মেহেরপুরে ইয়াবাসহ দুই মাদক কারবারি আটক

৭৮ পিচ ইয়াবা, একটি মোটরসাইকেল ও দুটি মোবাইল ফোনসহ ২ মাদক কারবারিকে আটক করেছে র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব-১২) গাংনী ক্যাম্প।

আটককৃতরা হলেন মেহেরপুর সদর উপজেলার কলাইডাঙ্গা গ্রামের ইউনুস আলী বিশ্বাসের ছেলে রিন্টু বিশ্বাস (৩৫) ও একই গ্রামের মৃত আব্বাছ আলীর ছেলে সাইদ আহমে্দ (৩৩)। তাদের কাছ থেকে ৭৮ পিচ ইয়াবা একটি টিভিএস মোটরসাইকেল ও দুইটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়েছে।

আজ বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকালের দিকে গাংনী-আমঝুপি রাস্তার পাঙ্গাসীপাড়া নামক গ্রামে অভিযান চালিয়ে ইয়াবাসহ এই দুই মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করে র‌্যাব।

র‌্যাব-১২ সিপিসি-৩ গাংনী ক্যাম্পের কমান্ডার সহকারি পুলিশ সুপার মো: মনিরুজ্জামান বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে পাঙ্গাসপাড়া গ্রামের পাকা রাস্তার উপর অভিযান চালিয়ে ইয়াবাসহ ওই দুজন মাদক কারববারিকে আটক করা হয়।

আটকদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দিয়ে গাংনী থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।




মেহেরপুর সরকারি কলেজে পাবলিক পরীক্ষার সাথে চলছে অভ্যন্তরিণ পরীক্ষা

মেহেরপুর সরকারি কলেজে জারিকরা ১৪৪ ধারা ভেঙ্গে পাবলিক পরীক্ষার সাথে নিচ্ছেন এইচএসসি পরীক্ষা। তবে অধ্যক্ষ বলেছেন, শুধু এই কলেজ নয় দেশের বড় বড় কলেজেও বোর্ড পরীক্ষার সাথে তাদের ইন্টারন্যাল পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে।

মেহেরপুর সরকারি কলেজে গিয়ে দেখা গেছে সারা দেশের ন্যায় এই কলেজটিতেও চলছে এইচএসসি (পাবলিক) পরীক্ষা। তবে, পাবলিক পরীক্ষার পাশাপাাশি একই সময়ে চলছে এইসএসসির বাৎসরিক পরীক্ষা ও। কলেজের একাডেমিক ভবনে চলছে পাবলিক পরীক্ষা এবং পুরাতন ভবনে চলছে বাৎসরিক পরীক্ষা।

একটি সূত্র জানিয়েছেন, কলেজের অধ্যক্ষ শফিউল ইসলাম সর্দার এলপিআরে যাবেন। এজন্যই তড়িঘড়ি করে এই পাবলিক পরীক্ষার মধ্যেই কলেজের পরীক্ষা নিয়ে নিচ্ছেন। কলেজের পরীক্ষা নেওয়াতে ছাত্র ছাত্রীদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা উঠবে। সেটা পকেটস্থ করতেই এই পরীক্ষা গ্রহণ করা হচ্ছে।

মেহেরপুর সরকারি কলেজের এইচএসসি পরীক্ষা কমিটির সদস্য নাহিদ আন্দালিব জানান, এখন পাবলিক পরীক্ষার্থী কম রয়েছে। পরীক্ষার কারনে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার সময় দেরি হয়ে যাচ্ছে। তাই কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিয়ে পাবলিক পরীক্ষা ও ইন্টারন্যাল পরীক্ষা এক সাথে গ্রহণ করা হচ্ছে। ১৪৪ ধারা ভেঙ্গে এক সাথে পরীক্ষা নেওয়া যায় কিনা এমন প্রশ্নের উত্তর দেননি তিনি।

গাংনী সরকারি ডিগি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মহা: মনিরুল ইসলাম বলেন, পাবলিক পরীক্ষা চলাকালিন সময়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কলেজের চারপাশে ১৪৪ ধারা জারি করে থাকেন। এর মধ্যে কোনোভাবে ইন্টারন্যাল পরীক্ষা নেওয়া মানে ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করা।

কলেজের অধ্যক্ষ শফিউল ইসলাম সর্দার বলেন, কলেজে অনেক বিল্ডিং আছে। সেখানে পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে। অন্যান্য বড় কলেজগুলোতেও একই সাথে পরীক্ষা নেওয়া হয়ে থাকে। ১৪৪ ধারা ভঙ্গ হচ্ছে কিনা এমন প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে গেছেন তিনি।

মেহেরপুর জেলা প্রশাসক মো: শামীম হাসান বলেন, পাবলিক পরীক্ষার সাথে ইন্টারন্যাল পরীক্ষা চলছে কিনা আমার জানা নেই। এ ধরনের পরীক্ষা নিলে সেটা ক্ষতিয়ে দেখা হবে।




আলমডাঙ্গা স্থানীয় সরকার দিবস উপলক্ষে উন্নয়ন মেলার সমাপনি ও পুরস্কার বিতরনী

আলমডাঙ্গা উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে স্থানীয় সরকার দিবস উপলক্ষে উন্নয়ন মেলা সমাপনি সভা ও পুরস্কার বিতরনী সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গতকাল বিকেল ৩ টার দিকে উপজেলা মঞ্চে আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরনী সভা অনুষ্টিত হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বিকেল ৩ টার সময় আলমডাঙ্গা উপজেলা পরিষদ মঞ্চে, উন্নয়ন মেলা ও পুরস্কার বিতরনী সভায় সভাপতিত্ব করেন আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার স্নিগ্ধা দাস ।

প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আলমডাঙ্গা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান এ্যাডঃ খন্দকার সালমুন আহমেদ ডন।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা সহকারি কমিশনার ভুমি রেজওয়ানা নাহিদ, আলমডাঙ্গা, উপজেলা কৃষি অফিসার রেহেনা পারভীন,উপজেলা প্রানী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ আব্দুল্লাহিল কাফি,উপজেলা প্রকৌশলী আরিফুদৌলা,,জনস্বাস্থ প্রকৌশলী আব্দুর রশিদ,মেডিকেল অফিসার ডাঃ জাহিদুল ইসলাম,বীর মুক্তিযোদ্ধা মইনদ্দিন পারভেজ,প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক হামিদুল ইসলাম আজম।

কলেজিয়েট স্কুলের উপাধ্যক্ষ শামিম রেজার উপস্থাপনায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন,বিআরডিবি কর্মকর্তা সায়লা শারমিন, সমবায় অফিসার, উপজেলা শিক্ষা অফিসার শামসুজ্জোহা,যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা আলাউদ্দিন,মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জিয়াউল হক, পরিবার পরিকল্পা কর্মকর্তা ডাঃ ফজলুল হক,ইউপি চেয়ারম্যান শেখ আসাদুল হক মিকা,,ইউপি চেয়ারম্যান হাসানুজ্জামান, সোহানুর রহমান সোহান,আশিকুর রহমান ওল্টু,আবু সাইদ পিন্টু,মুন্সি ইমদাদুল হক,,মোজাহিদুর রহমান,মখলেছুর রহমান শিলন,এজাজ ইমতিয়াজ বিপুল,তাফসির আহমেদ লাল,মিনহাজ উদ্দিন বিশ্বাস,আসাদুল হক মিকা,তরিকুল ইসলাম,নজরুল ইসলাম,জেলা ইউপি সচিব সমিতির সভাপতি চিৎলা ইউপি সচিব মুছাব আলী,সহকারি শিক্ষক বকুল,সহকারি শিক্ষক সীমা সাহা,প্রধান শিক্ষক খন্দকার রাকিবুল ইসলাম,, সহ উপজেলা প্রশাসন কর্মকর্তা কর্মচারী বৃন্দ।সভায় উপজেলা কৃষি অফিস সেরা স্টল হিসেবে ১ম পুরস্কার পান,উপজেলা প্রানী সম্পদ অফিস ও উপজেলা প্রকৌশলী অফিস যৌথ ভাবে ২য় স্থান,এবং উপজেলা শিক্ষা অফিস ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস যৌথ ভাবে ৩য় স্থান অধিকার করেন।

অন্যদিকে ইউনিয়ন পরিষদের মধ্যে চিৎলা ইউনিয়ন ১ম স্থান,খাসকররা ইউনিয়ন ২য় স্থান ও হারদী ইউনিয়ন ও নাগদাহ ইউনিয়ন যৌথ ভাবে ৩য় স্থান অধিকার করায় তাদের সকলকে সম্মাননা ক্রেষ্ট প্রদান করেন অতিথি বৃন্দ।

