অভিনেত্রী তানজিন তিশার আত্মহত্যার চেষ্টা!

ছোটপর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী তানজিন তিশা আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন— এমন গুঞ্জন বুধবার মধ্যরাত থেকে ছড়িয়ে পড়েছে। রাতে ঘুমের ওষুধ খেয়ে তিনি আত্মহত্যার চেষ্টা করেন বলে শোনা যাচ্ছে।

একটি সূত্র জানায়, বুধবার রাজারবাগের বাসায় তিশা ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়।

ঢাকা মেডিকেলের একটি সূত্র নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছে, বুধবার রাত দেড়টার দিকে নায়িকা তানজিন তিশাকে ঢাকা মেডিকেলে আনা হয়। সেখানে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। তবে তিনি সেখানে ভর্তি হননি; যে কারণে খাতায় তার নাম এন্ট্রি নেই। পরে তাকে পান্থপথে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তানজিন তিশার এক সহকর্মী বলেন, ছোটপর্দার আরেক জনপ্রিয় অভিনেতা মুশফিক আর ফারহানের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে তিশার। কিছু বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে মতের অমিল হয়। এতেই শুরু হয় ঝামেলা। এ কারণেই তিশা ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে থাকতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

বিষয়টি নিশ্চিত হতে সকাল থেকে মুশফিক আর ফারহান ও তিশার নম্বরে একাধিকবার কল করা হলেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।

সূত্র:যুগান্তর




বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের যুগে বাংলাদেশ

ঢাকা মহানগর থেকে প্রতিদিন আসছে প্রায় সাত হাজার টন বর্জ্য। এর মধ্যে মাত্র দুই ভাগ পয়োবর্জ্য শোধন হয়। বাকি ৯৮ ভাগই কোনো না কোনো পথে যাচ্ছে নদীতে।

উৎপাদিত বর্জ্য ফেলার জায়গা কমে যাওয়ায় আরো জটিল পরিস্থিতি সৃষ্টি হচ্ছে। এ কারণে পরিবেশ ও পানি দূষণের জন্যও বর্জ্য বড় হুমকি হয়ে উঠেছে।

তাই বর্জ্য ব্যবস্থাপনার উন্নয়নে বর্জ্য পুড়িয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা গেলে সফল ব্যবস্থাপনা হতে পারে- এমন চিন্তা দীর্ঘদিনের। অবশেষে সেই চিন্তার সফল বাস্তবায়ন হলো দেশে। তবে এই যাত্রার শুরুটা হলো কক্সবাজারের উখিয়া ক্যাম্পে।

বিশ্বের তৃতীয় অমনি প্রসেসর প্লান্টটি ১১ নভেম্বর উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অমনি প্রসেসর’ হচ্ছে, যে প্রক্রিয়াটি বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ, ডিস্ট্রিল্ড ওয়াটার এবং অ্যাস উৎপাদন করা হয়। সেনেগাল, ভারতের পর তৃতীয় কোন রাষ্ট্র এই প্রকল্পটি পরীক্ষামূলক চালু হয়েছে। বাংলাদেশের প্রথম এই প্রকল্পটি কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে। প্রায় ৬০ কোটি টাকার এই প্রকল্পটির উপকারভোগী আনুমানিক ১ লাখ মানুষ।

জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর জানিয়েছে, কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং ৪ নম্বর এক্সটেনশন রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কাজ শুরু হয় ২০২১ সালের অক্টোবর মাসে এবং প্রকল্পের কাজ শেষ হয় ২০২৩ সালের জুন মাসে। প্রকল্পটি ভারতের অংকুর সাইন্টিফিক ও বাংলাদেশের এসআর করপোরেশন নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান পায়। শতভাগ ভৌত অগ্রগতি শেষে বর্তমানে প্রকল্পটি পরীক্ষামূলক চালু করা হয়েছে। যার অর্থায়ন করেছে এশিয়ান উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)।

কক্সবাজার জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী আবুল মনজুর জানান, এই প্রকল্পটি বাংলাদেশের প্রথম এবং বিশ্বের মধ্যে তৃতীয়। পরীক্ষামুলক চালু হওয়া প্রকল্পে প্রতিদিন ৩০ কিউবিট মিটার বা ৬ টন শুকনো পয়ঃ বর্জ্য, ৫ টন জৈব বর্জ্য, ৫ শত কেজি প্লাস্টিক বর্জ্য নিয়ে মোট ১১.৫ টন বর্জ্য যা প্লান্ট পরিচালনার জন্য ব্যবহৃত হয়। প্লান্ট থেকে প্রতিদিন গড়ে ৬০-৭০ কিলোওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়। উৎপাদিত বিদ্যুৎ দিয়েই মুল প্রকল্পের সকল যন্ত্রপাতি চালু রাখা হয়। ফলে এই প্রকল্পের জন্য কোন প্রকার জাতীয় গ্রিডের বিদ্যুৎ বা ভিন্ন কোন বিদ্যুতের প্রয়োজন হয় না।

