গাংনীতে মালচিং ব্যবহার প’দ্ধতির পরামর্শ ও উপকরণ বিতরন

গাংনীর পলাশীপাড়া সমাজ কল্যাণ সমিতি (পিএসকেএস)-এর ‘‘পলাশীপাড়া শাখাতে সংস্থার সমন্বিত কৃষি ইউনিট এর কৃষি খাতের আওতায়, পরিবেশবান্ধব মালচিং পেপার ব্যবহার করে উচ্চমুল্যের ফসল চাষ,উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধিতে আন্তফসল/সাথি ফসল প্রদর্শনীর আওতায় ৬ জন উপকারভোগীর মাঝে উপকরণ বিতরণ করা হয় ।

বিতরণকৃত উপকরণ সমূহের মধ্যে ছিল ৪ রোল পরিবেশবান্ধব মালচিং পেপার, ট্রাইকো-কম্পোস্ট সার, রাসায়নিক সার, কিটনাশক, মাইক্রো নিউট্রিয়েন্ট, লাউয়ের বীজ, স্কোয়াশের বীজ, লালশাকের বীজ, ভুট্টার বীজ, পালংশাকের বীজ, বেগুনের চারা সহ প্রয়োজনীয় উপকরণ সাইনবোর্ড ও রেজিষ্টার খাতা বিতরণ করা হয়। পাশাপাশি উপকারভোগীদেরকে প্রদর্শনীর লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যসহ কিভাবে এর রক্ষণাবেক্ষন করতে হবে সে সম্পর্কে দিক নির্দেশনা প্রদান করা হয়।

উপকরণ বিতরণের সময় উপস্থিত ছিলেন মোঃ রমজান আলী, প্রেসিডেন্ট পিএসকেএস, পলাশীপাড়া শাখার শাখা ব্যবস্থাপক এবং পলাশীপাড়া শাখার কর্মকর্তা ও কর্মচারীসহ সমন্বিত কৃষি ইউনিটের সকল কর্মকর্তাগন ।




অবরোধের দ্বিতীয় দিনে সবকিছু প্রায় স্বাভাবিক

বিএনপি-জামায়াতের তৃতীয় দফায় ডাকা ৪৮ ঘণ্টার সর্বাত্মক অবরোধের দ্বিতীয় দিন বৃহস্পতিবার সবকিছু স্বাভাবিক হয়ে উঠেছে। রাস্তায় জ্যাম দেখে অফিসগামী যাত্রীদের অনেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্যাটায়ার করে লিখেছেন- কোথায় অবরোধ? অবরোধের যেন অর্থ বদলে গেছে।

গত সপ্তাহের অবরোধে মানুষ একদমই বের না হলেও তৃতীয় দফার অবরোধ শুরুর দিনে বুধবার (৮ নভেম্বর) রাজধানীর বেশিরভাগ এলাকায় যান চলাচল ছিল প্রায় স্বাভাবিক। সকাল থেকেই যাত্রীবাহী বাস, সিএনজি অটোরিকশা, রাইড শেয়ারিংয়ের মোটরসাইকেল, পণ্যবাহী পিকআপ চলাচল করছে। এমনকি বুধবার সায়েদাবাদ টার্মিনাল থেকে দূরপাল্লার কিছু বাসও ছেড়ে গেছে। তবে বরাবরের মতো ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যা ছিল কম। বৃহস্পতিবারেও বাস প্রস্তুত আছে। আগুনের ভয়ে যাত্রী না আসায় বাস ছেড়ে যেতে পারেনি। তবে দিনের দ্বিতীয় ভাগে প্রায় সব বাস ছেড়ে যাবে বলে জানিয়েছেন মালিকরা।

বিভিন্ন এলাকায় কাজে যোগ দেওয়া মানুষ বলছে, দিনের পর দিন অবরোধ দিয়ে এখন মাঠ গরম করা যাবে না। মানুষ এখন এসব মানবে না। কাজ না করলে খাবে কি? আপনার আন্দোলনে যাদের সমর্থন আছে তারাও এধরনের কর্মসূচি চায় না। পরিবহন মালিকরা বলছেন, আগুনের ভয়ে বাস চলছে না। নাহলে কিছুই বন্ধ থাকতো না।

বাসে গাড়িতে আগুনের ঘটনা না থাকলে কিছুই বন্ধ থাকতো না উল্লেখ করে রাজধানীর ভেতরের রুটের একাধিক পরিবহনের বাসের সহকারীরা বলছেন, ‘রোজ সকালে অনেক মানুষ অফিস যায়। অবরোধ মানার কোনো কায়দা নাই তাদের। কিন্তু বাসে উঠছে না। বাসে ওঠা আতঙ্ক হয়ে গেছে, কখন কোথায় আগুন লাগিয়ে দেয়। আমাদের এভাবে চলবে কী করে? বসে থাকলেতো না খেয়ে মরতে হবে।’

ঢাকা পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এনায়েতুল্লাহ বলেন, ‘আমরা সবসময় পরিবহন চলাচল স্বাভাবিক রাখতে চেয়েছি। কিন্তু যাত্রী না পেলে বাস ছাড়বো কীভাবে। এরকম সহিংসতা, বাসে আগুন দিলে যাত্রীরা কোন সাহসে আসবে? এধরনের কর্মসূচিতে অর্থনৈতিক ক্ষতি, এটা দলগুলোকে বিবেচনায় নিতে হবে।’

গত ২৭ ঘণ্টায় ৭টি যাত্রীবাহী বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এছাড়া এ সময়ে ৪টি কাভার্ড ভ্যান ও ২টি ট্রাকেও আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) সকালে এ তথ্য জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মিডিয়া সেলের কর্মকর্তা তালহা বিন জসিম।

বিএনপি-জামায়াতের ডাকে প্রথম দফায় গত ৩১ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত সারা দেশে ৭২ ঘণ্টার অবরোধ পালন করা হয়। এরপর ৫ ও ৬ নভেম্বর দ্বিতীয় দফায় সারা দেশে অবরোধ কর্মসূচি ছিল। বর্তমানে তৃতীয় দফায় ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ চলছে। এসময়ে অর্ধশতর বেশি বাস ও ব্যক্তিগত গাড়িতে আগুন লাগানো হয়েছে।




আগামী নির্বাচনে গণতন্ত্র বিজয়ী হবে

গত দুই দশকে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে বলে মন্তব্য করেছেন চেক প্রজাতন্ত্রের ইউরোপিয়ান পিপল’স পার্টির রাজনীতিবিদ ইউরোপীয় পার্লামেন্টের মেম্বার টমাস জেডেচভস্কি। বাংলাদেশকে দক্ষিণ এশিয়ার বাঘ হিসাবে উল্লেখ করে তিনি জানান, ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাথে দেশটির শক্তিশালী বাণিজ্য সম্পর্ক রয়েছে। গত ৭ নভেম্বরে ইউরোপীয় পার্লামেন্টে অনুষ্ঠিত ‘বাংলাদেশে গণতন্ত্র ও মানবাধিকার’ শীর্ষক সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেছেন।

বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে গণতন্ত্রের প্রতীক হিসেবে দেখা হচ্ছে জানিয়ে টমাস জেডেচভস্কি আরও বলেন, এই নির্বাচনে গণতন্ত্র বিজয়ী হবে বলে তার আত্মবিশ্বাস রয়েছে। বাংলাদেশ আর ইউরোপীয় ইউনিয়নকে দুটি পক্ষ হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, পরস্পরের মধ্যে বিশ্বাস এবং শ্রদ্ধার ভিত্তিতে একটি গঠনমূলক এবং ভারসাম্যপূর্ণ অংশীদারিত্ব এখন প্রয়োজন।

নির্বাচন কমিশন কর্তৃক নিবন্ধিত ৪৭টি রাজনৈতিক দলের মধ্যে ১১টি ইসলামী দলের উল্লেখ করে অনুষ্ঠানের সহ-আয়োজক এবং স্টাডি সার্কেল লন্ডনের চেয়ারপারসন সৈয়দ মোজাম্মেল আলী বলেছেন, পশ্চিমা শক্তিগুলো যদি সতর্ক না হয়, তাহলে বাংলাদেশ মৌলবাদীদের হাতে চলে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। সাম্প্রতিক গ্লোবাল গেটওয়ে সামিটকে বাংলাদেশি সরকারের প্রতি আস্থার ভোট হিসেবে উল্লেখ করেন তিনি। বাংলাদেশের বর্তমান সরকারের প্রতি আস্থা না রাখলে ইউরোপীয় ইউনিয়ন এই ধরনের সহায়তা দিত না বলে তিনি জানান।

বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের রোম সংবিধিসহ সকল প্রধান আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কনভেনশনের পক্ষে বাংলাদেশ ছিল বলে উল্লেখ করেন ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইমস স্ট্র্যাটেজি ফোরামের ড. রায়হান রশিদ। মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত ১.২ মিলিয়ন রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশের আশ্রয় দেয়ার বিষয়টি সামনে আনেন তিনি। তার মতে, এই ঘটনা মানবাধিকারের পক্ষে বাংলাদেশের অবস্থানকে প্রকাশ করেছে।

বাংলাদেশিদের জন্য সাম্য, সামাজিক ন্যায়বিচার এবং মানবিক মর্যাদা নিশ্চিত করার জন্যই ১৯৭১ সালের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লক্ষ মানুষ প্রাণ হারিয়েছিল এবং বাংলাদেশ তার স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিল বলে সম্মেলনে জানান বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান ড. মিজানুর রহমান। তাই এই দেশ মানবাধিকারবান্ধব না হয়ে পারে না বলে তিনি যুক্তি দেন। সম্মেলনে উপস্থিত সকলকে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার কথাও স্মরণ করিয়ে দেন তিনি।

মানবাধিকারের বিভিন্ন ক্ষেত্র, যেমন সামাজিক অধিকার, শিক্ষার অধিকার এবং শিশুদের অধিকারকে বাংলাদেশ সমুন্নত রেখেছে বলে সম্মেলনে জানান ড. মিজানুর রহমান। এর উদাহরণ হিসেবে ১ জানুয়ারি দেশে ৩৫ মিলিয়ন পাঠ্যবই বিনামূল্যে বিতরণ করার উদাহরণ সামনে আনেন তিনি। ভূ-রাজনৈতিক মানবাধিকারকে একটি নব্য-ঔপনিবেশিক পদ্ধতি বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, বাংলাদেশের মতো ছোট ও দুর্বল রাষ্ট্রকে চাপ দেয়ার জন্য এটি ব্যবহার করলে সার্বভৌম সমতার আন্তর্জাতিক নীতি লঙ্ঘিত হয়। বাংলাদেশ তার গণতান্ত্রিক অবকাঠামোকে আরও শক্তিশালী, সমৃদ্ধ এবং টেকসই করতে তার ইউরোপীয় মিত্রদের কাছ থেকে সমর্থন আশা করে বলে জানান ড. মিজানুর রহমান।

বাংলাদেশে একটি ঐতিহাসিক যুদ্ধ চলছে, তা ভুলে গেলে চলবে না জানিয়ে ড. রায়হান রশিদ বলেন, ওই লড়াইয়ে এক পক্ষ পরাধীনতা বেছে নিয়েছে কিন্তু অন্য পক্ষ স্বাধীনতা বেছে নিয়েছে। এক পক্ষ সম-অধিকার বেছে নিলেও অন্য পক্ষ বেছে নিয়েছে অসম্মান। এক পক্ষ ধর্মনিরপেক্ষতা বেছে নিলেও অন্য পক্ষ বেছে নিয়েছে ধর্মীয় রাষ্ট্র। আগামী নির্বাচনে বাংলাদেশি ভোটারদের এর মধ্য থেকেই পক্ষ বেছে নিতে হবে বলে জানান তিনি।




মুজিবনগরে পলাশীপাড়া সমাজ কল্যাণ সমিতির স্বাস্থ্য ক্যাম্প অনুষ্ঠিত

মুজিবনগরে দারিদ্র দূরীকরণের লক্ষে দরিদ্র্য পরিবার সমূহের সম্পদ ও সক্ষমতা বৃদ্ধি (সমৃদ্ধি) কর্মসূচীর আওতায় স্বাস্থ্য ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়েছে।

পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) অর্থায়নে এবং পলাশীপাড়া সমাজ কল্যাণ সমিতি (পিএসকেএস) আয়োজনে আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত উপজেলার মোনাখালী কমিউনিটি ক্লিনিক প্রাঙ্গনে তৃণমূল দরিদ্র জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের লক্ষ্যে এই স্বাস্থ্য ক্যাম্প পরিচালিত হয়।

স্বাস্থ্য ক্যাম্পে বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দ্বারা মেডিসিন, গাইনী ও চক্ষু চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয়।

