নিজের ভুলের জন্য সাংবাদিকদের কাছে ক্ষমা চাইলেন তিশা

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ কার্যালয়ে এসে সাংবাদিকসহ দেশের সব গণমাধ্যমের কাছে ক্ষমা চাইলেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী তানজিন তিশা। শনিবার (২৫ নভেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে রাজধানীর মিন্টু রোডের ডিবি কার্যালয়ে অভিনয় শিল্পী সংঘের সভাপতি আহসান হাবীব নাসিম ও সাধারণ সম্পাদক রওনক হাসানকে নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন তিশা। তারপর গণমাধ্যমের মুখোমুখি হন তিনি।

এসময় অপ্রত্যাশিত এই ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করেছেন ছোটপর্দার জনপ্রিয় এই অভিনেত্রী।

তিশা বলেন, ‘আপনাদের সকলের ভালোবাসা ও সহযোগিতায় অভিনয়শিল্পী তানজিন তিশা। আমি কয়েকদিন আগে হাসপাতালে অসুস্থ ছিলাম। সেখান থেকে বাসায় ফেরার পর দেখলাম, দুয়েকটি নিউজপোর্টাল আমার আত্মহত্যা চেষ্টা শিরোনামের নিউজ করেছে। এমন সময় সাংবাদিক তামিম (যার সঙ্গে আমার কোনো পূর্ব পরিচয় নেই) সে আমাকে একটা টেক্সট করে, যেটা ওই সময়ের জন্য আমার কাছে যৌক্তিক মনে হয়নি। আমি ভাবতেই পারিনি, এই সময়ে কেউ আমাকে এমন একটি টেক্সট করবে বা একজন নারীকে কেউ এমন প্রশ্ন করতে পারে। আমি সহ্য করতে না পেরে তাকে জানাই, টেক্সেটের বিষয়ে নিউজ করলে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেব।’

তিনি আরও বলেন, ‘তার সঙ্গে ফোনে যেসব শব্দ উচ্চারণ করেছি, আমি জানি তা সঠিক নয়। সেটার জন্য আমি দুঃখপ্রকাশ করেছি, এখনও করছি। এরমধ্যে আমার সঙ্গে কথা বলার কলরেকর্ড অনুমতি ছাড়া প্রচার করা হয়েছে। তা শুনে অন্যান্য সাংবাদিকরা রেগে যায়, যা খুবই যৌক্তিক। তবে আমাকে ও আমার পরিবারকে নিয়ে অনেকে অসত্য, মনগড়া সংবাদ ও লেখা সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন। সেসব দেখে আমি রেগে যাই। তারপর আমি ডিবিতে অভিযোগ করতে আসি। সেখানেও গণমাধ্যমের সামনে তামিম ও প্রতিষ্ঠানের নাম নিয়ে ফেলি। যেটা আমি উদ্দেশ্যমূলকভাবে নিইনি। সেজন্য প্রতিষ্ঠানটির (চ্যানেল টোয়েন্টিফোর) কাছে আমি দুঃখপ্রকাশ করছি। একজনকে নিয়ে প্রতিষ্ঠান চলে না।’

তামিমের বিরুদ্ধে করা অভিযোগ তুলে নেওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি পুলিশের কাছে যে অভিযোগ করেছিলাম, সেটাও তুলে নিচ্ছি। তবে যারা আমার এবং আমার পরিবারকে ঘিরে অসত্য-অসম্মানজনক নিউজ প্রকাশ করেছে, তারা অনুতপ্ত হবে। সেইসঙ্গে লেখাগুলো সরিয়ে নেবেন, সেটাও আমি প্রত্যাশা করি। কারণ এটা একজন শিল্পী বা নারীর জন্য অসম্মানজনক।’

এ সময় তিনি অপসাংবাদিকতা রুখতে মূলধারার সাংবাদিকদের সাহায্য চেয়েছেন। যেন পরে তার মতো কাউকে এমন পরিস্থিতে পড়তে না হয়। প্রসঙ্গত, মূল ঘটনার সূত্রপাত হয় তানজিন তিশার ‘আত্মহত্যাচেষ্টা’র খবর প্রকাশের মধ্য দিয়ে। ১৫ নভেম্বর মধ্যরাতে অচেতন তিশাকে তার বোন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়ার পর এই খবরটি গণমাধ্যমে চলে আসে। মূলত এরপরই তানজিন তিশা ঘটনাটিকে নানাভাবে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন।

সবশেষ ২০ নভেম্বর ডিবি অফিসে গিয়ে চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের সাংবাদিক মাজহারুল ইসলাম তামিমের বিরুদ্ধে সাইবার বুলিংয়ের অভিযোগ তোলেন তিশা। এর আগে তিশা সাংবাদিকদের ‘উড়িয়ে’ দেওয়ার হুমকি দেন, আবার সোশ্যাল হ্যান্ডেলে এরজন্য ক্ষমাও প্রার্থনা করেন।

পরে তানজিন তিশার অপেশাদার বক্তব্য ও কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদে ২১ নভেম্বর এক প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করে বিনোদন সাংবাদিকরা। সেখান থেকে তাকে নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানিয়ে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেওয়া হয়েছিল।

সূত্র: ইত্তেফাক




মেহেরপুরে মাহাবুব চান্দুসহ ১৮১ আসনে জাসদের প্রার্থী চূড়ান্ত

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে ১৮১টি আসনের বিপরীতে দলীয় প্রার্থীর চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করেছে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদ।

গতকাল শুক্রবার রাজধানীর গুলিস্তানে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা (আংশিক) প্রকাশ করে দলটি।

