টস হেরে বোলিংয়ে বাংলাদেশ

বিশ্বকাপে নিজেদের পঞ্চম ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মাঠে নামছে বাংলাদেশ। মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) মুম্বায়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়াম টস জিতে বাংলাদেশকে বোলিংয়ে পাঠিয়েছেন প্রোটিয়া অধিনায়ক এইডেন মার্করাম।

জয় দিয়ে বিশ্বকাপ মিশন শুরু করেছিল বাংলাদেশ। তবে সেই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারেনি টাইগাররা। টানা হ্যাটট্রিক হারে অনেকটা পিছিয়ে আছে সাকিবরা। জয়ের ধারায় ফিরতে মুখিয়ে বাংলাদেশ। এই ম্যাচে এক পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নামছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। ইনজুরি কাটিয়ে একাদশে ফিরেছেন অধিনায়ক সাকিব। বাদ পড়েছেন ব্যাটার তাওহিদ হৃদয়।

অপরদিকে, দারুণ ছন্দে রয়েছে দক্ষিণ অফ্রিকা। বড় জয় দিয়ে বিশ্বকাপ মিশন শুরু করেছিল প্রোটিয়ারা। শুধু নেদারল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচে হোঁচট খেয়েছিল বাভুমার দল। তবে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডকে ২২৯ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে ফের ছন্দে ফিরেছে প্রোটিয়ারা। এই ম্যাচে এক পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নামছে দক্ষিণ আফ্রিকা। লুঙ্গি এনগিডির পরিবর্তে একাদশে জায়গা পেয়েছেন লিজাড উইলিয়ামস।

বাংলাদেশ একাদশ: লিটন দাস, তানজিদ হাসান তামিম, নাজমুল হোসেন শান্ত, সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মেহেদী হাসান মিরাজ, নাসুম আহমেদ, শরিফুল ইসলাম, হাসান মাহমুদ মুস্তাফিজুর রহমান।

দক্ষিণ আফ্রিকা একাদশ: কুইন্টন ডি কক, রেজা হেনরিখস, রাসি ভ্যান ডুসেন, এইডেন মার্করাম (অধিনায়ক), হেনরিখ ক্লাসেন, ডেভিড মিলার, মার্কো জানসেন, গেরাল্ড কোয়েটজে, কেশব মহারাজ, লিজাড উইলিয়ামস, কাগিসো রাবাদা।




চুয়াডাঙ্গার হিজলগাড়ী পুলিশ ক্যাম্পের এস আই ক্লোজড : তদন্ত কমিটি গঠন

চুয়াডাঙ্গার হিজলগাড়ী ক্যাম্প পুলিশের ইনচার্জ এসআই শেখ রকিবুল ইসলামের বিরুদ্ধে অর্থবানিজ্যের গুরুত্বর অভিযাগ উঠেছে। অভিযোগের সত্যতা মেলায় অভিযুক্ত পুলিশ অফিসারকে পুলিশ লাইনে ক্লোজড করা হয়েছে। এদিকে রকিবুল ইসলামের ক্লােজের খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে ক্যাম্পে দায়িত্ব পালন কালিন সময়ের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড নিয়ে বইছে আলোচনা সমালোচনা। সেই সাথে অভিযুক্ত এসআই রকিবুল ইসলামকে হিজলগাড়ী ক্যাম্প থেকে ক্লোজড করায় এলাকাবাসি চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপারকে সাধুবাদ জানিয়ছেন।

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজলার নেহালপুর ইউনিয়নের নেহালপুর স্কুল পাড়ায় কালুর বাড়িতে গত শুক্রবার ঢাকা ধামরাইয়ের মধুডাঙ্গা থেকে পিকাপভ্যান করে ৪ জন ব্যাক্তি বেড়াতে আসেন।

গত শুক্রবার দিনগত রাত ৩ টার দিকে হিজলগাড়ী পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই শেখ রকিবুল ইসলাম সঙ্গীয় ফোর্স আর আরএফ’র কনোস্টবল ওয়াসিম ও সজিবকে সাথে করে নিয়ে গিয়ে সন্দেহ জনক ভাবে ৪ জনকে আটক করেন এবং পিকাপভ্যানসহ তাদরকে ক্যাম্পে নিয়ে ১৩ ঘন্টা কাষ্টরিতে আটকিয়ে রাখেন। অভিযােগ উঠেছে আটককৃত ৪ জনকে ছাড়াতে সুকশৌলে ৯৫ হাজার টাকা অর্থবানিজ্য করেছেন তিনি। আর এ অর্থ লেনদেনের মাধ্যেমে হিসাব দায়িত্ব পালন করেন নেহালপুর গ্রামের ওয়াজেদের ছেলে সাইফুল ইসলাম। বিষয়টি অতিগোপনে করা হলও তা জানাজানি হয়ে যায়।

এনিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হলে বিষয়টি চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপারের দৃষ্টিগোচর আসে।

এসআই রকিবুল ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠায় গতকাল সোমবার তাকে হিজলগাড়ী পুলিশ ক্যাম্প থেকে পুলিশ লাইনে ক্লোজড করেন বলে পুলিশের একাধিক সূত্রে জানাগেছে।

অপরদিকে পুলিশের একটি সূত্র নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, আটককৃতদের ছেড়ে দেবার সময় বেশ কিছু সাদাকাগজে অনকের স্বাক্ষর করে রাখা হয়। রোববার গভির রাতে তিনি সেগুলো অফিস বসে নিজকে রক্ষা করার জন্য নিজের মত করে লেখালেখি করেন।

এদিকে নামপ্রকাশ না করার শর্তে এলাকার অনকেই অভিযােগ করে বলেন, হিজলগাড়ী ক্যাম্পের ভিতরে বেগমপুর ইউপি চেয়ারম্যান মানুষের বসার জন্য একটি গোলঘর নির্মান করে দিচ্ছেন। অথচ রকিবুল ইসলাম এই গোলঘর নির্মানের অযুহাতে গণহারে মানুষের নিকট থেকে অনুদান হিসাবে অর্থ আদায় করেছেন। যা রীতিমত অনেকের মনে কষ্ট দিয়েছে। যা নিয়ে এলাকায় আলাচনা সমালাচনা অব্যাহত আছে।

অনকেই মন্তব্য করে বলেছেন, গোল ঘর নির্মান করার কথা বলে মানুষের নিকট থেকে যে টাকা আদায় করা হয়েছে তা অমানবিক। যার হিসাব তিনি ছাড়া আর কেউ জানে না। এদিকে ঘটনার পর থেকে মধ্যস্তাকারি নেহালপুর গ্রামের সাইফুল ইসলাম এসআই রকিবুলের নির্দেশে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন বন্ধ করে গা ঢাকা দিয়েছে। সাইফুলকে জিজ্ঞাসাবাদ করলেই সঠিক তথ্য জানাযাবে টাকা কার পকেটে কত গেছে। তার সাথে কোন ভাবেই যোগাযাগ করা সম্ভব হচ্ছে না।

এদিকে হিজলগাড়ী ক্যাম্প থেকে আলোচিত ক্যাম্প ইনচার্জকে প্রত্যাহার করে নেওয়ায় চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপারকে সাধুবাদ জানিয়েছে এলাকাবাসি।

এব্যাপারে চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল-মামুন বলেন, এসআই রকিবুল ইসলামকে ক্যাম্প থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে এবং তদন্ত কমিটি গঠণ করা হয়েছে। তদন্ত পূর্বক পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।




দর্শনার মোহাম্মদপুরে গৃহবধুর হত্যার রহস্য উৎঘাটন, হত্যাকারি আটক

অবশেষে মাত্র ৭ ঘন্টার মাথায় উৎঘাটিত হয়েছে দর্শনার গৃহবধু মনজুরা খাতুন মিমের হত্যার রহস্য। বোনকে হত্যা করে নাটক সাজিয়ে রেহায় পেলোনা কুলাঙ্গার বড় ভাই আলমগীর।

পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার কথা অকপটে স্বীকার করলে পুলিশ আলমগীরকে আদালতে নেয়। বিজ্ঞ আদালত তার স্বীকারোক্তি মৃলক জবানবন্দি রেকর্ড করে।

গত রবিবার চুয়াডাঙ্গার দর্শনায় মিম আক্তার মনজুরা নামে এক নারীকে শ্বাসরোধ করে ও গলা কেটে হত্যার ঘটনায় তার ভাই আলমগীর কবীরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃত আলমগীর তার বোন হত্যার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে গতকাল সোমবার দুপুরে আদালতে জবানবন্দী প্রদান করেছেন।

এ ঘটনার রহস্য উদঘাটন করে প্রেসব্রিফিং করেছে জেলা পুলিশ। গ্রেফতারকৃত আলমগীর কবীর (৩৮) দর্শনার মোহাম্মদপুরের মৃত আরমান আলীর ছেলে।

বিকাল ৪ টার দিকে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাজিম উদ্দীন আল আজাদ (ক্রাইম এন্ড অপস্) বলেন, এক নিকট আত্মীয়ের সাথে বোনের পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক জেনে যায় ভাই। সেই অবৈধ সর্ম্পক থেকে বোনকে সরে আসার জন্য বারবার সতর্ক করে ভাই আলমগীর। কিন্তু বোন মনজুরা ভাইয়ের কথা না শুনে পরকীয় প্রেম চালিয়ে যায়। এ কারণে ক্ষুব্ধ ছিল ভাই।

এরই মধ্যে আলমগীরের সাবেক স্ত্রীর আত্মীয় স্বজনের সাথে বিবাদ সৃষ্টি হয়। শ^শুর বাড়ির লোকজন মোবাইল ফোনে হুমকি দিলে তা রেকর্ড করে বোনকে হত্যার জন্য প্রেক্ষাপট তৈরি করে ভাই আলমগীর।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানান, পরিকল্পনা মতো গত শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় বোনকে কৌশলে বাড়ীর পাশের আমবাগানে ডেকে নিয়ে যায় ভাই। এসময় কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে বোনের নিজের ওড়না দিয়ে গলায় পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে লাশ বেগুন ক্ষেতে নিয়ে গিয়ে ধারালো দা দিয়ে গলাকেটে মৃত্যু নিশ্চিত করে আলমগীর।

অনুসন্ধানের তথ্য থেকে পুলিশ কর্মকর্তা উদ্দীন আল আজাদ আরও জানান, হত্যার পর ঘটনা অন্যদিক প্রবাহিত করার জন্য আসামী আলমগীর ধারালো দা দিয়ে নিজের মাথায় নিজেই তিনটি পোচ দেন এবং আমগাছে থাকা রশি নিয়ে নিজেই নিজের হাত-পা বেঁধে চিৎকার করতে থাকে। স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করলে অপহরণের নাটক সাজিয়ে বিভ্রান্ত করে আলমগীর। এসময় তার প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ।

পুলিশ আরও জানিয়েছে, এ ঘটনায় নিজেকে দায়ী করে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছেন আলমগীর। এর আগে গতকাল সোমবার সকালে আলমগীরকে আসামী করে দর্শনা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন বোন জামাই সুরুজ মিয়া।

পুলিশের প্রেস ব্রিফিংয়ে আরও উপস্থিত ছিলেন সহকারি পুলিশ সুপার (দামুড়হুদা সার্কেল) জাকিয়া সুলতানা ও ডিবি পুলিশের ইনচার্জ ফেরদৌস ওয়াহিদ।

উল্লেখ্য, গত রবিবার (২২ অক্টোবর) ভোর সাড়ে ৫ টার দিকে দর্শনা মোহাম্মদপুরে বাড়ির পাশের একটি বেগুন ক্ষেত থেকে মিম আক্তার মনজুরার গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে পুলিশ আলমগীরকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এ ঘটনায় পুলিশের একাধিক টিম আলমগীরকে জিজ্ঞাসাবাদে সে এ হত্যা কান্ডের ঘটনা স্বীকার করে। গতকালই মনজুরা খাতুন মিমের লাশের ময়না তদন্ত শেষে স্থানীয় কোবরস্থানে দাফন সম্পর্ন হয়েছে।

এদিকে স্থানীয় সুত্রে জানাগেছে বসত বাড়ির ২ কাটা জমি নিয়ে ভাই বোনের মধ্যে প্রায় ঝকড়া হতো। এ ধরনের ঘটনার জের ধরে এ হত্যাকান্ড ঘটতে পারে বলে এলাকাবাসির ধারনা।




প্রাথমিক শিক্ষায় বেড়েছে বিদ্যালয় ও শিক্ষার্থীর সংখ্যা, কমেছে ঝরে পড়ার হার

গত ১৫ বছরে দেশের প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থায় বড় ধরণের অগ্রগতি হয়েছে। কমেছে ঝরে পড়া শিশুর সংখ্যা। বেড়েছে ভর্তির হার।

শতভাগ শিক্ষার্থীদের হাতে বছরের শুরুতে নতুন বই পৌঁছে দেওয়া, শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়মুখী করতে শিক্ষা উপবৃত্তি ব্যবস্থা চালু করার মত সাফল্য আছে এই দেড় দশকে। প্রাক-প্রাথমিক কার্যক্রম চালু করা ছিলো একটা বড় সাফল্য। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ১২ গুণ। শিক্ষার্থীর পাশাপাশি সারাদেশে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যাও বেড়েছে।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দেয়া প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, শিক্ষার্থী বাড়ার পাশাপাশি বছরের পর বছর অবহেলিত প্রাথমিক শিক্ষার উন্নযনে নিয়োগ দেয়া হয়েছে বিপুল সংখ্যক শিক্ষক। আগে যেখানে একটি বিদ্যালয়ের জন্য দুই থেকে তিন জন শিক্ষক ছিলেন সেখানে এখন শিক্ষক আছেন আনুপাতিক হারে।
ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ২০০৬ সালে বাংলাদেশের প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থার হাল ছিল করুন। শিক্ষার্থী থাকলে শিক্ষক পাওয়া যেতো না। আবার কোনো কোনো বিদ্যালয়ে শিক্ষক আছেন তো, শিক্ষার্থী নেই। দেশের অনেক প্রত্যন্ত এলাকার বিদ্যালয়গুলোতে লেখাপড়া হতো না বললেই চলে। শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা ইচ্ছামত যাওয়া আসা করতো। অনেক বিদ্যালয়ে মাঠ থেকে শুরু করে শ্রেণিকক্ষের বারান্দা এমনকি শ্রেণিকক্ষগুলোতেও ছিলো গরু-ছাগলের অবাধ যাতায়াত। শিক্ষার পরিবেশ ছিলো না। খেলাধুল হতো না বললেই চলে।

সব মিলিয়ে গত দেড় দশকে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার পরিবেশ ফিরে এসেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শাসনামলে দেশের প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন হয়েছে।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগের ২০১৮ সালের নির্বাচনী ইশতেহার অনুযায়ী সারাদেশের প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে সরকার নানামুখী পদক্ষেপ নেয়। এরই অংশ হিসেবে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে বঙ্গবন্ধু কর্নার স্থাপন, নতুন শ্রেণিকক্ষ নির্মাণ, ওয়াশব্লক, নলকূপ স্থাপন ও সীমানা প্রাচীর নির্মাণ, নতুন বিদ্যালয় নির্মাণ, প্রত্যেক বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার স্থাপন, দুই বছর মেয়াদী প্রাক-প্রাথমিক স্তর চালু করা, শিক্ষক ও শিক্ষার্থী অনুপাত আন্তর্জাতিক মানে উন্নীতকরণ, সহকারী শিক্ষক নিয়োগ, প্রাক-প্রাথমিকের জন্য শিক্ষক পদ সৃজন করা ও শিক্ষক নিয়োগ, সংগীত ও শারিরীক শিক্ষক নিয়োগ, বিষয়ভিত্তিক শিক্ষক প্রশিক্ষণ, মাল্টিমিডিয়া ও ল্যাপটপ বিতরণ, জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহ উদযাপন, পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য প্রশিক্ষণ, স্কুল ফিডিং ও উপবৃত্তি প্রদানসহ নানামুখি কার্যক্রম বাস্তবায়নে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়। যার প্রায় শতভাগ বাস্তবায়ন করা হয়েছে।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা বিভাগের এক পরিসংখ্যান বলছে, ২০০৬ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে সারাদেশে সবধরণের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মোট সংখ্যা ছিলো ৮২ হাজার ২১৮টি। গত ১৫ বছরে এই সংখ্যা বেড়েছে ব্যাপকহারে। ২০২২ সালে এসে সারাদেশে সবধরণের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা হচ্ছে এক লাখ ১৪ হাজার ৫৩৯টি। অর্থাৎ বিদ্যালয়ের সংখ্যা বেড়েছে ৩২ হাজার ৩২১টি। ১৯৭৩ সালে দেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ছিলো ৩৭ হাজার ৬৭২টি। তারপর আর কোনো প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ হয়নি। ২০১৩ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২৬ হাজার ১৯২টি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে জাতীয়করণ করেন।

২০০৬ সালে সারাদেশে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল এক কোটি ৬০ লাখ এক হাজার ৬০৫ জন। ২০২২ সালে এসে এই সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ কোটি ৫৪ লাখ ৬ হাজার ৯১ জনে। অর্থাৎ গত ১৬ বছরে দেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ১২ গুণ। ২০০৬ সালে যেখানে ছেলে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৭৯ লাখ ১৯ হাজার ৮৩৭ জন এবং মেয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৮০ লাখ ৮১ হাজার ৭৬৮ জন, সেখানে এই সংখ্যা বেড়ে উন্নীত হয়েছে যথাক্রমে ছেলে এক কোটি ২৪ হাজার ৯৫১ জন এবং মেয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা এক কোটি ৫২ লাখ এক হাজার ১৪০ জন।

একইভাবে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিক্ষার্থীর সংখ্যাও বেড়েছে। ২০০৬ সালে ছিল মাত্র ৩৩ হাজার ২৯৬ জন। বর্তমানে এ সংখ্যা ১৫ লাখ ১৭১ জন। শিক্ষার্থীর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে শিক্ষকের সংখ্যা। ২০০৬ সালে যেখানে শিক্ষকের সংখ্যা ছিল তিন লাখ ৬৫ হাজার ৯২৫ জন, ২০২২ সালে শিক্ষকের সংখ্যা দ্বিগুণ বেড়েছে হয়েছে ৬ লাখ ২৬ হাজার ৪২ জন।

শেখ হাসিনার এই ১৫ বছরে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে নতুন করে সংযোজন হয়েছে প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রম। এটা আগে ছিল না। বর্তমানে প্রাক-প্রাথমিকে শিক্ষার্থী আছে ৩৩ লাখ ৮৩ হাজার ৭২৬ জন। প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রমের জন্য নিয়োগ দেয়া হয় ৩৭ হাজার ৮৮১ জন শিক্ষক। প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার্থীর আনুপাতিক হারে শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হয়েছে। আগে প্রতি ৫২ জন শিক্ষার্থীর বিপরীতে শিক্ষক ছিলেন একজন। বর্তমানে ৩৩ জন জন্য শিক্ষার্থীর বিপরীতে একজন শিক্ষক।

শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়ার বিষয়টি সরকারকে নানাভাবে ভাবিয়ে তুলেছিল। ২০০৬ সালে দেশে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে ঝরেপড়া শিক্ষার্থীর হার ছিল ৫০ দশমিক ৫ শতাংশ। এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য বর্তমান সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়। ফলে বর্তমানে ঝরেপড়ার হার নেমে এসেছে ১৩ দশমিক ৯৫ শতাংশে। প্রাথমিক শিক্ষায় বর্তমান সরকারের অন্যতম সাফল্য হচ্ছে কোমলমতি শিক্ষার্থীর হাতে শতভাগ নতুন বই তুলে দেওয়া। যা বিগত সময়ে কোন সরকারের আমলেই হয়নি। ২০০৬ সালে যেখানে মোট বিতরণকৃত বইয়ের মধ্যে ৫০ শতাংশ সাদাকালো বই শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেয়া হত, সেখানে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই প্রতিবছর বিতরণকৃত বইয়ের শতভাগ রঙিন এবং বিনামূল্যে শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেয়া হয়।

এছাড়াও বর্তমান সরকার প্রত্যেক বছর বিদ্যালয়গুলোতে খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের আয়োজন করাসহ আরও অনেকগুলো পদক্ষেপ গ্রহণ করে। সরকারের এসব পদক্ষেপ শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়মুখি হতে উৎসাহিত করেছে।




মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগ ও যুবলীগ নেতৃবৃন্দের পূজা মন্ডপ পরিদর্শন

দুর্গা পূজা উপলক্ষে নবমীতে পৌরসভা শহরে ও জেলার বিভিন্ন স্থানের পূজামন্ডপ পরিদর্শন করেন পৌর মেয়র সহ আওয়ামী লীগ ও জেলা যুবলীগের নেতা কর্মীরা।

গতকাল সোমবার বিকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত নেতা কর্মীরা এসকল পূজা মন্দির পরিদর্শন করেন।

পরিদর্শন কালে মেহেরপুর পৌর মেয়র ও জেলা যুবলীগের আহবায়ক মাহফুজুর রহমান রিটন প্রতিটি মন্দিরে নগদ টাকা ও ব্যাংক চেক প্রদান করেন।

এসময় মেহেরপুর পৌরসভা কালীবাড়ী বড়বাজারের কালী মন্দির, নামের বাড়ী পুজা মন্ডপ, শ্রী শ্রী হরিসভা পুজা মন্ডপ, হালদার পাড়া পুজামণ্ডপ শ্রী শ্রী হরিজন (সুইপার কলোনী) বাপার পুজা মণ্ডপ, বামনপাড়া পূজা মন্ডপ পরিদর্শন করেন নেতা কর্মীরা।

এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি এড মিয়াজান আলী, মেহেরপুর জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট ইয়ারুল ইসলাম, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ মেহেরপুর জেলা শাখার আহবায়ক ও মেহেরপুর পৌরসভা মেয়র মাহফুজুর রহমান রিটন, আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আব্দুল মান্নান, জেলা যুবলীগের যুগ্ন আহবায়ক শহিদুল ইসলাম পেরেশান সহ জেলা আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের নেতৃবৃন্দ।




প্রধানমন্ত্রীর ব্রাসেলস সফরে গুরুত্ত্ব পাবে একাধিক বিষয়

আগামীকাল মঙ্গলবার ব্রাসেলস যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ইউরোপিয়ান কমিশনের প্রেসিডেন্ট ওরসুলা ভন ডার লিয়েনের আমন্ত্রণে গ্লোবাল গেটওয়ে ফোরামের প্রথম সম্মেলনে অংশ নিতে তিন দিনের সফরে বেলজিয়াম যাচ্ছেন তিনি।

দেশে সাধারণ নির্বাচনের আগ মুহুর্তে প্রধানমন্ত্রীর এই সফর খুবই গুরুত্বপূর্ণ হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের রাজনতিক, অর্থনৈতিক ও মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে দেশ বিরোধী বিভিন্ন মহল ও গোষ্ঠি থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নকে (ইইউ) যে ভুল বার্তা দেওয়া হয়েছে, যার প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ সম্পর্কে ইইউ’র মধ্যে একটা নেতিবাচক ধারণা তৈরি হয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর সফরের মধ্য দিয়ে তার পরিবর্তন ঘটবে। ইইউ’র সঙ্গে বাংলাদেশের যে পাঁচ দশকের সম্পর্ক, সেটিকে তুলে ধরে দেশের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে তার অবস্থান তুলে ধরতে পারেন। যার মধ্য দিয়ে বাস্তব ও প্রকৃত চিত্র পাবেন ইইউ নেতারা। প্রধানমন্ত্রীর এই সফরের মধ্য দিয়ে ইইউ’র সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক আরো গভীর ও সংহত হবে এবং দেশের ভাবমূর্তি উজ্বল হবে বলে আশা করছেন করছেন সংশ্লিষ্টরা।

সফরকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বেলজিয়ামের প্রধানমন্ত্রী আলেক্সান্দার দে ক্রো এবং লুক্সেমবার্গের প্রধানমন্ত্রী জেভিয়ার বেটেলের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন।

রবিবার (২২ অক্টোবর) প্রধানমন্ত্রীর বেলজিয়াম সফর নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, বিশ্বব্যাপী স্মার্ট, পরিবেশবান্ধব এবং নিরাপদ ডিজিটাল প্রযুক্তি, জ্বালানি, পরিবহন খাতে অবকাঠামো নির্মাণ এবং স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও গবেষণা ব্যবস্থা শক্তিশালী করার লক্ষ্যে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসে গে¬াবাল গেটওয়ে উদ্যোগের ঘোষণা দেয়। এ উদ্যোগের আওতায় ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন, সদস্য রাষ্ট্র ও অন্য অংশীদাররা অগ্রাধিকার খাতগুলোতে ২০২১-২০২৭ সালের মধ্যে মোট ৩০০ বিলিয়ন ইউরো বিনিয়োগ করার ঘোষণা দিয়েছে।

প্রধানমন্ত্রীর এই সফরকালে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ ও ইউরোপিয়ান ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকের মধ্যে বাংলাদেশের নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে ৩৫০ মিলিয়ন ইউরোর একটি ঋণ সহায়তা চুক্তি সই হবে। এছাড়া, বাংলাদেশের নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে অনুদান হিসেবে প্রদানের জন্য ইউরোপিয়ান কমিশন এবং ইউরোপিয়ান ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকের মধ্যে ৪৫ মিলিয়ন ইউরোর একটি চুক্তি এবং বাংলাদেশ সরকার এবং ইউরোপিয়ান কমিশনের মধ্যে ১২ মিলিয়ন ইউরোর একটি অনুদান চুক্তি সই হবে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, ইউরোপিয়ান ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক ইতোমধ্যে বাংলাদেশের জলবায়ু পরিবর্তন ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে বিনিয়োগের আগ্রহ ব্যক্ত করেছে। এ চুক্তিটি বাংলাদেশে ব্যাংকটির অধিকতর বিনিয়োগের পথ প্রসারিত করবে বলে আশা করা যায়। এ সফরের সময় বাংলাদেশ সরকার এবং ইউরোপিয়ান কমিশনের মধ্যে বাংলাদেশের সামাজিক খাতে ৭০ মিলিয়ন ইউরোর পাঁচটি আলাদা অনুদান চুক্তি সই হবে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ইউরোপিয়ান কমিশনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠকে বাংলাদেশ এবং ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন তাদের ৫০ বছরের অংশীদারিত্ব নতুন উচ্চতায় উন্নীত করার ঘোষণা দেবেন বলে আশা করা যায়। ইইউ–ঢাকা সম্পর্ককে আরো সংহত করার বিষযটি বিশেষ গুরুত্ব পাবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ব্রাসেলসে ২৫ ও ২৬ অক্টোবর অনুষ্ঠেয় গে¬াবাল গেটওয়ে ফোরামের প্রথম বৈঠকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখবেন।

উদ্বোধনী অধিবেশনের আলোচনায় পরিবেশবান্ধব জ্বালানিতে উত্তরণ, শিক্ষা ও গবেষণা, গুরুত্বপূর্ণ কাঁচামাল, যোগাযোগের করিডরের মতো বিষয়গুলো গুরুত্ব পাবে। ২৬ অক্টোবর শেষ দিনের আলোচনায় স্বাস্থ্য পণ্য উৎপাদন এবং ডিজিটাল অবকাঠামো উন্নয়নের বিষয়ে আলোচনা হবে।

এই সফরে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে যাচ্ছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী, তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।




দর্শনায় পূজা মন্ডপ পরিদর্শনে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার

হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দৃর্গাপৃজার ছিলো মহানমবী হিন্দু সম্প্রদায় যাতে করে নির্বিঘ্নে নিরাপত্তার সাথে দৃর্গা উৎসব পালন করতে পারে সে জন্য ব্যাবস্থা করা হয়েছে কড়া নিরাপত্তা। বিষয়গুলো দেখভাল করার পরিদর্শন করেছেন।

জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমা ও পুলিশ সুপার আবদুল্লা আল মামুন, দামুড়হুদা নির্বাহী অফিসার রোকসানা মিতা,দামুড়হুদা সার্কেল এ এসপি জাকিয়া সুলতানা।

আজ সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টার দিকে দর্শনা পৌরসভার কেরুজ, পুরাতন বাজার হরিজন সম্প্রদায়, কালিদাসপুর দাসপাড়া,আদিবাসিপাড়া পৃজা মন্ডপে যান।

এ সময় তারা সার্বিক খোজখবর নেন এবং সকলের সাথে কুশল বিনিময় করেন।




মেহেরপুর জেলা জাতীয় পার্টি আলোচনা সভা

সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ প্রবর্তিত সকল উপজেলা পুনরায় মুন্সেফ কোর্ট চালু করতে হবে এই প্রতিপাদ্য সামনে রেখে মেহেরপুর জেলা জাতীয় পার্টির আলোচনা সভার আয়োজন করে।

আজ সোমবার রাতে কাথুলি বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন জাতীয় পার্টি অস্থায়ী কার্যালয়ে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

মেহেরপুর জেলা জাতীয় পার্টি যুগ্ন আহবায়ক সহরাব হোসেনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর জেলা জাতীয় পার্টি আহ্বায়ক ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মোসলেম আলী।
বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন জেলা জাতীয় পার্টি যুগ্ন আহবায়ক আমিরুল ইসলাম।

অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ওহাব আলী, নজরুল ইসলাম, বারেক আলী, লালচাঁদ আলী সহ বিভিন্ন নেতাকর্মীরা।

মেহেরপুর জেলা জাতীয় পার্টি আহ্বায়ক ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মোসলেম আলী বলেন আজকে এই দিনে (২৩ অক্টোবর) আমাদের নেতা হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বাংলার বুকে উপজেলা প্রতিষ্ঠিত করেছিল বাংলার মেহনতি মানুষের জন্য বাংলার আপমর জনসাধারণের জন্য। আমার নেতার সরকারের আমলে আহানাহানি ছিলনা, মারামারি ছিলনা, হিংসা-বিদ্বেষ ছিলনা।

তিনি আরো বলেন হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের আমলে উপজেলাতে বিচারিক আদালত ছিল। যে সরকারি আসুক আমাদের উপজেলা পদ্ধতি অবিলম্বে চালু করতে হবে। তা না হলে যে সরকারি আসুক উপজেলা পদ্ধতি যদি চালু না করে তাহলে আমরা আমরণ সংগ্রাম করব উপজেলা পরিষদ চালু করার জন্য।




কোটচাঁদপুরে বিভিন্ন প্রশাসনিক দপ্তর পরিদর্শনে জেলা প্রশাসক 

কোটচাঁদপুর উপজেলার বিভিন্ন প্রশাসনিক দপ্তর পরিদর্শন করেন জেলা প্রশাসক ও বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এস এম রফিকুল ইসলাম।

আজ সোমবার সকালে জেলা প্রশাসক কোটচাঁদপুর মডেল থানা পরিদর্শন করেন।

পরিদর্শনকালে তিনি সেবাপ্রার্থীদের কথা শোনেন এবং সংশ্লিষ্ট সকলকে দিক-নির্দেশনা প্রদান করেন। পরে তিনি কোটচাঁদপুর উপজেলা ভূমি অফিসের সীমানা প্রাচীর নির্মাণ কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন করেন ও সংশ্লিষ্ট সকলের সাথে মতবিনিময় করেন।

পরর্বতীতে বলুহর কমিউনিটি ক্লিনিক ও বলুহর কুড়ীপাড়া পূজা মন্ডপ দর্শন,সাফদারপুর বলরাম নগর আশ্রয়ণ প্রকল্প ও কুশনা ইউনিয়নে তালিনা পার্ক পরিদর্শন করেন জেলা প্রশাসক। সে সময় তিনি আশ্রয়ণ প্রকল্পের নির্মাণ কাজ ও উপকারভোগীদের সাথে মতবিনিময়, সনাতন ধর্মাবলম্বী মানুষের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় ও মন্ডপের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে দিকনির্দেশনা প্রদান করেন।

এ সময় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান শরিফুন্নেছা মিকি, উপজেলা নির্বাহী অফিসার উছেন মে, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নিরুপমা রায়, মডেল থানার অফিসার ইনর্চাজ সৈয়দ আল-মামুন, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জহিরুল ইসলাম,উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক তানভীর জামান প্রতিক, বলুহর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম, সাফদারপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান, কুশনা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান শাহরুজ্জামান সবুজ সহ উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মরত কর্মকর্তা ও নানা শ্রেণী পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।




আলমডাঙ্গায় ইউপি চেয়ারম্যান ও ৪ সদস্যের দ্বন্দ্বের সমাধান

আলমডাঙ্গার বেলগাছি ইউনিয়ন পরিষদের ৪ ইউপি সদস্য ও চেয়ারম্যানের দ্বন্দের অবসান ঘটেছে। গতকাল রোববার বিকেলে ইউনিয়ন পরিষদের সচিব ও ৯ জন ইউপি সদস্য এবং ৩ জন সংরক্ষিত মহিলা সদস্যদের মধ্যস্ততায় এ বিরোধ শান্তিপূর্ণ ভাবে নিষ্পত্তি হয়েছে।

জানা যায়,গত ২১ মাস যাবৎ ওই পরিষদের ৪ ইউপি সদস্যের বেতন-ভাতা না পাওয়া নিয়ে বিরোধের সৃষ্টি হয়।

জানাগেছে, আলমডাঙ্গা উপজেলা বেলগাছি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ২০২১ সালে। নির্বাচনে শপথের মাধ্যমে ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদুল হাসান চঞ্চলসহ নারী ও পুরুষ সদস্যরা পরিষদের দায়িত্ব নেন। দায়িত্বরপ্রাপ্ত হওয়ার পর ওই ইউনিয়ন পরিষদের ৪ ইউপি সদস্য ২১ মাসের বেতন-ভাতা পাচ্ছেন না বলে ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদুল হাসান চঞ্চলের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন । এনিয়ে চলতে থাকে দীর্ঘ বিরোধ। পরিষদের ২ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ঠাণ্ডু মণ্ডল, ৩ নং ওয়ার্ডের শামিম রেজা, ৪ নং ওয়ার্ডের শাহাদত হোসেন ও ৮ নং ওয়ার্ডের সদস্য হারুন মণ্ডল।

এই চার সদস্য চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক (ডিসি) ড.কিসিঞ্জার চাকমা বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন। এ অভিযোগের তদন্ত করেন আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহি অফিসার। করা হয় গণশুনানি।

গত ১৬ অক্টোবর সরকারী অনুদান (কৃষকদের ভর্তুকি) এসেছে। এমন খবরে কৃষি অফিসে আসায় ইউপি চেয়ারম্যানের সাথে চার ইউপি সদস্যের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে। ইউপি সদস্যদের মারপিটের ঘটনাটির সিসি ক্যামেরার ভিডিও স্যোসাল মিডিয়া ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে মুহুর্তে ভাইরাল হয়। এনিয়ে উপজেলা জুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যকর সৃষ্টি হয়। শুরু হয় নানান গুঞ্জন। ৪ ইউপি সদস্য আদালতে মামলা দায়ের করেন। এছাড়া আলমডাঙ্গা থানাও মারপিটের ঘটনায় লিখিত অভিযোগ করে।

এমন উত্তেজেনাকর পরিস্থিতির মধ্যে কুমারি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু সাইদ পিন্টুর উদ্যোগে গত রোববার বিকেলে বেলগাছি ইউনিয়ন পরিষদে দুই পক্ষকে নিয়ে আপোষ মিমাংসায় বসেন।

এ ধরনের অনাকাক্ষিত ঘটনা আর ঘটবে না,এবং মেম্বারদের সাথে সমন্বয় করে সকল কার্যক্রম পরিচালনার করাসহ একসাথে চলার অঙ্গিকারের মধ্য দিয়ে দীর্ঘ বিরোধের শান্তি পূর্ণ সমাধান করা হয়। দীর্ঘ দিনের এই বিরোধ নিষ্পত্তির মধ্য দিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে ফিরেছে স্বস্তি।