ফিলিস্তিনে হামলার প্রতিবাদে জীবননগরে বিক্ষোভ সমাবেশ

ফিলিস্তিনিদের ওপর ইজরায়েলের হামলার প্রতিবাদে জীবননগরে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ শুক্রবার জুমার নামাজের পর জীবননগর শহরের সকল মসজিদের মুসল্লীরা একত্রিত হয়ে জীবননগর বাসস্ট্যান্ডে এই প্রতিবাদ সমাবেশ করে।
প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জীবননগর বাসস্ট্যান্ড মসজিদের খতিব মাওলানা আখতারুজ্জামান, এছাড়া আরো বক্তব্য রাখেন জীবননগর পৌর কেন্দ্রীয় বাজার জামে মসজিদের খতিব মাওলানা আবুজার গিফারী। এ সময় বক্তারা বলেন অবিলম্বে ফিলিস্তিনিদের উপর ইজরায়েলের বর্বরোচিত হামলা বন্ধ করতে হবে। এসময় অসহায় ফিলিস্তিনিদের জন্য আল্লাহর কাছে সাহায্য প্রার্থনা করে দোয়া করে প্রতিবাদ সমাবেশের সমাপ্তি ঘোষনা করা হয়।



পূজা উদযাপন কমিটির সদস্য সচিবের বিরুদ্ধে মানববন্ধন

মেহেরপুর জেলা পূজা উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব ও গাংনী উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি অশোকচন্দ্র বিশ্বাসের দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সমাবেশ ও মানববন্ধন করেছে গাংনী উপজেলার সনাতন ধর্মাবলম্বী মন্দির কমিটির নেতাকর্মীরা।

শুক্রবার বেলা ১১ টায় গাংনী বাসস্ট্যান্ডে এই প্রতিবাদ সমাবেশ ও মানববন্ধন করেন তারা।

সম্প্রতি জেলা প্রশাসকের কনফারেন্সে মেহেরপুর জেলার হিন্দু সম্প্রদায়ের পূজারীদের কটাক্ষ করে মিথ্যা বক্তব্য প্রদান এবং জেলা প্রশাসক কর্তৃক বরাদ্দকৃত অনুদানের বন্টনে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ এনে জেলা পূজা উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব ও গাংনী উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি অশোকচন্দ্র বিশ্বাসের কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ ও বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানান বক্তারা।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন জেলা প্রশাসকের নিকট থেকে গাংনী উপজেলার ২২টি মন্দিরের বরাদ্দকৃত অনুদানের মালামাল অশোক চন্দ্র বিশ্বাস তুলে এনে উপজেলার ৯টি মন্দিরে না দিয়ে চরম অন্যায় করেছে।

অনুদান না পাওয়া ৯টি মন্দির হলো ষোলটাকা দাসপাড়া কালি মন্দির, ষোলটাকা কর্মকার পাড়া দুর্গা মন্দির, আমতৈল দাসপাড়া কালী মন্দির, মটমুড়া দুর্গা মন্দির, বেতবাড়িয়া দাসপাড়া কালী মন্দির, চৌগাছা দাসপাড়া কালি মন্দির, গাংনী দাসপাড়া কেন্দ্রীয় রাম মন্দির, গাংনী কেন্দ্রীয় মন্দির, বাওট দাসপাড়া কালী মন্দির। মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা এসময় অশোকচন্দ্র বিশ্বাসের দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবি করেন।

গাংনী কেন্দ্রীয় মন্দিরের সভাপতি শ্রী সুশান্ত কুমার পাত্রের সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সমাবেশে অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাবেক ছাত্রনেতা শাহিদুজ্জামান শিপু। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, সাহার বাটি দাসপাড়া কালী মন্দিরের সভাপতি গণেশ দাস, মটমুড়া কালী মন্দিরের সভাপতি সুনীল চন্দ্র হালদার, কেন্দ্রীয় রাম মন্দিরের সভাপতি ধীরেন দাস, রায়পুর দাসপাড়া কালী মন্দিরের সভাপতি সুশান্ত চন্দ্র গোসাই প্রমুখ।

এ বিষয়ে মেহেরপুর জেলা পূজা উদযাপন আহবায়ক কমিটির সদস্য সচিব এবং গাংনী উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি অশোক চন্দ্র বিশ্বাস মেহেরপুর প্রতিদিনকে বলেন, ‘ মন্দিরগুলোতে জেলা প্রশাসকের অফিস থেকে সরাসরি বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এরপর দলিত শ্রেণীর আবেদনের প্রেক্ষিতে নির্দিষ্ট ২০ টি মন্দিরে জেলা প্রশাসকের দেওয়া অনুদান তালিকা অনুযায়ী মন্দির কর্তৃপক্ষ নিজেরাই উত্তোলন করেছেন।’

অশোক চন্দ্র বিশ্বাস আরো বলেন, ‘সুশান্ত কুমার পাত্র ও ধীরেন দাস সহ কয়েকজন জোটবদ্ধ হয়ে বিলুপ্ত হওয়া আগের কমিটির নেতাদের ইন্ধনে আমার নামে অপপ্রচার চালাচ্ছে। অপপ্রচারকারীরা আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে তাদের কৃতকর্মের জন্য প্রকাশ্যে ক্ষমা প্রার্থনা না করলে, আমি তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেব।’




মৃদুলের বিরুদ্ধে আদালতের সমন

দেবাশীষ বাগচীর এনআই এক্টে মামলা

মৃদুলের বিরুদ্ধে আদালতের সমন

মেহেরপুর জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক ঠিকাদার শহীদ শরফরাজ হোসেন মৃদুলের বিরুদ্ধে এক কোটি ৮০ লাখ টাকার চেক ডিজঅনারের মামলা করেছেন ব্যবসায়ীক পার্টনার দেবাশীষ বাগচি।

গত বৃহস্পতিবার দেবাশীষ বাগচী মেহেরপুুরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট-২ এর আমলি আদালত মেহেরপুরে উকিল
নোটিশের সূত্র ধরে নেগোশিয়েবল ইন্সট্রুমেন্ট এক্টে মামলার আবেদন করলে আদালতের বিচারক মোঃ তরিকুল ইসলাম মামলাটি আমলে নিয়ে সমন জারীর আদেশ দেন। যার মামলা নম্বর-৯০৭/২৩ (মেহেরপুর)।

ছবিতে বামে মৃদুল ও ডানে বাগচী

মামলার এজহারে দেবাশীষ বলেছেন, পারিবারিক সূত্রে বহু বছর যাবৎ ঠিকাদারি ব্যবসা করে আসছি। সে ধারাবাহিকতায় ২০১৫ সালে শহীদ সরফরাজ হোসেন মৃদুলের সঙ্গে যৌথভাবে ঠিকাদারি ব্যবসা শুরু করি। ২০১৫ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত গণপূর্ত, জনস্বাস্থ্য, শিক্ষা  প্রকৌশলী, এলজিইডিসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৩০ থেকে ৩৫টা নির্মাণকাজ সম্পূর্ণ করেছি। যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ২৫ থেকে ২৭ কোটি টাকা। ২০২১ সালের প্রথম দিকে যৌথ ঠিকাদারি ব্যবসা পরিসমাপ্তি ঘটালে তার সঙ্গে আমার মূলধন ও লভ্যাংশসহ আনুমানিক দুই কোটি ৫০ লাখ টাকার বেশি পাওনা হয়। প্রাপ্য টাকা না পেয়ে আমি, আমার ও তার পরিবারের লোকজনসহ জেলা যুবলীগের অন্যান্য নেতৃবৃন্দকে অবহিত করি। এক সময় সবার হস্তক্ষেপে ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে আমার সঙ্গে হিসাব করতে রাজি হয়। আমি হিসাবে বসতে বললে বিভিন্ন অজুহাতে সময় ক্ষেপণ করে একপর্যায়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বললে তখন সে মৌখিকভাবে এক কোটি ৮০ লাখ টাকা দেবার প্রতিশ্রুতি দিয়ে মীমাংসা করে এবং আমাকে চলতি বছরের জুলাই মাসের ১৬ তারিখে ঢাকায় যেতে বলে। ঢাকার আদাবরে তার বাসার সামনে গেলে রিংরোড সাহাবুদ্দিন প্লাজার ওসিস কফিশপে বসে আমাকে ২৪ জুলাই তারিখ দিয়ে রূপালি ব্যাংক মেহেরপুর শাখার এক কোটি ৮০ লাখ টাকার একটি চেক প্রদান করে।

আমি চেকে দেওয়া তারিখ অনুযায়ী ২৪ জুলাই টাকা উত্তোলনের জন্য অগ্রণী ব্যাংকে চেক জমা করি। এক সপ্তাহ পর ব্যাংক থেকে চেক ডিজঅনার দেখিয়ে সার্টিফিকেট প্রদান করে। যেখানে লেখা আছে, গত ৪ এপ্রিল ২০২১ তারিখে অ্যাকাউন্ট বন্ধ করা হয়েছে। ১ আগস্ট ২০২৩ তারিখে ব্যাংক চেক ডিজাঅনার সার্টিফিকেট দেয়। আমি বিষয়টি আসামীকে জানালে সে আমাকে আজকাল করে ঘুরিয়ে নিয়ে বেড়াতে থাকে। অতঃপর আমি বিজ্ঞ এ্যাডভোকেট সাহেবের মাধ্যমে গত ৩০ আগস্ট আসামী বরাবর এন আই এক্ট ১৮৮১ এর বিধান মতে ডাকযোগে নোটিশ প্রদান করিয়া চেকে উল্লেখিত ১,৮০,০০,০০০/- (এক কোটি আশি লক্ষ) টাকা পরিশোধ করিয় চেকটি ফেরত অথবা বাতিল করার অনুরোধ করি।

ইতোপূর্বে গত ৫ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ১১টায় মেহেরপুরের সোডাপ মিলনায়তনে জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক শহীদ
সরফরাজ হোসেন মৃদুলের বিরুদ্ধে করা সংবাদ সম্মেলনে পাওনা টাকা ও ন্যায়বিচার না পেলে পরিবারসহ আত্মহত্যার হুমকি
দিয়েছিলেন মেহেরপুর জেলা যুবলীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য দেবাশীষ কুমার বাগচি মনু। অপরদিকে, চেক ডিজঅনার হওয়া‌তে উ‌কিল নো‌টিশ পাঠা‌নো দেবাশীষ কুমার বাগ‌চির বিরু‌দ্ধে উ‌ল্টো চেক চু‌রির মামলা ক‌রে‌ছিলেন শহীদ স‌রফরাজ হো‌সেন মৃদুল।




গাংনী পৌর মেয়রসহ ৭ জনের বিরদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা

ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ আইনের প্রথম মামলায় মেহেরপুরের গাংনী পৌরসভার মেয়র আহমেদ আলী, গাংনী কৃষি ব্যাংক শাখা সাবেক ব্যবস্থাপক শামসুল আলম, রুপালি ব্যাংক ব্যবস্থাপক আমিরুল ইসলামসহ ৭ জনের বিরদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। পরোয়ানাভুক্ত অন্যরা হলেন- গাংনীর ফতাইপুরের জিয়ারুল ইসলাম, জাকির হোসেন ও আব্দুর রাজ্জাক, ভোমরদহ গ্রামের আব্দুর রহমান।

মঙ্গলবার মেহেরপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিজ্ঞ বিচারক মো: তরিকুল ইসলাম আদেশ জারী করেন।

সদ্য পাশ হওয়া ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ আইন ২০২৩ এর সংশ্লিষ্ঠ ধারায় বিজ্ঞ আদালতে মামলাটি দায়ের করেন রফিকুল ইসলাম। দেশের বহুল আলোচিত ও কাঙ্খিত এ আইনে মেহেরপুর জেলার প্রথম মামলা এটি।

বাড়িসহ জমি জবর দখলের অভিযোগে গাংনীর ফতাইপুরের জিয়ারুল ইসলাম, জাকির হোসেন ও আব্দুর রাজ্জাক,ভোমরদহ গ্রামের আব্দুর রহমান, এ কাজে সহায়তা করার জন্য কৃষি ব্যাংক সাবেক ব্যবস্থাপক শামসুল আলম, রুপালী ব্যাংক ব্যবস্থাপক আমিরুল ইসলাম এবং একই সাথে ওই জমির হোল্ডিং বিধি সম্মতভাবে বাতিল না করায় গাংনী পৌর মেয়রের নামেও গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।

এজাহার সূত্রে জানা গেছে, জিয়ারুল ইসলামের ভাই আব্দুর রাজ্জাক ও জাকির হোসেন এবং আব্দুর রাজ্জাকের স্ত্রী আনজুমানারা খাতুন কৃষি ব্যাংক গাংনী শাখা থেকে ২০১০ সালে ৫ লাখ টাকা ঋণ গ্রহণ করেন। এর বিনিময়ে ফতাইপুর গ্রামের একটি জমি মটগেজ দেন তারা। পরবর্তীতে ২০১১ সালে তারা একই জমি ভোমরদহ গ্রামের আব্দুর রহমানের কাছে বিক্রি করে রেজিস্ট্রি সম্পাদন করে দেন। ২০১৩ সালে আব্দুর রহমান ওই জমি আব্দুর রশিদ নামের একজনের কাছে বিক্রি করেন।

২০২১ সালে আব্দুর রশিদ ওই জমি বাড়িসহ বিক্রি করেন সেই আব্দুর রহমানের কাছেই। ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে তিনি বাড়িসহ জমি বিক্রি করে দেন চৌগাছা গ্রামের রফিকুল ইসলামের কাছে। রফিকুল ইসলাম বাড়ি দখল নেন এবং পৌরসভা থেকে হোল্ডিংও খোলা হয়, খারিজ, খাজনা পরিশোধ করে ও নিজ নামেই বৈদ্যুতিক সংযোগ স্থাপন করেন।

এদিকে ঋণ খেলাপির দায়ে কৃষি ব্যাংক তড়ি ঘড়ি করে আব্দুর রাজ্জাকের জমি গোপনে নিলাম করে। কৃষি ব্যাংক কাগজপত্রের নিয়মাবলী গোপনে জোড়াতালি দিয়ে নিলাম সম্পন্ন করে দেন মটগেজকারী আব্দুর রাজ্জাকের আপন ছোট ভাই জিয়ারুল ইসলামের কাছে। কৃষি ব্যাংকের তৎকালীন ব্যবস্থাপক শামসুল আলম একটি ভূয়া দলিলের মাধ্যমে অবৈধভাবে নিলাম করেন।

সম্প্রতি রফিকুল ইসলাম ওই জমি ও বাড়ি মটগেজ দিয়ে রুপালী ব্যাংক গাংনী শাখা থেকে ঋণ গ্রহণ করেন। কাগজপত্রের বৈধতা আইন অনুযায়ী যাচাই-বাছাই করে জমির মালিকানা নিশ্চিত হয়ে ঋণ দেয় রুপালি ব্যাংক। যা নিশ্চিত করেছেন রুপালী ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। পরবর্তী সময়ে রুপালী ব্যাংক ম্যানেজার আমিরুল ইসলাম কৃষি ব্যাংকের কাছ থেকে নিলামে নেওয়া জিয়ারুল ইসলামের পক্ষ নিয়ে জমি দখলের কাজে সহায়তা করেন।

