ম্যাকবুককে টেক্কা দেবে কোয়ালকম

সম্প্রতি অ্যাপল ম্যাকবুক এমথ্রি বের হওয়ার পর থেকেই মাইক্রোসফট ব্যবহারকারীদের আফসোস বেড়ে চলেছে। দীর্ঘদিন কোম্পানিটির তরফে তারা একটি পূর্নাঙ্গ মাইক্রোসফট ডিভাইস চাচ্ছিল। সে দৌড়ে অ্যাপলের সঙ্গে প্রতিযোগীতায় কোয়ালকম। মোবাইলের বাজারের পাশাপাশি তারা পিসি চিপেও কাজ করছে।

চলতি বছর অক্টোবরে কোয়ালকম স্ন্যাপড্রাগন সামিটে বলা হয়েছে, এবার কোয়ালকমের পিসি চিপ অ্যাপলকেও টেক্কা দেবে।

কোয়ালকমের পিসি চিপের সবচেয়ে বড় সুবিধা চিপটিতে জেনারেটিভ এআই রয়েছে। ফলে প্রসেসরটি লোকালি ডাটা প্রসেস করতে পারে ও ব্যবহারকারীদের অভিজ্ঞতা সমৃদ্ধ করবে। কোয়ালকম এবারই যে প্রথম এই প্রচেষ্টা করছে তা কিন্তু নয়। তাই কোয়ালকমের সাফল্য নিয়ে অনেকের মনে সন্দেহ থাকতেই পারে। কোয়ালকমের বিশ্বাস এবার তারা জেনারেটিভ এআই ব্যবহারের মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের অভিজ্ঞতা আরও ভালো করবে। ২০২৪ সাল নাগাদ তারা এক্স-এলিট সিরিজের ল্যাপটপের মাধ্যমে অ্যাপল ম্যাকবুক এমটুকে টেক্কা দেওয়ার কাজেও নামবে।

সূত্র: সিনেট




নিউজিল্যান্ড সিরিজ থেকে ছিটকে গেলেন তাসকিন

চলমান বিশ্বকাপ শুরু থেকেই নিজেকে মেলে ধরতে পারেনি পেসার তাসকিন আহমেদ। বিশ্বকাপের মাঝ পথে কাঁধের চোটে পরে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ খেলতে পারেনি এই পেসার। আর চোটের কারণে এবার আসন্ন নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজ থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন তাসকিন।

মূলত মাসেল টিয়ারের সমস্যায় ভুগছেন তাসকিন। তাই ঝুঁকি না নিয়ে আসন্ন টেস্ট সিরিজ থেকে বিশ্রাম নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। শনিবার (১১ নভেম্বর) অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচ শেষে গণমাধ্যমকে তাসকিন নিজেই বিষয়টি জানিয়েছেন।

চলতি মাসের ২৮ নভেম্বর সিলেটে সিরিজের প্রথম টেস্টে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। এরপর ৬ ডিসেম্বর ঢাকায় হবে দ্বিতীয় টেস্ট। সিরিজের আগে অবশ্য দুই দিনের একটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ ও নিউজিল্যান্ড দল।

সূত্র: ইত্তেফাক




কাজ শেষ হয়নি, মেহেরপুর হাসপাতালের ভবন উদ্বোধন আজ

নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার আগেই মেহেরপুর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের ১১ তলা ভবনের উদ্বোধন আজ (১২ নভেম্বর) রবিবার।

জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ও মেহেরপুর-১ আসনের এমপি ফরহাদ হোসেন আজ বিকাল ৩টায় এ ভবন উদ্বোধন করবেন। জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার ঠিক আগ মুহুর্তে তড়িঘড়ি করে এ উদ্বোধনকে ঘিরে চলছে অসন্তোষ ও সমালোচনা।

১১ তলা ভবনের সবে মাত্র ভৌত অবকাঠামো নির্মাণ শেষ হয় ৬ তলার। ৭ম ও ৮ম তলার কাজ চলমান। বাকি ৯ম, ১০ম ও এগারো তলার কোন কাজের টেণ্ডার এখনো হয়নি। যে ৬ তলার কাজ শেষ হয়েছে। সেখানে এখন পর্যন্ত আসেনি কোন আসবাবপত্র কিংবা হাসপাতালের যন্ত্রাংশ।
গতকাল শনিবার দুপুর ১২টার দিকে হাসপাতালের নতুন ভবন পরিদর্শন করে এসব চিত্র দেখা গেছে। উদ্বোধনের জন্য তড়িঘড়ি করে উদ্বোধন ফলক সাটানো হয়েছে। সেখানে দৃষ্টিনন্দনের কাজ চলছে। ভবনে ওঠানামা করার জন্য র‌্যাম্প সিড়ি, সাধারণ সিড়ি নির্মাণ করা হয়েছে। চারটি লিফট স্থানের স্থান নির্ধারণ করা আছে এর মধ্যে পশ্চিম পাশে দুটি স্থাপনের কাজ চলছে। পূর্ব পাশে দুটি লিফটের স্থান ফাকা রয়েছে। ভবন উদ্বোধন করার পর সেখানে লোকজনের আনাগোনা শুরু হলে দুর্ঘটনা সম্ভাবনা রয়েছে।

হাসপাতালের ৭ম তলায় কাজ করছেন জাকাউল্লাহ এন্ড ব্রাদার্স নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। ওই প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার কোরবান আলী জানান, আমরা ৭ম তলায় কাজ করছি। ৭ম তলার কাজ শেষ করতে এখনো দুই মাসের অধিক সময় লাগবে।

ভবনের স্যানিটারি, পানিসহ অন্যান্য ফিটিংসের কাজ করেছেন জাহাঙ্গীর হোসেন নামের এক মিস্ত্রি। তিনি বলেন, ৬ তলা পর্যন্ত প্লাম্বিং, স্যানিটারি, ইলেকট্রিকসহ ফিটিংসের সকল কাজ শেষ হয়েছে। সাত তলা ও আট তলায় প্লাস্টারের কাজ চলছে। কনস্ট্রাকশনের কাজ শেষ হলে আমরা ওই সকল ফ্লোরগুলোতে কাজ শুরু করবো।

হাসপাতাল এলাকার কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান, নির্বাচনের আগে তড়িঘড়ি করে এ ভবন উদ্বোধন করছেন প্রতিমন্ত্রী সাহেব। যে ভবনের কাজ এখনো ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ কাজ বাকি রয়েছে। মানুষের সাথে তিনি উন্নয়নের নামে প্রতারণা করছেন। ২০১৮ সালে শুরু হওয়া কাজ তিনি দ্রুত করার নির্দেশ দিতে পারতেন অথবা তদারকি করে দ্রত কাজ শেষ করে উদ্বোধন করতে পারতেন। তাহলে মেহেরপুরবাসী উপকৃত হতো।
এ ব্যাপারে মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আব্দুল মান্নান বলেন, উনি (প্রতিমন্ত্রী) উনার নামটা রেখে যেতে চাচ্ছেন। এটা তদারকি করে অনেক আগেই নির্মাণ কাজ শেষ করাতে পারতেন। মনোনয়ন টিকিয়ে রাখার চেষ্টার অংশ হিসেবে তিনি তফসিল ঘোষণার আগে এ কাজ করছেন।

মেহেরপুর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. জমির মো: হাসিবুস সাত্তার বলেন, ১১ তলা বিশিষ্ট পুরো ভবনের জন্য বরাদ্দ রয়েছে ৭৫ কোটি টাকা। পুরো কাজ শেষ না হওয়ায় হাসপাতালকে এখনো ভবন হস্তান্তর করা হয়নি। কিন্তু প্রতিমন্ত্রী মহোদয়ের নির্দেশে ভবন উদ্বোধনের আনুষ্ঠানিকতা করতে হচ্ছে।

তিনি আরো জানান, নতুন ভবনের জন্য ইতোমধ্যে গণপূর্ত বিভাগে নির্দিষ্ট শাখায় আসবাবপত্র ও অন্যান্য সামগ্রীর চাহিদা পাঠানো হয়েছে। নতুন ভবনের জন্য কোন আসবাবপত্র আসেনি। ভবন উদ্বোধন হলে আপাতত বহির্বিভাগটা স্থানান্তর করার চিন্তাভাবনা করছি।

মেহেরপুর গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শম্ভুরাম পাল বলেন, ভবনটি ১১ তলা হলেও প্রকল্প পাশ হয়েছে ৮ তলার। বাকিটা দরপত্র এখনো হয়নি। ৮তলায় ৭৬ কোটি টাকা বরাদ্দ রয়েছে। ৬তলা পর্যন্ত সকল কাজ শেষ হয়েছে। হাসপাতালের যন্ত্রাংশ স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে আসবে। সেগুলো আসতে সময় লাগবে। তবে উদ্বোধন হলেও আমাদের কাজ করতে অসুবিধা হবে না। হাসপাতালের পুরাতন বেড ও আসবাব দিয়ে আপাতত সেখানে কাজ চালিয়ে নিতে পারবে।




দর্শনায় সুবিধাভোগিদের সাথে মতবিনিময় সভায় এমপি টগর

চুয়াডাঙ্গা ২ আসনে দর্শনা পৌরবাসির উদ্দগ্যে বর্তমান সরকারের সামাজিক সুরক্ষার আওতায় সুবিধাভোগি মানুষদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গতকাল শনিবার ১১ নভেম্বর সকাল ১১ টার সময় দর্শনা পৌরসভার উদ্দগ্যে দর্শনা পৌরসভার বিভিন্ন স্তরের সাধারন মানুষ সরকারী বিভিন্ন সুযোগ সুবিধাভোগীদের সাথে এ সভা অনুষ্টিত হয়। মাতৃত্বকালিন, প্রতিবন্ধি, বয়স্ক, বিধবা ভাতাসহ সকল ভাতার আওতায় থাকা অসহায় মানুষদের সাথে এ মতবিনিময় করেন চুয়াডাঙ্গা ২ আসনের বার বার নির্বাচিত সংসদ সদস্য আলী আজগর টগর।

এ সময় চুয়াডাঙ্গা ২ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য হাজী আলী আজগার টগর বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়নের রুপকার জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ আজ উন্নয়নের স্বর্ন শেখরে।জাতির জনকের স্বপ্ন পৃরনে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন তিনি।অবহেলিত এই জনপদের উন্নয়ন হয়েছে চোখে পড়ার মত।সারা বাংলাদেশসহ আমাদের এলাকায় রাস্তা ব্রীজ,কালভার্ট স্কুল, কলেজ,মাদ্রাসা মসজিদ, মন্দিরসহ বিভিন্ন প্রতিষ্টানে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। তাছাড়া বিধবা ভাতা,বয়স্কভাতা মাতৃকালীনভাতা, শিক্ষাভাতা, মুক্তিযোদ্ধাভাতা, প্রতিবন্ধিভাতাসহ পিছিয়ে পড়া মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে সরকার।

এ সব উন্নয়ন দেখে দিশেহারা হয়ে পড়েছে বিএনপি- জামাত,তারা অহেতুক অরাজকতা সৃষ্টি করে নির্বাচন বানচালসহ ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের পায়তারা করছে।একাত্তরের পরাজিত শক্তি জামাত ও বিএনপি যতই অরাজকতা সৃষ্টি করুক না কেন এদেশের জনগন তা শক্তহাতে প্রতিহত করবে।তাই আসুন দেশের উন্নয়ন অব্যহত রাখতে বিরোধী দলের অপশক্তিকে রুখে দিতে আবারো নৌকায় ভোট দিয়ে শেখ হাসিনা সরকার গঠনে সহায়তা করি।মনে রাখবেন দেশ ও মানুষের ভাগ্যে উন্নয়নে শেখ হাসিনা সরকারের কোন বিকল্প নেই।ভাতাভোগি প্রায় ৫ হাজার জন নারী পুরুষ উপস্থিত ছিলেন।

দামুড়হুদা নির্বাহী অফিসার রোকসানা মিতার সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা ২ আসনের সংসদ সদস্য আলী আজগর টগর, দামুড়হুদা উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম ,দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও দর্শনা পৌর আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আলী মুনসুর বাবু,দর্শনা পৌর সভার মেয়র আতিয়ার রহমান হাবু,দামুড়হুদা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হযরত আলী, দর্শনা পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা রুস্তম আলী,সহ সাভাপতি শফিকুল আলম,দামুড়হুদা উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আব্দুল হান্নান ছোট,সাবেক এডিএম শেখ শাহাবুদ্দিন,সাবেক পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম,কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি নাহিদ পারভেজ,সাধারন সম্পাদক তোফাজ্জেল হোসেন তপু,প্রমুখ।

অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেন দামুড়হুদা উপজেলা সমাজ সেবা অফিসার তোফাজ্জেল হোসেন।




চুয়াডাঙ্গার বেগমপুর ইউনিয়নে ৪০ দিনের কর্মসূচি কাজের উদ্বোধন

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বেগমপুর ইউনিয়নে ৪০ দিনের কর্মসূচি প্রকল্প কাজের উদ্বোধন করা হয়েছে।

গতকাল শনিবার সকালে ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর বাজারের ব্রীজের মুখ হতে কান্দির মাঠ অভিমুখে নতুন রাস্তা নির্মান কাজের উদ্বোধন করা হয়। ইউনিয়নের অতিদরিদ্রদের কর্মসংস্থানের ৪০ দিনের কর্মসূচি কাজের উদ্বোধন করেন ৫নং বেগমপুর ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান ৪ নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য জিল্লুর রহমান (জুলমত)।

এ কাজ উদ্বোধনে সময় উপস্থিত ছিলেন গ্রাম পুলিশ আমিরুল ইসলাম সহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।




জীবননগরে সুবিধাভোগিদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

ইউনিয়ন পর্যায়ে বর্তমান সরকারের সামাজিক সুরক্ষার আওতায় সুবিধাভোগি মানুষদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গতকাল শনিবার বিকাল ৩ টার সময় রায়পুর ইউনিয়ন পরিষদের আয়োজনে রায়পুর হাইস্কুল মাঠে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। রায়পুর ইউনিয়নের বিভিন্ন স্তরের সাধারণ মানুষ সরকারী বিভিন্ন সুযোগ সুবিধাভোগিদের সাথে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। মাতৃত্বকালিন, প্রতিবন্ধি, বয়স্ক, বিধবা ভাতাসহ সকল ভাতার আওতায় থাকা অসহায় মানুষদের সাথে এ মতবিনিময় করেন চুয়াডাঙ্গা ২ আসনের সংসদ সদস্য আলী আজগর টগর। ভাতাভোগি প্রায় ২ হাজার ৫শ জন নারী পুরুষ উপস্থিত ছিলেন।

জীবননগর উপজেলা নিবাহী অফিসার হাসিনা মমতাজের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা ২ আসনের সংসদ সদস্য আলী আজগর টগর।

এ সময় প্রধান অতিথি বলেন,আওয়ামীলীগ সরকার উন্নয়নের সরকার আওয়ামীলীগ সরকারের মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসলেই দেশে উন্নয়নমূলক কাজ হয়ে থাকে।আওয়ামীলীগ সরকার সব সময় দেশ ও দেশের মানুষের উন্নয়ন নিয়ে কাজ করে থাকে ।সমাজে পিছিয়ে পড়া মানুষের কথা বিগত সরকারের আমলে কোন দিন ভাবেনি কিন্তু মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে সমাজে যে সমস্থ পিছিয়ে পড়া মানুষ আছে তাদের জীবনমান উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছে এবং আগামিতেও করে যাবে।

জীবননগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী মোঃ হাফিজুর রহমান,জীবননগর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি গোলাম মোতুজা,জীবননগর পৌর সভার মেয়র মোঃ রফিকুল ইসলাম , দশনা পৌর সভার মেয়র আতিয়ার রহমান হাবু ,জীবননগর পৌর আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, ,রায়পুর ইউপি চেয়ারম্যান তাহাজ্জদ হোসেন মিজা প্রমুখ




দর্শনায় যুবলীগের প্রতিষ্টাবার্ষিকী পালিত

দর্শনায় যুবলীগের ৫১ তম প্রতিষ্টা বার্ষিকী পালিত হয়েছে। দামুড়হুদা উপজেলা ও দর্শনা পৌর যুবলীগের উদ্দগ্যে ৫১ তম প্রতিষ্টা বার্ষীকি পালিত হয়।

গতকাল শনিবার রাত ৯ টার দিকে দর্শনা পৌর আওয়ামীলীগের দলীয় কার্যলয়ে কেক কেটে অনুষ্টানের শুভ উদ্ধোধন করেন,দামুড়হুদা উপজেলা চেয়ারম্যান ও দর্শনা পৌর আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আলী মুনছুর বাবু,আওয়ামীলীগ নেতা বিল্লাল হোসেন,আজাদ হোসেন,দামুড়হুদা উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আব্দুল হান্নান ছোট,যুগ্ন সম্পাদক মান্নান খান,দর্শনা পৌর যুবলীগের সহ সভাপতি মামুন শাহ,আশরাফুল আলম।




আমাদের সোনালি আঁশ ও আগামীর অর্থনীতির সোপান

পাট বাংলাদেশের অন্যতম অর্থকরী ফসল। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার শাসনামলেই অনুধাবন করেছিলেন ‘পাটের গবেষণায় বিশেষ গুরুত্বারোপ এবং পাট উৎপাদনের হার বৃদ্ধি করা হলে জাতীয় অর্থনীতিতে পাট সম্পদ সময়োপযোগী ভূমিকা পালন করতে পারে’। বিশ্বব্যাপী আঁশ উৎপাদনকারী ফসল হিসেবে তুলার পরেই পাট ও পাট জাতীয় আঁশ ফসলের অবস্থান। বিশেষত, সোনালি আঁশ খ্যাত ‘পাট’-এর সঙ্গে বাঙালি সংস্কৃতির সম্পর্ক অনেক গভীর। বাঙালির অর্থনৈতিক মুক্তির হাতিয়ার হিসেবে পাটের ভূমিকা অপরিসীম। পরিবেশবান্ধব তন্তু (ফাইবার) হিসেবে পাটের চাষ ও পাট পণ্যের ব্যবহার দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে ব্যাপক আগ্রহের সৃষ্টি করেছে।

এই সম্ভাবনাকে সামনে রেখে বর্তমান সরকার পাটের হারানো গৌরব পুনরুদ্ধারে পাট পণ্যের ব্যবহার বৃদ্ধি ও বহুমুখী পাটজাত পণ্যের উদ্ভাবন এবং ব্যবহার সম্প্রসারণে বিশেষ গুরুত্বারোপ করেছে। জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার পাটজাত পণ্যকে ইতিমধ্যেই বর্ষপণ্য-২০২৩ এবং সোনালি আঁশ খ্যাত পাটকে কৃষিপণ্যের স্বীকৃতির ঘোষণা দিয়েছে। পাট একটি পরিবেশবান্ধব উদ্ভিদ যার পুরো অংশই ব্যবহারযোগ্য। বাংলাদেশে প্রধানত দেশি ও তোষা পাট এবং পাট জাতীয় আঁশ ফসল কেনাফ ও মেস্তা চাষ হয়ে থাকে, যা ১১০-১২০ দিন সময়ের মধ্যেই কাটা হয়। বর্তমানে দেশের প্রায় ৪৫ লক্ষ কৃষক পাট চাষে জড়িত।

আশির দশকে প্রায় ১০ লক্ষ হেক্টর জমিতে ৬০-৬৫ লক্ষ বেল (১ বেল = ১৮০ কেজি) পাট উৎপাদিত হতো। পরবর্তীতে ৯০-এর দশকে তা হ্রাস পেয়ে ৪৫ লক্ষ বেল-এ নেমে যায়। বর্তমান সরকার কর্তৃক গৃহীত কৃষি ও কৃষকবান্ধব পদক্ষেপের কারণে ২০১০ সালে ৭-৮ লক্ষ হেক্টর জমিতে প্রায় ৮০-৯০ লক্ষ বেল পাট উৎপাদিত হয়।

পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্যমতে, দেশের মোট রপ্তানি আয়ের প্রায় ০৪ শতাংশ আসে পাট ও পাটজাত পণ্য থেকে। এছাড়া পরোক্ষভাবে কৃষি পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার দিক বিবেচনায়, এক হেক্টর জমিতে পাট চাষ পরবর্তী প্রায় ৮ মেট্রিক টন জৈব পদার্থ মাটিতে যুক্ত হয় যা মাটির স্বাস্থ্য সংরক্ষণসহ উর্বরতা বৃদ্ধিতে বিশেষ ভূমিকা রাখে। ১৯৫১ সালে কৃষি মন্ত্রণালয়েরে উদ্যোগে ঢাকায় কেন্দ্রীয় পাট কমিটি গঠিত হয় এবং ১৯৫৭ সালে তেজগাঁওয়ে প্রতিষ্ঠিত হয় একটি পাট গবেষণা ইন্সটিটিউট। বর্তমানে ঢাকার শেরে-বাংলা নগরের মানিক মিয়া এভিনিউ-তে অবস্থিত এই গবেষণাগার বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইন্সটিটিউট (বিজেআরআই) নামে পরিচিত।

অদ্যাবধি, বিজেআরআই পাট ও পাট জাতীয় ফসলের ৫০টির উপরে জাত উদ্ভাবন করেছে। বাংলাদেশের প্রায় সব জেলায় পাট উৎপাদন হলেও ফরিদপুর, টাঙ্গাইল, যশোর, ঢাকা, সিরাজগঞ্জ, বগুড়া ও জামালপুরই প্রধান পাটচাষ অঞ্চল। সবচেয়ে বেশি পাট উৎপাদিত হয় ফরিদপুর জেলায়।

পাট ও পাট পণ্যের উন্নয়নে কাজ করা বিজেআরআই, জুট ডাইভারসিফিকেশান প্রমোশন সেন্টার (জেডিপিসি) ও বহুমুখী পাট পণ্য উৎপাদনকারী দেশীয় উদ্যোক্তাগণ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিভিন্ন প্রদর্শনী, মেলা, সেমিনার, সভা ও প্রচারণামূলক কার্যক্রমের মাধ্যমে বাংলার সেই পাট-কেন্দ্রিক কৃষি অর্থনীতির পূনর্জাগরণের স্বপ্ন দেখাচ্ছে।

বহুমুখী পাটপণ্য উৎপাদনকারী উদ্যোক্তারা দেশের শিল্পায়ন, কর্মসংস্থান ও রপ্তানি বৃদ্ধিতে বিশেষ ভূমিকা পালন করছে। এই পর্যন্ত ২৮২ ধরনের পরিবেশবান্ধব বহুমুখী পাট পণ্যের উৎপাদন ও এর ব্যবহারের মাধ্যমে একটি টেকসই পরিবর্তনের ঢেউ দেশ ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ছড়িয়ে পড়েছে। উল্লেখ্য, পাটের সোনালি আঁশ ও রুপালী কাঠি (পাটকাঠি) দুয়েরই রয়েছে অপার সম্ভাবনা। সোনালি আঁশ নামে পরিচিত বাংলাদেশের পাট পরিবেশবান্ধব এবং বহুমুখী ব্যবহারযোগ্য একটি আঁশ। এর প্রধান বৈশিষ্ট্য হচ্ছে অন্য অনেক আঁশের সঙ্গে ব্যবহার করা যায়।

পাটের বস্তা এখনো দেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ শিল্প। অন্য ব্যবহারের মধ্যে রয়েছে সুতা, পাকানো সুতা, চট, জিওটেক্সটাইল, কার্পেট ব্যাংকিং, কাগজ তৈরির পাল্প, কৃত্রিম রেয়ন, পর্দার কাপড়, কুশন কভার এবং গরম কাপড় তৈরির জন্য উলের সঙ্গে মিশিয়েও পাট ব্যবহার করা হয়।

উপজাত হিসেবেও পাটের আঁশের বহুমুখী ব্যবহারের মধ্যে রয়েছে প্রসাধনী, ওষুধ, রং ইত্যাদি খাত। সম্প্রতি পাট থেকে জুট পলিমার তৈরির পদ্ধতি আবিষ্কার করেন ড. মোবারক আহমেদ খান যা ‘সোনালি ব্যাগ’ নামে পরিচিত। পাটের কচি পাতা শাক হিসেবেও খাওয়া হয়। অন্যদিকে ঘরের বেড়া, ছাউনি এবং জ্বালানী হিসেবে ব্যবহার হয় পাটকাঠি। বাঁশ এবং কাঠের বিকল্প হিসেবে পার্টিকেল বোর্ড, কাগজের মণ্ড ও কাগজ তৈরিতেও পাটকাঠি ব্যবহার হয়। পাটকাঠি পুড়িয়ে তৈরি কার্বন বা চারকোল (কয়লা) জ্বালানি হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এই চারকোল অনেক দেশেই (যেমন চীন, ব্রাজিল, তাইওয়ান) রপ্তানি হয়, যেখানে এটি উন্নত প্রযুক্তির সহায়তায় কম্পিউটার প্রিন্টারের কালি, ফটোকপি মেশিনের কালি ও কসমেটিক্স উৎপাদনের কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহৃত হয় এবং এ থেকে উৎপাদিত দ্রব্যাদি আমরা অধীক দামে দেশে আমদানি করে থাকি। এছাড়া পাটকাঠি দিয়ে পরিবেশবান্ধব ও টেকসই বেড়া তৈরি, গাড়ির ডেস্কবোর্ড তৈরি করা হয়।

বাংলাদেশ ছাড়াও ভারত, নেপাল, মায়ানমার, চীন, তাইওয়ান, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়া, ব্রাজিল এবং অন্যান্য আরও কয়েকটি দেশে পাটের চাষাবাদ হয়। চল্লিশ-পঞ্চাশের দশকে বাংলাদেশ থেকে প্রায় ৮০ শতাংশ পাট বিশ্ববাজারে রপ্তানি হতো। পরবর্তীতে, সত্তর-আশির দশকে পৃথিবীর অন্যান্য কয়েকটি দেশের সঙ্গে তীব্র প্রতিযোগিতা এবং বিশ্ববাজারে কৃত্রিম তন্তুর আবির্ভাবের কারণে পাট রপ্তানি নিম্নমুখী হয় এবং বর্তমানে বিশ্ব চাহিদার শতকরা ২৫ ভাগ পাট বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি করা হয়।

বাংলাদেশ রপ্তানি ব্যুরো (ইপিবি) এর তথ্য অনুযায়ী, বিগত অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে পাট পণ্য থেকে রপ্তানী আয় হয়েছে ৬৯ কোটি ৬০ লাখ ডলার (প্রায় ৬ হাজার কোটি টাকা), যা পাটপণ্যের বহুমুখীকরণ ও মূল্য সংযোজনের মাধ্যমে বহুগুণ বৃদ্ধি করা সম্ভব। সেই লক্ষ্যে, পাট উৎপাদন থেকে শুরু করে পাট সংগ্রহ, সংরক্ষণ-এবং যুগোপযোগী পণ্য তৈরিসহ সবকিছুতে আরও আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে সরকার। তাই পাটের চাষ বৃদ্ধি করতে কৃষকদের সহজ শর্তে ঋণ সুবিধাসহ যাবতীয় দিকনির্দেশনা দিয়ে সহায়তা করতে হবে।

পাটের ব্যাপক চাষাবাদ, বন্ধ পাটকলগুলো চালু করা, পাটের বহুমুখী ব্যবহার ইত্যাদির ফলে কর্মসংস্থানেরও সৃষ্টি হবে। এর ফলে পাট চাষিদের মধ্যে উৎসাহ ও অনুপ্রেরণা বাড়বে এবং উত্তরোত্তর বাড়বে পাট চাষ। এছাড়া বহুমুখী পাটপণ্য তৈরির এই অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের সম্ভাবনা অপরিসীম। দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, নারীর ক্ষমতায়ন, আত্ম-কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করেছে সম্ভাবনাময় পাটপণ্য বহুমুখীকরণ খাতটি। বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের মাধ্যমে এক শক্তিশালী স্মার্ট অর্থনীতি গড়ে তুলতে সক্ষম এই দেশের সোনালি আঁশ পাট। ২০৪১ সাল নাগাদ বাংলাদেশকে একটি উন্নত অর্থনীতির দেশে রূপান্তর করার স্বপ্ন আজ দ্বারপ্রান্তে।

লেখক: অধ্যাপক, কৃষিতত্ত্ব বিভাগ, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।




কখনো যুবলীগের নেতাকর্মীরা রাজপথ ছাড়েনি ও আদর্শচ্যুত হয়নি-নঈম হাসান জোয়ার্দ্দার

চুয়াডাঙ্গায় নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের ৫১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করা হয়েছে।

গতকাল শনিবার (১১ নভেম্বর) প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপনে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে জেলা যুবলীগের কার্যালয়ের সামনে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। জাতীয় সংগীতের তালে তালে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক নঈম হাসান জোয়ার্দ্দার এবং দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন যুগ্ম আহ্বায়ক সামসুদ্দোহা মল্লিক হাসু। এরপর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান শেখ ফজলুল হক মনির প্রতিকৃতিতে নঈম হাসান জোয়ার্দ্দারের নেতৃত্বে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়। পরে সন্ধ্যায় দলীয় কার্যালয়ে কেক কেটে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করা হয়। এরপর সেখানে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

এর আগে বেলা সাড়ে ৩টায় জেলা যুবলীগের কার্যালয়ের সামনে থেকে আনন্দ র‌্যালি ও উন্নয়ন শোভাযাত্রার নেতৃত্ব দেন জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক নঈম হাসান জোয়ার্দ্দার। র‌্যালি ও শোভাযাত্রাটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে পূর্বের স্থানে এসে শেষ হয়। র‌্যালি চলাকালে নেতাকর্মীরা বাজি ফুটিয়ে ও নেচে গেয়ে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন করে । তবে এবারের র‌্যালি ও শোভাযাত্রাটি পূর্বের রেকর্ড ভেঙে হাজার হাজার নেতাকর্মী অংশগ্রহণ করেন।

এসমস্ত কর্মসূচিতে জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক নঈম হাসান জোয়ার্দ্দার বলেন, প্রতিষ্ঠার পর থেকে নানা চড়াই—উৎরাই, ঘাত—প্রতিঘাত কোন কিছুই ব্যহত করতে পারেনি যুবলীগের অগ্রযাত্রা। চুয়াডাঙ্গায় যুবলীগের নেতাকর্মীরা একটি দিনের জন্যও রাজপথ ছেড়ে যায়নি এবং আদর্শচ্যুত হয়নি। যা তাদেরকে এ অঞ্চলের সাধারণ জনগণের আস্থার জায়গা হিসেবে পরিণত করেছে। শুধু চুয়াডাঙ্গা জেলা নয়, আজ সারা দেশের প্রগতিশীল যুব সমাজের আস্থার ঠিকানা হয়ে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ।

নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন- আপনাদের সকলের ভালোবাসা, লড়াই—সংগ্রামে যুবলীগ বর্তমানে দেশের সর্ববৃহৎ যুব সংগঠনে পরিণত হয়েছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশে যুব নেতা শেখ ফজলুল হক মনি এ যুবলীগ প্রতিষ্ঠা করেন। ফজলুর হক মনি ছিলেন যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক, শোষণমুক্ত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার সংগ্রামকে এগিয়ে নিতে দেশের যুব সমাজকে সম্পৃক্ত করার লক্ষ্য নিয়ে যুবলীগকে প্রতিষ্ঠা করা হয়। প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকেই যুবলীগ সেই লক্ষ্যকে সামনে নিয়ে অগ্রসর হচ্ছে।

চুয়াডাঙ্গা জেলা যুবলীগের যুগ্ন আহবায়ক সামসুদ্দোজা মল্লিক হাসুর সঞ্চালনায়, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সাজেদুল ইসলাম লাবলু, আজাদ আলী, হাফিজুর রহমান হাপু, আবু বক্কর সিদ্দিক আরিফ, আলমগীর আজম খোকা।

এসময় উপস্থিত ছিলেন যুবলীগ নেতা পীরু মিয়া, শেখ সাহি, হাসানুল ইসলাম পলেন, বিপুল জোয়ার্দ্দার, টিটু,জুয়েল জোয়ার্দ্দার, চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার কাউন্সিলর কামরুজ্জামান চাদঁ, চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আল ইমরান শুভ, সৈকত, সুইট, রাসেল, খালিদ, দিপু, লুকমান, টুটুল, আলমডাঙ্গা উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক আনোয়ার হোসেন সোনাহার মন্ডল, সদস্য সালাউদ্দিন মন্ডল, আলমডাঙ্গা পৌর যুবলীগের আহবায়ক আসাদুল হক ডিটু, যুবলীগ নেতা আনিস, রাইহান, রনি, সজিব, বুলবুল, শিমুল।

চুয়াডাঙ্গা পৌর যুবলীগের ৩ নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি রানা, সাধারন সম্পাদক খানজাহান, ৫ নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি আব্দুল আলীম , সাধারণ সম্পাদক মিঠুন, সাংগঠনিক সম্পাদক জুয়েল, ৭ নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি আসাদ, সাধারন সম্পাদক বিপ্লব, মোমিনপুর ইউনিয়ন যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুল মোমিন, ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক ছোটু, আলুকদিয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সোহেল রানা শান্তি, মানোয়ার শেখ ও আসমাউল, পদ্মবিলা ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি বনফুল, সাধারন সম্পাদক জান্টু ও বিপ্লব, কুতুবপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মাসুম, সাধারন সম্পাদক রফিকুল, শংকরচন্দ্র ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি সেলিম, সাধারন সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, মাফুজ, মমিন, জিসান, মাখালডাঙ্গা ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা ফিরোজ, জাকির। আলমডাঙ্গা উপজেলার আইলহাস ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি আব্দুল কুদ্দুস, ভাংবাড়িয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মামুন, সাধারন সম্পাদক জাফর, কুমারি ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মোজাম্মেল, বাড়াদি ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি শরিফ হোসেন, সাধারন সম্পাদক সেতু ও আশিকুর রহমান, খাদিমপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারন সম্পাদক কামাল হোসেন ও আনারুল ইসলাম, জেহালা ইউনিয়ন যুবলীগের আহবায়ক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোখলেছুর রহমান শিলন, যুগ্ন আহবায়ক হারুন অর রশিদ বকুল, ডাউকি ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি আরিফুল, রকি বিশ্বাস, জামজামি ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি আবু মুছা, নাগদহ ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি প্রফেসর আবুল হাসনাত, খাসকররা ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারন সম্পাদক জিয়াউর রহমান, দামুড়হুদা উপজেলা যুবলীগের সাবেক যুগ্ন আহবায়ক এস এম মহসীন, স্বপন মালিতা, চিতলা ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা টিটু, গাংনী ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা বজলুর রহমান, সাধারন সম্পাদক সাঈদ ও রনি, হারদি ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা রাসেল, পান্না, সহ বিভিন্ন ইউনিটের নেতৃবৃন্দ।




মেহেরপুরে যুবলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত ও আনন্দ র‌্যালি

কেন্দ্রিয় কর্মসূচী অনুযায়ী সারা দেশের ন্যায় মেহেরপুরে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের ৫১তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত হয়েছে।

আজ শনিবার (১১ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৭ টায় মেহেরপুর জেলা যুবলীগের আহবায়ক মাহফুজুর রহমান রিটন ও যুগ্ম আহবায়ক শহিদুল ইসলাম পেরেশানের উদ্যোগে আনন্দ র‌্যালি, অবরোধ বিরোধী মিছিল, সংক্ষিপ্ত সমাবেশ ও কেক কাটার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন করা হয়।

আনন্দ র‌্যালিটি জেলা যুবলীগের কার্যালয় থেকে শুরু হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে একপর্যায়ে অবরোধ বিরোধী মিছিলে পরিণত হয়। অবরোধ বিরোধী মিছিলটি মেহেরপুর পৌরসভার সামনে যেয়ে শেষ হয়।

এসময় মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাড. ইয়ারুল ইসলাম, বুড়িপোতা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রেজা, সদর থানা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন, শহর যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শহিদুজ্জামান সুইট, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ যুগ্ম সম্পাদক জুয়েল রানা, জেলা ছাত্রলীগী সহ-সভাপতি শোভন সরকার, সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুদ রানাসহ জেলা যুবলীগের বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। অতঃপর সেখানে একটি সংক্ষিপ্ত সভা অনুষ্ঠিত হয়। পরে জেলা যুবলীগ কার্যালয় কেক কাটার মাধ্যমে ৫১ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন করা হয়।

মেহেরপুর জেলা যুবলীগের অহবায়ক শহীদুল ইসলাম পেরেশন বলেন,’যুবলীগের হয়ে যে সকল নেতাকর্মী রাজপথ কাপায় তাদের সকলকে যুবলীগের ৫১ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। যারা হরতাল অবরোধ রাখে তারা যুবলীগের ভয়ে গান গাই পালা যুবলীগ আসছে, যুবলীগে আসছে। তারই প্রমাণ গত দফার অবরোধে মেহেরপুরের কিছু বিএনপি নেতাকর্মী মেহেরপুর শহর ছেড়ে রিক্সা ও ভ্যান ভাড়া করে ইছাখালির মাঠে যেয়ে অবরোধের মিছিল করেছিল।’

মেহেরপুরের পৌর মেয়র ও জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক মাহফুজুর রহমান রিটন বলেন,’ ১৯৭২ সালে আজকের এই দিনে বঙ্গবন্ধুর আহবনে শেখ ফজলুল হক মনির যুবলীগ গঠিত হয়। তারই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ এশিয়া মহাদেশে একটি বৃহত্তর সংগঠনের রূপ ধারণ করেছে। যুবলীগ আজ মানুষের আস্থার সংগঠনে পরিচিত হয়েছে। ওয়ান ইলেভেন এর সময় যখন যখন শেখ হাসিনাকে নিয়ে ষড়যন্ত্র হয় তখনো যুবলীগের নেতাকর্মীরা রাজপথে রক্ত দিয়ে শেখ হাসিনাকে কারা মুক্ত করেছিল। আজকে মেহেরপুরে অনেকেই আওয়ামী লীগকে বিভক্ত করছে। কিন্তু দলের জন্য ঘামঝরা প্রোগ্রাম একমাত্র যারা যুবলীগ থেকে ছাত্র রাজনীতি করে আওয়ামী লীগে এসেছে তারাই করে থাকে। হরতাল ও অবরোধকারীরা যদি কোন নাশকতার চেষ্টা করে মেহেরপুরের যুবলীগের কর্মীরা প্রতিটি ওয়ার্ডে ইউনিয়নে তাদের দাঁতভাঙ্গা জবাব দেবে।