মেহেরপুরের কুতুবপুরে ওয়ার্ড বিএনপি’র সম্মেলন ও ইফতার

মেহেরপুর সদর উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নের ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ড বিএনপি’র সম্মেলন, ইফতার ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।

গতকাল রবিবার সন্ধ্যার দিকে মেহেরপুর সদর উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নের উত্তর শালিকায় এই সম্মেলন, ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

জেলা বিএনপি’র সদস্য ওমর ফারুক লিটনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট কামরুল হাসান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত জেলা বিএনপি’র যুগ্ন আহ্বায়ক ফয়েজ মোহাম্মদ।

এছাড়াও এসময় জেলা বিএনপি’র সদস্য আলমগীর খান সাতু, জেলা জাসাসের সদস্য সচিব বাঁকাবিল্লা, জেলা বিএনপি’র সাবেক মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা নাজমিন নাহার রিনা, জেলা জিয়া মঞ্চের সদস্য সচিব মনিরুল ইসলাম মনি, বিএনপি নেতা মোশিউল আলম দ্বীপু, আবু ইউসুফ মিরন, বখতিয়ার হোসেন, সাইদুল হক কেনেডি, তাজুল ইসলাম, সুইট, আরিফ ,সাইরুল ইসলাম, আবুল হাশেম, ফুর্তি হাসান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। ইফতার ও দোয়া মাহফিলে অনুষ্ঠানের সঞ্চালনায় করেন সাহাবুল ইসলাম।

কুতুবপুর ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ড বিএনপি’র সম্মেলনে নতুন কমিটির সভাপতি সাইদুল হাসান‌ খান কেনেডি ও সাধারণ সম্পাদক নবিরুল ইসলাম, ৯ নং ওয়ার্ড বিএনপি সভাপতি মহিবুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক মুকুল হাসান নির্বাচিত হন।




ঝিনাইদহে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ

ঝিনাইদহের মহেশপুরে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে এক ব্যবসায়ীর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ওই ব্যবসায়ী গত বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসকের নিকট একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ২০১৩ সালে মহেশপুরের জলিলপুর সড়কে আব্দুল হামিদ সাড়ে তিন শতক ডিসিআরভুক্ত জমি সংশ্লিষ্ট কর্র্তৃপক্ষের কাছ থেকে লিজ নিয়ে একটি সেমি পাকা ভবন নির্মাণ করে। পরে ওই ভবনে ডেকোরেটরের ব্যবসা শুরু করেন তিনি। দীর্ঘদিন ধরে সেখানে নির্বিঘ্নে ব্যবসা করে আসছেন তিনি।

গত ২৬ ফেব্রুয়ারি মহেশপুর বণিক সমিতি থেকে একটি সালিশির চিঠি পান তিনি। পরে বণিকি সমিতিতে গিয়ে জানতে পারেন ওই জমির দাবি করছেন স্থানীয় শেখ মো. আনোয়ার সাদত রিপন নামের এক ব্যক্তি। সমিতিতে সালিশের সময় হামিদকে দ্রুত ওই জমিসহ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান তাকে দিয়ে দেওয়ার জন্য হুমকি-ধমকি দেওয়া হয়।

এরপর উপায় না পেয়ে গত ৩ মার্চ ঝিনাইদহের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি পিটিশন দায়ের করেন তিনি। তখন আদালত ওই জমির ওপর ১৪৪ ধারা জারি করে।

আব্দুল হামিদ বলেন, ‘আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়েছে রিপন ও তার ক্যাডার বাহিনী। পুরো ভবন ভাঙচুর করেছে। প্রতিষ্ঠানে থাকা ২৫ লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে গেছে তারা।’

অভিযোগ অস্বীকার করে মো. আনোয়ার সাদত রিপন বলেন, ‘ওই জায়গায় আমাদের মার্কেট রয়েছে। হামিদ যে জায়গায় ব্যবসা করে ওই জায়গাটাও আমাদের। তিনি মূলত সাবেক এমপি চঞ্চলের লোক। সম্ভবত ৫ আগস্টের পর থেকেই বিভিন্ন সময় ওই প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর করেছে বহিরাগতরা। এখন তিনি আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে।’

এ ব্যাপারে মহেশপুর থানার ওসি ফয়েজ উদ্দিন মৃধা বলেন, ‘শুনেছি ওই জমি নিয়ে দুই পক্ষের বিরোধ আছে। এখন বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য আদালতে চলে গেছে। বিজ্ঞ আদালত যে নির্দেশনা দিবে আমারা সেটাই পালন করবো।




ঝিনাইদহে নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা, ধর্ষণের প্রতিবাদে মানববন্ধন

ঝিনাইদহে নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা ও ধর্ষনের মত অপরাধের প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে।

রোববার (১৬ মার্চ) সকালে শহরের পায়রা চত্তওে এ কর্মসূচির আয়োজন করে সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) জেলা শাখা। এতে ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ নানা শ্রেণিপেশার মানুষ অংশ নেয়।

মানববন্ধনে টিআইবি’র এরিয়া কো- অর্ডিনেটর হুমায়ুন কবির, সনাক সহ-সভাপতি আহমেদ হোসেনসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, মানবিকতা ও মূল্যবোধের অবক্ষয় ধর্ষণের অন্যতম কারণ।

এ ক্ষেত্রে আইনের সঠিক প্রয়োগের পাশাপাশি মানুষের সচেতনতা খুবই জরুরি।




ঝিনাইদহে হারিয়ে যাওয়া মোবাইল ও নগদ টাকা ফেরত পেলেন মালিকেরা

হারিয়ে যাওয়া ও চুরি-ছিনতাই হওয়া ৮৪টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করে প্রকৃত মালিকের কাছে ফেরত দিয়েছে ঝিনাইদহ জেলা গোয়েন্দা পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেল।

এসময় প্রতারণার মাধ্যমে খোয়া যাওয়া ৬৪ হাজার টাকাও প্রকৃত মালিকের কাছে ফেরত দেওয়া হয়।

রবিবার (১৬ মার্চ) সকালে ঝিনাইদহ জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইমরান জাকারিয়া উপস্থিত থেকে প্রকৃত মালিকদের কাছে বুঝিয়ে দেন।

এক বিজ্ঞপ্তিতে সাইবার সেল জানিয়েছে, অভিযোগ ও জিডির ভিত্তিতে দেশের বিভিন্ন জেলায় অভিযান চালিয়ে মোবাইল ফোনগুলি উদ্ধার করা হয় এবং মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসের সহায়তায় খোয়া যাওয়া টাকা উদ্ধার করে প্রকৃত মালিকের কাছে ফেরত দেওয়া হয়েছে।

সাইবার অপরাধ দমনে ঝিনাইদহ জেলা গোয়েন্দা পুলিশের সাইবার সিকিউরিটি ইনভেস্টিগেশন সেল প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছে।




ঘরোয়া এই দুই উপাদানেই পাবেন উজ্জ্বল ত্বক

উজ্জ্বল ত্বক কে না চায়। এর জন্য গ্লিসারিন ও ভিটামিন সি এর জুড়ি নেই। এই দুটি উপাদান ত্বককে হাইড্রেট, সুরক্ষা এবং পুনরুজ্জীবিত করতে কাজ করে।

গ্লিসারিন এবং ভিটামিন সি যেভাবে ত্বকের উপকার করে

গ্লিসারিন একটি হিউমেক্ট্যান্ট। অর্থাৎ এটি বাতাস থেকে ত্বকের জন্য প্রয়োজনী আর্দ্রতা শোষণ করে নেয় এবং ত্বককে নরম ও হাইড্রেটেড রাখে। ভাল হাইড্রেটেড ত্বক আলোকে আরও ভালভাবে প্রতিফলিত করে।

অন্যদিকে, ভিটামিন সি একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা কালো দাগ দূর করতে, কোলাজেন উৎপাদন বাড়াতে এবং অকাল বার্ধক্যের জন্য দায়ী মুক্ত র্যাডিকেলগুলোর বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে। একইসঙ্গে, এই উপাদানগুলো ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায় এবং গঠন এবং স্থিতিস্থাপকতা উন্নত করে।

উজ্জ্বল ত্বকের জন্য ফেস মাস্ক

গ্লিসারিন এবং ভিটামিন সি ব্যবহার করে উজ্জ্বল ত্বকের বেশ কিছু রেসিপি এখানে দেওয়া হলো:

হাইড্রেটিং সিরাম: ১ চা চামচ গ্লিসারিন, হাফ চা চামচ ভিটামিন সি পাউডার এবং ২ টেবিল চামচ পানি মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটি একটি অন্ধকার বোতলে সংরক্ষণ করুন এবং গভীর হাইড্রেশনের জন্য ঘুমানোর আগে কয়েক ফোঁটা প্রয়োগ করুন।

ফেস মিস্ট: একটি স্প্রে বোতলে হাফ চা চামচ গ্লিসারিন, হাফ চা চামচ ভিটামিন সি পাউডার এবং হাফ কাপ গোলাপ জল মিশিয়ে দিন। তাৎক্ষণিক উজ্জ্বলতার জন্য এটি দিনের যেকোনও সময় মুখে স্প্রে করুন।

ফেস মাস্ক : ১ চা চামচ গ্লিসারিন, হাফ চা চামচ ভিটামিন সি পাউডার এবং ১ টেবিল চামচ টক দই মিশিয়ে নিন। ১৫ মিনিট লাগিয়ে রেখে হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

সম্ভাব্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া এবং সতর্কতা

উভয় উপাদানেরই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকতে পারে:

১. গ্লিসারিন সংবেদনশীল ত্বকে লালচেভাব বা জ্বালা সৃষ্টি করতে পারে।

২. ভিটামিন সি সূর্যের আলোর প্রতি সংবেদনশীলতা বাড়াতে পারে।

৩. পুরো মুখে ব্যবহারের আগে প্যাচ টেস্ট করুন।

সূত্র: সামাটিভি




রায়ে প্রতিক্রিয়া জানালেন আবরার ফাহাদের মা

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় ২০ জনের মৃত্যুদণ্ড ও ৫ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বহাল রেখে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট।

বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ গতকাল রোববার এই রায় দেন।

প্রতিক্রিয়া জানিয়ে এ রায়ে সন্তোষ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন আবরার ফাহাদের মা রোকেয়া খাতুন বলেন, ‘আবরার ফাহাদ হত্যার আপিল শুনানির রায় হয়েছে আজ। হাইকোর্টে আগের রায় বহাল থাকায় আমরা সবাই সন্তুষ্ট।’

রোববার দুপুরে হাইকোর্টের রায়ের পর কুষ্টিয়া শহরের নিজ বাসভবনে তিনি তাঁর সন্তুষ্টির কথা জানান।

সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে রোকেয়া খাতুন বলেন, ‘দীর্ঘ ছয় বছর পরও এ দেশের মানুষ আমাদের সঙ্গে আছেন। কেউ আমাদের কাছ থেকে দূরে সরে যাননি। এ জন্য আমি সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। এখন চাওয়া, এ রায় যেন দ্রুত কার্যকর হয়। এ রায় কার্যকর হলে ভবিষ্যতে এমন কাজ করতে আর কেউ সাহস পাবে না।’

এর আগে ডেথ রেফারেন্স ও আসামিদের করা আপিলের শুনানি শেষ হয় গত ২৫ ফেব্রুয়ারি। শুনানি শেষে মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ রাখা হয়। ডেথ রেফারেন্স অনুমোদন ও আসামিদের করা আপিল খারিজ করে এ রায় ঘোষণা করেন হাইকোর্ট।

প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর বুয়েটের শেরেবাংলা হল থেকে তড়িৎ ও ইলেকট্রনিকস প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবরার ফাহাদের লাশ উদ্ধার করা হয়। ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা তাঁকে পিটিয়ে হত্যা করেন। এ ঘটনায় আবরারের বাবা রাজধানীর চকবাজার থানায় হত্যা মামলা করেন।

২০২১ সালের ৮ ডিসেম্বর মামলার রায় দেন বিচারিক আদালত। রায়ে ২০ জনকে মৃত্যুদণ্ড ও পাঁচজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়।




‘সোনা’ বলে কাকে ইঙ্গিত করলেন পরীমনি

ঢালিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী পরীমনি মাঝে মধ্যেই সামাজিক মাধ্যমে ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্ট দিয়ে থাকেন, যা নিয়ে নেটিজেনদের মাঝে বেশ আলোচনা-সমালোচনা হয় এবং বিভিন্ন বিষয়ে নিয়ে দুইয়ে দুইয়ে চার মেলানোর চেষ্টা করেন। পোস্টে পরীমনি লিখেছেন, আজ এখন যাকে নিয়ে তোমার সুখ খুঁজে পাচ্ছো। দেখ, সে যেন তোমার দুঃখের কারণ না হয়, সোনা।

অভিনেত্রীর ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্ট নিয়ে নেটিজেনরা বেশ আলোচনা-সমালোচনা করছেন। তারা বলছেন, পরী তার সাবেক স্বামী শরিফুল রাজকে নিয়ে পোস্ট দিয়েছেন। নেটিজেনরা মনে করছেন, ‘সোনা’ বলে পরী মূলত রাজকে উল্লেখ করেন। পরীর পোস্ট শেয়ার দিয়ে এক নেটিজেন লিখেছেন, ‘পরী রাজকে ভুলতে না পেরে তাকে নিয়ে এমন পোস্ট করেছে।’

আবার অনেকে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন। ফারহান নামে আরেক নেটিজেনের বলেছেন— কষ্ট পেয়ে এভাবে কেউ রাজকে মিস করার কী আছে। নিজেকে নিজে ভালোবাসেন।

উল্লেখ্য, ‘গুণিন’ সিনেমার শুটিং করতে গিয়ে প্রেমের সম্পর্কে জড়ান পরীমনি ও শরিফুল রাজ। ২০২১ সালের ১৭ অক্টোবর বিয়ে করেন তারা। এরপর তাদের কোলজুড়ে আসে ছেলে ‘শাহীম মুহাম্মদ রাজ্য’। সম্পর্কের টানাপোড়েনে ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে বিচ্ছেদের পথে হাঁটেন এ তারকা দম্পতি। বর্তমান সময়ে কাজের পাশাপাশি ছেলে রাজ্যকে নিয়েই সময় কাটছে পরীমনির।

সূত্র: যুগান্তর




মাশরুম চাষে সফলতা পেয়েছেন মিজানুর রহমান

পরীক্ষামূলকভাবে মাশরুম চাষে সফলতা পেয়েছেন চুয়াডাঙ্গা জেলার জীবননগরের তরুণ উদ্যোক্তা মিজানুর রহমান।

মেহেরপুর প্রতিদিনকে তিনি জানান, “আমার ইচ্ছে ছিল নতুন কিছু চাষ করার। ইউটিউবে মাশরুম চাষ সম্পর্কে জানতে পেরে আগ্রহী হয়ে উঠি। এরপর জীবননগর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মনোহরপুর ইউনিয়নের দায়িত্বরত কৃষি কর্মকর্তা মোরশেদ বিল্লাহর সহযোগিতায় ৫০ কেজি বীজ সংগ্রহ করে প্রায় ২০০টি মাশরুম পলিব্যাগ তৈরি করি এবং পরীক্ষামূলকভাবে চাষ শুরু করি।”

তিনি আরও বলেন, “আমার চাষ করা মাশরুমগুলো ওয়েস্টার জাতের এবং বর্তমানে এগুলোর বয়স আড়াই মাস। মাশরুম পলিব্যাগ তৈরির জন্য আমি কৃষি কর্মকর্তার পরামর্শে কাঠের গুঁড়া ও মাশরুমের বীজ ব্যবহার করেছি। পরিচর্যার ক্ষেত্রে আহামরি কিছু করতে হয় না। তবে অতিরিক্ত গরমে দিনে ৩-৪ বার বাষ্প আকারে পানি স্প্রে করতে হয়।”

ছত্রাক সমস্যা সম্পর্কে সতর্ক করে তিনি বলেন, “কোনো পলিব্যাগে ছত্রাক দেখা দিলে সঙ্গে সঙ্গে আলাদা করে ফেলতে হবে। না হলে অন্য পলিব্যাগগুলোও আক্রান্ত হবে।”

বাংলাদেশের আবহাওয়ায় মাশরুম চাষের উপযোগিতা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “মাশরুম মূলত শীতপ্রধান দেশে ভালো চাষ হয়। তাই চাষের জায়গাটি এমনভাবে তৈরি করতে হবে যেন সেখানে সরাসরি রোদ না আসে এবং তাপমাত্রা ২২-২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকে। যদি গরম বেশি হয়, তাহলে সকালে, দুপুরে ও রাতে বাষ্প আকারে পানি স্প্রে করলেই সমাধান হয়ে যায়।”

ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে তিনি বলেন, “শুরুর দিকে আমার ২০০টি মাশরুম পলিব্যাগের মধ্যে প্রায় ৪০টি নষ্ট হয়ে যায়। তবে পরীক্ষামূলকভাবে চাষ করার ফলে আমি অনেক কিছু শিখতে পেরেছি—কীভাবে এটি তৈরি করতে হয় এবং কীভাবে পরিচর্যা করতে হয়। ভবিষ্যতে বাণিজ্যিকভাবে মাশরুম চাষ করার পরিকল্পনা রয়েছে। আপনারা সকলে আমার জন্য দোয়া করবেন।”

এছাড়াও তিনি মেহেরপুর প্রতিদিনকে ধন্যবাদ জানান তার মতো একজন ক্ষুদ্র উদ্যোক্তার গল্প তুলে ধরার জন্য।




নাসা-স্পেসএক্স মিশন স্থগিত, অনিশ্চয়তায় দুই নভোচারীর ফেরা

আবারও বিলম্ব হলো আটকে থাকা দুই নভোচারীর পৃথিবীতে ফেরার মিশন। নাসা ও স্পেসএক্স-এর যৌথ অভিযানে ব্যবহৃত ফ্যালকন ৯ রকেটের উৎক্ষেপণ হাইড্রোলিক সমস্যার কারণে স্থগিত হয়েছে।

ফ্লোরিডার কেপ ক্যানাভেরাল স্পেস ফোর্স স্টেশন থেকে উৎক্ষেপণের কথা থাকলেও রকেটটির বাহুর একটিতে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয়। ইঞ্জিনিয়াররা সমস্যাটি সমাধানে কাজ করছেন, তবে উৎক্ষেপণের নতুন সময় নির্ধারিত হয়নি। যদিও বৃহস্পতিবার আবার উৎক্ষেপণের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে বিবিসি। এ মিশনের লক্ষ্য ছিল চারজন নতুন ক্রু সদস্যকে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে (আইএসএস) পাঠানো এবং ফিরতি যাত্রায় সুনিতা উইলিয়ামস ও বুচ উইলমোরকে পৃথিবীতে ফেরানো।

গত বছরের জুনে বোয়িং স্টারলাইনার মহাকাশযানে আইএসএসে পৌঁছানো দুই নভোচারীর থ্রাস্টার ত্রুটির কারণে পৃথিবীতে ফেরা অনিরাপদ হয়ে পড়ে। আট দিনের মিশনে গিয়েও তারা নয় মাসের বেশি সময় ধরে মহাকাশ স্টেশনে আটকে আছেন, যেখানে তারা বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক গবেষণা ও রক্ষণাবেক্ষণের কাজে সহায়তা করেছেন। স্পেসএক্সের এ মিশন সফল হলে কয়েক দিনের মধ্যেই উইলিয়ামস ও উইলমোর পৃথিবীতে ফিরতে পারতেন।

তবে উৎক্ষেপণের সময় রকেটের বাহু ঠিকমতো খুলবে কি না, তা নিয়ে উদ্বেগ দেখা দেওয়ায় মিশন স্থগিত করতে হয়েছে। স্পেসএক্স এখনো ঘোষণা দেয়নি, সমস্যাগুলো সমাধান হয়েছে কি না। তবে পরবর্তী উৎক্ষেপণের সম্ভাবনা থাকায় নভোচারীদের ফিরে আসার আশা এখনো জিইয়ে আছে।

সূত্র: যুগান্তর




এসএসসি পরীক্ষার্থীদের বাড়িতে গভীর রাতে ইউএনও

এসএসসি, দাখিল ও সমমান পরীক্ষা উপলক্ষে শিক্ষার্থীদের খোঁজখবর নিতে রাতের আঁধারে তাদের বাড়িতে ছুটে যাচ্ছেন মেহেরপুর সদর উপজেলার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. খায়রুল ইসলাম। শিক্ষার জন্য নিবেদিত এই প্রশাসনিক কর্মকর্তা শিক্ষার্থীদের অনুপ্রাণিত করতে ও তাদের প্রস্তুতি নিশ্চিত করতে উপজেলার এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে ছুটে চলেছেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই খায়রুল ইসলাম শুধু প্রশাসনিক কাজেই সীমাবদ্ধ থাকেননি, বরং উপজেলায় শিক্ষার মানোন্নয়ন ও সচেতনতা বৃদ্ধিতে বেশ কিছু ব্যতিক্রমী উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। তারই অংশ হিসেবে তিনি শুরু করেছেন ‘রাত্রিকালীন হোম ভিজিট’ কার্যক্রম।

চলতি বছরের মার্চ মাসের শুরু থেকেই প্রতিদিন রাত ৮টা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত তিনি উপজেলার বিভিন্ন এলাকার এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার্থীদের বাড়িতে যাচ্ছেন। উদ্দেশ্য একটাই পরীক্ষার্থীদের পড়াশোনায় মনোযোগী করা, তাদের প্রস্তুতি পর্যবেক্ষণ করা এবং অভিভাবকদের সঙ্গে সরাসরি মতবিনিময় করা।

হোম ভিজিটকালে ইউএনও খায়রুল ইসলাম শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন, তাদের পরীক্ষার প্রস্তুতির খোঁজ নেন এবং প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেন। পাশাপাশি অভিভাবকদেরও পরামর্শ দেন কীভাবে সন্তানদের আরও ভালোভাবে পড়াশোনায় মনোযোগী করা যায়। এ ছাড়া পরীক্ষার্থীদের মাঝে প্রয়োজনীয় শিক্ষা উপকরণ ও উপহার সামগ্রী বিতরণ করেন, যা শিক্ষার্থীদের অনুপ্রাণিত করছে।

এই উদ্যোগে অভিভাবকদের মধ্যে স্বস্তি ও সন্তুষ্টি প্রকাশ পেয়েছে। তারা মনে করছেন, একজন প্রশাসনিক কর্মকর্তার এমন ব্যতিক্রমী উদ্যোগ শিক্ষাক্ষেত্রে ইতিবাচক পরিবর্তন আনবে।

রাত্রিকালীন হোম ভিজিটের সময় ইউএনও খায়রুল ইসলামের সঙ্গে মেহেরপুর সদর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম, মোমিনপুর বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাব্বারুল ইসলামসহ অন্যান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।