বেলিংহাম বললেন ‘অফ’ রেফারি শুনলেন ‘ইউ’, ফলাফল লাল কার্ড

লা লিগায় ম্যাচে ওসাসুনার বিপক্ষে লাল কার্ড দেখেছেন জুড বেলিংহাম। ম্যাচের ৩৮ মিনিটে রেফারি মুনুয়েরা মন্তেরোর সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায় এই রিয়াল তারকাকে। এরপরই ইংলিশ মিডফিল্ডারকে সরাসরি লাল কার্ড দেখান স্প্যানিশ রেফারি।

তবে বেলিংহামের দাবি, রেফারিকে এমন কিছু বলেননি, যাতে লাল কার্ড দেখানো যায়। ম্যাচ শেষে রেফারির সিদ্ধান্তে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন রিয়াল কোচ কার্লো আনচেলত্তি।

স্প্যানিশ দৈনিক এএস জানিয়েছে, খেলা শেষে রেফারি যে প্রতিবেদন দিয়ে থাকেন, সেখানে লেখা হয়েছে ‘বেলিংহাম রেফারিকে “ফাক ইউ” বলেছেন’। শব্দটি গালি বা অপমানসূচক হিসেবে ব্যবহার হয়ে থাকে।

তবে তা অস্বীকার করেছেন বেলিংহাম। ম্যাচ শেষে স্প্যানিশ সম্প্রচার প্রতিষ্ঠান মুভিস্টার‍+কে ইংলিশ মিডফিল্ডার বলেন, ‘আমি রেফারির প্রতি সম্মান রেখেই বলেছি “ফাক অফ”।’ বেলিংহাম যে শব্দটি উচ্চারণ করেছেন, সেটি সাধারণত বিরক্তি বা ‘দূর হও’–জাতীয় কথা বোঝাতে ব্যবহার হয়।

রেফারি বুঝতে ভুল করেছেন উল্লেখ করে বেলিংহাম বলেন, ‘আপনারা ঘটনার ভিডিও দেখলে বুঝতে পারবেন আমি শুধু একটা অনুভূতি প্রকাশ করেছি। একটা ভুল–বোঝাবুঝির কারণেই ঝামেলাটা বেধেছে। রেফারিকে অপমান করার কোনো ইচ্ছাই আমার ছিল না। আমি তাকে অপমান করিনি। রেফারিই ভুল করেছেন।’

ম্যাচের পর আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে রিয়াল কোচ আনচেলত্তিও রেফারি বুঝতে ভুল করেছেন বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, ‘ফুটবলীয় দৃষ্টিকোণ থেকে ম্যাচটা আমরা ভালোভাবেই শুরু করেছিলাম। এরপর বেলিংহামের লাল কার্ডটা…তিনি ইংরেজিটা ভালোভাবে বুঝতে পারেননি। তাকে “ফাক অফ” বলা হয়েছে, “ফাক ইউ” নয়। এখানেই ভুলটা করেছেন। “ফাক অফ” মানে তো আমাকে অবজ্ঞা কোরো না। এটা আক্রমণাত্মক কিছু নয়।’

বেলিংহাম যখন লাল কার্ড দেখেন, রিয়াল তখন ১-০ গোলে এগিয়ে ছিল। কিন্তু পরে ১০ জনের দল নিয়ে লিড বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেনি লস ব্লাঙ্কোরা। ওসাসুনার সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করে পয়েন্ট খুইয়েছে লা লিগা পয়েন্ট খুইয়েছে কার্লো আনচেলত্তির শিষ্যরা।

সূত্র: ইত্তেফাক




মুজিবনগরে উপজেলা তাঁতী লীগের সাধারণ সম্পাদক গ্রেফতার

মেহেরপুরের মুজিবনগরে অপারেশন ডেভিল হান্টে উপজেলা তাঁতীলীগের সাধারণ সম্পাদক গাউসুল আজমকে (বিজন) (৪৪) গ্রেফতার করেছে মুজিবনগর থানা পুলিশ ।

