জীবননগরে আনন্দ মিছিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হাজী মোঃ আলী আজগার টগর চুয়াডাঙ্গা-২ (জীবননগর-দামুড়হুদা) আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাওয়ায় জীবননগরে আনন্দ মিছিল, মোটরসাইকেল শোডাউন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৩টার সময় জীবননগর পৌর আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা জীবননগর উপজেলার হাসাদহ বাজার থেকে একটি আনন্দ মিছিল বের করেন।

মিছিলটি হাসাদহ বাজার থেকে শুরু হয়ে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে জীবননগর বাসষ্ট্রান্ড চত্বরে এসে শেষ হয়। এরপর জীবননগর মুক্ত মঞ্জে উপজেলা সদরে দলীয় নেতা-কর্মী ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সাথে মতবিনিময় করেন এমপি টগর ।

এ সময় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি গোলাম মোতুজা,জীবননগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান,দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলী মুনসুর বাবু,জীবননগর পৌর সভার মেয়র রফিকুল ইসলাম,দশনা পৌর সভার মেয়র আতিয়ার রহমান হাবু,জীবননগর পৌর আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ও সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম,উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আঃ সালাম ঈশা ,মনোহরপুরইউপি চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন খান,বাকা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল কাদের প্রধান,উথলী ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল হান্নান,কে,ডি,কে ইউপি চেয়ারম্যান খাইরুল বাশার শিপলুসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের নেতাকমিগন উপস্থিত ছিলেন।

জীবননগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি গোলাম মোতুজা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা পুনরায় চুয়াডাঙ্গা -২ আসনের যোগ্য প্রাথী হাজী আলী আজগার টগরকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়ায় আমরা আনন্দিত। হাজী আলী আজগার টগর এই আসন থেকে যতবার নির্বাচন করেছেন, ততবারই বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছেন। তাঁর বিপক্ষে যাঁরা নির্বাচন করেছেন, তাঁরা সবাই জামানাত হারিয়েছেন। আশা করছি আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আলী আজগার টগরের বিপক্ষে এখানে কোনো দল থেকে কেউ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলে তিনিও জামানাত হারাবেন।’

চুয়াডাঙ্গা-২ আসনে আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রাথী হাজী আলী আজগার টগর বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে যোগ্য মনে করে আবারও মনোনয়ন দিয়েছে এ নিয়ে আমি পাচবার জাতীয় সংসদ সদস্য হিসাবে নির্বাচনে অংশগ্রহন করবো এর আগেও এই আসন থেকে আমি ৪বার বিজয় লাভ করেছি আশাকরি এবারও জয়লাভ করবো । তিনি আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আশার পর তিনার দেওয়া নিদেশনা মতে আমি আমার এলাকায় ব্যাপক উন্নয়নমূলক কাজ করেছি এবং আগামি নিবাচনে নিবাচিত হয়ে আমার নিবাচনী এলাকায় যে সমস্থ উন্নয়নমূলক কাজ এখনও সমাপ্ত হয়নি সেগুলো সমাপ্ত করবো ।




চুয়াডাঙ্গার দর্শনা সীমান্তে ৯৬টি স্বর্ণের বার উদ্ধার, আটক ১

চুয়াডাঙ্গার দর্শনা থানাধীন সুলতানপুর সীমান্ত থেকে প্রায় ১৬ কেজি ১৪ গ্রাম ওজনের ছোট-বড় ৯৬টি স্বর্ণের বারসহ নাজমুল ইসলাম(৩১) নামের এক চোরাকারবারিকে আটক করেছে চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবি।

আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলার সীমান্তবর্তী দর্শনা কার্পাসডাঙ্গা সড়কের রুদ্রনগর গ্রামের পাকা রাস্তার উপর মোটরসাইকেলসহ তাকে আটক করে। আটককৃত চোরাকারবারি দর্শনা পৌরসভার শ্যামপুর গ্রামের আশাদুল হকের ছেলে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবির অধিনায়ক লেঃ কর্নেল সাঈদ মোহাম্মদ জাহিদুর রহমান, পিএসসি।