তিনি আরো বলেন, প্রকল্পের বর্জ্য পরিশোধনের পর প্রতিদিন গড়ে ১ হাজার থেকে ১২ শত লিটার ডিস্ট্রিল্ড ওয়াটার (পানি) উৎপাদন হয়। যে পানিকে কোন আয়ন বা সলিড কোন সল্ট থাকে না, শুধু হাইড্রোজেন আর অক্সিজেন আয়ন থাকে। ব্যাটারিতে এই পানি আয়নাইজ হয়ে হাইড্রোজেন আর অক্সিজেন আয়ন হয়ে ইলেক্ট্রিসিটি তৈরি করে এবং হাইড্রোজেন গ্যাস হয়ে থাকে। এটি বাজারজাত করা যাবে। একই সঙ্গে প্রকল্প থেকে প্রতিদিন গড়ে উৎপাদিত হচ্ছে ১২ শত থেকে ১৫ শত কেজি অ্যাস। যা সিমেন্ট সহ নানা কাজে ব্যবহার করা হয়। উৎপাদিত অ্যাস বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহৃত হবে এবং এটি দ্বারা মাটি ভরাট বা পরোক্ষ জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা যাবে।

তিনি বলেন, বর্তমানে চুক্তি মতে ভারতের অংকুর সাইন্টিফিক তার নিজস্ব দক্ষ জনবল দ্বারা প্রকল্পটি পরিচালনা করছেন। আগামি ২ বছরের মধ্যে অংকুর বাংলাদেশের এসআর করপোরেশনের নিজস্ব লোককে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ করে তুলবে। এরপর প্রকল্পটি এসআরকে বুঝিয়ে দেবে। খুব অল্প জায়গায় এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করায় অনেক সুযোগ সুবিধাও রয়েছে।

কক্সবাজার জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, এ প্লান্ট হতে উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে ইপিএ/ডিওই স্ট্যান্ডার্ড অনুযায়ী, বায়ু নির্গমনের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে এবং উক্ত প্লান্ট থেকে উৎপাদিত পানি বাংলাদেশ পানীয় স্টান্ডার্ড অনুযায়ী পাওয়া যাবে।

তিনি আরো বলেন, প্রকল্পটির প্রযুক্তির ডিজাইন লাইফ সব প্রধান অংশের ১০ বছর গ্যারান্টিসহ মোট ২০ বছর। এ প্রকল্পের আওতায় ২ বছরের অপারেশন ও মেইনটেনেন্স রয়েছে।

বাংলাদেশের এসআর করপোরেশনের স্বত্ত্বাধিকারী জাকির হাসান জুয়েল জানান, দেশের জন্যে ইতিহাস হতে পারাটাই আমার কাছে আনন্দের। যা দীর্ঘদিন আমাদের চিন্তার মধ্যে ছিল, সেটি এখন বাস্তব। বর্জ্য থেকে বিদ্যুত এবং ডিস্টিল ওয়াটার পাওয়া যাচ্ছে। যে প্রকল্পটি এসআর করপোরেশন এবং ভারতের অংকুর সাইন্টিফিক যৌথভাবে বাস্তবায়ন করেছে। এখন সারাদেশেই এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন নিয়ে ভাবতে হবে। তাহলে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হবে না। আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণে এবং স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে বর্জ্য যথাযথভাবে কাজে লাগাতে হবে। যা বাস্তবে রূপ দেয়া সম্ভব।




মেহেরপুর থেকে নিখোঁজ চিকিৎসক নেত্রকোনায় অচেতন অবস্থায় উদ্ধার

নিখোঁজের তিন দিন পর নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ থে‌কে অচেতন অবস্থায় মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের ইমারজেন্সি মেডিকেল অফিসার ফরহাদ হোসেন পাভেলকে উদ্ধার করা হয়েছে।

মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে হাসপাতালের ইমারজেন্সি মেডিকেল অফিসার ফরহাদ হোসেন পাভেল ১৩ নভেম্বর তারিখ থেকে নিখোজ ছিলেন।

১৩ ই নভেম্বর তার ইমারজেন্সি ডিউটি থাকলেও তিনি ডিউটি অন্যের সাথে সমন্বয় করেছিলেন। এর পর থেকে তার আর কোন খোঁজছিল না। ১৪ তারিখে তার ডিউটি না থাকাই বিষয়টি কারো নজরে আসেনি।

বুধবার ১৫ই নভেম্বর তিনি তার কর্মে যোগ না দিলে বিষয়টি সকলের দৃষ্টিগোচর হয়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ইমারজেন্সি মেডিকেল অফিসারের রুমে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি পায়। তার খোঁজ না পেয়ে পরিবারের সদস্য সাথে যোগাযোগ করলে পরিবার থেকেও জানানো হয় তাদের সাথে কোন যোগাযোগ হয়নি।

