নির্বাচনের আগে পোশাক খাত নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র

জাতীয় গার্মেন্টেস শ্রমিক ফেডারেশনের আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা এবং বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে নকল পণ্য রপ্তানি অভিযোগ একই সূত্রে গাঁথছেন ব্যবসায়ী নেতা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। তারা বলছেন এটা নির্বাচনের আগে সরকারের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্রের আভাস।

রোববার পোশাকশ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ২৩ হাজার টাকা ঘোষণার দাবি জানায় জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন। এসব দাবি আদায়ে মিছিল, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় অভিমুখে পদযাত্রাসহ নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করে সংগঠনটি। সমাবেশে শ্রৈমিক নেতারা জানান, ২০১৮ সালে পোশাকশ্রমিকদের জন্য ঘোষিত ৮ হাজার টাকা মজুরি ছিল ওই সময়ে ১০০ ডলারের সমান। বর্তমানে ১০০ ডলারের বাজারদর দাঁড়িয়েছে ১১ হাজার টাকার বেশি। অন্যদিকে গত পাঁচ বছরে দেশে দ্রব্যমূল্য অনেক বেড়েছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে তা দু-তিন গুণ বেড়েছে। বর্তমান বাজারদরের সঙ্গে সমন্বয় করলে পোশাকশ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ২৩ হাজার টাকার বেশি হওয়া উচিত।

নেতারা আরও বলেন, পোশাক কারখানার মালিকদের মুনাফা ৭ থেকে ১০ শতাংশ পর্যন্ত। এ ছাড়া মালিকেরা রপ্তানির বিপরীতে সরকারের কাছ থেকে ১০ শতাংশ পর্যন্ত নগদ প্রণোদনাও পান। এ বিষয়গুলোও মজুরি নির্ধারণে আমলে নেওয়া দরকার। প্রতিযোগী দেশগুলোর তুলনায় বাংলাদেশের পোশাক খাতের শ্রমিকদের মজুরি সর্বনিম্ন। পাশাপশি ৬৫ শতাংশ মূল মজুরি ও প্রতিবছর ১০ শতাংশ হারে বেতন বৃদ্ধির দাবি করে সংগঠনটি। তাদের দাবির পক্ষে পোশাকের বৈশ্বিক ক্রেতাদেরও সহযোগিত্ওা চান শ্রমিকনেতারা।

শ্রমিকদের এই দাবি নিয়ে কথা বলেন, বিজিএমইএর সভাপতি ফারুক হাসান । তিনি বলেন, “গত চার বছরে শ্রমিকদের বেতন বাড়ানো হয়নি এটা ঠিক নয়। সর্বশেষ মজুরি বোর্ড বেতন বাড়ানোর পর প্রতি বছরই তাদের শতকরা পাঁচ ভাগ হারে ইনক্রিমেন্ট দেয়া হয়েছে। তারা এখন বেতন বাড়ানোর দাবি করছেন। তাদের সঙ্গে আলোচনা চলছে। অবশ্যই মালিকরা মজুরি বাড়াবে। তবে তা সক্ষমতার মধ্যে থাকতে হবে। পাশাপাশি ভাবতে হবে সদ্য করোনাত্তর পরিস্থিতির কথা।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে আরেকজন গার্মেন্টস ব্যবসায়ী জানান, পোশাক খাতে ২০১৩ সালে শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ৫ হাজার ৩০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল, যা ২০১০ সালে ৩০০০ টাকা ছিল, ২০০৬ সালে এটি ছিল ১৬৬২ দশমিক ৫০ টাকা, ১৯৯৪ সালে ৯৪০ টাকা এবং ১৯৮৫ সালে ছিল ৬২৭ টাকা। সেখান থেকে বের হয়ে এসেছে গার্মেন্টস খাত।

আগামী আগামী নভেম্বরের আগেই শ্রমিকদের জন্য নতুন মজুরি নির্ধারণের লক্ষ্য রয়েছে মজুরি বোর্ডের। বেশিরভাগ পোশাক কারখানার মালিক মজুরি বাড়ানোর পক্ষে। কিন্তু এই মুহূর্তে আমাদের সার্বিক অর্থনীতির যে অবস্থা সেখানে ন্যূনতম মজুরি ১২-১৩ হাজারের বেশি দেওয়া সম্ভব নয়। এরই মধ্যে নিম্নতম মজুরি বোর্ডের দু’টি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। শ্রম আইন অনুযায়ী, প্রতি পাঁচ বছর পর পর মজুরি কাঠামো পর্যালোচনা করতে হয়। সে হিসাবে এবছরই বাড়ছে মজুরি। এখন মজুরি নিয়ে বেশি চাপ সৃষ্টি করলে বহু কারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

গার্মেন্টেস মালিকরা আরও জানান, ২০১৯ সাল থেকে গার্মেন্টস এর ন্যূনতম মজুরি ৮০০০ পাচ্ছেন পোশাক শ্রমিকরা। এই খাতে বর্তমানে মজুরি প্রথম গ্রেডে ১৮ হাজার ২৫৭, দ্বিতীয় গ্রেডে ১৫ হাজার ৪১৬, তৃতীয় গ্রেডে ৯ হাজার ৮৪৫, চতুর্থ গ্রেডে ৯ হাজার ৩৪৭ ও পঞ্চম গ্রেডে ৮ হাজার ৮৭৫ টাকা। বেসরকারি খাতে একজন বিশ্ববিদ্যালয় গ্র্যাজুয়েটের বেতন শুরু হয় ১২ থেকে ১৫ হাজার টাকা। সেলস রিপ্রেসেন্টিটিভরা ১০ হাজার টাকা। এমনকি সরকারি চাকরির অনেক ক্ষেত্রে মূল বেতন এর চাইতে কম। তাছাড়া পোশাক খাতে চাকরিতে ঢোকার জন্য কোনো পূর্ব অভিজ্ঞতার দরকার হচ্ছে না। সে হিসাবে মজুরি বাড়ানোর দাবি যৌক্তিক হলেও ২৩ হাজার টাকা ন্যূনতম মজুরির দাবিটি অযৌক্তিক।

এদিকে এবছর যুক্তরাষ্ট্র সুনির্দিষ্ট তথ্য-প্রমাণ ছাড়া নকল পণ্য রপ্তানির অভিযোগ এনেছে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে। বিজিএমইএ তাদের অধীনে থাকা কারখানা থেকে নকল পণ্য রপ্তানির এই অভিযোগ নাকচ করেছে। তাদের মতে, নকল তৈরি পোশাক রপ্তানি নিয়ে সুনির্দিষ্ট কোন তথ্য-প্রমাণ দেখাতে পারেনি অভিযোগকারী সংস্থাগুলো । তারা আরও জানায় ব্র্যান্ডগুলো থেকে নকল পণ্য রপ্তানির যে অভিযোগ করা হয়েছে সেগুলো আসলে অনুমান নির্ভর।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ও নকল তৈরি পোশাক রপ্তানির এই অভিযোগ নাকচ করে দিয়েছে। ত্রাা বলছেন, ২০১৮ সালে ঘোষিত নতুন মজুরি দেয়ার আগে পোশাক শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ছিল ৫ হাজার ৩০০ টাকা। ২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে কার্যকর হওয়া নতুন মজুরি সন্তোষজনক ছিল। বাংলাদেশ সরকার রপ্তানি আয় বাড়ানোর জন্য অটোমেশনের সাথে সামঞ্জস্য করতে আরএমজি সেক্টরকে সহায়তা করছে, বাংলাদেশ সরকার হিউম্যান-কম্পিউটার ইন্টারএকশ্যান পদ্ধতি ব্যবহার করে ২০ লাখ আরএমজি কর্মীর জন্য প্রোগ্রাম চালু করেছে। দক্ষতা বিকাশের জন্য প্রশিক্ষণ কর্মসূচির’ মাধ্যমে ১৫ লাখ আরএমজি কর্মীর জন্য প্রোগ্রাম চালু করেছে। এই খাতে প্রত্যক্ষভাবে ৪০ লাখ শ্রমিকের কর্মসংস্থানের সুযোগ দিয়েছে সরকার।

তারা আরও জানান, ব্যাকওয়ার্ড ও ফরওয়ার্ড লিংকেজ মিলিয়ে ১ কোটি মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করা হয়েছে । নারীদের কর্মসংস্থানের জন্যে তৈরি হয়েছে একটি বিশাল ক্ষেত্র। প্রত্যেকটি কারখানায় পেশাগত নিরাপত্তা কমিটি রয়েছে, যেখানে শ্রমিক ও কর্মচারীরা একসাথে কাজ করছে। বর্তমানে বিশ্বের ১০টি শীর্ষ স্থানীয় পরিবেশবান্ধব কারখানার মধ্যে ৮টিই এখন বাংলাদেশে। বিজিএমইএর তথ্যানুযায়ী, বাংলাদেশে লিড সনদ প্রাপ্ত ২০০ পোশাক ও বস্ত্র কারখানার মধ্যে ৭৩টি লিড প্লাটিনাম, ১১৩টি গোল্ড, ১০টি সিলভার ও ৪টি সার্টিফায়েড সনদ পেয়েছে। তৈরি পোশাক ও বস্ত্র খাতে পরিবেশবান্ধব কারখানার সংখ্যা ২০০-তে উন্নীত হয়েছে।

আর বিজিএমইএর নির্বাচিত একজন কর্মকর্তা বলছেন, নির্বাচনের আগে গার্মেন্টস সেক্টরকে অস্থিতিশীল করা, শ্রমিক অসন্তোষ সৃষ্টি করা এবং বাংলাদেশি পণ্যের বিরুদ্ধে নকলের অিভিযোগ তোলা একই চক্রের ষড়যন্ত্র। তারা চায় বৈদেশিক আয়ের অন্যতম প্রধান উৎস তৈরি পোশাক খাতকে অস্থিতিশীল হোক। কারণ ষড়যন্ত্রীরা মনে করে গার্মেন্টস খাত অস্থিতিশীল হলে সরকার চাপে পড়বে।




চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির শুভ উদ্বোধন

চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়েছে। চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ্ আল-মামুনের উদ্যোগে মঙ্গলবার বেলা সাড়ে এগারোটার সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা মোতাবেক ‘আসুন, আমরা সবাই মিলে ব্যাপকভাবে এদেশে বৃক্ষরোপণ করি এবং আমাদের সোনার বাংলাকে আরো সবুজ করি’ এবং ‘গাছ লাগিয়ে যত্ন করি, সুস্থ প্রজন্মের দেশ গড়ি’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে পুলিশ লাইন্সে বিভিন্ন ধরণের ফলজ গাছ রোপণের মাধ্যমে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।

এসময় বিভিন্ন জাতের উন্নতমানের ফলজ বৃক্ষ রোপন করা হয়। পর্যায়ক্রমে জেলা পুলিশের সকল ইউনিটে বনজ, ফলদ ও ভেষজ বৃক্ষের চারা রোপন করা হবে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) মোঃ নাজিম উদ্দীন আল আজাদ পিপিএম, ডিআইও-১ ডিএসবি আবু জিহাদ ফকরুল আলম খান, জেলা গোয়েন্দা শাখার অফিসার ইনচার্জ ফেরদৌস ওয়াহিদ , আরআই পুলিশ লাইন আমিনুল ইসলাম, মোটরযান শাখার ইনচার্জ জিহাদুল হাসান সহ জেলা পুলিশের বিভিন্ন পদমর্যাদার অফিসার ফোর্সগণ।




পর্দায় আসছে নতুন ‍জুটি

শুটিং শেষ হয়েছে গত বছর ডিসেম্বরে। কিন্তু এরপর সিনেমা সংশ্লিষ্ট সকলেই ছিলেন একেবারেই নিরব। সিনেমা মুক্তি বা অন্যান্য বিষয়ে কেউই যেন কিছু বলতে রাজি নয়। অবশেষে এই সিনেমা নিয়ে সরব হলেন নির্মাতারা। জানালেন প্রেমের গল্পে নির্মিত ‘দেয়ালের দেশ’ মুক্তির সময় এবং প্রকাশ করলেন সিনেমার পোস্টার।

এই সিনেমায় আসছে ঢালিউডের নতুন জুটি। পর্দায় প্রথমবার একসঙ্গে দেখা যাবে শরিফুল রাজ ও শবনম বুবলীকে। গতকাল সন্ধ্যায় এক সংবাদ সম্মেলনে প্রকাশ করা হয় সিনেমার প্রথম পোস্টার। সেখানে দেখা যায় লাশঘরের ফ্রিজারে বুবলীর লাশ। তার পাশেই বসে আছেন শরিফুল রাজ। পোস্টার উন্মোচনের পর জানানো হয়, চলতি বছরই প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাচ্ছে ‘দেয়ালের দেশ’।

সিনেমা প্রসঙ্গে শরিফুল রাজ বলেন, ‘অসাধারণ একটি চিত্রনাট্যে নির্মিত এই সিনেমা। সুন্দর একটি সিনেমা নির্মাণ করতে আমরা সবাই সাধ্যমতো চেষ্টা করেছি। পর্দায় আমাদের কেমিস্ট্রি ফুটিয়ে তোলার জন্য বুবলী ও আমি শুটিংয়ে যাওয়ার আগে রিহার্সাল করেছি। চরিত্রের সঙ্গে মানিয়ে নিতে শারীরিক ও মানসিকভাবেও প্রস্তুতি নিয়েছি। আমার বিশ্বাস, আমাদের এই চেষ্টার ফসল দর্শকের জন্য উপভোগ্য হবে।’

ক্যারিয়ারের শুরুতে শাকিব খানের সঙ্গে এক ডজন সিনেমায় অভিনয় করলেও অন্য কারো সঙ্গে জুটি বাঁধেননি বুবলী। এই গন্ডি থেকে বেরিয়ে এসেছেন বুবলি। হয়েছেন মাহফুজ আহমেদ, সাইমন সাদিকের নায়িকা। এবার হলেন শরীফুল রাজের নায়িকা। সিনেমা প্রসঙ্গে বুবলী বলেন, আমরা প্রায়ই বলি ভিন্ন রকম গল্প, ভিন্ন ধরনের চরিত্র। কিন্তু অনেক সময় পর্দায় সে বিষয়টা পরিষ্কার বোঝা যায় না। এ সিনেমাটি ব্যতিক্রম। এর গল্পটা ভিন্ন আঙ্গিকের। এ ধরনের চরিত্রে এর আগে আমার কাজ করা হয়নি। টিজার, ট্রেলার রিলিজের পর দর্শক বিষয়গুলো আঁচ করতে পারবে।’

সরকারি অনুদানে সিনেমাটি বানিয়েছেন মিশুক মনি। পরিচালনার পাশাপাশি কাহিনি ও চিত্রনাট্য লিখেছেন তিনি। সিনেমাটির সহ-প্রযোজকও তিনি। নির্মাতা জানান, শিগগির প্রকাশ হবে সিনেমার টিজার ও ট্রেলার। রাজ-বুবলী ছাড়াও সিনেমায় আরও অভিনয় করেছেন আজিজুল হাকিম, স্বাগতা, সাবেরী আলম, শাহাদাত হোসেন প্রমুখ।

সূত্র: ইত্তেফাক




লাইভস্ট্রিম শপিং চালু করছে এক্স

ইলন মাস্ক সম্প্রতি এক্স’কে এভরিথিং অ্যাপ বানানোর তোড়জোড় করছে। সেই তোড়জোড়ের পরিপ্রেক্ষিতেই তারা লাইভস্ট্রিম শপিং ইভেন্ট চালু করছে। সেজন্য তারা মিডিয়া আইকন প্যারিস হিলটনের সঙ্গে অংশীদারিত্ব করে নিয়েছেন। নতুন লাইভস্ট্রিম শপিং এর মাধ্যমে ভিডিও প্রদর্শনের পাশাপাশি ক্রেতার সঙ্গে চ্যাট করা যাবে। আর এসবকিছুর পাশাপাশি শপও করা যাবে।

হিলটনের সঙ্গে পার্টনারশিপে যাওয়ার পরই তারা জানিয়েছে, ‘আমরা মূলত নতুন পদ্ধতিতে সংযুক্ত হওয়ার পদ্ধতি আবিষ্কার করব। ভিডিও, লাইভ ভিডিও, লাইভ শপিং ও স্পেসের ব্যবহারও এখন আরও বৈচিত্র্যময় হবে। সবে তো শুরু।’

শপিং একটি কি ফিচার হিসেবে এই প্রথম প্ল্যাটফর্মটিতে আসছে না। টুইটারও ই-কমার্সের সম্ভাবনা ব্যবহার করতে চেয়েছিল। সেখানে ক্রেতাদের তাদের অনাগত পণ্য সম্পর্কে অবহিত করার সুযোগ ছিল। এক্সের নাম বদলের পরপরই মাস্ক এই বিষয়টিকে আরও বৈচিত্র্যময় করার কথা চিন্তা করেছিলেন। শুরুতে ওয়ালমার্টের সঙ্গে তারা অংশীদারিত্বেও পরীক্ষামূলকভাবে চেষ্টা করেছে নতুন ফিচার পরীক্ষায়। নতুন না হলেও পরীক্ষামূলকভাবে আগে হওয়ায় মাস্ক কিছুটা সুবিধা পাচ্ছেন।

এক্সের সিইও লিন্ডা ইউক্যারিনোর মতে, ‘এক্সের পার্টনারশিপ ভিডিও ব্যবহারে নতুন কর্মপরিকল্পনা উৎসাহিত করবে।’ প্রথমে বিতর্কিত নানা সিদ্ধান্ত নিলেও সম্প্রতি লাইভস্ট্রিমিং এর দিকে তারা জোর দিচ্ছে। তবে লাইভস্ট্রিমিং করার ক্ষেত্রেও কিছুটা ব্যর্থতার সাক্ষী হতে হয়েছিল। প্যারিস হিলটনের সঙ্গে লাইফস্ট্রিমে অবশ্য কিভাবে ভালো কিছু হবে তা নিয়েও অনেকের কৌতূহল রয়েছে। তবে মাস্ক আগেই বলেছিলেন। এক্স শুধু মাইক্রোব্লগিং প্লাটফর্ম থাকবে না। বরং সৃজনশীল শিল্পীদের এখানে সংযুক্ত করা হবে। তাদের ফ্যানবেজের প্রতিও দায়বদ্ধতা থাকবে।

সম্প্রতি এক বক্তব্যে এক্স সিইও লিন্ডা জানিয়েছেন, এড রেভেন্যু শেয়ারিং প্রোগ্রাম চালুর পর ইতোমধ্যে কোম্পানিটি ২০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রদান করেছে। ভিডিওর বিষয়টি নিয়ে তারা বেশি কাজ করছে। দুই ঘণ্টার ভিডিও এখন প্লাটফর্মে সাপোর্ট করছে। আর ই-কমার্সের ক্ষেত্রেও নতুন অনেক পরিকল্পনা বাস্তবায়নের অপেক্ষায়। এই ফিচার টিকটকের শপিং সেবা প্রদানের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করবে তা নিয়ে সন্দেহ নেই।

সূত্র: টেকক্রাঞ্চ




গণমাধ্যমের ওপর চাপিয়ে দেওয়া ভিসানীতি অবমাননাকর

দেশের গণমাধ্যমের কণ্ঠ রোধ করতে মার্কিন ভিসানীতি, যা দেশের স্বাধীনতার ওপর হস্তক্ষেপের সামিল বলে মনে করছেন সাংবাদিক নেতারা। মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সমাবেশ থেকে এ মন্তব্য করা হয়। এসময় ভিসানীতির নামে স্বাধীন গণমাধ্যমের ওপর কোনো হস্তক্ষেপ মানা হবে না বলেও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।

জাস্টিস ফর জার্নালিস্ট আয়োজিত ভিসানীতির নামে সংবাদমাধ্যমে মার্কিন চাপের প্রতিবাদে সাংবাদিক সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর সাবেক তথ্য উপদেষ্টা, ডিবিসি টেলিভিশনের চেয়ারম্যান ও দ্য ডেইলি অবজারভার সম্পাদক ইকবাল সোবহান চৌধুরী। সমাবেশে তিনি বলেন, ‘একটি স্বাধীন দেশের গণমাধ্যমের ওপর চাপিয়ে দেওয়া ভিসানীতি অবমাননাকর। দেশের স্বাধীনতার ওপর হস্তক্ষেপের সামিল।’

তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ চলে সংবিধানের ওপর। একটি স্বাধীন দেশের ওপর বাইরের দেশের হস্তক্ষেপ মানি না মানবো না। আমেরিকা বন্ধুর আচরণের বিপরীতে প্রভুর আচরণ করতে চায়। আমরা সেটি মানবো না। তারা ভিসানীতির ভয় দেখিয়ে অযাচিত হুমকি দেবেন, সেটা মেনে নিতে পারি না। বাঙালি জাতিকে ভিসানীতি বা স্যাংশনের ভয় দেখিয়ে আমাদের দমিয়ে রাখা যাবে না। আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পাশে দাঁড়াবো। নিজের শক্তি দিয়ে গণতান্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে চাই।’

জাস্টিস ফর জার্নালিস্ট সংগঠনের সিনিয়র সহ-সভাপতি ওবায়দুল হক খানের সভাপতিত্বে এতে আরও বক্তব্য রাখেন বিএফইউজের সাবেক সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, সাবেক মহাসচিব আবদুল জলিল ভূঁইয়া, ডিইউজের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মানিক লাল ঘোষ, যুগ্ম সম্পাদক খায়রুল আলম, ডিইউজের সাবেক সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ, সংগঠনের সভাপতি কামরুল ইসলাম, সদস্য সচিব সাহিন বাবু, সিনিয়র সাংবাদিক লায়েকুজ্জামান, আবু সাঈদ প্রমুখ।

এসময় মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল বলেন, ভিসানীতি নিয়ে আতঙ্কিত ও উদ্বিগ্ন নই। আমেরিকা বছরে ভিসা দেয় মাত্র ২৭ হাজার। এতে সারাদেশে মানুষের কি সমস্যা। ভিসানীতি তো তাদের আছেই, প্রতি বছর ১ লাখ আবেদন করে আর ভিসা দেয় ২৭ হাজার।

তিনি আরও বলেন, ‘আমেরিকার গণমাধ্যম স্বাধীন। সেখানে পিটার হাস এ কথা বলতে পারেন না। অথচ বাংলাদেশের গণমাধ্যমের ওপর ভিসানীতির কথা বলছেন পিটার হাস। এটা স্বাধীন গণমাধ্যমের ওপর একটি চাপ সৃষ্টি করা। ভিসাকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করতে চায় পিটার হাস আপনি অতিথি মানুষ। তাই আপনার নীতির মধ্যে থাকুন। বাংলাদেশের স্বাধীন গণমাধ্যম কোনো আত্মসমর্পণ করে না। করবে না।’

আবদুল জলিল ভূঁইয়া বলেন, ‘মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের কথা উঠলেই একাত্তর সালের কথা মনে পড়ে। খুনিদের সরদার আমেরিকা। ডিইউজের যুগ্ম সম্পাদক খায়রুল আলম বলেন, আমার দেশ আমার। তুমি মার্কিনি কথা বলার কে।’

এসময় অন্য নেতারা বলেন, ‘আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কিভাবে কলুষিত করা যায়, সেই চেষ্টা করছে। আমেরিকা ভিসানীতি দিয়ে আমাদের ভয় দেখাচ্ছে। বাঙালি জাতিকে ভয় দেখানো সহজ নয়।’ গণতন্ত্রকে রক্ষার জন্য সাংবাদিকদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহবান জানান তারা।




মেহেরপুরে হেরোইনসহ পুলিশ সদস্য ও তার সহযোগী আটক

মেহেরপুর সদর উপজেলার বাজিতপুর সীমান্ত থেকে আশরাফুল ইসলাম নামের এক পুলিশ সদস্যসহ দুইজনকে আটক করেছে বিজিবি। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৩২ পুরিয়া (৩ গ্রাম) হেরাইন উদ্ধার করা হয়। জব্দ করা হয়েছে একটি মোটর সাইকেল।

সোমবার বিকালে তাদের আটক করার পর রাতে সদর থানায় মামলা দায়ের শেষে হস্তান্তর করা হয়। আটক আশরাফুল ইসলাম (৪০) মুজিবনগর উপজেলার পরানপুর গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য আফসার উদ্দীনের ছেলে। তিনি ঢাকা মেট্রোপলিটনে কোর্ট পুলিশে কর্মরত রয়েছেন। এবং সবুজ হোসেন (২৩) সদর উপজেলার রাইপুর গ্রামের মঞ্জু শেখের ছেলে।

বাজিতপুর বিজিবি ক্যাম্প কমান্ডার আলাউদ্দীন বলেন, ‘কাটাতারের এপারে ভারতীয় গ্রাম বিষ্টুগঞ্জ থেকে হেরোইন নিয়ে কয়েকজন মাদক ব্যাবসায়ী বাংলাদেশে প্রবেশ করছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে বাজিতপুর ক্যাম্পের বিজিব সদস্যদের একটি দল অবস্থান নেয়। সীমান্তের ১২০ নম্বর মেইন পিলার হয়ে ঐ মাদক ব্যবসায়ীরা একটি মোটরসাইকেলযোগে বাজিতপুর গ্রামের পাকা রাস্তার উপরে উঠলে বিজিবি সদস্যরা তাদের গতিরোধ করে। এ সময় আটক করা হয় পুলিশ সদস্য আশরাফুল ইসলাম ও তার সহযোগী সবুজ হোসেনকে। সবুজের শরীর তল্লাশী চালিয়ে ৩২ পুরিয়া হেরোইন উদ্ধার করা হয়। যার ওজন তিন গ্রাম। জব্দ করা হয় একটি ১১০ সিসি হোন্ডা মোটরসাইকেল।’

মেহেরপুর সদর থানার অফিসার ইনচার্জ সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘আসামীদের সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। তাদের নামে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। আগামীকাল মঙ্গলবার আসামীদের আদালতে সোপর্দ করা হবে।’

তিনি আরো বলেন,’আসামী আশরাফুল ইসলাম একজন পুলিশ সদস্য। সে ঢাকা মেট্রোপলিটন কোর্টে কর্মরত রয়েছে। তবে বর্তমানে সে সাসপেনসনে রয়েছ।’




দামুড়হুদার জয়রামপুরে কিরণ মালা কপির বিজ রোপণ করে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা

দামুড়হুদার জয়রামপুর গ্রামের ২০জন কৃষক এআর মালিক সীডস কোম্পানির কিরণ মালা কপির বীজ কিনে চারা রোপন করে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

গতকাল রবিবার দুপুরে ভুক্তভোগী ওই ২০জন কৃষক তাদের ক্ষতিপূরণ দাবী করে ওই বীজ কোম্পানির বিরুদ্ধে দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন।

লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানাগেছে, চলতি মৌসুমে দামুড়হুদা উপজেলার হাউলী ইউনিয়নের জয়রামপুর গ্রামের বারুইপাড়া, মল্লিকপাড়া, ক্যাম্পপাড়ার ২০জন কৃষক এআর মালিক সীডস কোম্পানীর কিরণ মালা নামক ফুলকপির বীজ কিনে চারা রোপন করে। বর্তমানে ওই ফুলকপির গাছের বয়স ৭০-৭৫ দিন। গাছে ফুল এলেও তা আকারে খুবই ছোট ও ওজনে হালকা। এছাড়াও গাছের পাতা ঝরে যাচ্ছে। যার ফলে ভুক্তভোগী ওই কৃষকদের বিঘা প্রতি ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকার লোকসান গুনতে হচ্ছে। তারা মনে করছেন নিুমানের বীজের জন্যই তাদের এই ক্ষতিগ্রস্ত হবার মূল কারণ। তাই তারা তাদের ক্ষতিপূরণ চেয়ে সীডস কোম্পানির বিরুদ্ধে দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ করে।

দামুড়হুদা উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা অভিজিৎ কুমার বিশ্বাস বলেন, ভুক্তভোগী কৃষকদের অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা কে পাঠানো হয়েছে। সেখানেই অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা মিলেছে। পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রোকসানা মিতা বলেন, এআর মালিক সীড কোম্পানির কপির বীজ কিনে চারা রোপন করে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় ভুক্তভোগী ২০জন কৃষক একটি লিখিত অভিযোগ করেছে। অভিযোগটি তদন্তের জন্য উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে প্রেরণ করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।




চুয়াডাঙ্গার তিতুদহে শত্রুতা করে কৃষকদের জমির ফসল নষ্ট

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তিতুদহের উজিরপোতা মাঠে শত্রুতামূলক জমির ফসল নষ্ট করে কেটে দিয়েছে দূর্বত্তরা।

গতকাল রবিবার দিবাগত রাতে শত্রুরা শত্রুতা মূলক ভাবে মাঠের আবাদি ফসল ঝাল, বেগুণ, উস্তে ও লাউয়ের বান কেটে নষ্ট করে দিয়েছে দূর্বৃত্তরা। এতে করে মাঠের চাষিরা আবাদি ফসল নিয়ে দুঃচিন্তায় রয়েছে।

অভিযোগে জানা যায়, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার দর্শনা থানাধীন তিতুদহ ইউনিয়নের গোলাপনগর পুলপাড়ার
আমিরুল ইসলামের ছেলে উজ্জল হোসেন একই গ্রামের মৃত হামাত আলীর ছেলে টুকু মাষ্টারের ১০ কাঁঠা জমি বার্ষিক লীজ নিয়ে মরিচ (ঝাল) আবাদ করে ও একই ইউনিয়নের বড় সলুয়া গ্রামের জয়নাল মোল্লার ছেলে মাছুমের ১২ কাঁঠা জমি বছর লীজ নিয়ে বেগুণ, উস্তের আবাদ করে।

এ আবাদকৃত জমির আবাদি ফসল মরিচ (ঝাল), বেগুণ ও উস্তে গাছ কেঁটে, উপরে নষ্ট করে দেয় অজ্ঞাত দূর্বৃত্তরা। এছাড়া একই গ্রামের মিয়া পাড়ার রফিক উদ্দিনের ছেলে নাসির উদ্দিন একই পাড়ার ছানোয়ার মাষ্টারের ১ বিষা জমি লীজ নিয়ে লাউ বাগান করে।

এ বাগানের বানের সুতার নেট কেটে দেওয়া হয়। এতে করে চাষিদের মাঠের আবাদি ফসল নস্ট হওয়ায় লক্ষাধিক টাকার ক্ষিতি সাধিত হয়েছে। ফলে মাঠের আবাদি ফসল নষ্ট, কেটে ফেলে ক্ষতিসাধিত করায় চাষিদের মধ্যে আতঙ্কের সৃস্টি হয়েছে। যার ফলে একদিকে যেমন মাঠের ফসল হচ্ছে অপর দিকে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে চাষিরা। তাই বিষয়টি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সু-নজর দিয়ে চাষিদের মাঠের আবাদি ফসল নষ্টের হাত থেকে রক্ষা করবে বলে সচেতন মহল মনে করছে।




চুয়াডাঙ্গায় আফরোজা পারভীন পথসভা ও গণসংযোগ

উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখার জন্য আবারো নৌকা মার্কায় ভোট চাইলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি ও আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী আফরোজা পারভীন।

আজ সোমবার বিকাল সাড়ে চারটার সময় চুয়াডাঙ্গা আলমডাঙ্গা পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডে নির্বাচনী উঠান বৈঠক ও গণসংযোগ করে এই কথা বলেন তিনি।

এ সময় তিনি আরও বলেন শেখ হাসিনা সরকার উন্নয়নের সরকার। জাতীর পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রেখে যাওয়া সোনার বাংলাদেশ বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশের গ্রাম থেকে শহর সকল পর্যায়ে উন্নয়ন হচ্ছে। এই উন্নয়নের ধারা যদি অব্যাহত রাখতে হয় তাহলে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আবারো শেখ হাসিনা ও নৌকার বিজয় সুনিশ্চিত করতে হবে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা যুব মহিলা লীগের সহ-সভপতি পূর্ণিমা হালদার,যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলিজা খাতুন ,সদর উপজেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি-কাজলী আক্তার , সাংগঠনিক সম্পাদক সপ্না খাতুন চিনি, দামুড়হুদা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শাহেদা খাতুন ,আলমডাঙ্গা উপজেলার যুব মহিলা লীগের সভাপতি মনিরা খাতুন,সাধারণ সম্পাদক জাহানারা খাতুন, চুয়াডাঙ্গা পৌর ৯নং ওয়ার্ড সভাপতি-আরজিনা খাতুন, সাধারণ সম্পাদক বেবি, সাংগাঠনিক সম্পাদক মিতা রানী, ৬ নং ওয়ার্ড সভাপতি রুপালি, সাধারণ সম্পাদক ফাহিমা, ২নং ওয়ার্ড কমিটির অর্থ সম্পাদক শিউলি খাতুন, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতৃবৃন্দ রাতুল, সাকিব শেখ , মাহফুজ, আকাশ,কুতুব, রিপন,শাওন, সিফাত,জিরান,সেজান ও আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ সহ চুয়াডাঙ্গা জেলা ও আলমডাঙ্গা উপজেলা যুব মহিলা লীগের নেতৃবৃন্দ।




চুয়াডাঙ্গায় বিশ্ব শিশু দিবস ও শিশু অধিকার সপ্তাহের উদ্বোধন

শিশুর জন্য বিনিয়োগ করি ভবিষ্যতের বিশ্ব গড়ি প্রতিপাদ্য নিয়ে চুয়াডাঙ্গায় বিশ্ব শিশু দিবস ও শিশু অধিকার সপ্তাহের উদ্বোধন করা হয়েছে।

আজ সোমবার সকাল সাড়ে দশটার সময় বাংলাদেশ শিশু একাডেমি চুয়াডাঙ্গা জেলার আয়োজনে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় হতে বর্ণাঢ্য র‍্যালি বাহির হয়ে চুয়াডাঙ্গার প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে আবারো চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এসে শেষ হয়।

বিশ্ব শিশু দিবস ও শিশু অধিকার সপ্তাহ-২০২৩ এর শুভ উদ্বোধন করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমা। র‍্যালি পরবর্তী আলোচনা সভায় চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক বলেন, আজকের শিশু আগামী দিনের ভবিষ্যতে। এই ভবিষ্যত প্রজন্ম নেতৃত্ব গড়ে উঠবে আগামী দিনের সুন্দর বাংলাদেশ। শিশু সুরক্ষা ও শিশুদের মেধা বিকাশে ইতিমধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। শিশুদের সুরক্ষা জন্য বাংলাদেশ আইন ব্যবস্থা চালু আছে।কোথাও কোন শিশু কোন প্রকার নির্যাতন বা নিপিড়নের শিকার না হয় সেদিকে আমাদের লক্ষ রাখতে হবে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ( সদর সার্কেল) আনিসুজ্জামান, চুয়াডাঙ্গা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক( সার্বিক) নাজমুল হামিদ রেজা, চুয়াডাঙ্গা জেলা শিশু একাডেমির শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা আফসানা ফেরদৌসি, চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার শহিদুল আলম সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ।