মেহেরপুর জেলা পরিষদের বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠান

‘রাজনীতির সাথে ত্যাগের সম্পর্ক রয়েছে, ভোগের নয়। আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে জেলা পরিষদে কোন দূর্ণীতি নাই, টেন্ডার বাজী নাই।’

গতকাল বুধবার ১৫ নভেম্বর দুপুরে মেহেরপুর পৌর কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত মেহেরপুর জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সহ সদস্যগণদের দায়িত্ব ভার গ্রহণের ১ম বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানে কথাগুলি বলেন মেহেরপুর জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মুহা. আব্দুস সালাম।

এসময় তিনি আরও বলেন, ‘৪৫ বছরের বেশি সময় ধরে একটি রাজনৈতিক দলের সাধারণ সদস্য হিসাবে এই দলটি করছি। আমি একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসাবে আপনাদের সেবা করতে চাই। গত বছরের ১৭ অক্টোবর ভোটে জয়লাভ করে, আজ থেকে ১ বছর আগে আমি জেলা পরিষদের দায়িত্ব নিই। আজ আমি আপনাদের কাঠগড়ায়। আমি আমার প্রতিশ্রুতি রক্ষা করার চেষ্টা করেছি। এখন আপনারাই বলবেন আমি কতটুকু করতে পেরেছি। যদি নেতা হতে নাও পারি তবুও কর্মী হিসেবেই আজীবন জনগণের কল্যাণে কাজ করে যাবো।’

জেলা পরিষদের দায়িত্বভার গ্রহণের বর্ষপূর্তির আলোচনা সভায় সংরক্ষিত আসন-২ (গাংনী)র সদস্য শাহানা ইসলাম শান্তনার সঞ্চালনা এবং মেহেরপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মুহা. আব্দুস সালামের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুরের জেলা প্রশাসক মোঃ শামীম হাসান, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মোঃ শামীম হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ কামরুল আহসান ও জেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সরদার মোস্তফা শাহীন। প্রধান অতিথি হিসেবে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেনের ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হওয়ার কথা থাকলেও দাপ্তরিক ব্যস্ততার কারণে তিনি অনুষ্ঠানে যুক্ত হতে পারেননি।

এসময় মেহেরপুর জেলা পরিষদের সকল সদস্য সহ জেলা পরিষদের সাবেক সদস্যগন, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যানগন, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানগন ও মেম্বারগন উপস্থিত ছিলেন।




বাংলাদেশের সাম্প্রতিক হরতাল-অবরোধের ক্ষতি

গুজরাটি শব্দ ‘হর’ মানে সব জায়গায় আর ‘তাল’ মানে তালা। অর্থাৎ হরতাল মানে সব জায়গায় তালা। রাজনৈতিক বিশ্লেষকবৃন্দের মতে হরতাল হচ্ছে – গাড়ির চাকা ঘুরবে না এবং অফিস-আদালতসহ সব ধরনের প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। এক কথায় সব কিছু অচল করে দেওয়ার কর্মসূচি হচ্ছে হরতাল।

ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের সময় মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী হরতালের প্রবর্তন করেছিলেন। ১৯৪৮ সালে বাংলাদেশে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে ‘তমুদ্দিন মজলিস’ প্রথম হরতাল ডাকার পর থেকে এ দেশের রাজনীতিতে হরতাল কর্মসূচিটি প্রচলিত হয়।

অন্যদিকে অবরোধ কর্মসূচি হচ্ছে দাবি আদায়ের লক্ষ্যে সবকিছু খোলা রেখে যোগাযোগ ব্যবস্থায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা। গ্রিক উপাখ্যানে ইলিয়াড ও ওডেসিতে ট্রয় নগরী অবরোধের কথা আছে। ১১৮৭ সালে সালাউদ্দিন আইয়ুবি জেরুজালেম অবরোধ করেন।

সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে বিএনপি-জামাতসহ কয়েকটি বিরোধী দল হরতাল-অবরোধকে একই ধরণের কর্মসূচী বিবেচনা করে ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড যুক্ত করে আন্দোলনের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে দাবি আদায়ের চেষ্টা করছে। তারা হরতাল ও অবরোধে অগ্নিসংযোগ করে জালাও-পোড়াও করছে এবং সব ধরনের সরবরাহ চেইন বিচ্ছিন্ন করার চেষ্টা করে দেশের অর্থনৈতিক কর্মকান্ড বাধাগ্রস্ত করে জনদূর্ভোগ বৃদ্ধি করছে। বাংলাদেশের সাম্প্রতিক হরতাল ও অবরোধে ক্ষতির বিবরণ নিম্নে তুলে ধরা হলো।

কৃষি উৎপাদন ব্যাহত: সরবরাহ চেইন বিচ্ছিন্ন হওয়ায় কৃষি উপকরণ যেমন সার, বালাইনাশক, বীজ, গ্রোথ রেগুলেটর, সেচ কাজের জন্য ডিজেল ইত্যাদি স্থানীয় বাজারে পৌছাতে পারছে না, ফলে কৃষক এগুলো সংগ্রহ করতে পারছে না। আবার কম সরবরাহের কারণে এগুলোর দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে কৃষি উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। অন্যদিকে কৃষকের উৎপাদিত পণ্য শহরের বাজারে পাঠাতে পারছে না। সার্বিকভাবে কৃষক ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে।

ভোগ্যপণ্যের মূল্য বৃদ্ধি: অবরোধের কারণে সব ধরনের সরবরাহ চেইন বিচ্ছিন্ন হওয়ায় গত কয়েকদিনে কৃষি পণ্য বাজারে আসতে পারছে না। ফলে কৃষি পণ্যসহ অন্যান্য যাবতীয় ভোগ্যপণ্যের দাম বাড়ছে। হরতাল-অবরোধের ফলে পরিস্থিতি আরও জটিল আকার ধারণ করতে পারে।

দেশে নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে সরকার সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝিতে আলু, পেঁয়াজ, চিনি, সয়াবিন তেল ও ডিমের দাম বেঁধে দেয়্। সরকারের বেঁধে দেওয়া দাম বাজারে কার্যকর না হওয়ার পেছনে সরবরাহ ঘাটতিই দায়ী। সরবরাহ যদি ঠিক থাকত, তা হলে বাজারে নিত্যপণ্যের দাম কমে যেত। সরবরাহ সন্তোষজনক না হওয়ায় সরকারের বেঁধে দেওয়া দাম কার্যকর করা যাচ্ছে না।

শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত: হরতাল-অবরোধের কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহে অচলাবস্থা সৃষ্টি হচ্ছে। নভেম্বর মাসে বিদ্যালয়সমূহে বার্ষিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ বার্ষিক পরীক্ষা আয়োজন করতে হিমসিম খাচ্ছে। অবরোধের সংগে জালাও-পোড়াও ও অগ্নি সংযোগের অপরাজনীতি যুক্ত হওয়ায় শিক্ষক-শিক্ষিকা, ছাত্রছাত্র, অভিবাবক সকলেই উদ্বিগ্ন। ঝুকি নিয়ে যাতায়াত করলেও তাদের যাতায়াত খরচ বহুগুনে বাড়ছে।

স্বল্প আয়ের মানুষের জীবিকা ব্যাহত: হরতাল-অবরোধে রিকসা-ভ্যান ও অটোরিকসা চালক, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, দিনমজুরগণ সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। অটোরিকসা চালককে মালিকের দৈনিক ভাড়া পরিশোধ করতে হচ্ছে, কিন্তু তারা পাচ্ছে না যাত্রী। শ্রমিকরা পাচ্ছে না কাজ। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা টিকে থাকতে পারছে না। সরবরাহ ব্যবস্থা বিপর্যস্ত হওযায় তাদের ত্রাহিত্রাহি অবস্থা।

ব্যবসা-বাণিজ্য ব্যাহত: জনগণ ও অর্থনীতিকে জিম্মি করে রাজনৈতিক ফায়দা লোটার লক্ষ্যে সরকার-বিরোধী দলসমূহের ডাকা অবরোধের সংগে অগ্নি-সন্ত্রাসের ভয়ে ব্যবসায়ীগণ তাদের ব্যবসা-বাণিজ্য ঠিকমতো চালাতে পারছে না। এভাবে চললে প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের কর্মীদের ঠিকমতো বেতন-ভাতা দিতে পারবে না। ছোট প্রতিষ্ঠানগুলো কর্মী ছাঁটাই করতে বাধ্য হবে। বেকারত্ব বাড়বে।

আমদানী-রপ্তানী হ্রাস: বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দায় এমনিতেই বিদেশী ক্রেতারা তাদের ক্রয়াদেশ কমিয়ে দিচ্ছে। হরতাল-অবরোধের মতো রাজনৈতিক কর্মসূচির কারণে সময়মতো পণ্য বন্দরে পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে যেমন বাধা সৃষ্টি হবে, পাশাপাশি পণ্যের জাহাজীকরণও হবে বাধাগ্রস্ত। এ সুযোগে ক্রেতারা তাদের ক্রয়াদেশ আরও কমিয়ে দেবে। আগের দেওয়া ক্রয়াদেশ নিশ্চিত করতে দেরি করবে। রাজনৈতিক এসব কর্মসূচি কারও উপকার বয়ে আনে না।

কর্মসংস্থান হ্রাস: রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার কারণে ব্যবসায়ীরা ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন। বিনিয়োগের টাকা ফেরত আসা, পণ্যের বাজারজাতকরণ, শিল্প-বাণিজ্য পরিচালনা, বিনিয়োগ ঝুকি, ইত্যাদি বিষয় নিয়ে তারা ভাবতে শুরু করছেন। এমতাবস্থায় ব্যবসায়ীগণ নতুন কর্মী নিয়োগের পরিবর্তে কর্মী ছাটাই করার কথা ভাবছে। ফলে নতুন কর্মসংস্থান হবে না, বরং কর্মসংস্থান আরও কমবে। যার প্রভাবে বেড়ে যেতে পারে বেকারের সংখ্যা।

বিদেশী বিনিয়োগ হ্রাস: বিদেশীরা রাজনৈতিক পরিস্থিতি খারাপ দেখলে বিনিয়োগ করে না। হরতাল অবরোধ থাকলে পণ্য আমদানি ও রপ্তানিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। এক্ষেত্রে অর্থনৈতিক পরিস্থিতি, বিদেশী বিনিয়োগ পরিস্থিতি আরও অনিশ্চিত হয়ে পড়বে। ফলে, এখন দেশের অর্থনীতি অনেক চ্যালেঞ্জের মধ্যে রয়েছে।

অর্থনীতিতে সংকট: হরতাল-অবরোধ, জ্বালাও-পোড়ায়ের কারণে দেশে অর্থনীতিতে সংকট আরও বাড়াবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন গবেষক, অর্থনীতিবিদ, ব্যাংকার ও ব্যবসায়ীরা। তারা বলছেন, দুই বছরের করোনা মহামারীর ধাক্কা কাটতে না কাটতেই পৌনে দুই বছর ধরে চলা রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে এমনিতেই সংকটে আছে দেশের অর্থনীতি। ফের রাজনীতির মাঠ সহিংস হয়ে উঠলে দেশে অর্থনীতিতে সংকট প্রকট আকার ধারণ করবে।

বস্ত্র শিল্পের সংকট: দেশের রপ্তানি আয়ের প্রধান খাত তৈরি পোশাক শিল্প। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, ইসরাইল-ফিলিস্তিন যুদ্ধ, ইত্যাদি বৈশ্বিক পরিস্থিতির কারণে বস্ত্র ক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলোর চাহিদা কমছে। বৈশ্বিক পরিস্থিতির সাথে দেশের ভেতরে অবরোধের অস্থিরতা সৃষ্টি হলে রপ্তানিমুখী শিল্প খুবই সংকটে পড়বে। অস্থিরতার কারণে ক্রেতারা বিকল্প খুঁজবেন। এ ধরণের অচলাবস্থায় বস্ত্র শিল্প সংকটে পড়বে।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আইসিটিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় জানিয়েছেন ২৮ অক্টোবর থেকে ৬ নভেম্বর পর্যন্ত বিএনপি-জামায়াতে ইসলামী ও তাদের সহযোগীদের ৬ দিনের অবরোধ-হরতালে অর্থনীতির আনুমানিক ক্ষতি হয়েছে ৩ দশমিক ৫ বিলিয়নের ডলারের বেশি।

