পর্যটনে সম্ভাবনার দ্বার খুলে দিতে পারে দোহাজারী-কক্সবাজার রেলপথ

বিলম্বে হলেও আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে ৬৪ জেলাকে রেল নেটওয়ার্কে আওতায় আনতে কাজ শুরু করেছে সরকার। অথচ দেশের সবচেয়ে শক্তিশালী ও পুরনো যোগাযোগ মাধ্যম হলো রেলপথ। ১৯৬২ সালে ব্রিটিশ আমল থেকেই এ অঞ্চলে রেল যোগাযোগ শুরু হয়। এতোদিনেও সকল জেলায় রেল লাইন হয়নি, যা সত্যিই বিস্ময়ের। তবুও পদ্মা রেল সংযোগ প্রকল্প উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে ৪৩ থেকে ৪৭ জেলা রেল যোগাযোগে যুক্ত হয়েছে।

আগামী ১২ নভেম্বর দোহাজারী-কক্সবাজার রেলপথের উদ্বোধন হতে যাচ্ছে। এরমধ্য দিয়ে রেল যোগাযোগে আরেকটি মাইল ফলক অর্জনের পথে বাংলাদেশ। সরকারের ফাস্টট্র্যাক প্রকল্পের একটি চট্টগ্রামের দোহাজারী-কক্সবাজার রেলপথ নির্মাণ। এর উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে পর্যটন নগরী কক্সবাজারও আসছে রেল যোগাযোগের আওতায়। ঢাকা থেকে সরাসরি ট্রেনযোগে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত দেখতে যেতে পারবেন পর্যটকরা। যা সত্যিই আনন্দের খবর।

শুধু কি তাই? এ প্রকল্প চালুর মধ্য দিয়ে গোটা কক্সবাজারের অর্থনীতিতে আরো বেশি গতি ফিরবে। কারণ পর্যটক আগের চেয়ে অনেক বাড়বে। তেমনি তৈরি হবে কর্মসংস্থানের সুযোগ। কারণ এখানে শুধু সমুদ্র সৈকত আছে তা নয়, অন্তত ১৫টি পর্যটন কেন্দ্র রয়েছে জেলাজুড়ে। এর সবকটিতেই পর্যটক উপস্থিতি বাড়বে, তা নিঃস্বন্দেহে বলা যেতে পারে। এই সুযোগটিকে সরকার কতোটুকু কাজে লাগিয়ে আর্থিকভাবে লাভবান হতে পারবে তাই দেখার বিষয়।

কক্সবাজারের প্রাচীন নাম পালংকী। একসময় এটি প্যানোয়া নামে পরিচিত ছিল। প্যানোয়া শব্দটির অর্থ ‘হলুদ ফুল’। অতীতে কক্সবাজারের আশপাশের এলাকাগুলো এই হলুদ ফুলে ঝকমক করত। এটি চট্টগ্রাম থেকে ১৫৯ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত। এ জেলায় রয়েছে প্রবালদ্বীপ সেন্টমার্টিন। সমুদ্র সৈকতের চেয়ে এ দ্বীপের প্রতি পর্যটকদের আকর্ষণ অনেকগুন। এর বাইরে রাবার বাগান, সোনাদিয়া দ্বীপ, রামকোট সহ বেশ কয়েকটি বড় ও আকর্ষণীয় বৌদ্ধ বিহার। পাশাপাশি হিমছড়ি, রাবার স্টেশন, ডুলাহাজরা সাফারি পার্ক, মহেশখালী জেটি, কুতুবদিয়া বাতিঘর, আদিনাথ মন্দির, অজ্ঞামেবী ক্যং প্রভৃতি পর্যটন কেন্দ্র পর্যটকদের তালিকায় এগিয়ে। রেলপথ চালুর পর এর সবকটিতেই কমবেশি পর্যটক বাড়বে। এর বড় কারণ হলো, ট্রেন যাত্রা অনেকটাই আরামদায়ক। ভাড়া বিবেচনায় আকাশ ও সড়ক পথের চেয়েও অনেকক্ষেত্রে সাশ্রয়ি।

বিশ্ব পর্যটন সংস্থার প্রাক্কলন অনুযায়ী, ২০৫০ সাল নাগাদ বিশ্বের ৫১টি দেশের পর্যটকরা বাংলাদেশে ভ্রমণ করবেন, যা মোট জিডিপিতে ১০ শতাংশ অবদান রাখবে। পর্যটনশিল্পের অপার সম্ভাবনা কাজে লাগাতে পারলে বাংলাদেশ হবে দক্ষিণ এশিয়ার রোল মডেল। পর্যটন ব্যবসায়ীদের সংগঠন ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (টোয়াব) হিসাব অনুযায়ী, বছরে এখন ৫০ থেকে ৬০ লাখ মানুষ দেশের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যান। বছর পাঁচেক আগেও এ সংখ্যা ২৫ থেকে ৩০ লাখ ছিল।

ওয়ার্ল্ড ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুরিজম কাউন্সিলের হিসাব অনুযায়ী, প্রায় ৪০ লাখ লোকের কর্মসংস্থান তৈরি করেছে দেশের পর্যটন খাত। আর্থিক মূল্যে দেশীয় পর্যটন খাতের আকার দাঁড়িয়েছে কমপক্ষে ৪ হাজার কোটি টাকার। সব মিলিয়ে বছরে প্রায় ২০ লাখ পর্যটককে আতিথেয়তা দেয় কক্সবাজার। বর্তমানে বাংলাদেশের জিডিপির প্রায় দুই শতাংশ আসে পর্যটন খাত থেকে।

এরই ধারাবাহিকতায় ২০২৫ সালের মধ্যে পর্যটনশিল্পের সর্বোচ্চ বিকাশে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে সরকার। পুরো দেশকে আটটি পর্যটন জোনে ভাগ করে প্রতিটি স্তরে এ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হবে। এসব প্রকল্প বাস্তবায়নে প্রথমবারের মতো সরকারি-বেসরকারি যৌথ বিনিয়োগের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর অংশ হিসাবে কক্সবাজারে পর্যটন অবকাঠামো নির্মাণে ২৫টি প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এগুলোয় প্রায় প্রত্যক্ষভাবে বিনিয়োগ হবে ৩৭ হাজার কোটি টাকা। পরোক্ষভাবে বিনিয়োগ হবে ১ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা।

মূলত পর্যটকদের সুবিধার্থে কক্সবাজার পর্যন্ত রেল লাইন নির্মাণ করছে রেলপথ মন্ত্রণালয়। সবচেয়ে আকর্ষণীয় বিষয় হচ্ছে, জেলা শহর থেকে তিন কিলোমিটার পূর্বে ঝিলংজা ইউনিয়নের হাজিপাড়া এলাকায় ২৯ একর জমির ওপর দৃশ্যমান আইকনিক রেল স্টেশন। ঝিনুকের আদলে তৈরি দৃষ্টিনন্দন এ স্টেশন ভবনটির আয়তন এক লক্ষ ৮২ হাজার বর্গফুট। ছয়তলা বিশিষ্ট স্টেশনটি নির্মাণে চীন, বেলজিয়াম, ইংল্যান্ড, ইতালিসহ বিশ্বের বিভিন্ন আধুনিক স্টেশনের সুযোগ-সুবিধা বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে। পুরো প্রকল্পটিতে ১১০ জন বিদেশিসহ মোট ২৫০ জন প্রকৌশলী এবং ছয় শতাধিক লোক কাজ করছে। চার বছরের শ্রমে আইকনিক রেলস্টেশন ভবনটি আজ সত্যিই চোখ জুড়ানো বাস্তবতা।

এশিয়ার প্রথম শতভাগ পর্যটনবান্ধব কেন্দ্রীয় শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত স্টেশনে রয়েছে পর্যটকদের জন্য সব ধরণের সুযোগ-সুবিধা। পর্যটকরা যেন কক্সবাজারে দিনে এসে ঘুরে আবার ফিরে যেতে পারেন, সে ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে। স্টেশনে থাকবে লাগেজ ও লকার সিস্টেম। থাকছে আধুনিক ট্রাফিক সুবিধা। নিচতলায় টিকেট কাউন্টার, অভ্যর্থনা কেন্দ্র। দ্বিতীয়তলায় শপিংমল ও রেস্তোরাঁ। তিন তলায় তারকা মানের হোটেল। থাকছে মসজিদ, শিশু যত্ন কেন্দ্র ও চলন্ত সিঁড়ি। এখনে থাকছে এটিএম বুথ, পোস্ট অফিস, ট্যুরিস্ট ইনফরমেশন বুথসহ নানা সেবা কেন্দ্র।

চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে কক্সবাজার রেলপথটি দুটি ভাগে কাজ করছে ঠিকাদার। দোহাজারী থেকে চকরিয়া অংশের কাজ করছে সিআরইসি এবং তমা কনস্ট্রাকশন। আর চকরিয়া থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত অংশের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সিসিইসিসি এবং ম্যাক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার। ২০১৬ সালের ২৭ এপ্রিল প্রকল্পটি ফাস্টট্র্যাকভুক্ত হয়। ২০১০ এর জুলাই থেকে শুরু হয়ে আগামী বছরের জুন পর্যন্ত প্রকল্পের মেয়াদ রয়েছে।
চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত রেলপথে ঢাকা থেকে দিনে দুটি ট্রেন চালানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। বলা হয়েছে- একটি ট্রেন সকাল সোয়া আটটায় ঢাকার কমলাপুর থেকে যাত্রা করে দুপুর সোয়া দুইটায় কক্সবাজারে পৌঁছাবে। ওই ট্রেনটি কক্সবাজার থেকে রাত সাড়ে সাতটায় যাত্রা করে কমলাপুর পৌঁছাবে ভোর তিনটা ৪০ মিনিটে। আরেকটি ট্রেন কমলাপুর থেকে রাত সাড়ে ১০টায় যাত্রা করে সকাল সাড়ে ছয়টায় পৌঁছাবে কক্সবাজারে। সেখান থেকে দুপুর ১২টায় ফিরতি যাত্রা করে কমলাপুরে ফিরবে রাত আটটায়।

সম্প্রতি বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয় ১৮ হাজার ৩৪ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণাধীন দোহাজারী-কক্সবাজার রেলপথ। এটি ট্রেন চলাচল শুরু করার ক্ষেত্রে তেমন একটা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেনি। বন্যায় ক্ষতি হওয়া লাইনের মেরামত ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে।

পর্যটনশিল্প-বিকাশে অবারিত সম্ভাবনা রয়েছে বাংলাদেশের। বিদেশি পর্যটক ছাড়াও দেশের পর্যটকদের নিরাপত্তা, যোগাযোগের সুবিধা ও আকর্ষণীয় অফার দিলে সাগড়কন্যাখ্যাত পর্যটনগরী কক্সবাজারে লোক সমাগম বাড়বে। এক্ষেত্রে স্থানীয় যাতায়াতের সুবিধা বাড়ানোর পাশাপাশি আরো কিছু পদক্ষেপ নেয়া জরুরি।
বিশ্বের তুলনায় বাংলাদেশ পর্যটন শিল্পে অনেক পিছিয়ে রয়েছে। সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর ব্যাপারে রাষ্ট্রীয় ভাবনার জায়গাটি খুবই দুর্বল বা অবেহেলিত বলা যেতেই পারে। পর্যটনে এগিয়ে যেতে হলে অঞ্চল বা জেলা ধরে বেশকিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। যেমন, কক্সবাজারের পর্যটনসমৃদ্ধ এলাকাগুলোতে অবকাঠামো উন্নয়ন, পর্যটকদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা, পর্যটন এলাকায় পর্যটন পুলিশকেন্দ্র স্থাপন, বিদেশি পর্যটকদের জন্য পর্যাপ্তসংখ্যক গাইডের ব্যবস্থা, বিদেশে বাংলাদেশের ট্যুরিজম প্রমোশনে রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনারের উদ্যোগী ভ‚মিকা পালন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্রচারণা, পর্যটন এলাকায় নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ, গ্যাস ও টেলিফোন ব্যবস্থা, প্রয়োজনীয়সংখ্যক হোটেল নির্মাণ। যেন সাধ্যের মধ্যে পর্যটকরা সব ধরণের হোটেলে থাকার সুযোগ পান। সবশেষে পর্যটনে এগিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনায় যাত্রা শুরু হোক ঢাকা-চট্টগ্রাম হয়ে দোহাজারী-কক্সবাজার রেলপথের।

লেখক: সাংবাদিক ও কলামিস্ট




জনস্বাস্থ্যে শেখ হাসিনার অবদান

জনস্বাস্থ্য বিষয়ক কর্মপরিকল্পনাকে আমরা মূলত দুটি ভাগে ভাগ করতে পারি। এক, সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা; দুই, সমসাময়িক কিংবা তাৎক্ষণিক পরিকল্পনা। এই দুই অংশের সহযাত্রা একটি জাতির জনস্বাস্থ্য খাতকে এগিয়ে নিয়ে যায়। ১৯৭২ থেকে ১৯৭৫ পর্যন্ত জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর জনস্বাস্থ্যে গৃহীত পদক্ষেপ গুলি ছিল মূলত সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনার অংশ। একটি যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশে সেটিই স্বাভাবিক ছিল। বঙ্গবন্ধু, সকল নাগরিকের জন্য স্বাস্থ্যসেবার সমান প্রাপ্তি এবং বৈষম্য কমাতে স্বাস্থ্য সেবার জাতীয়করণ করেন, যার সুফল ৫০ বছর ধরে এদেশের মানুষ পেয়ে যাচ্ছে। তিনি সুবিধা বঞ্চিত জনগোষ্ঠীর জন্য প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার গুরুত্ব উপলব্ধি করেছিলেন এবং ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করেন যা তৃণমূল পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করে। পাশাপাশি, স্বাস্থ্যসেবার অবকাঠামো তৈরি, টিকাদান কর্মসূচি, মা ও শিশু স্বাস্থ্য, পুষ্টি, জনস্বাস্থ্য শিক্ষা, জনস্বাস্থ্যের লোকবল বৃদ্ধি এবং জরুরী স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণে একটি দৃষ্টান্তমূলক যাত্রা শুরু করেছিলেন। এ যাত্রার অংশ হিসেবে ১৯৭৪ সালে জনস্বাস্থ্য শিক্ষা ও গবেষণার জন্য ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ প্রিভেন্টিভ অ্যান্ড সোশ্যাল মেডিসিন (নিপসম) প্রতিষ্ঠা করেন।

পিতার আদর্শে উদ্ভূত জননেত্রী শেখ হাসিনা বিগত ১৫ বছরে জনস্বাস্থ্য খাতে জাতির পিতার ছায়াকে অনুসরণ করেছেন। জননেত্রী শেখ হাসিনার জনস্বাস্থ্য বিষয়ক কার্যক্রম তাৎপর্যগতভাবে একই সাথে সুদূরপ্রসারী এবং সমসাময়িক। ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রের আদলে তিনি কমিউনিটি ক্লিনিক ধারণা প্রবর্তন করেন যা ইতিমধ্যে বিশ্বব্যাপী একটি স্বীকৃত সার্বজনীন স্বাস্থ্য সেবার অংশ। কমিউনিটি ক্লিনিক একটি জনমুখী স্বাস্থ্য সেবা ব্যবস্থা এবং সারাদেশে গ্রামীণ জনগণের দোরগোড়ায় প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা প্রসারিত করাই এর লক্ষ্য। এটি জাতীয় স্বাস্থ্য ব্যবস্থার একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে। এই যুগান্তকারী এবং সুদূরপ্রসারী ধারণার জন্য তিনি স্মরণীয় হয়ে থাকবেন। এবার আসা যাক সমসাময়িক কিংবা তাৎক্ষণিক জনস্বাস্থ্য সেবার বিষয়ে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার সরকার কোভিড-১৯ এর বিস্তার রোধ করতে এবং দেশে এর প্রভাব প্রশমিত করতে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন এবং অবদান রেখেছেন। কোভিড-১৯ মহামারী মোকাবিলায় বাংলাদেশ বিশ্বজুড়ে রোল মডেল হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছে। বাংলাদেশে টিকাদান কর্মসূচির অসামান্য সাফল্যের জন্য, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ২০১৯ সালে গ্যাভি ভ্যাকসিন হিরো অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত করেছেন। সুতরাং, কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত স্বাস্থ্যসেবা সরবরাহের দেশব্যাপী নেটওয়ার্ক, শিশু টিকাদানের সর্বজনীন কভারেজ এবং কোভিড-১৯ ব্যবস্থাপনা ও টিকাদানে সাম্প্রতিক সাফল্যের জন্য বাংলাদেশ বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত হয়েছে। আর এই স্বীকৃতির রূপকার জননেত্রী শেখ হাসিনা।

সামগ্রিক স্যানিটেশন, হাইজিন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, শিশু ও মাতৃমৃত্যু, এইডস ও ম্যালেরিয়া সহ অন্যান্য রোগ প্রতিরোধ অর্জনে শতভাগ সফলতা অর্জন করায়, প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরেই বাংলাদেশ মিলেনিয়াম ডেভেলপমেন্ট গোলস (এমডিজি) এর লক্ষ্য অর্জন করে। তার হাত ধরেই বাংলাদেশ এখন দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে ২০৩০ সালের ভিতর সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোলস (এসডিজি) এর লক্ষ্য অর্জনে।

নবজাতক মৃত্যুর হার প্রতি ১০০০ জীবিত জন্মে ২০ এর কম, শিশু মৃত্যুর হার ২১.৫/১০০০ জীবিত জন্মে এবং ৫ বছরের কম বয়সী মৃত্যুর হার ২২-এ নেমে এসেছে। মাতৃমৃত্যুর অনুপাত ১৭০/১০,০০০-এর কমে নেমে এসেছে। মহিলাদের আয়ু বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ৭৪.১ বছর এবং পুরুষদের জন্য ৭০.৮ বছর।২০১৩ সালে, বাংলাদেশ এমডিজি লক্ষ্যমাত্রায় ক্ষুধা অর্ধেকে কমানোর জন্য জাতিসংঘের এফএও পুরস্কার পেয়েছে যা দেশের মানুষের পুষ্টির যোগানের স্বয়ংসম্পূর্ণতার বহিঃপ্রকাশ। সরকার খাদ্য নিরাপত্তা ও মান নিয়ন্ত্রণ জোরদার করেছে, বাংলাদেশ খাদ্য নিরাপত্তা আইন ২০১৩ প্রণয়ন করেছে এবং বাংলাদেশ খাদ্য নিরাপত্তা কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠা করেছে।

২০১৯ সালে বাংলাদেশ ৮৩..৯ শতাংশ বৈধ পূর্ণ টিকা কভারেজ অর্জন করেছে, যা ২০১৯ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভ্যাকসিন হিরো অ্যাওয়ার্ডে সম্মানিত করেছে।২০১৪ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দ্বারা বাংলাদেশ পোলিও-মুক্ত ঘোষণা করা হয়েছিল। অবহেলিত গ্রীষ্মমন্ডলীয় রোগ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে এবং ম্যালেরিয়া রোগ কমাতেও বাংলাদেশ সফল হয়েছে। অসংক্রামক রোগ (এনসিডি) প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণের জন্য একটি বহুক্ষেত্রীয় কর্ম পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।

বাংলাদেশ মানসিক স্বাস্থ্য, অটিজম, এবং প্রতিবন্ধী কল্যাণে বিগত বছরেরগুলোতে বিশেষ নজর দিয়েছে। প্রতিবন্ধী অধিকার আইন এবং নিউরো ডেভেলপমেন্টাল ডিজঅ্যাবিলিটি প্রোটেকশন ট্রাস্ট আইনের মতো আইন রয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কন্যা সায়মা ওয়াজেদ একজন WHO গুডউইল অ্যাম্বাসেডর এবং অটিজমের জন্য আঞ্চলিক চ্যাম্পিয়ন। টেলিমেডিসিন এবং “স্বাস্থ্য বাতায়ন ১৬২৬৩” কল সেন্টার দেশব্যাপী স্বাস্থ্য সেবা এবং তথ্য প্রদান করে চলেছে। ২০১১ সালে, প্রধানমন্ত্রী আইসিটি ব্যবহার করে স্বাস্থ্য খাতে অগ্রসর হওয়ার জন্য ‘ডিজিটাল হেলথ ফর ডিজিটাল ডেভেলপমেন্ট’ গ্লোবাল হেলথ অ্যান্ড চিলড্রেনস অ্যাওয়ার্ড পান।

গত দেড় দশকে স্বাস্থ্য খাতে অগ্রগতি হয়েছে সরকারের প্রতিশ্রুতি, নীতি, কৌশল, আইন প্রণয়ন এবং তাদের কার্যকর ও সময়োপযোগী বাস্তবায়ন, প্রযুক্তি দ্বারা পরিচালিত ও কার্যকরী সাংগঠনিক নেটওয়ার্কের কারণে। এবং অ-প্রযুক্তিগত স্বাস্থ্য জনশক্তি, সরকারী, বেসরকারী সংস্থাগুলির সমন্বিত প্রচেষ্টা এবং উন্নয়ন অংশীদারদের সহায়তা; এবং পরিবার পরিকল্পনা, ইমিউনাইজেশন, ওরাল রিহাইড্রেশন থেরাপি, যক্ষ্মা, ভিটামিন-এ সহ বিভিন্ন প্রোগ্রামে সামগ্রিকভাবে সক্রিয় অংশগ্রহনের জন্য। এ অগ্রগতি গুলোর মধ্যে অন্যতম হলো- স্বাস্থ্য বীমা, সংক্রামক রোগ প্রতিরোধ, চিকিৎসা শিক্ষা এবং প্রশিক্ষণ, জলবায়ু পরিবর্তনে সহনশীলতা অর্জন এবং উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বিশেষায়িত ভৌত কাঠামো নির্মাণ। যার পেছনে নিরলস কাজ করে গেছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা। জনস্বাস্থ্য সহ বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাত আজ এক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছেছে। এই উচ্চতা ধারণ করেন বলেই তিনি দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে বলেছেন, “আমি অসুস্থ হলে এই দেশেই চিকিৎসা করো, বিদেশে যাওয়ার দরকার নাই”।

লেখক: অধ্যাপক, পাবলিক হেলথ এন্ড ইনফরমেটিকস বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়।




ঝিনাইদহের শৈলকুপায় দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্রসহ গ্রেপ্তার ১

ঝিনাইদহের শৈলকুপা থেকে দেশীয় তৈরী আগ্নেয়াস্ত্রসহ এক সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করেছে ঝিনাইদহ র‌্যাব-৬। আজ শনিবার (১৪ অক্টোবর) র‌্যাব-৬, সিপিসি-২,ঝিনাইদহ ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারে যে, ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপা থানাধীন মালিথিয়া গ্রামে কতিপয় অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী অবৈধ অস্ত্র নিয়ে মাদকদ্রব্য ক্রয় বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে অবস্থান করছে।

প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে আভিযানিক দলটি আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে একই তারিখ রাত দেড়টার দিকে ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপা থানাধীন নতুনভুক্ত মালিথিয়া গ্রামস্থ অনন্ত স্টোর এর সামনে একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে কুখ্যাত অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী নিরাপদ মন্ডল (৭০) কে গ্রেপ্তার।

সে একই উপজেলার তেতুলবাড়িয়া গ্রামের মৃত পঞ্চানন মন্ডলের ছেলে।

এ সময় উপস্থিত সাক্ষীদের সামনে গ্রেপ্তারকৃত আসামীর হেফাজত হতে ১ টি দেশীয় তৈরী আগ্নেয়াস্ত্র (পাইপগান) উদ্ধার পূর্বক জব্দ করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামী আগ্নেয়াস্ত্র প্রদর্শন পূর্বক এলাকায় বিভিন্ন মাদক ব্যবসা, চাঁদাবাজি, রাহাজানীসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করার বিষয় স্বীকার করেছেন।

গ্রেপ্তারকৃত আসামীর নিকট থেকে জব্দকৃত আলামত শৈলকুপা থানায় হস্তান্তর করতঃ গ্রেপ্তারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে বলে জানান।




অস্কারে যাচ্ছে অক্ষয়ের সিনেমা!

ভারত থেকে অস্কারের জন্য অফিসিয়ালি মনোনীত করা হয়েছে মালায়লাম সিনেমা ‘২০১৮’। এছাড়াও অস্কারের চূড়ান্ত বাছাইয়ের জন্য স্বাধীনভাবে অ-ইংরেজি সিনেমা পাঠাতে পারে যে কোনো দেশ। আর সেভাবেই নিজস্ব উদ্যোগে অস্কারে মঞ্চে যেতে চূড়ান্ত বাছাইয়ে যাচ্ছে অক্ষয় কুমারের সিনেমা ‘মিশন রানিগঞ্জ’। খবর ইন্ডিয়ান এক্সপেসের।

গত ৬ অক্টোবর মুক্তি পেয়েছে সত্য ঘটনা অবলম্বনে নির্মিত ‘মিশন রানিগঞ্জ’। আট দিনে এই সিনেমার আয় মাত্র ২৫ কোটি রুপি। বক্স অফিসে তেমন সাড়া ফেলতে না পারলেও সিনেমার গল্পের জন্য অস্কারে পাঠানোর উদ্যোগ নিয়েছেন নির্মাতারা। সিনেমাটি যদি অস্কারে মঞ্চে যেতে পারে তাহলে এটি হবে অস্কারের যাওয়া অক্ষয়ের প্রথম সিনেমা।

১৯৮৯ সালের ১১ নভেম্বর, ভারতের রানিগঞ্জের মহাবীর কয়লাখনিতে ঘটা ভয়াবহ দুর্ঘটনায় যশবন্ত সিং গিলের সাহসিকতা ও বীরত্বের গল্প ভারতের মানুষ এখনো ভুলেনি। ইঞ্জিনিয়ার পদে কর্তব্যরত যশবন্ত সিং একা রক্ষা করেছিলেন ৬৫ জন খনিশ্রমিককে। ৩৪ বছরের আগের সেই ঘটনাকেই বড় পর্দায় তুলে ধরেছেন টিনু সুরেশ দেশাই।

এই সিনেমাতে যশবন্তের চরিত্রে অভিনয় করছেন অক্ষয়। শিখ যশবন্তের চরিত্রে তাকে বেশ মানিয়েছে বলেও দাবি অনেকের। এই সিনেমার শুটিং মূলত হয়েছে রানিগঞ্জ-আসানসোল-দুর্গাপুর কয়লাঞ্চলে। সিনেমাতে অক্ষয়ের বিপরীতে অভিনয় করেছেন পরিণীতি চোপড়া। যশবন্তের স্ত্রীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি।

গতবছর এস এস রাজামৌলি পরিচালিত ‘আরআরআর’ স্বাধীনভাবে অস্কারে পৌঁছায়। এবং ভারতের জন্য নিয়ে আসে পুরস্কার। এবার একই রাস্কা ধরলেন অক্ষয়।




মেহেরপুরে তাতাসা হজ ও ওমরাহ কাফেলার ট্রেনিং প্রোগ্রামের উদ্বোধন

মেহেরপুরে তাতাসা হজ্ব ও ওমরাহ কাফেলার ট্রেনিং প্রোগ্রামের উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শনিবার দুপুরে মেহেরপুর মহিলা কলেজ মোড় সেভেন সেন্স হোটেলে এ ট্রেনিংয়ের উদ্বোধন করা হয়।

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মেহেরপুর তাতাসা হজ্ব ও ওমরাহ কাফেলার পরিচালক মনিরুল ইসলাম।

এসময় মেহেরপুর পৌরসভার মেয়র মাহফুজুর রহমান রিটন প্রধান মেহমান হিসেবে উপস্থিত থেকে তাতাসা হজ্জ ও ওমরাহ কাফেলা ট্রেনিং প্রোগ্রামের উদ্বোধন করেন।

বিশেষ মেহমান হিসেব উপস্থিত ছিলেন অগ্রনী ব্যাংকের সাবেক এজিএম রমজান আলী, কুষ্টিয়া ডিভিশন ফারইষ্ট ইসলামী লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের ডেপুটি ইনর্চাজ শাহা জামাল, জাতীয় ইমাম পরিষদের মেহেরপুর জেলার সভাপতি হাফেজ মাওলানা রোকনুজ্জামান।

এসময় হজ্ব ও ওমরাহ করার জন্য বিভিন্ন  প্রত্যাশীরা উপস্থিত ছিলেন।

তাতাসা হজ্ব ও ওমরাহ কাফেলার পরিচালক মনিরুল ইসলাম মেহেরপুর প্রতিদিনকে বলেন আগামী ১৪ থেকে ৩০শে অক্টোবর মাসের মধ্যে ডিসেম্বর মাসে ওমরা পালন করার জন্য বুকিং নিশ্চিত করলেই প্রথম ১০ জনের জন্য রয়েছে ১৫% ছাড় (জন প্রতি)।




মেহেরপুরে পুকুরে ডুবে শিশুর মৃত্যু

মেহেরপুরে পুকুরে ডুবে সোহাগ হোসেন নামের দুই বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।

আজ শনিবার (১৪ অক্টোবর) দুপুর দেড়টার সময় মেহেরপুর পৌর এলাকার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের শাহাজী পাড়ায় এই মর্মান্তিক দূর্ঘটনা ঘটে।

দুর্ঘটনার স্বীকার হয়ে মৃত্যুবরণ করা সোহাগ হোসেন শাহাজিপাড়ার মেহেদী হাসানের একমাত্র সন্তান।

বিষয়টি অপমৃত্যু হওয়াতে জন প্রতিনিধি হিসেবে মেহেরপুর পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সৈয়দ আবু আব্দুল্লাহ বাপ্পীর বক্তব্য নিতে বেশ কয়েকবার ফোন দিলেও তিনি ফোন ধরেন নি। তাই এই মর্মান্তিক ঘটনায় তার কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

পরবর্তীতে মেহেরপুর সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ সাইফুল ইসলামের বক্তব্য নেয়ার জন্য তাকে ফোন দিয়েও বক্তব্য পাওয়া সম্ভব হয়নি।




৬ দফা দাবীতে ঝিনাইদহ পৌর কাউন্সিলর এ্যাসোসিয়েশন সম্মেলন

বাংলাদেশ পৌর কাউন্সিল এ্যাসোসিয়েশন ঝিনাইদহ জেলা শাখার সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শনিবার (১৪ অক্টোবর) ঝিনাইদহ পৌরসভার মুসা মিয়া আইসিটি ইনকিউবেটর এন্ড ল্যাঙ্গুয়েজ সেন্টারে অনুষ্ঠিত হয়।

ঝিনাইদহ পৌরসভার কাউন্সিলর মহিউদ্দীনের সভাপতিত্ব অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পৌরসভার মেয়র কাইয়ূম শাহরিয়ার জাহেদী হিজল।

এছাড়া অন্যান্যের মধ্যে বাংলাদেশ পৌর কাউন্সিল এ্যাসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ও ঝিনাইদহ পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সাইফুল ইসলাম মধু, মাধবদী পৌর সভার কাউন্সিলর ও কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী সভাপতি পরিমল চন্দ্র ঘোষ, সাধারণ সম্পাদক ও নাটোর পৌরসভার কাউন্সিলর জাহিদুর রহমান জাহিদ, কুষ্টিয়া পৌরসভার কাউন্সিলর ও কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি রিণা নাসরিন ও ঝিনাইদহ পৌরসভার নির্বাহী কর্মকর্তা মুস্তাক আহম্মেদসহ জেলার ৬ উপজেলার কাউন্সিলররা বক্তব্য রাখেন।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ঝিনাইদহ পৌরসভার মেয়র কাইয়ূম শাহরিয়ার জাহেদী হিজল বলেন, পৌরসভার উন্নয়নে কাউন্সিলরদের ভুমিকা অপরসীম। ওয়ার্ডের ভোটাররা এলাকার উন্নয়নের জন্য যোগ্য ব্যক্তিকে নির্বাচিত করে থাকেন। কাজেই ওয়ার্ডের উন্নয়নে অপনাদের সহয়তা দরকার হয়। তিনি কাউন্সিলরদের ন্যায় সঙ্গত দাবীর প্রতি একাত্বতা প্রকাশ করে বলেন, তিনি কাউন্সিলরদের দাবী সরকারের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পৌছে দিবেন। সভায় কাউন্সিলরা পৌর কাউন্সিলরদের মাসিক সম্মানী ভাতা বৃদ্ধি, প্রতি ওয়ার্ডে কাউন্সিলরদের কার্যালয় নির্মান, পৌর কাউন্সিলরদের মন্ত্রনালয় থেকে পরিচয়পত্র প্রদান, সম্মান ও পদ মর্যাদা নির্ধারণ, পৌরসভার কর্মকর্তা কর্মচারীদের বেতন ভাতার ৮০ শাতাংশ সরকারের রাজস্ব তহবিল থেকে প্রদানসহ ৬ দফা দাবী তুলে ধরে তা দ্রুত বাস্তবায়নের আহবান জানানো হয়।




শান্তর থ্রোতে ছিটকে গেলেন উইলিয়ামসন

ইনজুরি যেন পিছুই ছাড়ছে না কেন উইলিয়ামসনের। চোট কাটিয়ে দীর্ঘদিন পর বাংলাদেশের বিপক্ষে মাঠে নেমেছিল কিউই অধিনায়ক। ইনজুরি থেকে ফিরে বাংলাদেশের বিপক্ষে ১০৭ বলে ৭৮ রানের ইনিংস খেলেন উইলিয়ামসন। ম্যাচ জয়ের জন্য বড় অবদান রাখেন তিনি। ম্যাচ জয়ের দিনে দুঃসংবাদ পেয়েছেন নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক।

ব্যাটিংয়ের সময় শর্ট মিড উইকেট থেকে নাজমুল হোসেন শান্তর ছোঁড়া বলে বাঁ হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলিতে ব্যাথা পান তিনি। শান্তর ছোড়া বলটি নন স্ট্রাইক প্রান্তে দৌড়ে আসা উইলিয়ামসনের বাঁ হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলিতে লাগে। সঙ্গে সঙ্গেই ফিজিওর দ্বারস্থ হতে হয়েছে তাকে। সে সময় তাকে ব্যথায় কাৎরাতে দেখা যায়। হাতে ব্যান্ডেজ দিলেও ব্যথার কারণে ৩৯তম ওভারের মাঝ পথে মাঠ ছাড়েন উইলিয়ামসন।

ম্যাচের পরই তার স্ক্যান করানোর পরই দুঃসংবাদ পেয়েছেন উইলিয়ামসন। তার বুড়ো আঙুলের হাড়ে চিড় ধরা পড়েছে। চলতি মাসে তাকে আর দেখা যাবে না। নিউজিল্যান্ড দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে অন্তত এক সপ্তাহের জন্য মাঠের বাইরে চলে গেছেন তিনি।

নিউজিল্যান্ডের প্রধান কোচ গ্যারি স্টেড এখনও উইলিয়ামসনকে নিয়ে আশাবাদী। এক বিবৃতিতে তিনি এই প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা অনুভব করতে পারছি তার অবস্থা, হাঁটুর চোট থেকে ফিরে আসার জন্য যে কঠোর পরিশ্রম করেছে। এরপরই এটা ঘটেছে। যদিও এটা হতাশাজনক খবর। প্রাথমিকভাবে তার চোট সনাক্তের পর আমরা কিছুটা আশাবাদী সে বিশ্রাম ও পুনর্বাসনের পর আবারও খেলতে পারবে। কেন (উইলিয়ামসন) স্পষ্টতই আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এবং সে বিশ্বমানের খেলোয়াড় ও অধিনায়ক। তাকে টুর্নামেন্টের শেষদিকে ফেরার জন্য আমরা সব ধরনের সহযোগিতা করবো।’

সূত্র: ইত্তেফাক




মেহেরপুরে সবজির বাজারে আগুন

গত সপ্তাহে কয়েকদিনের টানা বর্ষণের অজুহাতে মেহেরপুরের কাঁচা বাজারে সবরকম শাক সবজির দাম গত সপ্তাহের তুলনায় বৃদ্ধি পেয়েছে। বেড়েছে মাছের দামও। সবচেয়ে বেশি বেড়েছে বেগুন ও কাঁচা মরিচের দাম।

গতকাল শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) দুপুরে মেহেরপুর শহরের বড়বাজার ঘুরে দেখা যায় , সবকিছুই সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে। শাক-সবজি থেকে শুরু করে সবকিছুর দামই বেশি। সবজি বিক্রেতারা বলছেন টানা বর্ষণের কারণে মৌসুমী ফসলগুলো নষ্ট হয়ে গেছে। ফলে সরবরাহ কম। তাই গত কয়েকদিনে প্রতিটি শাকসবজির মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে।

সরকারি ছুটির দিন হওয়াতে ভোক্তা অধিকার ও জেলা প্রশাসনের প্রশাসনের বাজার মনিটরিং কমিটির সদস্যদের বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

সরজমিনে মেহেরপুরের বড়বাজার কাঁচা বাজারে যেয়ে দেখা যায় প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৪২ টাকায়, পেঁয়াজ ৯০ টাকা, কাঁচা মরিচ ১২০ টাকা কেজি, রসুন ৩৫০ টাকা, আদা ২০০ টাকা, বেগুন ৮০ টাকা, পটল ৭০ টাকা, ঢেঁড়স ৫০ টাকা, কাঁচা কলা ৬০ টাকা ও শসা ৬০ টাকা কেজি দ্বারা বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া মাছের দামও বেড়েছে।

পারুল আক্তার নামে এক গৃহিণী জানান, গত মাসের শুরুতে বেগুন, কাঁচা মরিচসহ বিভিন্ন শাকসবজির দাম নাগালের মধ্যে ছিল। কিন্তু গত কয়েকদিনে সব রকম শাকসবজির দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।

দিনমজুর রহিম মিয়া জানালেন বর্তমান উচ্চমূল্যের বাজারে পরিবার নিয়ে দুই বেলা ডাল ভাত খেতেও তাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে।

পিরোজপুর থেকে আসা রিকশাচালক আদনান প্রচন্ড ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন সরকার কিছু পণ্যের দাম নির্ধারণ করে আমাদের সাথে তামাশা করছে। পণ্যগুলোর দাম যখন নির্ধারণ করেই দিয়েছে, তখন সঠিকভাবে তদারকি করছে না কেন।

এদিকে গরুর মাংস প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা, খাসির মাংস প্রতি কেজি ১০০০ টাকা, দেশি মুরগির মাংস বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৫০০ টাকা এবং বয়লার মুরগির মাংস বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১৭০/১৭৫ টাকা এবং ডিম প্রতি পিস ১৩ টাকা দরে।




ঢাকায় নিয়োগ দেবে পান্না গ্রুপ

নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে পান্না গ্রুপ। প্রতিষ্ঠানটি ড্রাইভার – পরিবহন পদে নিয়োগ দেবে। আগ্রহী যোগ্য প্রার্থীরা সহজেই আবেদন করতে পারেন।

পদের নাম

ড্রাইভার – পরিবহন।

শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা

প্রার্থীকে এসএসসি / এইচএসসি অথবা সমমানের অন্য কোনো পরীক্ষায় পাস হতে হবে। প্রযোজ্য ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতা শিথিল হতে পারে। বয়স ২৮ থেকে ৪০ বছর। পুরুষ প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন। বৈধ ড্রাইভিং লাইসেন্সধারী হতে হবে। লং রুটে গাড়ী চালানোর অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। বাংলাদেশের যেকোনো জেলায় কাজ করার মানসিকতা থাকতে হবে। অধিক সময় কাজ করার মানসিকতা থাকতে হবে। সময় সচেতন হতে হবে। প্রার্থীর যোগাযোগের দক্ষতা থাকতে হবে। প্রার্থীকে অবশ্যই সৎ, উদ্যোমী ও নৈতিকতাবোধ সম্পন্ন হতে হবে। প্রার্থীর অবশ্যই বাংলাদেশের জাতীয় পরিচয় পত্র থাকতে হবে।

কর্মস্থল

ঢাকা

বেতন

আলোচনা সাপেক্ষে।

আবেদনের প্রক্রিয়া

আগ্রহী প্রার্থীদের বিডিজবস অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে।

আবেদনের সময়সীমা

২৪ অক্টোবর ২০২৩

সূত্র : বিডিজবস