এশিয়ার সর্ববৃহৎ সার কারখানা: কৃষি উৎপাদন ও অর্থনীতি আসবে স্বস্তি

দ্রুত ফসল উৎপাদনের জন্য ইউরিয়া বহুল ব্যবহৃত রাসায়নিক সার, গাছের সবুজ অংশের বৃদ্ধিতে এর ভূমিকা প্রধান। সবচেয়ে বেশি প্রয়োগ হয় ধান, গম, ভুট্টা চাষের জমিতে। পৃথিবীতে যত ইউরিয়া উৎপাদন হয় তার প্রায় ৯০ শতাংশ ব্যবহার কৃষিক্ষেত্রে।

কারখানাটি দেশের কৃষি উৎপাদন, কৃষি অর্থনীতি, ব্যবসা-বাণিজ্যে ইতিবাচক অবদান রাখবে। মাটিতে (ইউরিয়া) নাইট্রোজেন পুষ্টি উপাদানের ঘাটতি হলে ক্লোরোফিল সংশ্লেষণের হার কমে যায়। ফলে ফসলের স্বাভাবিক সবুজ বর্ণ হারিয়ে ফেলে। পাতার আকার ছোট হয় এবং শাখা প্রশাখার বৃদ্ধি হ্রাস পায়, ফলে গাছ খর্বাকার হয় এবং ফলনে বিপর্যয় ঘটে। তাই কৃষিতে ইউরিয়ার গুরুত্ব অপরিসীম।

নরসিংদী জেলার পলাশ উপজেলায় নবনির্মিত ‘ঘোড়াশাল-পলাশ ইউরিয়া সার কারখানা’ নামের এই কারখানাটি উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই কারখানায় বার্ষিক ৯ লাখ ২৪ হাজার মেট্রিক টন ইউরিয়া সার উৎপাদিত হবে।

উন্নত দেশ যেমন ইউরোপ, আমেরিকা ও জাপান থেকে যন্ত্রপাতি এনে এখানে কারখানা স্থাপন করা হয়েছে। কারখানাটি সর্বাধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর, শক্তি সাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব। জাপানের এম এইচ আই ও চায়না সিসি সেভেন কোম্পানি কারখানাটি নির্মাণ করেন। এটি চালু হলে শিল্পখাতে নতুন দ্বার উন্মোচিত হবে। দেশের বাইরে থেকে সার আমদানি হ্রাস পাবে ফলে বিপুল পরিমাণে বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হবে। মানুষের নতুন নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।

এই কারখানার বার্ষিক উৎপাদন ক্ষমতা ধরা হয়েছে ৯ লাখ ২৪ হাজার মেট্রিক টন। সর্বাধুনিক প্রযুক্তিসম্পন্ন, শক্তি সাশ্রয়ী এবং পরিবেশবান্ধব গ্রানুলার ইউরিয়া উৎপাদনে সক্ষম এই সার কারখানা দেশে ইউরিয়া সারের স্বল্পতা ও ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। দেশে কম-বেশি প্রায় ৩০ লাখ মেট্রিক টন সারের চাহিদা রয়েছে। ৬ থেকে ৭ লাখ মেট্রিক টন সার আমদানি করতে হয় প্রতি বছর।

দেশের অভ্যন্তরীণ ইউরিয়া সারের চাহিদা মেটানো এবং সুলভ মূল্যে কৃষকদের কাছে সার সরবরাহ নিশ্চিতে নরসিংদীর পলাশে স্থাপিত হচ্ছে দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ পরিবেশবান্ধব ‘ঘোড়াশাল-পলাশ ইউরিয়া সার কারখানা’। এটি চালু হলে দৈনিক ২৮০০ মেট্রিক টন করে বছরে গড়ে ৯ লাখ ২৪ হাজার মেট্রিক টন ইউরিয়া সার উৎপাদন সম্ভব হবে। ফলে সারের উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে এবং অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে সারের জোগান বাড়ানো সম্ভব।

দেশের ইউরিয়া সারের চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে ১৯৭০ সালে বার্ষিক ৩ লাখ ৪০ হাজার এবং ১৯৮৫ সালে ৯৫ হাজার মেট্রিক টন উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন যথাক্রমে ঘোড়াশাল এবং পলাশ ইউরিয়া সার কারখানা স্থাপিত হয়।
কারখানা দুটি পুরোনো হওয়ায় উৎপাদন ক্ষমতা হ্রাস এবং ডাউন টাইম অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পাওয়ায় ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কারখানা দুটির জায়গায় উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন, শক্তিসাশ্রয়ী, পরিবেশবান্ধব ও আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর একটি সার কারখানা নির্মাণের নির্দেশনা দেন।

সেই প্রেক্ষিতে বার্ষিক ৯ লাখ ২৪ হাজার মেট্রিক টন ক্ষমতাসম্পন্ন নতুন গ্রানুলার ইউরিয়া সার কারখানা স্থাপনের লক্ষ্যে ‘ঘোড়াশাল পলাশ ইউরিয়া ফার্টিলাইজার প্রকল্প’ শীর্ষক প্রকল্পটি নেওয়া হয়। জাপানি প্রতিষ্ঠান এমএইচআই-এর কাছে কারখানাটি বাস্তবায়নের দায়িত্ব দেওয়া হয়।

ঘোড়াশাল পলাশ ইউরিয়া ফার্টিলাইজারের প্রকল্প এর কারখানাটি যখন পুরোপুরি উৎপাদনে যাবে, তখন ৯৬৮ জন লোকের স্থায়ী কর্মসংস্থান হবে। এছাড়া ১৫০০ থেকে ২০০০ লোক কারখানায় বিভিন্নভাবে প্রতিদিন কাজ করবে।

সার কাখানায় লোডিং-আনলোডিং, সার বস্তাবন্দি করা, প্যাক করা, ট্রাকে ট্রেনে উঠানো এসব জায়গায় কমপক্ষে দুই হাজার লোক কাজ করবে। এছাড়া এই কারখানায় প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ত্রিশ হাজার লোকের কর্মসংস্থান হবে। জাপানিজ কনসালটেন্টদের মাধ্যমে কারখানার প্রত্যেকটা কর্মকর্তা, অপারেটরদের ট্রেনিং দেওয়া হয়েছে, দেশে এবং বিদেশে।

বর্তমানে দেশের জনবল দিয়ে অপারেটিং সিস্টেম চালানো হচ্ছে, বিদেশিরা সাথে থাকছে। এতে করে দেশের কর্মকর্তাদের আত্মবিশ্বাস বাড়ছে। কোনোরকম ভুল হলে তারা তা শুধরে দিচ্ছে, দেখিয়ে দিচ্ছে। হাতে-কলমে ট্রেনিং দিচ্ছে। কারখানার অফিসার, অপারেটররা সক্ষম, তারা তাদের সামর্থ্য দেখাচ্ছে, তাদের পর্যাপ্ত ট্রেনিং দেওয়া হচ্ছে। কারখানাটি এখন ট্রায়াল রানে আছে, কোনোরকম সমস্যা হচ্ছে কি না সবকিছুই নজরদারিতে রাখা হচ্ছে। ট্রায়ালও সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে।

৪৩৬ একর জায়গার মধ্যে ১১০ একর জায়গা নিয়ে স্থাপিত কারখানাটি নির্মাণে ব্যয় হবে ১৫ লাখ ৫২০ কোটি টাকা। দেশের মোট সারের সিংহভাগ পূরণের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে উৎপাদনে যেতে আর অপেক্ষা অল্প সময়ের।
এটি চালু হলে দেশের অন্যান্য কারখানায় চাপ কমার পাশাপাশি বিদেশ থেকে আমদানি নির্ভরতা কমবে। এই প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশের মধ্যে সর্ববৃহৎ সার কারখানা প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে। যা বাংলাদেশের অগ্রযাত্রায় বিরাট ভূমিকা রাখবে।

এই কারখানাটি বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় করবে। পাশাপাশি সার আমদানির ওপর নির্ভরতা কমাবে একই সঙ্গে কৃষিতে স্বয়ংসম্পূর্ণতা বৃদ্ধি পাবে। দেশে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।

লেখক: কৃষি ও পরিবেশ বিশেষজ্ঞ।




৭ মাসে কোরআনের হাফেজ ছাতিয়ান হাাফিজিয়া ক্বওমী মাদ্রাসার সামিউল ইসলাম

৭ মাস ও ১১ মাসে কোরআনের হাফেজ হয়েছেন ছাতিয়ান হাফিজিয়া ক্বওমী মাদ্রাসা লিল্লাহ বোডিং ও এতিম খানার মোঃ সামিউল ইসলাম ও মোঃ ইয়ামিন হোসেন নামের দুই শিক্ষার্থী।

আজ শনিবার সকালে আনুষ্ঠানিক ভাবে মাদ্রাসা হল রুমে দুই শিক্ষার্থীকে পুরুষ্কৃত করেন মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ।

জানা গেছে, ছাতিয়ান গ্রামের মৃত গোলাম কাদের ইসলামী শিক্ষা প্রসারের উদ্যোগ নেন এবং এলাকাবাসীর সহযোগতিায় ছাতিয়ান ব্রিক ফিল্ড বাজারের সন্নিকটে ১৯৭৭ সালে ছাতিয়ান হাফিজিয়া ক্বওমী মাদ্রাসা লিল্লাহ বোডিং ও এতিম খানা গোড়ে তোলেন। তখন থেকেই প্রতিষ্ঠানটি অত্র এলাকা সহ আশেপাশের এলাকার শিক্ষার্থীদের সুনামের সাথে শিক্ষা দিয়ে যাচ্ছেন। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটিতে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৫শ জন। এর মধ্যে দুইশ জন আবাসিক থেকে লেখাপড়া করছে। হুফ্ফাজ, ক্বওমী ও নুরানী বোর্ড দ্বারা পরিচালিত হয়ে আসছে মাদ্রাসাটি। এখানে নার্সারী থেকে শুরু করে জামাত খান উর্দু থেকে কাফিয়া পর্যন্ত ৯টি বিভাগে শিক্ষার্থীরা ভর্তি হতে পারে।

ছাতিয়ান হাফিজিয়া ক্বওমী মাদ্রাসা লিল্লাহ বোডিং ও এতিম খানার সুপার আবুল হাসান জানিয়েছেন, গাংনী উপজেলার ভবানীপুর গ্রামের জালাল উদ্দিনের ছেলে ও এই মাদ্রাসার দাখিল পরীক্ষার্থী মোঃ সামিউল ইসলাম ৭ মাস ১ দিনে কোরআানের হাফেজ হয়েছেন। অষ্টম শ্রেণীর আরেক শিক্ষার্থী বালিয়াঘাট গ্রামের আহসান হাবীবের ছেলে মোঃ ইয়ামিন হোসেন ১১ মাসে কোরআনের হাফেজ হয়েছেন। অন্যন্য শিক্ষার্থীদের কোরআনে হাফেজ হতে উদ্বুদ্ধ করনের জন্য আমরা প্রতি বছরই নতুন হাফেজদের পুরুস্কৃত করে থাকি। তিনি মাদ্রাসাটি আরো ভালো ভাবে পরিচালনার জন্য এলাকার মানুষের কাছে সহযোগীতা চেয়েছেন।




ইবির জাজে’স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক হলেন মেহেরপুরের রুপক

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) জাজে’স অ্যাসোসিয়েশনের নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে। এতে আইন বিভাগের প্রথম ব্যাচের শিক্ষার্থী ও বিচারক (জেলা জজ) নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল, ঝিনাইদহ’র মিজানুর রহমানকে সভাপতি ও নবম ব্যাচের শিক্ষার্থী বাংলাদেশ সুপ্রিমকোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রার (বিচার) (জেলা জজ), এসকে,এম, তোফায়েল হাসান রুপককে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে মনোনীত করা হয়েছে।

