যশোরে নিয়োগ দেবে জাগরণী চক্র ফাউন্ডেশন

বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা জাগরণী চক্র ফাউন্ডেশন জনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। প্রতিষ্ঠানটিতে ম্যানেজার (মনিটরিং অ্যান্ড ইভ্যালুয়েশন) পদে নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহী ও যোগ্য প্রার্থীরা আবেদন করতে পারেন।

পদের নাম

ম্যানেজার (মনিটরিং অ্যান্ড ইভ্যালুয়েশন)।

শিক্ষাগত যোগ্যতা

প্রার্থীকে সামাজিক বিজ্ঞান/ পরিসংখ্যান/ পরিবেশ বিজ্ঞান/ ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজে স্নাতকোত্তর পাস হতে হবে।

সকল পরীক্ষায় কমপক্ষে দ্বিতীয় বিভাগ/শ্রেণি থাকতে হবে। গ্রেড পদ্ধতির ক্ষেত্রে: ৪.০০ মাত্রার স্কেলে কমপক্ষে ২:০০ এবং ৫:০০ মাত্রার স্কেলে কমপক্ষে ২ :৫০ মানের সিজিপিএ থাকতে হবে।

কর্মস্থল

যশোর।

বেতন

ছয়মাস শিক্ষানবিশকালীন মাসিক বেতন সর্বসাকুল্যে ৩০,০০০/-। সন্তোষজনক শিক্ষানবীশকাল শেষে চাকরি নিয়মিতকরণসহ মাসিক বেতন ৩৭,৯৪৩ টাকা, এছাড়া সংস্থার নিয়মানুযায়ী অন্যান্য সুবিধাদি।

আবেদনের প্রক্রিয়া

আগ্রহী প্রার্থীরা জীবনবৃত্তান্ত job.jcf@gmail.com পাঠাতে পারবেন।

আবেদনের সময়সীমা

২০ সেপ্টেম্বর,২০২৩।

সূত্র : বিডিজবস




আমির খানের সিনেমায় ফারিণ

আমির খান প্রযোজিত কলকাতার সিনেমায় অভিনয় করছেন তাসনিয়া ফারিণ। ‘পাত্রী চাই’ শিরোনামে সিনেমাটি পরিচালনা করছেন বিপ্লব গোস্বামী। সোশ্যাল স্যাটায়ারধর্মী গল্পে নির্মিত এসিনেমায় ফারিণের সঙ্গে জুটি বেঁধেছেন অর্জুন চক্রবর্তী।

আনন্দবাজারের প্রতিবেদন অনুযায়ী, চিত্রনাট্যকার বিপ্লব জানিয়েছেন, ‌পুরুষতান্ত্রিক সমাজকে নাড়িয়ে দেওয়ার মত গল্প ‘পাত্রী চাই’। এতে আরও অভিনয় করছেন সব্যসাচী চক্রবর্তী ও মমতা শংকর। আসন্ন পূজোর পরেই শুটিং শুরু হবে সিনেমাটির।

বছর কয়েক আগে নতুন চিত্রনাট্যকারের খোঁজে এক প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে বিচারকের আসনে ছিলেন আমির খান। বলছিলেন, তিনি বিপ্লব গোস্বামীর লেখা পড়ে চমকে গিয়েছিলেন। এরপর বিপ্লবকে একদিন নিজের বাড়িতে ডেকে পাঠালেন আমির। জানালেন, তার চিত্রনাট্যে নিজস্ব প্রযোজনায় সিনেমা করতে চান। এরপর সেই গল্প নিয়ে তৈরি হয়েছে লাপতা লেডিস। ছবিটি পরিচালনা করেছিলেন কিরণ রাও।

’পাত্রী চাই’ এর পর বলিউডেও সিনেমা পরিচালনা করবেন বিপ্লব। সেই কথাবার্তাও চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে বলে তিনি জানান।




কোটচাঁদপুরে কিশোরীদের সচেতনতা মূলক প্রশিক্ষণ ও প্রশিক্ষণ সামগ্রী বিতরণ

কিশোরীদের সচেতনতা মূলক প্রশিক্ষণ ও তাদের মাঝে প্রশিক্ষন সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। মঙ্গলবার কোটচাঁদপুরের শেরখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এ অনুষ্ঠান করা হয়। দরিদ্র মহিলাদের জন্য সম্বিত পল্লী কর্মসংস্থান সহায়তা প্রকল্প ( ইরেসপো) এর আয়োজন করেন।

উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা সেলিম রেজার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ড ঝিনাইদহের উপপরিচালক মোহাম্মদ মুক্তার হোসেন।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কোটচাঁদপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আবাসিক মেডিকেল অফিসার রমিজ উদ্দিন (তপু),সহকারি পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান, সহকারি পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা (ইরেসপো) আল-আমিন।

এ সময় ওই বিদ্যালয়ের দুই শতাধিক শিক্ষার্থী ও প্রকল্পের সদস্যরা। পরে তাদের মধ্যে প্রশিক্ষণ সামগ্রী বিতরণ করেন,অতিথিবৃন্দরা।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি মুক্তার হোসেন বলেন,স্কুল পর্যায় থেকে সঞ্চয়ী হিসাবে ছাত্রীদেরকে গড়ে তুলতে এ প্রকল্পের মাধ্যমে তাদের কাছ থেকে সঞ্চয় গ্রহন করা হচ্ছে।




পাকিস্তানে ৬ ফুটবলারকে অপহরণ

পাকিস্তানের বেলুচিস্তান থেকে ছয় ফুটবলারকে অপহরণ করা হয়েছে। এই ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটেছে বেলুচিস্তানের দেরা বুগতি জেলার সুই শহরে। ছয় ফুটবলারকে অপহরণের ঘটনায় পাকিস্তানের সব মহল থেকে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। সমালোচনাও শুরু হয়েছে সরকারের।

দেশটির স্থানীয় প্রশাসনের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম ডন বলছে, তাদের অপহরণ করেছে অজ্ঞাতনামা একটি গোষ্ঠী। এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে তারা নিখোঁজ বলে জানিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা। দেরা বুগতি জেলা থেকে একটি টুর্নামেন্ট শেষে ফেরার পথে এই ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে।

শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) ১৬ জন ফুটবলারকে নিয়ে বেলুচিস্তানের দেরা বুগতি জেলার সুই শহরে ফুটবল প্রতিযোগিতায় খেলতে যাচ্ছিল। গন্তব্যে পৌঁছনোর আগেই আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে টিমবাস দাঁড় করিয়ে অপহরণ করা হয় ছয় ফুটবলারকে।

প্রাদেশিক তথ্যমন্ত্রী জান আচাকজাই বলেছেন, ‘অপহৃত ফুটবলারদের উদ্ধারে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের উদ্ধারে অভিযান চালিয়েছে এবং আমরা আশা করছি আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আমরা কোনো ব্রেক-থ্রু পাব।’

পাকিস্তানের মন্ত্রীর অভিযোগ করেন বেলুচিস্তানের জঙ্গি সংগঠন ‘বালুচ রিপাবলিকান আর্মি’-এই কাজ করেছেন। সরফরাজ বলেন, ‘যে কোনও মূল্যে জঙ্গিদের হাত থেকে এই ছয় ফুটবলারকে উদ্ধার করাই একমাত্র লক্ষ্য। সর্বপ্রকার চেষ্টা করা হচ্ছে। আশা করছি, ওরা সুস্থ রয়েছে। সকলকে দ্রুত উদ্ধার করতে সফল হব আমরা।’

সূত্র: ইত্তেফাক




আজ আসছে আইফোন ১৫

আজ (১২ সেপ্টেম্বর) আসছে আইফোন ১৫। নতুন আইফোন নিয়ে অ্যাপলপ্রেমীদের ঘুম নেই। পুরো বিশ্ব অপেক্ষায় সেই বিশেষ মুহূর্তের। অ্যাপল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তাদের ওয়ান্ডারলাস্ট ইভেন্ট আজ অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। সেখানেই লঞ্চ হবে আইফোন ১৫ সিরিজ। অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন অ্যাপল ইউজাররা। এই বছর অ্যাপল ইভেন্ট বিশেষ হতে চলেছে, কারণ আইফোন ১৫ সিরিজে আগের মডেলের তুলনায় কোম্পানি অনেক আপগ্রেড আনতে চলেছে।

অ্যাপলের এই ওয়ান্ডারলাস্ট ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হতে চলেছে আজ বাংলাদেশ সময় রাত ১১টায়। অ্যাপল টিভি অ্যাপের পাশাপাশি এই ইভেন্টের লাইভ স্ট্রিম চলবে অ্যাপল ডটকম-এও। অ্যাপল পার্কে আয়োজিত হতে চলেছে এই ইভেন্ট। চাইলে সরাসরি ওয়ান্ডারলাস্ট ইউটিউব চ্যানেল থেকে লাইভে যুক্ত হতে পারেন।

পুরো বিশ্বে রয়েছে আইফোন নিয়ে বাড়তি এক উন্মাদনা। এবার অ্যাপল একসঙ্গে ৫ আইফোন আনছে বাজারে। যেগুলো হবে আগেরগুলো থেকে অনেক উন্নত। শোনা যাচ্ছে, এই আইফোন সিরিজে ইউএসবি টাইপ-সি চার্জিং পোর্ট থাকতে পারে। অর্থাৎ অ্যান্ড্রয়েড ফোনের চার্জার দিয়েই চার্জ হবে আইফোন ১৫। আইফোন ১৫ প্রো-তে একটি টাইটানিয়াম ফ্রেম ও গোলাকার টপ নচের সঙ্গে আসবে। এখন পর্যন্ত আইফোনে শার্প এজ পাওয়া যাচ্ছে।

শুধু আইফোন সিরিজ নয়, এর সঙ্গে আরও বেশকিছু পণ্য লঞ্চ করবে অ্যাপল। এবার আইফোন ১৫-এর সঙ্গে আসতে পারে অ্যাপল ওয়াচ ৯ সিরিজ, অ্যাপল ওয়াচ আলট্রা ২ এর সঙ্গে আইওএস ১৭, ওয়াচ ওএস ১০, টিভি ওএস ১৭। তবে অ্যাপল নিশ্চিতভাবে কিছুই জানায়নি। নিশ্চিত হতে আরও কয়েক ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হবে।

বিশ্লেষক লুক ইন জানিয়েছেন, স্টেইনলেস স্টিলের পরিবর্তে টাইটানিয়াম চেসিস ও পেরিস্কোপ ক্যামেরা সিস্টেম ব্যবহার করার কারণে আইফোন ১৫ প্রোর দাম বৃদ্ধি পাবে। আইফোন ১৫ প্রো ফোনের দাম ৯৯৯ ডলার থেকে শুরু হতে পারে। আইফোন ১৫ প্লাস ফোনটি ১০৯৯ ডলার সহ আসতে পারে। এছাড়া কোম্পানি আইফোন ১৫ প্রো মডেলটি প্রিমিয়াম রেঞ্জ প্রাইস ১১৯৯ ডলার সহ আসবে। খবর অনুযায়ী অ্যাপেল এবার আইফোন ১৫ প্রো মাক্স এর পরিবর্তে আইফোন ১৫ প্রো আলট্রা হিসেবে আনতে পারে, যার দাম ১২৯৯ ডলার হতে পারে।

সূত্র: ইত্তেফাক




গাংনীর ধানখোলাতে বজ্রপাতে কৃষক আহত

গাংনী উপজেলার ধানখোলা গ্রামে বজ্রপাতে রেজাউল হক (৫০) নামের এক কৃষক আহত হয়েছেন। আহত রেজাউল ধানখোলা গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে।

আজ মঙ্গলবার দুপুর পৌনে ২ টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা জানান, দুপুরের দিকে আকাশ থেকে বৃষ্টি হচ্ছিল। বৃষ্টির সময় রেজাউল গ্রামের একটি মাঠে ধান কেটে বাড়ি ফিরছিলেন। এসময় বিকট শব্দে তার নিকটে বজ্রপাত হয়। এসময় তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। মাঠের অন্যান্য কৃষকরা তাকে উদ্ধার করে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেন।




মেহেরপুরে নামল স্বস্তির বৃষ্টি

টানা তীব্র তাপদাহের পর অবশেষে মেহেরপুরের নামল স্বস্তির বৃষ্টি। ঠাণ্ডা বাতাসের সঙ্গে বৃষ্টি মানুষের মনে এনে দিয়েছে প্রশান্তি।

মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১টা ৩০মিনিট থেকে ১৫ মিনিট পর্যন্ত আকাশে ঘন ঘন দমকার সাথে সাথে জেলাজুড়ে শুরু হয় বৃষ্টি।

গত কয়েকদিন ধরেই মেহেরপুরে ছিল তাপমাত্রা। কয়েক দিনের তাপদাহে হাঁসফাঁস অবস্থা সৃষ্টি হয় জনজীবনে।

গাংনী উপজেলা শহরের বাসিন্দা এসএম সেলিম রেজা ও মজনু বলেন, তাপদাহে কোথাও এতটুকু স্বস্তি ছিল না। গরমে কষ্ট পাচ্ছিলেন সবাই। বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা করেছেন অনেকেই। তাই সেই দীর্ঘ প্রত্যাশার বৃষ্টি পেয়ে স্বস্তি সবার মাঝে। অনেকেই ভিজেছেন শান্তির বৃষ্টিতে।




পাটে নয়, স্বস্তি পাটকাঠিতে

মেহেরপুরে এবছর পাটের বাম্পার ফলন হয়েছে। কিন্তু পাটের দাম কৃষককে লোকসানের মুখে ঠেলে দিয়েছে। তবে কৃষকের মুখে কিছুটা স্বস্তির হাসি ফুটিয়েছে পাঠকাঠি। পাটের দাম খুব একটা ভালো না পেলেও পাটকাঠির দাম দিয়ে ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছেন কৃষকরা। এ কারণে এখন মেহেরপুরের অলি গলিতে, পাকা সড়ক, মাঠঘাট যেখানে চোখ যায় সেখানেই চোখে পড়ে পাটকাঠি শুকানো ও রক্ষণাবেক্ষণের আয়োজন।

এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পাটকাঠি আগের মতো অবহেলায় ফেলে না রেখে যত্ন করে শুকিয়ে মাচা তৈরি করে রাখছেন চাষিরা।

স্থানীয়রা জানান, পাটকাঠি কোথাও আবার পাটখড়ি নামেও পরিচিত। আগে সস্তা জ্বালানির বাইরে পাটকাঠির তেমন ব্যবহার ছিল না। আর কিছু ভালোমানের পাটকাঠি পানের বরজে আর ঘরের বেড়া তৈরিতে ব্যবহার হতো। কিন্তু এখন আর এটি মূল্যহীনভাবে পড়ে থাকে না। বাজারে পাটকাঠির চাহিদা বাড়ায় আঁশের পাশাপাশি কাঠির দামও ভালো পাওয়া যায়।

গাংনী উপজেলার তেরাইল গ্রামের পাট চাষি মজনুর রহমান বলেন, ‘কয়েক বছর আগেও পাটখড়ির তেমন চাহিদা ছিল না। কিন্তু এখন বেশ চাহিদা। দূর-দূরান্ত থেকে ব্যবসায়ীরা এসে পাটকাঠি কিনছেন, ভালো দামও দিচ্ছেন। ১০০ মোটা পাটকাঠি বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকায়। শুধু পাট বিক্রি করেই নয়, এবার পাটখড়িও আমাদের এলাকায় কৃষকের আশা জাগিয়েছে।’

মুজিবনগর উপজেলার শিবপুর গ্রামের শরিফুল ইসলাম জানান, পাটকাঠি একসময় শুধু রান্না-বান্নার জ্বালানি, ঘরের বেড়া ও ছাউনির কাজে ব্যবহার করা হতো। কিন্তু এখন এই পাটকাঠি পানের বরজে ব্যবহার করা হচ্ছে। এছাড়া বাইরের জেলা থেকেও ফঁড়িয়ারা পাটকাটি কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।

সদর উপজেলার দিঘীরপাড়া গ্রামের মোস্তাকিম বলেন, এ বছর পাট চাষ করে মুনিস খরচ উঠছেনা। জাগ দেওয়ার জন্য পুকুর খরচ, জনপাটের খরচ দিতে গিয়ে চাষী গেরহস্তদের কিছু নেই। এখন পাটকাটি বিক্রিই একমাত্র ভরসা। তবে, পাটকাটির এবার দাম বেশি। কারন এলাকার মানুষ নয়, বিভিন্ন এলাকা থেকে ফঁড়িয়া ও মহাজনরা এসে পাটকাটি কিনে নিয়ে যাচ্ছে।

সাতক্ষীরা এলাকা থেকে আসা পাটকাঠি ব্যবসায়ী আব্দুর রহমান, সামসুর রহমান জানান, তারা ৫-৬ বছর ধরে পাটকাঠির ব্যবসা করছেন। আগে ফরিদপুরের বিভিন্ন এলাকা থেকে পাটকাঠি কিনে বেশি দামে বিক্রি করতেন তারা। এখন জেলায় প্রায় এক ডজন কার্বন ফ্যাক্টরি গড়ে উঠেছে। এই অঞ্চলের পাটকাঠি দিয়ে এসব ফ্যাক্টরির চাহিদা মেটানোই কষ্টসাধ্য। তাই তারা এসেছেন মেহেরপুর, কুষ্টিয়া ও চুয়াডাঙ্গা জেলা থেকে পাটকাটি কিনতে। তারা আরও বলেন, আর আগের মতো পাটকাঠি কিনতে পারেন না। কারণ বর্তমানে পাটকাঠির দাম ও চাহিদা দুটোই বেশি।

মেহেরপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক শংকর কুমার মজুমদার বলেন, ‘জেলায় এবার মোট ২১ হাজার ৭০০ হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ হয়েছে। পাটের রং না আসায় এবং বড় কিছু মিল বন্ধ থাকার কারণে পাটের বাজারে দাম কম। এতে কৃষকরাও বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। তবে কৃষকের ক্ষতি পুষিয়ে দিচ্ছে এই পাটকাঠি।




বাংলাদেশের অর্জন এবং শেখ হাসিনা

আজ থেকে চার দশক আগেও বাংলাদেশকে একটা তলাবিহীন ঝুড়ি হিসেবে জানতো এবং চিনতো পুরো বিশ্ব। বিভিন্ন দেশ আর দাতা সংস্থার সাহায্য নিয়েই চলতো বাংলাদেশ। বিশ্ব দরবারে আমাদের পরিচিতি ছিলো হতদরিদ্র, গরিব রাষ্ট্র হিসেবে। খাদ্যে স্বয়ংসম্পুর্ণতা ছিলো না। আর্থিক অবস্থা ছিলো একেবারেই দিনহীন। ছিলো না উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা। দেশি কিংবা বিদেশী বিনিয়োগের পরিবেশ সে তো অনেক দূরের বিষয়। এ কারণে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মানুষের কাছে আমরা মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারতাম না।

সেই দরিদ্র, ভঙ্গুর অর্থনীতির রাষ্ট্র বাংলাদেশের চেহারা আমূল পাল্টে গেছে গত প্রায় এক দশকেরও বেশি সময়ে। বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ। সারা বিশ্বে আজ বাংলাদেশের পরিচিতি একটি উন্নয়নশীল এবং উদীয়মান অর্থনীতির দেশ হিসেবে। বিশ্বের বিভিন্ন গণমাধ্যমের চোখে বাংলাদেশ এখন আর আগের বাংলাদেশ নেই। এটি আগামী দেড় দশক পর অর্থাৎ ২০৪০ সালে বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী অর্থনীতির দেশে পরিণত হবে। সে লক্ষ্যে পাল্লা দিয়ে ছুটছে প্রতিদ্বন্দ্বি দেশগুলোর দিকে। এ কারণে বিশ্বের বড় বড় দেশগুলোর চোখ এখন ৫৫ হাজার বর্গ মাইলের ব-দ্বীপের দিকে। চীন, ভারত, জাপান, সৌদিআরব, সংযুক্ত আরব-আমিরাত, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিভিন্ন দেশের বিনিয়োগকারীদের দৃষ্টি এখন বাংলাদেশের দিকে। এসব দেশের বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশকে তাদের বিনিয়োগের অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে বেছে নিচ্ছেন। আর এ দিক থেকে সবচেয়ে বেশি এগিয়ে চীন।

এই যে মাত্র এক দশক সময়ে বাংলাদেশের চেহারাটা পাল্টে গেলো, বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশকে তাদের বিনিয়োগের উত্তম স্থান হিসেবে বেছে নিচ্ছে এবং নিলো তার নেপথ্যের কারিগর কিন্তু একজন। আপনি মানেন বা না মানেন স্বীকার করেন বা না করেন- তাতে কিছু যায় আসে না। সত্যটা হচ্ছে- গত এক দশকের বেশি সময়ে বাংলাদেশকে বিশ্ব দরবারে টেনে নিয়েছেন যিনি তিনি শেখ হাসিনা। বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের যোগ্য উত্তরসূরী টানা তিনবার সহ চার বারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার হাত ধরেই আজ বিশ্ব দরবারে অনন্য উচ্চতায় বাংলাদেশ।

গত এক দশকের বেশি সময়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ অবিস্মরণীয় উন্নতি করেছে। অর্থনৈতিক, সামাজিক এবং মানবিক উন্নয়ন সূচকে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। বিশ্ব নেতাদের কাছে বাংলাদেশ এখন গুরুত্বপূর্ণ দেশ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশ এখন উদীয়মান অর্থনীতির দেশ।

যুক্তরাজ্যের প্রভাবশালী অর্থনীতি ও রাজনীতি বিষয়ক সামিয়িকী দি ইকোনমিষ্টের সহযোগি প্রতিষ্ঠান ‘ইকোনমিষ্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (ইআরইইউ) ‘ এর সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনেও বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়ার কথা তুলে ধরা হয়েছে। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে ২০৪০ এর মধ্যে বিশ্বের শীর্ষ ২০টি দেশের অর্থনীতির একটি হবে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের বাজারের আকার, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও সম্ভাবনাময় কিছু খাতের ওপর ভিত্তি করে ইআরইইউ তাদের প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে, চীনের বিনিয়োগকারীদের জন্য পছন্দের গন্তব্য হচ্ছে বাংলাদেশ।

চীনের বিনিয়োগকারীদের কাছে যেসব দেশ সবচেয়ে বেশি আকর্ষণীয় তার একটা তালিকা তৈরি করে ইআরইইউ বলেছে, তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ১২তম। অথচ ২০১৩ সালেও এই অবস্থান ছিল ৫২তম। অর্থাৎ বাংলাদেশের ভাবমূর্তি আগের চেয়ে অনেক বেশি উজ্জ্বল।

ইআরইইউ’র প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, বাংলাদেশে এখন বিনিয়োগের সম্ভাবনাময় খাত হচ্ছে ইলেকট্রনিক ভোগ্যপণ্য, তথ্য-প্রযুক্তিসেবা, টেলিযোগাযোগ, নবায়নযোগ্য জ্বালানি এবং গাড়ি শিল্প। প্রতিবেদন অনুযায়ি বাজার সম্প্রসারণমূলক বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সবচেয়ে আকর্ষণীয় গন্তব্যের দেশগুলোর তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান দ্বিতীয়। বাংলাদেশের আগে আছে ইন্দোনেশিয়া। আর পরের দিকে আছে ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়া, পাকিস্তান, কম্বোডিয়া, মিশর, ভারত ও তানজানিয়া। আর সাপ্লাই চেইন বা সরবরাহ ব্যবস্থার উন্নয়নমূলক বিনিয়োগে এগিয়ে থাকা দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান অষ্টম।

তিবেদনে বলা হয়েছে, যেসব দেশে ঝুঁকি কম এবং সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি সেই সূচকে সবার উপরে বাংলাদেশের অবস্থান। বাংলাদেশের পরে রয়েছে কম্বোডিয়া, কলম্বিয়া, মিশর, ফ্রান্স, জার্মানি, ইন্দোনেশিয়া ও ইসরায়েল। আর বিনিয়োগের ক্ষেত্রে যেসব গন্তব্য দেশের সুযোগ সবচেয়ে বেশি সেই তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান অষ্টম। অনেক দেশের বিনিয়োগকারীরা এখন এই বাজার ধরতে চান।  ইআরইইউ এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগামী এক দশকে বাংলাদেশের মধ্যবিত্ত জনগোষ্ঠির আকার পাঁচ কোটি ছাড়িয়ে যাবে।

ইআরইইউ এর এই প্রতিবেদন বলে দিচ্ছে বাংলাদেশ কতোটা গিয়েছে এবং কতোটা সম্ভাবনার দেশে পরিণত হয়েছে।

একটা দেশের উন্নয়নে বা উন্নতীতে নেতৃত্ব যে একটা বড় বিষয় তা বলার অপেক্ষা রাখে না। স্বাধীনতার মাত্র সাড়ে তিন বছরের মাথায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যার পর প্রায় ৩০ বছর বাংলাদেশে পরিচালিত হয়েছিল ছিলো সামরিক শাসন আর স্বাধীনতা বিরোধীদের নেতৃত্বে। এই সময়টায় বাংলাদেশকে সব সময় দরিদ্র রাষ্ট্র হিসেবেই পরিচিত করে তোলা হয়েছিল গোটা বিশ্বে। যার ফলে বাংলাদেশ রাষ্ট্র তার কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছতে পারেনি।

কিন্তু গত প্রায় দেড় দশক ধরে দেশের নেতৃত্বে দিচ্ছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। তার সুযোগ্য, বিচক্ষণ ও দৃঢ় নেতৃত্বের কারণে বাংলাদেশের অবস্থান বিশ্ব মানচিত্রে নতুন   পরিচয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। একটি সমৃদ্ধ, সম্ভাবনাময় দেশ হিসেবে সবার কাছে পরিচিত হয়ে উঠেছে। এ কারণে আজ বিনিয়োগকারীরা ছুটে আসছেন বাংলাদেশে।

শুধু যে বিনিয়োগকারীরাই আসছেন তা নয়। বিশ্ব নেতাদেরও আগমন ঘটছে বাংলাদেশে। তেমনি ব্রিকস-এর মত শক্তিশালী অর্থনৈতিক জোটেও বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ পেয়েছে। সর্বশেষ প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতের নয়া দিল্লীতে অনুষ্ঠিত জি-২০ সম্মেলনেও বাংলাদেশ ছিল আমন্ত্রিত। শুধু আমন্ত্রিতই নয় সম্মেলনে প্রায় সব অধিবেশনেই অংশ নিয়েছে বাংলাদেশ। সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রেখেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই সম্মেলনে অংশ নিয়ে বেশ কয়েকটি দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানের সঙ্গে দ্বি-পাক্ষিক বৈঠকও করেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশে বিশ্বের প্রভাবশালী অনেক দেশের নেতারা এসছেন। সর্বশেষ রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ল্যাভরভ ঘুরে গেছেন। রবিবার ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী এ্যামানুয়েল ম্যাক্রো দুই দিনের সফরে ঢাকায় অবস্থান করছেন। তার এই সফরে দুই দেশের মধ্যে একাধিক বিষয়ে চুক্তি স্বাক্ষরের কথা রয়েছে।

বিশ্ব নেতাদের এই সফর জিও পলিটিক্সে ইন্দো প্যাসিফিক অঞ্চলের গুরুত্ব বাড়ছে। আর ইন্দোপ্যাসিফিকের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দেশ হচ্ছে বাংলাদেশ। এখানে বাংলাদেশের অবস্থানও নিরপেক্ষ। বাংলাদেশ সরাসরি কোন ব্লকের সাথে সংযুক্ত নেই। এ কারণে যেমন চাপে আছে বাংলাদেশ, তেমনি সবার লক্ষ্যবস্তুতেও পরিণত হয়েছে।

ইন্দো প্যাসিফিক অঞ্চলে বাংলাদেশের যোগ্য নেতৃত্ব সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে গত ২৯ আগস্ট “হিন্দুস্থান টাইমস” লিখেছে “দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায় রাজনৈতিক স্থিরতা এবং আঞ্চলিক উগ্রবাদীতা প্রশমনে শেখ হাসিনার ভূমিকা অনস্বীকার্য। যারা শেখ হাসিনার উপর অনভিপ্রেত চাপ দেয়ার চেষ্টা করে আসলে তারা এই ইন্দো প্যাসিফিকের শান্তিকে বিনষ্ট করতে চায়”।

শেখ হাসিনার দৃঢ় নেতৃত্বের কারণে বাংলাদেশের আত্মমর্যাদার প্রতীক পদ্মা সেতুতে বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়ন থেকে পিছিয়ে আসা, আমেরিকার ভিসা স্যাংশন নীতি, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য জাতিসংঘ, আমেরিকা, ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের চাপ, মার্কিন সিনেটরদের বাংলাদেশের মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে চিঠি, জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ নিষিদ্ধ করার সুপারিশ করার এতো চাপ সত্ত্বেও কোন কিছু থেকেই পিচিয়ে যায়নি বাংলাদেশ।  বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ‘কারো সঙ্গে বৈরিতা নয়, সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব’ পররাষ্ট্রনীতিতে অনড় রয়েছেন। তিনি দৃঢ়তার সঙ্গে সকল বিরূপ পরিস্থিতি মোকাবেলা করেছেন নিজের বুদ্ধিমত্তা ও বিচক্ষণতা দিয়ে।  তাঁর এই সাহসিকতার প্রশংসা  করেছেন রাশিয়ার সফররত  পররাষ্ট্রমন্ত্রী ল্যাভারভ।

তিনি বলেছেন “যুক্তরাষ্ট্রের চাপ সত্ত্বেও বাংলাদেশের বন্ধুরা বিদেশি শক্তিকে মোকাবিলা করে নিজেদের জাতীয় স্বার্থে স্বাধীন পররাষ্ট্রনীতি বজায় রেখেছে, যা প্রশংসার দাবী রাখে”। একই কথা বলেছেন বিশ্বের সবচেয়ে বড় অর্থনীতির দেশ চীনের প্রেসিডেন্ট শী জিনপিং।

বিশ্বনেতারা বাংলাদেশে গণতন্ত্রের স্বার্থে একটি সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও নিরপেক্ষ নির্বাচন চাইলেও, তারা ইন্দো প্যাসিফিক অঞ্চলে সহযোগি হিসেবে শেখ হাসিনাকেই চাইছেন। গত জুলাই মাসে বাংলাদেশে একটা জরিপ পরিচালনা করে আন্তর্জাতিক রিপাবলিকান এসোসিয়েশন নামে একটি আমেরিকান সংস্থা। তাদের জরিপেও উঠে আসে বিষয়টি, সরকারের অনেক কর্মকান্ড বিশেষ করে দুর্নীতি আর আইনশৃঙ্খলা বিষয়ে সমালোচনা করলেও ৯০শতাংশ জনগণ শেখ হাসিনার হাতেই নেতৃত্ব দেখতে চায়। শেখ হাসিনা শুধু নিজ দেশ বা আঞ্চলিক গন্ডিতেই না, উনি বিশ্ব পরিমণ্ডলে একজন প্রভাবশালী নেতা হয়ে উঠেছেন।

শেষ করতে চাই কানাডা প্রবাসী সাংবাদিক জসিম মল্লিক এর একটা ফেসবুক স্ঠ্যাটাস দিয়ে। রবিবার তিনি একটি স্ট্যাটাসে লিখেছেন, ‘‘অন্য জাতির লোকরা কখনও বাংলাদেশ নিয়ে নাক সিঁটকায় না যতটা আমরা নিজেরা সিঁটকাই। আমরা নিজেরাই নিজেদের ছোট করি। বিদেশে এসে দেশের বদনাম করি। দল করি। মিছিল মিটিং করি, মারপিট ঝগড়া ঝাটি করি। এই যে দেশ বিদেশে এক দেড় কোটি বাঙালি ছড়িয়ে আছে, মাথা উঁচু করে টিকে আছে সেটা কিভাবে হয়েছে! বাংলাদেশে নামটা এখন সবাই চেনে। সম্মান করে। ওয়েষ্ট আফ্রিকার দেশ বুরকিনা ফাচোর লোকেরাও জানে বাংলা নামের একটা দেশ আছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে চেনে। শেখ হাসিনাকে চেনে। একজন মুজিব জন্মেছিলেন বলেই আমরা সবুজ পাসপোর্ট পেয়েছিলাম। তা না হলে আমরা থাকতাম পাকিস্তানীদের বুটের তলায়। আমাদের মতো অকৃতজ্ঞও পৃথিবীতে সম্ভবত দ্বিতীয়টি নাই। যার বা যাদের জন্যই করবেন দেখবেন তারাই চোখ উল্টে ফেলবে। যেনো এটাই নিয়ম। সেটা কি সংসারে, কি রাষ্ট্রে। আমি সারাজীবন যাদের জন্য করেছি তারা কেউই সেসব মনে রাখেনি। নূন্যতম কৃতজ্ঞতাবোধও নাই। কেউ কেউ মনে করে পাওয়াটা তাদের অধিকার। প্রয়োজন শেষ হয়ে গেলে চিনতেও কষ্ট হয়। রাষ্ট্রের ক্ষেত্রেও এমনটা দেখা যায়। যেমন শেখ হাসিনা যে এতো করছেন এই দেশের জন্য তারপরও কিছু লোকের সেটা চোখে পড়ে না। ভাল লাগে না। কৃতঘ্ন বলেই বঙ্গবন্ধুকে সপারিবারে হত্যা করতে পারে। আচ্ছা শেখ হাসিনার অপরাধটা কোথায় যে জন্য তাঁকে টেনে হিচরে ক্ষমতা থেকে নামাতে হবে!’’




চুয়াডাঙ্গায় জেলা জামায়াতের আমীর রুহুল আমিনসহ ৬ নেতাকর্মী আটক

বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামী চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার সংগ্রামী আমীর বিশিষ্ট কর আইনজীবি মোঃ রুহুল আমিনসহ ৬ জনকে আটক করেছে চুয়াডাঙ্গা পুলিশ।

আজ  সোমবার ১১ সেপ্টেম্বর দুপুরে একটি বিবাহ অনুষ্ঠানে যাবার সময় চুয়াডাঙ্গা কাের্ট মােড় থেকে বহনকারী মাইক্রােবাসে থাকা সঙ্গীসহ আটক করা হয়।

আটকৃতরা হলেন- চুয়াডাঙ্গা জেলা জামায়াতের আমীর মােঃ রুহুল আমিন (৪৫), জামায়াতের চুয়াডাঙ্গা পৌর আমীর অ্যাডভােকট হাসিবুর রহমান ইব্রাহিম (৩৯), জামায়াত কর্মী মোঃ মাহসিন আলী (২৬), ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক জেলা সেক্রটারী হুমায়ন কবির (২৭), দৈনিক সংগ্রামের দামুড়হুদা উপজলা প্রতিনিধি মোঃ মাসুম বিল্লাহ ও বহনকারী গাড়ীর ড্রাইভার মােঃ মিনারুল ইসলাম (২৯)। এ সময় তারা একটি বিবাহ অনুষ্ঠানে যাবার জন্য বের হয়েছিল বলে সংগঠন সুত্র জানা গেছে। পুলিশ তাদের আটক করে একটি পুরাতন মামলার পলাতক আসামী হিসাবে সন্ধায় কাের্ট হাজতে প্রেরন করে।

এ দিকে জেলা জামায়াতের আমীর ও তার সঙ্গীদের গ্রেফতারের তীব্র নিদা ও নি:শর্ত মুক্তি দাবী করেছেন চুয়াডাঙ্গা জেলা জামায়াতের নায়েব আমীর ও সাবেক উপজলা চেয়ারম্যান মাওলানা মাে: আজিজুর রহমান ও জেলা সেক্রটারী অ্যাডভােকট মােঃ আসাদুজ্জামান। তারা অবিলম্বে রাজনতিক হয়রানীমূলক এসব মামলা প্রত্যাহারের দাবী জানিয়েছেন।