গতকাল শনিবার দিবাগত রাতে মুজিবনগর থানার অফিসার ইনচার্জ মিজানুর রহমান এর নের্তৃত্বে সঙ্গীয় এসআই কামরুজ্জান জিয়া, এসআই আশরাফুল ইসলাম, এসআই নাজমুল ইসলাম, এএসআই মনজুরুল ইসলাম সহ সঙ্গীয় ফোর্সসহ মুজিবনগর থানা এলাকায় ডেভিল হান্ট বিশেষ অভিযান ও গ্রেফতারি পরোয়ানা তামিল পরিচালনাকালে মুজিবনগর থানার মামলা নং-০১,তারিখ-০৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪; ধারা-১৪৩/৩২৩/৩২৪/৩২৬/৩০৭/৩৪১/৩৮৫/৩৮৬/৩৮৭/৫০৬/১১৪/৩৪ পেনাল কোড ১৮৬০ এর তদন্তে প্রাপ্ত উপজেলার মোনাখালী গ্রামের দক্ষিণপাড়ার আব্দুস সালামের ছেলে উপজেলা তাঁতী লীগের সাধারণ সম্পাদক গাউসুল আজম (বিজন) (৪৪) এবং গ্রেফতারী পরোয়ানা ভুক্ত ১৭/২৪ এর ০৩ মাসের সাজা প্রাপ্ত আসামী দারিয়াপুর গ্রামের আব্দুল মজিদের ছেলে তরিকুল ইসলাম ওরফে দোয়াত আলীকে(৪৭) নিজ নিজ এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।

ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে মুজিবনগর থানা অফিসার ইনচার্জ মিজানুর রহমান বলেন, অপারেশনে ডেভিল হান্টের আওতায় উপজেলা তাঁতী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সাজা প্রাপ্ত একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রবিবার দুপুরে আসামিদেরকে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে তিনি আরো বলেন মুজিবনগর থানা এলাকায় অপারেশন ডেভিল হান্টের বিশেষ অভিযান ওয়ারেন্টভূক্ত আসামী গ্রেফতার ও মাদক উদ্ধার অভিযান অব্যাহত আছে।




শরীরে প্রোটিনের ঘাটতি বুঝবেন যেভাবে

আমাদের জীবনযাপনের অনেকটা সময় জুড়ে আছে চাকরি। সকালে বের হয়ে দুপুর বাইরে কাটিয়ে রাতে বাসায় ফেরা এর মাঝে খাবারটাও ঠিকঠাক পেটে পড়ে না। একদিন দুপুরের খাবার দুইটায় খেলে অন্যদিন চারটায়, কোনো কোনো দিন তো খাবারই খাওয়ার ফুরসত মেলে না। এই খাদ্যাভাস বড় ক্ষতির কারণ হতে পারে।

মূলত বেশিরভাগ মানুষের শরীরেই এতে প্রোটিনের ঘাটতি দেখা যায়। এর অন্যতম কারণ খাদ্যাভ্যাস। প্রোটিন শরীরের খুব গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এটি যেমন বেশি হলে সমস্যা, তেমনি কম হলেও। তবে শরীরে প্রোটিন কম না বেশি জানতে কিছু আগাম বার্তা পাবেন।

শরীর ফুলে যায়: প্রোটিনের ঘাটতি হলে শরীরের বিভিন্ন অংশ ফুলে যেতে পারে। এছাড়া পেশীর ক্ষয় হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। শরীরে প্রোটিনের ঘাটতি হলে হাত ও পা ফুলে যেতে পারে। হঠাৎ এই লক্ষণ দেখা দিলে সতর্ক হোন।

অনিদ্রা: প্রোটিনের ঘাটতি বাচ্চাদের মধ্যে হলে ‘গ্রোথের’ ক্ষেত্রে সমস্যা হয়। অ্যানিমিয়ার সমস্যা হতে পারে। আচমকা ওজন বাড়তে পারে। কিংবা হঠাৎ কমতেও পারে।

ত্বক ও চুলের ক্ষতি হয়: প্রোটিনের ঘাটতি হলে ত্বক ও চুলের মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। চুল পড়ার সমস্যা বাড়তে পারে। চুল ভঙ্গুর হয়ে যেতে পারে। প্রোটিনের ঘাটতি হলে আপনার ত্বক মারাত্মক রুক্ষ, শুষ্ক হয়ে যেতে পারে। ত্বকের জৌলুস একেবারেই থাকে না।

হাড়ে ব্যথা: প্রোটিনের ঘাটতি হলে পেশীর ক্ষয় হয়। ভঙ্গুর হয়ে যেতে পারে হাড়। অর্থাৎ প্রোটিনের ঘাটতি হাড়ের গঠনে ক্ষয় ধরায়। অল্পেই হাড় ভেঙে যেতে পারে।

সূত্র: যুগান্তর




মেহেরপুরে প্রবীণদের দিনব্যাপী মিলন মেলা

মেহেরপুরে দিনব্যাপী প্রবীণ মিলন মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সদর উপজেলার চকশ্যামনগর গ্রামবাসীর উদ্যোগে এ মিলন মেলার আয়োজন করা হয়। এতে এলাকার প্রায় ২০০ প্রবীণ অংশ নেন।

মিলন মেলায় আয়োজিত হয় শৈশবের বিভিন্ন খেলাধুলা, যা প্রবীণদের আনন্দে মাতিয়ে তোলে। আয়োজকেরা জানান, ইন্টারনেট আর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের প্রভাবে গ্রামীণ ঐতিহ্য হারিয়ে যাচ্ছে, তাই তারা প্রতিবছর এমন আয়োজন চালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছেন।

মিলন মেলায় প্রবীণরা অংশ নেন চেয়ার সিটিং, ফুটবল, বালিশ খেলাসহ বিভিন্ন ঐতিহ্যবাহী খেলাধুলায়। অনুষ্ঠানের শুরুতে তরুণরা প্রবীণদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেয়। সকালের নাস্তায় পরিবেশিত হয় গ্রামীণ ঐতিহ্যের চিড়া, মুড়কি, দই, গুড় ও মিষ্টি। দুপুরের খাবারে ছিল ভাত, খাসির মাংস, সবজি ও ডাল।

দিনশেষে খেলাধুলায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। মিলনমেলা শেষে সবাই একে অপরের সুস্থতা কামনায় দোয়া করেন।

আয়োজক কমিটির সদস্য রকিবুল ইসলাম বলেন, “গ্রামবাসীদের সঙ্গে নিয়ে আমরা গত পাঁচ বছর ধরে এই আয়োজন করে আসছি। আমাদের লক্ষ্য, প্রবীণরা যেন একদিনের জন্য হলেও শৈশবে ফিরে যেতে পারেন এবং সব দুঃখ-ক্লান্তি ভুলে আনন্দে মেতে উঠতে পারেন। ভবিষ্যতেও এই আয়োজন অব্যাহত থাকবে।”




পবিত্র কাবা শরীফে বিয়ে করলেন কুবরা ও গওহর

অবশেষে তিন কবুলের মাধ্যমে বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হলেন পাকিস্তানের জনপ্রিয় অভিনেত্রী কুবরা খান ও অভিনেতা গওহর রশিদ। বুধবার মক্কার পবিত্র কাবা শরিফে তারা এ প্রবিত্র কাজ সারেন।

শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) যৌথ ইনস্টাগ্রাম পোস্টে তারা তাদের বিয়ের সংবাদটি জানান। বিয়ের পাশাপাশি বর্তমানে তারা উমরাহ পালন করছেন।

ইনস্টাগ্রামের যৌথ পোস্টে তারা লিখেছেন, আল্লাহর কুরসির নিচে…৭০ হাজার ফেরেশতা সাক্ষী এবং রহমত আমাদের ওপর বৃষ্টির মতো বর্ষিত হচ্ছে… কবুল।

তাদের শেয়ার করা দুটি ছবির মধ্যে একটি ছিল পবিত্র কাবায় তাদের হাত রাখা, অন্যটি ছিল তারা একে অপরকে ভালোবাসার দৃষ্টিতে দেখছেন এবং পেছনে মহিমান্বিত কাবা ঘর।

কুবরা ও গওহর তাদের বিয়ের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়ার পর থেকেই গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল যে, তারা পবিত্র শহর মক্কাতে বিয়ে করবেন।

সম্প্রতি এই তারকা যুগল সবচেয়ে আলোচিত সেলিব্রিটিদের তালিকায় উঠে এসেছেন। এর শুরুটা হয় ২০২৪ সালের শেষের দিকে, যখন তাদের বিয়ে নিয়ে গুজব ছড়িয়ে পড়ে। এরপর তারা তাদের দীর্ঘদিনের জল্পনা-কল্পনার সম্পর্কের সত্যতা নিশ্চিত করেন।

গত মাসের শেষের দিকে কুবরা ও গওহর একটি কৌতুকপূর্ণ ও হৃদয়গ্রাহী ভিডিও বার্তায় তাদের বিয়ের খবরটি ঘোষণা করেন। আর এখন তাদের বিয়ের উদযাপন শুরু হলো। অনলাইন জগতে জনপ্রিয় এই যুগল তাদের ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের নিয়ে সোমবার কুবরার বান্ধবী মোমালের বাসায় উদযাপনে মেতে ওঠেন।

এদিকে ‘রাজ-এ-উলফাত’ খ্যাত অভিনেতা গওহর তার অফিসিয়াল ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে বিয়ের অনুষ্ঠানের কিছু ছবি শেয়ার করেছেন।

অভিনেতা এর ক্যাপশনে লিখেছেন, মাশাআল্লাহ… বিশাল ভালোবাসা এবং আলিঙ্গন।

পোস্টে তিনি মোমাল ও নাদের নওয়াজকে তাদের বিয়ের অনুষ্ঠানের ‘উষ্ণ আয়োজন’র জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

তখন শেয়ার করা ছবিগুলোতে কুবরা ও গওহরকে সাদামাটা ঐতিহ্যবাহী পোশাকে দেখা গেছে।

উল্লেখ্য, অভিনেতা গওহর তার সহকর্মী ও বন্ধু উষনা শাহের শো’তে বলেছিলেন, তিনি আর সিঙ্গেল নন। এরপর থেকেই কুবরাকে ঘিরে অভিনেতার সম্পর্ক নিয়ে গুঞ্জনের সূচনা হয়।

কুবরা এবং গওহর তাদের শেয়ার করা ছবি এবং উষ্ণ বন্ধুত্বের মাধ্যমে সম্পর্কটি সবসময়ই স্পষ্ট করেছিলেন; যা তাদের ভক্তরা অনেকদিন ধরেই লক্ষ্য করে প্রশংসা করেছেন।

এই তারকা যুগল একাধিক প্রকল্পে একসঙ্গে কাজ করেছেন, তবে ‘জান্নাত সে আগায়’ নাটকে দম্পতি হিসেবে দেখা যায় দুজনকে।

যদিও কিছু মানুষ তাদের সম্পর্ক নিয়ে নানা গুজব ছড়িয়েছে। তবে অনেকেই তাদের ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্বকে চিরস্থায়ী বন্ধনেই দেখতে চেয়েছিলেন।

সূত্র: যুগান্তর




মেহেরপুরের আমঝুপিতে জামায়েতে ইসলামীর গণসংযোগ

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মেহেরপুর-১ আসনের প্রার্থী মাওলানা তাজ উদ্দিনের নেতৃত্বে মেহেরপুরে গণসংযোগ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেল পাঁচটার দিকে মেহেরপুর সদর উপজেলার আমঝুপি ইউনিয়নে তার নেতৃত্বে এই গণসংযোগ অনুষ্ঠিত হয়।

