দর্শনায় ২ প্রতিষ্ঠান মালিকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা

চুয়াডাঙ্গার দর্শনায় নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার তদারকির জন্য ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অভিযান পরিচালিত হয়েছে।

গতকাল সোমবার দুপুরে দর্শনা রেল বাজার এলাকায় এ অভিযান পরিচালিত হয়। উক্ত অভিযানে ২টি প্রতিষ্ঠানকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর চুয়াডাঙ্গা।
জানাগেছে, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর চুয়াডাঙ্গা জেলা কার্যালয় কর্তৃক দর্শনা রেল বাজারে মুদিদোকান, চাউল, ডিম, মুরগী, কাচাবাজার ও পাইকারি আড়ৎ সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের প্রতিষ্ঠানে তদারকি করা হয়।

এসময় মেসার্স সোবাহান স্টোরে অভিযানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মুল্যতালিকা যথাযথভাবে প্রদর্শন না করা, বাচ্চাদের জন্য অস্বাস্থ্যকর রঙ মেশানো বিভিন্ন প্রকার চিপস বিক্রয়, মেয়াদ ও মুল্যবিহীন পণ্য বিক্রয়সহ বিভিন্ন অপরাধে প্রতিষ্ঠানটির মালিক মো: তরিকুল ইসলামকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৩৭ ও ৪৫ ধারায় ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় এবং মেসার্স জমজম চাউল ঘরের মালিক মো: সানাউল্লাহকে চাউলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মুল্যতালিকা প্রদর্শন না করা ও ক্রয় বিক্রয় ভাউচার সংরক্ষণ না করার অপরাধে ৩৮ ধারায় ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অভিযানে ২টি প্রতিষ্ঠানকে মোট ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

পরবর্তীতে মুরগি, ডিম, কাচাবাজার ও আড়তে অভিযান পরিচালিত হয়। সবাইকে আইন মেনে ব্যবসা পরিচালনা, অতিরিক্ত মুনাফা না করার ব্যাপারে সতর্ক করা হয় ও সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ করা হয়।

অভিযান পরিচালনা করেন, চুয়াডাঙ্গা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সজল আহম্মেদ। এ সময় সহযোগিতায় ছিলেন, দামুড়হুদা উপজেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর মো: আনিসুর রহমান ও দর্শনা থানা পুলিশের একটি টিম।

জনস্বার্থে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর চুয়াডাঙ্গা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সজল আহম্মেদ।




আলমডাঙ্গা বনিক সমিতির নির্বাচন প্রার্থীদের প্রতিক বরাদ্দ

আলমডাঙ্গা বনিক সমিতির নির্বাচনে মনোনয়ন উত্তোলনের শেষ দিনে মোট ৩৬ জনের মনোনয়ন পত্র উত্তোলন করেছিলেন।

গত ১৪ তারিখ প্রত্যাহারের শেষ দিনে ২ জন সদস্য পদপ্রার্থী আবু জাফর ডাক্তার ও আঃ সামাদ তাদের মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেন,এতে করে বাকি ১০ জন সদস্য বিনা প্রতিদন্দিতায় বেসরকারি ভাবে নির্বাচিত হন।