শুক্রবার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৬তম বাংলাদেশ জুড়িসিয়াল সার্ভিস (বিজেএস) পরীক্ষায় সুপারিশপ্রাপ্তদের সংবর্ধনা উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় জাজে’স অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে একটি ভার্চুয়াল মিটিংয় অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠান শেষে উপস্থিত সকলের সম্মিলিত মতামতের ভিত্তিতে সংগঠনটির কার্যক্রমকে গতিশীল করার লক্ষ্যে সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক নির্বাচন করা হয়। পরবর্তীতে পূর্ণাঙ্গ কমিটি প্রকাশ করা হবে।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র জেলা জজ সিরাজুদ্দৌলাহ কুতুবী, হাফিজুর রহমান, আঃ ছালাম খান ও মো: মিজানুর রহমান সহ প্রায় ৪০ জন বিভিন্ন পর্যায়ের বিজ্ঞ বিচারকগন।

যেখানে বাংলাদেশের অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ছাত্র ছাত্রীরা বিচার বিভাগ সর্বোচ্চ আসন সহ আইনের সর্ব অঙ্গনে অনন্য উচ্চতায় আসীন হয়েছেন বা হচ্ছেন সেক্ষেত্রে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থা অত্যন্ত হতাশাব্যন্জক।

এ বিষয়টিকে অনুধাবন করেই নবগঠিত কমিটির সদস্যরা এ সংগঠনটির কার্যক্রম আরও গতিশীল করার পাশাপাশি তাদের নিজ বিভাগের শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার মানের উৎকর্ষতা বৃদ্ধির জন্য কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহনের আশ্বাস দেন।

এছাড়াও বিচারকদের এই ভার্চুয়াল প্লাটফর্মটি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের জন্য একটি অনুপ্রেরনার বাতিঘর বলেও অনেকে মন্তব্য করেন। এক্ষেত্রে বিভাগগুলোকে সর্বাগ্রে এগিয়ে আসতে হবে বলে অনেকে মতামত ব্যাক্ত করেন।

উল্লেখ্য, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় জাজে’স এ্যসোসিয়শনের সদস্য হিসেবে বর্তমানে ৯৪ জন বিচারক রয়েছেন। এর মধ্যে ১৯ জন বিজ্ঞ বিচারক অধস্থন আদালতের সর্বোচ্চ পদ জেলা ও দায়রা জজ হিসেবে পদোন্নতি পেয়ে দেশের বিভিন্ন আদালতে কর্মরত রয়েছেন। বেশ কয়েকজন জেলা জজ হিসেবে পদায়নের অপেক্ষায় রয়েছেন।

প্রায় ৪ বছর আগের এই ভার্চুয়াল প্লাটফর্মটির প্রতিষ্ঠা করেন বর্তমান সাতক্ষীরার যুগ্ম জেলা জজ শহীদুল ইসলাম। এরপর সংগঠনটি প্রায় দুই বছর ধরে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছে আহ্বায়ক কমিটির মাধ্যমে। জেলা ও দায়রা জজ জনাব মোঃ মঞ্জুরুল ইমাম সংগঠনটির সূচনা থেকে আহ্বায়ক হিসেবে এতদিন দ্বায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। সংগঠনটি ইতোমধ্যে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদে ও কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়ামে আইন অনুষদের ৩টি বিভাগের শিক্ষার্থী, শিক্ষক এবং সারা বাংলাদেশ থেকে আগত সকল বিজ্ঞ বিচারকদের সমন্বয়ে দিনব্যপী একটি পুনর্মিলনী ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন সফলভাবে সম্পন্ন করেছে।

এছাড়াও সংগঠনের সদস্যরা বিভিন্ন দুস্থ, অসুস্থ ছাত্রকে সাহায্য সহ আর্তমানবতার সেবায় কাজ করে যাচ্ছে। ভবিষ্যতে সংগঠনটির সদস্যরা প্রাতিষ্ঠানিকভাবে মানবসেবাসহ আইন বিভাগের সাবেক ও বর্তমান ছাত্র ছাত্রীদের পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধিসহ বহুমুখী কল্যানে আরও বৃহৎ পরিসরে কাজ করার ইচ্ছা ব্যাক্ত করেছেন।

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী ও বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের মাননীয় বিচারপতি জনাব ড.কে.এম হাফিজুল আলম নব নিযুক্ত কমিটিকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।

সূত্র: যায় যায় দিন




চুয়াডাঙ্গায় বর্ণাঢ্য আয়োজনে মোহনা টেলিভিশনের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন

চুয়াডাঙ্গায় বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্যে দিয়ে পালিত হয়েছে মোহনা টেলিভিশনের প্রতিষ্ঠা বার্ষিক। প্রতিষ্ঠা বার্ষিক উপলক্ষে র‌্যালি, আলোচনা সভা ও কেক কেটে জনপ্রিয় টেলিভিশন চ্যানেল মোহনা টেলিভিশনের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হয়।

টেলিভিশনটির ১৪ বছরে পদার্পণ উপলক্ষে এ আয়োজন করা হয়। শনিবার বেলা ১১টায় চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সভাকক্ষে আয়োজিত মোহনা টেলিভিশন প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন মোহনা টেলিভিশনের চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রতিনিধি সাইফ জাহান।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিসেবে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ( সার্বিক) নাজমুল হামিদ রেজা। বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রিয়াজুল ইসলাম, চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সভাপতি সরদার আল আমিন, সাধারণ সম্পাদক রাজীব হাসান কচি, সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক বিপুল আশরাফ, দৈনিক পশ্চিমাঞ্চলের সম্পাদক আজাদ মালিতা ও গড়াইটুপি ইউপি চেয়ারম্যান রাজু।

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠানে র‌্যালি পরবর্তী আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন ৭১ টেলিভিশনের চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি এমএ মামুন, বাংলাদেশ প্রতিদিন ও নিউজ টয়েন্টিফোরের চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি জামান আখতার এবং সিনিয়র সাংবাদিক শেখ সেলিম। অনুষ্ঠানে বক্তারা মোহনা টেলিভিশনের সমৃদ্ধি কামনা করেন।




আলমডাঙ্গায় দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

আলমডাঙ্গায় আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে মাঠ পর্যায়ে কর্মীসভা করার লক্ষ্যে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ শনিবার সকাল সাড়ে ১০ টায় উপজেলা আওয়ামীলীগের দলীয় কার্যালয়ে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও ১ আসনের সংসদ সদস্য সোলাইমান হক জোয়াদ্দার ছেলুন এমপি।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন ছিল সোনার বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করা। তাঁর স্বপ্নকে বাস্তবায়নে তাঁরই সুযোগ্য কন্যা বর্তমান সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। দেশে উন্নয়নের অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকায় ইতিমধ্যে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে। আগামী ২০৪১ সালে বাংলাদেশ উন্নত ও সমৃদ্ধ এবং স্মার্ট বাংলাদেশে পরিণত হবে।

তিনি আরো বলেন, ডিজিটাল বাংলার রূপকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইতোমধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশের ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি সফলও হবেন। কারণ তিনি হচ্ছেন উন্নয়নের জাদুকর ও মানবতার মা। তাঁর হাত ধরেই এদেশ স্বল্পন্নোত দেশ থেকে মধ্যয়ের দেশে রূপান্তরিত হয়েছে। আগামী দিনের সকল চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে দেশকে উন্নয়নের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন। আমরা মনে করি জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ে সুষ্ঠু ও অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠান শুধু প্রত্যাশা নয়, যে কোনো মূল্যে আগামী নির্বাচনকে সকল দলকে অংশগ্রহণের মাধ্যমে অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হিসেবে নিশ্চিত করতে হবে। আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে দলকে সাংগঠনিকভাবে মজবুত ও শক্তিশালী করতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে কোনো কুচক্রি মহল আর যেন দলের কোন ক্ষতি করতে না পারে।

আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মুন্সি আলমঙ্গীর হান্নান, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম খাঁন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আবু মুছা, সাধারণ সম্পাদক ইয়াকুব আলী মাস্টার, সাবেক উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি লিয়াকত আলী লিপু মোল্লা, প্রচার সম্পাদক মাসুদ রানা তুহিন, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী অরুন, পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুর রহমান পিন্টু, পৌর আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম, কুমারি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আবু সাইদ পিন্টু, সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক, হারদি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আশিকুজ্জামান ওল্টু, বাড়াদি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মকবুল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম লাল্টু, জেহালা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক হাসানুজ্জামান হান্নান মাস্টার, বেলগাছি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান চঞ্চল, ডাউকি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের (ভারপ্রাপ্ত) সভাপতি খবির উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক তরিকুল ইসলাম, (উৎপল,) ভাংবাড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের যুগ্নসাধারণ সম্পাদক জিনারুল ইসলাম, নাগদাহ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এজাজ ইমতিয়াজ বিপুল জোয়াদ্দার, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সালমুন আহম্মেদ ডন, কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি আশরাফুল ইসলাম, যুবলীগ নেতা সৈকত খান, ছাত্রলীগ নেতা আশরাফুল হক, বাদশা,অটল প্রমূখ।




আলমডাঙ্গায় ৪০ দিনের কর্মসৃজন প্রকল্প কাজের উদ্বোধন

আলমডাঙ্গা উপজেলায় ২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরের প্রথম পর্যায়ের অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচির কর্মসৃজন প্রকল্পের উদ্বোধন করা হয়েছে।

আজ শনিবার সকালে ডাউকি ও কালিদাসপুর ইউনিয়নে আনুষ্ঠানিক ভাবে এ কর্মসূচি কাজের উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহি অফিসার স্নিগ্ধা দাস। এছাড়া একযোগে ১৫ টি ইউনিয়নে কর্মসূচির কাজ শুরু হয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন- উপজেলা প্রকল্প বাস্থবায়ন কর্মকর্তা মো. এনামুল হক, ডাউকি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তরিকুল ইসলাম, কালিদাসপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুল হক মিকা, পিআইও সহকারী মহাসিন মোড়ল সহ স্থানীয় ইউপি সদস্যবৃন্দ।

২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরের অতি দরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচির প্রথম পর্যায়ে উপজেলার ১৫টি ইউনিয়নে রাস্তার কাজ একযোগে শুরু হয়েছে। এতে ৪০ দিনের কর্মসূচিতে দৈনিক ৪’শ টাকা করে ১৩’শ জন শ্রমিক কাজ করছে। এতে ব্যায় ধরা হয়েছে ২ কোটি ৮ লাখ টাকা।




বিএনপিকে চোখের চিকিৎসা নিতে পরামর্শ প্রধানমন্ত্রীর

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলছেন, ‘আমি জানি, আমাদের বিরোধী দল (বিএনপি) উন্নয়নটা চোখে দেখে না। এদের আর বলার কিছু নেই, চোখ থাকতে যারা অন্ধ তাদেরকে আর কী বলবো? তাদেরকে একটা পরামর্শ দিতে পারি, আমি কিন্তু ঢাকায় একটা আধুনিক আই ইনস্টিটিউট করেছি, চোখ থাকতে যারা অন্ধ তারা সেখানে গিয়ে চোখটা দেখাতে পারে। মাত্র ১০ টাকা লাগে, বেশি লাগে না।’