পরিবার এবং মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিষয়টি জেলা পুলিশ সুপারসহ ডিএসব, ডিবি ও এনএসআইকে জানাই। একপর্যায়ে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানতে পারে নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ফরহাদ হোসেন নামে এক ব্যক্তি অচেতন অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

মেহেরপুরের ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডাঃ জমির মোহাম্মদ হাসিবুর সাত্তার বলেন, ‘ইমারজেন্সি মেডিকেল অফিসার ফরহাদ হোসেন পাভেলের মিসিং এর বিষয়টি অবগত হওয়ার মাত্র তার পরিবার সহ পুলিশ সুপার, ডিবি ডিএসবি ও এনএসঅই এর সঙ্গে আমি যোগাযোগ করি। তার সন্ধান পাওয়া গেছে। নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে অবস্থায় পেয়ে মোহনগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স তাকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

বিষয়টি নিয়ে আমি নেত্রকোনা সিভিল সার্জন এর সাথে কথা বলেছি। সেখানকার চিকিৎসকরা মনে করছেন তাকে নেশা জাতীয় কোন দ্রব্য খাওয়ানো হয়েছে। তবে ফরহাদ হোসেন এখনো অচেতন থাকাতে কিভাবে তিনি ওখানে গেলেন বা তার সাথে কি হয়েছিল এ নিয়ে তার কোন বক্তব্য নেয়া এখনো সম্ভব হয়নি।




বিএনপি নেতাদের প্রত্যাখ্যান, স্বাগত জানিয়েছে আওয়ামী লীগ

আাগমী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। গতকাল সন্ধ্যায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার হাবিবুল আওয়াল এ তফসিল ঘোষণা করেন।

তফসিল ঘোষণাকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে স্বাগত জানিয়ে আনন্দ মিছিল করা হয়েছে। বিএনপি নেতারা প্রত্যাখ্যান করেছেন।

মেহেরপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য মাসুদ অরুন বলেন, ‘সরকারের নীল নকশা বাস্তবায়ন করার লক্ষ্য নিয়ে নির্বাচন কমিশন এই তফসিল ঘোষণা করেছে। আমরা ঘৃণা ভরে এই তফসিল প্রত্যাখ্যান করছি। জনগণকে সাথে নিয়ে আমরা এই নীল নকশাকে প্রতিহত করব এবং মানুষের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনব।

মেহেরপুর জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আলমগীর খান ছাতু বলেন,’ আমরা এই তফসিলকে সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাখ্যান করছ। আমরা এই তফসিল মানি না । তফসিলের বিরুদ্ধে আমরা আমাদের কেন্দ্রীয় কর্মসূচি পালন করছি এবং মেহেরপুর জেলা বিএনপির পক্ষ থেকে এই তফসিল কে আমরা প্রতিহত করব।’

মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মিয়াজান আলী বলেন, ‘তফসিল ঘোষণা করাতে মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আমি নির্বাচন কমিশনের প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি। সকলের অংশগ্রহণে নির্বাচন সুষ্ঠু ও সুন্দর ভাবে বলে আশা করছি। বিএনপি জামায়াতের কোন অপচেষ্টাতেই আসন্ন নির্বাচন বানচাল হওয়া সম্ভাবনা নেই। তারা অবরোধ দেখে নিজেই মাঠে থাকে না হঠাৎ কোনো নাশকতা করে দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করে। ‘

জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ইব্রাহিম শাহীন বলেন, ‘সংবিধানের যে নিয়ম এই নিয়মের ধারাবাহিকতা রক্ষা করে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল তার স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় এসেছে। এটা একটি সাংবিধানিক প্রক্রিয়া। আমরা মনে করি এই তফশীল মেনে একটি সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা রক্ষা হবে।

আমরা বিশ্বাস করি জনগণ যদি পরিবর্তনের প্রয়োজন মনে করে, এই নির্বাচনের মাধ্যমেই তারা পরিবর্তন করবে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জনগণের মধ্য থেকে উঠে আসা এবং জনগণকে নিয়েই দাবি আদায় করা একটি বৃহৎ রাজনৈতিক দল। বিএনপি জামায়াত যদি নির্বাচন প্রতিহত করার চেষ্টা করে তবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জনগণকে সাথে নিয়েই তা প্রতিহত করবে। ‘

মেহেরপুর-২ সংসদীয় আসনের সংসদ সদস্য মোহাঃ সাহিদুজ্জামান খোকন বলেন, আজকে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষিত হয়েছে। এটা জাতির জীবনে প্রত্যাশিত একটি দিন। সমগ্র জাতি এই দিনটির জন্য অপেক্ষা করছিল। দ্বাদশ জাতীয় সংসদের নির্বাচনের তফশিল নিয়ে সকলে উদ্বিগ্ন ছিল কখন এই তফসিলটি ঘোষণা হবে। সমগ্র বাংলাদেশের মানুষ এই তফশিল ঘোষণার পরে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে এবং আনন্দিত হয়েছে। আশা করছি আগামী সংসদ নির্বাচন সকল দলের অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হবে এটা আমাদের প্রত্যাশা। এবং সেই নির্বাচনে জনগণ নৌকার পক্ষেই মত দেবে বলে আমি বিশ্বাস করি।

জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আব্দুল মান্নান বলেন, সংবিধান সমুন্নত রেখে নির্বাচন কমিশন জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে। আমি এ ঘোষণাকে স্বাগত জানাচ্ছি।

প্রতিক্রিয়া জানার জন্য জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি আব্দুল হামিদকে ফোন দিয়ে ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। তাই বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।




মেহেরপুর জেলা পরিষদের বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠান

‘রাজনীতির সাথে ত্যাগের সম্পর্ক রয়েছে, ভোগের নয়। আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে জেলা পরিষদে কোন দূর্ণীতি নাই, টেন্ডার বাজী নাই।’

গতকাল বুধবার ১৫ নভেম্বর দুপুরে মেহেরপুর পৌর কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত মেহেরপুর জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সহ সদস্যগণদের দায়িত্ব ভার গ্রহণের ১ম বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানে কথাগুলি বলেন মেহেরপুর জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মুহা. আব্দুস সালাম।

এসময় তিনি আরও বলেন, ‘৪৫ বছরের বেশি সময় ধরে একটি রাজনৈতিক দলের সাধারণ সদস্য হিসাবে এই দলটি করছি। আমি একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসাবে আপনাদের সেবা করতে চাই। গত বছরের ১৭ অক্টোবর ভোটে জয়লাভ করে, আজ থেকে ১ বছর আগে আমি জেলা পরিষদের দায়িত্ব নিই। আজ আমি আপনাদের কাঠগড়ায়। আমি আমার প্রতিশ্রুতি রক্ষা করার চেষ্টা করেছি। এখন আপনারাই বলবেন আমি কতটুকু করতে পেরেছি। যদি নেতা হতে নাও পারি তবুও কর্মী হিসেবেই আজীবন জনগণের কল্যাণে কাজ করে যাবো।’

জেলা পরিষদের দায়িত্বভার গ্রহণের বর্ষপূর্তির আলোচনা সভায় সংরক্ষিত আসন-২ (গাংনী)র সদস্য শাহানা ইসলাম শান্তনার সঞ্চালনা এবং মেহেরপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মুহা. আব্দুস সালামের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুরের জেলা প্রশাসক মোঃ শামীম হাসান, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মোঃ শামীম হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ কামরুল আহসান ও জেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সরদার মোস্তফা শাহীন। প্রধান অতিথি হিসেবে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেনের ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হওয়ার কথা থাকলেও দাপ্তরিক ব্যস্ততার কারণে তিনি অনুষ্ঠানে যুক্ত হতে পারেননি।

এসময় মেহেরপুর জেলা পরিষদের সকল সদস্য সহ জেলা পরিষদের সাবেক সদস্যগন, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যানগন, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানগন ও মেম্বারগন উপস্থিত ছিলেন।




বাংলাদেশের সাম্প্রতিক হরতাল-অবরোধের ক্ষতি

গুজরাটি শব্দ ‘হর’ মানে সব জায়গায় আর ‘তাল’ মানে তালা। অর্থাৎ হরতাল মানে সব জায়গায় তালা। রাজনৈতিক বিশ্লেষকবৃন্দের মতে হরতাল হচ্ছে – গাড়ির চাকা ঘুরবে না এবং অফিস-আদালতসহ সব ধরনের প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। এক কথায় সব কিছু অচল করে দেওয়ার কর্মসূচি হচ্ছে হরতাল।

ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের সময় মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী হরতালের প্রবর্তন করেছিলেন। ১৯৪৮ সালে বাংলাদেশে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে ‘তমুদ্দিন মজলিস’ প্রথম হরতাল ডাকার পর থেকে এ দেশের রাজনীতিতে হরতাল কর্মসূচিটি প্রচলিত হয়।

অন্যদিকে অবরোধ কর্মসূচি হচ্ছে দাবি আদায়ের লক্ষ্যে সবকিছু খোলা রেখে যোগাযোগ ব্যবস্থায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা। গ্রিক উপাখ্যানে ইলিয়াড ও ওডেসিতে ট্রয় নগরী অবরোধের কথা আছে। ১১৮৭ সালে সালাউদ্দিন আইয়ুবি জেরুজালেম অবরোধ করেন।

সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে বিএনপি-জামাতসহ কয়েকটি বিরোধী দল হরতাল-অবরোধকে একই ধরণের কর্মসূচী বিবেচনা করে ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড যুক্ত করে আন্দোলনের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে দাবি আদায়ের চেষ্টা করছে। তারা হরতাল ও অবরোধে অগ্নিসংযোগ করে জালাও-পোড়াও করছে এবং সব ধরনের সরবরাহ চেইন বিচ্ছিন্ন করার চেষ্টা করে দেশের অর্থনৈতিক কর্মকান্ড বাধাগ্রস্ত করে জনদূর্ভোগ বৃদ্ধি করছে। বাংলাদেশের সাম্প্রতিক হরতাল ও অবরোধে ক্ষতির বিবরণ নিম্নে তুলে ধরা হলো।

