চুয়াডাঙ্গার উথলী মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের ভবন উদ্বোধন ও মা সমাবেশ

চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার উথলী মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে নতুন চার তলা একাডেমিক ভবনের উদ্বোধন ও শিক্ষার মান উন্নয়নে মা সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গতকাল রোববার সকাল ১০ টার সময় উথলী মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় চত্বরে ওই মা সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য হাজী মো. আলী আজগার টগর।

এসময় তিনি বলেন, উথলী মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে একসময় ভবন ছিলোনা। টিনের ছাপড়ার নিচে ক্লাস করতো মেয়েরা। ঝড়বৃষ্টি হলে ক্লাস নেওয়ার অনুপযোগী হয়ে যেতো। সাতশো থেকে আটশো ছাত্রীরা ঠাসাঠাসি করে বসে ক্লাস করতো। বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি সালাউদ্দীন কাজল আমার কাছে বিদ্যালয়ের ভবন দাবি করে। আমরা এখানে একটি চার তলা বিশিষ্ট একাডেমিক ভবন নির্মাণ করে দিয়েছি। শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন করা হয়েছে। প্রধান শিক্ষকের অফিস কক্ষ, সীমানা প্রাচীর, গেটসহ যখন যেটা দাবি করেছে আমি পূরণ করে দেওয়ার চেষ্টা করেছি। এখন উথলী মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় জীবননগর উপজেলার মধ্যে শ্রেষ্ঠ বিদ্যালয় নির্বাচিত হয়। পরিক্ষার ফলাফল অনেক ভালো হয়। মেয়েরা খেলা ধুলা করে উপজেলা-জেলা চ্যাম্পিয়ন হয়। উথলী মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের মত আমার নির্বাচনী এলাকায় সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অবকাঠামোগত উন্নয়ন করা হয়েছে।

প্রধান অতিথি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার শিক্ষা ক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নয়ন করেছে। বছরে প্রথমদিনে শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দিচ্ছে। নারী শিক্ষা সম্পুর্ণ ফ্রী করে দিয়ে তাদের জন্য শতভাগ উপবৃত্তির ব্যবস্থা করে দিয়েছে। নারীদের কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিয়ে নারী-পুরুষের বৈষম্য দূর করে দিয়েছে। আপনারা আপনাদের সন্তানকে যোগ্য ও দক্ষ হিসেবে তৈরি করে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সহায়তা করুন। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নারীদের চাকরির ক্ষেত্রে অগ্রাধিকারসহ ২৬ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ করে দেওয়া হয়েছে। বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা নারী শিক্ষাকে প্রাধান্য দিয়ে নারী ক্ষমতায়নের সুযোগ তৈরি করে দিয়েছেন।

উথলী মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি সিনিয়র সাংবাদিক সালাউদ্দীন কাজলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন- জীবননগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি গোলাম মোর্তুজা, জীবননগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী মো. হাফিজুর রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম ঈশা, উথলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হান্নান, কেডিকে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খায়রুল বাসার শিপলু, উথলী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোবারক সোহেল আহাম্মদ প্রদীপ, কবি ও সাহিত্যিক ডা. জাহাঙ্গীর বিশ্বাস, অত্র বিদ্যালয়ের শিক্ষক কাদিমুল এহসান প্রমূখ।

বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণির শিক্ষার্থী সাদিকা আলম ও ৮ম শ্রেনীর ছাত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস মেধার যৌথ সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক লুৎফর রহমান। শিক্ষার্থীদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন রাইসা আফরিন রীথি, সাদিকা আলম ও জান্নাতুল ফেরদৌস।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে কুষ্টিয়া সেন্ট্রাল কলেজের সহযোগী অধ্যাপক মামুনু-অর- রশীদ, উথলী মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি আব্দুল মান্নান পিন্টু, বিশিষ্ট সমাজ সেবক আসাদুর রহমান বিশ্বাস, অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আকরাম হোসেন, মেহেরপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সাবেক আঞ্চলিক পরিচালক হায়দার আলী, সেনেরহুদা জান্নাতুল খাদরা দাখিল মাদরাসার পরিচালনা কমিটির সভাপতি আবু জাফর, উথলী মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য মাহফুজুর রহমান, সরজিৎ কুমার কর্মকার, সেলিম হোসেন, আলমগীর হোসেন, এনামুল হকসহ স্থানীয় সুধীমন্ডলী, আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ, শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ হুমায়ুন কবিরের পক্ষ থেকে ৬ জন মেধাবী শিক্ষার্থীর মাঝে বাইসাইকেল প্রদান করা হয়।

অনুষ্ঠানের শেষে ফিতা কেটে নবনির্মিত ৪ তলা একাডেমিক ভবনের উদ্বোধন করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য হাজী মো. আলী আজগার টগর।




হরতাল-অবরোধে বাধাগ্রস্ত প্রাণিসম্পদ খাতের উন্নয়ন

বাংলাদেশের অর্জনের মুকুটের সবচেয়ে মূল্যবান রত্নটি হচ্ছে কৃষিখাতের অবিস্মরণীয় অগ্রগতি। সারা বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশ এখন খাদ্যে স্বনির্ভর একটি দেশ। খাদ্যে স্বনির্ভরতার পাশাপাশি বাংলাদেশের মানুষকে পুষ্টি নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য ২০১৮ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে ‘পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত‘ করার ঘোষণা দিয়েছলেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা।

পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে গিয়ে শেখ হাসিনার সরকার বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছন। ক্রমবর্ধমান মানুষের অতিরিক্ত চাহিদা মেটানোর জন্য দেশে মাংস উৎপাদন বাড়ানোর জন্য গরু মোটাতাজাকরণ প্রকল্পের আওতায় প্রানীসম্পদ অধিদপ্তর কৃষকদের উৎসাহিত করছে, প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশে গরু জবাই করার জন্য প্রাণিসম্পদ ও দুগ্ধ উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় সরকার দেশের বিভিন্ন জেলায় আধুনিক কসাইখানা স্থাপন করছে।

কৃষকের খামারে বাণিজ্যিক ভাবে উৎপাদিত দুধ সংগ্রহ, প্রক্রিয়াজাতকরণ ও প্যাকেজিং করে বাজারজাত করার জন্য প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ ও প্রণোদনা প্রদানের মাধ্যমে কৃষকদের উৎসাহিত করার ব্যবস্থা রেখেছে সরকার। কিন্তু তারপরও প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন অপেক্ষাকৃত পিছিয়ে থাকার নানান কারণের মধ্যে একটি বড় কারণ হল রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং সিন্ডিকেট।

দেশ যখন অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে যাচ্ছে তখন কিছু অসাধু ব্যবসায়ী এবং সরকার বিরোধী মিথ্যা প্রোপাগান্ডা ছড়িয়ে দেশকে অস্তিতিশীল করে তোলার চেষ্টা করে যাচ্ছেন। দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রের ফাঁদে পড়ে একের পর এক হরতাল অবরোধ দিয়ে দেশের অগ্রসরমান অর্থনীতিকে ধসিয়ে দেয়ার হীন চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের (বিআইআইএসএস) সিনিয়র রিসার্চ ফেলো ও অর্থনীতিবিদ মাহফুজ কবীর সময় সংবাদকে দেয়া এক বক্তব্যে বলেছেন, “২০১৩ সালে বাংলাদেশের অর্থনীতির আকার ছিল ১১ লাখ কোটি টাকা। যা ২০২৩ সালে বেড়ে হয়েছে প্রায় ৫০ লাখ কোটি টাকা।

অর্থনীতির আকার বৃদ্ধি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে হরতালে দৈনিক ক্ষতির পরিমাণও বেড়েছে। বর্তমানে দেশে একদিনের হরতালে ক্ষতির পরিমাণ ৬ হাজার ৬৮০ কোটি টাকা”। সরকার বিরোধীদের হরতাল-অবরোধে ‘সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, দিনমজুর ও এসএমই খাত।

সরবরাহ ব্যবস্থা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে, যা আমদানিকারক ও রপ্তানিকারক উভয়কেই ইতোমধ্যে সংকটজনক অর্থনৈতিক সময়ে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। শিশু ও যুবকদের শিক্ষা কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।’

অর্থনীতিবিদরা উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, সরকারবিরোধীদের বিক্ষোভ দেশের অর্থনীতিতেও আঘাত হেনেছে। কোভিড-১৯ বিপর্যয় থেকে ঘুরে দাঁড়ানো অর্থনীতি এখন বৈদেশিক মুদ্র্রার ঘাটতি, টাকার মান ৩০ শতাংশের বেশি কমে যাওয়া, দুই অংকের মূল্যস্ফীতি, জ্বালানি ও শ্রমের উচ্চ মূল্যের সঙ্গে লড়াই করছে।

‘বৈশ্বিক অস্থিরতার যে প্রভাব দেশের অর্থনীতিতে পড়েছে সেখান থেকে এখনও বাংলাদেশ বের হয়ে আসতে পারেনি। অন্যদিকে বাজারে মূল্যস্ফীতিও রয়েছে উচ্চমাত্রায়। এই অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের মধ্যে হরতাল দেশের অর্থনীতিতে ভয়াবহ ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ।

রাজনীতি বিষয়ে বাংলাদেশি ইংরেজি ভাষার bdanalytica -এ প্রকাশিত একটি নিবন্ধ থেকে জানা যায়, চলমান হরতালে ‘বাস এবং ট্রাকগুলোকে লক্ষ্য করে অন্তত ১১০টি অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। ফলে যোগাযোগ খাতে (ট্রান্সপোর্টেশনে) তৈরি হয়েছে কৃত্রিম অচলাবস্থা।

এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় মানুষ স্থানান্তরিত হতে পারছে না। মুখ থুবড়ে পড়ছে ব্যবসাসহ মানুষের দৈনন্দিন জীবনের নানা কার্যক্রম। অর্থনৈগতিক গতিশীলতা ধরে রাখতে হরতাল উপেক্ষা করে কিছু মানুষ বের হলেও দুর্বৃত্তরা যখন বাসে আগুন দেয়া শুরু করলো, তখন জানমালের নিরাপত্তার জন্য মানুষ খুব বেশি প্রয়োজন না হলে ঘরের বাইরে বের হচ্ছে না, ব্যবসার জন্য মালামাল এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় নিয়ে আসতে পারছে না। আতংকিত হয়ে পড়েছে মানুষ।

একান্ত জরুরী প্রয়োজন ছাড়া কেউই তেমন হরতালের দিনগুলোতে ঘরের বাইরে যাচ্ছে না। জীবন-জীবিকার তাগিদে হরতাল উপেক্ষা করে হাট-বাজার খোলা থাকলেও বাজারগুলোতে নেই আগের মতো মানুষের ভিড়।
হরতালে মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে পণ্য সরবরাহ ব্যবস্থা। ফলে গো-খাদ্য সহ সকল জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে।খামারিরাও খাদ্য ক্রয় করতে গিয়ে পড়ছেন বিপাকে। আবার পালিত গরু-ছাগল হাট-বাজারে নিয়ে গেলেও মিলছে না ক্রেতা। ফলে উভয় সংকটের মধ্য দিয়ে দিনানিপাত করছেন প্রান্তিক খামারিরা। অথচ কৃষি নির্ভর বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রায় এবং দেশের আপামর জনগোষ্ঠির পুষ্টি নিরাপত্তায় প্রাণিসম্পদ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

২০২১-২২ অর্থবছরে জিডিপিতে স্থিরমূল্যে প্রাণিসম্পদ খাতের অবদান ১.৯০%, প্রবৃদ্ধির হার ৩.০৪% এবং মোট কৃষিজ জিডিপি’তে প্রাণিসম্পদ খাতের অবদান ১৬.৫২%। তাছাড়া ২০২১-২২ অর্থ বছরে প্রাণিসম্পদ খাতে জিডিপির আকার ছিল ৬৭,১৮৯.০০ কোটি টাকা যা বিগত ২০২০-২১ অর্থ বছরের তুলনায় ১৬,৮৮৮.০০ কোটি টাকা বেশি (বিবিএস, ২০২২)।

