ফিলিস্তিনিদের দুঃখে পাশে আছে বাংলাদেশ

১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় আরব রাষ্ট্রগুলো পাকিস্তানের সঙ্গে ছিল। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করে পাকিস্তানকে তারা সহায়তা দিয়েছিল। ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানিদের আত্মসমর্পণের পর পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের স্বীকৃতি খুব দরকার ছিল। ওই সময় অর্থাৎ ১৯৭২ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি ইসরায়েল বাংলাদেশকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দিয়েছিল। বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সেই স্বীকৃতি প্রত্যাখ্যান করে। এটা ছিল সদ্য স্বাধীনতা একটি দেশের জন্যে খুবই সাহসী সিদ্ধান্ত। তবু কাজটি করেছিলেন বঙ্গবন্ধু।

আজও বাংলাদেশ ফিলিস্তিন ইস্যুতে বঙ্গবন্ধুর পররাষ্ট্র নীতিতে অটল। শেখ হাসিনার সরকার বিশ্বাস করে, বাংলাদেশ সবসময় মানবাধিকার ও মানবিকতারে পক্ষে। এটা শুধু সহিংসতা, দখলদারি, ফিলিস্তিন বা মুসলিম সম্পর্কিত বিষয় নয়। বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা বঙ্গবন্ধু সাম্রাজ্যবাদ, উপনিবেশবাদ ও বর্ণবাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে নিজেদের অধিকার আদায়ে সংগ্রামরত মানুষকে সব সময় সমর্থন দিয়েছেন। তাই ফিলিস্তিন ভূখণ্ডে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর অব্যাহত মানবাধিকার লঙ্ঘনের অবসান ও দ্বিরাষ্ট্র নীতির ভিত্তিতে একটি স্বাধীন ও টেকসই ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবির পক্ষে উচ্চকিত ছিলেন তিনি।

এরই ধারাবাহিকতায় শেখ হাসিনা ফিলিস্তিনিদের মানবাধিকার রক্ষায় এবং জাতিসংঘ প্রস্তাব, আরব পিস ইনিশিয়েটিভ ও কোয়ার্টেট রোডম্যাপের আলোকে স্বাধীন, সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ফিলিস্তিন সংকটের একটি টেকসই এবং শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করছেন।

সম্প্রতি সংঘটিত সকল ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সংঘাতে এবং যেকোনো সংকট নিরসনের জন্য গৃহীত পদক্ষেপে ফিলিস্তিনের প্রতি প্রকাশ্যে সমর্থন জানিয়েছে বাংলাদেশ। অনেক মুসলিম দেশ এরইমধ্যে ফিলিস্তিনের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করে ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দিয়েছে কিংবা গোপনে ইসরায়েলের সঙ্গে প্রীতির সম্পর্ক তৈরি করেছে। কিন্তু বাংলাদেশ বিশ্বাসভঙ্গ কিংবা কোনো ভান-ভনিতার আশ্রয় নেয়নি। স্বাধীনতার পর থেকেই বাংলাদেশ ইসরায়েলি দখলদারি ও আগ্রাসনের বিরুদ্ধে এবং স্বাধীন-সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পক্ষে অটল রয়েছে।

ঐতিহাসিক ভাবে বাংলাদেশ ও ফিলিস্তিনের মধ্যে সম্পর্ক অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ । এখানে ১৯৭২ সালে ইসরায়েলের স্বীকৃতি এবং বাংলাদেশের প্রত্যাখ্যানের বিষয়টি আরও একবার উল্লেখ করতে হবে। কারণ ওই সময় ইসরায়েলের স্বীকৃতি এড়িয়ে যাওয়ার বিষয়টি বাংলাদেশের জন্যে সহজ ছিলও না। তবু বাংলাদেশে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের প্রতি জোরালো সমর্থন অব্যাহত রাখতে এবং মুসলিম উম্মাহর ক্ষতি হোক এমন কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকতে ইসরায়েলের স্বীকৃতি গ্রহণ করেনি। তাই ওই সময় থেকে ইসরায়েলের অবৈধ দখলদারির অবসান ঘটিয়ে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা অর্জনকে সমর্থন করা বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতির অতিগুরুত্বপূর্ণ নীতি।
আরব দেশগুলোর বেশির ভাগই বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়ার ব্যাপারে দ্বিধাগ্রস্ত ছিলো। কিন্তু তখনও ফিলিস্তিন বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিয়েছে। ১৯৭৩ সালের অক্টোবর মাসে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধে বাংলাদেশ ফিলিস্তিনিদের সমর্থন করে। ১৯৬৭ সালের নির্ধারিত সীমানা অনুযায়ী জেরুজালেমকে ফিলিস্তিনের রাজধানী হিসেবে সমর্থন করে বাংলাদেশ।