কৃষি উৎপাদন ব্যাহত: সরবরাহ চেইন বিচ্ছিন্ন হওয়ায় কৃষি উপকরণ যেমন সার, বালাইনাশক, বীজ, গ্রোথ রেগুলেটর, সেচ কাজের জন্য ডিজেল ইত্যাদি স্থানীয় বাজারে পৌছাতে পারছে না, ফলে কৃষক এগুলো সংগ্রহ করতে পারছে না। আবার কম সরবরাহের কারণে এগুলোর দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে কৃষি উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। অন্যদিকে কৃষকের উৎপাদিত পণ্য শহরের বাজারে পাঠাতে পারছে না। সার্বিকভাবে কৃষক ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে।

ভোগ্যপণ্যের মূল্য বৃদ্ধি: অবরোধের কারণে সব ধরনের সরবরাহ চেইন বিচ্ছিন্ন হওয়ায় গত কয়েকদিনে কৃষি পণ্য বাজারে আসতে পারছে না। ফলে কৃষি পণ্যসহ অন্যান্য যাবতীয় ভোগ্যপণ্যের দাম বাড়ছে। হরতাল-অবরোধের ফলে পরিস্থিতি আরও জটিল আকার ধারণ করতে পারে।

দেশে নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে সরকার সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝিতে আলু, পেঁয়াজ, চিনি, সয়াবিন তেল ও ডিমের দাম বেঁধে দেয়্। সরকারের বেঁধে দেওয়া দাম বাজারে কার্যকর না হওয়ার পেছনে সরবরাহ ঘাটতিই দায়ী। সরবরাহ যদি ঠিক থাকত, তা হলে বাজারে নিত্যপণ্যের দাম কমে যেত। সরবরাহ সন্তোষজনক না হওয়ায় সরকারের বেঁধে দেওয়া দাম কার্যকর করা যাচ্ছে না।

শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত: হরতাল-অবরোধের কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহে অচলাবস্থা সৃষ্টি হচ্ছে। নভেম্বর মাসে বিদ্যালয়সমূহে বার্ষিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ বার্ষিক পরীক্ষা আয়োজন করতে হিমসিম খাচ্ছে। অবরোধের সংগে জালাও-পোড়াও ও অগ্নি সংযোগের অপরাজনীতি যুক্ত হওয়ায় শিক্ষক-শিক্ষিকা, ছাত্রছাত্র, অভিবাবক সকলেই উদ্বিগ্ন। ঝুকি নিয়ে যাতায়াত করলেও তাদের যাতায়াত খরচ বহুগুনে বাড়ছে।

স্বল্প আয়ের মানুষের জীবিকা ব্যাহত: হরতাল-অবরোধে রিকসা-ভ্যান ও অটোরিকসা চালক, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, দিনমজুরগণ সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। অটোরিকসা চালককে মালিকের দৈনিক ভাড়া পরিশোধ করতে হচ্ছে, কিন্তু তারা পাচ্ছে না যাত্রী। শ্রমিকরা পাচ্ছে না কাজ। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা টিকে থাকতে পারছে না। সরবরাহ ব্যবস্থা বিপর্যস্ত হওযায় তাদের ত্রাহিত্রাহি অবস্থা।

ব্যবসা-বাণিজ্য ব্যাহত: জনগণ ও অর্থনীতিকে জিম্মি করে রাজনৈতিক ফায়দা লোটার লক্ষ্যে সরকার-বিরোধী দলসমূহের ডাকা অবরোধের সংগে অগ্নি-সন্ত্রাসের ভয়ে ব্যবসায়ীগণ তাদের ব্যবসা-বাণিজ্য ঠিকমতো চালাতে পারছে না। এভাবে চললে প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের কর্মীদের ঠিকমতো বেতন-ভাতা দিতে পারবে না। ছোট প্রতিষ্ঠানগুলো কর্মী ছাঁটাই করতে বাধ্য হবে। বেকারত্ব বাড়বে।

আমদানী-রপ্তানী হ্রাস: বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দায় এমনিতেই বিদেশী ক্রেতারা তাদের ক্রয়াদেশ কমিয়ে দিচ্ছে। হরতাল-অবরোধের মতো রাজনৈতিক কর্মসূচির কারণে সময়মতো পণ্য বন্দরে পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে যেমন বাধা সৃষ্টি হবে, পাশাপাশি পণ্যের জাহাজীকরণও হবে বাধাগ্রস্ত। এ সুযোগে ক্রেতারা তাদের ক্রয়াদেশ আরও কমিয়ে দেবে। আগের দেওয়া ক্রয়াদেশ নিশ্চিত করতে দেরি করবে। রাজনৈতিক এসব কর্মসূচি কারও উপকার বয়ে আনে না।

কর্মসংস্থান হ্রাস: রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার কারণে ব্যবসায়ীরা ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন। বিনিয়োগের টাকা ফেরত আসা, পণ্যের বাজারজাতকরণ, শিল্প-বাণিজ্য পরিচালনা, বিনিয়োগ ঝুকি, ইত্যাদি বিষয় নিয়ে তারা ভাবতে শুরু করছেন। এমতাবস্থায় ব্যবসায়ীগণ নতুন কর্মী নিয়োগের পরিবর্তে কর্মী ছাটাই করার কথা ভাবছে। ফলে নতুন কর্মসংস্থান হবে না, বরং কর্মসংস্থান আরও কমবে। যার প্রভাবে বেড়ে যেতে পারে বেকারের সংখ্যা।

বিদেশী বিনিয়োগ হ্রাস: বিদেশীরা রাজনৈতিক পরিস্থিতি খারাপ দেখলে বিনিয়োগ করে না। হরতাল অবরোধ থাকলে পণ্য আমদানি ও রপ্তানিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। এক্ষেত্রে অর্থনৈতিক পরিস্থিতি, বিদেশী বিনিয়োগ পরিস্থিতি আরও অনিশ্চিত হয়ে পড়বে। ফলে, এখন দেশের অর্থনীতি অনেক চ্যালেঞ্জের মধ্যে রয়েছে।

অর্থনীতিতে সংকট: হরতাল-অবরোধ, জ্বালাও-পোড়ায়ের কারণে দেশে অর্থনীতিতে সংকট আরও বাড়াবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন গবেষক, অর্থনীতিবিদ, ব্যাংকার ও ব্যবসায়ীরা। তারা বলছেন, দুই বছরের করোনা মহামারীর ধাক্কা কাটতে না কাটতেই পৌনে দুই বছর ধরে চলা রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে এমনিতেই সংকটে আছে দেশের অর্থনীতি। ফের রাজনীতির মাঠ সহিংস হয়ে উঠলে দেশে অর্থনীতিতে সংকট প্রকট আকার ধারণ করবে।

বস্ত্র শিল্পের সংকট: দেশের রপ্তানি আয়ের প্রধান খাত তৈরি পোশাক শিল্প। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, ইসরাইল-ফিলিস্তিন যুদ্ধ, ইত্যাদি বৈশ্বিক পরিস্থিতির কারণে বস্ত্র ক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলোর চাহিদা কমছে। বৈশ্বিক পরিস্থিতির সাথে দেশের ভেতরে অবরোধের অস্থিরতা সৃষ্টি হলে রপ্তানিমুখী শিল্প খুবই সংকটে পড়বে। অস্থিরতার কারণে ক্রেতারা বিকল্প খুঁজবেন। এ ধরণের অচলাবস্থায় বস্ত্র শিল্প সংকটে পড়বে।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আইসিটিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় জানিয়েছেন ২৮ অক্টোবর থেকে ৬ নভেম্বর পর্যন্ত বিএনপি-জামায়াতে ইসলামী ও তাদের সহযোগীদের ৬ দিনের অবরোধ-হরতালে অর্থনীতির আনুমানিক ক্ষতি হয়েছে ৩ দশমিক ৫ বিলিয়নের ডলারের বেশি।

বাংলাদেশে বর্তমানে বছরে প্রায় ৫০ লক্ষ কোটি ডলারের অর্থনৈতিক কর্মকান্ড পরিচালিত হয়। সে হিসেবে এক দিনের হরতাল বা অবরোধে দেশের ক্ষতি হয় প্রায় ১৪ হাজার কোটি ডলার। দেশের অর্থণীতি সচল রাখতে হরতাল-অবরোধের মত কর্মসূচী পরিহার করা বাঞ্ছনীয়।

লেখক: অধ্যাপক, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা




তফসিল ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়ে চুয়াডাঙ্গায় যুবলীগের আনন্দ মিছিল

আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়ে চুয়াডাঙ্গা জেলা যুবলীগের আহবায়ক ও চুয়াডাঙ্গা জেলা ক্রিয়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক নঈম হাসান জোয়ার্দারের নেতৃত্ব আনন্দ মিছিল করা হয়েছে।

গতকাল বুধবার জাতীয় নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর সন্ধ্যা আটটার সময় চুয়াডাঙ্গা জেলা যুবলীগের কার্যালয় হতে বর্ণাঢ্য আনন্দ মিছিল বাহির হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে চুয়াডাঙ্গা বড় বাজার হাসান চত্বর ঘুরে আবার জেলা যুবলীগের কার্যালয়ে এসে শেষ হয়।

আনন্দ মিছিল পরবর্তী চুয়াডাঙ্গা জেলা যুবলীগের আহবায়ক ও চুয়াডাঙ্গা জেলা ক্রিয়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক নঈম হাসান জোয়ার্দার বলেন, কেন্দ্রীয় যুবলীগের নির্দেশনা মোতাবেক আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর যুবলীগের সকল পর্যায়েয় নেতাকর্মীদের নিয়ে আনন্দ মিছিল বাহির করতে বলা হয়। তারই ধারাবাহিকতায় চুয়াডাঙ্গা জেলা যুবলীগের পক্ষ থেকে সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের নিয়ে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর পরই আনন্দ মিছিল বাহির করা হয়।

