কৃষি নীতি: খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতার একটি নীলনকশা

আঠারো শতকের বাংলা ছিল একটি সমৃদ্ধি ও সুখের দেশ। সেই স্বর্ণযুগের বাংলাদেশ ছিল কৃষি প্রাচুর্যে পরিপূর্ণ। দেশটি তখন কৃষি উৎপাদনের জন্য সারা বিশ্বে বিখ্যাত ছিল। মসলিন কাপড়, রেশম, তুলা, মশলা ইত্যাদি রপ্তানি করত বলে আমাদের এদেশ তখন অনেক বিদেশী ব্যবসায়ীকে আকর্ষণ করেছিল। অষ্টাদশ শতকে বাংলা ছিল তৎকালীন সময়ের একটি লোভনীয় বানিজ্য কেন্দ্র। সেসময়ের বাংলাকে জীবনমানের দিক থেকে গ্রেট ব্রিটেনের সাথে তুলনা করা হতো।

পরাধীনতার যাতাকলে বাংলার জৌলশ যখন অস্তমিত, সমৃদ্ধির দেশ যখন খাদ্য ঘাটতির দেশ হিসেবে নিমজ্জিত, দুর্ভিক্ষ ও দারিদ্রতা যখন জেঁকে বসেছিল বাংলায়, এ মাটিতে তখন আবির্ভাব হয় এক কালজয়ী নেতার- তিনি হলেন আমাদের বঙ্গবন্ধু। বাংলার গৌরবময় অতীতকে পুনরুদ্ধার করার চিন্তায় সর্বদা বিভোর থাকতেন তিনি। তিনি বিশ্বাস করতেন টেকসই কৃষি উৎপাদন অর্জনের মাধ্যমে বাংলার স্বর্ণযুগের গৌরবকে ফিরিয়ে আনা সম্ভব।

বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ১৯৭১ সালের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশ স্বাধীন হবার পর অর্থনৈতিক সংকট ছিল প্রকট। সকল ধরনের মৌলিক চাহিদা বিশেষকরে খাদ্য ঘাটতি ছিল প্রচুর। সারে সাত কোটি মানুষের দেশটিতে তখন খাদ্য ঘাটতি ছিল ২৫-৩০ লক্ষ মেট্রিক টন। স্বাধীন দেশের দায়িত্ব গ্রহণের পরই বঙ্গবন্ধু কৃষিখাতে বিশেষ জোর দিয়েছিলেন। তাঁর স্বপ্ন ছিল খাদ্যে বাংলাদেশকে স্বয়ংসম্পূর্ণ করা। নয় মাসের যুদ্ধ বিধবস্ত দেশটিতে কৃষকরা মাঠে ফসল ফলাতে সমস্যায় পড়েন। যুদ্ধের সময় অনেক কৃষককে বাড়ি ছেড়ে যেতে হয়েছিল, ফলে অনেকেই জমি চাষ করতে পারেনি। এছাড়া ফসল ফলানোর জন্য কোন বীজ, সার ও কীটনাশক ছিল না। সেচ সুবিধার ঘাটতিও ছিল প্রকট। বঙ্গবন্ধু ভাল করেই জানতেন দেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে হলে কৃষি উৎপাদন বাড়ানো ছাড়া আর কোন বিকল্প নেই। তাই তিনি কৃষিক্ষেত্রের উন্নতির জন্য ১৯৭২ সালে সবুজ বিপ্লবের ডাক দেন এবং বালার জনগণকে বেশি বেশি ফসল ফলানোর তাগিদ দেন।

বঙ্গবন্ধু ১৩ জানুয়ারি ১৯৭২ সালে মন্ত্রিপরিষদের প্রথম বৈঠকেই কৃষকদের জন্য একটি যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। স্বাধীন দেশের প্রথম আর্থিক বাজেটে, মোট ৫০০ কোটি টাকা উন্নয়ন বাজেটের মধ্যে ১০১ কোটি টাকাই তিনি বরাদ্দ প্রদান করেন কৃষি খাতে। তাঁর সরকার স্লোগানটিকে কেবল স্লোগান হিসেবেই ব্যবহার করেনি; বরং ২২ লাখের বেশি গৃহহীন কৃষক পরিবারকে অত্যন্ত কম সময়ের মধ্যে দক্ষতার সহিত পুনর্বাসন করেছিল। তিনি দেশের ভূমিহীন কৃষকদেরকে খাস জমি বিতরণের ব্যবস্থাও করেছিলেন। বঙ্গবন্ধু কৃষির সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য একটি কার্যকরী সমীক্ষা সম্পন্ন করেছিলেন। তিনি বিশ্বাস করতেন একটি পূর্ণাঙ্গ সমীক্ষা ছাড়া কৃষিক্ষেত্রের উন্নয়ন সফল হবে না। যথাযথ পরিকল্পনার জন্য এটি অপরিহার্য ছিল। এ জরিপের ভিত্তিতে তিনি কৃষিক্ষেত্রের সার্বিক উন্নয়নের মহা পরিকল্পনা হাতে নিয়েছিলেন।

শিক্ষিত জনগণকে কৃষিকাজে সম্পৃক্ত করার জন্য বঙ্গবন্ধুর প্রচেষ্টা ছিল প্রবল। বঙ্গবন্ধুর সরকারের সময় কৃষকদের আধুনিক চাষাবাদ সম্মন্ধে যথেষ্ঠ জ্ঞান না থাকায় তিনি মেধাবী শিক্ষার্থীদের কৃষি শিক্ষা গ্রহণের উপর বিশেষ জোর দিয়েছেলেন যাতে করে তারা বাংলার কৃষকদের আধুনিক চাষাবাদের জন্য প্রশিক্ষিত করে তুলতে পারে।

এরই পরিপ্রেক্ষিতে বঙ্গবন্ধু ১৯৭৩ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহের সমাবর্তনে কৃষিবিদদের প্রথম শ্রেণির মর্যাদা প্রদানের ঘোষণা দিয়েছিলেন। সেদিন তিনি তাঁর বক্তৃতায় কৃষি গ্রাজ্যুয়েটদের উদ্দেশ্যে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেছিলেন-”কৃষিক্ষেত্রে উন্নয়নের জন্য শুধু বই পড়াই যথেষ্ঠ নয়। প্রত্যেক কৃষিবিদকে গ্রামে যেতে হবে এবং কৃষকদের সাথে থেকে কাজ করতে হবে এবং বাংলার কৃষকদেরকে কৃষি বিপ্লবের জন্য প্রস্তুত করতে হবে।

১৯৭৫ পরবর্তী দীর্ঘ ২১ বছরে বাংলাদেশের খাদ্য ঘাটতি কোন সরকারই মেটাতে সক্ষম হয়নি। এবপর বাংলার ভাগ্যাকাশে আবারও একটি গৌরবময় অধ্যায় লিখিত হয় ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত সময়ে, যখন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা সরকার গঠনের পরপরই পিতার অংকিত পরিকল্পনাকে হৃদয়ে ধারণ করে তাঁরই দেখানো পথ ধরে বাংলাদেশের কৃষি বিপ্লবের পূণর্জাগরণ করেন। মাত্র পাঁচ বছরের ব্যবধানে বাংলাদেশ খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করে।

সেই প্রথম মেয়াদে শেখ হাসিনার সরকার বিদ্যুৎ ও বিদ্যুৎ উৎপাদনে গৌরবময় সাফল্য অর্জন করেছিল। মাত্র পাঁচ বছরে মোট বিদ্যুত উৎপাদন ১৯৯৫ সালের বেগম খালেদা জিয়া সরকারের ২,৯০৮ মেগাওয়াট থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ২০০১ সালে শেখ হাসিনা সরকারের সময়ে ৪,৩০০ মেগাওয়াটে উন্নীত হয়েছিল, যা সরাসরি কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধিতে সহায়তা করেছে। ১৯৯৬-২০০১ সালে অওয়মী লীগ সরকারের আমলে দেশটি অভূতপূর্ব কৃষি প্রবৃদ্ধি দেখেছিল। ২০০১-২০০৬ সালে বিএনপি শাসনামলে প্রবৃদ্ধির ধারা অব্যাহত থাকেনি। বেগম খালেদা জিয়ার সরকার জনগনের প্রতি তাদের প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে ব্যর্থ হয় এবং সার, বীজ, ডিজেল প্রভৃতি কৃষি উপকরণ সংগ্রহ ও বিতরণে মারাত্মক অব্যবস্থাপনা করে। বিদ্যুৎ উৎপাদন মারাত্মকভাবে কমে আসে। এসব নেতিবাচক কর্মকা-ের কারণে খাদ্যে স্বনির্ভর একটি দেশ আবারও খাদ্য ঘাটতির দেশে পরিণত হয়।

এ অবস্থায় শেখ হাসিনার সরকার ২০০৯ সালের ৯ জানুয়ারি খাদ্যের মূল্য গ্রহণযোগ্য পর্যায়ে নামিয়ে আনা এবং ২০১২ সালের মধ্যে দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করার অঙ্গীকার নিয়ে দ্বিতীয়বার ক্ষমতা গ্রহণ করে। ২০০৭-০৮ এর খাদ্য সংকটের ধাক্কা এবং ২০০৯ সালের ঘুর্ণিঝড় আইলার আঘাতে ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতিকে কাটিয়ে উঠে কৃষি উৎপাদন বাড়াতে শেখ হাসিনার সরকার নানাবিধ কর্মসূচি গ্রহণ করে। তাঁর সরকার সার, মানসম্মত বীজ, ডিজেলসহ অন্যান্য কৃষি উপকরণের উপর ভর্তুকি বৃদ্ধি করাসহ সহজ শর্তে কৃষকদের মাঝে ঋণ প্রদানের ব্যবস্থা করে। এভাবে, ২০০৯ সালের শেষ নাগাদ কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি ৩.৫% থেকে ৪.৫% এ ফিরে আসে।

২০০৯ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত শেখ হাসিনার ক্রমাগত সরকার কৃষি খাতে একটি অসাধারণ সাফল্য অর্জন করেছে যা একটি উল্লেখযোগ্য স্তরে দারিদ্র বিমোচন করেছে এবং বাংলাদেশ থেকে মঙ্গা দূরীভূত হয়েছে। শেখ হাসিনার সরকার দেশের ১০০% জনসংখ্যাকে বিদ্যুতের আওতায় নিয়ে এসেছে। যার ফলে কৃষিক্ষেত্রে সেচ ব্যবস্থাপনার অভাবনীয় উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। যার ফলে, ২০০৮-০৯ অর্থবছরে খাদ্যশস্যের উৎপাদন ৩২.৯০ মিলিয়ন টন থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ৪৭.৭৭ টনে পেীঁছেছে।

শেখ হাসিনা সরকারের কৃষি বান্ধব নীতির ফলস্বরূপ বাংলাদেশ এখন পাট রপ্তানিতে প্রথম, পাট উৎপাদনে দ্বিতীয়, হেক্টর প্রতি ফলের ফলন বৃদ্ধিতে প্রথম, শস্যের জাত উন্নয়নে প্রথম, সবজি উৎপাদনে তৃতীয়, চাল ও চা উৎপাদনে চতুর্থ, আম উৎপাদনে সপ্তম, পেয়ারা ও আলু উৎপাদনে চতুর্থ এবং স্বাদু পানির মাছ উৎপাদনে চতুর্থ। ২০২১ সালের তথ্যসম্বলিত ঋঅঙ কর্তৃক প্রকাশিত ২০২৩ সালের মার্চ মাসের রিপোর্ট ইঙ্গিত করে যে, ভূমির আয়তনের দিক থেকে বাংলাদেশ ৯৪তম হলেও প্রাথমিক কৃষিপণ্য উৎপাদনের ক্ষেত্রে বিশ্বব্যাপী ১৪তম স্থানে উঠে এসেছে। বাংলাদেশ বর্তমানে চাল, মসুর, আলু, পেঁয়াজ, চা এবং বিভিন্ন ফলসহ ২২ টি কৃষিজাত পণ্য উৎপাদনে ১০ টি শীর্ষ দেশের মধ্যে রয়েছে। বর্তমান সরকারের কার্যকর কর্মসূচির ফলে বাংলাদেশের ৪০০০ বিলিয়ন টাকা মূল্যের ৯ কোটি ৩৩ লাখ টন উল্লেখযোগ্য কৃষি উৎপাদন বৈশ্বিক কৃষি বাজারে দেশের কৃষি দক্ষতা ও গুরুত্বকে তুলে ধরে।
লেখক: চেয়ারম্যান, সার্জারি ও থেরিওজেনোলজি বিভাগ, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়। পরিচালক, ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা




৯৬ সালের আগের অবস্থা মনে করে দেখার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, `২৯ বছর যারা ক্ষতমায় ছিল তারা দেশের মানুষকে কিছু দিতে পারেনি। আমি সবাইকে অনুরোধ করবো, যদি পারেন তাহলে ৯৬ সালে পূর্ব পর্যন্ত কী উন্নয়ন ছিল সেটা একটু দেখবেন।‘

শনিবার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের টার্মিনাল-৩ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের এসব কথা বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, `১৯৯৬ সালে আমি যখন সরকারে আসি তখন আমাদের বিমানবন্দরের কোনও বোডিং ছিল না, পার্কিং লোড ছিল না, কিছুই ছিল না। আমরা সরকারে এসেই বিমানবন্দরের উন্নয়নের উদ্যোগ নিয়েছিলাম। চট্টগ্রাম এবং সিলেট এই দুই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরও আমরা নির্মাণ করি। সঙ্গে শাহজালাল বিমানবন্দরের উন্নয়নের প্রকল্প গ্রহণ করি।‘

বিমানবন্দরের আধুনিকায়নের বিষয়ে শেখ হাসিনা বলেন, `আরও পর্যাপ্ত আধুনিক, সুযোগ-সুবিধা যাতে সৃষ্টি হয়, তার জন্য আমরা বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছি। কারণ, আমাদের দেশ থেকে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে প্রবাসীরা বসবাস করে। তারা বিভিন্ন দেশে কাজ করে। আমাদের রেমিট্যান্স পাঠায়। তারাও যাতায়াত করে।‘