২০২৩ সালে এসে বিরোধীদলের একের পর এক হরতাল অবরোধে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত জিডিপিতে অবদান রাখা এই খাতটি। প্রাণিসম্পদ খাতের ক্রমবর্ধমান উন্নয়নের এই ধারা অব্যাহত রাখতে হলে রাজনৈতিক সহিংসতা পরিহার করতে হবে। মানুষসহ সকল প্রাণীর খাদ্য/পণ্য সরবরাহ ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।

হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (হাবিপ্রবি) দিনাজপুর-৫২০০।




দামুড়হুদায় কৃষি উপকরণ বিতরণ

দামুড়হুদার কোষাঘাটায় ওয়েভ ফাউন্ডেশনের সদস্যদের মাঝে কৃষি উপকরণ বিতরণ করা হয়েছে।

আজ রোববার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে সমন্বিত কৃষি ইউনিট পিকেএসএফের আর্থিক সহায়তায় উপকারভোগীদের মাঝে কৃষি উপকরণ বিতরণ করা হয়।

ওয়েভ ফাউন্ডেশনের বাস্তবায়নে কৃষি উপকরণ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন দামুড়হুদা সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো হযরত আলী।

বেসরকারি সংস্থা ওয়েভ ফাউন্ডেশনের কোষাঘাটাস্থ মিশ্র খামার প্রাঙ্গনে উপকরণ বিতরণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ওয়েভ ফাউন্ডেশনের সহকারী পরিচালক মোঃ কিতাব আলী, ডাঃ এ এম এস সহীদ, কৃষিবিদ ফায়সাল মাহমুদ, ডাঃ এহতেশামুল হক, সহঃ প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা হাসান রেজা ও সহঃ কৃষি কর্মকর্তা মোঃ বিপুল মিয়া।




চুয়াডাঙ্গা জেলা রোভারের প্রতিভা অন্বেষণ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত

বাংলাদেশ স্কাউটস চুয়াডাঙ্গা জেলা রোভার আয়োজনে প্রতিভা অন্বেষণ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ রবিবার সকাল সাড়ে দশটার সময় চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজে এই প্রতিভা অন্বেষণ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।

চুয়াডাঙ্গা জেলা রোভারের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও নিগার সিদ্দিক ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ আবু নাসিরের সভাপতিত্বে প্রতিভা অন্বেষণ প্রতিযোগিতায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ ও চুয়াডাঙ্গা জেলা রোভারের সিনিয়র সহ-সভাপতি প্রফেসর ড. এ কে এম সাইফুর রশিদ।

অনুষ্ঠানের স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা রোভারের সম্পাদক ও চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক জাহিদুল হাসান।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজ শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক সফিকুল ইসলাম,চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজ বাংলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. আব্দুল আজিজ, চুয়াডাঙ্গা জেলা রোভারের সম্পাদক ও চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোঃ জাহিদুল হাসান।

এ সময়ে আরোও উপস্থিত ছিলেন, চুয়াডাঙ্গা জেলা রোভারের রোভার নেতা প্রতিনিধি ও বড়শলুয়া নিউ মডেল ডিগ্রী কলেজ রোভার স্কাউটস গ্রুপের ইউনিট লিডার আব্দুল মুকিত জোয়ার্দ্দার, চুয়াডাঙ্গা জেলার রোভারের কোষাধ্যক্ষ ও আলমডাঙ্গা সরকারি কলেজ রোভার স্কাউটস গ্রুপের ইউনিট লিডার মাকসুদুর রহমান, চুয়াডাঙ্গা জেলা রোভারের সহকারী কমিশনার ও প্রাইম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট রোভার স্কাউটস গ্রুপের ইউনিট লিডার এমদাদ হোসেন, চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজ রোভার স্কাউট গ্রুপের ইউনিট লিডার আজিম হোসেন, দর্শনা ডিএস ফাজিল মাদ্রাসা রোভার স্কাউটস গ্রুপের ইউনিট লিডার মুনজুরুল হক সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে আগত রোভার স্কাউটস ইউনিট লিডার ও রোভার স্কাউটের সদস্যবৃন্দ।

