কোটচাঁদপুরে তিনশ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার
ঝিনাইদহ জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক মোস্তাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে কোটচাঁদপুর সুইপার পাড়ায় অভিযান চালিয়ে তিনশ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে এই অভিযান পরিচালিত হয়। তবে এই গাঁজা উদ্ধারের ঘটনায় অভিযুক্ত প্রতিমা রানী ও মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তার মধ্যে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ উঠেছে।
সূত্র জানায়, মঙ্গলবার দুপুরে ঝিনাইদহ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর কোটচাঁদপুর সুইপার পাড়ায় অভিযান চালিয়ে তিনশ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করে।
অভিযানের সময় অভিযুক্ত প্রতিমা রানী পালিয়ে যান, তবে ঘটনাস্থল থেকে এক মাদক সেবনকারীকে আটক করা হয়। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে মুচলেকা নিয়ে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
অভিযুক্ত প্রতিমা রানী দাবি করেন, সুইপার পাড়ায় মাদক ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে মাসোহারা নেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা আব্দুর রশিদ। তিনি বলেন, “আমি একসময় ব্যবসা করতাম এবং তাদের সঙ্গে আমার চুক্তি ছিল। কিন্তু এখন আর ব্যবসা করি না, তাই তাদের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই। এজন্যই তারা অভিযানের আগেই সংবাদ পেয়ে যায় এবং আমাকে ফাঁসাতে চায়।”
তিনি আরও বলেন, “কয়েক দিন আগে আমার বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। তখন আমি বাড়িতে ছিলাম না, কিন্তু তারা আমার মেয়েকে ধরে নিয়ে গিয়ে গাঁজা দিয়ে চালান দেয়। আজও তারা আমার বাসায় কিছু পায়নি। উদ্ধার হওয়া গাঁজা আমার নয়, বরং সেটা আমার প্রতিবেশী উমার। তারা উমার ঘর থেকে গাঁজা উদ্ধার করেও আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে।”
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, “আমরা প্রতিমার ঘর থেকে গাঁজা উদ্ধার করেছি, কিন্তু তাকে আটক করা সম্ভব হয়নি।”
অন্যের গাঁজা দিয়ে প্রতিমাকে ফাঁসানো হচ্ছে এমন অভিযোগ সম্পর্কে তিনি বলেন, “এটা কখনও হয় নাকি! আমরা প্রতিমার ঘর থেকেই গাঁজা উদ্ধার করেছি। এখন তিনি উল্টোপাল্টা কথা বলছেন।”
মাদক ব্যবসায় মাসোহারা নেওয়ার অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “এ বিষয়ে আমার কোনো তথ্য নেই।”
তিনি আরও জানান, “অভিযানের সময় একজন মাদক সেবনকারীকে আটক করা হয়েছিল। তবে বয়স বেশি হওয়ায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে মুচলেকা নিয়ে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।”