ফিলিস্তিনের অবিসংবাদিত নেতা ইয়াসির আরাফাত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন। ১৯৭৪ সালে লাহোরে ওআইসির দ্বিতীয় সম্মেলনের সময় ইয়াসির আরাফাত ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বৈঠকের মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে প্রথম উচ্চপর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বঙ্গবন্ধু ১৯৭৪ সালে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে তার প্রথম ভাষণে, ১৯৭৪ সালে ওআইসির দ্বিতীয় সম্মেলনে এবং ১৯৭৩ সালে চতুর্থ ন্যাম সম্মেলনে ফিলিস্তিনি জনগণের সংগ্রাম ও আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকারের প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানান।

১৯৭৩ সালে বাংলাদেশ আরব-ইসরায়েল যুদ্ধে ফিলিস্তিনকে সমর্থন করে মেডিক্যাল টিম ও ত্রাণ সহায়তা পাঠিয়ে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সহায়তা করে। ঢাকায় প্যালেস্টাইন লিবারেশন অর্গানাইজেশন (পিএলও)-এর কার্যালয় স্থাপনের অনুমতি প্রদানের মাধ্যমে বাংলাদেশ ও পিএলওর মধ্যে সম্পর্ক সুদৃঢ় হয়।

উল্লেখযোগ্যসংখ্যক বাংলাদেশি ফিলিস্তিনে, পবিত্র আল-আকসার জন্য সশরীরে লড়াই করেছে। যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেসের লাইব্রেরির ১৯৮৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসের প্রতিবেদনে উল্লেখ আছে, ১৯৮৭ সালে প্রায় আট হাজার বাংলাদেশি যুবক পিএলওতে যোগ দিয়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে লড়াই করেছে। ১৯৮৮ সালের ১৫ নভেম্বর ফিলিস্তিন রাষ্ট্র ঘোষণার পর থেকে জাতিসংঘের যে ১৩৮টি দেশ ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিয়েছে বাংলাদেশ তার অন্যতম। ১৯৮০ সালে একজন ফিলিস্তিনি যোদ্ধার ছবিসংবলিত ডাকটিকিটও প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ।

বাংলাদেশ যেমন ইসরায়েলের স্বীকৃতি গ্রহণ করেনি তেমনি গত ৫০ বছরে ইসরায়েলকেও বাংলাদেশ স্বীকৃতি দেয়নি। উপরন্তু, বাংলাদেশি নাগরিকদের ইসরায়েল ভ্রমণে সরকারি নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। বাংলাদেশ সরকার ইসরায়েলের সঙ্গে সব রকম বাণিজ্য (প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ) সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে এবং ইসরায়েলের সঙ্গে বাংলাদেশের কোনো কূটনৈতিক সম্পর্কও নেই।

এখনও বাংলাদেশের জনগণ ও সরকারের সাথে ফিলিস্তিনের জনগন ও সরকারের সহযোগিতাপূর্ণ সম্পর্ক নিরবচ্ছিন্ন ভাবে বিদ্যমান রয়েছে। বাংলাদেশ সরকার ফিলিস্তিনি ছাত্রদের বাংলাদেশের মেডিক্যাল কলেজগুলোতে শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ সৃষ্টি করেছে। ফিলিস্তিনের সামরিক সদস্যদের বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমিতে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে বাংলাদেশ ও ফিলিস্তিনের মধ্যে সামরিক সম্পর্কও তৈরি হয়েছে।

বাংলাদেশ স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের ক্রমাগত ও জোরালো সমর্থক এবং ইসরায়েলের দখলদারির বিরোধিতাকারী। এরই ধারাবাহিকতায় ইসরায়েলের চলমান বর্বরোচিত আগ্রাসনের নিন্দা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী লিখিতভাবে প্রতিবাদ করেছেন। বর্তমানে ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি হামলার বিষয়টি সুরাহা করতে বাংলাদেশ জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। ২০২১ সালে ইসরায়েলি হামলায় হতাহত ব্যক্তিদের প্রতি শোক ও সমবেদনা জানিয়ে ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রপতি মাহমুদ আব্বাসকে চিঠি পাঠিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। চিঠিতে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের জনগণ ও সরকারের পক্ষ থেকে সম্প্রতি আল-আকসা মসজিদ কমপ্লেক্সে নিরীহ মুসলমান এবং বেসামরিক নাগরিকদের ওপর সন্ত্রাসী হামলার গভীর দুঃখ এবং উদ্বেগ প্রকাশ করছি।’ ফিলিস্তিনসহ সারা বিশ্বের যেসব স্থানে এই ধরনের ঘটনাগুলো ঘটছে সেগুলো বন্ধে টেকসই ব্যবস্থা নিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতিও আহ্বান জানান তিনি।

শেখ জাররাহ এলাকা থেকে ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদ করে ইসরাইলের দখলের প্রতিবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ফিলিস্তিনি পরিবারগুলোকে উচ্ছেদ করে সেই এলাকা দখল করে ইসরাইলি বাহিনী মানবাধিকার ও আন্তর্জাতিক আইনের চরম লঙ্ঘন করেছে’। চিঠিতে ফিলিস্তিনের রাজধানী পূর্ব জেরুজালেমসহ ১৯৬৭ সালের সীমান্তের ওপর ভিত্তি করে একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পক্ষে বাংলাদেশের দৃঢ় অবস্থানও পুনর্ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী।

এর আগে ২০২০ সালে এবং পরে ২০২২ সালেও একই ভাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এমন চিঠি দিয়েছিলেন। গত পাঁচ দশক ধরে ফিলিস্তিনের বেশ কয়েকটি অঞ্চল দখল করে রেখেছে ইসরায়েল। যে কারণে ইসরায়েলকে কি ধরনের শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে, সে বিষয়ে আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালতের (আইজিসে) মতামত জানতে জাতিসংঘে একটি প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়েছে ২০২২ সালের ডিসেম্বরে। এই প্রস্তাবের পক্ষে বাংলাদেশসহ বিশ্বের ৮৭টি দেশ ভোট দিয়েছে।

লেখক: গণমাধ্যমকর্মী।




বাংলাদেশের অর্থনীতির ওপর আইএমএফ ঋণের সম্ভাব্য প্রভাব

এই নিবন্ধটি রচনার শুরুতে আমি একটি বিষয় পরিষ্কার ভাবে উল্লেখ করতে চাই যে আমি পেশায় একজন অর্থনীতিবিদ নই। তবে, আমাদের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ক্রমহ্রাসমান প্রবণতা এবং বাংলাদেশের অর্থনীতিতে আইএমএফ ঋণের সম্ভাব্য প্রভাবকে ঘিরে চলমান আলোচনায় লোক প্রশাসনের একজন শিক্ষক হিসেবে আমার উপলব্ধিতি এই নিবন্ধে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।

অর্থনীতিকে শক্তিশালী করা এবং বৈদেশিক রিজার্ভ বাড়ানোর লক্ষ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ সরকার সম্প্রতি আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (এইএমএফ) থেকে উল্লেখযোগ্য পরিমান ঋণ পেয়েছে। বাংলাদেশের অর্থনীতিতে এই আর্থিক অন্তর্ভুক্তি দেশের জন্য অনেক ইতিবাচক প্রভাবের সূচনা করবে একথা নিশ্চিত ভাবেই বলা যায় কারন এই ঋণ দেশ বর্তমানে যে আর্থিক চাপের মধ্যে রয়েছে তা কমাতে সহায়তা করবে বলে আশা করা হচ্ছে। বিভিন্ন অর্থনৈতিক চাপের কারণে বাংলাদেশের বৈদেশিক রিজার্ভ কমে যাচ্ছে তা নিয়ে বিভিন্ন পক্ষ থেকে সমালোচনা করা হচ্ছে। এই অবস্থায় এইএমএফ এর সহায়তা বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য একটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় লাইফলাইন বলে গণ্য হবে। এই ঋণ সহায়তা শুধুমাত্র দেশের আর্থিক অবস্থাকে শক্তিশালী করবে না, বরং বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার ফলে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে যে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে তা মোকাবিলা করার ক্ষেত্রে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতাকেও শক্তিশালী করবে।

বাংলাদেশকে এইএমএফ এর আর্থিক সহায়তা এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ সময়ে এসেছে যখন পৃথিবীর অন্যান্য দেশের অর্থনীতি সমস্যা মোকাবিলা করতে এইএমএফ সহায়তা চেয়ে পাচ্ছে না। ফলে এই ঋণ সুবিধা দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং স্থিতিশীলতার জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় প্রেরণা প্রদান করবে। বাংলাদেশের অর্থনীতিতে এইএমএফ ঋণের ইতিবাচক প্রভাবের কিছু মূল দিক উল্লেখ করা হল।

আইএমএফ ঋণের সবচেয়ে তাৎক্ষণিক এবং আপাত সুবিধাগুলোর একটি হলো বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ওপর এই ঋণের ইতিবাচক প্রভাব। এই বর্ধিত রিজার্ভ আমদানির প্রয়োজনীয়তা মেটাতে, বৈদেশিক ঋণের কিস্তি প্রদান করতে এবং অর্থনৈতিক ধাক্কা মোকাবিলার জন্য অপরিহার্য। আইএমএফ ঋণ বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা মোকাবিলায় দেশের ক্ষমতাকে উল্লেখযোগ্যভাবে শক্তিশালী করবে।

এই ঋণ সহায়তা দেশে বিদেশী বিনিয়োগকারীদের মধ্যে এক ধরনের আস্থার পরিবেশ তৈরি করবে। এই সহায়তা বাংলাদেশকে আরও আকর্ষণীয় বিনিয়োগের কেন্দ্র হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করবে এবং প্রতিশ্রুতিশীল কাজের সুযোগ তৈরি করবে। বিশ্ব যখন কোভিড-১৯ অতিমারি এবং রাশিয়া ও ইউক্রেন যুদ্ধের চলমান প্রভাব মোকাবিলা করছে, আইএমএফ ঋণ এই চ্যালেঞ্জিং সময়ে বাংলাদেশকে বিভিন্ন ধরণের অর্থনৈতিক সমস্যা সমাধান করতে সহায়তা করতে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। ফলে, এটা স্পষ্ট করে বলা যায় যে এইএমএফ ঋণ বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য বহুমুখী ইতিবাচক ফলাফল বয়ে আনবে যা তাৎক্ষণিক আর্থিক সমস্যা মোকাবিলা করতে সরকারকে সহায়তা করবে।

এইএমএফ ঋণ দেশের অর্থনৈতিক অস্থিরতার মুখে একটি স্থিতিশীল শক্তি হিসাবে কাজ করবে। এটি অর্থ প্রদানের ভারসাম্য সংক্রান্ত সমস্যার সমাধান করতে সাহায্য করবে এবং মুদ্রার অবমূল্যায়ন, মুদ্রাস্ফীতি এবং আর্থিক অস্থিতিশীলতার সম্ভাবনা হ্রাস করবে। এই স্থিতিশীলতা বিদেশী বিনিয়োগ আকর্ষণ এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করার জন্য মৌলিক শক্তি হিসেবে কাজ করবে।

বিদেশী বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগের স্থান নির্বাচন করার সময় সময় প্রায়ই শক্তিশালী আর্থিক ভিত্তি এবং অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতাসহ গন্তব্যগুলিকে অগ্রাধিকার প্রদান করে। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে আইএমএফ এর সাম্প্রতিক ঋণ প্রদান একটি আলোকবর্তিকা হিসেবে কাজ করবে, যা দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতাকে শক্তিশালী করবে এবং রাজস্ব দায়িত্বের প্রতি সরকারের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নকে তরান্বিত করবে। আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীদের মধ্যে সঞ্চারিত এই নতুন আস্থা বাংলাদেশের প্রতি আগ্রহকে শুধু পুনরুজ্জীবিতই করবে না, বরং এটিকে বিদেশী সরাসরি বিনিয়োগের (এফডিআই) জন্য আরও প্রলোভনশীল কেন্দ্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করবে। দেশে এফডিআই এর প্রবাহ বেশি হলে তা কর্মসংস্থান সৃষ্টির প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে সহায়তা করবে যা বেকারত্ব হ্রাস এবং জনগণের জীবনযাত্রার উন্নতির জন্য অপরিহার্য। তাছাড়া, বিদেশী বিনিয়োগ প্রায়শই অত্যাধুনিক প্রযুক্তি এবং শিল্পের সর্বোত্তম অনুশীলনের সাথে সংযুক্ত, যা দেশের শিল্প ও প্রযুক্তিগত ক্ষমতাকে আরও শক্তিশালী করবে এবং দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে অবদান রাখবে। আইএমএফ ঋণ এবং বিদেশী বিনিয়োগের মধ্যে এই সমন্বয় আগামী বছরগুলোতে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির চালিকা শক্তি হিসেবে কাজ করবে।

এইএমএফ ঋণ সহায়তা একটি দেশের অর্থনৈতিক সংস্কারকে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে নীতিগত শর্তগুলির একটি সেট নিয়ে আসে। এই সংস্কারগুলি সরকারী ব্যয় অপ্টিমাইজ করতে, শাসন ব্যবস্থার উন্নতি এবং ব্যবসার পরিবেশ উন্নত করতে সহায়ক হতে পারে। আইএমএফ চুক্তির অংশ হিসেবে, বাংলাদেশ দীর্ঘমেয়াদে টেকসই উন্নয়নে সহায়তা করবে এমন কাঠামোগত সংস্কার গ্রহণে অঙ্গীকারবদ্ধ হওয়ার কারণে এক্ষেত্রে একটি ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে আশা করা যায়।

কোভিড-১৯ অতিমারি পরবর্তী রাশিয়া এবং ইউক্রেন যুদ্ধ প্রভাব দ্বারা সৃষ্ট আর্থিক চ্যালেঞ্জগুলি বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন দেশের অর্থনীতিকে নেতিবাচক ভাবে প্রভাবিত করে চলেছে। ফলে, এই প্রেক্ষিতে, এইএমএফ ঋণ শুধুমাত্র তাৎক্ষণিক অর্থনৈতিক চাহিদা পূরণে সহায়তাই করবে না, বরং চলমান অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার প্রচেষ্টাকে সহজতর করবে। অতিমারি দ্বারা সৃষ্ট আর্থ-সামাজিক সমস্যা থেকে দেশকে মুক্ত করার ক্ষেত্রে এই ঋণ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আশা করা যায়।

পরিশেষে বলা যায় যে এইএমএফ এর ঋণ নিয়ে বিভিন্ন সমালচনা থাকলেও বাংলাদেশের জন্য এই ঋণ দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি এবং স্থিতিশীলতার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হবে। এই ঋণ বৈদেশিক রিজার্ভ সংক্রান্ত শঙ্কা কাটিয়ে উঠতে, বিনিয়োগকারীদের আস্থা জাগ্রত করতে, প্রয়োজনীয় অর্থনৈতিক সংস্কার নিশ্চিত করতে এবং বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার প্রভাব মোকাবিলার করতে বাংলাদেশ সরকারকে সহায়তা করবে। বাংলাদেশ এগিয়ে যাওয়ার সাথে সাথে, এই আর্থিক সহায়তা দেশের অর্থনৈতিক গতিপথ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আশা করা যায়।

লেখক রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের প্রফেসর।




জীবনগরে দুর্গা পূজা উদযাপনে প্রস্তুতিমুলক সভা অনুষ্ঠিত

জীবননগর উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে শারদীয় দুর্গা পূজা উদযাপনে প্রস্তুতি মুলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ রোববার বেলা ১১ টায় উপজেলা পরিষদ সভা কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাসিনা মমতাজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান হাজী হাফিজুর রহমান।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম ইশা, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আয়েশা সুলতানা লাকী, জীবননগর থানার ওসি (তদন্ত) আবু সাইদ,উপজেলা সিনিয়র মৎস্য অফিসার দীন ইসলাম।

আরো উপস্থিত ছিলেন হিন্দু বৈধ্য খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি রমেন বিশ্বাস, সাধারণ সম্পাদক সাগর কুমার বিশ্বাস, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন কমিটি জীবননগর শাখার আহ্বায়ক নারায়ন ভৌমিক, সদস্য সচীব যাদব কুমার প্রামানিক।

এছাড়াও উপজেলার ২৭টি পূজা মন্ডবের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এ বছর উপজেলায় ২৭টি পূর্জা মন্ডবে শারদীয় দুর্গা পূজা অনুষ্ঠিত হবে। শান্তিপূর্ন পরিবেশে পূজা উদযাপনে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিরাপত্তাসহ সব ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।




নিজ বাসায় খুন হলেন ইরানি পরিচালক

সস্ত্রীক খুন হয়েছেন ইরানি চলচ্চিত্র পরিচালক দারিয়ুশ মেহরজুই। রাজধানী তেহরান থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে করজ নামক স্থানে একটি ভিলায় থাকতেন তিনি। ১৪ অক্টোবর নিজ বাসাতেই খুন করা হয় ৮৩ বছর বয়সী এই পরিচালক ও তার স্ত্রী ভাহিদেহ মোহাম্মাদিফাকে।

দেশটির পুলিশ জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত খুনির পরিচয় জানা যায়নি। এর নেপথ্যে কে বা কারা রয়েছেন, সেই রহস্য উদ্‌ঘাটন করতে শুরু হয়েছে তদন্ত।

এবিসি নিইজ এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রখ্যাত ইরানি চলচ্চিত্র পরিচালক দারিয়ুশ মেহরজুই এবং তার স্ত্রীকে এক অজ্ঞাত হামলাকারী তাদের নিজ বাড়িতে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছে। এছাড়াও সংবাদমাধ্যমটি ইরানি সরকারি বার্তা সংস্থার বরাত দিয়ে জানিয়েছে, ইরান সরকারের বিচার বিভাগের কর্মকর্তা হোসেন ফাজেলি জানিয়েছেন নির্মাতা দারিয়ুশ এবং তার স্ত্রী ভাহিদেহর গলায় ছুরির আঘাতে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে।

ইরানের সত্তর দশকের উল্লেখযোগ্য পরিচালকের একজন মেহরজুই। দেশটির ছবিতে বাস্তববাদের অবতারণা করেছিলেন যারা, তাদের মধ্যে মেহরজুই অন্যতম। এ জন্য বারবার বিপাকেও পড়তে হয়েছে তাকে। আশির দশকে ইরানে বিপ্লবে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ছিলেন মেহরজুই। দেশে নতুন সরকার গঠনের পরে শিল্প ও শিল্পীদের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ না করা হলেও পরের দিকে পরিস্থিতি বদলে যায়।

তার পরিচালিত ছবির মধ্যে অন্যতম ‘হামুন’। এছাড়াও মেহরজুইয়ের বানানো সেরা ছবির তালিকায় রয়েছে—‘লেইলা’, ‘দ্য কাউ’, ‘সনতুরি’।




এসএসসি পাসে চাকরির সুযোগ

নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টার লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটিতে এসি টেকনিশিয়ান পদে নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহী যোগ্য প্রার্থীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন।

পদের নাম

এসি টেকনিশিয়ান।

যোগ্যতা

প্রার্থীকে অষ্টম শ্রেণি/এসএসসি/এইচএসসি/সংশ্লিষ্ট ট্রেড সার্টিফিকেট থাকত

অভিজ্ঞ প্রার্থীদের জন্য শিক্ষাগত যোগ্যতা শিথিলযোগ্য।

কর্মস্থল

বাংলাদেশের যেকোনো স্থানে

বেতন

আলোচনা সাপেক্ষে।

আবেদন প্রক্রিয়া

আগ্রহী প্রার্থীরা বিডিজবস অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন।

আবেদনের শেষ তারিখ

১৯ অক্টোবর ২০২৩

সূত্র : বিডিজবস




ঝিনাইদহে দুর্গাপূজার সাজ সজ্জার কাজ শেষ মুহূর্তে

আগামী ২০ অক্টোবর থেকে শুরু হবে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজার আনুষ্ঠানিকতা। তাই ঝিনাইদহের পাড়া মহল্লাসহ প্রতিটা গ্রামের মণ্ডপে মণ্ডপে চলছে প্রতিমা তৈরি ও সাজ সজ্জার কাজ। জেলায় এবারে ৪৮৩টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে।

আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষে ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার প্রস্তুতি হিসেবে পূজা উদযাপন পরিষদ, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদসহ প্রতিটি পূজা কমিটির সাথে সামাজিক সম্প্রীতির সভা করেছেন। এবার সদরে ১১৯,শৈলকূপায় ১৩৭,হরিণাকুণ্ডুতে ৩৩,কালীগঞ্জে ৯৯,কোটচাঁদপুরে ৪৫ ও মহেশপুর উপজেলায় ৫৪টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে।

অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে মণ্ডপে মণ্ডপে থাকছে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা। প্রতিটা মন্দিরেই প্রতিমা সহ সাজসজ্জার কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন কারিগররা। প্রতিমা তৈরিতে চলছে শেষ মুহুর্তের রংতুলির আঁচড়ের কাজ।

এছাড়া আলোকসজ্জা ও প্যাণ্ডেল সাজানোর কাজও চলছে। শহরের কয়েকটি মন্দিরে গিয়ে দেখা যায় শেষ মুহুর্তের কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রতিমা কারিগররা।

২০ অক্টোবর থেকে ২৪ অক্টোবর পর্যন্ত ঢাকের বাদ্যে মেতে উঠবে হাজারো সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। দেবী দূর্গার আগমনে দূর হবে সকল অশুভ শক্তি। তাই ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সবাইকে এ উৎসবে শামিল হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে জেলা পূজা উদযাপন পরিষদ।
এদিকে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে প্রতিটি মণ্ডপে থাকবে পুলিশের নজরদারি সহ সিসি ক্যামেরা।

জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বিনয় কৃষ্ণ বিশ্বাস বলেন, প্রতিমা তৈরীর কাজ প্রায় শেষের দিকে। এবারে জেলায় ৪৮৩টি মন্দিরে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। আশা করছি উৎসবমুখর পরিবেশে আমরা অনুষ্ঠান পালন করতে পারবো।

পুলিশ সুপার মো: আজিম-উল-আহসান জানান, দুর্গাপূজা উদযাপনে শান্তি শৃংখলা বজায় রাখতে প্রতিটি পূজা মণ্ডপে সিসি ক্যামেরা, মন্দিরভিত্তিক স্বেচ্ছাসেবক দল গঠন, পুলিশী টহল জোরদার করা হয়েছে।

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বৃহৎ ধর্মীয় এই উৎসবে কোন বিশেষ গোষ্ঠী বা মহল কর্তৃক ধর্মীয় সম্প্রীতিতে আঘাত করলে তা তা কঠোর হস্তে দমন করা হবে। দুর্গাপূজাকে ঘিরে ফেসবুকসহ অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব ছড়িয়ে কেউ যাতে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে না পারে সে বিষয়ে সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী কঠোর অবস্থানে থাকবে।

জেলা প্রশাসক এসএম রফিকুল ইসলাম জানান, সম্প্রীতি, ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য, উৎসবমুখর, অত্যন্ত সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রেখে আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা সম্পন্ন করা হবে। এ ব্যাপারে ইতোমধ্যে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সকল প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। সকলের মাঝে ধর্মীয় সম্প্রীতি বজায় থাকুক এটা আমাদের প্রত্যাশা।




মেহেরপুরে নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধ বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মশালা

মেহেরপুরে নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধ বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

জাতীয় নারী নির্যাতন প্রতিরোধ ফোরামের সহযোগিতায় আজ রবিবার (১৫ অক্টোবর) দিনব্যাপী মেহেরপুর সদর উপজেলার মানব উন্নয়ন কেন্দ্রের (মউক) হল রুমে এ প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

মানব উন্নয়ন কেন্দ্র (মউক) এর বাস্তবায়নে প্রশিক্ষণ কর্মশালার সভাপতিত্ব করেন,জাতীয় নারী নির্যাতন প্রতিরোধ ফোরামের সভাপতি ও সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আবুল হাসেম।

মানব উন্নয়ন কেন্দ্রের জেলা প্রোগ্রাম ম্যানেজার সাদ আহাম্মদের সঞ্চালনায় প্রশিক্ষণ কর্মশালায় মানব উন্নয়ন কেন্দ্রের নির্বাহী প্রধান আসাদুজ্জামান সেলিম,জাতীয় নারী নির্যাতন প্রতিরোধ ফোরামের প্রোগ্রাম ম্যানেজার নীলা গোমেজ বক্তব্য রাখেন।

এছাড়াও এসময় প্রোগ্রাম ম্যানেজার ফাহিমা আক্তার ছবি,সাংবাদিক আমিরুল ইসলাম অল্ডাম,অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোঃ আজিজুল হকসহ উপজেলা ও জেলা কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।




কল অব ডিউটি এখন এক্সবক্সে

অবশেষে মাইক্রোসফট তাদের এক্টিভিশন ব্লিজার্ড চুক্তি সম্পন্ন করেছে। ৬৮.৭ বিলিয়ন ডলারের এই চুক্তির মাধ্যমে ডিয়াবলো, কল অব ডিউটি, ওয়ার্ল্ড অব উইচক্র‍্যাফটের মতো গেম এখন এক্সবক্সের অংশ। প্রায় ২০ মাস যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্যের মধ্যে আইনি লড়াই শেষে এই গেমের অধিকার এসেছে।

এটিই মাইক্রোসফটের সবচেয়ে দামি চুক্তি। এর আগে ২৬ বিলিয়ন ডলারে মাইক্রোসফট লিংকডইন খরিদ করেছিল। এই চুক্তির মাধ্যমে টেনসেন্ট আর সনির পর তৃতীয় বড় গেমিং কোম্পানি এখন মাইক্রোসফট।

মাইক্রোসফট এখন এক্টিভিশন ব্লিজার্ডের গেম এক্সবক্সে যুক্ত করার কথা চিন্তা করছে। তবে অ্যাক্টিভিশন ব্লিজার্ড জানিয়েছে মডার্ন ওয়ারফেয়ার ও ডিয়াবলো ফোর চলতি বছর এক্সবক্সে আসবে না। তারা মোটামুটি ১১টি নতুন অ্যাক্টিভিশন ব্লিজার্ড গেম এক্সবক্স সাবস্ক্রিপশনে যুক্ত করতে চলেছে।




সাকিবেকে চোখ রাঙাচ্ছেন রোহিত

বিশ্বকাপের মতো বড় মঞ্চে জ্বলে উঠেছেন রোহিত শর্মা। আফগানিস্তানের বিপক্ষে রেকর্ড গড়ে শতরানের ইনিংসের পর চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের বিপক্ষেও ব্যাট হাতে আগ্রাসী মেজাজে দেখা গিয়েছে ভারতের অধিনায়ককে। ভারতের জয়ের দিনে নতুন মাইলফলক স্পর্শ করেছেন রোহিত।

ওয়ানডে বিশ্বকাপে সর্বাধিক রান করা ব্যাটারের মধ্যে সাত নম্বরে আছেন রোহিত শর্মা। স্বদেশী ব্যাটার বিরাট কোহলিকে পেছনে ফেলেছেন তিনি। এখন পর্যন্ত বিশ্বকাপের ২০টি ম্যাচ খেলে রোহিতের সংগ্রহ ১১৯৫ রান। সেই তালিকায় বিরাট কোহলি ২৯টি ম্যাচে ১১৮৬ রান সংগ্রহ করেন। কিন্তু বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান তার উপরে আছেন। এখন পর্যন্ত বিশ্বকাপের ৩২টি ম্যাচ খেলে ১২০১ রান করেছেন তিনি। আর মাত্র ৭ রান করলেই সাকিবকে টপকে যাবেন ভারতের অধিনায়ক।

সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ব্যাটারদের তালিকায় শীর্ষে রয়েছেন ভারতীয় গ্রেট শচীন টেন্ডুলকার। বিশ্বকাপের ৪৫টি ম্যাচ খেলে ২২৭৮ রান করেছেন তিনি। ৪৬টি ম্যাচে ১৭৪৩ রান করে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক রিকি পন্টিং তৃতীয় স্থানে আছেন শ্রীলঙ্কার সাবেক অধিনায়ক কুমার সাঙ্গাকারা। বিশ্বকাপের ৩৭টি ম্যাচে ১৫৩২ রান করেছেন তিনি।

তালিকায় চতুর্থ স্থানে রয়েছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাবেক অধিনায়ক ব্রায়ান লারা। তিনি ৩৪টি ম্যাচ খেলে ১২২৫ রান করেছিলেন। পঞ্চম স্থানে রয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক ব্যাটার এবি ডি ভিলিয়ার্স। তিনি ২৩টি ম্যাচে ১২০৭ রান করেছেন।




মুজিবনগরে বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস উদযাপন

“আপনার নাগালেই পরিচ্ছন্ন হাত” এই প্রতিপাদ্যে মুজিবনগরে র‍্যালী,হাত ধোয়া প্রদর্শনী ও আলোচনা সভার মধ্য দিয়ে বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস উদযাপন করা হয়েছে।

আজ রবিবার সকালে উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর এবং গুডনেইবারর্স বাংলাদেশ মেহেরপুর সিডিপি এর আয়োজনে, উপজেলা পরিষদ চত্বর থেকে একটি বর্ণাঢ্য রেলি বের করা হয় র‍্যালিটি বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে উপজেলা পরিষদ চত্বরে স্থাপিত ওয়াশ বেসিনে হাত ধোয়ার মধ্য দিয়ে ধোয়া প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়। পরে সেখানে একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

আলোচনা সভায় উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চেয়ারম্যান জিয়াউদ্দীন বিশ্বাস।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার অনিমেষ বিশ্বাস, উপজেলা প্রকৌশলী খালিদ হাসান, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা:তৌফিক আহমেদ, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আফরোজা খাতুন, বাগোয়ান ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আয়ুব হোসেন, গুডনেইবারর্স বাংলাদেশ মেহেরপুর সিডিপি ম্যানেজার বিভব দেওয়ান,গুডনেইবারর্স এর আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা: শুভকুমার।

এ সময় উপজেলা পরিষদ ও গুডনেইবারর্স এর কর্মকর্তা কর্মচারী এবং বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষার্থীরা উপস্হিত ছিলেন।