বিএনপি নেতার আষ্ফালন, মানেননি আদালতের আদেশ

মেহেরপুরের নতুন মদনাডাঙ্গা গ্রামে জনসাধারণের চলাচলের জন্য বিক্রি করা জমি ঘিরে নিয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছেন স্থানীয় গ্রাম বিএনপির নেতা আতিকুর রহমান পিন্টু।

এই ঘটনায় আদালতের নির্দেশনা থাকলেও এখনো প্রতিবন্ধকতা সরানো হয়নি। পুলিশ প্রতিবন্ধকতা অপসারণ করতে গেলে উল্টো দম্ভোক্তি দেখিয়েছেন অভিযুক্ত পিন্টু।

জানা গেছে, মেহেরপুর জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইমতিয়াজ বিন হারুন (জুয়েল) নিজের বাগানে যাতায়াতের জন্য এবং জনসাধারণের সুবিধার্থে ৬ লাখ টাকায় প্রায় সাড়ে তিন শতক জমি ক্রয় করেন। জমির দলিলেও উল্লেখ রয়েছে যে এটি মানুষের চলাচলের পথ হিসেবে ব্যবহৃত হবে। তবে ক্ষমতার পালাবদলের পরদিনই পিন্টু ওই জমি ঘিরে দখলে নিয়ে নেন এবং ইমতিয়াজ বিন হারুনকে হুমকি দেন সেখানে না যাওয়ার জন্য।

মেহেরপুরের নতুন মনাডাঙ্গা গ্রামের আতিকুর রহমান পিন্টু ৬ লাখ টাকায় বিক্রি করা প্রায় সাড়ে তিন শতক জমি তারের বেড়া দিয়ে ঘিরে নিয়েছে। বাগানের কোন পাশ দিয়ে যাতে বাগান মালিক জুয়েল প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য বাগানের অন্যপাশের জমির মালিকদেরও ঘিরে নিয়ে যাতায়াতে প্রতিবন্ধক তৈরীর জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।

পিন্টু অকপটে স্বীকারও করছেন মানুষের চলাচলের জন্য বিক্রি করা জমি দখলের বিষয়টি। মানুষের চলাচলের জন্য জমি ক্রেতা আইনজীবী খ. ম. ইমতিয়াজ বিন হারুনসহ (জুয়েল) মানুষ ওই পথ দিয়ে যাতায়াত করতে পারছেনা।

পৈত্রিক সুত্রে বাগানের মালিক মেহেরপুর জেলা শহরের ইমতিয়াজ বিন হারুন। নিজের বাগানে যাতায়াতের জন্য কোন রাস্তা ছিলো না। মাঠে যাতায়াতের এবং নিজের বাগানে যাতায়াতের জন্য গত ২৮ ফেব্রুয়ারি আতিকুর রহমান পিন্টু‘র কাছ থেকে ০.০৫৯৭ একর (প্রায় সাড়ে তিন শতক) জমি ৬লাখ টাকায় কিনে নেন ইমতিয়াজ।

জমির দলিলও হয়েছে সাধারণের যাতায়াতের জন্য। ফলে ওই জায়গা দিয়ে এতদিন এলাকার মানুষ মাঠে চাষাবাদের জন্য যাতায়াত করতেন। বিক্রি করা জমি ঘিরে নেয়ার ফলে সাধারণ মানুষ মাঠে যাতায়াত করতে পারছেনা।

গ্রামের ইব্রাহিম হোসেন, সুমন হোসেন, সাইফুল ইসলামও স্বীকার করেন জমির মালিক ইমতিয়াজের। তিনিই পিন্টুর সাথে জমি কিনে তাদের যাতায়াতের রাস্তা করে দিয়েছেন। চলাচলের রাস্তা ঘিরে নিয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিতে গ্রামের লোকজন ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
ইমতিয়াজ বিন হারুন জানান, মাঠে চাষাবাদের কৃষক ও নিজের বাগানে যাতায়াতের জন্য পিন্টুর কাছ থেকে ০.০৫৯৭ একর জমি কিনে জনসাধারণের জন্য পথ করে দিয়েছি। হঠাৎ করে ওই রাস্তা ঘিরে নিয়ে মাঠ ও বাগানে যাতায়াত করা যাচ্ছেনা। এমনকি তার একটি টিনের ছাউনি ছিলো। সে ভাংচুর করে প্রায় ৩৭ হাজার টিনও লুট করা হয়েছে।

গ্রামের বাজারে নিজের হার্ডওয়ার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পিন্টুর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি স্বীকার করে বলেন, ইমতিয়াজ তার কাছ থেকে জমি কিনে রাস্তা তৈরী করেছেন। এই জমি কেনার আগে একদিন জেলা শহরে ইমতিয়াজ আমাকে অপমান করেন। তার প্রতিশোধ নিতে জমি ঘিরে নিয়েছি। খোঁজ নিয়ে জানাগেছে পিন্টু গ্রাম বিএনপির রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত।

বিষয়টি আদালতে গড়ালে মেহেরপুরের বিজ্ঞ বিচারিক আদালত ৬৯/২১ নং দেওয়ানী মোকদ্দমায় একটি আদেশ দেন। আদালত তার রায়ে উল্লেখ করেন, আপিলকারী বাদী ইমতিয়াজ বিন হারুনের ক্রয়কৃত ৬১২ নং দাগের জমি রাস্তা হিসেবে ব্যবহারের জন্য বৈধ।
চলাচলের রাস্তার সঙ্গে যুক্ত ৬১৩ নং দাগের জমি সরকারী খাস খতিয়ানভুক্ত, যা আগেও পতিত ছিল। প্রতিপক্ষ পিন্টু এই সরকারি জমিতে কাটাতারের বেড়া দিয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছেন, যা আদালতের নির্দেশনা অনুসারে অবৈধ।

আদালত প্রতিপক্ষকে ১৫ দিনের মধ্যে এই বেড়া অপসারণের নির্দেশ দিয়েছেন। অন্যথায় মেহেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে আদালতের নির্দেশনার পরও এখনো জমির দখল নিয়ে অচলাবস্থা চলছে।

মেহেরপুর সদর থানার এস আই সুজয় মল্লিক বলেন, বিজ্ঞ আদালতের আদেশে সরেজমিন পরিদর্শনে গিয়ে আসামিকে প্রতিবন্ধকতা সরিয়ে নিতে বলা হলে আসামি বলেন, আদালত থেকে এর ফয়সালা হবে। সেভাবেই প্রতিবেদন আদালতে জমা দেওয়া হয়েছে।




ঝিনাইদহে আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালিত

‘অধিকার, সমতা, ক্ষমতায়ন, নারী ও কন্যার উন্নয়ন’ এ শ্লোগানকে সামনে রেখে ঝিনাইদহে আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালিত হয়েছে।

শনিবার (৮ মার্চ) সকালে শহরের পায়রা চত্বরে এ উপলক্ষে মানববন্ধন ও পথসভার আয়োজন করে মানবাধিকার ডিফেন্ডার নেটওয়ার্ক।

এতে ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনের সদস্যসহ নানা শ্রেণী পেশার মানুষ অংশ নেয়। এতে বক্তব্য রাখেন, ঝিনাইদহ বিসিকের উপ-ব্যবস্থাপক সেলিনা রহমান, মানবাধিকার ডিফেন্ডার নেটওয়ার্কের সভাপতি আমিনুর রহমান টুকু, সাধারণ সম্পাদক শরিফা খাতুন, সদস্য এন এম শাহজালাল, এডাপের সভাপতি মিজানুর রহমান, সদস্য জান্নাতুল ফেরদৌস লাকীসহ সংগঠনের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

মানববন্ধন ও পথসভা শেষে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের করা হয়। র‌্যালিটি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে ওয়েলফেয়ার এফোর্টস (উই) কার্যালয়ে গিয়ে শেষ হয়।

পরে সেখানে এডাব’র আয়োজনে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এতে বক্তারা নারীর উন্নয়ন ও ক্ষমতায়নের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন। নারীদের শিক্ষা, অর্থনৈতিক মুক্তি, সহিংসতা প্রতিরোধ, কর্মক্ষেত্রে সমঅধিকার এবং নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে নারীদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধির বিষয়ে গুরুত্বারোপ করা হয়। আলোচনা সভায় বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, সমাজকর্মী, শিক্ষক, সাংবাদিকসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।




আটার রুটিকে আরও বেশি পুষ্টিকর বানাবেন যেভাবে

ময়দার বদলে বেশি ফাইবার যুক্ত আটা খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকরা। কারণ ফাইবার পেটের স্বাস্থ্যের জন্য যেমন ভালো, তেমনই ময়দার তুলনায় বেশি স্বাস্থ্যকরও।

কিন্তু কয়েকটি উপায়ে আটার রুটিকেও আরও স্বাস্থ্যকর করে তোলা যায়। পুষ্টিবিদেরা বলছেন আটার রুটি আরও স্বাস্থ্যকর করে তোলার জন্য আটার সঙ্গে পাঁচ ধরনের স্বাস্থ্যকর উপাদান মেশানো যেতে পারে।

১। সজনে পাতা: সজনে পাতায় আছে ভিটামিন এ এবং আয়রন। যা ওজন কমাতে সাহায্য করে। আবার সজনে পাতায় রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টসও। যা রোগ দূরে রাখে। ১ কাপ আটায় ১-২ টেবিল চামচ রোদে শুকিয়ে গুঁড়িয়ে নেওয়া সজনেপাতা মিশিয়ে আটা মেখে নিন। তা দিয়ে বানিয়ে ফেলুন রুটি।

২। হলুদ: হলুদেও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট আছে। রয়েছে প্রদাহ নাশক উপাদান। ১ কাপ আটায় ১ চা-চামচ হলুদগুঁড়ো মিশিয়ে আটা মাখুন।

৩। জোয়ান: জোয়ান হজমে সহায়ক। আবার জোয়ান পেট ফাঁপার মতো সমস্যা অস্থিসন্ধির ব্যথাও কমাতে সাহায্য করে। ১ চা-চামচ জোয়ান শুকনো কড়ায় হালকা ভেজে নিয়ে ১ কাপ আটায় মিশিয়ে মেখে নিন। রুটি সুস্বাদুও হবে খেতে।

৪। তিসি বীজ: তিসি বীজে রয়েছে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড। যা হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে। কোলেস্টেরলও কম রাখে। ১ কাপ আটায় ১ টেবিল চামচ তিসি বীজ শুকনো কড়ায় ভেজে গুঁড়িয়ে দিয়ে দিন। তাই দিয়ে আটা মেখে রুটি বানিয়ে নিন।

৫। মেথি: মেথি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। ১ টেবিল চামচ মেথি গুঁড়িয়ে নিয়ে ১ কাপ আটায় মিশিয়ে মাখুন। তবে মেথির রুটির স্বাদ সামান্য তেঁতো হবে। টক স্বাদের তরকারির সঙ্গে ভালো লাগবে।

সূত্র: যুগান্তর




ঝিনাইদহে বিশ্ব বন্যপ্রাণী দিবস উদযাপন

ঝিনাইদহে বিশ্ব বন্যপ্রাণী দিবস উদযাপন করা হয়েছে। শনিবার (৮ মার্চ) দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এ দিবসের আয়োজন করে জেলা প্রশাসন ও যশোর সামাজিক বন বিভাগ।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঝিনাইদহের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আওয়াল। সভাপতিত্ব করেন যশোর বিভাগীয় বন কর্মকর্তা অমিতা মন্ডল।

অনুষ্ঠানের শুরুতে বিষয়ভিত্তিক উপস্থাপনা করেন বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের মৎস্য বিশেষজ্ঞ মফিজুর রহমান চৌধুরী, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার সহকারী একান্ত সচিব আশিকুর রহমান সমী, সরকারি কে.সি কলেজের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম, এবং ঝিনাইদহের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক এ.বি. এম. খালিদ হোসেন সিদ্দিকী।

বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ যষ্টি চন্দ্র রায়।

বক্তারা বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তা, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা এবং জনসচেতনতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করেন।




নতুন রূপে ধরা দিলেন নুসরাত ফারিয়া

‘জিন’ ও ‘জিন টু’এর সাফল্যের পর এবার ‘জিন-থ্রি’ কিস্তি নিয়ে আসছে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান জাজ মাল্টিমিডিয়া। আসন্ন ঈদুল ফিতরে সিনেমাটি মুক্তি উপলক্ষ্যে নির্মিত হচ্ছে ‘জিন থ্রি’। আর এ সিনেমাটি নির্মিত হচ্ছে একেবারে সত্য ঘটনা অবলম্বনে।