স্বাস্থ্য সেবা প্রদান করেন পলাশীপাড়া সমাজকল্যাণ সমিতির মেডিকেল অফিসার ডঃ তৌকিক আহমেদ, এছাড়াও একজন গাইনি স্পেশালিস্ট ও একজন চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডাক্তার চিকিৎসা সেবা প্রদান করে।

পলাশীপাড়া সমাজ কল্যাণ সমিতির আয়োজনে, স্বাস্থ্য সেবা ক্যাম্পে উপস্থিত ছিলেন, পলাশীপাড়া সমাজকল্যাণ সমিতির মোনাখালী শাখার সমৃদ্ধি কর্মসূচির সমন্বয়কারী মোহাম্মদ হাসানুজ্জামান।

এছাড়াও স্বাস্থ্য ক্যাম্পে পলাশীপাড়া সমাজ কল্যাণ সমিতির স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, সমাজ উন্নয়নকর্মকর্তা ও স্বাস্থ্য পরিদর্শক বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।




মেহেরপুরে জেলা আওয়ামী লীগের উন্নয়ন ও শান্তি সমাবেশ

মেহেরপুরের শহীদ শামসুজ্জোহা পার্কে জামায়াত-বিএনপির হরতাল, অবরোধ, অগ্নি সন্ত্রাস, নৈরাজ্য সৃষ্টির প্রতিবাদে ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষে জেলা আওয়ামী লীগের শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ সম্পন্ন হয়েছে৷

আজ বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর ) বিকাল সোয়া ৪ টায় এই শান্তি সমাবেশ শুরু হয়। সমাবেশে মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা মেহেরপুর জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে মিছিল নিয়ে এসে যোগ দিয়েছেন। একপর্যায়ে শান্তিসমাবেশটি জনসমুদ্রে পরিণত হয়।

সমাবেশটি মুলত জামাত-বিএনপি’র নৈরাজ্যের প্রতিবাদে হলেও এর পাশাপাশি মেহেরপুর-১ সংসদীয় আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য ও জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেনের বিরুদ্ধেও একাট্টা হয়েছেন মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ।

সমাবেশে সকল বক্তা তাদের বক্তব্যে দলের সিনিয়র নেতাদের অবমূল্যায়ন করা সহ নানা অভিযোগ এনে মেহেরপুর -১ সংসদীয় আসনে নৌকার মাঝি পরিবর্তনে দলীয় সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন।

মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাড, ইয়ারুল ইসলামের সভাপতিত্বে    মেহেরপুর জেলা পরিষদের সাবেক প্রশাসক অ্যাডভোকেট ও জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম পেরেশানের সঞ্চালনায় শান্তি সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সাবেক সংসদ সদস্য জয়নাল আবেদিন, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও জেলা পরিষদের সাবেক প্রশাসক অ্যাড. মিয়াজান আলী, সহসভাপতি ও মুজিবনগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জিয়াউদ্দিন বিশ্বাস, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আব্দুল মান্নান, জেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক এবং আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় প্রচার ও প্রকাশনা উপ কমিটির সদস্য এম এ এস ইমন, যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য জেমস স্বপন মল্লিক, মেহেরপুর পৌর মেয়র মাহফুজুর রহমান রিটন, মুজিবনগর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান কামরুল হাসান চাদু, সদর উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর কাউন্সিলর আল মামুন, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মফিজুর রহমান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক জুয়েল রানা, যুবলীগের সদস্য সাজেদুল ইসলাম সাজু প্রমুখ।




বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলাবেন না : ইনু

মানবাধিকারের নামে বিদেশি বিশ্ব সংস্থাগুলো বাংলাদেশের দণ্ডিত অপরাধী ও চিহিৃত সন্ত্রাসীদের পক্ষে যে ভাষায় ওকালতি শুরু করেছে তা বিশ্ব সংস্থার মর্যাদা ক্ষুন্ন করছে বলে মন্তব্য করেছেন হাসানুল হক ইনু।

বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক না গলাতে বিদেশি সংস্থার প্রতি আহ্বান জানান তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও জাসদ সভাপতি।

আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার তালবাড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ২ কোটি ৭৪ লাখ টাকা ব্যয়ে নতুন চার তলা একাডেমিক ভবনের উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন ইনু।

এ সময় হাসানুল হক ইনু বলেন, ইসরায়েলের আক্রমণে গাজায় যে মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে সেটা বাঁচানোর চেষ্টা না করে বাংলাদেশের দণ্ডিত অপরাধীদের পক্ষে ওকালতি করা অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের শামিল।

