আলমডাঙ্গার বিভিন্ন পুজা মন্ডপ পরিদর্শনে আ.লীগ নেতারা

আলমডাঙ্গা উপজেলার বিভিন্ন পূজামণ্ডপে গিয়ে শুভেচ্ছা বিনিময় করছেন জেলা আওয়ামী লীগ নেতারা। এ সময় তাঁরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে শারদীয় দুর্গাপূজার শুভেচ্ছা পৌঁছে দেন। পাশাপাশি সরকারের উন্নয়নের প্রচার করে আগামী নির্বাচনে নৌকায় ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগকে পুনরায় ক্ষমতায় আনার আহ্বান জানান।

আজ সোমবার চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ও সাবেক পৌর মেয়র রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন দলীয় নেতৃবৃন্দকে নিয়ে আলমডাঙ্গা পৌর এলাকার বিভিন্ন পূজা মন্ডপ পরিদর্শন করেন।

সোমবার বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত তিনি কালিদাশপুর দুর্গা মন্দির, ক্যানেল পাড়া দুর্গা মন্দির, রথতলা কেন্দ্রীয় দুর্গা মন্দির, কলেজপাড়া দুর্গা মন্দিরসহ বিভিন্ন দুর্গা মন্দির পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি প্রত্যেক মন্দির কমিটির নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় করেন। আইন শৃঙ্খলা বিষয়ে খোঁজ খবর নেন।

পরিদর্শনে উপস্থিত সাবেক চুয়াডাঙ্গার পৌর মেয়র রিয়াজুল ইসলাম জোয়ারাদার টোটন বলেন, অত্যন্ত জাঁকজমক পুর্ণ ও সৌহার্দ পুর্ণ পরিবেশে আলমডাঙ্গার প্রতিটি দুর্গা মন্দিরে শারদীয় দুর্গাৎসব পালিত হচ্ছে। বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রতির দেশ, আমরা বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রতিতে বিশ্বাস করি, এখানে সকলে মিলে মিশে যার যার ধর্ম পালন করে থাকি। আমরা বিশ্বাস করি ধর্ম যার যার উৎসব সবার।

মন্দির পরিদর্শনকালে আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাংগাঠনিক সম্পাদক মুন্সি আলমগীর হান্নান,উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আবু মুছা,সাধারণ সম্পাদক ইয়াকুব আলী,উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কাজী মারজাহান নিতু,সাবেক সহসভাপতি বিশিষ্ট ব্যবসায়ি আলহাজ্ব লিয়াকত আলী লিপু মোল্লা,জেলা আওয়ামীলীগ নেতা শওকত আলী,কালিদাশপুর ইউপি চেয়ারম্যান আসাদুল হক মিকা,পৌর আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক সাইফুর রহমান পিন্টু,রথতলা মন্দির কমিটির সভাপতি বিদ্যুৎ কুমার সাহা,সম্পাদক অশিম কুমার সাহা,কালিদাসপুর মন্দির কমিটির সভাপতি শুশিল কুমার ভৌতিকা,বীর মুক্তিযোদ্ধা মনিদ্রনাথ দত্ত,রাজ কুমার অধিকারি,লিপন কুমার বিশ্বাস,পরিমল কুমার কালু ঘোষ,মদন কুমার সাহা,জয় কুমার বিশ্বাস দেবদাস ব্যাধ প্রমুখ।




টানেলের পথে শুরু হবে বাংলাদেশের নবযাত্রা

স্বপ্ন নিয়ে ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি এপিজে আব্দুল কালামের একটি উক্তি আমার খুবই প্রিয়, ‘স্বপ্ন সেটা নয়, যেটা আপনি ঘুমিয়ে দেখেন। স্বপ্ন হলো সেটা, যেটা আপনাকে ঘুমাতে দেয় না।‘ বলা হয়, মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়। স্বপ্নই মানুষকে বাঁচিয়ে রাখে। কিন্তু স্বপ্ন দেখতে হবে আপনার যোগ্যতা, দক্ষতা, অধ্যবসায় আর পরিশ্রমের সমান্তরালে। স্বপ্ন দেখলেই হবে না। সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে কাজ করতে হবে। আপনি স্বপ্ন দেখলেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হবেন। কিন্তু স্বপ্ন দেখার পর বাসায় বসে থাকলেন। তাহলে আপনার সেই স্বপ্ন কখনো পূরণ হবে না। স্বপ্ন পূরণের জন্য সেই স্বপ্নের পেছনে ছুটতে হবে। আর সবচেয়ে বড় কথা হলো, স্বপ্ন দেখতে সাহস লাগে, দূরদর্শিতা লাগে। স্বপ্ন নিয়ে এত কথা বলার কারণটা বলি এবার।

২০০৮ সালের ২৭ ডিসেম্বর চট্টগ্রামে এক নির্বাচনী জনসভায় বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্ণফুলী নদীর নিচে টানেল নির্মাণের অঙ্গীকার করেছিলেন। তখন বিএনপি নেতা আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেছিলেন, ‘নদীর নিচ দিয়ে টানেল তৈরি স্বপ্নে ঘি খাওয়ার মতই।‘ কিন্তু বাস্তবতা হলো স্বপ্নে খাওয়া সেই ঘি এখন বাস্তব। কর্ণফুলী নদীর নিচের টানেল এখন তৈরি। উদ্বোধনের অপেক্ষায় থাকা এই টানেল দিয়ে বাংলাদেশ উন্নয়নের এক নতুন অধ্যায়ে প্রবেশ করতে যাচ্ছে।

আব্দুল্লাহ আল নোমান যেমনটি বলেছিলেন, তা কিন্তু খুব ভুল বলেননি। অসম্ভব কোনো স্বপ্ন হলে আমরা এমনই বলি, স্বপ্নে পোলাও খেলে তাতে ঘি একটি বেশি দিতেও সমস্যা নেই। সমস্যা হলো, আব্দুল্লাহ আল নোমান বা তার দলের স্বপ্ন দেখার সেই সাহস ছিল না। তাই যে কোনো স্বপ্নই তাদের কাছে ঘি খাওয়ার মত মনে হয়। ্রাগেই যেমনটি বলেছি, স্বপ্ন দেখতে সাহস লাগে, দূরদর্শিতা লাগে। স্বপ্ন বাস্তবায়নে লেগে থাকতে হয়, পরিশ্রম করতে হয়। শেখ হাসিনা স্বপ্নে পোলাও খেয়েছেন এবং তাতে ঘি একটু বেশিই দিয়েছেন। ১/১১ সরকার অন্যায়ভাবে গ্রেপ্তার করেছিল শেখ হাসিনাকে। কারাগারে বসে শেখ হাসিনা স্বপ্ন দেখেছিলেন ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের। তৈরি করেছিলেন উন্নত বাংলাদেশের রূপরেখা। ২০০৮ সালের নির্বাচনে জনগণের রায় নিয়ে ক্ষমতায় আসার পর সেই উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। এপিজে আব্দুল কালামের কথার মত শেখ হাসিনা ঘুমিয়ে স্বপ্ন দেখেননি। বরং উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণের স্বপ্ন তাঁকে ঘুমাতে দেয় না। তিনি বিরামহীন কাজ করে বাংলাদেশকে তুলে এনেছেন অন্য এক উচ্চতায়।

আগামী ২৮ অক্টোবর আব্দুল্লাহ আল নোমানের ভাষায় ‘স্বপ্নের ঘি’ কর্ণফুলী টানেল খুলে দেয়া হবে। তার মানে কর্ণফুলী নদীর নিচ দিয়ে চলবে। অনেকের কাছে যেটা স্বপ্ন, সেটা এখন বাস্তব। শুধু কর্ণফুলী টানেল নয়, এসন আরো অনেক অকল্পনীয় ঘটনা ঘটিয়েছেন শেখ হাসিনা। যেটা আসলে আমরা ভাবতেও পারিনি। ১৫ বছর আগে কেউ যদি বলতেন, ঢাকায় মেট্রোরেল চলবে, কেউ বিশ্বাস করতো না। এখন আমরা উন্নত বিশ্বের মত আধুনিক মেট্রোরেলে চড়ে অল্প সময়ে গন্তব্যে পৌছে যাচ্ছি। বিশ্বব্যাংক সরে যাওয়ার পর সবাই ভেবেছিলেন পদ্মা নদীর ওপর সেতু বুঝি আর হচ্ছে না। একজনের ভাবনা ছিল ভিন্ন। তিনি শেখ হাসিনা। আগেই যেমন বলেছি, স্বপ্ন দেখতে সাহস লাগে। সেই সাহস শেখ হাসিনারই আছে। বিশ্বব্যাংককে বুড় আঙ্গুল দেখিয়ে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু বানিয়ে শেখ হাসিনা বিশ্বকে দেখিয়ে দিয়েছেন, বাংলাদেশ আর সেই বাংলাদেশ নেই। পদ্মা সেতু নিছক সেতু, আমাদের সামর্থ্যের প্রতীক। দোতলা সেতুতে এখন ট্রেনও চলছে। শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে অনেক নতুনের সাথে পরিচয় করে দিয়েছেন। যার সর্বশেষটি হতে যাচ্ছে কর্ণফুলী টানেল। আগে বাংলাদেশে সাবমেরিন ছিল না, স্যাটেলোইট ছিল না, পারমাণবিক বিদ্যুৎ ছিল না, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ছিল না, মেট্রোরেল ছিল না। শেখ হাসিনা আমাদের উন্নয়নের নতুন নতুন অধ্যায়ের সাথে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছেন।

নিন্দুকেরা বলেন, শেখ হাসিনা তো নিজের টাকায় টানেল বানাননি, মেট্রোরেল বানাননি, পদ্মা সেতু বানাননি। সবই তো জনগণের টাকা। খুবই সত্যি কথা। কিন্তু প্রশ্ন হলো, শেখ হাসিনার আগে কেউ এগুলো বানাননি কেন। তখনও জনগণের অর্থ ছিল। আগেই যেমনটি বলেছি, স্বপ্ন দেখতে সাহস লাগে। সেই সাহস শেখ হাসিনা ছাড়া আর কার আছে? অনেকে এমনও বলেন, আমাদের টানেল লাগবে কেন, সাবমেরিন লাগবে কেন, স্যাটেলাইট লাগবে কেন? খুবই সঙ্গত প্রশ্ন। আসলে প্রসঙ্গটা হলো সক্ষমতার, সামর্থ্যের, মনোভাবের। এটা ঠিক সাবমেরিন না হলেও চলতো, স্যাটলাইট না হলেও চলতো, টানেল না হলেও কিছুই আটকে থাকবে না। কিন্তু এই প্রকল্পগুলো আসলে মর্যাদা দেয়, সক্ষসতা বাড়ায়। আপনি যখন আন্তর্জাতিক অঙ্গনে যাবেন, মর্যাদার সাথে সাথে আপনার দরকষাকষির ক্ষমতা বাড়বে। ব্যাংক কিন্তু সবাইকে ঋণ দেয় না। যার সক্ষমতা আছে, তাকেই দেয়। দেশের ক্ষেত্রেও বিষয়টি সত্যি। আপনিার একজন অকর্মণ্য আত্মীয়কে আপনি যতটা গুরুত্ব দেবেন; একজন সফল ও মর্যাদাবান অনাত্মীয়কেও নিশ্চয়ই তারচেয়ে বেশি দেবেন। টানেল, স্যাটেলাইট, সাবমেরিনকে কারো কারো কাছে আপাতদৃষ্টিতে অপ্রয়োজনীয় মনে হতে পারে। কিন্তু এগুলো আমাদের সক্ষমতার ধাপ, মর্যাদার একেকটি চাবি। একসময় আমাদের ‘দাতাসংস্থা’ ছিল, এখন আছে আমাদের ‘উন্নয়ন সহযোগী’ আছে। এটা হলো মাইন্ডসেট। এটা হলো বদলে যাওয়া বাংলাদেশের ছবি।

তবে কর্ণফুলী টানেল শুধু মর্যাদা জন্য বানানো নয়। বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রাণকেন্দ্র চট্টগ্রাম। কর্ণফুলী টানেল বদলে দিতে পারে গোটা চট্টগ্রামকেই, যাতে গতি আসবে অর্থনীতিতে। কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মিত এই টানেলটি চট্টগ্রামকে ‘দুই শহর নিয়ে এক মহানগর’এ পরিণত করবে। মাল্টি লেন টানেলটি চট্টগ্রাম বন্দরকে সরাসরি আনোয়ারা উপজেলার সঙ্গে সংযুক্ত করবে, এর মাধ্যমে কক্সবাজার সরাসরি চট্টগ্রামের সঙ্গে যুক্ত হবে। টানেলটি প্রস্তাবিত এশিয়ান হাইওয়েকে ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের সঙ্গে সংযুক্ত করবে এবং দূরত্ব ৪০ কিলোমিটার কমিয়ে দেবে। টানেলে ৩৫ ফুট চওড়া ও ১৬ ফুট উঁচু এবং ১১ মিটার ব্যবধানে দুটি টিউব স্ভপান করা হয়েছে, যাতে ভারী যানবাহনগুলি সহজেই টানেলের মধ্য দিয়ে চলাচল করতে পারে। এই টানেলে যানবাহন ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটার বেগে চলাচল করতে পারবে। প্রথম বছরে এই টানেল দিয়ে ১৭ হাজারের বেশি গাড়ি পারাপার হবে বলে সমীক্ষায় উঠে এসেছে। সমীক্ষা অনুসারে, ২০৩০ সালে বঙ্গবন্ধু টানেল দিয়ে ৩৫ হাজারের বেশি গাড়ি পারাপার হবে।

একই সঙ্গে মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দর এবং মিরসরাই ইকোনোমিক জোনের যোগাযোগ স্থাপনে সেতুবন্ধন হবে চট্টগ্রাম বন্দর। বঙ্গবন্ধু টানেল চট্টগ্রামের অর্থনীতিতে দারুণ চাঞ্চল্য আনতে পারে। টানেল ঘিরে ৫ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের পরিকল্পনা রয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের। সব মিলিয়ে কর্ণফুলী শুধু রূপে নয়, গুনেও ভোলাবে। আর চট্টগ্রামের অর্থনীতিতে চাঞ্চল্য এলে তা ছড়িয়ে পড়বে গোটা দেশে।

শুরুতে যেমন বলেছি, স্বপ্ন দেখতে সাহস লাগে। সেই সাহস আছে শেখ হাসিনার। সেই সাহসের ভর করেই টানেলের পথে অন্যরকম এক বাংলাদেশের পথে শুরু হবে নবযাত্রা।

প্রভাষ আমিন, বার্তা প্রধান, এটিএন নিউজ




রেমিটেন্স বাড়ছে, ২০ দিনে এলো ১২৫ কোটি ডলার

দেশের অর্থনীতির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর সূচক বিদেশি মুদ্রার সঞ্চয়ন বা রিজার্ভের অন্যতম প্রধান উৎস প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্স বাড়তে শুরু করেছে।

গত সেপ্টেম্বরে নিম্নমুখী সূচকের পর অক্টোবর মাসও শুরু হয়েছিল সেই ধারায়। তবে দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে আশার আলো দেখা যাচ্ছে।

বাংলাদেশ ব্যাংক রবিবার রেমিটেন্স প্রবাহের সাপ্তাহিক যে তথ্য প্রকাশ করেছে, তাতে দেখা যায়, চলতি অক্টোবর মাসে প্রথম ২০ দিনে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অবস্থানকারী প্রবাসীরা ১২৫ কোটি (১.২৫ বিলিয়ন) ডলার পাঠিয়েছেন।

প্রতিদিনের গড় হিসাবে এসেছে ৬ কোটি ২৫ লাখ ডলার। মাসের বাকি ১১ দিনে এই হারে আসলে মাস শেষে মোট রেমিটেন্সের অঙ্ক প্রায় ২০০ কোটি (২ বিলিয়ন) ডলারে গিয়ে ঠেকতে পারে বলে হিসাব বলছে।

সেপ্টেম্বর মাসে প্রবাসীরা ১৩৪ কোটি ৩৬ লাখ (১.৩৬ বিলিয়ন) ডলার দেশে পাঠিয়েছিলেন। প্রতিদিনের গড় হিসাবে এসেছিল ৪ কোটি ৪৭ লাখ ডলার। একক মাসের হিসাবে সেপ্টেম্বর মাসের রেমিটেন্স ছিল সাড়ে তিন বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম।

২০২০ সালের এপ্রিলে ১০৯ কোটি ২৯ লাখ (১.০৯ বিলিয়ন) ডলার পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা। এর পর গত সাড়ে তিন বছরে সেপ্টেম্বরের মত এত কম রেমিটেন্স দেশে আসেনি।

২০২০ সালের প্রথম দিকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মত বাংলাদেশেও করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। দেশে দেশে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। শুরু হয় লকডাউন; সব কিছু বন্ধ হয়ে যায়। কমতে শুরু করে রেমিটেন্স। সেই ধাক্কায় ২০২০ সালের মার্চে রেমিটেন্স ১২৭ কোটি ৬২ লাখ ডলারে নেমে আসে। এপ্রিলে তা আরও কমে ১০৯ কোটি ২৯ লাখ ডলারে নেমে আসে।

এর পর থেকে অবশ্য রেমিটেন্স প্রবাহ বাড়তে থাকে।
শনিবার পর্যন্ত (২১ অক্টোবর) রেমিটেন্সে প্রতি ডলারের জন্য এখন ১১০ টাকা দিয়েছে ব্যাংকগুলো। সে হিসাবে অক্টোবরের ২০ দিনে (১ থেকে ২০ অক্টোবর) ১৩ হাজার ৭৫০ কোটি টাকা এসেছে; প্রতিদিন এসেছে ৬৮৭ কোটি ৫০ লাখ টাকা।

চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের দ্বিতীয় মাস আগস্টে ১৬০ কোটি (১.৬ বিলিয়ন) ডলার রেমিটেন্স পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা। প্রতিদিন এসেছিল ৫৬৭ কোটি টাকা।
অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে ১৯৭ কোটি (১.৯৭ বিলিয়ন) ডলার রেমিটেন্স পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা। প্রতিদিনের গড় হিসাবে এসেছিল ৬৯৪ কোটি টাকা।
গত বছরের সেপ্টেম্বরে ১৫৩ কোটি ৯৬ লাখ ডলার রেমিটেন্স দেশে এসেছিল।




দামুড়হুদায় শ্রেষ্ঠ সচিব নির্বাচিত হলেন নাঈম উদ্দিন

দামুড়হুদায় শ্রেষ্ঠ সচিব নির্বাচিত হলেন হাউলী ইউপি সচিব নাঈম উদ্দিন। গত বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাকে স্রেষ্ঠ সচিব নির্বাচিত করা হয়।

দামুড়হুদায় সেপ্টেম্বর মাসে উপজেলার ৮ টি ইউনিয়ন পরিষদ ও ১ টি পৌরসভার মধ্যে সর্বোচ্চ জন্ম মৃত্যু নিবন্ধন সম্পাদন করায় হাউলী ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মো: নাঈম উদ্দিন কে জেলা প্রশাসনের কার্যালয় থেকে শ্রেষ্ঠ সচিব নির্বাচিত এবং পুরস্কৃত করা হয়।

হাউলী ইউপি সচিব নাঈম উদ্দিন বলেন, আমাদের এই ইউনিয়ন পরিষদের জনগণ এবং ইউনিয়ন পরিষদের সমস্ত স্টাফ অত্যান্ত ভালো। জন্ম এবং মৃত্যু নিবন্ধনের বিষয়ে এলাকার জনগণ খুব সচেতন। সেই সাথে ইউনিয়ন পরিষদের স্টাফদের আন্তরিক সহযোগিতায় আজ এ পর্যায়ে আসতে সক্ষম হয়েছি। এর জন্য আমি এলাকার জনগণকে এবং ইউনিয়ন পরিষদের সকল স্টাফকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি। আমার উপর অর্পিত সমস্ত দায়িত্ব ও কর্তব্য আমি নিষ্ঠার সাথে পালন করে সমস্ত কাজ সম্পাদন করার চেষ্টা করছি।

এবিষয়ে হাউলী ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন বলেন, হাউলী ইউনিয়নে আসার পর থেকেই সচিব নাঈন উদ্দিন পরিশ্রম ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করে যাচ্ছে। তারই ফলশ্রুতিতে তিনি উপজেলার শ্রেষ্ঠ সচিব নির্বাচিত হয়েছেন। আমি তার সার্বিক মঙ্গল কামনা করি।




মেহেরপুরে কালবেলার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন

আলোচনা সভা ও কেক কাটার মধ্য দিয়ে মেহেরপুরে দৈনিক কালবেলার প্রথম বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে।

আজ সোমবার (২৩ অক্টোবর) বেলা ১২ টার সময় মেহেরপুর জেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভা ও কেক কাটার মধ্য দিয়ে আড়ম্বরপূর্ণভাবে দৈনিক কাল বেলার প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালনের আয়োজন করা হয়।

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনা সভায় অনুষ্ঠানের সভাপতি মেহেরপুর জেলা তথ্য অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘কালবেলা এখন আমাদের দৈনন্দিন চিন্তাভাবনাকে নিয়ন্ত্রণ করে। এক বছরের মধ্যেই কালবেলা তার বস্তুনিষ্ঠ ও সাহসী সংবাদ পরিবেশনের মাধ্যমে দেশব্যাপী গ্রহণযোগ্যতা তৈরীর পাশাপাশি আমাদের মনোজগতেও প্রভাব ফেলেছে।’

অনুষ্ঠানে মেহেরপুরের জেলা প্রশাসক উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও জরুরী মিটিং এর কারণে তিনি উপস্থিত হতে না পেরে কালবেলার মেহেরপুর প্রতিনিধিকে শুভেচ্ছা ও শুভকামনা জানিয়েছেন।

মেহেরপুর জেলা প্রতিনিধি খান মাহমুদ আল রাফির সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুরের পৌর মেয়র মাহফুজুর রহমান রিটন,সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ফজলে রাব্বি, মেহেরপুর জেলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি তোজাম্মেল আজম, গাংনী প্রেসক্লাবের সভাপতি তৌহিদ উদ-দৌলা রেজা ও দৈনিক মেহেরপুর প্রতিদিনের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক মাহাবুব চান্দু।

এছাড়াও আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিসংখ্যান অফিসের উপ-পরিচালক, জেলা কৃষি বিপণন কর্মকর্তা, উপ আনুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর সহকারী পরিচালক সহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার প্রতিনিধিগণ।

আলোচনা সভায় মেহেরপুর জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ফজলে রাব্বি বলেন, ‘কালবেলা বস্তুনিষ্ঠ ও তথ্যসমৃদ্ধ খবর প্রকাশের নির্ভীক একটি মাধ্যম। আশা করছি দৈনিক কালবেলা ভবিষ্যতে সংবাদ প্রকাশের এই ধারাবাহিকতা বজায় রাখবে। ‘

বিশেষ অতিথি মেহেরপুর পৌরসভার মেয়র মাহফুজুর রহমান রিটন বলেন,’সারাদেশ অনেক পুরাতন ও ভালো পত্রিকা থাকার পরও দৈনিক কালবেলা এক বছরেই যে সুনাম ও গ্রহণযোগ্যতা অর্জন করে শিষে উঠে এসেছে তার মূল কারণ কর্তৃপক্ষের বলিষ্ঠ ভূমিকা ও সারাদেশের সংবাদকর্মীদের বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রেরণ। পত্রিকাটি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে কথা বলে। আশা করছি ভবিষ্যতেও এই ধারাবাহিকতা বজায় রাখবে।’

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেহেরপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম বলেন, ‘কালবেলা এক বছরের একটি নবজাতক শিশু কিন্তু এই এক বছরের প্রমাণ হয়েছে তার সূর্যসম প্রভাব। কালবেলা অনেক দূর যাবে এবং অনেক ভালো করবে। এ কারণেই কালবেলা কে আমার অনেক অভিনন্দন। কালবেলা আমাদের অনেক বড় প্রাপ্তি এবং জীবনের নতুন অধ্যায়ের সৃষ্টিকর্তা।’

আলোচনা সভার শেষে কেক কেটে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।




মেহেরপুরের আমঝুপিতে আন্তর্জাতিক গ্রামীণ নারী দিবস পালন

মেহেরপুরের আমঝুপিতে আন্তর্জািিতক গ্রামীণ নারী দিবস-২০২৩ উদযাপন উপলক্ষে আজ সোমবার সকাল দশটার দিকে মানববন্ধন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এএলআরডি‘র সহযোগিতায়, মানব উন্নয়ন কেন্দ্র মউক এ সভার আয়োজন করে।

মউকের হলরুমে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মউকের নির্বাহী প্রধান আশাদুজ্জামান সেলিম।

এসময় বক্তব্য রাখেন মউকের সিনিয়র প্রোগ্রাম ম্যানেজার মুরাদ হোসেন, প্রোগ্রাম ম্যানেজার সানজিদা আক্তার কাজল, জনসমবায় দলের নারীনেত্রী নুরুন্নাহার, আলতাফন খাতুন ও শাহিদা খাতুন প্রমূখ।

সভায় গ্রামীণ পর্যায়ে প্রান্তিক নারীদের উৎপাদন মূখী উন্নয়ন বিষয়ে সকলের অভিজ্ঞতা তুলে ধরা হয়। এর আগে মেহেরপুর চুয়াডাঙ্গা সড়কে একটি মানববন্ধনের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন জনসমবায় দলের উন্নয়ন কর্মী মোঃ শাহিনুর হোসেন।




গাংনীতে পিএসকেএস উদ্যোগে উপকরণ বিতরণ

গাংনীর পলাশীপাড়া সমাজ কল্যাণ সমিতি (পিএসকেএস)-এর ‘প্রশিক্ষন কেন্দ্র ও খামার’- এ সংস্থার সমন্বিত কৃষি ইউনিট এর কৃষি খাতের আওতায় জন উপকারভোগীর মাঝে উপকরণ বিতরণ করা হয়েছে।

আজ সোমবার বেলা ১১ টার সময় সংস্থার খামার বাড়িতে উচ্চমূল্যের ফল উৎপাদনে উদ্যোক্তা তৈরি, পরিবেশবান্ধব মালচিং পেপার ব্যবহার করে উচ্চমুল্যের ফসল চাষ,উচ্চফলনশীল নতুন জাতের ফসল চাষ, শস্য নিবিড়তা বৃদ্ধিতে উন্নত ফসলধারা (ক্রপিং প্যাটার্ণ), প্রদর্শনীর আওতায় ১৪ জন উপকারভোগীর মাঝে উপকরণ বিতরণ করা হয় ।

বিতরণকৃত উপকরণ সমূহের মধ্যে ছিল- ৪০ টি আমের চারা (বারি-১১), ৪০ টি আমের চারা (থাই কাটিমন) ও ৭০ টি ব্যানানা ম্যাংগো আমের চারা, এবং ৪ রোল মালচিং পেপার, ফেঁরোমন ফাঁদ, ট্রাইকো-কম্পোস্ট সার, রাসায়নিক সার, কিটনাশক, লাউয়ের বীজ, ব্রোকলির বীজ, টমেটোর বীজ, সরিষা বীজ সহ সাইনবোর্ড ও রেজিষ্টার খাতা বিতরণ করা হয়। পাশাপাশি

উপকারভোগীদেরকে প্রদর্শনীর লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যসহ কিভাবে এর রক্ষণাবেক্ষন করতে হবে সে সম্পর্কে দিক নির্দেশনা প্রদান করা হয়।

উপকরণ বিতরণের সময় উপস্থিত ছিলেন পিএসকেএস এর গাংনী শাখার শাখা ব্যবস্থাপক ও সমন্বিত কৃষি ইউনিটের সকল কর্মকর্তাগন ।




স্নাতক পাসে নিয়োগ দেবে বিডিজবস ডটকম

নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে বিডিজবস ডটকম। প্রতিষ্ঠানটিতে সেলস্ এক্সিকিউটিভ / বিক্রয় প্রতিনিধি পদে নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহী যোগ্য প্রার্থীরা সহজেই অনলাইনের মাধ্যামে আবেদন করতে পারবেন।

পদের নাম

সেলস্ এক্সিকিউটিভ / বিক্রয় প্রতিনিধি – ফেনী

যোগ্যতা

প্রার্থীকে যেকানো বিষযে স্নাতক পাস হতে হবে। বয়স ২০ থেকে ২৮ বছর।

পুরুষ প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন। ফেনীর স্থানীয় হতে হবে

সিভিতে বর্তমান ঠিকানা উল্লেখ করতে হবে। ফিল্ড জব বা মার্কেট ভিসিট করার মানসিকতা থাকতে হবে।

কর্মস্থল

ফেনী (ফেনী সদর)

আবেদনের পদ্ধতি

আগ্রহী প্রার্থীদের বিডিজবস অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে।

আবেদনের শেষ তারিখ

৩০ অক্টোবর,২০২৩

সূত্র : বিডিজবস




গাংনীতে প্রাণিসম্পদ খামার দিবস অনুষ্ঠিত

গাংনীতে পলাশীপাড়া সমাজ কল্যাণ সমিতি (পিএসকেএস) এর সমন্বিত কৃষি ইউনিটভূক্ত প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন কর্মসূচির আওতায় প্রাণিসম্পদ খামার দিবস” অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ সোমবার সকালে বামুন্দী শাখার ষোলটাকা গ্রামে ৮০ জন খামারি নিয়ে ব্যায় সাশ্রয়ী পদ্ধতিতে বিফ ক্যাটল ফ্যাটেনিং এর উপর “প্রাণিসম্পদ খামার দিবস” অনুষ্ঠিত হয়।