প্রতিভা অন্বেষণ প্রতিযোগিতায় মোট ১১টি ইভেন্টে রোভার সদস্যরা অংশগ্রহণ করে।উক্ত প্রতিযোগিতায় বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা রোভারের রোভার নেতা প্রতিনিধি আব্দুল মুর্কিত জোয়ার্দার, জেলা রোভারের সহকারী কমিশনার এমদাদ হোসেন, দর্শনা ডিএস ফাজিল মাদ্রাসার ইউনিট লিডার মুনজুরুল হক। জেলা পর্যায়ে প্রতিযোগিতায় উত্তীর্ণ রোভাররা বিভাগীয় পর্যায়ে প্রতিনিধিত্ব করবে




ঝিনাইদহে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শ্যামা পূজা অনুষ্ঠিত

ঝিনাইদহে উদযাপন করা হচ্ছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম বৃহৎ উৎসব শ্যামা পূজা। ঝিনাইদহ শহরের পুরাতন হাটখোলা শ্রী শ্রী সিদ্ধেশ্বরী জেলা কালীমন্দিরে রোববার সকাল ৯ টা দিকে এ পূজা শুরু করা হয়। এসময় প্রদীপ উজ্জ্বলন করেন শ্রী বাবু কনকান্তি দাস।

হিন্দু সম্প্রদায়ের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব এই পূজা। কার্তিক মাসের অমাবস্যা তিথিতে সাধারণত শ্যামা পূজা বা কালীপূজা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। রোববার সকাল ৯ টা থেকে পূজা শুরু হয় রাত ৮ টা ১০ মিনিটে প্রদীপ প্রজ্জলন করা হয়। এছাড়া রাত ১২টা ৩০ মিনিটে পুষ্পা(পাঠা) বলি শুরু হয়। পরে ভক্তরা ফলসহ বিভিন্ন উপকরন দিয়ে নৈবেদ্য সাজিয়ে দেবীকে অর্পন করেন। এ সময় উলু ধ্বনি, শঙ্খ, ঘণ্টা ও ঢাকের আওয়াজে মুখোরিত হয়ে ওঠে মন্দির।

অনুষ্ঠানের প্রধান পৃষ্ঠপোষকতায় ছিলেন ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টু।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক রফিকুল ইসলাম, পুলিশ সুপার আজিম উল আহসান, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আরতী দত্ত, ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের যুব ক্রীড়া সম্পাদক মামুনুর রশিদ টোকন, মন্দিরের সভাপতি পঞ্চরস পোদ্দার, সাধারণ সম্পাদক দেবব্রত দেবুসহ আরো অনেকে ।

পূজার আয়োজক সভাপতি, ও সাধারণ সম্পাদক জানান, শ্যামাপূজা উপলক্ষে মন্দিরে স্থাপন করা হয়েছে কালী প্রতিমা। আলোক সজ্জা ও নাচ গানে উৎসবের আমেজ ছড়িয়ে পড়ছে মন্দিরে। প্রতিবছরের ন্যায় এবারও আয়োজন করা হয়েছে নানা আনুষ্ঠানিকতা।

পরিশেষে ভক্তদের মাঝে শাড়ি বিতরণ ও প্রসাদ বিতরণ করা হয়।




কার্পাসডাঙ্গায় শিক্ষার্থীদের মাঝে বৃত্তি সনদ ও পুরষ্কার বিতরণ

কার্পাসডাঙ্গা ইসলামিয়া প্রি ক্যাডেট বেবী টিচিং সেন্টার কতৃক আয়োজিত সরকারি বৃত্তি সনদ ও পুরষ্কার বিতরণ করা হয়েছে।

চুয়াডাঙ্গা দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা ইসলামিয়া প্রি ক্যাডেট বেবী টিচিং সেন্টারের অত্র প্রতিষ্ঠানের পরিচালক  মওলানা আব্দুর রশিদের সভাপতিত্বে আজ রবিবার সকাল ১০  সময় অনুষ্ঠানটি পরিচালিত হয়।

