রোহিঙ্গা ইস্যুতে ইজরা জেয়ার এতো আবদার কেন?

রোহিঙ্গা ইস্যুতে ইজরা জেয়ার আবদার ও বাংলোদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যৌক্তিক অবস্থান। আবদারটি কী ছিলো? আবদার হলো, তিনি বলছেন বৈঠকে তাঁরা রোহিঙ্গা পুনর্বাসনে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের জন্য ১১৬ মিলিয়ন ডলার বরাদ্দ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

২২ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ সময় দুপুর তিনটার পরে উজরা জেয়ার সঙ্গে বৈঠকের খবর প্রকাশিত হয়। যেখানে বলা হয়, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বেসামরিক নিরাপত্তা, গণতন্ত্র এবং মানবাধিকারসংক্রান্ত আন্ডার সেক্রেটারির দুটি প্রধান বিষয়ে আলাপ হয়েছে। একটি হলো রোহিঙ্গা সমস্যা ও আরেকটি হলো আসন্ন নির্বাচন সুষ্ঠু ও বাকস্বাধীনতা নিশ্চিত করা। বৈঠকের ঘন্টা দুয়েক পরে বাংলাদেশের মিডিয়ার খবরে ভেসে আসে যে সংবাদ তাহলো- মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর থেকে বাংলাদেশি নাগরিকদের ওপর মার্কিন ভিসা নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করার ঘোষণা। বুঝতে সমস্যা হয় না, ঘোষিতভাবে এই পদক্ষেপ বাংলাদেশের প্রতি মার্কিন ভিসা নীতির ধারাবাহিকতারই অংশ। বলা হয়, এই নীতি মূলত প্রযোজ্য হবে গণতান্ত্রিক এবং নির্বাচনী প্রক্রিয়াগুলোর সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের ওপর। এরপরে যে প্রশ্নটি সামনে আসে- তবে কী উজরা জায়ার সঙ্গে বৈঠকে এমন কিছু ঘটেছে যা ভিসানীতি কার্যকরের ঘোষণা ত্বরান্বিত করেছে।

প্রশ্নগুলো নিয়ে আলোচনায় বসলে সবার আগে যেটি সামনে আসে তাহলো রোহিঙ্গা ইস্যুতে ইজরা জেয়ার আবদার ও বাংলোদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যৌক্তিক অবস্থান। আবদারটি কী ছিলো? আবদার হলো, তিনি বলছেন বৈঠকে তাঁরা রোহিঙ্গা পুনর্বাসনে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের জন্য ১১৬ মিলিয়ন ডলার বরাদ্দ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কিন্তু তিনি পাশাপাশি এও বলছেন, রোহিঙ্গাদের উন্নত জীবিকা নিশ্চিত করতে তাদের কর্মসংস্থান সৃষ্টির করতে হবে। এবং পাশাপাশি পাদটীকা হিসেবে যুক্ত করছেন যে, রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানো শুরু করার আগে তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার প্রয়োজন। ভারতীয় বংশোদ্ভূত এই মার্কিন কর্মকর্তার সঙ্গে জাতিসংঘ সদর দফতরের দ্বিপাক্ষিক কক্ষে ২০ মিনিটের এ বৈঠকে রোহিঙ্গা সংকট ও নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হয়। বৈঠকে উজরা জেয়া জানান, মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের জন্য নিরাপদ প্রত্যাবাসনের পরিস্থিতি এখনও প্রস্তুত নয়।

আচ্ছা, উজরা জেয়ার যদি মনে হয়, নিরাপদ প্রত্যাবাসনের পরিস্থিতি প্রস্তুত নয়, সেক্ষেত্রে এককভাবে বাংলাদেশের করণীয় কি? রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশের অভ্যন্তরে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা? একটা দেশে বিশেষ পরিস্থিতিতে যে রিফ্যুজি জনগোষ্ঠীকে জায়গা দেওয়া হলো, সাত বছর ধরে তাদের ভালোভাবে টিকে থাকার ব্যবস্থাদি দেখভাল করা হলো, তাদের একার দায়িত্ব সেই জনগোষ্ঠীকে ‘অ্যাবজর্ব’ করে নেওয়া? বাংলাদেশের জন্য সেটা হুমকিরা কিনা, নিরাপত্তাহীনতা আছে কিনা সেসব বিবেচনায় নিবে কে?

জেয়ার সাথে ওই বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী স্পষ্ট করে বলেন, ‘আমাদের অগ্রাধিকার হচ্ছে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে প্রত্যাবাসন করা।’

নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা বরাবরই বলছেন, যদি প্রত্যাবাসন দীর্ঘায়িত হয় তবে এ অঞ্চল নিরাপত্তা–হুমকির মধ্যে পড়বে। কারণ, রোহিঙ্গারা ইতিমধ্যে বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েছে। যার মধ্যে রয়েছে হত্যা, আগ্নেয়াস্ত্র চোরাচালান ও মাদক ব্যবসা। রোহিঙ্গারা হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছে।

এর আগে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশনের ফাঁকে বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ, কানাডা, গাম্বিয়া, মালয়েশিয়া, তুরস্ক, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র জাতিসংঘ সদর দপ্তরে রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে ‘তারা কি আমাদের ভুলে গেছে?’ শীর্ষক উচ্চ পর্যায়ের এক ইভেন্ট আয়োজন করে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, একদিকে রোহিঙ্গাদের জন্য আর্থিক সহায়তা কমছে, অন্যদিকে তাদের প্রত্যাবাসনে ধীরগতিতে বাংলাদেশ উদ্বিগ্ন। রোহিঙ্গা সংকটের একটি টেকসই সমাধান নিশ্চিত করতে নিরাপত্তা পরিষদ ও সাধারণ পরিষদের প্রস্তাব বাস্তবায়নের পাশাপাশি রোহিঙ্গাদের নিজ মাতৃভূমি মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনে সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টার আহ্বানও জানান তিনি। বাংলাদেশের এই অবস্থানের জন্য কি তাকে চাপে ফেলা যায়? আশ্রয় দিয়ে এতো মানুষের জীবন বাঁচিয়ে বিশ্বমোড়লদের কাছ থেকে এই পরামর্শ কীভাবে মোকাবিলা করবে বাংলাদেশ।

২২ সেপ্টেম্বর জেয়ার সঙ্গে বৈঠকে আরেকটি বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে যেখানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, অংশ না নিয়ে বিএনপিসহ বিরোধীরা দেশে অশান্তি সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে। কিন্তু অশান্তি সৃষ্টি না করে সুষ্ঠু নির্বাচন করতে সবার সহযোগিতা জরুরি। এবং প্রধানমন্ত্রী সুষ্ঠু নির্বাচন হবে বলেও দৃঢ়তা দেখান। এরপর যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের বেসামরিক নিরাপত্তা, গণতন্ত্র ও মানবাধিকারবিষয়ক এই আন্ডার সেক্রেটারি আজরা জেয়া সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) দেওয়া এক পোস্টে জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ‘অবাধ ও সুষ্ঠু’ নির্বাচনের গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করেছেন।

এরপরপরই ভিসানীতি নিষেধাজ্ঞা নিয়ে ঘোষণা আসে। দুটো ঘটনার ধারাবাহিকতায় প্রশ্ন তৈরী হয় এই ভিসানীতি সরকারকে প্রত্যক্ষ চাপে ফেলার কৌশল হিসেবে ছিলো কিনা। একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশের আভ্যন্তরীণ দুই ইস্যুকে ধরে নিষেধাজ্ঞার আওতায় ফেলার প্রতিক্রিয়াও সেকারণে ছিলো বেশ কড়া। ঘোষণার পর প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশও জানে কীভাবে নিষেধাজ্ঞা দিতে হয়, ওরা হয়তো তা জানেন না। তাই আগামী নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করা হলে বাংলাদেশের জনগণও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে। আমরা দেখতে চাই, দেশের বাইরে থেকেও যেন কোনো চেষ্টা না হয়। যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে শুক্রবার বিকেলে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

ফলে সেখানে বলা প্রধানমন্ত্রীর কয়েকটি বাক্য স্মরণ রাখা খুব জরুরি। শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশে এখন অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলের কোনো সুযোগ নেই। আইন লঙ্ঘনকারীদের শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে। বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি ও সংবিধান লঙ্ঘন করে কেউ যদি ক্ষমতায় আসে, তাহলে তাকে শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে। এটি ভুলে গেলে চলবে না। শুধু নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি ছাড়া অন্য কেউ বিকল্প উপায়ে ক্ষমতায় আসতে চাইলে তাদের শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে।




মেহেরপুরে বিএনপি’র সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল 

বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে প্রেরণের দাবিতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে মেহেরপুরে সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে জেলা বিএনপি।

আজ রবিবার ২৪ সেপ্টেম্বর বিকালে শহরের কলেজ মোড়ে একটি সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শেষে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। সমাবেশের পর বিক্ষোভ মিছিলটি এক কথায় জনসমুদ্রের পরিণত হয়।

সমাবেশে মাসুদ অরুণ বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় কারাগারে আটক রাখা হয়েছে। তার উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশ যাওয়া প্রয়োজন। অনতিবিলম্বে খালেদা জিয়ার মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশের প্রেরণের অনুমতি দিতে হবে। নির্দলীয় তত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া দেশে কোন নির্বাচন হতে দেয়া হবে না। সমাবেশে যে লোক সমাগম হয়েছে, তারা এসেছে ভালোবাসা থেকে। মাসুদ অরুন কখনো টাকা দিয়ে মানুষ আনে না।’

বিক্ষোভ মিছিলে নেতৃত্ব দেন সাবেক এমপি ও জেলা বিএনপির সভাপতি মাসুদ অরুণ। বিক্ষোভ মিছিলটি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ হয়। জেলা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি জাভেদ মাসুদ মিল্টন, সাংগাঠনিক সম্পাদক অ্যাড. মারুফ আহম্মেদ বিজন, পৌর বিএনপির সভাপতি জাহাঙ্গীর বিশ্বাসসহ দলীয় নেতা-কর্মীরা বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নেয়।




জীবননগরের উথলী বালিকা বিদ্যালয়ে নারী সমাবেশ অনুষ্ঠিত

স্মার্ট বাংলাদেশ ও ভিশন ২০৪১ এসডিজি মোতাবেক উন্নত রাষ্ট্র ও জাতি গঠনে দেশের অগ্রগতি, অর্জন, সাফল্য ও লক্ষ্য সমূহের সাথে জনসম্পৃক্ততা বৃদ্ধি এবং ডেঙ্গু প্রতিরোধ, মানবপাচার, মাদক, সন্ত্রাস, গুজব, অপপ্রচার, ইভটিজিং ও বাল্যবিয়ে প্রতিরোধ বিষয়ে নারী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ রোববার সকাল সাড়ে ১০ টার সময় চুয়াডাঙ্গা জেলা তথ্য অফিসের আয়োজনে উথলী মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের মুক্ত মঞ্চে ওই নারী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জীবননগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী মো. হাফিজুর রহমান। এ সময় তিনি বলেন, নারীর ক্ষমতায়ন, নারীর অধিকার ও সামাজিক নিরাপত্তা প্রদানে আওয়ামী লীগ সরকার নিরলসভাবে কাজ করে আসছেন। নারী পাচার, ইভটিজিং ও বাল্যবিয়ে এখন অনেকটাই কমে এসেছে।সরকার নারীদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করে তাদের স্বাবলম্বী করে গড়ে তুলেছে। একটি অসাধু চক্র বিভিন্ন গুজব ও অপপ্রচার ছড়িয়ে দেশের সম্মান ক্ষুন্ন করার চেষ্টা করছে। আপনারা কেউ এই ধরনের গুজবে কান দিবেন না। নারীদের সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত করতে বর্তমান সরকার নারীদের বিধবা ভাতা, মাতৃত্বকালীন ভাতাসহ বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা প্রদান করে আসছেন। আমাদের দেশে জনসংখ্যার অর্ধেক পুরুষ ও অর্ধেক নারী। সরকারের সকল উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে নারীদের সম্পৃক্ত আরও বাড়াতে হবে।

অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা তথ্য অফিসার শিল্পী মন্ডল। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, সারা বিশ্বে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল। টেকসই উন্নয়নের অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জন করে ২০৪১ সালে আমরা পৌঁছে যাবো উন্নত দেশের কাঙ্খিত গন্তব্যে। উন্নয়নের এই ধারায় নারীদের সম্পৃক্ততা বৃদ্ধি করতে হবে।মানবপাচার, মাদক, সন্ত্রাস, গুজব, অপপ্রচার, ইভটিজিং ও বাল্যবিয়ে প্রতিরোধ করে নারীদের সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উথলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আব্দুল হান্নান, চুয়াডাঙ্গা খাদ্য নিয়ন্ত্রক সজিব পাল, উথলী মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি সাংবাদিক সালাউদ্দীন কাজল, উথলী মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক লুৎফর রহমান, সাংবাদিক আকিমুল ইসলাম, বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য সেলিম হোসেন, মাহফুজুর রহমান, আলমগীর হোসেন, এনামুল হক, মুসলিমা খাতুন প্রমুখ। সমাবেশে দু’ শতাধিক নারী উপস্থিত ছিলেন।




ঢাকায় নিয়োগ দেবে আবুল খায়ের গ্রুপ

নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছেআবুল খায়ের গ্রুপ। প্রতিষ্ঠানটিতে টেরিটরি সেলস অফিসার পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। আগ্রহী প্রার্থীরা আবেদন করতে পারেন।

পদের নাম

ম্যানেজমেন্ট ট্রেইনি অফিসার (এইচআর)।

যোগ্যতা

কোনো স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিএ বা স্নাতকোত্তর ডিগ্রি থাকতে হবে। এ ছাড়া কম্পিউটারে এমএস-ওয়ার্ডে কাজের দক্ষতা থাকতে হবে। বয়স ২৪-৩২ বছর।

কর্মস্থল

ঢাকা, গাজীপুর।

আবেদনের পদ্ধতি

আগ্রহী প্রার্থীরা এই লিংকে গিয়ে আবেদন করতে পারবেন।

আবেদনের সময়সীমা

২৯ সেপ্টেম্বর,২০২৩।




আলমডাঙ্গায় চোরাই মোবাইলসহ যুবক আটক

আলমডাঙ্গার বাবুপাড়া এলাকায় পুলিশের অভিযানে আন্তঃজেলা চোরাই মোবাইল ক্রয়-বিক্রেতা আলম হোসেন নামের এক যুবককে আটক করেছে।

আজ রবিবার দুপুর ২ টার দিকে পৌর এলাকা থেকে দুটি চোরাই মোবাইল ও নগত ১৫ শত ৬০ টাকা উদ্ধার করে পুলিশ।

আটকৃত যুবক পাবনা জেলার লাউদাড়া থানার দ্বীপচর এলাকার শহিদুল ইসলামের ছেলে আলম হোসেন (৩৪)। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে বলে জানাগেছে।

পুলিশ জানায়, আলমডাঙ্গা পৌর এলাকার বাবুপাড়ার লক্ষণ কর্মকারের দোকানের নিকট চোরাই মোবাইল ক্রয়-বিক্রয় হচ্ছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সঞ্জিত কুমার সাহা সঙ্গীয় ফোর্স অভিযান চালায়। এসময় ওই এলাকা থেকে আলম হোসেন নামের এক যুবককে আটক করে। তার নিকটে থাকা দুটি মোবাইলের সঠিক তথ্য দিতে ব্যর্থ হয়।

পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে সে চোরাই ফোন ক্রয়-বিক্রয় করেন বলে স্বীকার করেন। তার নিকটে থাকা দুটি মোবাইল জব্দ সহ ১৫ শত ৬০ টাকা উদ্ধার করে পুলিশ। যুবক আলমের বিরুদ্ধে আলমডাঙ্গা থানায় চুরি আইনে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। আজ সোমবার সংশ্লিষ্ট মামলায় কোর্ট পাঠাবে পুলিশ।




বিপিএলের দশম আসরের প্লেয়ার্স ড্রাফট; কোন দলে কারা খেলবেন

বিপিএলের দশম আসরের প্লেয়ার্স ড্রাফট হয়ে গেল রোববার। ঢাকার একটি হোটেলে ড্রাফটের মাধ্যমে সাত ফ্র্যাঞ্চাইজি দল সাজিয়েছে। ড্রাফটের বড় খবর- বিসিবির ড্রাফট তালিকায় ‘এ’ শ্রেণিতে থাকা মুশফিকুর রহিমকে দলে নিয়েছে তামিম ইকবালের ফরচুন বরিশাল।

‘বি’ শ্রেণির ক্রিকেটার আফিফ হোসেন খেলবেন খুলনা টাইগার্সে। একই শ্রেণির ক্রিকেটার রনি তালুকদার খেলবেন রংপুর রাইডার্সের হয়ে। গতবারের চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ড্রাফট থেকে দলে ভিড়িয়েছে ইমরুল কায়েসকে।

তবে ড্রাফট থেকে দল না পাওয়া ক্রিকেটারদের মধ্যে আলোচিত নাম মুমিনুল হক ও সাব্বির রহমান।

দেখে নেওয়া যাক ড্রাফটের পর কেমন হলো বিপিএলের সাত দল।

কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স

ধরে রাখা ও সরাসরি চুক্তি: লিটন দাস, মোস্তাফিজুর রহমান, তানভীর ইসলাম, মোহাম্মদ রিজওয়ান, সুনীল নারাইন, তাওহিদ হৃদয়, মঈন আলী, আন্দ্রে রাসেল, ইফতিখার আহমেদ, জামান খান, খুশদিল শাহ, জনসন চার্লস, নুর আহমেদ, নাসিম শাহ, রশিদ খান।
ড্রাফট থেকে: মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী, জাকের আলী, মাহিদুল ইসলাম, রিশাদ হোসেন, রাকিম কর্নওয়াল, ম্যাথু ওয়াল্টার ফোর্ড, ইমরুল কায়েস, মুশফিক হাসান, এনামুল হক।

দুর্দান্ত ঢাকা

ধরে রাখা ও সরাসরি চুক্তি: তাসকিন আহমেদ, আরাফাত সানি, শরীফুল ইসলাম, মোসাদ্দেক হোসেন, চতুরঙ্গা ডি সিলভা, সায়েম আইয়ুব, উসমান কাদির।

ড্রাফট থেকে: সাইফ হাসান, ইফরান শুক্কুর, আলাউদ্দিন বাবু, মেহরাব হোসেন, লাহিরু সামারাকুন, সাদিরা সামারাবিক্রমা, মোহাম্মদ নাঈম, সাব্বির হোসেন, জসিমউদ্দিন।

চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স

ধরে রাখা ও সরাসরি চুক্তি: শুভাগত হোম, জিয়াউর রহমান, নিহাদউজ্জামান, শহীদুল ইসলাম, মোহাম্মদ হারিস, নাজিবউল্লাহ জাদরান, মোহাম্মদ হাসনাইন, স্টিভ এসকিনাজি।

ড্রাফট থেকে: তানজিদ হাসান, আল আমিন হোসেন, সৈকত আলী, ইমরানুজ্জামান, কার্টিস ক্যাম্ফার, বিলাল খান, শাহাদাত হোসেন, সালাউদ্দিন শাকিল।

খুলনা টাইগার্স

ধরে রাখা ও সরাসরি চুক্তি: নাসুম আহমেদ, নাহিদুল ইসলাম, মাহমুদুল হাসান, এনামুল হক, এভিন লুইস, ফাহিম আশরাফ, ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা, শাই হোপ, মোহাম্মদ ওয়াসিম জুনিয়র।

ড্রাফট থেকে: আফিফ হোসেন, রুবেল হোসেন, পারভেজ হোসেন, হাবিবুর রহমান, কাসুন রাজিতা, দাসুন শানাকা, মুকিদুল ইসলাম, আকবর আলী, সুমন খান।

রংপুর রাইডার্স

ধরে রাখা ও সরাসরি চুক্তি: নুরুল হাসান সোহান, শেখ মাহেদী হাসান, হাসান মাহমুদ, আজমাতউল্লাহ ওমরজাই, নিকলাস পুরান, সাকিব আল হাসান, বাবর আজম, এহসানউল্লাহ, মাথিশা পাথিরানা, ব্রেন্ডন কিং, ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা।

ড্রাফট থেকে: রনি তালুকদার, শামীম হোসেন, রিপন মণ্ডল, হাসান মুরাদ, মিশেল রিপন, ইয়াসির মোহাম্মদ, আবু হায়দার, ফজলে রাব্বি, আশিকুজ্জামান।

ফরচুন বরিশাল

ধরে রাখা ও সরাসরি চুক্তি: মাহমুদউল্লাহ, মেহেদী হাসান মিরাজ, খালেদ আহমেদ, ইব্রাহিম জাদরান, তামিম ইকবাল, শোয়েব মালিক, পল স্টার্লিং, ফখর জামান, মোহাম্মদ আমির, আব্বাস আফ্রিদি, দুনিত ভেল্লালাগে।

ড্রাফট থেকে: মুশফিকুর রহিম, রকিবুল হাসান, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, সৌম্য সরকার, ইয়ানিক ক্যারিয়াহ, কামরুল ইসলাম, প্রিতম কুমার, তাইজুল ইসলাম, প্রান্তিক নওরোজ, দিনেশ চান্দিমাল।

সিলেট স্ট্রাইকার্স

ধরে রাখা ও সরাসরি চুক্তি: মাশরাফি বিন মুর্তজা, জাকির হাসান, তানজিম হাসান, নাজমুল হোসেন, রায়ান বার্ল, বেন কাটিং, হ্যারি টেক্টর।
ড্রাফট থেকে: মোহাম্মদ মিঠুন, রেজাউর রহমান, আরিফুল হক, ইয়াসির আলী, রিচার্ড এনগারাভা, দুশান হেমন্ত, নাজমুল ইসলাম, শফিকুল ইসলাম, নাঈম ইসলাম, জাওয়াদ রোয়েন, সালমান হোসেন।




মেহেরপুর জেলা জাতীয় পার্টির দ্বিবার্ষিক সম্মেলন

মেহেরপুর জেলা জাতীয় পার্টি দ্বিবার্ষিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। রবিবার বিকেলে মেহেরপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে জেলা জাতীয় পার্টি দ্বিবার্ষিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

জেলা জাতীয় পার্টি আহবায়ক আব্দুল হামিদের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি কেন্দ্রীয় কমিটির প্রেসিডিয়াম সদস্য মীর আব্দুস সবুর আসুদ।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় কমিটি কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান মোবারক হোসেন আজাদ, প্রধান বক্তা হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব গোলাম মোহাম্মদ রাজু, বিশেষ বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ন দপ্তর সম্পাদক সমরেস মন্ডল মানিক, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী সদস্য শেখ হুমায়ুন কবির শাওন, চুয়াডাঙ্গা জেলা জাতীয় পার্টি আহ্বায়ক এ্যাড. সহরাব হোসেন।

সম্মানিত বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন  বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মেহেদী হাসান শিপন, মেহেরপুর জেলা জাতীয় পার্টি যুগ্ন আহবায়ক আব্দুল হাদী।

জেলা জাতীয় পার্টি দ্বিবার্ষিক সম্মেলন সঞ্চালনা করেন মেহেরপুর জেলা জাতীয় পার্টির যুগ্ন আহবায়ক কেতাব আলী ও জেলা জাতীয় পার্টি সদস্য আব্দুল মান্নান।

এছাড়াও মেহেরপুর জেলা উপজেলা এবং ইউনিয়ন পর্যায়ের জাতীয় পার্টি বিভিন্ন নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।




পরীর ‘পাফ ড্যাডি’ বন্ধে আইনি নোটিশ

ঢালিউডের আলোচিত নায়িকা পরীমণি অভিনীত ওয়েব সিরিজ ও সিনেমা ‘পাফ ড্যাডি’র প্রচার, সম্প্রচার ও প্রদর্শন বন্ধ করতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জয়নাল আবেদীন মাযহারী। লিগ্যাল নোটিশ পাওয়ার তিন দিনের মধ্যে পরীমণি অভিনীত ওয়েব সিরিজটির প্রচার ও প্রদর্শন বন্ধের ব্যবস্থা চেয়েছেন তিনি। তিনি জানান, ওয়েব সিরিজটি বেশ কয়েকদিন ধরে একটি ওটিটি প্ল্যাটফর্মে সম্প্রচার হচ্ছে।

সংবাদ মাধ্যম অনুযায়ী, রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) ই-মেইলের মাধ্যমে ও ডাকযোগে বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানি লিমিটেডের (বিটিসিএল) চেয়ারম্যান ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর, ওটিটি প্ল্যাটফর্ম বঙ্গবিডির ব্যাবস্থাপনা পরিচালক, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডের চেয়ারম্যান, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যানকে বিবাদী করা হয়।

আইনি নোটিশে বলা হয়, “সুনির্দিষ্ট নীতিমালা না থাকার সুযোগে সুকৌশলে পরবর্তী প্রজন্মের মাঝে অশ্লীলতা ছড়িয়ে তাদের বিপথে নেওয়ার মানসে এবং সহজে টাকা উপার্জনের জন্য একটি মহল ওটিটি প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করছে। সম্প্রতি এই প্ল্যাটফর্মে অসংখ্য অশ্লীল ওয়েব ফিল্ম রিলিজ হয়েছে। আমাদের প্রাপ্ত তথ্য মতে এমন অসংখ্য মুভি রয়েছে। এসব প্ল্যাটফর্মের প্রায় সকল মুভিতেই কমবেশি যৌন সুড়সুড়ির দৃশ্যসহ ব্যাপকহারে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানা, দেশি সংস্কৃতিবিরোধী গল্প ও দৃশ্য উপস্থাপন করা হয়। ‘পাফ ড্যাডি’ মুভিতে কোনো পজিটিভ মেসেজ ছিল না! প্রদর্শিত বিষয়গুলোর মধ্যে অন্যতম নেগেটিভ মেসেজ হলো, বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ককে প্রমোট করা, বিয়েতে অনুৎসাহিত করা, আধ্যাত্মিক মণীষীর চরিত্রকে অত্যন্ত বাজেভাবে হরণ করা, প্রতি মুহূর্তে যৌন সুড়সুড়ির দৃশ্য উপস্থাপন করা। এ ছাড়া ওই মুভিতে আর কোনো মেসেজ নেই। যা নতুন প্রজন্মের জন্য অশনিসংকেত। বৃহৎ স্বার্থে নিম্নোক্ত নির্দেশনা বাস্তবায়নের জন্য আপনার হস্তক্ষেপ একান্ত কাম্য।”

নোটিশে আরও লেখা হয়েছে, “আগামী তিন দিনের মধ্যে ‘পাফ ড্যাডি’ ওয়েব সিরিজের প্রদর্শনী বন্ধ করা। সেন্সর বোর্ড পুনর্গঠন করে তাতে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে পারদর্শী ব্যক্তি কমপক্ষে আইন বিষয়ে অভিজ্ঞ এবং ধর্মীয় পণ্ডিত যুক্ত করা। ওটিটি প্ল্যাটফর্মসহ ইউটিউব/ফেসবুকে অর্থাৎ অনলাইনে প্রদর্শনের জন্য নির্মিত সব ভিডিওর জন্য সেন্সর নীতিমালা প্রণয়ন করে কঠোরভাবে প্রয়োগ করা। কোনো শৈল্পিক ছোঁয়াবহির্ভূত অশ্লীল ইঙ্গিতবাহী সব অডিও/ভিডিও/গল্প/কার্টুন/পিকচার আপলোডের নীতিমালা প্রণয়ন করা। এসব অডিও/ভিডিও/গল্প/কার্টুন/পিকচার আপলোড করা হলে ফিল্টারিংয়ের মাধ্যমে যাচাই-বাছাই করে দ্রুত মুছে ফেলা ও দোষীকে আইনের আওতায় আনাসহ সময়োপযোগী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।”

এ বিষয়ে আইনজীবী জয়নাল আবেদিন মাযহারী গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে বলেন, ‘এটি দায়িত্ববোধ থেকে করেছি। আমাদের সন্তানরা কী দেখছে? এসব নিয়ে কথা না বললে এটা অব্যাহত থাকবে। আমরা চাই, চলচ্চিত্র নির্মাণ কর্তৃপক্ষ নিয়মনীতির আওতায় সুস্থ ধারার চলচ্চিত্র আনুক। আমাদের সন্তানরা যেন ওইসব চলচ্চিত্র দেখে কিছু শেখে। এসব চলচ্চিত্রে কী শেখার আছে। আমি আশাবাদী, কর্তৃপক্ষ বিষয়টি দেখে এসব বন্ধ করবে।’

ওয়েব সিরিজিটি পরিচালনা করেছেন সহিদ উন নবী। এতে নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছেন আজাদ আবুল কালাম। তাকে ঘিরেই যত রহস্য। উঠতি নায়িকা থেকে তরুণ রাজনীতিক, সবাই সাহায্যের জন্য তার কাছে ছুটে আসে। এই ‘বাবা’র আশীর্বাদ পেলেই যেন জাদুকরী উপায়ে প্রসন্ন হয়ে যায় সবার ভাগ্য!

সিরিজে উঠতি নায়িকা টিনার চরিত্রে আছেন পরীমণি। যিনি তার সিনেমা হিট করানোর জন্য ‘পাফ ড্যাডি’র সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হন। তাদের অন্তরঙ্গ দৃশ্যও উঠে এসেছে কাহিনীতে। ওটিটি প্ল্যাটফর্ম বঙ্গবিডিতে অবমুক্ত করা হয় এটি।




অ্যামাজন প্রাইমে চালু হচ্ছে বিজ্ঞাপনভিত্তিক সাবস্ক্রিপশন

স্ট্রিমিং প্লাটফর্মে আয় নিয়ে বহুদিন ধরেই আলোচনা চলছে। নানা পন্থায় আয় বাড়ানোর বিষয়ে ইতোমধ্যে বহু কথা চলছে। টিভি বা অন্যান্য মাধ্যমে যেভাবে বিজ্ঞাপনে আয় হয় তা নিয়েও ভাবছে অনেকে।

সম্প্রতি অ্যামাজন প্রাইম নতুনভাবে বিজ্ঞাপনভিত্তিক সাবস্ক্রিপশন প্ল্যান চালু করছে। নতুন এই পদ্ধতিতে সাবস্ক্রিপশন ফি কম দিয়ে অনেকে কন্টেন্ট দেখতে পারবেন। সেজন্য কন্টেন্ট দেখার সময় তাদের বিজ্ঞাপন দেখতে হবে। ২০২৪ সালে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা ও জার্মানিতে প্রথম এমন সুবিধা চালু হবে। তারপর ইউরোপের ইতালি, স্পেন, ফ্রান্স। স্পেন এবং মেক্সিকোতে চালু হবে।

এমাজন জানিয়েছে তারা এখনই পরিবর্তন আনছে না। নতুন প্রাইজে পরিবর্তন আনার আগে অ্যামাজন ব্যবহারকারীদের জানিয়ে দেবে। স্ট্রিমিং সিস্টেমের দামে পরিবর্তন আসছে। যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবহারকারীরা অবশ্য ২ দশমিক ৯৯ ডলার বেশি খরচ করলে এখনও বিজ্ঞাপন ছাড়াই স্ট্রিমিং উপভোগের সুযোগ পাবেন।

সূত্র: দ্য ভার্জ




মেহেরপুরে পানির আর্সেনিক এবং আয়রন মুক্ত করণ স্থাপনার উদ্বোধন

মেহেরপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় পানির আর্সেনিক এবং আয়রন মুক্তকরণ স্থাপনার উদ্বোধন ও অভিভাবক সমাবেশের আয়োজন করা হয়।

রবিবার সকালে মেহেরপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে উদ্বোধন ও অভিভাবক সমাবেশের আয়োজন করা হয়।

জেলা প্রশাসক মোঃ শামীম হাসানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন এমপি।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার পিপিএম সেবা মোঃ রাফিউল আলম।

অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর জেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ আব্বাস উদ্দিন, মেহেরপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ শরিফুল ইসলাম।

এ সময় স্বাগত বক্তব্য রাখেন মেহেরপুর ইম্প্যাক্ট ফাউন্ডেশনের প্রশাসক শরিফুল ইসলাম।

পানির আর্সেনিক এবং আয়রন মুক্তকরণ স্থাপনার উদ্বোধন ও অভিভাবক সমাবেশে সঞ্চালনা করেন সুলতানা রাজিয়া টনি। এছাড়াও মেহেরপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীর  অভিভাবকরা উপস্থিত ছিলেন।

মেহেরপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে পানির আর্সেনিক এবং আয়রন মুক্তকরণ স্থাপনার বাস্তবায়ন করেন বাংলাদেশ ইম্প্যাক্ট ফাউন্ডেশন মেহেরপুর প্রোগ্রামার।