বাংলাদেশে বর্তমানে বছরে প্রায় ৫০ লক্ষ কোটি ডলারের অর্থনৈতিক কর্মকান্ড পরিচালিত হয়। সে হিসেবে এক দিনের হরতাল বা অবরোধে দেশের ক্ষতি হয় প্রায় ১৪ হাজার কোটি ডলার। দেশের অর্থণীতি সচল রাখতে হরতাল-অবরোধের মত কর্মসূচী পরিহার করা বাঞ্ছনীয়।

লেখক: অধ্যাপক, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা




তফসিল ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়ে চুয়াডাঙ্গায় যুবলীগের আনন্দ মিছিল

আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়ে চুয়াডাঙ্গা জেলা যুবলীগের আহবায়ক ও চুয়াডাঙ্গা জেলা ক্রিয়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক নঈম হাসান জোয়ার্দারের নেতৃত্ব আনন্দ মিছিল করা হয়েছে।

গতকাল বুধবার জাতীয় নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর সন্ধ্যা আটটার সময় চুয়াডাঙ্গা জেলা যুবলীগের কার্যালয় হতে বর্ণাঢ্য আনন্দ মিছিল বাহির হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে চুয়াডাঙ্গা বড় বাজার হাসান চত্বর ঘুরে আবার জেলা যুবলীগের কার্যালয়ে এসে শেষ হয়।

আনন্দ মিছিল পরবর্তী চুয়াডাঙ্গা জেলা যুবলীগের আহবায়ক ও চুয়াডাঙ্গা জেলা ক্রিয়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক নঈম হাসান জোয়ার্দার বলেন, কেন্দ্রীয় যুবলীগের নির্দেশনা মোতাবেক আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর যুবলীগের সকল পর্যায়েয় নেতাকর্মীদের নিয়ে আনন্দ মিছিল বাহির করতে বলা হয়। তারই ধারাবাহিকতায় চুয়াডাঙ্গা জেলা যুবলীগের পক্ষ থেকে সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের নিয়ে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর পরই আনন্দ মিছিল বাহির করা হয়।

এ সময় তিনি আরও বলেন, আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আবারও গণতন্ত্রের বিজয় হবে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলা বাস্তবায়নে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আবারো নৌকা ও আওয়ামী লীগের জয় হবে। এ-ই লক্ষ্যে আজ থেকে প্রতিটি পাড়া মহল্লায় কর্মসূচি পালন করবে চুয়াডাঙ্গা জেলা যুবলীগ। একই সঙ্গে বিএনপি জামায়াত ডাকা অবৈধ অবরোধ বাধা দিয়ে যুবলীগের প্রত্যেক নেতাকর্মী অতন্দ্র পহরীর মতো প্রতিটি সরকারি অফিস আদালত ও সাধারণ মানুষের জান মালের রক্ষায় কাজ করবে ও পাহারা দিবে।

উক্ত আনন্দ মিছিলে সভাপতিত্বে করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা যুবলীগের আহবায়ক ও চুয়াডাঙ্গা জেলা ক্রিয়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক নঈম হাসান জোয়ার্দার।

এ সময় আনন্দ মিছিলে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্য জুবায়ের আহমেদ সাব্বির, চুয়াডাঙ্গা জেলা যুবলীগের যুগ্ন-আহবায় সামসুদ্দোহা মল্লিক হাসু, জেলা আওয়ামী যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সাজেদুল ইসলাম লাভলু, আজাদ আলী, হাফিজুর রহমান হাপু, আবুবক্কর সিদ্দিক আরিফ, আলমগীর আজম খোকা সহ চুয়াডাঙ্গা জেলা যুবলীগের নেতৃবৃন্দ।




দামুড়হুদার বিভিন্ন ইউনিয়নে সড়ক ও মসজিদ নির্মান কাজের উদ্ধোধন

দামুড়হুদা উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে ৭টি সড়ক নির্মান কাজ ও একটি মসজিদ নির্মান কাজে উদ্ধোধন করেছেন চুয়াডাঙ্গা ২ আসনের সংসদ সদস্য হাজী আলী আজগার টগর।

গতকাল বুধবার দিনভর তিনি নাটুদহ ইউনিয়ের চন্দ্রদাস কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ের হুদাপাড়া নতিপোতা,ইউনিয়ের ভগিরাতপুর জুড়ানপুর, ইউনিয়ের দলীয়ারপুর, গোকুল খালী, লক্ষিপুর হাট এবং দামুড়হুদা ইউনিয়ের পুরাতন বাস্তপুরে ৩ কোটি ২৯ লাখ টাকা ব্যায়ে ৭টি সড়ক নির্মান কাজের ও ডিসি ইকো পার্কে মসজিদ নির্মান কাজের শুভ উদ্বোধন করেন।

উদ্ধোধনকালে হাজী আলী আজগার টগর বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়নের রুপকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ আজ উন্নয়নের স্বর্ন শেখরে। জাতির জনকের স্বপ্ন পৃরনে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। অবহেলিত এই জনপদের উন্নয়ন হয়েছে চোখে পড়ার মত।সারা বাংলাদেশসহ আমাদের এলাকায় রাস্তা ব্রীজ,কালভার্ট স্কুল, কলেজ,মাদ্রাসা মসজিদ, মন্দিরসহ বিভিন্ন প্রতিষ্টানে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। এ সব উন্নয়ন দেখে দিশেহারা হয়ে পড়েছে বিএনপি- জামাত,তারা অহেতুক অরাজকতা সৃষ্টি করে নির্বাচন বানচালসহ ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের পায়তারা করছে। একাত্তরের পরাজিত শক্তি জামাত ও বিএনপি যতই অরাজকতা সৃষ্টি করুক না কেন এদেশের জনগন তা শক্তহাতে প্রতিহত করবে।তাই আসুন দেশের উন্নয়ন অব্যহত রাখতে বিরোধী দলের অপশক্তিকে রুখে দিতে আবারো নৌকায় ভোট দিয়ে শেখ হাসিনা সরকার গঠনে সহায়তা করি।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন দামুড়হুদা উপজেলা চেয়ারম্যান আলী মুনছুর বাবু , দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোকসানা মিতা,কার্পাসডাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল করিম বিশ্বাস, দামুড়হুদা উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক হাজী শহিদুল ইসলাম,দর্শনা পৌর মেয়র আতিয়ার রহমান হাবু, জুড়ানপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইয়ামিন,দামুড়হুদা উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আব্দুল হান্নান ছোট।




আলমডাঙ্গার ভাংবাড়িয়ায় কর্মী সভায় এমপি ছেলুন জোয়ার্দ্দার

আলমডাঙ্গার ভাংবাড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আয়োজনে কর্মি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বুধবার সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে ভাংবাড়িয়া স্কুল প্রাঙ্গণে এ সভার আয়োজন করা হয়। কর্মি সভায়

প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন।

এসময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমপি ছেলুন জেয়ার্দ্দার বলেন,বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা এই ১৫ বছরে দেশের মানুষের জন্য যে উন্নয়ন করেছে,তা আর কেউ করে নাই। আমাদের সরকারের আমলে, সারের জন্য কৃষককে লাইন দিতে হয়না। গুলি খেয়ে মরতে হয়না। গ্রামে গ্রামে রাস্তা করে দেওয়া হয়েছে। তৃণমূলের মানুষের চিকিৎসার জন্য কমিউনিটি ক্লিনিক করে দেওয়া হয়েছে। ফ্রী ঔষধ দেওয়া হচ্ছে। যে ক্লিনিক বিএনপির আমলে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। সেখানে আজ মানুষ চিকিৎসা সেবা পাচ্ছেন। পদ্মা সেতু নির্মাণ করা হয়েছে,কর্ণফুলি ট্যানেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ করে দেওয়া হয়েছে,মেট্রোরেল চালু হয়েছে। মানুষ সুবিধা ভোগ করছে। প্রত্যেক উপজেলায় মডেল মসজিদ নির্মাণ করা হয়েছে। এই রাস্তাঘাট স্কুল কলেজ,মসজিদ মাদ্রাসা, ইলেকট্রিসিটিসহ সব ধরনের সুযোগ সুবিধা পাচ্ছেন।

তিনি আরো বলেন, আজকের এই জনসভায় যেসব কর্মি ভাইয়ের উপন্থিত হয়েছেন,আপনারা মানুষের কাছে গিয়ে নৌকার জন্য ভোট চান,আমরা যে উন্নয়ন করেছি, সে বিষয়ে মানুষকে বোঝান। কেনো নৌকায় ভোট দিবে না।

দেশের উন্নয়নের জন্য নৌকায় ভোট দিতে হবে। উন্নয়নের এই ধারা অব্যাহত রাখতে নৌকায় ভোট দিয়ে শেখ হাসিনাকে আবারও ক্ষমতায় আনতে হবে।

ভাংবাড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মালেকের সভাপতিত্বে কর্মীসভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক যুগ্নসাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম টোটন জোয়াদ্দার, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মুন্সী আলমঙ্গীর হান্নান, মাসুদুজ্জামান লিটু বিশ্বাস,সাবেক বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদব শহিদুল ইসলাম খান, জেলা আওয়ামীলীগ নেতা শওকত আলী, আলমডাঙ্গা উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আবু মুছা, সাধারণ সম্পাদক ইয়াকুব আলী, চুয়াডাঙ্গা পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি আলাউদ্দিন হেলা, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের, ভাংবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান সোহানুর রহমান সোহান, মুক্তিযোদ্ধা খোসদেল রহমান, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সহসভাপতি আলহাজ্ব লিয়াকত আলী লিপু মোল্লা, সাবেক প্রচার সম্পাদক মাসুদ রানা তুহিন, পৌর যুগ্ম সম্পাদক সাইফুর রহমান পিন্টু, আওয়ামীলীগ নেতা মেহেরপুর পল্লিবিদ্যুৎ সমিতির চেয়ারম্যান ও মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের সভাপতি জিনারুল ইসলাম বিশ্বাসের উপস্থাপনায় আরও উপস্থিত ছিলেন ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সহসভাপতি একরামুল হক বুড়ো, যুগ্ম সম্পাদক আশরাফুজ্জামান নান্নু বিশ্বাস, আওয়ামীলীগ নেতা নাহিদ হাসনাত সোহাগ, ১ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি আনিসুর রহমান, দুই নং ওনং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সোয়েব আলী, ৪ নং ওয়ার্ড সভাপতি আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল মালেক, ৫ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি মিনারুল ইসলাম, ৮ নং সভাপতি বিল্লাল হোসেন, আওয়ামীলীগ নেতা মিনারুল ইসলাম প্রমুখ।




আলমডাঙ্গায় ১০৫ পিস ইয়াবাসহ ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার

আলমডাঙ্গার কামালপুরে ১০৫ পিস ইয়াবাসহ এক মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর।

আজ বুধবার সকাল ১১ টার দিকে জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের কুমারি ইউনিয়নের কামালপুর মাঠপাড়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের উপ-পরিদর্শক সাহারা ইয়াসমিন। গ্রেপ্তারকৃত আসামী হলেন, উপজেলা কুমারি ইউনিয়নের কামালপুর গ্রামের মৃত আব্দুল মালেকের ছেলে হাবিবুর রহমান সোহেল (৪৮)।

তিনি বলেন, তারা দীর্ঘদিন এলাকায় মাদকের ব্যবসা করে আসছিলেন। গতকাল বুধবার সকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মাদকদ্রব্য ইয়াবা বিক্রয়ের সময় ১০৫ পিস ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার করা হয়। তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।




আলমডাঙ্গায় মতবিনিময় ও আব্দুল মজিদ মেমোরিয়াল সায়েন্স কর্নার উদ্বোধন

আলমডাঙ্গা স্বয়ম্ভর লাইব্রেরির উদ্যোগে বিজ্ঞানশিক্ষা বিষয়ক মতবিনিময় ও আব্দুল মজিদ মেমোরিয়াল সায়েন্স কর্নারের শুভ উদ্বোধনে করা হয়।

আজ বুধবার সকাল ১০ টার দিকে জেস টাওয়ার ভবনে স্বয়ম্ভর লাইব্রেরির হলরুমে স্বয়ম্ভর লাইব্রেরির সভাপতি ও দি নিউনেশন পত্রিকার স্টাফ রিপোটার সাংবাদিক এনামুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আলমডাঙ্গার কৃতি সন্তান কানাডার ক্যালগরি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আনিস হক (রাজ)।

উল্লেখ্য শিক্ষক আব্দুল মজিদ আলমডাঙ্গা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের স্বনামধন্য শিক্ষক ছিলেন এবং ড. আনিস হক রাজ তার নাতি ছেলে। দাদার প্রতি অকৃত্রিম ভালবাসা ও স্মৃতি ধরে রাখতে ড. রাজ বাংলা ভাষায় প্রকাশিত অধিকাংশ বিজ্ঞান বই উপহার দিয়ে স্বয়ম্ভর পাবলিক লাইব্রেরিতে ” মজিদ স্যার মেমোরিয়াল কর্ণার” চালু করলেন। তিনি প্রায় দেড় ঘন্টা সময় নিয়ে বিজ্ঞানশিক্ষা বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ মতামত তুলে ধরেন এবং ছাত্রছাত্রী ও অভিভাবকদের নানা প্রশ্নের উত্তর দেন।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত সূধীজনেরা তাদের বক্তব্যে এ জাতীয় কর্মকান্ডের ভূয়সী প্রশংসা করে এলাকার উন্নয়নে সবাইকে এভাবে এগিয়ে আসার আহবান জানান। একই অনুষ্ঠানে কালিদাসপুরের সন্তান ইতালি প্রবাসী আব্দুল্লাহ টিপু সুলতান এবং তার সহধর্মিনী নারগিস আরা শিল্পী (কানাডিয়ান-বাংলাদেশী নাগরিক) স্বয়ম্ভর লাইব্রেরীকে আনুমানিক ১২,৫০০/ (বার হাজার পাঁচশত) টাকা মূল্যমানের বই উপহার দেন । উল্লেখ্য টিপু সুলতান বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বই (ইংরেজি ভার্সন) সরাসরি ইতালি থেকে নিয়ে এসেছেন।

এমএসজোহা কলেজের সিনিয়র প্রভাসক একেএম ফারুক হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন আলমডাঙ্গা উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আয়ুব হোসেন, সর্বজন শ্রদ্ধেয় শিক্ষক আফিল উদ্দিন, সাবেক মৎস অফিসার মীর আব্দুল হামিদ চৌধুরী, আলমডাঙ্গা সরকারি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোনায়েম হোসেন, প্রেসক্লাবের সভাপতি খোঃ শাহ আলম মন্টু, সাধারণ সম্পাদক খন্দকার হামিদুল ইসলাম আজম, হারদী এমএস জোহা ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ ওমর ফারুক, চুয়াডাঙ্গা সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ডিনা ম্যাডাম, এরশাদপুর একাডেমীর প্রধান শিক্ষক ফজলুল হক, হালসা কলেজের ক্রীড়া শিক্ষক শরিফুল ইসলাম, কবি আব্দুল কুদ্দুস, সরকারি কলেজের ক্রীড়া শিক্ষক সাইদ হীরন, ক্রীড়া সংগঠক মিজানুর রহমান, আব্দুর রশিদ, বিশ্বজিৎ শাধুখাঁ, বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেন প্রমুখ ।

এছাড়াও অনুষ্ঠানে এলাকার অন্যান্য গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও সূধীজনেরা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন আলমডাঙ্গা সরকারি কলেজের সিনিয়র প্রভাসক শরিয়তুল্লাহ, প্রভাসক আব্দুল হাই, প্রভাসক প্রদর্শক রাজিউজ্জামান রাজ, চন্দন পাল ও রাকিবের নেতৃত্বে স্বয়ম্ভর লাইব্রেরির স্বেচ্ছাসেবক দলের সার্বিক তৎপরতায় অনুষ্ঠানটি অত্যন্ত সুন্দরভাবে সম্পন্ন হয়।




ঝিনাইদহে ভোরের চেতনা পত্রিকার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত

ঝিনাইদহে বর্ণাঢ্য আয়োজনে দেশের অন্যতম শীর্ষ পত্রিকা জাতীয় দৈনিক ভোরের চেতনা ২৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হয়েছে।

আজ বুধবার বিকেলে ঝিনাইদহ প্রেস ইউনিটির কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কেক কেটে পত্রিকাটির ২৫তম বর্ষে পদার্পণ উদযাপন করা হয়।

