মেহেরপুর জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটি পূনর্বিবেচনার দাবিতে গণমিছিল

মেহেরপুর জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটি পূনর্বিবেচনার দাবিতে গাংনীতে বিক্ষোভ সমাবেশ ও গণমিছিল করেছে বিএনপির একাংশ।
আজ রবিবার (২ ফেব্রুয়ারী) বিকাল ৫ টার দিকে গাংনী হাসপাতাল বাজার বিএনপির অফিসের সামনে থেকে গণমিছিলটি শুরু হয়ে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে এসে শেষ হয়।

বিএনপির মেহেরপুর জেলা আহবায়ক কমিটির সদস্য ও গাংনী উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান বাবলুর নেতৃত্বে গণমিছিলে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য মাসুদ অরুন।

অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক জাহাঙ্গীর বিশ্বাস, মেহেরপুর জেলা বিএনপির সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি মতিয়ার রহমান মোল্লা, গাংনী পৌর জাসাসের সাধারণ সম্পাদক সুলেরী আলভী, মেহেরপুর জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি নাজমুল হোসাইন, মেহেরপুর জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি মফিজুল ইসলাম, যুবদল নেতা শাহিবুল ইসলাম ও মেহেরপুর জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি রেজওয়ানুল হক ইমন প্রমুখ।

গণমিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাসুদ অরুণ বলেন, বর্তমান কমিটি অবৈধ। এই অবৈধ কমিটি যদি জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন কমিটি তৈরি করে তাহলে আমরা তা মানবো না। আমরাও নতুন কমিটি ঘোষণা করবো। আগামী ৭ তারিখ মেহেরপুর জেলার ৩টি উপজেলায় বর্তমান কমিটির বিপক্ষে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হবে।

উল্লেখ্য, ২ ফেব্রুয়ারী বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির যুগ্ম মহাসচীব অ্যাডভোকেট রুহুল কবীর রিজভী স্বাক্ষরিত ৩১ সদস্য বিশিষ্ট মেহেরপুর জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটি ঘোষণা করেছে। আহবায়ক কমিটির আহবায়ক শিল্পপতি জাভেদ মাসুদ মিল্টন ও সদস্য সচীব হয়েছেন অ্যাডভোকেট কামরুল হাসান।




মেহেরপুরে তিনটি ইটভাটায় ৪ লাখ টাকা জরিমানা আদায়

পরিবেশের ছাড়পত্র না থাকা, ইটভাটায় জ্বালানি কাঠ ব্যবহার ও পোড়ানোসহ ইনভাটার লাইসেন্স না থাকায় মেহেরপুরে তিনটি ইটভাটার মালিককে ৪ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করেছে জেলা প্রশাসন পরিচালিত ভ্রাম্যমান আদালত।

আজ রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) বিকালের দিকে মেহেরপুর জেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তর মেহেরপুর জেলা কার্যালয়ের যৌথ অভিযানে সদর উপজেলায় ৩টি ইট ভাটায় এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।

মেহেরপুর জেলা প্রশসানের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খাইরুল ইসলামের নেতৃত্বে যাদবপুর বুড়িপোতা সড়কের তিনটি ইটভাটাতে এই অভিযান চালানো হয়।

ইটভাটায় জ্বালানি কাঠ ব্যবহার ও পোড়ানোসহ ইনভাটার লাইসেন্স না থাকায় ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০১৩ (সংশোধনী-২০১৯) লংঘন করায় গোলাম রহমান ইটভাটা, ছেলে শোয়েব রহমান, আজিমুদ্দিনের ছেলে সাইদুল ইসলাম, নজরুল ইসলামের ছেলে লিজনের নিকট থেকে ৪ লক্ষ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

মোবাইল কোর্ট পরিচালনার সময় মেহেরপুর জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোঃ মোজাফফর খান প্রসিকিউটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

