পদ্মায় রেলযাত্রা: প্রধানমন্ত্রীর সহযোত্রী হলেন রিকশাচালক, কৃষক, মাঝি, সবজি বিক্রেতা, শ্রমিক

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানেই নতুন কিছু, মানুষের মনে কাছাকাছি নতুন কিছু একটা করা। তেমনই পদ্মাসেতুর ওপর রেল উদ্বোধনের সময় তাঁর যাত্রী হলেন বীরমুক্তিযোদ্ধা, রিকশাচালক, কৃষক, মাঝি, বাসচালক, সবজি বিক্রেতা, পাটকল শ্রমিকসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার ৫০ জন যাত্রী।

কারা কারা ছিলেন এই তালিকায়? চারজন বীরমুক্তিযোদ্ধা, চারজন প্রাথমিক ছাত্র/ছাত্রী, একজন প্রাথমিক শিক্ষক, একজন মাদ্রাসা শিক্ষক, ক্ষুদ্র নৃ-তাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীর দুইজন প্রতিনিধি, একজন সনাতন ধর্মাবলম্বী, বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী এক জন, একজন খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী, একজন রিক্সাচালক, নারী কৃষক একজন, ফেরিচালক এক জন, একজন মাঝি, একজন মেট্রোরেল কন্ট্রোলার, টিটিই একজন, ট্রেনচালক একজন, স্টেশন মাস্টার, ওয়েম্যান, বাসচালক একজন, হকার, সবজি বিক্রেতা এবং পাটকল শ্রমিক।

এছাড়া আইনশৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর নানা পেমাজীবীদের প্রতিনিধিরাও সাথে ছিলেন। এরমধ্যে ছিলেন জেলা আনসার ও ভিডিপির একজন, ফায়ার সার্ভিসের একজন, পুলিশ একজন, স্কাউট থেকে একজন, বিএনসিসির একজন, র‌্যাবের একজন, রেল পুলিশ একজন, বাংলাদেশ সেনা বাহিনীর একজন, বাংলাদেশ নৌ বাহিনীর একজন, বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর এক জন, বিজিবির একজন, কোস্টগার্ড- আরএনবি সদস্যদের প্রতিনিধিরা ছিলেন।

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে যাত্রী হতে পেরে তারা বিভিন্নভাবে উচ্ছাস প্রকাশ করেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ঐতিহাসিক মুহূর্ত শেয়ার করার আনন্দ ছিলো তাদের চোখে মুখে। তারা বলছেন, সবাইকে সমানভাবে দেখার যে মহত্ব প্রধানমন্ত্রী দেখিয়েছেন সেটা অনবদ্য। সবার সমান সুযোগ নিশ্চিত করায় ও মানুষকে কাছে টেনে নেওয়ার এক অনন্য ক্ষমতা আছে প্রধানমন্ত্রী।

পদ্মার ওপর দিয়ে সড়ক যোগাযোগ চালুর ১৫ মাসের ব্যবধানে চালু হলো ট্রেন। মঙ্গলবার পদ্মা সেতুর মাওয়া প্রান্তে আয়োজিত সুধী সমাবেশে উপস্থিত হয়ে এই রেলসংযোগ প্রকল্পের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর মাধ্যমে দেশের মুন্সীগঞ্জ, শরীয়তপুর ও মাদারীপুরের মানুষ প্রথমবারের মতো রেল যোগাযোগের আওতায় আসছে।




কুষ্টিয়াতে স্বপ্ন প্রয়াসের নতুন কমিটি গঠন : সভাপতি রহিদ: সম্পাদক মেহেরাব

কুষ্টিয়ার অন্যতম সামাজিক সংগঠন স্বপ্ন প্রয়াস যুব সংস্থা’র নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে। নতুন এ কমিটির সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পেয়েছেন সাদিক হাসান রহিদ এবং সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পেয়েছেন মেহেরাব হাসান মুশফিক।

