খুলনা রেঞ্জের শ্রেষ্ঠ ওসি দর্শনা থানার বিপ্লব কুমার শাহ

খুলনা রেঞ্জের ১০ জেলার মধ্যে শ্রেষ্ঠ অফিসার ইনচার্জ নির্বাচিত হয়েছেন চুুয়াডাঙ্গা জেলার দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বিপ্লব কুমার শাহা,এস আই খাঁন আব্দুর রহমান,এ এস আই বশির আহম্মেদ।

আজ শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় খুলনা রেঞ্জ ডিআইজি মইনুল হক, বিপিএম (বার) সিপিএমের সভাপতিত্বে জানুয়ারি ২০২৩ মাসের অপরাধ পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

উক্ত সভায় ওয়ারেন্ট তামিল, মাদকদ্রব্য উদ্ধার, আইন শৃঙ্খলা রক্ষা, মামলা নিষ্পত্তি সহ দর্শনা থানার সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার জন্য বিপ্লব কুমার শাহ অফিসার ইনচার্জ, চুয়াডাঙ্গা জেলার দর্শনা থানা কে খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি শ্রেষ্ঠ অফিসার ইনচার্জ হিসাবে ঘোষণা করেন।

অফিসার ইনচার্জ বিপ্লব কুমার শাহা, দর্শনা থানার এস আই খাঁন আব্দুর রহমান, এ এস আই বশির আহম্মেদকে শ্রেষ্ট ক্রেষ্ট তুলে দেন খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি মইনুল হক, বিপিএম (বার তাদের হাতে। তার এই পুরস্কার প্রাপ্তিতে সহযোগিতা করার জন্য চুয়াডাঙ্গা জেলার সকল অফিসার ফোর্সসহ সকল পুলিশ সদস্য, চুয়াডাঙ্গা বাসী ও সকল শুভাকাঙ্খীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।

এ সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত ডিআইজি (প্রশাসন ও অর্থ), মোঃ নিজামুল হক মোল্যা, সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন মোঃ নিজামুল হক মোল্যা, অতিরিক্ত ডিআইজি (প্রশাসন ও অর্থ), জয়দেব চৌধুরী বিপিএম- সেবা, অতিরিক্ত ডিআইজি (ক্রাইম ম্যানেজমেন্ট), মোঃ হাসানুজ্জামান পিপিএম, অতিরিক্ত ডিআইজি (অপারেশনস্) খুলনা রেঞ্জ, আরআরএফ, খুলনা সহ রেঞ্জ কার্যালয়ের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ এবং খুলনা রেঞ্জের ১০টি জেলার পুলিশ সুপারবৃন্দ ও খুলনা রেঞ্জের ইন-সার্ভিস টেনিং সেন্টারের কমান্ড্যান্ট (পুলিশ সুপার) বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।




দর্শনায় ৬ হাজার পিচ ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেটসহ গ্রেফতার ২

দর্শনা থানা পুলিশ মাদক বিরোধী অভিযান চালিয়ে ৬ হাজার পিচ নেশাজাতদ্রব্য ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেটসহ দুই জনকে গ্রেফতার করেছে।

জানাযায় আজ শনিবার বেলা ১১ টার দিকে দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ বিপ্লব কুমার শাহার নেতৃত্বে অভিযান চালায় পরানপুর গ্রামের কফি হাউজ এন্ড ফাস্টফুড দোকানের সামনে।

এ সময় দর্শনা থানার এসআই নীতিশ বিশ্বাস গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সঙ্গীয় ফোর্সসহ একটি মটরসাইকেল কে ধাওয়া করে ধাওয়া করে দর্শনা সিএ্যান্ডবিপাড়ার লালু মুন্সির ছেলে পারভেজ (২০) ও দক্ষিণ চাঁদপুর হল্ট ষ্টেশন পাড়ার আব্দুল খালেকের ছেলে সাব্বির ইসলামকে (১৯) গ্রেফতার করে।

পরে তাদের স্বীকারোক্তিতে মটরসাইকেলে অভিনব কায়দায় লুকানো মটরসাইকেলের সিটের নিচে লুকানো ৬ হাজার পিচ ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেটসহ তাদেরকে গ্রেফতার করে। ছয় হাজার পিস ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেটের বাজার মূল্য ৩ লক্ষ টাকা।

আজ তাদের বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলাসহ চুয়াডাঙ্গা কোর্ট হাজতে প্রেরন করেছে।




