গণতন্ত্র ও উন্নয়ন পারস্পারিক সম্পর্কযুক্ত

জনগণের উন্নয়ন অধিকার নিশ্চিতের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগিতায় বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। মানুষের অধিকার নিশ্চিতকরণের মধ্য দিয়ে গণতন্ত্রের এ অগ্রযাত্রাকে সুসংহত করেছে। এটি অব্যাহত রাখতে সকলে এগিয়ে আসতে হবে।’

আজ শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের মাওলানা আকরম খাঁ হলে ‘উন্নয়ন ও গণতন্ত্র’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের সরকার মানুষের অধিকার বাস্তবায়নের পাশাপাশি বৈশ্বিক সহযোগিতা ও যোগাযোগের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। এই সভার আয়োজক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের সমন্বয়ে গঠিত গবেষণাভিত্তিক সংগঠন ‘এডুকেশন রিসার্চ এন্ড ডেভেলপমেন্ট ফোরাম অব বাংলাদেশ (ইআরডিএফবি)’।

সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ চন্দ বলেন, ‘রাজনৈতিক মতের প্রতি পারস্পারিক শ্রদ্ধাবোধই গণতন্ত্রের মূলমন্ত্র। সামরিক শাসন ও স্বাধীনতা বিরোধী শক্তিকে পুর্নবাসনের মত রাজনৈতিক ঘটনা এই পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধকে নষ্ট করেছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে বিনষ্ট করতে চাওয়ার মাধ্যমে গণতন্ত্রের উপর আঘাতের ঘটনা আমরা অতীতে দেখেছি। এই সকল সংকটই সকল দ্বন্দ্বের উৎপত্তি ঘটিয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘এ কথা অনস্বীকার্য যে, গণতন্ত্র ও উন্নয়ন দুটি একে অপরের সঙ্গে নিবিড়ভাবে যুক্ত। গণতন্ত্রের স্বার্থে প্রধানমন্ত্রী একটি সর্বদলীয় সরকারের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। এই সময়ে এসে নতুন করে সংলাপ নিয়ে যে আলোচনা চলছে তার প্রস্তাব তিনি আগেই দিয়ে ছিলেন।’

সভায় সভাপতিত্বে ছিলেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য ও এডুকেশন রিসার্চ এন্ড ডেভেলপমেন্ট ফোরাম অব বাংলাদেশ (ইআরডিএফবি)-এর সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন।

আব্রাহাম লিংকনের গণতন্ত্র ভাবনার উল্লেখ করে আলোচনায় বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. কামরুল আলম খান বলেন, ‘আব্রাহাম লিংকন এমন বলেছেন- কোন রাষ্ট্রে সব জনগণ উন্নয়নের সুফল ভোগ করে স্বাধীন নাগরিক হিসেবে বসবাস করলে, সেই রাষ্ট্রে গণতন্ত্র বিরাজমান বলে বিবেচনা করা যায়। প্রধানমন্ত্রী দেশের জনগণের কল্যাণে যেসব পদক্ষেপ নিয়েছেন তা কারও অজানা নয়। তার অর্থনৈতিক সাফল্যমণ্ডিত পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর রিপোর্টেও এসেছে।’

বাংলাদেশের সরকার মানুষের অধিকার বাস্তবায়নের পাশাপাশি বৈশ্বিক সহযোগিতা ও যোগাযোগের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে উল্লেখ করে জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, ‘কর্মসংস্থান, যোগাযোগে উন্নতি এবং আত্মনির্ভরতা অর্জনের সুফল বাংলাদেশের মানুষ ভোগ করছে। গণতান্ত্রিক চর্চা সুষ্ঠু থাকলে মানুষ এসব সুফল ভোগ করে।’

ইআরডিএফবি-এর সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. বদরুজ্জামান ভূঁইয়ার সঞ্চালনায় সভার আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য ও ইআরডিএফবি’র সিনিয়র সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. আব্দুল জব্বার খান, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে হিসাববিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল কবীর, রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. সেলিনা আখতার প্রমুখ।




শিক্ষা প্রসারে আওয়ামী লীগ সরকারের রাজনৈতিক অঙ্গীকার ও অর্জন

শিক্ষা মানুষের মৌলিক অধিকার। উপযুক্ত শিক্ষা মানুষের মেধা বিকশিত করার মাধ্যমে তাকে পরিপূর্ণ মানুষ হিসেবে গড়ে তোলে। তাই দেশে দেশে শিক্ষা সচেতন মানুষ শিক্ষার অধিকার আদায়ে সক্রিয়। এই সত্যটি উপলব্ধি করেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশ সৃষ্টির পূর্ব থেকেই শিক্ষা আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন।

১৯৬২ সালে শিক্ষা আন্দোলনে তিনি কার্যকরী সার্বজনীন শিক্ষা ব্যবস্থার উদ্যোগ নেওয়ার কথা বলেছিলেন। বঙ্গবন্ধু ১৯৭০ সালের নির্বাচনের সময় শিক্ষায় পুঁজি বিনিয়োগ, নিরক্ষরতা দূরীকরণ, প্রাথমিক শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক ও অবৈতনিক করা, দারিদ্র্যের কারণে মেধাবী শিক্ষর্থীরা যেন উচ্চশিক্ষা বিমুখ না হয় এরকম সুস্পষ্ট কিছু প্রস্তাব রেখেছিলেন।

পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশ সৃষ্টির পর পরই শত প্রতিকূলতা সত্ত্বেও পাকিস্তানি ধারা পরিত্যাগ করে বাঙালি জাতির বিকাশের উপযোগী একটি সুস্থ ধারার শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে তোলার লক্ষ্যে শিক্ষা ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজিয়েছিলেন। তিনি বুঝতে পেরেছিলেন যুগোপযোগী শিক্ষা ব্যবস্থা ছাড়া একটি দেশের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখা কঠিন। এজন্য শিক্ষার সার্বিক মানোন্নয়ন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন এবং যুগোপযোগী কৌশল ও পরিকল্পনা গ্রহণ করার লক্ষ্যে প্রথিতযশা বিজ্ঞানী ড. কুদরাত-এ-খুদার নেতৃত্বে ১৯৭২ সালের ২৬ জুলাই শিক্ষা কমিশন গঠন এবং এর মাধ্যমে একটি প্রগতিশীল শিক্ষানীতি প্রণয়ন করেন।

