দর্শনা কেরুজ চত্বরে যৌথ চিরুনি অভিযানে ৪টি বোমা উদ্ধার

চুয়াডাঙ্গার অন্যতম বৃহৎ শিল্প প্রতিষ্ঠান কেরু অ্যান্ড কোম্পানি-তে একের পর এক বোমা উদ্ধারের ঘটনায় প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালকের নির্দেশে প্রশাসনের যৌথ চিরুনি অভিযান পরিচালিত হয়েছে।

রবিবার দুপুর ১২:৩০ মিনিটে, দামুড়হুদা ও জীবননগর উপজেলার সার্কেল এএসপি জাকিয়া সুলতানার নেতৃত্বে কেরু এলাকার ১৩৮ একরজুড়ে তল্লাশি শুরু করা হয়।

অভিযানে অংশ নেন চুয়াডাঙ্গা ডিআইওয়ান মোঃ শফিকুর রহমান খান, জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের ওসি মশিউর রহমান, ৫৫ পদাতিক ডিএডি হুমায়ুন আহমেদ (সেনাবাহিনী), কেরুজ আনসার ব্যাটালিয়নের সদস্যরা।

অভিযান চলাকালে বেলা ২টার দিকে দর্শনা কেরুজ ক্যাথলিক গির্জার পাশে একটি ব্যাগের মধ্যে লাল কসটেপ মোড়ানো ৪টি শক্তিশালী বোমা পাওয়া যায়।

কেরুজ সিকিউরিটি অফিসার মোজাহিদুল ইসলাম জানান, সেনাবাহিনী, র‍্যাব, পুলিশ, কেরুজ সিকিউরিটি গার্ড ও ডিবি পুলিশ সকাল থেকেই যৌথভাবে তল্লাশি চালাচ্ছিল। এ সময় জয়নাল আবেদীন নফর সংগঠনের অফিসের পেছনে একটি পলিথিনের ব্যাগে বোমাগুলো দেখতে পান।

সঙ্গে সঙ্গে পুরো এলাকা ফিতা দিয়ে ঘিরে ফেলা হয় এবং সেনাবাহিনী, র‍্যাব, পুলিশ ও ডিবি বাহিনী বোমার চারপাশ পাহারা দিতে থাকে।

দর্শনা থানার ওসি শহীদ তিতুমীর জানিয়েছেন, রাজশাহী বোমা ডিসপোজাল টিমকে খবর দেওয়া হয়েছে। টিম আসার আগ পর্যন্ত সেনাবাহিনী, পুলিশ ও কেরুজ সিকিউরিটি বাহিনী পুরো এলাকা পাহারায় থাকবে।

এর আগে, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ কেরুজ ক্লাবের পাশে একটি শক্তিশালী বোমা উদ্ধার করে রাত ৮:৩২ মিনিটে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।

১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ কেরুজ ক্লাবের সামনে পুকুরে কালো টেপ মোড়ানো বোমা পাওয়া যায়। র‍্যাব-৫ এর বোমা ডিসপোজাল টিম এসে রাত ৮:২৪ মিনিটে বিস্ফোরণ ঘটায়।

৯ অক্টোবর ২০২৪ দর্শনা বাসস্ট্যান্ডের এনজিও অফিস ডাকাতির সময় একটি বোমা ফেলে যায় ডাকাত দল। সেটিও কেরুজ ক্লাব মাঠে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।

চার মাসে কয়েক দফা সিরিজ বোমা উদ্ধার ও বিস্ফোরণের ঘটনায় কেরু এলাকার কর্মকর্তা-কর্মচারী ও স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।

এ বিষয়ে দর্শনা থানার ওসি শহীদ তিতুমীর জানান, বোমাগুলো কারা রেখে যাচ্ছে, কেন রাখা হচ্ছে তা নিয়ে তদন্ত চলছে। রাজশাহী বোমা ডিসপোজাল টিম এসে নতুন উদ্ধার হওয়া বোমাগুলোর বিস্ফোরণ ঘটাবে।




দামুড়হুদায় প্রাথমিক জাতীয় শিক্ষা পদক প্রতিযোগিতা

দামুড়হুদায় দুই দিনব্যাপী প্রাথমিক জাতীয় শিক্ষা পদক প্রতিযোগিতার জাঁকজমকপূর্ণ ভাবে উদ্বোধন করা হয়েছে।

