বর্ণিল আয়োজনে পুরস্কার উঠলো বিজয়ীদের হাতে

বর্ণিল আয়োজনে হয়ে গেল জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের ৪৭তম আসর। মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ের বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলনে কেন্দ্রের হল অব ফেম মিলনায়তনে বসে তারকাখচিত এই আসর। এদিন ২০২২ সালে মুক্তি পাওয়া সিনেমাগুলোর বিজয়ীদের পুরস্কার দেয়া হয়। অনুষ্ঠানে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

গেলো চার বছরের মতো এবারও অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেন চিত্রনায়ক ফেরদৌস ও চিত্রনায়িকা পূর্ণিমা। তাদের সঞ্চালনায় গানের সঙ্গে মঞ্চে পারফর্ম করেন সাদিয়া ইসলাম মৌ, নুসরাত ফারিয়া, মাহিয়া মাহি ও তমা মির্জা।

এছাড়াও সাইমন সাদিক-দীঘি, আদর আজাদ-পূজা চেরী, সোহানা সাবা-গাজী নূর ও জায়েদ খান-আঁচলের দ্বৈত পরিবেশনা ছিল এবারের আসরে। পুরো আয়োজনে নাচের কোরিওগ্রাফি করেন ইভান শাহরিয়ার সোহাগ। নাচের বাইরে ছিল গান পরিবেশনাও। প্রিয়তমা সিনেমার গানে মঞ্চ মাতিয়েছেন বালাম ও কোনাল।

এই অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে অষ্টমবারের মতো জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেছেন নায়ক ফেরদৌস। তিনি বলেন, ‘জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করতে করতে অনেকটা অভ্যস্ত হয়ে গেছি। এই নিয়ে আটবার উপস্থাপনা করেছি আমি। এবারও আমার সঙ্গে ছিল পূর্ণিমা। আমরা দুজন এ নিয়ে চারবার উপস্থাপনা করছি।’

রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পুরস্কারের এ আসরে যৌথভাবে আজীবন সম্মাননা পেয়েছেন চিত্রনায়িকা রোজিনা ও খসরু। এছাড়া ‘হাওয়া’ সিনেমার জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেতার পুরস্কার ওঠে চঞ্চল চৌধুরীর হাতে। অন্যদিকে ‘বিউটি সার্কাস’ ও ‘শিমু’ সিনেমায় অভিনয়ের জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর পুরস্কার যৌথভাবে পেয়েছেন জয়া আহসান ও রিকিতা নন্দিনী শিমু।

শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে দুটি ছবি ‘কুড়া পক্ষীর শূন্যে উড়া’ ও ‘পরাণ’। তবে শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র নির্মাতাদ্বয় শ্রেষ্ঠ পরিচালকের পুরস্কারটি পাননি। এই পুরস্কার অর্জন করেছেন ‘শিমু’ নির্মাতা রুবাইয়াত হোসেন। ‘অপারেশন সুন্দরবন’ ও ‘হৃদিতা’ সিনেমায় (এ মন ভিজে যায়) ও (ঠিকানাবিহীন তোমাকে) গানের জন্য যথাক্রমে শ্রেষ্ঠ গায়ক হিসেবে পুরস্কার নেন বাপ্পা মজুমদার ও চন্দন সিনহা। ‘পায়ের ছাপ’ সিনেমায় (এই শহরের পথে পথে) গানের জন্য শ্রেষ্ঠ গায়িকার পুরস্কার পান আতিয়া আনিসা। শ্রেষ্ঠ গীতিকারের পুরস্কার পান রবিউল ইসলাম জীবন, ‘পরাণ’ সিনেমার (ধীরে ধীরে স্বপ্নের পথে) গানের জন্য।

এবারের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রদানের জন্য তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় ১৩ সদস্যের জুরি বোর্ড গঠন করে। ২০২২ সালে চলচ্চিত্রের বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রাখায় ২৭ ক্যাটাগরিতে ৩২টি পুরস্কার দেওয়া হয়।

এবার পুরস্কার হিসেবে সবাইকে দেওয়া হয়েছে ১৮ ক্যারেট মানের ১৫ গ্রাম ওজনের স্বর্ণ দিয়ে তৈরি একটি পদক, পদকের একটি রেপ্লিকা ও এককালীন নির্ধারিত পরিমাণ সম্মানী ও সম্মাননাপত্র। আজীবন সম্মাননার জন্য ৩ লাখ, শ্রেষ্ঠ পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র প্রযোজক, শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র পরিচালকের জন্য ২ লাখ ও অন্যান্য ক্ষেত্রে ১ লাখ টাকা।

সূত্র: ইত্তেফাক




ডেঙ্গুসংক্রান্ত নির্ভরযোগ্য তথ্য দিয়ে বাংলাদেশিদের সংযুক্ত করছে গুগল

এ বছর ডেঙ্গু জ্বরের নজিরবিহীন প্রাদুর্ভাব মোকাবেলায় বাংলাদেশ সরকার, যুক্তরাষ্ট্রের ঢাকাস্থ দূতাবাস এবং ইউনিসেফসহ কয়েকটি সংগঠনের সঙ্গে গুগল কাজ করেছে। এ সহযোগিতার অংশ হিসেবে ডেঙ্গু প্রতিরোধ, লক্ষণগুলোর সঙ্গে পরিচয় এবং চিকিত্সায় করণীয় সম্পর্কে কর্তৃপক্ষের অনুমোদিত ও নির্ভরযোগ্য তথ্যের সঙ্গে জনগণকে সংযুক্ত করছে জনপ্রিয় সার্চ ইঞ্জিনটি।

অংশীদারিত্বের অংশ হিসেবে ওয়েব সার্চে এবং ইউটিউবে বিভিন্ন সহায়তামূলক ফিচার চালু করেছে গুগল, যার মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা যখন দরকার তখনই সহজে ও দ্রুত বিশ্বস্ত তথ্য পেয়েছে এবং পাচ্ছে।

অনুসন্ধান : যখন বাংলাদেশের মানুষ google.com এ ভিজিট করেন, তখন তাদের পছন্দের বাংলা বা ইংরেজি ভাষায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অনুমোদিত ইউনিসেফের জনসেবা ঘোষণা দেখানো হয়।

একইসঙ্গে সার্চে জরুরি এসওএস সতর্কতা সেবা চালু করেছে গুগল। এর মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা ডেঙ্গুসংক্রান্ত তথ্য জানতে চেয়ে অনুসন্ধান করলে তাদেরকে বাংলা অথবা ইংরেজি ভাষায় নির্ভরযোগ্য তথ্য প্রদানের পাশাপাশি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ কল সেন্টারের (১৬২৬৩) সঙ্গেও পরিচয় করিয়ে দেয়।

বাংলা এবং ইংরেজিতে ডেঙ্গুসংক্রান্ত অনুসন্ধান শব্দগুচ্ছের ব্যবহারে তৈরি পৃথক দুটি মাইক্রোসাইটের মাধ্যমে এটি একযোগে করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে ডেঙ্গুসংক্রান্ত জিজ্ঞাসাগুলোর অনুসন্ধান ধারা জানা যায়। বাংলাদেশিরা ডেঙ্গু-সম্পর্কিত অনুসন্ধানের ট্রেন্ড সম্পর্কে জানতে এ দুইটি লিংকে ক্লিক করতে পারেন: goo.gle/BD-EN-dengue (ইংরেজি) এবং goo.gle/BD-BN-dengue (বাংলা)।

ইউটিউব: সহজে তথ্য পাওয়ার জন্য হোমপেজে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর অনুমোদিত ইউনিসেফের জনসেবাসংক্রান্ত তিনটি ঘোষণা রয়েছে। এ পদক্ষেপগুলো ডেঙ্গু জ্বর প্রতিরোধ, লক্ষণ শনাক্তকরণ এবং সহযোগিতা বিষয়ক অনুমোদিত তথ্য দিয়ে ব্যবহারকারীদের প্রয়োজনে সহযোগিতা করেছে।

বাংলাদেশে ইউএস সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের (সিডিসি) কান্ট্রি ডিরেক্টর ডা. নিলি কায়ডোস-ড্যানিয়েলস বলেন, বাংলাদেশে এই বছরে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব নজিরবিহীন। ডেঙ্গুর সংক্রমণ থেকে রক্ষা ও নিরাময়সংক্রান্ত নানা গুজব ও ভুল তথ্যের বিপরীতে সাধারণ মানুষের পক্ষে যথাযথ এবং সঠিক তথ্য পাওয়া ছিল অত্যন্ত কঠিন। এমন সংকটময় পরিস্থিতিতে ভুল তথ্য সহজেই ছড়িয়ে যেতে পারে। বাংলাদেশের মানুষের কাছে বিশ্বাসযোগ্য তথ্য দ্রুত পৌঁছানো নিশ্চিত করতে গুগল ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরসহ অন্যান্যদের কাজ প্রশংসনীয়। বেসরকারি খাত এবং সরকারের মধ্যে এই ধরনের অংশীদারিত্ব ডেঙ্গুর মতো জনস্বাস্থ্য সম্পর্কিত বিশ্বস্ত ও নির্ভরযোগ্য তথ্য পেতে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে। এমন গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগের অংশ হতে পেরে আমরা আনন্দিত।

গুগলের কান্ট্রি ডিরেক্টর (বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা) ফারহান কুরেশি বলেন, বাংলাদেশের পরিস্থিতি অত্যন্ত গুরুতর। আমরা জানি বিশ্বস্ত ও নির্ভরযোগ্য স্বাস্থ্যতথ্য খুঁজে পেতে বহু মানুষ উদ্বিগ্ন। এই ধরনের মানুষদের সহযোগিতা প্রদানের জন্য গুগলের দারুণ সক্ষমতা রয়েছে। সঠিক ও সময়োপযোগী তথ্যের সন্ধান দিয়ে বাংলাদেশের মানুষদের সহযোগিতার জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, ইউনিসেফ, মার্কিন দূতাবাস এবং অন্যান্য সংস্থার সঙ্গে কাজ করতে পেরে আমরা গর্বিত।

সূত্র: ইত্তেফাক




মুজিবনগরে ঢেউটিন ও চেক বিতরণ

মুজিবনগরে প্রধানমন্ত্রীর ত্রান তহবিল এবং জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেনের বিশেষ বরাদ্দ থেকে অগ্নিকান্ডে এবং বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের মাঝে দুর্যোগ ব্যাবস্হাপনা অধিদপ্তর কর্তৃক প্রদত্ত ঢেউটিন ও চেক বিতরণ করা হয়েছে।

আজ বুধবার সকালে উপজেলা পরিষদ ও উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের আয়োজনে ঢেউটিন ও চেক বিতরণ উপলক্ষে উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে হত দরিদ্র উপকারভোগীদের নিয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

আলোচনা সভায় উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার মাশরুবা আলমের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার অনিমেষ বিশ্বাস।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ আলাউদ্দীন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, বাগোয়ান ইউনিয়ন পরিষদে ৬ নং ওয়ার্ড সদস্য ও পেনেল চেয়ারম্যান বাবুল মল্লিক।

আলোচনা সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন পক্ষ থেকে হতদরিদ্র মানুষের জন্য যে সমস্ত সাহায্য ও সহযোগিতা করা হচ্ছে সেসব বিষয়ে তুলে ধরা হয়।

আলোচনা সভা শেষে ১১৭ জন হতদরিদ্রদের মাঝে ১১৯ বান্ডিল ঢেউটিন এবং বান্ডিল প্রতি ৩ হাজার টাকা করে ৩ লক্ষ ৫৭ হাজার টাকার চেক বিতরণ করা হয়।




৫ম দফার অবরোধ সমর্থনে মেহেরপুরে বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল

বিএনপি’র ডাকা অবরোধের পঞ্চম ধাপের প্রথম দিনে অবরোধের সমর্থনে বিক্ষোভ মিছিল করেছে মেহেরপুর জেলা বিএনপি।

 বুধবার সকাল ছয়টার সময় মেহেরপুর শহরের কাথুলি রোডে জেড কে ফিলিং স্টেশনের সামনে থেকে ঝটিকা মিছিলটি শুরু হয়ে প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে কাথুলি বাস স্ট্যান্ড এলাকায় যেয়ে শেষ হয়।

পৌর বিএনপির সভাপতি জাহাঙ্গীর বিশ্বাস মিছিলটির নেতৃত্ব দেন। অবরোধের কারণে সকাল থেকেই সীমিত আকারে আন্ত: জেলা বাস চলাচল করলেও মেহেরপুর থেকে ঢাকা গামী পরিবহন ছেড়ে যায়নি। তবে ব্যক্তিগত ও আভ্যন্তরিন যান চলাচল রয়েছে।




মেহেরপুর জামায়াতের আমির তাজ উদ্দিনকে মাদ্রাসা থেকে সাময়িক বরখাস্ত

কারা অন্তরিন মেহেরপুর জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা তাজ উদ্দিন খাঁনকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে মানিকনগর ডিএস আমিনিয়া আলিম মাদ্রাসা।

গত ১২ নভেম্বর মাদ্রাসার গভর্ণিং বডির সভায় তাকে সাময়িক বরখাস্তের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আসাদুল্লাহ আল গালিব। মাওলানা তাজ উদ্দিন খান মুজিবনগরের মানিকনগর ডিএস আমিনিয়া আলিম মাদ্রাসার সহকারী মৌলভী (শিক্ষক)। তিনি মুজিবনগর উপজেলার বল্লভপুর গ্রামের মৃত আবুল হোসেন খাঁনের ছেলে।

মাওলানা তাজ উদ্দিনকে গত ১ নভেম্বর মুজিবনগর থানা পুলিশ গ্রেফতার করে। এর পর থেকে তিনি কারাগারে হাজত বাস করছেন। তার বিরুদ্ধে নাশকতা, বিষ্ফোরক দ্রব্যসহ বিভিন্ন আইনে মেহেরপুর সদর থানায় দুটি, গাংনী থানায় এবং মুজিবনগর থানায় ৬টিসহ ৯টি মামলা রয়েছে। সবগুলো মামলা আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।

মাওলানা তাজউদ্দিনের বিরুদ্ধে ৯টি মামলার অধিকাংশ মামলা নাশকতা ও বিষ্ফোরক দ্রব্য আইনে। মাদ্রাসার গভর্ণিং বডির শিক্ষক প্রতিনিধি শহিদুল ইসলাম ও নজির আহমেদ জানান, সহকারী মৌলভী তাজ উদ্দিন খাঁনের নামে অনেকগুলো মামলা চলমান থাকায় তাকে মাসের অনেক দিন আদালতে হাজিরা দিতে হয়। একই সঙ্গে আদালতে হাজিরার দিনও তিনি মাদ্রাসাতেও হাজিরা দেন। এনিয়ে অন্যান্য শিক্ষকদের মধ্যে অসন্তোষ বিরাজ করছে। অন্যান্য শিক্ষকরা প্রতিদিন যথানিয়মে মাদ্রাসা হাজিরা দিলেও মাওলানা তাজ উদ্দিন খান মামলার হাজিরা দেখিয়ে অনেক দিন মাদ্রাসাতে দুপুরে হাজিরা দেন।

মাদ্রাসা শিক্ষকদের দাবী, তিনি ছুটি নিয়ে আদালতে হাজিরা দেবেন। একই ব্যক্তি একই দিনে দু যায়গায় হাজিরা দিতে পারেন না।

মুজিবনগর থানা সূত্রে জানা গেছে, ২০২২ সালে ১৩ ফেব্রয়ারি গাংনী থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি ( যার নম্বর -১১/৩০), সদর থানায় ২০১২ সালের ১৩ নভেম্বর একটি (যার নম্বর-৫) এবং চলতি বছরের ৩০ জুলাই বিশেষ ক্ষমতা আইনে আরও একটি মামলা দায়ের হয় (যার নম্বর-৪৮)। এই মামলায় বর্তমানের তিনি হাজত বাস করছেন।

মুজিবনগর থানায় চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারি বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি মামলা (যার নম্বর -১১), ২০২১ সালের ১ এপ্রিল বিষ্ফোরক আইনে একটি মামলা যার নম্বর-১/৩৩, ২০১৮ সালের ২ নভেম্বর (যার মামলা নম্বর-১), ১৩ সেপ্টেম্বর (যার মামলা নম্বর-৫), ৭ ফেব্রুয়ারি যার মামলা নম্বর-২) এবং ২০০৭ সালের ১৩ এপ্রিল একটি মামলা হয় (যার মামলা নম্বর-৫)।

মুজিবনগর থানার ওসি মেহেদী রাসেল বলেন, সুনির্দিষ্ট মামলার আসামি হিসেবে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে বর্তমানে ৯টি মামলা চলমান রয়েছে। নাশকতা, বিষ্ফোরক দ্রব্যসহ মারামারির মামলাও রয়েছে।

মানিকনগর ডিএইচএস ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আসাদুল্লাহ আল গালিব বলেন, গত ১২ নভেম্বর মাদ্রাসার গভর্ণিং বডির সভায় তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বরখাস্তের চিঠি পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।

তিনি আরও বলেন, মানবিক কারণে তাকে আদালতে হাজিরার দিনগুলোতে একটু ছাড় দেওয়া হয়। আমি ২০১৮ সালে যোগদান করার পর এবার দিয়ে তাকে দুই বার সাময়িক বরখাস্ত করা হলো।




কার্পাসডাঙ্গায় মাদক বিরোধী অভিযানে গ্রেফতার ১

কার্পাসডাঙ্গা পুলিশ ফাঁড়ির মাদক বিরোধী অভিযানে ৫০০ গ্রাম গাঁজা সহ ঠাকুরপুর গ্রামের রাজেন সালেহ গ্রেফতার।

চুয়াডাঙ্গা জেলার পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ্ আল-মামুনের সার্বিক দিকনির্দেশনায় অফিসার ইনচার্জ দামুড়হুদা মডেল থানা মোঃ আলমগীর কবিরের নেতৃত্বে কার্পাসডাঙ্গা ক্যাম্পের এসআই (নিঃ) ইমরান হোসেন, সঙ্গীয় অফিসার ও ফোর্সসহ মাদক বিরোধী বিশেষ অভিযান পরিচালনা কালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল আনুমানিক ০৭: ৪০ মিনিটের সময় দামুড়হুদা মডেল থানাধীন কার্পাসডাঙ্গা গ্রামস্থ কাপাসডাঙ্গা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় এর সামনে পাকা রাস্তার উপর থেকে আসামী দামুড়হুদা উপজেলার ঠাকুরপুরের মোঃ ইদ্রিস আলীর ছেলে মোঃ রাজিন সালেহ (২৫) কে ৫০০ (পাঁচশত) গ্রাম অবৈধ মাদকদ্রব্য গাঁজা সহ হাতেনাতে গ্রেফতার করে।

পরে গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে দামুড়হুদা মডেল থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়।




দর্শনায় দুইদিন ব্যাপী তাবুবাস ও দীক্ষা অনুষ্ঠান-২০২৩ অনুষ্ঠিত

দর্শনায় দুইদিন ব্যাপী তাবুবাস ও দীক্ষা অনুষ্ঠান-২০২৩ অনুষ্ঠিত হয়েছে। চুয়াডাঙ্গা জেলার ১১টি সরকারী ও বেসরকারী কলেজ থেকে শতাধিক নারী-পুরুষ রোভার এ সমাবেশে অংশ নেয়। গত ১৩ ও ১৪ নভেম্বর দর্শনা সরকারী কলেজ রোভার স্কাউট গ্রুপ এর আয়োজনে এ তাবুবাস ও দীক্ষা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

গতকাল মঙ্গলবার রাত ৮টায় ও ক্যাম্প ফায়ার অনুষ্ঠানে দর্শনা সরকারী কলেজের রোভার স্কাউটদের আয়োজনে নানা অনুষ্ঠান পরিবেশনের মাধ্যমে দুইদিন ব্যাপী অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়। সন্ধায় ক্যাম্প ফায়ারের কাঠের কুনডুলিতে অগ্নি সংযোগ করেন, প্রধান অতিথি অধ্যক্ষ আব্দুস ছাত্তার। ক্যাম্প ফায়ারের পূর্বে সকাল থেকে সারাদিন হাইকিং ও দর্শনা কেরু চিনিকল ও ডিষ্টিলারী পরিদর্শন, সন্ধায় তাবু জলসা।

তাবু জলসা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, বড় সলুয়া নিউ মডেল ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুস ছাত্তার তিনি তার বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, রোভার স্কাউট একটি স্বেচ্ছাসেবী দল। দেশের যে কোন দুযোর্গে সেবা দিয়ে থাকেন। নীতি নৈতিকতা ও সমাজে সৃজনশীল কার্যক্রমের মাধ্যমে একটি সুস্থ সমাজ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে সহায়তা আসছে রোভার স্কাউট।

অনুষ্ঠানের শুরুতেই শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন স্কাউট ব্যক্তিত্ব মাহফুজুর রহমান। এছাড়া আরো উপস্থিত ছিলেন, বড় সলুয়া মডেল ডিগ্রী কলেজের সিনিয়ার প্রভাষক আব্দুল করিম, দর্শনা ডিএস মাদ্রাসার রোভার ইউনিট লিডার প্রতিনিধি মনজুর আহম্মেদ ও জয়নগর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী লিডার টেইনার খুলনা অঞ্চলের সুর্পনা দাস ও দর্শনা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আওয়াল হোসেন। প্রথম দিনের অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন, দর্শনা সরকারী কলেজের অধ্যক্ষ রেজাউল করিম ও ক্যাম্প চীফ ড. মফিজুর রহমান।




অ-মুক্তিযোদ্ধাকে মুক্তিযোদ্ধা বানানোর প্রক্রিয়া আমরা মানবো না- ক্যাপ্টেন আব্দুল মালেক

‘আমরা প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকাভুক্ত করার প্রতিবাদ করছি না। প্রতিবাদ করছি যারা কোন কাগজ না থাকা সত্ত্বেও অনলাইনে (ক) তালিকাভুক্ত হয়েছেন তাদের ব্যাপারে। এভাবেই কিছুদিন আগে একজন অমুক্তিযোদ্ধাকে মুক্তিযোদ্ধা বানানোর চেষ্টার প্রতিবাদ করতে যেয়ে ইউএনও অফিসে আমি হেনস্থার শিকার হয়েছি।‘

মেহেরপুরে ৪৫ জন বীর মুক্তিযোদ্ধার অংশগ্রহনে অনুষ্ঠিত শান্তি সম্মেলনে কথাগুলি বলেছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা অবঃ ক্যাপ্টেন আব্দুল মালেক।

এ সময় তিনি আরো বলেন, ‘২০১৭ সালে মেহেরপুরে মুক্তিযোদ্ধাদের জেলা ও উপজেলা কমান্ড ভেঙ্গে দেওয়া হয়। এরপর থেকে জেলা প্রশাসক ভারপ্রাপ্ত জেলা কমান্ডার এবং ইউএনও ভারপ্রাপ্ত উপজেলা কমান্ডার হিসাবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। সেই থেকে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনটি পরিত্যাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। কোন মুক্তিযোদ্ধা সেখানে প্রবেশ করতে পারে না। অমুক্তিযোদ্ধাদের মুক্তিযোদ্ধা বানালে, আর তারা আমাদের সামনে এসে চেয়ারে বসলে সেটা আমরা মেনে নেব না। ব্যাপারটি নিয়ে আমি আগেও প্রতিবাদ করেছি, ভবিষ্যতেও এর প্রতিবাদ করব।‘

গতকাল মঙ্গলবার সকাল এগারটায় মেহেরপুর সদর উপজেলার সাধু বার্নবার চার্চে মিলনায়তনে কোরআন তেলয়াত, গীতা পাঠ ও আলোচনা সভার মধ্য দিয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অংশগ্রহনে এই শান্তি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ক্যাপ্টেন আব্দুল মালেকের (অবঃ) সভাপতিত্বে ও ইঞ্জিঃ মোঃ নুরুল ইসলামের সঞ্চালনায় শান্তি সম্মেলনে বীর মুক্তিযোদ্ধারা বক্তব্য রাখেন।

সম্মেলনে বীর মুক্তিযোদ্ধারা অভিযোগ করে বলেন আমরা দেশকে স্বাধীন করেছিলাম শুধু ভালোবেসে। পাকিস্তানের শোষণ-নির্যাতনের বিরুদ্ধে অস্ত্র হাতে নিয়েছিলাম। কিন্তু যে উদ্দেশ্যে এই দেশ স্বাধীন করেছিলাম, আজ সেখানে আমরাই পরাধীন। যারা মুক্তিযুদ্ধ করেনি, তারাই আজ বড় মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। তারা ভাতা পায়। বড় বড় চেয়ার পায়। সরকারি দলের নেতাদের আশ্রয় প্রশ্রয়ে থাকে। তাদের মতের বিরুদ্ধে কথা বললে যারা মুক্তিযুদ্ধ করেছে, শহীদ হয়েছে তাদের ও তাদের পরিবারের সদস্যদের জামায়াত-শিবির আক্ষায়িত করে কটাক্ষ ও অপমানিত করে।

মুক্তিযোদ্ধা মোঃ সুলতান আহমেদ বলেন, আজ স্বাধীনতার ৫২ বছর পর যদি নতুন নতুন পদ্ধতিতে মুক্তিযোদ্ধা তৈরি করা হয় তবে কিয়ামত পর্যন্ত একই পদ্ধতিতে মুক্তিযোদ্ধা তৈরি হতেই থাকবে।‘

মুক্তিযোদ্ধা জিল্লুর রহমান বলেন, ‘কোন নেতার ডাকে আমি মুক্তিযুদ্ধে যায়নি। শান্তি ও স্বাধীনতার জন্য আমরা যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলাম। ২০ হাজার টাকা ভাতা পেতে আমি মুক্তিযুদ্ধ করিনি। এই ভাতার জন্যই এখন মেহেরপুরে মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে ৩-৪ টি দল হয়ে গেছে।‘

শান্তি সম্মেলনে আলোচনা সভার সঞ্চালক ইঞ্জিঃ মোঃ নুরুল ইসলাম বলেন, ‘বর্তমান সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য অনেক কিছুই করেছে, ভবিষ্যতে আরও করবে। বিষয়টা আমাদের মাথায় রাখতে হবে।আমরা কোন নেতার পক্ষ নেব না। যে নেতা নৌকা নিয়ে আসবে তার পক্ষেই থাকবো। কিন্তু আফসোস আজ পর্যন্ত মেহেরপুরের কোন এমপি বা মন্ত্রি আমাদের ডেকে, একসাথে বসে কখনো কথা বলেনি। এমনকি আমাদের সমস্যার কথা শোনার ইচ্ছাও পোষণ করেনি।‘




জেএমবি’র হামলায় নিহত ২ বিচারককে স্মরণ করলো মেহেরপুর বিচার বিভাগ

ঝালকাঠিতে ২০০৫ সালের ১৪ নভেম্বর জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) বোমা হামলায় নিহত সিনিয়র সহকারী জজ শহীদ সোহেল আহম্মেদ ও জগন্নাথ পাঁড়েকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করলো মেহেরপুরের বিচার বিভাগ।

আজ মঙ্গলবার ১৪ নভেম্বর বিকাল সাড়ে ৩ টায় মেহেরপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের নবনির্মিত সম্মেলন কক্ষে বিচার বিভাগ মেহেরপুরে কর্মরত বিচারকবৃন্দ, মেহেরপুর জেলা আইনজীবী সমিতির নেতৃবৃন্দ এবং আদালতে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতিতে নিহত ২ বিচারকের স্মরণে শোকসভা, নীরবতা পালন ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। এর আগে আদালত প্রাঙ্গণে অস্থায়ীভাবে স্থাপিত নিহত দুই বিচারকের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।

আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে মেহেরপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোঃ শহিদুল্লাহ্ জানান, নিহত বিচারকদের স্মৃতি অম্লান রাখার জন্য ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালত ভবন মিলনায়তনের নাম ‘জগন্নাথ-সোহেল স্মৃতি মিলনায়তন’ রাখা হয়েছে।

এসময় তিনি আরো বলেন, ‘মামলাটি বিচারকালে ৪৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয় এবং এজারভুক্ত সকল আসামীকে মৃত্যুদন্ডে দন্ডিত করা হয়। বিচারক হত্যা মামলার মামলার পিপি মোঃ হায়দার হোসেনকেও পরবর্তীতে জেএমবি’র সদস্যরা হত্যা করে। যার প্রেক্ষিতে আরেকটি মামলা দায়ের হলে সেই মামলাতেও ৫ জন আসামীকে মৃত্যুদন্ড প্রদান করা হয়।’

আলোচনা সভায় মেহেরপুর জেলা সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মোঃ শহিদুল্লাহ্’র সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ রিপতি কুমার বিশ্বাস, চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আবু বকর সিদ্দিক, যুগ্নু জেলা ও দায়রা জজ-১ম শাহিনুর রহমা, যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ-২য় এইচ এম কবির হোসেন, সিনিয়র সহকারী জজ মেহেদী হাসান মোবারক মুনিম ও মোঃ নাহিদ হোসেন, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শারমিন নাহার, জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আল-আমীন জয় ও মোঃ জাহিদুর রহমান, মেহেরপুর জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট কামরুল হাসান ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খ.ম. ইমতিয়াজ বিন হারুন জুয়েলসহ মেহেরপুর জেলা জজ আদালত ও চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সকল কর্মকর্তা কর্মচারীগণ।




প্রেসক্রিপশনের “শর্তহীন সংলাপ”- কার সঙ্গে কে করবে?

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন নিয়ে রাজনীতিতে নতুন মার্কিন উদ্যোগ শুরু হয়েছে। সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু বাংলাদেশের প্রধান তিন রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টিকে চিঠি দিয়েছেন শর্তহীন সংলাপে বসার আহবান জানিয়েছে। এখন প্রশ্ন উঠছে, আসলে কি এবার শর্তহীন সংলাপ নিয়ে ভাববে এই তিন দল? তবে, তফসিল ঘোষণার এক দুইদিন আগে হাসের এ ধরনের উদ্যোগকে “কিছুটা লোক দেখানো” মনে করছেন রাজনীতিবিদরা। তাদের প্রশ্ন- সংলাপ কার সঙ্গে কে করবে?

সোমবার হাসের সঙ্গে বৈঠক শেষে জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু সাংবাদিকদের বলেন, মার্কিন রাষ্ট্রদূত মূলত তাদের মধ্য ও দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক সহকারী মন্ত্রী ডোনাল্ড লুর লিখিত একটি চিঠি নিয়ে এসেছেন। চিঠিতে শর্তহীন সংলাপের আহ্বান জানানো হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন প্রত্যাশা করে যুক্তরাষ্ট্র যা চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী বলেন, সংলাপের কথা যে বলছেন, কার সঙ্গে সংলাপ হবে? ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার পরে যারা বলেছেন এটা আওয়ামী লীগ নিজে করেছে, তাদের সঙ্গে কী নিয়ে আলোচনা করবে? আর ২৮ অক্টোবরে মহাসমাবেশের নামে যে হামলা যে নারকীয় কাণ্ড ঘটানো হয়েছে, এরপরে কিসের আলোচনা করতে বলবেন পিটার হাস?

যুগপৎ আন্দোলনের সিনিয়র নেতা সাইফেল হক মনে করেন যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তা থেকে সংলাপের মধ্য দিয়ে বের হতে হবে। গণতান্ত্রিক পরিবেশ সৃষ্টির মধ্য দিয়ে সংলাপ শুরু করে সৃষ্ট পরিবেশের দিকে দেশকে এগিয়ে নেওয়ার বিকল্প নেই।

এর আগে ৩১ অক্টোবর বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচন প্রশ্নে বিরোধী দলগুলোর সাথে সংলাপের প্রশ্নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ”যেদিন ট্রাম্প আর বাইডেন ডায়ালগ করবে, সেদিন আমিও ডায়ালগ করব।” সেদিন বিকেলে বেলজিয়াম সফর নিয়ে গণভবনে সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। সেইদিনই সকালের দিকে নির্বাচন কমিশনের সাথে বৈঠক শেষে ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বাংলাদেশের সব পক্ষকে শর্তহীন সংলাপে বসার অনুরোধ জানান। গণভবনের সংবাদ সম্মেলনে পিটার হাসের এমন বক্তব্য উল্লেখ করে এক সাংবাদিক প্রধানমন্ত্রীর প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, “যারা খুন করছে তাদের সাথে ডায়লগ করতে বলে, ট্রাম্প সাহেবের সাথে কী বাইডেন ডায়লগ করছে? যেদিন ট্রাম্প সাহেব আর বাইডেন ডায়লগ করবে, সেদিন আমিও ডায়ালগ করবো।”