সম্প্রতি প্রকাশ পেয়েছে এ সিনেমাটির পোস্টার। সেখানে কালো পোশাকে দুহাত প্রসারিত করে জিনের রূপে দাঁড়িয়ে আছেন একটি মেয়ে। যার হাতভর্তি লম্বা নখ, বড় বড় রক্ত চোষা দাঁত। আর এমন লুকেই ধরা দিয়েছেন ঢালিউডের আলোচিত এক অভিনেত্রী।

এর আগে জাজের ‘জিন’ ও ‘জিন টু’ সিনেমা দুটি বেশ সাড়া জাগিয়েছিলেন অভিনেতা সজল। দুটি সিনেমাতেই তার বিপরীতে অভিনয় করেছিলেন অভিনেত্রী পূজা চেরী। তবে এবার তৃতীয় কিস্তিতে নায়িকা বদলে গেছে। পূজা চেরীর পরিবর্তে পর্দায় আসছেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী নুসরাত ফারিয়া।

সম্প্রতি ‘জিন-থ্রি’ সিনেমাটির মুক্তি উপলক্ষে ইতোমধ্যে অন্তর্জালে উন্মুক্ত হয়েছে এর পোস্টার। কিন্তু পোস্টারে গ্ল্যামারাস নুসরাত ফারিয়াকে প্রথম দেখাতে অনেকেই চিনতে পারেননি। অভিনেত্রীর এমন হাল রীতিমতো চমকে দিয়েছে নেটিজেনদের, তা বুঝতে বাকি নেই। কৌতূহল দর্শকরা জানতে চেয়েছেন গ্ল্যামারাস নুসরাত ফারিয়া কি তবে এবার আসলেই জিন, ভূত নাকি ভ্যাম্পায়ার? যদিও সিনেমাসংশ্লিষ্টরা বলছেন, সব উত্তর মিলবে পুরো সিনেমাটি দেখলে। সে অপেক্ষায় নুসরাত ফারিয়ার ভক্ত-অনুরাগীরা।

সূত্র: যুগান্তর




মেহেরপুরের আমঝুপিতে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উদযাপিত

মেহেরপুরের আমঝুপিতে যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপিত হয়েছে আন্তর্জাতিক নারী দিবস। দিবসটি উপলক্ষে মানব উন্নয়ন কেন্দ্র (মউক) এবং এএলআরডি’র যৌথ উদ্যোগে এক বর্ণাঢ্য র‍্যালি ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে।

শনিবার (৮ মার্চ) সকাল ১০টায় মউকের হলরুমে আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন সাবেক শিক্ষক হাজী আজগর আলী মাস্টার। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মউকের নির্বাহী প্রধান আশাদুজ্জামান সেলিম। স্বাগত বক্তব্য রাখেন মউকের প্রোগ্রাম ম্যানেজার ও নারী নেত্রী ফাহিমা খাতুন এবং কাজল রেখা।

মানবাধিকার কর্মী সাদ আহাম্মদের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় নারী অধিকার ও নির্যাতন প্রতিরোধ বিষয়ে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এডুকেশন প্রকল্পের উপজেলা প্রোগ্রাম ম্যানেজার শিরিন আক্তার।

এছাড়াও এসময় সাবেক কাউন্সিলর আব্দুর রহিম, আমঝুপি ইউপি সদস্য সালমা বেগম, আরিফ হোসেন, সমাজসেবক শহীদুল্লাহ এবং আব্দুর রকিব উপস্থিত ছিলেন।

আলোচনায় নারী নির্যাতনের বর্তমান চিত্র, এর কারণ ও প্রতিকার, বাল্যবিবাহ রোধসহ নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠার বিভিন্ন দিক তুলে ধরা হয়। এর আগে একটি র‍্যালি আমঝুপির বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।




ফাইনালের আগে রোহিতকে কড়া কথা শোনালেন গাভাস্কার

আগামীকাল চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে মাঠে নামবে ভারত। রোহিত শর্মার হাতে আরও একটি শিরোপা দেখার স্বপ্ন বুনছে ভারতীয় ক্রিকেটপ্রেমিরা। এবার সেই মহাগুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের আগে অধিনায়ক রোহিতকে কড়া কথা শুনিয়েছেন সাবেক ক্রিকেটার ও ধারাভাষ্যকার সুনীল গাভাস্কার।

এবারের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে এখনো জ্বলে উঠতে পারেননি রোহিত। টুর্নামেন্টে এখন পর্যন্ত রোহিতের সর্বোচ্চ ইনিংস ৪১ রানের, বাংলাদেশের বিপক্ষে। এই অবস্থায় ফাইনালে রোহিতকে নিয়ে দুশ্চিন্তা বাড়ছে। যা নিয়েই এবার রোহিতকে কড়া কথা শুনিয়েছেন গাভাস্কার।

গাভাস্কার বলেন, ‘যদি ও (রোহিত শর্মা) ২৫ ওভারও ব্যাট করে, ভারতের স্কোর পৌঁছে যাবে ১৮০-২০০ রানে। ভেবে দেখুন, ওরা যদি সেই সময় গোটা দুই উইকেট হারায়, শুধু ভেবে দেখুন ওরা কী করতে পারে। ওরা ৩৫০ বা তার বেশি রানে পৌঁছে যেতে পারে। যা নিয়ে রোহিতের ভাবা দরকার। আপাদমস্তক আগ্রাসী ক্রিকেট খেলা একটা ব্যাপার, কিন্তু ২৫-৩০ ওভার ব্যাট করার সুযোগ দেওয়ার জন্য কোথাও একটু বিচক্ষণতা থাকতে হবে। যদি ও সেটা করে ফেলতে পারে, প্রতিপক্ষের থেকে ম্যাচ বের করে নিয়ে চলে যাবে। এ ধরনের প্রভাকেই বলা হয়, ম্যাচ জয়।’

রোহিতের অল্পতে সন্তুষ্টি নিয়ে গাভাস্কার বলেন, ‘আমি মনে করি, একজন ব্যাটার হিসাবে, সে ২৫-৩০ করে রান করেই খুশি? তা হওয়া উচিত নয়। এটাই আমি ওকে বলব। সাত, আট ও নয় ওভার থাকার পরিবর্তে সে যদি ২৫ ওভার পর্যন্ত টিকে যাও, তাহলে দলে তার প্রভাব আরও বেশি হবে।’

সূত্র: যুগান্তর




মেহেরপুরে আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালিত

“অধিকার, সমতা, ক্ষমতায়ন নারী ও কন্যার উন্নয়ন” এই প্রতিপাদ্যে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে মেহেরপুরে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে।

শনিবার সকাল ১১টায় মেহেরপুর মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর ও জেলা প্রশাসনের আয়োজনে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপ পরিচালক নাসিমা খাতুনের সভপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক সিফাত মেনহাজ। বিশেষ অতিথি ছিলেন পুলিশ সুপার মাকসুদা আকতার খানম।

সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তানজিনা শারমিন দৃষ্টির সঞ্চালনায় এছাড়াও এসময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) তরিকুল ইসলাম, সহকারী কমিশনার সাজেদুল ইসলাম, মেহেরপুর সরকারি কলেজের সহযোগী অধ্যাপক ফুয়াদ খান, বীর মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন (অব.) আব্দুল মালেক, মেহেরপুর প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব চান্দু, উম্মে হানি ও তৃপ্তি কনা বিশ্বাস প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।




মেহেরপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জিএম এর বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ

মেহেরপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) স্বদেশ কুমার ঘোষের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, অনিয়মসহ একাধিক অভিযোগ করে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান বরাবর অভিযোগ দিয়েছেন সাধারণ গ্রাহক ও কর্মচারীরা।

অভিযোগের একটি অনুলিপি মেহেরপুর প্রতিদিন কার্যালয়েও পাঠানো হয়েছে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে অভিযোগকারীদের অভিযোগের কিছুটা সত্যাতা পাওয়া গেছে। মেহেরপুর প্রতিদিন এ সকল অভিযোগ নিয়ে অনুসন্ধান শুরু করেছে। যেগুলো পর্যায়ক্রমে প্রকাশিত হবে।
অভিযোগপত্র থেকে জানা গেছে, স্বদেশ কুমার ঘোষ মাগুরা পল্লী বিদ্যুতে থাকাকালীন আওয়ামী লীগ নেতা সাইফুল ইসলাম শেখরের আশ্রয় এবং প্রশ্রয়ে মাগুরাতে তিনি ত্রাসের রাজত্ব করেছেন এবং মেহেরপুরে এসে তৎকালীন জনপ্রশাসন মন্ত্রীর সাথে তাল মিলিয়ে দুর্নীতির রাজত্ব করেছেন।

বর্তমানে তিনি বিভিন্ন মিটিং মিছিলে বর্তমান সরকারের সমালোচনা করছেন এবং আওয়ামী লীগ সরকারের গুণগান করছেন যার প্রমাণ মেহেরপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সকল অফিসাররা। তথাকথিত পবিস-আরইবি আন্দোলনের সময় তিনি চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুর ডিসি অফিসে দলবল নিয়ে স্মারকলিপি দেন এবং আরইবির বিরুদ্ধে স্থানীয় প্রশাসনকে উদ্বুদ্ধ করেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

মেহেরপুর ও চুয়াডাঙ্গা জেলার সাধারণ চাষীদের নিকট হতে দুর্নীতিবাজ স্বদেশ কুমার ঘোষ গত চার মাসে অর্ধ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগকারীরা উল্লেখ করেছেন। বামুন্দি অফিস এবং গাংনী অফিসের মাধ্যমে বিনামূল্যে চাষীদের ট্রান্সফরমার দিয়ে ওই অর্থ তিনি নিজে গ্রহণ করেছেন।

এজিএম জেরিন, পল্লী বিদ্যুতের ঠিকাদার তাজুল ও মোজাম্মেলের মাধ্যমে জিএম সাধারণ কৃষকের মাঝে থেকে টাকা নিতেন। এজিএম জেরিনের অপকর্মের শেষ নেই তারপরেও তাকে ইএমসি দপ্তরে রেখে জিএম সাহেব দুর্নীতি চালিয়ে যাচ্ছেন।

ইতিপূর্বে তাঁর বিরুদ্ধে আরইবিতে একাধিকবার অভিযোগ গেলেও জিএম তাঁর প্রভাব খাটিয়ে ও তদন্ত কমিটিতে ভয় দেখিয়ে সঠিকভাবে তদন্ত করতে দেননি।

গত চার মাসে বামুন্দি অফিসে ৮৫টি ট্রান্সফরমার বিনামূল্যে কৃষকের মাঝে দিলেও প্রতিটি ট্রান্সফরমার হতে ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা করে এজিএম হানিফ স্যার এবং জিএম স্যার আত্মসাৎ করেছে। এজিএম হানিফ স্যার চাকরি জীবনে দুর্নীতির কারণে এর আগেও শাস্তি প্রাপ্ত হয়েছে দিনাজপুর সমিতিতে আর স্বদেশ কুমার প্রতিটি সমিতিতেই দুর্নীতির দায়ে সাজাপ্রাপ্ত হয়েছেন।

বর্তমানে ঠিকাদার তাজুল ও মোজাম্মেল, এজিএম জেরিন ও জিএম স্যার মিলে গ্রাহকের নিকট হতে অবৈধভাবে অর্থ নিয়ে অনুমোদন ব্যতী রেখে লাইন নির্মান করছে। এতে সহযোগীতা করছেন গাংনী অফিসের ডিজিএম। তিনি বর্তমানে ঢাকা পবিসে বদলী হয়েছেন।

প্রতিটি অফিসে গ্রাহক ট্রান্সফরমার ক্রয় না করলে জামানাতের টাকা নেওয়া নিষেধ থাকলেও গাংনী ও বামুন্দি অফিসের জন্য তা ছিল ব্যতিক্রম। এজিএম জেরিন এই অপকর্মগুলো নিয়ন্ত্রণ করেন।

সমিতি স্টোর হতে বিনামূল্যে কাট আওট সরবরাহ করা হলেও ঠিকাদারের মাধ্যমে প্রতিটি কাট আওট-এর জন্য কৃষকের কাছ থেকে ৫হাজার টাকা করে নেওয়া হয়। এই টাকার ভাগ পায় এজিএম জেরিন ও জিএম।

শিল্প গ্রাহক এর ক্ষেত্রে টাকা দিতে গ্রাহক অস্বীকৃতি জানালে বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে বছরের পর বছর আবেদন পেন্ডিং রাখা হয় জিএম এর নির্দেশে। অথচ টাকার বিনিময়ে অনুমোদন ছাড়াই সংযোগ হচ্ছে।

সেচ নীতিমালা না মেনে সমিতিতে ট্রান্সফরমারের ঘাটতি থাকলেও টাকার বিনিময়ে ট্রান্সফরমার সরবরাহ, গাংনী জোনাল অফিসের আওতায় সেচ নীতিমালা না মেনে টাকার বিনিময়ে কমান্ডিং এরিয়ার মধ্যে সংযোগ প্রাদান করেন।

সমিতির রেস্ট হাউসে বসে মদ ও মেয়ে নিয়ে অসভ্যতা করার অভিযোগও উঠেছে জিএম এর বিরুদ্ধে। এ কাজে সহযোগিতা করেন দুই এজিএম।

মিটার ও সার্ভিস তাঁর আরইবি হতে সাপ্লাই করলেও সংশ্লিষ্ট এজিএম টাকার বিনিময়ে কাট আওট, সার্ভিস তাঁর, মিটার দিয়ে থাকেন।
সমিতির নতুন সভাপতি একজন আওয়ামী লীগের দোসর হওয়ার পরও পুনরায় তাকেই পরিচালক করা হয়েছে।

এ বিষয়ে মেহেরপুর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য সচিব মোজাহিদুল ইসলাম মেহেরপুর প্রতিদিনকে বলেন, ৫ আগষ্ট শেখ হাসিনা পালিয়ে গেলেও গত মাস পর্যন্ত বিদ্যুৎ বিলে তার নাম রেখে দিয়েছিলেন জিএম। এছাড়া তিনি যোগসাজশ করে যুবলীগ নেতা পেরেশানের কাজিনকে পুনরায় সভাপতি করেছেন। যার মাধ্যমে তিনি পুরোনাদের দিয়ে পল্লী বিদ্যুৎকে চালানো চেষ্টা করছেন। এছাড়া কৃষক ও সাধারণ গ্রাহকদের যে অভিযোগ আছে তা সুষ্ঠ তদন্ত করলে সত্যতা পাওয়া যাবে তিনি মন্তব্য করেন।

তবে সকল অভিযোগ অস্বীকার করে মেহেরপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) স্বদেশ কুমার ঘোষ মেহেরপুর প্রতিদিনকে বলেন, নির্বাচন আরইবি নিয়ণÍ্রণ করেন। এখানে আমরা শুধু দাপ্তরিক কাজ করি। তবে সরকারের নির্দেশনায় সারাদেশেও কোথাও নির্বাচন না হওয়ায় পুনরায় পুরোনা কয়েকজন সদস্য হয়েছে। তাদের ভোটেই সভাপতি নির্বাচত হয়েছেন। এছাড়া অন্যান্য অভিযোগের ব্যাপারে তিনি বলেন, ষড়যন্ত্র করে এসকল অভিযোগ করা হয়েছে বলে জানান তিনি। পূর্বের কিছূ ভুলক্রুটি হয়ে থাকলেও সামনে যাতে এগুলো না হয় সেদিকে ব্যবস্থা নিবেন বলেও আশ্বস্ত করেন তিনি।




মেহেরপুরে সর্বনিম্ন ফিতরা ১০০ টাকা, সর্বোচ্চ ৩৩০০ টাকা

বাংলাদেশ জাতীয় ইমাম সমিতির মেহেরপুর জেলা শাখার উদ্যোগে ফিতরা ও যাকাতের নিসাব নির্ধারণ করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) দুপুর দুইটার দিকে মেহেরপুর হোটেল বাজার জামে মসজিদে এক আলোচনা সভার মাধ্যমে এই নিসাব নির্ধারণ করা হয়।

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন মেহেরপুর জেলা ইমাম সমিতির সভাপতি হাফেজ মাওলানা রোকনুজ্জামান। সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা ইমাম সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাওলানা সিরাজ উদ্দীন, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা মো. আব্দুল ওহাব, দপ্তর সম্পাদক মাওলানা জামাল উদ্দীন, সহ-দপ্তর সম্পাদক মাওলানা ইদ্রিস আলী, সদস্য মাওলানা সাইফুল ইসলাম এবং উপদেষ্টা মাওলানা সিদ্দিকুর রহমানসহ অন্যান্য মুসল্লিগণ।

সভায় ফিতরার হার নির্ধারণ করা হয় সর্বনিম্ন ১০০ টাকা ও সর্বোচ্চ ৩৩০০ টাকা জনপ্রতি।

এছাড়া, যাকাতের নিসাব নির্ধারণ করা হয়। সমস্ত ব্যক্তিগত খরচ বাদ দিয়ে সর্বনিম্ন ৮০,৩৭৫ টাকা সঞ্চিত থাকলে, সেই টাকার আড়াই শতাংশ (২.৫%) হারে যাকাত প্রদান করতে হবে।