এছাড়াও কমিটির সহ-সভাপতি রিফাত হোসেন, ফারছা নাহার নৌশী, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মো চমক ও এনামুল রহমান রাব্বি, কোষাধ্যক্ষ তানজিল আলম, পাবলিক রিলেশন অফিসার মো :সাব্বির রহমান, ইভেন্ট ম্যানেজার সাব্রিনা সাফিয়া রূম্পা,হিউম্যান রিচোর্স অফিসার মোছা ইয়াসমিন আক্তার, প্রচার সম্পাদক মো আশিকুর রহমান, কার্যনির্বাহী সদস্য রবিউল ইসলাম রাহুল, আকাশ আহমেদ, উজ্জল শেখ, হাসিবুল হাসান, মোছা: বিপাশা ইসলাম ও সদস্য ওবাইদুল ইসলাম।

প্রসঙ্গত, একটি সুন্দর সমাজ গড়ার প্রত্যয়ে নিয়ে ২০১৮ সালে ১৫ই জুন প্রতিষ্ঠা হয় সংগঠনটি। সংগঠনটি প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পরে থেকে সমাজের সুবিধাবঞ্চিত মানুষের জন্য শীতবস্ত্র বিতরণ, ঈদ বস্ত্র বিতরণ, খাদ্যসামগ্রী বিতরণসহ ব্যাপক ভাবে সামাজিক নানান কর্মকান্ড পরিচালনা করে আসছে। এখন অব্দি কুষ্টিয়াসহ সারা বাংলাদেশে ৭ হাজার ব্যাগ রক্ত জোগাড় করে দিতেও সক্ষম হয়েছে সংস্থাটি।

এছাড়াও করোনাকালীন এসময়ে জরুরি অক্সিজেন সেবা ও ডেঙ্গু প্রতিরোধে বিভিন্ন এলাকায় জীবাণুনাশক স্প্রে এবং কুষ্টিয়া শহরের বিভিন্ন জায়গায় বৃক্ষরোপন ও ২৩ হাজার গাছে চারা বিতরণ করা হয়েছে যা বর্তশানেও চলমান রয়েছে।




শিক্ষককে ছাত্রের চড়, প্রতিবাদে কুষ্টিয়ায় মানববন্ধন

চুয়াডাঙ্গার ভিক্টোরিয়া জুবিলি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের পরীক্ষা কক্ষে শিক্ষক লাঞ্ছনার ঘটনার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছে কুষ্টিয়া সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

আজ মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) দুপুরে কুষ্টিয়া শহরের এনএস রোডে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। এ সময় শিক্ষার্থীরা অভিযুক্ত ছাত্রের শাস্তি দাবি করে স্লোগান দেয়। মানববন্ধন কর্মসূচীতে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন শিক্ষকরা অংশগ্রহণ করেন।

কুষ্টিয়া সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রুহুল আমিন বলেন, শিক্ষককে মারধর খুবই ন্যক্কারজনক ঘটনা। আমরা শিক্ষক। অথচ আমাদের এক সহকর্মী শিক্ষক লাঞ্ছনার ঘটনায় তারা সমবেদনা জানাতে আজকের এই মানববন্ধন কর্মসূচী। আমরা এই ঘটনার তীব্র ঘৃণা ও সুষ্ঠু তদন্ত পূর্বক শিক্ষার্থীর শাস্তির দাবি কামনা করি।

আরেক শিক্ষক নীলিমা বিশ্বাস বলেন, সারা দেশে একটি সিসিটিভি ফুটেজ ছড়িয়ে পড়েছে। সেখানে এক ছাত্র তার শিক্ষককে মারধর করেছে। ছাত্র শিক্ষকের গায়ে হাত দেওয়ার সাহস কোথায় পাচ্ছে? এই শিক্ষক এখন কি ভাবে সমাজে মুখ দেখাবে? এই ঘটনার বিচার দাবি করেন তিনি।

মানববন্ধন কর্মসূচীতে জানানো হয়, শিক্ষকরা মানুষ গড়ার কারিগর কিন্তু সেটার ফল যদি এমন হয় তাহলে মেধাবীরা এই পেশায় আসবে না। সেই জায়গা থেকে তারা শিক্ষক সমাজ তাদের সুরক্ষার দাবিও জানান।

প্রসঙ্গত, গত রোববার এসএসসি টেস্ট পরীক্ষা চলছিল। পরীক্ষা চলাকালে চুয়াডাঙ্গার ভিক্টোরিয়া জুবিলি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের পরীক্ষা কক্ষে দশম শ্রেণির এক ছাত্র অসদুপায় অবলম্বনের চেষ্টা করলে কর্তব্যরত শিক্ষক তাকে হাতেনাতে ধরে ফেলেন। এ সময় শিক্ষকের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়ান ওই ছাত্র। একপর্যায়ে শিক্ষককে চড় দিয়ে সে পালিয়ে যায়।




চুয়াডাঙ্গায় কমিউনিটি পুলিশিং জেলা কমিটির মতবিনিময় সভা

চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের আয়োজনে চুয়াডাঙ্গায় কমিউনিটি পুলিশিং ডে ২০২৩ উদযাপন উপলক্ষে পুলিশ সুপারের কার্যালয় সম্মেলন কক্ষে আজ মঙ্গলবার বেলা সাড়ে এগারোটা সময় চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ্ আল- মামুনের সভাপতিত্বে কমিউনিটি পুলিশিং জেলা সমন্বয় কমিটির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক এবং অন্যান্য সদস্যদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এ সময় কমিউনিটি পুলিশিং ডে সফলভাবে উদযাপন করার বিষয়ে উপস্থিত কমিটির সদস্যবৃন্দ আলোচনা করেন।

উক্ত আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ( সদর সার্কেল) আনিসুজ্জামান, সহকারী পুলিশ সুপার ( দামুড়হুদা সার্কেল) জাকিয়া সুলতানা, চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ ও চুয়াডাঙ্গা জেলা কমিউনিটি পুলিশিং সদস্য সচিব মনিরুজ্জামান, ডিআইও-১, ডিএসবি আবু জিহাদ ফকরুল আলম খান, চুয়াডাঙ্গা সাংবাদিক সমিতির সভাপতি নাজমুল হক স্বপন, চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মাহাব্বুর রহমান, চুয়াডাঙ্গা জেলা গোয়েন্দা শাখার অফিসার ইনচার্জ ফেরদৌস ওয়াহিদ, জাতীয় মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান রুখসানা মিতা, ওয়েভ ফাউন্ডেশনের প্রোগ্রামার অফিসার কানিজ সুলতানা সহ জেলা পুলিশের বিভিন্ন পদমর্যাদার অফিসারগণ।




ঝিনাইদহ ছাত্রলীগের সভাপতির বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীকে আটকে রেখে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ

ঝিনাইদহে তরুণ-তরুণীর প্রেমের সম্পর্ক কে কেন্দ্র করে ব্যবসায়িকে মারধর, মোবাইল ছিনতাই ও আটকিয়ে রেখে অর্থ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে ঝিনাইদহ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সজিব হোসেনের বিরুদ্ধে।

গত ৬ অক্টোবর এই ঘটনাটি ঘটেছে এবং থানায় লিখিত অভিযোগ করেছে বলে জানান ভুক্তভোগী রড ব্যবসায়ী আসাদুজ্জামান। আসাদুজ্জামান ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ফুরসুন্দি ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য ও ইউনিয়ন শ্রমিকলীগের সভাপতি। ঘটনার বিবরণীতে জানা যায়, ঝিনাইদহ সদর উপজেলার পোড়াহাটি ইউনিয়নের ঘোড়ামারা গ্রামের সোহেল রানা’র কন্যা দীঘি’র সাথে ফেইসবুকের মাধ্যমে শেরপুর জেলার বাবু নামে এক তরুনের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। গত ছয় মাস আগে এই সম্পর্ক চলাকালীন বাবু নানান ভাবে দীঘি’র নিকট থেকে মোটা অংকের টাকা বিকাশের মাধ্যমে নেয় বলে জানান, দীঘি’র বাবা সোহেল রানা। সম্পর্কের এক পর্যায়ে বিয়ে প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাবু ঝিনাইদহে তরুণী দীঘির বাড়ি আসতে চাই এবং গত ৫ অক্টোবর বাবু ঝিনাইদহে দীঘির বাড়িতে আসে। দীঘির বাড়িতে আসার পর দীঘির বাবা তাৎক্ষণিক বাবুর কাছ থেকে ফোন নাম্বার নিয়ে বাবুর বাবা- মায়ের সাথে যোগাযোগ করে ঘটনা খুলে বলেন এবং তাদের ঝিনাইদহে আসতে বলেন।

বাবুর বাবা পরদিন ৬অক্টোবর শুক্রবার ঝিনাইদহে আসতে চান। সসময় বাবুর পরিবার কে ঝিনাইদহ বাসটার্মিনালে আনতে দীঘির বাবা ও তার পূর্ব পরিচিত ব্যবসায়ী আসাদুজ্জামান কে ফোন করে সোহেল রানা তার সঙ্গে যাবার জন্য অনুরোধ করেন। এসময় ব্যবসায়ী আসাদুজ্জামান তার দোকান বন্ধ করে সোহেল রানা’র সাথে ঝিনাইদহ বাস টার্মিনাল আসেন। আসাদুজ্জামান ঘন্টা খানেক অপেক্ষা করার পর ঝিনাইদহ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সজিব হোসেন সহ অজ্ঞাতনামা আরও ১৪/১৫ জন আচমকা সোহেল রানা ও আসাদুজ্জামান কে প্রকাশ্যে মারধর শুরু করেন এবং তাদের কাছে থাকা মোবাইল ও আসাদুজ্জামানের কাছে থাকা নগদ ৫০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেন।

ঘটনার সময় বাবুর বাবা উপস্থিত ছিলেন বলে ভুক্তভোগীরা জানান। ছাত্রলীগ সভাপতি সজিব আসাদুজ্জামান কে উদ্দেশ্য করে বলে তোরা ঐ ছেলেকে আটকিয়ে রেখেছিস এতো বড় সাহস। ঐ ছেলেকে নিয়ে আয় না হলে শেষ করে দেবো। পরিস্থিতি সমাধানের করার জন্য আসাদুজ্জামান ফোন ফেরত নিয়ে পোড়াহাটি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা মমিন কে ফোন দিয়ে ঘটনাস্থলে আসতে বলেন। মমিন ঘটনাস্থলে আসার সঙ্গে সঙ্গে মমিনকেও মারধর করা হয় বলে মমিন জানান। মারধরের এক পর্যায়ে প্রেমিক বাবুকে বাড়ি থেকে এনে এবং সজিব কে আরো ২০ হাজার টাকা দিয়ে তারা ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। এছাড়া পরদিন ঝিনাইদহ সদর থানায় ছাত্রলীগ সভাপতি সজিব সহ অজ্ঞাত নামা আরো একাধিক ব্যক্তির নামে অভিযোগ দায়ের করেন।

এ ব্যাপারে পোড়াহাটি যুবলীগ নেতা মমিন বলেন, আমি ব্যক্তিগত ভাবে পোড়াহাটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হিরন ভাইয়ের সমর্থক। হিরন ভাই এই বিষয়টি নিয়ে আমাকে বাড়াবাড়ি করতে নিষেধ করেছেন তাই আমি বাদী হয়নি। আর ঝামেলার জন্য সোহেল রানাকে বাদী হতে নিষেধ করেছি। যেহেতু আমরা তিন জনই ভুক্তভোগী তাই আমাদের পক্ষে আসাদুজ্জামান থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। আমরা তিন জনই দীর্ঘদিনের ব্যবসায়ী। তিনি আরো বলেন সজিবের বাড়ি শৈলকূপা উপজেলায়। তিনি ছাত্রলীগ সভাপতি হয়েও আমাদের পরিচয় দেওয়ার পরেও তার বিন্দু পরিমাণ সহানুভূতি পায়নি।

এঘটনায় আমাদের সাথে তার হিংস্র আচরণের প্রকাশ পেয়েছে। ছাত্রলীগ নেতার কাছে এমন আচরণ আশা করা যায় না। এছাড়া সজিবের বিরুদ্ধে রয়েছে নানা অভিযোগ, ঠিকাদারদের জিম্মি করে জোর করে সিডিউল দরপত্র কেনা বেচা, ঠিকাদারী, শালিস বাণিজ্যসহ দলীয় নেতা কর্মীদের সাথে অশোভন আচরণ তার নিত্য নৈমিত্তিক ঘটনা। এসব ঘটনার একাধিক ভিডিও অডিও ফাসঁ হওয়ার ফলে তা এখন টক অফদা টাউনে পরিনত হয়েছে। সাধারণ ছাত্র ও দলের নেতা কর্মীরা এর সুষ্ঠু বিচার চাই। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ছাত্র নেতারা জানান ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই (এমপি)’র মদদ ও পৃষ্ঠপোষকতায় সজিব এধরণের কাজ কাম হর হামেসায় করতে থাকে। এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ মোহাম্মদ সোহেল রানা’র কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত চলছে। অভিযোগ প্রমানিত হলে সে যেই হোক তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অপরাধ করে পার পাওয়ার সুযোগ নেই।

চাঁদাবাজির অভিযোগের ব্যাপারে ঝিনাইদহ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সজিব হোসেন জানান, আমি চাদাঁবাজির ব্যাপারে কিছুই জানিনা, আপনাদের মাধ্যমে শুনছি থানায় অভিযোগ হয়েছে, কেন অভিযোগ করা হয়েছে তাও আমি জানিনা, পুলিশ জানালে বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত জানার চেষ্ঠা করবো।




গাংনীর কাজিপুরে ছেলের হাতে মা জখম

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলায় সম্রাট (১৫) নামের মানসিক ভারসাম্যহীণ এক ছেলে ডাশা দিয়ে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে যখম করেছে  গর্ভধারিনী মা রোকেয়া খাতুন (৪৫) কে।

গতকাল সোমবার ৯ অক্টোবর রাত সাড়ে আটটার দিকে জেলার গাংনী উপজেলার কাজিপুর ইউনিয়নের পীরতলা গ্রামের ছানারুল হকের বাড়িতে মর্মান্তিক এ ঘটনাটি ঘটে।

সম্রাট আলী পীরতলা গ্রামের কৃষক ছানারুল হক ও আহত রোকেনা খাতুনের ছেলে।

সম্রাটের বাবা ছানারুল হক বলেন, গতকাল রাত সাড়ে আটটার দিকে আমার স্ত্রী বাড়িতে একাই ঘুমিয়ে ছিলো। এ সময় আমার ছোট ছেলে সম্রাট গরুর গোয়ালে থাকা ঘাস কাটা ডাশা দিয়ে তার মাকে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে যখম করে। এ সময় আমার ছোট ভাইয়ের স্ত্রী আইরিন খাতুন তা দেখে চিৎকার করে উঠলে বাড়ির বাহিরে থাকা লোকজন ও স্বজনরা এসে আমার স্ত্রীকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন‍্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেছে।

গাংনী থানার ওসি তদন্ত মনোজীত কুমার নন্দী বলেন, ‘সম্রাট একজন মানসিক ভারসাম্যহীণ ছেলে। তাকে আজ দুপুরে গাংনী থানা পুলিশ হেফাজতে নিয়ে আসা হয়েছে। সে নিয়মিত মানসিক রোগের ঔষধ সেবন করে আসছিল। তাকে পাবনা মানসিক হাসপাতালে ভর্তির উদ্দেশ্যে প্রেরণের প্রস্তুতি চলছে।’




মেহেরপুরে সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল মান্নানের গনসংযোগ

স্বাধীন বাংলাদেশ বিনির্মাণে,বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরনের পথে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্মার্ট বাংলাদেশ আগামীর পথে বিস্ব মানচিত্রে অভিভূত সাফল্য তুলে ধরতে সাবেক সংসদ সদস্য প্রফেসর আব্দুল মান্নান গণসংযোগ করেন।

আজ মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) মেহেরপুর সদর উপজেলার রায়পুর,কোলা,দফরপুর, চাঁদবীল ও ময়ামারীতে গণসংযোগ করেন তিনি।

সাবেক সংসদ সদস্য প্রফেসর আব্দুল মান্নানের নেতৃত্বে গনসংযোগকালে খালেদুজ্জামান খাঁন ডালিম,হুমায়ূন কবির বাবু, সাজেদুর রহমান সাজু, মির্জা গালিব উজ্জ্বল,মিরাজুল ইসলাম, সেলিম রেজা,শেরেফুল ইসলাম,রকিবুল ইসলাম বাবু, নয়ন আহামেদ, মিঠু, রবিউল ইসলাম, আনোয়ার হোসেন রাজু,আব্বাস উদ্দিন,শেখ কায়সার হামিদ বুলবুল,ইকবাল হোসেন,আসাব উদ্দিন,মতিয়ার, বকুল আহামেদসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।




চুয়াডাঙ্গায় শিক্ষককে চর থাপ্পর ও লাঞ্চিতর ঘটনায় দামুড়হুদায় মানববন্ধন

চুয়াডাঙ্গা ভিক্টোরিয়া জুবিলী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণীর ছাত্রের হাতে শিক্ষক লাঞ্চিতের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে দামুড়হুদা উপজেলা শিক্ষক সমিতি।

আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে দামুড়হুদা উপজেলা সদরের পাইলট গার্লস স্কুল এন্ড কলেজের সম্মুখে এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।

দামুড়হুদা উপজেলা শিক্ষক সমিতির সভাপতি নতিপোতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোমিনুল হকের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে অভিযুক্ত শিক্ষার্থী সাইফুল আমীন শীর্ষ’র দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবী জানিয়ে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, দামুড়হুদা পাইলট গার্লস স্কুল এন্ড কলেজের সহকারী প্রধান শিক্ষক মো মিরাজুল ইসলাম, দামুড়হুদা সরকারি পাইলট হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো নজরল ইসলাম, মোক্তারপুর নিম্ন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো বখতিয়ার রহমান, জুড়ানপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো একরামুল হক, বিষ্ণুপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো সহিদুল ইসলাম, গোবিন্দহুদা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো নজরল ইসলাম,কলাবাড়ি রামনগর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো মোস্তাফিজুর রহমান।

এসময় উপস্থিত ছিলেন দামুড়হুদা গার্লস স্কুল এন্ড কলেজের সহকারী শিক্ষক আবু বক্কর, আবুল কালাম, আঃরাজ্জাক সহ উপজেলার সকল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ, ম্যনেজিং কমিটির সদস্যবৃন্দ ও দামুড়হুদা সরকারি পাইলট হাই স্কুল ও দামুড়হুদা গার্লস স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষার্থীবৃন্দ প্রমুখ।

উল্লেখ্য, গত রোববার চুয়াডাঙ্গা ভিক্টোরিয়া জুবিলী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণীর ছাত্র সাইফুল আমীন শীর্ষ সহকারী শিক্ষক মো হাফিজুর রহমান কে চর থাপ্পর ও শারীরিক ভাবে লাঞ্চিত করে।




মুজিবনগরে ঢেউটিন ও চেক বিতরণ

মুজিবনগরে প্রধানমন্ত্রীর ত্রান তহবিল থেকে ঢেউটিন ও চেক বিতরণ করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকালে উপজেলা পরিষদ ও উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের আয়োজনে, ঢেউটিন ও চেক বিতরণ উপলক্ষে উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে হত দরিদ্র উপকারভোগীদের নিয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

আলোচনা সভায় উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার মাশরুবা আলম এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার অনিমেষ বিশ্বাস। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ।

এসময় আলোচনা সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হতদরিদ্র মানুষের জন্য যে সমস্ত সাহায্য ও সহযোগিতা করা হচ্ছে সেসব বিষয়ে তুলে ধরা হয়।

আলোচনা সভার শেষে ৮৩ জন হতদরিদ্রদের মাঝে ৮৪ বান্ডিল ঢেউটিন এবং ২ লক্ষ ৫২ হাজার টাকার চেক বিতরণ করা হয়।




বয়স্ক রোগীর ক্ষেত্রে লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্টে যে ঝুঁকি

ডোনার ও অঙ্গ ম্যাচিং না হলে লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্ট করা কোনো ভাবে সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক। যদি অঙ্গ দাতা (ডোনার) পাওয়া যায় এবং অঙ্গটি সুস্থ থাকে ও রোগীর সঙ্গে ম্যাচ করে এবং রোগীর যদি অন্য কোন জটিলতা না থাকে তাহলে করা যেতে পারে বলে জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ইন্টারভেনশনাল হেপাটোলজি বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা বিভাগীয় প্রধান ও হেপাটোলজি বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল। তিনি বলেন, যদি জোর করে করার ব্যবস্থাও নেন প্রধান প্রশ্ন হলো- ডোনার কোথায় পাবেন? অঙ্গ দিতে হলে তো ম্যাচিং করতে হবে। আর সেটি বাংলাদেশে থেকেই করা সম্ভব। বিদেশে কিভাবে একজনের পর একজন ডোনার ম্যাচ করাবে? সেটা কি সম্ভব প্রশ্ন তুলেছেন বিশিষ্ট এই চিকিৎসক।

যদিও ৯ অক্টোবর সোমবার রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে সংবাদ সম্মেলনে খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসক অধ্যাপক এফ এম সিদ্দিকী বলেন, এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্ট জরুরি। তিনি বলেন, লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্ট করতে হবে তার। আমরা যে চিকিৎসা দিচ্ছি তা তাৎক্ষণিক। জরুরি ভিত্তিতে তার বিদেশে উন্নত চিকিৎসা প্রয়োজন।

তবে অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল বলেন, হার্টে সমস্যা, কিডনি সমস্যা কিংবা স্ট্রোকের রোগীর লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্ট করতে গেলে মৃত্যু হতে পারে। সাধারণত এই ধরনের রোগীর লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্ট করা হয় না।

দেশে প্রথম লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্ট শুরু হয় ১৯৯৯ সালে। বারডেম হাসপাতালে ১৯৯৯ সালে প্রথম হেপাটো-বিলিয়ারি-প্যানক্রিয়াটিক সার্জারি শুরুর মাধ্যমে বাংলাদেশে লিভার ট্রান্সপ্লান্টের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। দীর্ঘদিন যকৃৎ অস্ত্রোপচার কার্যক্রম সফলভাবে পরিচালনার পর ২০১০ সালের জুন মাসে বারডেম হাসপাতালে বাংলাদেশে প্রথম সফল যকৃৎ প্রতিস্থাপন সম্পূর্ণ করা হয়। দ্বিতীয় সফল অস্ত্রোপচার ঘটে ২০১১ সালের আগস্টে। বারডেমের অধ্যাপক মোহাম্মদ আলীর নেতৃত্বে তা করা হয়। এছাড়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে সম্প্রতি লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্ট শুরু হয়েছে। তবে বাংলাদেশে লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্ট নিয়মিত হয় না বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

কেনো সত্তর উর্ধ কারোর ক্ষেত্রে এটা বিপদজনক ব্যাখ্যা করতে গিয়ে অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল বলেন, লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্ট অনেক বড় একটি সার্জারি। এটি যখন করা হবে , একজন অসুস্থ ব্যক্তির ন্যূনতম হলেও তো লিভার কাজ করছে, লিভারটি কেটে ফেলা হয় এবং নতুন লিভার সংযোজন করা হয়। এই সময় তো পুরো শরীর লিভার ফ্রি থাকে। সার্জারি করতে ৭-৮ ঘণ্টা লাগে। এসময় অন্যান্য অঙ্গ যদি একদম ভায়াবাল থাকে, যেমন কার যদি কিডনিতে সমস্যা না থাকে, হার্টে সমস্যা না থাকে যদি কারো স্ট্রোক থাকে, ডায়াবেটিস থাকে এই ধরনের ক্ষেত্রে ট্রান্সপ্ল্যান্ট করা হয় না। এগুলো হচ্ছে হাই রিস্ক, অপারেশন টেবিলে মৃত্যুবরণ হতে পারে।

তিনি আরও বলেন, আরেকটি বিষয় দেখতে হবে সেটি হচ্ছে লাইফ এক্সপেক্টেন্সি দেখতে হবে। ট্রান্সপ্ল্যান্ট করলে আমরা ধরে নেই, একজন মানুষ হয়তো ১০ বছর বাঁচতে পারবে কিন্তু ট্রান্সপ্ল্যান্ট ছাড়া আর কয়দিন বাঁচবে। ট্রান্সপ্ল্যান্ট একজন চিকিৎসক তখনই করবে যখন দেখবে তিনি সফল হবেন, ১০ বছর অন্তত রোগী বাঁচবে বলে আশা করা যায়। যদি এমন হয় ট্রান্সপ্ল্যান্ট করতে গিয়ে রিস্ক বেশি হয়ে গেল তখন সেটি করা যাবে না।

ডোনার কীভাবে পাওয়া যাবে
মানবদেহে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সংযোজন আইন, ১৯৯৯ এর কয়েকটি ধারা ২০১৮ সালে সংশোধন করা হয়। সেখানে বলা হয়েছে- দুই ধরনের ব্যক্তির কাছ থেকে অঙ্গ সংযোজনের জন্য নেওয়া যাবে। ক্যাডাভেরিক অর্থাৎ হৃদপিন্ড স্পন্দনরত মানবদেহ যা অনুমোদিত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকবৃন্দ কর্তৃক ব্রেইন ডেথ বলে ঘোষিত এবং যার অঙ্গসমূহ অন্য মানবদেহে প্রতিস্থাপনের জন্য লাইফ সাপোর্ট দ্বারা কার্যক্ষম রাখা হয়েছে – এমন ব্যক্তির অঙ্গ সংযোজন করা যাবে।

এছাড়া নিকট আত্মীয় থেকে নেওয়া যাবে। এর মধ্যে আছে – পিতা, মাতা, পুত্র, কন্যা, ভাই, বোন, স্বামী, স্ত্রী ও রক্ত সম্পর্কিত আপন চাচা, ফুফু, মামা, খালা, নানা, নানি, দাদা, দাদি, নাতি, নাতনি, আপন চাচাতো, মামাতো, ফুপাতো, খালাতো ভাই অথবা বোন। আইন অনুযায়ী , অঙ্গ দাতা হিসেবে জীবিত ব্যক্তির ক্ষেত্রে বয়স ১৮ বছরের কম অথবা ৬৫বছরের ঊর্ধ্বে হলে অঙ্গ নেওয়া যাবে না।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলে হেপাটাইটিস নির্মূল বিষয়ক বিশেষজ্ঞ প্যানেলের সদস্য এবং দেশের শীর্ষস্থানীয় হেপাটোলজিস্ট অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব (স্বপ্নীল) বলেন, ট্রান্সপ্ল্যান্ট করতে তো লিভার লাগবে, সেটা কিভাবে পাওয়া যাবে? যেকোনো সভ্য দেশের আইন হচ্ছে রোগীকে তার নিকট আত্মীয়র কাছ থেকে অঙ্গ নিতে হবে। প্রতিবেশি বা পরিচিত কেউ অঙ্গ দিতে পারবে না। যদি এমন হয় প্রতিবেশি দিতে ইচ্ছুক সেটি খুব কম দেশেই করা হয়। আরেকটি বিষয় হচ্ছে শুধুমাত্র টাকার বিনিময়ে ট্রান্সপ্ল্যান্ট করা যাবে না, এটা শুধু ইজরায়েলে সম্ভব। এখন কথা হচ্ছে অঙ্গ পাওয়া যাবে কোথা থেকে?

তার মতে, অঙ্গ দিতে হলে তো ম্যাচিং করতে হবে। সেটি বাংলাদেশে করা সম্ভব। বিদেশে কিভাবে একজনের পর একজন ডোনার ম্যাচ করাবে? সেটা কি সম্ভব! যেকোনো ট্রান্সপ্ল্যান্টের জন্য দেশে বসে ম্যাচিং করে নিতে হয়। ব্লাড গ্রুপ, ডোনারের অঙ্গ সুস্থ আছে কিনা, হেপাটাইটিস বি এবং সি ভাইরাস আছে কিনা, লিভারের এনাটমি কেমন, এগুলো সব জেনে নিতে হবে। তারপর ট্রান্সপ্ল্যান্ট করতে যাবে। এখন উদাহরনসরূপ ধরা যাক এগুলো টেস্ট যুক্তরাষ্ট্রে করানো হলো , এখন যদি না মিলে তাহলে আরেক ডোনার কি বললেই ভিসা পাবে?

তিনি বলেন, ৭৭ বছর বয়সে সাধারনত ট্রান্সপ্ল্যান্ট করা হয় না। কিন্তু এতে কোন বাধ্যবাধকতা নেই। কিন্তু করতে গেলেও ডোনার লাগবে, সুস্থ অঙ্গ লাগবে যেটা রোগীর নিকট আত্মীয়র এবং এসব ছাড়া কোথাও ট্রান্সপ্ল্যান্ট করা সম্ভব না।