জীবননগরে সময়ের সমীকরণের ৮ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

জীবননগরে নানা আয়োজনে স্থানীয় দৈনিক সময়ের সমীকরণ পত্রিকার ৮ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত হয়েছে। এ উপলক্ষে শুক্রবার (২৩ নভেম্বর) সকাল ১০টায় জীবননগর প্রেসক্লাবে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। পরে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ৫ পাউন্ডের একটি কেক কাটা হয়।

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন সময়ের সমীকরণ পত্রিকার জীবননগর ব্যুরো প্রধান জাহিদ বাবু। জীবননগর প্রেসক্লাবের সভাপতি এম আর বাবুর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন জীবননগর পৌরসভার মেয়র রফিকুল ইসলাম৷

এসময় উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা জাসদের সাধারণ সম্পাদক ও সাপ্তাহিক জীবননগর বার্তার সম্পাদক শামসুল আলম, জীবননগর পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর খোকন মিয়া, দৈনিক মেহেরপুর প্রতিদিন পত্রিকার জীবননগর ব্যুরো মাজেদুল মিল্টন, সময়ের সমীকরণ পত্রিকার ডেস্ক ইনচার্জ ফেরদৌস ওয়াহিদ, দৈনিক সময়ের সমীকরণ পত্রিকার পাঠক শাহাজাহান সিরাজ, ইনামুল হক, জীবননগর সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জামাল হোসেন খোকন, সময়ের সমীকরণ পত্রিকার জীবননগর সহকারী ব্যুরো মিঠুন মাহমুদপ্রমুখ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে জীবননগর পৌর মেয়র রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমি সময়ের সমীকরণ পত্রিকাকে শুভকামনা জানাই। আশা করি এই পত্রিকা বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশ অব্যাহত রাখবে।




দামুড়হুদার জয়রামপুরে ট্রেনের যাত্রা বিরতি বহাল রাখার জন্য এলাকাবাসী মানববন্ধন

চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলার জয়রামপুর রেলস্টেশন এর নকশি কাঁথা মেইল ট্রেনের যাত্রা বিরতি পুনরায় বহাল রাখার জন্য মানববন্ধন করেন জয়রামপুর গ্রামসহ আশেপাশের গ্রামের সাধারণ মানুষ। প্রতিনিধিত্ব করেছেন জয়রামপুর মানব কল্যাণ এর কেন্দ্রীয় সভাপতি মিলন মাহমুদ ও সেনা সদস্য লাজিব সিদ্দিক। আজ শুক্রবার বিকাল সাড়ে চারটায় জয়রামপুর স্টেশন প্ল্যাটফর্মে এই মানববন্ধন করা হয়।

বাংলাদেশের প্রথম রেল যোগাযোগ স্থাপন হয় দর্শনা থেকে জগতি। ১৮৬২ সাল থেকে দর্শনা থেকে জগতি রেল যোগাযোগের প্রথম হলেও এলাকার মানুষের দাবি জয়রামপুর প্রথম স্টেশন। চুয়াডাঙ্গা জেলার ঐতিহ্যবাহী কৃষি পণ্যবাহী প্রথম স্টেশন নামে খ্যাত জয়রামপুর রেলস্টেশন। এই ঐতিহ্যবাহী রেল স্টেশনে আন্তঃনগর ট্রেন যাত্রা বিরতি না থাকলেও মেইল ট্রেনগুলো যাত্রা বিরতি করত। জয়রামপুর থেকে কৃষি পণ্য ঢাকা খুলনা রাজশাহী বিভিন্ন এলাকায় বিক্রয়ের জন্য নিয়ে যাওয়ার প্রধান বাহন হিসেবে ব্যবহৃত হতো নকশি কাঁথা মেইল ট্রেন।

সেই নির্ভরযোগ্য একমাত্র মেইল ট্রেন আজ জয়রামপুর স্টেশনে যাত্রা বিরতি থেকে বিচ্ছিন্ন হতে যাচ্ছে। জয়রামপুর গ্রামের ঐতিহ্য বয়ে নিয়ে আসার মূল তালিকাসক্তি হিসেবে পরিচিতি লাভ করে জয়রামপুর রেলস্টেশন।বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী প্রধানমন্ত্রীর লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের বড় প্রকল্পের একটি হলো পদ্মা সেতু প্রকল্প। পদ্মা সেতু রেল যোগাযোগের মধ্য দিয়ে ঢাকা খুলনা যোগাযোগ এর নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে।সেই ধারাবাহিকতায় খুলনা ,দর্শনা, চুয়াডাঙ্গা, আলমডাঙ্গা, মুন্সিগঞ্জ, পোড়াদহ, কুষ্টিয়া, হয়ে ফরিদপুর ভাঙ্গা দিয়ে নকশী কাঁথা মেইল ট্রেনের নতুন রোডম্যাপ তৈরি হয়েছে।নতুন রোডম্যাপে জয়রামপুর স্টেশনে নকশি কাঁথা মেইল ট্রেন ২৫ ও নকশি কাঁথা মেইল ট্রেন ২৬এর যাত্রা বিরতি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।জয়রামপুর স্টেশন চুয়াডাঙ্গা জেলার একটি ঐতিহ্যবাহী রেলস্টেশন। দামুড়হুদা থানার একমাত্র স্টেশন। সেই ঐতিহ্যবাহী স্টেশন অন্ধকারে নেমে যাচ্ছে। একটি রেল স্টেশনের ঐতিহ্য ও আলো ফিরিয়ে আনতে এলাকাবাসী মানববন্ধনের আয়োজন করে।

এ সময় জয়রামপুর স্টেশন প্রাঙ্গন আমাদের দাবি আমাদের দাবি স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে জয়রামপুর স্টেশন প্ল্যাটফর্ম। জয়রামপুর স্টেশন থেকে কৃষি পণ্য ও যাত্রী উঠানামা করে জয়রামপুর উক্ত চাঁদপুর দিননাথপুর নেহালপুর ডুগডুগি তারিনীপুর লোকনাথপুর দামুড়হুদা সহ আরো অনেক গ্রামের মানুষ। এ বিষয়ে স্থানীয়দের কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন জয়রামপুর স্টেশন কৃষি নির্ভর স্টেশন। জয়রামপুর এলাকাটা একটি কৃষি অধ্যুষিত এলাকা। এখানে প্রচুর পরিমাণ সবজি চাষ হয়। নকশী কাঁথা মেইল ট্রেনের মধ্য দিয়ে জয়রামপুরসহ আশেপাশে গ্রামের সবজি কুষ্টিয়া কুমারখালী রাজবাড়ী খুলনা দৌলতপুর যশোর ইত্যাদি স্থানে বিক্রয়ের জন্য নেয়া হয়।

জয়রামপুর সহ আশেপাশের গ্রামের মানুষের প্রাণের দাবি অবিলম্বে নকশি কাঁথা ২৫ নকশি কাঁথা ২৬ মেইল ট্রেনের যাত্রা বিরতি পুনর বহাল রাখতে হবে। নকশিকাঁথা আপ-ডাউন স্টপেজ চালু করতে হবে, ট্রেন আমাদের পূর্ব-পুরুষদের দীর্ঘ ইতিহাস।ট্রেন আমাদের স্পন্ধন, আমাদের কবিতা, আমাদের গল্প। পড়া-লেখা,রুটি-রুজি,অফিস-আদালত,কৃষি,বানিজ্য আমাদের সব কিছু। ব্রিটিশ-ভারত বাংলার সর্বপ্রথম প্রবেশের অংশ জয়রামপুর স্টেশন।
আমরা আমাদের বুকের উপর ট্রেন পরিচালনা করেছি।আমাদের ভূমি দিয়ে ট্রেন গড়েছি।
আপনারা আমাদেরকে মারবেননা।আমরা আমাদের ক্ষুদা-দরিদ্র আর্ত পেটের উপরদিয়ে ট্রেন চলতে দিতে পারিনা।

মানববন্ধন কারিরা আরো বলেন, স্টেশনের সকল কার্যক্রম চালু করতে হবে, আউট সিগন্যাল কেবিন চালু করতে হবে, রেলকোয়াটার পুরায় চালু করতে হবে।

নব্বইয়ের দশকের সকল ট্রেন ও মালবাহি সেবা চালু করতে হবে।জয়রামপুর স্টেশনে সকল লোকালট্রেন স্টপেজ বলবৎ রেখে যেকোন একটি ঢাকাগামী একটি রাজশাহী ও একটি সান্তাহার গামী আন্তনগর ট্রেন স্টপিজ দিতে হবে। ট্রেন রক্ষণাবেক্ষণ ও নিরাপত্তার জন্য রেলপুলিশ ফাড়ি স্হাপন করতে হবে।

এ বিষয়ে স্থানীয় ব্যক্তি হাউলী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ খোকনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন দামুড়হুদা থানার একমাত্র ঐতিহ্যবাহী রেলস্টেশন জয়রামপুর জয়রামপুরসহ আশেপাশের গ্রামে খেটে খাওয়া দিনমজুর মানুষের বসবাস তাদের চলাচলের একমাত্র বহন হলো এই লোকাল ট্রেন। এই লোকাল ট্রেনের মাধ্যমে তাদের জীবিকা নির্ভর করে। অসুস্থ মানুষ এখান থেকে চিকিৎসা নিতে যাই যাতে তাদের যাতায়াত খরচটা কম হয়। কৃষি পণ্য বহন করে খরচ কমানোর জন্য। এই ট্রেনটি যদি এখানে না থামে তাহলে তাদের বড় ধরনের ক্ষতি হয়ে যাবে । এজন্য রেল মন্ত্রণালয় এর কাছে আমাদের দাবি অবিলম্বে জয়রামপুর রেলস্টেশনের লোকবল নিয়োগ এর মাধ্যমে আবারও এই স্টেশনটাকে পুনরুজ্জীবিত করতে হবে।




ঝিনাইদহে হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ২ আসামী গ্রেপ্তার

ঝিনাইদহে মা ও মেয়েকে হত্যা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত ২ আসামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার সকালে সদর উপজেলার বকসিপুর ও চাদঁপুর এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃতরা হলো-সদর উপজেলার চাঁদপুর গ্রামের তক্কেল আলীর ছেলে রফিক উদ্দিন ও মৃত আফিল বিশ্বাসের ছেলে ঝন্টু বিশ্বাস।

ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি শাহীন উদ্দিন জানান, ২০০২ সালের ২১ সেপ্টেম্বর চুয়াডাঙ্গা আলমডাঙ্গা উপজেলার নাগদা গ্রামের হাসিনা খাতুন ও তার ৩ বছরের মেয়ে টফিকে নিয়ে এসে মাকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করার পর তাদের হত্যা করে। ওইদিন সদর উপজেলার সাগান্না ইউনিয়নের চাঁদপুর গ্রামের নবগঙ্গা নদীর পাড় থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এ ঘটনায় সাগান্না ইউনিয়নের চৌকিদার সাধন দাস অজ্ঞাতদের আসামী করে সদর থানায় হত্যা মামলা হয়। লাশ উদ্ধারের পর পরিবারের সদস্যরা এসে তাদের পরিচয় শনাক্ত করে। সেই মামলায় চলতি মাসে আদালত ৩ জনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ডে দন্ডিত করে। রায়ের সময় আসামীরা পলাতক ছিলো।

আদালত আসামীদের গ্রেফতারে ওয়ারেন্ট জারি করলে সদর থানার এস আই রফিকুল ইসলাম সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করে। শুক্রবার বিকেলে তাদের আদালতে পাঠানো হয়।




৩ জুটির ড্রামা ফেস্টিভ্যাল

এই সময়ের তিন তারকা জুটি নিয়ে দেশে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে রোম্যান্টিক ড্রামা ফেস্টিভ্যাল। যাতে জুটি হয়ে অংশ নিচ্ছেন জিয়াউল ফারুক অপূর্ব, তানজিন তিশা, ফারহান আহমেদ জোভান, তটিনী, তৌসিফ মাহবুব ও নীহা।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছে সিএমভি ও ক্লোজআপ কর্তৃপক্ষ। আয়োজকরা জানান, জনপ্রিয় ৬ তারকাকে নিয়ে তিনটি প্রেমের গল্পে সাজানো হচ্ছে এই উত্সব। ভালোবাসা দিবসের বাইরে বিশেষ নাটক নিয়ে দেশে এমন উত্সব হয়নি আগে। নভেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকে উত্সবটি শুরু হবে।

উত্সবের প্রথম পর্বে থাকছে ৩টি বিশেষ নাটক। এরমধ্যে থাকছে জাকারিয়া সৌখিনের ‘পথে হলো দেরি’, প্রবীর রায় চৌধুরীর ‘ভালোবাসি তবুও’ এবং মিজানুর রহমান আরিয়ানের ‘হৃদয়ে হৃদয়’। নাটকগুলোতে অভিনয় করেছেন অপূর্ব-তটিনী, তৌসিফ-তিশা এবং জোভান-নীহা।

উত্সব প্রসঙ্গে প্রযোজক এসকে সাহেদ আলী পাপ্পু বলেন, ‘আমরা বরাবরই চেয়েছি গানে ও নাটকে মানসম্পন্ন কিছু উপহার দিতে। ক্লোজআপকে সঙ্গে পেয়ে আমাদের সেই যাত্রা আরও উত্সবমুখর হলো। আমরা বিশ্বাস করি, সামনে আরও বড় পরিসরে এই উত্সব করতে পারবো।

সূত্র: ইত্তেফাক




প্যারোলে মুক্তি পাচ্ছেন প্রেমিকাকে খুন করা অস্কার পিস্টোরিয়াস

দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক প্যারাঅলিম্পিক চ্যাম্পিয়ন অস্কার পিস্টোরিয়াস তার বান্ধবী রিভা স্টিনক্যাম্পকে হত্যার প্রায় ১১ বছর পর প্যারোলে জেল থেকে মুক্তি পেতে যাচ্ছেন।

২০১৩ সালে ভ্যালেন্টাইন্স ডে-তে বান্ধবী স্টিনক্যাম্পকে বাথরুমের দরজা দিয়ে একাধিকবার গুলি করেছিলেন অস্কার। ঘটনার পর তার দাবি, চোর ভেবে বান্ধবীর ‍ওপর গুলি চালিয়েছিলেন তিনি।

২০১৬ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার একটি আদালত তাকে ১৩ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিল। প্যারোল বোর্ড তার মুক্তির তারিখ নির্ধারণ করেছে ২০২৪ সালের ৫ জানুয়ারি।

স্টিনক্যাম্প পরিবারের মুখপাত্রের মতে, মুক্তির পর পিস্টোরিয়াসকে থেরাপি সেশনে অংশ নিতে হবে। সাজা শেষ না হওয়া পর্যন্ত কর্তৃপক্ষের পর্যবেক্ষণে থাকবেন তিনি। পিস্টোরিয়াস তার সাজার বাকি অংশ সংশোধনী বিভাগের অধীন শেষ করবেন।

কার্বন-ফাইবারের তৈরি কৃত্রিম পা দিয়ে দৌড়ানো ‘ব্লেড রানার’ নামে খ্যাত পিস্টোরিয়াসকে এক সময় ভাবা হতো ‘নায়ক’। এরপর খুনের অভিযোগে প্রায় এক দশক আগে আলোচনায় আসেন তিনি।

রায়ের আগে প্যারোল বোর্ডে পাঠানো একটি চিঠিতে স্টিনক্যাম্পের মা বলেছিলেন, তাকে মুক্তি দেওয়ার বিরোধীতা তিনি করছেন না। তবে সাবেক এই অ্যাথলেট যথেষ্ট পরিমাণে অনুশোচনা প্রকাশ করেননি। পুনর্বাসনের জন্য কাউকে সৎ থেকে নিজের অপরাধের সত্যতা ও এর প্রভাব মেনে নিতে হয়। যদি সত্যিকে পুরো মেনেই না নেয়, তাহলে কেউ বলতে পারে না যে তার অনুশোচনা হচ্ছে।

পিস্টোরিয়াসের সংস্পর্শে কেউ চলে আসলে সে কতটা নিরাপদ থাকবে এ নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন স্টিনক্যাম্পের মা।

সূত্র: বিবিসি




দর্শনা কেরুজ চিনিকলের ২০২৩-২৪ মাড়াই মৌসুমের স্লো-ফায়ারিং উদ্বোধন 

কেরুজ চিনিকলে ২০২৩-২৪ মৌসুমে আখ মাড়াই উপলক্ষে চিনিকলের বয়লিং হাউজে স্লো-ফায়ারিং দেওয়া হবে আজ শুক্রবার দুপুর ৩ টায় বয়লিং হাউজের সামনে। স্লো-ফাযারিং উপলক্ষে আজ শুক্রবার দুপুরে মিল হাউজের বয়লার বিভাগে এক আলোচনা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে।

দোয়া শেষে বয়লারে ২০২৩-২৪ মাড়াই মৌসুমের অগ্নিসংযোগের মধ্য দিয়ে স্লো-ফায়ারিং উদ্বোধন করবেন দর্শনা কেরু এ্যান্ড কোম্পানীর ব্যাবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন।

১৯৩৮ সালে প্রতিষ্ঠিত চুয়াডাঙ্গা জেলার ঐতিহ্যবাহী দর্শনায় অবস্থিত এশিয়া মহাদেশের মধ্যে দ্বিতীয় ও দেশের একমাত্র ভারী চিনিশিল্প প্রতিষ্ঠান দর্শনা কেরু এ্যান্ড কোং (বাং) লিঃ। এ চিনিকল আজ নানা সমস্যায় জর্জরিত। বয়সের ভারে নুয়ে পড়া মিলটির যেন সারা ঘায়ে পরিণত। প্রতিবছর এ মিল থেকে সরকার কোটি, কোটি টাকা মুনাফা অর্জন করলেও যন্ত্রাংশ পরিবর্তনের ক্ষেত্রে ছিলো উদাসীন। কেরুজ চিনিকলটি আধুনিকায়ন করণে মিলের শ্রমিক-কর্মচারী ও এলাকাবাসীর কাংঙ্খিত দাবি বারবার হয়েছে উপেক্ষিত। চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য হাজি আলী আজগার টগর মহতি উদ্যোগে মিলটিকে আধুনিকায়নের জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রালয় থেকে সাড়ে ৪৭ কোটি টাকা বরাদ্দের ব্যবস্থা করেন।

পরবর্তীতে আধুনিকায়ন কাজের জন্য ডিষ্টিলারী সহ বিভিন্ন উন্নয়নে মোট ১০০ কোটি টাকা বরাদ্ধ দেওয়া হয়। তারই আপ্রাণ প্রচেষ্টায় মিলটি আধুনিকতার ছোঁয়া পেলেও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের কচ্ছপ গতিতে কাজ চলায় দীর্ঘ ১০ বছর অতিবাহিত হলেও পূরোপুরি আধুনিকায়নে রুপ নিতে পারেনি।

এদিকে বয়সের ভারে নুয়ে পড়া মিলটি প্রতি বছরেই পুরোনো যন্ত্রাংশ জোড়াতালি ও ঝালাই-মেরামত করে আখমাড়াই কার্যক্রম শুরু করতে হয়। যার ফলে শুরু থেকেই নানা রকম সমস্যার মোকাবেলার মধ্যদিয়ে টেনেহেঁচড়ে মাড়াই মৌসুম শেষ করতে হয় চিনিকলটির। ফলে লোকসান গুনতে হয় কোটি, কোটি টাকা। বর্তমানে আধুনিকায়নে বয়লিং, কেইন কেরিয়ার ও মিলহাউজের কাজ চলছে।

এরমধ্যে কিছু কাজ সম্পন্ন হলেও বেশির ভাগ কাজ অসম্পন্ন থাকায় মিলটি সম্পন্ন আধুনিকায়নে আরও এক,দুই বছর সময় লেগে যেতে পারে বলে একটি বিশ্বস্ত সুত্রে জানাগেছে। এ মৌসুমে লোকসান কাটিয়ে মুনাফা অর্জনের জন্য মিল কর্তৃপক্ষ গ্রহণ করেছে নানামুখি পদক্ষেপ। আখচাষিদের সুবিধা নিশ্চিতকরণের পাশাপাশি, শ্রমিক-কর্মচারীদের দিকেই খেয়াল রাখা হচ্ছে।

তবে বর্তমান প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন তিনি প্রতিষ্ঠানে ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসাবে যোগদানের পর থেকে পূর্বের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে দর্শনা কেরুজ চিনিশিল্পকে লাভজনক স্থানে নিতে ও চিনিকলকে বাঁচিয়ে রাখতে আখ চাষ বৃদ্ধির লক্ষে কেরুজ মিল জোন এলাকায় ছুটছেন চাষিদের দ্বারে,দ্বারে। তেমনি প্রতিদিন কোন না কোন এলাকার চাষিদের সঙ্গে উঠান বৈঠক সহ সোজন্য মূলক আলোচনায় বসছেন। তিনার এমন উদ্দ্যগে এলাকার চাষিরা আখ চাষ করার কথা ব্যাক্ত করেছেন। সেই সাথে ২০২৩-২৪ মাড়াই মরসুমে প্রতিষ্ঠানটিকে কোন ধরনের যান্ত্রিক ত্রুটির মধ্যে পড়তে না হয় সেদিক লখ্য রাখছেন। সেই সাথে মাড়াই মরসুম সফল করতে ওয়াটারট্রাইল সম্পন্ন সহ মিল হাউজ ও কেইন কেরিয়ার ট্রাইল দেওয়া হয়েছে।

