাউন্ডেশনের বৃত্তি পরীক্ষা সম্পন্ন

বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন এন্ড প্রিক্যাডেট স্কুল ফাউন্ডেশন কর্তৃক আয়োজিত ৮ ও ৯ ডিসেম্বরের বৃত্তি পরীক্ষা-২০২৩ শান্তিপূর্ণ ভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

ঝিনাইদহ সরকারী উচ্চ বালক বিদ্যালয়ে প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে পরীক্ষা শুরু হয়ে ৫টা পর্যন্ত চলেছে। ঝিনাইদহ সদর উপজেলার অন্তর্গত ফাউন্ডেশনের আওতাধীন ৩১টি প্রিক্যাডেট স্কুল ও কিন্ডারগার্টেনের ৮২৫জন ছাত্রছাত্রী এই পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করে।

ঢাকাসহ সারাদেশে একযোগে এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। পরীক্ষা চলাকালীন কেন্দ্র পরিদর্শন করেণ ফাউন্ডেশনের কেন্দ্রীয় সদস্য সচিব ও বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন এন্ড প্রিক্যাডেট স্কুল ফাউন্ডেশন এর ঝিনাইদহ জেলা শাখার সভাপতি আবুল কালাম আজাদ।

এসময় উপস্থিত ছিলেন ঝিনাইদহ জেলার সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুদ পারভেজ। এছাড়াও পরীক্ষার হল সুপার শহিদুল ইসলাম এবং সহকারী হল সুপার মনিরুজ্জামান মানিক উপস্থিত ছিলেন। হল পরিদর্শণ শেষে কেন্দ্রীয় সদস্য সচিব আবুল কালাম আজাদ পরীক্ষা কক্ষের পরিবেশ দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেণ।




কুষ্টিয়ায় আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস পালিত

কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক মো: এহেতেশাম রেজা বলেছেন, আইন করে দুর্নীতি বন্ধ করা সম্ভব নয়। সবাইকে সচেতন হতে হবে, তবেই কেবল দুর্নীতি বন্ধ সম্ভব। তাই যে যার জায়গা থেকে আগামী নতুন প্রজন্মকে নৈতিকতা শিক্ষা দিয়ে আপনার সন্তানকে মানুষের মতো মানুষ করে তুলতে আহবান জানান।

শনিবার (৯ ডিসেম্বর) সকালে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

জেলা প্রশাসক বলেন, প্রতিটি মানুষের মধ্যেই দুর্নীতি নিমজ্জিত রয়েছে। সমাজ ও দেশকে দুর্নীতিমুক্ত করতে হলে সবার আগে নিজেকে পরিবর্তন করতে হবে। প্রতিটি মানুষকে জবাবদিহীতার আওতায় আনতে হবে। সমাজ দুর্নীতিমুক্ত করতে হলে কঠোর আইন প্রণয়ন করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, যে কোনভাবেই হোক দুর্নীতি রুখতে হবে। মুখে নয়, বুকে সাহস নিয়ে দূর্নীতি রুখতে সকল সরকারী কর্মকর্তাদের এগিয়ে আসতে হবে। তবেই বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব হবে।

অনুষ্ঠানে দুর্নীতি দমন কমিশনের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. হাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তারেক জুবায়ের, কুষ্টিয়া জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি রেজানুর রহমান খান চৌধুরী মুকুল, সাধারণ সম্পাদক এসএম কাদেরী শাকিল প্রমুখ।

এরআগে ‘উন্নয়ন, শান্তি ও নিরাপত্তার লক্ষ্যে দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমরা ঐক্যবদ্ধ’ এ স্লোগানে জেলা প্রশাসকের কালেক্টর চত্বরে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের পর বেলুন উড়িয়ে দিবসের উদ্বোধন করা হয়।

জেলা প্রশাসক, দুর্নীতি দমন কমিশন ও জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি এর আয়োজন করে।




মেহেরপুরে নিত্যপণ্যের বাজারে অস্থির

বৈশ্বিক অর্থনীতির নাজুক পরিস্থিতির মধ্যে বাংলাদেশের নিত্যপণ্যের বাজারে প্রায়ই দেখা দেয় অস্থিরতা। ক্রমেই নানা অজুহাতে বাড়ছে জিনিসপত্রের দাম। মূল্যস্ফীতি বেড়ে যাওয়ায় বাজারে গিয়ে হিসেব মিলাতে পারছে না ক্রেতারা। ফলে ব্যয়ের ক্ষেত্রে কাটছাঁট করতে একরকম বাধ্য হচ্ছেন সাধারণ মানুষ ও শ্রমজীবী মানুষ।

এখন বাংলাদেশের প্রধান কয়েকটি আলোচ্য বিষয়ের অন্যতম হলো নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের লাগামহীন মূল্য বৃদ্ধি। ক্রমাগতভাবে বৃদ্ধিপাচ্ছে এসব পণ্যের মূল্য। জনকল্যাণে নেওয়া সরকারের নানা পদক্ষেপের পরও কোন কোন পণ্যের মূল্য দ্বিগুণ, তিনগুণ বেড়েছে। গত কয়েকমাস ধরে এসব পণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির কারণে চরম বিপাকে পড়েছেন দেশের সাধারণ মানুষ। শ্রমজীবীদের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। চাল, ডাল, ডিম, চিনি ও তেলসহ প্রায় প্রতিটি নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের দাম এখন আকাশচুম্বী। সাধ্যের বাইরে মুরগি, গরু ও খাসির মাংস। এ নিয়ে মেহেরপুর প্রতিদিনের সাপ্তাহিক পাইকারি ও খুচরা বাজার দরের তারতম্যের চিত্র নিম্নরুপ।

গতকাল শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) সহ গত এক সপ্তাহে সরজমিনে মেহেরপুর শহরের পাইকারি ও খুচরা বাজার পরিদর্শন করে নিত্য প্রয়োজনীয় কিছু পণ্যের মূল্য তালিকায় বিগত সপ্তাহের তুলনায় তারতম্য লক্ষ্য করা গেছে।

মেহেরপুর বড় বাজারে, মোটা চাল পাইকারি মূল্য ৫২ টাকা কেজি ও খুচরা মূল্য ৫৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে ৫ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছ। মাঝারি চাল পাইকারি মূল্য ৫৬ টাকা কেজি ও খুচরা মূল্য ৫৮ টাকা কেজি, সপ্তাহের ব্যবধানে ২ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। সরু চাল পাইকারি মূল্য (৬১-৬২) টাকা কেজি ও খুচরা মূল্য (৬৪-৬৫) টাকা কেজি। সপ্তাহের ব্যবধানে অপরিবর্তিত রয়েছে। আলু পাইকারি বিক্রয় মূল্য ৪৫ টাকা ও খুচরা মূল্য ৫০ টাকা কেজি। সপ্তাহের ব্যবধানে ৫ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে ।

দেশি পেঁয়াজ পাইকারি মূল্য ১১০ টাকা ও খুচরা মূল্য ১২০ টাকা কেজি। সপ্তাহের ব্যবধানে ১০ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। এল সি পেয়াজ পাইকারি মূল্য ৯০ টাকা ও খুচরা ১০৫ টাকা কেজি দ্বরে বিক্রি হচ্ছে। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে খুচরা মূল্য ১৫ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে।

ডিম পাইকারি মূল্য ১১৫ টাকা ডজন ও খুচরা মূল্য ১২০ টাকা ডজন। এক সপ্তাহের ব্যবধানে মূল্য ২০ টাকা হ্রাস পেয়েছে। ব্রয়লার মুরগির পাইকারি মূল্য ১৫০ টাকা ও খুচরা মূল্য ১৬০ টাকা কেজি। এক সপ্তাহের ব্যবধানে ৩০ টাকা হ্রাস পেয়েছে।




ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন মারা গেছেন

সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন মারা গেছেন (ইন্নালিল্লাহি….রাজিউন)। শনিবার (৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬টায় রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে মারা যান তিনি।

রাজধানীর বারিধারা জামে মসজিদে তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে বাদ জোহর দ্বিতীয় জানাজা, এরপর আজিমপুর কবরস্থানে মা-বাবার কবরের পাশে তাকে দাফন করা হবে।

নির্ভীক সাংবাদিক তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়ার জ্যেষ্ঠপুত্র ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন ১৯৪০ সালের জানুয়ারি মাসে পিরোজপুর জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ঢাকার নবাবপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ম্যাট্রিক পাস করেন। ছাত্রজীবনে স্কাউট আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন।

১৯৬১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতক ডিগ্রি সম্পন্ন করে ব্যারিস্টারি পড়তে লন্ডন যান এবং মিডল টেম্পল-ইন এ ভর্তি হন। সেখান থেকে ফিরে এসে ১৯৬৫ সালে তিনি হাইকোর্টে আইন ব্যবসা শুরু করেন।

যুক্তরাজ্যে অবস্থানকালে তিনি দৈনিক ইত্তেফাকের লন্ডন প্রতিনিধি হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। এ সময় তিনি কমনওয়েলথ প্রেস ইনস্টিটিউটেরও একজন সদস্য ছিলেন। ইউরোপীয় কমন মার্কেট কমিশনের আমন্ত্রণে তিনি ব্রাসেলস পরিদর্শন করেন। চীনের জাতীয় দিবস উপলক্ষে ১৯৬৯ এবং ১৯৮৯ সালে সরকারি প্রতিনিধি দলের অন্যতম সদস্য হিসেবে চীন সফর করেন।

১৯৬৯ সালে বাবার আকস্মিক মৃত্যুর পর ইত্তেফাক সম্পাদনার গুরুদায়িত্ব তিনি পালন করেন। পরে ১৯৭৩ সালে ইত্তেফাকের সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি হন।

একই বছর বাংলাদেশের প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হিসেবে পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া-কাঁঠালিয়া আসন থেকে নির্বাচিত হন। সংসদে তিনি নিবর্তনমূলক যেকোনো আইন পাসের বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। ব্যক্তি স্বাধীনতার পরিপন্থী রাষ্ট্রপতির ৫০ নম্বর আদেশ জারির সময় তিনি বিরোধিতা করেন। পরবর্তীকালে সরকার আদেশটি রদ করে। ১৯৭৫ সালে সংবিধানের মৌলিক চরিত্র পরিবর্তন করে বাকশাল শাসন প্রবর্তন হলে প্রতিবাদ স্বরূপ সংসদ সদস্য পদ থেকে তিনি ইস্তফা দেন।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের রাজনৈতিক পট-পরিবর্তনের পর তিনি দেশে গণতন্ত্র ও বেসামরিক সাংবিধানিক সরকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য সক্রিয় উদ্যোগ নেন। গণতন্ত্র ও ব্যক্তি স্বাধীনতায় বিশ্বাসী রাজনৈতিক নেতাদের একটি ঐক্যমঞ্চে শামিল করতে তৎপর হন। দেশে একটি ভারসাম্যমূলক রাজনৈতিক ব্যবস্থা গড়ে তোলার প্রয়োজনীয়তার কথা তিনি তার লেখনীর মাধ্যমে তুলে ধরার চেষ্টা করেন। এই লক্ষ্য অর্জনে তিনি ব্যক্তিগতভাবেও উদ্যোগ নেন। এই প্রক্রিয়াকে ফলপ্রসূ করার কাজে তিনি যখন ব্যস্ত ছিলেন, তখন সরকার তাকে ১৯৭৬ সালের নভেম্বর মাসে গ্রেপ্তার করে। তিন মাস ডিটেনশনে আটক রাখার পর ১৯৭৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়।

রাজনীতি ও অর্থনৈতিক ব্যাপারে উদার ও স্বাধীন মতামত রাখার জন্য তিনি ‘নিউ নেশন’ নামে একটি ইংরেজি সাপ্তাহিক পত্রিকা বের করেন, যা পরবর্তীকালে দৈনিক পত্রিকায় রূপান্তরিত হয়।

ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন বাংলাদেশ সংবাদপত্র পরিষদের সভাপতি ও প্রেস কাউন্সিলের সদস্য ছিলেন। বাংলাদেশে প্রথম গঠিত প্রেস কমিশনেও তাকে সদস্য করা হয়। প্রেস কমিশনের রিপোর্ট প্রণয়নে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।

তিনি সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি নির্বাচিত হন (২০০০-২০০১) এবং আইনের শাসন, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও মানবাধিকার রক্ষায় মূল্যবান অবদান রাখেন।

১৯৯০ সালে বহুল আলোচিত ‘৩১ জন বুদ্ধিজীবীর বিবৃতি’র তিনি অন্যতম উদ্যোক্তা এবং স্বাক্ষরদাতা। এই বিবৃতিতে দেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার স্বার্থে নির্দলীয় জাতীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের আহ্বান জানানো হয়েছিল। দেশ ও জাতির বিপদকালে বিবেকবানদের নীরব ও নিষ্ক্রিয় থাকা উচিত নয়, এই উপলব্ধি থেকেই তিনি এই উদ্যোগ নিয়েছিলেন।

ওয়ান-ইলেভেনের পর তিনি এক বছর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অন্যতম উপদেষ্টা হিসেবে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, ভূমি মন্ত্রণালয় এবং তথ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেন। শাসনতান্ত্রিক প্রক্রিয়া রক্ষায় এবং সরকারের নির্বাহী বিভাগ থেকে বিচার বিভাগকে পৃথকীকরণে তিনি বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখেন।

ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের একাধিক গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে, ‘বাংলাদেশ : বাস্তবতা ও প্রত্যাশা’, ‘গণতন্ত্রের সাফল্য চাহিয়াছি’, ‘ঘুরে দাঁড়াতে হবে’, ‘আমার জীবন আমাদের স্বাধীনতা’, ‘বাংলাদেশ : কি চেয়েছি, কি পেয়েছি’, ‘অবিস্মরণীয় মানিক মিয়া’ প্রভৃতি।

সূত্র: ইত্তেফাক