এসময় মেহেরপুর জেলা সেক্রেটারি মোঃ ইকবাল হুসাইন, জেলা রাজনৈতিক সেক্রেটারি মাওলানা কাজী রুহুল আমিন, সদর উপজেলা আমীর মাওলানা সোহেল রানা, সাধারণ সম্পাদক মোঃ জাব্বারুল ইসলাম মাস্টার, আমঝুপি ইউনিয়নের আমীর আলমগীর কবির এবং সাধারণ সম্পাদক মোঃ সাইফুল ইসলামসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়াও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী বিভিন্ন ইউনিয়নের নেতাকর্মীরা গণসংযোগে অংশগ্রহণ করেন।




ওয়ানডেতে বোলিংয়ে সেরা যারা

সেরা বোলার হতে কি লাগে বেশি উইকেট, গতি, আগ্রাসন নাকি দুর্দান্ত অ্যাভারেজ? বিবেচনায় আসতে সবকয়টিই। কোনো ক্ষেত্রে আবার দুয়েকটি কম। কিন্তু সেরা হতে হলে তো সেরাটাই দিতে হবে। ক্রিকেট ইতিহাসে কে পেয়েছেন ‘সর্বকালের সেরা বোলারের’ তকমা। এখন অবধি নির্দিষ্ট কেউ নন, তবে প্রায়ই ওঠে সেরাদের সেরা খোঁজার প্রশ্ন।

এই তালিকায় সম্ভাব্যদের নিয়েই এই আয়োজন। যারা চোখে চোখ রেখে প্রতিপক্ষকে পড়ে ফেলতেন। গতি বা স্পিনে ভড়কে দিতেন। দলকে সাফল্য এনে দিয়ে মাততেন উল্লাসে।

মুত্তিয়া মুরালিধরন: একদিনের ক্রিকেটে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারির রেকর্ডটি এই লঙ্কানের দখলে। সাদা বলের ক্রিকেটে তার সময়ে সেরা স্পিনার বিবেচনায় নিয়ে মুরালি থাকতেন সবার ওপরে। ২০১১ সালে ক্যারিয়ার শেষ করার আগে নিজেকে উইকেট শিকারির তালিকায় রেখেছেন শীর্ষে। এক যুগ পেরিয়ে গেলেও সেই রেকর্ড কেউ ভাঙতে পারেনি। ৩৫০ ম্যাচে ৫৩৪টি উইকেট নিয়েছেন মুরালি। ২৩.০৮ গড়ে উইকেট তুলতেন এই লঙ্কান।

ওয়াকার ইউনিস: সর্বকালের সেরা বোলার কিংবা পেসার খুঁজতে গেলে সবার আগে দুটি নাম আসবে ওয়াসিম আকরাম ও ওয়াকার ইউনিস। দুজনই সেরাদের সেরা হওয়ার যোগ্যতা রেখেছে। তবে ম্যাচের মোড় ঘোরানো, গতি, সুইং, উইকেট কিংবা অ্যাভারেজের বিচারে ওয়াসিমের চেয়ে ওয়াকার এগিয়ে থাকবেন। বাকিদের মাঝেও ওয়াকারকে সেরার স্থানে বসাতে অনেকেই বাজি ধরবেন। ওয়াসিম ৩৫৬ ম্যাচে উইকেট নিয়েছেন ৫০২টি। ওয়াকার সেখানে ২৬২ ম্যাচেই পুরেছেন ৪১৬টি উইকেট। ২৩.২৮ গড়ে উইকেট তোলা ওয়াকার বসেছেন বাকিদের ছাপিয়ে সেরা হওয়ার অবস্থানে।

শন পোলক: দক্ষিণ আফ্রিকার এই তারকা নিজেকে ছাপিয়ে গিয়েছিলেন। তার সমসাময়িকদের মাঝে তাকে মানা হতো সেরাদের একজন। ২০০৮ সালে অবসর নেওয়া প্রোটিয়া এই তারকা এখনও বহু রেকর্ডে সবার ওপরে। ৩০৩ ম্যাচে পোলক নিয়েছেন ৩৯৩ উইকেট। আছেন সবচেয়ে বেশি উইকেট শিকারীদের তালিকায় সেরা ছয়ে।

অনিল কুম্বলে: ভারতের এই স্পিনারের গড় দেখেই যে কেউ সেরাদের দৌড়ে তাকে রাখবেন। ২৭১ ম্যাচে ভারতে হয়ে ৩২৭ উইকেট নিয়েছেন কুম্বলে। ভারতকে আজকের পরাশক্তিতে রূপ দিতে তার অবদান ছিল অন্যতম। কিংবদন্তি এই ভারতীয় আছেন সেরা উইকেট শিকারির তালিকায় সেরা ১১ নম্বরে।

মিচেল স্টার্ক: এখনও ক্রিকেট খেলছে, এমনদের তালিকায় স্টার্ক সবার ওপরে। তার সময়ে বাকিদের চেয়ে তিনি অনেক এগিয়ে। কখনও তাই প্রশ্ন ওঠে, অস্ট্রেলিয়ার সেরাদের মাঝে ব্রেট লি, ম্যাকগ্রা নাকি স্টার্ক কে সেরা। সেই সেরার প্রশ্নে স্টার্ক উতরে যাবে। কখনও কখনও তাকে নিয়ে আলোচনা ওঠে স্টার্কই কি তবে সর্বকালের সেরা। ২০১০ সাল থেকে ক্রিকেট খেলা স্টার্কের ঝুলিতে ১২৭ ওয়ানডেতে আছে ২৪৪ উইকেট। গড়, পরিসংখ্যান আর ম্যাচের পরিস্থিতিতে বোলিং করার দারুণ দক্ষতা নিয়ে স্টার্ক সর্বকালের সেরার দৌড়ে বেশ ভালো করেই আছেন।

সূত্র: যুগান্তর




দামুড়হুদায় একই পরিবারের দুইজন আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেফতার

দামুড়হুদায় ডেভিল হান্ট অভিযানে একই পরিবারের দুইজন আওয়ামীলীগ কর্মীকে গ্রেফতার করেছে দামুড়হুদা মডেল থানার পুলিশ।

শনিবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে বিষ্ণুপুর বাজার থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃতরা হলো দামুড়হুদা উপজেলার বিষ্ণুপুর গ্রামের মাস্টার পাড়ার মৃত মাদার বক্স মিয়া’র ছেলে মোঃ মহিদুল ইসলাম (৫৩) এবং মোঃ মতিয়ার রহমান (৫৮)। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন দামুড়হুদা মডেল থানার ওসি হুমায়ূন কবির।

পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, আজ দিনভর দামুড়হুদা থানা এলাকায় বর্তমান চলমান অপারেশন ডেভিল হান্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়। এই অভিযানে দামুড়হুদা উপজেলার বিষ্ণুপুর গ্রামের একই পরিবারের মৃত মাদার বক্স মিয়া’র ছেলে আওয়ামী লীগের নেতা কর্মী মোঃ মহিদুল ইসলাম এবং মোঃ মতিয়ার রহমান কে দামুড়হুদা মডেল থানার পুলিশ গ্রেফতার করে। তাদের বিরুদ্ধে দামুড়হুদা মডেল থানায় মামলা দায়ের হয়েছে।

এবিষয়ে দামুড়হুদা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির বলেন, ডেভিল হান্ট অভিযানে দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদেরকে গতকালই বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।




মেহেরপুরে স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়কসহ ৮ নেতাকর্মী গ্রেফতার

সন্ত্রাসী ও অপরাধীদের দমনে সারাদেশব্যাপী পরিচালিত অপারেশন ডেভিল হান্টের পঞ্চম দিনে মেহেরপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক মোঃ আরিফুল এনাম বকুল (৬০), মুজিবনগর উপজেলা কৃষকলীগের সহ-সভাপতিসহ আওয়ামীলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের ৮ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত থেকে আজ শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত মেহেরপুর জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে এসব নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করে পুলিশ।

মেহেরপুর পুলিশ সুপার মাকসুদা খানম পিপিএম এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেছেন, মুজিবনগর থানা পুলিশের অভিযানে ৪ জন, গাংনী থানা পুলিশ ৩ জন ও সদর থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে আওয়ামীলীগের ১ জনকে গ্রেফতার করেছেন।

সদর থানায় গ্রেফতারকৃতরা হলেন, মেহেরপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক মোঃ আরিফুল এনাম বকুল(৬০), মুজিবনগর উপজেলা কৃষকলীগের সহ-সভাপতি ও শিবপুর গ্রামের শরিয়ত শেখের ছেলে আরজ আলী(৫০), বাগোয়ান ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের তিন নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও বাগোয়ান গ্রামের মৃত ওমর আলীর ছেলে মোঃ আলতাফ হোসেন(৪৮), মহাজনপুর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ও একই গ্রামের মৃত খেদের আলীর ছেলে মোঃ রাসেল আহমেদ(৩১)। গ্রেফতারকৃতরা মুজিবনগর থানার মামলা নং ০১, তারিখ ৬/০৯/২৪ ধারা-১৪৩/৩২৩/৩২৪/৩২৬/৩০৭/৩৪১/৩৮৫/৩৮৬/৩৮৭/৫০৬/১১৪/৩৪ পেনাল কোড, মামলার এজাহার নামীয় আসামি। মুজিবনগর উপজেলার রশিকপুর গ্রামের সুরোজ মিয়া বাদী হয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগে মামলাটি দায়ের করেন।

গাংনী থানায় গ্রেফতারকৃতরা হলেন, উপজেলার সানঘাট গ্রামের আবেদ আলীর ছেলে যুবলীগ নেতা মোহাম্মদ জাকিরুল ইসলাম(৩০), তার বিরুদ্ধে সন্ত্রাস বিরোধী আইনের ৬(২)/৭(৫)/ ৭(৬)/১০/১১/১২/১৩ ধারায় গাংনী থানার মামলা নং ১১, তারিখ- ১৯/০৮/২৪, একই উপজেলার যুবললীগ নেতা রাধাকৃষ্ণপুর ধলা গ্রামের সহিব উদ্দীনের ছেলে মোহাম্মদ আসিম উদ্দিন(৩৫) ও খেদমত আলীর ছেলে যুবলীগ নেতা মো: সাগর (৪৫)। তাদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস বিরোধী আইনের ৬(২)/৭(৫)/৭(৬)/১০/১১/১২/১৩ ধারায় দায়ের করা গাংনী থানা মামলা নাম্বার ১১, তারিখ- ১৯/০৮/২৪ রয়েছে।

এছাড়া সদর থানা পুলিশের অভিযানে গ্রেফতারকৃত হলেন, মেহেরপুর শহরের মল্লিকপাড়ার হারু শেখের ছেলে মোঃ সোহেল শেখ। তার বিরুদ্ধে সদও থানার মামলা নং ২২, তারিখ ২০/০৩/২০ ইং, জিআর মামলা নং ৭০/২০ ইং, ধারা-২০১৮ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ৩৬ (১) সারনীর ১৯ (ক)।

গ্রেফতারকৃতদের আজ শুক্রবার দুপুর আড়াইটার দিকে আদালতে নেওয়া হয়েছে।




মুজিবনগরে ট্রাফিক পুলিশ ও ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান

মুজিবনগরে সড়কের শৃঙ্খলা ফেরাতে ও সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে অভিযান পরিচালনা করেছে ভ্রাম্যমান আদালত ও ট্রাফিক পুলিশ।

বৃহস্পতিবার বিকেলে মুজিবনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ মন্ডল মুজিবনগর মেহেরপুর প্রধান সড়কের পুরন্দরপুর বাজারে এই ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন। অভিযানে মোটরসাইকেল প্রাইভেট কার সহ ভারী যানবাহন আটক করা হয়।

এ সময় বৈধ কাগজপত্র না থাকায় ৭টি গাড়িকে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে ১২ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

ভ্রাম্যমান আদালতকে সহযোগিতা করেন ট্রাফিক পুলিশের ইন্সপেক্টর বিশ্বজিৎ ঘোষসহ ট্রাফিক পুলিশ ও মুজিবনগর থানা পুলিশের একটি টিম।