বঙ্গবন্ধুর সরকার প্রাথমিক শিক্ষাকে জাতীয়করণ করেন, মাদ্রাসা এডুকেশন অর্ডিন্যান্স ১৯৭২ এবং প্রাইমারি এডুকেশন অ্যাক্ট ১৯৭৪ নামে দুটি আইন প্রণয়ন করেন। তিনি প্রাথমিক শিক্ষার পাশাপাশি মাধ্যমিক, উচ্চশিক্ষা, কারিগরি সব ক্ষেত্রেই আধুনিক ও মানসম্পন্ন শিক্ষার উদ্যোগ নিয়েছিলেন।

১৯৭৩ সালে উচ্চশিক্ষা প্রসারে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধীন পেশা ও বিশ্ববিদ্যালয়কে মুক্তবুদ্ধির চর্চাকেন্দ্র হিসেবে প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে দেশের চারটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়কে স্বায়ত্তশাসন প্রদান করেছিলেন। বঙ্গবন্ধু সরকারই প্রতিরক্ষা খাতের চেয়ে শিক্ষা খাতে ৭% বরাদ্দ বেশি রেখেছিলেন। কারণ তিনি বিশ্বাস করতেন শিক্ষা দিয়েই দেশকে নিরক্ষরমুক্ত করে জাতিকে এগিয়ে নেওয়া সম্ভব।

বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য উত্তরসূরী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার ২০০৯ সালে ২য় বারের মতো ক্ষমতায় এসে শিক্ষা ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানোর নিমিত্তে আধুনিক সব পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। ১৯৭২ সালের শিক্ষা কমিশনের আলোকে জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০ প্রণয়ন, সবার জন্য শিক্ষা নিশ্চিতকরণে অভিন্ন পাঠ্যসূচি প্রণয়ন, শিশুদের মধ্যে গণতন্ত্র ও নেতৃত্বের বিকাশ ঘটানোর তাগিদে ২০১০ সাল থেকে সরাসরি ভোটের মাধ্যমে স্টুডেন্ট কাউন্সিল নির্বাচনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা ইত্যাদি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত ছিলো। এর ফলে শিক্ষায় শিশুর অংশগ্রহণ বাড়তে থাকে এবং বিদ্যালয় থেকে ঝরে পড়ার হার পর্যায়ক্রমে কমে ৪৭.২৫% থেকে ১৩.৯৫% এ নেমে আসে।

কোভিড-১৯ চলাকালীন পুরো শিক্ষা ব্যবস্থাকে ডিজিটালাইজেশনের আওতায় এনে অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রমের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের শিক্ষার ধারবাহিকতা বজায় রেখেছেন। প্রায় প্রতিটি স্কুলে আইসিটি ল্যাব চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ৬ষ্ঠ শ্রেণি হতে কম্পিউটার কোর্স বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। সুষ্ঠুভাবে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম পরিচালনার লক্ষ্যে শিক্ষকদের আইসিটি ও পেডাগজি সমন্বয়ের প্রশিক্ষণ, বিষয়ভিত্তিক প্রশিক্ষণসহ নানাবিধ উদ্যোগ গ্রহণের মাধ্যমে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষার গুণগত মান বৃদ্ধির প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।

২১ শতকের নানবিধ চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনার দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে তার টেকসই ও কার্যকর সমাধান এবং সম্ভাবনার পূর্ণ সুফল গ্রহণের জন্য অভিজ্ঞতাভিত্তিক শিখন-শেখানো প্রক্রিয়ার মাধ্যমে জ্ঞান, দক্ষতা, ও ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গিসম্পন্ন দূরদর্শী, সংবেদনশীল, অভিযোজন-সক্ষম, মানবিক এবং যোগ্য বিশ্ব-নাগরিক গড়ে তোলার লক্ষ্যে প্রাক-প্রাথমিক পর্যায় থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত জাতীয় শিক্ষাক্রম রূপরেখা-২০২১ প্রণয়ন করা হয়েছে ।

দেশব্যাপী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করে দক্ষ ও সৃষ্টিশীল মানব শক্তি তৈরিতে সর্বশক্তি নিয়োগ, উচ্চশিক্ষার গুণগতমান বৃদ্ধির জন্য হাইয়ার এডুকেশন কোয়ালিটি এনহেনসমেন্ট প্রজেক্ট গ্রহণ, অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিল গঠন তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। শুধু সাধরণ বা প্রযুক্তি শিক্ষা নয় শেখ হাসিনার সরকার মাদ্রাসা শিক্ষাকে যুগোপযোগী করার লক্ষ্যে মাদ্রাসা কাঠামোতে বিজ্ঞান ও কম্পিউটার শাখা চালু করেছে। স্থাপিত হয়েছে মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর ও ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয়। দাওরা হাদিসকে মাস্টার্স সমমান প্রদান করে মাদ্রাসা শিক্ষার প্রসারে বর্তমান সরকার তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা পালন করার পাশাপাশি কওমি মাদরাসার শিক্ষা ব্যবস্থার সরকারি স্বীকৃতি কার্যকর করেছেন। অথচ ইতোপূর্বে কোনো সরকারকেই কওমি শিক্ষা ব্যবস্থার প্রতি তেমন গুরুত্ব দিতে দেখা যায়নি।

১৫ আগস্ট ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুর পরিবারসহ নির্মম হত্যাকাণ্ডের পর বিভিন্ন সরকার দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থেকেও শিক্ষা বিস্তারে তেমন কোন উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেনি। অধিকন্তু তৎকালীন বিএনপি সরকার ১৯৮১ সালে সারা দেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো বেসরকারিকরণ করার উদ্যোগ গ্রহন করে। যদিও শিক্ষকদের জোরদার আন্দোলনের ফলে বিএনপি সরকার তাদের দুরভিসন্ধি বাস্তবায়ন করতে পারেনি। অন্যদিকে ২০০৫ সালে প্রাথমিক শিক্ষকদের বেতন বৈষম্যের আন্দোলনে অনেক শিক্ষককে গ্রেফতার করে হাজতে পাঠানো হয়। কাজেই সবদিক বিবেচনায় একথা বলা যায় যে, বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় ইতিবাচক পরিবর্তনের অগ্রযাত্রা, শিক্ষার মানোন্নয়ন ও প্রসারে আওয়ামী লীগ সরকারের অবদান অনস্বীকার্য।

লেখক: চেয়ারম্যান, শিক্ষা বিভাগ ও ডিন, শিক্ষা বিজ্ঞান অনুষদ, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।