এসময় মেহেরপুর সদর থানা পুলিশের একটি ভ্রাম্যমান আদালতকে সহযোগিতা করেন ।




মেহেরপুরে নাশকতার অভিযোগে করা মামলায় ৫৪ জন আসামি বেকসুর খালাস

বিগত সরকারের আমলে পুলিশের দায়ের করা মিথ্যা মামলায় জামায়াতের ৫৪ জন নেতাকর্মীকে বেকসুর খালাস দিয়েছে আদালত।
আজ রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে মেহেরপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক নুর নবীর আদালতে আসামি পক্ষের আইনজীবি মামলার যৌক্তিতা তুলে ধরে তাদের বেখসুর খালাসের আবেদন করলে মামলার ৫৪ জন আসামিকে বেকসুর খালাস দেন বিজ্ঞ বিচারক।

মামলার বিবরণে জানা গেছে ২০১৮ সালের ৫ সেপ্টেম্বর সদর উপজেলার রাজনগর গ্রামে নাশকতার অভিযোগ এনে ১৯৭০ সালের স্পেশাল পাওয়ার অ্যাক্ট এর ১৫, ১৯০৮ সালের বিস্ফোরক উপাদানবলি আইনের ৪/৫ ধারায় জামায়াতের ৫৪ জন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন পুলিশ।

মামলায় আসামি করা হয়েছিল জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মী সেলিম রেজা, নুরুল ইসলাম, গাংনী উপজেলা জামায়াতের আমির রবিউল ইসলাম, জামায়াত কর্মী রিয়াজুল ইসলাম, মোফাজ্জেল হোসেন, আহাদ আলী, আজগর আলী, নুরুল ইসলাম, আলহাজ্ব হোসেন আলী, হিমু, বিমল হোসেন, মতিয়ার রহমান, হালিম, হাবিবুর রহমান, হাফিজুল, সাবদার আলী, শাহজাহান, হুমায়ূন কবীর, মোহাম্মদ আল-আমিন, মোহাম্মদ রাজন, সোহেল রানা, ইসমাইল হোসেন জমিদার, মোল্লা মোহাম্মদ নাজমুল হোসেন, তোজাম্মেল হক, খান

 

জাহান আলী, শেখ সাঈদ আহমেদ, আবুল হাসান, জাফর আলী আইনুদ্দিন, মোঃ নজরুল ইসলাম, ইমরান হোসেন, মনিরুজ্জামান, আব্দুস সালাম, শামসুল আলম, মহসিন আলী, আব্দুস সামাদ, আমিরুল ইসলাম, শহিদুল ইসলাম, শাজাহান খান, আবু ইউসুফ মিরন, সামাদুল ইসলাম, আব্দুল জাব্বার মাস্টার, সাইফুল ইসলাম, কামাল শেখ, মোহাম্মদ আসাদুল্লাহ, শাহাবুদ্দিন, আলামিন ওরফে বকুল, ইসরাইল, আব্দুল মতিন, ফারুক ওরফে আব্দুল বারী, সোহেল রানা ডলারকে আসামি করা হয়। দীর্ঘদিন পর রবিবার মামলার সকল আসামিকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়।

জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা তাজ উদ্দীন খান বলেন, বিগত ফ্যাসিস্ট স্বৈরাচার সরকারের আমলে জামায়াত ইসলামীর প্রায় ১ হাজার নেতাকর্মীদের নামে ৮৬টি মিথ্যা মামলা দায়ের করেছিল। মামলায় শত শত নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ ও রিমান্ডের নামে নির্যাতন করা হয়েছে। শুধু পুরুষকে নয় মামলায় আসামি করা হয়েছিল আমাদের সংগঠনের বোনদের। এসব মামলার মধ্যে ইতোমধ্যে ২৪ টি মামলায় জামায়াতের নেতাকর্মী বেকসুর খালাস পেয়েছেন।

এই মামলাটি ৮৬ টি মামলার মধ্যে ২৪ তম রায়। বাকী মিথ্যা মামলাগুলোও বিজ্ঞ আদালত বেকসুর খালাস পাবো বলে আশা করছি।




মুজিবনগরে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় প্রাণ হারালেন কৃষক