এছাড়াও মেলায় যে সকল প্রতিষ্টান স্টল দিয়েছে তাদেরকে সান্তনা পুরস্কার দেওয়া হয়,এবং উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান, সহকারি কমিশনার ভুমি,বীর মুক্তিযোদ্ধা মইনদ্দিন পারভেজ,প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক হামিদুল ইসলাম ও উপস্থাপক শামিম রেজাকে বিশেষ পুরস্কার ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।




দামুড়হুদায় স্থানীয় সরকার দিবস উন্নয়ন মেলায় সমাপনী অনুষ্ঠান

দামুড়হুদায় জাতীয় স্থানীয় সরকার দিবস ২০২৩ এর উন্নয়ন মেলার সমাপনী ও পুরষ্কার বিতরণ করা হয়েছে।

তিনদিনব্যাপী এই উন্নয়ন মেলার সমাপনী দিনে স্থানীয় সরকারের প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ১ম স্থান অধিকার করেছে হাউলী ইউনিয়ন পরিষদ, ২য় স্থান অধিকার করেছে দামুড়হুদা সদর ইউনিয়ন পরিষদ ও ৩য় স্থান উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর।

দামুড়হুদা উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে সমাপনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রোকসানা মিতা। এসময় উপস্থিত ছিলেন দামুড়হুদা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সজল কুমার দাস, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শারমিন আক্তার, দামুড়হুদা সদর ইউপি চেয়ারম্যান হযরত আলী, নতিপোতা ইউপি চেয়ারম্যান ইয়ামিন আলী, কার্পাসডাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল করিম, হাউলী ইউপি চেয়ারম্যান ভারপ্রাপ্ত নিজাম উদ্দিন।

দামুড়হুদা উপজেলা সমবায় অফিসার হারুণ অর রশিদের সঞ্চালনায় এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন উপজেলা জনস্বাস্থ্য উপসহকারী প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা হোসনে জাহান, দামুড়হুদা উপজেলা মডেল মসজিদের ইমাম মুফতি মামুনুর রশীদ সহ সকল ইউপি সদস্যবৃন্দ, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি প্রমুখ।




চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে আফরোজা পারভীনের গণসংযোগ

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার শংকরচন্দ্র ইউনিয়নে যুব মহিলা লীগের পক্ষ থেকে গণসংযোগ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গতকাল মঙ্গলবার সকাল সাড়ে এগারোটার সময় চুয়াডাঙ্গা যুব মহিলা লীগের সভাপতি ও চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশি আফরোজ পারভিন এর নেতৃত্ব চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার শংকরচন্দ্র ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে নির্বাচনী গণসংযোগ করেন করা হয়।

এ সময় গণসংযোগ করে চুয়াডাঙ্গা জেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি ও চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশি আফরোজ পারভিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন তুলে ধরেন ও লিফলেট বিতরণ করেন এবং আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে আবারো শেখ হাসিনা সরকার ও নৌকা মার্কার পক্ষে ভোট চান।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা যুব মহিলা লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলিজা খাতুন , সহ-সভাপতি- পূর্ণিমা হালদার,সদর উপজেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি-কাজলী আক্তার , সাংগঠনিক সম্পাদক সপ্না খাতুন চিনি, দামুড়হুদা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শাহেদা খাতুন ,আলমডাঙ্গা উপজেলার যুব মহিলা লীগের সভাপতি মনিরা খাতুন,সাধারণ সম্পাদক জাহানারা খাতুন, চুয়াডাঙ্গা পৌর ৯নং ওয়ার্ড সভাপতি-আরজিনা খাতুন, সাধারণ সম্পাদক বেবি, সাংগাঠনিক সম্পাদক মিতা রানী, ৬ নং ওয়ার্ড সভাপতি রুপালি, সাধারণ সম্পাদক ফাহিমা, ২নং ওয়ার্ড কমিটির অর্থ সম্পাদক শিউলি খাতুন, আওয়ামী লীগ কর্মী ছাত্রলীগ ও যুবলীগ সহ ও চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা যুব মহিলা লীগের নেতৃবৃন্দ।