এসময় জেলা জাসদের সভাপতি গোলাম মহসিন, মি,রপুর উপজেলা জাসদের সাধারণ সম্পাদক আহম্মদ আলী, মিরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) জহুরুল ইসলাম, তালবাড়ীয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি আরিফুল ইসলাম, প্রধান শিক্ষক দিলারা জোয়ার্দারসহ জাসদের বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।




তফসিল ঘোষণার সময় হয়ে গেছে- সিইসি

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, ‘‘দ্রুত আমরা তফসিল ঘোষণা করব, কারণ সময় হয়ে গেছে। শিগগিরই আমরা বসে চূড়ান্ত করব।’

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে এ কথা বলেন তিনি।

বঙ্গভবন থেকে বেরিয়ে সিইসি বলেন, নির্দিষ্ট সময়ে নির্বাচন করতে আমাদের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। সে অনুযায়ী আমরা খুব দ্রুত তফসিল ঘোষণা করব।’

রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে এদিন বেলা ১১টা ৫২ মিনিটে বঙ্গভবনে যান চার নির্বাচন কমিশনারসহ প্রধান নির্বাচন কমিশনার। তাদের সঙ্গে কমিশন সচিব মো. জাহাংগীর আলমও ছিলেন।

সংবিধান অনুযায়ী সংসদের পাঁচ বছর মেয়াদ শেষ হওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। বর্তমান সংসদের মেয়াদ ২০২৪ সালের ২৯ জানুয়ারি শেষ হবে। এক্ষেত্রে ৯০ দিনের গণনা শুরু হবে ২০২৩ সালের ১ নভেম্বর থেকে। নভেম্বরের মাঝামাঝি জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা ও জানুয়ারিতে নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে।

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আসনভিত্তিক ভোটার তালিকা চূড়ান্ত করেছে নির্বাচন কমিশন। এতে মোট ভোটার ১১ কোটি ৯৬ লাখ ৯১ হাজার ৬৩৩। মোট ভোটারের মধ্যে নারী ৫ কোটি ৮৯ লাখ ১৯ হাজার ২০২, পুরুষ ভোটার ৬ কোটি ৭ লাখ ৭১ হাজার ৫৭৯ এবং তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার ৮৫২ জন।

সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে তরুণদের অন্তর্ভুক্ত হওয়ার সুযোগ দেওয়ায় ভোটার সংখ্যা বেড়েছে ৫ লাখ ৪০ হাজার ১৯৩ জন। জেলা নির্বাচন কর্মকর্তারা দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য ৩০০ আসনভিত্তিক ভোটার তালিকা চূড়ান্ত করেছে ইসি। এ তালিকা অনুযায়ী সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ করা হবে।

ইসি জানায়, জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করা দীর্ঘদিনের রীতি রয়েছে। এরপরই তফসিল ঘোষণা হবে। ১৪ অথবা ১৫ নভেম্বর তফসিল ঘোষণা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানায় ইসি। ডিসেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহে বা জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে নির্বাচন হবে। এরই মধ্যে ১ নভেম্বর প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের সঙ্গে বৈঠক করেছে ইসি।




নির্বাচনের তফশিল আগামী সপ্তাহে

জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনে প্রস্তুত নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এখন বাকি তফশিল ঘোষণাসহ অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতা। তফশিল ঘোষণার আগে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করে থাকে নির্বাচন কমিশ।

ওই রেওয়াজ অনুযায়ী আজ বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যাচ্ছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল ও নির্বাচন কমিশনার। আগামী সপ্তাহে এ নির্বাচনের তফশিল ঘোষণা করতে যাচ্ছে ইসি।

জানুয়ারির প্রথম দিকে ভোটগ্রহণের পরিকল্পনা রয়েছে। নির্বাচন কমিশন সচিব মো. জাহাংগীর আলম গতকাল জানিয়েছেন, নির্বাচনের তফশিল ঘোষণার পরিবেশ রয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্বাচন আয়োজনে বদ্ধপরিকর ইসি। এদিকে জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ভোটসংক্রান্ত প্রচার শুরু করেছে কমিশন। ইসি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাতে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনে এখন পর্যন্ত যেসব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে তার সারসংক্ষেপ জানাবে কমিশন। ভোটগ্রহণের পরিকল্পনা সম্পর্কেও রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করবে। প্রস্তুতি নিয়ে রাষ্ট্রপতির পরামর্শ ও নির্দেশনা দিলে তা শুনবে কমিশন।

এরপরই আগামী সপ্তাতে কমিশন সভা করে নির্বাচনের তফশিল চূড়ান্ত করবে ইসি। জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে তফশিল ঘোষণা করবেন সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল। রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন বিটিভি ওই ভাষণ সম্প্রচার করবে।

ওই ভাষণে সব দলকে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানাবেন সিইসি। ওই ভাষণে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার কারণে নির্বাচন আয়োজন করছেন বলেও উল্লেখ করা হতে পারে। রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাতের সময়সূচি নিয়ে বুধবার সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম। নির্বাচন আয়োজন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নির্বাচনের তফশিল ঘোষণার মতো পরিবেশ রয়েছে।

নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্বাচন আয়োজনে বদ্ধপরিকর ইসি। সব প্রস্তুতি গুছিয়ে আনা হয়েছে। নভেম্বরের প্রথমার্ধে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের তফশিল ঘোষণা হবে। তিনি বলেন, সংবিধান অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্বাচন আয়োজন করতে হবে। রেওয়াজ অনুযায়ী তফশিল ঘোষণার আগে কমিশন রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে। এ ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার এ সাক্ষাতের সূচি রয়েছে।

সংবিধান অনুযায়ী, জাতীয় সংসদের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগের ৯০ দিনের মধ্যে ভোটগ্রহণের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। একাদশ জাতীয় সংসদের মেয়াদ ২৯ জানুয়ারিতে শেষ হবে। এই হিসাবে ২৮ জানুয়ারির মধ্যে ভোটগ্রহণের কথা রয়েছে।

ওই সময়ের মধ্যেই নির্বাচন করতে যাচ্ছে কমিশন। যদিও নির্বাচনকালীন সরকার পদ্ধতি পরিবর্তনের দাবিতে বিএনপিসহ বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল নির্বাচন আয়োজনের বিরোধিতা করে আসছে।

এই ইস্যুতে অনেক দল নির্বাচনে অংশ নেবে না বলেও জানিয়ে আসছে। তবে তাদের ওই দাবি আমলে নিচ্ছে না ইসি। সংবিধানিক বাধ্যবাধকতার কথা জানিয়ে নির্দিষ্ট সময়ে ভোটগ্রহণে অনড় কমিশন।

নির্বাচন কমিশন সচিব গতকালও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ভোটগ্রহণের কথা পুনর্ব্যক্ত করেছেন। তিনি বলেছেন, নভেম্বরের দ্বিতীয়ার্ধের যে কোনো দিন তফশিল ঘোষণা করা হতে পারে। সে হিসাবে ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে বা জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে নির্বাচন হতে পারে। নির্বাচনের তফশিল ঘোষণা নিয়ে এখনো কমিশন সভা অনুষ্ঠিত হয়নি।

১২-১৪ নভেম্বরের মধ্যে তফশিল ঘোষণা করা হবে কিনা-এমন প্রশ্নের জবাবে জাহাংগীর আলম বলেন, কমিশন যখন সিদ্ধান্ত নেবে, তখন তা গণমাধ্যমে জানানো হবে। নির্বাচন কমিশনের যেসব প্রস্তুতিমূলক কাজ রয়েছে তার সব এগিয়ে রয়েছে। নির্বাচনি মালামালও ধাপে ধাপে জেলা পর্যায়ে পাঠানো হচ্ছে।

কয়েকটি রাজনৈতিক দলের বিরোধিতার মুখে নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার বিষয়ে সচিব বলেন, পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মাঠে থাকবেন। ভোটাররা নির্বিঘ্নে যাতে ভোট দিতে পারেন, সে বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পরিপত্র জারি করবে।

নির্বাচনি প্রচার শুরু : আসন্ন সংসদ নির্বাচনে ভোটারদের উৎসাহিত করতে প্রচার চালাবে নির্বাচন কমিশন। বুধবার নির্বাচন কমিশনের ফেসবুক পেজে ওই প্রচার শুরু করেছে। ২০০৫ সালের ১ জানুয়ারির আগে যাদের জন্ম সেসব ভোটাররা এ নির্বাচনে ভোট দিতে পারবেন বলে প্রচার চালানো হচ্ছে। এতে বলা হচ্ছে, ওই সময়ের পরে যাদের জন্ম তাদের পরিচয়পত্র থাকলেও তারা ভোট দেওয়ার যোগ্য হবেন না। নির্বাচনে ভোট দিতে জাতীয় পরিচয়পত্র থাকার প্রয়োজন হবে না বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।

সূত্র যুগান্তর




ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবের দ্বি-বার্ষিক নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা

ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবের দ্বি-বাষিক নির্বাচন (২০২৪-২৫) বর্ষের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় প্রেসক্লাবের নির্বাহী কমিটির সভায় এই তফসিল ঘোষণা করা হয়।

প্রেসক্লাবের সভাপতি এম রায়হানের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ হাসান টিপুর সঞ্চালনায় নির্বাহী কমিটির সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক আগামী ২ডিসেম্বর সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত বিরতিহীন ভাবে ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবের ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হবে।

নির্বাচনে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করবেন এ্যাড.সুভাষ বিশ্বাস মিলন। নির্বাচনে সভাপতি, সহ-সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, সহ-সম্পাদক, দপ্তর সম্পাদক, প্রচার সম্পাদক, ক্রীড়া সম্পাদক, সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক, সাংস্কৃতিক সম্পাদক, আইসিটি বিষয়ক সম্পাদক ও ৭টি নির্বাহী সদস্যপদসহ মোট ১৭টি পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।




শিক্ষাঙ্গনে এখন সন্ত্রাস নেই কেন?

রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মাধ্যমে অর্জিত স্বাধীনতাকে পূর্ণতা দান করতে প্রয়োজন ছিলো সুশিক্ষা ও দক্ষ মানবসম্পদ সৃষ্টি, যাতে ছোট্ট আয়তনের দেশটি অধিক জনসংখ্যার চাপ কিছুটা হলেও সামাল দিতে পারে।

তাই স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পাওয়া খাতগুলোর একটি হচ্ছে শিক্ষা। শিক্ষাখাতটি গুরুত্ব পেয়েছিলো বলেই স্বাধীনতা অর্জনের ছয় মাসের মধ্যেই পাকিস্তানী শাসকগোষ্ঠীর রেখে যাওয়া শিক্ষা ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে গঠন করা হয় একটি কমিশনের।

গত দশ বছরে প্রাথমিক শিক্ষা, মাধ্যমিক শিক্ষা, কারিগরি শিক্ষা, মাদ্রাসা শিক্ষা এবং উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রে সরকারের সাফল্য আজ আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হচ্ছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ঝরে পড়া রোধ, শিক্ষার প্রসার, বাল্য বিবাহ রোধ, নারীর ক্ষমতায়ন, আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে নারীর অংশগ্রহণ বৃদ্ধিসহ সমতা বিধানের লক্ষ্যে সামাজিক নিরাপত্তাবেষ্টনীর আওতায় বিভিন্ন প্রকল্পগুলো ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হচ্ছে।
অন্যদিকে ডিজিটাল পদ্ধতির আওতায় মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে শিক্ষা মন্ত্রণালয় উপবৃত্তির টাকা অনলাইনে প্রদান করেছে।

সবার জন্য শিক্ষা নিশ্চিত করা আর শিক্ষায় নারী-পুরুষের সমতা অর্জনের ক্ষেত্রে রীতিমতো বিপ্লব ঘটেছে বাংলাদেশে যা, বিশ্বের বহু দেশের কাছে অনুকরণীয়। সাক্ষরতার হার বৃদ্ধি, বিদ্যালয়ে ভর্তির হার শতভাগ, ছাত্র-ছাত্রীর সমতাসহ শিক্ষার অধিকাংশ ক্ষেত্রেই রোল মডেল এখন বাংলাদেশ।

বিশ্বব্যাংক, ইউনেস্কো, বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামসহ আন্তর্জাতিক দাতা ও গবেষণা সংস্থা বাংলাদেশের শিক্ষার অগ্রগতিকে অন্যদের জন্য উদাহরণ হিসেবে অভিহিত করেছে। শিক্ষায় নারী-পুরুষের সমতা অর্জনে বাংলাদেশ ছুঁয়েছে নতুন মাইলফলক।

মানব সম্পদ উন্নয়নে বিনিয়োগ হওয়ায় বাংলাদেশ টেকশই ফল বয়ে এনেছে। লাখ লাখ শিশুকে বিদ্যালয়ে নিয়ে আসা, নারী সাক্ষরতার মহার বৃদ্ধি মাতৃ মৃত্যুর হার কমিয়ে আনাকে উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে বিশ্ব ব্যাংকের প্রতিবেদনে।

১৯৯৬ সালে শেখ হাসিনা সরকার গঠনের পর বাংলাদেশে উচ্চ শিক্ষার দ্বার উন্মুক্ত হয়। গড়ে ওঠে নতুন নতুন পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়। তবে ২০০৯ থেকে গত ১০ বছরে দেশে উচ্চ শিক্ষার সুযোগ নতুন উচ্চতায় পৌঁছে গেছে। দেশে নতুন ২২ টি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা হয়েছে।

সরকারি পৃষ্ঠপোষকতার বাইরে বেসরকারি উদ্যোগে ৫২ টি বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদন দেয়া হয়েছে। উচ্চ শিক্ষার গুণগতমান নিশ্চিতকরণ এবং আন্তর্জাতিকীকরণের লক্ষ্যে Accreditation Council আইন পাস করা হয়েছে। উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১৭ লাখ থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ৩৮ লাখে উন্নীত হয়েছে।

শিক্ষার গুনগত মান উন্নোয়ন ও কারিগরি শিক্ষার প্রসারের পাশাপাশি দেশের সার্বিক ক্ষেত্রে শিক্ষার পরিবেশ উন্নত হয়েছে। শিক্ষার কার্যক্রমের বিভিন্ন দিক ডিজিটালাইজেশন হওয়ার কারনে শিক্ষাক্ষেত্রে দুনীর্তি রোধ হচ্ছে। পাশাপাশি শিক্ষাঙ্গনের পরিবেশ উন্নতি হয়েছে। দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সন্ত্রাসী কার্যক্রম আর নেই।

পূর্বে ‘শিক্ষাঙ্গনে সন্ত্রাস’ এই কথাটি জনগণের মনে ভীতির সৃষ্টি করতো। এক সময় ছিল যখন বিশ্ববিদ্যালয় যেনো হয়ে উঠছিল রাজনৈতিক সন্ত্রাস এর স্থান, জামায়াত ইসলামি এবং বিএনপি যখন রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে ছিল তখন ছাত্রনেতাদের উদ্বত্ব যেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশের জন্য হুমকিতে পরিণত হয়েছিল, সুষ্ঠুভাবে ক্লাস ও পরীক্ষাতো দূরের কথা ছাত্র-ছাত্রী/কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ভীতির সমুখে মাথা তুলে দাঁড়াতে পারতো না, বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রাবাস যেন পরিণত হয়েছিল সন্ত্রাসীদের স্থায়ী বাসস্থান।
সাধারণ ছাত্রদের কোন স্থান ছিলনা সেখানে।

কেউ যদি কোনদিন কিছু বলার সাহস করতো তাহলে তার হাত ও পায়ের রগ কেঁটে দিয়া হতো নিঃসংশ ভাবে, সর্বস্তরে সন্ত্রাস ছড়িয়ে পড়ায় শিক্ষা ব্যবস্থা প্রায় মন্থর হয়ে পরেছিল।

বর্তমান সরকার তাদের সুদক্ষ পরিকল্পনার মাধ্যমে শিক্ষাঙ্গন সন্ত্রাস মুক্ত করে গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছে, এখন প্রতিটি বিভাগীয় শহরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠায় অনেক শিক্ষার্থী শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ পাচ্ছে।

বিভিন্ন অনলাইন শিক্ষানীতি যেমন- ভর্তি করণ, রেজিস্ট্রেশন, পরীক্ষা বিভিন্ন জাটিল প্রক্রিয়াগুলি মানুষ নির্বিঘ্নে করতে পারছে। এখন আর নেতাদের চাপের মুখে পরতে হচ্ছে না, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক কার্যক্রম এখন সুষ্ঠুভাবে করা সম্ভব হচ্ছে।

টেন্ডার জমা দেওয়া থেকে শুরু করে পরীক্ষার ফল প্রকাশ পর্যন্ত অনলাইন এর মাধ্যমে সুষ্ঠুভাবে করা সম্ভব হচ্ছে। এই সুযোগ গুলির কারণে এখন আর সন্ত্রাস শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্থান পাচ্ছে না।

অধ্যাপক ড. হিমাংশু ভৌমিক, ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, গাজীপুর