আলমডাঙ্গায় বণিক সমিতির নব নির্বাচিত কমিটির শপথ গ্রহণ

আলমডাঙ্গার বণিক সমিতির নবনির্বাচিত কার্যকারী পরিষদের শপথ গ্রহণ ও অভিষেক অনুষ্ঠিত হয়েছে। এছাড়া সংশ্লিষ্ট বিজয়ীদের দায়িত্ব হস্তান্তর অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ শুক্রবার সন্ধ্যা ৬ টার দিকে বণিক সমিতির কার্যালয়ে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে সমিতির উপদেষ্টা পরিষদ।

অনুষ্ঠানে বণিক সমিতির সভাপতি আরেফিন মিঞা মিলনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আলমডাঙ্গা পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব হাসান কাদির গনু।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বণিক সমিতির সাবেক সভাপতি হাজী শমসের মল্লিক, সাবেক সভাপতি হাজী রফিকুল ইসলাম, সাবেক সাধারণ সম্পাদক রবিউল ইসলাম পকু, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম ঘেঁটু, সাবেক সাধারণ সম্পাদক সেকেন্দার আলী, নবনির্বাচিত কমিটির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আব্দুল্লাহ আল মামুন, কাপড় ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আলহাজ্ব গোলাম রহমান সিঞ্জুল।
অনুষ্ঠানে প্রথম পর্বে উপস্থাপনা করেন সাবেক সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেন। এসময় বিদায়ী কার্যকারী কমিটির সদস্যদের সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করেন।

দ্বিতীয় পর্বের অনুষ্ঠানে উপস্থাপনা করেন হারদি এমএস জোহা ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক একেএম ফারুক। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সাবেক সহ-সভাপতি এনামুল হক, মোহাম্মদ আলী, হারদি কলেজের সহকারী অধ্যাপক রোকনুজ্জামান ডাবলু, সাবেক সহ-সাধারণ সম্পাদক হাজী রফিকুল আলম, শরিফুল ইসলাম, খবির উদ্দিন মার্কেটের মালিক রানা আহমেদ। এপর্বে নবনির্বাচিত কার্যকারী কমিটির শপথ পাঠ করান আলমডাঙ্গা পৌরসভার মেয়র হাসান কাদির গনু। প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র হাসান কাদির গনু বলেন,বণিক সমিতির ব্যবসায়ীদের এক সর্ব বৃহৎ সংগঠন। এ সংগঠনের নির্বাচনে যারা বিজয়ী হয়েছেন তাদেরকে ধন্যবাদ জানায়। ধন্যবাদ জানাই যারা বিগত কমিটিতে দায়িত্ব পালন করেছেন তাদেরকেও। আপনারা উভয়ে মিলে মিশে সংগঠনের স্বার্থে কাজ করবেন। আমার একটা পরামর্শ থাকবে,সমিতির সদস্যদের সুখে দুঃখে পাশে থাকবেন।

শপথ গ্রহণ করেন- বণিক সমিতির সভাপতি আরেফিন মিঞা মিলন , সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল- মামুন, সহ-সভাপতি হাফিজুর রহমান, হাজী রফিকুল আলম, সহ-সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম , জাহাঙ্গীর আলম, কোষাধ্যক্ষ আলাউদ্দিন মিয়া, সাংগাঠনিক সম্পাদক আমিরুল ইসলাম লিটন , ক্রীড়া সম্পাদক হাবিবুর রহমান, ধর্মীয় সম্পাদক রেজাউল করিম কাবিল, দপ্তর সম্পাদক শফিউল হাসান মিলন, এছাড়া নির্বাহী সদস্য পদে খন্দকার হামিদুল ইসলাম আজম, আঃ ওহাব কাবলু, জসিম উদ্দিন, জয়নাল আবেদীন, ফারুক হোসেন, রেজাউল হক তোতা, রতন আলী, সাইদুল ইসলাম, খন্দঃ সজিব, সিরাজুল ইসলাম।




প্রেসক্রিপশন নির্ভর বিএনপির রাজনীতি

‘তালগোল পাকানো’ শব্দটার প্রতিশব্দ হলো, মারাত্মক ভুল; মন্দভাবে পরিচালনা করা ইত্যাদি। এই ‘তালগোল পাকানো’ শব্দটা বর্তমান রাজনীতিতে সুনির্দিষ্ট করে বললে বিএনপি-জামায়াতের রাজনীতিতে উল্লেখযোগ্য। কীভাবে?

আপনি যদি রাজনীতি সংশ্লিষ্ট বা রাজনীতি সচেতন মানুষ হন তবে গভীরভাবে লক্ষ্য করে দেখবেন, বিএনপি-জামায়াতের রাজনীতিতে প্রধান স্পোক পার্সন আসলে কে এটা খুঁজে পাওয়া যাব না। একেক সময় একেকজন আর্বিভূত হন। যখন কাউকে পাওয়া যায় না তখন অবতাররূপী কাউকে কাউকে দেখা যায়।

কে তাদের রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করছে বা কে তাদের রাজনৈতিক নির্দেশনা দিচ্ছে? এইরকম একজন নয়, অসংখ্য লোক পাবেন। কেন অসংখ্য? কারণ তারা আসলে সুনির্দিষ্ট কোনো লক্ষ্য বা উদ্দেশ্যে নিয়ে রাজনীতি করছে না। সময়ের সাথে সাথে তাদের রাজনৈতিক লক্ষ্য পরিবর্তিত হয়। একেক সময় তারা একেক ধরনের দফা-রফা নিয়ে মাঠে নামে। সহজ করে বললে, তাদের রাজনীতি হলো ‘প্রেসক্রিপশনের রাজনীতি’।

ডাক্তার যেমন রোগী দেখে বিভিন্ন ওষুধ প্রেসক্রিপশনে লিখে দেন বিএনপি-জামায়াতের রাজনীতিও বহুজনের প্রেসক্রিপশনে বা বহুজনের মতামতে বা বিদেশি নির্দেশ বা সুপারিশে চলছে।

বাংলায় দুইটি প্রবাদ বাক্য বিএনপি-জামায়াতের রাজনীতির জন্য প্রণিধানযোগ্য। ‘নানা মুনির নানা মত’ ও ‘অধিক সন্ন্যাসীতে গাজন নষ্ট’। এই অধিক সন্ন্যাসীরা কখনো বলছেন সংলাপ প্রয়োজন, কখনো বলছেন সংলাপ প্রয়োজন নেই বা বিএনপি সংলাপে যাবে না।

এরা কখনো বাইডেনের প্রতিনিধি ধরে আনে, কখনো বৈদেশিক শক্তির ভয় দেখায়, কখনো নির্বাচন বয়কট করার ঘোষণা দেয়, কখনো সরকার পতনের ঘোষণা দেয়, কখনো আবার ১১ দফা বা ১ দফার ঘোষণা দেয়। এতসব ঘোষণা বা কর্মসূচির ভিড়ে তাদের আসল লক্ষ্য কী তাই বোঝা যাচ্ছে না।

আরও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, বিএনপি-জামায়াতের কোনো রাজনৈতিক এজেন্ডায় জনগণের চাহিদা গুরুত্ব পায়নি। জনগণ যখন পণ্যের উচ্চমূল্য নিয়ে প্রতিবাদ করছে তখন তাদের কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি নেই, নেই আন্দোলন, নেই বিক্ষোভ। তখনো তারা সরকার পতন নিয়ে ব্যস্ত। সরকার পতন অবশ্যই তাদের আন্দোলনে থাকবে কিন্তু তার সাথে সাথে জনগণের চাহিদা কেন তাদের মাথায় থাকবে না তা আমরা বুঝি না। এর মূল কারণ হলো, বিএনপি-জামায়াতের আন্দোলনের এই প্রেসক্রিপশন তাদের নিজেদের নয়। অন্য কোনো শক্তির বলে দেওয়া আন্দোলন বা এজেন্ডা। মূল কারণ হলো, ‘নানা মুনির নানা মত’ ও ‘অধিক সন্ন্যাসীতে গাজন নষ্ট’।

একদিকে যেমন নেতৃত্ব শূন্যতা অপরদিকে যারা নেতৃত্ব দিচ্ছেন তারাও বিভিন্নজনের ‘প্রেসক্রিপশন’ শুনে মূল বিষয় বলতে গিয়ে তালগোল পাকিয়ে ফেলেন।

যখন নিজেদের লক্ষ্য স্থির থাকে না তখন বাইরের কেউ এসে তার মতো করে লক্ষ্য স্থির করে দেয়। যেমন মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ নেতা এবং দলের ভাইস চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, ‘বিএনপির ভোটে অংশ নেওয়া উচিত। বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিলে আমি এই দল থেকেই নির্বাচন করব।’ অথচ এই কথাটা বিএনপির বাকি নেতাদের মুখে নেই। তারা একেকসময় একেক কথা বলছেন। বিএনপির সামগ্রিক অস্থিরতা এখন দলের বিভাজন রেখা বড় করে দিয়েছে।

তৃণমূল বিএনপির চেয়ারপার্সন শমসের মুবিন চৌধুরী বলেন, তৃণমূল বিএনপি দলীয় নিয়ম নীতি মেনে পরিচালিত হবে। প্রাইভেট কোম্পানি হবে না। তৃণমূল বিএনপি হবে বাংলাদেশের তৃণমূল কংগ্রেস। আমরা আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করব। তৃণমূল বিএনপির মহাসচিব অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার বলেছেন, নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ার আশ্বাস পেলে তারা নির্বাচনে অংশ নেবেন। ৩০০ আসনে প্রার্থী দেবেন।

অনেকেই ধারণা করছেন, একাধিক রাজনৈতিক মতবাদের কারণে তাদের এই বিভাজন। আরও বিস্ময়কর হলো, ২৮ তারিখ থেকে হরতাল, অবরোধের কর্মসূচির ঘোষণা এসেছে বিএনপি থেকে। তাদের সিনিয়র নেতার এই কর্মসূচি দিয়েছেন। এখন দিচ্ছে গণতন্ত্রর মঞ্চ আর জামায়াত।

সরকারের পদত্যাগ ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন ও বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামসহ বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে আগামী ১২ ও ১৩ নভেম্বর সারা দেশে চতুর্থ দফায় (৪৮ ঘণ্টা) সর্বাত্মক অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে গণতন্ত্র মঞ্চ।

রোববার (১২ নভেম্বর) ও সোমবার (১৩ নভেম্বর) আবারো টানা ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। সরকারের পদত্যাগ, নির্বাচনকালীন কেয়ারটেকার সরকার গঠন, আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমানসহ সকল রাজবন্দি এবং ওলামা-মাশায়েখের মুক্তি, মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও দ্রব্যমূল্য মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে নিয়ে আসার দাবিতে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে দলটি।

এরা কিন্তু একসাথে রাজনীতি করে, অথচ তারা একেক উদ্দেশ্য নিয়ে আলাদা আলাদাভাবে অবরোধ ডাকছে। বিষয়টা কি এখন পরিষ্কার যে, যে দলের কাছে যে ধরনের প্রেসক্রিপশন আসছে তারা সেইভাবে লক্ষ্য, উদ্দেশ্য নিয়ে কর্মসূচি দিচ্ছে।

তাদের জোটবদ্ধ হয়ে লক্ষ্যে ফিরতে হবে। ক্লোজআপ ওয়ানের সেই গানের মতো—যদি লক্ষ্য থাকে অটুট বিশ্বাস হৃদয়ে, হবেই হবে দেখা, দেখা হবে বিজয়ে। বিএনপি-জামায়াতের উচিত বিভিন্নজনের প্রেসক্রিপশন বাদ দিয়ে জনগণকে সাথে নিয়ে রাজনীতি করা।

লেখক: গণমাধ্যমকর্মী।




স্নাতক পাসে নিয়োগ দেবে গ্রিনডেল বাংলাদেশ

নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে গ্রিনডেল বাংলাদেশ লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটিতে মার্কেটিং অফিসার পদে নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহী যোগ্য নারী প্রার্থীরা অনলাইনের মাধ্যমে সহজে আবেদন করতে পারবেন।

পদের নাম

মার্কেটিং অফিসার।

শিক্ষাগত যোগ্যতা

প্রার্থীকে যেকোনো বিষয়ে স্নাতক/ স্নাতকোত্তর পাস হতে হবে। বয়স সর্বোচ্চ ৩৫ বছর হতে হবে। পুরুষ প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন।

কর্মস্থল

বাংলাদেশের যে কোনো স্থানে

আবেদনের পদ্ধতি

আগ্রহী প্রার্থীরা বিডিজবস অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন।

আবেদনের শেষ তারিখ

২০ নভেম্বের , ২০২৩।

সূত্র : বিডিজবস




এক হলে ‘আজব ছেলে’

১৬ বছরের এক কিশোর হেঁটে চলেছে। পথে আসে নানা বাধা। কেন তার এই যাত্রা এবং শেষ পর্যন্ত গন্তব্যে পৌঁছাতে পারবে কি না-এসবের উত্তর পাওয়া যাবে আজ ‘আজব ছেলে’ সিনেমায়। মুহম্মদ জাফর ইকবালের ছোটগল্প ‘আজব ছেলে’ অবলম্বনে নির্মিত হয়েছে সিনেমাটি।

সরকারি অনুদানে মুক্তিযুদ্ধের গল্পের এ সিনেমা বানিয়েছেন মানিক মানবিক। শিশুতোষ এ সিনেমার নামভূমিকায় অভিনয় করেছেন রিদওয়ান সিদ্দিকী। অন্যান্য চরিত্রে আছেন তৌকীর আহমেদ, সাজু খাদেম, তাহমিনা অথৈ প্রমুখ।

নির্মাতা মানিক মানবিক বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের এত সুন্দর একটা গল্প। যেখানে কোনো মারামারি নেই, গোলাগুলি নেই, মুক্তিযোদ্ধা, রাজাকারদের লড়াই নেই। কিন্তু তারপরেও এটি মুক্তিযুদ্ধের গল্প। এটাই আমাকে বেশি আকৃষ্ট করেছে। দর্শকেরও ভালো লাগবে।’

পরিচালনার পাশাপাশি আজব ছেলের চিত্রনাট্যও লিখেছেন মানিক মানবিক। সংগীত পরিচালনায় সানী জোবায়ের। ২০১৮ সালে ৬০ লাখ টাকা সরকারি অনুদান পেয়েছিল সিনেমাটি। পাঁচ বছর পর অবশেষে ছবিটি এলো মুক্তির আলোয়। তাও আবার কেবল একটি প্রেক্ষাগৃহে। শুধুমাত্র একটি হলে আজ মুক্তি পেয়েছে ‘আজব ছেলে’।

হল কম প্রসঙ্গে নির্মাতা বলেন, এই ধরনের ছবি সাধারণত হল পায় না। কেননা হল মালিকরা ধরে নেন, এসব ছবি দর্শক দেখে না। ফলে স্বল্প পরিসরে মুক্তি পেলেও বিভিন্ন উৎসবে ছবিটি নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন তিনি। যেমন আসন্ন ২২তম ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে জায়গা করে নিয়েছে ‘আজব ছেলে’।

সম্প্রতি রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে ‘আজব ছেলে’ ছবিটির প্রিমিয়ার হয়েছে। সেখানে উপস্থিত হয়ে ছবিটি দেখেছেন মুহম্মদ জাফর ইকবাল। তিনি বলেছেন, ‘একজন লেখক কিছু লেখেন, সেটা একরকম। সেটাকে যখন চলচ্চিত্রে রূপ দেওয়া হয়, তখন কিন্তু একদম ভিন্ন। আমার গল্পটা লেখার উদ্দেশ্য ছিল যারা মুক্তিযুদ্ধ দেখেনি, তারা যেন অনুভব করতে পারে ওই সময়ে কত কী ঘটেছে; তার মধ্যে একটা নির্দিষ্ট কষ্টের কথা বোঝানোর চেষ্টা করেছি। ছবিটা দেখার পর আমার মনে হয়েছে, সেই বিষয়টি নির্মাতা ও অভিনয়শিল্পীরা খুব সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন।’

সূত্র: ইত্তেফাক




মেহেরপুর জেলা প্রেসক্লাবের ক্যারাম প্রতিযোগিতার চ্যাম্পিয়ন তোজাম্মেল- রুপক জুটি

মেহেরপুর জেলা প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠার ৭ বছর উপলক্ষে ক্যারাম প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছে তোজাম্মেল আযম- মতুর্জা ফারুক রুপক জুটি। নক আউট পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত প্রতিযোগীতার ফাইনাল খেলায় সিরাজুদ্দোজা পাভেল-শাকিল রেজা জুটিকে পরাজিত করে।

শুক্রবার দিন ব্যাপী মেহেরপুর জেলা প্রেস ক্লাবে এ প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিযোগীতায় ১৬ জন খেলোয়াড় ৮টি দলে বিভক্ত হন লটারির মাধ্যমে। প্রতিযোগীতার প্রথম পর্বে খেলা হয় ৪টি ম্যাচ। চার ম্যাচর বিজয়ী তোজাম্মেল-রুপক, মাসুদ-শাহিন, শাকিল-পাভেল, রাফি-সোমেল জুটি অংশ নেন সেমিফাইনাল পর্বে। সেমিফাইনালে বিজয়ী হয়ে তোজাম্মেল-রুপক জুটি এবং শাকিল-পাভেল জুটি বিজয়ী হয়ে ফাইনাল খেলার সুযোগ লাভ করে।

খেলায় মেহেরপুর অন্যদের মধ্যে ঢাকা মেইলের প্রতিনিধি তোফায়েল ও মাইটিভির গাংনী প্রতিনিধি মাসদ রানা, মেহেরপুর প্রতিদিনের সম্পাদক ও কালের কন্ঠ প্রতিনিধি ইয়াদুল মোমিন ও মেহেরপুর প্রতিদিনের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক মাহাবুব চান্দু, বাংলা টিভি প্রতিনিধি আক্তারুজ্জামান ও সাংবাদিক এস এম তারেক, বাসস প্রতিনিধি দিলরুবা ও মেহেরপুর প্রতিদিনের নিজস্ব প্রতিনিধি উবাইদুল্লাহ সাদিক অংশ নেন।

আজ শনিবার প্রেস ক্লাবের বার্ষিক সাধারণ সভা শেষে চ্যাম্পিয়ন, রানার্স আপ ও অংশগ্রহনকারীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে।




লড়াই, সংগ্রাম, সাফল্য ও উন্নয়নের পথিকৃৎ শেখ হাসিনা

লড়াই, সংগ্রাম, সাফল্য ও উন্নয়নের নাম শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধুর নিজ হাতে গড়া দলটি যখন যোগ্য নেতৃত্বের সংকটে, ঠিক সেই সময় দলের ঐক্যের প্রতীক হিসেবে আবির্ভাব হয় শেখ হাসিনার। ১৯৮১ সালে শেখ হাসিনার অনুপস্থিতিতে তাঁকে সর্বসম্মতিক্রমে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত করা হয়। নির্বাচিত হওয়ার সাড়ে তিন মাসের মাথায় ওই সময়কার সরকারের রক্তচক্ষু ও নানা বাধা উপেক্ষা করে দীর্ঘ ৬ বছরের নির্বাসিত জীবন শেষ করে ১৭ মে দেশে ফেরেন তিনি।

বাবা-মায়ের স্নেহের যে বাড়িতে বড় হয়েছেন, সেই ধানমন্ডির ৩২ নম্বরের সেই বাড়িতে, প্রবেশে বাধাপ্রাপ্ত হওয়ার মধ্য দিয়ে শুরু হয় শেখ হাসিনার কণ্টকাকীর্ণ পথ চলা। শুরু করেন দেশের গণতন্ত্র এবং জনগণের ভাত ও ভোটের অধিকার নিশ্চিতের সংগ্রাম। আর এই সংগ্রামের পথে তাকে পার হতে হয় নানা প্রতিবন্ধকতা। কারাবরণ করতে হয় একাধিকবার। অদ্যাবধি তাঁকে হত্যার জন্য ২০বার সশস্ত্র হামলা করা হয়। অধিকার আদায়ের সংগ্রামে বারবার মৃত্যুর মুখে পড়েছেন তিনি। তবুও পিছপা হননি, লড়াই সংগ্রাম ছেড়ে দেননি শেখ হাসিনা। শত বাধা-বিপত্তি, জেল-জুলুম, অত্যাচার-নির্যাতন এবং হত্যার হুমকিসহ কোন কিছুই তাকে টলাতে পারেনি একবিন্দুও। বরং সাহসের সঙ্গে এগিয়ে গেছেন সামনের দিকে।

২০০৬ সালে বিএনপি-জামায়াত সরকারের মেয়াদ শেষ হলেও নানা রকমের টাল-বাহানা করে ক্ষমতা হস্তান্তরে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। নতুন ভোটার তালিকায় ১ কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার অন্তর্ভুক্ত করে নির্বাচনী বৈতরণী পার হওয়ার ষড়যন্ত্রও করেছিল তারা। দলীয় রাষ্ট্রপতি ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদকেই প্রধান উপদেষ্টার পদ দিয়ে হাস্যকর এক তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করে ৬ জানুয়ারি নির্বাচনের নামে প্রহসন আয়োজনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছিল। কিন্তু সচেতন দেশবাসী এসব অনিয়ম ও ক্ষমতা কুক্ষিগত করার অপকৌশলকে ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করে। সে সময় বিদ্যমান রাষ্ট্রীয় সংকট ও অরাজক পরিস্থিতিতে সেনা সমর্থিত আরেক নতুন ধরনের তত্ত্বাবধায়ক সরকার জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করে। কিন্তু তারাও নির্দিষ্ট সময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠান না করে ক্ষমতা দীর্ঘস্থায়ী করাসহ নানা বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হয়।

বিলম্বে হলেও তারা পূর্বোক্ত ভোটার তালিকা সংশোধন ও ছবিযুক্ত ভোটার তালিকা তৈরির মাধ্যমে একটি সর্বজনগ্রাহ্য নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে বাধ্য হয়। সেই ২০০৮ সালের নির্বাচনে “দিন বদলের সনদ”-রূপকল্প ২০২১ বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠন শিরোনামে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার ভূমিধস বিজয় অর্জন করে।
এরপর ২০১৪ সালে “এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ” স্লোগানে সরকার গঠন করে ১০টি মেগা উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করেন। ২০৪১ সালের উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ এবং ২১০০ সালে “নিরাপদ ব-দ্বীপ” প্রণয়নের রূপরেখা প্রদান করে ২০১৮ সালে “সমৃদ্ধির অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ” শিরোনামে আবারও সরকার গঠন করে। ফলস্বরূপ আজ অবধি দেশের মানুষ জননেত্রী শেখ হাসিনার ওপর আস্থা রেখেছে বলেই দেশের বিভিন্ন খাতে অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জনের মাধ্যমে ধারাবাহিক উন্নয়নের প্রতিফলন দৃশ্যমান হচ্ছে এবং দেশের মানুষ এর সুফল ভোগ করছে।

আধুনিক যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে শেখ হাসিনা সরকার বিভিন্ন মেগা প্রকল্প প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করে চলেছে এবং যোগাযোগ খাতে বৈপ্লবিক উন্নয়ন হয়েছে। নদীমাতৃক বাংলাদেশে নিরবচ্ছিন্ন সড়ক ও রেলযোগাযোগ স্থাপনের জন্য পদ্মাসেতু, বঙ্গবন্ধু যমুনাসেতু, তিস্তাসেতু, পায়রাসেতু, দ্বিতীয় কাঁচপুরসেতু, দ্বিতীয় মেঘনা ও গোমতী সেতুসহ শত শত সেতু, সড়ক, মহাসড়ক নির্মাণ, পুনঃনির্মাণ করেছে সরকার। এছাড়া ঢাকায় হানিফ ফ্লাইওভার, তেজগাঁও-মগবাজার-মালিবাগ ফ্লাইওয়ার, কমলাপুর-শাহজাহানপুর ফ্লাইওভার, বনানী ফ্লাইওভার, টঙ্গীতে আহসানউল্লাহ মাস্টার ফ্লাইওভার, চট্টগ্রামে আক্তারুজ্জামান চৌধুরী ফ্লাইওভার ও বদ্দারহাট ফ্লাইওভারসহ বহুসংখ্যক ছোট-বড় ফ্লাইওভার নির্মাণ করে যাচ্ছে।

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ক্ষেত্রেও বাংলাদেশ শেখ হাসিনার হাত ধরেই নতুন যুগে প্রবেশ করেছে, স্থান করে নিয়েছে স্যাটেলাইট বিশ্বে। ইতোমধ্যেই বাংলাদেশ মহাকাশে উৎক্ষেপন করেছে কৃত্রিম উপগ্রহ বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-২ উৎক্ষেপনেরও প্রস্তুতি চলছে। গভীর সমুদ্রের তলদেশে অপটিক্যাল ফাইবার নির্মাণ এবং মহাকাশে স্যাটেলাইট স্থাপনের মাধ্যমে ইন্টারনেট সেবা সহজতর হয়েছে।
দেশে বর্তমানে প্রায় ১৮ কোটির বেশি মোবাইল ফোন ব্যবহার হচ্ছে। ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১১ কোটিতে উন্নীত হয়েছে। একসময় দেশের টিভি চ্যানেল গুলো স্যাটেলাইট ভাড়া বাবদ বছরে ১ কোটি ৪০ লাখ ডলার ব্যয় করত। সে টাকা এখন থেকে দেশেই থেকে যাবে।
বাংলাদেশ বেতারসহ দেশের সবক’টি টেলিভিশন চ্যানেল এবং দেশের একমাত্র ডিটিএইচ অপারেটর ‘আকাশ’ বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর সেবা নিচ্ছে। এ ছাড়াও দেশের ৩১টি দুর্গম ও প্রত্যন্ত দ্বীপাঞ্চলের ১১২টি স্থানে টেলি যোগাযোগ ও ইন্টারনেট সেবা প্রদান করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে দেশের অনেক স্বনামধন্য ব্যাংক, বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও সশস্ত্রবাহিনী বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ ব্যবহার করে তাদের সেবা দেওয়া শুরু করেছে। ফলে মোবাইল ব্যাংকিং কার্যক্রম চালু, উপজেলা শহরে ব্যাংকের এটিএম বুথ নির্মাণসহ সহজলভ্য ইন্টারনেট সেবা এখন মানুষের দোরগোড়ায়।

শুধু দেশি সংস্থা নয়, বাংলাদেশের পাশাপাশি বিশ্বের আরো কয়েকটি দেশের বিভিন্ন টিভি চ্যানেল বর্তমানে বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট থেকে ট্রান্সপন্ডার ভাড়া নিয়ে ব্যবহার করছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য দেশ গুলো হচ্ছে হন্ডুরাস, তুরস্ক, ফিলিপাইন, ক্যামেরুন ও দক্ষিণ আফ্রিকা। সরকার প্রধান শেখ হাসিনার ঐকান্তিক প্রচেষ্টা ও সুদূর প্রসারী পরিকল্পনার ফলশ্রুতিতেই এ সব কিছু বাস্তবায়ন করা সম্ভব হচ্ছে। শুধু তাই নয়, অর্থনৈতিক মন্দা, করোনা মহামারি ও ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ বিশ্বব্যাপী সংকট সৃষ্টি করলেও জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ ‘সতর্ক’ অবস্থানে থেকে এবং অনেক ক্ষেত্রে ‘কৃচ্ছতা’ অবলম্বনের মাধ্যমে সে সংকট এখন পর্যন্ত সফলভাবে মোকাবিলায় সক্ষমতা অর্জন করেছে।

দেশের অর্থনীতি এখনো বেগবান রয়েছে। ২০৩৭ সালের মধ্যে বাংলাদেশের অর্থনীতির আকার বিশ্বের ২০তম অবস্থান অর্জন করবে বলেও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গবেষণায় সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে। অথচ বিএনপি-জামায়াতসহ একদল ষড়যন্ত্রকারী বাংলাদেশকে বরাবরের মতো পিছিয়ে নেবার যারপরনাই চেষ্টা করে যাচ্ছে। তাদের বিরতিহীন অপতৎপরতা, সব ষড়যন্ত্রকারী এবং “নিন্দুকের মুখে ছাই” দিয়েই শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে চলেছে দুর্বার গতিতে।
তলাবিহীন ঝুড়ি হিসেবে পরিচিত বাংলাদেশ এখন বিশ্বে একটি উন্নয়নের রোলমডেল। এর পুরোটাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কৃতিত্ব। তার এই অনন্য কৃতিত্বে গর্বিত বাংলাদেশ, গর্বিত বাঙালি জাতি। দেশবাসীর উচিত ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য উন্নত ও সমৃদ্ধ রাষ্ট্রের স্বপ্ন বাস্তবায়নকে উপলব্ধি করা এবং সে মতে কার্যক্রম গ্রহণ করা।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, নির্বাচন এলেই বিএনপিসহ নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী রাজনৈতিক দলগুলো জনগণকে আকৃষ্ট করতে অনেক প্রতিশ্রুতির ফুলঝুরি দিয়ে থাকে। অতীতে দেখা গেছে, আওয়ামী লীগ ছাড়া বিএনপি-জাতীয় পার্টি বা অন্যান্য দল যারা বৈধ-অবৈধভাবে ক্ষমতায় এসেছে, তারা জনগণকে দেয়া অঙ্গীকারের ৩০ ভাগও বাস্তবায়ন করেনি। এমনকি প্রতিশ্রুতি পূরণে তেমন কোন উদ্যোগ দেখা যায়নি। সেক্ষেত্রে ব্যতিক্রম একমাত্র শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ, নির্বাচনের আগে যেসকল প্রতিশ্রুতি দিয়ে তারা ক্ষমতায় এসেছে, তার শতভাগ পূরণ করার চেষ্টা করেছে এবং জনগণের আস্থা-বিশ্বাস আরও দৃঢ় করতে সক্ষম হয়েছে।

সরকার প্রধান শেখ হাসিনাও চলমান মেয়াদে চতুর্থ বছর পূর্তিতে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে বলেছেন, “এই ১৪ বছরে আমরা দেশ এবং দেশের জনগণকে কী দিতে পেরেছি- তার বিচার-বিশ্লেষণ আপনারা করবেন”। তিনি আরও বলেন, “রূপকল্প ২০২১-এর পর আমরা রূপকল্প ২০৪১ এবং বদ্বীপ পরিকল্পনা ২১০০ প্রণয়ন করেছি। রূপকল্প ২০২১-এ আমরা অন্যান্য লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের পাশাপাশি ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে চেয়েছিলাম। আজ সন্তুষ্টচিত্তে বলতে পারি, আমরা সে প্রতিশ্রুতি পূরণে সক্ষম হয়েছি”। আর এই বিশাল সফলতা ও বদলে দেয়া দেশের অর্জনগুলো সামনে রেখেই শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ আগামী দ্বাদশ নির্বাচনে “স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ”-এর প্রতিশ্রুতিকে সামনে রেখে কাজ করে যাচ্ছে।