মানুষের যোগাযোগ ব্যবসা-বাণিজ্য অর্থনীতি উন্নতির জন্য মানুষের যোগাযোগ অপরিহার্য উল্লেখ করে তিনি বলেন, আধুনিক যুগের নৌপথ সড়ক পথ রেলপথের সঙ্গে সঙ্গে আকাশ পথ সেটাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বহন করে। বিশেষ করে, এদের সঙ্গে আমাদের যে যোগাযোগ সেই যোগাযোগের মূল বাহন হচ্ছে বিমান।

বিভিন্ন সময়ে আকাশপথে যোগাযোগের রুট পরিবর্তন হয় উল্লেখ করে সরকারপ্রধান বলেন, ‘আপনারা দেখেছেন, একসময় আন্তর্জাতিক হাব ছিল হংকং। এরপর হলো সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, এখন দুবাই। আমি বিশ্বাস করি, একসময় আমাদের কক্সবাজার বা হজরত শাহজালাল বিমানবন্দর হবে আন্তর্জাতিক হাব। রিফুয়েলিংয়ের জন্য অনেকেই এখানে আসবে, থামবে; বাংলাদেশের সৌন্দর্য উপভোগ করবে। আর কক্সবাজারে নামলে তো আমাদের সবচেয়ে দীর্ঘ বালুকাময় সি বিচ সেটাও সবাই উপভোগ করতে পারবে। সেভাবেই আমরা গড়ে তুলতে চাই।’

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এ সময় উপস্থিত ছিলেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম. মফিদুর রহমানসহ বেবিচক ও মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।




মেহেরপুরে কৃতী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা

মেহেরপুরে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের কৃতী সংবর্ধনা প্রদান করেছে শিখোর পৃষ্ঠপোষকতায় প্রথম আলোর উদ্যোগে। আজ বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে শহরের পৌর কমিউনিটি সেন্টারে জেলার ৩শ ৮৮ জন শিক্ষার্থীকে এ সংবর্ধণা প্রদান করা হয়।

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন প্রথম আলো বন্ধুসভার সভাপতি মেহেরপুর সরকারি কলেজের সহযোগী অধ্যাপক আব্দুল্লা আল আমিন। স্বাগত বক্তব্য রাখে প্রথম আলো জেলা প্রতিনিধি আবু সাঈদ। বিশিষ্টজন হিসেবে বক্তব্য রাখেন মেহেরপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ শফিউল ইসলাম সর্দার, মেহেরপুর সরকারী মহীলা কলেজের অধ্যক্ষ রফিকুল ইসলাম, কুষ্টিয়া জেলার প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিনিধি তৌহিদী হাসান।

স্বাগত বক্তব্য প্রথম আলোর প্রতিনিধি আবু সাঈদ বলেন, একটি উন্নত রাষ্ট্র ব্যবস্থা, গণতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থা, বৈশম্যহীন পরিবেশ তৈরিতে আমরা এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠান থেকে অঙ্গিকারবদ্ধ হবো। আগামী বাংলাদেশ আমাদের তৈরি করতে হবে। দেশের প্রতিটি নাগরিকের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। মানুষে মানুষে বিভেদ ভুলে মানবিক বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে। কৃতী শিক্ষার্থীদের প্রতি আমাদের অনুরোধ নিজের পরিবার পরিজনদের সঙ্গে সু সম্পর্ক রাখতে হবে। নিজেেদেরকে উন্নত মানুষ হিসাবে গড়ে তুলতে হবে।

মেহেরপুর সরকারি কলেজের অধ্যাক্ষ সফিউল ইসলাম সর্দার বলেন, এখনি সময় নিজেদের তৈরি করার। এসএসসি পাশ করার পরে শিক্ষার্থীদের আরো মনোযোগ দিতে হবে পড়াশোনায়। প্রথম আলো প্রতি বছরে কৃতী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা দেওয়ার মাধ্যমে অনুপ্রাণিত করে চলেছে তা অবশ্যায় সমাজে গুরুত্ব রাখছে। কৃতীদের আগামী পথচলাতে আগ্রহ তৈরি হচ্ছে। এই ধারা অব্যাহত থাকুক আমাদের দাবি রইলো।

প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিনিধি তৌহিদী হাসান বলেন, বর্তমান সময় মাদকের ভয়াবহতা দিনে দিনে বৃদ্ধি পাচ্ছে। কৃতী শিক্ষার্থীদের প্রতি বিশেষ আবেদন রইবে অবশ্যায় মাদককে না বলতে হবে। একটি মাদকমুক্ত সমাজ গড়তে পারলে সমাজ থেকে সন্ত্রাস, হানাহানি, খুন খারাবি অনেকাংশে কমে আসবে। বাসযোগ্য একটি সমাজ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে মাদক প্রতিরোধ ব্যবস্থার বিষয়ে আমাদের সকলকে নিজের অবস্থান থেকে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।

প্রথম আলোর মেহেরপুর সভাপতি ও সরকারি কলেজের সহযোগী অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আল আমিন বলেন, প্রতিটি শিক্ষার্থী হলো এক একটি আলোকবর্তিকা। সমাজে অন্ধকার দুর করতে কৃতী শিক্ষার্থীরা নিজেদের অবস্থান থেকে আলো ছড়াবো। উন্নত, মাননিক, সৎ., ন্যায় নির্ভিক মানুষ হিসাবে নিজেদের গড়ে তুলতে হবে। তবেই আমরা একটি সুন্দর দেশ তৈরি করতে পারবো। আজকের অনুষ্ঠানের প্রানই হচ্ছে কৃতী শিক্ষার্থীরা।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের মাদককে না বলার শপথবাক্য পাঠ করা হয়। সংবর্ধনা পেয়ে খুশি কৃতী শিক্ষার্থীরা। পরে নৃত্য পরিবেশন করে বন্ধুসভার উপদেষ্টা সাব্বির হোসেন সোহাগের দল। সঙ্গীত পরিবশেন করে রেইনফল নামের একটি ব্যান্ড দল। অনুষ্ঠানটির মিডিয়া পার্টনার ছিলো এটিএন বাংলা। সহযোগীতায় রয়েছে ফ্রেশ ও প্রথমআলো বন্ধুসভা।




প্রাথমিক সার্চ ইঞ্জিন বদলের চিন্তা অ্যাপলের

সার্চ ইঞ্জিনের মধ্যে গুগলের জনপ্রিয়তা সবচেয়ে বেশি। তাই প্রায় সব স্মার্টফোন ও কম্পিউটার গ্যাজেট কোম্পানি তাদের ডিভাইসে গুগলকে ডিফল্ট সার্চ ইঞ্জিন হিসেবে ব্যবহার করে। আর স্মার্টফোন মানেই গুগল ক্রোম নামানো। স্মার্টফোনের জন্য ক্রোমের চেয়ে উপাদেয় ব্রাউজার আর নেই। সেই গুগলকে বদলের কথা ভাবছে অ্যাপল।

নিজস্ব ডিভাইসে থার্ড পার্টি প্রযুক্তি ব্যবহারের বিষয়ে অ্যাপল বরাবরই অনাগ্রহী। পারতপক্ষে ডিভাইসে গুগলের পরিবর্তে নিজস্ব সার্চ ইঞ্জিন ব্যবহারে কাজও করছে অ্যাপল।

ব্লুমবার্গের মার্ক গুরম্যানের মতে, কয়েক বছর ধরে সার্চ প্রযুক্তির উন্নয়নে কাজ করছে প্রযুক্তি জায়ান্টটি। তবে এক্ষেত্রে সফল হতে হলে কোম্পানিটিকে আরো সময় ব্যয় করতে হবে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। প্রযুক্তি-বিশারদদের মতে, অ্যাপল যদি কোনোভাবে নিজস্ব সার্চ ইঞ্জিন চালু করতে পারে তাহলে গুগলের তুলনায় আরো ভালো সমাধান দিতে সমর্থ হবে প্রতিষ্ঠানটি।

গুগল অবশ্য অ্যাপলের ডিফল্ট সার্চ ইঞ্জিন হওয়ার অ্যাপলকে মোটা অঙ্কের টাকা দিয়ে আসছে। তাই অ্যাপলের এই সিদ্ধান্ত গুগলের জন্য উদ্বেগের কারণ হওয়াটা স্বাভাবিক।

সূত্র: টেকরাডার




দাপুটে জয়ে বিশ্বকাপ শুরু বাংলাদেশের

বিশ্বকাপ শুরুর আগে মাঠের বাইরের খবরে উত্তপ্ত ছিল দেশের ক্রিকেট অঙ্গন। সেই প্রভাব বিশ্বকাপ দলেও পড়বে বলে ধারণা করেছিল অনেকে। তবে বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে তা কিছুই চোখে পড়েনি। দাপুটে জয়ে বিশ্বকাপ মিশন শুরু করলো বাংলাদেশ।

বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে সাকিব আল হাসানের দল। এই দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন সামনে থেকে। বল হাতে নিয়েছে মূল্যবান তিনটি উইকেট। শনিবার (৭ অক্টোবর) ধর্মশালায় জিতে আফগানদের ব্যাটিংয়ে পাঠায় বাংলাদেশ।

ব্যাট করতে নেমে ভালো শুরু করলেও টাইগারদের দাপুটে বোলিংয়ে মাত্র ১৫৭ রানে অলআউট হয় আফগানরা। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪৭ রান করেন রহমানুল্লাহ গুরবাজ। সাকিব ও মিরাজ নেন ৩টি করে উইকেট।

১৫৭ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ভালো শুরুর আভাস দেন দুই ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম ও লিটন দাস। তবে দলীয় ১৯ রানে ১৩ বলে ৫ রান করে রান আউটে কাটা পড়েন তামিম।

এরপর দলীয় ২৭ রানে ফজলহক ফারুকির বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফিরে যান লিটন। তার বিদায়ের পর নাজমুল হোসেন শান্ত ও মেহেদি হাসান মিরাজ মিলে হাল ধরেন। দেখেশুনে ব্যাট করতে থাকেন এই দুই ব্যাটার।

সাবলীল ব্যাটিংয়ে ৫৮ বলে ফিফটি তুলে নেন মিরাজ। ৯৭ রানের জুটি গড়েন মিরাজ-শান্ত। এরপর দলীয় ১২৪ রানে ৭৩ বলে ৫৮ রান করে আউট হন মিরাজ।

এরপর ক্রিজে আসেন সাকিব আল হাসান। তবে সুবিধা করতে পারেননি তিনি। ১৯ বলে ১৪ রান করে সাজঘরে ফিরে যান। এরপর মুশফিকুর রহিমকে সঙ্গে নিয়ে ৯২ বলে হাতে রেখে দলের জয় নিশ্চিত করেন শান্ত। মুশফিক ৩ বলে ২ ও শান্ত ৮৩ বলে ৫৯ রানে অপরাজিত থাকেন।

সূত্র: ইত্তেফাক




গাংনীতে নারীসহ দুই মাদক পাচারকারী আটক

র‍্যাবের অভিযানে ফেনসিডিলসহ দুই মাদক কারবারীকে আটক করেছে সিপিসি র‍্যাব-১২ এর মেহেরপুরের সদস্যরা।গতকাল শুক্রবার (০৬ অক্টোবর) বিকেল পৌনে ৫ টার দিকে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানাধীন নওদাপাড়া এবং কুষ্টিয়া জেলার মিরপুর থানাধীন আশাননগর এলাকায় মাদক বিরোধী পৃথক অভিযান পরিচালনা করে ১৫০ বোতল ভারতীয় ফেন্সিডিলসহ তাদেরকে আটক করা হয়।

আটককৃতরা হলো-মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার নওদাপাড়া গ্রামের চাঁন মোহাম্মদের ছেলে মোজাম আলী (৫৪) এবং কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার আসাননগর গ্রামের সুমন মালিথার স্ত্রী আছিয়া বেগম (৩১)।

সহকারী পুলিশ সুপার কোম্পানী কমান্ডার মোঃ মনিরুজ্জামান সিপিসি-৩, মেহেরপুর, র‌্যাব-১২ শনিবার (০৭ অক্টোবর) দুপুর ১২ টার দিকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তি মারফত এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

সিপিসি র‍্যাব-১২ মেহেরপুর সূত্রে জানা গেছে, র‍্যাবের একটি টহল দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল শুক্রবার (০৬ অক্টোবর) বিকেল পৌনে ৫ টার দিকে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানাধীন নওদাপাড়া সাকিনস্থ আসামী মোজাম আলীর পিতার বিল্ডিংয়ের পশ্চিম দিকে বসত ঘরের সামনের কক্ষ থেকে ৫৫ বোতল এবং কুষ্টিয়া জেলার মিরপুর থানাধীন আশাননগর এলাকায় মাদক বিরোধী পৃথক অভিযান পরিচালনা করে ৯৫ বোতলসহ মোট ১৫০ বোতল ভারতীয় ফেন্সিডিল উদ্ধার করেন।

আটককৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ পদক্ষেপ গ্রহণের নিমিত্তে মেহেরপুরের গাংনী থানা ও কুষ্টিয়ার মিরপুর থানায় পৃথক মামলাসহ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ওই মাদক কারবারী দীর্ঘদিন যাবৎ আইন প্রয়োগকারী সংস্থার চোখ ফাঁকি দিয়ে মেহেরপুর ও কুষ্টিয়া জেলার বিভিন্ন এলাকায় অবৈধ নেশাজাতীয় মাদকদ্রব্য বিভিন্ন মাদকসেবীর নিকট ক্রয় বিক্রয় করে আসছিল বলেও জানান র‍্যাবের ওই কর্মকর্ত।




চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে আফরোজা পারভীনের পথসভা ও গণসংযোগ

চুয়াডাঙ্গা জেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি ও আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী আফরোজা পারভীন। আজ শুক্রবার বিকাল সাড়ে চারটার সময় চুয়াডাঙ্গা আলমডাঙ্গা উপজেলার মোমিনপুর ও নাগদাহ ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ডে ঘুরে গণসংযোগ করেন তিনি।

এ সময় তিনি শেখ হাসিনা সরকারের উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরেন এবং উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখার জন্য আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আবারো শেখ হাসিনা সরকার ও নৌকার পক্ষে ভোট চান।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা যুব মহিলা লীগের সহ-সভপতি পূর্ণিমা হালদার,যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলিজা খাতুন ,সদর উপজেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি-কাজলী আক্তার , সাংগঠনিক সম্পাদক সপ্না খাতুন চিনি, দামুড়হুদা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শাহেদা খাতুন ,আলমডাঙ্গা উপজেলার যুব মহিলা লীগের সভাপতি মনিরা খাতুন,সাধারণ সম্পাদক জাহানারা খাতুন, চুয়াডাঙ্গা পৌর ৯নং ওয়ার্ড সভাপতি-আরজিনা খাতুন, সাধারণ সম্পাদক বেবি, সাংগাঠনিক সম্পাদক মিতা রানী, ৬ নং ওয়ার্ড সভাপতি রুপালি, সাধারণ সম্পাদক ফাহিমা, ২নং ওয়ার্ড কমিটির অর্থ সম্পাদক শিউলি খাতুন, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতৃবৃন্দ রাতুল, সাকিব শেখ , মাহফুজ, আকাশ,কুতুব, রিপন,শাওন, সিফাত,জিরান,সেজান ও আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ সহ চুয়াডাঙ্গা জেলা ও আলমডাঙ্গা উপজেলা যুব মহিলা লীগের নেতৃবৃন্দ




চুৃয়াডাঙ্গায় জাতীয় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন দিবস পালন

চুৃয়াডাঙ্গায় বর্ণাঢ্য আয়োজনে জাতীয় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন দিবস-২০২৩ উদযাপন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে  আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে দশটার সময় চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের কার্যালয় হতে এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদিক্ষণ শেষে পুনরায় একই স্থানে এসে শেষ হয়।

র‍্যালি পরবর্তী চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। স্থানীয় সরকারের ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক শারমিন আক্তারের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমা।

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, একের অধিক জন্ম নিবন্ধন আইনগতভাবে অবৈধ। এজন্য ব্যাপক জন সচেতনতা তৈরি করতে হবে। একটি রাষ্ট্রের সঠিক পরিকল্পনা এবং বাজেট প্রণয়নের বিষয়ে জন্ম এবং মৃত্যু নিবন্ধন যদি হালনাগাদ না থাকে তাহলে ওই পরিকল্পনায় ব্যাপকভাবে প্রভাবিত হয়। যদি একজনের একাধিক জন্ম নিবন্ধন। তাহলে জনসংখ্যা বেশি দেখাবে। অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় জন্ম ও নিবন্ধন করা।

তিনি আরও বলেন, আজকের আলোচনায় সবাই একবাক্যে স্বীকার করেছেন সার্ভারের সমস্যার কথা। এটি খুব সহসায় কেটে যাবে। আমরা জেনেছি নতুন সার্ভারের ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন আছে এবং ক্ষেত্র বিশেষে কিছু সমস্যা থাকতে পারে। হয়ত সেন্ট্রাল সার্ভারে সঠিকভাবেই কাজ করছে, ফিল্ডে এটি সঠিকভাবে সংক্ষরণ এবং এর যে কানেক্টিভিটি, কারিগরি কারণে অনেক ক্ষত্রে হয়ত স্লো হতে পারে। বিষয়গুলো আমরা উব্ধর্তন কর্তৃপক্ষকে পত্রাকারে জানিয়েছি।

আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন, চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান মনজু, চুৃয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম ব্রাঞ্চ) নাজিম উদ্দীন আল আজাদ, চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার মেয়র জাহাঙ্গির আলম মালিক খোকন, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শামিম ভূঁইয়া।

চুয়াডাঙ্গা কালেক্টরেটের সহকারী কমিশনার ও স্থারীয় সরকারের সহকারী পরিচালক শাহিদুল আলমের পরিচালনায় আরও বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ সাংবাদিক সমিতি চুয়াডাঙ্গা জেলা ইউনিটের সাবেক সভাপতি অ্যাড. রফিকুল ইসলাম, বেগমপুর ইউপি চেয়ারম্যান আলী হোসেন, শংকরচন্দ্র ইউপি সচিব মাসুদুর রহমান, বেগমপুর ইউপি সদস্য আহমেদ কায়েস, গ্রাম পুলিশের দফাদার বিপুল দাস। আলোচনা সভার শুরুতেই পবিত্র কোরআন থেকে পাঠ করেন কালেক্টরেট মসজিদের পেশ ইমাম ক্বারী কবির আহমেদ ও পবিত্র গীতা থেকে পাঠ করেন বাবু সুনিল মল্লিক




জীবননগরের দত্তনগরে এসএসসি ৯৩ ব্যাচের রি-ইউনিয়ন অনুষ্ঠিত

আজ শুক্রবার (৬ অক্টোবর) চুয়াডাঙ্গা জেলার জীবননগর উপজেলার দত্তনগর বিএডিসি ফার্মের হলরুমে জীবননগর উপজেলার এসএসসি ১৯৯৩ ব্যাচের আয়োজনে এসএসসি -৯৩ রি-ইউনিয়ন ২০২৩ নামে ব্যচটির মিলন মেলা অনুষ্ঠিত হয়।

রি-ইউনিয়ন অনুষ্ঠানে শুক্রবার এসএসসি ব্যাচ ১৯৯৩ জীবননগর এর আয়োজনে দত্তনগর বিএডিসি ফার্মে খুলনা বিভাগের ১০ জেলা থেকে ৯৩ ব্যাচের কয়েকশ বন্ধু উপস্থিত থেকে স্মৃতিচারণ, আড্ডা, শোক প্রকাশ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।

সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পর্বে গান করেন ৯৩ এসএসসি ব্যাচের সদস্য শাহিন, শুমিত ও হাবিব। সবশেষে র‍্যাফেল ড্র এর মাধ্যমে দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত মিলনমেলার সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।




উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় আনতে হবে – নঈম জোয়ার্দ্দার

আলমডাঙ্গার জেহালা ইউনিয়ন যুবলীগের আয়োজনে এক জনসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডসহ নানা উদ্যোগ জনগণের সামনে তুলে ধরতে আজ শুক্রবার বিকেলে জেহালা ফুটবল মাঠে এ জনসভার আয়োজন করা হয়।

জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন জেলা যুবলীগের আহবায়ক নঈম হাসান জোয়ার্দ্দার। প্রধান অতিথির বক্তব্যে নঈম জোয়ার্দ্দার বলেন,বাংলাদেশ এখন বিশ্বের বুকে উন্নয়নের রোল মডেল। বাংলাদেশ উন্নয়নের পথে এগিয়ে গিয়েছে। আজকে যদি আলমডাঙ্গার কথায় বলি,এই আলমডাঙ্গার রাস্তাঘাট কেমন ছিল? এখন প্রতিটি রাস্তার উন্নয়ন হয়েছে,ব্রীজ হয়েছে,আজকে পদ্মাসেতু দিয়ে যারা ঢাকায় যান,তারা দেখেছেন একটি নয়নাভিরাম সেতু, আল্প সময়েই ঢাকায় যাওয়া যায়। আজকে মেট্রো রেল,বঙ্গবন্ধু টানেল,সহ বড় প্রজেক্টের কাজ হচ্ছে,এ সব কে করেছে? তিনি আমাদের নেত্রী বাংলাদেশ সরকারের সফল রাস্ট্রনায়ক জননেত্রী শেখ হাসিনা। এজন্য বলতে হয়, উন্নয়নের সরকার,বারবার দরকার,জনগণের সরকার, বারবার দরকার।

দেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে শেখ হাসিনার সরকার,বারবার দরকার। এজন্য শেখ হাসিনাকে আবারও ক্ষমতায় আনতে হবে।

তিনি বলেন,একটি দল প্রতিবারই সন্ত্রাস করে। যারা সামরিক শাসকের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসেছিল। সেই দল অগ্নি সন্ত্রাস করে,মানুষ হত্যা করে মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে ক্ষমতায় আসতে চাই। তারা জনগণের উপর আস্তা রাখেনা,আস্তা রাখে কার উপর, বিদেশী প্রভূদের উপর। বিদেশী প্রভূরা যখন বলে আন্দোলন যাও, তারা তখন আন্দোলনে যায়। আজকে যদি চুয়াডাঙ্গায় বিএনপি-জামায়াত অগ্নি সন্ত্রাস ও মানুষ হত্যার চেষ্টা করে তাহলে যুবলীগ তা প্রতিহত করবে।

জেহালা ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান মকলেছুর রহমান শিলনের সভাপতিত্বে জনসভায়
বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন জেলা যুবলীগের যুগ্নআহবায়ক সামসুজ্জোহা হাসু, জেলা যুবলীগের সদস্য সাজেদুল ইসলাম লাভলু, আজাদ আলী, হাফিজুর রহমান হাপু, আনোয়ার হোসেন, আলমডাঙ্গা উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক সোনাহার মন্ডল, যুগ্নআহবায়ক তাফসির আহম্মেদ মল্লিক লাল, পৌর যুবলীগের আহবায়ক আসাদুল হক ডিটু, জেলা সেচ্ছাসেবক লীগের জয়েন্ট সেক্রেটারি খালিদ হোসেন, জেহালা ইউনিয়ন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আনারুল ইসলাম, চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের সাবেক সভাপতি আল ইমরান শুভ, ছাত্রলীগ নেতা সৈকত, মুন্সিগঞ্জ নিগার সিদ্দিক কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম প্রমূখ।
জন-সভায় সঞ্চালনা করেন জেহালা ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক বকুল হোসেন।