এসডিজি অর্জনের ধারাবাহিকতা রক্ষায় আন্তর্জাতিক সহযোগিতা চাইবেন শেখ হাসিনা

জাতিসংঘের ৭৮তম সাধারণ অধিবেশনের মূল পর্ব শুরু হয়েছে। টানা পনেরো বারের মতো এই সম্মেলনে যোগ দিতে নিউ ইয়র্কে আছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জাতিসংঘে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও স্থায়ী প্রতিনিধি মুহাম্মদ আব্দুল মুহিত আগেই সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মধ্যে বিশ্বাস পুনর্গঠন এবং বিশ্বব্যাপী সংহতি পুনরুজ্জীবিত করার বিষয়ে এবারের অধিবেশনে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হবে। বৈশ্বিক শান্তি, সমৃদ্ধি, অগ্রগতি এবং একটি টেকসই ভবিষ্যতের জন্য সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে ২০৩০ এজেন্ডা এবং এর টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (এসডিজি) অর্জন সংক্রান্ত আলোচনা এবারের অধিবেশনে বিশেষ প্রাধান্য পাবে। পাশাপাশি আওয়ামী লীগের নেতারা জানান, আগের যেকোনো বারের সফরের চেয়ে এ সফর অনেক বেশি তাৎপর্যপূর্ণ ।

মুহিত আরও বলেন, বৈশ্বিক শান্তি, সমৃদ্ধি, অগ্রগতি এবং একটি টেকসই ভবিষ্যতের জন্য সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে ২০৩০ এজেন্ডা এবং এর টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট অর্জন সংক্রান্ত আলোচনা এবারের অধিবেশনে বিশেষ প্রাধান্য পাবে। এছাড়া বাংলাদেশের অভাবনীয় উন্নয়ন অগ্রযাত্রা, অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং স্বাস্থ্যখাতে সাফল্য ইত্যাদি বিষয় নিয়েও কথা বলবেন প্রধানমন্ত্রী। পাশাপাশি বিশ্বশান্তি, নিরাপত্তা, নিরাপদ অভিবাসন, বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিক সংকট, জলবায়ু ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা সম্পর্কিত বিষয়গুলোও উঠে আসবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবারের অধিবেশনে বাংলাদেশের এসডিজি অর্জনের বিষয়টি জানাবেন বিশেষভাবে। পাশাপাশি এসব অর্জনের ধারবাহিকতা রক্ষায় আন্তর্জাতিক সহযোগিতা কামনা করবেন। সারা বিশ্বের টেকসই উন্নয়নের জন্যে জাতিসংঘের উদ্যোগ ‘এসডিএসএন’ বাংলাদেশ অংশের গবেষণা অুনযায়ী বর্তমানে বাংলাদেশে দারিদ্র্য বিলোপ, ক্ষুধা মুক্তি, স্বাস্থ্য ও কল্যাণ, গুণগত শিক্ষাসহ ১৭টি লক্ষ্য অর্জনের চেষ্টা চলছে। এবার এ সম্মেলনের প্রতিপাদ্য হচ্ছে: ‘আস্থা পুনর্গঠন ও বিশ্ব সংহতির পুনরুদ্ধার : সবার জন্য শান্তি, সমৃদ্ধি, অগ্রগতি ও স্থায়িত্ব ত্বরান্বিত করায় ২০৩০ এজেন্ডা এবং টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্য বাস্তবায়নে পদক্ষেপ গ্রহণ’।

এসডিএসএন’ এর গবেষণা বলছে, কোভিড-১৯ মহামারির মধ্যেও টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ভালো করেছে বাংলাদেশ। ২০২৩ সালে ১৬৬টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১০১তম। যেটি গতবছর ১৬৩টি দেশের মধ্যে ছিল ১০৪তম অবস্থানে। ২০১৭ সালে ১৫৭টি দেশের মধ্যে অবস্থান ছিল ১২০তম। ২০২০ সালে বৈশ্বিক র্যাংকিং ছিল ১৬৬টি দেশের মধ্যে ১০৯তম। এসডিজিতে বাংলাদেশের কান্ট্রি স্কোর ৬৫.৯।

‘এসডিএসএন’- এর ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গুণগত শিক্ষা এবং পরিমিত ভোগ ও টেকসই উৎপাদনের লক্ষ্য অর্জনে সঠিক পথে আছে বাংলাদেশ। দারিদ্র্য বিলোপের ক্ষেত্রে পরিমিত রূপে উন্নতি করেছে বাংলাদেশ। ক্ষুধা মুক্তির ক্ষেত্রে অপুষ্টি হ্রাসে ২০২০ সাল পর্যন্ত অগ্রগতির হার ১১.৪, যা এসডিজি লক্ষ্য অর্জনের পথেই রয়েছে। প্রতি হেক্টরে খাদ্যশস্য উৎপাদনে ২০২১ সাল পর্যন্ত অগ্রগতির হার ৫.০, এটিও এসডিজি লক্ষ্য অর্জনের পথে রয়েছে।

সুস্বাস্থ্য ও কল্যাণ শিরোনামে লক্ষ্য অর্জনের ক্ষেত্রে মায়ের মৃত্যুহার কমানোর ক্ষেত্রে ২০২০ সালের তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশ খুবই ভালো করেছে। নবজাতকের মৃত্যুহার হ্রাস এবং ৫ বছরের কম বয়সী শিশু মৃত্যুহার হ্রাসের ক্ষেত্রেও ২০২১ সাল পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশের লক্ষ্য অর্জন বেশ সন্তোষজনক। এইডস সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণেও বাংলাদেশ সফল। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সুপারিশে টিকাপ্রাপ্ত শিশুদের সুস্থ থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করতে বাংলাদেশের সাফল্যের হার ৯৭, যা এসডিআর রিপোর্ট অনুযায়ী সন্তোষজনক। নিরাপদ পানি ও স্যানিটেশন সংক্রান্ত লক্ষ্যে সুপেয় পানি পান ও ব্যবহার নিশ্চিতে ২০২০ সালের তথ্যমতে বাংলাদেশ এসডিজি লক্ষ্য অর্জন করেছে এবং এই সাফল্য ধরে রাখার চেষ্টা করছে।

সপ্তম টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জন অর্থাৎ সাশ্রয়ী ও দূষণমুক্ত জ্বালানিতে ২০২০ সালের তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশের বড় সাফল্য জনগণের কাছে বিদ্যুৎ পৌঁছানো। জ্বালানি থেকে কার্বন ডাই অক্সাইড নিঃসরণ নিয়ন্ত্রণেও ২০১৯ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের লক্ষ্য অর্জন সন্তোষজনক ।

শিল্প, উদ্ভাবন ও অবকাঠামোর লক্ষ্য অর্জনে সামগ্রিকভাবে পরিমিত রূপে উন্নতি করেছে বাংলাদেশ। মোবাইল ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যবহারে ২০২১ সালের হিসাব অনুযায়ী এসডিজি অর্জন করেছে বাংলাদেশ। বাণিজ্যিক এবং যোগাযোগব্যবস্থা সম্পর্কিত অবকাঠামো নির্মাণেও ২০১৮ সালের তথ্যমতে বাংলাদেশ একইরকম সাফল্য দেখাতে পেরেছে।

মুহাম্মদ আব্দুল মুহিত বলেন, এবারের অধিবেশনে বাংলাদেশের জন্য রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবর্তন এক নম্বর প্রায়োরিটি ইস্যু। এই বক্তব্য আবারও বিশ্ববাসীর কাছে পৌঁছে দিতে একটি সাইড ইভেন্ট আয়োজন করা হয়েছে। পাশাপাশি ১১টি উচ্চ পর্যায়ের সভায় অংশগ্রহণের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে জাতিসংঘ মহাসচিব এবং বেশ কয়েকটি দেশ ও সংস্থার প্রধানরা দ্বিপাক্ষিক সভা করবেন। সবখানেই প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের এসডিজি অর্জনের সাফল্যের ধারাবাহিকতা রক্ষার জন্যে সবার সহায়তা চাইবেন।

এবার জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে ১৫০ রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানের সঙ্গে যোগ দিচ্ছেন শেখ হাসিনা। এরই মধ্যে মূল বিতর্ক পর্ব শুরু হয়েছে । অধিবেশন চলবে ২৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। প্রতিবছরের মতো এবারও মূল অধিবেশনে শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) শেখ হাসিনা বাংলায় ভাষণ দেবেন।




কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়নে স্থানীয় সরকার দিবস উপলক্ষে র‌্যালি ও আলোচনা সভা

আজ মঙ্গলবার বেলা ১২ টার সময় কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের হলরুমে সেবা ও উন্নতির দক্ষ রুপকার উন্নয়নের উদ্ভাবনের স্থানীয় সরকার এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন স্থানীয় সরকার ২০২৩ উপলক্ষে অনুষ্ঠিত হয়।

কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল করিম বিশ্বাসের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের সচিব হাসানুজ্জামান, কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নজীর আহমেদ ও সাংগঠনিক সম্পাদক জাহিদুর রহমান মুকুল সহ ইউনিয়ন পরিষদের সকল সদস্যবৃন্দ।

এসময় চেয়ারম্যান আব্দুল করিম বিশ্বাস বলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র উদ্যোগে বাংলাদেশে এই প্রথম স্থানীয় সরকার দিবস পালন করা হচ্ছে। ইউনিয়ন পরিষদে নিরবচ্ছিন্ন ভাবে সাধারণ জনগণকে সেবা প্রদান করা হচ্ছে।

