বাবার কোলে মাথা রেখে মুনতাহারের আর বেড়ানো হবেনা

গত কয়েক দিন আগে সাড়ে ৯মাস বয়সী মেয়ে মুনতাহারকে নিয়ে মেট্রোরেলে ভ্রমন করার ছবি সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমে দিয়েছিলেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর মিনারুল ইসলাম। এর কয়েক দিনের মাথায় বাসায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে সেই ছোট্র মুনতারহার এবং স্ত্রীকে রেখে না ফেরার দেশে চলে গেলেন তিনি।

গত ১৩ আগস্ট রাতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর মিনারুল ইসলাম মিনারের বাসায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ ঘটে, এতে মিনারুলসহ তার বাবা ফরমান মন্ডল (৭৫), মা খাদিজা বেগম (৬৫) এবং গ্যাস লাইনের মিস্ত্রি শরিফুল ইসলাম গুরতর অগ্নিদগ্ধ হয়। তাদের সকলকে উদ্ধার করে দ্রুত শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনিস্টিটিউটে ভর্তি করে। চিকিৎসা শুরু হলে ৯৫ভাগ দগ্ধ পিতা এবং তাকে আইসিইউতে নেওয়া হয়। আইসিইউতে নেওয়ার আগে ১৪আগস্ট স্ত্রীকে আশ্বাস্ত করেছিল আমি ভাল আছি আমাকে নিয়ে চিন্তা করনা, আমি খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠবো মেয়েকে দেখে রেখ। কিন্তু স্ত্রী’র কাছে দেওয়া আশ্বাস তিনি রাখতে পারলেন না ৪দিনের মাথায় মৃত্যুর সাথে পাঞ্জালড়ে তিনি গত বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়েন এর দুদিন আগে ১৫আগস্ট ওই বার্ন ইনিস্টিটিউটেই মৃত্যুবরণ করেন বাবা ফরমান আলী মন্ডল। মা এখনো ওখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছে। মিনারুল ইসলাম হরিণাকুণ্ডু উপজেলার ভায়না ইউনিয়নের লক্ষিপুর গ্রামের ফরমান আলী মন্ডলের ছেলে।

মাত্র ৯মাসের শিশু কন্যা মুনতাহার এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সদ্য স্নাতকোত্তর সমাপ্ত করা স্ত্রী সুরাইয়া খাতুনকে নিয়ে গাজীপুর বোর্ডবাজার এলাকার (মুক্তারবাড়ি) থাকতেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের এই কর্মকর্তা।

আজ শুক্রবার সকাল ১০টায় বাকচুয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে মিনারুলের জানাযায় হাজার হাজার মানুষের ঢল নামে, ঝিনাইদহ এবং পার্শ্ববর্তি কুষ্টিয়া জেলা থেকে শত শত ছাত্র, শিক্ষক এবং রাজনৈতিক দলের শুভাকাঙ্খিরা তাকে এক নজর দেখতে আসে। তার জানাযায় অংশ গ্রহন করতে আসে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকর্মীরা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্জের পক্ষে কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন।

জানাযায় বক্তব্য দেওয়া কালে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র সাইদুল করিম মিন্টু, এতে হাজার হাজার মুসল্লী ও উপস্থিত জনতা অশ্রুশিক্ত হয়ে পড়েন। এছাড়াও তার সহকর্মী, বন্ধু, শুভাকাঙ্খি ও স্থানীয় স্বজনরা কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে।

বক্তব্য কালে সাইদুল করিম মিন্টু বলেন, শুধু এই মিনারুলের জন্য আমি দলমত নির্বিশেষে ৩শ ছাত্রছাত্রীকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করিয়েছি। মিনারুল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০০৬-০৭ শিক্ষা বর্ষে হিসাব বিজ্ঞান বিভাগ থেকে স্নাতকোক্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। ব্যক্তি জীবনে তিনি একজন ভাল সংগঠক ছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যায়ন কালে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়স্থ ঝিনাইদহ ছাত্র কল্যাণ সমিতি গড়ে তোলেন এবং এই সমিতির মাধ্যমে ঝিনাইদহের শত শত হতদরিদ্র ছাত্রছাত্রীদের ভর্তি এবং লেখাপড়ার খরচ চালাতে বৃত্তির ব্যবস্থা করতেন। ঝিনাইদহের সকল দানশীল ব্যক্তিদের এই সিমিতির সাথে সম্পৃক্ত করে প্রতিবছর ছাত্র ছাত্রীদের অর্থিক সহায়তা দিতেন। তিনি ছিলেন সকলের কাছে প্রিয় একটি মুখ। তার মৃত্যুতে এলাকাজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসছে।




কুষ্টিয়ায় বসুন্ধরা গ্রুপের সেলাই মেশিন পেলেন অসচ্ছল নারীরা

কুষ্টিয়ায় অসচ্ছল নারীদের মাঝে সেলাই মেশিন বিতরণ করা হয়েছে। বসুন্ধরা গ্রুপের অর্থায়নে বসুন্ধরা শুভসংঘের কুষ্টিয়ায় জেলা শাখার উদ্যোগে মাসব্যাপী প্রশিক্ষণ শেষে ২০ জন অসচ্ছল নারীর মাঝে এসব সেলাই মেশিন বিতরণ করা হয়।

আজ  শুক্রবার সকালে বসুন্ধরা শুভসংঘ কুষ্টিয়া জেলা শাখা কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে এসব নারীদের মাঝে সেলাই মেশিন তুলে দেন এপার বাংলা ওপার বাংলার জনপ্রিয় কথা সাহিত্যিক, বসুন্ধরা মিডিয়া গ্রুপের পরিচালক ও কালের কণ্ঠ’র প্রধান সম্পাদক ইমদাদুল হক মিলন ও কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক মো. এহেতেশাম রেজা।

শুভসংঘ কুষ্টিয়া জেলা শাখার সভাপতি মর্জিনা খাতুনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুষ্টিয়া সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পার্থ প্রতীম শীল, শুভসংঘের কেন্দ্রীয় পরিচালক জাকারিয়া জামান, কালের কণ্ঠের কুষ্টিয়ার নিজস্ব প্রতিবেদক তারিকুল হক তারিক, বসুন্ধরা বিটুমিন কুষ্টিয়া অঞ্চলের এজিএম সাদ্দাম হোসেন, এরিয়া ম্যানেজার উবায়দুর রহমান বাদশা, শুভসংঘের সহ-সভাপতি এসএম জামাল, সাধারণ সম্পাদক কাকলি খাতুন, সাংগঠনিক সম্পাদক বিপুল হোসেনসহ সংশ্লিষ্টরা।

অনুষ্ঠানে ইমদাদুল হক মিলন বলেন, ‘বসুন্ধরা গ্রুপের সহায়তায় অসচ্ছল নারীদের স্বাবলম্বী করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বসুন্ধরা গ্রুপের মাননীয় চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান আমাকে নির্দেশ দিয়েছেন বাংলাদেশের প্রতিটি জেলায় এবং সম্ভব হলে উপজেলাতেও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র গড়ে তুলতে। তার অংশ হিসেবেই এখানে শুভসংঘ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হলো। গত প্রায় একমাস ধরে এখানে যে ২০ জন নারী প্রশিক্ষণ নিয়েছেন তাদের ২০ জনকে এবার বসুন্ধরা গ্রুপের সহায়তায় সেলাই মেশিন বিতরণ করা হলো। তারা এটি দিয়ে নিজের পায়ে দাঁড়াবেন ও পরিবারে সচ্ছলতা আনবেন।

তিনি আরো বলেন, ‘দেশের সবচেয়ে বড় গ্রুপ বসুন্ধরা গ্রুপ শুধু ব্যবসাই করে না তারা অনেক বড় বড় মানবিক কাজ করে। এই গ্রুপের পক্ষ থেকে আমরা শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দিচ্ছি, স্কুল, পাঠাগার, প্রশিক্ষণ কেন্দ্র করে দিচ্ছি। সবকিছু ছেলে-মেয়েদের ও অসচ্ছল নারীদের নিজের পায়ে দাঁড় হবার জন্য করা হচ্ছে।

কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক এহেতেশাম রেজা বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশের ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যার ফলশ্রুতিতেই ইতোমধ্যে বিভিন্ন দপ্তর প্রশিক্ষণ প্রদান করছে। প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে দক্ষ করে গড়ে তুলতে কাজ করে যাচ্ছে সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। বসুন্ধরা গ্রুপের এই প্রশিক্ষণ কেন্দ্র অসহায় নারীদের স্বাবলম্বী করতে প্রশিক্ষণ ও সেলাই মেশিন প্রদানের যে মহতি উদ্যোগ নিয়েছে তা সত্যি প্রশংসনীয়।




