কৃষিবান্ধব বর্তমান সরকার

বর্তমান সরকার কৃষি বান্ধব সরকার। ২০০৮ সালে সরকার গঠনের পর কৃষি ও কৃষকের কথা চিন্তা করে ১৭ জানুয়ারী ২০১০ সালে কোনো ঝামেলা ছাড়াই সরকারি ভর্তুকি পেতে কৃষকদের ১০ টাকা প্রারম্ভিক জমা দিয়ে ব্যাংক হিসাব খোলার অনুমতি দিতে রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ও বিশেষায়িত ব্যাংকগুলোকে বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমে সরকার বিশেষ নির্দেশনা প্রদান করে। সেক্ষেত্রে বিশেষ ভাবে উল্লেখ করা হয় যে, কৃষকদের অ্যাকাউন্টের ক্ষেত্রে ন্যূনতম ব্যালেন্স রাখার শর্তটি অবশ্যই বাতিল করতে হবে এবং তাদের পরিষেবার জন্যও কোনো ধরনের ফিও নেওয়া হবে না। এরই ধারাবাহিকতায় কৃষকদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া লক্ষ্য করা যায় এবং কৃষকদের আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সাথে সরাসরি যোগযোগ প্রতিষ্ঠিত হয় এবং কৃষকরা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে কৃষিঋণ প্রপ্তির ফলে কৃষিতে ব্যাপক বিপ্লব সাধিত হয়। তার ফলে গ্রামীণ ক্ষুদ্র, প্রান্তিক ও ভূমিহীন কৃষকেরা গ্রামীণ মহাজনের নিকট হতে উচ্চহারে দাদনের হাত থেকে মুক্তি পায়।

যে কোনো কৃষক জাতীয় পরিচয়পত্র বা জন্ম নিবন্ধন সনদ বা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কর্তৃক প্রদত্ত কার্ড দেখিয়ে এ জাতীয় অ্যাকাউন্ট খুলতে পারেন। কৃষক সম্প্রদায় যাতে সরকারের দেওয়া ভর্তুকি সহজে পেতে পারে সেজন্য সরকার এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। বর্তমানে সরকার সার, বিদ্যুৎ ও ডিজেলে বিশেষ ভর্তুকি দিচ্ছে। যাতে কৃষকরা স্বল্প খরচে তাদের কৃষি পন্য উৎপাদন অব্যাহত রাখতে পারে এবং এর মাধ্যমে দেশের খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা বিধানে কার্যকরী ভূমিকা রাখতে পারে। বর্তমান সরকার কৃষি সরঞ্জামে ভর্তুকি দেওয়ার মাধ্যমে কৃষকদের উৎপাদিত ফসল স্বল্প খরচে জনগনের দোরগাড়ায় পৌছে দেওয়ার জন্য বিশেষ ভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

শেখ হাসিনার সরকার কৃষককে মাত্র ১০ টাকায় ব্যাংক হিসাব খোলার সুযোগ করে দেওয়ায় ১ কোটি ১ লক্ষ ১৯ হাজার ৫৪৮টি ব্যাংক হিসাব খোলা সম্ভব হয়েছে, যেখানে বর্তমান স্থিতি প্রায় ২৮২ কোটি টাকা। দেশের মানুষ শতভাগ বিদ্যুতের আওয়ায় আসায় সেচ ব্যবস্থা নিয়মিত হয়েছে। সেচ মৌসুমে প্রান্তিক অঞ্চলে বিদ্যুতের নিরবিচ্ছিন্ন সরবরাহে সরকারের পক্ষ থেকে মনিটরিং সেল খোলা হয়েছে।

কিন্তু বর্তমানে কৃষিকাজে নিয়োজিত জনসংখ্যার মধ্যে ব্যাপক দারিদ্র্যতা, কৃষি কার্যক্রমের জন্য প্রয়োজনীয় মূলধনের অভাব, কৃষকদের আর্থ-সামাজিক অবস্থা বিবেচনা করে উপযুক্ত প্রযুক্তির অপ্রতুলতা ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবজনিত কারনে বিভিন্ন ফসলের ফলন হ্রাসের ফলে কৃষিতে ব্যাপক চ্যালেঞ্জ পরিলক্ষিত হচ্ছে।

বাংলাদেশকে ভবিষ্যতে যেকোনো সংকট মোকাবেলার জন্য নিজেদেরকে প্রস্তুত থাকতে হবে ও যেকোনো সম্ভাব্য খাদ্য সংকট এড়াতে নিজস্ব কৃষি ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে এবং “তাই এক ইঞ্চি জমিও অনাবাদি রাখা উচিত নয়” প্রধানমন্ত্রীর এই শ্লোগানকে সামনে রেখে কৃষিখাতকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য কৃষকদেরকে সরাসরি সার, বীজ, কীটনাশক ও সর্বোপরি জ্বালানীতে সরাসরি ভর্তুকি প্রদানের মাধ্যমে সেচ ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।

বৈশ্বিক সংকটের কারণে আমাদের সোনার বাংলাদেশ যাতে কোনো সমস্যার সম্মুখীন না হয়, সেজন্য কৃষিখাতকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিতে হবে এবং দেশের মানুষের খাদ্য ও পুষ্টির চাহিদা নিরসনকল্পে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। যাহাতে খাদ্য উৎপাদনে স্বনির্ভর হতে প্রত্যেকে নিজ নিজ অবস্থান হতে অগ্রনী ভূমিকা পালন করতে পারে।

‘এক ইঞ্চি জমিও অনাবাদি থাকবে না’

বর্তমান সরকার টানা তিন মেয়াদে ক্ষমতায় থাকায় দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থার আমূল উন্নতি সাধিত হয়েছে। যা কৃষি এবং ক্ষুদ্র, প্রান্তিক ও ভূমিহীন কৃষকের জীবনমান উন্নয়নে ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে। পন্য পরিবহন অধিকতর সহজ লভ্য হয়েছে। ফলে কৃ্ষক তার উৎপাদিত ফসলের ন্যায্য দাম পাচ্ছেন ও কৃষিকাজে আগ্রহী হচ্ছেন।

বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার কৃষি যান্ত্রিকীকরণে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছে। ফলে সারাদেশে কৃষি জমি চাষে ৯০%, আগাছা দমনে ৬৫%, কীটনাশক প্রয়োগে ৮০%, সেচকার্যে ৯৫% এবং ফসল মাড়াইয়ের কাজে ৭০% যান্ত্রিকীকরণ সম্ভব হয়েছে। বর্তমান সরকারের আরেকটি বড় সাফল্য হলো কৃষি গবেষণাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়া। এর ফলে প্রতিটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণা ইনস্টিটিউটে গবেষণার মাধ্যমে নতুন ফসলের জাত উদ্ভাবনের ফলে কৃষি উৎপাদনে বিশ্বে প্রাথমিক কৃষি পণ্য (শুধুমাত্র ফসল) উৎপাদনে ১৪ তম স্থান অর্জন করেছে। দেশে প্রথমবারের মতো ডিজিটাল কৃষি তথা ই-কৃষি’র প্রবর্তন করা হয়েছে । মোট ৪৯৯টি কৃষি তথ্য ও যোগাযোগ কেন্দ্র, কৃষি কল সেন্টার-১৬১২৩, কৃষি কমিউনিটি রেডিও, কৃষি তথ্য বাতায়ন তৈরি করা হয়েছে। ফলে দেশের প্রান্তিক কৃষকসমাজ সহজেই কৃষিখাতের আধুনিকায়নের সঙ্গে সম্পৃক্ত হতে পারছেন।

বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারীর মধ্যেও কৃষকের পাশে ছিল শেখ হাসিনার সরকার। করোনায় শ্রমিক সংকটে থাকা কৃষকদের জমির পাকা ধান যাতে ঘরে তুলতে সমস্যা না হয়, সে জন্য প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সারাদেশে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা স্বেচ্ছাশ্রমে কৃষকদের ধান কাটতে সহায়তা দেন। কৃষকদের জন্য পাঁচ হাজার কোটি টাকার পুনঃঅর্থায়ন স্কিম গঠন করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এ তহবিল থেকে সহজ শর্তে ৪ শতাংশ সুদে ঋণ নিতে পেরেছিলেন কৃষক। করোনার সময়ে সারের ভর্তুকি বাবদ ৯ হাজার কোটি টাকা, কৃষি যান্ত্রিকীকরণের জন্য ১০০ কোটি টাকা, বীজের জন্য ১৫০ কোটি টাকা এবং কৃষকদের জন্য আরও ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছিল।

একইসাথে দেশের বেকার যুব সমাজকে কৃষিতে উৎসাহিত করতে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের অধীনে কৃষি বিষয়ক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। ন্যূনতম ৮ম শ্রেণি পাশ যেকোন যুবক এ প্রশিক্ষণে অংশ নিতে পেরেছেন। অংশগ্রহণকারীদের প্রত্যেককে মাসিক চার হাজার পাঁচশত টাকা প্রশিক্ষণ ভাতা দেয়ার ব্যবস্থা রয়েছে।

বর্তমান সরকারের সময়োপযোগী পাঁচ বছরের উদ্যোগ (আমদানি নির্ভরতা কমাতে) গুরুত্বের সঙ্গে বাস্তবায়ন করতে হবে। এই উদ্যোগ বাস্তবায়িত করতে পারলে আমরা আরও অনেক ফসলের মাথাপিছু ব্যবহারের ক্ষেত্রে শীর্ষ দশে প্রবেশ করতে পারব। আমাদের কৃষির এই ‍উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে হবে এবং এর জন্য আমাদের সকলকেই নিরলসভাবে কাজ করে যেতে হবে যাহাতে পুনরায় বর্তমান শেখ হাসিনা সরকার ক্ষমতায় আসতে পারে এবং কৃষি ও কৃষকের ভাগ্য উন্নয়নে পূর্বের ন্যায় ভবিষ্যতেও কাজ করে যেতে পারে। স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানে কৃষকদেরকেও স্মার্ট কৃষক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। ২০৪১ সালের মধ্যে সুখী, সম্বৃদ্ধি ও উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মানে আমাদের আমদানী নির্ভরতা কমিয়ে খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পুর্নতা অর্জনের দ্বারা বাংলাদেশের জনগণের খাদ্য ও পুষ্টির চাহিদা নিশ্চিত করতে হবে এবং বর্তমান কৃষিবান্ধব সরকারের কৃষি নীতিসমূহ যথাযথ অনুসরনের মাধ্যমে খোরপোশ কৃষিকে বানিজ্যিক কৃষিতে রুপান্তর করতে হবে।

লেখক: সাধারণ সম্পাদক, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি




কোটচাঁদপুরে পূজা মন্ডপে নগদ অর্থ ও বস্তু বিতরণে এমপি চঞ্চল

ঝিনাইদহে কোটচাঁদপুরে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড়ো উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে উপজেলার ৪৫ টি পূজা মন্ডপে বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার উপহার নগদ অর্থ ও ব্যক্তিগত তহবিল থেকে বস্তু বিতরণ করেছেন ঝিনাইদহ-৩ আসনের সাংসদ সদস্য এ্যাডঃ শফিকুল আজম খাঁন চঞ্চল।

আজ রবিবার (২২ অক্টোবর) সকাল থেকে রাত পর্যন্ত পূজা মণ্ডপ পরিদর্শন করেন তিনি।পূজামণ্ডপ পরিদর্শনকালে তিনি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন এবং সার্বিক বিষয়ে খোঁজ-খবর নেন। এ সময় তিনি বঙ্গবন্ধু কন্যার পক্ষ থেকে প্রতিটি মন্দিরে আর্থিক সহায়তা ও ব্যক্তিগত তহবিল থেকে বস্তু বিতরণ করেন।

সে সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাজান আলী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নূরুল ইসলাম খান বাবলু, সহ-সভাপতি ফারজেল হোসেন মন্ডল, সহ-সভাপতি লুৎফর রহমান, সাবেক উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মীর কাশেম, এলাঙ্গী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান খান, সাবেক কুশান ইউনিয়ন পরিষদের আব্দুল হান্নান, ইউপি সদস্য এনামুল হক, সেচ্ছাসেবক লীগ নেতা লিমন,ছাত্র লীগ নেতা, রাব্বি হাসান, প্রদীপ কুমার হালদার, ওবায়দুল হক, আল-আমীন, নয়ন,মানিক প্রমুখ।

এ সময় উপজেলা আওয়ামী লীগের সকল অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মী ও স্ব স্ব পূজা মন্ডপের সভাপতি সম্পাদক সহ নানা শ্রেণী পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।




প্রবাসী আয়ে ৫ শতাংশ প্রণোদনা, দুই দিনে রেমিট্যান্স ছাড়ের নির্দেশ

বৈধ চ্যানেলে রেমিট্যান্স বাড়াতে সরকার আগেই ২ দশমিক ৫ শতাংশ প্রণোদনা দিতো। এখন থেকে এর সঙ্গে যুক্ত হবে আরও ২ দশমিক ৫ শতাংশ। অর্থাৎ প্রবাসীরা এখন থেকে দেশে টাকা পাঠালে ৫ শতাংশ প্রণোদনা পাবেন। নতুন এই অতিরিক্ত ২ দশমিক ৫ শতাংশ দিবে ব্যাংকগুলো। অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি) ও বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ অথরাইজড ডিলারস অ্যাসোসিয়েশন (বাফেদা) গত শুক্রবার রাতে এক ভার্চুয়াল আলোচনায় এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আজ রবিবার (২২ অক্টোবর) থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে বলে জানিয়েছেন বাফেদা চেয়ারম্যান এবং সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও আফজাল করিম। সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, এতে ডলার প্রবাহ বাড়বে এবং ডলার সংকট কাটাতে উল্লেখযোগ্য ভুমিকা রাখবে। এছাড়া দুই দিনের মধ্যে রেমিট্যান্স ছাড় দিতে ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

২০১৯–২০ অর্থবছরে প্রথমবারের মতো রেমিট্যান্সে ২ শতাংশ হারে প্রণোদনা ঘোষণা করে আওয়ামীলীগ সরকার। এ সিদ্ধান্তের কারণে ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রবাসী আয় পাঠানোর পরিমাণ বেড়ে ২০১৯–২০ অর্থবছরে ১৮ দশমিক ২০ বিলিয়ন বা ১ হাজার ৮২০ কোটি ডলারে দাঁড়ায়, যা আগের অর্থবছরের তুলনায় প্রায় ১৩ শতাংশ বেশি। একইভাবে ২০২০–২১ অর্থবছরে রেমিট্যান্স এসেছে ২৪ দশমিক ৮০ বিলিয়ন ডলার, যা ২০১৯–২০ অর্থবছরের তুলনায় প্রায় ৩৬ শতাংশ বেশি।

ব্যাংক কর্মকর্তারা জানান, বেশি দামে প্রবাসী আয় কিনতে হচ্ছে রেমিট্যান্স হাউজগুলো থেকে। আবার নির্ধারিত দামে ডলারও মিলছে না। তাই ডলার সংকট কাটাতে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, প্রবাসী আয়ে ব্যাংকে ১ মার্কিন ডলারের বিপরীতে পাওয়া যায় ১১০ টাকা ৫০ পয়সা। তার উপর সরকার আড়াই শতাংশ প্রণোদনা দিত। এতে এক ডলারে পাওয়া যেত ১১৩ টাকা ২৬ পয়সার কিছু বেশি। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এখন ব্যাংকগুলো দেবে আরও ২ দশমিক ৫ শতাংশ প্রণোদনা। ফলে এখন থেকে প্রবাসীরা এক ডলারে পাবেন ১১৬ টাকার কিছু বেশি। ব্যাংক নিজস্ব আয় থেকে প্রবাসীদের ২ দশমিক ৫ শতাংশ প্রণোদনা দেবে। এটি আমদানিকারকদের থেকে নেওয়া হবে না।

অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের (এবিবি) চেয়ারম্যান ও ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সেলিম আর এফ হোসাইন বলেন, যাঁরা অবৈধ পয়সা দিয়ে ডলারের ব্যবসা করেন, তাঁদের নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। কারণ, ১৩০ টাকা ডলার রেট অফার করা হলে তাঁরা ১৪০ টাকায় কিনবে। এ জন্য হুন্ডির সঙ্গে ডলারের ফরমাল রেট মেলানোর কোনো যৌক্তিকতা নেই। তবে আশা করা যাচ্ছে, প্রণোদনা বাড়ার ফলে বৈধ পথে রেমিট্যান্স আসা বাড়বে। ডলার সংকট কাটাতে এই উদ্যোগ সুফল বয়ে আনবে।

এদিকে বিদেশ থেকে রেমিট্যান্স পাঠানোর দুই দিনের মধ্যে তা প্রাপকের হাতে পৌঁছে দিতে ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ২০১৪ সালে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ সংক্রান্ত বিধিমালা প্রণয়ন করে বলেছিল, ব্যাংকের মাধ্যমে রেমিট্যান্স পাঠানোকে উৎসাহিত করতে দুই দিনের মধ্যে রেমিট্যান্স ছেড়ে দিতে হবে। বাংলাদেশ ব্যাংক নোটিশে বলেছে, ‘সম্প্রতি লক্ষ্য করা গেছে যে এই নিয়ম মানা হচ্ছে না।’




একাদশ সংসদের যত অর্জন

চলতি একাদশ জাতীয় সংসদের মেয়াদ আগামী ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত হলেও শেষ হতে যাচ্ছে এর অধিবেশন পর্ব। চলতি সংসদের শেষ অধিবেশন বসছে আজ রবিবার (২২ অক্টোবর)। ৫ কার্যদিবস চলে আগামী ২৯ অক্টোবর এ অধিবেশনটি শেষ হওয়ার কথা। পুরো দুই বছরের মতো কোভিড মহামারির মধ্যে সীমিত পরিসরে চলার মধ্য দিয়ে এবারের সংসদ শেষ হচ্ছে।

করোনা ছিলো পুরো বিশ্বের জন্যই এক নতুন অভিজ্ঞতা। সেসময় মাত্র দেড় ঘণ্টায় একটি অধিবেশন শেষ করা হয়েছে, যা ছিল দেশের ইতিহাসে সংক্ষিপ্ততম সংসদ অধিবেশন। সংবিধানিক বাধ্যবাধকতায় নিয়মিত বিরতিতেই সংসদ অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়েছে। কিন্তু অনেকরকমের স্বাস্থ্যবিধি মেনে এসব করতে হয়েছে। এবারের সংসদে অতীতের মতো ওয়াকআউট ও বিরোধী দলের সংসদ বর্জনও হয়নি। নিয়মতান্ত্রিকভাবে প্রয়োজনীয় বেশকিছু আইন পাস হয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ৩০ জানুয়ারি যাত্রা শুরু করে এই জাতীয় সংসদ। করোনা মহামারির কারণে প্রায় দুই বছর এই সংসদের কার্যক্রম ছিল অনেকটাই সীমিত। নতুন অভিজ্ঞতার মধ্যে অন্যতম ছিলো অধিবেশনের শুরুতেই কোভিড টেস্টের বাধ্যবাধকতা। সর্বশেষ দুটি অধিবেশন ছাড়া করোনা পরবর্তী সবগুলো অধিবেশনেই সংসদ সদস্য, সংসদ সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও গণমাধ্যমকর্মীদের নিয়মিত কোভিড টেস্ট করেই সংসদ অধিবেশনে প্রবেশ করতে হয়েছে।

এবারের সংসদে দুটি বিশেষ অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়েছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী মুজিববর্ষ উপলক্ষে ২০২০ সালের ৮ নভেম্বর বসে বিশেষ অধিবেশন। এই অধিবেশনে বঙ্গবন্ধুর জীবনের নানা দিক নিয়ে ভাষণ দেন তৎকালিন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। সংসদ সদস্যরাও বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে আলোচনা করেন। বঙ্গবন্ধুকে সম্মান জানাতে অধিবেশনে একটি সাধারণ প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়।

সংসদের খরচের বিলের পরিমান নিয়ে প্রতিবেদন হয় প্রতিবছরই। এবার বিলের পরিমাণ ছিলো অনেক কম। করোনাকাল এবং পরবর্তী সময়গুলোকে সংসদ অধিবেশনের কার্যদিবস তুলনামূলক হওয়ার হওয়ার কারণে একাদশ সংসদ আগের দুটি সংসদের তুলনায় কম দিন চলছে। সেপ্টেম্বরে শেষ হওয়া সংসদের ২৪তম অধিবেশনের হিসাব অনুযায়ী সংসদের মোট কার্যদিবস হয়েছে ২৬২দিন। শেষ অধিবেশনে ৫ কার্যদিবস হলে সেটা দাঁড়াবে ২৬৭ দিনে।

এবার সর্বশেষ অধিবেশন পর্যন্ত ১৪০টি বিল পাস হয়েছে। সংসদ সচিবালয়ে আরো ২২টি বিল পেন্ডিং আছে। এর মধ্যে আর কোন বিল পাস হবে না বলে সংসদ সচিবালয় সূত্রে জানা গেছে। সব মিলিয়ে একাদশ সংসদে পাস হওয়া বিলের সংখ্যা প্রায় দেড়শ। এর আগে নবম সংসদে বিল পাস হয় ২৭১টি। আর দশম সংসদে বিল পাস হয়েছিল ১৯৩টি।

সংসদ সচিবালয় সূত্র জানায়, চলতি সংসদে এখন পর্যন্ত ১৪০টি বিল পাস হয়েছে। কিন্তু এসব বিল পাসে বেশির ভাগ সংসদ সদস্যের ভূমিকা ছিল ‘হ্যাঁ’- ‘না’ ভোট দেওয়ার মধ্যে সীমাবদ্ধ। বিএনপি সংসদে থাকাকালে দলটির ২/৩ জনসহ ১২-১৩ জন সংসদ সদস্য বিলের ওপর সংশোধনী প্রস্তাব আনতেন। বিএনপি পদত্যাগ করার পর এখন জাতীয় পার্টি, গণফোরাম ও স্বতন্ত্র মিলিয়ে ৮-১০ জন সংসদ সদস্য বিভিন্ন বিলের ওপর সংশোধনী এনে থাকেন। তবে এতে বিলের মৌলিক কোনও পরিবর্তন হয় না।

সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ১৪ সেপ্টেম্বর ২৪তম অধিবেশনের সমাপনী বক্তব্যে বলেছেন, ‘অক্টোবরে চলতি সংসদের আরেকটি অধিবেশন বসবে, সেটাই হবে শেষ অধিবেশন। এরপরই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে।’সংবিধান মোতাবেক সংসদের একটি অধিবেশন শেষ হওয়ার ৬০ দিনের মধ্যে পরবর্তী অধিবেশন ডাকার বাধ্যবাধকতা আছে। সংসদের ২৪তম অধিবেশন গত ৩ সেপ্টেম্বর শুরু হয়ে ১৪ সেপ্টেম্বর শেষ হয়। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের তফশিল কিংবা সাংবিধানিক সময়সীমার আগে ৬০ দিন সময় না থাকায় মাত্র ৩৭ দিনের মাথায় পরবর্তী (২৫তম) অধিবেশন ডাকেন রাষ্ট্রপতি।

প্রসঙ্গত, বিগত দশম সংসদের শেষ বৈঠক বসেছিল ২০১৮ সালের ২৯ অক্টোবর। ঐ বছরের ৮ নভেম্বর একাদশ সংসদ নির্বাচনের তফশিল ঘোষণা করেছিল নির্বাচন কমিশন এবং ৩০ ডিসেম্বর ভোটগ্রহণ হয়।




গণমুখী ইশতেহার আসছে আওয়ামী লীগের

কী থাকছে এবার আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে? এনিয়ে গত ২০ অক্টোবর শুক্রবার ছিল, দলটির ইশতেহার প্রণয়ন উপ-কমিটির কাছে সাধারণ মানুষের প্রস্তাব পাঠানোর শেষ দিন। কমিটির আহবায়ক, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এবং সংসদ সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক জানান, এরই মধ্যে বহু প্রস্তাব তাদের হাতে এসে পৌঁছেছে। এখন চলছে যাচাই বাছাই। এর আগে গত ৩রা অক্টোবর উপ-কিমিটির পক্ষ থেকে ইশতেহারের জন্যে প্রস্তাব চেয়ে একটি গণ বিজ্ঞপ্তিতে দেয়া হয়েছিল।

তৃণমূলের কাছ থেকে পরামর্শ চাওয়া প্রসঙ্গে ড. রাজ্জাক বলেন, গণমানুষের দল আওয়ামী লীগের ইশতেহার কেবলমাত্র একটি দলীয় ইশতেহার নয়। এটি প্রকৃত অর্থে গোটা জাতির ইশতেহার। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দেশের মানুষ আওয়ামী লীগের কাছ থেকে কী প্রত্যাশা করে সেটি আওয়ামী লীগের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এর আগে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ তার প্রতিটি নির্বাচনী ইশতিহারে জাতিকে প্রদত্ত প্রতিটি অঙ্গীকার শতভাগ প্রতিপালন করেছে। শুধু তাই নয়, আওয়ামী লীগের প্রতিটি ইশতেহারেই সরকারের নির্দিষ্ট মেয়াদের বাইরে দীর্ঘমেয়াদি নানা উন্নয়নের পথনকশা ছিল। এর প্রতিটিই অত্যন্ত সুচারুভাবে বাস্তবায়িত হয়েছে।

তবে, দলটির পক্ষ থেকে জানানো হচ্ছে, এবারের ইশতেহার হবে স্মার্ট এবং গণমুখী। তারা বলছেন, স্মার্ট বাংলাদেশের মাধ্যমে মানুষের কাছে আধুনিক প্রযুক্তি পৌঁছে দেওয়ার পাশাপাশি দৃশ্যমান যে উন্নয়নগুলো হয়েছে তার মাধ্যমে আগামী দিনে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা হবে। আগামী দিনের যুবসমাজের জন্য কর্মসংস্থানটাই হবে এবারের মূল প্রতিপাদ্য। স্মার্ট বাংলাদেশের লক্ষ্য হবে শিল্পকারখানা স্থাপন করে দেশি বিদেশি বিনিয়োগকারীদের নিয়ে শিল্পায়নকে ত্বরান্বিত করা এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা, মানুষের আয় বৃদ্ধি করা।

আওয়ামীলীগ গণমানুষের ইচ্ছার কথা জানতে আগ্রহী উল্লেখ করে আ্ওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার প্রণয়ন উপ-কমিটির সদস্য সচিব ড. সেলিম মাহমুদ জানান, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দেশের মানুষ আওয়ামী লীগের কাছ থেকে কী প্রত্যাশা করে সেটি গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনা করেই জনগণের মতামত চাওয়া হয়েছে ।

তিনি আরও জানান, আওয়ামী লীগ ২০০৮ সালের নির্বাচনে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার ইশতেহার দিয়েছিল। ২০১৪ সালে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইশতেহার ছিল “শান্তি, গণতন্ত্র, উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। সবশেষ ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে ‘সমৃদ্ধির অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ’ শীর্ষক ইশতেহার ঘোষণা করে আওয়ামী লীগ।

অত্যন্ত সফলতার সাথে ২০০৮ সালের নির্বাচনী ইশতেহার অনুযায়ী ডিজিটাল বাংলাদেশের বাস্তবায়ন করে আওয়ামী লীগ সরকার। সরকারি -বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান,আদালত,হাসপাতাল,ব্যবসায়িক কার্যক্রম সকল কিছুই আজ ডিজিটাল মাধ্যমে সম্পাদন হচ্ছে। এতে করে জনগণের ভোগান্তি যেমন কমেছে,একই সাথে উন্নত বিশ্বের সাথে সমান তালে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ ।

২০১৪ সালের নির্বাচনী ইশতেহার অনুযায়ী দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠায় পুরোপুরি সাফল্য দেখিয়েছে আওয়ামী লীগ সরকার। জঙ্গিবাদকে দমন করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এক্ষেত্রে সাহসী ভূমিকা পালন করেছে। বিএনপি-জামাত সৃষ্ট রাজনৈতিক সহিংসতা দমন করে দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠায় সফলতা দেখিয়েছে আওয়ামী লীগ ।পাশাপাশি গণতন্ত্র উন্নয়ন ও সমৃদ্ধিতে সফলতার সাথে কাজ করেছে। দলীয় সরকারের অধীনে গণতান্ত্রিক উপায়ে দেশের স্থানীয় নির্বাচনগুলোতে ভোটের অধিকার নিশ্চিত করেছে। ।

২০১৮ সালের নির্বাচনী ইশতেহার সমৃদ্ধির অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ অনুযায়ীও আওয়ামী লীগ সরকার কাজের মাধ্যমে ইশতেহারের পূর্ণতা দিয়েছে। পদ্মাসেতুর মত প্রকল্প দেশের অর্থায়নে বাস্তবায়ন ঘটিয়েছে আওয়ামী লীগ। পাশাপাশি মেট্রোরেল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কর্ণফুলী টানেল, বিমানবন্দরের ৩য় টার্মিনাল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, সারাদেশে অসংখ্য সড়ক-মহাসড়ক,সেতু,ওভারপাস নির্মাণ করে সমৃদ্ধ বাংলাদেশের বাস্তবায়ন করেছে আওয়ামী লীগ।

সেই সময় পেরিয়ে ডিজিটাল যুগের মধ্যেই স্মার্ট বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতি ধরে এগিয়ে চলার সময় এখন। সেই বিবেচনায় একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ‘গ্রাম হবে শহর’ স্লোগান থেকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলের মূল স্লোগান হবে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’।




আমাদের যতটুকু করার আমি করেছি: প্রধানমন্ত্রী

পূজা শান্তিপূর্ণভাবে হচ্ছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সবার আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে। আমি বলব, আমাদের যতটুকু করার আমি করেছি।

রবিবার (২২ অক্টোবর) দুপুরে শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে পূজামণ্ডপে ভক্তদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি জে এল ভৌমিক ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. চন্দ্রনাথ পোদ্দার উপস্থিত ছিলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের মানুষ সবসময় উদার মনের, তারাও সব সময় অসম্প্রদায় চেতনাকে বিশ্বাস করে। যে কারণে আজকে আমাদের স্লোগান, ধর্ম যার যার উৎসব সবার। সবাই আমরা ঠিকই এভাবে উৎসব পালন করে যাচ্ছি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ’৭৫ পর বাংলাদেশকে অসাম্প্রদায়িক চেতনা থেকে দূরে সরিয়ে নিয়ে গিয়েছিল। হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর অনেক অত্যাচার নির্যাতন হয়েছে। ’৯২, ২০০১ ও তার আগে বার বার আঘাত এসেছে। কিন্তু বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সবসময় আপনাদের পাশে ছিল, পাশে আছি।আমাদের যতটুকু করার আমি করেছি:

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সংবিধানে সব ধর্ম-বর্ণের সমান অধিকার নিশ্চিত করেছিলেন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সেখানে ধর্ম নিরপেক্ষ অর্থাৎ সব ধর্মের মানুষ যার যার ধর্ম সে সে পালন করবে সেটা নিশ্চিত করেছেন। কিন্তু ৭৫-এ জাতির পিতাকে হত্যার পর যারা ক্ষমতায় এসেছিল তারা অসাম্প্রদায়িক চেতনাকে ধ্বংস করে দিয়েছিল।’

শেখ হাসিনা বলেন, আমরা সবসময় বিশ্বাস করি, সবি ধর্ম বর্ণের মানুষ সমান অধিকার ভোগ করবে। আপনারা শান্তিপূর্ণভাবে পূজা শেষ করেন, সেটাই আমরা চাই। আইন-শৃঙ্খলা কর্মী থেকে শুরু করে আমাদের প্রত্যেক নেতারা থাকবে, যাতে কোনো ধরনের ঘটনা না ঘটতে পারে। সেদিকে আমরা সতর্ক থাকবো। আমরা চাই, আপনারা ভালোভাবে পূজা উদযাপন করেন।

তিনি আরও বলেন, এ মাটির সন্তান সবাই। এই মাটিতে নিজ নিজ অধিকার নিয়ে সবাই বাস করবেন। মহান মুক্তিযুদ্ধে সবাই একই যুদ্ধ করেছেন, এখানে সবার অধিকার রয়েছে। সে অধিকার যাতে সুপ্রতিষ্ঠিত থাকে আমরা সেই চেষ্টাই করি। আমরা চাইবো, আপনারও বাংলাদেশের জন্য আশীর্বাদ করুন।

বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা, এখন ঘরে ঘরে খাবার আছে, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ আছে, চিকিৎসা সেবা মানুষের কাছে আমরা দিয়ে দিচ্ছি, সারা বাংলাদেশে যে উন্নয়নের ছোঁয়া, এটা মানুষের কল্যাণেই আমাদের কাজ। মানুষের কল্যাণ করাটাই আমাদের একমাত্র দায়িত্ব।




বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণে সমৃদ্ধির পথে বাংলাদেশ

পদ্মা সেতুর স্বপ্ন জয়ের পর আরেকটি স্বপ্ন জয় করে মেট্রোর যুগে প্রবেশ করেছে দেশ। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র, এলএনজি টার্মিনাল ও গ্যাস পাইপলাইন প্রকল্প, মাতারবাড়ী বিদ্যুৎ কেন্দ্র, পায়রা গভীর সমুদ্র বন্দর, বঙ্গবন্ধু টানেলসহ বিভিন্ন মেগা প্রকল্পের কাজ এগিয়ে চলেছে।

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের বাংলাদেশ আজ বিশ্বে উন্নয়নের ‘বিস্ময়’ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, অবকাঠামো উন্নয়নসহ আর্থ-সামাজিক সব খাতে বাংলাদেশ অর্জন করেছে বিস্ময়কর অগ্রগতি। আর্থ-সামাজিক সব সূচকে বাংলাদেশ অনেকক্ষেত্রে তার দক্ষিণ এশিয়ার প্রতিবেশীদের থেকে এগিয়ে। যে বাংলাদেশের পরিচিতি ছিল বন্যা, খরা, দুর্ভিক্ষ আর হাড্ডি-কঙ্কালসার মানুষের দেশ হিসেবে, সেই বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের ‘রোল মডেল’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন বিশ্ব নেতৃবৃন্দ।
স্বাধীনতার মাত্র সাড়ে তিন বছরের মাথায় বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে যুদ্ধবিধ্বস্থ দেশকে পুর্নগঠন করে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে ৭ দশমিক ৪ শতাংশ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন করে সমৃদ্ধির পথে শুভযাত্রা শুরু করে তখনই বঙ্গবন্ধুসহ তার পরিবারের সব সদস্যকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। জাতির পিতার হত্যার মাধ্যমে স্তব্ধ হয়ে যায় উন্নয়ন ও অগ্রগতির চাকা। একই সঙ্গে নস্যাৎ হয়ে যায় স্বাধীনতা সংগ্রামের অর্জনগুলো।
একের পর এক সামরিক ক্যু, হত্যা, ষড়যন্ত্র, সম্পদের লুটপাট বাংলাদেশের সম্ভাবনাকে অঙ্কুরেই বিনষ্ট করে দেয়। সৌভাগ্যক্রমে বিদেশে থাকায় বেঁচে যান বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ও তার পরম স্নেহাস্পদ ছোটবোন শেখ রেহানা, যার হাত ধরে আজ বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়িয়েছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আজকের বাংলাদেশের ঈর্ষান্বিত সাফল্যে আমরা গর্বিত।
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ ২০১৫ সালে নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০১৮ সালে স্বল্পোন্নত থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের স্বীকৃতি পেয়েছে। ২০০৯ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত শেখ হাসিনা সরকারের উল্লেখযোগ্য অর্জনগুলোর মধ্যে রয়েছে-বিদ্যুতের উৎপাদন ক্ষমতা প্রায় ২০,০০০ মেগাওয়াটে উন্নীতকরণ; জাতীয় প্রবৃদ্ধির হার ৭.৮৬ শতাংশে উন্নীতকরণ; ভারত ও মিয়ানমারের সঙ্গে সমুদ্রসীমানা নিয়ে বিরোধের নিষ্পত্তি; প্রতিটি ইউনিয়নে ডিজিটাল সেন্টার স্থাপন; মাধ্যমিক পর্যায় পর্যন্ত সব শিক্ষার্থীর মধ্যে বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ; কৃষকদের জন্য কৃষিকার্ড এবং ১০ টাকায় ব্যাংক হিসাব খোলা; বিনা জামানতে বর্গাচাষীদের ঋণ প্রদান; চিকিৎসা সেবার জন্য সারাদেশে প্রায় সাড়ে ১৮ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক ও ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র স্থাপন; দারিদ্র্যের হার ২০০৫-০৬ সালের ৪১.৫ থেকে ২০১৭-২০১৮ বছরে ২১ শতাংশে হ্রাস; ভারতের সঙ্গে ছিটমহল বিনিময় ইত্যাদি।
আর্থ-সামাজিক সক্ষমতা অর্জনের ক্ষেত্রে আজকের বাংলাদেশ এখন এক বদলে যাওয়া বাংলাদেশ। আজকের বাংলাদেশ আর্থিক দিক থেকে যেমন শক্তিশালী, তেমনি মানসিকতার দিক থেকে অনেক বলীয়ান। পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ এখন পারমাণবিক ক্লাবের সদস্য। একইভাবে মহাকাশে বাংলাদেশের পতাকা-সংবলিত নিজস্ব স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের মাধ্যমে আমরা হয়েছি এলিট স্যাটেলাইট ক্লাবের সদস্য।
আজকের পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, বঙ্গবন্ধু টানেল একটি অতি প্রয়োজনীয় এবং আভিজাত্যের প্রতীক। বিশ্ব ব্যাংকের পরিসংখ্যান অনুসারে জিডিপি’র নিরিখে বাংলাদেশের অর্থনীতি বর্তমানে বিশ্বের মধ্যে ৪২তম এবং ক্রয়ক্ষমতার ভিত্তিতে ৩২তম। জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (Sustainable Development Goals) বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়/বিভাগের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তিতে SDG’র ১৬৯টি লক্ষ্যের আলোকে কৌশলগত উদ্দেশ্য, কর্মসম্পাদন সূচক এবং লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
২০০৮-০৯ থেকে ২০১৬-১৭ অর্থবছর পর্যন্ত আশ্রয়ণ-২ প্রকল্প এর মাধ্যমে ১৩৮৩.৮১ কোটি টাকা ব্যয়ে ৮৫০০ ব্যারাক নির্মাণ করে ৪৭,১০০টি পরিবার পুনর্বাসন করা হয়েছে। ৩৪,০০০ পুনর্বাসিত পরিবারকে পেশাভিত্তিক প্রশিক্ষণ প্রদান করে তাদের মধ্যে ৪৯.৯০ কোটি ঋণ প্রদান করা হয়েছে।
কৃষিক্ষেত্রে সময়োপযোগী পদক্ষেপের ফলে অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রায় এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। ধান উৎপাদনে বাংলাদেশ আজ বিশ্বে চতুর্থ, আম উৎপাদনে বাংলাদেশ বিশ্বে সপ্তম, সবজি উৎপাদনে বাংলাদেশ বিশ্বে তৃতীয় এবং খাদ্যশস্য উৎপাদনে বিশ্বে বাংলাদেশের স্থান দশম যার ফলে দেশ আজ দানাদার খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ।
লবণাক্ততা, খরা, জলমগ্নতা সহনশীল ও জিংকসমৃদ্ধ ধানসহ এই পর্যন্ত ধানের ১০৮টি উচ্চফলনশীল জাত উদ্ভাবন করা হয়েছে বর্তমান সরকারের আর্থিক সহযোগিতায়। ২০০৯ থেকে বিভিন্ন ফসলের ৫৮৪টি উচ্চফলনশীল নতুন নতুন জাত উদ্ভাবন করেছেন আমাদের কৃষিবিজ্ঞানীরা।
২০০৮-০৯ অর্থবছর থেকে অদ্যাবধি বিআরআরআই কর্তৃক ধানের ৩৫টি জাত, বিএআরআই কর্তৃক বিভিন্ন ফসলের ১৭০টি জাত, বিজেআরআই কর্তৃক পাটের ৯টি জাত, বিএসআরআই কর্তৃক ইক্ষুর ৮টি জাত ও সুগার বীটের ৪টি জাত, সিডিবি কর্তৃক তুলার ৭টি জাত এবং বিআইএনএ কর্তৃক বিভিন্ন ফসলের ৫৫টি জাত উদ্ভাবন করা হয়েছে।
জিএমও প্রযুক্তি ব্যবহার বিটি বেগুনের ৪টি জাত উদ্ভাবন ও সম্প্রসারণ করা হয়েছে। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে সামাজিক নিরাপত্তা ও উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব অবদান রেখে চলেছে।
২০০৮-০৯ অর্থবছরে বয়স্কভাতা ছিল জনপ্রতি মাসিক ২৫০ টাকা হারে এবং ২০ লক্ষ বয়স্ক ব্যক্তির জন্য বাজেট বরাদ্দ ছিল ছয়শ কোটি টাকা। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে তা বৃদ্ধি পেয়ে ৪০ লক্ষ বয়স্ক ব্যক্তির জন্য জনপ্রতি মাসিক ৫০০ টাকায় উন্নীত করা হয় তার জন্য ব্যয় হয় ২৪০০ কোটি টাকা এবং এই বয়স্কভাতার হার ও সংখ্যা আরও বৃদ্ধির পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে।
২০০৮-০৯ অর্থবছরে বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা ভাতা খাতে জনপ্রতি মাসিক ২৫০ টাকা হারে ৯ লাখ বিধবা, স্বামী নিগৃহীতা নারীর জন্য বাজেট বরাদ্দ ছিল ২৭০ কোটি টাকা। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে জনপ্রতি মাসিক ৫০০ টাকা হারে ১৪ লাখ মানুষের জন্য ব্যয় হয় ৮৪০ কোটি টাকা। ২০০৮-০৯ অর্থবছরে অসচ্ছল প্রতিবন্ধী ভাতা খাতে জনপ্রতি মাসিক ২৫০ টাকা হারে ২ লাখ প্রতিবন্ধী ব্যক্তির জন্য বাজেট বরাদ্দ ছিল ৬০ কোটি টাকা। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে মাথাপিছু মাসিক ৭০০ টাকা হারে ১০ লাখ মানুষের জন্য বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে ৮৪০ কোটি টাকা।
বর্তমান সরকারের দক্ষ নেতৃত্বে বিগত কয়েক বছরে বাংলাদেশের রপ্তানি আয় ১১ বিলিয়ন ডলার থেকে ৫২ বিলিয়ন ডলার বৃদ্ধি পেয়েছে। ক্রমবর্ধমান বিনিয়োগ, রপ্তানি ও বিদেশে কর্মসংস্থানের ফলে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২০০৫ সালে ছিল ৩ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার, এখন তা ৪০ বিলিয়ন হয়েছে।
আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের অধীনে সারাদেশের গৃহহীন ও আশ্রয়হীন পরিবারের জন্য নির্মিত ঘরের মতো বেদে সম্প্রদায়ের জন্য ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে। ২০০৬ সালে উপবৃত্তি প্রাপ্ত বেদে জনগোষ্ঠীর সংখ্যা ছিল ০ (শূন্য) জন। বর্তমান সরকারের সময়ে তা দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৯৯৮। এই প্রকল্পের আওতায় এই পর্যন্ত প্রায় ৮ লাখ ৪০ হাজার পরিবারের প্রায় ৫০ লাখ মানুষকে বিনামূল্যে জমি ও ঘর বিতরণ করা হয়।
পরাধীনতার ২৩ বছরের অত্যাচার, নির্যাতন এবং যৌবনের ৪ হাজার ৬৮২ দিন কারাভোগ করে বঙ্গবন্ধু যে স্বাধীনতা এনে দিয়েছিলেন তা র্পূণতা এনে দেওয়ার সুযোগ স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি দেয়নি। হত্যার নিশানা থেকে বেঁচে যাওয়া বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা বাবার অসমাপ্ত কাজ পূর্ণতা দেওয়ার জন্য দায়িত্ব নেন। কিন্তু তারও এপথ মসৃণ নয়। ১৯ বার হত্যা চেষ্টার পরও শেখ হাসিনা বেঁচে আছেন এবং সরকার গঠন করে নেতৃত্ব দিচ্ছেন বলেই দ্রুত সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। কিন্তু এই এগিয়ে যাওয়া আবার থামিয়ে দিতে চায় জাতির পতাকা খামচে ধরে থাকা সেই সে পুরোনো শকুন। এবারের নির্বাচনী ডামাডোলে সেই পরাজিত শক্তি আবার একত্রিত হয়েছে। সিদ্ধান্ত নিতে ভুল হলে যে মূল্য দিতে হবে তা কি আর পূরণ হবে?