গতকাল সোমবার বনিক সমিতির নির্বাচনে প্রার্থীদের প্রতিক বরাদ্ধ করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনার সিরাজুল ইসলাম ও শহিদুল ইসলাম জানান বনিক সমিতির নির্বাচনে সভাপতি পদে বর্তমান সভাপতি আরেফিন মিয়া মিলন ছাতা প্রতিক,সাবেক সভাপতি মকবুল হোসেন দোয়াত কলম ও সাইফুল ইসলাম লিটন চাকা প্রতিক। অন্যদিকে সহ- সভাপতি পদে বর্তমান সহ-,সভাপতি কামরুল ইসলাম হীরা মাছ ,হাফিজুর রহমান চশমা,রফিকুল আলম দেয়াল ঘড়ি ও আব্দুল হামিদ বটগাছ।সাধারন সম্পাদক পদে খোন্দঃ আব্দুল্লা আল মামুন সাইকেল,কামাল হোসেন আনারস। সহ সম্পাদক পদে শরিফুল ইসলাম বাঘ,বাবুলর রহমান ডাব,বদর উদ্দিন হাস,জাহাঙ্গির আলম গোলাপ ফুল।কোষাধ্যক্ষ পদে বর্তমান কোষাধ্যক্ষ আলাউদ্দিন মোরগ ও সোহানুর রহমান বাবুল হাতী।সাংগাঠনিক সম্পাদক আব্দুল লতিফ মই,আমিরুল ইসলাম লিটন চেয়ার। ধর্মিয় সম্পাদক রেজাউল করিম কাবিল মিনার ও আসাদুল হক তারা। দপ্তর সম্পাদক শফিউল হাসান মিলন কলম ও ইফতেকার আহমেদ টিয়াপাখি। ক্রীড়া সম্পাদক পদে মাসুদ রানা মাসুম ফুটবল ও হাবিবুর রহমান আম প্রতিক।এছাড়াও নির্বাহী সদস্য পদে খন্দকার হামিদুল ইসলাম আজম,জসিম উদ্দিন,জয়নাল ক্যাপ,আঃ ওহাব কাবলু,ফারুক হোসেন,রেজাউল হক তোতা,রতন আলী,সাইদুল ইসলাম,,খন্দঃ সজিব,ও সিরাজুল ইসলাম মোট ১০ জন বিনা প্রতিদন্দিতায় নির্বাচিত হয়েছে।

সভায় সকল প্রতিদন্দি ১০ জন কে স্বগতম জানান।গতকাল সন্ধা ৭টার দিকে বনিক সমিতি কার্যালয়ে নির্বাচন কমিশনার ৩৪ জনকে নিয়ে মতবিনিময় সভা করেন। তিনি জানান নির্বাচন শান্তিপুর্ন করতে আপনাদের সকলের সহযোগীতা একান্ত প্রয়োজন। মনে রাখবেন আমরা শুধু মাত্র নির্বাচন করতে এসেছি, যে কয়দিন নির্বাচনী প্রচার প্রচারনা চলবে আমাদের নির্বাচনী বিধি মোতাবেক শান্তি পুর্ন ভাবে করবেন। আপনারা সমাজের বিবেক বান মানুষ,সকলেই ব্যাবসায়ি,আশাকরি করি অতিতের ন্যায় এবারও বনিক সমিতির নির্বাচন শান্তিপুর্ন হবে,প্রশাসনের সকলেই সহযোগীর আশ্বাস দিয়েছেন,বিশেষ করে ওসি মহদয় নির্বাচনের দিন সর্বাত্তক নর্িাপত্তার ব্যাবস্থা করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন।




আলমডাঙ্গার খাদিমপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের কর্মী সভায় এমপি ছেলুন

আলমডাঙ্গার খাদিমপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের আয়োজনে কর্মী সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সোমবার বেলা সাড়ে ১০ টার দিকে বটিয়াপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এ কর্মি সভার আয়োজন করা হয়। কর্মি সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়াূদ্দার ছেলুন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমপি ছেলুন জেয়ার্দ্দার বলেন, সামনে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন। বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ বলছেন সংবিধান অনুযায়ী দেশে নির্বাচন হবে,এর বাইরে যাওয়ার কোন সুযোগ নেই। আর বিএনপি বলছে শেখ হাসিনার অধিনে কোন নির্বাচনে তারা যাবেনা। বিএনপি ভাইদের বলি,জিয়াউর রহমান রাইফেল ধরে মানুষ হত্যা করে ক্ষমতায় আসে। মিয়া? বড় বড় কথা বলেন,২১ বছর রাজত্ব করেছেন রাইফেল ধরে। একই লোক সেনাবাহিনীর প্রধান আবার দেশের রাস্ট্রপতি, এটা পৃথিবীর কোথাও নেই। আমাদের আইন শেখান? সেদিন বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে ক্ষমতা দখল করলেন, ক্ষমতা দখল করে আমাদের উপর জেল জুলুম,হত্যা করলেন। সেদিন কোথায় ছিল আইন। সেদিন কোথায় ছিল মানবাধিকার।

খাদিমপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি হাফিজুর রহমান বাবলুর সভাপতিত্বে কর্মীসভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক যুগ্নসাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম টোটন জোয়াদ্দার, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মুন্সী আলমঙ্গীর হান্নান, মাসুদুজ্জামান লিটু বিশ্বাস,সাবেক বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদব শহিদুল ইসলাম খান, জেলা আওয়ামী যুবলীগের সাবেক আহবায়ক আরেফিন আলম রঞ্জু, আলমডাঙ্গা উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আবু মুছা, সাধারণ সম্পাদক ইয়াকুব আলী, চুয়াডাঙ্গা পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি আলাউদ্দিন হেলা, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের, আলমডাঙ্গা পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন, খাদিমপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মোজাহিদুর রহমান জোয়ার্দ্দার লোটাস, সাবেক জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুর রশিদ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম আসমান, আলমডাঙ্গা উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সহ-সভাপতি লিয়াকত আলি লিপু মোল্লা, সাবেক প্রচার সম্পাদক মাসুদ রানা তুহিন, পৌর আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম।

ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার শিমুলের উপস্থাপনায় আরও উপস্থিত ছিলেন আলমডাঙ্গা পৌর আওয়ামীলীগের যুগ্নসাধারণ সম্পাদক সাইফুর রহমান পিন্টু, খাদেমপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি মইনুদ্দিন ইলা, আমিরুল ইসলাম, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার মোমিনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রতন আলী, আলমডাঙ্গার নাগদাহ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এজাজ ইমতিয়াজ বিপুল জোয়াদ্দার, বীরমুক্তিযোদ্ধা জাহাঙ্গীর জোয়াদ্দার, খাদেমপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি সাবান মাহমুদ, লিটন মাস্টার, আসলাম, ডালিম, ইমদাদুল, মিলু, সেন্টু, বাদশা, জামাল, ১নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি মজিবর রহমান, ৩ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি ইসলাম, ৪ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি জহিরুদ্দিন, ৫ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি গেদু, ৬ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি আলেহিম, ৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি মজিদ, ৮ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি মিরাজুল ইসলাম, ৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি মিনারুল ইসলাম প্রমুখ।




আলমডাঙ্গার বেলগাছি ইউনিয়ন পরিষদের চার ইউপি সদস্যকে পেটালেন চেয়ারম্যান

আলমডাঙ্গা উপজেলার বেলগাছি ইউনিয়ন পরিষদের চার ইউপি সদস্যকে বেধড়ক পেটানোর অভিযোগ উঠেছে অত্র পরিষদের চেয়ারম্যান মাহামুদুল হাসান চঞ্চলের বিরুদ্ধে।

গতকাল সোমবার দুপুরে উপজেলার চত্বরে এঘটনা ঘটে। আহত চার ইউপি সদস্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। এঘটনায় সুষ্ঠ বিচারের দাবিতে ভুক্তভোগী চার ইউপি সদস্যসহ ইউনিয়নের আরও ছয় ইউপি সদস্য সম্মিলিত হয়ে জেলা প্রশাসক বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

আহত চার ইউপি সদস্যরা হলেন, বেলগাছি ইউনিয়ন পরিষদের ২ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ঠাণ্ডু মণ্ডল, ৩ নং ওয়ার্ডের শামিম রেজা, ৪ নং ওয়ার্ডের শাহাদত হোসেন ও ৮ নং ওয়ার্ডের সদস্য হারুন মণ্ডল।

ভুক্তভোগীদের লিখিত অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, আমরা ২১ মাস বেলগাছি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহামুদুল হাসান চঞ্চলের নির্যাতনের স্বীকার। এই যাবৎ আমরা ইউনিয়ন পরিষদের সকল সেবামূলক কাজ থেকে বঞ্চিত। ইউনিয়ন পরিষদের কোন মাসিক মিটিং হয় না, সচিব আমাদের কোন নোটিশও পাঠান না।
ইউনিয়ন পরিষদে সরকার কর্তৃক যে অনুদান আসে আমরা মেম্বরগন জানতে পারি না। এযাবৎ মেম্বারগন ইউনিয়ন পরিষদের কোন সম্মানীয় ভাতা পায়নি এবং ওয়ার্ডের কোন উন্নয়নমূলক কাজ মেম্বারদের করতে দেয় না। সে তার কর্মীদের নিয়ে কাজ করে।

গতকাল সোমবার আমরা জানতে পারি সরকারী অনুদান (কৃষকদের ভর্তুকি) এসেছে। বিষয়টি নিশ্চিত হতে দুপুরে চারজন শামীম মেম্বার, শাহাদত মেম্বর, হারুন মেম্বার, ঠাণ্ডু মেম্বার আলমডাঙ্গা উপজেলা কৃষি অফিসে যায়। খবর পেয়ে চেয়ারম্যান, তার গাড়ি চালক সাবেক ইউপি সদস্য বিপ্লব ও তাদের সাঙ্গপাঙ্গ নিয়ে আমাদের চারজনের উপর মারধর ও নির্যাতন চালায়। এছাড়া অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে চেয়ারম্যান নিজেই। একজন ইউপি সদস্যদের একটি হাত ভেঙ্গে গেছে।

এছাড়াও খবর পেয়ে ছয় ইউপি সদস্য ঘটনাস্থলে পৌছে ঘটনার সত্যতা পেয়েছেন বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।

জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমা বলেন, এঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে ঘটনাটি তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।




দামুড়হুদা থানা পুলিশের অভিযানে গাঁজাসহ আটক ১

দামুড়হুদা মডেল থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে মিলন (৩৫) নামের এক মাদক কারবারি কে গাঁজা সহ আটক করেছে। আটককৃত মাদক কারবারি ভগিরাতপুর পুরাতনপাড়ার চাঁদ আলীর ছেলে।

থানা সূত্রে জানাগেছে, দামুড়হুদা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর কবিরের নেতৃত্বে থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই আসাদুর রহমান আসাদ, এএসআই মঞ্জুর রহমান সঙ্গীয় ফোর্সসহ মাদক বিরোধী বিশেষ অভিযান ডিউটি করার সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দামুড়হুদা থানাধীন চারুলিয়া ব্রিজের পশ্চিম পার্শ্বে পাকা রাস্তার উপর থেকে মিলন হোসেন কে আটক করে।

এসময় আটককৃতর কাছ থেকে ৫’শ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করে পুলিশ। আটককৃত বিরুদ্ধে দামুড়হুদা মডেল থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।




আলমডাঙ্গার হাটবোয়ালিয়ায় দোকান কর্মচারী মোস্তফার হত্যার রহস্য উন্মোচন

আলমডাঙ্গার হাটবোয়ালিয়ায় দোকান কর্মচারী মোস্তফা আলী (২৪) চাঞ্চল্যকর হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় হত্যা মামলার মূল আসামি আকরাম হোসেনকে (২৪) গ্রেফতার করেছে।

গ্রেফতার আসামি আকরাম হোসেন আলমডাঙ্গা মোড়ভাঙ্গা গ্রামের আকুব্বার আলীর ছেলে। দোকানের টাকা চুরি করায়, নিহত মোস্তফা সেটা দেখে ফেলায় তাকে হত্যা করা হয় বলে আসামী আকরাম আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

গতকাল সোমবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ্ আল-মামুন।

চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ্ আল-মামুন জানান, হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নিহতের মা শাহিদা খাতুন আলমডাঙ্গা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় নারায়নগঞ্জ জেলার রুপগঞ্জ থানাধীন ১৩ নম্বর সেক্টর পূর্বাচল এলাকা হতে মূল আসামিকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদে তারা হত্যার দায় স্বীকার করেন।

জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, হাটবোয়ালিয়া দোকান মালিক জাহাঙ্গীরের ছোট ভাই মামলার আসামি গোলাম মোস্তফা সজিবের সঙ্গে গ্রেফতার আসামি আকরাম হোসেনের দোকানের মালামাল কেনাকাটা সূত্রে পূর্বপরিচিত।

আকরাম বিভিন্ন এনজিও সংস্থার কাছ থেকে ঋণ নিয়ে হতাশাগ্রস্থ হওয়ার কথা সজিবকে জানায়। সজিব আকরামকে বলে যে, তার একটি কাজ করে দিলে সে মোটা অংকের টাকা দেবে যা দিয়ে এনজিও লোনের টাকা পরিশোধ করতে পারবে। দোকানের ক্যাশের ড্রয়ার থেকে টাকা-পয়সা নেওয়ার সময় মোস্তফা দেখে ফেলে এবং আসামি সজিবের ভাই দোকান মালিক জাহাঙ্গীরকে বলে দেয়। এই নিয়ে দোকান মালিক জাহাঙ্গীর ও তার ছোট ভাই আসামি সজিবের সঙ্গে মনোমালিন্য হয়। আসামি সজিব ক্ষিপ্ত হয়ে দোকানের কর্মচারী মোস্তফাকে দোকানে না আসার জন্য হুমকি দেয়। মোস্তফা ভয়ে কিছুদিন দোকানে আসে না।

ঘটনার দিন দোকান মালিক জাহাঙ্গীর মোস্তফার বাড়িতে যেয়ে অনুরোধ করে দোকানে নিয়ে আসে। মোস্তফা দোকানের কাজ শেষে রাতে বাড়ি ফেরার পথে হাটবোয়ালিয়া মাথাভাঙ্গা নদীর ওপর অবস্থিত স্টিল ব্রিজ পার হয়ে যাওয়ার সময় পূর্ব পরিকল্পনা মোতাবেক ওৎ পেতে থাকা সজিব ও আকরাম পেছন থেকে ভুক্তভোগী মোস্তফাকে ডাক দেয়। তাদের ডাকে মোস্তফা ফিরে আসলে আসামি আকরাম কৌশলে ভুক্তভোগীকে ব্রিজের পাশে পানের বরজের মধ্যে নিয়ে সজিব ও আকরাম চড়-থাপ্পড় মারলে মোস্তফা চিৎকার করতে গেলে মুখে গামছা চেপে ধরে। এতে মোস্তফা নিস্তেজ হয়ে পড়ে।

তখন আকরাম ও সজিব মোস্তফার হাত পা বেঁধে নাক-মুখে গামছা চেপে ধরে শ্বাসরোধ করে হত্যা নিশ্চিত করে। পরবর্তীতে সজিব ও আকরাম মোস্তফাকে মাথাভাঙ্গা নদীতে থাকা মাছ ধরা বাঁশের খুঁটির সঙ্গে পানির নিচে মোস্তফার কোমরের বেল্টের সঙ্গে গামছা দিয়ে বেঁধে রাখে। সজিব ঘটনার পরের দিন আকরামকে ১০ হাজার টাকা দিয়ে ঢাকায় চলে যেতে বলে।

উল্লেখ্য, গত ১৪ আগস্ট আলমডাঙ্গা হাটবোয়ালিয়া বাজারের জাহাঙ্গীরের দোকানের কর্মচারী মোস্তফা আলী দোকানের কাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে খুন হন। এর ১০ দিন পর ২৪ আগস্ট মহেষপুর-বাঁশবাড়ীয়া ফেরিঘাট এলাকায় মাথাভাঙ্গা নদী থেকে ভাসমান অবস্থায় অর্ধ গলিত মরদেহ পুলিশ উদ্ধার করে। নিহতের মা শাহিদা খাতুন আলমডাঙ্গা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।




কোটচাঁদপুর কে এম এইচ কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ

নিরীহ ফিলিস্তিনীদের উপর সন্ত্রাসী রাষ্ট্র ইসরাইল কতৃক হামলার প্রতিবাদে কোটচাঁদপুর বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন,স্থানীয় সরকারি কে এম এইচ কলেজে সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীরা।

জানা যায়,নিরীহ ফিলিস্তিনীদের উপর সন্ত্রাসী রাষ্ট্র ইসরাইল কতৃক হামলার প্রতিবাদে কোটচাঁদপুর বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন,স্থানীয় সরকারি কে এম এইচ কলেজে সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীরা। গতকাল সোমবার সকালে কলেজ থেকে একটি মিছিল বের করেন।

পরে মিছিলটি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করেন। বিক্ষোভ শেষে কোটচাঁদপুর কলেজ বাসস্টান্ডে সমাবেশ করেন তারা।

এসময় সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন, ফাহিম মনময়,আরিয়ান মানিক,নয়ন হোসেন,অনিক হোসেন।

বক্তারা বলেন,ফিলিস্তিনের সাধারণ মানুষের প্রতি যে, জুলুম-নির্যাতন চলমান,তার প্রতিবাদে আজ আমরা সমবেত হয়েছি।সইসরায়েলের অবৈধ দখলদারির প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আমরা মুক্তিকামী জনতার প্রতি সংহতি জানাচ্ছি। আমরা কোনো জঙ্গিবাদকে সমর্থন করি না। কিন্তু বিশ্বের যে, প্রান্তে অন্যায় হবে, সেখানেই আমাদের প্রতিবাদ জারি থাকবে।

সমাবেশে বক্তারা আরো বলেন, ইসরাইল বর্বোরোচিতভাবে ফিলিস্তিনের গাজায় বোমা হামলা করে নারী-পুরুষ ও শিশুদের নির্মমভাবে গণহত্যা করছে। জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সংস্থাসমূহকে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানান বক্তারা।




চুয়াডাঙ্গা ২ আসন এলাকায় পূজা উদযাপন পরিষদের সাথে এমপি টগরে মতবিনিময়

ধর্ম যার যার উৎসব সবার এই স্লোগানকে সামনে রেখে চুয়াডাঙ্গা ২ আসনের নির্বাচনী এলাকার পূজা উদযাপন নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় ও অনুদান প্রদান করলেন চুয়াডাঙ্গা ২ আসনের সাংসদ সদস্য হাজী মোঃ আলী আজগার টগর।

গতকাল সোমবার বিকাল ৫ টায় দর্শনা পৌর আওয়ামীলীগের দলীয় কার্যলয়ে এমপি টগরের নিজ উদ্দগ্যে এ অনুষ্টানে তিনি বলেন,সাম্প্রদায়িকতা ধোয়া তুলে যারা দেশে অরাজগতা সৃষ্টি করছে ঐক্য বদ্ধ হয়ে তাদেরকে প্রতিহিত করতে হবে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের যোগ্য কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের মানুষ দেশের মানুষ শান্তিতে বসবাস করছে। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে কাজ করে যাচ্ছেন নিরলস ভাবে। সারাদেশে উন্নয়নের বিপ্লব ঘটেছে কিন্তু জামাত- বিএনপি এ উন্নয়নের দিশাহারা হয়ে উল্টাপাল্টা কথাবার্তা বলে বেড়াচ্ছে ও বিভ্রান্তিমূলক কথাবার্তা বলে মানুষকে ধোকা দিচ্ছে। আসন্ন দূর্গা পূজা উপলক্ষে সরকার যেমন সাহায্যের হাত বাড়িয়েছে তেমনিভাবে বেসরকারিভাবে সাহায্যের হাত বাড়িয়েছে অনেকেই। আসন্ন শারদীয় দৃর্গা উৎসব জাঁকজমক ভাবে শেষ হয় সেজন্য হিন্দু মুসুলমান এক সাথে কাধে কাধ মিলিয়ে একসাথে কাজ করতে হবে। ধর্মীয় অনুশাসনের মধ্যে থেকে ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষ দেশ ও জাতির কল্যানে কাজ করতে হবে।

অনুষ্টানটি পরিচালনা করেন, দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও দর্শনা পৌর আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আলী মুনছুর বাবু।

এ সময় বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন দামুড়হুদা উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধরন সম্পাদক হাজী শহীদুল ইসলাম,জীবননগর উপজেলা চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান, দর্শনা পৌর মেয়র আতিয়ার রহমান হাবু,দর্শনা পৌর আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক গোলাম ফারুক আরিফ,ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল করিম, হযরত আলী, সৌরভ হোসেন খান, কামাল উদ্দিন, নাজিমুদ্দিন,ইয়ামিন, তাহাজ্জত হোসেন, আওয়ামী লীগ নেতা আবু জাফর, নজির আহমেদ, জিয়াউল হক,দামুড়হুদা উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের প্রস্তুতি কমিটির আহবায়ক উত্তম কুমার দেবনাথ,জীবননগর উদযাপন কমিটির আহবায়ক সাংবাদিক নারায়ন ভৌমিক,প্রমুখ।

আলোচনা শেষে ৬০ টি মন্দিরে শাড়ি লুঙ্গি,ও নগদ অর্থ প্রদান করেন এমপি হাজী আলী আজগার টগর।




মেহেরপুরে বিনামূল্য বীজ ও রাসায়নিক সার বিতরণের শুভ উদ্বোধন

মেহেরপুরে রবি ২০২৩-২৪ মৌসুমী কৃষি প্রণোদনার আওতায় গম, ভুট্টা,সরিষা,শীতকালীন পেঁয়াজ মসুর মুগ,উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে ক্ষুদ্র প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বিনামূল্য বীজ ও রাসায়নিক সার বিতরণের শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ সোমবার বিকালে মেহেরপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমীর সভাকক্ষে মেহেরপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের সৌজন্য রবি ২০২৩-২৪ মৌসুমী কৃষি প্রণোদনার আওতায় গম ভুট্টা সরিষা শীতকালীন মসুর ও মুগ উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে ক্ষুদ্র ও প্রাপ্তিক কৃষকদের মাঝে বিনামূল্য বীজ ও রাসায়নিক সার বিতরণের শুভ উদ্বোধন করেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন এমপি।

ক্ষুদ্র প্রাপ্তি কৃষকদের মাঝে বিনামূল্য বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন মেহেরপুর জেলা প্রশাসক মোঃ শামীম হাসান এসময় উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বিজয় কৃষ্ণ হালদার, সহকারী কৃষি অফিসার চাইনা পারভিন সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারী বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।




মেহেরপুরে আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর জেলা সমাবেশ অনুষ্ঠিত

মেহেরপুর জেলা আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা পুলিশ বাহিনীর সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ সোমবার বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে জেলা শিল্পকলা একাডেমীতে এ আনসার সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

জেলা প্রশাসক শামীম হাসানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ও মেহেরপুর জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ফরহাদ হোসেন এমপি।

প্রধান আলোচক ছিলেন খুলনা রেঞ্জের আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর উপ মহাপরিচালক শাহ আহমদ ফজলে রাব্বী (বিএএম)।

বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মুহাঃ আব্দুস সালাম, জেলা জজ কোর্টের পিপি পল্লব ভট্টাচার্য, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সার্কেল) আব্দুল করিম।

অনুষ্ঠানের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিলেন জেলা আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর কমান্ড্যান্ট প্রদীপ চন্দ্র দত্ত।
মুজিবনগর উপজেলা আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রশিক্ষক মানিক মিয়ার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ১৭ ই এপ্রিল মুজিবনগরে অস্থায়ী সরকার গঠনের সময় ১২ জন আনসার সদস্যদের মধ্যে জীবিত ২ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা আনসার সদস্য।

এর আগে জেলা সমাবেশের কেক কাটা ও শান্তির প্রতীক কবুতর উড়িয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ এমপি।