দামুড়হুদায় ইজিবাইক-মোটরসাইকেল মুখোমুখি সংঘর্ষে স্বামী নিহত, আহত স্ত্রী

দামুড়হুদায় মোটরসাইকেল-ইজিবাইকের মুখোমুখি সংঘর্ষে মোটরসাইকেল চালক হারুন উর রশিদ নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এ সময় তার সঙ্গে থাকা স্ত্রী শামসুন্নাহার মিনা আহত হয়েছেন।

শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে দামুড়হুদা ব্র্যাকমোড়ের অদূরে কবর স্থানের কাছে এ দুর্ঘটনা ঘটে। আহত শামসুন্নাহার মিনা চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। নিহত হারুন উর রশিদ দামুড়হুদা উপজেলার নাটুদা ইউনিয়নের ছাতিয়ানতলা গ্রামের স্কুলপাড়ার মৃত আঃ আজিজের ছেলে। তিনি চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা সাব রেজিস্ট্রার অফিসের অফিস সহকারী হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ হযরত আলী বলেন, মোটরসাইকেলটি চুয়াডাঙ্গামুখী এবং ইজিবাইকটি চুয়াডাঙ্গা থেকে দামুড়হুদার দিকে আসছিল। পথি মধ্যে দামুড়হুদা ব্র্যাকমোড় পার হয়ে কবর স্থানের কাছে পৌঁছালে মোটরসাইকেল-ইজিবাইকের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় মোটরসাইকেল চালক ও আরোহীকে (স্বামী-স্ত্রী) উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে ঘণ্টাখানেক পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় হারুন উর রশিদের মৃত্যু হয়।

চুয়াডাঙ্গা সদর থানার এএসআই আশরাফ আলী বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় আহত স্বামী-স্ত্রীকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঘণ্টাখানেক পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় স্বামী মারা যান। তার স্ত্রীর চিকিৎসা চলছে।




গাংনীর সাহারবাটি ইউপি মেম্বর রফিকুল মারা গেছেন

গাংনী উপজেলার সাহারবাটি ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের (ভোমরদহ) গ্রামের সদস্য রফিকুল ইসলাম (৪৫) মারা গেছেন (ইন্নালিল্লাহী ওয়া ইন্না এলাহী রাজিউন)।
রফিকুল সাহারবাটী ইউনিয়নের ভােমরদহ গ্রামের বিলপাড়ার মৃত মুছাব উদ্দীনের ছেলে।

বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) দিবাগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে স্ট্রোকজনিত কারণে মারা যান তিনি। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী,২ মেয়ে ও ১ ছেলেসহ অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে গেছেন।

পারিবারিক সূত্র জানায়, রফিকুল ইসলাম কয়েকদিন যাবত অসুস্থ ছিলেন। বৃহস্পতিবার রাতে নিজ বাড়িতে স্ট্রোক করেন। এসময় পরিবারের লোকজন তাকে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃতু ঘোষণা করেন।

শুক্রবার (১৮ আগস্ট) বাদ জুম্মা ভোমরদহ বিলপাড়া কবরস্থান নামাজে জানাজা শেষে ওই কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন হয়েছে।




গেমারদের জন্য টুর্নামেন্ট ‘ডি১ কাপ বাংলাদেশ’, প্রাইজমানি ৪০ লাখ টাকা

বিশ্বজুড়ে গেমারদের কাছে জনপ্রিয় নাম ইস্পোর্টস। বাংলাদেশেও স্পোর্টসের এই ধরনটা দারুণ জনপ্রিয়। ইস্পোর্টসের এই জনপ্রিয়তা ও বাংলাদেশের গেমিং সেক্টরে এর বিশাল সম্ভাবনার কথা মাথায় রেখে ডিসকভারি ওয়ান লিমিটেড গতবারের মতো এবারেও আয়োজন করতে চলেছে দেশের সবচেয়ে বড় ইস্পোর্টস টুর্নামেন্ট ‘ডি১ কাপ বাংলাদেশ ২০২৩, পাওয়ার্ড বাই বিকাশ’। সারাদেশ থেকে তিন শতাধিক টিমের অংশগ্রহণে জমে উঠবে এবারের আসর।

বাছাই পর্ব অনলাইনে অনুষ্ঠিত হলেও টুর্নামেন্টের গ্র্যান্ড ফিনালে অনুষ্ঠিত হবে ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরা (আইসিসিবি)-তে। এইদিন ফাইনাল রাউন্ড ও তার পুরস্কার বিতরণীর পাশাপাশি আয়োজন করা হবে নানা বিনোদনমূলক অনুষ্ঠানও। মোট তিনটি জনপ্রিয় ইস্পোর্টস গেম- ‘ভ্যালোরেন্ট’, ‘সিএস: গো’, এবং ‘মোবাইল লিজেন্ডস: ব্যাং ব্যাং’ খেলা যাবে এই টুর্নামেন্টে। এই গেমগুলোর মধ্যে প্রথম দু’টি কম্পিউটার গেম এবং এমএলবিবি একটি মোবাইল গেম। টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণকারী সকল গেমারকে প্রায় এক মাসব্যাপী এই তিনটি গেমে অংশগ্রহণ করতে হবে।

টুর্নামেন্টের সেরা ৩২টি টিমের জন্য রয়েছে বিভিন্ন ক্যাটাগরির পুরস্কার জেতার সুযোগ। এছাড়া, দর্শক ও শ্রোতাদের জন্য থাকছে প্রায় ৩ লক্ষ টাকা সমমূল্যের পুরস্কার। পুরস্কারের অর্থ ছাড়াও প্রত্যেক পুরস্কারপ্রাপ্ত দল ও খেলোয়াড়কে ট্রফি এবং অন্যান্য আকর্ষণীয় পুরস্কার দেওয়া হবে। সব মিলিয়ে, এই টুর্নামেন্টের মোট প্রাইজভ্যালু ৪০ লক্ষ টাকা।

বাংলাদেশের গেমিং সেক্টরে নতুন মাইলফলক তৈরি করার জন্য এই আয়োজনের অন্যতম প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে যোগ দিয়েছে দেশের সবচেয়ে বড় মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস বিকাশ।

এবারের আয়োজন সম্পর্কে ডিসকভারি ওয়ান লিমিটেড-এর কো-ফাউন্ডার শাদাব হোসেন বলেন, “আমরা খুবই আশাবাদী এবারের আয়োজন নিয়ে। গত বছর আমরা ডি ওয়ান কাপ প্রথমবারের মতো আয়োজন করি। মাত্র এক বছরের ভেতরেই আমাদের সাথে বিকাশ, মাউন্টেইন ডিউসহ বেশ কিছু বড় ব্র্যান্ড যুক্ত হয়েছে। শীঘ্রই আমরা শুধুমাত্র বাংলাদেশ নয় বরং পুরো দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলির জন্য টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে পারবো এবং আমাদের সহযোগী ব্র্যান্ডগুলিকে এই খাতের উন্নয়নে ও গেমারদের উন্নতির জন্য সাথে পাবো বলে আশা করি।”

সূত্র: ইত্তেফাক




রিয়ালের গোলরক্ষক কোর্তোয়ার অস্ত্রোপচার সম্পন্ন

স্প্যানিশ ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদের গোলরক্ষক থিবো কোর্তোয়ার হাঁটুর সফল অস্ত্রোপচার হয়েছে। ক্লাবের পক্ষ থেকে একথা জানানো হয়েছে। নতুন মৌসুম শুরুর আগেই ইনজুরির কবলে পড়েছিলেন বেলজিয়ামের এই তারকা গোলরক্ষক।

সংক্ষিপ্ত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে রিয়াল মাদ্রিদ জানায়, সফলতার সঙ্গে বেলজিয়ান আন্তর্জাতিক তারকার অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়েছে। এর মাধ্যমে তার বাঁ পায়ের হাঁটুর লিগামেন্ট সমস্যার সমাধান হয়েছে। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে কোর্তোয়ার পুনর্বাসন কার্যক্রম শুরু হবে বলেও জানায় স্প্যানিশ জায়ান্টরা।

তবে মাঠে ফিরতে তার কতটা সময় লাগবে সে বিষয়ে নির্দিষ্ট করে কিছু জানায়নি ক্লাবটি। পুরো মৌসুম তাকে মাঠের বাইরে কাটাতে হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এক সপ্তাহ আগে দলীয় অনুশীলনের সময় ইনজুরিতে পড়েন রিয়ালের এই গোলরক্ষক। দীর্ঘ দিন তার অনুপস্থিতির আশঙ্কায় কেপা আরিজাবালাগাকে দলভুক্ত করেছে ক্লাবটি। চেলসি থেকে পুরো মৌসুমের জন্য চুক্তিবদ্ধ হওয়া ওই গোলরক্ষককে গত মঙ্গলবার পরিচয় করিয়ে দেয় মাদ্রিদ।

এদিকে গত শনিবার অ্যাথলেটিকো বিলবাওয়ের বিপক্ষে লা লিগায় নিজেদের প্রথম ম্যাচে খেলতে নেমে একই রকম ইনজুরির শিকার হয়েছেন ক্লাবটির ব্রাজিলীয় ডিফেন্ডার এডার মিলিতাও। অচিরেই তারও অস্ত্রোপচার করা হবে জানিয়েছে রিয়াল।

সূত্র: ইত্তেফাক




মেহেরপুরে পুলিশের অভিযানে গ্রেফতার-৫

মেহেরপুর সদর ও গাংনী থানা পুলিশের ১২ ঘন্টার নিয়মিত অভিযানে বিভিন্ন মামলার ৫ আসামি গ্রেফতার হয়েছে। এদের মধ্যে মেহেরপুর সদর থানা পুলিশের অভিযানে নিয়মিত মামলায় ১ ও মাদক মামলার ২ আসামি এবং গাংনী থানা পুলিশের অভিযানে মাদক মামলায় ১ ও মারামারি মামলার ১ আসামি রয়েছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতের বিভিন্ন সময়ে দুটি উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে পুলিশের পৃথক টিম অভিযান চালিয়ে এসব মামলার আসামি গ্রেফতার করেন। গাংনী ও সদর থানা পুলিশের সূত্র এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক ও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম গ্রেফতার অভিযানে নেতৃত্ব দেন।

গ্রেফতারকৃতদের আজ শুক্রবার (১৮ আগস্ট) দুপুরের দিকে আদালতের মাধ্যমে মেহেরপুর জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।




মেহেরপুরে বাস খাদে, আহত ৭

মেহেরপুর-কুষ্টিয়া সড়কের গাংনী উপজেলার তেরাইল-অলিনগরপাড়া এলাকায় লোকাল পরিবহনের একটি চলন্ত বাস খাদে উল্টে পড়ে ৭ জন আহত হয়েছেন।

আহতদের উদ্ধার করে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও মেহেরপুর ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

আহতরা হলেন, গাংনী উপজেলার গাঁড়াডোব গ্রামের জামাল উদ্দীনের ছেলে জাহিদ হাসান (৩৫), একই গ্রামের সামছদ্দিনের ছেলে শাওন (২৫), চাঁদপুর গ্রামের আতর আলীর ছেলে তোহিদুল ইসলাম (৪৫), চেংগাড়া গ্রামের মনিরুল ইসলামের ছেলে শাহনেওয়াজ (৪০), মেহেরপুর জেলা শহরের আব্দুল লতিবের ছেলে শাহিনুর আক্তার (৪০), গাংনী উপজেলার ধর্মচাকী গ্রামের মৃতু আব্দুর রহিমের ছেলে আলী হোসেন (৬০) ও তার ছেলে ওয়াসিম আলী (৩৬)।

গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত আনুমানিক পৌণে ৯ টার দিকে কুষ্টিয়া থেকে মেহেরপুরের দিকে ছেড়ে আসা মায়ারিনা প্লাস পরিবহন যার নং (ঢাকা মেট্রো-জ-১১-১৮৭৭) অলিনগর পৌছানো মাত্র নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পার্শ্ববর্তি খাদে পড়ে যায়। এতে ৭ জন যাত্রী কারোর হাত কারোর পা, কয়েকজনের কোমর ভেঙ্গে গেছে। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেন। সেখান থেকে কয়েকজনকে মেহেরপুর ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়।

গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক বলেন খবর শুনে পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে।




মেহেরপুরে কুকুরের কামড়ে আহত ৫০

মেহেরপুর সদর উপজেলার আমঝুপিতে একটি পাগলা কুকুরের কামড়ে (১৫ ও ১৬ আগষ্ট) ২ দিনে প্রায় অর্ধশতাধীক মানুষ আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে মেহেরপুর ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে ২৩ জন চিকিৎসা নিয়েছেন। বাকিরা স্থানীয়ভাবে কবিরাজের কাছে চিকিৎসা নিয়েছেন।

এদের মধ্যে মেহেরপুর ২৫০ শয্যার হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন আমঝুপি গ্রামের আব্দুস শেখের ছেলে আলাইহিম (৫৫), ফারুক হোসেনের মেয়ে ফারহানা খাতুন (৭), হারুন মন্ডলের ছেলে আব্দুল্লাহ (৫৩), মারুফ হোসেনের ছেলে সামিউল (২০) ও মোমিনুল ইসলাম (৭), আব্দুর রবের ছেলে শুভ আহম্মেদ(২৭), আসাদুল ইসলামের মেয়ে রেখা খাতুন (৪), সলিম উদ্দীনের ছেলে মফিজুল ইসলাম (৫০), কিয়ামদ্দীনের স্ত্রী আনজুরা বেগম (৭০), মিল্টন হোসেনের মেয়ে বর্ষা খাতুন (১৩), আব্দুর রহিমের ছেলে কবির হোসেন (২৫), আব্দুল মান্নানের ছেলে মঞ্জুর হোসেন (৩২), আব্দুল মাজেতের ছেলে সামিউল ইসলাম (৪), মোহর আলীর ছেলে জিহাদ হোসেন (২৫), জাহাঙ্গীর হোসেনের ছেলে সাব্বির হোসেন (১০), বাবর আলীর ছেলে ইকবাল হোসেন (৩৫), রমিজ হোসেনের ছেলে আজাদ আলী (১২), খেদমত আলীর স্ত্রী সালমা খাতুন (৫০), আবু সাঈদের স্ত্রী তামান্না (৩০) ও মেয়ে তুবা (৮), আবুল কালামের ছেলে আবু সাঈদ (৪৫), ইনসাফ আলীর ছেলে জিম (২০), মানিক হোসেন, হাবিবুর রহমান, ডাকু, মোয়াজ্জেম হোসেন।

হাসপাতালের জলাতঙ্ক ভ্যাক্সিনেশন সেন্টার থেকে জানা গেছে, আমঝুপি ও চাঁদবিল থেকে কুকুরে কামড়ানো ২৩ জন রোগী মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে এসে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। চিকিৎসা প্রদানের পর তাদেরকে জলাতঙ্কের ভ্যাক্সিন দেওয়া হয়েছে। এদের মধ্যে হাবিবুর (১০) নামে একজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে ওটিতে নেয়া হয়েছে।’ কুকুরের কামড়ে তার গলার বিভিন্ন অংশের মাংস পেশি ছিন্নভিন্ন হয়ে যাওয়াতে তাকে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের সার্জারী বিভাগের কনসালটেন্ট তার অস্ত্রোপচার করেছেন।

মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ জমির মোহাম্মদ হাসিবুস সাত্তার বলেন, ‘আমঝুপি থেকে কুকুরে কামড়ানো রোগী যারা হাসপাতালে এসেছিলেন তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর ভ্যাক্সিনেশন করা হয়েছে।’

আমঝুপি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বোরহান উদ্দীন আহম্মেদ চুন্নু এই ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, উপজেলা পরিষদের সমন্বয় সভায় বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডাক্তার অলক কুমার দাশ এব্যাপারে সাবির্ক বিষয়টি দেখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।




গাংনী থানার চার পুলিশ সদস্য জেলার শ্রেষ্ঠ নির্বাচিত

গাংনী থানার সেকেন্ড অফিসার এস আই আব্দুর রাজ্জাক, এস আই ইসরাফিল হোসেন,এ এস আই তাওহিদুল ইসলাম,এস আই হাফিজুর রহমানকে বিশেষ সম্মামনায় পুরুষ্কৃত করেছেন মেহেরপুর পুলিশ সুপার রাফিউল আলম। গাংনী থানার চারজন পুলিশ সদস্যকে সম্মাননা ক্রেস্ট ও নগদ অর্থ প্রদান করা হয়।

ওরেন্ট তামিল,মাদক দ্রব্য উদ্ধার, মামলা নিষ্পত্তি, এলাকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখায় জেলার শ্রেষ্ঠ অফিসার হিসেবে তাদের সম্মাননা ক্রেস্ট, নগদন প্রদান করেন।

এসময় পুলিশ সুপার রাফিউল আলম,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার,কামরুল আহসান, গাংনী থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাকসহ তিন থানার ওসি উপস্থিত ছিলেন।

গতকাল বুধবার সকাল ১০ টার সময় মেহেরপুর পুলিশ লাইন্স ডিলশেড কল্যাণ সভা শেষে আনুষ্ঠানিক ভাবে তাদের পুরস্কৃত করা হয়।

গাংনী থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাক বলেন,গাংনী থানার চারজন পুলিশ সদস্য জেলার শ্রেষ্ঠ হওয়ায় নিজের কাছে ভাল লাগছে। এ পুরস্কার তাদের কাজের আগ্রহ আরও বাড়বে বলে মনে করি।

কাজের দক্ষতা অনুযায়ী পুলিশ সদস্যরা মুল্যায়িত হলে কাজের আগ্রহ আরও বাড়বে বলে জানান পুলিশ সুপার রাফিউল আলম।