আজ শনিবার (১১ নভেম্বর) কক্সবাজার রেলওয়ে স্টেশনে দোহাজারী থেকে কক্সবাজার রেলপথ প্রকল্পের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশ গত ১৫ বছরে বদলে গেছে। আওয়ামী লীগ প্রথমবার যখন সরকারে আসে, আমরা অনেকগুলো উন্নয়ন কর্মকাণ্ড হাতে নিই। বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়াই, স্বাক্ষরতার হার বাড়াই। রেল, রাস্তাঘাট, স্কুল-মাদ্রাসা সবকিছুরই কিন্তু উন্নয়ন করেছিলাম। যমুনা নদীর ওপর সেতু নির্মাণ, এর সঙ্গে রেলপথ করে উত্তরবঙ্গের সঙ্গে আমাদের সংযোগ স্থাপন হয়। রেলকে আমরা গুরুত্ব দিয়েছি, কারণ সাধারণ মানুষ অল্প খরচে যাতায়াত করতে পারে।’

তিনি বলেন, ‘পাঁচ বছর মাত্র ক্ষমতায় ছিলাম। ২০০১-এ শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর করি। বাংলাদেশের ইতিহাসে এই প্রথম শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর করা হয়। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় আমি গ্যাস বিক্রির করতে রাজি না হওয়ায় আমাকে ক্ষমতায় আসতে দেওয়া হয়নি- একটা চক্রান্ত করে। তাতে আমার কোনও আফসোস নেই। কারণ আমি বঙ্গবন্ধুর মেয়ে, ক্ষমতার লোভে দেশের সম্পদ কারও হাতে তুলে দিতে রাজি না।’

উল্লেখ্য, ১১ নভেম্বর দোহাজারি-কক্সবাজার রেলপথ উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ রেলওয়ে নেটওয়ার্কের ৪৮তম জেলা হিসেবে যুক্ত হয়েছে কক্সবাজার। পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতের নগরী কক্সবাজারে এতদিন দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সড়ক ও বিমান পথে পর্যটকদের আসার সুযোগ থাকলেও এখন যুক্ত হলো নতুন এক যোগাযোগ ব্যবস্থা।




হাসিনা সরকারের ‘পাশে দাঁড়িয়ে’কৌশলী বার্তা ভারতের

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগকে ক্ষমতাচ্যুত করতে আসরে নেমেছে বিএনপি-জামাত ও তাদের সমমনা দলগুলো। তাদের কট্টর আন্দোলন ও আগুন সন্ত্রাসে উত্তপ্ত দেশ। অবাধ নির্বাচন কীভাবে হবে তা নিয়ে জবাব চেয়েছে আমেরিকা ও যুক্তরাজ্য। এই প্রেক্ষাপটে শেখ হাসিনা সরকারের ‘পাশে দাঁড়িয়ে’ কৌশলী বার্তা দিয়েছে ভারত।

বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে দিল্লিতে সাংবাদিক সম্মেলনে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ৈর মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি বলেন, “ভারত বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে সম্মান করে এবং সেদেশের জনগণই তাদের ভবিষ্যতের সিদ্ধান্ত নেবেন। আমরা অন্য কোনও দেশের নীতি নিয়ে মন্তব্য করতে চাই না।” বাগচি আরও বলেন, “ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও সহযোগী হিসাবে, আমরা তাদের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে সম্মান করি এবং স্থিতিশীল, শান্তিপূর্ণ এবং প্রগতিশীল জাতি গঠনে ঢাকার লক্ষ্যে আমাদের সমর্থন অব্যাহত থাকবে।”

শেখ হাসিনা সরকারকে হঠাতে বিএনপি চতুর্থ দফায় অবরোধ কর্মসূচি দিয়েছে। রবিবার ভোর ৬টা থেকে মঙ্গলবার ভোর ৬টা পর্যন্ত চলবে চতুর্থ দফার এই অবরোধ। বিএনপির এই আন্দোলনে সরাসরি সমর্থন দেয়নি আমেরিকা। তবে আওয়ামী লীগ সরকারের দোষ-ত্রুটি খুঁজেই বেড়াচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র বলে তোপ দেগেছে ঢাকা। এবার এই প্রসঙ্গে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করল ভারত।

অপরদিকে, বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ তৈরির আহ্বান জানিয়েছে আমেরিকা। ২৮ অক্টোবর বিএনপির সমাবেশ ঘিরে সংঘর্ষ এবং দলের একাধিক নেতাকে গ্রেপ্তার কাণ্ডে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিদেশ বিষয়ক ও নিরাপত্তা নীতি সংক্রান্ত বিষয়ের শীর্ষ প্রতিনিধি জোসেপ বোরেল বলেন, “বাংলাদেশে ৮ হাজারের বেশি বিরোধী নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তারের ঘটনায় আমরা উদ্বিগ্ন। আমরা সব পক্ষকে হিংসা থেকে বিরত থাকার আবেদন জানাচ্ছি।” বাংলাদেশের আগামী সংসদ নির্বাচনে সব রাজনৈতিক দলকে যুক্ত করে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ প্রক্রিয়া নিশ্চিত হোক, এমনটা চায় কানাডার হাউস অব কমন্সের ৮ সদস্য। নিজেদের এই প্রত্যাশার কথা জানিয়ে তাঁরা প্রধানমন্ত্রী হাসিনাকে চিঠিও লিখেছেন।

বৃহস্পতিবার আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, “আগামী নির্বাচনকে হালকাভাবে নেওয়ার সুযোগ নেই। নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেবে। মনোনয়ন বাণিজ্যের জন্য হলেও তারা নির্বাচনে আসবে। তারেক জিয়া সেই সুযোগ নষ্ট করবেন না।”

বিএনপি-জামাতের ডাকা অবরোধ কর্মসূচিতে গত ১৩ দিনে রাজধানী ঢাকায় ৬৪টি গাড়িতে আগুন লাগিয়ে ও ভাঙচুর করা হয়েছে। ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) ড. মহিদ উদ্দিন বলেন, ‘রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে চতুর্থ দফায় অবরোধের ডাক দিয়েছে বিএনপি।’ ঢাকা সড়ক পরিবহণ মালিক সমিতি দাবি করেছে, বিএনপি-জামাতের অবরোধে ২০০টি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে।