এ সময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দামুড়হুদা উপজেলা প্রা: শিক্ষা অফিসার আবু হাসান ।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল করিম বিশ্বাস, জেলা কিন্ডারগার্টেন এ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মামুন উর রশিদ, চুয়াডাঙ্গা সরকারি মহিলা কলেজ প্রভাষক জাহাঙ্গীর আলম , কার্পাসডাঙ্গা ডিগ্রি কলেজের ক্রীড়া শিক্ষক সাইফুল ইসলাম , চুয়াডাঙ্গা সরকারি মহিলা কলেজের শিক্ষক আব্দুস সালাম   ।

আরো উপস্থিত ছিলেন সাবেক অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক সিদ্দিকুর রহমান, সাংবাদিক মেহেদী হাসান মিলনসহ অত্র প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক শিক্ষিকা, ছাত্র ছাত্রী ও অবিভাবকবৃন্দ ।

এসময় উপস্থিত অতিথিবিন্দুরা শিক্ষার্থীদের হাতে সরকারি বৃত্তি ও সনদ তুলেদেন ।




চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের গনশৌচাগার থেকে নবজাতক উদ্ধার

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের গনশৌচাগার থেকে এক নবজাতক মেয়েকে উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল শনিবার (১১ নভেম্বর) রাত আড়াইটার দিকে হাসপাতালের নতুন ভবনের পঞ্চমতলার মহিলা মেডিসিন ওয়ার্ডের গনশৌচাগার থেকে উদ্ধার করা হয়।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) এ এস এম ডা. ফাতেহ আকরাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, গতকাল শনিবার গভীর রাতে গনশৌচাগার থেকে পাওয়া নবজাতকটি উদ্ধার করে কর্মরত নার্স ও স্বেচ্ছাসেবীরা। বর্তমানে সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা চলছে। নবজাতকটি আমাদের সিনিয়র স্টাফ নার্স সাবিনা ইয়াসমিন রেখার কাছে আছে। বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়েছে। তারা পরিচয় শনাক্তে কাজ করছে।

মহিলা মেডিসিন ওয়ার্ডের স্বেচ্ছাসেবী রেশমা খাতুন ঢাকা রাত আড়াইটার দিকে এক রোগী গনশৌচাগারের যান। সেখানে বাচ্চার কান্নার আওয়াজ শুনে আমাদেরকে জানান। আমি গিয়ে দেখি শৌচাগারের (কমোডের) মধ্যে নবজাতকের মাথা ও বাইরে দেহ ছিল। দ্রুত তাকে উদ্ধার করে জরুরি বিভাগে চিকিৎসা শেষে শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়।

তিনি আরও বলেন, ধারণা করা হচ্ছে শৌচাগারে মেয়ে বাচ্চাটি ভূমিষ্ঠ হয়েছে। তবে আমরা অনেক খোঁজাখুঁজি করেছি, বাচ্চার মাকে পাওয়া যায়নি। তবে এ ঘটনায় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল জুড়ে বইছে সামালোচনা।




গাংনীতে গাঁজাসহ মাদক সেবনকারী আটক

মেহেরপুরের গাংনীতে ১শত গ্রাম গাঁজাসহ মাফিক নামের এক মাদক সেবনকারীকে আটক করেছে বামন্দী ক্যাম্প পুলিশ।

আটকৃত মাফিক (২৫) উপজেলার ছাতিয়ান শেখ পাড়ার মিয়ার রহমানের ছেলে।

আজ রবিবার (১২ অক্টোবর) বিকাল সাড়ে ৪ টার দিকে বামন্দী পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জ এস আই শরিফুল ইসলাম ও এএসআই শরিফুল ইসলামসহ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে অভিযান চালিয়ে মাদক কারবারি মাফিককে আটকরে।

বামন্দী পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জ শরিফুল ইসলাম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে বামন্দী-রামগর সড়কের আল-ফালা ক্লিনিকের সামনে থেকে তার দেহ তল্লাশী করে পরনে থাকা প্যান্টের ডান পকেট থেকে পলিথিনে মোড়ানো অবস্থা (২০ পোটলা) ১০০ গ্রাম গাঁজার উদ্ধার করা হয়। তাকে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলাদায়ে পূর্বক জেল হাজতে প্রেরণ করা হবে।




দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে প্রথম জেনোসাইড জাদুঘর খুলনায়, উদ্বোধন কাল

