মেহেরপুরে ৯ বছরের শিশু ধর্ষণ, তদন্ত কর্মকর্তার যোগসাজসে আসামিদের জামিন, থানা ঘেরাও

মেহেরপুরে ধর্ষণ মামলার তদন্ত অফিসারের সহযোগীতায় আসামিরা জামিনে ছাড়া পেয়ে বাদীকে হত্যার হুমকী দেওয়া ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছাত্রকে মারধর করার অপরাধে আসামিদের গ্রেফতার ও তদন্ত অফিসারের শাস্তির দাবীতে মেহেরপুর সদর থানা ঘেরাও করেছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির নেতৃবৃন্দ।

আজ বৃহস্পতিবার রাতে প্রায় ঘন্টা ব্যাপি কয়েকশ ছাত্র ছাত্রী সদর থানা ঘেরাও করে রাখে। পরে পুলিশ সুপার মাকসুদা আক্তার খানম তাকে এক ঘন্টার মধ্যে প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন।

এছাড়া মেহেরপুর সেনাবাহিনীর মেজর ফারহানের নেতৃত্বে একটি টিম থানায় গিয়ে ছাত্র নেতাদের সাথে কথা বলে সুরাহার আশ্বাস দেন। গত বছরের ৯ সেপ্টেম্বর বিকালে চকলেট দেওয়ার নাম করে মেহেরপুরের নতুন মদনাডাঙ্গা আশ্রয়ন প্রকল্পের ৯ বছরের এক শিশুকে ওই গ্রামের বরকত আলীর ছেলে বায়োজিদ (২০) তাদের বাড়িতে নিয়ে ধর্ষণ করে। এসময় তার বন্ধু আল আমিন (২০) এই ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে। পরে ভিডিও ফাঁস করার হুমকী দিয়ে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবী নেই। এরপর আবারও এক লাখ টাকা চাঁদা দাবী করে। তাদের দাবীকৃত চাঁদার টাকা না দিলে আসামিরা ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছেড়ে দেই।

এই ঘটনায় ভিকটিমের মা বাদী হয়ে তিনজনকে আসামি করে পর্ণোগ্রাফি আইনে মেহেরপুর সদর থানায় মামলা করে। এই মামলায় তদন্ত অফিসার সুজেয় মল্লিকের সহযোগীতায় আসামিরা জামিনে মুক্ত হয়ে বাদীকে হত্যার হুমকী দেই। বিষয়টি মেহেরপুর বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা তদন্ত কর্মকর্তা সুজেয় মল্লিকের কাছে জানতে চাইলে অসৌজন্যমূলক আচরণ করে।

পরে রাতে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা শাখার আহবায়ক ইমতিয়াজ আহমেদ, সদস্য সচীব মোজিদুল ইসলাম, নাগরিক কমিটির নেতাকর্মী জড়ো হয়ে তাদের গ্রেফতারের দাবীতে সদর থানা ঘেরাও করে রাখে।




ঝিনাইদহে দেবরের লাঠির আঘাতে ভাবির মৃত্যু

ঝিনাইদহের শৈলকুপায় দেবরের লাঠির আঘাতে রেশমা খাতুন (৩৭) নামের এক গৃহবধূ নিহত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার(১৩ মার্চ) সকালে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

নিহত রেশমা খাতুন উপজেলার রতনপুর গ্রামের হামিদুল জোয়ার্দারের স্ত্রী।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত রবিবার রান্নাঘরে ইফতার সামগ্রী তৈরি করছিলেন রেশমা খাতুন। তখন তার দেবর নাহিদ জোর্য়াদ্দার পেছন থেকে এসে কাঠের লাঠি রেশমার মাথায় আঘাত করে। পরে প্রতিবেশীরা তাকে উদ্ধার করে শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার সকালে তিনি মারা যায়।

শৈলকুপা থানার ওসি মাসুম খান বলেন, ‘ঘাতক নাহিদকে আটকের জন্য পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।’




ঝিনাইদহে বিশ্ব কিডনি দিবস পালিত

‘কিডনি সুরক্ষায় অঙ্কুরেই শনাক্ত করুন’ এ স্লোগানে ঝিনাইদহে বিশ্ব কিডনি দিবস পালিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সকালে শহরের কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল এলাকা থেকে ‘ক্যাম্পস কিডনি ও ডায়ালাইসিস সেন্টার’র পক্ষ থেকে একটি থেকে র‌্যালিটি বের হয়। র‌্যালীটি শহরের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে একই স্থানে গিয়ে শেষ হয়।

পরে প্রতিষ্ঠান প্রাঙ্গণে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এতে ওই প্রতিষ্ঠানের চিকিৎসক ডা. তৌফিকুর রহমান, ব্যবস্থাপক মো. রাকিবুল ইসলাম, ল্যাব ইনচার্জ হাসানুর রহমানসহ অন্যান্যরা বক্তব্য রাখেন।

সেসময় বক্তারা, কিডনি রোগের প্রাথমিক পর্যায়ে শনাক্তকরণের গুরুত্ব, সচেতনতা বৃদ্ধি এবং নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।




মহেশপুরে জামায়াত ও বিএনপির কর্মীদের সংঘর্ষে ৬ জন আহত

ঝিনাইদহের মহেশপুরে বিএনপি ও জামায়াতের কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ৬ জন আহত হয়েছে। গতকাল বুধবার রাতে মহেশপুর উপজেলার শ্যামকুড় মাদ্রাসা মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বুধবার মহেশপুরের ভৈরবা বাজারে বিএনপি’র প্রতিবাদ সমাবেশ শেষ করে বাড়ি ফেরার পথে শ্যামকুড় বাজার মাদ্রাসা মোড় এলাকায় পৌঁছালে জামায়াত কর্মীদের সঙ্গে বিএনপির সমর্থকদের কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে তারা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে শ্যামকুড় গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের ছেলে জামায়াত কর্মী আব্দুল মুন্না, আবুল কাসেম ও শ্যামপুর নিন্দা পাড়ার মৃত গোলাম নবীর ছেলে বিএনপির সমর্থক শরিফুল ইসলাম গুরুতর আহত হয়। সেখান থেকে তাদেরকে উদ্ধার করে মহেশপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ ভর্তি করা হয়েছে।

মহেশপুর থানার ওসি ফয়েজ উদ্দিন বলেন, গতকাল একটি মারামারির ঘটনা ঘটেছিলো। এখন পর্যন্ত কেউ কোন অভিযোগ দেয়নি। উভয় পক্ষ বিষয়টি সমাধান করার চেষ্টা করছে।




আমিরের বাড়িতে হঠাৎ হাজির সালমান-শাহরুখ, তিন খান একসঙ্গে পর্দায় আসছেন!

তিন দশক ধরে বলিউডে রাজত্ব করছেন খানেরা। শাহরুখ, সালমান ও আমির প্রত্যেক খানের আকাশসমান জনপ্রিয়তা। প্রত্যেককে ঘিরে ভক্তদের উন্মাদনা তুঙ্গে। এখনও বলিউডের তিন স্তম্ভ হিসেবেই ধরা হয় তাদের।

তবে তিন খানকে একসঙ্গে কখনো সিনেমার পর্দায় দেখা যায়নি। এই তিন মহারথীকে একসঙ্গে পর্দায় দেখার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষমান দর্শকরা। আর সেই আশা কবে পুরণ হবে তা হয়তো জানা নেই। তবে তিন খান একসঙ্গে বসলেই সেই আশা নতুন করে জাগে ভক্তদের মনে। যেমনটা সদ্যই এমন আশার আলো দেখা গেল আমির খানের বাড়িতে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, নতুন কাজের খবর না থাকলেও, তিনজনকে একসঙ্গে দেখা গেল আমিরের জন্মদিন উপলক্ষে। পাপারাজ্জিদের অ্যাকাউন্ট থেকে সেই ভিডিও ছড়িয়ে পড়তেই ঝড়ের গতিতে হলো ভাইরাল।

ভিডিওতে দেখা যায়, আমির খানের বাড়ির লিফট থেকে নামছেন দুই তারকা। একফ্রেমে সালমান ও আমির। ভাইজানকে দেখা গেল সাদা শার্টে, অন্যদিকে আমিরের গায়ে গ্রে রঙের টি-শার্ট।

বন্ধুকে গাড়িঅব্দি ছাড়তে আসেন আমির খান। এরপর দেখা যায় শাহরুখ খানকে। যদিও নিজেকে এবারও হুডি আর ছাতা দিয়ে আড়াল করে রেখেছিলেন কিং খান।

রাত পোহালেই আগামীকাল শুক্রবার (১৪ মার্চ) ৬০ বছরে পা রাখবেন আমির খান। তার আগেই দুই বন্ধুকে নিয়ে বাড়িতে আড্ডার কারণ কী? আপাতত তা নিয়েই জোর চর্চা বলিপাড়ার অন্দরে।

এর আগে ৩ জনকে একসঙ্গে দেখা গিয়েছিল অনন্ত আম্বানি ও রাধিকা মার্চেন্টের প্রি ওয়েডিং অনুষ্ঠানে। সঙ্গীতে নাটু নাটুতে নাচও করেছিলেন তারা।

যেখানে আমিরকে বলতে শোনা গিয়েছিল, ‘৩ জনের একসঙ্গে অভিনয় করার কথা আমিই বলেছিলাম। শাহরুখ ও সালমানকে বলি, আমরা তিনজন একসঙ্গে একটা ছবি না করলে খুব খারাপ হবে। ওরাও আমার সঙ্গে সহমত হয়েছিল।’

অভিনেতা সঙ্গে আরও জুড়েছিলেন, ‘তবে হ্যাঁ আমাদের তিনজনকে একসঙ্গে আনতে ভালো গল্পের প্রয়োজন। ভালো চিত্রনাট্য দরকার।’

আমিরকে শেষ দেখা গেছে ‘লাল সিংহ চাড্ডা’ ছবিতে। বর্তমানে তিনি ‘সিতারে জমিন পার’ ছবি নিয়ে ব্যস্ত।

অন্যদিকে, ‘ডাঙ্কি’র পর শাহরুখ খানকে দেখা যাবে সুজয় ঘোষের ‘কিং’-এ। আর সালমান খান আসছেন এআর মুরুগাদোসের ‌‘সিকান্দার’ সিনেমা নিয়ে।

সূত্র: ইত্তেফাক




মেহেরপুরে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাবে ৭০ হাজার ১৯৪ শিশু

এ বছর ৭০ হাজার ১৯৪ শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর প্রস্তুতি নিয়েছে মেহেরপুর জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।

আগামী শনিবার (১৫ মার্চ) সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত জেলার ৪৭৫টি কেন্দ্রে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনের আওতায় এ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হবে।

বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) মেহেরপুর সিভিল সার্জন মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করে এসব তথ্য জানান সিভিল সার্জন ডা. এ কে এম আবু সাঈদ।

ডা. এ কে এম আবু সাঈদ বলেন, জেলার ৫৪টি ওয়ার্ডে এবার ৬-১১ মাস বয়সী ৮ হাজার ৬৭৪ শিশুকে একটি করে নীল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল (১ লাখ ইউনিট) এবং ১২-৫৯ মাস বয়সী ৬১ হাজার ৫২০ শিশুকে একটি করে নীল রঙের ক্যাপসুল (২ লাখ ইউনিট) খাওয়ানো হবে।

একই সঙ্গে শিশুকে ছয় মাস বয়স পর্যন্ত শুধু মায়ের দুধ খাওয়ানোসহ পুষ্টি বার্তা প্রচার করা হবে। আর ৭৫৪ স্বেচ্ছাসেবক ও ১৯৯ স্বাস্থ্যকর্মী টিকা খাওয়ানোর কাজটি পরিচালনা করবেন।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, আগামী ১৫ মার্চ সকালে মেহেরপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল চত্বরে স্থাপিত কেন্দ্রে শিশুকে ক্যাপসুল খাইয়ে জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন করা হবে। আরও জানান, জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন সফল করার লক্ষ্যে সার্বিক প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।

সম্মেলনে মেহেরপুর সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডাক্তার ইনজামামুল হক, টিকাদান সহকারী রবিউল ইসলাম, মেহেরপুর প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফজলুল হক মন্টু, মেহেরপুর জেলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি তোজাম্মেল আজম, সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব চান্দুসহ বিভিন্ন ইলেকট্রনিক, প্রিন্ট ও অনলাইন পোর্টালের স্থানীয় সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।




২৫ বছর পর নতুন ডিজাইনে বাজারে এলো নকিয়া ৩২১০

নকিয়ার জনপ্রিয় ফিচার ফোন ৩২১০ নতুন রূপে আবার বাজারে এসেছে। ১৯৯৯ সালের ১৮ মার্চ প্রথমবার বাজারে আসা এই ফোন বিশ্বব্যাপী প্রায় ১৬ কোটি ইউনিট বিক্রি হয়েছিল। দীর্ঘ ২৫ বছর পর সোনালি, নীল ও কালো রঙে নতুন ডিজাইনের নকিয়া ৩২১০ এখন বাংলাদেশের বাজারে পাওয়া যাচ্ছে। ফোনটির দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৬ হাজার ৫০০ টাকা। সম্প্রতি এইচএমডি গ্লোবালের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

নতুন সংস্করণের ফোনটিতে ২ দশমিক ৪ ইঞ্চি কিউভিজিএ রেজল্যুশনের ডিসপ্লে রয়েছে। পেছনে এলইডি ফ্ল্যাশসহ ২ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা সংযুক্ত করা হয়েছে। শক্তিশালী ১ হাজার ৪৫০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্যাটারিযুক্ত এই ফোন একবার চার্জে প্রায় ১০ ঘণ্টা পর্যন্ত টানা কথা বলার সুবিধা দেবে।

ফোনটির বিল্ট-ইন স্টোরেজ ১২৮ মেগাবাইট হলেও মাইক্রো এসডি কার্ডের মাধ্যমে এটি ৩২ গিগাবাইট পর্যন্ত বাড়ানো সম্ভব। এতে ৬৪ মেগাবাইট র‍্যামের পাশাপাশি এফএম রেডিও, ৩.৫ মিলিমিটার হেডফোন জ্যাক এবং ব্লুটুথ ৫.০ সুবিধা রয়েছে।

ফোনটিতে ফোরজি ইন্টারনেট সাপোর্ট থাকায় আগের মডেলের তুলনায় আরও উন্নত সংযোগ পাওয়া যাবে। এটি ডুয়াল সিম সুবিধাসহ এসেছে, যা একই সঙ্গে দুটি সিম ব্যবহারের সুযোগ দেবে।

এছাড়া গ্রামীণফোনের সঙ্গে একটি বিশেষ বান্ডিল অফার থাকায় নির্দিষ্ট পরিমাণে ফ্রি ইন্টারনেট ডেটাও দেওয়া হবে। নকিয়ার এই নতুন ফিচার ফোনটি দীর্ঘস্থায়ী ব্যাটারি এবং সহজ ব্যবহারযোগ্য ডিজাইনের কারণে সাধারণ ব্যবহারকারীদের মধ্যে সাড়া ফেলবে বলে আশা করা হচ্ছে।

সূত্র: ইত্তেফাক




মেহেরপুরের আমঝুপিতে শিশু ও নারী নির্যাতনের প্রতিবাদে মানববন্ধন

বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্তে শিশু ও নারী নির্যাতনের প্রতিবাদে মেহেরপুরের আমঝুপিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে মউকের প্রধান কার্যালয়ের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

শিশু ও কিশোরীদের প্রতি সহিংসতা বন্ধের আহ্বান জানিয়ে বক্তব্য দেন মউকের সিনিয়র ম্যানেজার মুরাদ হোসেন ও প্রোগ্রাম ম্যানেজার ফাহিমা আখতার।

এতে জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক, যুবসমাজের প্রতিনিধি এবং বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রায় অর্ধ শতাধিক মানুষ অংশগ্রহণ করেন।




ইফতারিতে দই-চিড়ার জাদু

রমজানে সারাদিন রোজা রাখার পর শরীর ক্লান্ত ও পানিশূন্য হয়ে পড়ে। তাই ইফতারে এমন খাবার খাওয়া উচিত, যা সহজেই হজম হয়, পুষ্টিকর এবং শরীরে দ্রুত শক্তি যোগাতে সক্ষম। এ ক্ষেত্রে দই-চিড়া হতে পারে একটি চমৎকার স্বাস্থ্যকর বিকল্প। এটি শুধু সহজপ্রস্তুত খাবারই নয় বরং এটি সুস্বাদু ও প্রচুর পুষ্টিগুণে ভরপুর, যা শরীরের জন্য উপকারী।

চিড়া শুকনো চাল থেকে তৈরি হয়, সহজে হজমযোগ্য এবং দ্রুত শক্তি সরবরাহ করতে সক্ষম। অন্যদিকে, দই প্রাকৃতিকভাবে প্রোবায়োটিক, প্রোটিন ও ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ একটি খাবার, যা শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এই দুটি উপাদান একসঙ্গে মিশিয়ে তৈরি চিড়া দই ইফতারের জন্য একদম সঠিক একটি খাবার, বিশেষ করে যারা স্বাস্থ্যসম্মত ও হালকা খাবার খেতে পছন্দ করে।

তাৎক্ষণিক শক্তি সরবরাহ করে: সারাদিন রোজা রাখার পর শরীর ক্লান্ত ও দুর্বল হয়ে পড়ে। এ ক্ষেত্রে চিড়ায় থাকা প্রচুর পরিমাণে শর্করা দ্রুত গ্লুকোজে রূপান্তরিত হয়ে শরীরকে তাৎক্ষণিক শক্তি জোগাতে সাহায্য করে। ফলে এটি ইফতারের জন্য একটি আদর্শ খাবার হতে পারে।

পানিশূন্যতা দূর করে: রমজানে দীর্ঘ সময় পানি পান না করার ফলে শরীর পানিশূন্য হয়ে পড়ে। দই শরীরের পানিশূন্যতা পূরণ করতে সাহায্য করে। বিশেষ করে গরমের সময় রোজা রাখলে শরীর থেকে প্রচুর পরিমাণে পানি ও লবণ বের হয়ে যায়, যা পূরণ করতে দই বেশ কার্যকর।

সহজে হজম হয় ও পাকস্থলীর জন্য আরামদায়ক: অনেকেই ইফতারে ভারী ও তেল-মশলাযুক্ত খাবার বেঁছে নেন। যার ফলে হজমের সমস্যা, অ্যাসিডটি বা গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায় ভোগেন। চিড়া ও দই খুব সহজপাচ্য খাবার, যা হজমে সহায়তা করে এবং পাকস্থলীর জন্য আরামদায়ক। বিশেষ করে, দইয়ের প্রোবায়োটিক উপাদান হজমশক্তি বাড়ায় ও গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা কমায়।

ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক: তেল-চর্বিযুক্ত খাবারের পরিবর্তে দই-চিড়া খেলে অতিরিক্ত ক্যালোরি গ্রহণের ঝুঁকি কমায়। বিশেষ করে যারা ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে চান, তাদের জন্য চিড়া দই একটি ভালো বিকল্প। এটি কম ক্যালোরিযুক্ত এবং ফাইবারসমৃদ্ধ খাবার, যা দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখতে সাহায্য করে এবং বারবার খাওয়ার প্রবণতা কমায়।

প্রোটিনের ভালো উৎস: দই উচ্চমানের প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার যা শরীরের কোষ পুনর্গঠনে সাহায্য করে এবং পেশি গঠনে ভূমিকা রাখে। বিশেষ করে যারা রোজার সময়ও শারীরিক পরিশ্রম করেন বা ব্যায়াম করেন, তাদের জন্য এটি হতে পারে একটি ভালো বিকল্প।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে: দইয়ে থাকা প্রোবায়োটিক উপাদান অন্ত্রের ভালো ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি করে, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। এছাড়া দইয়ের ভিটামিন ও মিনারেল শরীরকে বিভিন্ন সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করার শক্তি জোগায়।

যেভাবে খাবেন?

এক কাপ চিড়া পানিতে ভিজিয়ে রাখুন, যাতে এটি নরম হয়।

এরপর এতে দুই-তিন টেবিল চামচ দই মিশিয়ে দিন।

স্বাদ বাড়াতে মধু, গুড়, বা ফলের টুকরো যোগ করতে পারেন।

চাইলে সামান্য ড্রাই ফুড দিতে পারেন।

ভারী ও ভাজাপোড়া খাবারের পরিবর্তে হালকা ও পুষ্টিকর কিছু খাওয়া ভালো। তাই এই রমজানে আপনার ইফতারের মেনুতে দই-চিড়া যোগ করুন, সুস্থ ও সতেজ থাকুন!

সূত্র: ইত্তেফাক




মেহেরপুরে জাতীয় পরিচয়পত্র পরিষেবা স্থানান্তরের প্রতিবাদে মানববন্ধন

জাতীয় পরিচয়পত্র পরিষেবা স্বাধীন নির্বাচন কমিশন হতে সংবিধিবদ্ধ নতুন কমিশনে স্থানান্তরের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি করেছে নির্বাচন কমিশন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন মেহেরপুর।

বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) সকাল ১১টার দিকে মেহেরপুর নির্বাচন কমিশন অ ফিসের সামনে ‘স্ট্যান্ড ফর এনআইডি’ কর্মসূচিতে নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা দুই ঘণ্টার কর্মবিরতি করেন।

সংবাদ সম্মেলনে কর্মকর্তারা বলেন, এনআইডি নিয়ে ব্যবসা করতে দেয়া হবে না। এনআইডি ধ্বংস হোক আমরা চাই না। সাংবিধানিক অধিকার যেন খর্ব না হয়। ইসিতে দক্ষ জনবল তৈরি হয়েছে।

তারা আরও বলেন, নির্বাচন কমিশনে এনআইডি ডাটাবেইজ নামে কিছু নেই। আছে ভোটার ডাটাবেইজ। বাইপ্রোডাক্ট হিসেবে এনআইডি দেয়া হয়। ভোটার তালিকা থেকে এনআইডি ডাটাবেজ আলাদা করার কোনো সুযোগ নেই।

এ সময় জেলা নির্বাচন অফিসার ওয়ালিউল্লাহ, নির্বাচন অফিসার সৈয়দ আল ইমরান, উচ্চমান সহকারী মাসুদ রানা, হিসাব সহকারি আল-আমিন সহ আরো অন্যান্য কর্মকর্তা কর্মচারীগণ উপস্থিত ছিলেন।