প্রান্তিক পর্যায়ে কৃষিঋণ বাড়াতে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ

প্রান্তিক পর্যায়ে কৃষিঋণ বাড়াতে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এক্ষেত্রে বড় ঋণের পরিবর্তে ছোট ঋণ বিতরণে বাড়তি গুরুত্ব দিতে হবে। এমনকি কোটি টাকার ঋণের পরিবর্তে ১০ টাকার ক্ষুদ্র হিসাবধারী কৃষক, মত্স্যচাষি, খামারি এবং ছোট উদ্যোক্তাদের ঋণের আওতায় আনতে হবে। বিশেষ করে যারা এখন পর্যন্ত কৃষি ও পল্লিঋণের সুবিধা পাননি, তাদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ঋণ দিতে হবে।

সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে ১৫টি বাণিজ্যিক ব্যাংকের বৈঠকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ নির্দেশ দেয়। সভায় বাংলাদেশ ব্যাংকের কৃষিঋণ বিভাগের পরিচালক কানিজ ফাতিমা এবং বাণিজ্যিক ব্যাংকের কৃষিঋণ বিভাগের প্রধানসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সূত্র জানায়, কিছু ব্যাংক ক্ষুদ্র কৃষক ও প্রান্তিক গ্রাহককে কৃষিঋণ দিতে অনীহা দেখাচ্ছে। এতে কৃষি ও পল্লিঋণের লক্ষ্য ব্যাহত হচ্ছে। বিষয়টি কৃষিঋণ বিভাগের মনিটরিংয়ের মাধ্যমে উঠে এসেছে। এ অবস্থা থেকে বের হতে বৈঠক ডেকে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক পর্যায়ে ঋণ বাড়াতে পরামর্শ দেওয়া হয়। ব্যাংকগুলোকে বড় ঋণের বদলে ঋণের সীমা কমিয়ে ছোট ছোট ঋণ বিতরণে নির্দেশ দেওয়া হয় বৈঠকে। এরপরও যদি কোনো ব্যাংক নতুন করে বড় ঋণ বিতরণের মাধ্যমে কৃষিঋণের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করে, সেসব ব্যাংকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

বৈঠকে অংশগ্রহণকারী একটি বেসরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তা বলেন, প্রান্তিক ও ক্ষুদ্র কৃষক পর্যায়ে ঋণ বিতরণে অনেক ব্যাংকের সীমাবদ্ধতা রয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ব্যাংকগুলোকে নিজস্ব নেটওয়ার্ক (শাখা, উপশাখা, এজেন্ট ব্যাংকিং, কন্ট্রাক্ট ফার্মিং, দলবদ্ধ ঋণ বিতরণ এবং ব্যাংক-এমএফআই লিংকেজ) ব্যবহার করতে পরামর্শ দিয়েছে। এতে সুদের হার ও চার্জ বেশি পড়ে। তাই বাধ্য হয়ে কিছু ব্যাংক বড় ঋণ দিয়ে থাকে। এতে পরিচালন খরচ কমে আসে। তবে কৃষিঋণ বিতরণ যাদের জন্য করা, তারা যে বঞ্চিত হচ্ছেন সেটা আমরাও বুঝি।

বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে জানা যায়, চলতি অর্থবছরের (২০২৩-২৪) জন্য কৃষি ও পল্লিঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ৩৫ হাজার কোটি টাকা। তপশিলভুক্ত ব্যাংকগুলো এ ঋণ বিতরণ করবে। ঋণের মধ্যে রাষ্ট্রমালিকানাধীন বাণিজ্যিক ও বিশেষায়িত ব্যাংকগুলো বিতরণ করবে ১২ হাজার ৩০ কোটি টাকা। আর বেসরকারি ও বিদেশি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো ২২ হাজার ৯৭০ কোটি টাকার ঋণ বিতরণ করবে। গত অর্থবছরে ব্যাংকগুলোর বিতরণকৃত কৃষিঋণের পরিমাণ ছিল ৩২ হাজার ৮৩০ কোটি টাকা। এছাড়া খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের জন্য গত বছরের নভেম্বরে কৃষি খাতের জন্য ৫ হাজার কোটি টাকার পুনঃঅর্থায়ন তহবিল গঠন করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। তহবিলের মেয়াদ প্রাথমিকভাবে ধরা হয়েছে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত। এই তহবিলের ক্ষেত্রে কৃষিঋণ এবং তহবিলের ঋণ বিতরণে শর্ত প্রযোজ্য হবে।

উল্লেখ্য, নতুন কৃষি নীতিমালায় ব্যাংকের নিজস্ব নেটওয়ার্কের মাধ্যমে বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ লক্ষ্যমাত্রার ন্যূনতম ৫০ শতাংশ করতে বলা হয়, যা আগে ছিল ৩০ শতাংশ। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের কৃষি ও পল্লিঋণ নীতিমালা ও কর্মসূচিতে নতুন করে কয়েকটি বিষয় যুক্ত করা হয়। এর মধ্যে নতুন কৃষকদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ঋণ বিতরণ করতে হবে। বিশেষ করে পল্লি অঞ্চলে আয়-উত্সারী কর্মকাণ্ডে ঋণের সর্বোচ্চ সীমা হবে ৫ লাখ টাকা। ছাদকৃষিতে অর্থায়ন করতে পারবে ব্যাংক। অর্থাত্, বাড়ির ছাদে বাগান করতে ঋণ পাবেন গ্রাহক। এছাড়া চিংড়ি, কাঁকড়া ও কুঁচিয়া চাষে ঋণ বিতরণ করতে পারবে। মত্স্য খাতে লক্ষ্যমাত্রার ন্যূনতম ১৩ শতাংশ এবং প্রাণিসম্পদ খাতে লক্ষ্যমাত্রার ন্যূনতম ১৫ শতাংশ ঋণ বিতরণ করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়।




সব দলকে নির্বাচনে আসার আহ্বান শেখ হাসিনার

আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য বিএনপিসহ দেশের সব রাজনৈতিক দলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, অপরাধ সংঘটন ও অগ্নিসংযোগের জন্য জাতির কাছে ক্ষমা চেয়ে বিএনপির আসন্ন সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা উচিত।

রাজধানীর তেজগাঁওয়ে দলের ঢাকা জেলা কার্যালয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রথম সভার সূচনা বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।

নির্বাচনের তপশিল ঘোষণা করা হয়েছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, নির্বাচনের দরজা সবার জন্য উন্মুক্ত। নির্বাচন করতে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে এবং নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে হবে।