শীতের আগমনে সুস্থতা ও চনমনে

এসময় হঠাৎ জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ছেলে-বুড়ো সব বয়সের মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ে। বিশেষ করে যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম তাড়া খুব সহজে আক্রান্ত হয়ে পড়েন ঠাণ্ডা জনিত যে কোন অসুখে।

শীতকালে সাধারণত সর্দি, কাশি, মাথাব্যাথা, জ্বর, গা ব্যাথা, অ্যাজমাসহ নানা রকম বায়ুবাহিত রোগ আক্রান্ত করে। আর কথায়ই আছে শরীর ভালো তো মন ভালো। শারীরিক অসুস্থতার কারণে তাই কোনো কাজও ঠিক মত করা যায় না।

আর যেহেতু শীত মৌসুমে যে কোন মানুষ ভ্রমনে যেতে পছন্দ করেন । বিশেষ করে শীতের ছুটিতে ঘুরার জন্য যেন অপেক্ষাতেই থাকেন ।

তবে ঋতু বৈচিত্র্যের কারণে শীতে শুষ্কতা ও রুক্ষতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শরীরে রোগ-ব্যাধির প্রবণতাও বাড়তে থাকে। তাই আনন্দ-উৎসবে মেতে ওঠার পাশাপাশি অবশ্যই এই সময় স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়া খুব বেশি প্রয়োজন।

শীত আসার শুরুতেই যদি নিত্যদিনের জীবনধারায় কিছু বিষয়ে মনোযোগ দেয়া যায় তাহলে ফুরফুরে মেজাজে হিমেল পরশকে সুস্থতার সঙ্গে উপভোগ করা সম্ভব। তবে শরীর নামের যন্ত্রটা যাতে ঠিকঠাক মতন চলতে থাকে সেই নিশ্চয়তাটুকু করে নিতে হবে নিজেরই।

শীতকালে সুস্থ থাকতে কিছু সাবধানতা অবলম্বনের পরামর্শ দিয়েছেন মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দীপণ চৌধুরী। তিনি বলেন, প্রত্যেক বয়সের মানুষকেই শীতকালের উপযোগী করে রাখতে খানিকটা বাড়তি খেয়াল রাখার প্রয়োজন আছে।

শীতকালে ঠাণ্ডাজনিত রোগ বা ফ্লু একটি সাধারণ রোগ। প্রায় ২০০ এর বেশি ভাইরাসের আক্রমণের কারণে হয়ে থাকে এই ফ্লু।এটি শরীরের মারাত্মক ক্ষতি করে।

ঠাণ্ডাজনিত রোগ থেকে নিজেকে এবং পরিবারকে রক্ষার জন্য উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত। তার জন্য যা করতে হবে: হাঁচি বা কাশি দেয়ার সময় নাকে মুখে টিস্যু পেপার বা রুমাল চেপে ধরুন।হাঁচি বা সর্দি কাশির পর হাত ভালোভাবে সাবান অথবা পানি দিয়ে ধৌত করুন।

হাতের কাছে পানি বা হ্যান্ডওয়াশ না থাকলে অ্যালকোহল ভিত্তিক ট্রাভেল হ্যান্ডওয়াশ ব্যবহার করতে পারেন। ঠাণ্ডা বা ফ্লু জনিত রোগে আক্রান্ত এমন লোকের সংস্পর্শ এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করুন।ঠাণ্ডায় আক্রান্ত হলে প্রচুর পরিমাণে বিশ্রাম নিন। বাড়ির বাইরে বেরোনো একটু কমিয়ে দিন। মাথা ব্যথা, শরীর ব্যথা, পেশী ব্যথা ও জ্বর কমাতে সাহায্য করে প্যারাসিটামল। প্রয়োজনে  প্যারাসিটামল খেয়ে নিন।বাচ্চাদের ক্ষেত্রে বিশেষ সাবধানতা অবলম্বন করুন। প্যারাসিটামল গ্রহণ এর আগে ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করুন।

শীতকালে উচ্চ পুষ্টিসম্পন্ন খাদ্য খাওয়া উচিত।এতে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। শীতকালে আপনার খাদ্যতালিকায় রাখুন-প্রোটিন ও ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার।ভিটামিন বি, সি, ডি ও ই জাতীয় উচ্চ ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার।শর্করা ও চর্বি জাতীয় খাদ্য কম খাবেন। টাটকা ফল ও সবজিতে আছে বায়োটিন যা ত্বক ও চুল সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।

ফুলকপি, মটরশুটি, বাঁধাকপি, শিম ও গাজর বেশি করে খাবেন।লেবু জাতীয় ফল যেমন- মালটা, কমলা, বাতাবি লেবু বেশি করে খাবেন ।এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি’ থাকে। ভিটামিন সি টক ও মাড়ি সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
শীতের দিনে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করা উচিত। কারণ শীতে শরীর শুষ্ক হয়ে পানিশূন্যতা দেখা দিতে পারে। তাই নিজেকে পানি পান করে হাইড্রেট রাখাও গুরুত্বপূর্ণ।যাদের ঠাণ্ডা পানিতে এলার্জি সমস্যা থাকে তারা গরম পানি পান করুন।

শীতকালে কর্ম উদ্দীপনা কম থাকে, শরীর অসার বোধ হয়, মনে হয় সকাল টা বিছানায় ঘুমিয়ে পার করে দেই। কিন্তু এরকম বদ অভ্যাস অবশ্যই বর্জনীয়। নিজেকে কাজে ব্যস্ত রাখার চেষ্টা করুন, পরিশ্রম করুন, শরীর থেকে ঘাম ঝরান। এতে শরীর সুস্থ ও তরতাজা মনে হবে।