মুজিবনগরে বেপরোয়া গতির মোটরসাইকেলের ধাক্কায় প্রাণ হারালেন জিল্লুর রহমান (৫৭) নামের এক কৃষক। এঘটনায় মোটরসাইকেল চালক স্কুলছাত্র রিমন (১৭) আহত হয়েছেন।

রবিবার বিকালে মেহেরপুর-মুজিবনগর সড়কের মুজিবনগর উপজেলার গৌরীনগর মোড়ে এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত জিল্লুর রহমান মুজিবনগর উপজেলার গৌরীনগর গ্রামের সাত্তার গাজীর ছেলে, সে পেশায় কৃষক। আহত রিমন মেহেরপুর সদর উপজেলার শালিকা গ্রামের মোঃ ইমরান হোসেনের ছেলে। মুজিবনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

স্থানীয়দের বরাত দিয়ে ওসি মিজানুর রহমান জানান, স্কুল ছাত্র রিমন হোসেন কেদারগঞ্জ মোড় থেকে জিগছার মডেলের একটি মোটরসাইকেলবেপরোয়া গতিতে চালি শালিকাতে আসছিলেন। গৌরিনগর নামক স্থানে এসময় কৃষক জিল্লুর রহমান রাস্তা পার হচ্ছিলেন। এসময় মোটরসাইকেলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তাঁকে স্বজোরে ধাক্কা মারে। এতে দুজনই রাস্তার উপর ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত হন।

স্থানীয়রা তাদের দুজনকে উদ্ধার করে প্রথমে মুজিবনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে তাদের অবস্থার অবনতি হয়। পরে তাদেও গুরুতর অবস্থায় মেহেরপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জিল্লুর রহমানকে মৃত ঘোষণা করেন।

মুজিবনগর থানার ওসি মিজানুর রহমান জানান, এখন পর্যন্ত পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ দেইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে দুর্ঘটনাকবলিত মোটরাসাইকেলটি থানা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।




মেহেরপুরে বিএনপি’র শীতবস্ত্র বিতরণ

“এসো দূর করি শীতার্ত মানুষের কষ্টের কালো রাত, তাদের হাতে রাখি সহানুভূতির আপন হাত” স্লোগানে মেহেরপুর সদর উপজেলার শ্যামপুর ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ড বিএনপি’র উদ্যোগে শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ করা হয়।

রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৪টার দিকে শ্যামপুর ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ড নীলমনি পাড়া বিএনপি’র অফিসের সামনে ২ শত মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরন করা হয়।

শ্যামপুর ইউনিয়ন বিএনপি নেতা ফজলুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির যুগ্ন আহবায়ক ফয়েজ মোহাম্মদ।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শ্যামপুর ইউনিয়ন বিএনপি নেতা আবুল হাসেম, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আজমুল হোসেন মিন্টু, জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি আনিসুল হক লাভলু।

জেলা বিএনপির সাবেক সহ সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী মিজান মেননের সঞ্চালনায় এসময় শ্যামপুর ইউনিয়ন বিএনপি নেতা শামসুর রহমান সুইট, আমিরুল ইসলাম, মিলন হোসেন, মিরাজুল ইসলাম, সাহারুল ইসলাম, কালাম হোসেন, রুহুল আমিন, মোমিনুল ইসলাম, খোকন হোসেন, আব্দুল মান্নান, আব্দুল জলিলসহ শ্যামপুর ইউনিয়ন স্থানীয় নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।




মেহেরপুরে সালোম চার্চের এরিয়া ম্যানেজারের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন

মেহেরপুর জেলা প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সালোম চার্চ অব বাংলাদেশের বল্লভপুর শাখার সাবেক ক্রেডিট অফিসার মোঃ রাজু আহম্মেদ এরিয়া ম্যানেজার রোমিও পিন্টু মন্ডলের বিরুদ্ধে অমানবিক নির্যাতন ও প্রতারণার অভিযোগ উত্থাপন করেছেন।

রাজু আহম্মেদ জানান, তিনি ব্যক্তিগত কারণে চাকরি থেকে পদত্যাগ করেন। কিন্তু তার বেতন, পিএফ-এর টাকা এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আটকে রাখা হয়ছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে তিনি ১৫ জানুয়ারি, ২০২৫ তারিখে মেহেরপুর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি পিডিশন মামলা (মামলা নং ২৮/২০২৫) দায়ের করেন।

তার আগে মোঃ রাজু আহমেদের নামে একটি লিগাল নোটিশ পাঠানো হয়। অভিযোগ অনুযায়ী, নোটিশে রাজুকে বিভিন্ন আর্থিক অনিয়ম ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়। রাজুর দাবি, এই নোটিশ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং তার নামে মিথ্যা অভিযোগ তুলে তাকে হয়রানি করার চেষ্টা করা হয়েছে।

রাজু আহম্মেদ তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, আমি ২০১৯ সালের ২ অক্টোবর সালোম চার্চ অব বাংলাদেশের বল্লভপুর শাখায় ফিল্ড অফিসার পদে যোগদান করেন। চাকরিতে যোগদানের সময় আমার কাছ থেকে একটি ফাঁকা স্বাক্ষর করা চেক এবং আমার বাবার স্বাক্ষর করা ৩০০ টাকার ননজুডিশিয়াল স্ট্যাম্প জমা নেয়া হয়। প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয় যে, চাকরি শেষে এসব আমাকে ফেরত দেওয়া হবে।

২০২১ সালে আমাকে কোনো পূর্ব নোটিশ ছাড়া বল্লভপুর শাখা থেকে গাংনী শাখায় বদলি করা হয় এবং সহকারী ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়। ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে আমি ব্যক্তিগত কারণে চাকরি থেকে পদত্যাগ করি। দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়ার পরও আমি পিএফের টাকা এবং কাগজপত্র ফেরত পাইনি।

২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাসে রোমিও পিন্টু মন্ডল আমাকে ফোন করে গাংনী অফিসে ডেকে নেন। সেখানে আমাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে এবং শারীরিক নির্যাতন করে তার ফাঁকা চেকে ২০ লক্ষ টাকা এবং স্ট্যাম্পে ২০,৪৫,৭৩০ টাকার দেনা লিখিয়ে নেয়া হয়।

পরবর্তীতে, সালোম চার্চের ম্যানেজার রোমিও পিন্টু মন্ডল রাজুর বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ করি। এ নিয়ে মেহেরপুর সদর থানায় একটি অভিযোগ দাখিল করা হয়। সালোম কেন্দ্রীয় অফিসের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে বিষয়টি থানায় আলোচিত হলেও কোনো সমাধান হয়নি।

তিনি আরো বলেন, এরিয়া ম্যানেজার রোমিও পিন্টু মন্ডল ও সালোমের কিছু কর্মকর্তার দুর্নীতির প্রমাণ কাছে রয়েছে, যা আড়াল করতেই তাকে হয়রানি করা হচ্ছে। আমি চাকরি ছাড়ার পরও আমার পিএফ, কাগজপত্র এবং জমাকৃত চেক-স্ট্যাম্প ফেরত পাচ্ছি না।

সংবাদ সম্মেলনে রাজু আহম্মেদ সালোম চার্চের এই অনিয়ম ও দুর্নীতির সুষ্ঠু তদন্ত এবং তার পাওনা ফেরত দেওয়ার দাবি জানান।




অস্তিত্ব বাঁচাতে লড়ছে টিকটক

হোস্টিং প্ল্যাটফর্ম টিকটক। গত বছরের এপ্রিলে বাইডেন সরকার প্রণীত নতুন আইন অনুযায়ী আমেরিকার বাজারে নিষিদ্ধ ঘোষিত হতে পারে প্ল্যাটফর্মটি।

টিকে থাকতে হলে আগামী ৯ মাসের মধ্যে বাইডেন সরকার অনুমোদিত কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের কাছে টিকটকের মালিকানা হস্তান্তর করতে হবে বর্তমান মালিক চীনের বাইটড্যান্সকে। নতুন এই আইন দেশটির সংবিধান পরিপন্থী উল্লেখ করে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন টিকটকের আইনজীবীরা।

টিকটক নিষিদ্ধ করার পেছনে আমেরিকা সরকারের মূল দাবি হচ্ছে দেশটির জনগণের ব্যক্তিগত তথ্য প্ল্যাটফর্মটির মালিক বাইটড্যান্সের কাছ থেকে চীন সরকারের কাছে বেহাত হয়ে যেতে পারে। ফলে বাইটড্যান্সের মালিকানাধীন টিকটক দেশটির জাতীয় সুরক্ষার জন্য হুমকি স্বরূপ বলে মনে করছেন সরকারের কর্তাব্যক্তিরা।

যদিও মার্কিন সরকার এই অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে নাকচ করে দিয়েছে বাইটড্যান্সকে। প্রসঙ্গত, ১৭ কোটিরও বেশি মার্কিন নাগরিক বর্তমানে টিকটক ব্যবহার করেন। বিশ্বব্যাপী প্ল্যাটফর্মটির ব্যবহারকারী সংখ্যা ১০০ কোটিরও বেশি।

এপ্রিলে বাইডেন সরকার নতুন আইন প্রণয়নের পর গত মে মাসে আইনটিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আদালতে মামলা দায়ের করে বাইটড্যান্স। মামলার আর্জিতে দাবি করা হয় আমেরিকা সরকার কোনো প্রকার প্রমাণ না থাকা সত্ত্বেও টিকটকের মালিকানার বিষয়টিকে জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসেবে দেখাতে চাইছে যাতে করে সংবিধানের প্রথম সংশোধনীকে এড়িয়ে যাওয়া যায়। উল্লেখ্য, আমেরিকার সংবিধানের প্রথম সংশোধনীতে বাস্বাধীনতা ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতার মতো আরো কিছু বিষয়কে জনগণের অধিকার হিসেবে উল্লেখ করা হয়।

সরকারের নতুন আইনটিকে ‘স্পষ্টতই অসাংবিধানিক’ উল্লেখ করে বাইটড্যান্স আদালতে আরো জানায়, টিকটকের মালিকানা নিয়ন্ত্রণ করার উপায় হিসেবে সরকার উক্ত আইনটিকে উপস্থাপন করেছে।

টিকটকের মালিকানায় সরকারের এই হস্তক্ষেপকে অনেকেই বাইডেন সরকারের কর্তৃত্ববাদী আচরণ হিসেবে দেখছে। অনেকেই নতুন আইনটিকে সরকারের স্বৈরাচারী মনোভাবের বহিঃপ্রকাশ হিসেবেও গণ্য করছে।

সূত্র: ইত্তেফাক




হরিণাকুণ্ডুতে তারুণ্যের ভাবনায় আগামীর বাংলাদেশ শীর্ষক কর্মশালা

ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলাতে তারুণ্যের ভাবনায় আগামীর বাংলাদেশ শীর্ষক এক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রবিবার (০২ ফেব্রুয়ারী) দুপুরে হরিণাকুণ্ডু উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বি এম তারিক-উজ-জামান এর সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, হরিণাকুণ্ডু উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান মোতাহার হুসাইন।

কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, হরিণাকুণ্ডু সালেহা বেগম মহিলা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মুক্তার হোসেন। এছাড়াও, উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ রাকিব হাসান, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুল বারীসহ উপজেলার বিভিন্ন স্কুল কলেজের শিক্ষক ও ছাত্র ছত্রীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

কর্মশালায় তারুণ্যের ভাবনায় আগামীর বাংলাদেশ হবে তারুণ্য নির্ভর বৈষম্যহীন বিজ্ঞান ভিত্তিক এক সমাজ ব্যবস্থা। বক্তারা বলেন এখনকার তরুনরায় বাংলাদেশকে উন্নত দেশ হিসেবে বিশ্বের দরবারে পৌছে দেবে।




বিয়ের নামে প্রতারণা, সর্বশান্ত মালয়েশিয়া প্রবাসী

প্রতারক বাবা ও মেয়ের প্রতারনায় সর্বশান্ত হয়েছেন ঝিনাইদহের এক প্রবাসী যুবক। প্রতারণা করে প্রবাসীর কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছে লাখ লাখ টাকা।

সর্বশান্ত প্রবাসী যুবক আকরাম ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বাজারগোপালপুর গ্রামের মনোয়ার হোসেনের ছেলে। বর্তমানে সে মালয়েশিয়া প্রবাসী।

এ ঘটনায় বিচার চেয়ে তার পক্ষ থেকে তার বোন বিথি খাতুন ঝিনাইদহ সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। ভুক্তভোগী প্রবাসী যুবক আকরাম হোসেন জানান, দেড় বছর আগে চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার যাদবপুর গ্রামের আনারুল ইসলামের মেয়ে আমেনা খাতুনের (১৯) সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।

কিছুদিন মোবাইলে কথা বলার পর তারা সিদ্ধান্ত নেয় বিয়ে করবে। স্থানীয় কাজির মাধ্যমে তারা বিয়েও করেন। এরপর সবকিছু ঠিকমতই চলছিলো। বিয়ের কিছুদিন পর আকরাম মালয়েশিয়া চলে যায়। যাওয়ার পর মেয়ের খরচ ও তার পরিবারের জন্য বিভিন্ন সময় টাকা পাঠাতো আকরাম হোসেন। এর মাঝে স্ত্রী আমেনা খাতুনকে সোনার গহনা, স্মার্ট ফোন, পায়ের নুপুরও পাঠায় প্রবাসী ওই যুবক। এরপর থেকে শুরু হয় আমেনা ও তার পিতা আনারুল ইসলামের প্রতারনা।

ব্যবসায় করার কথা বলে প্রথমে ৫০ হাজার টাকা নেয় তারা। পরে দফায় দফায় সর্বমোট ৪ লাখ নেয় প্রতারক আনারুল ইসলাম ও তার পরিবার। টাকা নেওয়ার পর থেকে আকরামের সাথে সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছে।

স্ত্রীকে বাড়িতে আনতে চাইলে তারা তাকে হুমকিও দিচ্ছে। আকরাম অভিযোগ করে বলেন, আমার সাথে বিয়ের পর থেকে প্রতারণা শুরু করেছে আমেনা ও তার পিতা। আমি প্রথমে বুঝতে পারিনি ওরা আমাকে সর্বশান্ত করবে। আমি যা আয় করেছি তাও তাদের দিয়েছি। গ্রামে যা ছিলো তাও দিয়েছি আবার এখান থেকেও ধার করে আমেনা ও তার পিতাকে টাকা দিয়েছি। এখন আমার সাথে কোন যোগাযোগ করছে না। ফোন দিলে গালি-গালাজ করে। আমি আমার টাকা ফেরত চাইলে হুমকী দেয়।

অভিযোগকারী আকরামের বোন বিথী খাতুন বলেন, আমরা ওই এলাকায় খোঁজ নিয়ে দেখেছি আনারুল ইসলাম পেশায় রাজমিস্ত্রী। সে মানুষের সাথে এমন প্রতারণা করে। তার আরও দুটি মেয়ে আছে তারাও এমন ২ জন প্রবাসীকে ঠকিয়েছে বলে আমরা জানতে পেরেছি।

আমার ভাইয়ের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা পয়সাসহ অনেক কিছুই ইতিমধ্যে হাতিয়ে নিয়েছে। এমন কি আমার ভাইয়ের সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছে। আমরা থানায় অভিযোগ দিয়েছি। আশা করি এর সুষ্ঠু বিচার আমরা পাবো।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত আমেনা খাতুনের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। যার কারণে তার কাছ থেকে কিছুই জানা সম্ভব হয়নি। অভিযুক্ত আমেনা খাতুনের পিতা আনারুল ইসলাম বলেন, আপনি কার কাছ থেকে এসব শুনেছেন। যে বলেছে তার কাছে যান। বিয়ে হয়েছে তার কোন প্রমাণ আছে নাকি? এসব কথা বলে কোন লাভ হবে না বলে ফোন কেটে দেন।




