খালেদার অসুস্থতা ও আন্দোলন নিয়ে বিএনপির লুকোচুরি

বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া এতোটাই অসুস্থ যে মাসাধিকাল ধরে তিনি এভারকেয়ারে চিকিৎসাধীন আছেন। দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তার সাথে সাক্ষাতে যান এবং প্রতিবারই ফিরে এসে এমন কাতর কণ্ঠে তার মুক্তি দাবি করেন। মঙ্গলবার রাতে যখন গণতন্ত্র মঞ্চের শীর্ষ নেতারা এভারকেয়ারে গেলেন তখন সাংবাদিকসহ বিএনপির নেতাকর্মীরাও উৎসুক ছিলেন।

সেই রাতে যখন গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা হাসপাতালে অপেক্ষা করছিলেন খালেদা জিয়ার সাক্ষাতের। তখনই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সবাই বলছিলেন- ‘আর বেশিক্ষণ না। অল্পক্ষণেই জানা যাবে আসলে কী পরিস্থিতি। কেনো নেতারা ছুটে গেছেন দেখা করতে।’ আশ্চর্যের বিষয় – নেতারা বেরিয়ে এলে বিভ্রান্তি কমবে ভাবছিলেন যারা, কিন্তু নেতাদের বক্তব্য শুনে তারা তারচেয়েও বেশি বিভ্র্রান্তিতে পড়েছেন। প্রশ্ন দেখা দিয়েছে- বাংলাদেশের সাবেক একজন প্রধানমন্ত্রী তাকে নিয়ে আসলে কী ঘটে চলেছে। এই বয়সে যতগুলো জটিল সমস্যা নিয়ে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন, তার নেতাকর্মীরা কি আদৌ সহমর্মী? নাকি রাজনীতিতে তাকে এই মুহূর্তে ব্যবহারের কথা ভেবেই তারা হাসপাতালে গিয়েছিলেন।

মঙ্গলবার দিনগত রাত ১০টার দিকে এভারকেয়ার হাসপাতালে যান নেতারা। খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে বেরিয়ে হাসপাতালের সামনে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তারা। এ সময় নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না সাংবাদিকদের বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়া অত্যন্ত অসুস্থ। রাজনৈতিক কথা বলার মতো অবস্থায় নাই। আমরা কথা বলেছি, দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে। তাকে জানিয়েছি, আমরা এক দফার আন্দোলন করছি। সামনের মাসে আন্দোলন জোরদার করব।’ মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, “তিনি (খালেদা জিয়া) বলেছেন, ‘আপনারা যারা বাইরে আছেন, তারা সবাই মিলে আন্দোলন করেন। আমি দেখতে চাই, আপনারা আন্দোলন করছেন, আন্দোলন করতে হবে।’ আমাদের এই আন্দোলনে তাঁর সমর্থন আছে। তিনি (খালেদা জিয়া) বলেছেন, কোনো অবস্থায় এই সরকারের অধীনে নির্বাচনি ফাঁদে পা দেওয়া যাবে না।”

লক্ষ্য করুন মাহমুদুর রহমান মান্না বলছেন, ‘রাজনৈতিক কথা বলার মতো অবস্থায়’ নেই। তাহলে? তারপরে তিনি বলছেন, খালেদা জিয়া ‘আন্দোলন চালিয়ে যেতে বলেছেন’, খালেদা জিয়া নির্বাচনের ফাঁদে পা না দিতে বলেছেন’। এই পরের কথাগুলো মাহমুদুর রহমান মান্নার কাছে অরাজনৈতিক কথা? এগুলো খালেদা জিয়া সত্যিই বলেছেন তো? বিএনপি নেতা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বারবার বলছেন, উনি ‘খুব অসুস্থ’। হাসপাতালে খুব অসুস্থ মানুষ খালেদা জিয়ার বরাত দিয়ে সেদির রাতে হাসপাতালের বাইরে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম বলেন, ‘তিনি (খালেদা জিয়া) বলেছেন, দেশকে বাঁচাতে হলে এই আন্দোলনটা করতে হবে, দেশকে রক্ষা করতে এই আন্দোলনে বিজয়ী হতে হবে।’

এদিন হাসপাতালে খালেদা জিয়াকে দেখতে যাওয়া গণতন্ত্র মঞ্চের নেতাদের মধ্যে ছিলেন- জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবুল ও রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন সমন্বয়ক এডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম। তাদের প্রত্যেকের কথায় ছিলো ‘খালেদা জিয়া আন্দোলন চালিয়ে যেতে বলেছেন’।

গত ৯ আগস্ট শারীরিক অসুস্থতার কারণে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয় বেগম খালেদা জিয়াকে। এরপর থেকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি। ৭৯ বছর বয়সী সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী লিভার সিরোসিস, আর্থাইটিস, রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, কিডনি, হৃদযন্ত্রে জটিলতা, ফুসফুস, চোখ ও দাঁতের নানান সমস্যায় ভুগছেন। এছাড়া তার মেরুদণ্ড, ঘাড়, হাত ও হাঁটুতে বাতের সমস্যাসহ আরও কিছু শারীরিক জটিলতা রয়েছে। যদিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ খালেদা জিয়ার শারীরিক পরিস্থিতি নিয়ে এভার কেয়ার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কোন তথ্য দিতে চায় না। গণমাধ্যমকে নিয়মিত তথ্য জানান খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক এ জেড এম জাহিদ। মঙ্গলবার যে নেতারা রাতে হাসপাতালে সাক্ষাত করেছেন এবং গণমাধ্যমে কথা বলেছেন তাদের বক্তব্য উৎসুক মানুষের মনে বিভ্রান্তি কমাতে পারেনি, বরং বেড়েছে।




দর্শনায় আইডিয়াল স্কুল এন্ড ক‌লেজে বৃক্ষরোপণ অনুষ্টানে এমপি টগর

চুয়াডাঙ্গার দর্শনায় দর্শনা আইডিয়াল স্কুল এন্ড ক‌লেজ প্রাঙ্গণে বৃক্ষরোপণ ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১ টায় দর্শনা পুরাতন বাজার জোড়া বটতলা সংলগ্ন দর্শনা আইডিয়াল স্কুল এন্ড ক‌লেজ প্রাঙ্গণে বৃক্ষরোপণ ও মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সাংসদ হাজী মোঃ আলী আজগার টগর।

তিনি বলেন,বৃক্ষকে ভালো বাসুন, বৃক্ষনিধন থেকে দূরে থাকুন,বেশী বেশী বৃক্ষ রোপন করুন। লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধূলারও চর্চা করতে হবে।

এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপ‌স্থিত ছি‌লেন দর্শনা আইডিয়াল স্কুল এন্ড ক‌লে‌জের প‌রিচালক ও উদ্যোক্তা গোলাম ফারুক আরিফ, সভাপ‌তি উত্তম রঞ্জন দেবনাথ, আজমপুর সঃ প্রাঃ প্রধান শিক্ষক স্বরুপ কুমার দাস প্রধান শিক্ষক তনুশ্রী বসু,লি‌টিল এন‌জেলস ইন্টা স্কু‌লের প্রধান শিক্ষক বিকাশ কুমার দত্ত ও বিদ‌্যাল‌য়ের সহকা‌রি প্রধান শিক্ষক রেজাউল ইসলাম, সোলাইমান হক,মোঃ রফিক উদ্দিন,প্রলয় শীল,আনন্দ কুমার, সুমি খাতুন ,বাবুল আক্তার ,প্রান্ত বিশ্বাস, প্রেসক্লাবের সহসভাপতি মোঃ জাহিদুল ইসলাম,সহসভাপতি মাহমুদ হাসান রনি, সাধারন সম্পাদক হানিফ মন্ডল, সাংবাদিক সমিতির সভাপতি ইকরামুল হক পিপুল, সাবেক সভাপতি মনিরুজ্জামান ধীরু,ইমতিয়াজ রয়েল ও সাংবাদিক হারুর রাজু প্রমুখ।




দর্শনায় জাতীয় স্থানীয় সরকার দিবস উপলক্ষে র‌্যালী ও আলোচনা সভা 

চুয়াডাঙ্গার দর্শনায় জাতীয় স্থানীয় সরকার দিবস উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র‌্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।  আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টার দিকে দর্শনা পৌরসভার আয়োজনে এ র‌্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

প্রথমে পৌরসভা সকল কাউন্সিলর ও কর্মকর্তা-কর্মচারিগণ পৌরসভা থেকে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালী নিয়ে দর্শনা শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে পৌরসভায় যেয়ে এক আলোচনা সভা করেন।

উক্ত অনুষ্ঠানে দর্শনা পৌরসভার প্যানেল মেয়র-১ রবিউল হক সুমনের সভাপতিত্বে আলোচনা করেন, সহকারী প্রকৌশলী (ভারপ্রাপ্ত সচিব) সাজেদুল আলম, প্রধান সহকারী রুহুল আমিন খাঁন, হিসাব রক্ষক সরোয়ার হোসেন, প্যানেল মেয়র-২ রেজাউল ইসলাম, কাউন্সিলর সাবির হোসেন মিকা, হাসান খালেকুজ্জামান, মনির সর্দার, সাইফুল ইসলাম, আশুরদ্দীন আশু।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, শাহালম, জাহিদুল ইসলাম, মোমিনুল ইসলাম, আব্দুল মজিদ, মেহেদী হাসান সহ সকল কর্মকর্তা-কর্মচারি গণ।




চুয়াডাঙ্গা জেলার শ্রেষ্ঠ সহকারী শিক্ষক নির্বাচিত হলেন সামসুন্নাহার

ধারাবাহিক সাফল্য ধরে রেখেছেন রুদ্রনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সামসুন্নাহার। ২০১৯ সালে উপজেলা সহকারী শ্রেষ্ঠ শিক্ষক। ২০২২সালে কাব স্কাউটস এ উডব্যাজ অর্জন।

২০২১ শিক্ষকদের সবচেয়ে বড়ো প্লাটফর্ম শিক্ষক বাতায়নে চুয়াডাঙ্গা জেলার মধ্যে প্রথম মহিলা এ্যাম্বাসেডর নির্বাচিত হন।জাতীয় দিবসে তার নেতৃত্বে প্রতিবার কুচকাওয়াজ ও ডিসপ্লেতে পুরস্কার অর্জন করে এ বিদ্যালয়টি।

৪ টি উপজেলার সহকারীদের শিক্ষকের সাথে প্রতিযোগিতা করে জেলার মধ্য শ্রেষ্ট শিক্ষক নির্বাচিত হওয়ায় অভিনন্দন জানিয়েছেন দর্শনা পৌর মেয়র আতিয়ার রহমান হাবু,রুদ্রনগর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আনোয়ারা খাতুন,দর্শনা প্রেসক্লাবের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম,রুদ্রনগর সরকারি বিদ্যালয়ে শিক্ষক বৃন্দ সহ বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা।




চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে আফরোজা পারভীনের পথসভা উঠান বৈঠক ও গণসংযোগ

চুয়াডাঙ্গা জেলা যুব মহিলা লীগের পক্ষ থেকে চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে পথসভা উঠান বৈঠক ও গণসংযোগ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ  বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে চারটার সময় চুয়াডাঙ্গা আলমডাঙ্গা উপজেলার বেলগাছি ইউনিয়নে ইউনিয়ন যুব মহিলা লীগের সভাপতি ইউপি সদস্য সাবিয়া খাতুন এর আয়োজনে এই নির্বাচনী উঠান বৈঠক ও গণসংযোগ করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি ও আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশি আফরোজা পারভীন।

এ সময় তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে দিন-রাত কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। বঙ্গবন্ধুকন্যা বিশ্বব্যাংককে চ্যালেঞ্জ করে নিজেদের অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করে বাংলাদেশের সক্ষমতা দেখিয়ে দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় বিশ্বে বাংলাদেশ আজ রোল মডেল। দেশকে উন্নয়নের স্বর্ণ শিখরে পৌঁছাতে আগামী দিনেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিকল্প নেই।

আগামী সংসদ নির্বাচনে নৌকায় ভোট দিয়ে শেখ হাসিনার সরকারকে আবারো ক্ষমতায় আনতে ভোটারদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। গণসংযোগের সময় সরকারের উন্নয়ন কাজের চিত্র তুলে ধরে লিফলেট বিতরণ করা হচ্ছে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা যুব মহিলা লীগের সহ-সভপতি পূর্ণিমা হালদার,যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলিজা খাতুন ,সদর উপজেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি-কাজলী আক্তার , সাংগঠনিক সম্পাদক সপ্না খাতুন চিনি, দামুড়হুদা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শাহেদা খাতুন ,আলমডাঙ্গা উপজেলার যুব মহিলা লীগের সভাপতি মনিরা খাতুন,সাধারণ সম্পাদক জাহানারা খাতুন, চুয়াডাঙ্গা পৌর ৯নং ওয়ার্ড সভাপতি-আরজিনা খাতুন, সাধারণ সম্পাদক বেবি, সাংগাঠনিক সম্পাদক মিতা রানী, ৬ নং ওয়ার্ড সভাপতি রুপালি, সাধারণ সম্পাদক ফাহিমা, ২নং ওয়ার্ড কমিটির অর্থ সম্পাদক শিউলি খাতুন, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতৃবৃন্দ রাতুল, সাকিব শেখ , মাহফুজ, আকাশ,কুতুব, রিপন,শাওন, সিফাত,জিরান,সেজান ও আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ সহ চুয়াডাঙ্গা জেলা ও আলমডাঙ্গা উপজেলা যুব মহিলা লীগের নেতৃবৃন্দ।




মেহেরপুরে হ্যান্ডবল ফাইনালে বাড়িবাঁকা সীমান্ত মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়

মেহেরপুর জেলা পর্যায়ে ৫০ তম জাতীয় স্কুল, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা পর্যায়ের গ্রীষ্মকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় মুজিবনগরের গোপালনগর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়কে পরাজিত করে হ্যান্ডবল ইভেন্টের ফাইনালে উঠেছে বাড়িবাঁকা সীমান্ত মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়।

আজ বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) মেহেরপুর সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে গ্রীষ্মকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতার সেমিফাইনালে মেহেরপুর সদর উপজেলা চ্যাম্পিয়ন বাড়িবাঁকা সীমান্ত মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় ২-১ গোলে মুজিবনগর উপজেলা চ্যাম্পিয়ন গোপালনগর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়কে পরাজিত করে জেলা পর্যায়ের ফাইনালে পৌছে।




সীমান্তে নেওয়া হলো মুক্তিযোদ্ধার লাশ, তবুও দেখা হলো না স্বজনদের

সীমান্তের শূন্য রেখায় শেষ বারের মত বাবার মুখ দেখার সুযোগ করে দিবে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি ও বিএসএফ। মৃত্যুর পর কাটাতাঁরের কাছে বাবার লাশ নিয়ে অপেক্ষায় স্বজনরা। অপেক্ষা বাড়লেও শেষ পর্ষন্ত বাবাকে শেষ বারের মত দেখার অনুমতি বিএসএফ এর কাছে থেকে না পাওয়ায় ভারতে বসবাসরত ছেলে ও মেয়েকে ফিরতে হয় বুকভরা কষ্ট নিয়ে।

ঘটনাটি আজ বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে মেহেরপুরের মুজিবনগর স্বাধীনতা সড়ক সীমান্তে। মুজিবনগর উপজেলার ভবের পাড়ার বীর মুক্তিযোদ্ধা রবীন দফাদার গতকাল বুধবার বিকেলে বার্ধক্ষ্যজনিত কারনে মৃত্যু বরণ করেন। এক মেয়ে ও দুই ছেলে বিবাহ বন্ধনের কারনে ভারতের নদীয়া জেলার কৃষ্ণনগর গ্রামে বসবাস করে আসছেন।

ছেলে মাইকেল দফাদার বলেছে, বাবার মৃত্যুর খবর পেয়ে ওপারে কাটাতাঁর কাছে অপেক্ষা করতে থাকেন আমার ভাই বোন ও অন্যান্য স্বজনরাা। বিজিবির পক্ষ থেকে বিএসএফ কে চিঠি দিলে তাদের উদ্ধর্তন কর্মকর্তাদের অনুমতি না পাওয়ায় শেষ বারের মত বাবার মুখ দেখতে পারলেন না সন্তানরা। বিয়ের পর ভারতে থেকে যায় মেয়ে ও দুই ছেলে। বাবাসহ পরিবারের অন্য সদস্যরা তার কাটার এপারে মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলার ভবের পাড়ায় বসবাস শুরু করে। বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা রবীন দফাদার ১৯৭১ সালে পাক বাহীনির সাথে যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেন। এর পর সীমান্তে কাটাঁতারের বেড়া দিয়ে দুই দেশ ভাগ হলে পিতা ও সন্তানরা দুই দেশে বসবাস শুরু করেন। সীমান্তের তারকাটা দূরত্ব বাড়িয়ে রাখে বাবা ও ছেলে মেয়েদের মধ্যে। এর আগে বাবার জীবিত মুখটা দেখার জন্য বহু চেষ্টা করে দেখা হয়নি তাদের। মুঠোফোনে কথা বলে শান্তি খুজতো তারা।

গতকাল (১৩ সেপ্টম্বর) বিকালে বীর মুক্তিযোদ্ধা নিজ বাড়ীতে বাধ্যর্কজনিত কারণে মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুর খবরে শেষ বারের মত বাবার মুখটা দেখার জন্য ভেঙ্গে পড়েন তারকাটার ওপারে থাকা সন্তানরা। আত্মীয়স্বজনরা অনুরোধ করেন সীমান্তরক্ষি বাহীনি বিজিবি কে। দুই দেশের সীমান্তরক্ষি বাহীনির উচ্চ মহলে চিঠি চালাচালির পর মুজিবনগর স্বাধীনতা সড়কের ১০৫ নাম্বার মেইন পিলারের কাছে শেষ বারের মত বাবার মুখটা দেখোনোর জন্য মরাদেহ নিয়ে আসা হয় শূন্য রেখায়। সেখানে ওপারে অপেক্ষায় থাকা দুই ছেলে ও মেয়ের জন্য অপেক্ষায় থেকে দুপুরে বিএসএফের পক্ষ থেকে জানানো হয় উদ্ধর্তন কর্মকর্তাদের অনুমতি না পাওয়ায় বাবার লাশ দেখানো যাচ্ছে না।

বীর মুক্তিযোদ্ধার ছেলে মাইকেল দফাদার বলেন, মৃত্যুর পর বাবার মুখটা শেষ বারের মত দেখতে পেলে কিছুটা মনকে শান্তনা দিতো আমার ওপারে থাকা ভাই বোনরা। আমরা সীমান্তরক্ষী বাহিনীকে বিজিবি কে অনুরোধ করেছিলাম শেষ বারের মত আমার বাবার মুখটা দেখার ব্যাবস্থা করার জন্য। শেষ পর্ষন্ত ভারতীয় সীমান্তরক্ষি বাহীনির অনুমতি না পাওয়ায় দেখানো হলোনা। লাশ নিয়ে এখন দাফনের ব্যাবস্থা করবো।

স্থানীয় বাসিন্দা জুবের হোসেন বলেন, সীমান্ত গ্রাম গুলোতে বসবাসকারীরা বলছেন এমন ঘটনা এবারী প্রথম। অনেকের আপনজন বাবা মায়ের মৃত্যুর খবর পেলেও সীমান্তের শূন্য রেখায় শেষ দেখার ব্যাবস্থা করেন দুই দেশের সীমান্তরক্ষি বাহীনি। এবার তারকাটার কাছে গিয়েও আকুতি জানিয়ে চোখের জলে ফিরে এসেছে।

বিজিবির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আজ সকালে বিজিবির পক্ষ থেকে বিএসএফ কে একটি চিঠি দেওয়া হয়। শেষ বারের মত বাবার লাশ সীমান্তের শূন্যরেখায় দেখানোর জন্য। পরে দুপুরে বিএসএফের পক্ষ থেকে জানায় অনুমতি না মেলায় দেখানো সম্ভব হচ্ছে না।

সাবেক ইউপি সদস্য দিলীপ মন্ডল বলেন, এখানকার বিজিবি ক্যাম্পের কমান্ডার ভারতের হৃদয়পুর বিএসএফের সাথে সাধ্যমত চেষ্টা করেছেন যোগাযোগ করার। ছেলে এবং মেয়েকে তার বাবার মরা মুখটা দেখানোর জন্য, কিন্তু সেটা হয়নি। তবে এর আগে এখানকার একটা মেয়ে মারা গেছিল সেটা দেখানো হয়েছিল।




মেহেরপুর যুব মহিলা লীগের উদ্যোগে উঠান বৈঠক

সরকারের সাফল্য ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের ধারা পৌছে দিতে ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে মেহেরপুরে যুব মহিলা লীগের উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মেহেরপুর পৌরসভার ৭, ৮ ও ৯নং ওয়ার্ড যুব মহিলা লীগের উদ্যোগে বৃহস্পতিবার বিকেলে কবি নজরুল শিক্ষা মঞ্জিল মাঠ প্রাঙ্গণে উঠান বৈঠকের আয়োজন করা হয়।

মেহেরপুর পৌর যুব মহিলা লীগের সভাপতি রোকসানা কামাল রুনুর সভাপতিত্বে উঠান বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগের সহ-সভাপতি ও কেন্দ্রীয় কার্য নির্বাহী সদস্য সৈয়দা মোনালিসা ইসলাম, মেহেরপুর যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. রুতশোভা মন্ডলের সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন, মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আব্দুল হালিম, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ইকবাল হোসেন বুলবুল, ৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর নুরুল আশরাফ রাজীব। উঠান বৈঠকে যুব মহিলা লীগের বিভিন্ন ওয়ার্ডের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।




মেহেরপুরে ইজিবাইক উল্টে প্রাণ গেল দলিল লেখকের, আহত ২

মেহেরপুরে শ্যালো ইঞ্জিনচালিত পাখি ভ্যানকে সাইড দিতে গিয়ে ইজিবাইক উল্টে মাসুদ রানা নামের এক দলিল লেখক নিহত হয়েছে। আহত হয়েছেন আরো ২ জন।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে সদর উপজেলার দফরপুর কোলার মোড়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত মাসুদ রানা গাংনী উপজেলার মোহাম্মদপুর গ্রামের ফিরোজ হোসেনের ছেলে। তিনি গাংনী উপজেলা সাবরেজিস্টার অফিসে দলিল লেখকের কাজ করতেন।

আহতরা হলেন- ইজিবাইক চালক মাদার আলী এবং হেমায়েতপুর গ্রামের লেকজান খাতুন। এদের মধ্যে মাদার আলীকে কুষ্টিয়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মেহেরপুর সদর উপজেলার দফর থেকে একটি একটি ইজিবাইক যোগে মাসুদ রানাসহ কয়েকজন গাংনীর নিজ বাড়িতে ফিরছিলেন। পথিমধ্যে কোলার মোড় নামক স্থানে পৌছালে হঠাৎ একটি শ্যালো ইঞ্জিন চালিত পাখি ভ্যান সামনে আসে। পাখিভ্যানটিকে সাইডদিতে গিয়ে ইজিবাইকটি উল্টে যায়। ইজিবাইকে থাকা সকলেই আহত হয়। খবর পেয়ে মেহেরপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের একটি দল আহতদের উদ্ধার করে মেহেরপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মাসুদ রানাকে মৃত ঘোষণা করে এবং গুরুতর আহত ইজিবাইক চালক মাদারকে কুষ্টিয়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করে।

মেহেরপুর সদর থানার ওসি( অপারেশন) জাহাঙ্গীর সেলিম জানান, মাসুদ রানার পরিবারের সদস্যদের লিখিত অনুরোধের প্রেক্ষিতে মৃতদেহ ময়নাতদন্ত ছাড়াই স্বজনদের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে। এ বিষয়ে একটি নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়েছে।’




ভারতের বিপক্ষে, শুধুই জিততে চাই: সাকিব

চলমান এশিয়া কাপে থেকে বিদায় নিয়েছে বাংলাদেশ। সাফল্য বলতে শুধু একটি ম্যাচ জয়। ফাইনাল খেলার লক্ষ্য থাকলেও এক ম্যাচ বাকী থাকতেই এশিয়া কাপ শেষ টাইগারদের। তবে ভারতকে হারায়ে শেষটা রাঙাতে চান অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।

সুপার ফোরে শেষ ম্যাচে মাঠে নামার আগে কলোম্বোতে টিম হোটেলে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হন সাকিব। এই সময় তিনি বলেন, ‘আমরা যদি শেষ ম্যাচ জিতে দেশে যেতে পারি অবশ্যই এটা আমাদের জন্য ভালো দিক হবে। এই ম্যাচ থেকে অন্যকিছু চাই না, শুধু জিততে চাই।’

ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ সম্পর্কে জানতে চাওয়া হইলে সাকিব বলেন, ‘খেলার পরে বলতে পারবো, আগে কিভাবে বলবো? সহজ হবে, না কঠিন হবে। আমরা যাবো, যতটা সম্ভব ভালো খেলা যায়, জেতার জন্য খেলবো।’