সর্বশেষ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে একটি বিশাল র‌্যালী কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদ হইতে বাজার প্রদক্ষিণ করে।




কার্পাসডাঙ্গায় ফার্মেসী মালিককে ভ্রাম্যমাণ আদালতে জরিমানা

দামুডহুদার কার্পাসডাঙ্গা বাজারে ভোক্তা সংরক্ষন অধিদপ্তর চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখা অভিযান চালিয়ে মেসার্স উষধ বিতান ফার্মেসীর মালিক ইমদাদুল হককে ৫০হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেছে।

ভ্রাম্যমান আদালত সুত্রে জানাগেছে মেয়াদউত্তীর্ন উষধ, বিক্রয় নিষিদ্ধ ফিসিসিয়ান সেম্পুল ও প্যাকেটে ডেট আছে উষুধের ডেট নেই এসব রদবদল করায় ভোক্তা সংরক্ষন আইন ২০০৯ এর ৪৫ও ৫১ধারায় ৫০হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।

 আজ মঙ্গলবার দুপুর একটার দিকে চুয়াডাঙ্গা জেলা ভোক্তা সংরক্ষন অভিদপ্তরের সহকারি পরিচালক সজল আহমেদ এ অভিযান পরিচালনা করেন ও মেয়াদউত্তীর্ন উষধ গুলো আগুনে পুড়িয়ে বিনষ্ট করা হয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন কার্পাসডাঙ্গা বাজার দোকান মালিক সমিতির সভাপতি আলমগীর রাসেল সহ অন্যন্যা সদস্যবৃন্দ। আইন শৃংখলার দ্বায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন কার্পাসডাঙ্গা পুলিশ ক্যাম্পের এসআই ইমরান হোসেনের নেতৃত্বে একটি চৌকশ দল।




গাংনীতে মৎস্য সেবা ও পরামর্শ সভা অনুষ্ঠিত

গাংনীর পলাশীপাড়া সমাজ কল্যাণ সমিতি (পিএসকেএস) কর্তৃক সমন্বিত কৃষি ইউনিটভুক্ত মৎস্যখাত এর আওতায় মৎস্য সেবা ও পরামর্শ সভার আয়োজন করা হয়েছে।

উক্ত পরামর্শ সভা পিএসকেএস খামার ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সভায় প্রশিক্ষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের মৎস্য প্রশিক্ষক মোঃ মতিউর রহমান।

এ সময় চাষীদের পুকুরে প্রাথমিক খাদ্য পরীক্ষা, মাছের সাধারন রোগ-প্রতিকার, মাছ চাষের সাধারণ সমস্যাবলী ও সমাধানসহ অন্যান্য বিষয়ে আলোকপাত করা হয়। এছাড়াও খাদ্য ব্যবস্থাপনায় বিবেচ্য বিষয়সমূহ ও পানি পরীক্ষার গুরুত্ব তুলে ধরা হয়।

উক্ত কার্যক্রমে আর্থিকভাবে সহায়তা করছে পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ)।




কেন ইইউ এর রেজুলেশন পুনর্বিবেচনার দাবি রাখে?

