বাগেরহাট-৩ আসনের জন্য মনোনয়নপত্র জমা দিলেন শাকিল খান

নিজের ব্যবসা নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন একসময়ের ঢাকাই চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় চিত্রনায়ক শাকিল খান। দীর্ঘদিন ধরে অভিনয় থেকে দূরে তিনি। এবার নামলেন রাজনীতির মাঠে। দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে সংসদ সদস্য হতে জমা দিলেন মনোনয়নপত্র।

আওয়ামী লীগের হয়ে বাগেরহাট-৩ (রামপাল ও মোংলা) আসনে নৌকা প্রতীকে প্রার্থী হতে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন। গত শনিবার (১৮ নভেম্বর) নেওয়া এই মনোনয়নপত্র গতকাল সোমবার নীরবে জমাও দেন শাকিল খান।

শাকিল খান জানান, ব্যবসার কাজে এলাকার মানুষের সঙ্গে তাঁর সম্পৃক্ততা কয়েক গুণ বেড়েছে। বিভিন্ন সময় তিনি এলাকার মানুষের পাশে থেকেছেন। এলাকার উন্নয়নে কাজ করছেন। এবার তিনি এলাকার মানুষের কথা চিন্তা করেই দ্বাদশ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন।

দেশের একটি গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘আগামী দ্বাদশ নির্বাচনে বাগেরহাট-৩ (রামপাল ও মোংলা) আসনের জন্য মনোনয়ন কিনেছি। এখন মনোনয়ন কিনেছি এটা বড় বা মুখ্য বিষয় না। আমি দীর্ঘদিন ধরে মোংলা, রামপাল এলাকায় কাজ করে যাচ্ছি। আমার এই এলাকার মানুষের সঙ্গে আমার অভিনয়ের বাইরে রাজনৈতিক পরিচয় দীর্ঘদিনের। তাঁদের পাশে থাকতে চাই।’

শাকিল আরও বলেন, ‘১৯ বছর ধরে আমি এলাকার মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। এখন আমি একটি জিনিসই প্রত্যাশা করি, একজন ভালো মানুষের মাধ্যমে একজন নেতৃত্ব দেবেন এবং যাঁর নেতৃত্বে এলাকার সাধারণ জনগণ ও তৃণমূল আওয়ামী লীগকে নিয়ে কাজ করতে পারবেন, সেই লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে যাওয়া।’

ঝোঁকের বশেই চলচ্চিত্রে আসেন শাকিল খান। ক্যারিয়ারে প্রথম ‘আমার ঘর আমার বেহেশত’ ছবিতে অভিনয় করেন ১৯৯৪ সালে। সে ছবিটি মুক্তি পায় তিন বছর পর। এরপর যেন এলেন, দেখলেন, জয় করলেন। একে একে উপহার দেন ব্যবসাসফল ‘পাহারাদার’, ‘বিয়ের ফুল’, ‘নারীর মন’, ‘কষ্ট’র মতো অসংখ্য ছবি।

সূত্র: ইত্তেফাক




ডিসেম্বরে লাখ লাখ অ্যাকাউন্ট বন্ধ করবে গুগল

হাজার হাজার গুগল অ্যাকাউন্ট বন্ধ করতে চলেছে গুগল। সাফাই পর্ব শুরু হবে চলতি বছর ডিসেম্বর মাস থেকেই। তার আগে ইউজারদের সতর্ক করতে বিশ্বজুড়ে লাখ লাখ ইউজারদের ই-মেইল পাঠাতে শুরু করেছে সার্চ ইঞ্জিন জায়ান্ট। সংস্থা জানিয়েছে, জারি করা শর্ত না মেনে চললে ইউজারের গুগল অ্যাকাউন্ট পুরোপুরি ডিলিট করে দেওয়া হবে। আমরা সকলেই জানি বর্তমানে গুগল অ্যাকাউন্ট কতটা গুরুত্বপূর্ণ একজন ইউজারের কাছে। ডিলিট হওয়ার হাত থেকে বাঁচানোর জন্য কী কী করতে হবে জেনে নিন।

কেন ডিলিট হবে গুগল অ্যাকাউন্ট?
সার্চ ইঞ্জিন জানিয়েছে যেসব গুগল অ্যাকাউন্টে ২ বছর ধরে কোনো সাইন ইন হয়নি সেইসব অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়া হবে। এর আগে টানা ১৮ মাস অ্যাকাউন্ট থেকে কোনো অ্যাক্টিভিটি না হলে সেটি ইনঅ্যাক্টিভ ধরা হতো।

আসলে গুগলের মতে, ইনঅ্যাক্টিভ গুগল অ্যাকাউন্টগুলিতে হ্যাকিং হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি। কারণ এগুলিতে নিরাপত্তা স্তর অনেক কম থাকে। তাই ইউজারদের প্রাইভেসি সুরক্ষিত রাখতে এই পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানিয়েছে গুগল। টেক সংস্থাটি ই-মেইলে জানিয়েছে, ১ ডিসেম্বর ২০২৩ থেকে এই সকল অসক্রিয় অ্যাকাউন্ট সম্পূর্ণভাবে মুছে ফেলা হবে।