বিজিবিতে সিপাহি পদে চাকরির সুযোগ, যা লাগবে আবেদন করতে

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) জনবল নিয়োগে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। এ বাহিনীতে ডিজিটাল পদ্ধতিতে ১০৪তম ব্যাচে সিপাহি (জিডি) পদে পুরুষ ও নারী উভয় প্রার্থী নেওয়া হবে। সব জেলার প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন।

শিক্ষাগত যোগ্যতা

সিপাহি পদে আবেদনের জন্য নারী ও পুরুষ উভয় প্রার্থীদের এসএসসি বা সমমান পরীক্ষায় কমপক্ষে জিপিএ–৩ এবং এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় কমপক্ষে জিপিএ–২.৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হতে হবে।

অন্যান্য যোগ্যতা

পুরুষ প্রার্থীদের ক্ষেত্রে উচ্চতা ৫ ফুট ৬ ইঞ্চি, ওজন হতে হবে ৪৯.৮৯৫ কেজি। বুকের মাপ স্বাভাবিক অবস্থায় ৩২ ইঞ্চি ও স্ফীত অবস্থায় ৩৪ ইঞ্চি। ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ও সম্প্রদায়ের ক্ষেত্রে উচ্চতা ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি, ওজন ৪৭.১৭৩ ও বুকের মাপ স্বাভাবিক অবস্থায় ৩০ ইঞ্চি ও স্ফীত অবস্থায় ৩২ ইঞ্চি। নারী প্রার্থীদের ক্ষেত্রে উচ্চতা ৫ ফুট ২ ইঞ্চি। ওজন ৪৭.১৭৩ কেজি এবং বুকের মাপ স্বাভাবিক অবস্থায় ২৮ ইঞ্চি ও স্ফীত অবস্থায় ৩০ ইঞ্চি থাকতে হবে। ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ও সম্প্রদায়ের ক্ষেত্রে উচ্চতা ৫ ফুট, ওজন ৪৩.৫৪৪ ও বুকের মাপ স্বাভাবিক অবস্থায় ৩৮ ইঞ্চি ও স্ফীত অবস্থায় ৩০ ইঞ্চি। উভয় প্রার্থীদের দৃষ্টিশক্তি লাগবে ৬/৬।

বয়স

৩ আগস্ট ২০২৫ তারিখে পুরুষ ও নারী উভয় প্রার্থীদের বয়স হতে হবে ১৮ থেকে ২৩ বছরের মধ্যে।

বৈবাহিক অবস্থা

অবিবাহিত। তালাকপ্রাপ্ত গ্রহণযোগ্য নয়।

যেভাবে আবেদন

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের নিয়োগসংক্রান্ত এ ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ছয়টি ধাপ অনুসরণ করে আবেদনপ্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে।

আবেদন ফি

ডিজিটাল পদ্ধতিতে ৫৬ টাকা ব্যাংকিং কার্ড অথবা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে পেমেন্ট করতে হবে।

যেসব কাগজপত্র আনতে হবে

ভর্তির সময় প্রার্থীকে অবশ্যই এসএসসি এবং এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় পাসের মূল/প্রভিশনাল সনদ, সংশ্লিষ্ট স্কুল বা কলেজের প্রধান শিক্ষক বা অধ্যক্ষ কর্তৃক এইচএসসি বা সমমান এবং এসএসসি বা সমমান পাসের প্রশংসাপত্র (যাতে প্রার্থীর স্থায়ী ঠিকানা ও জন্মতারিখ উল্লেখ থাকবে), অভিভাবকের অনুমতিপত্র, ইউনিয়ন পরিষদ বা পৌরসভা চেয়ারম্যান/ওয়ার্ড কমিশনারের কাছ থেকে বাংলাদেশি স্থায়ী নাগরিকত্বের সনদ, চারিত্রিক সনদ, সদ্য তোলা ১১ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি, অবিবাহিত সনদপত্র, জাতীয় পরিচয়পত্রের মূলকপিসহ সত্যায়িত ফটোকপি এবং প্রবেশপত্রের কপি সঙ্গে আনতে হবে।

আবেদনের সময়সীমা: ৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ পর্যন্ত।

সূত্র: যুগান্তর