এ সময় তিনি আরও বলেন, আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আবারও গণতন্ত্রের বিজয় হবে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলা বাস্তবায়নে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আবারো নৌকা ও আওয়ামী লীগের জয় হবে। এ-ই লক্ষ্যে আজ থেকে প্রতিটি পাড়া মহল্লায় কর্মসূচি পালন করবে চুয়াডাঙ্গা জেলা যুবলীগ। একই সঙ্গে বিএনপি জামায়াত ডাকা অবৈধ অবরোধ বাধা দিয়ে যুবলীগের প্রত্যেক নেতাকর্মী অতন্দ্র পহরীর মতো প্রতিটি সরকারি অফিস আদালত ও সাধারণ মানুষের জান মালের রক্ষায় কাজ করবে ও পাহারা দিবে।

উক্ত আনন্দ মিছিলে সভাপতিত্বে করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা যুবলীগের আহবায়ক ও চুয়াডাঙ্গা জেলা ক্রিয়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক নঈম হাসান জোয়ার্দার।

এ সময় আনন্দ মিছিলে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্য জুবায়ের আহমেদ সাব্বির, চুয়াডাঙ্গা জেলা যুবলীগের যুগ্ন-আহবায় সামসুদ্দোহা মল্লিক হাসু, জেলা আওয়ামী যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সাজেদুল ইসলাম লাভলু, আজাদ আলী, হাফিজুর রহমান হাপু, আবুবক্কর সিদ্দিক আরিফ, আলমগীর আজম খোকা সহ চুয়াডাঙ্গা জেলা যুবলীগের নেতৃবৃন্দ।




দামুড়হুদার বিভিন্ন ইউনিয়নে সড়ক ও মসজিদ নির্মান কাজের উদ্ধোধন

দামুড়হুদা উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে ৭টি সড়ক নির্মান কাজ ও একটি মসজিদ নির্মান কাজে উদ্ধোধন করেছেন চুয়াডাঙ্গা ২ আসনের সংসদ সদস্য হাজী আলী আজগার টগর।

গতকাল বুধবার দিনভর তিনি নাটুদহ ইউনিয়ের চন্দ্রদাস কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ের হুদাপাড়া নতিপোতা,ইউনিয়ের ভগিরাতপুর জুড়ানপুর, ইউনিয়ের দলীয়ারপুর, গোকুল খালী, লক্ষিপুর হাট এবং দামুড়হুদা ইউনিয়ের পুরাতন বাস্তপুরে ৩ কোটি ২৯ লাখ টাকা ব্যায়ে ৭টি সড়ক নির্মান কাজের ও ডিসি ইকো পার্কে মসজিদ নির্মান কাজের শুভ উদ্বোধন করেন।

উদ্ধোধনকালে হাজী আলী আজগার টগর বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়নের রুপকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ আজ উন্নয়নের স্বর্ন শেখরে। জাতির জনকের স্বপ্ন পৃরনে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। অবহেলিত এই জনপদের উন্নয়ন হয়েছে চোখে পড়ার মত।সারা বাংলাদেশসহ আমাদের এলাকায় রাস্তা ব্রীজ,কালভার্ট স্কুল, কলেজ,মাদ্রাসা মসজিদ, মন্দিরসহ বিভিন্ন প্রতিষ্টানে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। এ সব উন্নয়ন দেখে দিশেহারা হয়ে পড়েছে বিএনপি- জামাত,তারা অহেতুক অরাজকতা সৃষ্টি করে নির্বাচন বানচালসহ ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের পায়তারা করছে। একাত্তরের পরাজিত শক্তি জামাত ও বিএনপি যতই অরাজকতা সৃষ্টি করুক না কেন এদেশের জনগন তা শক্তহাতে প্রতিহত করবে।তাই আসুন দেশের উন্নয়ন অব্যহত রাখতে বিরোধী দলের অপশক্তিকে রুখে দিতে আবারো নৌকায় ভোট দিয়ে শেখ হাসিনা সরকার গঠনে সহায়তা করি।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন দামুড়হুদা উপজেলা চেয়ারম্যান আলী মুনছুর বাবু , দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোকসানা মিতা,কার্পাসডাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল করিম বিশ্বাস, দামুড়হুদা উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক হাজী শহিদুল ইসলাম,দর্শনা পৌর মেয়র আতিয়ার রহমান হাবু, জুড়ানপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইয়ামিন,দামুড়হুদা উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আব্দুল হান্নান ছোট।




আলমডাঙ্গার ভাংবাড়িয়ায় কর্মী সভায় এমপি ছেলুন জোয়ার্দ্দার

আলমডাঙ্গার ভাংবাড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আয়োজনে কর্মি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বুধবার সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে ভাংবাড়িয়া স্কুল প্রাঙ্গণে এ সভার আয়োজন করা হয়। কর্মি সভায়