ফার্মাকোলজি এন্ড টক্সিকোলজি বিভাগ সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট-৩১০০।




মঞ্চে কাঁদলেন পপ তারকা ম্যাডোনা

সুস্থ্ হয়ে দীর্ঘদিন পর মঞ্চে ফিরলেন মার্কিন পপ তারকা ম্যাডোনা। লন্ডনের এরিনায়তার সেলিব্রেশন ট্যুরের কনসার্টে নাচে-গানে মাতালেন দর্শকে-শ্রোতাদের। গানে গানে দর্শককে বিনোদন দিলেও কাঁদছে তার মন। আর তার এই মনের কষ্ট উগড়ে দিলেন মঞ্চেই। কেঁদে কেঁদে বললেন, ‘আমাদের মনে রাখতে হবে আমরা এখনো মানুষ। আমরা আমাদের মানবিকতাকে হারাতে পারি না।’ খবর দ্যা গার্ডিয়ানের।

কেন তিনি এই কথা বললেন। সেই ব্যাখ্যাও তিনি দিয়েছেন। ফিলিসিনের গাজা উপত্যকায় চলছে ইসরাইলি বাহিনির বর্বর হামলা। তাদের এই নৃশংসতা থেকে মুক্তি পাচ্ছে না শিশুরাও। প্রতিদিনই প্রাণ হারাচ্ছেন অসংখ্য নারী ও শিশু। শিশুদের ওপর এই নৃশংশতা ভাবিয়ে তুলেছে এই সংগীতশিল্পীকে। মঞ্চেই এই ঘটনায় শোক প্রকাশ করেন এবং জানান প্রতিবাদের কথা।

অশ্রুশিক্ত চোখে ম্যাডোনা বলেন, ‘আমি সামাজিক মাধ্যমে এলে আমার খুব খারাপ লাগে। মানুষ কীভাবে এত নিষ্ঠুর হতে পারে?’ ইসরাইল-হামাসের এই সংঘাত নিয়ে তিনি আরও বলেন, এই যুদ্ধ হৃদয়বিদারক। আমি আর নিতে পারছি না। চারদিকে শিশুদের অপহরণ করা হচ্ছে, মোটরসাইকেল থেকে নামানো হচ্ছে; শিশুদের শিরশ্ছেদ করা হচ্ছে, শান্তিতে থাকা শিশুদের গুলি করে হত্যা করা হচ্ছে। এত নিষ্ঠুরতা ভাবলেই ভয়ে কাঁপছি। মানুষ কিভাবে একে অপরের প্রতি এত নিষ্ঠুর হতে পারে।’

তিনি এই ধরনের কর্মকাণ্ডকে একটি ঘৃণ্য অপরাধ হিসেবে মনে করেন। ম্যাডোনার মতে, যুদ্ধ কোনো সমস্যার সমাধান নয়।




ঝিনাইদহে জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস পালিত

“আইন মেনে সড়কে চলি, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলি” এই প্রতিপাদ্য সামনে রেখে ঝিনাইদহে জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস পালিত হয়েছে।

আজ রোববার সকালে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন (বিআরটিএ’র) আয়োজনে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে থেকে একটি র‌্যালি বের করা হয়। র‌্যালিটি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে একই স্থানে গিয়ে শেষ হয়।

পরে বিআরটিএ মিলনাতায়নে আলোচনা সভায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সালমা সেলিম এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক এস. এম রফিকুল ইসলাম।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক ইয়ারুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আরিফুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) খালিদ হাসান, সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৈশলি আনোয়ার পারভেজ, জেলা তথ্য অফিসার আবু বকর সিদ্দিক, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাদিয়া জেরিন, সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শারমিন আক্তার সুমী, বিআরটিএ সহকারী পরিচালক আতিয়ার রহমান, মোটরযান পরিদর্শক এস এম সবুজ, হাইওয়ে পুলিশের আরাপপুর থানার (ওসি) মিজানুর রহমান, ট্রাফিক ইন্সপেক্টর গোলাম মোর্শেদ সহ অন্যান্যরা।

বক্তরা, প্রশিক্ষিত ও দক্ষ চালক ছাড়া সড়কে গাড়ি না চালাতে পরামর্শ দেন। এমনকি সড়কে দুর্ঘটনা কমাতে চালকদের আইন মেনে গাড়ি চালাতে ও সচেতন হওয়ার আহবান জানান।

অপরদিকে ঝিনাইদহ-কুষ্টিয়া মহাসড়কের আরাপপুর ও ক্যাডেট কলেজের সামনে জেলা পুলিশ সুপার আজিম-উল-আহসান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এসএম. রাজু আহমেদ, বিআরটিএ, ট্রাফিক ও হাইওয়ে পুলিশের কর্মকর্তারা চালকদের সচেতন করতে লিফলেট বিতরণ করেন ও মিষ্টি খাওয়ান।




ঢাকায় নিয়োগ দেবে শপআপ

নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে শপআপ। প্রতিষ্ঠানটিতে অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার পদে নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহী যোগ্য প্রার্থীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন।

পদের নাম

অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার।

শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা

প্রার্থীকে স্নাতকোত্তর/স্নাতক (ইইই/সিএসই/আইটি/ইসিই/ইটিই) হতে হবে।

কর্মস্থল

ঢাকা।

বেতন

আলোচনা সাপেক্ষে।

আবেদন প্রক্রিয়া

প্রার্থীরা বিডিজবস অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন।

আবেদনের শেষ তারিখ

২৭ অক্টোবর ২০২৩

সূত্র : বিডিজবস