চুয়াডাঙ্গা ৬ বিজিবির অধিনায়ক লেঃ কর্নেল সাঈদ মোহাম্মদ জাহিদুর রহমান, পিএসসি বলেন গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জানতে পারি দর্শনা সুলতানপুর সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশ থেকে ভারতে স্বর্নের বার পাচার হবে। খবর পেয়ে সুলতানপুর ক্যাম্পের বিশেষ টহল দল সুলতানপুর বিওপি’র টহল কমান্ডার হাবিলদার মোঃ আব্দুল হাকিম সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে সীমান্ত পিলার ৭৭/২-এস হতে আনুমানিক ০২ কিঃ মিঃ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে দর্শনা- রুদ্রনগর মুজিবনগর সড়কের পাঁকা রাস্তায় টহল করে।এসময় একজন অজ্ঞাত ব্যক্তি ঐ এলাকা দিয়ে সীমান্তের দিকে যাওয়ার প্রাক্কালে বিজিবি সশস্ত্র টহল দলের উপস্থিতি টেরপেয়ে মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে।

এ সময় সুলতানপুর ক্যাম্পের কমান্ডার হাবিলদার মোঃ আব্দুল হাকিম সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে নাজমুল ইসলামকে আটক করে। প্রথম পর্যায়ে স্বীকার না করায় তাকে আটক করে সুলতান কম্পে নিয়ে যায়।পরে তার স্বীকারোক্তিতে অভিনব কায়দায় মোটরসাইকেলের সীটের নীচে ও সাইড কোভারের ভিতর থেকে ছোট বড় ৯৬ টি স্বর্নের বার উদ্ধার করে।আটক এসব স্বর্নের বারের আনুমানিক বাজার মৃল্যে ১৬ কোটি ১৫ লাখ টাকা।বিজিবি এসব বারগুলি দিয়ে ডিসপ্লে করে ৬ বিজিবি লিখছে।

আটককৃত আসামীর বিরুদ্ধে দর্শনা থানায় সুলতানপুর বিওপি’র টহল কমান্ডার হাবিলদার মোঃ আব্দুল হাকিম বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন এবং সোনার বারগুলো চুয়াডাঙ্গা ট্রেজারি অফিসে জমা দেওয়ার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।




এ নৌকা প্রতিক আপনাদের,আমি শুধু নৌকার মাঝি — সালাহ্ উদ্দীন মিয়াজি

এ নৌকা প্রতিক আপনাদের,আমি শুধু নৌকার মাঝি। আর আপনারাই পারেন,নির্বাচনে নৌকাকে বিজয়ী করে,কাংক্ষিত লক্ষ্যে পৌছে দিতে।

আজ মঙ্গলবার বিকেলে কোটচাঁদপুর মেইনবাসস্ট্যান্ডের গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন মেজর জেনারেল সালাহ উদ্দীন মিয়াজি। তিনি বলেন,অনেক যাচাই বাছাইয়ের পর, প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা যে নৌকা প্রতিক আমাকে দিয়েছেন,সেটা শুধু আমার প্রতিক না। এটা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিক, শেখ হাসিনার প্রতিক নৌকা এ দেশের স্বাধীনতার প্রতিক।

সংবধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন,কোটচাঁদপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোছাঃ শরিফুননেসা মিকি,পৌর মেয়র সহিদুজ্জামান (সেলিম),আওয়ামীলীগ নেতা হুমায়ূন কবির লতা,মহেশপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাজ্জাদ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মীর সুলতানুজ্জামান লিটন,কোটচাঁদপুর পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রিপন মন্ডল।

এদিকে নৌকার প্রার্থী সালাহ উদ্দিন মিয়াজির আগমন উপলক্ষে, দুপুরের পর থেকে কোটচাঁদপুর মেইন বাসস্ট্যান্ডে জড়ো হতে থাকে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা নেতা-কর্মীরা।

বিকাল ৫ টান সময় বিশাল মটর সাইকেল আর প্রাইভেট মাইক্রো বাস নিয়ে কোটচাঁদপুর শহরে প্রবেশ করেন,প্রার্থী সালাহ উদ্দিন মিয়াজি। এ সময় নৌকার শ্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠে এলাকাটি। আর খোলা মাইক্রোবাসের মধ্যে থেকে হাত নেড়ে শুভেচ্ছা জানাতে নেমে আসেন,তিনি। যোগদান করেন,সংবধনা অনুষ্ঠানে,নিজের জন্য নৌকা প্রতিকে ভোট চান মিয়াজি।

মেজর জেনারেল সালাহ উদ্দীন মিয়াজিকে নৌকা প্রতিক প্রদান করায়,প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কৃতজ্ঞতা এ সংবধনার আয়োজন করেন, কোটচাঁদপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠন।




মেহেরপুরে গৃহবধূর লাশ উদ্ধার,পরিবারের দাবি হত্যা

মেহেরপুরে নাজমা খাতুন (৩৫) নামে এক গৃহবধূর রহস্য জনক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে । তবে ভুক্তভোগী পরিবারের দাবি স্বামীর পরকিয়া প্রেমের বাধা দেওয়ায় তাকে ফাঁসিতে ঝুঁলিয়ে আত্মাহত্যার নাম দেওয়া হচ্ছে। এঘটনায় অভিযুক্ত স্বামী পলাতক হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর ) দুপুরের দিকে মেহেরপুর সদর উপজেলার বুড়িপোতা ইউনিয়নের গুচ্ছগ্রামে নাজমা খাতুন তার শশুর বাড়িতে নিজ ঘরের ফ্যানের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় ঝুলে থাকতে দেখে তার শাশুড়ি এলাকাবাসীকে ডাক দেয়।

নাজমা খাতুন নাজির বকশোর মেয়ে। এবং তার স্বামী ফারুক আলী মেহেরপুর সদর উপজেলা বুড়িপোতা ইউনিয়নের গুচ্ছগ্রাম রাজাপুরের লুৎফর আলীর ছেলে।

ঘটনা সূত্রে জানা গেছে, নাজমা খাতুন এর স্বামী ফারুক আলী সাথে দীর্ঘ দিন ধরে তার দন্ড চলছিল। এ দিকে এলাকাবাসীর কাছ থেকে জানা গেছে তার স্বামী একই এলাকার এক নারীর সাথে সম্পর্ক করে। এই নিয়ে তাদের মধ্যে ঝামেলা চলে দীর্ঘ দিন ধরে।

ভুক্তভোগীর মা বলেন,আমরা জামাই আমার মেয়ে কে অনেক অত্যাচার করে এর আগে আমার মেয়ে কে মেরে হাত ভেঙ্গে দিয়েছিল। এবং আমার জামাই এর আগে পরকীয়া করতে গিয়ে ধরা খেয়েছে এই নিয়ে তাদের সংসার ঝামেলা চলে। আজ আমার জামাই আমার মেয়ে কে হত্যা করে পালিয়ে গেছে।




এইচএসসি পাসে ইবনে সিনায় চাকরি

সম্প্রতি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে দি ইবনে সিনা এপিআই ইন্ডাস্ট্রি লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটির এপিআই প্রজেক্টের জন্য প্রোডাকশন অ্যাসিস্ট্যান্ট পদে একাধিক লোকবল নিয়োগের জন্য এ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে। ২৫ নভেম্বর থেকেই আবেদন নেওয়া শুরু হয়েছে। আগ্রহী প্রার্থীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন।

প্রতিষ্ঠানের নাম : দি ইবনে সিনা এপিআই ইন্ডাস্ট্রি লিমিটেড

পদের নাম : প্রোডাকশন অ্যাসিস্ট্যান্ট

বিভাগ : এপিআই প্রজেক্ট

পদের সংখ্যা : নির্ধারিত নয়
শিক্ষাগত যোগ্যতা : ন্যূনতম এইচএসসি/আলিম/সমমান

অভিজ্ঞতা : কমপক্ষে ২ বছর

অন্যান্য যোগ্যতা : প্রয়োজন নেই

শিফট : দিন-রাতের শিফটে কাজ করতে হবে
চাকরির ধরন : ফুলটাইম

কর্মক্ষেত্র : অফিসে

প্রার্থীর ধরন : শুধু পুরুষ

বয়সসীমা : ২২ থেকে ৩০ বছর
কর্মস্থল : মুন্সীগঞ্জ (গজারিয়া)

বেতন : আলোচনা সাপেক্ষে

অন্যান্য সুবিধা : চিকিৎসা ভাতা, প্রভিডেন্ট ফান্ড, গ্র্যাচুইটি, লাভের ভাগ, সময়ের সাথে সাথে ভাতা, প্রতি বছর বেতন পর্যালোচনা, দুপুরের খাবারের সুবিধা, বছরে ২টি উৎসব বোনাসসহ কোম্পানির নিয়ম অনুযায়ী অন্যান্য সুবিধা পাবেন।
আবেদন যেভাবে : আগ্রহী প্রার্থীরা আবেদন করতে ও বিস্তারিত বিজ্ঞপ্তিটি দেখতে এখানে  ক্লিক করুন। আবেদনের শেষ সময় : ০২ ডিসেম্বর ২০২৩




এক্সে আবার দেখা যাবে শিরোনামসহ খবর

পরিবর্তনটা চলে এলো মাসখানেকের মধ্যেই। সিদ্ধান্তের পরিবর্তন আরকি। বিভিন্ন ওয়েবসাইটে প্রকাশিত কোনো লেখা এক্সে পোস্ট করলে সেটির শিরোনামসহ সংক্ষিপ্ত তথ্য ছবি আকারে দেখা যাবে। ফলে লিংকে ক্লিক না করলেও বন্ধুদের পোস্টগুলো সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা নিতে পারবেন অন্য ব্যবহারকারীরা।

তবে কবে নাগাদ এ সুবিধা চালু করা হবে সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য জানাননি মাস্ক। ধারণা করা হচ্ছে, এক্সের পরবর্তী সংস্করণ থেকেই সুবিধাটি ব্যবহারের সুযোগ মিলবে।

প্রথমত লিংক প্রিভিউ সুবিধা চালু না থাকায় প্লাটফর্মে কিছু অসুবিধাও দেখা দিচ্ছে। লিংক থেকে ভিজিটর আসাও বন্ধ হচ্ছে অনেকাংশে। তাই আবারও আগের সময়ে ফিরে যেতে চাচ্ছে তারা।

তথ্যসূত্র: টেকলুসিভ




মেহেরপুর সরকারি কলেজে চাঁদা উত্তোলেনের প্রতিবাদ করায় ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে অপমান ও চেয়ার ভাংচুর

মেহেরপুর সরকারি কলেজের নাম ভাঙিয়ে চাঁদাবাজির প্রতিবাদ করায় ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের সাথে খারাপ আচরণ ও আসবাবপত্র ভাংচুরের অভিযোগ উঠেছে কয়েকজন ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে।আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২ টার দিকে মেহেরপুর সরকারি কলেজে এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, দুপুর ১২ টার দিকে কলেজের পুরাতন ভবনের দ্বিতীয় তলায় একাদশ শ্রেণীর সমাজবিজ্ঞান ক্লাস নিচ্ছিলেন কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ও সহযোগী অধ্যাপক আবদুল্লাহ আল আমিন। ক্লাস চলাকালীন কলেজ শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক ইমরান মাহমুদ অনিক, প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক রাশেদ আলীর নেতৃত্বে ৫/৬ জন নেতাকর্মী পিকনিক ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান নাম করে রশিদ ছাপিয়ে শিক্ষার্থীদের কাছে জন প্রতি ২৫০টাকা চাঁদা দাবি করে। এসময় ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আবদুল্লাহ আল আমিন ধুমকেতু তাদের প্রতিবাদ করে এবং চাঁদার রশিদ জব্দ করে প্রশাসনিক ভবনে নিয়ে যান। এসময় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষর সাথে তারা খারাপ আচরণ করে রশিদ বই ছিনিয়ে নিয়ে যায় এবং বের হয়ে যাওয়ার সময় দুটি চেয়ার ভাংচুর করেন। পরে তারা কলেজের মূল ফটকে তালা মারতে গেলে কলেজের শিক্ষক- কর্মচারীরা সেখানে গেলে তালা না দিয়ে পালিয়ে যায়।

চাঁদা আদায়ের রশিদে লেখা রয়েছে, মেহেরপুর সরকারি কলেজের আয়োজনে পিকনিক ও সাংস্কৃতি অনুষ্ঠান। সেখানে কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক কুতুব উদ্দিন আহমেদ, যুগ্ম সম্পাদক ইমরান মাহমুদ অনিক, প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক রাশেদ আলীর নাম লেখা রয়েছে। তবে ছাত্রলীগের নাম লেখা না থাকলেও পদ ও নাম লেখা রয়েছে। এর মধ্যে কুতুবউদ্দিন আহমেদ বর্তমানের কলেজে ছাত্র না।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছিক ছাত্র-ছাত্রীরা বলেন, ছাত্রলীগের নেতারা হুমকি ধামকি পিকনিকের চাঁদা দিতে বাধ্য করাচ্ছে। চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি কলেজে আসতে দেওয়া হবে না বলে হুমকি দিচ্ছে।

এ বিষয়ে কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক কুতুব উদ্দিন আহমেদ বলেন, আমি ছিলাম না, ঢাকা থেকে মেহেরপুরে ফিরছি। তারা পিকনিকের বিষয়ে স্যারদের অবহিত করতে গেছিলো। এসময় আব্দুল্লাহ আল আমিন স্যার তাদের কাছে থেকে টাকা কেড়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ করেন। তবে কিসের টাকা প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, আগের উত্তোলন করা টাকা। তবে টাকার পরিমান জানাতে পারেননি।

মেহেরপুর সরকারি কলেজে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আবদুল্লাহ আল আমিন বলেন, পিকনিক ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের কোন অনুমতি কাউকে দেওয়া হয়নি। তাই কলেজের নাম ব্যবহার করে চাঁদা উত্তোলন করা যাবে না। ক্লাসে গিয়ে চাঁদা চাওয়ায় আমি রশিদ বই জব্দ করি। তারা কলেজের প্রিন্সিপালের টেবিল থেকে থাবা দিয়ে রশিদ বই ছিনিয়ে নিয়ে গেছে। গত সোমবারও তারা আরেক শিক্ষককে এ নিয়ে অপমান করেছে। কুতুবউদ্দিন আহমেদ বর্তমানের কলেজের ছাত্র নয়।

তিনি আরও বলেন, জাতীয় নির্বাচনের তপসিল ঘোষনার কারণে কলেজে কোন অনুষ্ঠান করা বিধি সম্মত নয়। ছাত্র-ছাত্রীদের কাউকে কোন চাঁদা না দেওয়ার জন্য আহবান জানাচ্ছি।




মেহেরপুরে জাতীয় পার্টি প্রার্থীর মনোনয়ন ফরম উত্তোলন

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নাঙ্গল প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করার জন্য মেহেরপুর ১ আসন থেকে মনোনয়ন ফরম উত্তোলন করেছেন জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি আব্দুল হামিদ।

মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর ) দুপুর একটার দিকে মেহেরপুর ১ আসনের জন্য মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন আব্দুল হামিদ।

মেহেরপুর জেলা নির্বাচন অফিসার মো. ওয়ালিউল্লাহ এর নিকট থেকে তিনি এ মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন।

এসময় জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি আব্দুল হামিদ বলেন, বাংলাদেশ আজকে বৈষম্যের মধ্যে বাস করছে। বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষকে যদি আমরা বাঁচাতে চাই তাহলে মেহেরপুরবাসীকে জাতীয় পার্টির আশ্রয় নিতে হবে। শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করার জন্য নাঙ্গলের বিকল্প নেই।

জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হাদী বলেন, মেহেরপুর ১ আসনে জাতীয় পার্টির হাতকে শক্তিশালী করে এই আসনটা আমরা জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের স্যারকে উপহার দিতে চাই।

এসময় জেলা জাতীয় পার্টি সহ-সভাপতি আব্দুল মান্নান ও হামিদুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম, সহকারি সাধারণ সম্পাদক সুমন পারভেজ, প্রচার সম্পাদক মামলত হোসেন, মেহেরপুর জেলা জাতীয় পার্টির সদস্য সরওয়ার হোসেন সহ মেহেরপুর জেলা পার্টি বিভিন্ন নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।




এ যেন আজকের সালমান শাহ

ভক্তরা কখনো প্রিয় তারকার প্রতিকৃতি বানান, কখনো প্রিয় তারকার বাড়ির সামনে ফ্রেমবন্দী হন। প্রিয় তারকাকে নিয়ে ভক্তদের ‘পাগলামি’র বহু নজির রয়েছে। তবে নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন সালমান শাহর ভক্তরা।

ঢাকাই সিনেমার এই প্রয়াত তারকার সিনেমাগুলোকে নতুন সংস্করণে আনার উদ্যোগ নিয়েছেন তাঁরা। সালমান শাহর ভক্তরা মিলে এর মধ্যেই প্রিয় তারকার ১১টি সিনেমাকে ডিজিটালে রূপান্তর করছেন। পর্যায়ক্রমে সালমানের সব কটি সিনেমাকেই ডিজিটালে রূপান্তর করতে চান তাঁরা।

অভিমান নিয়ে সোহান সেদিন বলেছিলেন, ‘তাদের বলে দিয়ো, আমি সালমান শাহ আর মৌসুমীকে কোনো টাকা দেই নাই’
২০১৯ সালের কথা। সেবার সালমান শাহর সিনেমা নিয়ে মধুমিতা সিনেমা হলে ‘সালমান শাহ উৎসব’ হয়। সেই উৎসবে সিনেমা দেখতে গিয়েছিলেন ইভান মল্লিক।

কিন্তু বড় পর্দায় প্রিয় তারকার সিনেমা দেখে হতাশ হন। বুঝতে পারেন ইউটিউব থেকে প্রিন্ট ডাউনলোড করা চালানো হচ্ছে। সেই প্রিন্ট ঝাপসা। রেজল্যুশন খুবই কম, বড় বড় লোগো যুক্ত করা।

তাঁর মতো অবস্থা ছিল আরও অনেক সালমান–ভক্তেরই। পরের বছর টিএসসিতে সালমান শাহর ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ দেখতে গিয়েও একইভাবে হতাশ হতে হয় ভক্তদের।

গত বছরের অক্টোবরে ফিল্ম আর্কাইভের একটি আয়োজনে দেখানো হয় ‘তোমাকে চাই’ সিনেমাটি। সেই সিনেমার দৈর্ঘ্য ছিল মাত্র ১ ঘণ্টা ৩০ মিনিট। সেখানে ‘তোমাই চাই’, ‘তুমি আমায় করতে সুখী জীবনে’, ‘বাজারে যাচাই করে দেখিনি তো দাম’সহ সিনেমাটির জনপ্রিয় পাঁচটি গান ছিল না। সাউন্ড ঠিক ছিল না। সব মিলিয়ে সেটা কোনোভাবেই প্রদর্শনযোগ্য সংস্করণ ছিল না বলে মনে হয় ইভান মল্লিকের। সেদিনই তিনি সিদ্ধান্ত নেন সিনেমাগুলো ডিজিটাল সংস্করণে রূপান্তরের উদ্যোগ নেবেন। তিনি মনে করেন, সালমান শাহর সিনেমা সংরক্ষণ না করলে অল্প কিছুদিনের মধ্যে মূল প্রিন্ট হারিয়ে যাবে।

ইভান নিজেও একজন সম্পাদক ও পরিচালক। তাঁর নিজস্ব প্যানেল রয়েছে। একবার নিজের তথ্যচিত্রের কাজ করতে গিয়ে পরিচয় হয় যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক জনাথন পার্লের সঙ্গে। যিনি নিজেও সম্পাদক। তাঁর কাছ থেকে ইভান পরামর্শ পান, কীভাবে সিনেমাগুলোকে অল্প রেজল্যুশন থেকে উচ্চতর রেজল্যুশনে উন্নীত করা যায়, কীভাবে ডিজিটাল সংস্করণে রূপান্তর করা যায়। ইভান বললেন এরপরের গল্প, ‘আমি নেমে পড়ি সালমান শাহর সব সিনেমার প্রিন্ট সংগ্রহ করতে। কিন্তু বারবার হতাশ হতে হয়। কেউ কেউ প্রিন্ট দিতে চায় না। একসময় একটি আইপি টিভিতে সম্পাদক হিসেবে কাজ করতাম। কাজ করার সময় জেনেছিলাম, সেখানে কিছু সিনেমার মূল প্রিন্ট ডিভিডিতে সংরক্ষিত আছে। খুঁজতে খুঁজতে ১১টি সিনেমা পেয়ে যাই।’ সিনেমাগুলো হলো ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’, ‘দেনমোহর’, ‘প্রেম যুদ্ধ’, ‘সত্যের মৃত্যু নেই’, ‘স্বপ্নের পৃথিবী’, ‘বিক্ষোভ’, ‘জীবন সংসার’, ‘মহামিলন’, ‘আশা ভালোবাসা’, ‘আনন্দ অশ্রু’ ও ‘অন্তরে অন্তরে’।

ইভান তাঁর সিনেমার কাজে প্রায়ই কলকাতায় যেতেন। একবার যাওয়ার সময় কলকাতায় সালমান শাহর সিনেমাগুলো নিয়ে যান। শুরু হয় সংগ্রাম। তিনি বলেন, ‘কলকাতায় গিয়ে আমরা সিনেমাগুলো রেজল্যুশন মাস্টারিং করি। শব্দে যোগ করি ডলবি সাউন্ড সিস্টেম, প্রিন্ট একদম ঝকঝকে হয়ে যায়। মনে হচ্ছিল, একদম নতুন সিনেমা।

এই প্রক্রিয়াকে টিসি সিংক বলা হয়। এআই প্রযুক্তির সাহায্যে হাই রেজল্যুশনে নতুন করে প্রিন্ট করি। কাজ শেষ করে আমার কাছে সালমান শাহর ভক্ত হিসেবে গর্ব হচ্ছিল। বারবার ভাবছিলাম, দেশের একজন জনপ্রিয় তারকার সিনেমাগুলো কী অবহেলায় ছিল। যেগুলো আর কয়েক বছর পরে হয়তো খুঁজেই পাওয়া যেত না।’

প্রাথমিকভাবে তিনি ‘স্বপ্নের ঠিকানা’ ও ‘চাওয়া থেকে পাওয়া’ সিনেমা দুটি ডিজিটালে রূপান্তর করেন। প্রিন্টগুলো ভালো লাগায় পরে একে একে ১১টি সিনেমা ডিজিটাল সংস্করণে রূপান্তর করেছেন। এই উদ্যোগে প্রায় তিন লাখ টাকা খরচ হয়েছে। ইভান বলেন, ‘আমার পরিবার এগুলোকে পাগলামি মনে করে।

কিন্তু আমার কাছে মনে হয়, এই প্রিন্ট সংরক্ষণ করা দরকার। নইলে পরবর্তী প্রজন্ম সালমান শাহর সিনেমাগুলো দেখতে পারবে না। আমরা সিনেমা দুটি নিয়ে প্রদর্শনীর আয়োজন করি। সেখানে ঝকঝকে প্রিন্ট দেখে দর্শকেরা করতালি দিয়েছেন, প্রশংসা করেছেন—এটাই আমার কাছে গর্ব ও সেরা প্রাপ্তি।’

সালমান শাহর সব সিনেমার কাজ শেষ করতে অনেক টাকা প্রয়োজন। এদিকে সরাসরি ভক্তদের সঙ্গে অর্থনৈতিক বিষয়গুলো ভাগাভাগি করতে চাননি ইভান।

তিনি মনে করেন, এটা করতে গেলে অনেকেই বিষয়টি ভিন্নভাবে নিতে পারেন। তখন তিনি দুটি সিনেমা নিজ খরচে ফিল্ম আর্কাইভ ভাড়া নিয়ে প্রদর্শনীর উদ্যোগ নেন। সেখানে আড়াই শর মতো সালমান–ভক্ত সিনেমা দুটি দেখতে আসেন। সাজিদ কামাল নামের এক ভক্ত বলেন, ‘সিনেমা দেখে মনেই হয়নি এটা ২৭ বছর আগের ছবি। মনে হচ্ছিল এই সময়ের ছবি। যেন নতুন সালমান শাহকে দেখলাম। ইভান ভাইকে সাধুবাদ সিনেমাগুলো ডিজিটাল করার জন্য। তাঁকে সামনে রেখে আমরা সবাই মিলে বাকি সিনেমাগুলোর ডিজিটাল প্রিন্ট সংরক্ষণ করতে চাই।’

প্রদর্শনীতে উপস্থিত ছিলেন জীবন সংসার সিনেমার পরিচালক জাকির হোসেন রাজু। তিনি বলেন, ‘সিনেমার প্রিন্ট দারুণ ছিল। দর্শক মূল প্রিন্টের চেয়ে বেশি পছন্দ করবে।

সালমান শাহর সিনেমা নিয়ে এই উদ্যোগ আনন্দের বিষয়।’ সবশেষে ইভান জানান, সিনেমাগুলো তাঁরা সংরক্ষণ করে প্রদর্শনী করতে পারবেন। তবে বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহার করতে পারবেন না। এতেই তাঁরা খুশি।

সূত্র: প্রথম আলো




প্যাটেলের স্পিনে সাজঘরে জাকির

নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিলেটে টস জিতে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ। দুই ওপেনারের ব্যাটে সতর্ক শুরু করলেও জাকিরের বিদায়ে ভেঙেছে এই জুটি।

১৩তম ওভারে কিউই স্পিনার এজাজ প্যাটেলের ঘূর্ণিতে বোল্ড হয়ে ফেরেন জাকির। সাজঘরে ফেরার আগে ৪১ বলে ১২ রান করেন তিনি।

১৬ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে ৫১ রানে ব্যাট করছে বাংলাদেশ। জয় ১৯ রানে ব্যাট করছেন। ক্রিজে নতুন ব্যাটার শান্ত।

এই ম্যাচে নতুন এক ক্রিকেটারের অভিষেকও দেখছে বাংলাদেশ। সিনিয়র ক্রিকেটারদের অনুপস্থিতিতে এই টেস্টে জায়গা পাচ্ছেন শাহাদাৎ হোসেন দিপু।

দলে ওপেনার হিসেবে আছেন মাহমুদুল হাসান জয় এবং জাকির হোসেন। উইকেটরক্ষকের দায়িত্ব পালন করবেন নুরুল হাসান সোহান।

এই টেস্টে বাংলাদেশ একাদশ সাজিয়েছে একজন পেসার নিয়ে। শরীফুল ইসলামের পাশাপাশি বোলিং বিভাগ সামাল দিবেন তাইজুল ইসলাম, মেহেদি হাসান মিরাজ এবং নাঈম হাসান।

নিউজিল্যান্ড দলে বিশেষজ্ঞ স্পিনার হিসেবে আছেন ইশ সোধি এবং এজাজ প্যাটেল। দলে খুব বেশি চমক রাখা হয়নি। বোলিং বিভাগে আছেন মোট ৫ বোলার।

সোধি এবং এজাজকে সিলেটের সবুজ পিচে সঙ্গ দেবেন পার্ট টাইমার গ্লেন ফিলিপস। দলে আছে দুই পেসারও। অধিনায়ক টিম সাউদির সঙ্গে পেস বিভাগে আছেন কাইল জেমিসন।
সূত্র: যুগান্তর