দলীয় কাজে সরকারি সুবিধা নিচ্ছেন না শেখ হাসিনা

আওয়ামী লীগের বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ কার্যালয়ে শনিবার সকাল ১০টায় ব্যক্তিগত গাড়িতে আসেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের মনোনয়ন ফরম বিক্রির দলীয় কর্মসূচি উদ্বোধন করে প্রথম ফরমটি তিনিই কিনলেন। ফরম বিক্রির কর্মীরা জানান, আপাতত তিনি ফরম নিয়েছেন, গোপালগঞ্জ-৩ আসনের জন্যে। প্রধানমন্ত্রীর এর পরের কর্মসূচি ছিল রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত। এই কর্মসূচিতে প্রধানমন্ত্রী বঙ্গভবনে যান সরকারি গাড়িতে। তফসিল ঘোষণার পর থেকে প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রীয় কাজ ছাড়া কোন সরকারি সুবিধা নিচ্ছেন না।

শুক্রবার বিকাল ৩টায় আওয়ামী লীগের তেজগাঁও কার্যালয়ে ছিল দলের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সভা। তফসিল ঘোষণার পর দলের জন্যে গুরুত্বপূর্ণ এই সভায় সভাপতিত্ব করেন শেখ হাসিনা। এখানেও প্রধানমন্ত্রী আসেন ব্যক্তিগত গাড়িতে। নির্বাচনের খুটিঁনাটি নানা বিষয় নিয়ে তিনি টানা বক্তৃতা করেন কিন্ত সরকারি টেলিভিশন বিটিভি কোন লাইভ সম্প্রচার করেনি। বিটিভির প্রতিবেদক জিহাদুর রহমান জিহাদ জানান, তফসিল ঘোষণার পর প্রধানমন্ত্রী সংবাদ সংগ্রহ নিয়ে বিটিভির কিছু পরিবর্তন এসেছে। প্রধানমন্ত্রীর যেকোন কার্যক্রম অন্য গণমাধ্যম যেমন কাভার করে, তারাও সেভাবে করবে। এখানে সরকার প্রধান হিসাবে আলাদা কোন কাভারেজ তিনি পাবেন না। এটা আসলে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা।

এর আগে গত ৩১শে অক্টোবর গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রধানন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন, আরপিও অনুযায়ী নির্বাচনের তফসিল হবে। তারপর থেকে কোনো মন্ত্রী ক্ষমতা ব্যবহার করতে পারবেন না। সুযোগ-সুবিধাও পাবে না। কিন্তু সরকারি ওয়ার্ক চলবে। তিনি জানান, প্রার্থী হওয়ার পর, গণভবনে কোন কনফারেন্স তিনি করবেন না। তখন কোন সংবাদ সম্মেলন করতে হলে, আওয়ামী লীগের আলাদা কোন অফিসে করা হবে। তিনি আরও বলেন, ‘তফসিলের পর থেকে ভোটের ফলাফলের সরকারি গেজেটে প্রকাশ হওয়া পর্যন্ত ‘নির্বাচন-পূর্ব সময়’। এই সময়ে যে সরকার থাকবে তাদের কার্যক্রমে বেশ কিছু পরিবর্তন আসবে এবং ক্ষমতাও অনেক কমে আসবে। নির্বাচন-পূর্ব সময়ে সরকার কোনো নীতি-নির্ধারণী সিদ্ধান্ত নেবে না। একই সঙ্গে নতুন কোনো উন্নয়ন প্রকল্পও গ্রহণ করবে না। সরকারের যেসব মন্ত্রী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হবেন, তাদের সুযোগ-সুবিধা কমে আসবে। বিশেষ করে নির্বাচনী প্রচারের তারা কোনো প্রোটোকল পাবেন না। তিনি আরও বলেন, ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, ভারত ও কানাডার মতো সংসদীয় গণতন্ত্রের দেশে যেভাবে নির্বাচনকালীন সরকার থাকে, সেভাবে চলবে। অর্থাৎ নির্বাচনকালীন সরকার হিসেবে রুটিন ওয়ার্ক পালন করব, যেন সরকার অচল হয়ে না যায়।’

এরই মধ্যে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, যেহেতু তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে তাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার এখন থেকে রুটিন কাজ করে যাবে। নির্বাচনকালীন যে সরকার থাকে তারা পলিসি ডিসিশন নেয় না, যেন একটা লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড থাকে। তারা এমন কিছু করবে না, যা জনগণ সরকারকে ভোট দিতে আকৃষ্ট করে। তিনি সংবিধানের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, ‘গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২-এর ৫(২) অনুচ্ছেদে বলা আছে, নির্বাচন কমিশন যে কোনো ব্যক্তি বা কর্তৃপক্ষকে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য প্রয়োজনীয় যে কোনো দায়িত্ব পালনে বা সহায়তা প্রদানের নির্দেশ দিতে পারবে। ৪৪(ঙ) অনুচ্ছেদ অনুসারে, নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার পর থেকে ফলাফল ঘোষণার পরবর্তী ১৫ দিনের মধ্যে নির্বাচন কমিশনের অনুমতি ছাড়া বিভাগীয় কমিশনার, মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার, ডেপুটি কমিশনার, পুলিশ সুপার এবং তাদের অধস্তন কর্মকর্তাকে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আলোচনা ছাড়া বদলি করা যাবে না। এ ছাড়া নির্বাচন কমিশন প্রয়োজনবোধে যে কোনো সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীকে বদলির ব্যবস্থা নিতে পারবে। ‘নির্বাচন কমিশন এ সময় নির্বাচন কর্মকর্তা (বিশেষ বিধান) আইন, ১৯৯১’ প্রয়োগ করতে পারবে।




অবশেষে টরোন্টোতেই ভিডিওতে ধরা পড়ল বঙ্গবন্ধুর খুনি নূর চৌধুরী

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিজ হাতে গুলি করে খুন করা এস এইচ এম বি নূর চৌধুরীকে নিয়ে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রচার করেছে কানাডিয়ার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন সিবিসি। যে প্রতিবেদনে প্রথমবারের মতো আত্মগোপনে থাকা নূর চৌধুরীর দেখা মিলেছে। সিবিসি টেলিভিশিনের জনপ্রিয় অনুসন্ধানী বিভাগ ‘দ্যা ফিফথ স্টেট’ এ ‘দ্যা এসাসিন নেক্সট ডোর’ শিরোনামের ৪২ মিনিটের এই প্রতিবেদনটি প্রচারিত হয় শনিবার (বাংলাদেশ সময়) সকাল ৮টায়।

প্রতিবেদনে নূর চৌধুরীর কানাডায় পালিয়ে যাওয়া, ২৭ বছর সেখানে থেকে যাওয়া এবং খুনের অভিযোগে হওয়া শাস্তি বাস্তবায়নে তাকে বাংলাদেশের ফেরত চাওয়া বিষয়গুলো উঠে এসেছে। কানাডায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাই কমিশনার বলেছেন, ‘এই একটি ইস্যু বাদে কানাডার সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক বন্ধুত্বপূর্ণ। কেবল বাংলাদেশি হাই কমিশনার হিসেবে নয় বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ হিসিবে আমি চাই তাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হোক।’

নূর চৌধুরী কোথায় আছেন, কি করছেন, এ নিয়ে জানা থাকলেও তথ্য আকারে সামনে আসেনি তেমন। তার অবস্থান নিয়ে এক ধরনের ধোঁয়াশা তৈরির প্রচেষ্টা ছিলো। ধারণা করা হচ্ছে, এই রিপোর্ট প্রচারের মধ্য দিয়ে সেই ধোঁয়াশা কেটে যাবে এবং কানাডিয়ান সাধারণ জনগণ তাদের পাশের বাসায় থাকা ভয়ানক এই খুনি সম্পর্কে পরিষ্কার একটি ধারণা পাবে।

প্রতিবেদনে টরন্টোর নিজ ফ্লাটের ব্যালকনীতে নূর চৌধুরীকে এক ঝলক দেখানো হয়। গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে যাওয়ার সময় আত্মগোপনে থাকা নূর চৌধুরীকে ড্রাইভিং সিটে বসে থাকা অবস্থাতে ধরতে পারেন প্রতিবেদক। কিন্তু কথা না বলে দ্রুত গাড়ি চালিয়ে কোনমতে কেটে পড়েন তিনি। দীর্ঘদিন অনুসরণ করে খুঁজে বের করেছে ফিফথ স্টেটের অনুসন্ধানী দলটি।