এরইমধ্যে প্রধানমন্ত্রী এ নিয়ে বিশদ বিবরণও দিয়েছেন। এ কথা আজ সর্বাংশে সত্য যে, শেখ হাসিনা তার সুচিন্তিত ও বলিষ্ঠ নেতৃত্ব দিয়ে বাংলাদেশকে মর্যাদার আসনে আসীন করেছেন।
বাংলার মানুষ বিশ্বাস করে একমাত্র শেখ হাসিনাই পারবেন মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সুখী, সমৃদ্ধিশালী সোনার বাংলা গড়তে। এজন্য শেখ হাসিনার হাতকে আরো শক্তিশালী করা দরকার। বিগত সময়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ যে অভূতপূর্ব উন্নয়ন ও সাফল্য অর্জন করছে, সেই ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হলে আমাদের সকলের উচিত সরকারকে সকল কর্মকাণ্ডে সহায়তা ও আকুণ্ঠ সমর্থন অব্যাহত রাখা।

লেখক: প্রক্টর, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট।




ভারতের বিরুদ্ধে ‘টস জালিয়াতির’ অভিযোগ করায় বিব্রত আকরাম-মালিকরা

চলমান বিশ্বকাপে একমাত্র অপরাজিত দল স্বাগতিক ভারত। সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডকে ৭০ রানে হারিয়ে বিশ্বকাপ এক যুগ পর ফাইনালে উঠেছে ভারত। ম্যাচের আগে ভারতের বিপক্ষে পিচ পাল্টানোর অভিযোগ তুলেছিল বৃটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইল। ম্যাচের পর ভারতের বিরুদ্ধে টস জালিয়াতি করার অভিযোগ তুলেন পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটার সিকান্দার বখত। তবে তার এই অভিযোগে বিব্রত হয়েছেন দেশটির কয়েকজন সাবেক অধিনায়ক।

পাকিস্তানের টিভি চ্যানেল জিও সুপারের স্পোর্টস শোতে সিকান্দার বখত বলেছিলেন, ‘আমি কি সামান্য অপকর্মকেও সমর্থন করতে পারি? টসের সময় রোহিত মুদ্রা একটু দূরে নিক্ষেপ করে, সেটি প্রতিপক্ষ অধিনায়কের নাগালের বাইরে চলে যায়। নিজের পছন্দ অনুযায়ী মুদ্রার পিঠ উঠেছে কি না, এটা যেন প্রতিপক্ষ অধিনায়ক সেখানে গিয়ে দেখতে না পারে।’

তার এমন মন্তব্যে বেশ বিব্রত হয়েছেন মঈন খান, ওয়াসিম আকরাম ও শোয়েব মালিক। পাকিস্তানি চ্যানেল ‘এ স্পোর্টসে’র বিশ্বকাপ আয়োজন ‘প্যাভিলিয়ন’- তার এমন মন্তব্য প্রসঙ্গে আকরাম বলেন, ‘কয়েন নিক্ষেপের পর কোন জায়গায় পড়বে, এটা কে নির্ধারণ করে? এই বিষয়ে আমি বিব্রতবোধ করছি। এমনকি এ বিষয়ে কোনো মন্তব্যও করতে চাচ্ছি না।’

অলরাউন্ডার শোয়েব মালিক এ বিষয়ে কোন শব্দ খরচ না করে বলেন, ‘এটা নিয়ে কোনো আলোচনাই করা উচিত নয়।’

মঈন খান সিকান্দার বখতকে খোঁচা দিয়ে বলেন, ‘তিনি ভুল বলেছেন। একটা হইচই তৈরি করতে চাইছেন। আলোচনায় আসতে চাইছেন। সব অধিনায়কেরই তো কয়েন টস করার আলাদা ধরন থাকে।’

সূত্র: ইত্তেফাক




হোয়াটসঅ্যাপে এসেছে ভয়েস চ্যাট ফিচার

অবশেষে ভয়েস চ্যাট ফিচার রোল আউট হলো হোয়াটসঅ্যাপে। হোয়াটসঅ্যাপ ব্যক্তিগত চ্যাটের পাশাপাশি গ্রুপ চ্যাট তৈরির অপশন রয়েছে। দিন দিন সেই গ্রুপে ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এ অবস্থায় গ্রুপের সদস্যরা যাতে সুনিপুণভাবে যোগাযোগ করতে পারেন সেজন্য নতুন এই ফিচার যুক্ত করা।

কল করে গ্রুপের সবাইকে বিরক্ত না করার ক্ষেত্রে ফিচারটি বেশ কাজের হবে বলেই মনে করছে মেটা। হোয়াটসঅ্যাপে যে বড় গ্রুপগুলো রয়েছে তার জন্য গ্রুপ কলের ফিচার রেখেছে মেটা। কিন্তু ভয়েস চ্যাট ফিচার আসার ফলে কমিউনিকেশন আরও সহজ হবে।

এই সুবিধা সব গ্রুপে পাওয়া যাবে না বলে জানিয়েছে হোয়াটসঅ্যাপ। যেসব হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে সদস্য সংখ্যা ৩৩ থেকে ১২৮ সেখানেই পাওয়া যাবে এই সুবিধা। অন্যদিকে গ্রুপ কল ফিচার ৩২ জন সদস্য-যুক্ত গ্রুপেই সীমাবদ্ধ।

হোয়াটসঅ্যাপ আরও জানায়, শুধু প্রাইমারি ডিভাইসেই পাওয়া যাবে এই সুবিধা। লিঙ্কড ডিভাইসে এ সুবিধা থাকবে না। আর এই ভয়েস চ্যাট অ্যান্ড-টু-অ্যান্ড এনক্রিপ্টেড। অর্থাৎ প্রাইভেসি নিয়ে নিশ্চিত থাকতে পারেন।

হোয়াটসঅ্যাপে যখন কেউ গ্রুপ কল করে তখন রিং হয় ফোন, কিন্তু ভয়েস চ্যাট হবে চুপিসারে। ব্যবহারকারী এতে বিরক্ত হবেন না। স্বল্পমাত্রার শব্দে ফোন রিং বেজে উঠবে এবং গ্রুপেই একটি ইন-চ্যাট বাবেল শো যেখানে ক্লিক করে যোগদান করতে পারবেন।

গ্রুপ কল করার সময় ইউজারকে প্রথমে কল স্ক্রিনে যেতে হয়, তারপর ‘+’ আইকনে ক্লিক করে সদস্য অ্যাড করতে হয়। বিষয়টা ঝামেলার। কিন্তু ভয়েস চ্যাটে থাকবে শুধু একটি ঢেউয়ের মতো ওয়েভফর্ম আইকন যেখানে ক্লিক করে ভয়েস চ্যাট শুরু করতে পারবেন।

সূত্র: গ্যাজেট ৩৬০