১৮১টি আসনের বিপরীতে জাসদ মনোনীত প্রার্থীরা হলেন- ১। ০০১, পঞ্চগড়-১ : মো. ফারুক আহম্মদ, ২। ০০২, পঞ্চগড়-২ : অ্যাড. তরিকুল ইসলাম, ৩। ০০৩, ঠাকুরগাঁও-১ : মো. খাদেমুল ইসলাম, ৪। ০০৪, ঠাকুরগাঁও-২ : অধ্যক্ষ রাজিউর রহমান বাবুল, ৫। ০০৫, ঠাকুরগাঁও-৩ : মো. সোলায়মান ঢালী, ৬।
০০৭, দিনাজপুর-২ : অ্যাড. ইমামুল ইসলাম, ৭। ০০৮, দিনাজপুর-৩ : শহীদুল ইসলাম শহীদুল্লাহ, ৮। ০০৯, দিনাজপুর-৪: অ্যাড. লিয়াকত আলী, ৯। ০১০, দিনাজপুর-৫ : অধ্যাপক আতাউর রহমান, ১০।
০১১, দিনাজপুর-৬ : শাহ আলম বিশ্বাস, ১১। ০১২, নীলফামারী-১ : মো. খায়রুল আলম (আনাম), ১২। ০১৩, নীলফামারী-২ : জাবির হোসেন প্রামাণিক. ১৩। ০১৪, নীলফামারী-৩ : অধ্যাপক আজিজুল ইসলাম, ১৪। ০১৫, নীলফামারী-৪ : মো. আজিজুল হক, ১৫।
০১৬, লালমনিরহাট-১ : ডা. হাবিব মো. ফারুক, ১৬। ০২০, রংপুর-২ : কুমারেশ রায়, ১৭। ০২১, রংপুর-৩ : সাহীদুল ইসলাম, ১৮। ০২৬, কুড়িগ্রাম-২ : নুরুল ইসলাম বখশী ঠাণ্ডা, ১৯। ০২৮, কুড়িগ্রাম-৪ : মো. গোলাম হাবিবুর রহমান বিদ্যুৎ, ২০। ০২৯, গাইবান্ধা-১ : মো. গোলাম আহসান হাবিব মাসুদ, ২১। ০৩০, গাইবান্ধা-২ : গোলাম মারুফ মনা, ২২। ০৩১, গাইবান্ধা-৩ : এস এম খাদেমুল ইসলাম খুদী, ২৩। ০৩৩, গাইবান্ধা-৫ : ডা. একরাম হোসেন, ২৪। ০৩৪, জয়পুরহাট-১: আবুল খায়ের মো : শাখাওয়াত হোসেন, ২৫। ০৩৫, জয়পুরহাট-২ : আবুল খায়ের মো. শাখাওয়াত হোসেন, ২৬। ০৩৬, বগুড়া-১ : অ্যাড. হাসান আকবর আফজল হারুন, ২৭। ০৩৮, বগুড়া-৩ : আব্দুল মালেক সরকার/আলহাজ মো. ফেরদৌস স্বাধীন (ফিরোজ), ২৮। ০৩৯, বগুড়া-৪ : এ কে এম রেজাউল করিম তানসেন, ২৯। ০৪০, বগুড়া-৫ : রাসেল মাহমুদ, ৩০। ০৪১, বগুড়া-৬ : অ্যাড. এমদাদুল হক ইমদাদ, ৩১। ০৪২, বগুড়া-৭ : মো. আব্দুর রাজ্জাক, ৩২। ০৪৩, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ : অধ্যাপক আবু বাক্কার, ৩৩। ০৪৪, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ : বীর মুুক্তিযোদ্ধা মেহের আলী, ৩৪। ০৪৫, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ : আব্দুল হামিদ রুনু, ৩৫। ০৪৬, নওগাঁ-১ : বীরমুক্তিযোদ্ধা অ্যাড. মো. শাহজাহান, ৩৬। ০৪৭, নওগাঁ-২ : বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই, ৩৭। ০৪৮, নওগাঁ-৩ : বীরমুক্তিযোদ্ধা মো. ওয়াজেদ আলী, ৩৮। ০৪৯, নওগাঁ-৪ : অ্যাড. মো. রিয়াজ উদ্দিন, ৩৯। ০৫০, নওগাঁ-৫ : এস এম আজাদ হোসেন মুরাদ, ৪০। ০৫১, নওগাঁ-৬ : অ্যাড. মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বুলবুল, ৪১। ০৫২, রাজশাহী-১ : প্রদীপ মৃধা, ৪২। ০৫৩, রাজশাহী-২ : আব্দুল্লাহ আল মাসুদ শিবলী, ৪৩। ০৫৭, রাজশাহী-৬ : জুলফিকার মান্নান জামী, ৪৪। ০৫৮, নাটোর-১ : মো. মোয়াজ্জেম হোসেন, ৪৫। ০৬১, নাটোর-৪ : অ্যাড. বিপ্লব কুমার রাম, ৪৬। ০৬২, সিরাজগঞ্জ-১ : আব্দুল হাই তালুকদার, ৪৭। ০৬৩, সিরাজগঞ্জ-২ : আবু বকর ভূঁইয়া, ৪৮। ০৬৫, সিরাজগঞ্জ-৪ : মোস্তফা কামাল বকুল, ৪৯। ০৬৬, সিরাজগঞ্জ-৫ : বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রাজ্জাক, ৫০। ০৬৭, সিরাজগঞ্জ-৬ : মোজাম্মেল হক, ৫১। ০৬৮, পাবনা-১ : শেখ আনিসুজ্জামান, ৫২। ০৬৯, পাবনা-২ : মোছা. পারভীন খাতুন/শেখ আনিসুজ্জামান, ৫৩। ০৭০, পাবনা-৩ : আবুল বাশার শেখ, ৫৪। ০৭১, পাবনা-৪ : মো. আব্দুল খালেক, ৫৫। ০৭২, পাবনা-৫ : আলহাজ আফজাল হোসেন রাজা, ৫৬। ০৭৩, মেহেরপুর-১ : মো. মাহাবুবুর রহমান (মাহবুব চান্দু), ৫৭। ০৭৪, মেহেরপুর-২ : ওমর আলী, ৫৮। ০৭৫, কুষ্টিয়া-১ : শরিফুল কবির স্বপন, ৫৯। ০৭৬, কুষ্টিয়া-২ : হাসানুল হক ইনু, ৬০। ০৭৭, কুষ্টিয়া-৩ : গোলাম মোহসীন, ৬১। ০৭৮, কুষ্টিয়া-৪ : রোকনুজ্জামান রোকন, ৬২। ০৭৯, চুয়াডাঙ্গা-১ : বীর মুক্তিযোদ্ধা সবেদ আলী, ৬৩। ০৮০, চুয়াডাঙ্গা-২ : জুলফিকার হায়দার/অ্যাড. আকসিজুল ইসলাম রতন, ৬৪। ০৮১, ঝিনাইদহ-১ : শরাফত ইসলাম, ৬৫। ০৮২, ঝিনাইদহ-২ : চন্দন চক্রবর্তী, ৬৬। ০৮৩, ঝিনাইদহ-৩ : শামীম আকতার বাবু, ৬৭। ০৮৭, যশোর-৩: অ্যাড. রবিউল আলম, ৬৮। ০৯১, মাগুরা-১ : জাহিদুল আলম, ৬৯। ০৯২, মাগুরা-২ : জাহিদুল আলম, ৭০। ০৯৩, নড়াইল-১ : সাইফুজ্জামান বাদশা, ৭১। ০৯৭, বাগেরহাট-৩ : শেখ নুরুজ্জামান মাসুম, ৭২। ১০০, খুলনা-২ : খালিদ হোসেন, ৭৩। ১০১, খুলনা-৩ : শেখ গোলাম মর্তুজা, ৭৪। ১০৩, খুলনা-৫ : সুজিত মল্লিক, ৭৫। ১০৫, সাতক্ষীরা-১ : শেখ মো. ওবায়েদুস সুলতান বাবলু, ৭৬। ১০৮, সাতক্ষীরা-৪ : অধ্যক্ষ আশেক-ই-এলাহী, ৭৭। ১০৯, বরগুনা-১ : আবু জাফর সূর্য, ৭৮। ১১১, পটুয়াখালী-১ : কে এম আনোয়ারুজ্জামান মিয়া (চুন্নু), ৭৯। ১১৪, পটুয়াখালী-৪: বিশ্বাস শিহাব পারভেজ মিঠু, ৮০। ১১৫, ভোলা-১ : বীর মুক্তিযোদ্ধা সিদ্দিকুর রহমান, ৮১। ১২০, বরিশাল-২ : সাজ্জাদ হোসেন, ৮২। ১২১, বরিশাল-৩ : কাজী সিদ্দিকুর রহমান, ৮৩। ১২২, বরিশাল-৪ : অ্যাড. আব্দুল হাই মাহবুব, ৮৪। ১২৩, বরিশাল-৫ : কে এম মনিরুল আলম (স্বপন খন্দকার), ৮৫। ১২৪, বরিশাল-৬ : মোহাম্মদ মোহসীন, ৮৬। ১২৭, পিরোজপুর-১ : সাইদুল ইসলাম ডালিম, ৮৭। ১২৮, পিরোজপুর-২ : সিদ্ধার্থ মণ্ডল, ৮৮। ১২৯, পিরোজপুর-৩ : রণজিৎ কুমার হাওলাদার, ৮৯। ১৩৩, টাঙ্গাইল-৪: ড. এস এম আবু মোস্তফা, ৯০। ১৩৫, টাঙ্গাইল-৬: সৈয়দ নাভেদ হোসেন, ৯১। ১৩৬, টাঙ্গাইল-৭: মো: মঞ্জুর রহমান মজনু, ৯২। ১৩৭, টাঙ্গাইল-৮: মো: রফিকুল ইসলাম, ৯৩। ১৪১, জামালপুর-৪: গোলাম মোস্তফা জিন্নাহ, ৯৪। ১৪২, জামালপুর-৫: অধ্যাপক খন্দকার মো: ইতিমুদ্দৌলা, ৯৫। ১৪৩, শেরপুর-১: মনিরুল ইসলাম লিটন, ৯৬। ১৪৪, শেরপুর-২: লাল মো: শাহজাহান কিবরিয়া, ৯৭। ১৪৫, শেরপুর-৩, মিজানুর রহমান মিজান, ৯৮। ১৪৬, ময়মনসিংহ-১: আমিনুল ইসলাম আমিন, ৯৯। ১৪৭, ময়মনসিংহ-২, এড. শিব্বির আহমেদ লিটন, ১০০। ১৪৮, ময়মনসিংহ-৩: আব্দুল আজিজ, ১০১। ১৪৯, ময়মনসিংহ-৪: এড. নজরুল ইসলাম চুন্নু, ১০২। ১৫১, ময়মনসিংহ-৬: সৈয়দ শফিকুল ইসলাম মিন্টু, ১০৩। ১৫২, ময়মনসিংহ-৭: রতন সরকার, ১০৪। ১৫৪, ময়মনসিংহ-৯: এড. গিয়াস উদ্দিন, ১০৫। ১৫৬, ময়মনসিংহ-১১: এড. সাদিক হোসেন, ১০৬। ১৫৮, নেত্রকোণা-২: মোখলেছুর রহমান মুক্তাদির, ১০৭। ১৬২. কিশোরগঞ্জ-১: শারফুদ্দিন সোহেল, ১০৮। ১৬৪, কিশোরগঞ্জ-৩: মো: শওকত আলী, ১০৯। ১৬৬, কিশোরগঞ্জ-৫: নন্দন শেঠ, ১১০। ১৬৭, কিশোরগঞ্জ-৬: রফিকুল ইসলাম রাজা, ১১১। ১৬৮, মানিকগঞ্জ-১: আফজাল হোসেন খান জকি, ১১২। ১৬৯, মানিকগঞ্জ-২: মো: রফিকুল ইসলাম সিদ্দিকী, ১১৩। ১৭০, মানিকগঞ্জ-৩: সৈয়দ সারোয়ার আলম চৌধুরী, ১১৪। ১৭১, মুন্সীগঞ্জ-১: এড. নাসিরুজ্জামান খান, ১১৫। ১৭৮, ঢাকা-৫: মো: শহিদুল ইসলাম, ১১৬। ১৮০, ঢাকা-৭: হাজী ইদ্রিস ব্যাপারি, ১১৭। ১৮২, ঢাকা-৯: এড. নিলাঞ্জনা রিফাত (সুরভী), ১১৮। ১৮৩, ঢাকা-১০: শওকত রায়হান, ১১৯। ১৮৬, ঢাকা-১৩: এড. আলী আশরাফ খান, ১২০। ১৮৭, ঢাকা-১৪: এড. আবু মো: হানিফ, ১২১। ১৮৮, ঢাকা-১৫: মুহাম্মদ সামছুল ইসলাম সুমন, ১২২। ১৮৯, ঢাকা-১৬: মো: নুরুন্নবী, ১২৩। ১৯৪, গাজীপুর-১: এড. আব্দুর রফিক, ১২৪। ১৯৫, গাজীপুর-২: একরামুল হক খান (সোহেল), ১২৫। ১৯৬, গাজীপুর-৩: জহিরুল হক মন্ডল বাচ্চু, ১২৬। ১৯৮, গাজীপুর-৫: মোহাম্মদ তারিকুল ইসলাম আকন্দ (লিটন), ১২৭। ২০০, নরসিংদী-২: জায়েদুল কবীর, ১২৮। ২০২, নরসিংদী-৪: মো: হুমায়ূন কবির সর্দার, ১২৯। ২০৮, নারায়ণগঞ্জ-৫: মো: শাহজাহান, ১৩০। ২১০, রাজবাড়ী-২: আব্দুল মতিন মিয়া, ১৩১। ২১১, ফরিদপুর-১: হারুন অর রশীদ রতন, ১৩২। ২১৪, ফরিদপুর-৪: নাজমুল কবির মনির, ১৩৩। ২১৫, গোপালগঞ্জ-১: মো: ফায়েকুজ্জামান, ১৩৪। ২১৬, গোপালগঞ্জ-২: শেখ মাসুদুর রহমান, ১৩৫। ২১৯, মাদারীপুর-২: সালাহউদ্দিন খান, ১৩৬। ২২১, শরীয়তপুর-১: স ম আব্দুল মালেক, ১৩৭। ২২২, শরীয়তপুর-২: মো: ফিরোজ মিয়া (ফিরোজ শাহী), ১৩৮। ২২৪, সুনামগঞ্জ-১: এ কে এম অহিদুল ইসলাম কবির, ১৩৯। ২২৫, সুনামগঞ্জ-২: মো: আমিনুল ইসলাম, ১৪০। ২২৬, সুনামগঞ্জ-৩: মো: নাজমুল হক, ১৪১। ২২৭, সুনামগঞ্জ-৪: আবু তাহের মো: রুহুল আমিন (তুহীন), ১৪২। ২২৮, সুনামগঞ্জ-৫: আলাউদ্দিন আহমেদ মুক্তা, ১৪৩। ২২৯, সিলেট-১: শামীম আখতার, ১৪৪। ২৩০, সিলেট-২: লোকমান আহমেদ, ১৪৫। ২৩১, সিলেট-৩: আব্দুল হাসিব চৌধুরী, ১৪৬। ২৩২, সিলেট-৪: মো: নাজমুল ইসলাম, ১৪৭। ২৩৩, সিলেট-৫: লোকমান আহমেদ, ১৪৮। ২৩৪. সিলেট-৬: লোকমান আহমেদ, ১৪৯। ২৩৫, মৌলভীবাজার-১, এ এম মোনায়েম মনু, ১৫০। ২৩৬, মৌলভীবাজার-২: এড. বদরুল হোসেন ইকবাল, ১৫১। ২৩৭, মৌলভীবাজার-৩: আব্দুল মোসাব্বির, ১৫২। ২৩৮, মৌলভীবাজার-৪: হাজী এলেমান কবির, ১৫৩। ২৩৯, হবিগঞ্জ-১: মো: আব্দুল মান্নান, ১৫৪। ২৪০, হবিগঞ্জ-২: আবু হেনা মোস্তফা কামাল, ১৫৫। ২৪১, হবিগঞ্জ-৩: এড. তাজউদ্দিন আহমেদ সুফী, ১৫৬। ২৪২, হবিগঞ্জ-৪: জিয়াউল হাসান তরফদার (মাহিন), ১৫৭। ২৪৪, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২: এস এম আলী আজম, ১৫৮। ২৪৫, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩: মো: আব্দুর রহমান খান (ওমর), ১৫৯। ২৪৭, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫: এড. আখতার হোসেন সাঈদ, ১৬০। ২৪৯, কুমিল্লা-১: ধীমন বড়ুয়া, ১৬১। ২৫৩, কুমিল্লা-৫: ফরিদ উদ্দিন আহমেদ, ১৬২। ২৫৪, কুমিল্লা-৬: মনিরুল ইসলাম, ১৬৩। ২৬০, চাঁদপুর-১: মো: সাইফুল ইসলাম সোহেল, ১৬৪। ২৬১. চাঁদপুর-২: মো: হাছান আলী সিকদার/শহীদ আলমগীর, ১৬৫। ২৬২, চাঁদপুর-৩: মুহাম্মদ মাসুদ হাছান, ১৬৬। ২৬৪, চাঁদপুর-৫: মনির হোসেন মজুমদার, ১৬৭। ২৬৫. ফেনী-১: শিরীন আখতার, ১৬৮। ২৬৮, নোয়াখালী-১: মো: হারুন অর রশীদ সুমন, ১৬৯। ২৬৯, নোয়াখালী-২: নইমুল আহসান জুয়েল, ১৭০। ২৭১, নোয়াখালী-৪: এস এম রহিম উল্যাহ, ১৭১। ২৭২, নোয়াখালী-৫: মোহাম্মদ মোকসুদের রহমান মানিক, ১৭২। ২৭৩, নোয়াখালী-৬: ইশরাজুর রহমান শামীম, ১৭৩। ২৭৫, লক্ষ্মীপুর-২: আমির হোসেন মোল্লা, ১৭৪। ২৭৬. লক্ষ্মীপুর-৩: এড. মোহাম্মদ সেলিম, ১৭৫। ২৭৭, লক্ষ্মীপুর-৪: মোশারেফ হোসেন, ১৭৬। ২৮০, চট্টগ্রাম-৩: নুরুল আখতার, ১৭৭। ২৮৫, চট্টগ্রাম-৮: শ্যামল বিশ্বাস, ১৭৮। ২৮৮, চট্টগ্রাম-১১: জসিম উদ্দিন বাবুল, ১৭৯। ২৯৩, চট্টগ্রাম-১৬: কামাল মোস্তফা চৌধুরী, ১৮০। ২৯৪, কক্সবাজার-১: মো: নাজিম উদ্দিন, ১৮১। ২৯৬, কক্সবাজার-৩: নাইমুল হক চৌধুরী টুটুল।

সূত্র: কালের কণ্ঠ




৩ মিনিটে অপ্রতিরোধ্য রোনালদোর চোখধাঁধানো দুই গোল

২০২২ বিশ্বকাপে পতুর্গালের বিদায়ের পর অনেকেই ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর শেষ দেখে ফেলেছিলেন। কিন্তু রোনালদো নিজের বিদায়টা এমন মলিনভাবে লিখতে রাজি ছিলেন না। ভেবে রেখেছিলেন ভিন্ন কিছু।

বিশ্বকাপ শেষে সৌদি আরবের ক্লাব আল নাসরে যোগ দেন। চলতি মৌসুমে আল নাসরের হয়ে রোনালদো হয়ে উঠেছেন অপ্রতিরোধ্য। সর্বশেষ গতকাল রাতে সৌদি সুপার লিগের ম্যাচে আখদাউদের বিপক্ষে আল নাসরের ৩-০ গোলের জয়ে জোড়া গোল করেছেন রোনালদো, যেখানে দুটি গোলই ছিল চোখধাঁধানো।

চলতি মৌসুমে আল নাসরের হয়ে ১৮ ম্যাচে ১৮ গোল করেছেন রোনালদো, এর মধ্যে সৌদি প্রো লিগে ১৩ ম্যাচে করেছেন ১৫ গোল। বল পায়ে রোনালদোকে যেন থামানোই যাচ্ছে না। শেষ তিন লিগ ম্যাচে রোনালদো পেয়েছেন ৪ গোল।

সূত্র: প্রথম আলো




মেহেরপুরে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য তালিকার তারতম্য

এখন বাংলাদেশের প্রধান কয়েকটি আলোচ্য বিষয়ের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের লাগামহীন মূল্য বৃদ্ধি।

ক্রমাগতভাবে বৃদ্ধিপাচ্ছে এসব পণ্যের মূল্য। কোন কোন পণ্যের মূল্য দ্বিগুণ, তিনগুণ বেড়েছে। গত কয়েকমাস ধরে এসব পণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির কারণে চরম বিপাকে পড়েছেন দেশের সাধারণ মানুষ।

শ্রমজীবীদের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। চাল, ডাল, ডিম, চিনি ও তেলসহ প্রায় প্রতিটি নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের দাম এখন আকাশচুম্বী। সাধ্যের বাইরে মুরগি, গরু ও খাসির গোশত।

এ নিয়ে মেহেরপুর প্রতিদিনের সাপ্তাহিক পাইকারি ও খুচরা বাজার দরের তারতম্যের চিত্র নিম্নরুপ। গতকাল শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) সহ গত এক সপ্তাহে সরজমিনে মেহেরপুর শহরের পাইকারি ও খুচরা বাজার পরিদর্শন করে নিত্য প্রয়োজনীয় কিছু পণ্যের মূল্য তালিকায় বিগত সপ্তাহের তুলনায় তারতম্য লক্ষ্য করা গেছে।

মেহেরপুর বড় বাজারে, মোটা চাল পাইকারি মূল্য ৪৮ টাকা কেজি ও খুচরা মূল্য ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এক সপ্তাহের ব্যবধান অপরিবর্তিত রয়েছে। মাঝারি চাল পাইকারি মূল্য ৫৬ টাকা কেজি ও খুচরা মূল্য ৫৮ টাকা কেজি,এক সপ্তাহের ব্যবধান অপরিবর্তিত রয়েছে।

সরু চাল পাইকারি মূল্য ৬০ টাকা কেজি ও খুচরা মূল্য ৬৪-৬৫ টাকা কেজি। সপ্তাহের ব্যবধানে প্রায় ২-৩ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। আলু পাইকারি বিক্রয় মূল্য ৪১ টাকা ও খুচরা মূল্য ৫০ টাকা কেজি। সপ্তাহের ব্যবধানে পাইকারী বাজারে ৫ টাকা কমলেও খুচরা মূল্য অপরিবর্তিত রয়েছে।

দেশি পেঁয়াজ পাইকারি মূল্য ৯৫ টাকা ও খুচরা মূল্য ১০৫ টাকা কেজি। সপ্তাহের ব্যবধানে উভয় বাজারে পেঁয়াজের মূল্য ১৫ টাকা হ্রাস পেয়েছে। এল সি পেয়াজ পাইকারি মূল্য ৮৫ টাকা ও খুচরা মূল্য ১০৫ টাকা কেজি দ্বরে বিক্রি হচ্ছে । গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে পাইকারি বাজারে ৫ টাকা কমলেও খুচরা মূল্য গত সপ্তাহের তুলনায় আরো ৫ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে।

ডিম পাইকারি মূল্য ১২০ টাকা ডজন ও খুচরা মূল্য ১৩২ টাকা ডজন। এক সপ্তাহের ব্যবধানে মূল্য প্রায় ১৫ টাকা হ্রাস পেয়েছে। ব্রয়লার মুরগির পাইকারি মূল্য ১৬০ টাকা ও খুচরা মূল্য ১৭০ টাকা কেজি। এক সপ্তাহে ১০ টাকা হ্রাস পেয়েছে।




নিজেদের “মানবাধিকার হরণ” চোখে দেখে না যুক্তরাস্ট্র

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় আনুষ্ঠানিকভাবে চারদিনের যুদ্ধ বিরতি শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে। স্থানীয় সময় সকাল ৭টা থেকে এ বিরতি কার্যকর হয়েছে বলে জানিয়েছে কাতারভিত্তিকি সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা।

চারদিনের এ যুদ্ধবিরতি সঠিকভাবে পর্যবেক্ষণ করতে কাতারের দোহাতে একটি অপারেশন রুম সেট করা হয়েছে। সেখান থেকে গাজার রিয়েল-টাইম তথ্য পাবেন পর্যবেক্ষকরা। ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ও ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর সঙ্গে তাদের সরাসরি যোগাযোগ রয়েছে।

যুদ্ধবিরতি কি ভাগ্য ফেরাবে ফিলিস্তিনের? বৃহস্পতিবারও ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার জাবালিয়া শরণার্থীশিবিরে জাতিসংঘ পরিচালিত একটি বিদ্যালয়ে ইসরায়েলের হামলায় কমপক্ষে ২৭ জন নিহত হয়েছেন। এ হামলায় আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৯৩ জন। এ খবর প্রকাশ করেছে ইসরায়েলের সংবাদমাধ্যম দ্য টাইমস অব ইসরায়েল। গাজা উপত্যকার সবচেয়ে বড় শরণার্থীশিবির জাবালিয়া। ওই শিবিরের একটি হাসপাতালে কর্মরত এক চিকিৎসক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, হামলার শিকার হওয়া বিদ্যালয়টিতে কয়েক হাজার বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি আশ্রয় নিয়েছিল।

এসব কেবল আজকের কথা না। দশকের পর দশক ফেলিস্তিনে হামলা করেছে, দখলদারিত্ব প্রতিষ্ঠার চেস্টা করে আসছে ইসরায়েল। আর তাতে যুক্তরাস্ট্রের প্রত্যক্ষ মদদ দিয়ে যাচ্ছে যুক্তরাস্ট্র। সেখানে তাদের মানবাধিকার হরণ হয় না।

এ বছর শুরুতে বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে গতানুগতিক রিপোর্ট দেয় যুক্তরাষ্ট্র। প্রতিবছরের মতো এবারেও বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মানবাধিকার নিয়ে কথা বলতে গিয়ে বাংলাদেশ প্রসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, এখানে শ্রমিকের অধিকার ক্ষুণ্ন হচ্ছে, শিশুশ্রম রয়েছে। রিপোর্টের নির্বাহী সারসংক্ষেপে বাংলাদেশে ২০১৩ সালের মানবাধিকার চর্চা সম্পর্কে বলা হয়েছে- মানবাধিকার লংঘনের ঘটনাবলীর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ছিল যথেচ্ছ গ্রেফতার, অনলাইনে মত প্রকাশে বাধা এবং অনুন্নত কর্ম পরিবেশ ও শ্রম অধিকারহীনতা।

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন জানিয়েছেন, বিশ্বজুড়ে যারা শ্রমিক অধিকার হরণ করবে, শ্রমিকদের ভয়ভীতি দেখাবে এবং আক্রমণ করবে তাদের উপর বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞাসহ নানা ধরনের নিষেধাজ্ঞা দেবে যুক্তরাষ্ট্র।

অথচ, প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের প্রকোপে যুক্তরাষ্ট্রে ২০২০ সালে শুধু এপ্রিলেই ২ কোটি ৫ লাখ মানুষ চাকরি হারিয়েছেন। এতে দেশটির বেকারত্বের হার বেড়ে ১৪ দশমিক ৭ শতাংশ হয়। এ নিয়ে দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই। যদিও বাংলাদেশ সরকার করোনা ভাইরাসকালে যেভাবে সামাল দিয়েছে সবকিছু তা বিশ্বে নজির তৈরী করেছে।

যুক্তরাষ্ট্র সবসময় একচোখা নীতি দিয়ে মানবাধিকার ইস্যুটিকে প্রতিষ্ঠা করেছে। গত আগস্ট মাসে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও ভাইস প্রেসিডেন্ট কামালা হ্যারিসকে হুমকি দেয়া এক ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা করা হয়। উটাহ রাজ্যে ওই ব্যক্তির বাড়িতে অভিযান চালিয়ে গুলি করে হত্যা করে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই’র সদস্যরা। সেসময় কোন বিচারিক পদ্ধতি নিয়ে যুক্তরাস্ট্র আলাপ করেনি। তার বাণিজ্য চালিয়ে যেতে, আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করতে যতটুকু লাগে ঠিক ততটুকুতে সে তার কাজ পরিচালনা করে। যে কারনে যুদ্ধে শিশু মৃত্যু তার চোখে পড় না, যে কারণে শ্রমিক ছাটাই তার দেশে হলে ক্ষতি নেই স্টেটমেন্ট দেয় কিন্তু বিশ্বের অন্য দেশকে হুমকি দেয় শ্যাংসনের।




নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে দেশের ৩৫০জন বিশিষ্টজনের বিবৃতি

আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে দেশের ৩৫০ জন বিশিষ্ট নাগরিক, শিক্ষক এবং পেশাজীবী বিবৃতি দিয়েছেন। সংবিধান, রাষ্ট্র ও উন্নয়ন-বিরোধী যে কোনো অপতৎপরতার বিরুদ্ধে দেশবাসীকে সজাগ থাকার আহ্বান জানানো হয়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চারুকলা অনুষদের সাবেক ডিন শিল্পী অধ্যাপক সৈয়দ আবুল বারক্ আল্ভীর স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে এ আহ্বান জানানো হয়। এতে স্বাক্ষর করেন দেশের ৩৫০ জন বিশিষ্টজন।

বিবৃতিতে বলা হয়, গত ১৫ নভেম্বর দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষিত হয়েছে। জনসাধারণের মধ্যে বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনার সৃষ্টি হয়েছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল প্রার্থী মনোনয়ন চূড়ান্ত করার কাজ শুরু করেছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আন্দোলনরত অনেক দল নির্বাচনে আসতে শুরু করেছে। বিভিন্ন দেশ ও সংস্থা নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছে। এমন সময়ে অগণতান্ত্রিক শক্তির দোসররা আবারও নতুন খেলায় মেতে উঠেছে। তারা নির্বাচন বানচালের নতুন কৌশল নিয়ে মাঠে নেমেছে। সাম্রাজ্যবাদী শক্তির বিভিন্ন অপকৌশল এবং একটি রাজনৈতিক দলের আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে এবার তারা সাবেক আমলা এবং একটি স্বার্থান্বেষী মহলকে মাঠে নামানোর অচেষ্টা করছে।’

এতে আরও বলা হয়, ‘বিরাজনীতিকীকরণের কৌশল হিসেবে তারা পরিকল্পিতভাবে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালত কর্তৃক বাতিল হওয়া তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জন্য মায়াকান্না শুরু করেছে। ‘ডক্ট্রিন অব নেসেসিটি’র কথা বলে সংবিধানের বাইরে গিয়ে ‘সংকট’ সমাধানের যে কথা তারা বলছেন, তা গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ বলে আমরা মনে করি। তারা সংবিধান লংঘন করে ‘মার্জনা’ দেওয়ার কথা বলছে। যা শুধু অগণতান্ত্রিকই নয়- রাষ্ট্রদ্রোহিতারও শামিল। এ ধরনের অপচেষ্টা তারা অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রাক্কালেও করেছিল। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা ও অসাংবিধানিকভাবে রাষ্ট্রক্ষমতা দখলের পর তথাকথিত ‘মার্জনা’ প্রদান করার মাধ্যমে হত্যা, ক্যু, ষড়যন্ত্র, রাষ্ট্রদ্রোহিতা এবং সংবিধান লংঘনের মত ঘটনাগুলোকে যারা বৈধতা দিয়ে দেশকে খুনিদের অভয়রণ্যে পরিণত করেছিল, তাদেরই মিত্ররা বিভিন্ন সময়ে ঘোলাপানিতে মাছ শিকারে আবির্ভূত হয় ‘বিবৃতিতে দেশের বিশিষ্টজনেরা বলেন, ‘আলোচনার নামে সময় ক্ষেপণ করে দেশে সাংবিধানিক সংকট তৈরি করাই তাদের আসল উদ্দেশ্য। গণতান্ত্রিক রীতিনীতিতে ক্ষমতায় যাওয়ার একমাত্র পথ নির্বাচন। আন্দোলনের নামে অরাজকতা সৃষ্টির পথ পরিহার করে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলে নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।’

অসাংবিধানিক ধারার পৃষ্ঠপোষক, খুনিচক্রের প্রেতাত্মাদের নতুন কৌশলে পুরাতন ষড়যন্ত্রের অপচেষ্টাকে ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করা হয় বিবৃতিতে।




দর্শনা কেরুজ চিনিকলের স্লো-ফায়ারিংয়ের শুভ উদ্বোধন

চুয়াডাঙ্গার দর্শনা কেরুজ চিনিকলের ২০২৩-২৪ মৌসুমে আখ মাড়াই উপলক্ষে চিনিকলের বয়লিং হাউজে স্লো-ফায়ারিং আগুন নিক্ষেপের মাধ্যমে শুভ উদ্ধোধন অনুষ্টিত হয়েছে।

শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) দুপুর ২ টায় কেরুজ বয়লিং হাউজের সামনে স্লো-ফাযারিং উপলক্ষে মিল হাউজের বয়লার বিভাগে এক আলোচনা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এ দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন কেরু এ্যান্ড কোম্পানীর সুযোগ্য ব্যাবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ মোশারেফ হোসেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন,কেরু চিনিকলের মহাব্যাবস্থাপক অর্থ আব্দুস সাত্তার,জি এম কৃষি আশরাফুল আলম ভৃইয়া,চিনিকলের কারখানা মহাব্যাবস্থাপক সুমন কুমার সাহা,এ ডি এম ইউসুফ আলী,ষ্টোর কিপার ইনচার্জ লিংকন ঢালী,কেরু শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি ফিরোজ আহম্মেদ সবুজ,সাধারন সম্পাদক মাসুদুর রহমান মাসুদ,সাবেক সভাপতি তৈয়ব আলী,সাবেক সহ সাধারন সম্পাদক খবির উদ্দিন,এ অনুষ্টানের দোয়া পরিচালনা করেন কেরু জামে মসজিদের পেশ ইমাম সামসুজোহা,ও মুয়াজ্জিন নেছার উদ্দিন,অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন সহ সাধারন সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান।

এ বছর মাড়াই মৌসুমে ১ লাখ ৫৪ হাজার মেট্রিক টন আখ মাড়াই করে ৪ হাজার মেট্রিক টন চিনি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। চিনিকলের নিজস্ব ১ হাজার ৫৫০ একর জমিতে ২৪ হাজার মেট্রিক টন আখ উৎপাদন করেছিল। এবং কৃষকের ৬ হাজার ৯৮২ একর জমির ৯৪ হাজার মেট্রিক টন আখ লাগিয়েছিলো। কিন্তু এবার মাত্র ৪৫ দিবসে আখ মাড়াই কার্যক্রম শেষ হয়ে যাবে বলে ধারনা করছে কেরুজ কতৃপক্ষ।




তিন প্রজন্মের শিল্পীর রংতুলিতে সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী প্রতিবাদ

সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী আগ্রাসনের বিরুদ্ধে রংতুলি হাতে মাঠে নেমেছে ময়মনসিংহের তিন প্রজন্মের শিল্পী সমাজ। শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীনের শেকড় ময়মনসিংহের পুরনো ব্রহ্মপুত্র পাড়ের জয়নুল উদ্যানের ভেতর দিনব্যাপী এই আয়োজনে শিল্পীরা রং তুলির আঁচড়ে সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানায়।

‘দেশ আমার, সিদ্ধান্ত আমার -নির্ভয়ে চলো বাংলাদেশ, এমন স্লোগানে সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী শিল্পী সমাজ শুক্রবার সকালে ময়মনসিংহের ব্রহ্মপুত্র পাড়ের জয়নুল আবেদীন উদ্যানের বৈশাখী মঞ্চে জাতীয় সংগীত এর মাধ্যমে শুরু করে দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার। ক্ষুদে শিল্পীদের চিত্র অংকন প্রতিযোগিতা আর তিন প্রজন্মের শিল্পীদের চিত্র প্রদর্শনীতে রং তুলির আঁচড়ে ফুটিয়ে তোলা হয় সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী আগ্রাসনের ভয়াবহতা। চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা ও শিল্পীদের চিত্র কর্ম প্রদর্শন ছাড়াও দিন ব্যাপী এ আয়োজনের মধ্যে ছিল কবিতা পাঠ, নাটক ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সাম্রাজ্যবাদ রুখে দেয়ার এমন আয়োজনের যুক্ত হতে পেরে খুশি শিল্পীরা।

আয়োজক কর্মী আমিনুল হাসান লিটু জানান, বাংলাদেশ ও বিশ্বরাজনীতিতে সাম্রাজ্যবাদী শক্তির মোড়ল সেজে নির্লজ্জভাবে খবরদারি করার অপচেষ্টা এবং নানা দেশের যুদ্ধে মানবিক বিপর্যয়ে ক্ষুব্ধ চারুশিল্পীরা। বাংলাদেশ তৃতীয়-বিশ্বভুক্ত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ার পর থেকেই সাম্রাজ্যবাদীদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে। তারা সংঘবদ্ধভাবে এদেশের প্রতিটি কাজে, প্রতিটি সিদ্ধান্তে নগ্নভাবে হস্তক্ষেপ করছে, বাধা প্রদান করছে। এই পরিপ্রেক্ষিতে জয়নুল-কামরুলের অনুসারী চারুশিল্পীরা দেশ এবং মানুষের কল্যাণে রং-তুলি-ক্যানভাস নিয়ে পথে নেমেছে।

সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী শিল্পী সমাজ ময়মনসিংহের সভাপতি মোহাম্মদ রাজন বলেন, চারুশিল্পীদের একটি জাতীয় মোর্চার পক্ষ থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে শিল্প শিরোনামে দেশ আমার, সিদ্ধান্ত আমার, নির্ভয়ে চলো বাংলাদেশ শ্লোগানে প্রতিবাদী শিল্পকর্ম আঁকা ও শিল্পকর্মের প্রদর্শনীসহ নানা অনুষ্ঠান আয়োজন করেছে।

ময়মনসিংহ বিভাগীয় চারু শিল্পী পর্ষদের সভাপতি মোহাম্মদ রাজন জানান, নতুন ও তরুণ প্রজন্মসহ নানা শ্রেণী পেশার মানুষের মধ্যে সাম্রাজ্যবাদী শক্তির বিরোধী জনমত গড়ে তুলতেই এই আয়োজন।

রাজধানী ঢাকা ও বিভাগীয় শহর বরিশালের পর ময়মনসিংহে শুক্রবারের এই আয়োজনে শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীনের সৈনিক দুই শতাধিক ক্ষুদে শিল্পী ছাড়াও জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের শিল্পীসহ বৃহত্তর ময়মনসিংহের নেত্রকোনা, শেরপুর, জামালপুর ও ময়মনসিংহের শতাধিক শিল্পী অংশ নেয়।




তফসিল বাতিলে ১৪১ অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তার বিবৃতির প্রতিবাদ

জাতীয় নির্বাচনের তফসিল বাতিলের দাবিতে ১৪১ জন অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তার বিবৃতিকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, অসত্য ও বিভ্রান্তিকর আখ্যায়িত করে পাল্টা বিবৃতি দিয়েছেন ৩৮৫ জন অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা। তারা বলেন, বাংলাদেশকে সাংবিধানিক শূন্যতার দিকে ঠেলে দেওয়ার ষড়যন্ত্র চলছে। এব্যাপারে সবাইকে সতর্ক থাকারও আহ্বান জানানো হয়।

বিবৃতিতে সাবেক মুখ্যসচিব, সচিব, আইজিপি, রাষ্ট্রদূত, উপাচার্য, গভর্নর, সেনা কর্মকর্তা, অধ্যাপক, চিকিৎসকসহ ৩৮৫ জন অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা স্বাক্ষর করেছেন।

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হয়েছে। কমিশন এই তফসিল ঘোষণার পূর্বে কমিশনের সব স্টেকহোল্ডারের সঙ্গে বহুবার আলোচনা করেছে এবং নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোকে কমিশনের সঙ্গে মতবিনিময়ের জন্য একাধিকবার আমন্ত্রণ জানিয়েছে। কমিশনের এই আহবানে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করলেও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল ও সমমনা দলগুলো কমিশনের সঙ্গে আলোচনা করেনি। এমনকি তাদেরকে কমিশন থেকে পৃথকভাবে আমন্ত্রণ জানানো হলেও তারা সে আলোচনায় সাড়া দেয়নি, যা রাজনৈতিক শিষ্টাচার বহির্ভূত।’

আরও বলা হয়, ‘সরকারের পদত্যাগের জন্য আন্দোলনের নামে অগ্নিসংযোগ, সন্ত্রাস, বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতিসহ অন্যান্য বিচারকদের বাসভবনে হামলা, কর্তব্যরত পুলিশকে নির্মমভাবে হত্যা, সাংবাদিকদের ওপর হামলা, হাসপাতালসহ অন্যান্য স্থাপনায় নাশকতা করা হয়। ২০১৪ সালেও একইভাবে তারা নাশকতা চালিয়েছিল। এখনও সেই মহল তফসিল ঘোষণার পর তাকে এক তরফা নির্বাচন বলে আখ্যায়িত করে তা বাতিলের দাবি করছে। ঘোষিত তফসিল কমিশনের সঙ্গে নিবন্ধিত সব রাজনৈতিক দলের জন্য প্রযোজ্য এবং উম্মুক্ত। তাহলে কীভাবে এই তফসিল একতরফা হয় এবং কীভাবে অবসরপ্রাপ্ত কিছু সরকারি কর্মকর্তা কমিশনের সংবিধান সম্মত তফসিলকে এক তরফা তফসিল হিসেবে আখ্যায়িত করে তা বাতিলের জন্য সুপারিশ করেন তা সর্বসাধারণের কাছে বোধগম্য নয়। এই প্রয়াস বাংলাদেশকে একটি সাংবিধানিক শূন্যতার দিকে ঠেলে দেওয়ার নামান্তর।’

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘১৪১ জনের বিবৃতিতে তত্ত্ববধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনরায় প্রবর্তনের বিষয়ে ‘ডকট্রিন অব নেসেসিটি’ র কথা উল্লেখ করা হয়েছে। কোনও দলের একক রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত ও দাবিকে ‘ডকট্রিন অব নেসেসিট‘ বলে চালিয়ে দেওয়া ‘একতরফ‘ বিষয়। তাছাড়া বাংলাদেশে এমন কোনও পরিস্থিতির উদ্ভব হয়নি, যাতে এর প্রয়োজন রয়েছে। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল তত্বাবধায়ক সরকারের ধারণাকে ২০০১ সালে ষড়যন্ত্র করে প্রাথমিকভাবে বিতর্কিত করেছে এবং ২০০৬ সালে বিবিধ পদক্ষেপের মাধ্যমে এক এগারোর সৃষ্টি করে তিন মাসের তত্বাবধায়ক সরকারকে দুই বছরের দীর্ঘ একটি অবস্থায় নিয়ে যাওয়ার মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছিল। বাংলাদেশের জনগণ এই তিক্ত অভিজ্ঞতার কারণেই ২০০৮ সালের নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত নবম জাতীয় সংসদে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালতের রায় বাস্তবায়নের নিমিত্ত তত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা থেকে বাংলাদেশকে মুক্ত করে।’

বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন কর্তৃক নির্বাচনের বিধিসম্মত তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে-যেখানে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে নিবন্ধিত সব দলের অংশগ্রহণের উম্মুক্ত সুযোগ রয়েছে, তাকে ‘একতরফা তফসিল’ বলার কোনও অবকাশ নেই বলে মনে করেন ৩৮৫ জন অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা।

বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে রয়েছেন- মোঃ আবুল কালাম আজাদ, সাবেক মুখ্য সচিব; ড: ইকবাল মাহমুদ, সাবেক চেয়ারম্যান, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক); ড. মোহাম্মদ সাদিক, সাবেক সচিব ও সাবেক চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি); কাজী রিয়াজুল হক, সভাপতি, বাংলাদেশ অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারী কল্যাণ সমিতি ও সাবেক চেয়ারম্যান, জাতীয় মানবাধিকার কমিশন, বাংলাদেশ; ড. আতিউর রহমান, সাবেক গর্ভনর, বাংলাদেশ ব্যাংক; কে. এইচ. মাসুদ সিদ্দিকী, সাবেক সচিব ও সাবেক সদস্য, বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি); উজ্জ্বল বিকাশ দত্ত, সাবেক সচিব ও সাবেক সদস্য, বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি); মোঃ আবুল মনসুর, সাবেক সচিব; মোঃ নুর উর রহমান, সাবেক সচিব; মোঃ আমিনুল ইসলাম খান, সাবেক সিনিয়র সচিব; কামাল উদ্দিন তালুকদার, সাবেক সচিব; মোঃমামুনুর রসিদ, সাবেক সচিব; মোঃ মুস্তাফিজুর রহমান, সাবেক সচিব; মোঃ রওনক জাহান, সাবেক সচিব; রেজাউল হাসান, সাবেক সচিব; জিষ্ণু রায় চৌধুরী, সাবেক সচিব (সাবেক রাষ্ট্রদূত); নূরজাহান বেগম, সাবেক সদস্য, সরকারি কর্ম কমিশন; শামসুল আরেফিন, সাবেক সিনিয়র সচিব; সুরাইয়া বেগম, সাবেক সিনিয়র সচিব ও সদস্য, তথ্য কমিশন; ইব্রাহীম হোসেন খান, সাবেক সচিব; মেজবাহ উল আলম, সাবেক সচিব; জ্যোতির্ময় দত্ত, সাবেক সচিব।; আফরোজা খানম, সাবেক সচিব; হুমায়ুন খালিদ, সাবেক সচিব; মোহাম্মদ নুরুল হুদা, সাবেক আইজিপি, সচিব ও কলামিস্ট; ড. হাসান মাহমুদ খন্দকার, সাবেক আইজিপি ও রাষ্ট্রদূত; সাবেক রাষ্ট্রদূত মোঃ আব্দুল হান্নান; সৌরেন্দ্র নাথ চক্রবর্ত্তী, সাবেক সিনিয়র সচিব; মোহাম্মদ সিরাজুল হক খান, সাবেক সচিব; অপরূপ চৌধুরী, সাবেক সচিব; অশোক কুমার বিশ্বাস, সাবেক সচিব; ড. প্রশান্ত কুমার রায়, সাবেক সচিব; মোঃ নাসির উদ্দিন আহমেদ, সাবেক সচিব; সুবীর কিশোর চৌধুরী, সাবেক সচিব; মোঃ আব্দুস সামাদ, সাবেক সিনিয়র সচিব; সাবেক রাষ্ট্রদূত সোহরাব হোসেন; মোল্লা ওয়াহদেুজ্জামান, সাবেক চেয়ারম্যান, বেসরকারিকরণ কমিশন; ড. কামাল আব্দুল নাসের চৌধুরী, সাবেক মুখ্য সচিব; অশোক মাধব রায়, সাবেক সচিব; সাবেক রাষ্ট্রদূত একেএম আতিকুর রহমান; সাবেক রাষ্ট্রদূত গোলাম মোহাম্মদ; মোহাম্মদ শহীদুল হক, সাবেক সিনিয়র সচিব; সাবেক রাষ্ট্রদূত মুন্সী ফয়েজ আহমেদ সাবেক রাষ্ট্রদূত চৌধুরী ইখতিয়ার মমিন; সাবেক রাষ্ট্রদূত মাহবুব উজ জামান; সাবেক রাষ্ট্রদূত এটিএম নজরুল ইসলাম; মাহবুব উদ্দিন আহমেদ, বীর বিক্রম, অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার, বাংলাদেশ পুলিশ; এম এ কাদের সরকার, সাবেক সচিব; সুনীল কান্তি বোস, সাবেক সচিব; আমজাদ হোসনে, সাবেক মহাপরিচালক, বাংলাদেশ রেলওয়ে; অশোক কুমার মন্ডল, সাবেক মহা ব্যাবস্থাপক, টেলিকম; কবির জামান, সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক, টেলিফোন শিল্প সংস্থা; ড. জাফর আহমদ খান, সাবেক সিনিয়র সচিব; কাজী আখতার, সাবেক সচিব; মোঃ মোফাজ্জেল হোসেন, সাবেক সচিব। মমিন উল্লাহ পাটোয়ারী, বীর প্রতীক, অবসরপ্রাপ্ত সচিব; লেঃ জেনারেল মোল্লা ফজলে আকবর, এনডিসি, পিএসসি (অবঃ); জেনারেল আব্দুল ওয়াদুদ, এনডিইউ, পিএসসি (অবঃ); জেনারেল সাব্বির আহমেদ, এসবিপি, ওএসপি, এসজিপি, এনডিসি, পিএসসি (অবঃ); এয়ার ভাইস মার্শাল সাদে উদ্দিন (অবঃ); মেজর জেনারেল আলাউদ্দিন মুহাম্মদ আব্দুল ওয়াদুদ, বিপি, এনডিসি, পিএসসি (অবঃ); মেজর জেনারেল শিকদার মোঃ সাহাবুদ্দিন (অবঃ); মেজর জেনারেল মোঃ আব্দুর রশিদ, পিএসসি, জি (অবঃ); মেজর জেনারেল নাসির উদ্দিন (অবঃ), এমপি; মেজর জেনারেল মোঃ সালাহউদ্দিন মিয়াজী, পিএসসি (অবঃ); মেজর জেনারেল মোহাম্মদ তৌহিদ-উল-ইসলাম, বিএসপি, এনডিইউ, পিএসসি (অবঃ); রিয়ার এডমিরাল এ কে এম আজাদ (অবঃ); মোহাম্মদ আওলাদ হোসেন মিয়া, অবসরপ্রাপ্ত আইজিপি, বাংলাদেশ পুলিশ; মোঃ আবুল কাশেম হাওলাদার, অবসরপ্রাপ্ত আইজিপি, বাংলাদেশ পুলিশ; এম সানাউল হক, অবসরপ্রাপ্ত আইজিপি, বাংলাদেশ পুলিশ; মোঃ আলী ইমাম চৌধুরী, বিপিএম, অবসরপ্রাপ্ত অ্যাডিশনাল আইজিপি, বাংলাদেশ পুলিশ; বীর মুক্তিযোদ্ধা এ টি আহমেদুল হক চৌধুরী পিপিএম, অবসরপ্রাপ্ত আইজিপি ও সাবেক চেয়ারম্যান, পিএসসি; বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আব্দুস সাত্তার, পিপিএম, অবসরপ্রাপ্ত অ্যাডিশনাল আইজিপি, বাংলাদেশ পুলিশ; বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ নাজমুল হক, পিপিএম, অবসরপ্রাপ্ত অ্যাডিশনাল আইজিপি, বাংলাদেশ পুলিশ, প্রমুখ।




ডলার মূল্য হ্রাস: বাংলাদেশের অর্থনীতিতে সুখবর

অর্থনীতির বাজারে ডলারকে দেবতাতূল্য মর্যাদা দেওয়া হয়। ডলারের মূল্য হ্রাস-বৃদ্ধিতে সম্পূর্ণ চেহারা বদলে যায় একটি দেশের অর্থনীতি। আর প্রতিনিয়তই অর্থনীতির বাজারে উঠানামা করছে ডলার মূল্য। সম্প্রতি ডলার মূল্য হ্রাস পেয়েছে যা বাংলাদেশের অর্থনীতিতে অভাবনীয় সম্ভাবনা নিয়ে এসেছে।

ব্যাংকগুলোর নেওয়া সিদ্ধান্তে বছরখানেকের মধ্যে প্রথম কমানো হচ্ছে ডলারের মূল্য। প্রবাসী ও রপ্তানি আয় কেনায় ডলারের দাম কমবে ৫০ পয়সা। পাশাপাশি কমছে আমদানিকারকের কাছেও ডলার মূল্য। বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলারস অ্যাসোসিয়েশন (বাফেদা) ও অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ ( এবিবি) মাত্র পাঁচ মিনিটের এক সভায় এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।

উক্ত সভায় উপস্থিত বাফেদার চেয়ারম্যান ও সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আফজাল করিম এবং এবিবির চেয়ারম্যান ও ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সেলিম আর এফ হোসেন জানিয়েছেন, আমদানি কমেছে এবং রপ্তানি বেড়েছে। এরই প্রেক্ষিতে ডলারের দাম ৫০ পয়সা করে কমানো হবে। গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে কাজ করে আসা এ দুই সংগঠনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, প্রবাসী ও রপ্তানি আয় কিনতে ডলারের দাম হবে সর্বোচ্চ ১১০ টাকা। আগে যার দাম ছিলো ১১০ টাকা ৫০ পয়সা। পাশাপাশি আমদানি দায় মেটাতে ডলারের দাম হবে ১১০ টাকা ৫০ পয়সা; যেখানে পূর্ববর্তী দাম ছিলো ১১১ টাকা। মাত্র ৫০ পয়সা মনে হলেও অর্থনীতির বাজারে এ ৫০ পয়সার মূল্য অনেক বেশি। আর বাংলাদেশের কথা উঠলে তো এক্ষেত্রে আর কোনো প্রশ্নই উঠে না!

কোভিড-১৯ এর সময় প্রাকৃতিক দূর্যোগ কাটিয়ে উঠার জন্য বাংলাদেশ সবরকমের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। দারিদ্রসীমা দূর করার লক্ষ্যে সরকার বিভিন্ন প্রণোদনা দিলেও বিরাজমান উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে তা পুরোপুরি সম্ভব হচ্ছে না। টাকার বিপরীতে ডলারের মূল্য বাড়তে থাকলে সব দিক থেকেই অসুবিধা সৃষ্টি হয়। কেননা টাকার অবমূল্যায়নে আমদানি পণ্যের দাম বেড়ে যায়। আর বাংলাদেশের অর্থনীতি টিকেই আছে রফতানি আয়ের চেয়ে তুলনামূলক বেশি পরিমাণ আমদানি আয়ের উপর। জ্বালানিসহ বিভিন্ন পণ্য আমদানিতে বেশ বড় রকমের হিমশিম খেতে হয় সরকারকে। মোটাদাগে বলা চলে, ডলারের মূল্য বৃদ্ধিতে সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত হয় সরকারের বৈদেশিক ঋণ পরিশোধ করা। তবে বর্তমানে টাকার বিপরীতে ডলার মূল্য হ্রাস পাওয়ায় বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে এ সমস্যাগুলো মোকাবিলা করা অনেকটা সহজ হবে। এক তথ্যমতে জানা যায়, পূর্বের নির্ধারিত ডলার মূল্যে আগামী ২০২৪ সালের শেষে বাংলাদেশ সরকারের ঘাড়ে ১৩০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের একটি বোঝা তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু মূল্য হ্রাস পাওয়ায় এখন সরকারের এ বোঝাটা অনেক বেশি সহজেই লাঘব করা সম্ভব হবে। এক্ষেত্রে বলা চলে ডলারের মূল্য হ্রাস বাংলাদেশ সরকারের জন্য একটি আশীর্বাদস্বরূপ।

অর্থনীতির বাজারে বাংলাদেশের আর্থিক খাতের অবস্থা খুবই নাজুক। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, বছরের প্রথম সিকি ভাগে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ১ লাখ ১৩ হাজার ৪৪০ কোটি টাকা। ডলার মূল্য কমায় এ টাকার পরিমাণও কমে যাবে। উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে ব্যাংক আমানতের ঝোঁক কমে গিয়েছিলো। ডলার মূল্য হ্রাস পাওয়ায় এদিকটি আবার সক্রিয় হয়ে উঠবে বলবে আশা করা যাচ্ছে। জাতীয় অর্থনীতিতে সবচেয়ে বড় যে সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়,তা হলো আমদানি। রফতানি বাবদ যে পরিমাণ বাংলাদেশ পাবে, তার চেয়ে বেশি পরিমাণ দিতে হয় আমদানি খাতে। এতে করে অনেক পণ্য আমদানিতে মুখ থুবড়ে পড়েছিলো বিভিন্ন খাত। ডলার মূল্য হ্রাস হওয়াও এসব খাতগুলো আবার সক্রিয় হয়ে উঠবে। এক্ষেত্রে সর্বাগ্রে রেমিট্যান্সের আন্তঃপ্রবাহের দিকে নজর রাখতে হবে। সঠিক পরিকল্পনা গ্রহণ করে এবার আমদানি খাতে গুরুত্ব দিলে জাতীয় অর্থনীতি পুনরায় চাঙ্গা হয়ে উঠবে। নতুন এক সক্রিয়তা পাবে দেশের অর্থনীতি। বাফেদা ও এবিবি-র গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, মূল্য হ্রাসের পর প্রবাস আয়ের ক্ষেত্রে সরকারের ২.৫ শতাংশ প্রণোদনার পাশাপাশি ব্যাংকও একই পরিমাণ প্রণোদনা দিতে পারবে। ফলে প্রবাস আয় পাঠালে ডলার প্রতি সর্বোচ্চ ১১৫ টাকা ৫০ পয়সা পাবে উপকারভোগীরা। ফলস্বরূপ প্রবাস আয়েও আগ্রহ পাবে সরকার। খুব শীঘ্রই রূপ বদলাবে দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি এবং একটি ইতিবাচক সাড়া ফেলবে বিশ্ব অর্থনীতির বাজারে।

লেখক: সহযোগী অধ্যাপক, ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগ, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় এবং সাবেক সাধারণ সম্পাদক, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি।