ঝিনাইদহে বিপুল পরিমান মাদক ও নগদ অর্থসহ ৩ যুবক আটক

ঝিনাইদহে বিপুল পরিমান মাদকদ্রব্যসহ ৩ যুবককে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল সোমবার মধ্যরাতে সদর উপজেলার হাটগোপালপুর এলাকা থেকে তাদেরকে আটক করা হয়।

ঝিনাইদহ সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মীর আবিদুর রহমান জানান, ঝিনাইদহ সদর থানার পুলিশ গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারে হাটগোপালপুর বাজার এলাকায় একটি চক্র মাদক কেনা-বেচা করছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে সদর থানার অফিসার ইনর্চাজ (ওসি) শাহীন উদ্দিন ্এর নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে আটক করে। আটককৃতরা হলো- মাদক ব্যবসায়ী দীপ্ত কুমার বিশ্বাস, জাকারিয়া হোসেন ও এনামুল হক। তাদের বাড়ী সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বলে পুলিশ জানায়। এসময় তাদের কাছ থেকে ১২০ বোতল ফেন্সিডিল, ৩০ পিস ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেট, ৩ টি মোটরসাইকেল, ১ টি ল্যাপটপ, ১০ টি স্মার্ট মোবাইল ফোন ও মাদক বিক্রির নগদ ৯০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে হাটগোপালপুর এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে মাদক ব্যবসা করে আসছে বলে একাধিক অভিযোগ রয়েছে।




বিএনপি নেতার নির্দেশনায় পুলিশ হত্যা: সিটিটিসি

বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের নির্দেশনায় পুলিশ সদস্য আমিরুল হক পারভেজকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসি)। মঙ্গলবার ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান সিটিটিসি প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান।

সিটিটিসি জানায়, গত ২৮ অক্টোবর বিএনপি এবং ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নেতাদের নির্দেশে সমাবেশের দিন কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাবেক সদস্য সচিব আমান উল্লাহ আমান তার অনুসারীদের নিয়ে নয়াপল্টন কেন্দ্রিক মঞ্চের পাশে অবস্থান নেয়। মঞ্চে অবস্থিত বিএনপির এবং ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নেতাদের নির্দেশনা ছিল পুলিশের ওপর বর্বরোচিত ও নৃশংস হামলার মাধ্যমে পুলিশের মনোবল ভেঙ্গে দেওয়া। প্রয়োজনে এক বা একাধিক পুলিশ সদস্যকে হত্যার মাধ্যমে দেশে একটি অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করা, যাতে করে একটি নতুন ইস্যুর সৃষ্টি হয়।

সিটিটিসি প্রধান বলেন, ‘কাকরাইলে সমাবেশে উপস্থিত বিএনপি কর্মীরা পুলিশের ওপর হামলা করলে পুলিশ এবং বিক্ষোভকারীদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। কাকরাইলে সংঘর্ষের সুযোগ নিয়ে বিএনপি ও ছাত্রদলের হাইকমান্ড নেতাদের নির্দেশে নয়াপল্টনের বিএনপি পার্টি অফিসের পাশে ভিক্টরি হোটেলের পাশের গলি দিয়ে গ্রেপ্তার আমান ছাত্রদলের একটি বড় অংশ নিয়ে পুলিশের ওপরে হামলা করার জন্য এগিয়ে যায়। সমাবেশে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের অবস্থান সম্পর্কে আগে থেকেই তাদের জানা ছিল। সে তার দলবল নিয়ে সামনের দিকে এগোতে থাকে।

পল্টন টাওয়ারের সামনে এসে ওই দলের একটি অংশ বক্স কালভার্ট রোডের পশ্চিম প্রান্তে বিজয় নগর পানির ট্যাংকির দিকে যায় এবং অপর অংশটি তার নেতৃত্বে বক্স কালভার্ট রোডের আগের প্রান্তের দিকে এগিয়ে যায়। বক্স কালভার্ট রোডের পশ্চিম প্রান্তে পৌঁছানোর পরে ছাত্রদলের কর্মীরা সেখানে দায়িত্ব পালনরত পুলিশ সদস্যদের ওপরে অতর্কিত হামলা করে। এ হামলার পরিপ্রেক্ষিতে বক্স কালভার্টের পশ্চিম প্রান্তে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদেরকে সাহায্য করার উদ্দেশে আগের প্রান্তে পুলিশ সদস্যরা বক্স কালভার্ট রোডের পশ্চিম দিকে এগিয়ে যায়। পশ্চিম দিকে এগিয়ে যাওয়া পুলিশ দলটির ওপরে আমানের নেতৃত্বে ও নির্দেশনায় হামলা শুরু হয়।’

সিটিটিসি প্রধান আসাদুজ্জামান আরও বলেন, ‘ছাত্রদলের এই অংশটি আমানের নেতৃত্বে পুলিশদের ওপরে ইট- পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। আত্মরক্ষার জন্য পুলিশ সদস্যরা টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে ছাত্রদলের আক্রমণ প্রতিহত করার চেষ্টা করে। জানমাল রক্ষা ও ক্ষয়ক্ষতি কমানোর জন্য পুলিশ সদস্যরা অস্ত্র ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকে এবং সর্বোচ্চ সহনশীলতার পরিচয় দেয়।’

তিনি বলেন, এই পর্যায়ে পুলিশ সদস্যদের একটি বড় অংশ বক্স কালভার্ট রোডের পূর্ব দিকে অবস্থিত ডিআর টাওয়ার ও আশেপাশের স্থাপনায় অবস্থান নেয়। এ অবস্থায় আমানের নেতৃত্বে তার অনুসারীরা পুলিশ সদস্যদের হামলা করার জন্য ক্রমাগত ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। বিক্ষিপ্ত ইটের আঘাতে পুলিশ কনস্টেবল আমিরুল ইসলাম পারভেজ রাস্থায় লুটিয়ে পড়ে যায়। এমন সময় নৃশংসভাবে হত্যা করার উদ্দেশ্যে লাঠি দিয়ে ক্রমাগত আঘাত করতে থাকে।

অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার আরও বলেন, ‘এসময় কনস্টেবল আমিরুল ইসলাম পারভেজ জ্ঞান হারিয়ে ফেলে এবং রক্তাক্ত অবস্থায় নিথর দেহটি রাস্তায় পড়ে থাকে। পুলিশ সদস্য আমিরুল ইসলাম পারভেজের মাথা থেকে পা পর্যন্ত সারা শরীর গুরুতর রক্তাক্ত জখম হয়। বিক্ষোভকারীরা মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্য কনস্টেবল পারভেজের নিথর দেহের ওপরে বর্বরভাবে আঘাত করতে থাকে। পরে কনস্টেবল আমিরুল ইসলাম পারভেজের মৃত্যু নিশ্চিত করার পরে আমান তার অনুসারীদেরকে নিয়ে বক্স কালভার্ট রোডের পশ্চিম দিক দিয়ে চলে যায়।’

সোমবার (৬ নভেম্বর) রাতে মহাখালী বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকা থেকে পুলিশ সদস্য আমিরুল হক পারভেজ হত্যা মামলার প্রধান নেতৃত্বদানকারী আমান উল্লাহ আমানকে গ্রেপ্তার করেছে কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসি)।




পোশাক শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি বাড়ল ৫৬.২৫ শতাংশ

পোশাক শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি বাড়িয়েছে সরকার। ৮ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ১২ হাজার ৫০০ টাকা করা হয়েছে। মজুরি বাড়ানোর লক্ষ্যে গঠিত নিম্নতম মজুরি বোর্ডের ৬ষ্ঠ সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। আগামী ডিসেম্বর মাস থেকে এই মজুরি কার্যকর হবে এবং জানুয়ারি থেকে নতুন কাঠামোতে বেতন পাবেন পোশাক শ্রমিকরা।

সর্বশেষ ২০১৮ সালে পোশাক শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণ করা হয়েছিল। সেই অনুযায়ী, পোশাক শ্রমিকরা ৮ হাজার টাকা ন্যূনতম মজুরি পাচ্ছিলেন। সেই হিসেবে আগের তুলনায় ন্যূনতম মজুরি বেড়েছে ৪ হাজার ৫০০ টাকা। মজুরি বৃদ্ধির হার ৫৬ দশমিক ২৫ শতাংশ।

মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) সচিবালয়ে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এ তথ্য জানান শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশেই আমরা তৈরি পোশাক শ্রমিকের নূন্যতম মজুরি ঘোষণা করছি। তাদের তম মজুরি ৫৬ দশমিক ২৫ বাড়বে । শ্রমিকদের পক্ষে রেশনের দাবি রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন একটা ফ্যামিলি কার্ড দেওয়ার কথা। পরবর্তী সময়ে রেশনিং ব্যবস্থা চালু করা হবে।’

এর আগে বেলা সাড়ে ১২টায় রাজধানীর সেগুনবাগিচায় মজুরি বোর্ডের সভাকক্ষে এ সংক্রান্ত আলোচনা শুরু হয়।

এতে শ্রমিকদের পক্ষ থেকে প্রতিনিধি ছিলেন জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক-কর্মচারী লীগের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম রনি। অন্যদিকে মালিকদের পক্ষ থেকে প্রতিনিধি ছিলেন তৈরি পোশাকশিল্পের মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সাবেক সভাপতি ও স্টার্লিং গ্রুপের চেয়ারম্যান সিদ্দিকুর রহমান।

বৈঠক শেষে সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘আগামী বছরের জানুয়ারি মাস থেকে মজুরি কার্যকর করা হবে। অর্থাৎ, ডিসেম্বর থেকে নতুন বেতন কাঠামো বাস্তবায়ন হবে।’

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন নিম্নতম মজুরি বোর্ডের সচিব রাইসা আফরোজ, নিরপেক্ষ সদস্য অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দীন এবং শ্রমিকদের প্রতিনিধিত্বকারী সদস্য ও জাতীয় শ্রমিক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুলতান আহম্মদ। এ সভায় মালিকপক্ষ মজুরি বোর্ডের সভায় শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ১২ হাজার ৫০০ টাকা নির্ধারণের প্রস্তাব দেয়।




আর একদিনও অবরোধ চায় না জনগণ, দুইদিনে ২১ যানবাহন পুড়ে ছাই

বিএনপি-জামায়াত ও সমমনা রাজনৈতিক দলগুলোর ডাকা ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচিতে ২১টি বাসে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস। এদিকে রাজনৈতিক আন্দোলনের নামে আগুন সন্ত্রাস দেখতে চায় না দেশের মানুষ। এব্যাপারে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তারা।

ঢাকার তিনটি প্রধান পয়েন্ট ফার্মগেট, কারওয়ানবাজার ও গুলিস্তান এলাকায় গাড়ি পোড়ানোর পরপরই বিভিন্ন পেশাজীবীর সাথে কথা বলে তীব্র প্রতিক্রিয়া পাওয়া গেছে। বাংলা মোটরে গাড়ি পোড়ানোর একঘন্টা পরে ওই এলাকায় কথা হয় হারুনের সঙ্গে। তিনি বলেন, চোখের সামনে গাড়ি থেকে লোক নামায়ে পুড়িয়ে ফেলা হচ্ছে। এরকম দেখতে চাই না।

বেসরকারি ব্যাংকে কর্মরত রকিবুল ইসলাম বলেন, ‘অর্থনীতি এবং মানুষকে জিম্মি করে রাজনৈতিক ফায়দা লুটার অধিকার কারও নেই। এটা বুঝতে পারলে ভালো। রাজনীতিতে অধিকার আদায়ের আন্দোলনের বিকল্প খুঁজতে হবে। আমরা যারা চাকরি করি তাদের জন্য হরতাল অবরোধ খুব শঙ্কার। একটা গোষ্ঠী ক্ষমতায় থাকবে, আরেকটা বিরোধী অবস্থানে থাকবে এটা মেনে দেশের জন্য কাজ করবে।’

সোমবার (৬ নভেম্বর) ছিল অবরোধের দ্বিতীয় দিন। এরপরপরই সন্ধ্যায় বিএনপির পক্ষ থেকে জানানো হয়, ৮ ও ৯ নভেম্বর নতুন করে অবরোধ ডাকা হয়েছে। একের পর এর অবরধে অর্থনীতি হুমকির মুখে পড়বে।

এই পরিস্থিতি অব্যাহত থাকলে অর্থনীতিতে ভয়ানক বিপদ ডেকে আনবে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ী ও অর্থনীতিবিদরা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাজনৈতিক দাবি-দাওয়ার অংশ হিসেবে হরতাল, অবরোধ জ্বালাও-পোড়াও, রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ, যান চলাচল ও ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান বন্ধ এবং ভাঙচুরের ঘটনার প্রভাব ব্যবসায়ী ও সাধারণের আয় রোজগারের ওপর সরাসরি নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। হরতাল অবরোধে বহুমুখী ক্ষতির সম্মুখীন হয় দেশ।

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, হরতাল অবরোধ এভাবে চলতে থাকলে অভ্যন্তরীণ বাণিজ্যিক পণ্যের আনা-নেওয়া এবং আমদানি-রফতানি প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হবে। এমন পরিস্থিতিতে বিনিয়োগকারীরাও বিনিয়োগ করবেন না। তারা হাত গুটিয়ে বসে থাকবেন। রাজনৈতিক এই অস্থিরতার সুযোগে অনেকেই টাকা পাচার করবেন। তাতে ডলার সংকট আরও  প্রকট আকার ধারণ করবে। এর নেতিবাচক প্রভাবে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আরও কমে যাবে।




প্রকৃতি ও আদরের ‘যন্ত্রণা’ আসছে শুক্রবার

ভালোবাসা ও অ্যাকশন গল্পে নির্মিত চিত্রনায়ক আদর আজাদ ও অভিনেত্রী মানসী প্রকৃতি জুটির প্রথম সিনেমা ‘যন্ত্রণা’ মুক্তি পাচ্ছে আগামী শুক্রবার। এর আগে গেল ২৭ অক্টোবর এটি মুক্তি পাওয়ার কথা থাকলেও ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’ সিনেমার দর্শক চাহিদার কথা বিবেচনা করে এবং এর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে সরে দাঁড়ায় ‘যন্ত্রণা’র টিম।

আব্দুল্লাহ জহির বাবুর গল্পে সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন তরুণ নির্মাতা আরিফুর জামান আরিফ। মুক্তি সামনে রেখে আগেই এর গান, পোস্টার ও ট্রেলার মুক্তি দেওয়া হয়েছে।

ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ ও মুক্তির দিক দিয়ে চতুর্থ সিনেমা নিয়ে ছোটপর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী মানসী প্রকৃতি বলেন, ‘সিনেমার গল্প ও চরিত্রটি ভালো। চেষ্টা করেছি নিজের সেরাটা দিয়ে কাজটি করতে। তার পরও ভালোর তো আর শেষ নেই। তবে দর্শক এখন যে ধরনের গল্পের সিনেমা দেখতে চায় এটি তেমনই। গল্পে অনেক বাঁক রয়েছে। চেষ্টা করেছি নিজের চরিত্রটি যথাযথভাবে ফুটিয়ে তুলতে। অনেক দিন পর বড় পর্দায় আসছি- দর্শকরা আমাকে কীভাবে নেয় সেটি দেখার জন্য মুখিয়ে আছি। আশা করছি, গল্প ও চরিত্র মিলিয়ে সিনেমাটি দর্শকের ভালো লাগবে।’

আদর আজাদ বলেন, ‘ভালোবাসার গল্পে সিনেমাটি নির্মিত হয়েছে। গল্পে নতুনত্ব আছে। বর্তমান সময়কে মাথায় রেখেই এটি নির্মিত হয়েছে। এই সিনেমার মাধ্যমে প্রথমবার আমরা একসঙ্গে কাজ করেছি। আশা করছি, সিনেমাটি মুক্তি পেলে দর্শক পছন্দ করবেন।’

এ সিনেমার মাধ্যমে চলচ্চিত্র পরিচালক হিসেবে বড়পর্দায় অভিষেক হচ্ছে তরুণ নির্মাতা আরিফুর জামান আরিফের। তিনি বলেন, ‘প্রথমবার সিনেমা পরিচালনা করেছি। চেষ্টা করেছি নিজের সেরাটা দিয়ে কাজটি করতে। আশা করি, “যন্ত্রণা” সবার ভালো লাগবে। সবাই হলে এসে সিনেমাটি উপভোগ করবেন।’

আদর-প্রকৃতি ছাড়াও সিনেমাটিতে অভিনয় করেছেন শতাব্দী ওয়াদুদ, ডন, বড়দা মিঠু, সায়মা স্মৃতি, আশরাফ কবির, সোহেল রশিদ, গাঙ্গুয়া, জাহিদ, পারভেজ সুমন, শেখ স্বপ্না, পারভিন আক্তার, অতিথি শিল্পী তনামি হকসহ অনেকে।

সূত্র : যুগান্তর




অস্ট্রেলিয়া ম্যাচের আগে দুঃসংবাদ পেল বাংলাদেশ

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ঘটনাবহুল ম্যাচ জেতার পরই দুঃসংবাদ শুনতে হলো বাংলাদেশ দলকে। আঙুলের চোটে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে শেষ ম্যাচ থেকে ছিটকে গেছেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।

মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

বিবৃতিতে বিসিবি জানিয়েছে, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৮২ রানের ইনিংসের পথে বাম হাতের তর্জনীতে ব্যথা পান সাকিব। এক্স-রে করে দেখা যায় সেখানে চিড় আছে। এই কারণে ১১ নভেম্বর পুনেতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচ খেলতে পারবেন না তিনি। এই ম্যাচের পর বাংলাদেশের বিশ্বকাপও শেষ হয়ে যাবে। শুধু বিশ্বকাপের শেষ ম্যাচই নয়, নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ থেকেও ছিটকে যেতে পারেন তিনি।

সাকিবের ইনজুরি নিয়ে জাতীয় দলের ফিজিও বায়েজেদুল ইসলাম খান বলেছেন, সাকিব ব্যাটিং ইনিংসের শুরুতে তার বাম তর্জনীতে আঘাত পান। ব্যথা পাওয়ার পর আঙুলে টেপিং দেওয়ার পাশাপাশি ব্যথানাশক ওষুধ দিয়ে খেলা চালিয়ে যান তিনি। ম্যাচ শেষে দিল্লিতে এক্সরে করানো হয়, রিপোর্টে আঙুলে ফ্র্যাকচার ধরা পড়ে। এই চোট সারতে তিন থেকে চার সপ্তাহ লাগতে পারে।

এর আগে চলতি টুর্নামেন্টে ঊরুর পেশির চোটে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচটি খেলতে পারেননি সাকিব। ওই ম্যাচে অধিনায়কত্ব করেন সহ-অধিনায়ক শান্ত। শেষ ম্যাচেও তার কাঁধেই পড়বে দায়িত্ব। পুনের মহারাষ্ট্র ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়ামে আগামী শনিবার অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে ম্যাচটি বাংলাদেশের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ।

সূত্র: ইত্তেফাক




মেহেরপুরে পাইকারি আলু ব্যবসায়ীসহ দুটি প্রতিষ্ঠানে জরিমানা

মেহেরপুরের গাংনীতে বিক্রয় রশিদ প্রদান না করায় পাইকারি আলু ব্যবসায়ীসহ দুটি প্রতিষ্ঠানে ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেছে জাতীয় ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তর।

মঙ্গলবার দুপুরে গাংনী শহরে এ অভিযান পরিচালনা করেন মেহেরপুর জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সজল আহমেদ।

মেহেরপুর ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সজল আহমেদ জানান, খুচরা ব্যবসায়ীদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে পাইকারী আলু ব্যবসায়ী মেসার্স সততা ভান্ডারের মালিক শাহাদুল ইসলাম খুচরা বিক্রেতাদের বিক্রয় রশিদ দেন না। এ অভিযোগে ওই ব্যবসায়ীর ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। তিনি আরো জানান, সরকার নির্ধারিত রেটের বেশি ৪০ টাকা কেজি দরে তিনি আলু পাইকারি বিক্রি করছিলেন।

পরে একই বাজারে অভিযান চালিয়ে মেয়াদ উত্তীর্ণ শিশু খাদ্য বিক্রি করার অপরাধে গাংনী স্টুডেন্ট কর্ণারের মালিক শফিকুল ইসলামকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

এসময় জেলা কৃষি বিপণন কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক, গাংনী স্বাস্থ্য পরিদর্শক মশিউর রহমানসহ পুলিশের একটি টিম অভিযানে অংশ নেন।




মাহবুবউল আলম হানিফ এমপি’র সেজো ভাই শহিদুল আলমের মৃত্যু

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ এমপি’র সেজো ভাই শহিদুল আলম মারা গেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর।

গতকাল সোমবার (৭ নভেম্বর) দিবাগত রাত পৌনে ১০টায় রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে মারা যান। তিনি যুব উন্নয়ন অধিদফতরে সুনামের সাথে পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেছেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, ১ কন্যা ও ১ পুত্রসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

শহিদুল আলমের মৃত্যুতে কুষ্টিয়ায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ গভীর দুঃখ ও সমবেদনা জানিয়েছেন। কুষ্টিয়া-১ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট আ. কা. ম. সারোয়ার জাহান বাদশা, কুষ্টিয়া-৪ আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সেলিম আলতাফ জর্জ, কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক এহেতেশাম রেজা, পুলিশ সুপার এ এইচ এম আব্দুর রকিব, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সদর উদ্দিন খান, সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আজগর আলী, কুষ্টিয়া পৌরসভার মেয়র আনোয়ার আলী, জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি হাজী রবিউল ইসলাম, কুষ্টিয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি রাশেদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক সোহেল রানা, সাংবাদিক ইউনিয়ন কুষ্টিয়ার সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ হাসান, জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক শেখ আবু সাইদ, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট অনুপ কুমার নন্দী, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট আ. স. ম আখতারুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক রেজাউল হক,শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি তাইজাল আলী খান, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান আতা, বিএমএ কুষ্টিয়ার সাধারষ সম্পাদক ডা. আমিনুল হক রতন, জেলা কৃষকলীগের সভাপতি মকবুল হোসেন লাবলু, জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক আমিরুল ইসলাম, ব্যারিস্টার গৌরব চাকী, জেলা বাস মালিক চালক সমিতির সভাপতি আক্তারুজ্জামান, জেলা যুবলীগের সভাপতি রবিউল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল ইসলাম স্বপন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ইয়াসির আরাফাত, সাধারণ সম্পাদক মানব চাকী, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আতিকুুর রহমান অনিক, সাধারণ সম্পাদক শেখ হাফিজ চ্যালেঞ্জ প্রমুখ।

শহিদুল আলমের মৃতু্তে মেহেরপুর থেকে বিভিন্ন জন শোক ও সমবেদনা জানিয়েছেন। মেহেরপুর প্রতিদিনের প্রকাশক , জেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানব সম্পদ বিষয়ক সম্পাদক এম এ এস ইমন, মেহেরপুর প্রতিদিনের সম্পাদক ইয়াদুল মোমিন, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক মাহাবুব চান্দু, অনলাইন ইনচার্জ খান মাহমুদ আল রাফি।

শোক বার্তায় বিশিষ্টজনেরা প্রয়াত শহিদুল আলমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা ও শোকাহত পরিবারের প্রতি গভীর শোক ও সমবেদনা জানান।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফের বাবা আফছার আলী ও রত্নগর্ভা মা রহিমা বেগম পাঁচ ছেলে ও চার মেয়ের জনক-জননী। পাঁচ ভাই হলেন : রবিউল আলম, রশিদুল আলম, শহিদুল আলম, রফিকুল আলম এবং সবার ছোট মাহবুবউল আলম হানিফ।

মাহবুবউল আলম হানিফের মেজো ভাই আওয়ামী লীগের সংসদীয় বোর্ডের সদস্য রশিদুল আলম। তিনি একজন যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা।

মাহবুবউল আলম হানিফ ২০১০ সাল হতে ২০১৩ সাল পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ সহকারী হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০০৯ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ১৮তম কাউন্সিলের মাধ্যমে প্রথমবারের মতো দলের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদ লাভ করেন। পরবর্তীতে ২০১২, ২০১৬ ও ২০১৯ সালে অনুষ্ঠিত ১৯, ২০ ও ২১তম কাউন্সিলেও তাকে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে পুনঃ দায়িত্ব প্রদান করা হয়। ২০২২ সালে আওয়ামী লীগের ২২তম কাউন্সিলের মাধ্যমে পুনরায় কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন এবং বর্তমানে এই দায়িত্ব পালন করছেন তিনি।




মেহেরপুর জেলা কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক আটক

মেহেরপুর জেলা কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান কে আটক করেছে গাংনী থানা পুলিশ।মিজানুর রহমান গাংনীর হিন্দা গ্রামের স্কুল পাড়ার মৃত খায়ের শেখের ছেলে।

আজ মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) সকালে একটি বিশেষ অভিযানে গাংনীর হিন্দা গ্রামের স্কুলপাড়া থেকে তাকে আটক করে গাংনী থানা পুলিশ।

গাংনী থানার অফিসার ইনচার্জ তাজুল ইসলাম বলেন, নাশকতা পরিকল্পনার অভিযোগে দায়েরকৃত বিশেষ ক্ষমতা আইনের একটি মামলায় তাকে আটক করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।




মেহেরপুর জজ কোর্টে নতুন কনফারেন্স রুমের উদ্বোধন

মেহেরপুর বিচার বিভাগের নতুন কনফারেন্স রুম (সম্মেলন কক্ষ) উদ্বোধন করেছেন মেহেরপুর জেলা ও দায়রা জজ মোঃ শহিদুল্লাহ।

সোমবার ৬ নভেম্বর সকাল ১০ টায় মেহেরপুর জেলা জজ আদালতের তৃতীয় তলায় ১০০ আসন বিশিষ্ট আধুনিক সুযোগ সুবিধা সমৃদ্ধ নতুন কনফারেন্স রুমটির উদ্বোধন করা হয়।

ছবিঃ মেহেরপুর প্রতিদিন

এসময় জেলা জজ আদালত ও চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সকল বিচারক,মেহেরপুর জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি কামরুল হাসান ও সাধারন সম্পাদক খ.ম.ইমতিয়াজ হারুন বিন জুয়েল এবং মেহেরপুর জেলা বিচার বিভাগের সকল কর্মচারীগণ উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য আগের সম্মেলন কক্ষটি ছিলো ছিল স্বল্প পরিসরে জেলা জজ আদালতের দ্বিতীয় তলায়। সেখানে কোন বড় ধরনের সম্মেলন করতে গেলে স্থান সংকুলান হতো না আবার দাপ্তরিক কাজের ক্ষেত্রেও সমস্যা ঘটত। পরিস্থিতি বিবেচনায় জেলা জজ আদালতের বিচারক মোঃ শহীদুল্লাহ পরামর্শে গণপূর্ত বিভাগের পক্ষ থেকে কনফারেন্স রুমটি প্রস্তুত করে দেয়া হয়।