বঙ্গবন্ধুকে নিজ হাতে গুলি করে হত্যার পর কূটনীতিক হিসেবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দায়িত্ব পালন করেন নূর চৌধুরী। ১৯৯৬ সালে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এলে তিনি পালিয়ে প্রথমে আমেরিকা, পরে কানাডায় ঢোকেন দর্শনার্থী হিসেবে। এরপর ১৯৯৯ সালে শরণার্থী হিসেবে থেকে যাওয়ার আবেদন করলেও কানাডা সরকার তা নাকচ করে দেয়। আপিল করেও হেরে যান নূর চৌধুরী। ২০০৯ সালে তাকে কানাডা থেকে নূরকে বের করে দেওয়ার নির্দেশ দেয় কানাডিয়ান সর্বোচ্চ আদালত। কিন্তু বাংলাদেশে পাঠালে তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হতে পারে— এমন শঙ্কার কথা জানিয়ে ২০১০ সালের দিকে সরকারের কাছে ‘প্রি রিমুভাল রিস্ক এসেসমেন্ট’র আবেদন করেন নূর চৌধুরী। যেহেতু কানাডা মৃত্যুদণ্ড সমর্থন করে না, সেহেতু এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে প্রায় ১৪ বছর ধরে কানাডায় মুক্ত জীবন যাপন করছেন তিনি।




অবরোধ-হরতালের বিরুদ্ধে শিল্পী সমাজের মানববন্ধন

আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে বিএনপির ডাকা অবরোধে দেশের চলমান অস্থিতিশীল পরিস্থিতির তথ্য তুলে ধরে শেখ হাসিনাকে আবারও প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছে বাংলাদেশের শিল্পী সমাজ। মানববন্ধনে বক্তারা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আস্থা রাখার আহবান জানান।

শনিবার হরতাল-অবরোধের বিরুদ্ধে শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে ”ধ্বংসের বিরুদ্ধে শিল্পীসমাজ” ব্যানারে আয়োজিত মানববন্ধন উপস্থিত হয়ে তারা এই প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

মানববন্ধনে চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদ বলেন, ‘আমার বাচ্চারা আজকে বন্ধের দিনে পরীক্ষা দিচ্ছে। এই অবরোধের কারণে তারা অনলাইন ক্লাস করছে। বাচ্চারা যখন এ বিষয়গুলো জানতে চায় আমরা উত্তর দিতে পারি না। তারা ভিন্ন মানসিকতা নিয়ে বেড়ে উঠছে। আজকালের শিক্ষার্থীরা হরতাল অবরোধ চায় না কারণ স্মার্ট হিসেবে গড়ে উঠছে। বর্তমান সরকারের দোষ কি? তিনি পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে তৈরি করেছে? এগুলো কারও দোষ হলে আমরা সেই দোষীর পক্ষেই রয়েছি। তাই আগামী নির্বাচনে আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভোট দিয়ে জয়ী করতে চাই।’

এসময় অভিনেত্রী নিপুন বলেন, ‘শেখ হাসিনাতেই আমার আস্থা। আমি অভিনেত্রী থেকে নারী উদ্যোক্তা হয়েছি শেখ হাসিনার কারণেই। আজকে যারা নারী উদ্যোক্তা হয়েছে, তারা প্রধামন্ত্রী শেখ হাসিনার কারণেই হয়েছে। কারণ তিনি নারী উদ্যোক্তাদের জন্য কোনো ভ্যাট রাখছেন না। আপনারা যারা হরতাল অবরোধ দিচ্ছেন, যার কারণে আমাদের ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। আপনাদের কাছে আমাদের প্রশ্ন-আপনারা কি আবারও হরতাল অবরোধে অস্থিতিশীল দেশ চান? আমরা কোভিডের সময়ও ব্যবসায় এতোটা ক্ষতিগ্রস্ত হইনি,যতটা এই হরতাল অবরোধের কারণে হতে হচ্ছে। তাই আমি বলবো,আমার মেয়ের নিরাপত্তার জন্য সামনের ৭ই জানুয়ারি শেখ হাসিনাকে আবার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চাই।’

অভিনেতা রিয়াজ আহমেদ বলেন, ‘আজকে আমাদের টেলিভিশনের পর্দায় থাকার কথা থাকলেও আমরা রাস্তায় দাঁড়িয়েছি। এর কারণ হলো আজকে বিএনপি যেই নৃশংসতা সৃষ্টি করেছে তার বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান। তারাই ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারকে হত্যা করেছে। তারাই আজকে দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করেছে। পুলিশ বাহিনীর উপর হামলা করছে। হাসপাতাল, এম্বুলেন্সে হামলা করছে। তারা প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা করছে। তাদের এই নৃশংসতা দেশাদ্রোহীতার শামিল বলে মনে করি ‘

চিত্র নায়িকা মাহিয়া মাহী বলেন, ‘আমরা চাই না আর কোনভাবে বিএনপি এদেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করুক। আমরা প্রধানমন্ত্রীর সাথে আছি, শিল্পী সমাজ আজকে এই সহিংসতার বিরুদ্ধে রয়েছে।’