২০২৪ সালে অবাধ ও সুষ্ঠু সংসদ নির্বাচনের জন্য বাংলাদেশ সরকার যেন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে সেই সম্পর্কিত একটি প্রস্তাবের উপর ইউরোপীয় পার্লামেন্টে (ইইউ) আলোচনা হয়েছে যা বিভিন্ন মহলে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। একই সাথে ইউরোপীয় পার্লামেন্ট বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে তাদের উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এবং বাংলাদেশ সরকারকে মানবাধিকার সংস্থা-অধিকারের বিরুদ্ধে সমস্ত আইনি মামলা প্রত্যাহার করার আহ্বান জানিয়েছে।
বিশেষ করে এই সংগঠনের প্রধানের বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক দণ্ডের বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এই ধরণের আলোচনা মতপ্রকাশের স্বাধীনতার সীমানা পেরিয়ে একটি দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় সম্পর্কে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলির ভূমিকা সম্পর্কে প্রশ্নের উদ্রেগ করেছে। যদিও ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিশ্বব্যাপী মানবাধিকার সমুন্নত রাখার জন্য প্রশংসনীয় প্রতিশ্রুতি রয়েছে, তবে একটি স্বাধীন দেশের অভ্যন্তরীণ সমস্যা সমাধানের জন্য এই ধরনের একটি রেজোলিউশন সেই সমস্যা সমাধানের জন্য সবচেয়ে কার্যকর উপায় কিনা তা মূল্যায়ন করা অপরিহার্য।
এটা স্বীকার করা অপরিহার্য যে কোনো গণতান্ত্রিক সমাজে মত প্রকাশের স্বাধীনতা থাকবে এবং মানবাধিকার সংস্থাগুলি তাদের কাজের মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এই সংস্থাগুলি স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার জন্য সরকার এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম নজরদারি করতে পারে। যাইহোক, বাংলাদেশে মানবাধিকার সংস্থা-অধিকার এর মামলাটি ২০১৩ সালের হেফাজতে ইসলামীর সমাবেশে মৃত্যুর সংখ্যা সম্পর্কে মিথ্যা তথ্য প্রচারের অভিযোগকে ঘিরে। মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলিসহ যে কোনও সংস্থার বিশ্বাসযোগ্যতা তাদের দেওয়া তথ্যের নির্ভুলতার উপর নির্ভর করে। যদি এটি প্রমাণিত হয় যে অধিকার মিথ্যা তথ্য প্রকাশ করেছে, তাহলে এটি নৈতিক ও আইনগত উদ্বেগ বাড়ায়।
অনেক মিডিয়া হাউস সেই সময় অধিকারের দাবির বিষয়ে স্বাধীন অনুসন্ধান চালিয়ে তাদের প্রকাশিত তালিকায় অসঙ্গতি খুঁজে পেয়েছিল। মৃত হিসাবে তালিকাভুক্ত অসংখ্য ব্যক্তিকে জীবিত পাওয়া গেছে তাদের অনুসন্ধানে। ফলে এই ধরণের কার্যক্রম মানবাধিকার সংস্থাগুলির দ্বারা প্রচারিত তথ্যের যথার্থতা নিশ্চিত করার উপর গুরুত্ব আরোপ করে। পাশাপাশি যে কোনও সম্ভাব্য অসদাচরণ মোকাবিলার জন্য একটি ন্যায্য এবং স্বচ্ছ আইনি প্রক্রিয়ার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেয়। সেই সময়ে অধিকারের মাধ্যমে মিথ্যা তথ্যের বিস্তার শুধু সরকারের সুনামই নষ্ট করেনি বরং বাংলাদেশের জনগণের মধ্যে অসন্তোষের অনুভূতির জন্ম দিয়েছিল।
তাই, অধিকারের বিরুদ্ধে আইনি মামলা প্রত্যাহারের জন্য ইইউ পার্লামেন্টের আবেদনকে বাংলাদেশের আইনের শাসনকে সম্মান করার প্রেক্ষাপটে মূল্যায়ন করতে হবে। মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে সমর্থন করা এবং আইনি ব্যবস্থার পদ্ধতি এবং সিদ্ধান্তকে সম্মান করার মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখা অপরিহার্য। যদি অধিকারের পদক্ষেপগুলি বাংলাদেশের আইন লঙ্ঘন বলে মনে করা হয়, তাহলে সরকারের আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার অধিকার রয়েছে। ইইউ পার্লামেন্ট ন্যায়বিচার ও মানবাধিকারের নীতিগুলিকে সমুন্নত রেখে স্বচ্ছ ও ন্যায্যভাবে আইনি কার্যক্রম পরিচালনা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সরকারের কাছে আবেদন করতেই পারে। তবে, আইনি অভিযোগ খারিজ করার অনুরোধ করা যুক্তিযুক্ত নয়।
অধিকারের মামলাটির মাধ্যমে মত প্রকাশের স্বাধীনতা, মানবাধিকার সংস্থার জবাবদিহিতা এবং আইনের শাসনের মধ্যে জটিল সমীকরণের বিষয়টিকে তুলে ধরেছে। ফলে, তারা যেমন প্রত্যাশা করতে পারে যে একটি আইনি পদক্ষেপ ন্যায্যতা ও আন্তর্জাতিক মানদণ্ড মেনে চলবে, ঠিক তেমনি ভাবে ইইউ পার্লামেন্টের বাংলাদেশ সম্পর্কিত যে কোন ধরণের রেজুলেশন বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব এবং এর আইনি ব্যবস্থার প্রতি সম্মান জানানোর মাধ্যমে নেওয়া উচিত। তাই, একটি স্বাধীন জাতি হিসেবে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বকে সম্মান জানিয়ে ইইউকে কেন আরও গঠনমূলক পন্থা অবলম্বন করা উচিত সেই বিষয়টি এই নিবন্ধে তুলে ধরা হয়েছে।
বাংলাদেশ একটি সার্বভৌম রাষ্ট্র যার নিজস্ব সরকার, সংবিধান এবং আইনি কাঠামো রয়েছে। একটি সার্বভৌম দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে আন্তর্জাতিক হস্তক্ষেপকে তার সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘন হিসাবে বিবেচনা করা যেতে পারে। ইইউ-এর জন্য আন্তর্জাতিক আইনের নীতি এবং জাতির সার্বভৌমত্বকে সম্মান করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কূটনৈতিক চ্যানেলের মাধ্যমে গঠনমূলক সম্পৃক্ততা এই উদ্বেগগুলি মোকাবিলায় আরও উপযুক্ত উপায় হতে পারে।
সংঘাতপূর্ণ হিসাবে দেখা যেতে পারে এমন রেজুলেশন জারি করার পরিবর্তে, ইইউকে বাংলাদেশ সরকারের সাথে সংলাপ এবং সহযোগিতা বৃদ্ধির দিকে মনোনিবেশ করা উচিত। দ্বিপাক্ষিক আলোচনাকে উৎসাহিত করা মানবাধিকার সমস্যা সমাধানের জন্য আরও ইতিবাচক ও সহযোগিতামূলক পদ্ধতির দিকে নিয়ে যেতে পারে। এ ধরনের সংলাপ ইইউকে বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রেক্ষাপটের জটিলতাকে আরও ভালোভাবে বোঝার সুযোগ করে দিতে পারে।
ইইউ বাংলাদেশের সুশীল সমাজের সংগঠনগুলিকে তাদের সমর্থন চালিয়ে যেতে পারে। মানবাধিকার রক্ষার জন্য এই সংস্থাগুলির প্রচেষ্টা দেশের মানবাধিকারের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। ফলে, সুশীল সমাজকে তাদের কাজ চালিয়ে যাওয়ার জন্য সম্পদ, প্রশিক্ষণ এবং প্ল্যাটফর্ম সরবরাহ করা ইতিবাচক পরিবর্তনের জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরি করতে সহায়তা করতে পারে। তবে, তারা যদি কোন ভুল কাজ করে তবে তাদের সাথে যুক্ত হয়ে সরকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া ঠিক নয়।
বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক অনুঘটক। ইইউ-এর যে কোনো একতরফা পদক্ষেপের জন্য বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপড়েন আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। এই অঞ্চলের সকল রাষ্ট্রের সাথে ভাল কূটনৈতিক সম্পর্ক বজায় রাখা এবং আঞ্চলিক সংঘাতের শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য কাজ করা ইইউ এর দায়িত্ব।
সুতরাং, ইইউ উচিৎ তাদের পদ্ধতি পুনর্বিবেচনা করার মাধ্যমে বাংলাদেশের সাথে আরো গঠনমূলক এবং কূটনৈতিক সম্পৃক্ততা বৃদ্ধি করা এবং বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বকে সম্মান করে মানবাধিকার বিষয়ক কোন সমস্যা থাকলে তার সমাধানের বিষয়ে সরকারের সাথে আলোচনা করা। অন্যথায়, এ ধরনের উদ্যোগকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে অযাচিত অনুপ্রবেশ হিসেবে দেখা হতে পারে। ইইউ এর উচিত কূটনৈতিক চ্যানেলে বাংলাদেশ সরকারের সাথে সম্মানজনক সম্পৃক্ততার মাধ্যমে সমাধানগুলি খুঁজে বের করা। একতরফা সিদ্ধান্ত দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষতি করতে পারে এবং দেশের মধ্যে গঠনমূলক আলোচনাকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে।
মানবাধিকারের পক্ষে ওকালতি করা এবং একটি রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে হস্তক্ষেপের মধ্যে পার্থক্যে বিষয়টি সম্পর্কে সকল পক্ষকে সচেতন থাকতে হবে। তাছাড়া, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের সঠিক ভারসাম্য বজায় রাখা চ্যালেঞ্জিং হবে। যাইহোক, আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলির উচিত তাদের দৃষ্টিভঙ্গির বিষয়ে সতর্ক হওয়া। তাদের উচিত কোন দেশের মৌলিক মানবাধিকারের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করার সময় সেই দেশের সার্বভৌমত্বকে সম্মান করা।
লেখক: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের প্রফেসর।