ভাবমূর্তি বা ইমেজ

ছোটবেলায় পাঠ্যপুস্তকে একটা গল্প পড়ানো হতো। গল্পটা আবারও বলছি—বাবা তার পাঁচ সন্তানদের ডাকলেন। সবাইকে একটা করে লাঠি দিয়ে তা ভাঙতে বললেন। পাঁচ সন্তানই একটা করে লাঠি অনায়াসেই ভেঙে ফেলল। এইবার আরও পাঁচটা লাঠি একসাথে করে পাঁচজনকে দিলেন। কেউই জোটবদ্ধ লাঠি ভাঙতে পারল না। তখন বাবা সন্তানদের বললেন, যদি সবাই নিজেদের মধ্যে ঝগড়া করো, তবে কখনো শান্তি আসবে না। সবাই মিলে একসাথে থাকলে শান্তি আসবে।

এই গল্পটা এখন বাংলাদেশের ক্ষেত্রে খুব প্রাসঙ্গিক। যুক্তরাষ্ট্র একের পর এক স্যাংশন দিচ্ছে বাংলাদেশকে। সময়টা সংকটপূর্ণ। তাতে সার্বিকভাবে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে। অথচ এই সংকটে দেশের সব রাজনৈতিক দল একসাথে থেকে যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে পারতো। তা না হয়ে হচ্ছে তার উল্টো। যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতিকে বিএনপি বলছে, ইতিবাচক। কীভাবে তা ইতিবাচক হয়?

বিএনপির রাজনৈতিক নেতারা তাদের বক্তব্যে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতিকে সাধুবাদ জানাচ্ছে। এটা কোনোভাবেই কাম্য নয়। এতে বরং গল্পের মতো নিজেদের বিভেদ স্পষ্ট হয়ে উঠছে বাইরের দেশের কাছে। বিএনপি নেতারা ভাবছে, আজকে তারা ক্ষমতায় নেই দেখে বুঝি যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি বা নিষেধাজ্ঞা ভালো হয়েছে। কিন্তু দিনের পরেই আসে রাত। আজকে যুক্তরাষ্ট্র যে নিষেধাজ্ঞা আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে দিচ্ছে বলে বিএনপি নেতারা মনে করেছেন কাল সেই নিষেধাজ্ঞা দেশের যেকোনো রাজনৈতিক দলের ক্ষেত্রে হতে পারে। তখন তারা কী বলবে?

যুক্তরাষ্ট্র পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে বেড়ায়। এটাই তাদের কাজ। বাংলাদেশ ছাড়াও যে ৫ দেশে ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র—নাইজেরিয়া, আফগানিস্তান, হাইতি, সুদান ও নিকারাগুয়া। তারও আগে কম্বোডিয়া, আইভোরি কোস্ট, ইরান, উত্তর কোরিয়া, চীন, রাশিয়াতে যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা দেয়।

আরও মজার বিষয় হলো, যুক্তরাষ্ট্র যেসব কারণে বিভিন্ন দেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় সেইসব সংকট যুক্তরাষ্ট্রেই বিদ্যমান। যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি মূলত বিনিয়োগকারী, ব্যাংকার, শিল্পপতি ও অস্ত্র ব্যবসায়ীদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। যেখানে নৈতিকতা, স্বাধীনতা বা গণতন্ত্রের কোনো স্থান নেই। অথচ তারা বিভিন্ন দেশে এইসব সংকট খুঁজে খুঁজে নিষেধাজ্ঞা দেয়।

প্রশ্ন হলো, সংকটে কেন বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলো জোটবদ্ধ হয়ে থাকে না? তার বড় কারণ হলো, পরশ্রীকাতরতা। অর্থাৎ পরের শ্রী বা উন্নতি দেখে যখন নিজের মধ্যে হিংসা জেগে ওঠে। বঙ্গবন্ধু তার ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’তে পরশ্রীকাতরতার বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছেন।

বিএনপি জামায়াত জোট কোনোভাবেই অন্যের শ্রী বা ভালো দেখতে চাইছে না। তাই তারা ভাবছে যেহেতু তারা এখন ক্ষমতায় নেই তাই যুক্তরাষ্ট্রের এই নিষেধাজ্ঞা যৌক্তিক। কিন্তু তারা এটা ভাবছে না, যুক্তরাষ্ট্রের কাজই হলো সব দেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে বেড়ানো। কথায় আছে না, ফিতা ফিতা কাটতে কাটতে মানুষ খুন করা কারও কারও অভ্যাস হয়ে যায়। তারা আজ নিষেধাজ্ঞা যে অভ্যাস তৈরি করছে, সেই নিষেধাজ্ঞা কাল দেশের যেকোনো দল, রাজনৈতিক নেতা বা গণমাধ্যমের ওপর আসবে। এতে করে দেশের ভাবমূর্তি যে ক্ষুণ্ন হচ্ছে তা বিএনপি জামায়াত না বুঝলে অন্যান্য দেশ ঠিকই বুঝেছে।

আরেকটা বড় বিষয় খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশকে উপেক্ষা করা সম্ভব না যুক্তরাষ্ট্রের। উপেক্ষা যেহেতু করতে পারছে না তাই নতুন নতুন ধারা বের করে সেইসব ধারায় নিষেধাজ্ঞা দিয়ে বাংলাদেশের রাজনীতি, অর্থনীতিকে বিপর্যস্ত করায় তাদের লক্ষ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে।

আর যুক্তরাষ্ট্রের এই লক্ষ্য পূরণে বাংলাদেশের কিছু রাজনৈতিক দল যৌথভাবে কাজ করে যাচ্ছে। খালেদা জিয়া ২০১৩ সালের জানুয়ারির ৩০ তারিখে ওয়াশিংটন টাইমস পত্রিকায় ‘ZIA: The thankless role in saving democracy in Bangladesh’ শিরোনামে যে কলাম লেখেন সেই লেখা পড়লে রাজনীতি না জানা মানুষও বুঝতে পারবেন বিএনপি কতটা সুনিপুণভাবে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে মাঠে নেমেছে।

এই কলামে খালেদা জিয়া উল্লেখ করেন, বাংলাদেশকে জিএসপি সুবিধা থেকে বঞ্চিত করা, বাংলাদেশ থেকে আমেরিকায় যাওয়া ভ্রমণকারীদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়াসহ অনেক বিষয়। সেই আহ্বানের পূর্ণরূপ দেখছি আজ।

দেশের সংকটে দেশের ভেতরে কথা বলার সুযোগ আছে, কিন্তু দেশের অর্থনীতি বিপর্যয়ের মুখে ফেলে দেওয়ার আহ্বান কোনোভাবেই কাম্য নয়। ইতিহাসের পুরোনো সেই কথা মনে পড়ছে বারবার, বঙ্গবন্ধুর সপরিবারের হত্যার পর কর্নেল (অব.) শাফায়েত জামিল জিয়াউর রহমানের কাছে ছুটে যান। ঘটনা শোনার পর জিয়া বললেন, ‘সো হোয়াট, প্রেসিডেন্ট ইজ কিলড; ভাইস প্রেসিডেন্ট ইজ দেয়ার, আপ হোল্ড দ্য কনস্টিটিউশন।’

এই দলের সৃষ্টি যখন এইরকম মানসিকতা দিয়ে শুরু তখন সেই দলের কাছ থেকে আর কী আশা করা যায়। তবে যুক্তরাষ্ট্রের এই নিষেধাজ্ঞায় সব দলের উচিত ছিল জোটবদ্ধ হয়ে তা প্রতিহত করা। না হয়, বাইরের দেশ এসে আমাদের অনেক বিষয়ের স্বাধীনতা হরণ করবে।

লেখক: গণমাধ্যমকর্মী।




আন্তর্জাতিক ফোরামের সদস্য হওয়ার যোগ্যতা এখন বাংলাদেশের আছে

বাংলাদেশের বিশ্বঅঙ্গনে যে পরিচিতি বেড়েছে তাতে করে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ফোরামে দায়িত্ব নেওয়া স্বাভাবিক হিসেবে দেখছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকেরা। তারা বলছেন, আন্তর্জাতিক ফোরামের সদস্য হওয়ার যোগ্যতা এখন বাংলাদেশের আছে। বাংলাদেশ রাষ্ট্র হিসেবে এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে বিভিন্ন ফোরামে তাদের সদস্য হওয়ার সুযোগ বেড়েছে এবং এর পিছনে শক্তিশালী ভূমিকা রেখেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বৃহস্পতিবার বাংলাদেশসহ ১১টি দেশ ২০২৩-২০২৪ মেয়াদে দুই বছরের জন্য আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থা (আইএইএ)-এর বোর্ড অব গভর্নরসের সদস্য নির্বাচিত হয়। এই বোর্ডের মোট সদস্য দেশের সংখ্যা ৩৫।

সংস্থাটির ওয়েবসাইটে জানানো হয়েছে, বৃহস্পতিবার ভিয়েনায় আইএইএ-এর ৬৭তম সাধারণ সম্মেলনের পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনের চতুর্থ দিনে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সদস্য নির্বাচিত হওয়া দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে আলজেরিয়া, আর্মেনিয়া, বাংলাদেশ, বুরকিনা ফাসো, ইকুয়েডর, ইন্দোনেশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, নেদারল্যান্ডস, প্যারাগুয়ে, স্পেন ও ইউক্রেন।

আইএইএ-এর কার্যসূচির উদ্দেশ্য হল বিশ্বব্যাপী পারমাণবিক শক্তির শান্তিপূর্ণ ব্যবহারকে উৎসাহিত করা ও পারমাণবিক প্রযুক্তির অপব্যবহার রোধ। এছাড়া পারমাণবিক নিরাপত্তা এবং পারমাণবিক নিরাপত্তাবিষয়ক বিভিন্ন মানদণ্ড প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করাও আইএইএ-এর উদ্দেশ্য।

বাংলাদেশ এর আগে নানা ধরনের ফোরামে যুক্ত হয়েছে। ২০১৮ সালে বাংলাদেশ মর্যাদা সম্পন্ন আন্তর্জাতিক ‘বিশ্ব দক্ষতা’ ফোরামের সদস্য হয়। যুবকদের দক্ষতা উন্নয়নে এ ফোরাম কাজ করে।
নেদারল্যান্ডের আমস্টারডামে বিশ্ব দক্ষতা সম্মেলন ২০১৮-তে বাংলাদেশকে ৭৯তম দেশ হিসেবে এ স্বীকৃতি দেয়া হয়। বিশ্বের ৭৯তম সদস্য বিশিষ্ট দেশের এ বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান ৪ সদস্য বিশিষ্ট বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন।

বাংলাদেশের বিশ্বঅঙ্গনে ইতিবাচক ইমেজ গড়ে ওঠার পিছনে যে নামটি বারবারই আসে তিনি হলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফরচুনের বৈশ্বিক নেতা ২০১৬ সালে ফরচুন ম্যাগাজিনে বিশ্বের প্রভাবশালী নেতাদের তালিকায় পান তিনি। সেবছর রাজনীতি ব্যবসা ও অন্যান্য কর্মকাণ্ড দিক থেকে সেরা ৫০ নেতার তালিকা প্রকাশ করা হয়, যেখানে প্রধানমন্ত্রী ১০ম স্থান পান। তিনি ওআইসি অন্তর্ভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে একমাত্র নারী যিনি তালিকায় স্থান পান।

২০২৩ সালে বাংলাদেশের আরও যুক্তরা লক্ষ্যণীয়। এবার কেবল এই দায়িত্ব নয়, জাতিসংঘের স্থানীয় ও আঞ্চলিক সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য হিসেবে মনোনীত হয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। ২৫ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এই মনোনয়নের বিষয়টি মেয়র আতিককে জানানো হয়।
এর আগে ২০২১ সালে জাতিসংঘের মাদকদ্রব্য বিষয়ক কমিশন, ইউনিসেফ ও ইউএন উইমেনের নির্বাহী বোর্ডে নির্বাচিত হয় বাংলাদেশ। জাতিসংঘের মাদকদ্রব্য বিষয়ক কমিশন (সিএনডি) ৫৩ সদস্যের একটি সংস্থা। কমিশনটি বৈশ্বিক মাদকদ্রব্য পরিস্থিতি পর্যালোচনা ও বিশ্লেষণ, সরবরাহ ও চাহিদা হ্রাস বিবেচনা এবং রেজুলেশন ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের মাধ্যমে এ বিষয়ক সমস্যার সমাধানে পদক্ষেপ নিয়ে থাকে। এর সদরদপ্তর ভিয়েনায় অবস্থিত।

আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষক অধ্যাপক ইমতিয়াজ আহমেদ মনে করেন, বাংলাদেশের বিশ্বঅঙ্গনে যে পরিচিতি বেড়েছে তাতে করে নানা ফোরামে দায়িত্ব নেওয়া, সদস্য হওয়াটাই স্বাভাবিক। তিনি বলেন, স্বাভাবিকভাবে দেশ হিসেবে মর্যাদার জায়গায় পৌঁছেছে। বাণিজ্য সম্পর্ক বিভিন্ন দেশের সাথে বেড়েছে। ফলে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক ফোরামের সদস্য হওয়া অস্বাভাবিক না। তার এখন যে এগিয়ে যাওয়া তাতে করে বাংলাদেশ চাইবে বিভিন্ন ফোরামে যেনো থাকা যায়। বর্তমান বিশ্বকাঠামোতে যতবেশি বন্ধুরাষ্ট্র হয় তাতে বাংলাদেশের সুবিধাই হবে।




আলমডাঙ্গায় চাঁদা না দেওয়ায় ব্যবসায়ীর বাড়িতে বোমা হামলা, গ্রেপ্তার ৩

আলমডাঙ্গার ভোগাইল বগাদি পান ব্যবসায়ীর নিকট ১ লাখ টাকা চাঁদার দাবিতে বাড়িতে বোমা হামলাকারী তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শনিবার থানাপুলিশ তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে তাদের গ্রেপ্তার করে।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- উপজেলার ভাংবাড়িয়া ইউনিয়নের ভোগাইল বগাদি গ্রামের আব্দুল্লাহ’র ছেলে রকিবুল ইসলাম (৩৬), একই ইউনিয়নের সাহেবপুর গ্রামের মৃত রমজান আলীর ছেলে রাজ্জাক আলী (৪৩) ও মেহেরপুর জেলার গাংনী থানার সাহারবাটী এলাকার মৃত বিল্লাল হোসেনের ছেলে স্বপন আলী (৩৩)। আজ শনিবার দিবাগত রাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে।

পুলিশ জানায়, উপজেলা ভাংবাড়িয়া ইউনিয়নের ভোগাইল বগাদি গ্রামের মিন্টু হোসেন তিনি একজন পান ব্যবসায়ী। গত ২০ সেপ্টেম্বর থেকে বেশ কয়েকদিন মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ১ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিল কে বা কারা। উক্ত চাঁদার টাকা না পেয়ে গত ২৮শে সেপ্টেম্বর রাতে দুস্কৃতিকারীরা মিন্টুর বাড়িতে বোমা হামলা করে। ঘটনার পর থেকে মিন্টু ও তার পরিবার ভিতস্থ হয়ে পড়ে। অজ্ঞাত ব্যক্তি পুলিশের জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোনের মাধ্যমে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশকে অবগত করেন। গতকাঅল শুক্রবার রাতে চাঁদা দাবি ও বোমা হামলা সংক্রান্ত একটি মামলা আলমডাঙ্গা থানায় রুজু হয় ।

আরো জানান, মামলার পরপরই পুলিশ তদন্ত শুরু করে । তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে মামলার ৬ ঘন্টার ব্যবধানে বোমা হামলাকারী তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে তাদের চুয়াডাঙ্গা কোর্টে প্রেরণ করা হয়।

আলমডাঙ্গা থানার পরিদর্শক (ওসি) বিপ্লব কুমার নাথ জানান, শুক্রবার রাত ৯ টার দিকে চাঁদা ও বোমা হামলার ঘটনায় একটি মামলা রুজু হয়। ওই রাতেই পুলিশের এক্সপার্ট অফিসারেরা তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে মামলার ৬ ঘন্টার মধ্যে তিনজন আসামীকে গ্রেপ্তার করেন। তারা চুয়াডাঙ্গা আদালতের বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট স্বীকারোক্তি দিয়েছে।




আলমডাঙ্গার জামজামি ইউনিয়নে কর্মী সভায় এমপি ছেলুন 

আলমডাঙ্গার জামজামি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের আয়োজনে কর্মী সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শনিবার বিকেলে ঘোষবিলা মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে এ কর্মি সভা অনুষ্ঠিত হয়।

কর্মী সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমপি ছেলুন জোয়ার্দ্দার বলেন,জামজামি ইউনিয়নের এই কর্মি সমাবেশ আজকে জনসভায় রুপ নিয়েছে। আমি খুবই খুশি হয়েছি। আপনারা সকলেই যদি ঐক্যবদ্ধভাবে মাঠে থাকেন তাহলে সকল অপশক্তিকে মোকাবেলা করা সম্ভব হবে। আজকে দেশে নানা ষড়যন্ত্র হচ্ছে,সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে আবারও নৌকায় ভোট দিয়ে আওয়ামীলীকে ক্ষমতায় আনতে হবে।

আমরা দেশের জন্য অনেক কিছু করেছি। আজকে বিএনপি জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে। তারা ক্ষমতায় থেকে জনগণের জন্য কিছুই করেনি। বিএনপি ওয়ালাদের বলি অতো দাপিয়ে না বেড়িয়ে নির্বাচনে আসেন। জনগণ যদি আপনাদের ভোট দেয় আমরা অবশ্যই ক্ষমতা হস্তান্তর করে চলে যাবো। আপনারা তো নির্বাচনে আসবেন না, কারণ আপনারা জনগণের জন্য কিছুই করেন নি।

তিনি বলেন,উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে আওয়ামীলীকে ক্ষমতায় আনতে হবে।সেজন্য প্রত্যেক নেতাকর্মিকে মানুষের কাছে গিয়ে নৌকায় ভোট চাইতে হবে।

জামজামি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা দিদার আলীর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুদুজ্জামান লিটু বিশ্বাস, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম খাঁন, আলমডাঙ্গা উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আবু মুছা, সাধারণ সম্পাদক ইয়াকুব আলী, জেলা আওয়ামীলীগ নেতা আরশাদ উদ্দিন চন্দন,,চুয়াডাঙ্গা পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আলাউদ্দিন হেলা, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের,জেলা যুবলীগের সাবেক আহবায়ক আরেফিন আলম রঞ্জু,জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আব্দুর রশীদ,জামজামি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক রাহাব উদ্দিন।

জামজামি ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা ডেভিড মেম্বারের উপস্থাপনায় কর্মি সভায় বক্তব্য রাখেন জামজামি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান বাবলু চৌধুরী, আওয়ামীলীগ নেতা শাহারুজ্জামান শাহানুর,শহিদুল ইসলাম,রতন শাহ,লাল্টু রহমান,রবিউল ইসলাম,শ্যামল কুমার, আলমডাঙ্গা পৌর আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক সাইফুর রহমান পিন্টু, মাসুদ রানা তুহিন,আলমডাঙ্গার ছাত্রলীগ নেতা আব্দুল্লাহ আল হোসাইন বাদসা,হাসান, সাকিব, রঞ্জু প্রমুখ




আলমডাঙ্গার কালিদাসপুর ইউনিয়নে কর্মী সভায় এমপি ছেলুন

আলমডাঙ্গার কালিদাসপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের আয়োজনে কর্মি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শনিবার সকাল ১১ টায় কালিদাসপুর রুপনগর মাঠে এ কর্মি সভা অনুষ্ঠিত হয়।

কর্মী সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমপি ছেলুন জোয়ার্দ্দার বলেন,কালিদাসপুর ইউনিয়নে আজকে এ কর্মি সমাবেশ অত্যন্ত সফল হয়েছে। একটি সংগঠনের প্রাণ হলো কর্মি। আজকে এই কর্মি সমাবেশ থেকে আমাদের শপথ নিতে হবে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আবার আওয়ামীলীগকে ক্ষমতায় আনতে হবে। উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে শেখ হাসিনার কোন বিকল্প নেই। আমাদের নেত্রী আজ ১৫ বছর ক্ষমতায় আছে।এই ১৫ বছরে এই দেশে যে উন্নয়ন হয়েছে, সেই উন্নয়ন কী আর কেউ করেছে। কেউ করেনি। বিএনপি ভোটের আগে বলেছে,ওই রাস্তা হয়ে যাবে। দুই গাড়ি ইট আর বালি ফেলে রেখেছে। যে ভোট হয়ে গেছে আর সেই রাস্তা করেনি। আমরা যা বলি তাই করি। আজকের এই সভায় বক্তারা বলেছেন এই ইউনিয়নে কী কী উন্নয়ন হয়েছে, আজকে আওয়ামীলীগ যখনই ক্ষমতায় আসে তখনই দেশের উন্নয়ন হয়। এই কালিদাসপুর ইউনিয়নের মানুষ সন্ত্রাসীদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ ছিল। রাতে ঘুমাতে পারে নাই। আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসার পর সন্ত্রাস দমন হয়েছে। মানুষ আজ সুখে শান্তিতে বসবাস করছে। সেজন্য আওয়ামীলীগকে ক্ষমতায় আনেত শেখ হাসিনার হাত শক্তিশালী করতে বঙ্গবন্ধুর নৌকায় ভোট দিতে হবে।

কালিদাসপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি জয়নাল আবেদীনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুদুজ্জামান লিটু বিশ্বাস, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম খাঁন, আলমডাঙ্গা উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আবু মুছা, সাধারণ সম্পাদক ইয়াকুব আলী, জেলা আওয়ামীলীগ নেতা আরশাদ উদ্দিন চন্দন,,চুয়াডাঙ্গা পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আলাউদ্দিন হেলা, আলমডাঙ্গা পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন, চুয়াডাঙ্গা পৌর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের,জেলা যুবলীগের সাবেক আহবায়ক আরেফিন আলম রঞ্জু,জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আব্দুর রশীদ, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কাজী মারজাহান নিতু,কালিদাসপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আশাদুল হক মিকা।

কালিদাসপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান শামীমেন পরিচালনায় কর্মি সভায় বক্তব্য রাখেন কালিদাসপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাবেক আহবায়ক জালাল উদ্দিন, সাবেক যুগ্ম আহবায়ক ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম,উপজেলা যুবলীগের সাবেক আহবায়ক আহসান উল্লাহ,ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সহসভাপতি মোল্লা এমদাদুল হক,সাংগঠনিক সম্পাদক এমদাদ হোসেন, রুবেল হোসেন,কালিদাসপুর ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা এরশাদ আলী, ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ নেতা আশাদুল হক,আলমডাঙ্গা পৌর আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক সাইফুর রহমান পিন্টু, মাসুদ রানা তুহিন, আলমডাঙ্গা পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি নয়ন সরকার, আলমডাঙ্গার ছাত্রলীগ নেতা আব্দুল্লাহ আল হোসাইন বাদসা,হাসান, সাকিব, রঞ্জু, আব্দুল করিম,নাজিম উদ্দিন প্রমুখ।




প্রাথমিক শিক্ষার মাধ্যমেই শিশুদের মেধা ও মননশীলতার বিকাশ ঘটে

‘প্রাথমিক শিক্ষার মাধ্যমেই শিশুদের মেধা ও মননশীলতার বিকাশ ঘটে। তাদের সুপ্ত প্রতিভার বিকাশ ঘটাতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ভূমিকা সবার আগে। দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার মানোন্নয়ন ও অবকাঠামোগত উন্নয়নে সরকার সবোর্চ্চ গুরুত্বারোপ করেছে। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২৬ হাজার ১৯৩টি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সরকারিকরণ করেছেন। ১লা জানুয়ারিতেই সারাদেশে বই বিতরণের ঐতিহাসিক সাফল্য সারাবিশ্বকে হতবাক করে দিয়েছে।

গতকাল শনিবার সকালে মেহেরপুর পৌর কমিউনিটি সেন্টারে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের করণীয় শীর্ষক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।

 তিনি  বলেন, ”একজন প্রাইমারী শিক্ষক যে কত দামী সেটা কিন্তু সকলে মাপতে পারে না। এটি মাপার জন্য সুশিক্ষিত যোগ্যতাসম্পন্ন মানুষের প্রয়োজন। ‘

মেহেরপুর স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মোঃ শামীম হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন মেহেরপুর জেলা পুলিশ সুপার মোঃ রাফিউল আলম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক (আইটিসি) মোঃ কাদের মিয়া, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার রুহুল আমিন, মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ খালেক সহ জেলার বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকগণ।




দামুড়হুদা উপজেলায় এসএসসি পরীক্ষায় কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা

দামুড়হুদার বিভিন্ন স্কুল থেকে চলতি বছরে এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ ৫প্রাপ্ত কৃতি শিক্ষার্থীদের কে সংবর্ধনা দেয়া হয়েছে।

আজ শনিবার বেলা ১১টার দিকে দামুড়হুদার মোক্তারপুর বাজারস্থ ইনসাইট ইন্টারন্যাশনাল একাডেমির আয়োজনে উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ ৫প্রাপ্ত ৯৭জন শিক্ষার্থীদেরকে সংবর্ধনা দেয়া হয়।

ইনসাইট ইন্টারন্যাশনাল একাডেমির চেয়ারম্যান এ্যাড. মোহাম্মদ আসাদুল্লাহ’র সভাপতিত্বে কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যাপক মোঃ জাহাঙ্গীর আলম। মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের প্রভাষক মোঃ সাইফুল্লাহ মুনছুরের পরিচালনায় এসময় বিশেষ অতিথি ছিলেন দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সাহিদা খাতুন, দর্শনা ডিএস ফাজিল মাদরাসার প্রভাষক মোঃ আক্তারুজ্জামান, ইনসাইট ইন্টারন্যাশনাল একাডেমির প্রিন্সিপাল মোঃ আব্দুল্লাহ তাবরিজ খান।

এসময় উপস্থিত ছিলেন মোক্তারপুর ৮নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি সুলতান আহমেদ সহ স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষক-শিক্ষিকা, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ প্রমূখ।




মার্কিন ভিসানীতি প্রয়োগে অসাংবিধানিক পন্থা উৎসাহিত করা হচ্ছে

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রস্তুতির পূর্বেই সরকারকে পঙ্গু করে দিতে চাইছে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ ও তার দেশীয় মিত্ররা। সাংবিধানিক ধারায় যখন শান্তিপূর্ণ নির্বাচন ব্যবস্থা গড়ে তুলতে চাইছে। ঠিক তখনই ভিসানীতি স্যাংশনের নামে নানাবিধ বিধি আরোপ করে চলেছে আমেরিকা ও পশ্চিমা দেশসমূহ।

শনিবার বিকেলে মেহেরপুর জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির উদ্যোগে গাংনীতে লাল পতাকা মিছিল ও সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য প্রদানকালে কথাগুলো বলেন বাংলাদেশ, ওয়ার্কার্স পার্টির পলিট ব্যুরোর সদস্য জননেতা নুর আহমদ বকুল।

জননেতা নুর আহমদ বকুল তার বক্তব্যেই আরো বলেন,সরকার নির্বাচন করতে ব্যর্থ হলে,দেশে অসংবিধানিক সরকার প্রতিষ্ঠা হবে। তাই দেশে স্বাধীনতা-সার্বোভৌমত্ব রক্ষায় মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সবাই এখনই আরো বেশি করে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

মেহেরপুর জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি কমরেড আব্দুল মাবুদ এর সভাপতিত্বে সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও কুষ্টিয়া জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক হাফিজ সরকার।

এসময় বক্তব্য রাখেন মেহেরপুর জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক কমরেড মজনুল হক মজনু, সদস্য কমরেড আব্দুর রহিম মাস্টার , সদস্য নুরুন নাহার, জেলা যুবমৈত্রীর সাংগঠনিক সম্পাদক শামসুজ্জামান প্রমুখ।




প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনে মিরপুর উপজেলা ছাত্রলীগের বৃক্ষরোপণ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৭ তম জন্মদিন উপলক্ষে কুষ্টিয়ার মিরপুরে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন করেছে মিরপুর উপজেলা ছাত্রলীগ।

গতকাল শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) এ উপলক্ষে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ফলজ ও বনজ বৃক্ষ রোপণ করেন তারা।

মিরপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আসলাম আরেফীন এর নেতৃত্বে এ কর্মসূচি পালিত হয়।

বৃক্ষ রোপণ কর্মসূচির বিষয়ে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আসলাম আরেফীন বলেন, প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার ৭৭তম জন্মদিন উপলক্ষে আমার নেতা মিরপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কামারুল আরেফীনের নির্দেশে আমরা উপজেলা ছাত্রলীগ বিভিন্ন এলাকায় বৃক্ষরোপণ করেছি। বৈশ্বিক উষ্ণতা নিয়ন্ত্রনে বৃক্ষ রোপনের কোন বিকল্প নাই তাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ সবুজায়নের পক্ষে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। বৃক্ষরোপণের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ভিশন ২০৪১ তথা ক্ষুধা ও দারিদ্র্যতা মুক্ত উন্নত বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে সবুজয়ানের বিষয়টি সাধারণ শিক্ষার্থীদের মাঝে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। এছাড়াও কুষ্টিয়ার উন্নয়নের রুপকার মাহবুব আলম হানিফ এমপি মহদয়ের সবুজায়ন কুষ্টিয়া গড়তে এটি আমাদের একটি ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা।

প্রধানমন্ত্রীর সুস্বাস্থ্য, দীর্ঘায়ু ও উত্তরোত্তর সফলতা কামনা করে ছাত্রলীগের সভাপতি আসলাম আরেফীন আরও বলেন, পরম করুণাময় আল্লাহতা’লা তার সহায় হোন। যাতে তিনি দেশ থেকে ক্ষুধা ও দারিদ্র্য মুক্ত, দুর্নীতি, সন্ত্রাস নির্মূল করতে পারেন এবং দেশবাসীকে সুশাসন, সামাজিক ন্যায়বিচার ও উন্নত জীবন গঠনে সহায়তা করতে পারেন।




পিটার হাস আসলে মেনেনডেজের পরিকল্পনায় হাঁটছেন

পিটার হাস সম্পর্কে নতুন করে বলার কিছু নেই। বলছি বটে বলার নেই, কিন্তু যতক্ষণ তিনি যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত হিসেবে বাংলাদেশে আছেন, ততক্ষণ না বলেও উপায় নেই। বাংলাদেশের ওপর বিভিন্ন ধাপে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার জন্য পিটার হাস আলোচিত এক নাম। একটু পিছন ফিরে দেখলেই স্পষ্ট হয় যে, বাংলাদেশে আসার পর থেকেই পিটার হাস একের পর এক বিভিন্ন অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে অপতৎপরতা শুরু করেন। এই অপতৎপরতা বাংলাদেশের জন্য কখনও কখনও বেশ বিব্রতকর হয়েছে। দেশের গণমাধ্যমে এই বিষয়ে একাধিক প্রতিবেদনও প্রকাশিত হয়েছে।

গতবছর ১৪ ডিসেম্বর সকালে রাজধানীর শাহীনবাগে প্রায় এক দশক ধরে নিখোঁজ বিএনপির নেতা সাজেদুল ইসলামের বাসায় গিয়েছিলেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস। সেখান থেকে বেরিয়ে আসার সময় বাসার বাইরে একদল লোক তাকে ঘিরে ধরার চেষ্টা করেন। পরে নিরাপত্তাকর্মীদের সহায়তায় তিনি সেখান থেকে বেরিয়ে যান।

শুধু বাংলাদেশ নয় রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা এই বিষয়ে তার বক্তব্য স্পষ্ট করেছেন। তিনি বলেছেন, রাষ্ট্রদূতের শাহীনবাগে (১৪ ডিসেম্বর ২০২২) যাওয়াটা বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের হস্তক্ষেপ চেষ্টার শামিল। রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের মানবাধিকার সুরক্ষার কথা বলে ক্রমেই দেশটির অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের চেষ্টা করছেন।

আর কোনো দেশ এই বিষয়ে কথা না বললেও মারিয়া জাখারোভার কঠোর বক্তব্যে এটা স্পষ্ট যে, পিটার হাস প্রথমত বাংলাদেশে মানবাধিকার সুরক্ষার কথা বলে ক্রমেই অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করছে। দ্বিতীয়ত, পিটার হাস কারো এজেন্ডা নিয়ে এই কাজ করছে। যে এজেন্ডার কারণে পিটার হাস একের পর এক বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা জারি করছে।

কেনো পিটার হাস এমন? এইবার আসি পিটার হাসের নিযুক্ত হওয়ার বিষয়ে। বাইডেন প্রশাসন ৪টি দেশে রাষ্ট্রদূত নিযুক্ত করার বিষয়টি অনুমোদনের জন্য মার্কিন সিনেটে উত্থাপন করেন। বাংলাদেশ, ভারত, চিলি ও ফ্রান্স। পিটার ডি হাস, এরিক এম. গারসেতি, ডেনিস ক্যাম্পবেল, বেরনাডেটে এম. মিহান এই চার জনকে নির্বাচন করা হয়। ৯ জুলাই ২০২১, প্রেসিডেন্ট বাইডেন চার জনকে মার্কিন রাষ্ট্রদূত করার আগ্রহ প্রকাশ করেন। ১৩ জুলাই ২০২১, প্রস্তাবটি সিনেটে আসে এবং সিনেট এই প্রস্তাব পররাষ্ট্র বিষয়ক কমিটিতে পাঠায়। ২০ অক্টোবর ২০২১, দীর্ঘ চার মাসে বারবার আলোচনার পরেও কমিটি শুনানিতে বিষয়টি সিদ্ধান্ত ছাড়াই শেষ হয়। ৩ নভেম্বর ২০২১, অবশেষে সিনেটর মেনেনডেজের ব্যক্তিগত উদ্যোগ ও ক্যাম্পেইনের ফলে কমিটি এই ১৪ জনের প্রস্তাব অনুমোদন করেন। ১৮ ডিসেম্বর ২০২১, কণ্ঠভোটে সিনেটে প্রস্তাবগুলো পাস হয়। এই যে সিনেটর মেনেনডেজের ব্যক্তিগত উদ্যোগ ও ক্যাম্পেইনের ফলে কমিটি এই ১৪ জনের প্রস্তাব অনুমোদন করেন। এখানে যে প্রশ্নটি সবার আগে সামনে আসে তাহলো, কেন সিনেটর মেনেনডেজের ব্যক্তিগত উদ্যোগে এই কাজ করলেন?

কেন এই কাজ করলেন সেই উত্তর দেওয়ার আগে সিনেটর মেনেনডেজ সম্পর্কে বলে নেওয়া ভালো, মেনেনডেজ হচ্ছে সেই লোক যিনি ৪ লাখ ৮০ হাজার ডলারসহ ধরে পড়েন। শুধু তাই নয়, স্বর্ণ কেলেঙ্কারিতে সিনেটর মেনেনডেজের নামও জড়িত। সবচেয়ে ভয়ংকর হলো, মিশরে যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক ও বাণিজ্যিক বিষয়ে তথ্য পাচার করা এবং অর্থ লেনদেন। এই অর্থ লেনদেনে জড়িত ছিলেন মেনেনডেজের স্ত্রী নাদিন আর্সলানিয়ান।

মেনেনডেজ প্রথম আইনশৃঙ্খলা বাহিনী র‌্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা শুরু করেন এরপর পিটার হাস একের পর এক নিষেধাজ্ঞা তালিকা বর্ধিত করতে থাকেন। এ যেন মেনেনডেজের দেখানো পথেই পিটার হাস হাঁটছেন।

যে দুটি বিষয় আলোচনায় আসেনি তা হলো, বাইডেন যে চার জনকে রাষ্ট্রদূত নিযুক্ত করার বিষয় আগ্রহ দেখান সেই চার জনের মধ্যে পিটার হাসের ক্যারিয়ার বাকিদের চেয়ে দুর্বল। পিটার ডি হাস ছিলেন সিনিয়র ফরেন সার্ভিসের ক্যারিয়ার সদস্য এবং একই সাথে স্টেট ডিপার্টমেন্টের অর্থনৈতিক ও ব্যবসা বিষয়ক প্রিন্সিপাল ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এর আগে, হাস স্টেট ডিপার্টমেন্টের বাণিজ্য নীতি ও আলোচনার জন্য সিনিয়র উপদেষ্টা / উপ-সহকারী সচিব ছিলেন।

সিনিয়র উপদেষ্টা / উপ-সহকারী সচিব থেকে পিটার হাসের এত দ্রুত কীভাবে পদায়ন হয় তাও ভাববার বিষয়। কে এই পদায়নের পেছনে যুক্ত ছিল তাও অনুমান করা যায়। আরও জানার বিষয় হলো, ২১ মার্চ ২০২৩, রাজধানীর এক হোটেলে পিটার হাস ‘দুর্নীতি দূর করতে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজে আগ্রহী যুক্তরাষ্ট্র’ এইরকম বক্তব্য দেন। প্রশ্ন হলো, পিটার হাস যার সুপারিশে বাংলাদেশে এসেছেন সেই মেনেনডেজের দুর্নীতির খবর সারা পৃথিবী জানে। তবে কি বিষয়টা এইরকম যে, পিটার হাস বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন সুবিধা পাইয়ে দিতে বা কোনো বিশেষ মহলের সুবিধার জন্য কাজ করছিলেন?

এই সন্দেহ সরিয়ে দেওয়ার উপক্রম নেই, পিটার হাস আসলে মেনেনডেজের পরিকল্পনায় হাঁটছেন এবং মেনেনডেজের মতো দুর্নীতি বিরোধী কাজের কথা বলে বিভিন্ন উপঢৌকন বা ব্যবস্থার বিষয় হাসিল করতে চাইছেন। এইসব বিষয় যতটা সরলভাবে আমরা ব্যাখ্যা করছি তারচেয়েও অধিক অজানা বিষয় এখনও লুকিয়ে আছে মেনেনডেজ আর পিটার হাসের মধ্যকার লুকায়িত প্রস্তাব বা উদ্দেশ্যের মধ্যে। তাও আমাদের জানা প্রয়োজন।

লেখক: গণমাধ্যমকর্মী।