এদিকে একই জমি রফিকুল ইসলাম ক্রয় করেন আব্দুর রহমানের কাছ থেকে আর জিয়ারুল ইসলাম কেনেন কৃষি ব্যাংকের নিলামে। জিয়ারুল ইসলাম নিলালের মাধ্যমে জমির মালিক দাবি করে জোরপূর্বক দখলে নেওয়ার চেষ্টা করেন ও রফিকুল ইসলামের সাথে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েন। শেষ পর্যন্ত বিষয়টি গড়ায় আদালত পর্যন্ত। অপরদিকে ওই জমির হোল্ডিং বাতিল করে পৌরসভা।

প্রতিকার পেতে রফিকুল ইসলাম ৭ জনকে আসামী করে ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইনে চলতি মাসে মামলাটি দায়ের করেন।

যার নং- সিআর ৬৮০/২৩। বিজ্ঞ আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে সাত আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করেন।
এ বিষয়ে গাংনী পৌর মেয়র আহম্মেদ আলী সাংবাদিকদের বলেন, বিধি সম্মতভাবেই হোল্ডিং বাতিল করা হয়েছে। পৌরসভার আইন বিধি মোতাবেক প্রত্যেকটি হোল্ডিং ব্যবস্থাপনা করা হয়। বিষয়টি মেয়রের ব্যক্তিগত নয়। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দাখিল করে বিজ্ঞ আদালতে বিষয়টির সুরাহা চাওয়া হবে।




মেহেরপুরে ৪৩টি পূজা মন্ডপে দুর্গোৎসব

হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গা পূজা শুরু আজ। আজ শুক্রবার ২০ অক্টোবর থেকেই পূজার মূল আনুষ্ঠানিকতা শুরু হতে যাচ্ছে। পূজা মন্ডপের সব কাজ প্রায় শেষ। মন্দিরের সাজসজ্জা, আলোকসজ্জা এবং অন্যান্য বিষয় নিয়ে শেষ মুহুর্তের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। পুরোহিতের মন্ত্র উচ্চারণের মধ্য দিয়ে পূজা শুরু হবে। সকল মন্দিরেই দেবীর রং করার কাজও শেষ হয়েছে।

মেহেরপুর জেলায় শুরু হতে যাচ্ছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সব চেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা, তাই ঘরে ঘরে দেবী দুর্গার আগমনীর বার্তা।

পূজা উপলক্ষ্যে হিন্দু সম্প্র্রদায়ের মাঝে সাজ সাজ রব। মন্ডপে মন্ডপে চলছে প্রতিমা বোধন প্রস্তুতির কাজ। এবার মেহেরপুর জেলায় ৪৩ টি পূঁজামন্ডপে পূজা উৎযাপন করা হবে বলে মেহেরপুর জেলা প্রশাসন এবং জেলা পুঁজা উৎযাপন কমিটির সূত্রে জানা গেছে। এর মধ্যে মেহেরপুর সদর উপজেলায় ১৪ টি, গাংনী উপজেলায় ২২ টি এবং মুজিবনগর উপজেলায় ৭ টি পূজা মন্ডপ রয়েছে।
শুক্রবার ষষ্ঠী তিথিতে শুরু হবে এ পূজা এবং মঙ্গলবার দশমী তিথিতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্যে দিয়ে শেষ হবে অনুষ্ঠান।

মেহেরপুর জেলা পূজা উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব অশোক চন্দ্র বিশ্বাস জানান, ‘২০ অক্টোবর ষষ্ঠী পূজার মধ্যে দিয়ে পাঁচদিন ব্যপি আমাদের সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দুর্গা পূজা অনুষ্ঠিত হবে। চলতি বছর জেলায় সর্বজনীনভাবে ৪৩ টি মন্ডপে শারদীয় দুর্গা উৎসব অনুষ্ঠিত হবে। এবারো প্রতিটি মন্দিরে সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির মধ্য দিয়ে দুর্গোৎসব পালনের জন্য সকল প্রস্তুতি গ্রহন করা হয়েছে।’

মেহেরপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ কামরুল আহসান মেহেরপুর প্রতিদিন কে জানান, মেহেরপুর জেলার ধর্মীয় সম্প্রীতি সারা দেশের জন্য একটি উদাহরণ। এখানে কার্যত কোন ঝুঁকিপূর্ণ পূজা মণ্ডপ নেই। তবে শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে মেহেরপুর জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
মন্ডপ গুলিতে ইউনিফর্ম ও সাদা পোশাকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা নিয়োজিত থাকবে। এছাড়াও থাকছে কুইক রেসপন্স টিম।’




মুজিবনগরে বঙ্গমাতা ফুটবল একাদশকে সংবর্ধনা

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিনী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টে বালিকা (অনুর্ধ্ব-১৭) এর জেলা চ্যাম্পিয়ন হয়ে উপজেলার জন্য গৌরব বয়ে আনার জন্য মুজিবনগর উপজেলা বালিকা ফুটবল একাদশকে সংবর্ধনা প্রদান করেছে মুজিবনগর উপজেলা প্রশাসন।

বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা পরিষদ এর আয়োজনে উপজেলা পরিষদ অডিটরিয়ামে জাকজমক পূর্ণ অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে এ সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।
এসময় দলের প্রত্যেক খেলোয়াড় সহ দলের কোচ সোহেল রানা ও ম্যানেজার সাংবাদিক হাসান মোস্তাফিজুর রহমানকে সম্মান সূচক ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, মুজিবনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার অনিমেষ বিশ্বাস, মুজিবনগর উপজেলা চেয়ারম্যান জিয়াউদ্দিন বিশ্বাস, মুজিবনগর থানা অফিসার ইনচার্জ মেহেদী রাসেল, উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মোহাম্মদ রকিবউদ্দিন, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ আলাউদ্দিন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম মোল্লা, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আফরোজা খাতুন, মহাজনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমান হোসেন মিলু, বাগোয়ান ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আয়ুব হোসেন, মোনাখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মফিজুর রহমান, দারিয়াপুর ইউপি চেয়ারম্যান মাহাবুবুল আলম রবি, বীর মুক্তিযোদ্ধা আহসান আলী খানসহ উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা কর্মচারীবৃন্দ। সংবর্ধনা অনুষ্ঠান শেষে মধ্যাহ্ন ভোজের মধ্যদিয়ে অনুষ্ঠান শেষ হয়।

উল্লেখ্য, যে গত ১৬ অক্টোবর জেলা পর্যায়ে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বালিকা (অনুর্ধ্ব-১৭) ২০২৩ গোল্ডকাপ টুর্নামেন্টে ১৬ই অক্টোবর গাংনী উপজেলা একাদশকে এবং ১৭ই অক্টোবর ফাইনালে মেহেরপুর সদর উপজেলা একাদশকে পরাজিত করে মুজিবনগর উপজেলা একাদশ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে।




ঝিনাইদহের ৭ টি মন্দিরে ৩ হাজার শাড়ী উপহার প্রদাণ করলেন এমপি সমি

শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে ঝিনাইদহে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মাঝে ৩ হাজার শাড়ী উপহার প্রদাণ করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার রাতে পৌর এলাকার ৭ টি মন্দিরে এ উপহার প্রদাণ করেন ঝিনাইদহ-২ আসনের সংসদ সদস্য তাহজিব আলম সিদ্দিকী সমি।

উপস্থিত ছিলেন আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি আব্দুল খালেক, জেলা যুবলীগের যুগ্ম-আহবায়ক রাজু আহমেদ, সংসদ সদস্যের পিএস রওশন আলী, রোকনুজ্জামান রিপন,সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফজলে রাব্বী অনু, কেসি কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু সুমন বিশ^াস সহ দুর্গা মন্দিরের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও এলাকার গণ্যমাণ্য ব্যাক্তিবর্গ। পৌর এলাকার মন্দির গুলো হলো চাকলাপাড়া, ব্যাপারীপাড়া, আরাপপুর, পবহাটী, কাঠালবাগান, ষাটবাড়ীয়াও হামদহ কালীমন্দির।

এসময় প্রধান অতিথি সংসদ সদস্য তাহজিব আলম সিদ্দিকী সমি বলেন, দেশে বর্তমান সরকারের আমলেই সর্বোচ্চ উন্নয়ন হয়েছে। এই ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে আওয়ামীলীগ সরকারের কোন বিকল্প নেই। তাই আগামী নির্বাচনে আবারো শেখ হাসিনার সরকারকে বিপুল ভোটে বিজয়ী করতে সকল সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রতি আহবান জানান।




জীবননগরে আইনশৃংখলা বিষয়ক মাসিক সভা অনুষ্ঠিত

জীবননগর উপজেলায় আইনশৃংখলা ও চোরচালান বিষয়ক মাসিক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গতকাল বৃহসপ্রতিবার বেলা ১১টার সময় জীবননগর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলা পরিষদের হলরুমে উপজেলায় আইনশৃংখলা ও চোরচালান প্রতিরোধ বিষায়ক মাসিক সভা অনুষ্ঠিত হয়।

জীবননগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাসিনা মমতাজের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন,জীবননগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী মোঃ হাফিজুর রহমান।বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন,জীবননগর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আঃ সালাম ঈশা,মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আয়েসা সুলতানা লাকী,উপজেলার সহকারী কমিশনার ভ’মি তিথি মিত্র,বীর মুক্তিযোদ্ধা সাইদুর রহমান,উপজেলা কৃষি অফিসার মনিরুজ্জামান,সাংবাদিক জাহিদ বাবু,মিঠুন মাহমুদ প্রমুখ।




আলমডাঙ্গার পারকুলায় ছাগল-ভেড়ার জন্য নির্মিত ক্লাইমেট স্মার্ট সেডের উদ্বোধন

আলমডাঙ্গা উপজেলা প্রাণী সম্পদ অধি দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালের আয়োজনে প্রাণী সম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের অর্থায়নে বিনিয়োগ সহায়তার আওতায় ছাগল-ভেড়ার জন্য নির্মিত ক্লাইমেট স্মার্ট সেডের উদ্বোধন করা হয়েছে।

গতকাল বিকেল ৩টার দিকে পারকুলা পিজি চত্বরে ৮ লক্ষ টাকা ব‍্যায়ে নির্মিত ৪০টি ক্লাইমেট স্মার্ট সেডের আনুষ্ঠানিকভাবে শুভ উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি উপজেলা নির্বাহী অফিসার স্নিগ্ধা দাস।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপজেলা নির্বাহী অফিসার স্নিগ্ধা বলেন,আমি শুনেছি আপনাদের একটা গ্রুপ আছে। এই ঘরগুলোর জন্য সঞ্চয় দিতে হয়েছে। তখন যারা সঞ্চয় দিয়েছেন তারাই এই ঘরের সুবিধাটা ভোগ করছেন। যারা খামারি আছে অনেকেই ৫০ বা ১০০ টাকা সঞ্চয় দেননি তারা কিন্তু এ সুবিধাটা পাচ্ছেন না। এখন অনেকেই আফছোস করছেন, আমি যদি সঞ্চয় জমা দিতাম তাহলে আমি একটা ঘর পেতাম।

দেখেন,মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর চিন্তা চেতনা অনেক দূরদর্শি। তিনি চিন্তা করেন কালকের জন্য না। আগামী ২০ বছর পরের কথা চিন্তা করেন। আগামী ১০০ বছরে কি হবে উনার সেই পরিকল্পনা কিন্তু আমরা বাস্তবায়ন করছি।

উদ্বোধনি অনুষ্ঠানের আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ আব্দুল্লাহিল কাফি। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট খন্দকার সালমন আহমেদ ডন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) রেজওয়ানা নাহিদ, কৃষি অফিসার রেহানা পারভীন, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা এনামুল হক, ইন্সটেক্টর জামাল হোসেন, প্রাণিসম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ডাক্তার মুস্তাকিম মুকুট, কালিদাসপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুল হক মিকা, প্রেসক্লাব সভাপতি খন্দকার সাউলাম মন্টু, সাধারণ সম্পাদক খন্দকার হামিদুল ইসলাম আজম, কলেজিয়েট স্কুলের উপাধ্যক্ষ শামীম রেজার উপস্থাপনায় বক্তব্য রাখেন শিক্ষক মুফতি মাসুদুজ্জামান, বাসুদেব বিশ্বাস, খামারি রুলিয়া খাতুন, ইউপি সদস্য সাদিয়া খাতুন, আলিয়া খাতুন, ডলি খাতুন, আওয়ামী লীগ নেতা লিংকন জোয়ার্দ্দার, শেখ আতাউল হক, আব্দুল হান্নান, এনামুল হক জামাল উদ্দিন প্রমূখ।




৪ বছর জেল খেটেও দেশে ফেরা হলোনা দীপকের

অবৈধভাবে বাংলাদেশে প্রবেশ করায় দীর্ঘ ৪ বছর জেল খেটে আপন ঠিকানায় ফিরতে পারলো না ভারতীয় নাগরিক দীপক কুমার ঠাকুর।বিএসএফ আইনের জটিলতা দেখিয়ে দীপকে দেশে ফিরিয়ে নিতে অপারগতা প্রকাশ করায় তাকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনা হয়।

বিজিবি সুত্রে জানাগেছে বিহার রাজ্যের সমস্তিপুর জেলার ওয়ারিশ নগর থানার মনিহার গ্রামের শ্রী রাম নরেশ ঠাকুরের ছেলে দীপক কুমার ঠাকুর (৩৫)নামের ২০১৯ সালের অবৈধভাবে বাংলাদেশে আসায় পিরোজপুর থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। অনুপ্রবেশর দায়ে ৪ বছর জেল হয় দীপকের।

গতকাল বৃহস্পতিবার ১২ টার দিকে দর্শনা জয়নগর চেকপোষ্ট দিয়ে দীপককে পাঠানোর জন্য বিএসএফকে পত্র দেয় বিজিবি।পতাকা বৈঠক বসে জয়নগর চেকপোষ্ট শুন্য রেখায়। এ সময় বিএসএফের পক্ষ থেকে জানানো হয় দীপকের কোন অভিভাবক না আসায় তাকে ফেরত নেওয়া সম্বব হচ্ছে না।পরবর্তীতে দীপকের অভিভাবকের সন্ধান পাওয়া গেলে তাকে ফেরত নেওয়া হবে।দীর্ঘ ৪ বছর জেল খেটে আপন ঠিকানায় পিরতে না পেরে আবারো দীপককে ফিরে আসতে হলো বাংলাদেশের কারাগারে।বিজিবি দীপককে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।পুলিশ তাকে চুয়াডাঙ্গা জেলা কারাগারে পাঠায়।

এ সময় বিজিবির পক্ষে উপস্থিত ছিলেন দর্শনা চেকপোষ্ট আই সিপির ইনচার্জ আব্দুল জলিল,দর্শনা থানার এস আই সোহেল রানা,দর্শনা ইমিগ্রেশনের এস আই মোর্শদ,এস আই আবু হানিফ,এ এস আই আব্দুল মমিন,বি এসএফের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন,গেদে বিএসএফের কোম্পানী কমান্ডার বিধাস চন্দ্র।