আপনি কীভাবে অ্যাকাউন্ট সুরক্ষিত রাখবেন?
আপনার যদি কোনো গুগল অ্যাকাউন্ট টানা ১৮ মাস বা ২ বছর ধরে অসক্রিয় থাকে তাহলে এই উপায়ে পুনরায় সক্রিয় করতে পারেন। প্রথমেই বলে রাখি, আপনি যদি সম্প্রতি গুগল অ্যাকাউন্টে সাইন ইন করে থাকেন তাহলে ভয় পাওয়ার দরকার নেই। কারণ এ ক্ষেত্রে গুগল আপনার অ্যাকাউন্ট ডিলিট করবে না।গুগল বলেছে, যদি কোনো অ্যাকাউন্ট অসক্রিয় থাকে তাহলে তার ই-মেইল এবং সেই ই-মেইলের রিকভারি ই-মেইল সতর্ক বার্তা পাঠাতে থাকব আমরা। এই গুগল অ্যাকাউন্ট যদি ডিলিট করে দেওয়া হয় তাহলে তার সঙ্গে যুক্ত জিমেইল অ্যাকাউন্ট আর ব্যবহার করতে পারবেন না সেই ইউজার। এমনকি নতুন গুগল অ্যাকাউন্ট খোলার ক্ষেত্রেও নয়।

সূত্র: ইত্তেফাক




বাংলাদেশ সরকারের সন্ত্রাসবিরোধী কার্যক্রমে সাম্প্রতিক সাফল্য

বাংলাদেশ কয়েক দশক ধরে সন্ত্রাসবাদের মতো জটিল ইস্যুর সঙ্গে লড়াই করছে। বিগত কয়েক বছরে বাংলাদেশ সরকার সন্ত্রাসবিরোধী প্রচেষ্টায় উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে। উন্নত গোয়েন্দা তথ্য, আইন প্রয়োগকারী অভিযান এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতার সংমিশ্রণের মাধ্যমে দেশটি সন্ত্রাসবাদ দমনে উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছে। এই প্রবন্ধটি সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশের সন্ত্রাসবিরোধী কার্যক্রমের মূল সাফল্যগুলো তুলে ধরেছে।

সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের লড়াইয়ে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য সাফল্যগুলোর মধ্যে একটি হলো এর কার্যকর সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান। দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, বিশেষ করে কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট এবং র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) সন্ত্রাসী হুমকি নির্মূলে সফলভাবে অসংখ্য অভিযান পরিচালনা করেছে। কয়েকটি উল্লেখযোগ্য অপারেশনগুলির মধ্যে রয়েছে:

অপারেশন থান্ডারবোল্ট (২০১৬)
র্যাবের এই অভিযানে ঢাকার হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলার মাস্টারমাইন্ডসহ বেশ কয়েকজন হাইপ্রোফাইল সন্ত্রাসী নিহত বা আটক হয়। এটি সন্ত্রাসীদের অনুসরণ এবং তাদের বিচারের আওতায় আনার জন্য সরকারের দৃঢ়সংকল্পপ্রদর্শন করে।

অপারেশন টোয়াইলাইট (২০১৯)
সিটিটিসি ও র ্যাবের সঙ্গে যৌথ অভিযানে নিরাপত্তা বাহিনী দেশের বিভিন্ন হামলার জন্য দায়ী সন্ত্রাসী সংগঠন নব্য জেএমবির (জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ) মূল সদস্যদের গ্রেপ্তার করেছে। এই অভিযানটি গ্রুপের নেটওয়ার্ককে আরও ধ্বংস করে দেয় এবং তাদের ক্রিয়াকলাপকে দমন করে।

সন্ত্রাসী নেটওয়ার্ক ধ্বংস
জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি স্বরূপ সন্ত্রাসী নেটওয়ার্ক নির্মূলে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে। এই নেটওয়ার্কগুলির মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সনাক্ত করণ এবং গ্রেপ্তারে সরকারের প্রচেষ্টা তাদের কার্যক্রমকে ব্যাহত করেছে এবং সন্ত্রাসবাদের হুমকি হ্রাস করেছে। এই ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার ও বিচার একটি স্পষ্ট বার্তা দিয়েছে যে বাংলাদেশ সন্ত্রাসীদের বিচারের আওতায় আনতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

উন্নত গোয়েন্দা ও নজরদারি
বাংলাদেশ সরকার, বিশেষ করে সিটিটিসি’র মাধ্যমে গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহের সক্ষমতা বাড়াতে বিনিয়োগ করেছে। তারা আন্তর্জাতিক লিঙ্ক সহ সন্ত্রাসী কার্যকলাপ সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ ও বিশ্লেষণের প্রচেষ্টা বাড়িয়েছে। ভারত এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো বিদেশী অংশীদারদের সাথে গোয়েন্দা বিনিময় আন্তঃদেশীয় সংযোগযুক্ত সন্ত্রাসীদের ট্র্যাক এবং ধরার ক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে।

আন্তর্জাতিক সহযোগিতা
বাংলাদেশ কার্যকরভাবে সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলায় আন্তর্জাতিক সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তা স্বীকার করে। সরকার গোয়েন্দা তথ্য আদান-প্রদান, যৌথ অভিযানে অংশ নেওয়া এবং বৈশ্বিক লিঙ্কযুক্ত সন্ত্রাসীদের ট্র্যাকিং এবং ধরার ক্ষেত্রে সহায়তা চাইতে বিদেশী দেশগুলির সাথে সক্রিয়ভাবে জড়িত রয়েছে। এ ধরনের সহযোগিতা বাংলাদেশের সন্ত্রাসবিরোধী প্রচেষ্টাকে শক্তিশালী করেছে এবং সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলায় বাংলাদেশের সাফল্যে অবদান রেখেছে।

মৌলবাদ এবং নিয়োগের সরঞ্জাম হিসাবে অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলির উত্থান বিশ্বব্যাপী একটি উল্লেখযোগ্য চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে। বাংলাদেশ উগ্রবাদী কনটেন্ট মনিটরিং ও ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে অনলাইন মৌলবাদ মোকাবেলায় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। তরুণদের উপর চরমপন্থী মতাদর্শের প্রভাব সীমিত করে অনলাইন প্রোপাগান্ডা সনাক্ত এবং প্রতিহত করার জন্য সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলি ব্যবহার করা হচ্ছে।

সন্ত্রাসবিরোধী আইন
বাংলাদেশ তার সন্ত্রাসবিরোধী আইন আপডেট করেছে এবং সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলায় তার আইনি কাঠামো শক্তিশালী করার জন্য নতুন আইন প্রবর্তন করেছে। সরকার ২০০৯ সালে সন্ত্রাসবিরোধী আইন প্রবর্তন করে, যা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত ব্যক্তিদের তদন্ত, বিচার এবং শাস্তি দেওয়ার জন্য একটি বিস্তৃত আইনি ব্যবস্থা সরবরাহ করে। এই আইনি কাঠামো সন্ত্রাসীদের বিচারের আওতায় আনতে সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে। এই আইনি সংস্কারগুলি আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলিকে যথাযথ প্রক্রিয়া এবং মানবাধিকার সুরক্ষা নিশ্চিত করার পাশাপাশি সন্ত্রাসী এবং তাদের সমর্থকদের বিরুদ্ধে আরও সিদ্ধান্তমূলক ব্যবস্থা নিতে সক্ষম করেছে।

কমিউনিটি এনগেজমেন্ট এবং সচেতনতা
বাংলাদেশ সরকার সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সম্প্রদায়ের সম্পৃক্ততা এবং জনসচেতনতার গুরুত্ব স্বীকার করেছে। তারা সংযম ও সহিষ্ণুতার বার্তা প্রচারের জন্য আউটরিচ প্রোগ্রাম, সচেতনতা প্রচারাভিযান এবং ধর্মীয় নেতাদের সাথে সহযোগিতার সাথে জড়িত স্থানীয় সম্প্রদায়ের সাথে বিশ্বাস এবং সহযোগিতা গড়ে তোলার উদ্যোগ বাস্তবায়ন করেছে। তৃণমূল পর্যায়ে উগ্রবাদ ও চরমপন্থা প্রতিরোধে এসব প্রচেষ্টা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সন্ত্রাসবিরোধী কর্মকাণ্ডে বাংলাদেশের সাফল্য তার নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকারের অবিচল অঙ্গীকারকে প্রতিফলিত করে। কার্যকর সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান, সন্ত্রাসী নেটওয়ার্ক ধ্বংস, উন্নত গোয়েন্দা ও নজরদারি, আন্তর্জাতিক সহযোগিতা, অনলাইন মৌলবাদ মোকাবেলা, সন্ত্রাসবিরোধী আইন এবং কমিউনিটি সম্পৃক্ততার মাধ্যমে বাংলাদেশ সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে।

এসব সাফল্য প্রমাণ করে যে, হুমকির বিবর্তিত প্রকৃতি বিবেচনায় নিয়ে সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলায় বাংলাদেশের দৃষ্টিভঙ্গি বহুমুখী ও অভিযোজনযোগ্য। বাংলাদেশ যখন এই অর্জনগুলি অব্যাহত রেখেছে, তখন সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে বৈশ্বিক সংগ্রামে অনুরূপ চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি অন্যান্য দেশগুলির জন্য এটি মূল্যবান শিক্ষা প্রদান করে।

লেখক: সহযোগী অধ্যাপক, অপরাধবিজ্ঞান ও পুলিশ বিজ্ঞান বিভাগ, মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়