শমী কায়সার বলেন, ‘শহীদ পরিবার আজ মাথা তুলে দাঁড়াতে পেরেছে। আমরা দেখেছি এক সময় তাদেরকে এই দেশে লাঞ্ছিত হতে হয়েছে। বাংলাদেশের শিল্পী সমাজ সব সময় সত্যর পক্ষে দাঁড়িয়েছে, তারা সত্যকে লালন করে সত্যের জন্য কথা বলেছে, আর সেই সত্যিটি হলো মুক্তিযুদ্ধ। সবাই বলে সংলাপ করেন। কিন্তু যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না, স্বাধীন রাষ্ট্রে যারা বিশ্বাস করেনি, স্বাধীন রাষ্ট্রের বিপক্ষে যারা ছিলো, তাদের সাথে বসে কখনো দেশ বিনির্মানের গল্প হয় না ‘

অভিনেত্রী তারিন জাহান বলেন, ‘আমি এদেশের নাগরিক এবং একজন শিল্পী। একজন নাগরিক হিসেবে আমার চাহিদা দেশের উন্নয়ন, আমার নিরাপত্তা। সেটি কে নিশ্চিত করছে তা বোঝার যথেষ্ট বোধ আমার রয়েছে। আমরা দেখছি একটি দেশ বঙ্গবন্ধুর আদর্শ-চেতনা নিয়ে দেশটাকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। অপরদিকে আমরা দেখতে পাচ্ছি আরেকটি দল বলছে জনগণের জন্য রাজনীতি করছে,কিন্তু অগ্নি সন্ত্রাসের মাধ্যমে জনগণের জান-মালের ক্ষতি করছে,আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, সাধারণ মানুষ ও সাংবাদিকদের পুড়িয়ে মারছে ‘

নির্মাতা গুলজার আহমেদ বলেন, ‘জনগণের জান মাল ধ্বংস করে মানুষের পেটে লাথি মেরে কিভাবে আন্দোলন করে। বিএনপি বলে তারা না-কি জনগণের স্বার্থে রাজনীতি করে৷ অথচ তারা দিনে আনে দিনে খায় এমন শ্রমিকদের বাসে আগুন দেয়। বিদেশিদের এজেন্ডা বাস্তয়নেই কাজ করছে। ’

এসময় আরও বক্তব্য রাখেন অভিনেত্রী জোতিকা জ্যোতি, মুক্তিযোদ্ধাযোদ্ধা বিচ্ছু জালাল, অভিনেত্রী শম্পা রেজা, দিলারা হক, তানবীর সুইটি, অভিনেতা তুষার খান, ধ্রুব গ্রহ,এসডি রুবেল। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন নির্মাতা ও পরিচালক সালাউদ্দিন লাবলুসহ অনেক শিল্পী ও পরিচালক।




বন্ধ হচ্ছে ডিসকর্ডের এআই চ্যাটবট ক্লাইড

ডিসকর্ডের এআই চ্যাটবট ক্লাইড বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। সম্প্রতি এক সাপোর্ট নোটে এমনটিই জানিয়েছে ডিসকর্ড। চ্যাটবটটির কার্যক্রম ডিসেম্বরের ১ তারিখ থেকে পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাবে। ডিএম-এ এখন আর ক্লাইডকে ব্যবহারের সুযোগ পাওয়া যাবে না।

চলতি বছর পরীক্ষামূলকভাবে ডিসকর্ড এই চ্যাটবটটি চালু করে। শুরু থেকেই তারা কমিউনিটির প্রধান অংশ হিসেবে এটিকে প্রতিষ্ঠিত করার চিন্তা করেছিল। কিন্তু সম্প্রতি তা বন্ধেরই ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

কেন, কি কারণে এই চ্যাটবট বন্ধ হচ্ছে তা এখনও জানা যায়নি। তবে অনেকে ধারণা করছেন, আপাতত বাতিল হলেও ভবিষ্যতে পেইড ফিচার হিসেবে এটিকে চালু করা হবে। এও হতে পারে, ডিসকর্ডের মতো প্লাটফর্মে এমন একটি ফিচারের তেমন প্রয়োজন নেই।

ডিসকর্ড তাদের প্লাটফর্মে অনেকগুলো ফিচার নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাচ্ছে। এভাবে ডিসকর্ডের ব্যবহারকারীরা অসংখ্য সুযোগ-সুবিধা পেতে পারেন। তারা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ডেভেলপারদের জন্য ভালো একটি প্লাটফর্ম গড়ে তুলতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।




ঝিনাইদহে কলা ক্ষেত থেকে দিনমজুরের লাশ উদ্ধার

ঝিনাইদহ সদর উপজেলার রামনগর গ্রামের একটি কলা ক্ষেত থেকে আসলাম হোসেন (৪৮) নামে এক দিনমজুরের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত আসলাম হোসেন পাবনা জেলার চাটমোহর উপজেলার নিমাইচড়া ইউনিয়নের বহরমপুর গ্রামের ফরিদুল ইসলামের ছেলে।

আজ শনিবার (১৮নভেম্বর) দুপুরে খবর পেয়ে পুলিশ রক্তাক্ত লাশটি উদ্ধার করে। তাকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে পুলিশ প্রাথমিক ভাবে ধারণা করছে। ঘটনাস্থলে ব্যবহৃত কিছু জামাকাপড়, একটি শাবল, কিছু বেগুন ও একটি কাস্তে পাওয়া গেছে।

মহারাজপুর ইউনিয়নের খামারাইল ওয়ার্ডের মেম্বর জাহিদুল ইসলাম জানান, সকালে রামনগর গ্রামের কলা ক্ষেতে লাশ পড়ে থাকার বিষয়টি জানতে পেয়ে প্রথমে ইউপি চেয়ারম্যান খুরশিদ আলম মিয়া জানায় পরে পুলিশকে অবগত করে তিনি। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে লাশটি উদ্ধার ও সনাক্ত করার চেষ্টা করে। মহারাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান খুরশিদ আলম জানান, নিহত ব্যক্তি দিনমজুরের কাজ করে। তার মাথায়, হাতের তালু ও কানের পাশে আঘাতের চিহ্ন আছে। সম্ভবত শাবল দিয়ে তাকে পিটিয়ে হত্যা করা হতে পারে। আবার অনেকে মনে করছেন, পাশের ক্ষেত থেকে বেগুন তোলার কারণে কেউ চোর সন্দেহে তাকে হত্যা করতে পারে।

নিহতের ভাই মনিরুল ইসলাম জানান, গত মঙ্গলবার কাজের উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে সে বের হয়েছে। তার মোবাইল ফোন নষ্ট হওয়ার কারণে পরিবারের সাথে তার যোগাযোগ ছিলো না।

এ বিষয়ে ঝিনাইদহ সদর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মীর আবিদুর রহমান জানান, মাথায় আঘাত করে তাকে হত্যা করা হয়েছে। উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে লাশের পরিচয় উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে বলে তিনি জানান, নিহত আসলাম পাবনার চাটমোহর উপজেলার নিমাইচড়া ইউনিয়নের বহরমপুর গ্রামের ফরিদুল ইসলামের ছেলে।

এই হত্যার সাথে জড়িতদের চিহ্নিত করে দ্রুত গ্রেপ্তারের প্রচেষ্টা চালানো হবে।




মেহেরপুরে অস্ত্রসহ ভিডিপি মৌলিক প্রশিক্ষণের সমাপনী

মেহেরপুরে জেলা ভিত্তিক আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর ২১ দিন মেয়াদি অস্ত্রসহ ভিডিপি মৌলিক প্রশিক্ষণের (পুরুষ-৫ম ধাপ) সমাপ্ত হয়েছে।

শনিবার দুপুরে জেলা আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর কার্যালয় সভাকক্ষে এ উপলক্ষে সমাপণী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

জেলা কমান্ড্যান্ট প্রদীপ চন্দ্র দত্ত প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে দিক নির্দেশনামূলক বক্তব্য প্রদান করেন। তিনি বলেন, “বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী দেশের সর্ববৃহৎ শৃঙ্খলা বাহিনী হিসেবে তার জন্মলগ্ন থেকে জননিরাপত্তায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে। দেশের প্রতিটি দুর্যোগ মুহূর্তে অগ্রণী ভূমিকায় অবতীর্ণ হওয়া এ বাহিনীর সদস্য হতে পারা অত্যন্ত গৌরবের। প্রশিক্ষণ গ্রহণের মধ্য দিয়ে এ গৌরবের অংশীদার হওয়ার যোগ্যতা অর্জন হলো। আগামীর স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে ও অদূর ভবিষ্যতে দেশের প্রয়োজনে বাহিনীর আহবানে সাড়া দিয়ে নিজেদের যোগ্যতা প্রদর্শনের মধ্যেই এ প্রশিক্ষণ গ্রহণের সার্থকতা নিহিত।”

তিনি প্রশিক্ষণার্থীদের উদ্দেশ্যে করে বলেন, বিভিন্ন সামাজিক ও জনহিতকর কর্মকাণ্ড এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় অনন্য ভূমিকা রাখার মাধ্যমে বাহিনীর সুনাম বয়ে আনবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

সদর উপজেলা আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ফেরদোসী বানু’র সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে কোর্সের সাথে সংশ্লিষ্ট প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা সার্কেল অ্যাডজুট্যান্ট মোঃ আল-মামুন, মুজিবনগর উপজেলা প্রশিক্ষিকা ফেরদৌসী আরা ও বিভাগীয় প্রশিক্ষকগণ উপস্থিত ছিলেন।




মেহেরপুরে মুক্তিযোদ্ধাদের অপর অংশের মানববন্ধন

অনলাইনে মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকাভুক্ত নিয়ে মিথ্যাচার এবং ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে মেহেরপুরে মুক্তিযোদ্ধাদের অপর অংশ মানববন্ধন করেছে।
শনিবার সকাল সাড়ে দশটার দিকে জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মেহেরপুর জেলা মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কমিটি আয়োজিত মানববন্ধনে মুক্তিযোদ্ধারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন।

বীর মুক্তিযোদ্ধা ইদ্রিস আলী বলেন, ক্যাপটেন মালেক বিএনপি ভুক্ত লোক, তার সাথে আছে জিল্লুর সে জামায়াতের লিডার, পিরোজপুরের চাঁদ আলী জামায়াতের লিডার তাদের একত্রিত করে কিছু সাধারণ মুক্তিযোদ্ধা ও ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে আমাদের নিঃস্ব করার জন্য গোপনে তারা মিটিং করেছে। সেই মিটিংয়ের আমরা প্রতিবাদ জানাচ্ছি। মালেক মিয়া ভোট করবে, জিততে হবে তাকে আগামী ইলেকশনে সেই জন্য সে পায়তারা করছে। কেননা আওয়ামী লীগ তাকে জিততে দেবে না। তাই তাকে প্রতিহত করার জন্য আমরা মানববন্ধন করছি।

বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ সাদিক হোসেন বাবুল বলেন, বিভ্রান্ত সৃষ্টি করে মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে অন্তরকলহ করার চেষ্টা করছে। আমরা বঙ্গবন্ধু সৈনিক ছিলাম এখন আমরা শেখ হাসিনার সৈনিক। আমাদের বিরুদ্ধে যে সকল কার্যক্রম দুষ্ট ও অসৎ লোকে বিভ্রান্তির সৃষ্টি করে তিন-চার জন লোক মাত্র কটুক্তি করে খারাপ কথা বলে সরকারের বিরুদ্ধে, আমাদের জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আমি তাদের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

মুক্তিযোদ্ধা ইদ্রিস আলীর নেতৃত্বে বীর মুক্তিযোদ্ধা হুমায়ুন কবির আরজু, আব্দুল জলিল, আব্দুল রশিদ, আব্দুল মালেক, মোহাম্মদ মকলেসুর রহমান ফিরোজ, মোঃ সামসুল হক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।




প্রান্তিক পর্যায়ে কৃষিঋণ বাড়াতে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ

প্রান্তিক পর্যায়ে কৃষিঋণ বাড়াতে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এক্ষেত্রে বড় ঋণের পরিবর্তে ছোট ঋণ বিতরণে বাড়তি গুরুত্ব দিতে হবে। এমনকি কোটি টাকার ঋণের পরিবর্তে ১০ টাকার ক্ষুদ্র হিসাবধারী কৃষক, মত্স্যচাষি, খামারি এবং ছোট উদ্যোক্তাদের ঋণের আওতায় আনতে হবে। বিশেষ করে যারা এখন পর্যন্ত কৃষি ও পল্লিঋণের সুবিধা পাননি, তাদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ঋণ দিতে হবে।

সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে ১৫টি বাণিজ্যিক ব্যাংকের বৈঠকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ নির্দেশ দেয়। সভায় বাংলাদেশ ব্যাংকের কৃষিঋণ বিভাগের পরিচালক কানিজ ফাতিমা এবং বাণিজ্যিক ব্যাংকের কৃষিঋণ বিভাগের প্রধানসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সূত্র জানায়, কিছু ব্যাংক ক্ষুদ্র কৃষক ও প্রান্তিক গ্রাহককে কৃষিঋণ দিতে অনীহা দেখাচ্ছে। এতে কৃষি ও পল্লিঋণের লক্ষ্য ব্যাহত হচ্ছে। বিষয়টি কৃষিঋণ বিভাগের মনিটরিংয়ের মাধ্যমে উঠে এসেছে। এ অবস্থা থেকে বের হতে বৈঠক ডেকে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক পর্যায়ে ঋণ বাড়াতে পরামর্শ দেওয়া হয়। ব্যাংকগুলোকে বড় ঋণের বদলে ঋণের সীমা কমিয়ে ছোট ছোট ঋণ বিতরণে নির্দেশ দেওয়া হয় বৈঠকে। এরপরও যদি কোনো ব্যাংক নতুন করে বড় ঋণ বিতরণের মাধ্যমে কৃষিঋণের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করে, সেসব ব্যাংকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

বৈঠকে অংশগ্রহণকারী একটি বেসরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তা বলেন, প্রান্তিক ও ক্ষুদ্র কৃষক পর্যায়ে ঋণ বিতরণে অনেক ব্যাংকের সীমাবদ্ধতা রয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ব্যাংকগুলোকে নিজস্ব নেটওয়ার্ক (শাখা, উপশাখা, এজেন্ট ব্যাংকিং, কন্ট্রাক্ট ফার্মিং, দলবদ্ধ ঋণ বিতরণ এবং ব্যাংক-এমএফআই লিংকেজ) ব্যবহার করতে পরামর্শ দিয়েছে। এতে সুদের হার ও চার্জ বেশি পড়ে। তাই বাধ্য হয়ে কিছু ব্যাংক বড় ঋণ দিয়ে থাকে। এতে পরিচালন খরচ কমে আসে। তবে কৃষিঋণ বিতরণ যাদের জন্য করা, তারা যে বঞ্চিত হচ্ছেন সেটা আমরাও বুঝি।

বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে জানা যায়, চলতি অর্থবছরের (২০২৩-২৪) জন্য কৃষি ও পল্লিঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ৩৫ হাজার কোটি টাকা। তপশিলভুক্ত ব্যাংকগুলো এ ঋণ বিতরণ করবে। ঋণের মধ্যে রাষ্ট্রমালিকানাধীন বাণিজ্যিক ও বিশেষায়িত ব্যাংকগুলো বিতরণ করবে ১২ হাজার ৩০ কোটি টাকা। আর বেসরকারি ও বিদেশি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো ২২ হাজার ৯৭০ কোটি টাকার ঋণ বিতরণ করবে। গত অর্থবছরে ব্যাংকগুলোর বিতরণকৃত কৃষিঋণের পরিমাণ ছিল ৩২ হাজার ৮৩০ কোটি টাকা। এছাড়া খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের জন্য গত বছরের নভেম্বরে কৃষি খাতের জন্য ৫ হাজার কোটি টাকার পুনঃঅর্থায়ন তহবিল গঠন করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। তহবিলের মেয়াদ প্রাথমিকভাবে ধরা হয়েছে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত। এই তহবিলের ক্ষেত্রে কৃষিঋণ এবং তহবিলের ঋণ বিতরণে শর্ত প্রযোজ্য হবে।

উল্লেখ্য, নতুন কৃষি নীতিমালায় ব্যাংকের নিজস্ব নেটওয়ার্কের মাধ্যমে বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ লক্ষ্যমাত্রার ন্যূনতম ৫০ শতাংশ করতে বলা হয়, যা আগে ছিল ৩০ শতাংশ। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের কৃষি ও পল্লিঋণ নীতিমালা ও কর্মসূচিতে নতুন করে কয়েকটি বিষয় যুক্ত করা হয়। এর মধ্যে নতুন কৃষকদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ঋণ বিতরণ করতে হবে। বিশেষ করে পল্লি অঞ্চলে আয়-উত্সারী কর্মকাণ্ডে ঋণের সর্বোচ্চ সীমা হবে ৫ লাখ টাকা। ছাদকৃষিতে অর্থায়ন করতে পারবে ব্যাংক। অর্থাত্, বাড়ির ছাদে বাগান করতে ঋণ পাবেন গ্রাহক। এছাড়া চিংড়ি, কাঁকড়া ও কুঁচিয়া চাষে ঋণ বিতরণ করতে পারবে। মত্স্য খাতে লক্ষ্যমাত্রার ন্যূনতম ১৩ শতাংশ এবং প্রাণিসম্পদ খাতে লক্ষ্যমাত্রার ন্যূনতম ১৫ শতাংশ ঋণ বিতরণ করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়।