দীর্ঘ পাসওয়ার্ড কতটা সুরক্ষিত

মেইল বা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অ্যাকাউন্ট হ্যাক হবে—এমন জটিলতা নিয়ে অনেকেই চিন্তিত। ফিশিং লিংক বাদেও আপনার ফোনে ম্যালওয়ার এলেই হলো। আর এসবের দায় অনেক সময় মেইল, ফেসবুক বা ব্যাংক অ্যাকাউন্টের অনলাইন সার্ভিসের ত্রুটি বা নিরাপত্তা ঘাটতির কারণে হয়। আবার অনেক সময় আপনার নিজের অসাবধানতাও দায়ি।

সংঘবদ্ধ চক্র হাতিয়ে নেয় গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ও অর্থ। তাই হ্যাকিং থেকে রক্ষা পেতে অনেকে দীর্ঘ পাসওয়ার্ড ব্যবহার করেন। মেইল সার্ভিসগুলোও আপনাকে একই কথা বলবে। কিন্তু এই দীর্ঘ পাসওয়ার্ড আপনায় কতটা নিরাপত্তা দিতে পারে? প্রযুক্তি গবেষণাভিত্তিক প্রতিষ্ঠান স্পেকপস আপনাকে সে উত্তরই দিয়েছে।

তাদের মতে, দীর্ঘ পাসওয়ার্ড ছোট পাসওয়ার্ডের চেয়ে বেশি সুরক্ষা দেয়। তবে দীর্ঘ পাসওয়ার্ড হ্যাকড হয়ে যাওয়ারও অনেক ঘটনা আছে। স্পেকপস সম্প্রতি ৮০ কোটির বেশি হ্যাকড পাসওয়ার্ড নিয়ে গবেষণা করেছে। এসব পাসওয়ার্ডের নানা দিক খতিয়ে দেখা হয়েছে। প্রতিবেদনটিতে দেখা গেছে, ৮০ কোটির মধ্যে ২১ কোটি ২৫ লাখ পাসওয়ার্ডের ক্যারেক্টর ছিল আটটি। তার অর্থ হলো, হ্যাকড হয়ে যাওয়া পাসওয়ার্ডগুলোর প্রায় ৮৫ শতাংশ ১২ ক্যারেক্টরের কম।

মাইক্রোসফটের সিস্টেম সফটওয়্যার বা অ্যাকটিভ ডিকশনারিতে আট ক্যারেক্টরের পাসওয়ার্ডকে ডিফল্ট পাসওয়ার্ড হিসেবে দেখা হয়। অর্থাৎ এটা একটা দুর্বল পাসওয়ার্ড, যা যে কোনো সময় হ্যাকড হতে পারে। স্পেকপস ১২ ক্যারেক্টরের বেশি দীর্ঘ পাসওয়ার্ডকে শক্তিশালী পাসওয়ার্ড মনে করে। কিন্তু এই ধরনের পাসওয়ার্ড খোয়া যাওয়ার শঙ্কাও অনেক বেশি। গবেষণা প্রতিবেদন জানাচ্ছে, হ্যাকড হয়ে যাওয়া পাসওয়ার্ডগুলোর মধ্যে ১২ কোটি ১৫ লাখ পাসওয়ার্ড ছিল ১২ বা তার বেশি ক্যারেক্টরের। অন্যদিকে ১৬ ক্যারেক্টরের বেশি দীর্ঘ হয়েও হ্যাকড হয়েছিল প্রায় ৩ কোটি ১১ লাখ পাসওয়ার্ড।

দীর্ঘ পাসওয়ার্ড হ্যাকড হওয়ার ঝুঁকি থাকলেও তা আপনার অ্যাকাউন্টকে এখনো ছোট পাসওয়ার্ডের তুলনায় বেশি সুরক্ষা দেয়। স্পেকপসের জ্যেষ্ঠ্য প্রোডাক্ট ম্যানেজার ড্যারেন জেমস বলেন, দীর্ঘ পাসওয়ার্ড তুলনামূলকভাবে ভালো। এটা আইটি বিশেষজ্ঞদের জন্য নতুন কোনো খবর নয়। তবে, দীর্ঘ পাসওয়ার্ড সত্ত্বেও বিভিন্ন ধরনের টোপ (ফিশিং) আপনার সুরক্ষিত ইমেইলে ঢুকে পড়তে পারে। এটাকে ব্যবহার করে আপনার পাসওয়ার্ড হ্যাকড হয়ে যেতে পারে।

সূত্র: স্পেকপস




ইসরাইলে আটকা পড়েছেন বলিউড অভিনেত্রী নুসরাত, যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন

হাইফা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে অংশ নিতে ইসরাইলে গিয়েছিলেন বলিউড অভিনেত্রী নুসরাত ভারুচা। সেই দেশে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের হামলা চালানোর পর থেকেই অভিনেত্রীকে নিয়ে দুশ্চিন্তায় ছিলেন তার টিম, পরিবার ও ভক্তরা।

জানা গেছে, সেখানে আটকা পড়েছেন এই বলিউড অভিনেত্রী। অভিনেত্রীর টিমের সঙ্গে সর্বশেষ যোগাযোগে একটি বেসমেন্টে আশ্রয় নেওয়ার কথা জানিয়েছিলেন নুসরাত ভারুচা। কিন্তু তার পর থেকে আর যোগাযোগ করা যাচ্ছে না তার সঙ্গে। খবর ইন্ডিয়া টুডের।

নুসরাত ভারুচার টিমের এক সদস্য সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, নুসরাত দুর্ভাগ্যবশত ইসরাইলে আটকা পড়েছেন। হাইফা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে যোগ দিতে তিনি সেখানে গিয়েছিলেন। শেষবার আজ (শনিবার) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে যখন আমি তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পেরেছিলাম, তখন তিনি একটি বেসমেন্টে নিরাপদে ছিলেন। নিরাপত্তার জন্য আর বিস্তারিত প্রকাশ করা যাবে না। তার পর থেকে আমরা সংযোগ করতে পারছিলাম না। তাকে নিরাপদে ভারতে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছি এবং আশা করি তিনি সুস্থ ও অক্ষত অবস্থায় ফিরে আসবেন।’

গতকাল সকালে দক্ষিণ ইসরাইলের বিস্তীর্ণ এলাকায় হামলা চালায় ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। প্রথম দফায় ৫ হাজার রকেট ছোড়া হয় বলে দাবি করে হামাস। ইসরাইলে ঢুকে পড়েন হামাসের বন্দুকধারীরা।

এদিকে হামাসের আকস্মিক হামলার পর ইসরাইল গাজা উপত্যকায় একাধিক বিমান হামলা চালিয়েছে। এ পর্যন্ত কমপক্ষে ২৫০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ১ হাজারের বেশি গাজাবাসী। বড় যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি হিসেবে ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনী বিপুলসংখ্যক সৈন্য জড়ো করেছে। ইসরাইলি সেনাবাহিনী দীর্ঘ অবরুদ্ধ গাজার সাতটি ভিন্ন এলাকার বাসিন্দাদের তাদের বাড়িঘর ছেড়ে শহরের কেন্দ্রে চলে যাওয়া কিংবা আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিতে বলেছে।

বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, হামাসের হামলায় এখন পর্যন্ত প্রায় ২৫০ জন ইসরাইলি নিহত হইছেন। অন্যদিকে ইসরাইলের পালটা হামলায় গাজায় ২৩০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।




মেহেরপুরে অস্ত্রসহ ভিডিপি মৌলিক প্রশিক্ষণের শুভ উদ্বোধন

বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী, মেহেরপুর কর্তৃক আয়োজিত জেলা ভিত্তিক ২১ দিন মেয়াদি অস্ত্রসহ ভিডিপি মৌলিক প্রশিক্ষণ (পুরুষ- ৪র্থ ধাপ) এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ রবিবার (০৮ অক্টোবর) দুপুর ২টার সময় জেলা কার্যালয়ের প্রশিক্ষণ শেডের শ্রেণি কক্ষে এ উদ্বোধনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।

জেলা কমান্ড্যান্ট প্রদীপ চন্দ্রদত্ত প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এর শুভ উদ্বোধন করেন।

এ সময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রদীপ চন্দ্রদত্ত বলেন, প্রশিক্ষিত জনবল সমাজ ও দেশের সম্পদ। এ ধরনের প্রশিক্ষণ বাহিনীর এক চলমান প্রক্রিয়া। তৃণমূল পর্যায়ে বাহিনীর সদস্যরা প্রশিক্ষণ লব্ধ জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে নিজেরা যেমন কর্মসংস্থানের মাধ্যমে নিজেদের আত্মনির্ভরশীল করছে পাশাপাশি দেশের প্রয়োজনে বাহিনীর ডাকে সাড়া দিয়ে বিভিন্ন সামাজিক ও জনহিতকর কর্মকান্ড এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় অনন্য ভূমিকা রাখার মাধ্যমে বাহিনীর সুনাম বয়ে আনছে। উক্ত প্রশিক্ষণের মাধ্যমে প্রশিক্ষণার্থীরা নিজেদের দক্ষ ও যোগ্য হিসেবে গড়ে তুলবে এবং আগামীর স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে, অদূর ভবিষ্যতে দেশের যেকোন প্রয়োজনে বাহিনীর আহবানে সাড়া দিয়ে নিজেদের আত্মনিয়োগ করবে বলে আশাব্যক্ত করেন।

এ সময় কোর্সের সাথে সংশ্লিষ্ট কোর্স অ্যাড জুট্যান্ট গাংনী উপজেলা আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তা সাইদুর রহমান, প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা মুজিবনগর উপজেলা আনসার কর্মকর্তা মিরাজুল ইসলাম, কোয়ার্টার মাস্টার সিএ মোঃ আল মামুন, সদর টিআই সাগর আহমেদসহ অন্যান্য প্রশিক্ষকগণ উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে গত ৪ অক্টোবর গঠিত কমিটি কর্তৃক বাছাই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে জেলার তিনটি উপজেলা হতে ৬৮ জনযোগ্য ও নির্বাচিত প্রশিক্ষণার্থী উক্ত প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করে। ৮ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া এই প্রশিক্ষণ চলবে ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত।




৪৫ জনকে নিয়োগ দেবে টিআইবি

জনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। প্রতিষ্ঠানটি ফাইন্যান্স অ্যাসিস্ট্যান্ট (শর্ট টার্ম) পদে নিয়োগ দেবে। আগ্রহী যোগ্য প্রার্থীরা ইমেইলে আবেদন করতে পারবেন।

পদের নাম

ফাইন্যান্স অ্যাসিস্ট্যান্ট (শর্ট টার্ম)

পদসংখ্যা

এই পদে সর্বমোট ৪৫জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে।

শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা

আগ্রহী প্রার্থীরা যেকোনো স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় হতে বাণিজ্য শাখায় স্নাতক পাস হতে হবে। তবে বাণিজ্য শাখায় (হিসাববিজ্ঞান) মাস্টার্স হলে অগ্রাধিকার পাবেন। শিক্ষা জীবনের কোনো পর্যায়ে তৃতীয় বিভাগ অথবা জিপিএ ২.৫ এর কম (৪ এর মধ্যে)/জিপিএ ৩.০ এর কম (৫ এর মধ্যে) গ্রহণযোগ্য নয়। বয়স সর্বোচ্চ ৩৫ বছর

তত্ত্বাবধান ও মেয়াদ:

ফাইন্যান্স অ্যাসিস্ট্যান্ট (শর্ট টার্ম) এর প্রশাসনিক কাজ তত্ত্বাবধান করবেন সংশ্লিষ্ট এরিয়া কোঅর্ডিনেটর – সিভিক এনগেজমেন্ট এবং হিসাব ও আর্থিক কাজ তত্ত্বাবধান করবেন ডেপুটি কোঅর্ডিনেটর (অর্থ ও হিসাব) – ফিল্ড অফিস সাপোর্ট।

উক্ত পদের মেয়াদ হবে নিযুক্ত হওয়ার দিন হতে ১০ (দশ) মাস। উল্লেখ্য যে, প্যাক্টা প্রকল্পের প্রয়োজন ও ব্যক্তিগত পারফরমেন্স এর উপর ভিত্তি করে মেয়াদ নবায়ন (রিনিউ) করা যেতে পারে।

কর্মস্থল, কর্মঘণ্টা ও ছুটি:

ফাইন্যান্স অ্যাসিস্ট্যান্ট (শর্ট টার্ম) এর কর্মস্থল হবে সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) কার্যালয়। উক্ত পদের কর্মঘণ্টা হবে প্রতিদিন ৮ ঘণ্টা (সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা)।

কর্মদিবস ও সরকারি ছুটিসমূহ টিআইবি কর্মীর ন্যায় একইভাবে চর্চা করবেন। সুপারভাইজারের অনুমোদন সাপেক্ষে প্রতি মাসে সর্বোচ্চ ১.৫ দিন করে নৈমেত্তিক ছুটি উপভোগ করতে পারবেন।

অন্যান্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা:

ন্যূনতম ০১ (এক) বছর সংশ্লিষ্ট কাজের অভিজ্ঞতা থাকলে অগ্রাধিকার প্রদান করা হবে।

কম্পিউটার ব্যবহারের মৌলিক জ্ঞানসহ এমএস ওয়ার্ড ও এক্সেল বিষয়ে ব্যবহারিক জ্ঞান থাকতে হবে, বাংলা ও ইংরেজি টাইপিং এর দক্ষতা থাকতে হবে এবং ই-মেইল, জুম ইত্যাদি ব্যবহারে অভিজ্ঞ হতে হবে। প্রত্যক্ষভাবে অর্থ ও হিসাব সংক্রান্ত কাজের অভিজ্ঞতাকে অগ্রাধিকার প্রদান করা হবে।

পেশাদারিত্ব, সুন্দর বাচনভঙ্গি, যোগাযোগ দক্ষতা, কাজের প্রতি একনিষ্ঠতা প্রার্থীর বিশেষ যোগ্যতা হিসেবে বিবেচিত হবে।

ফাইন্যান্স অ্যাসিস্ট্যান্ট (শর্ট টার্ম) হিসেবে দায়িত্ব পালনের বিশেষ শর্তাবলি:

টিআইবির নৈতিক আচরণবিধি, যৌন হয়রানির অভিযোগ ও প্রতিকার নীতিমালা এবং সুরক্ষা নীতিমালা পালন বাধ্যতামূলক। নিয়োগের পর থেকে অবশ্যই ১০ মাসের জন্য দায়িত্ব পালনের প্রস্তুতি রাখতে হবে। যেকোনো ধরনের সুপারিশ প্রার্থীর অযোগ্যতা হিসেবে গণ্য হবে।

কর্মস্থল

বাংলাদেশের যেকোনো স্থানে

বেতন

ফাইন্যান্স অ্যাসিস্ট্যান্ট (শর্ট টার্ম) হিসেবে দায়িত্ব পালনের জন্য মাসিক ২২,০০০ টাকা (বাইশ হাজার টাকা মাত্র) ভাতা হিসেবে প্রদান করা হবে। দায়িত্ব পালনের জন্য সকল প্রকার যাতায়াত ও অন্যান্য প্রশাসনিক ব্যয় ব্যতীত অন্য কোনো ভাতা প্রযোজ্য হবে না।

আবেদন প্রক্রিয়া

প্রার্থীরা জীবনবৃত্তান্ত যেখানে পাঠাবেন  vacancy1@ti-bangladesh.org

আবেদনের শেষ তারিখ

১৬ অক্টোবর ২০২৩

সূত্র: বিডিজবস।

 

 




আফগানদের হারিয়ে সুখবর পেলো বাংলাদেশ

বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে জিতে সুখবর পেল বাংলাদেশ। ধর্মশালার আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৬ উইকেটে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। অপরদিকে, শ্রীলঙ্কা বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে হেরেছে। ফলে লঙ্কানদের পেছনে ফেলে আবারও সাত নম্বরে উঠেছে বাংলাদেশ।

রোববার (৮ অক্টোবর) প্রকাশিত আইসিসি ওয়ানডে র‍্যাংকিংয়ে বাংলাদেশের রেটিং পয়েন্ট ৯৩। অন্যদিকে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে হেরে বিশ্বকাপ শুরু করা লঙ্কানদের রেটিং পয়েন্ট এখন ৯১।

ওয়ানডে র‍্যাংকিংয়ে শীর্ষে থেকে বিশ্বকাপ শুরু করেছে ভারত। র‍্যাংকিংয়ে দুইয়ে আছে পাকিস্তান। তাদের রেটিং পয়েন্ট ১১৫।

পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া ১১২ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে তিনে আছে। ১০৮ পয়েন্ট নিয়ে চারে আছে দক্ষিণ আফ্রিকা। আর ১০৪ পয়েন্ট নিয়ে পাঁচে আছে নিউজিল্যান্ড।

সূত্র: ইত্তেফাক




কুতুবপুর স্কুল এন্ড কলেজে গভর্নিং বডির মতবিনিময় সভা

কুতুবপুর স্কুল এন্ড কলেজের গভর্নিং বডির সাথে শিক্ষক দের  মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ রবিবার দুপুর ১.৩০ মিনিটের সময় কুতুবপুর স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষক মিলানায়তন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

উক্ত সভায় উপস্থিত ছিলেন কুতুবপুর স্কুল এন্ড কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি ও ১ নং কাথুলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান রানা, গভর্নিং বডির সদস্য ও ২ ওয়ার্ডের মেম্বর জিনারুল ইসলাম, সদস্য চুন্নু মিয়া ইউসুফ আলী, সদস্য কল্পনা খাতুন, ও কুতুবপুর স্কুল এন্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যাক্ষ হাফিজুল ইসলাম সহ স্কুল এন্ড কলেজের প্রভাষক, সহকারী শিক্ষক ও প্রতিষ্ঠানের অন্যান্য কর্মচারী বৃন্দ।

সভায় সভাপতি মিজানুর রহমান রানা তার বক্তব্য আগামীর জন্য দিক নির্দেশনা তুলে ধরেন ও কর্যকর করার নির্দেশ প্রদান করেন। এবং সভাপতি মিজানুর রহমান রানা প্রতিটি ক্লাসে যেয়ে ক্লাস পরিদর্শন করেন, সাথে সকল শিক্ষার্থী দের পড়াশোনায় মনযোগী হওয়ার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন।
প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীদের লেখা পড়ার মান উন্নয়ন, এস এস সি এইস এস সি তে রেজাল্ট ১০০% পাস ও এ+ এর সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে হবে।
ছাত্র ছাত্রী দের স্কুলে উপস্থিতি শতভাগ নিশ্চিত করতে হবে।প্রয়োজনে অবিভাবকদের শরণাপন্ন হতে হবে। তার পরেও না হলে গভর্নিং বডিকে জানাতে হবে। প্রতিটি শ্রেণীর যারা বছরে সর্বোচ্চ উপস্থিত থাকবে তাদের আমার পক্ষ থেকে পুরুষ্কার থাকবে।সকল ছাত্র ছাত্রী দের শতভাগ স্কুল ড্রেস নিশ্চিত করতে হবে। শিক্ষক প্রভাষক কর্মচারী বৃন্দ কে স্কুল সুরু হওয়ার ১৫ মিনিট আগে উপস্থিত থাকতে হবে। আমি মাঝে মাঝে পরিদর্শন করবো যদি ব্যাত্যয় ঘটে সেই সকল শিক্ষক কর্মচারীদের বিরুদ্ধে প্রসাশনিক ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে। এ্যাসেম্বলির সময় সকল শিক্ষক কে উপস্থিত থাকতে হবে। সময় মত ক্লাসে যেতে হবে এবং নিতীমালা অনুযায়ী ক্লাস গ্রহন করতে হবে।
ক্লাস চলাকালীন সময়ে কোন শিক্ষক মোবাইল ফোন ব্যাবহার করতে পারবেনা।প্রতিটি ক্লাসে হোয়াইট বোর্ড ও মার্কারের ব্যাবহার করতে হবে যাতে করে ছাত্র ছাত্রী ক্লাস বুঝতে সমস্যা না হয়। এবং গ্রুপ ওয়ার্কের মাধ্যমে ক্লাস পরিচালনা করতে হবে।
নির্দিষ্ট সময়ে প্রতিষ্ঠান ছুটি দিতে হবে তার আগে প্রতিষ্ঠান ছুটি দিলে প্রতিষ্ঠান প্রধানকে জবাবদিহি করা হবে। যার যথাযথ কারন অবশ্যই দেখাতে হবে।
এ ছাড়াও প্রতিষ্ঠান প্রধান গভর্নিং বডির কাছে প্রতিষ্ঠানের বর্তমান অবস্থা তুলে ধরেন এবং প্রতিষ্ঠানের সার্বিক মান উন্নয়নে সহযোগিতা কামনা করেন।

এবং সকল শিক্ষক বৃন্দদের সাথে মতামত গ্রহন করেন আগামী বোর্ড পরীক্ষায় ছাত্র ছাত্রী দের রেজাল্ট ভালো করার জন্য কি কি পদক্ষেপ গ্রহন করা যেতে পারে।সে অনুযায়ী পরিকল্পনা ও ব্যাবস্থা গ্রহন করে সভার সমাপ্তি করেন।




দেবাশীষ বাগচির বিরুদ্ধে চেক চুরির অভিযোগ এনে মামলা মৃদুলের

চেক ডিজঅনার হওয়াতে উকিল নোটিশ পাঠানো দেবাশীষ কুমার বাগচির বিরুদ্ধে উল্টো চেক চুরির মামলা করেছেন শহীদ সরফরাজ হোসেন মৃদুল।

দেবাশীষ কুমার বাগচির বিরুদ্ধে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে মামলা দায়েরের পর, এবার তাকে প্রতারক, বিশ্বাস ভঙ্গকারী ও চোর প্রকৃতির লোক আখ্যায়িত করে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রীর ছোট ভাই শহীদ সরফরাজ হোসেন মৃদুল সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ২য়, আমলী আদালত মেহেরপরে দন্ডবিধির ৪৪৭, ৩৮০, ৪০৬ ও ৪০৮ ধারাতে আদালতে মামলাটি দায়ের করেছেন। মামলা নম্বর ৭৮৭/২০২৩।

গত ২৭ সেপ্টেম্বর বুধবার দুপুরে শহীদ সরফরাজ হোসেন মৃদুল সশরীরে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সদর আমলী আদালত মেহেরপুরে হাজির হয়ে তার আইনজীবী অ্যাড. আব্দুল মতিনের মাধ্যমে মামলা দায়েরের আবেদন করলে আদালত মামলাটি আমলে নেন এবং ওসি তদন্তকে মামলাটির তদন্তভার দেন।

নালিশি মামলার বিবরণ থেকে জানা গেছে মামলার আবেদনে মৃদুল বলেছেন থানায় জিডি করা এবং ৯৮ ধারাতে ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা থাকার কারণে এই মামলাটি করতে বিলম্ব হয়েছে।

তিনি মেহেরপুর শহরের প্রতিষ্ঠিত পরিবারের সন্তান এবং একজন প্রতিষ্ঠিত ঠিকাদার ব্যবসায়ী। তার পিতা মরহুম ছহিউদ্দিন সাহেব মেহেরপুর আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, তিন বার নির্বাচিত সংসদ সদস্য। তার ভাই একজন নির্বাচিত সংসদ সদস্য এবং গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের জন প্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী। তার পরিবারের সকল সদস্য শিক্ষিত স্ব-স্ব ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত।

তিনি দীর্ঘদিন ধরে মেহেরপুর ও বাইরের জেলাতে সুনামের সাথে ঠিকাদারী ব্যবসা করে আসছেন। পাশাপাশি মেহেরপুর জেলা যুবলীগেণ যুগ্ম-আহবায়ক পদে থেকে সক্রিয় ভাবে রাজনীতি করছেন।

যুবলীগের কর্মী হিসাবে মৃদুলের সাথে দেবাশীষ বাগচির সম্পর্ক ছিলো। মৃদুলের ব্যবসায়িক অফিসে কর্মী হিসাবে আসামি দেবাশীষ বাগচির যাওয়া আসা ছিলো এবং মৃদুলের হুকুম শোনার ও বাহক হিসাবে তার কাছে থাকতো।

ইতোপূর্বে গত ৫ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ১১টায় মেহেরপুরের সোডাপ মিলনায়তনে জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক শহীদ সরফরাজ হোসেন মৃদুলের বিরুদ্ধে করা সংবাদ সম্মেলনে পাওনা টাকা ও ন্যায়বিচার না পেলে পরিবারসহ আত্মহত্যার হুমকি দিয়েছিলেন মেহেরপুর জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য দেবাশীষ কুমার বাগচি মনু।

সে সময় সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে দেবাশীষ কুমার বাগচি মনু বলেছিলেন, ‘আমি আওয়ামী পরিবারের সন্তান এবং আমি নিজেও বর্তমানে মেহেরপুর জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য। পারিবারিক সূত্রে বহু বছর যাবৎ ঠিকাদারি ব্যবসা করে আসছি। সে ধারাবাহিকতায় ২০১৫ সালে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ও মেহেরপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য ফরহাদ হোসেনের ছোট ভাই জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক শহীদ সরফরাজ হোসেন মৃদুলের সঙ্গে যৌথভাবে ঠিকাদারি ব্যবসা শুরু করি। ২০১৫ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত গণপূর্ত, জনস্বাস্থ্য, শিক্ষা প্রকৌশলী, এলজিইডিসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৩০ থেকে ৩৫টা নির্মাণকাজ সম্পূর্ণ করেছি। যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ২৫ থেকে ২৭ কোটি টাকা। ২০২১ সালের প্রথম দিকে যৌথ ঠিকাদারি ব্যবসা পরিসমাপ্তি ঘটালে তার সঙ্গে আমার মূলধন ও লভ্যাংশসহ আনুমানিক দুই কোটি ৫০ লাখ টাকার বেশি পাওনা হয়। প্রাপ্য টাকা না পেয়ে আমি, আমার ও তার পরিবারের লোকজনসহ জেলা যুবলীগের অন্যান্য নেতৃবৃন্দকে অবহিত করি। এক সময় সবার হস্তক্ষেপে ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে আমার সঙ্গে হিসাব করতে রাজি হয়। আমি হিসাবে বসতে বললে বিভিন্ন অজুহাতে সময় ক্ষেপণ করে। একপর্যায়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বললে তখন সে মৌখিকভাবে এক কোটি ৮০ লাখ টাকা দেবার প্রতিশ্রুতি দিয়ে মীমাংসা করে এবং আমাকে চলতি বছরের জুলাই মাসের ১৬ তারিখে ঢাকায় যেতে বলে। ঢাকার আদাবরে তার বাসার সামনে গেলে রিংরোড সাহাবুদ্দিন প্লাজার ওসিস কফিশপে বসে আমাকে ২৪ জুলাই তারিখ দিয়ে রূপালি ব্যাংক মেহেরপুর শাখার এক কোটি ৮০ লাখ টাকার একটি চেক প্রদান করে। আমি চেকে দেওয়া তারিখ অনুযায়ী ২৪ জুলাই টাকা উত্তোলনের জন্য অগ্রণী ব্যাংকে চেক জমা করি। এক সপ্তাহ পর ব্যাংক থেকে চেক ডিজঅনার দেখিয়ে সার্টিফিকেট প্রদান করে। যেখানে লেখা আছে, গত ৪ এপ্রিল ২০২১ তারিখে অ্যাকাউন্ট বন্ধ করা হয়েছে। কিন্তু ওই চেক ব্যাংকে জমা দেওয়ার দিনই চেকদাতা শহীদ সরফরাজ মৃদুল চেকটি হারিয়ে গেছে বলে মেহেরপুর থানায় একটি মিথ্যা জিডি করে, যার নম্বর ১২৭৫। এর পর থেকে সে আমাকে বিভিন্নভাবে হুমকি প্রদান করে এবং আমি সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের হওয়ায় জাত তুলে গালাগাল করে। আমি নিরুপায় হয়ে গত ৩০ আগস্ট শহীদ সরফরাজ হোসেন মৃদুলের নামে একটি আইনি নোটিশ পাঠাই। একই দিন আমার বিরুদ্ধে সে আদালতে একটি পিটিশন মামলা করে। ওই মামলার কারণে ১ সেপ্টেম্বর আমার বাড়িতে পুলিশ তল্লাশি চালায়। বর্তমানে আমি ও আমার পরিবার হুমকির মধ্যে রয়েছি। আমি সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ হিসেবে আমাকে প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে মানসিকভাবে নির্যাতন করা হচ্ছে। আমাকে দেওয়া চেক ছিনিয়ে বা প্রশাসনিক ক্ষমতায় নিয়ে নেওয়া হলে এবং আমি ন্যায়বিচার না পেলে পরিবারসহ আত্মহত্যা করা ছাড়া আমার কোনো উপায় থাকবে না।’

উক্ত সংবাদ সম্মেলনটিতে মেহেরপুর জেলায় কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।




চুয়াডাঙ্গায় পুলিশ সদস্যের পদমর্যাদাভিত্তিক প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন

বাংলাদেশ পুলিশের সকল সদস্যের পদমর্যাদাভিত্তিক প্রশিক্ষণের আওতাভুক্ত চুয়াডাঙ্গা জেলায় নায়েক ও কনস্টেবলদের দক্ষতা উন্নয়ন কোর্স এর ১৪তম ব্যাচের শুভ উদ্বোধন করেন চুয়াডাঙ্গা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) মোঃ নাজিম উদ্দীন আল আজাদ পিপিএম।

বাংলাদেশ পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, বিপিএম (বার), পিপিএম সার্বিক নির্দেশনায় বাংলাদেশ পুলিশের সকল পদমর্যাদার সদস্যদের নিয়ে গতকাল শনিবার সকাল সাড়ে নয়টার সময় ১৪তম ব্যাচের সপ্তাহ ব্যাপি পদমর্যাদাভিত্তিক প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার প্রশিক্ষনার্থীদের উদ্দেশ্য পোষাকের মর্যাদা, সৌজন্যতা ও মার্জিত আচরণ, সহকর্মী ও সেবা প্রত্যাশীদের সাথে পেশাগত আচরণ ও করণীয়-বর্জনীয় সম্পর্কে আলোকপাত করেন।

উক্ত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আনিসুজ্জামান , আরআই পুলিশ লাইন্স চুয়াডাঙ্গা মোঃ আমিনুল ইসলাম, কুষ্টিয়া ইনসার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারের প্রতিনিধিসহ চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের বিভিন্ন পদমর্যাদার প্রশিক্ষণার্থী পুলিশ সদস্যবৃন্দ।




হিথ্রো ও চাঙ্গি এয়ারপোর্টের সুবিধা থাকছে শাহজালালের তৃতীয় টার্মিনালে

বদলে গেছে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের চেহারা। নান্দনিক রূপে তৈরি হওয়া বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল বাংলাদেশকে বিশ্ব দরবারে নিয়ে যাবে অনন্য উচ্চতায়। সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ আশা করছেন, শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টর্মিনাল হবে বিশ্বের অন্যতম হাব। যেখানে পর্যায়ক্রমে অন্তত অর্ধশত দেশের বিমান উঠানামা করবে, ট্রানজিট হিসেবে ব্যবহার করবে।

সিঙ্গাপুরের চাঙ্গি বিমানবন্দরের আদলে তৈরি তৃতীয় টার্মিনালে মিলবে লন্ডনের হিথ্রো, তুরস্কের ইস্তাম্বুল, জার্মানির ফ্রাস্কফ্রোর্ট কিংবা বিশ্বের অন্যান্য আধুনিক বিমানবন্দরের সকল সুযোগ সুবিধা। যাত্রী সেবা ও ব্যবস্থাপনায় থাকবে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি। কোনরকম হয়রানি ছাড়াই স্বল্প সময়ে যাত্রীরা সর্বোচ্চ সেবা পাবেন তৃতীয় টার্মিনাল থেকে। আশা করা হচ্ছে, তৃতীয় টার্মিনালের কারণে বছরে দুই কোটি ২০ লাখ যাত্রী এই বিমানবন্দর ব্যবহার করবেন।

যেসব সুযোগ-সুবিধা থাকবে
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালে প্রথম ও দ্বিতীয় টার্মিনালের চেয়ে বহুগুণ বেশি সুযোগ সুবিধা থাকছে। স্থান সংকুলান থেকে শুরু করে সব ধরণের সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি করা হয়েছে নতুন টার্মিনালে। প্রথমত তৃতীয় টার্মিনালের আয়তন বর্তমান দুই টার্মিনালের মোট আয়তনের প্রায় আড়াইগুণ। এটির আয়তন হচ্ছে দুই লাখ ৩০ হাজার বর্গফুট। ৩৫০ একর জমির ওপর নির্মিত তৃতীয় টার্মিনাল ভবন দিনের বেশির ভাগ সময় সূর্যের আলোয় আলোকিত থাকবে। ফলে বিদ্যুৎ ব্যবহার হবে কম। বিশাল আয়তনের তৃতীয় টার্মিনাল ভবনের চারপাশ কাচ দিয়ে ঘেরা। দেয়ালে থাকছে বাংলাদেশের ষড়ঋতুর বৈচিত্রময় ছয়টি রঙের ছটা।

এখানে একসঙ্গে থাকছে ৪০টি কেবিন এক্সরে মেশিন, ২৬টি বোর্ডিং ব্রিজ, ১৬টি কনভেয়ার বেল্ট, ১১টি বডি স্ক্যানার ও টানেল। থাকবে ৫৪ হাজার বর্গমিটারের বহুতলবিশিষ্ট কার পার্কিং, নতুন ইমপোর্ট কার্গো কমপ্লেক্স ও ৬৩ হাজার বর্গমিটারের এক্সপোর্ট কার্গো কমপ্লেক্স। এ ছাড়া থাকছে রেসকিউ ও ফায়ার ফাইটিং স্টেশন এবং ৪ হাজার বর্গমিটার ইকুইপমেন্ট স্টেশন। উড়োজাহাজ চলাচলের জন্য তৈরি হচ্ছে ২৪ হাজার বর্গমিটার কানেক্টিং ট্যাক্সিওয়ে (উত্তর), ৪২ হাজার ৫০০ বর্গমিটার কানেক্টিং ট্যাক্সিওয়ে (অন্যান্য) এবং ২২ হাজার বর্গমিটার র্যাপিড এক্সিট ট্যাক্সিওয়ে (উত্তর) ১৯ হাজার ৫০০ বর্গমিটার র্যাপিড এক্সিট ট্যাক্সিওয়ে (দক্ষিণ), ৯৬ হাজার ৫০০ বর্গমিটার সোল্ডার, জিএসই রোড ৮৩ হাজার ৮০০ বর্গমিটার, সার্ভিস রোড ৩৩ হাজার বর্গমিটার ও ড্রেনেজ ওয়ার্কস (বক্স কালভার্ট ও প্রোটেক্টিভ ওয়ার্কস)।

টার্মিনালের চারদিকে থাকছে নিশ্ছিদ্র বাউন্ডারি ওয়াল, সিকিউরিটি গেট, গার্ড রুম ও ওয়াচ টাওয়ার। এর বাইরে ল্যান্ড সাইড, সার্ভিস রোডসহ এলিভেটেড রোড, ওয়াটার সাপ্লাই সিস্টেম, সুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট, ইনটেক পাওয়ার প্ল্যান্ট ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম, কার্গো কমপ্লেক্সের জন্য সিকিউরিটি ও টার্মিনাল ইকুইপমেন্ট, এয়ারফিল্ড গ্রাউন্ড লাইটিং সিস্টেম, হাইড্রেন্ট ফুয়েল সিস্টেমসহ আনুষঙ্গিক সব সুবিধা থাকছে। এছাড়া অন্যতম আকর্ষণ হিসাবে ফানেল টানেল রাখা হয়েছে।

বেবিচকের তথ্যানুযায়ী, থার্ড টার্মিনালের ২৬টি বোর্ডিং ব্রিজের মধ্যে প্রথম ধাপে চালু করা হচ্ছে ১২টি। থাকছে উড়োজাহাজ রাখার জন্য ৩৬টি পার্কিং বে। ৫ লাখ ৪২ হাজার বর্গমিটারের এপ্রোনে একসঙ্গে রাখা যাবে ৩৭টি উড়োজাহাজ। বহির্গমনের জন্য ১৫টি সেলফ সার্ভিস চেকইন কাউন্টারসহ মোট ১১৫টি চেকইন কাউন্টার থাকছে। এছাড়া ১০টি স্বয়ংক্রিয় পাসপোর্ট কন্ট্রোল কাউন্টারসহ থাকবে ৬৬টি ডিপারচার ইমিগ্রেশন কাউন্টার।
আগমনের ক্ষেত্রে থাকছে পাঁচটি স্বয়ংক্রিয় চেকইন কাউন্টারসহ মোট ৫৯টি পাসপোর্ট ও ১৯টি চেকইন অ্যারাইভাল কাউন্টার। থাকছে ১৬টি আগমনী ব্যাগেজ বেল্ট। গাড়ি পার্কিংয়ের জন্য থার্ড টার্মিনালের সঙ্গে মাল্টিলেভেল কার পার্কিং ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে। যেখানে এক সঙ্গে থাকবে ১ হাজার ২৩০টি গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা। সব মিলিয়ে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় বিমানবন্দরের সব সুযোগ-সুবিধা থাকবে থার্ড টার্মিনালে। এছাড়া চিরাচরিত হাতে করে যাচ্ছে তাই ভাবে লাগেজ ছুড়ে ফেলার বদলে এবার পুরো লাগেজ হ্যান্ডিলিং হচ্ছে স্বয়ংক্রিয়। লাগেজের জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হবে না। কোনো যাত্রী লাগেজ রিসিভ না করলে, সেটি স্বয়ংক্রিয় ভাবে চলে যাবে লাগেজের জন্য পৃথক রুমে।

এ আই সিস্টেমের মাধ্যমে যাত্রীকে বিমান বন্দরে নির্দিষ্ট কাউন্টার ও লাইনে দাঁড়াতে সিগনাল দেয়া ব্যবস্থা রয়েছে। এর বাইরে থাকবে নবজাতক সন্তানদের জন্য ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার। কানেক্টিং ফ্লাইটের জন্য অপেক্ষারতদের বিনোদনের ব্যবস্থা। বড় আয়তনের বিশ্বমানের ব্র্যান্ড এর সমন্বয়ে ডিউটি ফ্রী শপিং জোন।

যেভাবে গড়ে উঠেছে তৃতীয় টার্মিনাল
২০১৯ এর ডিসেম্বর মাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণকাজের উদ্বোধন করেন। আর ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর তৃতীয় টার্মিনালের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২১ হাজার ৩৯৮ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ হচ্ছে এই বিমানবন্দর। চার বছরে নির্মাণ কাজ শেষ করার লক্ষ্য নিয়ে নির্ধারিত সময়ের আগেই টার্মিনাল ভবনসহ তৃতীয় টার্মিনালের ৮৯ শতাংশ কাজ শেষ হয়। স্বল্প সময়ে এবং বিশ্বের সবচেয়ে অত্যাধুনিক সব প্রযুক্তি ও সরঞ্জাম ব্যবহার করা হয়েছে এতে। দিনেরাতে কাজ করেছেন কয়েক হাজার নির্মাণ শ্রমিক থেকে শুরু করে প্রকৌশলীসহ সবাই।

বাহারিনের নকশা
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের তৃতীয় টার্মিনালটি সিঙ্গাপুরের চাঙ্গি বিমানবন্দরের আদলে গড়া। এর মুল নকশা করেছেন বিশ্বখ্যাত স্থপতি রোহানি বাহারিন। সিঙ্গাপুরের চাঙ্গি এয়ারপোর্টের তৃতীয় টার্মিনাল সহ পৃথিবীর অনেকগুলো দেশের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নকশা এই স্থপতির হাত দিয়েই তৈরি। তার তৈরি নকশায় চীনের উহান এয়ারপোর্ট, গুয়াংজু এয়ারপোর্ট, ভারতের আহমেদাবাদ এয়ারপোর্ট, পাকিস্তানের ইসলামাবাদ এয়ারপোর্ট, ফুকুওকা এয়ারপোর্ট। এছাড়াও মরিশাস, ফিজি, মিয়ানমার, মালদ্বীপ, ফিলিপাইন, ব্রুনেই, কম্বোডিয়ার বিভিন্ন এয়ারপোর্ট এর নকশা করেছেন রোহানি।

আন্তর্জাতিক বিমান সংস্থাগুলোর সাথে চুক্তি
তৃতীয় টার্মিনাল ব্যবহার ও বাংলাদেশে নতুন করে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনার জন্য ইতোমধ্যে ব্রুনাই, মরিশাস, সুইজারল্যান্ড এর বিমান সংস্থাগুলো চুক্তি সম্পন্ন করেছে। ৫৪ টি দেশের বিমান সংস্থা এই টার্মিনাল ব্যবহার করার জন্য ব্যাপক আগ্রহ প্রকাশ করেছে। সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ আশা করছে, তৃতীয় টার্মিনাল বহিবিশ্বে বাংলাদেশকে তুলে ধরবে নতুন আঙ্গিকে এবং নিয়ে যাবে অনন্য উচ্চতায়। এর সূত্র ধরেই শাহজালাল হবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিমান সংস্থার অন্যতম হাব।

যোগাযোগ ব্যবস্থা
মেট্রোরেল এবং এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহার করে সরাসরি যাতে এই টার্মিনালে মানুষ আসা-যাওয়া করতে পারে সেই ব্যবস্থাও করা হয়েছে। তৃতীয় টার্মিনালের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে নির্মাণাধীন পাতাল রেল। থাকছে টানেল। সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে, তৃতীয় টার্মিনাল থেকে যাতায়াত সুবিধা থাকবে অত্যাধুনিক ও নিরাপদ।

নান্দনিকতায় রূপ পাওয়া তৃতীয় টার্মিনারের নির্মাতা যারা

শাহজালাল বিমান বন্দরের এই তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণ করছে জাপানের মিতসুবিশি ও ফুজিতা এবং দক্ষিণ কোরিয়ার স্যামসাং কোম্পানি। এই নির্মাণ প্রতিষ্ঠনগুলোর বুর্জ খলিফার মতো বিশ্বখ্যাত টাওয়ারের নির্মাণের অভিজ্ঞতা রয়েছে। এছাড়াও মালয়েশিয়ার পেট্রনাস টুইন-টাওয়ার, সৌদি স্টক এক্সচেঞ্জের তাদাওয়াল টাওয়ার, কোরিয়ার ইচন ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট, আবুধাবীতে পৃথিবীর সর্ববৃহৎ লাক্সারি হসপিটাল ‘ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিক’ নির্মান করেছে স্যামস্যাং এর মতো বিশ্ববিখ্যাত নির্মাতা প্রতিষ্ঠান।




দর্শনা পুলিশের অভিযানে ইয়াবা ও ট্যাবলেটসহ গ্রেফতার ১

দর্শনা থানা পুলিশ ৬০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ ১জনকে গ্রেফতার করেছে।

আজ শনিবার দুপুর ২ টার দিকে দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ বিপ্লব কুমার সাহার নেতৃত্বে দর্শনা থানার এসআই(নিঃ) মোঃ ফজলুর রহমান সঙ্গীয় অফিসার ও ফোর্সসহ দর্শনা পৌর এলাকার পাঠানপাড়ার রেল কলোনীর সামনে এক অভিযান চালায়।

এসময় দামুড়হুদার জয়রামপুর কলোনী পাড়ার আঃ কুদ্দুসের ছেলে রিপন হোসেন(২২)কে আটক করে।পরে তার দেহ তল্লাসী করে ৬০ পিস ইয়াবাট্যাবলেট উদ্ধার করে।গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে দর্শনা থানায় মামলা হয়েছে।