এরমধ্যে ছোট খাটো ত্রুটির সন্ধান মিললে তা সারিয়ে নেয়া হবে। এ বছর মাড়াই মৌসুমে ১ লাখ ৫৪ হাজার মেট্রিক টন আখ মাড়াই করে ৪ হাজার মেট্রিক টন চিনি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। চিনিকলের নিজস্ব ১ হাজার ৫৫০ একর জমিতে ২৪ হাজার মেট্রিক টন আখ উৎপাদন করেছিল। এবং কৃষকের ৬ হাজার ৯৮২ একর জমির ৯৪ হাজার মেট্রিক টন আখ লাগিয়েছিলো। কিন্তু এবার মাত্র ৪৫ দিবসে আখ মাড়াই কার্যক্রম শেষ হয়ে যাবে। চলতি মাড়াই মৌসুমে কেরু চিনিকল ১ লাখ ৫৪ হাজার মেট্রিক টন আখ মাড়াই করে ৯ হাজার ৬২৫ মেট্রিক টন চিনি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিলো।

এ বিষয়ে কেরু এ্যান্ড কোম্পানীর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন বলেন, ২০২৩-২৪ মাড়াই মৌসুমে বড় ধরনের কোন যান্ত্রিক সমস্যার সম্মূখীন হতে না হয় সেজন্য সকল যন্ত্রাংশ ট্রাইল দেওয়া হচ্ছে পাশাপাশি কোন সমস্য আছে কিনা সেটিও দেখা হচ্ছে। তবে মিলটি মাড়াই মরসুম সুন্দর ও সুষ্ঠ ভাবে সম্পন্ন করতে সকল ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। আশা রাখি সকল প্রতিকূলতা মোকাবেলা করে মাড়াই মরসুম সম্পন্ন করা সম্ভব হবে। সেই সাথে সকলের প্রচেষ্টায় প্রতিষ্ঠানকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করা সম্ভব হবে। তবে চিনি উৎপাদনের একমাত্র কাচামাল হচ্ছে আখ। তিনি এতদ্বা অঞ্চলের চাষিদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে আরও বলেছেন, দেশের ভারী শিল্পপ্রতিষ্ঠান, জেলার ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠান কেরুজ চিনিকলকে রক্ষা করতে বেশি বেশি করে আখ চাষের কোনো বিকল্প নেই ।




ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডুতে সাবেক সেনা সদস্যকে গুলি করে হত্যা

ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলার শুড়া গ্রামে শামিম হোসেন মিয়া (৫০) নামে সাবেক সেনা সদস্যকে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে আটটার দিকে অজ্ঞাতনামা দুর্বৃত্তেরা এই হত্যাকান্ডটি ঘটিয়েছে। নিহত শামীম একই গ্রামের গোলাম রসুল লান্টুর ছেলে। তিনি একজন সাবেক সেনা সদস্য ও উপজেলা সেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক কমিটির সহ-সভাপতি ছিলেন।

স্থানীয়রা জানান, রাত সাড়ে ৮ টার দিকে এশার নামাজের পর তার বাড়ির সামনে একটি সাঁকোর কাছে দাড়িয়ে ছিলেন। এসময় কিছু অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা তাকে ফোন করে খালের ওপারে নিয়ে গিয়ে বুকে গুলি করে ফেলে রেখে যায়। এ অবস্থায় স্বজনরা পুলিশে খবর দিয়ে তাকে হরিণাকুণ্ডু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্্ের নিয়ে গেলে কর্বত্যরত চিকিৎসক ডাঃ আল আমিন ও উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ জামিনুর রশিদ তাকে মৃত্যু ঘোষণা করেন।

হরিণাকুণ্ডু উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা জামিনুর রশীদ জানান, শামিম ঘটনাস্থলেই নিহত হয়েছিলেন। হাসপাতালে মৃত অবস্থায় তাকে আনা হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করতে হরিণাকুণ্ডু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবুর রহমানকে বার বার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

ঝিনাইদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) ইমরান জাকারিয়া জানান, একজনকে গুলি করে হত্যার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে রওনা হয়েছি। সেখানে পৌছে বিস্তারিত জনাতে পারবো।




মেহেরপুরে লাঙ্গল চষতে চান চান ৩ জন

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে জাতীয় পার্টির দলীয় মনোনয়ন ফর্ম সংগ্রহ করেছেন তিনজন।

মেহেরপুর-১ সংসদীয় আসনের জন্য ১ জন এবং মেহেরপুর-২ সংসদীয় আসনের জন্য ২ জন।

আজ বৃহস্পতিবার দলীয় মনোনয়ন সংগ্রহের শেষ দিনে দলীয় কার্যালয় থেকে মেহেরপুর-২ সংসদীয় আসনের (গাংনী) জন্য মনোনয়ন ফর্ম সংগ্রহ করেন কিতাব আলী।

ইতোপূর্বে গতকাল বুধবার দলীয় কার্যালয় থেকে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন মেহেরপুর-১ সংসদীয় আসনের (মেহেরপুর সদর ও মুজিবনগর) জন্য আব্দুল হামিদ এবং মেহেরপুর-২ সংসদীয় আসনের (গাংনী) জন্য মোঃ আব্দুল বাকী।




গাংনীতে ট্রাক ও লেগুনার সংঘর্ষে আহত ৯

গাংনীতে যাত্রীবাহী লেগুনার সাথে ভুট্টা বোঝায় ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে সৃষ্ট দুর্ঘটনায় ৯ জন আহত হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) বিকেল ৩ টার দিকে গাংনীর চৌগাছাতে এই দুর্ঘটনা ঘটে। ট্রাক আরোহীদের ৫ জন ও যাত্রীবাহী লেগুনার চালকসহ ৩ জন যাত্রী আহত হয়েছেন।

আহতরা হলেন রামকৃষ্ণপুর গ্রামের আব্দুর রকিবের ছেলে নাঈম হোসেন (১৪), মেহেরপুর সদর উপজেলার নতুন দরবেশপুরের মৃত আহাদ আলীর ছেলে ঝন্টু আলী (৫০), রফিকুল ইসলামের ছেলে আসাদুল ইসলাম (৪০), মুরাদ আলীর ছেলে সাজেদুল ইসলাম (৫০), আনিস আলীর ছেলে আসাবুল ইসলাম (২৬) ,কুষ্টিয়ার নাসির উদ্দিন এর ছেলে নাঈম (২৪),গাংনী উপজেলার লক্ষীনারায়নপুর ধলা গ্রামের মৃত আবুল মোহাম্মদের ছেলে আলী মোহাম্মদ (৭০), কাথুলী গ্রামের মামুন হোসেনের স্ত্রী শাবানা খাতুন (৩৫) ও কুলবাড়িয়া গ্রামের আকলেসুর রহমানের স্ত্রী খাদিজা খাতুন (৪০)।

স্থানীয় জনগণ আহতদের উদ্ধার করে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে ৩ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়াতে তাদেরকে মেহেরপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে রেফার্ড করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।

গাংনী থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মনোজিৎ কুমার নন্দী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।




মেহেরপুরে রিক্সা ও ইজিবাইকের ব্যাটারি চুরির হিড়িক

মেহেরপুরে আশঙ্কাজনক ভাবে বেড়েছে ব্যাটারি চালিত রিক্সা, ভ্যান ও ইজিবাইক থেকে ব্যাটারি চুরির ঘটনা। নানা ভোগান্তির অজুহাতে থানায় অভিযোগ করতে ভুক্তভোগীদের অনীহা।

গত এক মাসে মেহেরপুর পৌর শহরের মিয়া পাড়া থেকে মনিরুল ইসলাম, হাসমত, মজিবর ও জনি নামের রিকশাচালক, ভ্যান চালক বাবু এবং ইজিবাইক চালক ইজিল সহ মোট ৬ জনের বাড়ি থেকে তাদের বাহনের ব্যাটারি খুলে নিয়ে গেছে সঙ্ঘবদ্ধ চোরেরা। জানা গেছে প্রত্যেকের রিক্সার চারটি ব্যাটারির মধ্যে দুইটি করে চুরি করে নিয়ে গেছে চোরেরা।