বিএনপি-জামায়াতের সহিংসতা ও গাড়িতে অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে মানুষ হত্যা ও জানমালের ক্ষতিসাধন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তাদের (বিএনপি-জামায়াত) উচিত অপরাধের জন্য জাতির কাছে ক্ষমা চাওয়া এবং তারপরে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন তাদের অংশগ্রহণ করা।

আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান শেখ হাসিনা অগ্নিসংযোগ ও সহিংসতায় ভয় না পেয়ে নিয়ম মেনে যথাসময়ে নির্বাচনের তপশিল ঘোষণা করার জন্য নির্বাচন কমিশনকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। এ সময় তিনি সময়মতো নির্বাচন যাতে সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হয় সেজন্য দেশবাসীর সহযোগিতা কামনা করেন।

শেখ হাসিনা বলেন, জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে এবং তাদের পছন্দের সরকার গঠনের জন্যই এ নির্বাচন। আমার ভোট আমি দেব, যাকে খুশী তাকে দেব’ স্লোগান দিয়ে আপনারা (নির্বাচনে) ভোট দিন।

যুব সমাজের প্রতি ইঙ্গিত করে শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়ন করছে। এখন সবাই এর সুফল পাচ্ছে। এখন তার সরকার আগামীতে দেশকে স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তোলার প্রচেষ্টায় রয়েছে। তিনি বলেন, আমরা আশা করি, আমরা তাদের (তরুণদের) সহযোগিতা নিয়ে এটি করতে পারব।

তিনি প্রশ্ন তোলেন, যারা খুন করেছে এবং সাধারণ মানুষকে হত্যার পরিকল্পনা করেছে, তাদের জনগণ কেন ভোট দিতে যাবে, তাদের ওপর আস্থা রাখবে? জনগণ তাদের বিশ্বাস করে না, কারণ তারা খুনি ও ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে চিহ্নিত।

নির্বাচন জনগণের অধিকার এবং এটা তাদের সাংবিধানিক অধিকার উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, নির্বাচনের সময় এসেছে এবং জনগণ ভোট দেবে। জনগণ ভোট দিয়ে যে দলকে নির্বাচিত করবে, সেই দলই সরকার গঠন করবে। তিনি বলেন, তারা (বিএনপি-জামায়াত) জনগণের ওপর আস্থা রাখতে ব্যর্থ হয়ে হামলা চালাচ্ছে।

সূত্র: সমকাল




বিশ্বকাপের ফাইনাল পরিচালনার দায়িত্বে থাকছেন যারা

শেষের পথে ক্রিকেট বিশ্বকাপ। আগামী ১৯ নভেম্বর স্বাগতিক ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যকার ফাইনাল ম্যাচ দিয়ে পর্দা নামছে ১৩তম ওয়ানডে বিশ্বকাপের। বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্রিকেট স্টেডিয়াম আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি ক্রিকেট স্টেডিয়াম অনুষ্ঠিত হবে ফাইনাল ম্যাচটি। এই ম্যাচটি পরিচালনা করবেন কারা, তা চূড়ান্ত করেছে আইসিসি।

ভারত-অস্ট্রেলিয়ার লড়াইয়ে অনফিল্ড আম্পায়ার হিসেবে থাকবেন ইংল্যান্ড অভিজ্ঞ দুজন রিচার্ড ইলিংওয়ার্থ ও রিচার্ড কেটেলবরো। এই দুই আম্পায়ার এর আগে সেমিফাইনাল ম্যাচের দায়িত্বেও ছিলেন। এর আগে ২০১৫ সালের ফাইনালেও অন-ফিল্ড আম্পায়ার ছিলেন কেটেলবরো। সর্বশেষ অস্ট্রেলিয়া-দক্ষিণ আফ্রিকার দ্বিতীয় সেমিফাইনালেও তিনি কলকাতায় আম্পায়ার হয়ে মাঠে ছিলেন। এছাড়া ভারত ও নিউজিল্যান্ডের প্রথম সেমিফাইনালে অনফিল্ড আম্পায়ার ছিলেন ইলিংওয়ার্থ।

এছাড়া ওয়েস্ট ইন্ডিজের জোয়েল উইলসন প্রথম সেমিফাইনালে টিভি আম্পায়ার হিসেবে ছিলেন। এবার এই আম্পায়ার আহমেদাবাদের ফাইনালেও ম্যাচ পরিচালনায় থাকবেন টিভি আম্পায়ার হিসেবে। দ্বিতীয় সেমিফাইনালে থার্ড আম্পায়ারের ভূমিকায় ছিলেন ক্রিস গ্যাফানি। নিউজিল্যান্ডের এই বিশেষজ্ঞ ১৯ নভেম্বর ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যকার ফাইনালে উপস্থিত হবেন চতুর্থ আম্পায়ার হিসেবে।

এছাড়া মহাগুরুত্বপূর্ণ ফাইনালে ম্যাচ রেফারির দায়িত্ব সামলাবেন অ্যান্ডি পাইক্রফট। জিম্বাবুয়ের পাইক্রফট প্রথম সেমিফাইনালেও ছিলেন ম্যাচ রেফারির ভূমিকায়। ২০১৯ বিশ্বকাপের ফাইনালের ম্যাচ অফিসিয়ালদের কেউই এবারের বিশ্বকাপে থাকছেন না। অনফিল্ড আম্পায়ার হয়ে ইংল্যান্ড বিশ্বকাপের ফাইনাল পরিচালনা করেছিলেন কুমার ধর্মসেনা ও মারাইস ইরাসমাস। এবার নকআউটের কোন ম্যাচেই অভিজ্ঞ দুই আম্পায়ার দায়িত্ব পাননি।

সূত্র: ইত্তেফাক




মেহেরপুরে এক সপ্তাহে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য তালিকার তারতম্য

বাংলাদেশে অর্থনীতির নাজুক পরিস্থিতির মধ্যে নিত্যপণ্যের বাজারে দেখা দিয়েছে অস্থিরতা। ক্রমেই নানা অজুহাতে বাড়ছে জিনিসপত্রের দাম। মূল্যস্ফীতি বেড়ে যাওয়ায় বাজারে গিয়ে হিসেব মিলাতে পারছে না ক্রেতারা। ফলে ব্যয়ের ক্ষেত্রে কাটছাঁট করতে একরকম বাধ্য হচ্ছেন সাধারণ মানুষ, শ্রমজীবী মানুষ।