কুষ্টিয়া সাব-রেজিস্ট্রার কার্যালয়ে অবৈধ সমিতির নামে চাঁদা আদায়

কুষ্টিয়া সদর উপজেলার আব্দালপুর গ্রামের শারিনা খাতুন ২৫ অক্টোবর একটি দলিল সম্পাদন করতে সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে যান। ৫ লাখ টাকার দলিল করতে তাঁর কাছ থেকে সাড়ে ৪৮ হাজার টাকা নেওয়া হয়। এর মধ্যে সরকারি কোষাগারে জমা পড়েছে ৩৮ হাজার টাকা। বাকি টাকা দলিল লেখক সমিতি নিয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

গত ২৫ ও ২৬ অক্টোবর সাব-রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ে প্রায় ৫ ঘণ্টা অবস্থান করে শহরের চৌড়হাস এলাকার আলফাজ উদ্দিন, ইউসুফ আলীসহ ১০ জন ক্রেতার সঙ্গে কথা হয়। প্রত্যেককেই দলির সম্পাদন করতে সরকার নির্ধারিত টাকার বাইরে ৫ থেকে ২০ হাজার টাকা নিবন্ধনহীন সমিতিকে দিতে হয়েছে।

কুষ্টিয়া এনএস রোডে অবস্থিত সাব-রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ে সদর উপজেলার ১৩টি ইউনিয়ন ছাড়াও পৌর এলাকার জমি কেনাবেচার দলিল সম্পাদন হয়। অফিসের হিসাব অনুযায়ী সপ্তাহের তিন দিন মঙ্গল, বুধ ও বৃহস্পতিবার গড়ে ৩৫০ থেকে ৪০০ দলিল সম্পাদন হয়। প্রতি মাসে সংখ্যা দাঁড়ায় ১ হাজার ৩০০ থেকে ৪০০।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সংশ্লিষ্ট কয়েকজন জানান, সরকারি নিয়ম অনুযায়ী ১ লাখ টাকার দলিল হলে ক্রেতাকে কোষাগারে জমা দিতে হয় শহরের জন্য ১১ হাজার ও ইউনিয়নের জন্য সাড়ে ৭ হাজার টাকা। এ টাকার ব্যাংক রিসিট দেওয়া হয়। এ হিসাবের বাইরে দলিল লেখক সমিতিকে দিতে হয় প্রথম এক লাখের জন্য সাড়ে ৩ হাজার ও পরবর্তী প্রতি লাখে ১ হাজার টাকা। এ ছাড়া সমিতির মাধ্যমে সাব-রেজিস্ট্রার অফিসকে সাড়ে ৩ হাজার টাকা দিতে হয়। এই সাড়ে ৩ হাজারের মধ্যে সাব-রেজিস্ট্রার ১ হাজার, জেলা রেজিস্ট্রার ৫০০ ও অফিস সহকারী নেন ৫০০ টাকা। অফিসের অন্য সব স্টাফ মিলে নেন ১ হাজার টাকা ও বাকি ৫০০ টাকা দিতে হয় সমিতিকে।

সাব-রেজিস্ট্রি কার্যালয়ে দলিল সম্পাদন করতে আসা সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে সমিতির মাধ্যেম এভাবেই দিনের পর দিন প্রকাশ্যে কোটি কোটি টাকা চাঁদা তোলা হচ্ছে। ভাগ-বাটোয়ারা করে নিচ্ছেন কয়েকজন দলিল লেখক, ক্ষমতাসীন দলের নেতা ও জনপ্রতিনিধিরা। বিষয়টি নিয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পান না। সাধারণ দলিল লেখকদের মধ্যে এ নিয়ে ক্ষোভ থাকলেও তারা ভয়ে কিছু বলতে পারেন না।

এ বিষয়ে প্রথমে সাব-রেজিস্ট্রার কার্যালয়ের অফিস সহকারী রফিকুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তিনি সাড়ে তিন বছর এ অফিসে কাজ করলেও অবৈধ সমিতির নামে চাঁদা আদায়ের বিষয়ে কিছুই জানেন না বলে দাবি করেন। প্রমাণ দিলে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলতে বলেন। পরে সদর সাব-রেজিস্ট্রার কাওসার আলীর সঙ্গে কথা হলে তিনিও চাঁদার ভাগ নেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেন। তবে কেউ লিখিত অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান এ কর্মকর্তা। একইভাবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন জেলা রেজিস্ট্রার সৈয়দা রওশন আরা।

কয়েকজন দলিল লেখক জানান, সদর সাব-রেজিস্ট্রার অফিসে দলিল লেখকদের একটি সমিতি আছে। এর সভাপতি ওয়াহেদুজ্জামান লাইজু, সাধারণ সম্পাদক পৌর কাউন্সিলর সোহেল রানা আশা ও ক্যাশিয়ার আমিরুল ইসলাম। মাত্র তিন সদস্যের নিবন্ধনহীন এ সমিতি তিন-চার বছর ধরে চাঁদাবাজি চালিয়ে যাচ্ছে। সমিতির বার্ষিক কোনো সভা ও এজিএমও হয় না। সা রাদিন কত দলিল হয় তার হিসাব সন্ধ্যায় করা হয়। সেই হিসাব অনুযায়ী রাতে দলিল লেখকদের কাছ থেকে টাকা বুঝে নেন নেতারা। এভাবে প্রতি মাসে সমিতির নেতাদের পকেটে যাচ্ছে কমপক্ষে কয়েক কোটি টাকা। এ টাকার বড় একটি অংশ পান কুষ্টিয়া শহর আওয়ামী লীগের এক প্রভাবশালী নেতাসহ কয়েকজন। বাকি টাকা সমিতির তিন নেতা ভাগ-বাটোয়ারা করে নেন। খুব সামান্য পরিমাণ টাকা ১৫০ থেকে ১৭৫ জন যে দলিল লেখক আছেন তাদের দেওয়া হয়।

দলিল লেখক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সোহেল রানা আশা বলেন, খরচ বাবদ ক্রেতাদের কাছ থেকে ৫০০ টাকা নেওয়া হয়। সমিতির কার্যক্রমের বিষয়ে তাঁর ভাষ্য, সাধারণ সভা বা নির্বাচন হয় না। সারাদেশে সমিতি এভাবেই চলছে। কেন্দ্রের সঙ্গে সমন্বয় করে তারা কাজ করেন।




কুষ্টিয়ায় হাতুড়ি পিটিয়ে ভাঙা হলো বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল

কুষ্টিয়ায় আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের নির্দেশে হাতুড়ি পিটিয়ে ভাঙা হলো বঙ্গবন্ধুর দৃষ্টিনন্দন ম্যুরাল। জেলা পরিষদের নির্মাণাধীন বহুতল ভবনবিশিষ্ট শপিং কমপ্লেক্স চত্বরে প্রায় কোটি টাকা ব্যয়ে সম্প্রতি নির্মিত দৃষ্টিনন্দন ম্যুরালটি ভেঙে চুর্ন-বিচুর্ন করার পর তা অপসারণ করা হয়। এতে খোদ দলীয় নেতা-কর্মীসহ শহরবাসীর মধ্যে দারুণ ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে।

জানা যায়, শহরের প্রাণকেন্দ্র হিসাবে পরিচিত থানপাড়া এলাকায় কুষ্টিয়া জেলা পরিষদের পুরাতন অফিস ভবন অপসারণ করে ঐ স্থানে ২০১৮ সালে তৎকালীন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী রবিউল ইসলাম ১৪তলা ভবনবিশিষ্ট আধুনিক শপিং কমপ্লেক্স নির্মাণ কাজ শুরু করেন। ইতিমধ্যে প্রকল্পটির প্রায় ৯০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে।

এ ছাড়া নির্মাণাধীন শপিং কমপ্লেক্সের পূর্বদিকের উন্মুক্ত স্থানে নির্মাণ করা হয় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের ম্যুরাল। কিন্তু পরবর্তীতে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদ বর্তমান চেয়ারম্যান সদর উদ্দিন খান বহুতল ঐ ভবনের পূর্বপাশসহ নির্মিত বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালের পেছন দিকে নকশাবহির্ভূত ৬/৭টি একতলা দোকান-ঘর নির্মাণ করে তা বরাদ্ধ দেন। শুধুমাত্র বাণিজ্যিক উদ্দেশ্য সাধনে নকশাবহির্ভূত ঐ দোকানগুলোর সামনে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল থাকায় যাতায়াতের পথটি সংকীর্ণ হয়ে পড়ে। ফলে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের নির্দেশে নিয়োজিত শ্রমিকরা গত তিন দিন যাবৎ বড় হাতুড়ি পিটিয়ে ম্যুরালটি পুরোপুরি ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয়। অবশ্য ঐ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আত্মরক্ষার জন্য নির্মাণাধীন বহুতল শপিং কমপ্লেক্স ভবনের সামনের দেওয়ালে বঙ্গবুন্ধুর একটি প্রতিকৃতি স্থাপন করেন। এতে শহরবাসীর মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।

ক্ষোভ প্রকাশ করে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা সোহেল রানা জানান, জাতির পিতা বঙ্গুবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান আমাদের দেশ স্বাধীন করেছেন। তার ম্যুরাল ভাঙার ঘটনাটি বড় অন্যায় ও খুবই দুঃখজনক।

কুষ্টিয়া জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি হাজী রবিউল ইসলাম ক্ষোভ ও নিন্দা জানিয়ে বলেন, সামান্য অর্থের লোভে হীন স্বার্থ চরিতার্থ করতে বর্তমান চেয়ারম্যান সদর উদ্দিন খান বঙ্গবন্ধুর দৃষ্টিন্দন ম্যুরাল ভেঙে চরম অপরাধ করেছেন। ধৃষ্টতাপূর্ণ এই অপরাধের জন্য তিনি প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপসহ বিচার প্রার্থনা করেন।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সদর উদ্দিন খানের বক্তব্য নেওয়ার চেষ্টা করা হলেও পাওয়া সম্ভব হয়নি।