মেহেরপুরের মল্লিক পাড়ার দবিরের মোড় এলাকার কয়েকজন রিক্সা চালক জানান মাস খানেক আগে মেহেরপুরের গোরস্থান পাড়ায় এক রিকশা চালকের রিকশা থেকে চারটি ব্যাটারিই চুরি করে নিয়ে যায় চোর চক্র। দিঘির পাড়া থেকে খাইরুল নামের এক রিকশা চালকের ব্যাটারি চালিত রিকশাটিই চুরি হয়ে গেছে রাতের আধারে।

এছাড়াও বিগত কিছুদিন যাবত বেড়েছে ইজিবাইক চুরি ও ছিনতাই এর ঘটনা। সম্প্রতি মেহেরপুরে ঘটে যাওয়া কয়েকটি হত্যাকাণ্ডের সাথে ইজিবাইক ছিনতাইয়ের যোগসূত্র পাওয়া গিয়েছিল।

মেহেরপুর জেলা অটো মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘জেলাতে সমিতির তালিকাভুক্ত প্রায় ২ হাজার ৭০০ জন ইজিবাইক চালক রয়েছেন। সমিতির বাইরেও মেহেরপুরে চলে আরো অসংখ্য ইজিবাইক। যাদের ক্ষয়ক্ষতির হিসাব সমিতির জানা নেই।’

গোলাম মোস্তফা আরো বলেন, ‘বিগত কয়েক মাসে আমার জানামতে মেহেরপুর জেলা থেকে দশটার অধিক ইজিবাইক চুরি হয়েছে। এরমধ্যে ইজিবাইক মালিক সমিতি শামীম ও সামাদ নামের দুই ইজিবাইক মালিকের ইজিবাইক উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে। কয়েকদিন আগে দক্ষিন শালিকা গ্রামের বাহারুলের ছেলে অটোচালক আকাশ অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়ে তার ইজিবাইকটি খোয়াই। চারদিন পর আকাশের জ্ঞান ফিরেছিলো। মাস ছয়েক আগে হানিফ নামের এক অটোচালক মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের কাটাই খানার সামনে থেকে তার ইজিবাইক খুইয়েছেন। ঘটনাগুলোতে নিয়ে মেহেরপুর সদর থানা ও মুজিবনগর থানায় অভিযোগ ও সাধারণ ডায়েরি করলেও ইজিবাইক গুলি এখনো উদ্ধার হয়নি।

রিকশা চালকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে ব্যাটারি হারালেও তারা থানায় কোন অভিযোগ করেননি। থানায় অভিযোগ না করার কারণ জিজ্ঞাসা করলে তারা বলেন, অভিযোগ করতে গেলে আগেই ৫০০ টাকা দেয়া লাগে, এরপরও কোন উদ্ধার হয় না। এজন্যই তারা অভিযোগ না করে বিভিন্ন জায়গা থেকে লোন করে নতুন ব্যাটারি কিনেছেন।

মিয়া পাড়ার অধিবাসী ভুক্তভোগী রিক্সা চালক মনিরুল ইসলাম (মনি) বলেন, ‘সারাদিন রিক্সা চালিয়ে রাতে নিজ বাড়িতে রিক্সা চার্জ দিয়ে ঘুমিয়ে পড়ি। সকালে উঠে দেখি চারটি ব্যাটারির মধ্যে দুইটি ব্যাটারিই চোরে নিয়েগেছে। রিকশা চালিয়ে সারাদিন যা আয় করি তা দিয়েই কোনরকমে সংসার চালাই। ব্যাটারি হারানোর পর নিরুপায় হয়েই সমিতি থেকে লোন করে ২৭ হাজার টাকা দিয়ে নতুন ব্যাটারি কিনেছি। ‘

মেহেরপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ কামরুল আহসান বলেন, ‘থানায় সাধারণ ডায়েরি করতে কোন খরচ হয়না। দেশের প্রচলিত আইনের প্রতি সম্মান দেখিয়ে ভুক্তভোগীদের পদক্ষেপ নেয়া উচিৎ। ভুক্তভোগীরা সংশ্লিষ্ট থানায় অভিযোগ করলে তার প্রেক্ষিতে পুলিশ অবশ্যই ব্যবস্থা নেবে।’