আলমডাঙ্গার পাইকপাড়ায় সড়কে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ

নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার করার অভিযোগে আলমডাঙ্গা উপজেলার আইলহাঁস ইউনিয়নের পাইকপাড়া গ্রামের একটি সড়কের নির্মাণকাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। শনিবার সকালে ওই কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়। এলাকাবাসীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয় ওই কাজ বন্ধ করে।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর আলমডাঙ্গা উপজেলা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় আইলহাঁস ইউনিয়নের পাইকপাড়া ডালিমশাহ মাজার থেকে পাইকপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত ১২০ মিটার সড়ককে পাকা সড়কে উন্নীত করার কাজ শুরু হয়। প্রায় ১০ লাখ টাকা ব্যয়ে প্রকল্পের এই অংশের একটি কাজের মান নিয়ে এলাকাবাসী ক্ষুব্ধ।

আজ শনিবার সকালে পাইকপাড়া এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, সাত ফিট প্রস্থের ওই সড়কের কোথাও বালি আছে ইটের খোয়া নেই, কোথাও সড়কের মধ্যে নিম্নমানের ইটের টুকরা ট্রাক্টরে করে ফেলা হচ্ছে। এ নিয়ে এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয় আজ কাজ বন্ধ করে দেয়।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে পাইকপাড়া এলাকার অন্তত তিনজন ব্যক্তি বলেন, এই রাস্তাটি পাইকপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাসহ স্থানীয়রা ব্যবহার করেন। দীর্ঘদিন কাদাঁ-মাটির রাস্তায় চলাচলে স্কুলের শিক্ষার্থীদের কষ্ট পোহাতে হত। তবে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করে দ্রুত শেষ করার চেষ্টা করছে।

এলজিইডির আলমডাঙ্গা উপজেলা কার্যালয়ের সহকারী প্রকৌশলী লিয়াকত আলী বলেন, চুয়াডাঙ্গার একজন ঠিকাদার সড়কটি কাজ করছেন। তবে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগে কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। নিম্নমানের সামগ্রী তুলে ভালো মানের ইট ব্যবহারে নির্দেশে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

নিম্নমানের ইট ব্যবহারের অভিযোগের বিষয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মালিক জহুরুল ইসলামের সাথে মোবাইলে কথা হলে তিনি জানান, ‘কাজটি অনেক আগের প্রকল্পের। তখন নির্মাণসামগ্রীর দাম কম ছিল, এখন দাম বেড়েছে। যেহেতু অভিযোগ উঠেছে, আমরা এখন উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয়ের সঙ্গে সমন্বয় করে ভালো করে কাজ করব। এছাড়া অভিযোগের ইটগুলো অপসারণ করা হচ্ছে এবং আরো ভালো মানের ইট দেওয়া হচ্ছে।




উৎসবের মেজাজেই হবে ভোট, ৯০ কূটনীতিককে জানাল বাংলাদেশ

বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচন নিয়ে আন্তর্জাতিক বিশ্বের উদ্বিঘ্ন হওয়ার কোনও কারণ নেই, বরং উৎসবের মেজাজে সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও অবাধ নির্বাচন হবে। বাংলাদেশের নির্বাচন সরেজমিনে দেখে যাওয়ার জন্য দেশগুলোকে পর্যবেক্ষক পাঠানোরও অনুরোধ জানিয়েছেন পররাষ্ট্র সচিব।

শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় দিল্লিতে এক বিশেষ ব্রিফিংয়ে এই দেশগুলোর রাষ্ট্রদূত বা শীর্ষ কূটনীতিবিদদের নির্বাচনী পরিস্থিতি সম্পর্কে অবহিত করেন বাংলাদশের পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন। সেখানে এমন কথাই আনুষ্ঠানিকভাবে বিশ্বের প্রায় ৯০টি রাষ্ট্রকে জানিয়েছে বাংলাদেশ।

৯০টি দেশ হলো এমন দেশ, যাদের বাংলাদেশে সরাসরি কোনও দূতাবাস বা মিশন নেই, কিন্তু দিল্লিতে নিযুক্ত তাদের রাষ্ট্রদূতরাই বাংলাদেশ সংক্রান্ত ঘটনাবলি দেখে থাকেন। আর এরকমই প্রায় ৯০টি দেশের প্রতিনিধিরা হাজির ছিলেন দিল্লিতে বাংলাদেশ হাই কমিশন প্রাঙ্গণে বঙ্গবন্ধু হলে আয়োজিত সেই ব্রিফিংয়ে।

বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পশ্চিমা দেশগুলো, বিশেষ করে আমেরিকা বা ইউরোপীয় ইউনিয়ন যে ধরনের ‘অতি-সক্রিয়তা’ দেখাচ্ছে, সেই পটভূমিতে এই ব্রিফিং ছিল বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ! বাংলাদেশে বিগত দেড় দশক ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যে আর্থসামাজিক উন্নয়নের কর্মকাণ্ড চলছে এবং গণতান্ত্রিক ঐতিহ্যের পরম্পরা বহমান আছে, তাতে দেশের নির্বাচন নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উদ্বেগের বা বিচলিত হওয়ার কোনও কারণ নেই– মূলত এই বক্তব্যই ব্রিফিংয়ে তুলে ধরা হয়।

শনিবার (২৫ নভেম্বর) দুপুরে দিল্লিতে ভারতের সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময়ে মাসুদ বিন মোমেন বলেন, ‘আমাদের নির্বাচন নিয়ে যে পারসেপশন সেটাই আমরা এই দেশগুলোর কাছে তুলে ধরেছি। পরিস্থিতি নিজের চোখে দেখে যেতেও আহ্বান জানিয়েছি। আমাদের নির্বাচন যে পুরোপুরি শান্তিতে ও আনন্দমুখর পরিবেশেই হবে সেটাও তাদের আশ্বস্ত করেছি।’

বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘বিশ্বের আরও বহু গণতান্ত্রিক দেশের মতোই বাংলাদেশেও নির্বাচন কোনও উৎসবের চেয়ে কম নয়। বাংলাদেশের মানুষও ওই উৎসবে শামিল হওয়ার জন্য এবং নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করে পছন্দের জনপ্রতিনিধিকে বেছে নেওয়ার জন্য উন্মুখ হয়ে অপেক্ষা করছেন।’

রাষ্ট্রদূতদের জন্য এই বিশেষ ব্রিফিংয়ের ঠিক আগে শুক্রবার পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন ভারতে তার কাউন্টারপার্ট বিনয় মোহন কোয়াটরার সঙ্গে ‘ফরেন অফিস কনসালটেশনে’ মিলিত হন। দিল্লির হায়দ্রাবাদ হাউসে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে বিভিন্ন দ্বিপাক্ষিক ইস্যুর মধ্যে বছর তিনেক বাদে নির্ধারিত গঙ্গা চুক্তির নবায়ন এবং তিস্তার অমীমাংসিত ইস্যু নিয়েও আলোচনা হয়েছে।




ঝিনাইদহে নারীনির্যাতন বিরোধী আন্তর্জাতিক প্রতিবাদ দিবস পালিত

ঝিনাইদহে নারীনির্যাতনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক প্রতিবাদ দিবস পালিত হয়েছে। ঝিনাইদহ দূর্বার নেটওয়ার্ক ও নারীপক্ষের আয়োজনে আজ শনিবার সকালে ওয়েলফেয়ার এফোর্টস (উই)’র কার্যালয় চত্বর থেকে একটি র‌্যালী বের করা হয়। র‌্যালীটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে পায়রা চত্ত্বরে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে অনুষ্ঠিত হয় মানববন্ধন।

কর্মসূচীতে ঝিনাইদহ সরকারি নুরুন্নাহার মহিলা কলেজের সাবেক উপাধ্যক্ষ এন.এম.শাহাজালাল, ওয়েলফেয়ার এফোর্টস (উই)’র পরিচালক শরিফা খাতুনসহ অন্যান্যরা বক্তব্য রাখেন।

বক্তারা, নারীর নিরাপদ জীবন বির্নিমানে ব্যক্তি, সমাজ ও রাষ্ট্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত সংশ্লিষ্ট সকলকে দায়িত্ব পালনের প্রতি জোর দাবী জানান।




মেহেরপুর জেলা নারী নির্যাতন প্রতিরোধ ফোরামের দ্বি-মাসিক সভা অনুষ্ঠিত

মউকের উদ্দোগে মেহেরপুর জেলা জাতীয় নারী নির্যাতন প্রতিরোধ ফোরামের দ্বি-মাসিক সমন¦য় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