তবে জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জয়নুল আবেদিন সত্যতা স্বীকার করে জানান, এ বিষয়ে আমি সম্পূর্ণ অবগত নই। তবে সৌন্দর্যবর্ধনে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের নির্দেশে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালটি ভাঙা হয়েছে বলে তিনি জানান।

কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক মো. এহেতেশাম রেজা জানান, বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল অপসারণ কিংবা স্থাপনের ক্ষেত্রে ধানমন্ডিস্থ বঙ্গবন্ধু মিউজিয়াম কর্তৃপক্ষের অনুমতি বাধ্যতামূলক। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে ব্যত্যয় ঘটলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে।

উল্লেখ্য, গত ২০১৯ সালে বঙ্গবন্ধুর এই ম্যুরালটি প্রায় কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয়।




কুষ্টিয়ায় প্রি- পেইড মিটার নিয়ে গ্রাহকদের ভোগান্তি

কুষ্টিয়ায় প্রি- পেইড মিটার নিয়ে গ্রাহকদের ভোগান্তি। তবে অভিযোগের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড থেকে বলা হচ্ছে, বিদ্যুতের বিনিময়ে উল্লেখিত সেবা কর আগে থেকেই ধার্য ছিল। এতদিন এই বিধি পালনে কর্তৃপক্ষ নজর না দিলেও এখন এই বিদ্যুৎ বিধি পালনে কড়াকড়ি আরোপের ফলে বিষয়টি গ্রাহকদের কাছে নতুন মনে হচ্ছে।

কুষ্টিয়া শহরের কোটপাড়া এলাকার আবাসিক গ্রাহক নাজমুল হক বলেন, ‘গত ১৩ নভেম্বর আমার প্রি-পেইড মিটার রিচার্জ করতে গেলে অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকানো যাচ্ছিল না। এই সমস্যার সমাধানে আমি ছুটে যাই বিদ্যুৎ অফিসে। সেখানে বিদ্যুৎ কর্মীরা আমার সমস্যার কথা শুনে নতুন করে আরও ২০ ডিজিট মিটারে প্রবেশ করিয়ে আমাকে মিটারে টাকা রিচার্জ করতে বলেন। ওদের কথামতো নতুন করে ইস্যুকৃত ওই ২০ ডিজিটের নম্বর ঢোকানোর পর থেকেই হঠাৎ করে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। পরে আবারও যখন বিদ্যুৎ অফিসকে সমস্যার কথা জানাই তখন তারা বলেছে, আমি নাকি লোড ক্যাপাসিটির চেয়ে অধিক বিদ্যুৎ ব্যবহার করছি; তাই এই সমস্যা হচ্ছে। সমাধান করতে হলে আরও ৪০৩ টাকা জমা দিয়ে ব্যবহার সক্ষমতা বা লোড ক্যাপাসিটি বাড়াতে হবে।

তিনি বলেন, এই ব্যবহার বৃদ্ধির শর্ত হলো প্রতি কিলোওয়াট বিদ্যুতের জন্য প্রতি মাসে বাড়তি আরও ৩৫ টাকা হিসেবে সেবা কর দিতে হবে। আমি এখন ঠিক বুঝে উঠতে পারছি না যে আমার কি করা উচিত? বিদ্যুৎ বিভাগ দেখছি দিনকে দিন নানা খাত দেখিয়ে প্রি-পেইড গ্রাহকের পকেট থেকে টাকা খসিয়ে নিচ্ছে।

শহরের মজমপুর এলাকার গ্রাহক কলেজ শিক্ষক রায়হান উদ্দিন বলেন, ‘প্রি-পেইড মিটার গ্রাহকদের স্বয়ংক্রিয় প্রযুক্তির গ্যাড়াকলে ফেলে বিদ্যুৎ বিভাগ ঠিকই ডিমান্ড চার্জ আদায় করছে, অথচ আমার নিকট প্রতিবেশীর বাড়িতে এখনও এনালগ মিটার চালু আছে। তাদের ক্ষেত্রে এমন বাধ্যবাধকতা নেই ডিমান্ড চার্জ আদায়ের বিষয়ে। এটা বিদ্যুৎ বিভাগ কর্তৃক সৃষ্ট গ্রাহকদের প্রতি একটা চরম বৈষম্যমূলক আচরণ। এক দেশে এমন বৈষম্যমূলক দ্বৈত নিয়ম আমি কেন মানবো?’

তিনি বলেন, আমার বাড়িতে দুই কিলোওয়াট বিদ্যুৎ ব্যবহারের অনুমোদন নেওয়া আছে এবং প্রতি মাসে আমি এই সেবা কর পরিশোধ করছি, অথচ বিদ্যুৎ বিভাগের প্রি-পেইড মিটারের প্রযুক্তি কারসাজিতে আমার বাসার পানির মটর ছাড়লেই বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে।’

জেলা ওজোপাডিকো সূত্রে জানা গেছে, কুষ্টিয়াতে ওজোপাডিকোর মোট গ্রাহক প্রায় ৬৯ হাজার। এসব গ্রাহকদের মধ্যে প্রথম পর্যায়ে প্রায় ২৫ হাজার আবাসিক ও বাণিজ্যিক গ্রাহকের ঘরে প্রি-পেইড মিটার স্থাপন করা হয়েছে। স্বয়ংক্রিয় এসব প্রি-পেইড মিটারে সংযোজিত সবগুলো অ্যাপস সক্রিয় না থাকায় ওই সময় গ্রাহকদের ডিমান্ড চার্জের বিষয়টি ওঠেনি। সম্প্রতি এসব প্রি-পেইড মিটারের সবগুলো অ্যাপস কেন্দ্রীয়ভাবে আপগ্রেডেশন করার ফলে সেগুলো সক্রিয় হয়েছে এবং এর ব্যবহার বিধিগুলো গ্রাহক পর্যায়ে উঠে এসেছে।

ওজোপাডিকো কুষ্টিয়া ডিভিশন-১-এর নির্বাহী প্রকৌশলী ফজলে রাব্বী বলেন, ‘এতদিন গ্রাহক তার নিজের ইচ্ছেমতো বিদ্যুৎ ব্যবহারে কোন বিধি নিষেধ না মানলেও এই প্রি-পেইড মিটারে বিদ্যুৎ ব্যবহারে গ্রাহককে অবশ্যই নিয়মের মধ্যে আসতে হবে। তবে সম্প্রতি প্রি-পেইড মিটার গ্রাহকরা কিছু সমস্যা নিয়ে আসছে। সেগুলো সমাধানে আমরা কাজ করছি।




কুষ্টিয়ায় শুরু হচ্ছে ২৫ দিনব্যাপী বাংলা মুয়াল্লিম প্রশিক্ষণ কোর্স

কুষ্টিয়ায় শুরু হচ্ছে ২৫ দিনব্যাপী মুয়াল্লিম প্রশিক্ষণ কোর্স। আগামী ১লা ডিসেম্বর কুষ্টিয়া শহরের কুঠিপাড়া লুৎফর মুন্সী সড়কের মোমতাজুল উলূম মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে এই প্রশিক্ষণ কোর্স শুরু হবে।

নূরানী তালীমুল কুরআন বোর্ড চট্টগ্রাম বাংলাদেশের তত্ত্বাবধানে মোমতাজুল উলূম মাদ্রাসা প্রাঙ্গণের প্রশিক্ষণ সেন্টারে ১ ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়া ২৫ দিনব্যাপি বাংলা মুয়াল্লিম প্রশিক্ষণ কোর্স আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হবে।
কোর্সে প্রশিক্ষণ দিবেন, বোর্ডের প্রশিক্ষক মাষ্টার শফিকুল ইসলাম।

প্রশিক্ষকগণ জানান, এ দীর্ঘ সময় মুয়াল্লিম প্রশিক্ষণে দিনরাত কঠোর মেহনত করেছেন দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আগত প্রশিক্ষণার্থীরা।

মোমতাজুল উলূম মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মোঃ আরিফুজ্জামান জানান, এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে যোগ্যতা সম্পন্ন দক্ষ ও আদর্শবান মুয়াল্লিম হয়ে কুরআনের খেদমতে নিয়োজিত হওয়ার লক্ষ্যে দিবা-রাত্রি কঠোর মেহনত করে প্রশিক্ষণার্থীরা নিজেকে গড়ে তুলতে সহায়ক ভুমিকা পালন করবে।

প্রশিক্ষণ শেষে প্রশিক্ষণার্থীদের উদ্দেশ্যে দিকনির্দেশনামূলক আখেরী নসিহত করবেন, বোর্ডের মহাসচিব, দারুল উলূম হাটহাজারীর সিনিয়র মুফতী ও মুহাদ্দিস মাওলানা মুফতী জসীম উদ্দীন।




আলমডাঙ্গাতে ট্রাক চাপায় ভ্যানচালকের মৃত্যু

আলমডাঙ্গার কালিদাসপুরে কাঠ বোঝাই ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে মহসিন (৫০) নামের এক ভ্যানচালকের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল সোমবার রাত সাড়ে ৮ টার দিকে আলমডাঙ্গা-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কের কালিদাসপুর দক্ষিণপাড়ায় বাজার সংলগ্ন এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত মহসিন কুষ্টিয়া জেলার মীরপুর থানাধীন চক-হারদি গ্রামের মৃত তাজ উদ্দীনের ছেলে। সে কালিদাসপুর দক্ষিণপাড়া এলাকার একটি ভাড়া বাড়িতে বসবাস করতেন।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, গতকাল সোমবার রাতে মহসিন ভ্যান নিয়ে বাড়ির দিকে যাচ্ছিল। সে বাড়ির নিকট ভ্যান রেখে চায়ের দোকানে যেতে রাস্তা পার হচ্ছিলেন। চুয়াডাঙ্গা থেকে কুষ্টিয়া গামী একটি কাঠবোঝাই ট্রাক ভ্যান চালককে চাপা দেয়। এতে ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মহসিনের মৃত্যু হয়। এ সময় স্থানীয় লোকজন ট্রাকটিকে আটক করলেও চালক পালিয়ে যায়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে আলমডাঙ্গা থানার ওসি বিপ্লব কুমার নাথ বলেন, ‘ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। দুর্ঘটনা কবলিত ট্রাকটি আটক করা হয়েছে। চালক ও হেলপার পালিয়ে।




চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের স্বতন্ত্র এমপি প্রার্থীর মনোনয়নপত্র উত্তোলন

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পত্র উত্তোলন করেছেন কমান্ডার এম শহীদুর রহমান। তিনি গতকাল সোমবার আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার স্নিদ্ধা দাসের নিকট থেকে মনোনয়ন পত্র উত্তোলন করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মশিউর রহমান।

কমান্ডার এম শহীদুর রহমান আলমডাঙ্গার আনন্দধাম নিবাসী মরহুম আব্দুল হামিদ মিয়ার ছেলে। তিনি ব্যক্তি জীবনে নৌবাহিনীর পিএসসি অবসরপ্রাপ্ত কমান্ডার (নেভী)।

তিনি (চুয়াডাঙ্গা, আলমডাঙ্গা- ১) আসন থেকে সংসদ নির্বাচন করার জন্য দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় গণসংযোগ পথসভা করে আসছেন। বিভিন্ন ভাবে গরীব দু:খি মানুষের সেবা করে চলেছেন। তিনি অবহেলিত মানুষের কল্যাণে নিজেকে আত্ম নিয়োগ করার জন্যই সংসদ নির্বাচন করছেন বলে জানান।

কমান্ডার এম শহীদুর রহমান বলেন,আল্লাহ আমাকে অনেক কিছুই দিয়েছেন। আমার চাওয়া পাওয়ার কিছু নেই,বৃহত্তর আলমডাঙ্গা উপজেলার আমিই এক মাত্র পার্থী। আমার ২২ বছরের অবসর জীবনে আমি দান খয়রাত করে পূর্ণাঙ্গ শান্তি পাইনি। তাই আরও বৃহৎ আকারে আপনাদের সেবা করার জন্য জনপ্রতিনিধি হতে ইচ্ছুক। আপনারা যদি আগামী সংসদ নির্বাচনে আমাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেন, তাহলে আমি আপনাদের জন্য বরাদ্দকৃত একটি টাকাও আমি বা আমার কেউ ভোগ করবে না। আপনাদের বাজেট আপনাদের হাতেই তুলে দিতে চাই। আপনারা আমার জন্য দোয়া করবেন এবং আসন্ন সংসদ নির্বাচনে আমার সাথে থেকে আপনার মূল্যবান ভোটটি আমাকে দিয়ে বিজয়ী করবেন বলে আমি প্রত্যাশা করছি।




দর্শনায় বিভিন্ন ভোট কেন্দ্র পরিদর্শনে জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমা

আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনা পৌর এলাকার বিভিন্ন কেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমা।

আজ সোমবার সকাল ১১ টার দিকে দর্শনা থানা পরিদর্শন করেন। এসময় দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি বিপ্লব কুমার শাহা চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক চুয়াডাঙ্গা ড. কিসিঞ্জার চাকমাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। পরে পৌর এলাকার বিভিন্ন ভোট কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে দর্শনা পৌরসভা পরিদর্শন করেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন সহকারী পুলিশ সুপার দামুড়হুদা সার্কেল জাকিয়া সুলতানা, দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোকসানা মিতা, দর্শনা পৌর মেয়র মোঃ আতিয়ার রহমান হাবু,দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বিপ্লব কুমার শাহা সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ। আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে অবাধ সুষ্ট এবং নিরপেক্ষ করার লক্ষে দর্শনা পৌর এলাকার পরানপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, শ্যামপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়,দক্ষিন চাঁদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সহ বেশ কয়েকটি ভোটকেন্দ্র পরিদর্শন করেন।

এ সময় তিনি উপস্থিত ভোটারদের সাথে কথা বলেন। তিনি প্রতিদ্বন্দি সকলের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করে বলেন, নির্বাচনকে অবাধ সুষ্ট করতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সকল প্রস্তুতি গ্রহণ করা হচ্ছে বলে তিনি জানান। তিনি আরো জানান কেউ কোন ধরণের বিশৃঙ্খলার চেষ্টা করলে বিন্দুমাত্র ছাড় দেওয়া হবে না।