এখন বাংলাদেশের প্রধান আলোচ্য বিষয় নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের লাগামহীন মূল্য বৃদ্ধি। ক্রমাগতভাবে বৃদ্ধিপাচ্ছে এসব পণ্যের মূল্য। কোন কোন পণ্যের মূল্য দ্বিগুণ, তিনগুণ বেড়েছে। গত কয়েকমাস ধরে এসব পণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির কারণে চরম বিপাকে পড়েছেন দেশের সাধারণ মানুষ। শ্রমজীবীদের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। চাল, ডাল, ডিম, চিনি ও তেলসহ প্রায় প্রতিটি নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের দাম এখন আকাশচুম্বী। সাধ্যের বাইরে মুরগি, গরু ও খাসির গোশত। এ নিয়ে মেহেরপুর প্রতিদিনের সাপ্তাহিক পাইকারি ও খুচরা বাজার দরের তারতম্যের চিত্র নিম্নরুপ।

গতকাল শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) সহ গত এক সপ্তাহে সরজমিনে মেহেরপুর শহরের পাইকারি ও খুচরা বাজার পরিদর্শন করে নিত্য প্রয়োজনীয় কিছু পণ্যের মূল্য তালিকায় বিগত সপ্তাহের তুলনায় তারতম্য লক্ষ্য করা গেছে।

মেহেরপুর বড় বাজারে, মোটা চাল পাইকারি মূল্য ৪৮ টাকা কেজি ও খুচরা মূল্য ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এক সপ্তাহের ব্যবধান অপরিবর্তিত রয়েছে। মাঝারি চাল পাইকারি মূল্য ৫৬ টাকা কেজি ও খুচরা মূল্য ৫৮ টাকা কেজি,সপ্তাহের ব্যবধানে ২ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। সরু চাল পাইকারি মূল্য (৬১-৬২) টাকা কেজি ও খুচরা মূল্য (৬৪-৬৫) টাকা কেজি। সপ্তাহের ব্যবধানে প্রায় অপরিবর্তিত রয়েছে। আলু পাইকারি বিক্রয় মূল্য ৪৫ টাকা ও খুচরা মূল্য ৫০ টাকা কেজি। সপ্তাহের ব্যবধানে ৫ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে । দেশি পেঁয়াজ পাইকারি মূল্য ১১০ টাকা ও খুচরা মূল্য ১২০ টাকা কেজি। সপ্তাহের ব্যবধানে ৮ থেকে ১০ টাকা হ্রাস পেয়েছে। এল সি পেয়াজ পাইকারি মূল্য ৯০ টাকা ও খুচরা মূল্য ১০০ টাকা কেজি দ্বরে বিক্রি হচ্ছে । গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে ১০ হ্রাস পেয়েছে।

ডিম পাইকারি মূল্য ১৩৫ টাকা ডজন ও খুচরা মূল্য ১৪৫ টাকা ডজন। এক সপ্তাহের ব্যবধানে মূল্য অপরিবর্তিত রয়েছে। ব্রয়লার মুরগির পাইকারি মূল্য ১৮০ টাকা ও খুচরা মূল্য ১৯০ টাকা কেজি। এক সপ্তাহের ৫ থেকে ১০ টাকা হ্রাস পেয়েছে।




ফিট থাকলেই কমবে মানসিক চাপ

মানসিক চাপ ও শারীরিক সুস্থতা দুটি বিষয় একে অন্যের সাথে জড়িত। যদি একটা মানুষ মানসিক অতিরিক্ত চাপে থাকে তার প্রভাব সবার আগে শরীরে পড়বে এবং শরীরের বাসা বাঁধবে নানান রকমের সমস্যা, তৈরি হবে নানান ধরনের অসুস্থতা।

মানসিক চাপ কমাতে কিংবা মানসিকভাবে সুস্থ থাকতে প্রয়োজন শারীরিক সুস্থতা। শরীরকে ফিট রাখতে হবে মানসিকভাবে সুস্থ থাকার জন্য। সেজন্য করনীয় হচ্ছে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করা,পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবার ধাবার খাওয়া এবং এর পাশাপাশি একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ করা তা হলো দৈনিক কিছু ব্যায়াম করা। যা শারীরিকভাবে ফিট রাখার পাশাপাশি মানসিকভাবে ফিট রাখবে এবং শরীরের কিংবা মনের হাজারো ক্লান্তি দূর করবে।

মানসিক চাপ আমাদের দৈনন্দিনের সঙ্গী। কিন্তু সেই সঙ্গীকে মেনে নিলে হবে না। এই চাপের সাথে আপোষ করলে চলবে না। এই মানসিক চাপ মোকাবেলায় কিছু শারীরিক ব্যায়াম প্রয়োজন সেগুলোই উল্লেখ করা হলো:

মানসিক চাপ কমাতে দৌড়ান
অন্যান্য ব্যায়ামের পাশাপাশি দৌড়ানো অন্যতম একটি ব্যায়াম। দৌড়ানোর সাথে অন্য কিছু কোন তুলনা হয় না। প্রতিদিন যদি কোন ব্যক্তি ১০-১৫ মিনিট দৌড়াতে পারে সে অনেক ধরনের শারীরিক জটিলতা ও অসুস্থতা এড়াতে পারবে। পেশিগুলোর সঠিক সঞ্চালনের জন্য নিয়মিত দৌড়ানোর বিকল্প নেই। তথ্য সূত্রে জানা গেছে, দৌড় হলো মানসিক চাপ কমাবার অন্যতম মহৌষধ। এমনকি ভালো ফলাফল না পেলেও নিয়মিত দৌড়ানো আপনাকে অতিরিক্ত কাজের সময়ে খিটখিটে মেজাজ থেকে দূরে রাখবে। এটা এমনই ধরনের ব্যায়াম যেটা প্রয়োজনমতো সক্রিয় চিন্তা-ভাবনা জাগ্রত করে। এবং অহেতুক দুশ্চিন্তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ করে দেয়। মানসিক চাপ দূর করে নিজের কাছে ভালো কিছু প্রত্যাশা করতে নিয়মিত দৌড়ানোর বিকল্প নেই।