রবিবার সকাল ১০ টার সময় “সুস্থ দেহ সুন্দর মন”স্লোগানকে সামনে রেখে খেলাধুলা শিশুর মনকে বিকশিত করে এবং মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করে এই ধারাবাহিকতায় উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের আয়োজনে দামুড়হুদা স্টেডিয়াম মাঠে এই প্রতিযোগিতার শুভ উদ্বোধন করা হয়।

প্রধান অতিথি থেকে জাতীয় শিক্ষা পদক প্রতিযোগিতার শুভ উদ্বোধন করেন দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মমতাজ মহল।

এসময় তিনি বলেন, কোমলমতি শিক্ষার্থীরা আমার সন্তানের মত, লেখা পড়ার পাশাপাশি এই প্রতিযোগিতা কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মেধার বিকাশ ঘটাবে। প্রাথমিক পর্যায়ে আমাদের যেসব সন্তানরা লেখাপড়া করে, তাদেরকে আগামীর সুন্দর ভবিষ্যৎ প্রজন্ম হিসেবে গড়ে তোলার জন্য শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের পাশাপাশি আমরা যারা বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তাদের দায়িত্ব নিয়ে শিক্ষা দিচ্ছি। আমাদেরকে তাদের নিজ সন্তানের মত মনে করে লেখাপড়ার পাশাপাশি মেধাবৃত্তিক প্রজন্ম গড়ে তুলতে হবে। আমরা এখন যারা বিভিন্ন পর্যায়ে নেতৃত্ব দিচ্ছি এই নেতৃত্বকে আরও বেগবান করার জন্য সঠিক গুণাবলীর মাধ্যমে আগামীর প্রজন্ম হিসাবে তাদেরকে গড়ে তুলতে হবে। তাহলে আমরা দেশের জন্য কিছু করে যেতে পারবো।

উপজেলার ১১৬ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিয়ে জাতীয় শিক্ষা পদক প্রযোগিতায় ৫৪ টি ইভেন্টে অ্যাথলেট, ক্রীড়া এবং সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবু হাসানের সভাপতিত্বে এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দামুড়হুদা উপজেলা বিএনপির সভাপতি মনিরুজ্জামান মনির, সাধারণ সম্পাদক রফিকুল হাসান তনু, উপজেলা জামায়াত ইসলামের সহকারি সেক্রেটারি আবেদ-উদ-দৌলা টিটন, দামুড়হুদা প্রেসক্লাবের সভাপতি শামসুজোহা পলাশ, সাধারণ সম্পাদক তানজির ফয়সাল, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন জেলা আহ্বায়ক কমিটির যুগ্ম- সাধারণ সম্পাদক তানভীর অনিক প্রমুখ।




ঝিনাইদহে জাতীয় নাগরিক কমিটির মতবিনিময় সভা

ঝিনাইদহ জাতীয় নাগরিক কমিটির এক বিশেষ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে জাতীয় নাগরিক কমিটি জেলা শাখার আয়োজনে শহরের নতুন হাটখোলা এলাকায় সংগঠনটির জেলা কার্যালয়ে এ সভার আয়োজন করা হয়।

এতে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঝিনাইদহ জেলা নাগরিক কমিটির প্রধান সংগঠক নাসির আল সাদী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নেতা তারিক রেজা। আরও উপস্থিত ছিলেন ঝিনাইদহ জেলা নাগরিক কমিটির নেতা তারেক বাবু, আরেফিন কায়সার, আলাউদ্দিন জোয়ারদার, শাম্মী পারভিন, হাবিবুর রহমান, মুজাহিদুল ইসলাম, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য সচিব সাইদুর রহমান ও সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মনির হোসেন।

এছাড়াও কোটচাঁদপুর উপজেলার জাতীয় নাগরিক কমিটির মামুন, মোকলেসুর, হাবিবুর, মহেশপুর উপজেলার আবুল কালাম আজাদ, হরিণাকুণ্ডু উপজেলার আলমগীরসহ বিভিন্ন উপজেলার নেতৃবৃন্দ সভায় অংশ নেন।

সভায় উপস্থিত নেতৃবৃন্দ নাগরিক অধিকার ও সামগ্রিক উন্নয়ন নিয়ে মতামত প্রদান করেন এবং জাতীয় নাগরিক কমিটির ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেণ।




লেবু পানি কি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে পারে?

গরমকালে এটি একটি আদর্শ তৃষ্ণা নিবারক। যারা ওজন কমাতে চান তাদের জন্যও এটি একটি অলৌকিক ওষুধ। আবার ‘হ্যাংওভার’ কাটাতেও কাজ করে জাদুর মতো। এতক্ষণে নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন কীসের কথা বলছিলাম? বলছিলাম গ্লাস লেবু পানির কথা।

এই পানীয়টি চিনি ও সোডা জাতীয় অন্যান্য যেকোনও পানীয়ের চেয়ে কম ক্যালোরির সুস্বাদু বিকল্প। বিশেষজ্ঞরা ডায়াবেটিস রোগীদের লেবু পানি পানের পরামর্শ দেওয়ার এটি একটি প্রধান কারণ।

বর্তমানে বিশ্বব্যাপী ৪২৫ মিলিয়নেরও বেশি মানুষ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। এই অবস্থা থেকে মুক্তি পাওয়া সহজ নয়। সঠিক যত্ন, ওষুধের অভাব এবং দেরিতে রোগ নির্ণয় ডায়াবেটিসকে আরও জটিল করে তুলতে পারে। যেসব খাদ্য আমরা গ্রহণ করি তা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

ডায়াবেটিস রোগীদের পরিশোধিত কার্বোহাইড্রেট থেকে বিরত থাকা উচিত এবং ফাইবার এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার এবং পানীয় গ্রহণ করা উচিত।

এক গ্লাস সাধারণ লেবু পানি ডায়াবেটিস রোগীদের ডায়েট চার্টে একটি দুর্দান্ত সংযোজন হতে পারে। কীভাবে? চলুন জেনে নেওয়া যাক।

১. লেবুর পানি রক্তে শর্করার মাত্রা সরাসরি প্রভাবিত করতে পারে না বা তা কমিয়ে আনতে পারে না। তবে এর অকাল বৃদ্ধি রোধ করতে সাহায্য করতে পারে। খুব সহজেই তৈরি এই পানীয়তে কার্বোহাইড্রেট এবং ক্যালোরি খুব কম থাকে যা শরীরকে হাইড্রেটেড রাখে। ডায়াবেটিস রোগীদের ডিহাইড্রেশনের ঝুঁকি থাকে কারণ স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি রক্তে গ্লুকোজ আপনার শরীরের তরল পদার্থ কমিয়ে দেয়। তাই এটি হাইড্রেটেড থাকা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

২.লেবুতে দ্রবণীয় ফাইবার থাকে, যা সহজে ভেঙে যায় না এবং রক্তপ্রবাহে শর্করার ধীর গতিতে নির্গমন নিশ্চিত করে। দ্রবণীয় ফাইবার কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করে এবং রক্তচাপ স্থিতিশীল করে হৃদপিণ্ডকে সুস্থ রাখতেও সাহায্য করে।

৩. লেবুতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে। আমেরিকান ডায়াবেটিস অ্যাসোসিয়েশন লেবু, কমলা এবং আঙ্গুরের মতো সাইট্রাস ফলকে ‘ডায়াবেটিস সুপারফুড’ বলে অভিহিত করে।

৪.লেবুতে ফাইবার, ভিটামিন সি, ফোলেট এবং পটাসিয়াম রয়েছে, যা স্বাস্থ্যকর ডায়াবেটিস ডায়েটের জন্য খুবই উপকারী। ‘অ্যাডভান্সেস ইন নিউট্রিশন’ জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণায় দেখা গেছে, লেবু এবং অন্যান্য সাইট্রাস ফলের মধ্যে পাওয়া রাসায়নিক যৌগ ন্যারিঙ্গিনেনের ডায়াবেটিস-বিরোধী বৈশিষ্ট্য থাকতে পারে।

লেবুর রস ছেঁকে পানি দিয়ে পান করলে এটি শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় ফাইবার বা ভিটামিন সি গ্রহণের পরিমাণ নাও হতে পারে। তবে বাজারে পাওয়া সোডাজাতীয় পানীর থেকে এটি ভালো, কারণ এতে (সোডাজাতীয় পানীয়) ক্যালোরি এবং চিনি থাকে।

বাড়িতে লেবু পানি তৈরির সময় অবশ্যই তাতে চিনি মেশাবেন না। সকালে খালি পেটে এটি খাওয়া ভালো।

সূত্র: এনডিটিভি




জনবল সংকটে ঝিনাইদহ বিটিসিএল এখন মৃতঘোড়া!

জৌলুস হারানো বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানি লিমিটেড (বিটিসিএল) এর ঝিনাইদহ অফিসটি এখন ডেডহর্স। আগের মতো কোলাহলমুখর পরিবেশ নেই অফিসে। নিয়োগ বন্ধ দীর্ঘদিন, তাই জনবলের অভাবে কাজে গতি নেই। এদিকে লোকবলের আভাবে টেলিফোন গ্রাহকরা বাড়িতে বিল পাচ্ছেন না।

আবার কেউ পেলেও অন্যদিকে দক্ষ কারিগরের অভাবে দ্রুত গতির ইন্টারনেট জি-ফোন সেবা মুখথুবড়ে পড়েছে। এতে দিনকে দিন গ্রাহক সংখ্যা কমে নিম্ন পর্যায়ে পৌচেছে। টেলিফোন সেবা থেকে মানুষ মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন। সবমিলিয়ে ঝিনাইদহ বিটিসিএল অফিসটি নানা সমস্যায় জর্জরিত।

তথ্য নিয়ে জানা গেছে, ঝিনাইদহ জেলায় একসময় কয়েক হাজার টেলিফোন লাইন ছিল। ছিল ইন্টারনেট সুবিধা। এক সময় মানুষ টেলিফোনের উপর পুরোপুরি নির্ভরশীল ছিল। অফিসগুলো ছিল উৎসবমুখর। বাসাবাড়িতে টেলিফোন লাইন থাকা আভিজাত্যের প্রতিক হিসেবে দেখা হতো। আর এখন সরকারী টেলিফোন দেখলে মানুষ ভর্সনা করেন। এর প্রধানতম কারণ হলো দেশে সেলুলার ফোন চালু হলে প্রতিযোগিতায় টিকতে পারেনি একমাত্র সরকারী প্রতিষ্ঠান বিটিসিএল।

টেলিফোন লাইন কমতে কমতে এখন ঝিনাইদহ জেলায় ১২৭৪টি সংযোগে এসে ঠেকেছে। এরমধ্যে আবার জি-ফোন ইন্টারনেট সংযোগ আছে ৬০০টি। চব্বিশ ঘন্টা সেবা না থাকায় জি-ফোনের উপরও মানুষ বিরক্তি হয়ে পড়ছে। জি-ফোনের ইন্টারনেটের সমস্যা দেখা দিলে কাউকে পাওয়া যায় না। অথচ বেসরকারী ইন্টারনেট লাইনের সেবা পাওয়া যায় সব সয়।

ঝিনাইদহ বিটিসিএল অফিস সুত্রে জানা গেছে, ডাক ও টেলিযোগাযোগ অধিদপ্তরের মাত্র তিনজন কর্মকর্তা ঝিনাইদহ অফিসে কর্মরত আছেন। তাদের চাকরির বয়স শেষে হলে ওই পদও বিলুপ্ত হবে। বিটিসিএল এখন প্রতিষ্ঠানটি নিয়ন্ত্রন করছে। ঝিনাইদহ অফিসে বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানি লিমিটেডের (বিটিসিএল) কর্মকর্তা কর্মচারির সংখ্যা মাত্র ১৩জন। উপজেলা পর্যায়ে বিটিসিএলের অফিস ও সম্পদ পাহারায় মাত্র একজন, কোন কোন অফিসে দুইজন করে কর্মরত আছেন। ফলে গ্রাহকদের সেবা পৌঁচেছে শুন্যের কোঠায়।

এই অল্প সংখ্যক কর্মকর্তা-কর্মচারি দিয়ে ধীরগতিতে চলছে অফিসটি। এসএম বিল্লাহ নামে এক টেলিফোন গ্রাহক অভিযোগ করেন ৮ বছর আগে তিনি তার প্রতিষ্ঠানের টেলিফোন লাইন সারেন্ডার করেছিলেন। এই সময়ের মধ্যে অফিস থেকে সারেন্ডারকৃত লাইনের কোন বিল আসেনি। ফলে তিনি ধরে নিয়েছিলেন আবেদনের প্রেক্ষিতে তার লাইন সারেন্ডার হয়েছে।

কিন্তু সম্প্রতি সারেন্ডারকৃত ওই লাইনের ৮ বছরের বিল একসঙ্গে তাকে প্রদান করা হয়েছে। তাছাড়া তার দুটি জি-ফোন সংযোগ থাকলেও বাড়িতে টেলিফোন বিল পৌছায় না। এ নিয়ে তিনি খুবই বিড়ম্বনায় আছেন।

উপ-শহরপাড়ার গ্রাহক মিনারা পারভিন জানান, তার বাড়িতে নিয়মিত বিল না পৌছানোর কারণে একসঙ্গে বিল দিতে তার কষ্ট হয়। ব্যাপারীপাড়ার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জি-ফোন গ্রাহক বলেন, তার বাড়িতে কোন বিলই দেওয়া হয় না।

এবিষয়ে ঝিনাইদহ বিটিসিএলের এ্যসিসটেন্ট ম্যানেজার পল্লবী ঘোষ জানান, অফিসের জনবল সংখ্যা সঠিক ভাবে আমার জানা নেই। এটা যশোর থেকে জানতে হবে। জনবল সংখ্যা পুরণ হলে বেশির ভাগ সমস্যার সমাধান হবে বলে তিনি জানান।




ঝিনাইদহে জনবল আত্তীকরণসহ নানা দাবিতে মানববন্ধন

যশোর বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (যবিপ্রবি)’র ঝিনাইদহ ক্যাম্পাসের জনবল আত্তীকরণ, নতুন শিক্ষাবর্ষে ছাত্র ভর্তি এবং বেতন-ভাতা ছাড়ের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচী পালিত হয়েছে।

রোববার দুপুরে ক্যাম্পাসের প্রধান ফটকে মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করেন সংক্ষুব্ধ শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

মানববন্ধনে শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী ছাড়াও অধ্যায়নরত ছাত্র-ছাত্রী ও এলাকার বিভিন্ন শ্রেনিপেশার মানুষ অংশ নেন। সেসময় বক্তব্য রাখেন ডা. তারেক মুসা, ডা. রাকিবুল হাসান শাওন, শিক্ষার্থী মাহাদী মুরতাজা, সায়েদ মুহাইমিন, রমজান হোসেন, জাহিদ হাসান, আকরামুল ইসলাম, ইউসুফ আলী, প্রকল্প কর্মচারী সোহেল, তোফাজ্জেল হোসেন সোহাগ, ফিরোজ, আবু সাঈদ, কাওসার, ঝন্টু মেম্বার প্রমুখ।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ২০২৩ সালে ঝিনাইদহ সরকারি ভেটেরিনারি কলেজকে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি মেডিসিন অনুষদ হিসাবে অধীভূক্ত করা হয়। পরে ঝিনাইদহ সরকারি ভেটেরিনারি কলেজের জনবলকে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদের অধীন আত্মীকরণের সুপারিশ করে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি)।

এছাড়া ইউজিসি ও আন্তঃমন্ত্রনালয়ের বৈঠকেও আত্তীকরণের সুপারিশ করা হয়। তারপরও দীর্ঘদিন অতিবাহীত হলেও এ বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। যে কারণে প্রতিষ্ঠানের অর্ধশত কর্মকর্তা-কমচারীদের ৯মাসের বেতন বন্ধ রয়েছে। এতে তারা মানবেতর জীবনযাপন করছেন।

এছাড়া দীর্ঘ ৩টি শিক্ষাবর্ষে নতুন কোন ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি না করায় ঝিনাইদহ ক্যাম্পাসের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। মাত্র ২জন স্থায়ী শিক্ষক ছাড়া খন্ডকালীন এবং অতিথি শিক্ষক দিয়ে চলছে অনুষদটি এতে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাপক ভাবে ব্যাহত হচ্ছে বলে শিক্ষার্থীরা জানান।

এসময় বক্তারা ভেটেরিনারি কলেজে প্রতিষ্ঠাকালীন ও প্রজেক্টে নিয়োগ প্রাপ্ত কর্মরত সকল শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরকে যবিপ্রবি’র ভেটেরিনারি মেডিসিন ও সার্জারি অনুষদে আত্মীকরণ করে বেতন ছাড়ের দাবি জানান।




কারা অধিদপ্তরে বড় নিয়োগ, আবেদন করুন আজই

কারা অধিদপ্তর রাজস্ব খাতভুক্ত একাধিক শূন্য পদে (ইউনিফর্ম) জনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। এ অধিদপ্তরে ১৭তম গ্রেডে দুই ক্যাটাগরির পদে ৫০৫ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহী প্রার্থীদের অনলাইনে আবেদন করতে হবে।

১. পদের নাম: কারারক্ষী

পদসংখ্যা: ৩৭৮

যোগ্যতা: এসএসসি বা সমমান পাস। উচ্চতা অন্যূন ১.৬৭ মিটার। বুকের মাপ অন্যূন ৮১.২৮ সেন্টিমিটার। ওজন অন্যূন ৫২ কেজি। অবশ্যই অবিবাহিত হতে হবে।

বেতন স্কেল: ৯,০০০–২১,৮০০ টাকা (গ্রেড–১৭)

২. পদের নাম: নারী কারারক্ষী

পদসংখ্যা: ১২৭

যোগ্যতা: এসএসসি বা সমমান পাস। উচ্চতা অন্যূন ১.৫৭ মিটার। বুকের মাপ অন্যূন ৭৬.৮১ সেন্টিমিটার। ওজন অন্যূন ৪৫ কেজি। অবশ্যই অবিবাহিত হতে হবে।

বেতন স্কেল: ৯,০০০-২১,৮০০ টাকা (গ্রেড-১৭)

বয়স: ১৬ মার্চ ২০২৫ তারিখে ১৮ থেকে ২১ বছরের মধ্যে হতে হবে। বয়সের ক্ষেত্রে কোনো অ্যাফিডেভিট গ্রহণযোগ্য নয়।

আবেদন যেভাবে

আগ্রহী প্রার্থীদের এই ওয়েবসাইটে ফরম পূরণের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। নিয়োগসংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য এই লিংকে পাওয়া যাবে। যেকোনো তথ্য ও কারিগরি সহযোগিতার জন্য টেলিটক কাস্টমার কেয়ারে যোগাযোগ অথবা টেলিটক থেকে ১২১ নম্বরে ফোন করা যেতে পারে।

আবেদন ফি

অনলাইনে ফরম পূরণের অনধিক ৭২ ঘণ্টার মধ্যে পরীক্ষার ফি বাবদ ৫০ টাকা, টেলিটকের চার্জ ৬ টাকাসহ মোট ৫৬ টাকা টেলিটক প্রিপেইড মোবাইল নম্বর থেকে এসএমএসের মাধ্যমে জমা দিতে হবে।

আবেদনের সময়সীমা: ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৬ মার্চ ২০২৫, বিকেল ৫টা পর্যন্ত।

সূত্র: যুগান্তর




ঝিনাইদহে গতিহীন হয়ে পড়েছে গ্রাম আদালত

দুই ভাইয়ের মধ্যে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে আদালতে করা মামলা পাঠিয়ে দেওয়া হয় ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম আদালতে। সেখানে উভয় পক্ষের উপস্থিতিতে মামলাটির নিষ্পত্তি ঘটে। এতো সহজে মামলার নিষ্পত্তি হবে ভাবতেও পারেনি ওই মামলার বাদী।

গ্রাম আদালতের মাধ্যমে উপকৃত হওয়ার কথা বলছিলেন ঝিনাইদহের সদর উপজেলার মধুপুর গ্রামের লোকমান মণ্ডল। গ্রাম আদালত সক্রিয় থাকলে অনেক মামলা লোকমান মণ্ডলের মামলার মতো নিষ্পত্তি হতো।

তবে জেলার ৬৭টি ইউনিয়নে দৈনন্দিন কার্যাবলীর ন্যায় গ্রাম আদালত পরিচালনা করার কথা থাকলেও তা যথাযথ ভাবে করা হয় না। মূলত মানুষের অসেচতনতা, এজলাস না থাকা, জনপ্রতিনিধিদের অনিহাসহ নানা কারণে গ্রাম আদালতের সুফল সেভাবে পাচ্ছেনা গ্রামের সাধারণ মানুষ।

প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষ গ্রাম আদালত থেকে কাক্সিক্ষত সেবা পাচ্ছে না তা গত এক বছরে জেলার ৬৭টি ইউনিয়নের চিত্রই বলে দেয়।
জানা গেছে, ২০২৪ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৬৭টি ইউনিয়নে মাত্র ৯২৬ টি মামলা গ্রহণ করে গ্রাম আদালত। এর মধ্যে ৮০৩টি মামলার সমাধান করা হয়। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি মামলা গ্রহণ করে মহেশপুর উপজেলার শ্যামকুড় ইউনিয়ন পরিষদ। এ ইউনিয়নে গ্রাম আদালতে গেল বছর সর্বোচ্চ ৪৮টি মামলা গ্রহণ করে। এর মধ্যে ৪৬টি সমাধান হয়, ২টি মামলা এখনো চলমান রয়েছে।

গত বছর জেলার ৬টি থানায় মোট ২হাজার ২৮৯টি মামলা হয়। নানাবিধ কার্যক্রমের মাধ্যমে সচেতনতা বাড়ানো আর জবাবদিহিতার মধ্যে নিয়ে আসার ব্যাপারে সরকারের উদ্যোগ মাঠ পর্যায়ে সেভাবে কার্যকর হচ্ছে না গ্রাম আদালতে। জেলার অন্তত ২৩টি ইউনিয়ন পরিষদে গ্রাম আদালত পরিচালনার জন্য এজলাস নেই। এজলাস না থাকার কারণে এইসব ইউনিয়ন পরিষদে আদালত কার্যক্রম পরিচালনা করা সম্ভব হচ্ছে না।

ফলে গ্রাম আদালতের সুফল থেকে বঞ্চিত হচ্ছে ওই এলাকার জনগণ। আদালত থেকে পাঠানো মামলা গ্রাম আদালতের মাধ্যমে নিষ্পত্তির নজির খুব বেশি না হলেও অনেক মামলা এখন গ্রাম আদালতের মাধ্যমে নিষ্পত্তি হচ্ছে।

জানা যায়, গ্রামের সকল জনগনকে কম সময়ে নামমাত্র খরচে বিচারিক সেবা প্রদান করার লক্ষে গ্রাম আদালত অধ্যাদেশ জারি হয় ১৯৭৬ সালে। তা আইনে রুপ নেই ২০০৬ সালে। এরপর থেকে ইউএনডিপি এবং ইউরোপিয় ইউনিয়নের আর্থিক ও কারিগরি সহযোগিতায় প্রকল্প আকারে তা মাঠ পর্যায়ে কার্যকর হয়। সর্বশেষ সংশোধনী ২০২৪ অনুযায়ী গ্রাম আদালতের আর্থিক ক্ষমতা ৭৫ হাজার টাকা থেকে পরিবর্তন করে ৩ লাখ টাকা করাসহ তফসিলের দ্বিতীয় অংশে দেওয়ানী বিষয়টি যুক্ত করা হয়েছে।

এদিকে গেল বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর জেলার অধিকাংশ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান-মেম্বাররা আত্মগোপনে চলে যায়। ওই সকল ইউনিয়নে প্রশাসক নিয়োগ দেয় স্থানীয় সরকার বিভাগ। তারপর থেকে ওই সকল ইউনিয়নে গ্রাম আদালতে মামলার সংখ্যা কমতে শুরু করে। তখন থেকে আরো বেশি গতিহীন হয়ে পড়ে গ্রাম আদালতের কার্যক্রম।
সুশাসনের জন্য নাগিরক (সুজন) এর জেলা কমিটির সভাপতি ও মানবাধিকারকর্মী আমিনুর রহমান বলেন,‘আস্থাহীনতার কারণে অনেকে গ্রাম আদালতে যেতে চাই না। এছাড়াও নানা ধরণের জটিলতার কারণে মানুষ থানা পুলিশের দ্বারস্থ হচ্ছে বেশি।’

ঝিনাইদহের অতিরিক্তি পুলিশ সুপার ইমরান জাকারিয়া বলেন, ‘পুলিশের প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থা থাকায় তাঁরা থানায় মামলা করেন বেশি। তারপরেও আমাদের পক্ষ থেকে অনেক বাদীকে মামলার জন্য গ্রাম আদালতে পাঠানো হয়।’

এ ব্যাপারে স্থানীয় সরকার বিভাগ ঝিনাইদহের উপ-পরিচালক রথীন্দ্রনাথ রায় কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘গ্রাম আদালতকে শক্তিশালী করার জন্য ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও প্রশাসকদের নানা নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। যে ইউনিয়নে গ্রাম আদালতের জন্য এজলাস নেই সেখানে আমরা এজলাস তৈরি করে দেবো। বিভিন্ন ধরণের প্রচারণার মাধ্যমে গ্রাম আদালতের কার্যক্রমকে আরো গতিশীল করা হচ্ছে।’




নাকের গড়ন নিয়ে বিপাকে পড়েছিলেন প্রিয়াংকা, ছাড়তে চেয়েছিলেন বলিউডও

বর্তমানে তার রয়েছে বিশ্বজোড়া খ্যাতি। মডেলিং দিয়ে কর্মজীবন শুরু হলে অভিনয়েই তাকে সবাই চিনেছে। বলিউড থেকে হলিউডেও নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন প্রিয়াংকা চোপড়া। কিন্তু একটা সময় বলিউড ছেড়ে ফিরে যেতে চেয়েছিলেন তিনি। একের পর এক কাজ হাতছাড়া হচ্ছিল। সেই কঠিন পরিস্থিতির মূল কারণ ছিল প্রিয়াংকার নাকের গঠন। সম্প্রতি পরিচালক অনিল শর্মা এই বিষয়টি প্রকাশ্যে আনলেন।