গণহত্যার ইতিহাসকে শুধু একাডেমিক পরিসরে রাখার পরিবর্তে জনগণের কাছে তুলে ধরার জন্য দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম ও একমাত্র গণহত্যা জাদুঘর ‘১৯৭১: গণহত্যা-নির্যাতন আর্কাইভ ও জাদুঘর’আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হবে আগামীকাল সোমবার। ইতোমধ্যে প্রস্তুতিমূলক সব আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন ট্রাস্ট্রিবোর্ডের চেয়াম্যান ড. মুনতাসীর মামুন। এটি বাংলাদেশের গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আনার পথে আরেকধাপ এগিয়ে যাওয়া বলে মনে করছেন মুক্তিযুদ্ধ গবেষকরা।

প্রতিষ্ঠানটির উদ্যোক্তারা এর রূপকল্প জানতে চাইলে বলেন, একাডেমিক পরিসরের বাইরে গণহত্যার ইতিহাসকে তুলে ধরার বিভিন্ন সৃজনশীল প্ল্যাটফর্মে কাজ করা এর উদ্দেশ্য। মুক্তিযুদ্ধ ও গণহত্যার ইতিহাস রচনাকে ত্বরান্বিত করতে উন্নত প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সম্ভাব্য গবেষক তৈরি করা হবে। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বাংলাদেশের গণহত্যাকে তুলে ধরা এবং স্বীকৃতি অর্জন করার পাশাপাশি সমাজ ও রাষ্ট্রে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ বিভিন্ন নীতি প্রণয়নের জন্য বুদ্ধিবৃত্তিক পরিবেশ সৃষ্টি করবে এই প্রতিষ্ঠান।

’১৯৭১: গণহত্যা-নির্যাতন আর্কাইভ ও জাদুঘর’ শুধু বাংলাদেশেরই নয়, পুরো দক্ষিণ এশিয়ার একমাত্র গণহত্যা জাদুঘর। ২০১৪ সালের ১৭ মে খুলনা শহরের একটি ভাড়া বাড়ীতে এই জাদুঘর ও আর্কাইভের যাত্রা শুরু হয়। পরবর্তীতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এই জাদুঘরকে জমি এবং বাড়ী উপহার দেন এবং সেটিকে সংস্কার করে খুলনার ২৬ সাউথ সেন্ট্রাল রোডের নিজস্ব ভবনে গণহত্যা জাদুঘর নতুন করে যাত্রা শুরু করে ২০১৬ সালের ২৬ মার্চ। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই জাদুঘর ট্রাস্টের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন ইতিহাসবিদ অধ্যাপক ড. মুনতাসীর মামুন।
তরুণ প্রজন্মের কাছে একাত্তরের বুদ্ধিজীবী হত্যার চিত্র তুলে ধরতে জাদুঘরে রয়েছে প্রতীকি বধ্যভূমি। রয়েছে শহিদ বুদ্ধিজীবীদের ব্যবহার্য জিনিসপত্র। রয়েছে ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতে লিখিত প্রেস রিলিস, ১৯৭২ সালে শহিদ পরিবারকে দেওয়া চেক, চিঠিসহ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দুষ্প্রাপ্য সব নথিপত্র ও নিদর্শন রয়েছে। ৭ই মার্চের ভাষণের সেই মাইকটি রয়েছে জাদুঘরে।

জাদুঘরের উদ্যোগ ও বাস্তবতা বিষয়ে জানতে চাইলে মুনতাসীর মামুন বলেন, মুক্তিযুদ্ধের বড় উপাদান গণহত্যা ও নির্যাতনের ইতিহাস। প্রধানমন্ত্রী এগিয়ে না এলে এতো বড় উদ্যোগ বাস্তবায়ন সম্ভব হতো না। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নের পথে এই প্রকল্প অনন্য উদ্যোগ। এটি এই দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম জেনোসাইড মিউজিয়াম। আমরা এর কাজ করতে পেরে গর্বিত, আনন্দিত। এবং সবচেয়ে বিশেষ দিক হলো, এটি করা হয়েছে ঢাকার বাইরে, খুলনায়। এখন থেকেই এটাকে কেন্দ্র করে গণহত্যা বিষয়ক গবেষণা ও আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির পথে এগুতে আর বাধা থাকবে না বলে আমি বিশ্বাস করি। এখানে ইতোমধ্যে দেশের বাইরে থেকেও জেনোসাইড বিষয়ক গবেষকরা এসেছেন, বিস্মিত হয়েছেন।

উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে পশ্চিম পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী কর্তৃক সংগঠিত গণহত্যা-নির্যাতন ও মুক্তিযুদ্ধে সর্বসাধারণের অবদানের ইতিহাস নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে বাংলাদেশে ২০১৪ সালের ১৭ মে অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত উদ্যোগে খুলনার ময়লামোতায় একটি ভাড়া বাড়িতে প্রতিষ্ঠা করেন ‘১৯৭১: গণহত্যা-নির্যাতন আর্কাইভ ও জাদুঘর’। মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম অংশ গণহত্যা-নির্যাতনের দুষ্প্রাপ্য নিদর্শন, মুক্তিযুদ্ধের সময়ের অসংখ্য দুষ্প্রাপ্য ছবি এবং ভাস্কর্য রয়েছে জাদুঘরে। পরবর্তীতে এটিকে আরও সুসংগঠিত করে সোমবার উদ্বোধনের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে।




শেখ হাসিনাতেই আস্থা: মেট্রোরেল চড়লেন প্রায় ৩ শ’ সাংবাদিক

রাজধানীতে বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত প্রায় ৩০০ সাংবাদিক ভ্রমণ করলেন মেট্রোরেল। প্রেস ক্লাব থেকে যাত্রা করে উত্তরার উত্তর স্টেশনে নেমে মেতেছিলেন তুমুল আড্ডায়। সঙ্গে ছিলো সঙ্গীত শিল্পী বৃষ্টি দে’র কণ্ঠে চমৎকার সব গানের পরিবেশনা। প্রায় দেড় ঘণ্টার ওই আড্ডায় যোগ দিয়েছেলেন সিনিয়র সাংবাদিকরাও।

রবিবার সকাল পৌনে ৯টায় প্রেস ক্লাব স্টেশন থেকে যাত্রা শুরু করে সোয়া ৯টায় উত্তরা উত্তর স্টেশনে পৌঁছান সাংবাদিকরা।

বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রার মধ্য মণি প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনা। তার হাত ধরেই গত ১৫ বছর বাংলাদেশ শুধু এগিয়ে যাচ্ছে সামনের দিকে। বাংলাদেশের বদলে যাওয়ার গল্প তার হাত ধরেই। মেট্রোরেল, পদ্মা সেতু, দোহাজারী-কক্সবাজার রেলপথ, মাতারবাড়ি বিদ্যুৎ কেন্দ্র, মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দর, পায়রা সমুদ্র বন্দর, কর্ণফুলী নদীর তলদেশে বঙ্গবন্ধু টানেল, শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দররের তৃতীয় টার্মিনাল, রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে থেকে শুরু করে এরকম বহু স্থাপনা তৈরি হয়েছে গত ১৫ বছরে। যেগুলো এখন বাংলাদেশের অর্থনীতির অগ্রযাত্রায় গুরুত্ত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন।

বাংলাদেশের এগিয়ে যাওযাকে সমর্থন জানিয়ে শেখ হাসিনাতেই আস্থা রাখতে চান বাংলাদেশের মানুষ। দেশের উন্নয়ন, অগ্রযাত্রাকে অব্যাহত রাখতে সাধারণের মত দেশের সাংবাদিক সমাজও ‘শেখ হাসিানেতই আস্থা’ রাখতে চান।

বাংলাদেশ অবজারভারের সম্পাদক ও সাংবাদিক নেতা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি ও যুগান্তর সম্পাদক সাইফুল আলম, বাসসের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক আবুল কালাম আজাদসহ সিনিয়র সাংবাদিকরা।

সকালের নাস্তা শেষে গান পরিবশেন করেন শিল্পী বৃষ্টি দে। গানের শেষে সকল সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত হয় ফটোসেশন। সবেশেষে সাংবাদকিরা সকাল ১১টা ১০ মিনিটের মেট্রোরেল চড়ে আবারও প্রেস ক্লাব আসেন।