প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন।

এসময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমপি ছেলুন জেয়ার্দ্দার বলেন,বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা এই ১৫ বছরে দেশের মানুষের জন্য যে উন্নয়ন করেছে,তা আর কেউ করে নাই। আমাদের সরকারের আমলে, সারের জন্য কৃষককে লাইন দিতে হয়না। গুলি খেয়ে মরতে হয়না। গ্রামে গ্রামে রাস্তা করে দেওয়া হয়েছে। তৃণমূলের মানুষের চিকিৎসার জন্য কমিউনিটি ক্লিনিক করে দেওয়া হয়েছে। ফ্রী ঔষধ দেওয়া হচ্ছে। যে ক্লিনিক বিএনপির আমলে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। সেখানে আজ মানুষ চিকিৎসা সেবা পাচ্ছেন। পদ্মা সেতু নির্মাণ করা হয়েছে,কর্ণফুলি ট্যানেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ করে দেওয়া হয়েছে,মেট্রোরেল চালু হয়েছে। মানুষ সুবিধা ভোগ করছে। প্রত্যেক উপজেলায় মডেল মসজিদ নির্মাণ করা হয়েছে। এই রাস্তাঘাট স্কুল কলেজ,মসজিদ মাদ্রাসা, ইলেকট্রিসিটিসহ সব ধরনের সুযোগ সুবিধা পাচ্ছেন।

তিনি আরো বলেন, আজকের এই জনসভায় যেসব কর্মি ভাইয়ের উপন্থিত হয়েছেন,আপনারা মানুষের কাছে গিয়ে নৌকার জন্য ভোট চান,আমরা যে উন্নয়ন করেছি, সে বিষয়ে মানুষকে বোঝান। কেনো নৌকায় ভোট দিবে না।

দেশের উন্নয়নের জন্য নৌকায় ভোট দিতে হবে। উন্নয়নের এই ধারা অব্যাহত রাখতে নৌকায় ভোট দিয়ে শেখ হাসিনাকে আবারও ক্ষমতায় আনতে হবে।

ভাংবাড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মালেকের সভাপতিত্বে কর্মীসভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক যুগ্নসাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম টোটন জোয়াদ্দার, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মুন্সী আলমঙ্গীর হান্নান, মাসুদুজ্জামান লিটু বিশ্বাস,সাবেক বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদব শহিদুল ইসলাম খান, জেলা আওয়ামীলীগ নেতা শওকত আলী, আলমডাঙ্গা উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আবু মুছা, সাধারণ সম্পাদক ইয়াকুব আলী, চুয়াডাঙ্গা পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি আলাউদ্দিন হেলা, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের, ভাংবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান সোহানুর রহমান সোহান, মুক্তিযোদ্ধা খোসদেল রহমান, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সহসভাপতি আলহাজ্ব লিয়াকত আলী লিপু মোল্লা, সাবেক প্রচার সম্পাদক মাসুদ রানা তুহিন, পৌর যুগ্ম সম্পাদক সাইফুর রহমান পিন্টু, আওয়ামীলীগ নেতা মেহেরপুর পল্লিবিদ্যুৎ সমিতির চেয়ারম্যান ও মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের সভাপতি জিনারুল ইসলাম বিশ্বাসের উপস্থাপনায় আরও উপস্থিত ছিলেন ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সহসভাপতি একরামুল হক বুড়ো, যুগ্ম সম্পাদক আশরাফুজ্জামান নান্নু বিশ্বাস, আওয়ামীলীগ নেতা নাহিদ হাসনাত সোহাগ, ১ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি আনিসুর রহমান, দুই নং ওনং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সোয়েব আলী, ৪ নং ওয়ার্ড সভাপতি আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল মালেক, ৫ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি মিনারুল ইসলাম, ৮ নং সভাপতি বিল্লাল হোসেন, আওয়ামীলীগ নেতা মিনারুল ইসলাম প্রমুখ।




আলমডাঙ্গায় ১০৫ পিস ইয়াবাসহ ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার

আলমডাঙ্গার কামালপুরে ১০৫ পিস ইয়াবাসহ এক মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর।

আজ বুধবার সকাল ১১ টার দিকে জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের কুমারি ইউনিয়নের কামালপুর মাঠপাড়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের উপ-পরিদর্শক সাহারা ইয়াসমিন। গ্রেপ্তারকৃত আসামী হলেন, উপজেলা কুমারি ইউনিয়নের কামালপুর গ্রামের মৃত আব্দুল মালেকের ছেলে হাবিবুর রহমান সোহেল (৪৮)।

তিনি বলেন, তারা দীর্ঘদিন এলাকায় মাদকের ব্যবসা করে আসছিলেন। গতকাল বুধবার সকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মাদকদ্রব্য ইয়াবা বিক্রয়ের সময় ১০৫ পিস ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার করা হয়। তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।