কাজের ফাঁকে বিশ্রাম
অফিসে কিংবা বাসায় যেখানেই কাজ করুন না কেন কাজের ফাঁকে বিরতি নেই কিছুক্ষণ বিশ্রাম করুন একটু হাঁটাচলা করতে পারেন। হয়তোবা ফোনে কথা বলার সময় টানা চেয়ারে না বসে থেকে একটু হাঁটাচলা করুন দুপুরে লাঞ্চ করার পর সরাসরি চেয়ারে না বসে থেকে একটু হাঁটা চলা করুণ। মাঝেমধ্যে অফিসে লিফটের বদলে সিঁড়ি ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়াও কাজের ফাঁকে ফাঁকে কিছুটা বিরতি নিন। চেয়ারে বসে আড়মোড়া কাটুন। মাথার পেছনে হাত রেখে পা সোজা করে কাঁধের পেশিগুলোর ওপর চাপ প্রয়োগ করুন। এতে কাঁধের পেশিগুলোতে আরাম অনুভূত হবে। দেখবেন মুহূর্তেই বিরক্তিভাব দূর হয়ে আরাম অনুভব করবেন। দীর্ঘসময়ে বসে থাকলে কাঁধের ও পিঠের পেশিগুলো অসাড় হয়ে যায়। ফলে বিরক্তিভাব চলে আসে। তাই হাঁটাহাঁটি করা ও ব্যায়াম করা ফ্রেশনেস ফিরিয়ে আনতে যথেষ্ট সাহায্য করবে।

মানসিক চাপ কমাতে সূর্যের আলো
শারীরিক এবং মানসিক দুই সুস্থতার জন্যই সূর্যের আলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে যেসব দেশের সূর্য দেখা দেয় না সে সব দেশের মানুষের মধ্যে মারাত্মক পরিমাণে হতাশা বিরাজ করে। শরীর সচল থাকলে এন্ডোরফিন নামক একটি হরমোন নিঃসৃত হয়, যা মানসিক চাপ কমিয়ে অবস্থার উন্নতি করে। সূর্যের আলোয় থাকলে মস্তিষ্কে বাড়ে সেরেটোনিনের মাত্রা, যা মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে। ঘর বন্ধ কিংবা গুমোট অথবা যেখানে পর্যাপ্ত পরিমাণ আলো প্রবেশ করে না সেই সব জায়গায় একটু এড়িয়ে চলাই ভালো।

মানসিক চাপ কমাতে যোগব্যায়াম
যোগ ব্যায়াম করলে মন স্থির হয় আর মন স্থির থাকলে মানসিক চাপ অনেক অংশেই কমে যায়। শরীর ও মনের অতি উপকারী যোগব্যায়াম এটা কোনোভাবেই এড়ানো যাবে না যে, যোগব্যায়াম সত্যিকার অর্থেই দেহ এবং মনের জন্য যথেষ্ট উপকারী। যোগব্যায়াম শ্বাস প্রশ্বাসের মাধ্যমে শরীর ও মনের যোগসূত্র স্থাপন করে থাকে। তাই এখনি মাদুর বা পাটি বিছিয়ে লেগে পড়ুন যোগব্যায়ামে এবং দূর করুন আপনার অহেতুক উদ্বেগ ও হতাশাগুলো দূরে রাখে।

প্রিয় কিছুর সাথে সময় কাটান
মানসিক চাপ দূর করার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় হচ্ছে প্রিয় কিছুর সাথে সময় কাটানো বা প্রতিদিন এমন কোন কাজ করা যেটি আসলে আপনি ভালোবেসে। যেমন অনেকে বই পড়তে ভালোবাসে সে প্রতিদিন কিছুটা সময় বই পড়তে পারে। কেউ গান শুনতে ভালোবাসে সে দিনের কিছুটা সময় গান শুনতে পারে। পরিবারের সাথে কিছুক্ষণ গল্প করা, বাগানে গিয়ে গাছে জল দেওয়া এই ধরনের কাজগুলো করলে মানসিক চাপ অনেক অংশেই কেটে যায়।

সূত্র: ইত্তেফাক




মেহেরপুরে সবজি বাজারে স্বস্তি ফিরেছে

শীতের আগামনীতে কৃষিনির্ভর মেহেরপুরে স্বস্তি ফিরেছে সবজির বাজারে। সপ্তাহ ব্যবধানে শিম, বেগুন, করলা, মুলা ও পালং শাকের মতো অনেক সবজির দাম নেমে এসেছে অর্ধেকে। শুধু এগুলো নয়, অধিকাংশ সবজি দামই কেজিতে কমেছে ১০ থেকে ১৫ টাকা করে।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, হঠাৎ করে বাজারে সবজির আমদানি বেশি হওয়ায় কমেছে সবজির দাম।

তবে চাষিদের কপালে আশঙ্কার ছাপ সুস্পষ্ট। তারা বলছেন, শীত পড়াতে সবজি উৎপাদন বেড়ে গেছে সত্যি, কিন্তু হরতাল-অবরোধের কারণে ঢাকায় সবজি পাঠাতে না পেরে কম দামে স্থানীয় বাজারে বিক্রি করতে হচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে লোকশান গুনতে হবে তাদের।

সাধারণ ক্রেতারা বলছেন, বছরের সবসময়ই সবজির দাম বেশি থাকলেও শীত আসলে সবজির দাম নাগালের মধ্য আসে।

জেলার ঐতিহ্যবাহী বামন্দী বাজারের সবজি বাজার ঘুরে ব্যবসায়ী, চাষি ও ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সপ্তাহ ব্যবধানে শুক্রবার বামন্দী সবজি বাজারে ব্যাপক পরিমাণে সবজি আমদানি হয়েছে। শীতকালীন সবজিতে সবজি বাজার ভর্তি হয়ে গেছে।

ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের মুখে হাসি থাকলেও এ সময় চাষিদের মুখ ছিল কিছুটা মলিন। তারা জানান, গত সপ্তাহে যেখানে প্রতি কেজি শিম বিক্রি হয়েছে ৬৫ থেকে ৬০ টাকায়, শুক্রবার তা ৩০ থেকে ৩৫ টাকায় নেমেছে। বেগুন ছিল ৪৫ থেকে ৫০ টাকা, আজ তা ১৫ থেকে ২০ টাকা; পটল ছিল ৫০ টাকা, আজ তা চলছে ১৫ থেকে ২০ টাকা; মুলা গত সপ্তাহে ছিল ৪০ থেকে ৪৫ টাকা, আজ তা ১৫ থেকে ২০ টাকা; পালং শাক ছিল ৪০ থেকে ৪৫ টাকা, আজ তা ২০ টাকা এবং প্রতি কেজি লালশাক বিক্রি হয়েছে ৩০ টাকা করে, আজ তা চলছে ১৮ টাকা করে।

সবজি বিক্রেতা তাইজুল ইসলাম বলেন, ‘গত সপ্তাহে আমি চাষিদের কাছ থেকে ৪০ টাকা করে বেগুন কিনে বিক্রি করেছি ৫০ টাকায়; আজ কিনেছি ১৫ টাকা করে, বিক্রি করছি ২০ টাকা করে। তবে গত সপ্তাহের চেয়ে আজ ক্রেতাদের চাহিদাও অনেক বেশি।’