উক্ত প্রাণীসম্পদ খামার দিবসে গরু মোটাতাজা করণের উপকারিতা, কিভাবে অল্প খরচে গরু মোটাতাজা করা যায়, গরু মোটাতাজা করণের জন্য গরু সুষম খাদ্য ব্যাবস্তাপনা কিভাবে করতে হয়, গরু মোটাতাজা করণের চ্যালেঞ্জ সমূহ সহ ইত্যাদি আনুষঙ্গিক বিষয়ে খামারিদের অবহিত করা হয়। এছাড়াও গবাদিপশু পালেনের উপকারিতা, এর বিভিন্ন সংক্রামক রোগ (এফএমডি, তড়কা, এলএসডি) ও তার প্রতিকার, নিয়মিত কৃমিনাশক প্রদানের উপকারিতা, এন্টিবায়োটিকের যথাযথ ব্যাবহার রোধ,এফএমডি, তড়কা রোগের ভ্যাকসিন প্রদানের উপকারিতা সহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে গঠনমূলক আলোচনা করা হয়।
এসময় খামারিদের সংস্থার চলমান বিভিন্ন সেবামূলক ও সমন্বিত কৃষি ইউনিটের চলমান বিভিন্ন প্রদর্শনী সম্পর্কে অবহিত করা হয়।

এসময় উপস্থিত খামারিদের মধ্যে মোছাঃ শাহানাজ খাতুন নামে একজন খামারি জানান তিনি ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে পলাশীপাড়া সমাজ কল্যান সমিতি থেকে ব্যায় সাশ্রয়ী পদ্ধতিতে বিফ ক্যাটল ফ্যাটেনিং এর উপর একটি প্রদর্শনী পেয়েছেন। এর দ্বারা ব্যায় সাশ্রয়ী পদ্ধতিতে গরু পালনের পাশাপাশি কেঁচো সার উৎপাদনের মাধ্যমে আগের থেকে অধিক লাভবান হবেন বলে তিনি আাশাবাদ ব্যাক্ত করেন। উক্ত খামার দিবসে রিসোর্স পারসন হিসাবে উপস্থিত ছিলেন পলাশীপাড়া সমাজ কল্যাণ সমিতির সমন্বিত কৃষি ইউনিটের কর্মকর্তা ও উপসহকারী কর্মকর্তা বৃন্দ।




ঝিনাইদহে ভিক্ষুক পুনর্বাসনের লক্ষ্যে মুদি ও চা দোকানিদের উপকরণ প্রদান

ঝিনাইদহে ভিক্ষুক পুনর্বাসন ও বিকল্প কর্মসংস্থান শীর্ষক বাস্তবায়ন কর্মসূচির আওতায় উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয় ও সদর উপজেলা প্রশাসনের বাস্তবায়নে মুদি এবং চা দোকানসহ উপকরণ প্রদান করা হয়েছে।

আজ সোমবার সকালে সদর উপজেলার ঘোড়শাল ইউনিয়নের পূর্ব তেঁতুলবাড়িয়া গ্রামের কলিম উদ্দিন নামের এক ভিক্ষুককে এ উপকরণ প্রদান করা হয়। এ উপলক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

আলোচনা সভায় ঘোড়শাল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পারভেজ মাসুদ লিলটনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাদিয়া জেরিন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা সমাজসেবা অফিসার আব্দুল হাই সিদ্দিক, সদর উপজেলা সহকারী প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকতা হাসিবুর রহমান, ঘোড়শাল ইউনিয়ন পরিষদের সচিব প্রতাপ আদিত্য বিশ্বাসসহ এলাকার গণ্যমাণ্য ব্যাক্তিবর্গ।

ভিক্ষুক কলিম উদ্দিন মুদি এবং চা দোকানসহ উপকরণ পেয়ে খুশিতে আত্মহারা হয়ে বলেন, আমি গ্রামে গ্রামে ঘুরে আগে ভিক্ষা বৃত্তি করতাম। তাই আমার কাছে মনে হয়েছে এটা অনেক কষ্ট দায়ক এবং লজ্জাদায়ক পেশা। আমার এ কষ্ট লাঘবে ঘোড়শাল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, উপজেলা সমাজসেবা অফিসার ও সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এর একান্ত প্রচেষ্টায় প্রধাণ মন্ত্রীর উপহার পেয়েছি। তাই আমি আজ থেকে আর কোন দিন ভিক্ষা বৃত্তি করবো না বলে অঙ্গিকার করছি।