বাঙালি জাতি আসলেই ভাগ্যবান কারণ শীতকালে যেমন  আবহাওয়া অনেক শীতল থাকে তেমনি  রৌদ্রোজ্জ্বল দিন ও আমরা উপভোগ করি।তাই প্রতিদিন নিয়ম করে একটু হাঁটাহাঁটি বা ব্যায়াম করা যেতেই পারে এতে শরীর সুস্থ থাকবে।

শরীর উষ্ণ রাখার চেষ্টা করুন। শীতকালে গরম কাপড় পরিধান করুন। সম্ভব হলে প্রতিবার হালকা কুসুম গরম পানি পান করুন। সকালের নাস্তা ও দুপুরের নাস্তার পর গরম স্যুপ, ফলের রস ও ডাবের পানি খেতে পারেন। চা-কফি বাদ যাবে কেন? এতে শরীর পানিশূণ্যতার অভাব পূরণ করে, পাশাপাশি শরীর উষ্ণ থাকে।
শীতে হজম শক্তি কমে যায়। পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম না হলে বদ হজমের সমস্যা দেখা দেয়। তাই শীতকালে পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম জরুরি।

সূত্র: ইত্তেফাক




পেছনে ফিরে যাওয়ার সুযোগ নেই , আলোচনায় শিক্ষকরা

দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতার পেছনে আছে আন্তর্জাতিক চক্র। তাতে এখন চলছে অন্যরকম রাজনীতি। অতীতের মতো বাংলাদেশে অগণতান্ত্রিক পরিবেশ তৈরির চেষ্টা চলছে। অসাংবিধানিক পদ্ধতিতে ফিরে যাওয়ার জন্য দেশ স্বাধীন করা হয়নি। তাই বাংলাদেশে এখন পেছনে ফিরে যাওয়ার সুযোগ নেই। কারণ উন্নয়নের মহাসড়কে আছে বাংলাদেশ। সেই উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করতে পারি না আমরা বলে জানিয়েছেন দেশের শিক্ষকরা।

শনিবার (১১ নভেম্বর) ‘সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও অপরাজনীতির’প্রতিবাদে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ ও মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় এসব কথা জানান তারা। এডুকেশেন রিসার্চ এন্ড ডেভেলমেন্ট ফোরাম বাংলাদেশ (ইআরডিএফবি) আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউিটে এই মতবিনিময় সভার আয়োজন করে।

এডুকেশেন রিসার্চ এন্ড ডেভেলমেন্ট ফোরাম বাংলাদশে (ইআরডিএফবি)- এর সিনিয়র সহ সভাপতি এবং বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফসের ড. আব্দুল জব্বার খাঁন বলেন, বাংলাদেশে সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, অপরাজনীতির বিজ বপন করা হয়েছে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে। হত্যাকাণ্ড করেই কিন্তু ক্ষান্ত হয়নি তারা। জাতীয় চার নেতাকে কারাবন্দী করা হয়েছে এবং জেলকোড ভেঙ্গে তাদের হত্যা করা হয়েছে। এর আগ পর্যন্ত বাংলাদেশে সন্ত্রাস জঙ্গিবাদের কোন অস্তিত্ব ছিল না। এখানেই শেষ নয়, ইন্ডেমনিটি আইন করে বিচার চাওয়া বন্ধ করা হয়েছিয়েল। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার আগে মাত্র তিন বছরে মাথাপিছু আয় রেখে গিয়েছিলেন ৩৬০ ডলার। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর দেশে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত অসাংবিধানিক সরকার ছিল সবসময়। এই ১৬ বছরে মাথাপিছু আয় বেড়েছিল মাত্র ২৩ ডলার। আমরা কি সেই বাংলাদেশে আবার ফিরে যাবো? আমরা কি অসাংবিধানিক কোন পদ্ধতিতে ফিরে যাবো? আজকে মাথাপিছু আয় ৩ হাজার ডলার। আমরা পিছনে ফিরে যাওয়ার জন্য এতো কষ্ট করে বাংলাদেশ স্বাধীন করিনি। সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, অপরাজনীতি এসব কিছু আমরা দেখে এসেছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘এখন আমাদেরকে নিয়ে অন্যরকম রাজনীতি চলছে। এখন আমরা যে অপরাজনীতি, জ্বালাও পোড়াও দেখছি তাতে আমরা আমাদের শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রম কিভাবে চালু রাখব তা নিয়ে চিন্তিত। আমাদের শিক্ষার্থী কি আগুন সন্ত্রাসের শিকার হয়ে ক্লাসে আসবে- আমরা এখন সেই আতংকে আছি। জ্বালা আসলে কোথায়- সেটি হচ্ছে আন্তর্জাতিক চক্র! সম্প্রতি বাংলাদেশে বিভিন্ন মিশন প্রধানরা ভিয়েনা কনভেনশনকে পদদলিত করে একেরপর এক অপতৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। আমরা এগুলোর নিন্দা জানাই। বাংলাদেশকে বাংলাদেশের মতো সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে কাজ করতে দিতে হবে। বিদেশি টানাপড়েনের মধ্যে বাংলাদেশের বর্তমান সরকারের অবস্থান পরিষ্কার, একদম শান্তি পূর্ণ অবস্থান।’

এসময় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সংবিধানের বাইরে কোন নির্বাচন হবে না, হতে পারে না। এটি আমরা এই দেশে আর দেখতে চাই না। যখনই নির্বাচন সংবিধানের বাইরে যাবে তখনই বাংলাদেশ বারবার প্রশ্নের সম্মুখীন হবে।’

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক ড. জেবুন্নেসা বলেন, ‘শিশু রাসেলকে যারা হত্যা করেছে তারাই গত ২৮ অক্টোবর পুলিশ হত্যা করেছে। আমরা চাই না নারায়ে তাকবির বলে কেউ শিক্ষার্থীদের হলে হামলা করে বের করে দিক। বঙ্গবন্ধু সন্ত্রাসের বিপক্ষে ছিলেন, তিনি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির কবি ছিলেন। তাকে বলা হতো রাজনীতির কবি।’

আলোচনা সভায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জিনাত হুদা বলেন, ‘তত্ত্বাবোধয়ক সরকারের নির্বাচন নাকি সুষ্ঠু নির্বাচন। তাহলে ছয় বছরের পূর্ণিমা নির্যাতিত হল কেন? ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা ছিল বাংলাদেশে অপরাজনীতির চিত্র তাহলে কি আমরা ওখানে ফিরে যাবো? আমরা কি হাওয়া ভবনে, খাম্বার রাজনীতিতে ফিরে যাবো? শুধুমাত্র বিএনপির জ্বালাও পোড়াও রাজনীতির জন্য এদেশ স্বাধীন হয়েছিল? সেই প্রশ্নের উত্তর আমাদের অবশ্যই খুজতে হবে।’

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘জ্বালাও পোড়াও করে যারা মানুষ হত্যা করছে তাদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, স্বাধীন বাংলাদেশে এই ধরনের অপরাজনীতি, জঙ্গিবাদের কোন ঠাই নাই।’

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এমদাদুল হক চৌধুরী বলেন, ‘উন্নয়নের মহাসড়কে আছে বাংলাদেশ। সেই উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করতে পারি না আমরা। পিছনে ফিরে যেতে পারি না আমরা। এই উন্নয়নের মহাসড়ককে এগিয়ে নিতে বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রীর পাশে আমাদের দাঁড়ানো দরকার। সন্ত্রাস কখনও কোন জাতির জন্য কল্যাণকর নয়। এটি অভিশাপ, এই অভিশাপ থেকে আমরা মুক্তি চাই।’

ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ডুয়েট)-এর উপাচার্য প্রকৌশল শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. মো. হাবিবুর রহমান বলেন, ‘১৯৭১ সালে যুক্তরাষ্ট্র সপ্তম নৌবহর পাঠিয়েছিল যাতে দেশ স্বাধীন না হয়। অতএব তারা এই স্বাধীনতাকে মেনে নিতে পারে নাই। তারা বিভিন্ন আবহ ইঙ্গিতে বিরোধিতা করার চেষ্টা করেছে। তারা আমাদের স্বাধীনতা বিরোধী শক্তিকে প্রথমে সুশৃঙ্খলভাবে সমাবেশ করার কথা বললো, এখন তারা বিশৃঙ্খলা করছে। এখন্ত তারা এটার বিরোধিতা করে না। সুতরাং যারা এদেশের স্বাধীনতা মেনে নিতে পারে নাই, তারা কোন সময়ই এদেশে সুস্থ রাজনীতির ধারা মেনে নিতে পারে না।’

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘১৯৯৬ পর্যন্ত আমরা জানি ইতিহাস অন্যদিকে গিয়েছে, কারণ ইতিহাস বিকৃতি করা হয়েছিল। ‘জয় বাংলা’ স্লোগান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। জয় বাংলার পরিবর্তে বাংলাদেশ জিন্দাবাদ হয়েছিল। বর্তমানে আমাদের ১৫ বছর বয়সী ছেলেটি সেকথা জানে না। সে জানে না সেই সময়ে বিদ্যুৎ কখন আসবে এই চিন্তা ছিল মানুষের মাথায়। আর এখন বিদ্যুৎ যায় না। এগুলো বর্তমানে ১৫ বছরের ছেলেদের জানানো দরকার। আগামী দিনে এই নির্বাচন কেন দরকার?’

ফোরামের সভাপতি এবং বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ১৯৭০-এর গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ করেছিল। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে জনগণ ভোট প্রয়োগ করেছিল। তাকে নেতৃত্ব দেওয়া হয়নি। এখন কেন মানবাধিকার শেখানর কথা বলা হচ্ছে। গাঁজায় নিশ্রংস হত্যাকাণ্ড হচ্ছে সেদিকে কারো নজর নেই। আমাদের দেশে একটি অগণতান্ত্রিক পরিবেশ তৈরি করার চেষ্টা হচ্ছে। দেশে গোলমাল, সন্ত্রাস থাকলে তাদের লাভ হয়। তারা অস্ত্রের রাজনীতি করে। সুতরাং আমরা শিক্ষকরা আর ভুল করতে চাই না।’

তিনি আরও বলেন, ‘বিএনপিসহ যুক্তরাষ্ট্রকে কড়া জবাব দিতে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৮০ শতাংশ ভোটারদের ভোট কেন্দ্র আনতে শিক্ষকদের দায়িত্ব নিতে হবে। একই সঙ্গে নতুন ও তরুণ ভোটারদের ভোট কেন্দ্র আনতে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বিশেষ দায়িত্ব পালন করতে হবে। যদি এমনটা করা যায় তাহলে যুক্তরাষ্ট্রসহ যারা এ দেশের নির্বাচন নিয়ে নানা অপতৎপরতা চালাচ্ছে তাদের কঠোর জবাব দেওয়া যাবে।’

বাংলাদশে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সদস্য ও ইআরডিএফবি’র সভাপতি অধ্যাপক ড. মোঃ সাজ্জাদ হোসেনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা সঞ্চালনা করেন ফোরামের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. বদরুজ্জামান ভুইয়া। এতে আরও বক্তব্য রাখেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মশিউর রহমান, ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস- চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. হাবিবুর রহমান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান, চাঁদুপর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস- চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. নাসিম আক্তার, বাংলাদশে টেক্সটাইল ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. শাহ আলিমুজ্জামন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাহফুজুল ইসলাম, শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. অলোক কুমার পাল, বাংলাদশে ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের প্রো-ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোকাদ্দেম হোসেন, ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি অধ্যাপক ড. আবুল কালাম আজাদ, সোনারগাঁও বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস- চ্যান্সেলর প্রফসের ড. শামীম আরা হাসান প্রমুখ।