আজ শনিবার সকাল ১০ টার সময় মানব উন্নয়ন কেন্দ্র (মউক) এর হলরুমে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। জেলা পরিষদের সদস্য মোছাঃ শামিমা আক্তার হিরার সভাপতিত্বে সভাটি পরিচালনা করেন মউকের নির্বাহী প্রধান আসাদুজ্জামান সেলিম।

এসময় নারী ও শিশু নির্যাতন ও বাল্য বিবাহ প্রতিরোধে বিভিন্ন আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন মেহেরপুর সদর উপজেলা ভাইস-চেয়ারম্যান আবুল হাশেম, জেলা পরিষদের সদস্য মোঃ আজিমুল বারি (মুকুল), সাবেক প্যানেল মেয়র মোঃ নবীরউদ্দিন, বিশিষ্ট সাংবাদিক আমিরুল ইসলাম অল্ডাম এবং নারী নেত্রী মোছাঃ জাকিয়া আক্তার আল্পনা সহ আরো অনেকে।

সভার কার্যবিবরণী পাঠ করেন মানব উন্নয়ন কেন্দ্র (মউক) এর নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ প্রকল্পের প্রোগ্রাম ম্যানেজার ফাহিমা আখতার। মেহেরপুর জেলার বর্তমান পারিবারিক সহিংসতা সহ নারী ও শিশু নির্যাতনের উপর বিভিন্ন তথ্য বহুল আলোচনা করে সকল ধরনের নির্যাতিতদের পাশে থেকে এই কমিটি কাজ করার অঙ্গিকার ব্যক্ত করেন মউকের প্রোগ্রাম ম্যানেজার মোছাঃ ফাহিমা আখতার ও মেহেরপুর জেলা জাতীয় নারী নির্যাতন প্রতিরোধ ফোরামের সম্মানিত সদস্যগণ।




স্নাতক পাসে নিয়োগ দেবে এমএসএস

নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে মানবিক সাহায্য সংস্থা (এমএসএস)। প্রতিষ্ঠানটিতে প্রশিক্ষণার্থী শাখা হিসাবরক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহী যোগ্য প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন।

পদের নাম

প্রশিক্ষণার্থী শাখা হিসাবরক্ষক।

পদসংখ্যা

এই পদে সর্বমোট ৫০ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে।

শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা

প্রার্থীকে বানিজ্য বিভাগে স্নাতক/স্নাতকোত্তর পাস প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন। বয়স সর্বোচ্চ ৩২ বছর। পুরুষ এবং নারীরা আবেদন করতে পারবেন। শিক্ষানবিশকাল ছয় মাস, তবে কর্মক্ষেত্রে দক্ষতার ভিত্তিতে শিক্ষানবিশকাল হ্রাস/বৃদ্ধি করা হতে পারে। সংস্থার যেকোনো কর্ম এলাকায় কাজ করতে আগ্রহী হতে হবে। কম্পিউটারে ওয়ার্ড, এক্সেল, বাংলা ও ইংরেজি টাইপিং এবং ইন্টারনেট ব্যবহার জানা প্রার্থীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। যোগদানের সময় নির্বাচিত প্রার্থীর পক্ষে মা/বাবা/আপন ভাই/বোন/নিকটতম আত্মীয় কর্তৃক দুইজন জামিনদার হিসেবে নিশ্চয়তা প্রদান করতে হবে। চাকুরিতে যোগদানের সময় সংস্থার নিয়মানুযায়ী ১০,০০০/- টাকা জামানত হিসাবে প্রদান করতে হবে যা নির্দিষ্ট সময়ান্তে সংস্থা ত্যাগকালে সংস্থায় প্রচলিত নিয়মানুযায়ী লভ্যাংশসহ ফেরৎ প্রদান করা হবে। আবেদনপত্রে অবশ্যই সচল মোবাইল নাম্বার উল্লেখ করতে হবে।

কর্মস্থল

বাংলাদেশের যেকোনো স্থানে।

বেতন

শিক্ষানবিশকালে সর্বসাকুল্যে মাসিক বেতন ১৬,০০০-১৭,০০০ টাকা।এবং স্থায়ীকরণের পর ২২,০৭২-২৩,১৭৯ টাকা।

কোম্পানির সুযোগ সুবিধাদি

চাকুরি স্থায়ীকরণের পর সংস্থার নিয়মানুযায়ী প্রভিডেন্ট ফান্ড, গ্রাচ্যুইটি, উৎসব বোনাস ও ইনসেনটিভ বোনাস, বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট, চিকিৎসা অনুদান, মৃত্যু/দুর্ঘটনা জনিত (বীমা সুবিধার ন্যায়) আর্থিক সহায়তা ও সন্তানদের জন্য শিক্ষা বৃত্তি, বাই-সাইকেল/মটর সাইকেলের সুদবিহীন ঋণ, কর্মী নিরাপত্তা তহবিল, মোটরসাইকেল জ্বালানি ও রক্ষণাবেক্ষণ ভাতা, মোবাইল ফোন ভাতা সুবিধাসহ সংস্থার বিধি মোতাবেক অন্যান্য সুবিধা প্রদান করা হবে। চূড়ান্ত নির্বাচিত নারী প্রার্থীদের পার্শ্ববর্তী উপজেলায় এবং পুরুষ প্রার্থীদের পাশ্ববর্তী জেলায় পোস্টিং দেয়া হবে (সুযোগ থাকা সাপেক্ষে)

আবেদনে প্রক্রিয়া

আগ্রহী প্রার্থীকে পূর্ণাঙ্গ জীবন বৃত্তান্তসহ সকল প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার সনদপত্র ও জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি এবং সদ্য তোলা এক কপি পাসপোর্ট সাইজ রঙ্গীন ছবিসহ আবেদন আগামী ২০/১২/২০২৩ইং তারিখের মধ্যে “নির্বাহী পরিচালক, মানবিক সাহায্য সংস্থা (এমএসএস), ২৯, পশ্চিম পান্থপথ (চতুর্থ তলা) ঢাকা-১২০৫” বরাবর হাতে হাতে/ডাক/কুরিয়ার যোগে পাঠাতে হবে।

নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির সংশোধন/সংযোজনসহ নিয়োগ বাতিল করার ক্ষমতা সংরক্ষণ করে। নির্বাচনী পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য কোন প্রকার টিএ/ডিএ প্রদান করা হবে না।

আবেদনের শেষ তারিখ

২০ ডিসেম্বর ২০২৩

সূত্র : বিডিজবস।




পৃথিবীর প্রথম কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সিইও মিকা

পোল্যান্ডের অ্যালকোহল ও বেভারেজ কোম্পানি ডিকটেডর প্রথম হিউম্যানয়েড রোবট ‘মিকা’কে সিইও হিসেবে নিয়োগ করেছে। এবার এই রোবটের নির্দেশনা অনুসারে প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা দায়িত্বপালন করবে। মিকা সোফিয়ার প্রোটোটাইপ, তবে আরও উন্নত সংস্করণ।

পোল্যান্ডের অভিজাত রাম উৎপাদনকারী ডিকটেডরের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষরের পরের দিন অর্থাৎ ১ সেপ্টেম্বর, ২০২২ থেকেই মিকা তার অফিসিয়াল ক্যারিয়ার শুরু করেন। ডিকটেডর পরিচালনা পর্ষদের এই সিদ্ধান্তকে প্রতিষ্ঠানটির ইউরোপ অংশের প্রেসিডেন্ট মারেক একই সাথে বৈপ্লবিক ও সাহসী বলে আখ্যায়িত করেছেন।

পোল্যান্ডের অ্যালকোহল ও বেভারেজ কোম্পানি ডিকটেডর, হংকং-ভিত্তিক রোবোটিক্স কোম্পানি হ্যানসন রোবোটিক্সের সহযোগিতায় এই হিউম্যানয়েড রোবটকে সিইও হিসেবে তৈরি করেছে। বিশ্বে এমন মানব সদৃশ রোবট সিইও নিয়োগের ঘটনা প্রথম ঘটল।

ডিকটেডর মিকার একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে। সেখানে সে বলেছে, সে উন্নত এআই এবং মেশিন লার্নিং অ্যালগরিদম ব্যবহার করে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারে। মিকা আরও জানায়, তার নেওয়া সিদ্ধান্ত কোনো ব্যক্তিগত স্বার্থের ওপর নির্ভর করে না। নির্ভুল গণনার মাধ্যমে কোম্পানির নীতি অনুযায়ী উপযুক্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারে সে। যদিও ডিকটেডরের কর্মচারী নিয়োগ এবং বরখাস্তের মতো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তগুলো এখনো মানুষের হাতেই থাকছে। মূলত কোম্পানির পণ্য ডিজাইন করার জন্য শিল্পী বাছাই করার মতো কাজ করছে মিকা।

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া




মেহেরপুরে খুচরা সার বিক্রেতা সামতির আলোচনা সভা

মেহেরপুর জেলা খুচরা সার বিক্রেতা সমিতির আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় বিসিআইসি সার ডিলারদের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে তাদের অধিকার আদায়ে সোচ্চার হন বিক্রেতারা।

শনিবার দুপুরে মুজিবনগর পর্যটন মোটেলে সংগঠনের সভাপতি শাহিনুল ইসলাম শাহীনের সভাপতিত্বে আলোচনায় আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর শিল্প ও বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আরিফুল এনাম বকুল।

সোহরাভ হোসেনের সঞ্চালনায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাধারণ সম্পাদক মমতাজ উদ্দিন, জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য ও গাংনী খুচরা সার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি তৌহিদ মুর্শেদ অতুল, সাধারণ সম্পাদক আনিছুর রহমান, মুজিবনগর উপজেলা শাখারণ সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব হোসেন, জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য খাজা মইনুদ্দিন লিটন, আবুল বাশার, আব্দুল বারী, সাজ্জাদুর রহমান।

শাহিনুল ইসলাম শাহীন বলেন, বিসিআইসি ডিলার ষড়যন্ত্রে খচুরা সার বিক্রেতা সমিতিকে ধ্বংস করার চেষ্টা করা হচ্ছে। খুচরা ব্যবসায়ীদের সরকার লাইসেন্স দিয়েছে কিন্তু ডিলারদের কারণে আমরা ব্যবসা করতে পারি না। আপনারা নিয়মের মধ্যে থেকে ব্যবসা করবেন। কোন ডিলার যদি অনিয়ম করে আপনারা প্রতিবাদ করবেন। আপনাদের সঙ্গে সংগঠণ থাকবে।

তৌহিদ মুর্শেদ অতুল বলেন, দেশের মানুষের খাদ্য ঘাটতি যাতে না হয়, সেজন্য এক ইঞ্চি জমিও ফেলে রাখা যাবে না। খুচরা সার বিক্রেতারা বিসিআইসি ডিলারদের মাধ্যমে পদে পদে বাধাগ্রস্থ হয়।

প্রধান অতিথির বক্তব্য আরিফুল এনাম বকুল বলেন, খুচরা সার বিক্রেতাদের অধিকার আদায়ে ব্যবসায়ী নেতাদের পক্ষ যা করার চেম্বার অব কমার্স থেকে করা। জেলা প্রশাসনের প্রতি আহবান জানায় খুচরা বিক্রেতাদের অধিকার নিয়ে যাতে ডিলাররা কোন ধরণের পক্ষপাত না করে।

জেলার দেড় শতাধিক খুচরা সার ব্যবসায়ী এ সভায় অংশ নেন।




গাংনীতে প্রথমবারের মত নাগরিকত্ব অলিম্পিয়াড অনুষ্ঠিত

সচেতন, সংগঠিত ও সোচ্চার নাগরিকই গণতন্ত্রের রক্ষাকবচ’ স্লোগানকে সামনে রেখে দি হাঙ্গার প্রজেক্টের সহযোগিতায় ও প্রিস ফ্যাসিলিটেটর গ্রুপ (পিএফজি) আয়োজনে মেহেরপুরের গাংনীতে অনুষ্ঠিত হয়েছে প্রথম নাগরিকত্ব অলিম্পিয়াড।

শনিবার সকাল ১০ টায় গাংনীর সরকারি ডিগ্রি কলেজ অডিটোরিয়ামে এই অলিম্পিয়াড অনুষ্ঠিত হয়।

সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও কলেজ শিক্ষক আবু সাদাত মো: সায়েম পল্টুর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- গাংনী সরকারী ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মনিরুল ইসলাম।

পিস ফ্যাসিলেটর গ্রুপ (পিএসজি) গাংনীর সমন্বয়কারী সাংবাদিক রফিকুল আলম বকুলের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন গাংনী থানা অফিসার ইনচার্জ তাজুল ইসলাম, দি হাঙ্গার প্রজেক্টের আঞ্চলিক সমন্বয়কারী খোরশেদ আলম, অবসরপ্রাপ্ত সহকারী অধ্যাপক আব্দুর রশিদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম, প্রধান শিক্ষক সৈয়দ জাকির হোসেন, প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান, গাংনী পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় এন্ড কলেজের প্রভাষক শফি কামাল পলাশ, গাংনী মহিলা ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক মহিবুর রহমান মিন্টু,করমদি ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক আমজাদ হোসেন, সহকারী অধ্যাপক মাসুদ রানা, গাংনী সরকারী ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক হোসেন আলী, করমদি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান।

তাদের মধ্যে সেরা দশজনকে আকর্ষণীয় পুরষ্কার ও সকল অংশগ্রহণকারীদের সার্টিফিকেট দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন অনুষ্ঠানের আহবায়ক আবু সাদাত সায়েম পল্টু, আয়োজনে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম, সিনিয়র সাংবাদিক জুলফিকার আলি কানন,আজিজুল ইসলাম রানু, দি হাঙ্গার প্রজেক্টের যশোর এলাকা সমন্বয়কারী, গিয়াসউদ্দিন, গাংনী এলাকা সমন্বয়কারী হেলালউদ্দীন ও উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আমিনুল ইসলাম সেন্টু সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও ছাত্র-ছাত্রীরা উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়া উপস্থিত ছিলেন প্রিস ফ্যাসিলিটেটর গ্রুপ (পিএফজি) নাগরিক প্রকল্পের সদস্যরা ও দি হাঙ্গার প্রজেক্টের সহযোগী সংগঠন ইয়ুথ এন্ডিং হাঙ্গারের অর্ধশতাধিক ইয়ুথ লিডার। অনুষ্ঠানে সুচনা হয়েছিল জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে। পরবর্তীতে নাগরিক অলিম্পিয়াড এ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের নিয়ে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শেষে বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার, লোগো সম্বলিত গেঞ্জি ও সার্টিফিকেট বিতরণ করা হয়।

সকল শিক্ষার্থীদের নিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় স্মার্ট বাংলাদেশ গঠণে যোগ্য, দক্ষ ও যুগোপযোগী নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে শপথ বাক্য পাঠ করানো হয়। শপথ বাক্য পাঠ পর্ব পরিচালনা করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম। অলিম্পিয়াডে অংশগ্রহণ করেন বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রায় ২৫০ জন শিক্ষার্থী।




গাংনীর তেঁতুলবাড়ীয়ায় পিএসকেএসের স্বাস্থ্য ক্যাম্প

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার তেঁতুলবাড়ীয়ায় পলাশী পাড়া সমাজ কল্যাণ সমিতির কার্যালয়ে সমৃদ্ধি কর্মসুচির স্বাস্থ্য ও পুষ্টি কার্যক্রমের আওতায় বিনামূল্যে স্বাস্থ্য ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়।

শনিবার দিনব্যাপী তেঁতুলবাড়ীয়ায় পলাশী পাড়া সমাজ কল্যাণ সমিতির কার্যালয়ে পলাশীপাড়া সমাজ কল্যাণ সমিতির (পিএসকেএস) উদ্যোগে পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) অর্থায়নে গাইনী, মেডিসিন ও চক্ষু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দ্বারা স্বাস্থ্য ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়।

স্বাস্থ্য ক্যাম্পে ইউনিয়নের ৪১ জন গাইনী, ৬১ জন মেডিসিন এবং ১৮৯ জন চক্ষু রোগীসহ ২৯১ জন রোগীকে বিনা মূল্যে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করা হয়। স্বাস্থ্য পরিদর্শক, স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, এসডিও, সমৃদ্ধি কর্মসূচি সমন্বয়কারি মোঃ জামিদুল ইসলাম, পিএসকেএসের সভাপতি রমজান আলী স্বাস্থ্য ক্যাম্পে উপস্থিত ছিলেন।




ড্রাইভিং লাইসেন্সে জন্মতারিখ সংশোধনের দাবীতে চুয়াডাঙ্গায় চালকদের মানববন্ধন

পেশাদার গাড়ি চালকদের ড্রাইভিং লাইসেন্সে ভুল হওয়া জন্মতারিখ সংশোধন ও স্মার্টকার্ড প্রাপ্তিতে সিথিলতা প্রদানের দাবীতে চুয়াডাঙ্গায় মানববন্ধন করেছেন পেশাদার গাড়ি চালকরা। আজ শনিবার (২৫ নভেম্বর) সকাল ১০টায় শহরের শহীদ হাসান চত্বরে চুয়াডাঙ্গা, কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ, মেহেরপুর ও মাগুরা জেলার শতাধিক ভুক্তভোগী গাড়িচালক এ মানববন্ধন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করে।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, কয়েক বছর ধরে স্থানীয় বিআরটিএ কার্যালয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়নের আবেদন ফাইল পড়ে আছে। এসব আবেদনপত্রের কোন সুরাহা হচ্ছে না। ইতিমধ্যে জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী জন্ম তারিখ সংশোধনের দাবী তুলে গত তিনমাসে আরো দু’বার মানববন্ধন করা হয়। একজন পেশাদার চালক ৪/৫ বার নবায়ন করে স্মার্ট কার্ড পাওয়ার পরও বর্তমানে জন্ম তারিখ ভুলের কারণে ড্রাইভিং লাইসেন্স এর নবায়ন করতে পারছেন না। ৪৭৭ নং স্মারকে ২০০১ সালে জন্ম তারিখ সংশোধনের জন্য একটি প্রজ্ঞাপন হয়েছিল। ওই প্রজ্ঞাপনের পর জানামতে ২০১৬ সালে জন্ম তারিখ সংশোধনের জন্য আরো একটি প্রজ্ঞাপন জারি হয়। বর্তমান প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী ভলিউমে সঠিক তথ্য থাকা চালকদের জন্ম তারিখ সংশোধন পূর্বক নবায়নের সুযোগ এবং নন-স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স-এ সিথিলতা করে দ্রুত স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদান করার ব্যবস্থা করা একান্ত প্রয়োজন। এই প্রজ্ঞাপনের আওতায় যেসব ভলিউমে জন্ম তারিখ সংশোধন করা হয়েছে এ সকল নবায়নের লাইসেন্সগুলো পূর্বের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী দ্রুত নবায়নের সুযোগ দিয়ে স্মার্ট কার্ড প্রদান করতে হবে। পূর্বে ২০ বছরের উর্দ্ধে পেশাদার ডাইভিং লাইসেন্স দেয়া হতো। বর্তমানে ২০২১ সালের দিকে এক প্রজ্ঞাপনে ২১ বছরের উর্দ্ধে পেশাদার ডাইভিং লাইসেন্স দেয়ার জন্য বলা হয়েছে। পূর্বে যারা ২০ বছর বয়সের উর্দ্ধে লাইসেন্স পেয়েছেন তারা বর্তমানে নবায়ন করতে এসে ২০২১ সালের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী ২১ বছরের সীমায় অর্থাৎ দেড় বছরের বয়স সীমায় আটকে যাচ্ছন।

তারা আরো বলেন, অনেক চালকের শ্রেণি সংযোজন, শ্রেণি পরিবর্তন, নথিভুক্ত কার্যক্রম এর কয়েক বৎসরের মধ্যে এখনও পর্যন্ত জটিলতা নিরসন হয়নি। অনেক চালকের ফিঙ্গারপ্রিন্ট নেওয়ার পরও জন্ম তারিখের জটিলতার কারণে তারা লাইসেন্স পাচ্ছেন না। প্রধানমন্ত্রীর সুদৃষ্টি কামনা করেছেন। তাদের জীবন যাতে বিপন্ন না হয় সেই বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী দেখবেন বলে আন্দোলনকারী চালকদের বিশ্বাস। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন, পেশাগত দিক বিবেচনা এবং চালকদের পরিবার-পরিজনের মুখের দিকে তাকিয়ে মানবতা ও সহানুতির সাথে বিষয়টি বিবেচনা করা উচিত।

এসময় মানববন্ধনে শ্রমিক নেতাদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন চুয়াডাঙ্গা বাস মিনিবাস মাইক্রোকার কমিটির সাধারণ সম্পাদক রিপন মন্ডল, আন্তজেলা ট্রাক ট্যাংকলরী শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মামুন অর রশিদ মামুন,শ্রমিক নেতা সিরাজুল ইসলাম, মিল্টু জোয়র্দ্দার প্রমুখ।

মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন, চুয়াডাঙ্গা জেলা ট্রাক ট্যাংকলরী ট্র্যাক্টর কার্ভাড ভ্যান দাহ্য পদার্থ বহনকারি ব্যাতিত শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ রফিক, প্রচার প্রকাশনা সম্পাদক আজগার উদ্দিন মুন্না, প্রমুখ। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন জেলার বাস মিসিবাসের চালকবৃন্দরা।