আরেক সবজি বিক্রতা আরিফুল বলেন, ‘বাজারে আজ অধিকাংশ সবজির দাম কেজিতে ২০ থেকে ১৫ টাকা করে কম। কারণ বাজারে আজ প্রচুর সবজির আমদানি হয়েছে। ফলে দাম কমে গেছে। আর যখন যেমন দামে সবজি কিনি, তখন তেমন দামে বিক্রি করি। বাজারে মূলত সবজি দাম বাড়ে উৎপাদন ও সরবরাহের ওপর ভিত্তি করে।’

সবজি ক্রেতা শিহাবুল আলম বলেন, ‘আমি আজ থেকে ১৫ দিন আগে আধা কেজি শিম কিনেছি ১০০ টাকায়, গত সপ্তাহে প্রতি কেজি কিনেছি ৬০ টাকা, আর আজ এক কেজি শিম কিনছি ৩৫ টাকা করে। তার মানে অর্ধেক দামে। আজ বাজারে শীতকালীন প্রায় সব সবজিই উঠেছে।’

ক্রেতা উজ্জল হোসেন বলেন, ‘আমি রাজ মিস্ত্রির কাজ করি। সকাল থেকে বিকেল পযর্ন্ত কাজ করে প্রতিদিন ৬ শ’ টাকা রোজগার করি। বাজারে এসে দুই একটা সবজি ছাড়া কেনার ক্ষমতা থাকে না। আজ এসে ২ শ’ টাকার বাজার করেছি, তাতেই বাজারের ব্যাগ ভর্তি হয়ে গেছে। আজ বেগুন, শিম, মুলা, পটল, বাধাকপিসহ আরও কয়েকটি সবজি কিনেছি। এমন বাজারদর থাকলে আমাদের মত নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য খুব ভালো হয়।’
সবজি চাষি মধু বলেন, ‘আজ বেগুন পাইকারি বিক্রি করলাম ১২ থেকে ১৫ টাকা করে। বতর্মানে সার, বিষ, শ্রমিকসহ সব জিনিসের দাম বেশি। এখন সবজি চাষে আগের থেকে খরচ বেড়েছে দ্বিগুণ। আজ যে দামে সবজি বিক্রি করলাম এমন চলতে থাকলে লোকশান গুনতে হবে।’

আরেক সবজি চাষি একরামুল বলেন, ‘গত সপ্তাহেও সবজির দাম বেশ ভালো ছিল। অথচ আজ তা অর্ধেকে নেমে এসেছে। বাজারে ব্যবসায়ীদের কাছে পাইকারি বিক্রি করতে যাচ্ছি, তারা সবজির দাম কম বলছে। অথচ ঢাকার পার্টি বাজারে আসলেও তারা এখন এ সবজিই বেশি দামে কিনতে চাইবে। হরতাল অবরোধের কারণে বাইরের ব্যবসায়ীরা না আসায় এমনটি ঘটেছে।’




মেহেরপুরের ডাঃ ফরহাদ হোসেন পাভেল এখন ঢাকায় চিকিৎসাধীন

নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ থেকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের ইএমও ডাঃ ফরহাদ হোসেন পাভেল এখন ঢাকার সোহরাওয়ার্দী

মেডিকেল কলেজের চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তার শারীরিক অবস্থা এখন অনেকটা স্বাভাবিক হলেও কারোর সাথে কথা বলতে পারছেন না বলে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের চিকিৎসক সূত্রে জানা গেছে।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, মেহেরপুর ২৫০ সয্যা জেনারেল হাসপাতালের ইমার্জেন্সি মেডিক্যাল অফিসার ডা: ফরহাদ হোসেন পাভেল যশোরের চৌগাছা উপজেলার অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক নজরুল ইসলামের ছেলে। গত ১৩ নভেম্বর তিনি হাসপাতালের ইমার্জেন্সিতে কর্তব্যরত মেডিকেল অফিসার (৮ ঘন্টা- ডিউটি) ছিলেন। তবে কর্তব্যরত সময়ে অন্য মেডিকেল অফিসারের সাথে ডিউটি সমন্বয় করে কর্মস্থল থেকে অনুপস্থিত ছিলেন।

বিষয়টি গত ১৫ নভেম্বর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের নজরে আসলে কর্তৃপক্ষ ডাঃ পাভেলের নিকট আত্মীয়-স্বজনের সাথে যোগাযোগ করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে অবগত করে। পরবর্তীতে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানতে পারে ডাঃ পাভেল নেত্রকোনা জেলার মোহনগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অচেতন অবস্থায় চিকিৎসাধীন আছেন। বিষয়টি নিয়ে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের কয়েকজন চিকিৎসক মেহেরপুর সদর থানায় সাধারণ ডায়েরি করতে গেলেও তার সন্ধান পাওয়াতে সেসময় মেহেরপুর সদর থানায় সাধারণ ডায়েরি গ্রহণ করা হয়নি।

সে সময় এই বিষয়ে মেহেরপুর প্রতিদিন ও দৈনিক কালবেলার প্রতিবেদককে মেহেরপুর সদর থানার অফিসার ইনচার্জ সাইফুল ইসলাম বলেছিলেন, ‘বিষয়টা মিসিং বলা ভুল হচ্ছে। উনি কর্মস্থলে অনুপস্থিত। মৌখিক অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে বিষয়টি সম্পর্কে বলা যাবে।’

এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য একই চিকিৎসক বিগত ২১ জন একই হাসপাতালের আউটসোর্সিং এ নিয়োগপ্রাপ্ত ওয়ার্ড মাস্টার সজলের হাতে লাঞ্ছিত হয়। সজল মেহেরপুর পৌর এলাকার বোস পাড়ার সাবান আলির ছেলে। এ ঘটনায় সে সময়ে মেহেরপুর সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি দায়ের করা হয়েছিল।




জীবননগর থানা পুলিশের অভিযান গাজাসহ মাদক ব্যবসায়ী আটক

জীবননগর থানা পুলিশের মাদক বিরোধী অভিযানে গতকাল শুক্রবার বিকালে মনোহরপুর মাঠ থেকে ৩ কেজি গাঁজাসহ মাদক ব্যবসায়ী কামাল হোসেনকে আটক করে পুলিশ।

জীবননগর থানা সুত্রে জানা গেছে, জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি এস.এম. জাবীদ হাসানের নেতৃত্বে এসআই জামাল হোসেন সঙ্গীয় ফোর্সসহ মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা কালে গতকাল শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৪ টার দিকে উপজেলার মনোহরপুর গ্রামের শাফায়েত হোসেনের বেগুন ক্ষেতের সামনে পাকা রাস্তার উপর থেকে মাধবখালী গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে মাদক ব্যবসায়ী কামাল হোসেন (৩৭)কে ৩ কেজি গাঁজাসহ গ্রেফতার করেন পুলিশ।

গ্রেফতারকৃত কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে জীবননগর থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা হয়েছে।




ছিটমহলবাসীর মুক্তি ও কূটনৈতিক সাফল্য

“সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো সঙ্গে বৈরিতা নয়”- সর্বকালের সর্বযুগের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক ১৯৭২ সালে প্রণীত গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সংবিধানের পররাষ্ট্রনীতিতে লিপিবদ্ধ এ অনুচ্ছেদকে পরিপূর্ণভাবে অনুসরণপূর্বক দেশের স্বার্থকে সমুন্নত রেখে প্রতিবেশী ও অন্যান্য দেশের সাথে সম্পর্কোন্নয়নে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা অত্যন্ত বিচক্ষনতার পরিচয় দিয়েছেন এবং এর আলোকে প্রায় সকল ক্ষেত্রে ব্যাপক কূটনৈতিক সফলতা অর্জনে সক্ষম হয়েছেন। তাঁর দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবন ও রাষ্ট্র ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ে সকল ক্ষেত্রে সাফল্যের ঝুলি ভরা থাকলেও ছিটমহল সমস্যার সমাধানের সফলতা মানবিক কারনে এক অনবদ্য দৃষ্টান্ত হয়েই থাকবে। ছিটমহল সম্পর্কে আমরা কমবেশি সবাই জানি। শব্দটির সূচনা মূলত ১৯৪৭ সালে সিরিল রেডক্লিফের মানচিত্র বিভাজন থেকেই। ছিটমহল বিনিময় চুক্তি সম্পাদন ও বাস্তবায়নের গুরুত্ব, মর্মার্থ বুঝতে হলে এ সম্পর্কিত দীর্ঘ ইতিহাস আমাদের জানতে হবে।

১৭৫৭-১৯৪৭ সাল পর্যন্ত প্রায় ২০০ বছর চলে ইংরেজদের দ্:ুশাসন-শোষণ। এসবের বিরূদ্ধে দীর্ঘ আন্দোলন, লড়াই-সংগ্রামের পর ভারতীয় উপমহাদেশকে স্বাধীনতা দেয়ার জন্য ১৯৪৭ সালের ১৫ জুলাই ব্রিটিশ পার্লামেন্টে “ইন্ডিয়ান্স ইন্ডিপেন্ডন্স অ্যাক্ট-১৯৪৭” পাস হয়। এ প্রেক্ষিতে ভারতবর্ষে নিযুক্ত শেষ ব্রিটিশ ভাইসরয় লর্ড মাউন্ট ব্যাটেন ১৯৪৭ সালে ভারত-পাকিস্তান বিভাজনের সময়ে বাংলা ও পাঞ্জাবের সীমারেখা নির্ধারণের পরিকল্পনা করেন। তার এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের নিমিত্তে সীমানা নির্ধারণ কমিশন গঠন করেন এবং ব্রিটিশ আইনজীবী সিরিল রেডক্লিফকে এই কমিশনের প্রধান করেন।

এ প্রেক্ষিতে সিরিল রেডক্লিফ ১৯৪৭ সালের ৮ জুলাই লন্ডন থেকে ভারতে আসেন। তিনি মাত্র ৬ সপ্তাহ কাজ করে ১৩ আগস্ট সীমানা নির্ধারণের চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেন এবং ১৬ আগস্ট জনসমক্ষে প্রকাশ করা হয় সীমানার মানচিত্র। কিন্তু রেডক্লিফের অদূরদর্শীতা, কমিশনের সদস্যদের নিষ্ক্রিয়তা, স্থানীয় জমিদারদের লোভ এবং তৎকালীন কংগ্রেস, মুসলীম লীগ ও হিন্দু মহাসভার খামখেয়ালিপনায় সীমানা নির্ধারণের কাজটি সঠিকভাবে করা হয়নি। ফলে এক দেশের ভূখন্ডে থেকে যায় আরেক দেশের জনগণ। সীমান্ত অঞ্চলে শুরু হয় “নিজভূমে পরবাসী” পরিচয়ে ছিটমহলবাসীর বসবাস।

ছিটমহল হচ্ছে মূলত এক দেশের ভিতর অন্য দেশের ভূখন্ড। বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সর্বমোট ১৬২ টি ছিটমহল রয়েছে। এর মধ্যে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ভারতের ছিটমহল ছিল ১১১ টি; ভারতের মধ্যে বাংলাদেশের ছিটমহল ছিল ৫১ টি যার মোট জমির পরিমান হচ্ছে যথাক্রমে ১৭,১৬০ ও ৭,১১০ একর। অত্যন্ত পরিতাপের বিষয়, ভারত-পাকিস্তান সীমানা নির্ধারণের সময় অনাকাঙ্খিতভাবে সৃষ্ট উভয় দেশের মালিকানাধীন এই ছিটমহলগুলোকে সম্পূর্ণ অযৌক্তিকভাবে রাখা হয় রাষ্ট্রের সার্বভৌম সীমার বাইরে। ফলস্বরূপ মালিকানা সংক্রান্ত সংঘর্ষে ছিটমহলের মানুষদের তৈরি হয় পরিচয়- সংকট। তাদের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক জীবন হয়ে উঠে দুর্বিষহ। এক রাষ্ট্রের ভৌগোলিক সীমানার মধ্যে আশ্রিত অন্য রাষ্ট্রের মালিকানাধীন নিরপরাধ জনগন কার্যত হয়ে পড়েন রাষ্ট্রহীন মানুষ!

২০১১ সালের জরিপ অনুযায়ী বাংলাদেশের ভিতর ভারতের এবং ভারতের ভিতর বাংলাদেশের ছিটমহলগুলোতে যথাক্রমে ৩৭,৩৩৪ এবং ১৪,২১৫ জন লোক বাস করে। এক সমীক্ষায় দেখা যায়, প্রায় অর্ধলক্ষাধিক ছিটমহলবাসির দৈনিক আয় ছিল মাত্র ১৭ টাকা। মানুষের মৌলিক চাহিদা অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিৎসা, শিক্ষাসহ যোগাযোগ ব্যবস্থা, সুপেয় পানি, বিদ্যুৎ, ভোটাধিকার, কর্মসংস্থান এর সুযোগ-সুবিধা থেকে প্রায় বঞ্চিত ছিলেন তারা। ছিটের ছেলে-মেয়েরা যতই মেধাবী হোক না কেন, তারা আসল বাবা-মার পরিচয়ে কোন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি কিংবা মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার ফর্ম ফিলাপ করতে পারত না। কারণ, উক্ত বিদ্যালয় বা পরীক্ষা-বোর্ডের দেশে পরীক্ষার্থী ও তাদের মা-বাবা ভিনদেশী। তাই ছিটের মেধাবি শিক্ষার্থীকে বোর্ড পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হলে মিথ্যা পিতৃপরিচয় জোগাড় করতে হতো।

শুধু তাই নয়, সন্তানসম্ভবা বধূ নিকটতম হাসপাতালে গেলে ভর্তি নিত না। তাহলে প্রশ্ন হচ্ছে, অন্তঃসত্ত্বা বধূরা কি হাসপাতালে যেত না? অবশ্যই যেত। কিন্তু যাওয়ার সে পথ সুগম ছিল না। হাসপাতালে ভর্তি হতে দেশহীন দেশের গৃহবধূকে অপরিচিত কোন পর পুরুষের বউয়ের পরিচয়ে ভর্তি হতে হত। যে পুরুষ মানুষটি হাসপাতালের দেশের স্বীকৃত নাগরিক।

শিশুর জন্মের পর হাসপাতাল থেকে যে কার্ড দেওয়া হত, তাতে সদ্যোজাত শিশুটির বাবা হিসাবে সেই পুরুষটির নামই থাকত। সন্তানপ্রসবা নারীর স্বামীর পরিচয় কিংবা পরীক্ষার্থীর অভিভাবকের পরিচয় মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে বিক্রি হত। কোন মেয়েকে অপহরণকারীরা তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করলে, সে অভিযোগ নিকটতম পুলিশফাঁড়িতে নিত না। কারণ, দেশবিহীন ছিটের মেয়েকে ফাঁড়ির দেশ ঐ দেশের নাগরিক বলে মানত না। এমনকি, সীমান্তের প্রহরীদের কাছে নির্মমভাবে নির্যাতিত হওয়াও বাদ যায়নি ছিটমহলবাসীদের (৮ এপ্রিল ২০১৯, আনন্দবাজার পত্রিকা)। কতই আমানবিক, অভিশপ্ত ছিল তাদের জীবন যা ভাবলেই গা শিউরে উঠে।

প্রকৃতপক্ষে, ছিটমহলবাসী রাষ্ট্রের নির্বুদ্ধিতার ফল ভোগ করত বিনা দোষে। তাদের ছোট্ট অসহায় জীবনের উপর যেকোন মুহূর্তে ধেয়ে আসত চরম বিপর্যয়। তাই নাগরিকত্ব ও পতাকা-প্রতীকহীন এই মানুষগুলির কত শত আশা-আকাঙ্ক্ষা, হতাশা, বঞ্চনা, নির্যাতন, নিষ্পেষণ, নিপীড়ন, মানবেতর জীবন- এসবকে নিত্যসঙ্গী করে ছিটমহলের জীবনপ্রবাহ বহমান ছিল দীর্ঘ ৬৮ বছর। এত কষ্টে ছিটমহলবাসী দীনাতিপাত করলেও তাদের নিয়ে কেউ ভাবেনি। সকলেই জমি চেয়েছিল, কিন্তু কেউ চায়নি এই অসহায় মানুষদের কষ্টের অবসান।

ছিটমহল বিনিময় সংক্রান্ত কোন আইন পাশ হলে স্বাভাবিকভাবেই ভারতের অংশটুকু বাংলাদেশ ব্যবহারের অধিকার পেয়ে যাবে এবং পাশাপাশি ভারতও বাংলাদেশের অংশটুকু পেয়ে যাবে। এখানেই বাধে বিপত্তি। কারন ছিটমহল বিনিময় চুক্তি পাশ হলে বাংলাদেশ ভরতের চেয়ে প্রায় ১০,০০০ একর জমি বেশি পাবে। যদিও ছিটমহল বিনিময় চুক্তির মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত ছিল ছিটমহলবাসীর নাগরিক পরিচয় ও স্বাভাবিক জীবন। কিন্তু দু:খজনকভাবে জমির হিসাব এখানে মূখ্য বিষয় হয়ে দাঁড়ানোয় রাষ্ট্রপ্রধানরা সর্বদা চুপ থেকেছেন। কিন্তু চুপ থাকতে পারেননি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তাঁর সুযোগ্য তনয়া গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাই তো ১৯৭৪ সালে ভারত সফরকালীন বঙ্গবন্ধু ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গে দুই দেশের বিরাজমান সীমান্ত সংকট নিয়ে কথা বলেন। সেখানে তিনি রেডক্লিফের কার্যক্রমকে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে ছিটমহলবাসীদের দূর্বিষহ জীবন-চিত্র তুলে ধরেন।

১৯৭৪ সালের ১৬ মে দুজনের মাঝে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় যা ‘৭৪ এর মুজিব-ইন্দিরা চুক্তি’ নামে পরিচিত। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সংবিধানের ৩য় সংশোধনী জাতীয় সংসদে ( ২৩ নভেম্বর, ১৯৭৪) বাংলাদেশ সরকার মুজিব-ইন্দিরা চুক্তি পাশ করলেও ভারত সরকার পাশ করেনি। দূর্ভাগ্যবশত, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর পর দুই রাষ্ট্রের আর কোন সরকার প্রধানই ছিটমহল সমস্যা সমাধানে তেমন আন্তরিক ছিলেন না। তাই ‘৭৪ এর চুক্তির পর ছিটমহলবাসীর মনে যে কিঞ্চিৎ আশার আলো ফুটে উঠেছিল, অংকুরেই তা বিনষ্ট হয়ে যায়।

মানবতার মা বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর চুক্তিটি বাস্তবায়নের প্রতি জোর দেন। এ ব্যাপারে ভারত সরকারের সাথে কয়েক দফায় আলোচনা করেন। পরবর্তীতে ২০০৯ সালে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ আবার ক্ষমতায় এলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুনরায় এ সমস্যা সমাধানের জন্য আলোচনা শুরু করেন।

২০১১ সালের হাসিনা- মনমোহন প্রটোকল স্বাক্ষর তার স্পষ্ট প্রমাণ। সংবিধান সংশোধনীর মাধ্যমে সীমান্ত সমস্যা সমাধানের জন্য কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ভারত সরকার ২০১৩ সালে এ সংক্রান্ত একটি বিল সংসদে উত্থাপন করে। কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপি সংসদ সদস্যেদের বিরোধিতায় পাশ করা সম্ভব হয়নি তখন।

এরপরেও দমে যান নি অদম্য শেখ হাসিনা। অত্যন্ত বিচক্ষনতার সহিত ঠান্ডা মাথায় প্রতিটি পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। যে বিজেপির তীব্র বিরোধিতার কারনে ২০১৩ সালে এ বিল পাশ হয়নি, সেই বিজেপি নেতৃত্বাধীন মোদি ২০১৪ সালে ভারতে সরকার গঠন করলেও আশাহত হননি আমাদের রাষ্ট্রপ্রধান। বরং দ্বিগুন উদ্যম নিয়ে দারুন কুটনৈতিক দক্ষতায় এ সমস্যা সমাধানের ব্যাপারে মোদিকে রাজি করান। এরই ধারাবাহিকতায় বিজিবি নেতৃত্বাধীন মোদি সরকার সীমান্ত সমস্যা সমাধানের লক্ষে ৭ মে ২০১৫ সালে ভারতীয় সংসদের নিম্ন কক্ষ লোকসভায় ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যকার স্থল সীমান্ত চুক্তি সংক্রান্ত বিল ৩৩১-০ ভোটের ব্যবধানে সংবিধানের ১০০ তম সংশোধনীর মাধ্যমে পাশ হয়। এ চুক্তি কার্যকর হয় ৩১ জুলাই’ ২০১৫ সালের মধ্য রাত থেকে। এই চুক্তির মাহাত্ম বলে শেষ করা যাবে না। কেননা, এই চুক্তির মাধ্যমে ৩০২ বছর ধরে চলমান সীমান্ত সমস্যার স্থায়ী সমাধান হয় এবং ছিটমহলে বসবাসকারী প্রায় অর্ধলক্ষ মানুষ ফিরে পায় নাগরিকত্ব।

৬৮ বছরের বন্দীজীবনের অবসান হয়, অন্ধকারাচ্ছন্ন জীবন পিছনে ফেলে ফিরে পায় আলোকিত জীবন। চুক্তি পরবর্তী বাংলাদেশের অংশের ছিটমহলের মানুষের মৌলিক ও নাগরিক অধিকার নিশ্চিত করার লক্ষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিপুল অর্থ বরাদ্ধ দিয়ে রাস্তাঘাট, ব্রিজ, কালভার্ট নির্মাণ করেন। নির্মান করেন স্কুল, কলেজ, মসজিদ, মাদ্রাসা, হাসপাতাল। থাকার জন্য গৃহ নির্মান করে দেন। মোদ্দাকথা, মানবেতর ও বদ্ধ জীবন থেকে এই মানুষগুলিকে মুক্তি দিয়ে নাগরিক মর্যাদা প্রদানপূর্বক সকল অধিকার নিশ্চিতের এক অনন্য নজির স্থাপন করলেন মমতাময়ী শেখ হাসিনা। তাঁর এ মহান উদ্যোগ সমহিমায় স্মরিত হবে যুগ থেকে যুগান্তরে, কাল থেকে কালান্তরে। তাঁকে ছিটমহলবাসি কৃতজ্ঞতায় রাখবেন আজীবন।

লেখক: সহযোগী অধ্যাপক, ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগবরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়।




চুয়াডাঙ্গা নবাগত পুলিশ সুপার আর এম ফয়জুর রহমানের যোগদান

চুয়াডাঙ্গা জেলার নবাগত পুলিশ সুপার হিসেবে আর এম ফয়জুর রহমান, পিপিএম-সেবা যোগদান করেছেন। তিনি নরসিংদী সদর উপজেলার এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারের সন্তান। নবাগত পুলিশ সুপার বাংলাদেশ পুলিশে ২৭তম বিসিএস (পুলিশ) ক্যাডারে গত ২০০৮ সালের নভেম্বর মাসে যোগদান করেন।

তিনি প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত বাংলাদেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হতে এমএসএস (লোকপ্রশাসন), যুক্তরাজ্যে ইউনিভার্সিটি অব সাসেক্স হতে মাইগ্রেশন স্ট্যাডিজ এ মাস্টার্স, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় হতে এমপিএস ডিগ্রি অর্জন করেন।

নবাগত পুলিশ সুপার আর এম ফয়জুর রহমান পিপিএম- সেবা নবাগত পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ্ আল-মামুন এর স্থলাভিষিক্ত হলেন। সদ্য বিদায়ী পুলিশ সুপার নৌ পুলিশে পুলিশ সুপার হিসেবে বদলি হয়েছেন। নবাগত পুলিশ সুপার বিকাল সাড়ে চারটার সময় জেলা পুলিশ চুয়াডাঙ্গার চৌকস টিম পুলিশ সুপারের কার্যালয় আনুষ্ঠানিকভাবে সালামী প্রদান করেন। পরবর্তীতে সদ্য বিদায়ী পুলিশ সুপার নবাগত পুলিশ সুপারকে আনুষ্ঠানিকভাবে পুলিশ সুপার চুয়াডাঙ্গার দায়িত্ব হস্তান্তর করেন।

নবাগত পুলিশ সুপার তার চাকুরিকালে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স এবং সর্বশেষ ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ(ডিএমপি) তে সুনাম ও দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন। কাঙ্ক্ষিত ও জনবান্ধন চুয়াডাঙ্গা গড়তে নবাগত পুলিশ সুপার আর এম ফয়জুর রহমান, পিপিএম-সেবা জেলার সকল রাজনৈতিক, সামাজিক সংগঠনসহ সাংবাদিক, সুশীল সমাজ, ধর্মীয় নেতৃবৃন্দ, মুক্তিযোদ্ধা ও সম্মানিত নাগরিকবৃন্দের সহযোগিতা কামনা করেছেন। ইতোমধ্যেই জেলা পুলিশ, চুয়াডাঙ্গা জেলার সকল সদস্য স্বতঃস্ফূর্তভাবে সদ্য যোগদানকৃত পুলিশ সুপার কে ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।

শুভেচ্ছাক্ষণে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ নাজিম উদ্দিন আল আজাদ পিপিএম-সেবা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আনিসুজ্জামান, সহকারি পুলিশ সুপার (দামুড়হুদা সার্কেল) জাকিয়া সুলতানা, সকল অফিসার ইনচার্জগণ, ডিআইও-১, আরআই, টিআই সহ জেলা পুলিশের সকল পদমর্যাদার অফিসার-ফোর্সগণ।