এই সময় ঝিনাইদহ প্রেস ইউনিটির সভাপতি সাহিদুল এনাম পল্লব এর সভাপতিত্বে ও পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি আনোয়ার হোসেনের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঝিনাইদহ-মাগুরা সংরক্ষিত আসনের মহিলা সংসদ সদস্য খালেদা খানম।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিও সংস্থার নির্বাহী পরিচালক সামছুল আলম। এছাড়াও উপস্থিত ছিল প্রেস ইউনিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পাপন চৌধুরী, কোষাধ্যক্ষ মিশুক হাসান, সাংস্কৃতি সম্পাদক, তাপস কুণ্ডু, নির্বাহী সদস্য বাবলু মিয়া আবুল হাসান সহ অন্যান্য সদস্য ও আগত অতিথি বিন্দুরা।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বলেন ভোরের চেতনা পত্রিকা ২৪বছর পূর্ণ করে ২৫ বছরে পদার্পণ করেছে। অল্প সময়ে পত্রিকাটি মানুষের আস্থা অর্জনে সক্ষম হয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে সাংবাদিক ও মিডিয়ার ভূমিকা অপরিসীম। ভোরের চেতনা ঝিনাইদহের উন্নয়ন, দুর্নীতি সম্ভাবনা নিয়ে কাজ করছে আশা রাখি ভবিষ্যতে পত্রিকাটি বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করবে প্রত্রিকার সাফল্য কামনা করি।




আলমডাঙ্গায় দুই মাদকসেবীর ৬ মাসের কারাদণ্ড

আলমডাঙ্গায় দুই মাদক ব্যবসায়ীকে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। আজ বুধবার সকালে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রেজওয়ানা নাহিদের নেতৃত্বে পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালত তাদেরকে সাজা দিয়ে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

সাজাপ্রাপ্তরা হলেন, পৌর এলাকার গোবিন্দপুর মাঠপাড়া মৃত আক্কাস আলীর ছেলে মুরাদ হোসেন (৩৫), কালিদাসপুর ইউনিয়নের জগন্নাথপুর গ্রামের মৃত চান্দালীর ছেলে সৈয়দ আলী (৫৫)।

চুয়াডাঙ্গা জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক শরিয়তুল্লাহ জানান, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বুধবার সকালে উপজেলার গোবিন্দপুর ও জগন্নাথপুর গ্রামে পৃথক অভিযান চালায়। অভিযানকালে মুরাদ হোসেনকে দুই পিস এ্যাম্পুল বুপ্রেনরফাইন ইনজেকশন ও সৈয়দ আলীকে ২ পিস এ্যাম্পুল বুপ্রেনরফাইন ইনজেকশনসহ তাদের আটক করা হয়। পরে তাদের

সোপর্দ করা হলে ভ্রাম্যমাণ আদালত তাদের সাজা দিয়ে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, উদ্ধারকৃত এ্যাম্পুল বুপ্রেনরফাইন ইনজেকশন জব্দ করা হয়েছে।

ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকারী সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রেজওয়ানা নাহিদ জানান, ১৯৯০ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ (সংশোধিত ২০০৪) আইনে তাদের সাজা দেওয়া হয়েছে।




মেহেরপুর জেলা আওয়ামীলীগের আনন্দ র‌্যালী

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণায় আনন্দ র‌্যালী ও আলোচনা সভার আয়োজন করে মেহেরপুরে জেলা আওয়ামী লীগ।

মেহেরপুর জেলা আওয়ামীলীগের আয়োজনে আজ বুধবার (১৫ নভেম্বর) রাত আটটার দিকে পৌর কমিউনিটি সেন্টার চত্বর থেকে একটি র‌্যালী বের হয়ে প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে একই স্থান এসে শেষ হয়।

এ সময় বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আব্দুস সামাদ বাবলু বিশ্বাস, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট ইব্রাহিম শাহীন।

এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোমিনুল ইসলাম মোমিন, জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক সরফরাজ হোসেন মৃদুল, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক বারিকুল ইসলাম লিজন, যুব মহিলা লীগের সভাপতি লতিফন নেতা লতা প্রমুখ।