কর্মজীবনের প্রথম দিকে নাকে অস্ত্রোপচার হয়েছিল প্রিয়াংকার। নাকের ভিতর থেকে পলিপ সরিয়ে ফেলতে এই অস্ত্রোপচার করা হয়েছিল তার। কিন্তু এই অস্ত্রোপচারের জেরে আরও জটিলতা তৈরি হয়েছিল। যার জেরে বহু ছবি হাতছাড়া হয়েছিল অভিনেত্রীর। দুঃসময়ে প্রিয়াংকার পাশে ছিলেন অনিল শর্মা। জটিলতা পেরিয়ে আসতে সাহায্য করেছিলেন তিনি। অনিল শর্মা তার ছবি ‘দ্য হিরো: লভ স্টোরি অফ আ স্পাই’-তে প্রিয়াংকাকে বিশেষ চরিত্রের জন্য বেছে নিয়েছিলেন।

শুধু নিজের ছবিতেই নয়। সুনীল দর্শন ও সুভাষ ঘাইয়ের মতো প্রযোজকদেরও রাজি করিয়েছিলেন ‘অন্দাজ’ ও ‘অ্যায়তরাজ’ ছবিতে প্রিয়াংকার সঙ্গে কাজ করার জন্য।

অনিল জানান, তারকা হয়ে উঠতে হয়ত প্রিয়াংকাকে সাহায্য করেননি তিনি। কিন্তু প্রিয়াংকা যাতে বলিউডে থেকে যেতে পারেন, তার জন্য যথেষ্ট চেষ্টা ছিল তারও।

দুর্দিনে পাশে থাকা মানুষকে ভুলে যাননি প্রিয়াংকাও। তার কথায়, প্রিয়াংকা আমার সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছে। ১০০ জনের মধ্যে আমাকে দেখলে ও এগিয়ে এসে কথা বলবে। আমাদের যথেষ্ট ভাল সম্পর্ক। ওর বাবার সঙ্গেও আমার ভাল সম্পর্ক ছিল।

সূত্র: যুগান্তর




মুজিবনগরে স্কাউটিং এর স্কাউট সমাবেশ অনুষ্ঠিত

মেহেরপুরের মুজিবনগরে পাঁচ দিনব্যাপী তারুণ্যের উৎসবে স্কাউটিং এর উপজেলা স্কাউটিং সমাবেশের উদ্বোধন হয়েছে।

রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে মুজিবনগর সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে উপজেলা স্কাউট সমাবেশের উদ্বোধন করেন উপজেলা স্কাউট সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার পলাশ মন্ডল।

বাংলাদেশ স্কাউট মেহেরপুর জেলার সাধারণ সম্পাদক আশরাফুজ্জামান এর সঞ্চালনায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপজেলার নির্বাহী অফিসার ও স্কাউট সভাপতি পলাশ মন্ডল বলেন, স্কাউটিংয়ের কার্যক্রম সারা বাংলাদেশে বিস্তার লাভ করেছে। স্কাউটিংয়ের সদস্যদের বড় গুণ হলো তারা যেকোনো সমস্যা মোকাবেলায় হাতে কলমে পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য প্রস্তুত থাকে।

মানবতা ও সেবার ব্রত নিয়ে স্কাউটরা প্রাকৃতিক দুর্যোগ কিংবা অসহায় মানুষের আর্তনাদ লাঘব করতে হাত বাড়িয়ে ছুটে চলছে।
তারুণ্যের উৎসব উপজেলা স্কাউট সমাবেশে অংশ নেয়া শিক্ষার্থীরা এখান থেকে শিক্ষা নিয়ে দেশ গড়ার কাজে নিজেরদের নিয়োজিত করবেন।

এ সময় বক্তব্য রাখেন, মুজিবনগর থানার অফিসার ইনচার্জ মিজানুর রহমান,প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার হাফিজুর রহমান, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মামুন উদ্দিন আল আজাদ, মুজিবনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইজারুল ইসলাম, মেহেরপুর জেলা বাংলাদেশ স্কাউট এর পোগ্রাম চীফ ও সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেন, উপজেলা স্কাউট সম্পাদক জহিরুল ইসলাম, প্রেসক্লাবের সভাপতি ওমর ফারুক প্রিন্স প্রমুখ।

উপজেলা স্কাউট সমাবেশ ও তারুণ্যের উৎসবে উপজেলার ১২ টি বিদ্যালয়ের ৯৬ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে।