কাজী নজরুল ইসলামের জন্মতিথি উদযাপনে মেহেরপুরে বাংলা একাডেমীর মহাপরিচালক

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৪ তম জন্ম তিথি উৎযাপন উপলক্ষে মেহেরপুর নজরুল একাডেমির উদ্যোগে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার ২২ সেপ্টেম্বর রাতে মেহেরপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমী মিলনাতনে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক মোহাম্মদ নুরুল হুদা তার বক্তব্যে বলেন,’কাজী নজরুল ইসলামের বল বীর, বল উন্নত মম শির কবিতাকে যিনি অন্তরে ধারন করেছিলেন তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বঙ্গবন্ধুর সাতই মার্চের ভাষণে আমি নিজে শুনেছিলাম বল বীর বল উন্নত মম শিরের ভাবার্থ যা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার ভাষণে বলেছিলেন যারা বিদেশ থেকে এসে দেশ দখল করেছে, যারা হানাদার তাদের কে তাড়াতে হবে।’

প্রধান অতিথির বক্তব্যে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের সাহিত্য, কবিতা ও গান নিয়ে বিশদ আলোচনার পাশাপাশি জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের রসবোধ নিয়েও আলোচনা করেন। এছাড়াও প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘শিল্পকলা একাডেমীর মহাপরিচালক মেহেরপুর শিল্পকলা একাডেমিতে এসেছেন এটা মেহেরপুর বাসির জন্য অত্যন্ত গর্বের ও আনন্দের।’

মেহেরপুর নজরুল একাডেমীর সভাপতি ড.গাজী রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। অনুষ্ঠানের উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলা একাডেমীর মহাপরিচালক মোহাম্মদ নুরুল হুদা। এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম, বাংলা একাডেমীর পরিচালক ড.আমিনুর রহমান, কথা সাহিত্যিক রফিকুর রশিদ, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড.বাকী বিল্লাহ বিকুল, অধ্যাপক ড. ইয়াসমিন আরা সাথী, মেহেরপুর সরকারি কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আল আমিন।




এনটিভির উদ্দীপনামূলক পুরস্কার পেলেন রেজ আন উল বাসার তাপস

দ্রুততম সময়ে মিলিয়ন ভিউয়ের মাইলফলক অর্জন করা ভিডিও বিবেচনায় উদ্দীপনামূলক পুরস্কার পেয়েছেন এনটিভির মেহেরপুরের রেজ আন উল বাসার তাপস।

গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে এনটিভির প্রধান কার্যালয়ে রেজ আন উল বাসার তাপসসহ পুরস্কার প্রাপ্তদের হাতে নগদ অর্থ তুলে দেওয়া হয়। এনটিভির পরিচালক আলহাজ্ব নুরুদ্দীন আহমেদ ও মো. আশফাক উদ্দিন আহমেদ প্রত্যেক কর্মীর হাতে এ পুরস্কার তুলে দেন।

এ সময় অনলাইনে যুক্ত ছিলেন এনটিভির চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলহাজ্ব মোহাম্মদ মোসাদ্দেক আলী ও তাঁর কন্যা রোজা আলী সামাভিয়া। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এনটিভির সব বিভাগের প্রধান ও দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সময়ের সাথে আগামীর পথে’ বস্তুনিষ্ঠ তথ্যবহুল সংবাদ তুলে ধরার পাশাপাশি দ্রুত সময়ে তা জনসাধারণের আরও কাছে পৌঁছে দিতে কাজ করছে দর্শকনন্দিত বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল এনটিভি। এরই মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সর্বোচ্চ গ্রহণযোগ্যতায় পৌঁছেছে এর ফেসবুকে পেজ, ছুঁয়েছে দুই কোটির বেশি মানুষের হৃদয়। শুধু সংবাদই না, বিভিন্ন অনুষ্ঠানের বিশেষ মুহূর্তের ভিডিও দর্শকের মন জয় করে হচ্ছে ভাইরাল। ডিজিটাল প্লাটফর্মে মুগ্ধতা ছড়িয়ে যাদের ভিডিওচিত্র অধিক ভাইরাল হচ্ছে, তাদের উৎসাহ বাড়িয়ে দিতে উদ্দীপনামূলক পুরস্কার দিচ্ছে জনপ্রিয় টেলিভিশন চ্যানেলটি। তারই ধারাবাহিকতায় এনটিভির চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলহাজ্ব মোহাম্মদ মোসাদ্দেক আলীর নির্দেশনায় এবার ৩৪ জন পেলেন এই পুরস্কার।




দামুড়হুদায় দৈনিক পশ্চিমাঞ্চল পত্রিকার ১৭তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন

দক্ষিন পশ্চিমাঞ্চলের জনপ্রিয় দৈনিক পশ্চিমাঞ্চল পত্রিকার ১৭তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার রাত ৮ টার সময় দৈনিক পশ্চিমাঞ্চল পত্রিকার দামুড়হুদা অফিসের আয়োজনে অফিস কক্ষে কেক কেটে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন করা হয়।

দৈনিক পশ্চিমাঞ্চল পত্রিকার দামুড়হুদা প্রতিনিধি মোঃ আরিফুল ইসলাম মিলন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি আলমগীর কবীর। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মডেল থানার নবাগত ওসি তদন্ত শেখ মাহাবুবুর রহমান, দর্শনা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও জাতীয় দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকার দামুড়হুদা উপজেলা প্রতিনিধি মো: মনিরুজ্জামান ধীরু।

এসময় অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন, দৈনিক পশ্চিমাঞ্চল পত্রিকার কার্পাসডাঙ্গা প্রতিনিধি মেহেদী হাসান মিলন, সাংবাদিক বিল্লাল হোসেন, দৈনিক জনতার ইশতেহার পত্রিকার দামুড়হুদা প্রতিনিধি রাজু আহাম্মেদ, সাংবাদিক মিরাজ রায়হান প্রমূখ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন দৈনিক পশ্চিমাঞ্চল পত্রিকার হাউলী প্রতিনিধি আনারুল ইসলাম।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি আলমগীর কবীর বলেন, দেশের যেকোনো উন্নয়নমূলক কাজ বা ভালো-মন্দ এবং সম্ভাবনা সবকিছুই আমরা সাংবাদিকদের লেখনির দ্বারা পত্রিকার মাধ্যমে দেশের মানুষ সবকিছু জানতে পারে। তাই সাংবাদিক এবং সংবাদপত্র দেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে। আমরা যারা আইনের লোক আছি তারা সব সময় চাই সাংবাদিকদের মাধ্যমে সংবাদপত্রে যেন বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করা হয়। আপনারা কেউ ভুল তথ্য দিয়ে কোন সংবাদ পরিবেশন করবেন না। আমি দৈনিক পশ্চিমাঞ্চল পত্রিকার উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি কামনা করছি। সাংবাদিক পুলিশ আমরা ভাই ভাই, আমরা সবাই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দেশের উন্নয়নে কাজ করবো, আজ দৈনিক পশ্চিমাঞ্চল পত্রিকার প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে এই হোক আমাদের সকলের প্রত্যয়।




দামুড়হুদায় দুরারোগে আক্রান্ত ৩৮জন রোগীর মাঝে চেক বিতরণ

দামুড়হুদায় দুরারোগ্য আক্রান্ত রোগীদের মাঝে আর্থিক সহায়তার চেক বিতরণ করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১২টার দিকে দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে আনুষ্ঠানিক ভাবে আর্থিক সহায়তার চেক বিতরণ করা হয়।

দামুড়হুদা উপজেলা সমাজসেবার আয়োজনে উপজেলার দুরারোগে আক্রান্ত ৩৮জন রোগীরে ১৯লাখ টাকার চেক প্রদান করা হয়। চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য হাজী মো আলি আজগর টগর প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে চেকগুলো বিতরণ করেন।

এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলী মুনছুর বাবু, দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রোকসানা মিতা।দর্শনা পৌর সভার মেয়র আতিয়ার রহমান হাবু, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সাহিদা খাতুন, উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি সজল কুমার দাস, উপজেলা সমাজসেবা অফিসার তোফাজ্জেল হোক,উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শারমিন আক্তার, দামুড়হুদা সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হযরত আলী, দামুড়হুদা সদর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক শফিউল কবীর ইউসুফ, দামুড়হুদা প্রেসক্লাবের সভাপতি এম নুরুন্নবী, উপজেলা আওয়ামীলীগের অন্যতম নেতা সেলিম উদ্দিন বগা।




আলমডাঙ্গায় আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্টিত

আলমডাঙ্গা উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে (মাসিক) আইন শৃঙ্খলা কমিটির সভা অনুষ্টিত হয়েছে । আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টায় উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এসময় বুধবার আলমডাঙ্গা সরকারি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে দুই পক্ষের শিক্ষকের মারামারির ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে কমিটির সদস্যরা। এছাড়াও উপজেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পূর্বের তুলনায় ভালো হওয়ায় প্রশংসা করেছে উপস্থিত ইউপি চেয়ারম্যানবৃন্দ। এছাড়াও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা করেছে উপস্থিত উপজেলা পরিষদের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানবৃন্দ ও পুলিশ প্রশাসন। সার্বিক বিষয় গুলো উপজেলা প্রশাসনের নিকট উপস্থাপন করেন কমিটির নেতৃবৃন্দরা ।

মাসিক আইনশৃঙ্খলা (মাসিক) সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহি অফিসার স্নিগ্ধা দাস। এছাড়াও প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদের ভাইসচেয়ারম্যান সালমুন আহম্মেদ ডন।

তিনি বলেন, পূর্বের তুলনায় বর্তমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিত অনেকটা ভালো। তবে উপজেলায় মাদক বিক্রেতাদের গ্রেপ্তার না করে, সেবীদের গ্রেপ্তার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। কিন্তু প্রকৃতি মাদক ব্যবসায়ীরা ধরা ছোঁয়ার বাইরে থাকছে। এতে সমাজ থেকে মাদক বন্ধ করা যাবে না। মাদক নির্মূল করা কঠিন। মাদক নিয়ন্ত্রণ করতে যথাযথ গুরুত্বর ভূমিকা গ্রহণ করতে হবে উপজেলা ও পুলিশ প্রশাসনকে।

তিনি আরো বলেন,’ আলমডাঙ্গা সরকারি স্কুলের শিক্ষক শিক্ষকে মারামারি ঘটনাটি বিভিন্ন পত্রিকায় ফলাও করে প্রকাশিত হয়েছে। এটা খুবই দুঃখজনক ঘটনা। বিভিন্ন সময় স্কুল কেন্দ্রীক এমন ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ও স্কুলের প্রধান শিক্ষককে কঠোর ভাবে হস্তক্ষেপ করা উচিত।

আলমডাঙ্গা সরকারি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক ও শিক্ষকে মারামারির ঘটনায় উপজেলা নির্বাহি অফিসার স্নিগ্ধা দাস প্রথমেই দুঃখ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ঐতিহ্যগত স্কুলটিতে কোন শৃঙ্খলা নেই। বিভিন্ন সময় ওই স্কুলের দুই গ্রুপের শিক্ষক কিংবা শিক্ষক ও স্কুল ছাত্রীদের নিয়ে বিভিন্ন অভিযোগ ওঠে। তবে, দুই পক্ষের শিক্ষকের মারামারির ঘটনায় তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন এই কর্মকর্তা।
এসময় আলমডাঙ্গা উপজেলায় পুলিশের সার্বিক শৃঙ্খলা নিয়ে থানার পরিদর্শক (ওসি) বিপ্লব কুমার নাথ বলেন, আমরা আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সার্বিক চেস্টা করে যাচ্ছি। ইতিপূর্বে চাইতে আলমডাঙ্গায় অপরাধ প্রবণতা অনেক কমেছে।

মাসিক আইনশৃঙ্খলা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কাজী মারজাহান নিতু, ডাঃ নাজনীন সুলতানা, কৃষি অধিদফতরের কর্মকর্তা রেহানা পারভীন, উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) আরিফুদ্দৌলা।

প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা এনামুল হকের উপস্থাপনায় সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপজেলা প্রানী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ আব্দুল্লাহিল কাফি, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার শামসুজ্জোহা, ডিপিএইচই আশিবুজ্জামান, ভিডিপির (পরিদর্শক) আজিজুল হাকিম, ডাঃ মঞ্জুরুল হক বেলু, বি-আর ডিবি কর্মকর্তা সায়লা সারমিন, তথ্য আপা কেন্দ্রের কর্মকর্তা স্নিগ্ধা দাস, ইউপি চেয়ারম্যান তরিকুল ইসলাম, আবু সাইদ পিন্টু, আলমডাঙ্গা সরকারি ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক ড. মাহবুবুর রহমান, মহিলা কলেজের প্রভাষক সেলিম হোসেন, পৌরসভার কাউন্সিলর খন্দকার মজিবুল হক ,উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জিয়াউল হক, ইউপি চেয়ারম্যান আশিকুর রহমান ওল্টু, তাফসির আহম্মেদ লাল, সরোয়ার হোসেন, শাহিনুর রহমান, মখলেছুর রহমান শিলন, শেখ আসাবুল হক মিকা, মাহমুদুল হাসান চঞ্চল, মিনহাজ উদ্দিন, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা আলাউদ্দিন, আলমডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক হামিদুল ইসলাম আজম, সরকারি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রবিউল ইসলাম, বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মনিরুজ্জামান প্রমুখ।




দর্শনায় ৫০ লিটার রেকটিফাইড স্পিরিট, ৬ বোতল ফরেন লিকারসহ গ্রেফতার ১

চুয়াডাঙ্গার দর্শনায় ৬ বোতল বিলাতি মদ ও ৫০লিটার রেকটিফাইড স্পিরিট সহ একজনকে গ্রেফতার করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর।

জানাগেছে আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে দর্শনা কেরু এন্ড কোম্পানি কোয়াটার থেকে তাকে গ্রেফতার করে।দর্শনা কেরুজ ই-টাইপ ৩৫ নং বাসা থেকে তাকে ৬ বোতল বিলাতি মদ ও ৫০লিটার রেকটিফাইড স্পিরিট বাড়ির ভিতর থেকে উদ্ধার করে।

গ্রেফতার ওয়াসিমকে উদ্ধারকৃত মাদকসহ দর্শনা থানায় হস্তান্তর করেন এবং মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপ পরিদর্শক আকবর হোসেন বাদী হয়ে দর্শনা থানায় একটি নিমিত মামলা দায়ের করেন।

গ্রেফতারকৃত ওয়াসিম (৩০) দর্শনা পৌরসভার আনোয়ারপুর এলাকার মো. আব্দুর রহিমের ছেলে।

চুয়াডাঙ্গা জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, পরিদর্শক নাজমুল হেসেন খান ও উপপরিদর্শক সাহারা ইয়াসমিন ও আকবর হোসেনের নেতৃত্বে দর্শনা থানাধীন বিভিন্ন এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান চালিয়ে এ সব মাদক উদ্ধার করে। এসময় কেরু কোম্পানির ই-টাইপ ৩৫ নং বাসা থেকে ৬ বোতল ফরেন লিকার বিলাতি মদ ও ৫০লিটার রেকটিফাইড স্পিরিট উদ্ধার সহ ওয়াসিম নামের একজনকে গ্রেফতার করে।

চুয়াডাঙ্গা জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। এ ঘটনায় দর্শনা কেরু এ্যান্ড কোম্পানীর ব্যাবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ মোশারেফ হোসেন বলেন এ বিষয়ে আমার কাছে সসমাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রনের এডি ফোন করেছিলো আমি বলেছি মাদকের বিষয়ে কোন প্রকার আপোষ নেই আপনাদের মতো আপনারা ব্যাবস্থা নিন। কোন প্রকার কেরুর ভিতরে মাদক ব্যাবসা চলবে না।

গতকালই তাকে মাদক আইনে মামলাসহ চুয়াডাঙ্গা কোর্ট হাজতে প্রেরন করেছে।




শেখ হাসিনা সেদিন সীমান্ত খুলে না দিলে কী হতো!

২০১৭ সালের ১২ সেপ্টেম্বরে কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের দেখতে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেইদিনের তার চোখে মুখে ছিলো এক অন্যরকম মায়া। ভাষাগত দুরত্বের পরেও মানুষকে কীভাবে কাছে টেনে নিতে হয় সেইদিন তা দেখিয়েছিলেন মানবিক প্রধানমন্ত্রী ও মমতাময়ী শেখ হাসিনা। গত ছয় বছর ধরে তার সরকার যেভাবে লক্ষ লক্ষ নারী শিশু রোহিঙ্গাকে আগলে রেখেছেন, বারবার একটা প্রশ্ন সামনে আসে- কী হতো সেদিন, যদি বাংলাদেশের সীমান্ত খুলে দেওয়া না হতো।

রোহিঙ্গা নারীর বয়ানে শোনা যায়- চারপাশে ধোয়া। গুলি। একের পর এক গ্রাম পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। যে যেভাবে পেরেছি, পালিয়ে এসেছি। আমরা নিঃস্ব।

এই মানুষগুলো তখন এমন আস্থা খুঁজছিলেন, যারা তাদের আবারও তাড়িয়ে দিবে না। রোহিঙ্গাদের সামনে দাঁড়িয়ে প্রথমদিন কী বলেছিলেন শেখ হাসিনা? উদ্বাস্তু রোহিঙ্গাদের থাকার ব্যবস্থা তখনও পুরোপুরি হয়নি। তিনি বলেন, ‘স্বজন হারানোর বেদনা আমি বুঝি৷ ঘরবাড়ি হারিয়ে যেসব রোহিঙ্গা এখানে এসেছেন, তারা সাময়িক আশ্রয় পাবেন৷ আপনারা যাতে নিজ দেশে ফিরে যেতে পারেন, সে ব্যাপারে চেষ্টা চলছে”

একজন রিফিউজির দুঃখ-কষ্ট তিনি বোঝেন। কারণ, ১৯৭৫ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর তিনি এবং তার ছোটবোন শেখ রেহানা রিফিউজি হিসেবে ছয় বছর বিদেশে থাকতে বাধ্য হয়েছিলেন। মিয়ানমারের রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী পৃথিবীর অন্যতম অত্যাচারিত এবং নিপীড়িত একটি জাতিসত্তার নাম। রোহিঙ্গাদের ওপর জাতিগত নিধন কোনো নতুন বিষয় নয়। বিগত চার দশকের বেশি সময় বিষয়টি সাময়িক মনে করা হলেও এখন তা স্থায়ী সমস্যা হিসেবে বিরাট আকার ধারণ করেছে। সেটা বিশ্বনেতৃত্বের অজানা নয়।

২০১৭ সালের আগস্টে মিয়ানমারের রাখাইনে তথাকথিত আরসা নাটকের মাধ্যমে রোহিঙ্গানিধন শুরু হলে পরবর্তী কয়েক মাসে দফায় দফায় সাড়ে সাত লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী বাংলাদেশে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অনেক দেশের মতো বাংলাদেশ তখন সাগরে ভাসমান রোহিঙ্গা জাহাজকে ফের সাগরে ঠেলে দিতে পারেনি। অনেকে বলতে চেষ্টা করেছেন, এতো মানুষকে আশ্রয় দিয়ে বোকামি করেছে বাংলাদেশ। বলতে চেষ্টা করেছে এতে করে সার্বভৌমত্ব খর্ব হতে পারে। জঙ্গি উত্থানের শঙ্কার কথাও বলেন কেউ কেউ। কিন্তু একবারও ভেবে দেখেছি সেইদিন যদি সীমান্ত খুলে দেওয়ার নির্দেশ শেখ হাসিনা না বলতেন তবে কী ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি তৈরি হতো। মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয় দিয়েছিল শেখ হাসিনার সরকার। এছাড়া গত ৫০ বছরে আরও তিন দফায় প্রায় চার লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী বাংলাদেশে ঢুকেছে। সবমিলিয়ে বাংলাদেশে এখন সাড়ে ১১ লাখ রোহিঙ্গা অবস্থান করছে। প্রতিবারই সহিংসতা এড়াতে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে ঢুকলেও এসব সহিংসতা ও নিপীড়নের অভিযোগ সবসময়ই অস্বীকার করে গেছে মিয়ানমার সরকার।

শেখ হাসিনা সেদিন এতো মানুষের জায়গা করে দিয়েছিলেন ঠিকই কিন্তু ভাবেননি পরবর্তীতে কী হবে। সেসময়ে করণীয় কী সেটাই ছিলো মূখ্য। তিনি কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্প পরিদর্শন করে বলেছিলেন, এ দেশের ১৬ কোটি মানুষকে খাওয়াতে পারলে কয়েক লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেয়া ও খাওয়ানো কোনো কঠিন কাজ নয়। নেদারল্যান্ডসের নামকরা ডিপ্লোম্যাট ম্যাগাজিন সাময়িকী তাদের প্রচ্ছদ প্রতিবেদনের শিরোনাম করেছিল ‘শেখ হাসিনা: মাদার অব হিউম্যানিটি’। মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকদের আশ্রয় দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের সীমান্ত খুলে দেয়ার সিন্ধান্ত নিয়ে লাখ লাখ নির্যাতিত মানুষের জীবন রক্ষা করেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোহিঙ্গা সংকট নিরসনসহ স্থায়ী সমাধানে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭২তম অধিবেশনে পাঁচ দফা এবং ৭৪তম অধিবেশনে চার দফা প্রস্তাবও রেখেছিলেন।

ক্যাম্পের আশ্রয় ব্যবস্থাপনা দেখতে এ দেশে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূতরাও সেখানে গিয়েছিলেন। শেখ হাসিনা মিয়ানমারকে ওই হত্যাযজ্ঞ বন্ধ ও তাদের নাগরিকদের ফিরিয়ে নিতে চাপ দেয়ার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ‘মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকেই সাময়িক সময়ের জন্য আশ্রয় দিচ্ছি আমরা। নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের জন্য এখানে সাময়িকভাবে থাকা-খাওয়া, চিকিৎসাসহ প্রয়োজনীয় সব কিছুর ব্যবস্থা করা হবে। আমরা আছি আর্তমানবতার সেবায়।’

সেই রাতে তাদের বাঁচাতে এগিয়ে আসা সরকার প্রধান তার কর্তব্য মনে করেছিলেন। কিন্তু এই বিশ্ব কি তার দায়িত্ব পালন করেছে ঠিকঠাক? এরপর পার হয়ে গেছে ছয় বছর। রোহিঙ্গাদের ভালো থাকা নিয়ে বাংলাদেশ সরকারের যতো মাথা ব্যাথা, বিশ্বমোড়লদের সেই আন্তরিকতা দৃশ্যমান নয়। ২০১৭ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘের সদর দপ্তরে রয়টার্সকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী জানান, বাংলাদেশ ধনী দেশ নয়। কিন্তু যদি আমরা ১৬ কোটি জনগণকে খাওয়াতে পারি, তবে আরও ৭ লাখ মানুষকেও খাওয়াতে পারব। আসলেই তিনি তার কথা রেখেছেন। গত ছয় বছর থেকে ১১ লাখ রোহিঙ্গার ভরণপোষণের দায়িত্ব এভাবেই পালন করে যাচ্ছেন তিনি।

রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশংসা করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রেচেপ তাইয়্যিপ এর্দোয়ান৷ জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর-এর বিশেষ দূত ও হলিউড তারকা অ্যাঞ্জেলিনা জোলি রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলার ক্ষেত্রে বলিষ্ঠ ও সহৃদয় নেতৃত্বদানের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশংসা করেন। দেশে বিদেশে সকল মানবিক সরকার ও বিশিষ্টজন শেখ হাসিনার এ উদ্যোগকে এক কথায় সমর্থন যুগিয়েছে। মানবতার দৃষ্টান্ত দেখিয়ে লাখ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেয়ায় সংবাদ সংস্থা ইন্টার প্রেস সার্ভিস থেকে ইন্টারন্যাশনাল অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর আগে জাতিসংঘের সাবেক দুই মহাসচিব কফি আনান ও বুট্রোস ঘালি এবং ফিনল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট মার্তি আহতিসারি এই সম্মাননা পেয়েছেন।

বিশ্ব খাদ্য সংস্থা (ডব্লিউএফপি) ১ মার্চ থেকে রোহিঙ্গাদের জন্য খাদ্যসহায়তা কমিয়ে মাথাপিছু মাসিক বরাদ্দ ১২ ডলার থেকে ১০ ডলার করেছে। পরবর্তীতে ১ জুন থেকে তা ১০ ডলার থেকে কমিয়ে ৮ ডলার করেছে যা হতাশাজনক। রোহিঙ্গারা সম্পূর্ণভাবে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অর্থায়নের ওপর নির্ভরশীল। এর ফলে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে খাদ্য সংকট বাড়বে এবং ক্যাম্পের নিরাপত্তা পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে বলে আশঙ্কা করছে ত্রানকর্মীরা। এদিকে, রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে এখন চীনের উদ্যোগে মিয়ানমারের নেয়া পাইলট প্রকল্প, পশ্চিমা দেশ ও দাতা সংস্থার সহায়তা হ্রাস, রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে আত্তিকরন, রোহিঙ্গা নারী ও স্বেচ্ছায় রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফিরে যাওয়ার আগ্রহ, কিছু রোহিঙ্গার প্রত্যাবাসনে অনীহা সব মিলিয়ে নানামুখী ক্রিয়া প্রতিক্রিয়া চলছে। পরিস্থিতি যাই হোক, বাস্তবতা হলো, রোহিঙ্গাদেরকে মিয়ানমারে ফিরে যেতে হবে এবং দাতাগুষ্টিকে এই সমস্যা সমাধান না হওয়া পর্যন্ত মানবিক হতে হবে। দ্রুত এই সমস্যা সমাধানে বিশ্ব মানবতাকে এগিয়ে আসতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে মানবিকতা দেখিয়েছেন সেটাকে সম্মান দেখানোর পাশাপাশি এটি বিবেচনায় নিতে হবে যে এই সমস্যা থেকে বের করে আনা বাংলাদেশের একার দায়িত্ব না।
লেখক: গণমাধ্যমকর্মী।




দামুড়হুদায় কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে সার-বীজ বিতরণ

দামুড়হুদায় কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে সার -বীজ বিতরণ অনুষ্ঠান কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে।

আজ  বেলা সাড়ে ১২ টার দিকে উপজেলা পরিষদ চত্বরে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এই কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন করেন চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের মাননীয় সাংসদ সদস্য হাজী মোঃ আলী আজগার টগর (এমপি)।

বর্তমান সরকার কৃষি বান্ধব সরকার উল্লেখ করে এমপি বলেন,সরকার কৃষিকে আধুনিক ও বানিজ্যিক ভাবে লাভবান করতে কৃষকদের মাঝে বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার কৃষকদের বিনামূল্যে সার -বীজ সহ বিভিন্ন উপকরণ বিতরণ করে চলছেন,এতে কৃষকরা নতুন নতুন চাষাবাদে উদ্বুদ্ধ হচেছ।ফলে দেশের মানুষের ভাগ্য উন্নয়ন হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, দেশকে এগিয়ে নিতে হলে কৃষিকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে, যেটি আমাদের সরকার করছে।

অনুষ্ঠানে কৃষকদের উদ্দেশ্যে স্বাগত বক্তব্য রাখেন দামুড়হুদা উপজেলা কৃষি অফিসার শারমিন আক্তার। কৃষকদের বিষমুক্ত নিরাপদ ও পুষ্টি সমৃদ্ধ ফসল উৎপাদন করতে আহব্বান জানিয়ে তিনি বলেন,বর্তমান সরকার কৃষি ও কৃষকদের সার্বিক উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন।কৃষি ও কৃষকদের কল্যানে প্রনোদনার অংশ হিসাবে সরকার কোটি কোটি টাকা ব্যায়ে সার,বীজ সহ বিভিন্ন কৃষি উপকরণ দিয়ে আসছেন।

দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোকসানা মিতা’র সভাপতিত্বে সমবায় অফিসার হারুণ অর রশিদের সঞ্চালনায় উদ্ভোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক বিভাস চন্দ্র সাহা,উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলি মুনছুর বাবু, দর্শনা পৌর মেয়র মো:আতিয়ার রহমান হাবু।

অন্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন,উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের দপ্তর প্রধান,উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাবৃন্দ,উপকারভোগী কৃষকসহ স্থানীয় রাজনৈতিক ব্যাক্তিবর্গ প্রমুখ।




চুয়াডাঙ্গায় আফরোজা পারভীনের উঠান বৈঠক ও গণসংযোগ

চুয়াডাঙ্গা জেলা যুব মহিলা লীগের পক্ষ থেকে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নের সাহেবনগরে এই উঠান বৈঠক ও গণসংযোগ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে চারটার সময় চুয়াডাঙ্গা জেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি আফরোজ পারভিন এর নেতৃত্ব এই উঠান বৈঠক ও গণসংযোগ অনুষ্ঠিত হয়।

আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য হিসেবে নৌকায় মনোনয়ন প্রত্যাশি চুয়াডাঙ্গা জেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি আফরোজা পারভিন এর নেতৃত্ব এই উঠান বৈঠক ও গণসংযোগ করা হয়। এ সময় তিনি উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখার জন্য আবারো নৌকা মার্কায় ভোট চান এবং তিনি নৌকার মনোনয়ন পেলে চুয়াডাঙ্গা জেলা বাসীর উন্নয়নের জন্য কাজ করবেন ও শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার জন্যও কাজ করবেন বলে জানান তিনি।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা যুব মহিলা লীগের সহ-সভপতি পূর্ণিমা হালদার,যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলিজা খাতুন ,সদর উপজেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি-কাজলী আক্তার , সাংগঠনিক সম্পাদক সপ্না খাতুন চিনি, দামুড়হুদা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শাহেদা খাতুন ,আলমডাঙ্গা উপজেলার যুব মহিলা লীগের সভাপতি মনিরা খাতুন,সাধারণ সম্পাদক জাহানারা খাতুন, চুয়াডাঙ্গা পৌর ৯নং ওয়ার্ড সভাপতি-আরজিনা খাতুন, সাধারণ সম্পাদক বেবি, সাংগাঠনিক সম্পাদক মিতা রানী, ৬ নং ওয়ার্ড সভাপতি রুপালি, সাধারণ সম্পাদক ফাহিমা, ২নং ওয়ার্ড কমিটির অর্থ সম্পাদক শিউলি খাতুন, আওয়ামী লীগ কর্মী সহ চুয়াডাঙ্গা জেলা ও আলমডাঙ্গা উপজেলা যুব মহিলা লীগের নেতৃবৃন্দ।




অভ্যন্তরীণ কোন্দলে বিপর্যস্ত বরিশাল বিএনপি,দলীয় রোড মার্চ কর্মসূচিতে সংঘর্ষের শঙ্কা

বরিশাল বিএনপির নেতাদের দলের আন্দোলন নিয়ে তাদের তেমন কোনো মাথা ব্যাথা নেই। ব্যস্ত কমিটি বাণিজ্য আর অর্থের ধান্ধায়। বরিশালের দায়িত্বে থাকা কেন্দ্রীয় দুই নেতার এই বিরোধ এখন বরিশাল মহানগর ও জেলা বিএনপি থেকে শুরু করে বরিশালের ১০টি উপজেলা, সাতটি পৌরসভাসহ ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে ছড়িয়ে পড়েছে। বিরোধ এতোটাই প্রকট যে, অসংখ্য গ্রুপে বিভিক্ত বিএনপি দলীয় কর্মসূচিও পালন করে আলাদা আলাদা। আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর বরিশালে রোড মার্চ কর্মসূচি নিয়ে সংঘর্ষের শঙ্কায় বিএনপির নেতাকর্মীরা। তাদের আশঙ্কা, দলীয় কোন্দলের কারণে কর্মসূচির মধ্যে সংঘর্ষে জড়াতে পারে কেন্দ্রীয় দুই নেতার অনুসারীরা। তবে রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে অরাজকতা করলে দাঁত ভাঙ্গা জবাব দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আওয়ামী লীগের নেতারা।

বরিশাল বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বরিশাল বিএনপিতে বিরোধের নেপথ্যে কেন্দ্রীয় দুই নেতা। এদের একজন হচ্ছেন কেন্দ্রীয় বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব মজিবুর রহমান সারোয়ার ও অন্যজন কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক বিলকিস নাহার শিরিন। তারা নিজেদের আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে স্থানীয় বিএনপিকে নিজেদের পকেটে ঢুকিয়েছেন। তাদের এই বিরোধকে কেন্দ্র স্থানীয় বিএনপিতে এখন অন্তত আরও ছয়টি উপ-গ্রুপ আছে। স্থানীয় বিএনপির এসব গ্রুপ এক পক্ষ আরেক পক্ষকে ঘায়েল করতে সর্বশক্তি নিয়োগ করেছে।

বিশেষ করে সারোয়ার গ্রুপকে চাপে রাখতে শিরিন গ্রুপের হয়ে কাজ করছে উপ-গ্রুপগুলো। অন্যদিকে সারোয়ার গ্রুপ নিজেদের আধিপত্য বিস্তার করতে কেন্দ্র থেকে প্রভাব খাটিয়ে আর্থিক অনিয়মের তথ্য প্রমাণসহ বরিশাল জেলা (দক্ষিণ) কমিটি ভেঙ্গে নিজেদের লোকজনদেরকে দিয়ে নতুন আহবায়ক কমিটি গঠন করেছে। এ নিয়েও এখন দুই পক্ষের মধ্যে দা-কুমড়া সম্পর্ক বিরাজ করছে। কেউ কারো মুখ পর্যন্ত দেখছেন না।

স্থানীয় বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, বরিশাল মহানগর ও জেলা বিএনপির নেতৃত্ব দিচ্ছেন কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বিলকিস নাহার শিরিন। অন্যদিকে মজিবুর রহমান সারোয়ার দিচ্ছেন আরেকটি গ্রুপের নেতৃত্ব। তার সঙ্গে রয়েছে দক্ষিণ জেলা বিএনপির কমিটি।

বরিশাল বিএনপিতে শুধু কেন্দ্রীয় এই দুই নেতার গ্রুপই নয়, সক্রিয় আছে আরও অন্তত ছয়টি গ্রুপ। এরমধ্যে একটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন কেন্দ্রীয় বিএনপির যুগ্ম-আহবায়ক মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। অন্য গ্রুপগুলোর মধ্যে একটির নেতৃত্বে আছেন জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এবায়দুল হক চান, আরেক গ্রুপে আছেন বরিশাল সিটি করপোরেশনের প্রয়াত মেয়র আহসান হাবিব কামাল। এই গ্রুপের নেতৃত্বে আছেন জেলা দক্ষিণ বিএনপির বর্তমান আহবায়ক মুজিবুর রহমান নান্টু। অপর গ্রুপের নেতৃত্বে আছেন সাবেক সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম খান রাজন।

গত কয়েক বছর ধরে বরিশাল বিএনপির নেতৃত্বে থাকা দুই কেন্দ্রীয় নেতার প্রকাশ্য বিরোধের কারণে স্থানীয়ভাবে দলের কেন্দ্রের কর্মসূচি পালন হচ্ছে পৃথক পৃথক ভাবে। দুই নেতার বিরোধের মূল কারণ আধিপত্য বিস্তার। এ কারণে দুই নেতাই নিজেদের দল ভারী করতে ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতাকর্মীর বদলে বিএনপির বিভিন্ন কমিটিতে এমন লোকজনদের স্থান করে দিয়েছেন যারা সংগঠনের ধার ধারে না। তাদের প্রত্যেককেই কমিটিতে স্থান দেওয়া হয়েছে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে। টাকার বিনিময়ে কমিটিতে জায়গা দেওয়ার বিষয়ে এগিয়ে আছেন বিলকিস নাহার শিরিন।

বরিশাল জেলা বিএনপির অধীন গৌরনদী উপজেলা ও পৌরসভা, মুলাদী উপজেলা ও পৌরসভা এবং হিজলা উপজেলা কমিটিতে যাদেরকে নেওয়া হয়েছে তাদের প্রত্যেকেই মোটা অংকের টাকা দিয়ে কমিটিতে জায়গা করে নিয়েছেন। এর প্রতিবাদে স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীরা গৌরনদীতে ঝাড়ু মিছিল করে প্রতিবাদ জানিয়েছেন। মুলাদী এবং হিজলাতেও একইভাবে টাকার বিনিময়ে কমিটিতে লোকজন ঢুকানোর কারণে চরম অসন্তোষ বিরাজ করছে।

আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে কমিটি করা নিয়ে সারোয়ার-বিলকিস দ্বন্দ্ব এতোটাই প্রকট যে, সারোয়ার তার প্রভাব কাটিয়ে কেন্দ্রীয় কমিটিকে দিয়ে বরিশাল দক্ষিণ জেলা বিএনপির কমিটি ভেঙ্গে দিয়ে নতুন কমিটি করিয়েছেন। পূর্বের কমিটি ছিল বিলকিসের অনুসারী। এতে আহবায়ক ছিলেন মুজিবুর রহমান নান্টু ও সদস্য সচিব ছিলেন আক্তার হোসেন মেবুল।

অভিযোগ ছিলো, এই কমিটি দক্ষিণ জেলা শাখার অধীন বাকেগঞ্জ উপজেলা, পৌরসভা এবং ওই উপজেলার ১৪টি ইউনিয়ন কমিটি গঠন করেছেন অর্থের বিনিময়ে। এতে ত্যাগী নেতাকর্মীরা স্থান পায়নি। বরং যারা টাকা দিয়েছে বা যাদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন তাদেরকেই কমিটিতে স্থান করে দিয়েছেন বিলকিসের অনুসারীরা।

এই অভিযোগের সূত্র ধরে সারোয়ার কেন্দ্রীয় কমিটির মাধ্যমে দক্ষিণ জেলা কমিটিটি ভেঙ্গে দিয়ে নতুন কমিটি করেন। এতে সারোয়ারের অনুসারী সাবেক সংসদ সদস্য আবুল হোসেনকে আহবায়ক এবং জেলা কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম শাহীনকে সদস্য সচিব করে ৩১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়। এখন বরিশাল মহানগর ও জেলা বিএনপিতে সারোয়ারের একমাত্র অনুসারী হচ্ছে দক্ষিণ জেলা কমিটি। বাকী সবগুলো কমিটিই বিলকিসের অনুসারী। অন্যদিকে বরিশাল মহানগর যুবদল ছাড়া মহানগর বিএনপি অন্য অঙ্গসংগঠনগুলো সারোয়ারের পক্ষে।

এদিকে বরিশাল সিটি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মহানগর বিএনপির যে ১৮ জন নেতাকে দল থেকে স্থায়ীভাবে বহিস্কার করা হয়েছিল তাদের সবাইকে আবারও দলে ভিড়িয়েছেন বিলকিস নাহার শিরিন। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, তিনি ব্যক্তিগত সুবিধা নিয়ে বহিস্কৃত নেতাদের দিলে নিয়েছেন নিজের পাল্লা ভারী করতে। এ নিয়েও সারোয়ার-বিলকিস বিরোধ তুঙ্গে। সারোয়ার অনুসারীরা বলছেন, এই ১৮জনকে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নির্দেশে বহিস্কার করা হয়েছিল। কিন্তু বিলকিস তাদেরকে দলে ভিড়িয়ে শৃঙ্খলা বিরোধী কাজ করেছেন।

এদিকে সরকার বিরোধী আন্দোলনের অংশ হিসেবে আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর বরিশালে রোড মার্চ করবে বিএনপি। কিন্তু দলের ভিতরে অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে সেই কর্মসূচি সফল করা নিয়ে শঙ্কিত মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীরা। স্থানীয় বিএনপি কর্মী মিনার মাহমুদ বলেন, দলের নেতারা নিজেদের স্বার্থ নিয়ে দ্বন্দে লিপ্ত। তাদের পক্ষে আন্দোলন করে সরকার পতন সম্ভব না। তিনি বলেন, জেলার বিভিন্ন উপজেলা ও ইউনিয়নে যেসব কমিটি গঠন করা হয়েছে সেগুলোতে টাকার বিনিময়ে বিভিন্নজনকে কমিটিতে ঢুকানো হয়েছে। তিনি আরও বলেন, আমরা যারা সাধারণ কর্মী, মাঠের কর্মী তাদের সমস্যা সবচেয়ে বেশি। নেতাদের বিরোধের কারণে আমাদের অবস্থা খারাপ।
আরেক কর্মী লোকমান হোসেন বলেন, নেতারা যেভাবে মহানগর ও জেলা কমিটিতে বিরোধ তৈরি করে রেখেছে তাতে সরকার পতন তো দূরের কথা আন্দোলনই তো করতে পারবে না। তিনি বলেন, ত্যাগী নেতাকর্মীদের বঞ্চিত করে কোনো আন্দোলন সফল হয় না।

বিএনপির এই অভ্যন্তরীন বিরোধ সম্পর্কে জানতে চাইলে বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বিলকিস নাহার শিরিন বলেন, ‘আমাদের মধ্যে কোনো বিরোধ নেই। আর বরিশাল মহানগর এবং বরিশাল উত্তর ও দক্ষিণ জেলা কমিটিসহ সকল কমিটি আমার অধীনে। এখানে কোনো বিরোধ নেই।’

অর্থের বিনিময়ে কমিটি করার কারণে দক্ষিণ জেলা কমিটি ভেঙ্গে দেওয়া হয়েছে এবং সেখানে সারোয়ার অনুসারীদের দিয়ে কমিটি করা হয়েছে। এ বিষয়ে শিরিন বলেন, ‘এসব কে বলেছে? এগুলো সত্য নয়। কমিটি বিলুপ্ত সাংগঠনিক কার্যক্রম চালাতে না পারায়। আর অন্য কারো লোক দিয়েও কমিটি করা হয়নি। সবাই আমার লোক। তাছাড়া ১৬ বছর ধরে দল ক্ষমতায় নাই। তাহলে টাকা পাবে কোথায়?’

এদিকে বিএনপির রোড মার্চ কর্মসূচি সম্পর্কে জানতে চাইলে বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট তালুকদার মো. ইউনুস বলেন, ‘বিএনপির এসব কর্মসূচি আগেও হয়েছে। এতে সাধারণ মানুষের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। ভবিষ্যতেও সাধারণ মানুষের কোনো সম্পৃক্ততা থাকবে না।’ তিনি বলেন, বিএনপি নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ সংঘাতে ব্যস্ত। তারা টাকার বিনিময়ে বিভিন্ন কমিটিতে লোক ঢুকিয়ে দল ভারী করার চেষ্টা করছে। এতে কোনো লাভ নেই।’

আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর আওয়ামী লীগের বরিশাল জেলা ও মহানগর সহ বিভিন্ন শাখা ও ইউনিটের নেতাকর্মীরা রাজপথে থাকবে। আন্দোলনের নামে বিএনপির যে কোনো সহিংসতা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিহত করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন আওয়ামী লীগের এই নেতা।